পরিচ্ছেদঃ ৫১/ নাবী করীম (ﷺ) এর বানীঃ যাদের কাছে হাদিস পৌঁছানো হয় তাদের মধ্যে অনেকে এমন আছে, যে শ্রোতা (বর্ণনাকারী'র) চাইতে বেশী মুখস্থ রাখতে পারে।
৬৭। মূসা’দ্দাদ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা উল্লেখ করে বলেন, (মিনায়) তিনি তাঁর উটের ওপর বসেছিলেন। একজন লোক তাঁর উটের লাগাম ধরে রেখেছিল। তিনি বললেনঃ আজ কোন্ দিন?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করলাম যে, এ দিনটির আলাদা কোন নাম তিনি দিবেন। তিনি বললেনঃ “এটা কুরবানীর দিন নয় কি?” আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটা কোন্ মাস?’ আমরা চুপ থাকলাম এবং ধারণা করতে লাগলাম যে, তিনি হয়ত এর (প্রচলিত) নাম ছাড়া অন্য কোন নাম দিবেন। তিনি বললেনঃ এটা যিলহাজ্জ নয় কি?’ আমরা বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ জেনে রাখ! তোমাদের জান, তোমাদের মাল, তোমাদের সন্মান তোমাদের পরস্পরের জন্য হারাম, যেমন আজকের এ মাস, তোমাদের এ শহর, আজকের এ দিন সন্মানিত। এখানে উপস্থিত ব্যাক্তি (আমার এ বাণী) যেন অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। কারন উপস্থিত ব্যাক্তি হয়ত এমন এক ব্যাক্তির কাছে পৌঁছাবে, যে এ বাণীকে তার থেকে বেশি মুখস্থ রাখতে পারবে।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا بِشْرٌ، قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ، عَنِ ابْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، ذَكَرَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَعَدَ عَلَى بَعِيرِهِ، وَأَمْسَكَ إِنْسَانٌ بِخِطَامِهِ ـ أَوْ بِزِمَامِهِ ـ قَالَ " أَىُّ يَوْمٍ هَذَا ". فَسَكَتْنَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ سِوَى اسْمِهِ. قَالَ " أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَأَىُّ شَهْرٍ هَذَا ". فَسَكَتْنَا حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. فَقَالَ " أَلَيْسَ بِذِي الْحِجَّةِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ وَأَعْرَاضَكُمْ بَيْنَكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا. لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فَإِنَّ الشَّاهِدَ عَسَى أَنْ يُبَلِّغَ مَنْ هُوَ أَوْعَى لَهُ مِنْهُ ".
The Statement of the Prophet (saws): lt is probable that a person who receives a piece of information indirectly may comprehend it better than he who has heard it directly from its source
Narrated `Abdur-Rahman bin Abi Bakra's father: Once the Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) was riding his camel and a man was holding its rein. The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) asked, "What is the day today?" We kept quiet, thinking that he might give that day another name. He said, "Isn't it the day of Nahr (slaughtering of the animals of sacrifice)" We replied, "Yes." He further asked, "Which month is this?" We again kept quiet, thinking that he might give it another name. Then he said, "Isn't it the month of Dhul-Hijja?" We replied, "Yes." He said, "Verily! Your blood, property and honor are sacred to one another (i.e. Muslims) like the sanctity of this day of yours, in this month of yours and in this city of yours. It is incumbent upon those who are present to inform those who are absent because those who are absent might comprehend (what I have said) better than the present audience."
পরিচ্ছেদঃ ৭৯। উপস্থিত ব্যাক্তি অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে ইলম পৌঁছে দেবে
১০৬। আবদুল্লাহ ইবনু আবদুল ওয়াহহাব (রহঃ) .... আবূ বকরা (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা উল্লেখ করে বলেন যে, তিনি বলেছেনঃ তোমাদের জান, তোমাদের মাল – বর্ণনাকারী মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, ’আমার মনে হয়, তিনি বলেছিলেনঃ এবং তোমাদের মানসম্মান (অন্য মুসলিমের জন্য) এ শহরে এ দিনের মতই মর্যাদা সম্পন্ন। শোন, (আমার এ বাণী যেন) তোমাদের মধ্যে উপস্থিত ব্যাক্তি অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে পৌঁছে দেয়। বর্ণনাকারী মুহাম্মদ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্য বলেছেন, তা-ই হয়েছে। তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’বার করে বলেন, হে লোক সকল! ’আমি কি পৌঁছে দিয়েছি?’
باب لِيُبَلِّغِ الْعِلْمَ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ قَالَهُ ابْنُ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، ذُكِرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ ـ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحْسِبُهُ قَالَ وَأَعْرَاضَكُمْ ـ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ مِنْكُمُ الْغَائِبَ ". وَكَانَ مُحَمَّدٌ يَقُولُ صَدَقَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ ذَلِكَ " أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ " مَرَّتَيْنِ.
It is incumbent on those who are present [in a religious meeting (or conference)] to convey the knowledge to those who are absent
Narrated Abu Bakra: The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) said. No doubt your blood, property, the sub-narrator Muhammad thought that Abu Bakra had also mentioned and your honor (chastity), are sacred to one another as is the sanctity of this day of yours in this month of yours. It is incumbent on those who are present to inform those who are absent." (Muhammad the Sub-narrator used to say, "Allah's Messenger (sallallahu 'alaihi wa sallam) told the truth.") The Prophet (sallallahu 'alaihi wa sallam) repeated twice: "No doubt! Haven't I conveyed Allah's message to you.
পরিচ্ছেদঃ ৫০৫. কাতারে পৌছার আগেই রুকূতে চলে গেলে।
৭৪৭। মূসা ইবনু ইসমায়ীল (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এমন অবস্থায় পৌঁছালেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন রুকূ’তে ছিলেন। তখন কাতার পর্যন্ত পৌঁছার আগেই তিনি রুকূ’তে চলে যান। এ ঘটনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে ব্যক্ত করা হলে, তিনি বললেন, আল্লাহ তা’আলা তোমার আগ্রহকে আরও বাড়িয়ে দিন। তবে এরূপ আর করবে না।
باب إِذَا رَكَعَ دُونَ الصَّفِّ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، قَالَ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، عَنِ الأَعْلَمِ ـ وَهْوَ زِيَادٌ ـ عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ انْتَهَى إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ رَاكِعٌ، فَرَكَعَ قَبْلَ أَنْ يَصِلَ إِلَى الصَّفِّ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلاَ تَعُدْ ".
Narrated Abu Bakra:
I reached the Prophet (s) in the mosque while he was bowing in prayer and I too bowed before joining the row mentioned it to the Prophet (s) and he said to me, "May Allah increase your love for the good. But do not repeat it again (bowing in that way).
পরিচ্ছেদঃ ৬৬৯. নবী (ﷺ) এর উক্তিঃ আল্লাহ্ তা’লা সূর্যগ্রহণ দিয়ে তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন।
قَالَهُ أَبُو مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আবু মুসা আশ’আরী (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তা বর্ণনা করেছেন।
৯৯১। কুতাইবা ইবনু সায়ীদ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমুহের মধ্যে দুটি নিদর্শন। কারো মৃত্যুর কারণে এ দু’টির গ্রহণ হয় না। তবে এ দিয়ে আল্লাহ তা’লা তাঁর বান্দাদের সতর্ক করেন।
ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেন, আবদুল ওয়ারিস, শু’আইব, খালিদ ইবনু আবদুল্লাহ, হাম্মাদ ইবনু সালাম (রহঃ) ইউনুস (রহঃ) থেকে এ দিয়ে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন’ বাক্যটি বর্ণনা করেন নি; আবূ মূসা (রহঃ) মুবারক (রহঃ) স্থলে হাসান (রহঃ) থেকে ইউনুস (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন। তিনি বলেন, আমাকে আবূ বকরা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বলেন, নিশ্চই আল্লাহ এ দিয়ে তাঁর বান্দাদেরকে সতর্ক করেন। আশ’আস (রহঃ) হাসান (রহঃ) থেকে ইউনুস (রহঃ) এর অনুসরণ করেছেন।
باب قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم : يُخَوِّفُ اللَّهُ عِبَادَهُ بِالْكُسُوفِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، لاَ يَنْكَسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، وَلَكِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُخَوِّفُ بِهَا عِبَادَهُ ". وَقَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ لَمْ يَذْكُرْ عَبْدُ الْوَارِثِ وَشُعْبَةُ وَخَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ وَحَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ يُونُسَ " يُخَوِّفُ بِهَا عِبَادَهُ ". وَتَابَعَهُ مُوسَى عَنْ مُبَارَكٍ عَنِ الْحَسَنِ قَالَ أَخْبَرَنِي أَبُو بَكْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى يُخَوِّفُ بِهِمَا عِبَادَهُ ". وَتَابَعَهُ أَشْعَثُ عَنِ الْحَسَنِ.
Narrated Abu Bakra:
Allah's Messenger (ﷺ) said: "The sun and the moon are two signs amongst the signs of Allah and they do not eclipse because of the death of someone but Allah frightens His devotees with them."
পরিচ্ছেদঃ ৬৮০. চন্দ্রগ্রহণের সালাত।
باب قَوْلِ الإِمَامِ فِي خُطْبَةِ الْكُسُوفِ أَمَّا بَعْدُ
وَقَالَ أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، قَالَ أَخْبَرَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ، قَالَتْ فَانْصَرَفَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ تَجَلَّتِ الشَّمْسُ فَخَطَبَ، فَحَمِدَ اللَّهَ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ " أَمَّا بَعْدُ ".
৬৭৯. অনুচ্ছেদঃ সূর্যগ্রহণের খুতবায় ইমামের “আম্মা-বা’দু’ বলা। আবূ উসামা (র.) বলেন হিশাম (র.) ….. আসমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত শেষ করলেন আর এদিকে সূর্যগ্রহণ মুক্ত হয়ে গেল। এরপর তিনি খুতবা দিলেন। এতে তিনি প্রথমে আল্লাহর যথাযথ প্রশংসা করলেন। এবপর তিনি বললেনঃ ’আম্মা বা’দু’।
১০০২। মাহমূদ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় সূর্যগ্রহণ হল। তখন তিনি দু’রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন।
باب الصَّلاَةِ فِي كُسُوفِ الْقَمَرِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، قَالَ حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَامِرٍ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ يُونُسَ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ انْكَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ.
Narrated Abu Bakra:
In the lifetime of the Prophet (ﷺ) the sun eclipsed and then he offered a two rak`at prayer.
পরিচ্ছেদঃ ৬৮০. চন্দ্রগ্রহণের সালাত।
১০০৩। আবূ মা’মার (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় সূর্যগ্রহণ হল। তিনি বের হয়ে তাঁর চাঁদর টেনে টেনে মসজিদে পৌঁছালেন এবং লোকজনও তাঁর কাছে একত্রিত হল। তারপর তাঁদের নিয়ে দু’রাকা’আত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। এরপর সূর্যগ্রহণ মুক্ত হলে তিনি বললেনঃ সূর্য ও চন্দ্র আল্লাহর নিদর্শন সমূহের মধ্যে দু’টি নিদর্শন। কারো্ মৃত্যুর কারণে এ দু’টোর গ্রহণ ঘটে না। কাজেই যখন গ্রহণ হবে, তা মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত সালাত আদায় করবে এবং দু’আ করতে থাকবে। এ কথা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কারনেই বলেছেন যে, সেদিন তাঁর পুত্র ইব্রাহিম (রাঃ) এর ওফাত হয়েছিল এবং লোকেরা সে ব্যাপারে বলাবলি করছিল।
باب الصَّلاَةِ فِي كُسُوفِ الْقَمَرِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا يُونُسُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ خَسَفَتِ الشَّمْسُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَخَرَجَ يَجُرُّ رِدَاءَهُ حَتَّى انْتَهَى إِلَى الْمَسْجِدِ، وَثَابَ النَّاسُ إِلَيْهِ فَصَلَّى بِهِمْ رَكْعَتَيْنِ، فَانْجَلَتِ الشَّمْسُ فَقَالَ " إِنَّ الشَّمْسَ وَالْقَمَرَ آيَتَانِ مِنْ آيَاتِ اللَّهِ، وَإِنَّهُمَا لاَ يَخْسِفَانِ لِمَوْتِ أَحَدٍ، وَإِذَا كَانَ ذَاكَ فَصَلُّوا وَادْعُوا حَتَّى يُكْشَفَ مَا بِكُمْ ". وَذَاكَ أَنَّ ابْنًا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مَاتَ، يُقَالُ لَهُ إِبْرَاهِيمُ، فَقَالَ النَّاسُ فِي ذَاكَ.
Narrated Abu Bakra:
In the lifetime of the Allah's Messenger (ﷺ) (p.b.u.h) the sun eclipsed and he went out dragging his clothes till he reached the Mosque. The people gathered around him and he led them and offered two rak`at. When the sun (eclipse) cleared, he said, "The sun and the moon are two signs amongst the signs of Allah; they do not eclipse because of the death of someone, and so when an eclipse occurs, pray and invoke Allah till the eclipse is over." It happened that a son of the Prophet (ﷺ) called Ibrahim died on that day and the people were talking about that (saying that the eclipse was caused by his death).
পরিচ্ছেদঃ ১০৯২. মিনার দিনগুলোতে খুতবা প্রদান।
১৬৩২। ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কুরবানীর দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের খুত্বা দিলেন এবং বললেনঃ তোমরা কি জানো আজ কোন্ দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচাইতে বেশী জানেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হয়ে গেলেন। আমরা ধারণা করলাম সম্ভাবত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নাম পাল্টিয়ে অন্য নামে নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এটা কি যিলহাজ্জের মাস নয়? আমরা বললাম, হাঁ। তারপর তিনি বললেনঃ এটি কোন্ শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই সবচাইতে বেশী জানেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব হয়ে গেলেন। ফলে আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এর নাম বদলিয়ে অন্য নামকরণ করবেন। তিনি বললেনঃ এ কি সম্মানিত শহর নয়? আমরা বললাম, নিশ্চয়ই।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের জান এবং তোমাদের মাল তোমাদের জন্য তোমাদের রবের সঙ্গে সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত এমন সম্মানিত যেমন সম্মান রয়েছে তোমাদের এ দিনের, তোমাদের এ মাসে এবং তোমাদের শহরে। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেনঃ শোন! আমি কি পৌছিয়েছি তোমাদের কাছে? সাহাবীগণ বললেন, হাঁ (ইয়া রাসূলাল্লাহ)। তারপর তিনি বললেনঃ প্রত্যেক উপস্থিত ব্যাক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে (আমার দাওয়াত) পৌছিয়ে দেয়। কেননা, কোন কোন মুবাল্লাগ শ্রবণকারী থেকে কখনো কখনো অধিক সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। তোমরা আমার পরে কুফরীর দিকে প্রত্যাবর্তন করো না যে, পরস্পর পরস্পরকে হত্যা করবে।
باب الْخُطْبَةِ أَيَّامَ مِنًى
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، حَدَّثَنَا قُرَّةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ،، وَرَجُلٌ، أَفْضَلُ فِي نَفْسِي مِنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ خَطَبَنَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ النَّحْرِ، قَالَ " أَتَدْرُونَ أَىُّ يَوْمٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. قَالَ " أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " أَىُّ شَهْرٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. فَقَالَ " أَلَيْسَ ذُو الْحَجَّةِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " أَىُّ بَلَدٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. قَالَ " أَلَيْسَتْ بِالْبَلْدَةِ الْحَرَامِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ، كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، إِلَى يَوْمِ تَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ. أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ ". قَالُوا نَعَمْ. قَالَ " اللَّهُمَّ اشْهَدْ، فَلْيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فَرُبَّ مُبَلَّغٍ أَوْعَى مِنْ سَامِعٍ، فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي كُفَّارًا يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) delivered to us a sermon on the Day of Nahr. He said, "Do you know what is the day today?" We said, "Allah and His Apostle know better." He remained silent till we thought that he might give that day another name. He said, "Isn't it the Day of Nahr?" We said, "It is." He further asked, "Which month is this?" We said, "Allah and His Apostle know better." He remained silent till we thought that he might give it another name. He then said, "Isn't it the month of Dhul-Hijja?" We replied: "Yes! It is." He further asked, "What town is this?" We replied, "Allah and His Apostle know it better." He remained silent till we thought that he might give it another name. He then said, "Isn't it the forbidden (Sacred) town (of Mecca)?" We said, "Yes. It is." He said, "No doubt, your blood and your properties are sacred to one another like the sanctity of this day of yours, in this month of yours, in this town of yours, till the day you meet your Lord. No doubt! Haven't I conveyed Allah's message to you? They said, "Yes." He said, "O Allah! Be witness. So it is incumbent upon those who are present to convey it (this information) to those who are absent because the informed one might comprehend it (what I have said) better than the present audience, who will convey it to him. Beware! Do not renegade (as) disbelievers after me by striking the necks (cutting the throats) of one another."
পরিচ্ছেদঃ ১১৭৮. দাজ্জাল মদীনায় প্রবেশ করতে পারবে না
১৭৫৮। ’আবদুল ’আযীয ইবনু ’আবদল্লাহ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্নিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মদিনাতে দাজ্জালের ত্রাস ও ভীতি প্রবেশ করতে পারবে না। ঐ সময় মদিনার সাতটি প্রবেশ পথ থাকবে। প্রত্যেক পথে দু’জন করে ফিরিশতা (মোতায়েন) থাকবে।
باب لاَ يَدْخُلُ الدَّجَّالُ الْمَدِينَةَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنِي إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَدْخُلُ الْمَدِينَةَ رُعْبُ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ، لَهَا يَوْمَئِذٍ سَبْعَةُ أَبْوَابٍ، عَلَى كُلِّ باب مَلَكَانِ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said, "The terror caused by Al-Masih Ad-Dajjal will not enter Medina and at that time Medina will have seven gates and there will be two angels at each gate guarding them."
পরিচ্ছেদঃ ১১৯৫. ঈদের দুই মাস কম হয় না
১৭৯১। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি মাস কম হয় না। তা হল ঈদের দু’মাস রমযানের মাস ও যুলহজের মাস।
আবূ ’আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেছেন, আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেন, রমযান ঘাটতি হলে যুলহাজ্জ পূর্ন হবে। আর যুলহাজ্জ ঘাটতি হলে রমযান পূর্ন হবে। আবূল হাসান (রহঃ) বলেন, ইসহাক ইবনু রাহওয়াই (রহঃ) বলেন, ফযীলতের দিক থেকে এ দুই মাসে ঘাটতি নেই, মাস ঊনত্রিশ দিনে হোক বা ত্রিশ দিনে হোক।
باب شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ سَمِعْتُ إِسْحَاقَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم. وَحَدَّثَنِي مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " شَهْرَانِ لاَ يَنْقُصَانِ شَهْرَا عِيدٍ رَمَضَانُ وَذُو الْحَجَّةِ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said, "The two months of `Id i.e. Ramadan and Dhul-Hijja, do not decrease (in superiority).
পরিচ্ছেদঃ ১৩৫৩. স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয় করা
২০৪০. সাদাকা ইবনু ফযল (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সমান সমান ছাড়া তোমরা সোনার বদলে সোনা বিক্রয় করবে না। অনুরূপ রূপার বদলে রূপা সমান সমান ছাড়া (বিক্রি করবে না)। রূপার বদলে সোনা এবং সোনার বদলে রূপা তোমরা যেরূপ দাও, ক্রয়-বিক্রয় করতে পারো।
باب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالذَّهَبِ
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ، قَالَ حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ قَالَ أَبُو بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالذَّهَبِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَالْفِضَّةَ بِالْفِضَّةِ إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَبِيعُوا الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ كَيْفَ شِئْتُمْ ".
Narrated Abu Bakra:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Don't sell gold for gold unless equal in weight, nor silver for silver unless equal in weight, but you could sell gold for silver or silver for gold as you like."
পরিচ্ছেদঃ ১৩৫৭. নগদ-নগদ রৌপের বিনিময়ে স্বর্ন বিক্রয়
২০৪৫. ইমরান ইবনু মায়সারা (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমান সমান ছাড়া রূপার বদলে রুপার ক্রয়-বিক্রয় এবং সোনার বদলে সোনার ক্রয়-বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন এবং তিনি রূপার বিনিময়ে সোনার বিক্রয়ে এবং সোনার বিনিময়ে রূপার বিক্রয়ে আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী অনুমতি দিয়েছেন।
باب بَيْعِ الذَّهَبِ بِالْوَرِقِ يَدًا بِيَدٍ
حَدَّثَنَا عِمْرَانُ بْنُ مَيْسَرَةَ، حَدَّثَنَا عَبَّادُ بْنُ الْعَوَّامِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ أَبِي إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنِ الْفِضَّةِ بِالْفِضَّةِ وَالذَّهَبِ بِالذَّهَبِ، إِلاَّ سَوَاءً بِسَوَاءٍ، وَأَمَرَنَا أَنْ نَبْتَاعَ الذَّهَبَ بِالْفِضَّةِ كَيْفَ شِئْنَا، وَالْفِضَّةَ بِالذَّهَبِ كَيْفَ شِئْنَا.
Narrated `Abdur-Rahman bin Abu Bakra:
that his father said, "The Prophet (ﷺ) forbade the selling of gold for gold and silver for silver except if they are equivalent in weight, and allowed us to sell gold for silver and vice versa as we wished."
পরিচ্ছেদঃ ১৯৮৪. সাত যমীন। মহান আল্লাহর বাণীঃ আল্লাহ সেই স্বত্বা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আসমান এবং যমীনও, অদের অনুরূপভাবে (৬৫ঃ ১২) وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ আকাশ। سَمْكَهَا এর ভিত্তি। الْحُبُكُ তার সমতা – সৌন্দর্য أَذِنَتْ সে শুনল ও মান্য করল। وَأَلْقَتْ সে (যমীন) তার সকল মৃতকে বের করে দিবে এবং তা খালি হয়ে যাবে ওদের থেকে। طَحَاهَا তাকে সকল দিক থেকে বিছিয়ে দিয়েছে। بالساهرة ভূপৃষ্ঠ যা সকল প্রাণীর নিদ্রা ও জাগরনের স্থান
২৯৭০। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তা’আলা যেদিন আসমান যমীন সৃষ্টি করেছেন, সে দিন থেকে সময় যেরূপে আবর্তিত হচ্ছিল আজও তা সেরূপে আবর্তিত হচ্ছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। যুল-কা’দাহ, যূল-হিজ্জাহ ও মুহাররম তিনটি মাস পরপর রয়েছে। আর এক মাস হল রজব-ই-মুযার যা জুমাদা ও শাবান মাসের মধ্যে অবস্থিত।
باب مَا جَاءَ فِي سَبْعِ أَرَضِينَ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {اللَّهُ الَّذِي خَلَقَ سَبْعَ سَمَوَاتٍ وَمِنَ الأَرْضِ مِثْلَهُنَّ يَتَنَزَّلُ الأَمْرُ بَيْنَهُنَّ لِتَعْلَمُوا أَنَّ اللَّهَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ وَأَنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا}، {وَالسَّقْفِ الْمَرْفُوعِ} السَّمَاءُ. {سَمْكَهَا} بِنَاءَهَا، كَانَ فِيهَا حَيَوَانٌ. الْحُبُكُ اسْتِوَاؤُهَا وَحُسْنُهَا {وَأَذِنَتْ} سَمِعَتْ وَأَطَاعَتْ. {وَأَلْقَتْ} أَخْرَجَتْ مَا فِيهَا مِنَ الْمَوْتَى، {وَتَخَلَّتْ} عَنْهُمْ. {طَحَاهَا} دَحَاهَا. السَّاهِرَةُ وَجْهُ الأَرْضِ، كَانَ فِيهَا الْحَيَوَانُ نَوْمُهُمْ وَسَهَرُهُمْ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الزَّمَانُ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said. "(The division of time has turned to its original form which was current when Allah created the Heavens and the Earths. The year is of twelve months, out of which four months are sacred: Three are in succession Dhul-Qa' da, Dhul-Hijja and Muharram, and (the fourth is) Rajab of (the tribe of) Mudar which comes between Jumadi-ath-Thaniyah and Sha ban."
পরিচ্ছেদঃ ২০৫৭. আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না ও আশাজ গোত্রের আলোচনা
৩২৬৫। কাবিসা ও মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) ... আবূ বাক্রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (সাহাবা কিরামকে লক্ষ্য করে) বলেন, বলত জুহায়না, মুযায়না, আসলাম ও গিফার গোত্র যদি আল্লাহর নিকট বানূ তামীম, বানূ আসা’দ, বানূ গাতফান ও বানূ ’আমের হতে উত্তম বিবেচিত হয় তবে কেমন হবে? তখন জনৈক সাহাবী বললেন, তবে তারা (শেষোক্ত গোত্রগুলো) ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত হল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, পূর্বোক্ত গোত্রগুলো বানূ তামীম, বানূ আসা’দ, বানূ আবদুল্লাহ ইবনু গাতফান এবং বানূ ’আমের ইবনু সা’সা’ থেকে উত্তম।
باب ذِكْرِ أَسْلَمَ وَغِفَارَ وَمُزَيْنَةَ وَجُهَيْنَةَ وَأَشْجَعَ.
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ،. حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَرَأَيْتُمْ إِنْ كَانَ جُهَيْنَةُ وَمُزَيْنَةُ وَأَسْلَمُ وَغِفَارُ خَيْرًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي أَسَدٍ، وَمِنْ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَطَفَانَ وَمِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ ". فَقَالَ رَجُلٌ خَابُوا وَخَسِرُوا. فَقَالَ " هُمْ خَيْرٌ مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَمِنْ بَنِي أَسَدٍ، وَمِنْ بَنِي عَبْدِ اللَّهِ بْنِ غَطَفَانَ، وَمِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said, "Do you think that the tribes of Juhaina, Muzaina, Aslam and Ghifar are better than the tribes of Bani Tamim, Bani Asad, Bani `Abdullah bin Ghatafan and Bani Amir bin Sasaa?" A man said, "They were unsuccessful and losers." The Prophet (ﷺ) added, "(Yes), they are better than the tribes of Bani Tamim, Bani Asad, Bani `Abdullah bin Ghatafan and Bani Amir bin Sasaa."
পরিচ্ছেদঃ ২০৫৭. আসলাম, গিফার, মুযায়না, জুহায়না ও আশাজ গোত্রের আলোচনা
৩২৬৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) ... আবূ বকরা তার পিতা থেকে বর্ণিত যে, আকরা’ ইবনু হাবিস নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ’আরয করলেন, আসলাম গোত্রের সুররাক হাজীজ, গিফার ও মুযায়না গোত্রদ্বয় আপনার নিকট বায়’আত করেছে এবং (রাবী বলেন) আমার ধারনা জুহায়না গোত্রও। এ ব্যাপারে ইবনু আবূ ইয়াকুব সন্দেহ পোষণ করেছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তুমি কি জানো, আসলাম, গিফার ও মুযায়না গোত্রত্রয়, (রাবী বলেন) আমার মনে হয় তিনি জুহায়না গোত্রের কোথাও উল্লেখ করেছেন যে বনূ তামীম, বনূ ’আমির, আসা’দ এবং গাত্ফান (গোত্রগুলো) যারা ক্ষতিগ্রস্ত ও বঞ্চিত হয়েছে, তাদের তুলনায় পূর্বোক্ত গোত্রগুলো উত্তম। রাবী বলেন, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, সে সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, পূর্বোক্ত গুলো শেষোক্ত গোত্রগুলোর তুলনায় অবশ্যই অতি উত্তম।
باب ذِكْرِ أَسْلَمَ وَغِفَارَ وَمُزَيْنَةَ وَجُهَيْنَةَ وَأَشْجَعَ.
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَعْقُوبَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ الأَقْرَعَ بْنَ حَابِسٍ، قَالَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِنَّمَا بَايَعَكَ سُرَّاقُ الْحَجِيجِ مِنْ أَسْلَمَ وَغِفَارَ وَمُزَيْنَةَ ـ وَأَحْسِبُهُ وَجُهَيْنَةَ ابْنُ أَبِي يَعْقُوبَ شَكَّ ـ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ أَسْلَمُ وَغِفَارُ وَمُزَيْنَةُ ـ وَأَحْسِبُهُ ـ وَجُهَيْنَةُ خَيْرًا مِنْ بَنِي تَمِيمٍ وَبَنِي عَامِرٍ وَأَسَدٍ وَغَطَفَانَ، خَابُوا وَخَسِرُوا ". قَالَ نَعَمْ. قَالَ " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، إِنَّهُمْ لَخَيْرٌ مِنْهُمْ ".
Narrated Abu Bakra:
Al-Aqra' bin Habis said to the Prophet (ﷺ) "Nobody gave you the pledge of allegiance but the robbers of the pilgrims (i.e. those who used to rob the pilgrims) from the tribes of Aslam, Ghifar, Muzaina." (Ibn Abi Ya'qub is in doubt whether Al-Aqra' added. 'And Juhaina.') The Prophet (ﷺ) said, "Don't you think that the tribes of Aslam, Ghifar, Muzaina (and also perhaps) Juhaina are better than the tribes of Bani Tamim, Bani Amir, Asad, and Ghatafan?" Somebody said, "They were unsuccessful and losers!" The Prophet said, "Yes, by Him in Whose Hands my life is, they (i.e. the former) are better than they (i.e. the latter).
পরিচ্ছেদঃ ২০৭৫. ইসলাম আগমনের পর নবুয়্যতের নিদর্শনসমূহ
৩৩৬৮। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন হাসান (রাঃ) কে নিয়ে বেরিয়ে এলেন এবং তাঁকে সহ মিম্বারে আরোহণ করলেন। তারপর বললেন, আমার এ ছেলেটি (নাতি) সাইয়েদ (সরদার)। নিশচই আল্লাহ তা’লা এর মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলিমের আপোস (সমঝোতা) করিয়ে দিবেন।
باب عَلاَمَاتِ النُّبُوَّةِ فِي الإِسْلاَمِ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ أَبِي مُوسَى، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ أَخْرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ الْحَسَنَ فَصَعِدَ بِهِ عَلَى الْمِنْبَرِ، فَقَالَ " ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ".
Narrated Abu Bakra:
Once the Prophet (ﷺ) brought out Al-Hasan and took him up the pulpit along with him and said, "This son of mine is a Saiyid (i.e. chief) and I hope that Allah will help him bring about reconciliation between two Muslim groups."
পরিচ্ছেদঃ ২১০২. হাসান ও হুসায়ন (রাঃ) এর মর্যাদা। নাফি ইবন জুবায়র (রহঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম (সাঃ) হাসান (রাঃ) এর সাথে আলিঙ্গন করেছেন
بَابُ ذِكْرِ مُصْعَبِ بْنِ عُمَيْرٍ
২১০১. পরিচ্ছেদঃ মুস’আব ইবন উমাইয়ের (রাঃ) এর বর্ণনা
৩৪৭৪। সাদকা (ইবনু ফাযল) (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিম্বরের উপর বলতে শুনেছি, ঐ সময় হাসান (রাঃ) তাঁর পাশে ছিলেন। তিনি একবার উপস্থিত লোকদের দিকে আবার হাসান (রাঃ)-এর দিকে তাকালেন এবং বললেন, আমার এ সন্তান (পৌত্র) সায়্যেদ (নেতা) আল্লাহ তা’আলা তার মাধ্যমে বিবাদমান দু’দল মুসলিমের মধ্যে আপোষ মীমাংসা করিয়ে দিবেন।
باب مَنَاقِبُ الْحَسَنِ وَالْحُسَيْنِ رضى الله عنهما قَالَ نَافِعُ بْنُ جُبَيْرٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَانَقَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْحَسَنَ
حَدَّثَنَا صَدَقَةُ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، عَنِ الْحَسَنِ، سَمِعَ أَبَا بَكْرَةَ، سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ وَالْحَسَنُ إِلَى جَنْبِهِ، يَنْظُرُ إِلَى النَّاسِ مَرَّةً وَإِلَيْهِ مَرَّةً، وَيَقُولُ " ابْنِي هَذَا سَيِّدٌ، وَلَعَلَّ اللَّهَ أَنْ يُصْلِحَ بِهِ بَيْنَ فِئَتَيْنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ ".
Narrated Abu Bakra:
I heard the Prophet (ﷺ) talking at the pulpit while Al-Hasan was sitting beside him, and he (i.e. the Prophet ) was once looking at the people and at another time Al-Hasan, and saying, "This son of mine is a Saiyid (i.e. chief) and perhaps Allah will bring about an agreement between two sects of the Muslims through him."
পরিচ্ছেদঃ ২২৪১. বিদায় হজ্জ
৪০৬৩। মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) এর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সময় ও কাল আবর্তিত হয় নিজ চক্রে ও অবস্থায়। যেদিন থেকে আল্লাহ্ আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন। এক বছর বারো মাসে হয়ে থাকে। এর মধ্যে চার মাস সম্মানিত। তিনমাস পরপর আসে- যেমন যিলকদ, যিলহাজ্জ ও মুহাররাম এবং রজব মুদার যা জমাদিউল আখির ও শা’বান মাসের মধ্যবর্তী সময়ে হয়ে থাকে। (এরপর তিনি প্রশ্ন করলেন) এটি কোন মাস? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। এরপর তিনি চুপ থাকলেন। এমনকি আমরা ধারনা করলাম যে, হয়তো বা তিনি অচিরেই এ মাসের অন্য কোন নাম রাখবেন।
(তারপর) তিনি বললেন, এ কি যিলহজ্জ মাস নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তারপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, এটি কোন শহর? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই অধিক জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। আমরা ধারনা করলাম যে, হয়ত বা তিনি অচিরেই এ শহরের অন্য কোন নাম রাখবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি (মক্কা) শহর নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ। তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, এ দিনটি কোন দিন? আমরা বললাম, আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলই ভালো জানেন। তারপর তিনি চুপ থাকলেন। এতে আমরা মনে করলাম যে, তিনি এ দিনটির অন্য কোন নামকরন করবেন। তারপর তিনি বললেন, এটি কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা বললাম, হ্যাঁ।
এরপর তিনি বললেন, তোমাদের রক্ত, তোমাদের সম্পদ; (রাবী) মুহাম্মদ বলেন, আমার ধারনা যে, তিনি [রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] আরও বলেছিলেন, তোমাদের মান-ইজ্জত তোমাদের উপর পবিত্র, যেমন পবিত্র তোমাদের আজকের এই দিন, তোমাদের এই শহর ও তোমাদের এই মাস। তোমরা অচিরেই তোমাদের রবের সাথে মিলিত হবে। তখন তিনি তোমাদের কাজ-কর্ম সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন। খবরদার! তোমরা আমার ওফাতের পরে বিভ্রান্ত হয়ে পড়োনা যে, একে অপরের গর্দান মারবে।
শোন, তোমাদের উপস্থিত ব্যাক্তি অনুপস্থিত ব্যাক্তিকে আমার পয়গাম পৌঁছে দেবে। এটা বাস্তব যে, অনেক সময় যে প্রত্যক্ষভাবে শ্রবন করেছে তার থেকেও প্রচারকৃত ব্যাক্তি অধিকতর সংরক্ষণকারী হয়ে থাকে। (রাবী) মুহাম্মদ [ইবনু সীরীন (রহঃ)] যখনই এ হাদীস বর্ননা করতেন তখন তিনি বলতেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, জেনে রাখ, আমি কি (আল্লাহর বানী তোমাদের কাছে) পৌঁছিয়ে দিয়েছি? এভাবে দু’বার বললেন।
باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الزَّمَانُ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَةِ يَوْمَ خَلَقَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاَثَةٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ، أَىُّ شَهْرٍ هَذَا " قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. قَالَ " أَلَيْسَ ذُو الْحِجَّةِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَأَىُّ بَلَدٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. قَالَ " أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَأَىُّ يَوْمٍ هَذَا " قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ. قَالَ " أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ ـ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحْسِبُهُ قَالَ وَأَعْرَاضَكُمْ ـ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ، فَسَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي ضُلاَّلاً، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يُبَلَّغُهُ أَنْ يَكُونَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ ـ فَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ يَقُولُ صَدَقَ مُحَمَّدٌ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ـ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ. مَرَّتَيْنِ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said, "Time has taken its original shape which it had when Allah created the Heavens and the Earth. The year is of twelve months, four of which are sacred, and out of these (four) three are in succession, i.e. Dhul-Qa'da, Dhul-Hijja and Al-Muharram, and the fourth is Rajab which is named after the Mudar tribe, between (the month of) Jumaida (ath-thania) and Sha'ban." Then the Prophet (ﷺ) asked, "Which is this month?" We said, "Allah and His Apostle know better." On that the Prophet (ﷺ) kept quiet so long that we thought that he might name it with another name. Then the Prophet (ﷺ) said, "Isn't it the month of Dhul-Hijja?" We replied, "Yes." Then he said, "Which town is this?" "We replied, "Allah and His Apostle know better." On that he kept quiet so long that we thought that he might name it with another name. Then he said, "Isn't it the town of Mecca?" We replied, "Yes, " Then he said, "Which day is today?" We replied, "Allah and His Apostle know better." He kept quiet so long that we thought that he might name it with another name. Then he said, "Isn't it the day of An- Nahr (i.e. sacrifice)?" We replied, "Yes." He said, "So your blood, your properties, (The sub-narrator Muhammad said, 'I think the Prophet (ﷺ) also said: And your honor..) are sacred to one another like the sanctity of this day of yours, in this city of yours, in this month of yours; and surely, you will meet your Lord, and He will ask you about your deeds. Beware! Do not become infidels after me, cutting the throats of one another. It is incumbent on those who are present to convey this message (of mine) to those who are absent. May be that some of those to whom it will be conveyed will understand it better than those who have actually heard it." (The sub-narrator, Muhammad, on remembering that narration, used to say, "Muhammad spoke the truth!") He (i.e. Prophet) then added twice, "No doubt! Haven't I conveyed (Allah's Message) to you?"
পরিচ্ছেদঃ ২২৪৬. পারস্যের অধিপতি কিসরা ও রোম অধিপতি কায়সারের কাছে নাবী (সাঃ) এর পত্র প্রেরণ
৪০৮৩। উসমান ইবনু হায়সাম (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শ্রুত একটি বানী আমাকে জঙ্গে জামালের (উষ্ট্রের যুদ্ধ) দিন মহা উপকার করেছে, যে সময় আমি সাহাবায়ে কিরামের সাথে মিলিত হয়ে জামাল যুদ্ধে শরিক হতে প্রায় প্রস্তুত হয়েছিলাম। আবূ বকরা (রাঃ) বলেন, সে বানীটি হল, যখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এ খবর পৌঁছল যে, পারস্যবাসী কিসরা তনয়াকে তাদের বাদশাহ মনোনীত করেছেন, তখন তিনি বললেন, কখনোই সে জাতি সফলতার মুখ দেখবে না যারা স্ত্রীলোককে তাদের প্রশাসক নির্বাচন করে।
باب كِتَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى كِسْرَى وَقَيْصَرَ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ الْهَيْثَمِ، حَدَّثَنَا عَوْفٌ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ لَقَدْ نَفَعَنِي اللَّهُ بِكَلِمَةٍ سَمِعْتُهَا مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَيَّامَ الْجَمَلِ، بَعْدَ مَا كِدْتُ أَنْ أَلْحَقَ بِأَصْحَابِ الْجَمَلِ فَأُقَاتِلَ مَعَهُمْ قَالَ لَمَّا بَلَغَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ أَهْلَ فَارِسَ قَدْ مَلَّكُوا عَلَيْهِمْ بِنْتَ كِسْرَى قَالَ " لَنْ يُفْلِحَ قَوْمٌ وَلَّوْا أَمْرَهُمُ امْرَأَةً ".
Narrated Abu Bakra:
During the days (of the battle) of Al-Jamal, Allah benefited me with a word I had heard from Allah's Apostle after I had been about to join the Companions of Al-Jamal (i.e. the camel) and fight along with them. When Allah's Messenger (ﷺ) was informed that the Persians had crowned the daughter of Khosrau as their ruler, he said, "Such people as ruled by a lady will never be successful."
পরিচ্ছেদঃ ২২০৯. যারা বলে যে, ইয়াওমুননাহারই কুরবানীর দিন
৫১৫২। মুহাম্মদ ইবনু সালাম (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কাল আবর্তিত হয়েছে তার সেই অবস্থানের উপর যেভাবে আল্লাহ আকাশসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন। বছর বার মাসের। তন্মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। তিনটি পরপর যুল কাদা, যূল-হাজ্জাহ ও মুহাররম। আরেকটি মুদার গোত্রের রজব মাস, সেটি জুমাদা ও শাবানের মাঝখানে। (এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করলেন) এটি কোন মাস? আমরা বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত। তখন তিনি নীরব রইলেন। এমন কি আমরা ধারণা করলাম যে, তিনি হয়ত এটিকে অন্য নামে আখ্যায়িত করবেন। তিনি বললেন এটি কি যুল-হাজ্জ মাস নয়?
আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি আবার বললেনঃ এটি কোন শহর? আমরা বললাম আল্লাহ ও তার রাসুল অধিক জ্ঞাত। তিনি নীরব রইলেন এমন কি আমরা ভাবতে লাগলাম, হয়ত তিনি এটির জন্য কোন নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটি কি মক্কা নগর নয়? আমরা বললাম হ্যাঁ। তিনি বললেন এটি কোন দিন? আমরা বললাম আল্লাহ ও তাঁর রাসুল অধিক জ্ঞাত। তিনি নীরব রইলেন। এমনকি আমরা ধারনা করলাম যে হয়ত তিনি এর নামের পরিবর্তে অন্য নাম রাখবেন। তিনি বললেনঃ এটা কি কুরবানীর দিন নয়? আমরা উত্তর করলামঃ হ্যাঁ।
এরপর তিনি বললেনঃ তোমাদের রক্ত, তোমাদের ধন-সম্পদ, বর্ণনাকারী মুহাম্মাদ বলেনঃ সম্ভবত আবূ বকরা (রাঃ) বলেছেন এবং তোমাদের ইজ্জত তোমাদের পরস্পরের উপর এমন সম্মানিত যেমন সম্মানিত তোমাদের এই দিন, তোমাদের এই শহর, তোমাদের এই মাস। অচিরেই তোমরা তোমাদের রবের সাক্ষাত লাভ করবে। তখন তিনি তোমাদের সম্পর্কে তোমাদের জিজ্ঞাসা করবেন। সাবধান! আমার পরে তোমরা পথভ্রষ্ট হয়ে ফিরে যেয়ো না। তোমাদের কেউ যেন কাউকে হত্যা না করে।
মনে রেখ, উপস্থিত ব্যাক্তি যেন অনুপস্থিত ব্যাক্তির কাছে (আমার বানী) পৌছে দেয়। হয়ত যাদের কাছে পৌছানো হবে তাদের কেউ কেউ বর্তমানে যারা শুনেছে তাদের কারো চাইতে অধিক সংরক্ষণকারী হবে। রাবী মুহাম্মদ যখন এ হাদীস উল্লেখ করতেন তখন বলতেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সত্যই বলেছেন। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ সাবধান, আমি কি পৌছে দিয়েছি? সাবধান, আমি কি পৌছে দিয়েছি?
باب مَنْ قَالَ الأَضْحَى يَوْمَ النَّحْرِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلاَمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ ـ رضى الله عنه ـ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الزَّمَانُ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ، السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا، مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ، ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ، وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ، أَىُّ شَهْرٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ " أَلَيْسَ ذَا الْحِجَّةِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " أَىُّ بَلَدٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ. فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ، قَالَ " أَلَيْسَ الْبَلْدَةَ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَأَىُّ يَوْمٍ هَذَا ". قُلْنَا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ، فَسَكَتَ حَتَّى ظَنَنَّا أَنَّهُ سَيُسَمِّيهِ بِغَيْرِ اسْمِهِ قَالَ " أَلَيْسَ يَوْمَ النَّحْرِ ". قُلْنَا بَلَى. قَالَ " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ وَأَمْوَالَكُمْ ـ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحْسِبُهُ قَالَ ـ وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا فِي شَهْرِكُمْ، وَسَتَلْقَوْنَ رَبَّكُمْ فَيَسْأَلُكُمْ عَنْ أَعْمَالِكُمْ، أَلاَ فَلاَ تَرْجِعُوا بَعْدِي ضُلاَّلاً، يَضْرِبُ بَعْضُكُمْ رِقَابَ بَعْضٍ، أَلاَ لِيُبَلِّغِ الشَّاهِدُ الْغَائِبَ، فَلَعَلَّ بَعْضَ مَنْ يَبْلُغُهُ أَنْ يَكُونَ أَوْعَى لَهُ مِنْ بَعْضِ مَنْ سَمِعَهُ ـ وَكَانَ مُحَمَّدٌ إِذَا ذَكَرَهُ قَالَ صَدَقَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ ـ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ أَلاَ هَلْ بَلَّغْتُ ".
Narrated Abu Bakra:
The Prophet (ﷺ) said, "Time has come back to its original state which it had on the day Allah created the Heavens and the Earth. The year is twelve months, four of which are sacred, three of them are in succession, namely Dhul-Qa'da, Dhul Hijja and Muharram, (the fourth being) Rajab Mudar which is between Juma'da (ath-thamj and Sha'ban. The Prophet (ﷺ) then asked, "Which month is this?" We said, "Allah and his Apostle know better." He kept silent so long that we thought that he would call it by a name other than its real name. He said, "Isn't it the month of Dhul-Hijja?" We said, "Yes." He said, "Which town is this?" We said, "Allah and His Apostle know better." He kept silent so long that we thought that he would call it t,y a name other than its real name. He said, "isn't it the town (of Mecca)?" We replied, "Yes." He said, "What day is today?" We replied, "Allah and His Apostle know better." He kept silent so long that we thought that he would call it by a name other than its real name. He said, "Isn't it the day of Nahr?" We replied, "Yes." He then said, "Your blood, properties and honor are as sacred to one another as this day of yours in this town of yours in this month of yours. You will meet your Lord, and He will ask you about your deeds. Beware! Do not go astray after me by cutting the necks of each other. It is incumbent upon those who are present to convey this message to those who are absent, for some of those to whom it is conveyed may comprehend it better than some of those who have heard it directly." (Muhammad, the sub-narrator, on mentioning this used to say: The Prophet then said, "No doubt! Haven't I delivered (Allah's) Message (to you)? Haven't I delivered Allah's message (to you)?"
পরিচ্ছেদঃ ২৪৩৮. পিতা-মাতার নাফরমানী করা কবিরা গুনাহ
৫৫৫১। ইসহাক (রহঃ) ... আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে সতর্ক করব না? আমরা বললামঃ অবশ্যই সতর্ক করবেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা। এ কথা বলার সময় তিনি হেলান দিয়ে বসাছিলেন। এরপর (সোজা হয়ে) বসলেন এবং বললেনঃ মিথ্যা বলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া, দু’বার করে বললেন এবং ক্রমাগত এ কথাই বলে চললেন। এমনকি আমি বললাম, তিনি মনে হয় থামবেন না।
باب عُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ مِنَ الْكَبَائِرِ
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْوَاسِطِيُّ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُنَبِّئُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ". قُلْنَا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ، وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ ". وَكَانَ مُتَّكِئًا فَجَلَسَ فَقَالَ " أَلاَ وَقَوْلُ الزُّورِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ، أَلاَ وَقَوْلُ الزُّورِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ ". فَمَا زَالَ يَقُولُهَا حَتَّى قُلْتُ لاَ يَسْكُتُ.
Narrated Abu Bakra:
Allah's Messenger (ﷺ) said thrice, "Shall I not inform you of the biggest of the great sins?" We said, "Yes, O Allah's Messenger (ﷺ)" He said, "To join partners in worship with Allah: to be undutiful to one's parents." The Prophet (ﷺ) sat up after he had been reclining and added, "And I warn you against giving forged statement and a false witness; I warn you against giving a forged statement and a false witness." The Prophet kept on saying that warning till we thought that he would not stop.