পরিচ্ছেদঃ কাযী প্রসঙ্গে।
১৩২৫. মুহাম্মদ ইবনু আবদুল আ’লা (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু মাওহিব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু -কে বললেন, যাও, মানুষের মাঝে বিচার কার্য সম্পাদন কর। তিনি বললেন, হে আমীরুল মু’মিনীন, আপনি আমাকে এই বিষয়ে ক্ষমা করবেন? উসমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তুমি এটা না পছন্দ করছ কেন? অথচ তোমার পিতা (উমার) তো বিচার করতেন। ইবনু উমার বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- কে বলতে শুনেছি যে, কেউ যদি বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হয় আর সে যদি ন্যায় ভাবেও বিচার কার্য সম্পাদন করে তবে সে বরাবর আমল নিয়ে ফিরে আসবে এটা তার জন্য একটি কঠিন ব্যাপার। সুতরাং এরপর আমি কি আশা করতে পারি? - মিশকাত - তাহকিক ছানী ৩৭৪৩, তা’লীকুর রাগীব ২/১৩২, তা’লীক আলা আহাদিস মুখতারাহ ৩৪৮, ৩৪৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই হাদীসে একটি কাহিনীও রয়েছে। এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত রয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি গারীব। সনদটি আমার মতে মুত্তাসিল নয়। কেননা যে আবূল মালিক (রহঃ) থেকে এখানে মু’তামির (রহঃ) রিওয়ায়েত করেছেন তিনি হলেন, আবদুল মালিক ইবনু আবূ জামীলা।
باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَاضِي
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الْمَلِكِ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَوْهَبٍ، أَنَّ عُثْمَانَ، قَالَ لاِبْنِ عُمَرَ اذْهَبْ فَاقْضِ بَيْنَ النَّاسِ . قَالَ أَوَتُعَافِينِي يَا أَمِيرَ الْمُؤْمِنِينَ . قَالَ وَمَا تَكْرَهُ مِنْ ذَلِكَ وَقَدْ كَانَ أَبُوكَ يَقْضِي قَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ كَانَ قَاضِيًا فَقَضَى بِالْعَدْلِ فَبِالْحَرِيِّ أَنْ يَنْقَلِبَ مِنْهُ كَفَافًا " . فَمَا أَرْجُو بَعْدَ ذَلِكَ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ عِنْدِي بِمُتَّصِلٍ . وَعَبْدُ الْمَلِكِ الَّذِي رَوَى عَنْهُ الْمُعْتَمِرُ هَذَا هُوَ عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ .
'Abdullah bin Mawhab narrated that 'Uthman said to Ibn 'Umar:
"Go and judge between the people." So he said: "Perhaps you can excuse me (from that) O Commander of the Believers!" He said: "Why do you have an aversion for that when your father judged?" He said: "I heard the Messenger of Allah saying: 'Whoever was a judge and judged with justice, it still would have been better for him to have turned away from it completely.' What do I want after that?'" (Daif).
পরিচ্ছেদঃ কাযী প্রসঙ্গে।
১৩২৬. মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ..... বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কাযীগণ তিন ধরনের। দুই ধরণের কাযী জাহান্নামে যবে। আর যে কাযী না জেনে মানুষের হক নষ্ট করে ফেলে সেও জাহান্নামী হবে। আর এক ধরণের কাযী হল, যে ন্যায়ভাবে ফয়সালা করে সে জান্নাতে যাবে। - ইরওয়া ২৬১৪, মিশকাত ৩৭৩৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২২/২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَاضِي
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ سَعْدِ بْنِ عُبَيْدَةَ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْقُضَاةُ ثَلاَثَةٌ قَاضِيَانِ فِي النَّارِ وَقَاضٍ فِي الْجَنَّةِ رَجُلٌ قَضَى بِغَيْرِ الْحَقِّ فَعَلِمَ ذَاكَ فَذَاكَ فِي النَّارِ وَقَاضٍ لاَ يَعْلَمُ فَأَهْلَكَ حُقُوقَ النَّاسِ فَهُوَ فِي النَّارِ وَقَاضٍ قَضَى بِالْحَقِّ فَذَلِكَ فِي الْجَنَّةِ " .
[Ibn Buraidah narrated from his father that the Prophet (ﷺ) said:
"The judges are three: Two judges that are in the Fire, and a judge that is in Paradise. A man who judges without the truth, and he knows that. This one is in the Fire. One who judges while not knowing, ruining the rights of the people. So he is in the Fire. A judge who judges with the truth, that is the one in Paradise."]
পরিচ্ছেদঃ কাযী প্রসঙ্গে।
১৩২৭. হাননাদ (রহঃ) ....... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি বিচারকের পদ চেয়ে নেয় এতে এর দায়ভার তার নিজের উপরই ন্যাস্ত করে দেওয়া হয় আর যাকে এই কাজে বাধ্য করা হয় তার প্রতি আল্লাহ একজন ফিরিশতা নাযিল করেন যিনি তাকে সঠিক পথে অনুপ্রাণিত রাখেন। - ইবনু মাজাহ ২৩০৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَاضِي
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ بِلاَلِ بْنِ أَبِي مُوسَى، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ سَأَلَ الْقَضَاءَ وُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أُجْبِرَ عَلَيْهِ يُنْزِلُ اللَّهُ عَلَيْهِ مَلَكًا فَيُسَدِّدُهُ " .
Anas bin Malik narrated that the Messenger of Allah (sallAllahu Alayhi wa sallam) said:
"Whoever asks for a position as a judge, then he left on his own. And whoever is forced onto it, Allah sends an angel down to him so that he can be correct." (Daif)
পরিচ্ছেদঃ কাযী প্রসঙ্গে।
১৩২৮. আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) ..... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি সুপারিস ধরে বিচারকের পদ চেয়ে নেয় এর দায়ভার তার নিজের উপরই ন্যস্ত করা হয়। আর যাকে এ কাজে বাধ্য করা হয় তার প্রতি আল্লাহ তা’আলা একজন ফিরিশতা নাযিল করেন। যিনি তাকে সঠিক পথে অনুপ্রাণিত রাখেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-গারীব। এটি ইসরাঈল-আবদুল আ’লা সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি (১৩২৭ নং) থেকে অধিকতর সহীহ।
باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَاضِي
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، عَنْ أَبِي عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى الثَّعْلَبِيِّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ مِرْدَاسٍ الْفَزَارِيِّ، عَنْ خَيْثَمَةَ، وَهُوَ الْبَصْرِيُّ عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنِ ابْتَغَى الْقَضَاءَ وَسَأَلَ فِيهِ شُفَعَاءَ وُكِلَ إِلَى نَفْسِهِ وَمَنْ أُكْرِهَ عَلَيْهِ أَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ مَلَكًا يُسَدِّدُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَهُوَ أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ عَنْ عَبْدِ الأَعْلَى .
Anas narrated that the Prophet (ﷺ) said:
"Whoever seeks to be a judge, and asks others to intercede for him with it, then he will be left on his own. And whoever is coerced into it, Allah sends an angel down to him so that he can be correct." (Daif)
পরিচ্ছেদঃ কাযী প্রসঙ্গে।
১৩২৯. নাসর ইবনু আলী আল জাহযামী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যাকে লোকদের মাঝে বিচারক নিযুক্ত করা হল তাকে চুরি ছাড়াই যবাই করে দেওয়া হল। - ইবনু মাজাহ ২৩০৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। অন্য সনদে ও এটি আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقَاضِي
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ الْجَهْضَمِيُّ، حَدَّثَنَا الْفُضَيْلُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي عَمْرٍو، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ وَلِيَ الْقَضَاءَ أَوْ جُعِلَ قَاضِيًا بَيْنَ النَّاسِ فَقَدْ ذُبِحَ بِغَيْرِ سِكِّينٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . وَقَدْ رُوِيَ أَيْضًا مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Whoever takes the responsibility of judge, or is appointed as judge between the people, then he has been slaughtered without a knife."
পরিচ্ছেদঃ কাযী বা বিচারক ঠিকও করতে পারেন ভুলও করতে পারেন।
১৩৩০. হুসাইন ইবনু মাহদী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বিচারক যখন বিচার কার্য করে এবং এই বিষয়ে সে চুড়ান্ত প্রয়াস পায় আর এতে যদি তার রায় সঠিক হয় তবে তার জন্য হল দুইটি সওয়াব। আর যদি সে বিচারে ভুল করে তবে তার জন্য হল একটি সওয়াব। - ইবনু মাজাহ ২৩১৪, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আমর ইবনুল আস, উকবা ইবনু আমির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি এই সূত্রে হাসান-গারীব। আবদুর রাযযাক মা’মার (রহঃ) সূত্র ছাড়া সুফইয়ান ছাওরী ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ (রহঃ)- এর রিওয়ায়েত হিসাবে আমরা এটি সম্পর্কে পরিচিত নই।
باب مَا جَاءَ فِي الْقَاضِي يُصِيبُ وَيُخْطِئُ
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مَهْدِيٍّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا حَكَمَ الْحَاكِمُ فَاجْتَهَدَ فَأَصَابَ فَلَهُ أَجْرَانِ وَإِذَا حَكَمَ فَأَخْطَأَ فَلَهُ أَجْرٌ وَاحِدٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ الْعَاصِي وَعُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ . لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الرَّزَّاقِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ .
Abu Hurairah narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"When the judge passes a judgement in which he strived and was correct, then he receives two rewards. And when he judges and is mistaken, then he receives one reward."
পরিচ্ছেদঃ কাযী কিভাবে বিচার করবেন ?
১৩৩১. হাননাদ (রহঃ) ...... মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুআযকে প্রশাসক হিসাবে ইয়ামানে পাঠিয়েছিলেন। তখন তিনি তাকে বললেন, তুমি কিভাবে ফায়সালা দিবে। মুআয বললেন, আল্লাহর কিতাব অনুসারে ফায়সালা দিব। তিনি বললেন, আল্লাহর কিতাবে (সংশ্লিষ্ট বিষয়ে) যদি কিছু না থাকে? মুআয বললেন, রাসূলুল্লাহর সুন্নাহ অনুসারে ফয়সালা করব। তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূলের সুন্নাহও এও- যদি কিছু না থাকে? মুআয বললেন, আমি আমার বিবেক খাটিয়ে ইজতিহাদ করব। তিনি বললেন, ঐ আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি তাঁর রাসূলের দূতকে এই ধরণের তওফীক দিয়েছেন। - যইফা ৮৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي الْقَاضِي كَيْفَ يَقْضِي
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ الثَّقَفِيِّ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ رِجَالٍ، مِنْ أَصْحَابِ مُعَاذٍ عَنْ مُعَاذٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بَعَثَ مُعَاذًا إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ " كَيْفَ تَقْضِي " . فَقَالَ أَقْضِي بِمَا فِي كِتَابِ اللَّهِ . قَالَ " فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي كِتَابِ اللَّهِ " . قَالَ فَبِسُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ " فَإِنْ لَمْ يَكُنْ فِي سُنَّةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " . قَالَ أَجْتَهِدُ رَأْيِي . قَالَ " الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي وَفَّقَ رَسُولَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " .
Some men who were companions of Mu'adh narrated from Mu'adh that the Messenger of Allah (ﷺ) sent Mu'adh to Yemen, so he (ﷺ) said:
"How will you judge?" He said: "I will judge according to what is in Allah's Book." He said: "If it is not in Allah's Book ?" He said: "Then with the Sunnah of the Messenger of Allah (ﷺ)." He said: "If it is not in the Sunnah of Messenger of Allah (ﷺ)?" He said: "I will give in my view." He said: "All praise is due to Allah, the One Who made the messenger of the Messenger of Allah suitable."
পরিচ্ছেদঃ কাযী কিভাবে বিচার করবেন ?
১৩৩২. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই সুত্র ছাড়া হাদীসটি সম্পর্কে আমরা পরিচিত নই। আমার মতে এর সনদ মুত্তাসিল নয়। আবূ আওন সাকাফীর নাম হল মুহামমদ ইবনু উবায়দুল্লাহ। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي الْقَاضِي كَيْفَ يَقْضِي
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي عَوْنٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ عَمْرٍو ابْنُ أَخٍ، لِلْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنْ أُنَاسٍ، مِنْ أَهْلِ حِمْصٍ عَنْ مُعَاذٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ عِنْدِي بِمُتَّصِلٍ . وَأَبُو عَوْنٍ الثَّقَفِيُّ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ .
(Another chain of narrators) from some people from the inhabitants of Hims, from Mu'adh, from the Prophet (ﷺ), with similar.
পরিচ্ছেদঃ ন্যায়বান ইমাম ও শাসক।
১৩৩৩. আলী ইবনু মুনযির কূফী (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে প্রিয় এবং সবচে নিকটে উপবেশনকারী মানূষ হল ন্যায়নিষ্ঠ শাসক। আর সবচে ঘৃণ্য ও দুরের হল অত্যাচারী শাসক। - রাওয ২/৩৫৬,-৩৫৭, যইফা ১১৫৬, মিশকাত, তাহকিক ছানী ৩৭০৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩২৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবনু আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব। এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা জানিনা।
باب مَا جَاءَ فِي الإِمَامِ الْعَادِلِ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ الْمُنْذِرِ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ فُضَيْلِ بْنِ مَرْزُوقٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ أَحَبَّ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَأَدْنَاهُمْ مِنْهُ مَجْلِسًا إِمَامٌ عَادِلٌ وَأَبْغَضَ النَّاسِ إِلَى اللَّهِ وَأَبْعَدَهُمْ مِنْهُ مَجْلِسًا إِمَامٌ جَائِرٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Abu Sa'eed narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Indeed, the most beloved of people to Allah on the Day of Judgement, and the nearest to Him in the status is the just Imam. And the most hated of people to Allah and the furthest from Him in status is the oppressive Imam."
পরিচ্ছেদঃ ন্যায়বান ইমাম ও শাসক।
১৩৩৪. আবদুল কুদ্দুস ইবনু মুহাম্মদ আবূ বকর আত্তার (রহঃ) ....... ইবনু আবূ আওফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যতক্ষণ যুলুমে লিপ্ত না হবে ততক্ষণ আল্লাহ তা’আলা বিচারকের সঙ্গে থাকেন। যখন সে যুলুমে লিপ্ত হয় তখন তিনি তাকে ছেড়ে চলে যান আর শয়তান তাকে চিমটে ধরে। - ইবনু মাজাহ ২৩১২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীসটি গারীব। ইমরান কাত্তান (রহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা জানিনা।
باب مَا جَاءَ فِي الإِمَامِ الْعَادِلِ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ مُحَمَّدٍ أَبُو بَكْرٍ الْعَطَّارُ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي أَوْفَى، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ مَعَ الْقَاضِي مَا لَمْ يَجُرْ فَإِذَا جَارَ تَخَلَّى عَنْهُ وَلَزِمَهُ الشَّيْطَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عِمْرَانَ الْقَطَّانِ .
['Abdullah] Ibn Abi Al-Awfa narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"[Indeed] Allah is with the judge as long as he is not unjust. So when he is unjust, He leaves him and he is attended by Shaitan."
পরিচ্ছেদঃ বাদী-বিবাদী উভয় পক্ষের কথা না শুনে কাযী ফায়সালা দিবেন না।
১৩৩৫. হাননাদ (রহঃ) ..... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমার কাছে যখন দুই ব্যক্তি বিচার প্রার্থনা করে তখন অপর জনের কথা না শোনা পর্যন্ত প্রথম জনের কথার উপর ফায়সালা দিবে না। তাহলে অচিরেই তুমি জানতে পারবে তুমি কিভাবে বিচার করবে। আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, এরপর থেকে আমি কাযী হিসাবে থেকেছি। - ইরওয়া ২৬০০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এই হাদীসটি হাসান।
باب مَا جَاءَ فِي الْقَاضِي لاَ يَقْضِي بَيْنَ الْخَصْمَيْنِ حَتَّى يَسْمَعَ كَلاَمَهُمَا .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ حَنَشٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَقَاضَى إِلَيْكَ رَجُلاَنِ فَلاَ تَقْضِ لِلأَوَّلِ حَتَّى تَسْمَعَ كَلاَمَ الآخَرِ فَسَوْفَ تَدْرِي كَيْفَ تَقْضِي " . قَالَ عَلِيٌّ فَمَا زِلْتُ قَاضِيًا بَعْدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
'Ali narrated:
"The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'When two men come to you seeking judgement, do not judge for the first until you have heard the statement of the other. Soon you will know how to judge.'" 'Ali said: "I did not err since then."
পরিচ্ছেদঃ প্রজাবর্গের ইমাম।
১৩৩৬. আহমাদ ইবনু মানী’ (রহঃ) ...... আবূল হাসান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমর ইবনু মুররা রাদিয়াল্লাহু আনহু মুআয়িা রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলেছিলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, যে ইমাম ও শাসক অভাবী, প্রার্থী ও দরিদ্রদের থেকে দ্বার রুদ্ধ করে রেখে আল্লাহ তার প্রয়োজন, অভাবও দারিদ্রের সময় আকাশের দ্বার রুদ্ধ করে রাখবেন। অনন্তর মুআবিয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু জনৈক ব্যাক্তিকে মানুষের অভাব - অভিযোগ শোনার দায়িত্বে নিযুক্ত করেন। - মিশকাত - তাহকিক ছানী ৩৭২৮, সহিহাহ ৬২৯, সহিহ আবু দাউদ ২৬১৪, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে ইবন উমার (রাঃ) থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আমর ইবনু মুররা জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর কুনিয়াত বা উপনাম হল আবূ মারয়াম।
باب مَا جَاءَ فِي إِمَامِ الرَّعِيَّةِ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحَكَمِ، حَدَّثَنِي أَبُو الْحَسَنِ، قَالَ قَالَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ لِمُعَاوِيَةَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ إِمَامٍ يُغْلِقُ بَابَهُ دُونَ ذَوِي الْحَاجَةِ وَالْخَلَّةِ وَالْمَسْكَنَةِ إِلاَّ أَغْلَقَ اللَّهُ أَبْوَابَ السَّمَاءِ دُونَ خَلَّتِهِ وَحَاجَتِهِ وَمَسْكَنَتِهِ " . فَجَعَلَ مُعَاوِيَةُ رَجُلاً عَلَى حَوَائِجِ النَّاسِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ حَدِيثٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ . وَعَمْرُو بْنُ مُرَّةَ الْجُهَنِيُّ يُكْنَى أَبَا مَرْيَمَ .
Abul-Hasan narrated that 'Amr bin Murrah said to Mu'awiyah:
"I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'No Imam closes his door on one in need, dire straits and poverty, except that Allah closes the gates of the Heavens from his dire straits, his needs, and his poverty.' So Mu'awiyah appointed a man to look after the needs of the people."
পরিচ্ছেদঃ প্রজাবর্গের ইমাম।
১৩৩৭. আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ...... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী আবূ মারয়াম থেকে উক্ত মর্মের অনুরূপ বর্ণিত আছে। ইয়াযীদ ইবনু আবূ মারয়াম হলেন সিরিয়ার অধিবাসী, বুরায়দ ইবন আবূ মারয়াম হলেন কূফার অধিবাসী, আর আবূ মারয়াম-এর নাম হল, আমর ইবনু মুররা আল জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي إِمَامِ الرَّعِيَّةِ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي مَرْيَمَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُخَيْمِرَةَ، عَنْ أَبِي مَرْيَمَ، صَاحِبِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ بِمَعْنَاهُ . وَيَزِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ شَامِيٌّ وَبُرَيْدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ كُوفِيٌّ وَأَبُو مَرْيَمَ هُوَ عَمْرُو بْنُ مُرَّةَ الْجُهَنِيُّ .
(Another chain) from Abu Maryam the Companion of the Prophet (ﷺ), from the Prophet (ﷺ).
পরিচ্ছেদঃ ক্রোধান্বিত অবস্থায় কাযী বিচার করবেন না।
১৩৩৮. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা বিচার পতি উবায়দুল্লাহ ইবনু আবূ বকরাকে লিখেছিলেন, দুই ব্যক্তির মাঝে ক্রোধান্বিত অবস্থায় ফায়সালা করবে না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, ক্রোধান্বিত অবস্থায় কোন বিচারক যেন দুই ব্যক্তির মাঝে বিচার না করে। - ইবনু মাজাহ ২৩১৬, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ বকরা (রাঃ) -এর নাম হল নুফায়।
باب مَا جَاءَ لاَ يَقْضِي الْقَاضِي وَهُوَ غَضْبَانُ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كَتَبَ أَبِي إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ قَاضٍ أَنْ لاَ، تَحْكُمْ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ . فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحْكُمُ الْحَاكِمُ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو بَكْرَةَ اسْمُهُ نُفَيْعٌ .
'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated:
"My father wrote to 'Ubaidullah bin Abi Bakrah who was a judge: "Do not pass a judgement between two people while you are angry, for indeed I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'The judge should not judge between two people while he is angry.'"
পরিচ্ছেদঃ প্রশাসককূলের হাদীয়া গ্রহণ।
১৩৩৯. আবূ কুরায়ব (রহঃ) ...... মুআয ইবনু জাবাল (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ইয়ামান পাঠিয়েছিলেন। আমি যখন রওয়না করলাম আমার পিছনে একজনকে [আমাকে ডেকে আনার জন্য] পাঠালেন। আমি ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কেন একজনকে তোমার পিছনে পাঠালাম তা বুঝতে পেরেছ কি? তিনি বললেন, আমার অনুমতি ব্যতিরেকে কোন জিনিস নিবে না। কারণ এ-ও খিয়ানত। যে ব্যক্তি খিয়ানত করবে কিয়ামতের দিন তাকে অবশ্য যে বস্তু খিয়ানত করেছিল তা নিয়ে আসতে হবে। এর জন্যেই তোমাকে ডেকেছিলাম। এখন তোমার কাজে যাও। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আদী ইবনু আমীরা, বুরায়দা, মুসতাওরিদ ইবনু শদ্দার, আবূ হুমায়দ ও ইবনু উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, মুআয রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-গারীব। আবূ উসামা - দাউদ আওদী (রহঃ) এর রিওয়ায়েত হিসাবে এই সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমরা জানিনা।
باب مَا جَاءَ فِي هَدَايَا الأُمَرَاءِ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ يَزِيدَ الأَوْدِيِّ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْيَمَنِ فَلَمَّا سِرْتُ أَرْسَلَ فِي أَثَرِي فَرُدِدْتُ فَقَالَ " أَتَدْرِي لِمَ بَعَثْتُ إِلَيْكَ لاَ تُصِيبَنَّ شَيْئًا بِغَيْرِ إِذْنِي فَإِنَّهُ غُلُولٌ وَمَنْ يَغْلُلْ يَأْتِ بِمَا غَلَّ يَوْمَ الْقِيَامَةِ لِهَذَا دَعَوْتُكَ فَامْضِ لِعَمَلِكَ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَدِيِّ بْنِ عَمِيرَةَ وَبُرَيْدَةَ وَالْمُسْتَوْرِدِ بْنِ شَدَّادٍ وَأَبِي حُمَيْدٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ مُعَاذٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ أَبِي أُسَامَةَ عَنْ دَاوُدَ الأَوْدِيِّ .
Mu'adh bin Jabal narrated:
"The Messenger of Allah (ﷺ) dispatched me to Yemen. When I had left, he sent a message after me, so I returned and he said: 'Do you know why I sent a message to you ? Do not take anything without my permission, for that will be Ghulul, and whoever commits Ghulul, he comes with what he took on the Day of Judgement. This is why I called you, so now go and do your job.'"
পরিচ্ছেদঃ বিচার ক্ষেত্রে ঘুষখোর এবং ঘুষদাতা।
১৩৪০. কুতায়বা (রহঃ) ...... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিচার ক্ষেত্রে ঘুষখোর ও ঘুষদাতাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লা’নত করেছেন। - ইবনু মাজাহ ২৩১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আয়েশা, ইবনু হাদীদা ও উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান। এই হাদীসটি আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান, আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রেও বর্ণিত আছে। আবূ সালামা - তার পিতা আবদুর রহমান সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও এটি বর্ণিত আছে। তবে এটি সহীহ নয়। আমি আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমানকে বলতে শুনেছি যে, আবূ সালামা - আবদুল্লাহ ইবনু আমর সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি এই বিষয়ে বর্ণিত রিওয়ায়াত সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম ও সর্বাধিক সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي فِي الْحُكْمِ .
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي فِي الْحُكْمِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَعَائِشَةَ وَابْنِ حَدِيدَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي هُرَيْرَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرُوِيَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ يَصِحُّ . قَالَ وَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ يَقُولُ حَدِيثُ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ .
Abu Hurairah narrated:
"The Messenger of Allah (ﷺ) cursed the one who bribes and the one who takes a bribe for a judgement."
পরিচ্ছেদঃ বিচার ক্ষেত্রে ঘুষখোর এবং ঘুষদাতা।
১৩৪১. আবূ মূসা মুহাম্মদ ইবনু মুছান্না (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুষখোর এবং ঘুষদাতার উপর লা’নত করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান - সহীহ
باب مَا جَاءَ فِي الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي فِي الْحُكْمِ .
حَدَّثَنَا أَبُو مُوسَى، مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ الْعَقَدِيُّ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنْ خَالِهِ الْحَارِثِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، قَالَ لَعَنَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الرَّاشِي وَالْمُرْتَشِي . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
'Abdullah bin 'Amr narrated:
"The Messenger of Allah (ﷺ) cursed the one who bribes and the one who takes a bribe."
পরিচ্ছেদঃ হাদীয়া এবং দাওয়াত গ্রহণ করা।
১৩৪২. মুহাম্মদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু বাযী’ (রহঃ) ...... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমাকে যদি বকরীর পায়ের একটি খুরও হাদীয়া দেওয়া হয় তবুও অবশ্য তা গ্রহণ করব। তা আহারেরও যদি আমাকে দাওয়াত দেওয়া হয় তবুও তাতে আমি সাড়া দিব। - সহিহুল জা-মি’ মুখতাসার শামা-ইলুল মুহাম্মাদিয়া ২৯০, বুখারি, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আলী, আয়িশা, মুগীরা ইবনু শু’বা, মুআবিয়া ইবনু হায়দা ও আবদুর রহমান ইবনু আলকামা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ মূসা (রহঃ) বলেন, আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান - সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي قَبُولِ الْهَدِيَّةِ وَإِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَزِيعٍ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَوْ أُهْدِيَ إِلَىَّ كُرَاعٌ لَقَبِلْتُ وَلَوْ دُعِيتُ عَلَيْهِ لأَجَبْتُ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَعَائِشَةَ وَالْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ وَسَلْمَانَ وَمُعَاوِيَةَ بْنِ حَيْدَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَلْقَمَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Anas bin Malik narrated that Messenger of Allah (ﷺ) said:
"If trotter (lacking meat) were given to me I would accept it, and if I was invited to (a meal of) it I would accept."
পরিচ্ছেদঃ কারো স্বপক্ষে যদি এমন বস্তুর রায় দেওয়া হয় যা তার জন্য গ্রহণ করা উচিত নয় এতদসম্পর্কে কঠোর সতর্কবাণী।
১৩৪৩. হারূন ইবনু ইসহাক হামদানী (রহঃ) ...... উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আমার কাছে নানা বিষয়ে বিবাদ-মিমাংশার জন্যে এসে থাক। আমিওতো একজন মানুষ। হয়তো তোমার একজন প্রমাণ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে তার প্রতি পক্ষের তুলনায় অধিক কৌশলী। সুতরাং আমি যদি তোমাদের কারো জন্য এমন কোন বিষয়ের ফায়সালা দিয়ে দেই যা (প্রকৃতপক্ষে) তার প্রতি পক্ষ ভাইয়ের হক তবে সেই বস্তু তার জন্য জাহান্নামাগ্নি টুকরা বলে গন্য হবে। অতএব সে যেন (প্রকৃত অবস্থা জানা সত্বেও) তা গ্রহণ না করে। - ইবনু মাজাহ ২৩১৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে্ ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ عَلَى مَنْ يُقْضَى لَهُ بِشَيْءٍ لَيْسَ لَهُ أَنْ يَأْخُذَهُ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّكُمْ تَخْتَصِمُونَ إِلَىَّ وَإِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ وَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَلْحَنَ بِحُجَّتِهِ مِنْ بَعْضٍ فَإِنْ قَضَيْتُ لأَحَدٍ مِنْكُمْ بِشَيْءٍ مِنْ حَقِّ أَخِيهِ فَإِنَّمَا أَقْطَعُ لَهُ قِطْعَةً مِنَ النَّارِ فَلاَ يَأْخُذْ مِنْهُ شَيْئًا " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَعَائِشَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Umm Salamah narrated that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
"Indeed you come to me with your disputes, and I am only a human being, perhaps one of you is more eloquent at presenting his argument than the other. If I judge for one of you, giving him something from the rights of his brother, then it is only a piece of the Fire that I am giving him, so do not take anything from it."
পরিচ্ছেদঃ বাদীর দায়িত্ব হল সাক্ষী পেশ করা এবং বিবাদীর দায়িত্ব হল কসম করা।
১৩৪৪. কুতায়বা (রহঃ) ...... আলকামা ইবনু ওয়াইল তৎপিতা ওয়াইল রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হাযরামওতের এক ব্যক্তি এবং কিনদার আর এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এল। হাযরা মওতের লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, এই লোকটি আমার একটি যমীনের বিষয়ে আমার উপর প্রবল হয়ে গেছে (এবং তা দখল করে নিয়ে গেছে)। কিনদার লোকটি বলল, এতো আমার সম্পত্তি আমার দখলে আছে। এতে তার কোন হক নাই। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন হাযরামী লোকটিকে বললেন, তোমার কি কোন সাক্ষী আছে? সে বলল, জি না। তিনি তখন বললেন, তাহলে তো তুমি তার (বিবাদীর) কসম নিতে পারবে। লোকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ, এই লোকটি তো ফাসিক। কিসের উপর কসম কাটছে তাতে সে কোন পরওয়াই করবে না। সে তো বিন্দুমাত্র পরহেযগারী অবলম্বন করবে না। তিনি বললেন এ ছাড়া তো তুমি তার থেকে আর কিছু পেতে পার না। ওয়াইল রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, লোকটি তার প্রতিপক্ষের কসম নিতে অগ্রসর হল। সে যখন পিছন ফিরল তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই ব্যক্তি যদি অন্যায়ভাবে তোমার সম্পত্তি গ্রাস করার জন্য কসম খায় তবে সে এমতাবস্থায় আল্লাহর মূলাকাত করবে যে, তিনি তার থেকে (ক্রোধ ভরে) ফিরে থাকবেন। - ইরওয়া ২৬৩২, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৪০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উমার, ইবনু আব্বাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর এবং আশআছ ইবনু কায়স রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীসটি বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ওয়াইল ইবনু হুজুর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي أَنَّ الْبَيِّنَةَ عَلَى الْمُدَّعِي وَالْيَمِينَ عَلَى الْمُدَّعَى عَلَيْهِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ رَجُلٌ مِنْ حَضْرَمَوْتَ وَرَجُلٌ مِنْ كِنْدَةَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ الْحَضْرَمِيُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ هَذَا غَلَبَنِي عَلَى أَرْضٍ لِي . فَقَالَ الْكِنْدِيُّ هِيَ أَرْضِي وَفِي يَدِي لَيْسَ لَهُ فِيهَا حَقٌّ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلْحَضْرَمِيِّ " أَلَكَ بَيِّنَةٌ " . قَالَ لاَ . قَالَ " فَلَكَ يَمِينُهُ " . قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ الرَّجُلَ فَاجِرٌ لاَ يُبَالِي عَلَى مَا حَلَفَ عَلَيْهِ وَلَيْسَ يَتَوَرَّعُ مِنْ شَيْءٍ . قَالَ " لَيْسَ لَكَ مِنْهُ إِلاَّ ذَلِكَ " . قَالَ فَانْطَلَقَ الرَّجُلُ لِيَحْلِفَ لَهُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمَّا أَدْبَرَ " لَئِنْ حَلَفَ عَلَى مَالِكَ لِيَأْكُلَهُ ظُلْمًا لَيَلْقَيَنَّ اللَّهَ وَهُوَ عَنْهُ مُعْرِضٌ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَالأَشْعَثِ بْنِ قَيْسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
'Alqamah bin Wa'il [bin Hujr] narrated from his father who said:
"A man from Hadramawt and a man from Kindah came to the Prophet (ﷺ). The Hadrami said: 'O Messenger of Allah! This person took some land of mine.' The Kindi said:'It is my land, It is in my possession, and he has no right to it.' So the Prophet (ﷺ) said to the Hadrami:'Do you have proof?' He said: 'No.' He said: 'Then you will have the oath.' He said: 'O Messenger of Allah! This man is a liar, it makes not difference what he takes an oath for, he is not ashamed of doing anything!' He said: 'There is nothing you deserve from him except that.' He said: So the man was left to take an oath for it, and in the meantime, the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'If he takes an oath [for your property] to wrongfully consume it, He will meet Allah while He is angry with him."