পরিচ্ছেদঃ ১৩/১. বিচারকমন্ডলী সম্পর্কে আলোচনা
১/২৩০৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যাকে জনগণের বিচারক নিযুক্ত করা হলো, তাকে বিনা ছুরিতে যবেহ করা হলো।
بَاب ذِكْرِ الْقُضَاةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُعَلَّى بْنُ مَنْصُورٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ جَعْفَرٍ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنِ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ قَالَ " مَنْ جُعِلَ قَاضِيًا بَيْنَ النَّاسِ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী উসমান বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৮৫৯, ১৭/১৯৩ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Prophet (ﷺ) said:
“Whoever is appointed judge between the people, he has been slaughtered without a knife.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১. বিচারকমন্ডলী সম্পর্কে আলোচনা
২/২৩০৯। আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কাযীর পদ প্রার্থনা করে নেয় তার দায়দায়িত্ব তার উপরই চাপানো হয়। আর যাকে এই পদ গ্রহণে বাধ্য করা হয়, তার নিকট একজন ফেরেশতা অবতীর্ণ হয়ে তাকে সঠিক পথে চালিত করেন।
بَاب ذِكْرِ الْقُضَاةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ الْقَضَاءَ وُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ وَمَنْ جُبِرَ عَلَيْهِ نَزَلَ إِلَيْهِ مَلَكٌ فَسَدَّدَهُ " .
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী আবুল আলা সম্পর্কে আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন তিনি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, যারা হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন তিনি তাদের একজন। আবু যুরআহ আর-রাযী ও আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৬৮৪, ১৬/৩৫২ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Anas bin Malik that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever asks to be appointed a judge, will be entrusted to himself, but “Whoever asks to be appointed a judge, will be entrusted to himself, but whoever is forced to accept position, an angel will come down to him and guide him.' ”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১. বিচারকমন্ডলী সম্পর্কে আলোচনা
৩/২৩১০। আলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামানে পাঠান। আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি আমাকে পাঠাচ্ছেন, অথচ আমি একজন যুবক মাত্র। আমি লোকেদের মধ্যে মীমাংসা করবো, অথচ বিচার কী জিনিস তাই আমি জানি না। রাবী বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর হাতে হাত দিয়ে আমার বুকে আঘাত করে বলেনঃ ’’ইয়া আল্লাহ! আপনি তার অন্তরে হেদায়াত দান করুন এবং তার জিহবাকে (বাকশক্তিকে) সুস্থির রাখুন’’। আলী বলেন, এরপর পক্ষদ্বয়ের মধ্যে বিচার করতে আমি কখনো সন্দেহে পতিত হইনি।
بَاب ذِكْرِ الْقُضَاةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَعْلَى، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَمَنِ فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ تَبْعَثُنِي وَأَنَا شَابٌّ أَقْضِي بَيْنَهُمْ وَلاَ أَدْرِي مَا الْقَضَاءُ قَالَ فَضَرَبَ فِي صَدْرِي بِيَدِهِ ثُمَّ قَالَ " اللَّهُمَّ اهْدِ قَلْبَهُ وَثَبِّتْ لِسَانَهُ " . قَالَ فَمَا شَكَكْتُ بَعْدُ فِي قَضَاءٍ بَيْنَ اثْنَيْنِ .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated that 'Ali said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) sent me to Yemen. I said: 'O Messenger of Allah, you are sending me to judge between them while I am a young man, and I do not know how to judge.' He struck me on the chest with his hand and said: 'O Allah, guide his heart and make his tongue steadfast.' And after that I never doubted in passing judgment between two people.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. জুলুম ও উৎকোচ সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি
১/২৩১১। আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে বিচারকই মানুষের বিচার করে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, একজন ফেরেশতা তার ঘাড় ধরে থাকবেন। অতঃপর সে আকাশের দিকে মাথা তুলবে। আল্লাহ যদি বলেন, তাকে নিক্ষেপ করো, তবে সেই ফেরেশতা তাকে একটি গর্তে নিক্ষেপ করবেন, যার মধ্যে সে চল্লিশ বছর ধরে গড়িয়ে পড়তে থাকবে।
بَاب التَّغْلِيظِ فِي الْحَيْفِ وَالرَّشْوَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ خَلاَّدٍ الْبَاهِلِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَا مِنْ حَاكِمٍ يَحْكُمُ بَيْنَ النَّاسِ إِلاَّ جَاءَ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَمَلَكٌ آخِذٌ بِقَفَاهُ ثُمَّ يَرْفَعُ رَأْسَهُ إِلَى السَّمَاءِ فَإِنْ قَالَ أَلْقِهِ أَلْقَاهُ فِي مَهْوَاةٍ أَرْبَعِينَ خَرِيفًا " .
তাহকীক আলবানীঃ যইফ। উক্ত হাদিসের রাবী মুজালিদ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইমাম বুখারী ও ইয়াকুব বিন সুফইয়ান বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল-কাত্তান বলেন, তিনি যইফ বা দুর্বল। ইবনু মাঈন বলেন, তার হাদিস দ্বারা দলীল গ্রহন করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৭৮০, ২৭/২১৯ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that 'Abdullah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: “There is no judge who judges between the people but on the Day of Resurrection an angel will come and take hold of the back of his head towards the sky and if it said: “Throw him, “he will throw into an abyss the depth of forty autumns (years).' ”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. জুলুম ও উৎকোচ সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি
২/২৩১২। আবদুল্লাহ ইবনে আবূ আওফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাযী যতক্ষণ পর্যন্ত জুলুম না করে, আল্লাহ তার সাথে থাকেন। যখন সে জুলুম করে, তখন তিনি তাকে তার নিজের উপর ছেড়ে দেন।
بَاب التَّغْلِيظِ فِي الْحَيْفِ وَالرَّشْوَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ سِنَانٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلاَلٍ، عَنْ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ، عَنْ حُسَيْنٍ، - يَعْنِي ابْنَ عِمْرَانَ - عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ مَعَ الْقَاضِي مَا لَمْ يَجُرْ فَإِذَا جَارَ وَكَلَهُ إِلَى نَفْسِهِ " .
তাহকীক আলবানীঃ হাসান। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন বিলাল সম্পর্কে আবু জা'ফার আল উকায়লী বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার ব্যাপারে ভালো ছাড়া খারাফ কিছু শুনিনি। ইমাম যাহাবী বলেন, মানুষ যেভাবে ভুল করে তিনিও সেরকম ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৯৯, ২৪/৫৪৫ নং পৃষ্ঠা) ২. ইমরান আল-কাত্তান সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায়। আবু আবদুল্লাহ আল-হাকিম আন-নায়সাবুরী বলেন, তিনি সত্যবাদী। আহমাদ বিন শু'আয়ব আন-নাসায়ী বলেন, তিনি দুর্বল। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৪৮৯, ২২/৩২৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. হুসায়ন বিন ইমরান সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার সম্পর্কে সমালোচনা রয়েছে, তিনি যাচাই-বাচাই ছাড়া হাদিস গ্রহন করেন ও তা বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম বুখারী বলেন, তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৩২৬, ৬/৪৫৭ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from 'Abdullah bin Abu Awfa that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Allah is with the judge so long as he is not unjust, but if he rules unjustly, He entrusts him to himself.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/২. জুলুম ও উৎকোচ সম্পর্কে কঠোর হুঁশিয়ারি
৩/২৩১৩। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ঘুষদাতা ও ঘুষ গ্রহীতার উপর আল্লাহর অভিসম্পাত।
بَاب التَّغْلِيظِ فِي الْحَيْفِ وَالرَّشْوَةِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَعْنَةُ اللَّهِ عَلَى الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from 'Abdullah bin 'Amr that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The curse of Allah is upon the one who offers a bribe and the one who takes it.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩. বিচারকের ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা।
১/২৩১৪। ’আমর ইবনুল আস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছেনঃ বিচারক যখন ইজতিহাদ করে (চিন্তাভাবনা করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছার চেষ্টা করে) বিচার করে, অতঃপর সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছে যায়, তার জন্য রয়েছে দু’টি পুরস্কার। আর সে যখন ইজতিহাদ করে বিচার করতে গিয়ে ভুল করে বসে তবুও তার জন্য রয়েছে একটি পুরস্কার। রাবী ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন, আমি হাদীসটি আবূ বকর ইবনে আমর ইবনে হাযমের নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, আবূ সালামা (রাঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকেও আমার নিকট অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
بَاب الْحَاكِمِ يَجْتَهِدُ فَيُصِيبُ الْحَقَّ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ الدَّرَاوَرْدِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْهَادِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ التَّيْمِيِّ، عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي قَيْسٍ، - مَوْلَى عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ - عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَاجْتَهَدَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ " .
قَالَ يَزِيدُ فَحَدَّثْتُ بِهِ أَبَا بَكْرِ بْنَ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، فَقَالَ هَكَذَا حَدَّثَنِيهِ أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَة.َ
It was narrated from 'Amr bin 'As that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
“When the judge passes a judgement and does his best and gets it right, he will have two rewards, and if he passes a judgement and does his best and gets it wrong, he will have one reward.” (Sahih) Yazid (one of narrators) said : “So I Narrated it to Abu Bakr bin 'Amr bin Hazm. He said: 'This is how it was narrated to me by Abu Salamah from Abu Hurairah.'”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৩. বিচারকের ইজতিহাদ করে সঠিক সিদ্ধান্তে পৌঁছা।
২/২৩১৫। বুরাইদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ কাযীগণ তিন শ্রেণীভুক্ত। দু’ শ্রেণীর কাযী জাহান্নামী এবং এক শ্রেণীর কাযী জান্নাতী। যে ব্যক্তি (কাযী) ন্যায়সঙ্গত ফয়সালা দান করে সে জান্নাতী। যে ব্যক্তি (কাযী) সত্য উপলদ্ধি না করে অজ্ঞতার ভিত্তিতে বিবদমান দলের মধ্যে রায় প্রদান করে সে জাহান্নামী এবং যে ব্যক্তি (কাযী) জ্ঞাতসারে অন্যায় রায় প্রদান করে সেও জাহান্নামী। আবূ হাশিম (রাঃ) বলেন, যদি ইবনে বুরাইদা থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এ হাদীসটি না থাকতো তাহলে আমরা অবশ্যই বলতাম যে, কাযী ইজতিহাদ করে বিচার করলে সে জান্নাতী হবে।
بَاب الْحَاكِمِ يَجْتَهِدُ فَيُصِيبُ الْحَقَّ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ تَوْبَةَ، حَدَّثَنَا خَلَفُ بْنُ خَلِيفَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو هَاشِمٍ، قَالَ لَوْلاَ حَدِيثُ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقُضَاةُ ثَلاَثَةٌ اثْنَانِ فِي النَّارِ وَوَاحِدٌ فِي الْجَنَّةِ رَجُلٌ عَلِمَ الْحَقَّ فَقَضَى بِهِ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ وَرَجُلٌ قَضَى لِلنَّاسِ عَلَى جَهْلٍ فَهُوَ فِي النَّارِ وَرَجُلٌ جَارَ فِي الْحُكْمِ فَهُوَ فِي النَّارِ " . لَقُلْنَا إِنَّ الْقَاضِيَ إِذَا اجْتَهَدَ فَهُوَ فِي الْجَنَّةِ .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী খালফ বিন খালিফাহ সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আদী আল-জুরজানী বলেন, আমি আশা করি তার মাঝে কোন সমস্যা নেই। তিনি কিছু কিছু রেওয়ায়াতে ভুল করেছেন। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে শেষ বয়সে হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেছেন। ইমাম যাহাবী বলেন, তিনি সত্যবাদী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ১৭০৭, ৮/২৮৪ নং পৃষ্ঠা)
Abu Hashim said:
“Were it not for the Hadith of Ibn Buraidah from his father, from the Prophet (ﷺ) who said: 'Judges are of three types, two of whom will be in Hell and one will be in Paradise. The man who knows the truth and rules in accordance with it, will be in Paradise. The man who passes judgment on the people in ignorance will be in Hell' - we would have said that if the judge does his best he will be in Paradise.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৪. বিচারক উত্তেজিত অবস্থায় বিচারকার্য করবে না
১/২৩১৬। আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ বিচারক যেন রাগান্বিত অবস্থায় দু’ (বিবদমান) পক্ষের মধ্যকার বিচারকার্য পরিচালনা না করে। রাবী হিশাম (রাঃ) তার হাদীসে বলেনঃ রাগান্বিত অবস্থায় দু’ (বিবদমান) পক্ষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা করা বিচারকের জন্য সংগত নয়।
بَاب لَا يَحْكُمُ الْحَاكِمُ وَهُوَ غَضْبَانُ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، وَأَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، قَالُوا حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، أَنَّهُ سَمِعَ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَقْضِي الْقَاضِي بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ " . قَالَ هِشَامٌ لاَ يَنْبَغِي لِلْحَاكِمِ أَنْ يَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ .
তাহকীক আলবানীঃ প্রথম শব্দে সহীহ।
It was narrated from 'Abdul-Malik bin 'Umair that he heard 'Abdur-Rahman bin Abu Bakrah (narrate) from his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Let the judge (Qadi) not pass a judgment when he is angry.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৫. বিচারক রায় দিলেই হারাম হালাল হয় না এবং হালাল হারাম হয় না
১/২৩১৭। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আমার কাছে বিবদমান বিষয় মীমাংসার জন্য এসে থাকো। আমিও একজন মানুষ। হয়তো তোমাদের কেউ (একপক্ষ) অপর কারো (বিপক্ষের) তুলনায় নিজের যুক্তি-প্রমাণ পেশে অত্যন্ত বাকপটু হয়ে থাকবে। আর আমি তো তোমাদের বক্তব্য শুনেই তার ভিত্তিতে বিচারকার্য করি। অতএব আমি তোমাদের কারো পক্ষে তার ভাইয়ের হকের কোন অংশের ফয়সালা দিয়ে ফেলতে পারি। এ অবস্থায় সে যেন তার কিছুই গ্রহণ না করে। কারণ আমি তাকে জাহান্নাম একটি টুকরাই কেটে দিচ্ছি, যা নিয়ে সে কিয়ামতের দিন হাজির হবে।
بَاب قَضِيَّةِ الْحَاكِمِ لَا تُحِلُّ حَرَامًا وَلَا تُحَرِّمُ حَلَالًا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إِلَىَّ وَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ وَإِنَّمَا أَقْضِي بَيْنَكُمْ عَلَى نَحْوٍ مِمَّا أَسْمَعُ مِنْكُمْ فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ شَيْئًا فَلاَ يَأْخُذْهُ فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ يَأْتِي بِهَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Umm Salamah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“You refer your disputes to me and I am only human. Perhaps some of you may be more eloquent in presenting your case than others, so I rule in your favor because of what I hear from you. If I pass a judgement in favor of one of you that detracts from his brother's rights, then he should not take it, because it is a piece of fire that is given to him which he will bring forth on the Day Resurrection.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৫. বিচারক রায় দিলেই হারাম হালাল হয় না এবং হালাল হারাম হয় না
২/২৩১৮। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমিও একজন মানুষ। হয়তো তোমাদের কেউ অপর কারো তুলনায় নিজের যুক্তি-প্রমাণ পেশে অত্যন্ত বাকপটু হয়ে থাকবে। অতএব আমি তাকে তার ভাইয়ের হক থেকে কিছু কর্তন করে দিয়ে থাকলে তাকে জাহান্নাম একটি টুকরাই কর্তন করে দিলাম।
بَاب قَضِيَّةِ الْحَاكِمِ لَا تُحِلُّ حَرَامًا وَلَا تُحَرِّمُ حَلَالًا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ فَمَنْ قَطَعْتُ لَهُ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ قِطْعَةً فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ " .
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু আমর বিন মুহাম্মাদ বিন আমর বিন হুরায়স সম্পর্কে ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে ইমাম যাহাবী বলেন, তার পরিচয় সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইবরাহীম বিন ইয়াকুব আল-জাওযুজানী বলেন, তিনি হাদিসের ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। ইমাম দারাকুতনী তাকে দুর্বল বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫১৩, ২৬/২১২ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“I am only human, and some of you may be more eloquent in presenting your case than others. If I pass a judgement in his favor that detracts from his brother's rights, I am giving him a piece of fire.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৬. কেউ পরের মাল নিজের বলে দাবি করে তা হস্তগত করার জন্য মামলা দায়ের করলে
১/২৩১৯। আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যক্তি এমন জিনিস দাবি করে যা তার নয়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং সে যেন জাহান্নামে তার বাসস্থান বানিয়ে নেয়।
بَاب مَنْ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ وَخَاصَمَ فِيهِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ عَبْدِ الْوَارِثِ بْنِ سَعِيدٍ أَبُو عُبَيْدَةَ، حَدَّثَنِي أَبِي قَالَ، حَدَّثَنِي أَبِي، حَدَّثَنِي الْحُسَيْنُ بْنُ ذَكْوَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ يَعْمُرَ، أَنَّ أَبَا الأَسْوَدِ الدِّيلِيَّ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِي ذَرٍّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنِ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ فَلَيْسَ مِنَّا وَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Abu Dharr that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
“Whoever claims something that does not belong to him; he is not one of us, so let him take his place in Hell.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৬. কেউ পরের মাল নিজের বলে দাবি করে তা হস্তগত করার জন্য মামলা দায়ের করলে
২/২৩২০। ইবনে উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কারো যুলুমমূলক মামলায় সহযোগিতা করে অথবা যুলুমে সহায়তা করে, তা থেকে নিবৃত্ত না হওয়া পর্যন্ত সর্বদাই সে আল্লাহর গযবে নিপতিত থাকে।
بَاب مَنْ ادَّعَى مَا لَيْسَ لَهُ وَخَاصَمَ فِيهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ ثَعْلَبَةَ بْنِ سَوَاءٍ، حَدَّثَنِي عَمِّي، مُحَمَّدُ بْنُ سَوَاءٍ عَنْ حُسَيْنٍ الْمُعَلِّمِ، عَنْ مَطَرٍ الْوَرَّاقِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ أَعَانَ عَلَى خُصُومَةٍ بِظُلْمٍ - أَوْ يُعِينُ عَلَى ظُلْمٍ - لَمْ يَزَلْ فِي سَخَطِ اللَّهِ حَتَّى يَنْزِعَ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন সাওয়া সম্পর্কে আবুল ফাতহ আল-আযদী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী ছিলেন। আবু হাতিম বিন হিব্বান তার সিকাহ গ্রন্থে তার নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার ব্যাপারে কাদারিয়া মতাবলম্বী হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫২৭২, ২৫/৩২৮ নং পৃষ্ঠা) ২. মাতারিল ওয়াররাক সম্পর্কে আবু বাকর আল-বাযযার বলেন, তার হাদিস কেউ বর্জন করেছেন এ মর্মে আমার জানা নেই। আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, এই সানাদে তার হাদিসের অনুসরণ করা যাবে না। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৯৯৪, ২৮/৫১ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Ibn 'Umar that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever takes the wrongdoer's side in a dispute or supports wrongdoing, he will remain subject to the wrath of Allah until he gives it up.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৭. বাদীর দায়িত্ব সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করা এবং বিবাদীর দায়িত্ব শপথ করা।
১/২৩২১। ইবনে আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ লোকেদেরকে তাদের দাবি মোতাবেক ফয়সালা দেয়া হলে অবশ্যই কতক লোক অন্য লোকের জীবন (মৃত্যুদন্ড) ও সম্পদ দাবি করে বসতো। কিন্তু বিবাদীকেই শপথ করতে হবে।
بَاب الْبَيِّنَةِ عَلَى الْمُدَّعِي وَالْيَمِينِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا حَرْمَلَةُ بْنُ يَحْيَى الْمِصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَنْبَأَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَوْ يُعْطَى النَّاسُ بِدَعْوَاهُمُ ادَّعَى نَاسٌ دِمَاءَ رِجَالٍ وَأَمْوَالَهُمْ وَلَكِنِ الْيَمِينُ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Ibn 'Abbas that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“If the people were given what they claimed, some would have claimed the lives and property of men. But the one the claim is made against is obliged to swear an oath.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৭. বাদীর দায়িত্ব সাক্ষ্য-প্রমাণ পেশ করা এবং বিবাদীর দায়িত্ব শপথ করা।
২/২৩২২। আল-আশ্আছ ইবনে কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার এবং এক ইহূদীর যৌথ মালিকানাধীন এক খন্ড জমি ছিল। সে আমার অংশ অস্বীকার করলে তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট পেশ করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেনঃ তোমার কি দলীল-প্রমাণ আছে? আমি বললাম, না। তিনি ইহূদীকে বলেনঃ শপথ করো। আমি বললাম, এ সম্পর্কে সে শপথ করার সাথে সাথে আমার সম্পত্তি নিয়ে যাবে। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত নাযিল করেন (অনুবাদ) ’’নিশ্চয় যারা আল্লাহর সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে, পরকালে তাদের কোন অংশ নেই’’। সূরা আল ইমরানঃ ৭৭) ... আয়াতের শেষ পর্যন্ত।
بَاب الْبَيِّنَةِ عَلَى الْمُدَّعِي وَالْيَمِينِ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، وَعَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنِ الأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ، قَالَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ أَرْضٌ فَجَحَدَنِي فَقَدَّمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هَلْ لَكَ بَيِّنَةٌ " . قُلْتُ لاَ . قَالَ لِلْيَهُودِيِّ " احْلِفْ " . قُلْتُ إِذًا يَحْلِفَ فَيَذْهَبَ بِمَالِي . فَأَنْزَلَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً) إِلَى آخِرِ الآيَةِ .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated that Ash'ath bin Qais Said:
“There was a dispute between myself and a Jewish man concerning some land, and he denied me my rights so I brought him to the Prophet (ﷺ). The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'Do you have proof' I said: 'No.’ He said to the Jews, 'Swear an oath.' I said: 'If he swears an oath he will take my property.' Then Allah, Glorious is He, revealed: 'Verily, those who purchase a small gain at the cost of Allah's covenant and their oaths, they shall have no portion in the Hereafter (Paradise). Neither will Allah neither speak to them nor look at them on the Day of Resurrection nor will He purifies them, and they shall have a painful torment.'”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. যে ব্যক্তি অপরের মাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে
১/২৩২৩। আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ বলেছেনঃ যে ব্যক্তি অপর মুসলিমের মাল আত্মসাতের লক্ষ্যে সজ্ঞানে মিথ্যা শপথ করে, সে কিয়ামতের দিন এমন অবস্থায় আল্লাহর সমীপে উপস্থিত হবে যে, তিনি তার প্রতি চরম অসন্তুষ্ট থাকবেন।
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَاجِرَةٍ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالًا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ قَالاَ حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ وَهُوَ فِيهَا فَاجِرٌ يَقْتَطِعُ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from 'Abdullah bin Mas'ud that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Whoever swears a false oath in order to seize the wealth of a Muslim unlawfully, he will meet Allah when He is angry with him.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৮. যে ব্যক্তি অপরের মাল আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মিথ্যা শপথ করে
২/২৩২৪। আবূ উমামা আল-হারিসী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেনঃ কোন ব্যক্তি অপর মুসলিমের প্রাপ্য স্বত্ব মিথ্যা শপথ করে কর্তন করে নিলে আল্লাহ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দিবেন এবং জাহান্নাম তার জন্য অবধারিত করে দিবেন। উপস্থিত লোকজনের মধ্য থেকে এক ব্যক্তি বললো, ইয়া রাসূলাল্লাহ! যদি তা সামান্য জিনিস হয়। তিনি বললেনঃ যদি তা পিলু গাছের একটি মেসওয়াকও হয়।
بَاب مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ فَاجِرَةٍ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالًا
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنِ الْوَلِيدِ بْنِ كَثِيرٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ كَعْبٍ، أَنَّهُ سَمِعَ أَخَاهُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ كَعْبٍ، أَنَّ أَبَا أُمَامَةَ الْحَارِثِيَّ، حَدَّثَهُ أَنَّهُ، سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَقْتَطِعُ رَجُلٌ حَقَّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ بِيَمِينِهِ إِلاَّ حَرَّمَ اللَّهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ وَأَوْجَبَ لَهُ النَّارَ " . فَقَالَ رَجُلٌ مِنَ الْقَوْمِ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَإِنْ كَانَ شَيْئًا يَسِيرًا قَالَ " وَإِنْ كَانَ سِوَاكًا مِنْ أَرَاكٍ " .
Abu Umamah Al-Harithi narrated that he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say:
“No man seizes the wealth of a Muslim unlawfully by means of his (false) oath, but Allah will deny Paradise to him and will doom him to Hell.” A man among the people said: “O Messenger of Allah, even if it is something small?” He said: “Even if it is a twig of an Arak tree.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৯. অপরের প্রাপ্য অধিকার বা স্বত্ব আত্মসাতের উদ্দেশ্যে শপথ করলে
১/২৩২৫। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমার এই মিম্বারের নিকট দাঁড়িয়ে মিথ্যা শপথ করবে, সে যেন জাহান্নামে তার ঠিকানা বানিয়ে নেয়, যদিও তা একটি সবুজ মিসওয়াকের জন্যও হয়।
بَاب الْيَمِينِ عِنْدَ مَقَاطِعِ الْحُقُوقِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، ح وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ ثَابِتٍ الْجَحْدَرِيُّ، حَدَّثَنَا صَفْوَانُ بْنُ عِيسَى، قَالاَ حَدَّثَنَا هَاشِمُ بْنُ هَاشِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِسْطَاسٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ بِيَمِينٍ آثِمَةٍ عِنْدَ مِنْبَرِي هَذَا فَلْيَتَبَوَّأْ مَقْعَدَهُ مِنَ النَّارِ وَلَوْ عَلَى سِوَاكٍ أَخْضَرَ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Jabir bin 'Abdullah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
'Whoever swears a false oath near this pulpit of mine, let him take his place in Hell, even if it is for a green twig.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/৯. অপরের প্রাপ্য অধিকার বা স্বত্ব আত্মসাতের উদ্দেশ্যে শপথ করলে
২/২৩২৬। আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এই মিম্বারের নিকট কোন পুরুষ অথবা নারী মিথ্যা শপথ করলে সে যেন জাহান্নামে তার আবাস নির্দ্ধারণ করলো, তা একটি কাঁচা দাঁতনের জন্য হলেও।
بَاب الْيَمِينِ عِنْدَ مَقَاطِعِ الْحُقُوقِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، وَزَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ يَزِيدَ بْنِ فَرُّوخَ، - قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى وَهُوَ أَبُو يُونُسَ الْقَوِيُّ - قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ، يَقُولُ سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ، يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَحْلِفُ عِنْدَ هَذَا الْمِنْبَرِ عَبْدٌ وَلاَ أَمَةٌ عَلَى يَمِينٍ آثِمَةٍ وَلَوْ عَلَى سِوَاكٍ رَطْبٍ إِلاَّ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
Muhammad bin Yahya, who is Abu Yunus Al-Qawi, said:
I heard Abu Salamah say: I heard Abu Hurairah say: “The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'No man or woman swears a false oath beside this pulpit, even if it is for a fresh twig, but he will be doomed to Hell.”
পরিচ্ছেদঃ ১৩/১০. আহলে কিতাব সম্প্রদায়কে শপথ উচ্চারণপূর্বক কিছু বলা
১/২৩২৭। বারাআ ইবনে আযেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইহূদী সম্প্রদায়ের এক পন্ডিত ব্যক্তিকে ডেকে বলেনঃ আমি তোমাকে সেই মহান সত্তার শপথ করে বলছি যিনি মূসা (রাঃ)-এর উপর তাওরাত কিতাব নাযিল করেছেন।
بَاب بِمَا يُسْتَحْلَفُ أَهْلُ الْكِتَابِ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم دَعَا رَجُلاً مِنْ عُلَمَاءِ الْيَهُودِ فَقَالَ " أَنْشُدُكَ بِاللَّهِ الَّذِي أَنْزَلَ التَّوْرَاةَ عَلَى مُوسَى " .
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Bara' bin 'Azib that the Messenger of Allah (ﷺ) called one of the Jewish scholars and said:
“ Swear by the One Who sent the Torah (Tawrah) down to Musa.”