পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই
৩৭২৪। আবদান (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী সাহাবী, বনী আমির ইবনু লুওয়াই গোত্রের বন্ধু আমর ইবনু আউফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ উবায়দা ইবনুল জার্রাহ্কে জিযিয়া আনার জন্য বাহ্রাইন পাঠান। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার্রাইন বাসীদের সাথে সন্ধি করে ’আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ) কে তাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ উবায়দা (রাঃ) বাহ্রাইন থেকে মান নিয়ে এসে পৌঁছালে আনসারগণ তার আগমনের সংবাদ জানতে পেরে সকলেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হলেন।
সালাত সমাপ্তির পর ফিরে বসলে তারা সকলেই তাঁর সামনে আসলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হয়, আবূ উবায়দা কিছু মাল নিয়ে এসেছে বলে তোমরা শুনতে পেয়েছ। তারা সকলেই বললেন, হাঁ, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, সু-সংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমাদের আনন্দদায়ক বিষয়ের আশায় থাকো, আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের জন্য দারিদ্রের আশংকা করিনা। বরং আমি আশংকা করি যে, তোমাদের কাছে দুনিয়ার প্রাচুর্য এসে যাবে যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের কাছে এসেছিল, তখন তোমরা তা লাভ করতে পরস্পরে প্রতিযোগিতা করবে যেমনভাবে তারা করেছিল। আর এ ধন-সম্পদ তাদেরকে যেমনিভাবে ধ্বংস করেছিল তোমাদেরকেও তেমনিভাবে ধ্বংস করে দিবে।
باب
حَدَّثَنَا عَبْدَانُ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، وَيُونُسُ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهْوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمِ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ، فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا انْصَرَفَ تَعَرَّضُوا لَهُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَىْءٍ ". قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنِّي أَخْشَى أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا، وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ ".
Narrated Al-Miswar bin Makhrama:
That `Amr bin `Auf, who was an ally of Bani 'Amir bin Luai and one of those who fought at Badr in the company of the Prophet (ﷺ) , said, "Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin Al-Jarrah to Bahrain to bring the Jizya taxation from its people, for Allah's Messenger (ﷺ) had made a peace treaty with the people of Bahrain and appointed Al-`Ala' bin Al-Hadrami as their ruler. So, Abu 'Ubaida arrived with the money from Bahrain. When the Ansar heard of the arrival of Abu 'Ubaida (on the next day) they offered the morning prayer with the Prophet (ﷺ) and when the morning prayer had finished, they presented themselves before him. On seeing the Ansar, Allah's Messenger (ﷺ) smiled and said, "I think you have heard that Abu 'Ubaida has brought something?" They replied, "Indeed, it is so, O Allah's Apostle!" He said, "Be happy, and hope for what will please you. By Allah, I am not afraid that you will be poor, but I fear that worldly wealth will be bestowed upon you as it was bestowed upon those who lived before you. So you will compete amongst yourselves for it, as they competed for it and it will destroy you as it did them."
পরিচ্ছেদঃ ২৬৮৯. দুনিয়ার জাঁকজমক ও দুনিয়ার প্রতি আসক্তি থেকে সতর্কতা
৫৯৮২। ইসমাঈল ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আমর ইবনু আওফ (রাঃ), তিনি বনী আমর ইবনু লুওযাই এর সাথে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধেও শরীক ছিলেন। তিনি বর্ননা করেন, একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ উবায়দা ইবনু জাররাহকে জিযিয়া আদায় করার জন্য বাহরাইন পাঠালেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের উপর আলা ইবনু হাসরামী (রাঃ) কে আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ উবায়দা (রাঃ) বাহরাইন থেকে মালামাল নিয়ে আসেন, আনসারগণ তার আগমনের সংবাদ শুনে ফজরের সালাতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঈে শরীক হন।
সালাত (নামায/নামাজ) শেষে তাঁরা তার সামনে এলেন। তিনি তাদের দেখে হেসে বললেনঃ আমি মনে করি তোমরা আবূ উবায়দা (রাঃ) এর আগমনের এবং তিনি যে মাল নিয়ে এসেছেন সে সংবাদ শুনেছ। তারা বললেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তোমরা এ সুসংবাদ গ্রহণ করো এবং তোমরা আশা রেখো যা তোমাদের খুশী করবে। তবে, আল্লাহর কসম। আমি তোমাদের উপর দরিদ্রতার আশংকা করছি না বরং আশংকা করছি যে, তোমাদের পূর্ববতী উম্মাতের উপর যেমন দুনিয়া প্রশস্ত করে দেওয়া হইয়েছিল, তেমনি তোমাদের উপরও দুনিয়া প্রশস্ত করে দেওয়া হবে। আর তোমরা যা নয় তা তোমাদের আখিরাত বিমুখ করে ফেলবে, যেমন তাদের জন্য বিমুখ করেছিল।
باب مَا يُحْذَرُ مِنْ زَهْرَةِ الدُّنْيَا وَالتَّنَافُسِ فِيهَا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ، قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهْوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ كَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا، وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ، وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ، فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِهِ فَوَافَتْهُ صَلاَةَ الصُّبْحِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا انْصَرَفَ تَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ حِينَ رَآهُمْ وَقَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ، وَأَنَّهُ جَاءَ بِشَىْءٍ ". قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا، كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ ".
Narrated `Amr bin `Auf:
(An ally of the tribe of Bani 'Amir bin Lu'ai and one of those who had witnessed the battle of Badr with Allah's Messenger (ﷺ)) Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin AlJarrah to Bahrain to collect the Jizya tax. Allah's Messenger (ﷺ) had concluded a peace treaty with the people of Bahrain and appointed Al 'Ala bin Al-Hadrami as their chief; Abu Ubaida arrived from Bahrain with the money. The Ansar heard of Abu 'Ubaida's arrival which coincided with the Fajr (morning) prayer led by Allah's Messenger (ﷺ). When the Prophet (ﷺ) finished the prayer, they came to him. Allah's Messenger (ﷺ) smiled when he saw them and said, "I think you have heard of the arrival of Abu 'Ubaida and that he has brought something." They replied, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)! " He said, "Have the good news, and hope for what will please you. By Allah, I am not afraid that you will become poor, but I am afraid that worldly wealth will be given to you in abundance as it was given to those (nations) before you, and you will start competing each other for it as the previous nations competed for it, and then it will divert you (from good) as it diverted them." '
পরিচ্ছেদঃ ৫৫: দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ إِنَّمَا مَثَلُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا كَمَآءٍ أَنزَلۡنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخۡتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلۡأَرۡضِ مِمَّا يَأۡكُلُ ٱلنَّاسُ وَٱلۡأَنۡعَٰمُ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَخَذَتِ ٱلۡأَرۡضُ زُخۡرُفَهَا وَٱزَّيَّنَتۡ وَظَنَّ أَهۡلُهَآ أَنَّهُمۡ قَٰدِرُونَ عَلَيۡهَآ أَتَىٰهَآ أَمۡرُنَا لَيۡلًا أَوۡ نَهَارٗا فَجَعَلۡنَٰهَا حَصِيدٗا كَأَن لَّمۡ تَغۡنَ بِٱلۡأَمۡسِۚ كَذَٰلِكَ نُفَصِّلُ ٱلۡأٓيَٰتِ لِقَوۡمٖ يَتَفَكَّرُونَ ٢٤ ﴾ [يونس: ٢٤]
অর্থাৎ“ বস্তুত পার্থিব জীবনের দৃষ্টান্ত তো বৃষ্টির মত, যা আমি আসমান হতে বর্ষণ করি। অতঃপর তার দ্বারা উৎপন্ন হয় ভূপৃষ্ঠের উদ্ভিদগুলো অতিশয় ঘন হয়ে, যা হতে মানুষ ও পশুরা ভক্ষণ করে। অতঃপর যখন ভূমি তার শোভা ধারণ করে ও নয়নাভিরাম হয়ে ওঠে এবং তার মালিকরা মনে করে যে, তারা এখন তার পূর্ণ অধিকারী, তখন দিনে অথবা রাতে তার উপর আমার (আযাবের) আদেশ এসে পড়ে, সুতরাং আমি তা এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করে দই, যেন গতকাল তার অস্তিত্বই ছিল না। এরূপেই আয়াতগুলোকে আমি চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য বিশদরূপে বর্ণনা করে থাকি।” (সূরা ইউনুস ২৪ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿ وَٱضۡرِبۡ لَهُم مَّثَلَ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَا كَمَآءٍ أَنزَلۡنَٰهُ مِنَ ٱلسَّمَآءِ فَٱخۡتَلَطَ بِهِۦ نَبَاتُ ٱلۡأَرۡضِ فَأَصۡبَحَ هَشِيمٗا تَذۡرُوهُ ٱلرِّيَٰحُۗ وَكَانَ ٱللَّهُ عَلَىٰ كُلِّ شَيۡءٖ مُّقۡتَدِرًا ٤٥ ٱلۡمَالُ وَٱلۡبَنُونَ زِينَةُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَٱلۡبَٰقِيَٰتُ ٱلصَّٰلِحَٰتُ خَيۡرٌ عِندَ رَبِّكَ ثَوَابٗا وَخَيۡرٌ أَمَلٗا ٤٦ ﴾ [الكهف: ٤٥، ٤٦]
অর্থাৎ “তাদের কাছে পেশ কর উপমা পার্থিব জীবনের; এটা পানির ন্যায় যা আমি বর্ষণ করি আকাশ হতে, যার দ্বারা ভূমির উদ্ভিদ ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে উদগ্ত হয়। অতঃপর তা বিশুষ্ক হয়ে এমন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় যে, বাতাস ওকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। ধনৈশবর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা। আর সৎকার্য, যার ফল স্থায়ী, ওটা তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশা প্রাপ্তির ব্যাপারেও উৎকৃষ্ট।” (সূরা কাহফ ৪৫-৪৬ আয়াত)
আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেছেন,
﴿ ٱعۡلَمُوٓاْ أَنَّمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا لَعِبٞ وَلَهۡوٞ وَزِينَةٞ وَتَفَاخُرُۢ بَيۡنَكُمۡ وَتَكَاثُرٞ فِي ٱلۡأَمۡوَٰلِ وَٱلۡأَوۡلَٰدِۖ كَمَثَلِ غَيۡثٍ أَعۡجَبَ ٱلۡكُفَّارَ نَبَاتُهُۥ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَىٰهُ مُصۡفَرّٗا ثُمَّ يَكُونُ حُطَٰمٗاۖ وَفِي ٱلۡأٓخِرَةِ عَذَابٞ شَدِيدٞ وَمَغۡفِرَةٞ مِّنَ ٱللَّهِ وَرِضۡوَٰنٞۚ وَمَا ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا مَتَٰعُ ٱلۡغُرُورِ ٢٠ ﴾ [الحديد: ٢٠]
অর্থাৎ “তোমরা জেনে রেখো যে, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। এর উপমা বৃষ্টি; যার দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তা পীতবর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তা টুকরা-টুকরা (খড়-কুটায়) পরিণত হয় এবং আখেরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়।” (সূরা হাদীদ ২০ আয়াত)
অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা বলেন,
﴿ زُيِّنَ لِلنَّاسِ حُبُّ ٱلشَّهَوَٰتِ مِنَ ٱلنِّسَآءِ وَٱلۡبَنِينَ وَٱلۡقَنَٰطِيرِ ٱلۡمُقَنطَرَةِ مِنَ ٱلذَّهَبِ وَٱلۡفِضَّةِ وَٱلۡخَيۡلِ ٱلۡمُسَوَّمَةِ وَٱلۡأَنۡعَٰمِ وَٱلۡحَرۡثِۗ ذَٰلِكَ مَتَٰعُ ٱلۡحَيَوٰةِ ٱلدُّنۡيَاۖ وَٱللَّهُ عِندَهُۥ حُسۡنُ ٱلۡمََٔابِ ١٤ ﴾ [ال عمران: ١٤]
অর্থাৎ “নারী, সন্তান-সন্ততি, জমাকৃত সোনা-রূপার ভান্ডার, পছন্দসই (চিহ্নিত) ঘোড়া, চতুষ্পদ জন্তু ও ক্ষেত-খামারের প্রতি আসক্তি মানুষের নিকট লোভনীয় করা হয়েছে। এ সব ইহজীবনের ভোগ্য বস্তু। আর আল্লাহর নিকটেই উত্তম আশ্রয়স্থল রয়েছে।” (আলে ইমরান ১৪)
তিনি আরো বলেন,
﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّ وَعۡدَ ٱللَّهِ حَقّٞۖ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَا وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِٱللَّهِ ٱلۡغَرُورُ ٥ ﴾ [فاطر: ٥]
অর্থাৎ “হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে।” (সূরা ফাত্বির ৫ আয়াত)
আল্লাহ তা’আলা অন্য জায়গায় বলেন,
﴿ أَلۡهَىٰكُمُ ٱلتَّكَاثُرُ ١ حَتَّىٰ زُرۡتُمُ ٱلۡمَقَابِرَ ٢ كَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٣ ثُمَّ كَلَّا سَوۡفَ تَعۡلَمُونَ ٤ كَلَّا لَوۡ تَعۡلَمُونَ عِلۡمَ ٱلۡيَقِينِ ٥ ﴾ [التكاثر: ١، ٥]
অর্থাৎ “প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার বলি, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যই, তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা জানতে (ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম)।” (সূরা তাকাসুর ১-৫ আয়াত)
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَا هَٰذِهِ ٱلۡحَيَوٰةُ ٱلدُّنۡيَآ إِلَّا لَهۡوٞ وَلَعِبٞۚ وَإِنَّ ٱلدَّارَ ٱلۡأٓخِرَةَ لَهِيَ ٱلۡحَيَوَانُۚ لَوۡ كَانُواْ يَعۡلَمُونَ ٦٤﴾ [العنكبوت: ٦٤]
অর্থাৎ “এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পারলোকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন; যদি ওরা জানত।” (সূরা আনকাবূত ৬৪ আয়াত)
এ মর্মে প্রচুর আয়াত রয়েছে এবং হাদীসও অগণিত। তার মধ্যে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করছিঃ-
১/৪৬১। ’আমর ইবনে ’আউফ আনসারী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আবূ উবাইদাহ ইবনে জার্রাহকে জিযিয়া (ট্যাক্স) আদায় করার জন্য বাহরাইন পাঠালেন। অতঃপর তিনি বাহরাইন থেকে (প্রচুর) মাল নিয়ে এলেন। আনসারগণ তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে ফজরের নামাযে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শরীক হলেন। যখন তিনি নামায পড়ে (নিজ বাড়ি) ফিরে যেতে লাগলেন, তখন তারা তাঁর সামনে এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে হেসে বললেন, ’’আমার মনে হয়, তোমরা আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কিছু (মাল) নিয়ে এসেছে, তা শুনেছ।’’ তারা বলল, ’জী হ্যাঁ।’
তিনি বললেন, ’’সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমরা সেই আশা রাখ, যা তোমাদেরকে আনন্দিত করবে। তবে আল্লাহর কসম! তোমাদের উপর দারিদ্র্য আসবে আমি এ আশংকা করছি না। বরং আশংকা করছি যে, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ন্যায় তোমাদেরও পার্থিব জীবনে প্রশস্ততা আসবে। আর তাতে তোমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেমন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। অতঃপর তা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে, যেমন তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(55) - باب فضل الزهد في الدنيا و الحث على التقلل منها و فضل الفقر
عَن عَمرِو بنِ عَوفٍ الأنصَارِي رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيدَةَ بنَ الجَرَّاحِ رضي الله عنه إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأتِي بِجِزْيَتِهَا، فَقَدِمَ بمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ، فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بقُدُومِ أَبي عُبيْدَةَ، فَوَافَوْا صَلاَةَ الفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، انْصَرفَ، فَتَعَرَّضُوا لَهُ، فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حِيْنَ رَآهُمْ، ثُمَّ قَالَ: أظُنُّكُمْ سَمعتُمْ أنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَيْءٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ ؟ فَقَالُوا: أَجَل، يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَقَالَ: أبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ، فَوَالله مَا الفَقْرَ أخْشَى عَلَيْكُمْ، وَلَكِنِّي أخْشَى أنْ تُبْسَط الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ، فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا، فَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أهْلَكَتْهُمْ . متفقٌ عَلَيْهِ
(55) Chapter: Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life
Excellence of Leading an Ascetic Life, and Virtues of Simple Life Allah, the Exalted, says:
"Verily, the likeness of (this) worldly life is as the water (rain) which We send down from the sky; so by it arises the intermingled produce of the earth of which men and cattle eat: until when the earth is clad in its adornments and is beautified, and its people think that they have all the powers of disposal over it, Our Command reaches it by night or by day and We make it like a clean-mown harvest, as if it had not flourished yesterday! Thus, do We explain the Ayat (proofs, evidences, verses, lessons, signs, revelations, laws, etc.) in detail for the people who reflect.'' (10:24)
"And put forward to them the example of the life of this world: it is like the water (rain) which We send down from the sky, and the vegetation of the earth mingles with it, and becomes fresh and green. But (later) it becomes dry and broken pieces, which the winds scatter. And Allah is Able to do everything. Wealth and children are the adornment of the life of this world. But the good righteous deeds that last, are better with your Rubb for rewards and better in respect of hope.'' (18:45,46)
"Know that the life of this world is only play and amusement, pomp and mutual boasting among you, and rivalry in respect of wealth and children. (It is) as the likeness of vegetation after rain, thereof the growth is pleasing to the tiller; afterwards it dries up and you see it turning yellow; then it becomes straw. But in the Hereafter (there is) a severe torment (for the disbelievers-evildoers), and (there is) forgiveness from Allah and (His) Good Pleasure (for the believers-gooddoers). And the life of this world is only a deceiving enjoyment". (57:20).
"Beautified for men is the love of things they covet; women, children, much of gold and silver (wealth), branded beautiful horses, cattle and well-tilled land. This is the pleasure of the present world's life; but Allah has the excellent return (Jannah with flowing rivers) with Him.'' (3:14).
15. Say, "Shall I inform you of [something] better than that? For those who fear Allah will be gardens in the presence of their Lord beneath which rivers flow, wherein they abide eternally, and purified spouses and approval from Allah. And Allah is Seeing [i.e., aware] of [His] servants
"O mankind! Verily, the Promise of Allah is true. So let not this present life deceive you, and let not the chief deceiver (Satan) deceive you about Allah.'' (35:5). Competition in [worldly] increase diverted you
2. Until you visited the graveyards
3. No! but You are going to know.
4. Then no! but You shall surely will know.5. No! If you only know with utmost of certainty
6. You will surely see the Hellfire.
7. Then you will surely see it with the eye of certainty.
8. Then you will surely be asked that Day about the grace.
"And this life of the world is only amusement and play! Verily, the home of the Hereafter is the real life if they but knew". (29:64).
'Amr bin 'Auf Al-Ansari (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) sent Abu 'Ubaidah bin Al-Jarrah (May Allah be pleased with him) to Bahrain to collect (Jizyah). So he returned from Bahrain with wealth. The Ansar got news of it and joined with the Prophet (ﷺ) in the Fajr prayer. When the Prophet (ﷺ) concluded the prayer, they stood in his way. When he saw them, he smiled and said, "I think you have heard about the arrival of Abu 'Ubaidah with something from Bahrain". They said, "Yes! O Messenger of Allah!". He (ﷺ) said, "Rejoice and hope for that which will please you. By Allah, it is not poverty that I fear for you, but I fear that this world will be opened up with its wealth for you as it was opened to those before you; and you vie with one another over it as they did and eventually it will ruin you as it ruined them".
[Muslim].
Commentary: We learn from this Hadith that, from the religious angle, poverty of an individual or nation is not as dangerous as its affluence. For this reason, the Prophet (PBUH) cautioned his Ummah against the consequences of abundance of wealth and warned his followers to save themselves from its evils. We witness today that all his fears have come true. The excess of wealth has made the majority of rich extremely careless about their religious obligations. It is this negligence and evasion from religion about which the Prophet (PBUH) had expressed grave fear.
পরিচ্ছেদঃ ৩১. আনসারদের ফযীলত
৩/১৬৫। আমর ইবনু আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা আনসারদের প্রতি দয়াপরবশ হোন, তাদের সন্তানদের প্রতি দয়াপরবশ হোন, তাদের সন্তানদের প্রতি দয়াপরবশ হোন এবং তাদের সন্তানদের সন্তানগণের প্রতিও দয়াপরবশ হোন।
بَاب فَضْلِ الْأَنْصَارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنِي كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " رَحِمَ اللَّهُ الأَنْصَارَ وَأَبْنَاءَ الأَنْصَارِ وَأَبْنَاءَ أَبْنَاءِ الأَنْصَارِ " .
Kathir bin 'Abdullah bin 'Amr bin 'Awf narrated from his father:
That his grandfather said: "The Messenger of Allah said: 'May Allah have mercy on the Ansar, and the children of the Ansar, and the grandchildren of the Ansar.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩৬. যে ব্যক্তি কোন বিলুপ্ত সুন্নাতকে পুনর্জীবিত করে তার বিনিময় যা পাবে
১/২০৯। আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যাক্তি আমার একটি (মৃত) সুন্নাত জীবিত করলো এবং লোকেরা তদনুযায়ী আমল করলো, সেও আমলকারীদের সমপরিমাণ পুরস্কার পাবে এবং তাতে আমলকারীদের পুরস্কার আদৌ হ্রাস পাবে না। পক্ষান্তরে কোন ব্যাক্তি বিদআতের প্রচলন করলে এবং তদনুযায়ী আমল করা হলে তার উপর আমলকারীদের সমপরিমাণ পাপ বর্তাবে এবং তাতে আমলকারীদের পাপের বোঝা আদৌ হালকা হবে না।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, সাওরীর হাদিস বর্ণনায় পরিবর্তন করেছেন। আলী ইবনুল মাদীনী তাকে সিকাহ বললেও আহমাদ বিন সালিহ আল-মিসরী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
بَاب مَنْ أَحْيَا سُنَّةً قَدْ أُمِيتَتْ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ جَدِّي، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ أَحْيَا سُنَّةً مِنْ سُنَّتِي فَعَمِلَ بِهَا النَّاسُ كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ مِنْ أُجُورِهِمْ شَيْئًا وَمَنِ ابْتَدَعَ بِدْعَةً فَعُمِلَ بِهَا كَانَ عَلَيْهِ أَوْزَارُ مَنْ عَمِلَ بِهَا لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَوْزَارِ مَنْ عَمِلَ بِهَا شَيْئًا " .
Kathir bin 'Abdullah bin 'Amr bin 'Awf Al-Muzani said:
"My father told me narrating from my grandfather, that the Messenger of Allah said: 'Whoever revives a Sunnah of mine, which people then act upon, will have a reward equivalent to that of those who act upon it, without that detracting from their reward in the slightest. And whoever introduces an innovation (Bid'ah) that is acted upon, will have a burden of sins equivalent to that of those who act upon it, withot that detracting from the burden of those who act upon it in the slightest.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫/৯৯. জুমু‘আহর দিন দু‘আ কবূল হওয়ার একটি মুহূর্ত আছে।
২/১১৩৮। আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ জুমুআহর দিন এমন একটি মুহূর্ত আছে, যখন কোন বান্দাহ আল্লাহ্র কাছে কিছু প্রার্থনা করলে তিনি তার প্রার্থিত বস্তু তাকে দান করেন। জিজ্ঞেস করা হলোঃ কোন্ মুহূর্ত? তিনি বলেনঃ সালাত (নামায/নামাজ) শুরু হওয়ার মুহূর্ত থেকে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত সময়ের মধ্যে (সেই মুহূর্তটি)।
তাহক্বীক্ব আলবানী: যঈফ জিদ্দান। তাখরীজ আলবানী: ইবনু মাজাহ ১১৩৯ হাসান সহীহ, সহীহ তারগীব ৭০২ হাসান সহীহ, যঈফ তারগীর ৪৪৩। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তার হাদিস নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন।
بَاب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي تُرْجَى فِي الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يَقُولُ " فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ سَاعَةٌ مِنَ النَّهَارِ لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ فِيهَا الْعَبْدُ شَيْئًا إِلاَّ أُعْطِيَ سُؤْلَهُ " قِيلَ أَىُّ سَاعَةٍ قَالَ " حِينَ تُقَامُ الصَّلاَةُ إِلَى الاِنْصِرَافِ مِنْهَا " .
Kathir bin ‘Abdullah bin ‘Amr bin ‘Awf Al-Muzani narrated from his father, that his grandfather said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘On Friday there is a time of the day during which no person asks Allah for something but He will give him what he asks for.’” It was said: ‘When is that time?’ He said: ‘When the Iqamah for prayer (is called), until the prayer ends.’”
পরিচ্ছেদঃ ৫/১৫৬. দু’ ঈদের সালাতে ইমাম কত তাকবীর দিবেন?
৩/১২৭৯। আমর ইবনু আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু ঈদের সালাতে প্রথম রাকআতে সাত তাকবীর এবং শেষের রাকআতে পাঁচ তাকবীর দিতেন।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ লিগাইরিহী। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ১০৪১, তা'লীক ইবনু খুযাইমাহ ১৪৩৮, ১৪৩৯। উক্ত হাদিসের রাবী কাসীর বিন আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে ইমাম শাফিঈ বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন অথবা মিথ্যার একটি রুকন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, মুনকারুল হাদিস। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিস দুর্বল। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। উক্ত হাদিসটি শাহিদ এর ভিত্তিতে সহিহ।
بَاب مَا جَاءَ فِي كَمْ يُكَبِّرُ الْإِمَامُ فِي صَلَاةِ الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَسْعُودٍ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُبَيْدِ بْنِ عَقِيلٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدِ بْنِ عَثْمَةَ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ كَبَّرَ فِي الْعِيدَيْنِ سَبْعًا فِي الأُولَى وَخَمْسًا فِي الآخِرَةِ .
Kathir bin ‘Abdullah bin ‘Amr bin ‘Awf narrated, from his father, from his grandfather, that the Messenger of Allah (ﷺ) said the Takbir in the ‘Eid prayers, seven times in the first Rak’ah and five times in the second.
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২৩. সন্ধি ও সমঝোতা স্থাপন
১/২৩৫৩। আমর ইবনে আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ মুসলিমদের মধ্যে সন্ধি ও সমঝোতা স্থাপন করা জায়েয, তবে হালালকে হারামকারী এবং হারমকে হালালকারী সন্ধি ব্যতীত।
بَاب الصُّلْحِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الصُّلْحُ جَائِزٌ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ صُلْحًا حَرَّمَ حَلاَلاً أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا " .
Kathir bin 'Abdullah bin 'Amr bin 'Awf narrated from his father that his grandfather said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'Reconciling between Muslims is permissible, except reconciliation that forbids something that is allowed, or allows something that is forbidden.'”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮২. পানি বণ্টন
১/২৪৮৪। আমর ইবনে আওফ আল-মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গবাদি পশুর পানি পান করানোর দিন প্রথমে ঘোড়াকে পানি পান করতে দিতে হবে।
তাহকীক আলবানীঃ খুবই দুর্বল। কাসীর বিন আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমভাবে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন,তিনি মিথ্যুকদের একজন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯৪৮, ২৪/১৩৬ নং পৃষ্ঠা)
بَاب قِسْمَةِ الْمَاءِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ، أَنْبَأَنَا أَبُو الْجَعْدِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُبْدَأُ بِالْخَيْلِ يَوْمَ وِرْدِهَا " .
It was narrated from Kathir bin 'Abdullah bin 'Amr bin 'Awf Al-Muzani, from his father, that his grandfather said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Start with the horses on the day that you bring (the animals to drink).' ”
পরিচ্ছেদঃ ১৫/২৭. যে সব অপরাধের প্রতিবিধান নেই
২/২৬৭৪। ’আমর ইবনে আওফ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ পশুর আঘাতে দন্ড নেই এবং খনিতে দন্ড নেই।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী খালিদ বিন মাখলাদ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, ইনশাআল্লাহ্ আমার নিকট তার ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার থেকে হাদিস শ্রবন করা যায় তবে তা দলীলযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শীয়া মতাবলম্বী। ইমাম যাহাবী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তা দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৬৫২, ৮/১৬৩ নং পৃষ্ঠা) ২. কাসীর বিন আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমভাবে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, তিনি মিথ্যুকদের একজন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৯৪৮, ২৪/১৩৬ নং পৃষ্ঠা) উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু কাসীর বিন আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আওফ এর কারণে সানাদটি দুর্বল। হাদিসটির ৩৪৩ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে। তন্মধ্যে ২ টি জাল, ৩৫ টি খুবই দুর্বল, ৯০ টি দুর্বল, ১০৫ টি হাসান, ১১১ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৪৯৯, ২৩৫৫, ৬৯১২, ৬৯১৩, মুসলিম ১৭১১, ১৭১২, তিরমিযি ৬৪২, ১৩৭৭, আবু দাউদ ৪৫৯২, ৪৫৯৩, ৪৫৯৪, দারিমী ২৩৭৭, ২৩৭৮, ২৩৭৯, আহমাদ ৭০৮০, ৭২১৩, ৭৪০৪, ৭৪০৭, দারাকুতনী ৩১৭১, ৩২৭৩, ৩২৭৪, ৩২৭৫, ৩২৭৬, ৩২৮০, ৩২৮২।
بَاب الْجُبَارِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْعَجْمَاءُ جَرْحُهَا جُبَارٌ وَالْمَعْدِنُ جُبَارٌ " .
Khathir bin 'Abdullah bin 'Amr bin 'Awf narrated that his grandfather said:
“I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: 'The injuries cause by the beast are without liability, and mines are without liability.”
পরিচ্ছেদঃ ইয়াওমুল জুমু’আর যে মুহুর্তটিতে দু’আ কবূলের আশা করা যায়।
৪৯০. যিয়াদ ইবনু আয়্যূব আল-বাগদাদী (রহঃ) ..... আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ জুমুআর দিনে এমন একটি মুহূর্ত আছে। কোন বান্দা যদি সেই মুহূর্তে আল্লাহর কাছে কিছু দু’আ করে, তবে অবশ্যই তিনি তার দু’আ বাস্তবায়িত করেন। সাহাবীগণ আরয করলেন : হে আল্লাহর রাসূল! কোনটি এই মুহূর্ত? তিনি বললেনঃ জুমুআর ইকামতে সালাত (নামায/নামাজ) থেকে নিয়ে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত। - ইবনু মাজাহ ১৩৮৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪৯০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ মূসা, আবূ যর, সালমান, আবদুল্লাহ ইবনু সালাম, আবূ লুবাবা, সা’দ ইবনু উবাদা ও আবূ উমামা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আমর ইবনু আওফ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي تُرْجَى فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَّةُ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ " حِينَ تُقَامُ الصَّلاَةُ إِلَى الاِنْصِرَافِ مِنْهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَأَبِي ذَرٍّ وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ وَأَبِي لُبَابَةَ وَسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Kathir bin Abdullah bin Amr bin Awf Al-Muzani narrated from his father, from his grandfather, that :
the Prophet said: "On Friday there is an hour in which the worshipper does not ask Allah for anything except that Allah grants it to him." They said: "O Messenger of Allah! Which hour is it?" He said: "When the prayer is begun until it is finished."
পরিচ্ছেদঃ দুই ঈদের তাকবীর।
৫৩৬. মুসলিম ইবনু আমর ও আবূ আমর আল-হায্য আল-মাদীনী (রহঃ) ...... আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাতুল ঈদে তাকবীর পাঠ করতেন প্রথমে রাকআত কিরআতের পূর্বে সাত তাকবীর; দ্বিতীয় রাকআতে কিরআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর। - ইবনু মাজাহ ১২৭৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আয়িশা, ইবনু উমর ও আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ রাবী কাসীরের পিতামহ [আমর ইব্ন আওফ রাদিয়াল্লাহু আনহু] বর্ণিত হাদীসটি হাসান। এই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতসমূহের মধ্যে এই রিওয়ায়াতটই অধিকতর উত্তম। কাসীরের পিতামহের নাম হ’ল আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু। কতক সাহাবী ও পরবর্তী যুগের আলিম এই হাদীস অনুসারে আমল গ্রহণের ফতওয়া দিয়েছেন। আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও এইরূপ বর্ণিত আছে যে, তিনি মদীনায় এই ধরনের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেছেন। এ হ’ল মদীনাবাসী আলিমগণের অভিমত।
ইমাম মালিক ইবনু আনাস, শাফিঈ, আহমদ ও ইসহাক (রহঃ) এর বক্তব্যও এ-ই। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেনঃ সালাতুল ঈদে তাকবীরের সংখ্যা হল নয়। প্রথম রাকআতে কিরাআতের পূর্বে পাঁচ তাকবীর, দ্বিতীয় রাকআতে প্রথমে কিরআত পরে রুকূ-এর তাকবীরসহ চার তাকবীর। একাধিক সাহাবী থেকে অনুরূপ রিওয়ায়াত বিদ্যামান। এ হ’ল কূফাবাসী আলিম ও ফকীহ-এর অভিমত। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ)-ও এই অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي التَّكْبِيرِ فِي الْعِيدَيْنِ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ عَمْرٍو أَبُو عَمْرٍو الْحَذَّاءُ الْمَدِينِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نَافِعٍ الصَّائِغُ، عَنْ كَثِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَبَّرَ فِي الْعِيدَيْنِ فِي الأُولَى سَبْعًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الآخِرَةِ خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَابْنِ عُمَرَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَدِّ كَثِيرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ وَهُوَ أَحْسَنُ شَيْءٍ رُوِيَ فِي هَذَا الْبَابِ عَنِ النَّبِيِّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ وَاسْمُهُ عَمْرُو بْنُ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ . وَهَكَذَا رُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّهُ صَلَّى بِالْمَدِينَةِ نَحْوَ هَذِهِ الصَّلاَةِ وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْمَدِينَةِ . وَبِهِ يَقُولُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ . وَرُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ أَنَّهُ قَالَ فِي التَّكْبِيرِ فِي الْعِيدَيْنِ تِسْعَ تَكْبِيرَاتٍ فِي الرَّكْعَةِ الأُولَى خَمْسًا قَبْلَ الْقِرَاءَةِ وَفِي الرَّكْعَةِ الثَّانِيَةِ يَبْدَأُ بِالْقِرَاءَةِ ثُمَّ يُكَبِّرُ أَرْبَعًا مَعَ تَكْبِيرَةِ الرُّكُوعِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ غَيْرِ وَاحِدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوُ هَذَا وَهُوَ قَوْلُ أَهْلِ الْكُوفَةِ وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ .
Kathir bin Abdullah narrated from this father, from his grandfather:
"The Prophet said the Takbir in the first (Rak'ah) sever (times) before the recitation, and in the last, five (times) before the recitation."
পরিচ্ছেদঃ মানুষের মাঝে আপোষ-মীমাংশা করে দেওয়া।
১৩৫৬. হাসান ইবনু আলী-খাললাল (রহঃ) ....... আমর ইবনু আউফ আল-যুমানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে সুলহ ও সন্ধি হালালকে হারাম ও হারামকে হালাল পরিণত করে তা ছাড়া মানুষের মাঝে সন্ধি স্থাপন জায়েয। যে শর্ত হালালকে হারাম বা হারামকে হালালে পরিণত করে সে শর্ত ছাড়া মুসলিমগণ তাদের শর্তের উপরই কায়েম থাকবে। - ইবনু মাজাহ ২৩৫৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৫২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا ذُكِرَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الصُّلْحِ بَيْنَ النَّاسِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الصُّلْحُ جَائِزٌ بَيْنَ الْمُسْلِمِينَ إِلاَّ صُلْحًا حَرَّمَ حَلاَلاً أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا وَالْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ إِلاَّ شَرْطًا حَرَّمَ حَلاَلاً أَوْ أَحَلَّ حَرَامًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Kathir bin 'Amr bin 'Awf Al-Muzani narrated from his father, from his grandfather, that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Reconciliation is allowed among the Muslims, except for reconciliation that makes the lawful unlawful, or the unlawful lawful. And the Muslims will be held to their conditions, except the conditions that make the lawful unlawful, or the unlawful lawful."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১২. পরিচ্ছেদ নাই।
৪০১৫. নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বদর যুদ্ধে যোগদানকারী সাহাবী, বানী আমির ইবনু লুওয়াই গোত্রের বন্ধু ‘আমর ইবনু ‘আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ‘উবাইদাহ ইবনুল জাররাহকে জিযিয়া আনার জন্য বাহরাইনে প্রেরণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করে ‘আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ)-কে তাদের আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ ‘উবাইদাহ (রাঃ) বাহরাইন থেকে মাল নিয়ে এসে পৌঁছলে আনসারগণ তাঁর আগমনের খবর পেয়ে সকলেই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ফজরের সালাত আদায়ের উদ্দেশে হাজির হলেন। সালাত শেষে পর ফিরে বসলে তাঁরা সকলেই তাঁর সামনে আসলেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হয়, আবূ ‘উবাইদাহ কিছু মাল নিয়ে এসেছে বলে তোমরা শুনতে পেয়েছ। তারা সকলেই বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমাদের আনন্দদায়ক বিষয়ের আশায় থাক, আল্লাহর কসম, আমি তোমাদের জন্য দরিদ্রতার আশংকা করি না। বরং আমি আশংকা করি যে, তোমাদের কাছে দুনিয়ার প্রাচুর্য আসবে যেমন তোমাদের পূর্বেকার লোকেদের কাছে এসেছিল, তখন তোমরা সেটা পাওয়ার জন্য পরস্পরে প্রতিযোগিতা করবে যেমনভাবে তারা করেছিল। আর তা তাদেরকে যেমনিভাবে ধ্বংস করেছিল তোমাদেরকেও তেমনিভাবে ধ্বংস করে দেবে। [৩১৫৮] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭১৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭২১)
بَاب
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ وَيُوْنُسُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيْفٌ لِبَنِيْ عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِيْ بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلَاءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُوْ عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتْ الْأَنْصَارُ بِقُدُوْمِ أَبِيْ عُبَيْدَةَ فَوَافَوْا صَلَاةَ الْفَجْرِ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا انْصَرَفَ تَعَرَّضُوْا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم حِيْنَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَيْءٍ قَالُوْا أَجَلْ يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ فَأَبْشِرُوْا وَأَمِّلُوْا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنِّيْ أَخْشَى أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمْ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوْهَا كَمَا تَنَافَسُوْهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ.
Narrated Al-Miswar bin Makhrama:
That `Amr bin `Auf, who was an ally of Bani 'Amir bin Luai and one of those who fought at Badr in the company of the Prophet (ﷺ) , said, "Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin Al-Jarrah to Bahrain to bring the Jizya taxation from its people, for Allah's Messenger (ﷺ) had made a peace treaty with the people of Bahrain and appointed Al-`Ala' bin Al-Hadrami as their ruler. So, Abu 'Ubaida arrived with the money from Bahrain. When the Ansar heard of the arrival of Abu 'Ubaida (on the next day) they offered the morning prayer with the Prophet (ﷺ) and when the morning prayer had finished, they presented themselves before him. On seeing the Ansar, Allah's Messenger (ﷺ) smiled and said, "I think you have heard that Abu 'Ubaida has brought something?" They replied, "Indeed, it is so, O Allah's Apostle!" He said, "Be happy, and hope for what will please you. By Allah, I am not afraid that you will be poor, but I fear that worldly wealth will be bestowed upon you as it was bestowed upon those who lived before you. So you will compete amongst yourselves for it, as they competed for it and it will destroy you as it did them."
পরিচ্ছেদঃ ৮১/৭. দুনিয়ার শোভা ও তার প্রতি আসক্তি থেকে সতর্কতা
৬৪২৫. ’আমর ইবনু ’আওফ (রাঃ), তিনি বানী ’আমর ইবনু লুওয়াই-এর সঙ্গে চুক্তিতে আবদ্ধ ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে বদরের যুদ্ধেও অংশ গ্রহণ করেন। তিনি বর্ণনা করেন, একবার রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ ’উবাইদাহ ইবনু জাররাহকে জিযিয়া আদায় করার উদ্দেশে বাহরাইনে প্রেরণ করেন। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনের অধিবাসীদের সঙ্গে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের জন্য আলা ইবনু হাযরামী (রাঃ)-কে ’আমীর নিযুক্ত করেছিলেন। আবূ ’উবাইদাহ (রাঃ) বাহরাইন হতে ধনসম্পদ নিয়ে আসেন, আনসারগণ তাঁর আগমনের সংবাদ শুনলেন এবং ফজরের সালাতে রাসূলল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে শরীক হলেন। সালাত শেষ হলে তাঁরা তাঁর সামনে এলেন।
তখন তিনি তাঁদের দেখে হেসে দিলেন এবং বললেনঃ আমি মনে করি তোমরা আবূ ’উবাইদাহ (রাঃ)-এর আগমনের খবর শুনেছ এবং তিনি যে মাল নিয়ে এসেছেন তাও (শুনেছ)। তাঁরা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! হাঁ। তিনি বললেনঃ তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করো এবং তোমরা আশা পোষণ কর, যা তোমাদের খুশী করবে। তবে, আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের জন্য দারিদ্রের ভয় করছি না বরং ভয় করছি যে, তোমাদের উপর দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হবে তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মাতের উপর যেমন দুনিয়া প্রশস্ত করে দেয়া হয়েছিল। আর তোমরা তা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করবে যেমন তারা তা পাওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল। আর তা তোমাদেরকে আখিরাত বিমুখ করে ফেলবে, যেমন তাদেরকে আখিরাত বিমুখ করেছিল।[1] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৯৭৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৯৮২)
بَاب مَا يُحْذَرُ مِنْ زَهَرَةِ الدُّنْيَا وَالتَّنَافُسِ فِيهَا
إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُقْبَةَ عَنْ مُوسَى بْنِ عُقْبَةَ قَالَ ابْنُ شِهَابٍ حَدَّثَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفٌ لِبَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَيٍّ كَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنْ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتْ الأَنْصَارُ بِقُدُومِهِ فَوَافَتْهُ صَلاَةَ الصُّبْحِ مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا انْصَرَفَ تَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ وَقَالَ أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ وَأَنَّهُ جَاءَ بِشَيْءٍ قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمْ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُلْهِيَكُمْ كَمَا أَلْهَتْهُمْ.
Narrated `Amr bin `Auf:
(An ally of the tribe of Bani 'Amir bin Lu'ai and one of those who had witnessed the battle of Badr with Allah's Messenger (ﷺ)) Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu 'Ubaida bin AlJarrah to Bahrain to collect the Jizya tax. Allah's Messenger (ﷺ) had concluded a peace treaty with the people of Bahrain and appointed Al 'Ala bin Al-Hadrami as their chief; Abu Ubaida arrived from Bahrain with the money. The Ansar heard of Abu 'Ubaida's arrival which coincided with the Fajr (morning) prayer led by Allah's Messenger (ﷺ). When the Prophet (ﷺ) finished the prayer, they came to him. Allah's Messenger (ﷺ) smiled when he saw them and said, "I think you have heard of the arrival of Abu 'Ubaida and that he has brought something." They replied, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)! " He said, "Have the good news, and hope for what will please you. By Allah, I am not afraid that you will become poor, but I am afraid that worldly wealth will be given to you in abundance as it was given to those (nations) before you, and you will start competing each other for it as the previous nations competed for it, and then it will divert you (from good) as it diverted them." '
পরিচ্ছেদঃ ২. জুমু'আর দিনে এমন একটি সময় রয়েছে যখন দু'আ কবুলের আশা করা যায়
৪৯০। আমর ইবনু আওফ (রাঃ) হতে পর্যায় ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জুমুআর দিনের মধ্যে একটি বিশেষ সময় আছে। এ সময়ে বান্দাহ আল্লাহ তা’আলার নিকট যা চায় আল্লাহ তা’আলা তাকে তা দান করেন। লোকেরা বলল, হে আল্লাহর রাসূল! এ সময়টি কখন? তিনি বললেনঃ যখন নামায শুরু হয় তখন হতে তা শেষ হওয়া পর্যন্ত।
খুবই দুর্বল, ইবনু মাজাহ (১৩৮৪)
এ অনুচ্ছেদে আবূ মূসা, আবূ যার, সালমান, আবদুল্লাহ ইবনু সালাম, আবূ লুবাবা ও সা’দ ইবনু উবাদা এবং আবূ উমামা (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেনঃ আমর ইবনু আওফের হাদীসটি হাসান এবং গারীব।
باب مَا جَاءَ فِي السَّاعَةِ الَّتِي تُرْجَى فِي يَوْمِ الْجُمُعَةِ
حَدَّثَنَا زِيَادُ بْنُ أَيُّوبَ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيُّ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ فِي الْجُمُعَةِ سَاعَةً لاَ يَسْأَلُ اللَّهَ الْعَبْدُ فِيهَا شَيْئًا إِلاَّ آتَاهُ اللَّهُ إِيَّاهُ " . قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَيَّةُ سَاعَةٍ هِيَ قَالَ " حِينَ تُقَامُ الصَّلاَةُ إِلَى الاِنْصِرَافِ مِنْهَا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي مُوسَى وَأَبِي ذَرٍّ وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ وَأَبِي لُبَابَةَ وَسَعْدِ بْنِ عُبَادَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Kathir bin Abdullah bin Amr bin Awf Al-Muzani narrated from his father, from his grandfather, that :
the Prophet said: "On Friday there is an hour in which the worshipper does not ask Allah for anything except that Allah grants it to him." They said: "O Messenger of Allah! Which hour is it?" He said: "When the prayer is begun until it is finished."
পরিচ্ছেদঃ ২৮. (দুনিয়াবী আসক্তি ধ্বংসের কারণ হবে)
২৪৬২। আমর ইবনু আওফ (রাঃ) হতে বর্ণিত। (যিনি আমির ইবনু লুয়াই বংশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ছিলেন এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন), তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবূ উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাঃ)-কে (বাহরাইনে) প্রেরণ করেন। পরে তিনি বাহরাইন হতে কিছু ধন-দৌলত নিয়ে মদীনায় ফিরে আসেন। আনসারগণ আবূ উবাইদাহ (রাঃ)-এর ফিরে আসার খবর পেয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে ফজরের নামাযে উপস্থিত হন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামায আদায় শেষে মুসল্লীদের দিকে মুখ ফিরিয়ে বসলেন। আনসারগণ তখন তার নিকটে এসে গেলেন।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের দেখে সামান্য হেসে বললেন, আমার ধারণা তোমরা হয়তো শুনেছো যে, আবূ উবাইদাহ কিছু ধন-সম্পদ নিয়ে ফিরে এসেছে। তারা বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বললেন, তাহলে তোমরা সুখবর গ্রহণ কর। তোমরা যাতে সন্তুষ্ট হবে এমন বিষয়ের আশা পোষণ কর। আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের গরিবী ও অভাব-অনটনের ভয় করি না, বরং ভয় করি পৃথিবীটা তোমাদের জন্য সম্প্রসারিত করা হবে, তোমাদের পূর্ববর্তীদের জন্য যেভাবে করা হয়েছিল। তারপর তোমরা পৃথিবীর প্রতি অনুরক্ত হয়ে যাবে, যেভাবে তারা অনুরক্ত হয়েছিল। ফলে পৃথিবী তোমাদেরকে বিনাশ করে দিবে, যেভাবে তাদেরকে বিনাশ করেছিল।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৯৯৭), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ مَعْمَرٍ، وَيُونُسَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ، أَخْبَرَهُ أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ فَقَدِمَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ وَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَيْءٍ " . قَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنِّي أَخْشَى أَنْ تُبْسَطَ الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا فَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Al-Mustawrad bin Makhramah narrated that 'Amir bin 'Awf informed him- and he was an ally of Banu 'Amr bin Lu'ay who had participated with The Messenger of Allah (s.a.w) at(the battle of ) Badr, he said:
"The Messenger of Allah (s.a.w) had dispatched Abu 'Ubaidah bin Al-Jarrah, so he arrived with the wealth from Al-Bahrain. When the Ansar had heard of the arrival of Abu 'Ubaidah they were attending Salat Al-Fajr. So the the Messenger of Allah (s.a.w) performed the Salat and when he finished, they assembled before him. The Messenger of Allah (s.a.w) smiled when he saw them, then he said: 'I think that you heard that Abu 'Ubaidah has arrived with something?' They said: 'Yes O Messenger of Allah! 'He said: 'Then receive good news, and hope for what will please you. By Allah! It is not poverty that I fear for you, but what I fear for you is that the world will be presented for you just as it was presented for those before you,then you will compete for it, just as they competed for it, and it will destroy you, just as it destroyed them.'
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৭৩১৫-(৬/২৯৬১) হারমালাহ ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... বানু আমির ইবনু লুওয়াই এর চুক্তিবদ্ধ মিত্র ’আমর ইবনু আওফ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। যিনি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বদর যুদ্ধে শারীক হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু উবাইদাহ ইবনুল জাররাহ (রাযিঃ) কে বাহরাইনে জিযিয়া বা কর আদায় করতে পাঠিয়েছেন। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বাহরাইনবাসীদের সাথে সন্ধি করেছিলেন এবং তাদের জন্য আলা ইবনু আল হাযরামী (রাযিঃ) কে শাসনকর্তা নিয়োজিত করেছিলেন। এরপর আবু উবাইদাহ (রাযিঃ) বাহরাইন থেকে ধন-সম্পদ নিয়ে এলে, আনসার সাহাবাগণ তাঁর আগমন সংবাদ শুনল, তারপর তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ফজরের সালাত আদায় করল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায়ন্তে মুখ ফিরিয়ে বসলে তারা তার কাছে উপস্থিত হলো।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে মুচকি হেসে বললেন, আমার মনে হচ্ছে আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কিছু নিয়ে এসেছে, এ সংবাদ তোমরা শুনেছ? তারা বললেন, জী হ্যাঁ, হে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তিনি বললেন তাহলে তোমরা সুসংবাদ গ্রহণ করে যা তোমাদেরকে খুশী করবে আশা রাখো। আল্লাহর শপথ! তোমাদের উপর দারিদ্র্য ও অভাব-অনটনের আশঙ্কা আমি করি না। আমি তোমাদের ব্যাপারে এ আশঙ্কা করি যে, যেমনভাবে তোমাদের উপর প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য ঢেলে দেয়া হবে, যেমনিভাবে পূর্ববতীদের উপরও প্রাচুর্য ও ঐশ্বর্য ঢেলে দেয়া হয়েছিল। অতঃপর তোমরা তেমনিভাবে প্রতিযোগিতা করবে যেমন করে তারা প্রতিযোগিতা করেছে। পরিশেষে তোমাদেরকেও ধ্বংস করে দিবে যেমনিভাবে তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৭১৫৬, ইসলামিক সেন্টার ৭২০৯)
حَدَّثَنِي حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، - يَعْنِي ابْنَ حَرْمَلَةَ بْنِ عِمْرَانَ التُّجِيبِيَّ - أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّ الْمِسْوَرَ بْنَ مَخْرَمَةَ، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَمْرَو بْنَ عَوْفٍ وَهُوَ حَلِيفُ بَنِي عَامِرِ بْنِ لُؤَىٍّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ الْجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأْتِي بِجِزْيَتِهَا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم هُوَ صَالَحَ أَهْلَ الْبَحْرَيْنِ وَأَمَّرَ عَلَيْهِمُ الْعَلاَءَ بْنَ الْحَضْرَمِيِّ فَقَدِمَ أَبُو عُبَيْدَةَ بِمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بِقُدُومِ أَبِي عُبَيْدَةَ فَوَافَوْا صَلاَةَ الْفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم انْصَرَفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ " أَظُنُّكُمْ سَمِعْتُمْ أَنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَىْءٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ " . فَقَالُوا أَجَلْ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " " فَأَبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَاللَّهِ مَا الْفَقْرَ أَخْشَى عَلَيْكُمْ . وَلَكِنِّي أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أَهْلَكَتْهُمْ " .
`Amr b. `Auf, who was an ally of Banu `Amir b. Luwayy (and he was one amongst them) who participated in Badr along with Allah's Messenger (ﷺ) reported that, Allah's Messenger (ﷺ) sent Abu `Ubaida b. Al-Jarrah to Bahrain for collecting Jizya and Allah's Messenger (ﷺ) had made a truce with the people of Bahrain and had appointed `Ala' b. Hadrami and Abu `Ubaida (for this purpose). They came with wealth from Bahrain and the Ansar heard about the arrival of Abu `Ubaida and they had observed the dawn prayer along with Allah's Messenger (ﷺ). When Allah's Messenger (ﷺ) had finished the prayer, they (the Ansar) came before him and Allah's Messenger (ﷺ) smiled as he saw them and then said:
I think you have heard about the arrival of Abu `Ubaida with goods from Bahrain. They said: Allah's Messenger, yes, it is so. Thereupon he said: Be happy and be hopeful of that which gives you delight. By Allah, it is not the poverty about which I fear in regard to you but I am afraid in your case that (the worldly) riches way be given to you as were given to those who had gone before you and you begin to vie with one another for them as they vied for them, and these may destroy you as these destroyed them.
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ
৫১৬৩-[৯] ’আম্র ইবনু আওফ (রা.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের সম্পর্কে দরিদ্রতার ভয় করি না; কিন্তু আমি ভয় করি যে, তোমাদের ওপর দুনিয়াকে প্রশস্ত করে দেয়া হবে যেমনি প্রশস্ত করে দেয়া হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর। আর তোমরা তা লাভ করার জন্য ঐরূপ প্রতিযোগিতা করবে যেরূপ তারা এ ব্যাপারে প্রতিযোগিতা করেছিল। ফলে এটা তোমাদেরকে ধ্বংস করবে যেরূপ তাদেরকে ধ্বংস করেছিল। (বুখারী ও মুসলিম)
الفصل الاول
وَعَنْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «فَوَاللَّهِ لَا الْفَقْرُ أَخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنْ أَخْشَى عَلَيْكُمْ أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ الدُّنْيَا كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا وتهلككم كَمَا أهلكتهم» . مُتَّفق عَلَيْهِ
متفق علیہ ، رواہ البخاری (4015) و مسلم (6 / 2961)، (7425) ۔
(مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ)
ব্যাখ্যা: (فَوَاللَّهِ لَا الْفَقْرُ أَخْشَى عَلَيْكُمْ) উল্লেখিত হাদীসাংশের অর্থ হলো, আমি তোমাদের দরিদ্রতাকে ভয় পাই না, কেননা এ দরিদ্রতা অধিকাংশ সময়ই শান্তি ও কল্যাণ বয়ে আনে। কিন্তু আমি যে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত সেটি হলো, তোমাদের জন্য দুনিয়ার ভোগ-বিলাস ও তার সরঞ্জামাদি প্রশস্ত হয়ে যাবে, অর্থাৎ বেড়ে যাবে। ফলে তোমরা পরস্পরের প্রতি একে অন্যের সাথে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের মতো আচরণ করবে আর বিভিন্ন প্রকারের বালা-মুসীবত দ্বারা ধ্বংস হয়ে যাবে।
(كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ) পূর্ববর্তী লোকেরা ধ্বংস হওয়ার কারণ হলো তারা ফকীরদের ওপর রহম করত না, ধন-সম্পদের ওপর চরম লোভ আর ঝেকে থাকার কারণে তারা কপট আর কৃপণ হয়েছিল।
এখানে (الْفَقْرُ) দারিদ্রতা দ্বারা উদ্দেশ্য হলো দীন ও দুনিয়ার প্রয়োজন মিটানোর জন্য যা দরকার তা না থাকা।
(أَنْ تُبْسَطَ عَلَيْكُمُ) “তোমাদেরকে প্রাচুর্যতা দান করা হবে” এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলো প্রয়োজন মিটানোর জন্য যা না হলেই নয় তার চাইতে বেশি প্রদান করা। যা মানুষকে আল্লাহর ইবাদত হতে বিমুখ করে দেয়। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহল্লাহ) বলেন, এর অর্থ হলো তোমরা দুনিয়ার প্রাচুর্যতা অর্জনের জন্য ব্যস্ত থাকবে এবং তা জমা করে রাখার জন্য লোভী হয়ে যাবে, ফলে সম্পদের কারণে অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে। যার অনিবার্য ফল হলো ধ্বংস হয়ে যাওয়া। (মিক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ দুনিয়াদারি ত্যাগ করার মাহাত্ম্য, দুনিয়া কামানো কম করার প্রতি উৎসাহ প্রদান এবং দারিদ্রের ফযীলত
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
إِنَّمَا مَثَلُ الحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاءٍ أَنْزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ فَاخْتَلَطَ بِهِ نَبَاتُ الأَرْضِ مِمَّا يَأْكُلُ النَّاسُ والأَنْعَامُ حَتَّى إِذَا أَخَذَتِ الأَرْضُ زُخْرُفَهَا وَازَّيَّنَتْ وَظَنَّ أَهْلُهَا أَنَّهُمْ قَادِرُونَ عَلَيهَا أتَاهَا أمْرُنَا لَيْلاً أَوْ نَهَاراً فَجَعَلْنَاهَا حَصِيداً كَأنْ لَمْ تَغْنَ بِالأَمْسِ كَذلِكَ نُفَصِّلُ الآياتِ لِقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
অর্থাৎ, বস্তুতঃ পার্থিব জীবনের দৃষ্টান্ত তো বৃষ্টির মত, যা আমি আসমান হতে বর্ষণ করি। অতঃপর তার দ্বারা উৎপন্ন হয় ভূপৃষ্ঠের উদ্ভিদগুলো অতিশয় ঘন হয়ে, যা হতে মানুষ ও পশুরা ভক্ষণ করে। অতঃপর যখন ভূমি তার শোভা ধারণ করে ও নয়নাভিরাম হয়ে ওঠে এবং তার মালিকরা মনে করে যে, তারা এখন তার পূর্ণ অধিকারী, তখন দিনে অথবা রাতে তার উপর আমার (আযাবের) আদেশ এসে পড়ে, সুতরাং আমি তা এমনভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিই, যেন গতকাল তার অস্তিত্বই ছিল না। এরূপেই আয়াতগুলোকে আমি চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্য বিশদরূপে বর্ণনা করে থাকি। (সূরা ইউনুস ২৪) তিনি আরো বলেন,
وَاضْرِبْ لَهُمْ مَثَلَ الْحَيَاةِ الدُّنْيَا كَمَاءٍ أَنْزَلْنَاهُ مِنَ السَّمَاءِ فَاخْتَلَطَ بهِ نَبَاتُ الأَرْضِ فَأصْبَحَ هَشِيماً تَذْرُوهُ الرِّيَاحُ وَكَانَ اللهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ مُقْتَدِراً المَالُ وَالْبَنُونَ زِينَةُ الحَيَاةِ الْدُّنْيَا وَالبَاقِيَاتُ الصَّالِحَاتُ خَيْرٌ عَندَ رَبِّكَ ثَوَاباً وَخَيْرٌ أَمَلاً
অর্থাৎ, তাদের কাছে পেশ কর উপমা পার্থিব জীবনের; এটা পানির ন্যায় যা আমি বর্ষণ করি আকাশ হতে, যার দ্বারা ভূমির উদ্ভিদ ঘন সন্নিবিষ্ট হয়ে উদ্গত হয়। অতঃপর তা বিশুষ্ক হয়ে এমন চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় যে, বাতাস ওকে উড়িয়ে নিয়ে যায়। আর আল্লাহ সর্ব বিষয়ে শক্তিমান। ধনৈশ্বর্য ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা। আর সৎকার্য, যার ফল স্থায়ী ওটা তোমার প্রতিপালকের নিকট পুরস্কার প্রাপ্তির জন্য শ্রেষ্ঠ এবং আশা প্রাপ্তির ব্যাপারেও উৎকৃষ্ট। (সূরা কাহফ ৪৫-৪৬)। আরো অন্য জায়গায় তিনি বলেছেন,
اعْلَمُوا أَنَّمَا الحَياةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ في الأَمْوَالِ وَالأَوْلاَدِ كَمَثَلِ غَيْثٍ أعْجَبَ الْكُفّارَ نَبَاتُهُ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَاهُ مُصْفَرّاً ثُمَّ يَكُوْنُ حُطَاماً وَفِي الآخِرَةِ عَذابٌ شَديدٌ وَمَغْفِرَةٌ مِنَ الله ورِضْوَانٌ وَمَا الحَيَاةُ الدُّنْيَا إِلاَّ مَتَاعُ الغُرُورِ
অর্থাৎ, তোমরা জেনে রেখো যে, পার্থিব জীবন তো ক্রীড়া-কৌতুক, জাঁকজমক, পারস্পরিক অহংকার প্রকাশ, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততিতে প্রাচুর্য লাভের প্রতিযোগিতা ব্যতীত আর কিছুই নয়। এর উপমা বৃষ্টি; যার দ্বারা উৎপন্ন ফসল কৃষকদেরকে চমৎকৃত করে, অতঃপর তা শুকিয়ে যায়, ফলে তুমি তা পীতবর্ণ দেখতে পাও, অবশেষে তা টুকরা-টুকরা (খড়-কুটায়) পরিণত হয় এবং পরকালে রয়েছে কঠিন শাস্তি এবং আল্লাহর ক্ষমা ও সন্তুষ্টি। আর পার্থিব জীবন ছলনাময় ভোগ ব্যতীত কিছুই নয়। (সূরা হাদীদ ২০) অন্যত্র আল্লাহ তা’আলা বলেন,
زُيِّنَ لِلْنَّاسِ حُبُّ الشَّهَوَاتِ مِنَ النِّسَاءِ وَالبَنِينَ وَالقَنَاطِيرِ المُقَنْطَرَةِ مِنَ الذَّهَبِ وَالفِضَّةِ وَالْخَيْلِ المُسَوَّمَةِ وَالأَنْعَامِ وَالْحَرْثِ ذَلِكَ مَتَاعُ الحَياةِ الْدُّنْيَا وَاللهُ عَندَهُ حُسْنُ المآبِ
অর্থাৎ, নারী, সন্তান-সন্ততি, জমাকৃত সোনা-রূপার ভাণ্ডার, পছন্দসই (চিহ্নিত) ঘোড়া, চতুষ্পদ জন্তুও ক্ষেত-খামারের প্রতি আসক্তি মানুষের নিকট লোভনীয় করা হয়েছে। এ সব ইহজীবনের ভোগ্য বস্তু। আর আল্লাহর নিকটেই উত্তম আশ্রয়স্থল রয়েছে। (আলে ইমরান ১৪) তিনি আরো বলেন,
يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّ وَعْدَ اللهِ حَقٌّ فَلاَ تَغُرَّنَّكُمُ الحَياةُ الْدُّنْيَا وَلاَ يَغُرَّنَّكُمْ بِاللهِ الغَرُورُ
অর্থাৎ, হে মানুষ! আল্লাহর প্রতিশ্রুতি সত্য; সুতরাং পার্থিব জীবন যেন কিছুতেই তোমাদেরকে প্রতারিত না করে এবং কোন প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই আল্লাহ সম্পর্কে তোমাদেরকে প্রবঞ্চিত না করে। (সূরা ফাত্বির ৫ আয়াত) আল্লাহ তা’আলা অন্য জায়গায় বলেন,
ألْهَاكُمُ التَّكَاثُرُ حَتَّى زُرْتُمُ المَقَابِرَ كَلاَّ سَوْفَ تَعْلَمُونَ ثُمَّ كَلاَّ سَوْفَ تَعْلَمُونَ كَلاَّ لَوْ تَعْلَمُونَ عِلْمَ الْيَقِينِ
অর্থাৎ, প্রাচুর্যের প্রতিযোগিতা তোমাদেরকে মোহাচ্ছন্ন করে রেখেছে। যতক্ষণ না তোমরা (মরে) কবরে উপস্থিত হও। কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। আবার বলি, কখনও নয়, তোমরা শীঘ্রই জানতে পারবে। সত্যিই, তোমাদের নিশ্চিত জ্ঞান থাকলে অবশ্যই তোমরা জানতে (ঐ প্রতিযোগিতার পরিণাম)। (সূরা তাকাসুর ১-৫) তিনি আরো বলেন,
وَمَا هذِهِ الحَياةُ الدُّنْيَا إِلاَّ لَهْوٌ وَلَعِبٌ وَإِنَّ الدَّارَ الآخِرَةَ لَهِيَ الْحَيَوَانُ لَوْ كَانُوا يَعْلَمُونَ
অর্থাৎ, এ পার্থিব জীবন তো খেল-তামাশা ছাড়া কিছুই নয়। আর পারলৌকিক জীবনই তো প্রকৃত জীবন; যদি ওরা জানত। (সূরা আনকাবূত ৬৪)
(এ মর্মে প্রচুর আয়াত রয়েছে এবং হাদীসও অগণিত। তার মধ্যে কয়েকটি হাদীস বর্ণনা করছি)
(২৫৩) আমর ইবনে আউফ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার আবূ উবাইদাহ ইবনে জাররাহকে জিযিয়া (ট্যাক্স) আদায় করার জন্য বাহরাইন পাঠালেন। অতঃপর তিনি বাহরাইন থেকে (প্রচুর) মাল নিয়ে এলেন। আনসারগণ তাঁর আগমনের সংবাদ শুনে ফজরের নামাযে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শরীক হলেন। যখন তিনি নামায পড়ে (নিজ বাড়ি) ফিরে যেতে লাগলেন, তখন তারা তাঁর সামনে এলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে দেখে হেসে বললেন, আমার মনে হয়, তোমরা আবূ উবাইদাহ বাহরাইন থেকে কিছু (মাল) নিয়ে এসেছে, তা শুনেছ। তারা বলল, জী হ্যাঁ।
তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর এবং তোমরা সেই আশা রাখ, যা তোমাদেরকে আনন্দিত করবে। তবে আল্লাহর কসম! তোমাদের উপর দারিদ্র্য আসবে আমি এ আশংকা করছি না বরং আশংকা করছি যে, তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতের ন্যায় তোমাদেরও পার্থিব জীবনে প্রশস্ততা আসবে। আর তাতে তোমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, যেমন তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। অতঃপর তা তোমাদেরকে ধ্বংস করে দেবে, যেমন তাদেরকে ধ্বংস করে দিয়েছিল।
عَن عَمرِو بنِ عَوفٍ الأنصَارِي أنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ بَعَثَ أَبَا عُبَيدَةَ بنَ الجَرَّاحِ إِلَى الْبَحْرَيْنِ يَأتِي بِجِزْيَتِهَا فَقَدِمَ بمَالٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ فَسَمِعَتِ الأَنْصَارُ بقُدُومِ أَبي عُبيْدَةَ فَوَافَوْا صَلاَةَ الفَجْرِ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ فَلَمَّا صَلَّى رَسُولُ اللهِ ﷺ انْصَرفَ فَتَعَرَّضُوا لَهُ فَتَبَسَّمَ رَسُولُ اللهِ ﷺ حِيْنَ رَآهُمْ ثُمَّ قَالَ أظُنُّكُمْ سَمعتُمْ أنَّ أَبَا عُبَيْدَةَ قَدِمَ بِشَيْءٍ مِنَ الْبَحْرَيْنِ ؟ فَقَالُوْا : أَجَل يَا رَسُولَ اللهِ فَقَالَ أبْشِرُوا وَأَمِّلُوا مَا يَسُرُّكُمْ فَوَالله مَا الفَقْرَ أخْشَى عَلَيْكُمْ وَلَكِنِّي أخْشَى أنْ تُبْسَط الدُّنْيَا عَلَيْكُمْ كَمَا بُسِطَتْ عَلَى مَنْ كَانَ قَبْلَكُمْ فَتَنَافَسُوهَا كَمَا تَنَافَسُوهَا فَتُهْلِكَكُمْ كَمَا أهْلَكَتْهُمْ متفقٌ عَلَيْهِ