পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

بَاب تَسْمِيَةُ مَنْ سُمِّيَ مِنْ أَهْلِ بَدْرٍ فِي الْجَامِعِ الَّذِي وَضَعَهُ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ عَلَى حُرُوفِ الْمُعْجَمِ النَّبِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْهَاشِمِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِيَاسُ بْنُ الْبُكَيْرِ بِلَالُ بْنُ رَبَاحٍ مَوْلَى أَبِي بَكْرٍ الْقُرَشِيِّ حَمْزَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبِ الْهَاشِمِيُّ حَاطِبُ بْنُ أَبِي بَلْتَعَةَ حَلِيفٌ لِقُرَيْشٍ أَبُو حُذَيْفَةَ بْنُ عُتْبَةَ بْنِ رَبِيعَةَ الْقُرَشِيُّ حَارِثَةُ بْنُ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيُّ قُتِلَ يَوْمَ بَدْرٍ وَهُوَ حَارِثَةُ بْنُ سُرَاقَةَ كَانَ فِي النَّظَّارَةِ خُبَيْبُ بْنُ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ خُنَيْسُ بْنُ حُذَافَةَ السَّهْمِيُّ رِفَاعَةُ بْنُ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيُّ رِفاعَةُ بْنُ عَبْدِ الْمُنْذِرِ أَبُو لُبَابَةَ الْأَنْصَارِيُّ الزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ الْقُرَشِيُّ زَيْدُ بْنُ سَهْلٍ أَبُو طَلْحَةَ الْأَنْصَارِيُّ أَبُو زَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ سَعْدُ بْنُ مَالِكٍ الزُّهْرِيُّ سَعْدُ بْنُ خَوْلَةَ الْقُرَشِيُّ سَعِيدُ بْنُ زَيْدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ نُفَيْلٍ الْقُرَشِيُّ سَهْلُ بْنُ حُنَيْفٍ الْأَنْصَارِيُّ ظُهَيْرُ بْنُ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيُّ وَأَخُوهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُثْمَانَ أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ الْقُرَشِيُّ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْعُودٍ الْهُذَلِيُّ عُتْبَةُ بْنُ مَسْعُودٍ الْهُذَلِيُّ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ عُبَيْدَةُ بْنُ الْحَارِثِ الْقُرَشِيُّ عُبَادَةُ بْنُ الصَّامِتِ الْأَنْصَارِيُّ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ الْعَدَوِيُّ عُثْمَانُ بْنُ عَفَّانَ الْقُرَشِيُّ خَلَّفَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى ابْنَتِهِ وَضَرَبَ لَهُ بِسَهْمِهِ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْهَاشِمِيُّ عَمْرُو بْنُ عَوْفٍ حَلِيفُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ عُقْبَةُ بْنُ عَمْرٍو الْأَنْصَارِيُّ عَامِرُ بْنُ رَبِيعَةَ الْعَنَزِيُّ عَاصِمُ بْنُ ثَابِتٍ الْأَنْصَارِيُّ عُوَيْمُ بْنُ سَاعِدَةَ الْأَنْصَارِيُّ عِتْبَانُ بْنُ مَالِكٍ الْأَنْصَارِيُّ قُدَامَةُ بْنُ مَظْعُونٍ قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ الْأَنْصَارِيُّ مُعَاذُ بْنُ عَمْرِو بْنِ الْجَمُوحِ مُعَوِّذُ بْنُ عَفْرَاءَ وَأَخُوهُ مَالِكُ بْنُ رَبِيعَةَ أَبُو أُسَيْدٍ الْأَنْصَارِيُّ مُرَارَةُ بْنُ الرَّبِيعِ الْأَنْصَارِيُّ مَعْنُ بْنُ عَدِيٍّ الْأَنْصَارِيُّ مِسْطَحُ بْنُ أُثَاثَةَ بْنِ عَبَّادِ بْنِ الْمُطَّلِبِ بْنِ عَبْدِ مَنَافٍ مِقْدَادُ بْنُ عَمْرٍو الْكِنْدِيُّ حَلِيفُ بَنِي زُهْرَةَ هِلَالُ بْنُ أُمَيَّةَ الْأَنْصَارِيُّ

২১৭৫. পরিচ্ছেদঃ বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবীদের নামের তালিকা যা আল-জামে গ্রন্থে (বুখারীতে) উল্লেখ রয়েছে। নবী মুহাম্মদ ইব্‌ন আবদুল্লাহ হাশিমী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আয়াস ইব্‌ন বুকায়র, আবূ বকর কুরাইশীর আযাদকৃত গোলাম বিলাল ইব্‌ন রাবাহ, হামযা ইব্‌ন আবদুল মুত্তালিব আল-হাশিমী, কুরাইশদের বন্ধু হাতিব ইব্‌ন আবূ বুলতাআ, আবূ হুযাইফা ইব্‌ন উতবা ইব্‌ন রাবীআ কুরাইশী, হারিসা ইব্‌ন রাবী আনসারী, তিনি বদর যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন; তাঁকে হারিসা ইব্‌ন সুরাকাও বলা হয়, তিনি দেখার জন্য গিয়েছিলেন। খুবাইব ইব্‌ন আদী আনসারী, খুনায়স ইব্‌ন হুযাফা সাহমী, রিফা’আ ইব্‌ন রাফি আনসারী, রিফা’আ ইব্‌ন আবদুল মুনযির, আবূ লুবাবা আনসারী, যুবায়র ইবনুল আওয়াম কুরাইশী, যায়েদ ইব্‌ন সাহল আবূ তালহা আনসারী, আবূ যায়েদ আনসারী, সা’দ ইব্‌ন মালিক যুহরী, সা’দ ইব্‌ন খাওলা কুরাইশী, সাঈদ ইব্‌ন যায়েদ ইব্‌ন আমর ইব্‌ন নুফাইল কুরাইশী, সাহল ইব্‌ন হুনাইফ আনসারী, যুহায়র ইব্‌ন রাফি’ আনসারী, এবং তাঁর ভাই (মুযহির ইব্‌ন রাফি’ আনসারী), আবদুল্লাহ ইব্‌ন উসমান, আবূ বকর সিদ্দীক কুরাইশী, আবদুল্লাহ ইব্‌ন উসমান হুযালী; আবদুর রাহমান ইব্‌ন আউফ যুহরী, উবাইদা ইবনুল হারিস কুরাইশী, উবাদা ইব্‌ন সামিত আনসারী, উমর ইব্‌ন খাত্তাব আদাবী, উসমান ইব্‌ন আফ্‌ফান কুরাইশী, নবী(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাঁকে তাঁর অসুস্থ কন্যার দেখাশোনার জন্য (মদীনায়) রেখে গিয়েছিলেন। কিন্তু গনীমতের মালের অংশ তাঁকে দিয়েছিলেন। আলী ইব্‌ন আবী তালিব হাশিমী, আমির ইব্‌ন লুওয়াই গোত্রের মিত্র আমর ইব্‌ন আউফ, উকবা ইব্‌ন আমর আনসারী, আমির ইব্‌ন রাবী’আ আনাযী, আসিম ইব্‌ন সাবিত আনসারী, উওয়াম ইব্‌ন সাঈদা আনসারী, ইতবান ইব্‌ন মালিক আনসারী, কুদামা ইব্‌ন মাযউন, কাতাদা ইব্‌ন নু’মান আনসারী, মুয়ায ইব্‌ন আমর ইব্‌ন জামুহ, মু’আববিয ইব্‌ন আফরা এবং তাঁর ভাই( মু’আয), মালিক ইব্‌ন রাবী’আ আবূ উসাইদ আনসারী, মুরারা ইব্‌ন রাবী আনসারী। মা’ন ইব্‌ন আ’দী আনসারী, মিসতাহ ইব্‌ন উসাসা ইব্‌ন আব্বাদ ইব্‌ন মুত্তালিব ইব্‌ন আবদের মানাফ, যুহরা গোত্রের মিত্র মিকদাদ ইব্‌ন আমর কিনদী, হিলাল ইব্‌ন উমাইয়া আনসারী, (রাযিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুম আজমায়ীন)


৩৭৩৫। ইসহাক ইবনু নাসর (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, বনু নাযীর ও বনু কুরায়যা গোত্রের ইয়াহুদী সম্প্রদায় (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ আরম্ভ করলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনূ নাযীর গোত্রকে দেশান্তরিত করে দেন এবং বনু কুরায়যা গোত্রের প্রতি কৃপা প্রদর্শন করে তাদেরকে (তাদের ঘর বাড়ীতেই) থাকতে দেন। কিন্তু (পরবর্তীকালে) বনূ কুরায়যা গোত্র (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধে লিপ্ত হলে কিছু সংখ্যক ব্যাক্তি যারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দল ভুক্ত হবার পর তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দিয়েছিলেন তারা মুসলিম হয়ে গিয়েছিল তারা ব্যতীত অন্য সব পুরুষ লোককে হত্যা করে দেয়া হয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার সকল ইয়াহুদীকে দেশান্তরিত করলেন। আবদুল্লাহ ইবনু সালামের গোত্র বনু কায়নুকা ও বনু হারিসাসহ অন্যান্য ইয়াহুদী সম্প্রদায়কেও তিনি দেশান্তরিত করেন।

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ نَصْرٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ حَارَبَتِ النَّضِيرُ وَقُرَيْظَةُ، فَأَجْلَى بَنِي النَّضِيرِ، وَأَقَرَّ قُرَيْظَةَ وَمَنَّ عَلَيْهِمْ، حَتَّى حَارَبَتْ قُرَيْظَةُ فَقَتَلَ رِجَالَهُمْ وَقَسَمَ نِسَاءَهُمْ وَأَوْلاَدَهُمْ وَأَمْوَالَهُمْ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ بَعْضَهُمْ لَحِقُوا بِالنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَآمَنَهُمْ وَأَسْلَمُوا، وَأَجْلَى يَهُودَ الْمَدِينَةِ كُلَّهُمْ بَنِي قَيْنُقَاعَ وَهُمْ رَهْطُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ وَيَهُودَ بَنِي حَارِثَةَ، وَكُلَّ يَهُودِ الْمَدِينَةِ‏.‏

حدثنا اسحاق بن نصر، حدثنا عبد الرزاق، اخبرنا ابن جريج، عن موسى بن عقبة، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ قال حاربت النضير وقريظة، فاجلى بني النضير، واقر قريظة ومن عليهم، حتى حاربت قريظة فقتل رجالهم وقسم نساءهم واولادهم واموالهم بين المسلمين الا بعضهم لحقوا بالنبي صلى الله عليه وسلم فامنهم واسلموا، واجلى يهود المدينة كلهم بني قينقاع وهم رهط عبد الله بن سلام ويهود بني حارثة، وكل يهود المدينة‏.‏


Narrated Ibn `Umar:

Bani An-Nadir and Bani Quraiza fought (against the Prophet (ﷺ) violating their peace treaty), so the Prophet exiled Bani An-Nadir and allowed Bani Quraiza to remain at their places (in Medina) taking nothing from them till they fought against the Prophet (ﷺ) again) . He then killed their men and distributed their women, children and property among the Muslims, but some of them came to the Prophet (ﷺ) and he granted them safety, and they embraced Islam. He exiled all the Jews from Medina. They were the Jews of Bani Qainuqa', the tribe of `Abdullah bin Salam and the Jews of Bani Haritha and all the other Jews of Medina.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

৩৭৩৬। হাসান ইবনু মুদরিক (রহঃ) ... সাঈদ ইবনু জুবায়র (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাসের নিকট সূরা হাশরকে সূরা হাশর বলে উল্লেখ করলে, তিনি আমাকে বললেন, বরং তুমি বলবে “সূরা নাযীর”। আবূ বিশ্‌র থেকে হুশাইমও এ বর্ণনায় তার (আবূ আওয়ানা) অনুসরণ করেছেন।

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، قَالَ قُلْتُ لاِبْنِ عَبَّاسٍ سُورَةُ الْحَشْرِ‏.‏ قَالَ قُلْ سُورَةُ النَّضِيرِ‏.‏ تَابَعَهُ هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ‏.‏

حدثني الحسن بن مدرك، حدثنا يحيى بن حماد، اخبرنا ابو عوانة، عن ابي بشر، عن سعيد بن جبير، قال قلت لابن عباس سورة الحشر‏.‏ قال قل سورة النضير‏.‏ تابعه هشيم عن ابي بشر‏.‏


Narrated Sa`id bin Jubair:

I mentioned to Ibn `Abbas Surat-Hashr. He said, "Call it Surat-an-Nadir."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

৩৭৩৭। আবদুল্লাহ ইবনু আবূল আসওয়াদ (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আনসারগণ কিছু কিছু খেজুর গাছ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য নির্ধারিত করে দিয়েছিলেন। অবশেষে বনু কুরায়যা ও বনু নাযীর বিজিত হওয়ার পর তিনি ঐ খেজুর গাছগুলো তাদেরকে ফিরত দিয়ে দেন।

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي الأَسْوَدِ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ أَبِيهِ، سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه قَالَ كَانَ الرَّجُلُ يَجْعَلُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم النَّخَلاَتِ حَتَّى افْتَتَحَ قُرَيْظَةَ وَالنَّضِيرَ، فَكَانَ بَعْدَ ذَلِكَ يَرُدُّ عَلَيْهِمْ‏.‏

حدثنا عبد الله بن ابي الاسود، حدثنا معتمر، عن ابيه، سمعت انس بن مالك ـ رضى الله عنه قال كان الرجل يجعل للنبي صلى الله عليه وسلم النخلات حتى افتتح قريظة والنضير، فكان بعد ذلك يرد عليهم‏.‏


Narrated Anas bin Malik:

Some people used to allot some date palm trees to the Prophet (ﷺ) as gift till he conquered Banu Quraiza and Bani An-Nadir, where upon he started returning their date palms to them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

৩৭৩৮। আদম (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বুওয়াইরা নামক স্থানে বনু নাযীর গোত্রের যে খেজুর গাছ ছিল তা কিছু জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন এবং কিছু কেটে ফেলেছিলেন। এ সম্পর্কে মহান আল্লাহ বলেছেনঃ তোমরা যে খেজুর গাছগুলি কেটে ফেলেছ অথবা যেগুলো কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ, তা তো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে (হাশর ৫৯ঃ ৫)।

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ قَالَ حَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ وَهْىَ الْبُوَيْرَةُ فَنَزَلَتْ ‏(‏مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ‏)‏

حدثنا ادم، حدثنا الليث، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ـ قال حرق رسول الله صلى الله عليه وسلم نخل بني النضير وقطع وهى البويرة فنزلت ‏(‏ما قطعتم من لينة او تركتموها قاىمة على اصولها فباذن الله‏)‏


Narrated Ibn `Umar:

Allah's Messenger (ﷺ) had the date-palm trees of Bani Al-Nadir burnt and cut down at a place called Al- Buwaira. Allah then revealed: "What you cut down of the date-palm trees (of the enemy) Or you left them standing on their stems. It was by Allah's Permission." (59.5)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

৩৭৩৯ ইসহাক (রহঃ) ... ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু নাযীর গোত্রের খেজুর গাছগুলো জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন। ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, এ সম্বন্ধেই হাসসান ইবনু সাবিত (রাঃ) বলেছেনঃ “বনূ লুওয়াই গোত্রের নেতাদের (কুরাইশদের) জন্য সহজ হয়ে গিয়েছে বুওয়াইরা নামক স্থানের সর্বত্রই অগ্নিশিখা প্রজ্জ্বলিত হওয়া।” বর্ণনাকারী ইবনু উমর (রাঃ) বলেন, এর উত্তরে আবূ সুফিয়ান ইবনু হারিস বলেছিল, “আল্লাহ এ কাজেকে স্থায়ী করুণ এবং জ্বালিয়ে রাখুন মদিনার আশে পাশে লেলিহান আগুন, অচিরেই জানোবে আমাদের মাঝে কারা নিরাপদ থাকবে এবং জানবে দুই নগরীর কোনটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ، أَخْبَرَنَا جُوَيْرِيَةُ بْنُ أَسْمَاءَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ قَالَ وَلَهَا يَقُولُ حَسَّانُ بْنُ ثَابِتٍ وَهَانَ عَلَى سَرَاةِ بَنِي لُؤَىٍّ حَرِيقٌ بِالْبُوَيْرَةِ مُسْتَطِيرُ قَالَ فَأَجَابَهُ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ أَدَامَ اللَّهُ ذَلِكَ مِنْ صَنِيعٍ وَحَرَّقَ فِي نَوَاحِيهَا السَّعِيرُ سَتَعْلَمُ أَيُّنَا مِنْهَا بِنُزْهٍ وَتَعْلَمُ أَىَّ أَرْضَيْنَا تَضِيرُ

حدثني اسحاق، اخبرنا حبان، اخبرنا جويرية بن اسماء، عن نافع، عن ابن عمر ـ رضى الله عنهما ان النبي صلى الله عليه وسلم حرق نخل بني النضير قال ولها يقول حسان بن ثابت وهان على سراة بني لوى حريق بالبويرة مستطير قال فاجابه ابو سفيان بن الحارث ادام الله ذلك من صنيع وحرق في نواحيها السعير ستعلم اينا منها بنزه وتعلم اى ارضينا تضير


Narrated Ibn `Umar:

The Prophet (ﷺ) burnt the date-palm trees of Bani An-Nadir. Hassan bin Thabit said the following poetic Verses about this event:-- "the terrible burning of Al-Buwaira Has been received indifferently By the nobles of Bani Luai (The masters and nobles of Quraish)." Abu Sufyan bin Al-Harith (i.e. the Prophet's cousin who was still a disbeliever then) replied to Hassan, saying in poetic verses:-- "May Allah bless that burning And set all its (i.e. Medina's) Parts on burning fire. You will see who is far from it (i.e. Al-Buwaira) And which of our lands will be Harmed by it (i.e. the burning of Al- Buwaira).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

৩৭৪০। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... মালিক ইবনু আ’ওস ইবনু হাদসান নাসিরী (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, (একদা) উমর ইবনু খাত্তাব (রাঃ) তাকে ডাকলেন। এসময় তার দ্বাররক্ষী ইয়ারফা এসে বলল, উসমান, আবদুর রহমান, যুবায়র এবং সা’দ (রাঃ) আপনার নিকট আসার অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, হাঁ তাঁদেরকে আসতে বল। কিছুক্ষণ পরে এসে বলল, আব্বাস এবং আলী (রাঃ) আপনার নিকট অনুমতি চাচ্ছেন। তিনি বললেন, হাঁ। তাঁরা উভয়েই ভিতরে প্রবেশ করলেন। আব্বাস (রাঃ) বললেন, হে, আমীরুল মু’মিনীন! আমার এবং তাঁর মাঝে (চলমান বিবাদের) মীমাংসা করে দিন। বনূ নাযীরের সম্পদ থেকে আল্লাহ তাঁর রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে ফাই (বিনা যুদ্ধে লব্ধ সম্পদ) হিসাবে যা দিয়েছিলেন তা নিয়ে তাদের উভয়ের মাঝে বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে তাঁরা তর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন, (এ দেখে আগত) দলের সকলেই বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন! তাদের মাঝে একটি ফয়সালা করে তাদের পারস্পরিক এ বিবাদ থেকে অব্যাহতি দিন।

তখন উমর (রাঃ) বললেন, তাড়াহুড়া করবেন না। আমি আপনাদেরকে আল্লাহর নামে শপথ দিয়ে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান ও যমিন স্থির আছে। আপনারা কি জানেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের সম্বন্ধে বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাইনা। যা রেখে যাই তা সদকা হিসাবেই গন্য হয়। এর দ্বারা তিনি নিজের কথাই বললেন, উপস্থিত সকলেই বললেন, হাঁ তিনি একথা বলেছেন। উমর (রাঃ) আলী এবং আব্বাসের দিকে লক্ষ্য করে বললেন, আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে একথা বলেছেন, আপনারা তা জানেন কি? তাঁরা উভয়েই বললেন, হাঁ, এরপর তিনি (উমর) বললেন, এখন আমি আপনাদেরকে (উত্থাপিত) বিষয়টির প্রকৃত অবস্থা খুলে বলছি।

ফায় (বিনা যুদ্ধ লব্ধ সম্পদ) এর কিছু অংশ আল্লাহ তা’আলা তাঁর রাসূল এর জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, যা তিনি আর অন্য কাউকে দেননি। এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ আল্লাহ ইয়াহুদীদের নিকট হতে তাঁর রাসূলকে যে ফায় দিয়েছেন, তাঁর জন্য তোমরা অশ্বে কিংবা উষ্ট্রে আরোহণ করে যুদ্ধ করনি; আল্লাহ তো তাঁর রাসূলকে যার উপর ইচ্ছা তার উপর কতৃত্ব দান করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান। (৬ঃ ৫৯) অতএব এ ফায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্যই খাস ছিল। আল্লাহর কসম! এরপর তিনি তোমাদেরকে বাদ দিয়ে নিজের জন্য এ সম্পদকে সংরক্ষিতও রাখেন নি এবং নিজের জন্য নির্ধারিতও করে যান নি। বরং এ অর্থকে তিনি তোমাদের মাঝে বন্টন করে দিয়েছেন। অবশেষে এ মাল উদ্বৃত্ত আছে। এ মাল থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর পরিবার পরিজনের এক বছরের খোরপোশ দিতেন। এ থেকে যা অবশিষ্ট থাকত তা তিনি আল্লাহর পথে খরচ করে দিতেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর জীবদ্দশায় এ রূপই করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওফাতের পর আবূ বকর (রাঃ) বললেন, এখন থেকে আমিই হলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওলী। এরপর আবূ বকর (রাঃ) তা স্বীয় তত্ত্বাবধানে নিয়ে এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে নীতি অনুসরণ করেছিলেন তিনিও সে নীতিই অনুসরণ করে চললেন। তিনি আলী ও আব্বাসের প্রতি লক্ষ্য করে বললেন, আজ আপনারা যা বলেছেন এ বিষয়ে আপনারা আবূ বকরের সাথেও এ ধরনেরই আলোচনা করেছিলেন। আল্লাহর কসম! তিনি জানেন, এ বিষয়ে আবূ বকর (রাঃ) ছিলেন সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ এবং হকের অনুসারী এক মহান ব্যাক্তিত্ব। এরপর আবূ বকরের ইন্তেকাল হলে আমি বললাম, (আজ থেকে) আমিই হলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকরের ওলী। এরপর এ সম্পদকে আমি আমার খিলাফতের দুই বছরকাল আমার তত্ত্বাবধানে রাখি এবং এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আবূ বকরের অনুসৃত নীতিই অনুসরণ করে চলছি। আল্লাহ তা’আলাই ভাল জানেন, এ বিষয়ে নিশ্চয়ই আমি সত্যবাদী, ন্যায়পরায়ণ ও হকের একনিষ্ঠ অনুসারী।

তা সত্ত্বেও পুনরায় আপনারা দু’জনই আমার নিকট এসেছেন। আপনাদের কথাও এবং আপনাদের ব্যাপারটিও এক। আর আব্বাস আপনিও এখন এসেছেন। আমি আপনাদের উভয়কেই বলেছিলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী করিনা, আমরা যা রেখে যাই তা সদকা হিসাবেই গণ্য হয়। এরপর এ সম্পদটি আপনাদের উভয়ের তত্ত্বাবধানে দেওয়ার বিষয়টি যখন আমার নিকট স্পষ্ট হল তখন আমি বলেছিলাম, যদি আপনারা চান তাহলে একটি শর্তে তা আমি আপনাদের নিকট অর্পণ করব। শর্তটি হচ্ছে, আপনারা আল্লাহর নির্দেশ ও তাঁর দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এমনভাবে কাজ করবেন যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং আবূ বকর করেছেন। আমার তত্ত্বাবধানে আসার পর আমি করেছি। অন্যথায় এ বিষয়ে আমার সাথে আর কোন আলোচনা করবেন না। তখন আপনারা বলেছিলেন, এ শর্তেই আপনি তা আমাদের নিকট অর্পণ করুন। আমি তা আপনাদের হাতে অর্পণ করেছি। এখন আপনারা আমার নিকট অন্য কোন ফয়সালা কামনা করেন কি? আমি আল্লাহর শপথ করে বলছি, যাঁর আদেশে আসমান যমীন স্থির আছে কিয়ামত সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত আমি এর বাইরে অন্য কোন ফয়সালা দিতে পারবনা। আপনারা যদি এ দায়িত্ব পালনে অক্ষম হয়ে থাকেন তাহলে আমার নিকট ফিরিয়ে দিন। আপনাদের এ দায়িত্ব পালনে আমিই যথেষ্ট।

বর্ণনাকারী (যুহরী) বলেন, আমি হাদিসটি উরওয়া ইবনু যুবায়রের নিকট বর্ণনা করার পর তিনি (আমাকে) বললেন, মালিক ইবনু আওস (রাঃ) ঠিকই বর্ণনা করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী আয়িশা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, (বনী নাযীর গোত্রের সম্পদ থেকে) ফায় হিসাবে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে যে সম্পদ দিয়েছেন তার অষ্টমাংশ আনার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ উসমানকে আবূ বকরের নিকট পাঠালে (পাঠাতে ইচ্ছা করলে) এই বলে আমি তাদেরকে রাবণ করছিলাম যে, আপনারা কি আল্লাহকে ভয় করেন না? আপনারা কি জানেন না যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন আমরা (নবীগণ) কাউকে উত্তরাধিকারী রেখে যাই না, আমরা যা রেখে যাই তা সাদাকা হিসাবেই থেকে যায়। এ দ্বারা তিনি নিজেকে উদ্দেশ্য করেছেন। এ সম্পদ থেকে মুহাম্মদ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বংশধরগণ খেতে পারবেন। (তারা এ সম্পদের মালিক হতে পারবেন না।)

আমার এ কথা শুনে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণীগণ বিরত হলেন। বর্ণনাকারী [উরওয়া ইবনু যুবায়র (রহঃ)] বলেন, অবশিষে সাদাকার এ মাল আলীর তত্ত্বাবধানে ছিল। তিনি আব্বাসকে তা দিতে অস্বীকার করেন এবং পরিশিষে (এ যমীনের ব্যাপারে) তিনি আব্বাসের উপর জয়ী হল। এরপর তা যথাক্রমে হাসান ইবনু আলী এবং হুসাইন ইবনু আলীর হাতে ছিল। পুনরায় তা আলী ইবনু হুসাইন এবং হাসান ইবনু হাসানের হস্তগত হয়। তাঁরা উভয়ই পর্যায়ক্রমে তার দেখা শোনা করতেন। এরপর তা যায়েদ ইবনু হাসানের তত্ত্বাবধানে যায়। ইহা অবশ্যই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাদাকা।

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَالِكُ بْنُ أَوْسِ بْنِ الْحَدَثَانِ النَّصْرِيُّ، أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ ـ رضى الله عنه ـ دَعَاهُ إِذْ جَاءَهُ حَاجِبُهُ يَرْفَا فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عُثْمَانَ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَالزُّبَيْرِ وَسَعْدٍ يَسْتَأْذِنُونَ فَقَالَ نَعَمْ، فَأَدْخِلْهُمْ‏.‏ فَلَبِثَ قَلِيلاً، ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ هَلْ لَكَ فِي عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ يَسْتَأْذِنَانِ قَالَ نَعَمْ‏.‏ فَلَمَّا دَخَلاَ قَالَ عَبَّاسٌ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنِي وَبَيْنَ هَذَا، وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فِي الَّذِي أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم مِنْ بَنِي النَّضِيرِ، فَاسْتَبَّ عَلِيٌّ وَعَبَّاسٌ، فَقَالَ الرَّهْطُ يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ، اقْضِ بَيْنَهُمَا وَأَرِحْ أَحَدَهُمَا مِنَ الآخَرِ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ اتَّئِدُوا، أَنْشُدُكُمْ بِاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ، هَلْ تَعْلَمُونَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏ يُرِيدُ بِذَلِكَ نَفْسَهُ‏.‏ قَالُوا قَدْ قَالَ ذَلِكَ‏.‏ فَأَقْبَلَ عُمَرُ عَلَى عَبَّاسٍ وَعَلِيٍّ فَقَالَ أَنْشُدُكُمَا بِاللَّهِ هَلْ تَعْلَمَانِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ قَالَ ذَلِكَ قَالاَ نَعَمْ‏.‏ قَالَ فَإِنِّي أُحَدِّثُكُمْ عَنْ هَذَا الأَمْرِ، إِنَّ اللَّهَ سُبْحَانَهُ كَانَ خَصَّ رَسُولَهُ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْفَىْءِ بِشَىْءٍ لَمْ يُعْطِهِ أَحَدًا غَيْرَهُ فَقَالَ جَلَّ ذِكْرُهُ ‏(‏وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلاَ رِكَابٍ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏قَدِيرٌ‏)‏ فَكَانَتْ هَذِهِ خَالِصَةً لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم، ثُمَّ وَاللَّهِ مَا احْتَازَهَا دُونَكُمْ، وَلاَ اسْتَأْثَرَهَا عَلَيْكُمْ، لَقَدْ أَعْطَاكُمُوهَا وَقَسَمَهَا فِيكُمْ، حَتَّى بَقِيَ هَذَا الْمَالُ مِنْهَا، فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ عَلَى أَهْلِهِ نَفَقَةَ سَنَتِهِمْ مِنْ هَذَا الْمَالِ، ثُمَّ يَأْخُذُ مَا بَقِيَ فَيَجْعَلُهُ مَجْعَلَ مَالِ اللَّهِ، فَعَمِلَ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَيَاتَهُ، ثُمَّ تُوُفِّيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ فَأَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم‏.‏ فَقَبَضَهُ أَبُو بَكْرٍ، فَعَمِلَ فِيهِ بِمَا عَمِلَ بِهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ‏.‏ فَأَقْبَلَ عَلَى عَلِيٍّ وَعَبَّاسٍ وَقَالَ تَذْكُرَانِ أَنَّ أَبَا بَكْرٍ عَمِلَ فِيهِ كَمَا تَقُولاَنِ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ إِنَّهُ فِيهِ لَصَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ ثُمَّ تَوَفَّى اللَّهُ أَبَا بَكْرٍ فَقُلْتُ أَنَا وَلِيُّ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبِي بَكْرٍ‏.‏ فَقَبَضْتُهُ سَنَتَيْنِ مِنْ إِمَارَتِي أَعْمَلُ فِيهِ بِمَا عَمِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، وَاللَّهُ يَعْلَمُ أَنِّي فِيهِ صَادِقٌ بَارٌّ رَاشِدٌ تَابِعٌ لِلْحَقِّ، ثُمَّ جِئْتُمَانِي كِلاَكُمَا وَكَلِمَتُكُمَا وَاحِدَةٌ وَأَمْرُكُمَا جَمِيعٌ، فَجِئْتَنِي ـ يَعْنِي عَبَّاسًا ـ فَقُلْتُ لَكُمَا إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ‏"‏‏.‏ فَلَمَّا بَدَا لِي أَنْ أَدْفَعَهُ إِلَيْكُمَا قُلْتُ إِنْ شِئْتُمَا دَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا عَلَى أَنَّ عَلَيْكُمَا عَهْدَ اللَّهِ وَمِيثَاقَهُ لَتَعْمَلاَنِ فِيهِ بِمَا عَمِلَ فِيهِ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَبُو بَكْرٍ، وَمَا عَمِلْتُ فِيهِ مُذْ وَلِيتُ، وَإِلاَّ فَلاَ تُكَلِّمَانِي، فَقُلْتُمَا ادْفَعْهُ إِلَيْنَا بِذَلِكَ‏.‏ فَدَفَعْتُهُ إِلَيْكُمَا، أَفَتَلْتَمِسَانِ مِنِّي قَضَاءً غَيْرَ ذَلِكَ فَوَاللَّهِ الَّذِي بِإِذْنِهِ تَقُومُ السَّمَاءُ وَالأَرْضُ لاَ أَقْضِي فِيهِ بِقَضَاءٍ غَيْرِ ذَلِكَ حَتَّى تَقُومَ السَّاعَةُ، فَإِنْ عَجَزْتُمَا عَنْهُ، فَادْفَعَا إِلَىَّ فَأَنَا أَكْفِيكُمَاهُ‏.‏ قَالَ فَحَدَّثْتُ هَذَا الْحَدِيثَ، عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ فَقَالَ صَدَقَ مَالِكُ بْنُ أَوْسٍ، أَنَا سَمِعْتُ عَائِشَةَ ـ رضى الله عنها ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَقُولُ أَرْسَلَ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عُثْمَانَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ يَسْأَلْنَهُ ثُمُنَهُنَّ مِمَّا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم، فَكُنْتُ أَنَا أَرُدُّهُنَّ، فَقُلْتُ لَهُنَّ أَلاَ تَتَّقِينَ اللَّهَ، أَلَمْ تَعْلَمْنَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَقُولُ ‏"‏ لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ ـ يُرِيدُ بِذَلِكَ نَفْسَهُ ـ إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم فِي هَذَا الْمَالِ ‏"‏‏.‏ فَانْتَهَى أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى مَا أَخْبَرَتْهُنَّ‏.‏ قَالَ فَكَانَتْ هَذِهِ الصَّدَقَةُ بِيَدِ عَلِيٍّ، مَنَعَهَا عَلِيٌّ عَبَّاسًا فَغَلَبَهُ عَلَيْهَا، ثُمَّ كَانَ بِيَدِ حَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ بِيَدِ حُسَيْنِ بْنِ عَلِيٍّ، ثُمَّ بِيَدِ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ وَحَسَنِ بْنِ حَسَنٍ، كِلاَهُمَا كَانَا يَتَدَاوَلاَنِهَا، ثُمَّ بِيَدِ زَيْدِ بْنِ حَسَنٍ، وَهْىَ صَدَقَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَقًّا‏.‏

حدثنا ابو اليمان، اخبرنا شعيب، عن الزهري، قال اخبرني مالك بن اوس بن الحدثان النصري، ان عمر بن الخطاب ـ رضى الله عنه ـ دعاه اذ جاءه حاجبه يرفا فقال هل لك في عثمان، وعبد الرحمن، والزبير وسعد يستاذنون فقال نعم، فادخلهم‏.‏ فلبث قليلا، ثم جاء فقال هل لك في عباس وعلي يستاذنان قال نعم‏.‏ فلما دخلا قال عباس يا امير المومنين، اقض بيني وبين هذا، وهما يختصمان في الذي افاء الله على رسوله صلى الله عليه وسلم من بني النضير، فاستب علي وعباس، فقال الرهط يا امير المومنين، اقض بينهما وارح احدهما من الاخر‏.‏ فقال عمر اتىدوا، انشدكم بالله الذي باذنه تقوم السماء والارض، هل تعلمون ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا نورث، ما تركنا صدقة ‏"‏‏.‏ يريد بذلك نفسه‏.‏ قالوا قد قال ذلك‏.‏ فاقبل عمر على عباس وعلي فقال انشدكما بالله هل تعلمان ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد قال ذلك قالا نعم‏.‏ قال فاني احدثكم عن هذا الامر، ان الله سبحانه كان خص رسوله صلى الله عليه وسلم في هذا الفىء بشىء لم يعطه احدا غيره فقال جل ذكره ‏(‏وما افاء الله على رسوله منهم فما اوجفتم عليه من خيل ولا ركاب‏)‏ الى قوله ‏(‏قدير‏)‏ فكانت هذه خالصة لرسول الله صلى الله عليه وسلم، ثم والله ما احتازها دونكم، ولا استاثرها عليكم، لقد اعطاكموها وقسمها فيكم، حتى بقي هذا المال منها، فكان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينفق على اهله نفقة سنتهم من هذا المال، ثم ياخذ ما بقي فيجعله مجعل مال الله، فعمل ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم حياته، ثم توفي النبي صلى الله عليه وسلم فقال ابو بكر فانا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم‏.‏ فقبضه ابو بكر، فعمل فيه بما عمل به رسول الله صلى الله عليه وسلم وانتم حينىذ‏.‏ فاقبل على علي وعباس وقال تذكران ان ابا بكر عمل فيه كما تقولان، والله يعلم انه فيه لصادق بار راشد تابع للحق ثم توفى الله ابا بكر فقلت انا ولي رسول الله صلى الله عليه وسلم وابي بكر‏.‏ فقبضته سنتين من امارتي اعمل فيه بما عمل رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر، والله يعلم اني فيه صادق بار راشد تابع للحق، ثم جىتماني كلاكما وكلمتكما واحدة وامركما جميع، فجىتني ـ يعني عباسا ـ فقلت لكما ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏"‏ لا نورث، ما تركنا صدقة ‏"‏‏.‏ فلما بدا لي ان ادفعه اليكما قلت ان شىتما دفعته اليكما على ان عليكما عهد الله وميثاقه لتعملان فيه بما عمل فيه رسول الله صلى الله عليه وسلم وابو بكر، وما عملت فيه مذ وليت، والا فلا تكلماني، فقلتما ادفعه الينا بذلك‏.‏ فدفعته اليكما، افتلتمسان مني قضاء غير ذلك فوالله الذي باذنه تقوم السماء والارض لا اقضي فيه بقضاء غير ذلك حتى تقوم الساعة، فان عجزتما عنه، فادفعا الى فانا اكفيكماه‏.‏ قال فحدثت هذا الحديث، عروة بن الزبير فقال صدق مالك بن اوس، انا سمعت عاىشة ـ رضى الله عنها ـ زوج النبي صلى الله عليه وسلم تقول ارسل ازواج النبي صلى الله عليه وسلم عثمان الى ابي بكر يسالنه ثمنهن مما افاء الله على رسوله صلى الله عليه وسلم، فكنت انا اردهن، فقلت لهن الا تتقين الله، الم تعلمن ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يقول ‏"‏ لا نورث، ما تركنا صدقة ـ يريد بذلك نفسه ـ انما ياكل ال محمد صلى الله عليه وسلم في هذا المال ‏"‏‏.‏ فانتهى ازواج النبي صلى الله عليه وسلم الى ما اخبرتهن‏.‏ قال فكانت هذه الصدقة بيد علي، منعها علي عباسا فغلبه عليها، ثم كان بيد حسن بن علي، ثم بيد حسين بن علي، ثم بيد علي بن حسين وحسن بن حسن، كلاهما كانا يتداولانها، ثم بيد زيد بن حسن، وهى صدقة رسول الله صلى الله عليه وسلم حقا‏.‏


Narrated Malik bin Aus Al-Hadathan An-Nasri:

That once `Umar bin Al-Khattab called him and while he was sitting with him, his gatekeeper, Yarfa came and said, "Will you admit `Uthman, `Abdur-Rahman bin `Auf, AzZubair and Sa`d (bin Abi Waqqas) who are waiting for your permission?" `Umar said, "Yes, let them come in." After a while, Yarfa- came again and said, "Will you admit `Ali and `Abbas who are asking your permission?" `Umar said, "Yes." So, when the two entered, `Abbas said, "O chief of the believers! Judge between me and this (i.e. `Ali). "Both of them had a dispute regarding the property of Bani An-Nadir which Allah had given to His Apostle as Fai (i.e. booty gained without fighting), `Ali and `Abbas started reproaching each other. The (present) people (i.e. `Uthman and his companions) said, "O chief of the believers! Give your verdict in their case and relieve each from) the other." `Umar said, "Wait I beseech you, by Allah, by Whose Permission both the heaven and the earth stand fast! Do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said, 'We (Prophets) our properties are not to be inherited, and whatever we leave, is to be spent in charity,' and he said it about himself?" They (i.e. `Uthman and his company) said, "He did say it. "`Umar then turned towards `Ali and `Abbas and said, "I beseech you both, by Allah! Do you know that Allah's Messenger (ﷺ) said this?" They replied in the affirmative. He said, "Now I am talking to you about this matter. Allah the Glorified favored His Apostle with something of this Fai (i.e. booty won without fighting) which He did not give to anybody else. Allah said:-- "And what Allah gave to His Apostle ("Fai"" Booty) from them--For which you made no expedition With either Calvary or camelry. But Allah gives power to His Apostles Over whomsoever He will And Allah is able to do all things." (59.6) So this property was especially granted to Allah's Messenger (ﷺ) . But by Allah, the Prophet (ﷺ) neither took it all for himself only, nor deprived you of it, but he gave it to all of you and distributed it amongst you till only this remained out of it. And from this Allah's Messenger (ﷺ) used to spend the yearly maintenance for his family, and whatever used to remain, he used to spend it where Allah's Property is spent (i.e. in charity), Allah's Messenger (ﷺ) kept on acting like that during all his life, Then he died, and Abu Bakr said, 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ).' So he (i.e. Abu Bakr) took charge of this property and disposed of it in the same manner as Allah's Messenger (ﷺ) used to do, and all of you (at that time) knew all about it." Then `Umar turned towards `Ali and `Abbas and said, "You both remember that Abu Bakr disposed of it in the way you have described and Allah knows that, in that matter, he was sincere, pious, rightly guided and the follower of the right. Then Allah caused Abu Bakr to die and I said, 'I am the successor of Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr.' So I kept this property in my possession for the first two years of my rule (i.e. Caliphate and I used to dispose of it in the same wa as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr used to do; and Allah knows that I have been sincere, pious, rightly guided an the follower of the right (in this matte Later on both of you (i.e. `Ali and `Abbas) came to me, and the claim of you both was one and the same, O `Abbas! You also came to me. So I told you both that Allah's Messenger (ﷺ) said, "Our property is not inherited, but whatever we leave is to be given in charity.' Then when I thought that I should better hand over this property to you both or the condition that you will promise and pledge before Allah that you will dispose it off in the same way as Allah's Messenger (ﷺ) and Abu Bakr did and as I have done since the beginning of my caliphate or else you should not speak to me (about it).' So, both of you said to me, 'Hand it over to us on this condition.' And on this condition I handed it over to you. Do you want me now to give a decision other than that (decision)? By Allah, with Whose Permission both the sky and the earth stand fast, I will never give any decision other than that (decision) till the Last Hour is established. But if you are unable to manage it (i.e. that property), then return it to me, and I will manage on your behalf." The sub-narrator said, "I told `Urwa bin Az-Zubair of this Hadith and he said, 'Malik bin Aus has told the truth" I heard `Aisha, the wife of the Prophet (ﷺ) saying, 'The wives of the Prophet (ﷺ) sent `Uthman to Abu Bakr demanding from him their 1/8 of the Fai which Allah had granted to his Apostle. But I used to oppose them and say to them: Will you not fear Allah? Don't you know that the Prophet used to say: Our property is not inherited, but whatever we leave is to be given in charity? The Prophet (ﷺ) mentioned that regarding himself. He added: 'The family of Muhammad can take their sustenance from this property. So the wives of the Prophet (ﷺ) stopped demanding it when I told them of that.' So, this property (of Sadaqa) was in the hands of `Ali who withheld it from `Abbas and overpowered him. Then it came in the hands of Hasan bin `Ali, then in the hands of Husain bin `Ali, and then in the hands of `Ali bin Husain and Hasan bin Hasan, and each of the last two used to manage it in turn, then it came in the hands of Zaid bin Hasan, and it was truly the Sadaqa of Allah's Apostle ."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৬. দু’ ব্যক্তির দিয়াতের (রক্তপন) ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য রসূল (সাঃ) এর বানী নাযীর গোত্রের নিকট যাওয়া এবং রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সঙ্গে তাদের গাদ্দারী সংক্রান্ত ঘটনা। যুহরী (র) উরওয়া (র) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, বনী নাযীর যুদ্ধ ওহোদ যুদ্ধের পূর্বে এবং বদর যুদ্ধের পর ষষ্ঠ মাসের শুরুতে সংঘঠিত হয়েছিল। মহান আল্লাহর বাণীঃ তিনিই কিতাবীদের মধ্যে যারা কাফির তাদেরকে প্রথম সমবেতভাবে তাদের আবাস ভূমি হতে বিতাড়িত করেছিলেন (হাশরঃ ৫৯ :২) বনী নাযীর যুদ্ধে এ ঘটনাকে ইবনু ইসহাক (র) বিরে মাউনার ঘটনা ও ওহোদ যুদ্ধের পরবর্তীকালের ঘটনা বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।

৩৭৪১। ইব্‌রাহীম ইবনু মূসা (রহঃ) ... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, ফাতিমা এবং আব্বাস (রাঃ) আবূ বকরের কাছে এসে ফাদাক এবং খায়বারের (ভূমির) অংশ দাবী করেন। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আমরা (নবী-রাসূলগন আমাদের সম্পদের) কাউকে উত্তরাধিকারী বানিয়ে যাই না। আমরা যা রেখে যাই সাদকা হিসাবেই রেখে যাই। এ মাল থেকে মুহাম্মদের পরিবার পরিজন ভোগ করবে। আল্লাহর কসম! আমার আত্মীয় স্বজনের সাথে আত্মীয়তা বন্ধনকে সুদৃঢ় করার চেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আত্মীয়তাই আমার নিকট অধিক প্রিয়।

باب حَدِيثِ بَنِي النَّضِيرِ وَمَخْرَجِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَيْهِمْ فِي دِيَةِ الرَّجُلَيْنِ، وَمَا أَرَادُوا مِنَ الْغَدْرِ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ. قَالَ الزُّهْرِيُّ عَنْ عُرْوَةَ كَانَتْ عَلَى رَأْسِ سِتَّةِ أَشْهُرٍ مِنْ وَقْعَةِ بَدْرٍ قَبْلَ أُحُدٍ. وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لأَوَّلِ الْحَشْرِ} وَجَعَلَهُ ابْنُ إِسْحَاقَ بَعْدَ بِئْرِ مَعُونَةَ وَأُحُدٍ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا هِشَامٌ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ ـ عَلَيْهَا السَّلاَمُ ـ وَالْعَبَّاسَ أَتَيَا أَبَا بَكْرٍ يَلْتَمِسَانِ مِيرَاثَهُمَا، أَرْضَهُ مِنْ فَدَكٍ، وَسَهْمَهُ مِنْ خَيْبَرَ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ نُورَثُ، مَا تَرَكْنَا صَدَقَةٌ، إِنَّمَا يَأْكُلُ آلُ مُحَمَّدٍ فِي هَذَا الْمَالِ ‏"‏‏.‏ وَاللَّهِ لَقَرَابَةُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَحَبُّ إِلَىَّ أَنْ أَصِلَ مِنْ قَرَابَتِي‏.‏

حدثنا ابراهيم بن موسى، اخبرنا هشام، اخبرنا معمر، عن الزهري، عن عروة، عن عاىشة، ان فاطمة ـ عليها السلام ـ والعباس اتيا ابا بكر يلتمسان ميراثهما، ارضه من فدك، وسهمه من خيبر‏.‏ فقال ابو بكر سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ لا نورث، ما تركنا صدقة، انما ياكل ال محمد في هذا المال ‏"‏‏.‏ والله لقرابة رسول الله صلى الله عليه وسلم احب الى ان اصل من قرابتي‏.‏


Narrated `Aisha:

Fatima and Al-`Abbas came to Abu Bakr, claiming their inheritance of the Prophet's land of Fadak and his share from Khaibar. Abu Bakr said, "I heard the Prophet (ﷺ) saying, 'Our property is not inherited, and whatever we leave is to be given in charity. But the family of Muhammad can take their sustenance from this property.' By Allah, I would love to do good to the Kith and kin of Allah's Apostle rather than to my own Kith and kin."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى) 51/ Military Expeditions led by the Prophet (pbuh) (Al-Maghaazi)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ৭ পর্যন্ত, সর্বমোট ৭ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে