আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৩১ টি

পরিচ্ছেদঃ ৩০১৭. রাগের অবস্থায় বিচারক বিচার করতে এবং মুফতী ফাতওয়া দিতে পারবেন কি

৬৬৭২। আদম (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আবূ বকরা (রাঃ) তাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন- সে সময় তিনি সিজিস্থানে অবস্থানরত ছিলেন যে, তুমি রাগের অবস্থায় বিবাদমান দু’ব্যাক্তির মাঝে ফায়সালা করো না। কেননা, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে কোন বিচারক রাগের অবস্থায় দু’জনের মধ্যে বিচার করবে না।

باب هَلْ يَقْضِي الْحَاكِمُ أَوْ يُفْتِي وَهْوَ غَضْبَانُ

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ، سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كَتَبَ أَبُو بَكْرَةَ إِلَى ابْنِهِ وَكَانَ بِسِجِسْتَانَ بِأَنْ لاَ تَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ، فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَقْضِيَنَّ حَكَمٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهْوَ غَضْبَانُ ‏"‏‏.‏


Narrated `Abdur Rahman bin Abi Bakra: Abu Bakra wrote to his son who was in Sijistan: 'Do not judge between two persons when you are angry, for I heard the Prophet (ﷺ) saying, "A judge should not judge between two persons while he is in an angry mood."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. ক্রোধান্বিত অবস্থায় বিচারকের বিচার করা নিষিদ্ধ

৪৩৪১। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, আমার পিতা সিজিস্তানের বিচারক আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) কে একটি পত্র লিখলেন (তার পক্ষে আমি লিখে দিলাম) যে, আপনি রাগাম্বিত অবস্থায় দু’জনের মধ্যে বিচার করবেন না। কেননা আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, কোন বিচারক যেন রাগাম্বিত অবস্থায় দু’জনের মধ্যে বিচার না করেন।

باب كَرَاهَةِ قَضَاءِ الْقَاضِي وَهُوَ غَضْبَانُ ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، بْنِ أَبِي بَكْرَةَ ‏.‏ قَالَ كَتَبَ أَبِي - وَكَتَبْتُ لَهُ - إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ قَاضٍ بِسِجِسْتَانَ أَنْ لاَ، تَحْكُمَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَحْكُمْ أَحَدٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ ‏"‏ ‏.‏


Abd al-Rahman b. Abu Bakra reported: My father dictated (and I wrote for him) to Ubaidullah b. Abu Bakra while he was the judge of Sijistan: Do not judge between two persons when you are angry, for I have heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: None of you should judge between two persons when he is angry.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. হারাম বা সম্মানিত মাসসমূহ।

১৯৪৫. মুসাদ্দাদ (রহঃ) ..... ইবন আবূ বকরা (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নহরের দিন খু্তবা প্রদানকালে বলেন, আল্লাহ্ তা’আলার যমীন ও আসমান সৃষ্টির সময় হতে সময় চক্রাকারে ঘুরছে। আর বছর হলো বার মাসে। তম্মধ্যে চারটি হারামের মাস। এগুলোর মধ্যে তিনটি পর্যায়ক্রমে এসেছে, যেমন- যিল-কা’আদা, যিল-হাজ্জা, আর চতুর্থ মাসটি হল রজব। আর এটা জুমাদাস সানী ও শা’বানের মধ্যবর্তীতে।

باب الأَشْهُرِ الْحُرُمِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ فِي حَجَّتِهِ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّ الزَّمَانَ قَدِ اسْتَدَارَ كَهَيْئَتِهِ يَوْمَ خَلَقَ اللَّهُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضَ السَّنَةُ اثْنَا عَشَرَ شَهْرًا مِنْهَا أَرْبَعَةٌ حُرُمٌ ثَلاَثٌ مُتَوَالِيَاتٌ ذُو الْقَعْدَةِ وَ ذُو الْحِجَّةِ وَالْمُحَرَّمُ وَرَجَبُ مُضَرَ الَّذِي بَيْنَ جُمَادَى وَشَعْبَانَ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abu Bakrah: The Prophet (ﷺ) gave a sermon during his hajj and said: Time has completed a cycle and assumed the form of the day when Allah created the heavens and the earth. The year contains twelve months of which four are sacred, three of them consecutive, viz. Dhul-Qa'dah, Dhul-Hijjah and Muharram and also Rajab of Mudar which comes between Jumadah and Sha'ban.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯৭. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়।

২৩১৭. মুসাদ্দাদ ...... আবদুর রহমান ইবন আবূ বকরা তাঁর পিতা হতে, তিনি নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, দু’ ঈদের মাস সাধারণত (ত্রিশ দিনের) কম হয় না এবং তা হল রামাযান ও যিলহাজ্জ মাস। (অর্থাৎ একই বছর উভয় মাস ২৯ দিনের হয় না। বরং একটি ৩০ দিনের ও অপরটি ২৯ দিনেরও হতে পারে। )

باب الشَّهْرِ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ وَذُو الْحِجَّةِ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Abu Bakrah: The Prophet (ﷺ) as saying: The two months of 'Id (festival), Ramadan and Dhu al-Hijjah, are not defective.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১০. তোশামোদের অপকারিতা সম্পর্কে।

৪৭৩০. আহমদ ইবন ইউনুস (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবন আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে অপর এক ব্যক্তির প্রশংসা করলে, তিনি তিনবার এরূপ বলেনঃ তুমি তোমার সাথীর গলা কেটে ফেললে। এরপর তিনি বলেনঃ যখন তোমরা কেউ অপর কারো প্রশংসা করতে চাবে, তখন এরূপ বলবেঃ আমি তাকে এরূপ মনে করি, কিন্তু আল্লাহ্‌র কাছে তাকে নির্দোষ বলে ধারণা করি না।

باب فِي كَرَاهِيَةِ التَّمَادُحِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ، عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، أَثْنَى عَلَى رَجُلٍ عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُ ‏"‏ قَطَعْتَ عُنُقَ صَاحِبِكَ ‏"‏ ‏.‏ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِذَا مَدَحَ أَحَدُكُمْ صَاحِبَهُ لاَ مَحَالَةَ فَلْيَقُلْ إِنِّي أَحْسِبُهُ كَمَا يُرِيدُ أَنْ يَقُولَ وَلاَ أُزَكِّيهِ عَلَى اللَّهِ ‏"‏ ‏.‏


Abu Bakrah said that when a man praised another man in his face in the presence of the Prophet (ﷺ) said : You have beheaded your friend (saying it three times). He then said : One who cannot help expressing praise of his companion, should say : I consider him such and such (as he intends to say), but I do not declare him pure with Allah.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৮. সকাল বেলা কোন দু'আ পড়বে- সে সস্পর্কে।

৫০০২. আব্বাস ইবন আবদুল আজীম (রহঃ) ...... আবদূর রহমান ইবন আবূ বকরা (রহঃ) একদা তার পিতাকে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আমার পিতা! আমি আপনাকে প্রত্যেক দিন সকাল ও সন্ধ্যায় এ দু’আটি তিনবার পাঠ করতে শুনি, এর কারণ কি? দু’আ হলোঃ ’ইয়া আল্লাহ্‌! আমার দেহকে রোগমুক্ত রাখুন, আমার কান ও চোখকে রোগমুক্ত রাখুন, আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই।’ জবাবে তিনি বলেনঃ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ দু’আ পাঠ করতে শুনেছি; আমি তাঁর সুন্নাতের উপর আমল করতে পসন্দ করি।

রাবী আব্বাস (রহঃ) এক বর্ণনায় বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ ইয়া আল্লাহ্‌! আমি আপনার কাছে কুফরী ও মুহতাজী থেকে পানাহ চাই। হে আল্লাহ্‌! আমি আপনার কাছে কবরের আযাব থেকে পানাহ চাই। আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। তিনি এ দু’আ তিনবার পাঠ করতেন-সকালে এবং সন্ধ্যায়। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এ দু’আ পাঠ করতে শুনেছি; আমি তার সুন্নাতের উপর আমল করতে পসন্দ করি।

রাবী বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বিপদগ্রস্ত লোকের দু’আ হলোঃ ইয়া আল্লাহ্‌! আমি আপনার রহমতের প্রত্যাশী, আপনি আমাকে আমার নাফসের হাতে সমর্পণ করবেন না এক মুহূর্তের জন্য। আর আপনি আমার সব ব্যাপার সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করে দিন। আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই। কোন কোন বর্ণনাকারী শব্দের মধ্যে বেশী-কম করে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا يَقُولُ إِذَا أَصْبَحَ

حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ عَبْدِ الْعَظِيمِ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ عَبْدِ الْجَلِيلِ بْنِ عَطِيَّةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مَيْمُونٍ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ، أَنَّهُ قَالَ لأَبِيهِ يَا أَبَةِ إِنِّي أَسْمَعُكَ تَدْعُو كُلَّ غَدَاةٍ اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَدَنِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي سَمْعِي اللَّهُمَّ عَافِنِي فِي بَصَرِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي ‏.‏ فَقَالَ إِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُو بِهِنَّ فَأَنَا أُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ ‏.‏ قَالَ عَبَّاسٌ فِيهِ وَتَقُولُ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ وَالْفَقْرِ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ تُعِيدُهَا ثَلاَثًا حِينَ تُصْبِحُ وَثَلاَثًا حِينَ تُمْسِي فَتَدْعُو بِهِنَّ فَأُحِبُّ أَنْ أَسْتَنَّ بِسُنَّتِهِ قَالَ وَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ دَعَوَاتُ الْمَكْرُوبِ اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ‏"‏ ‏.‏ وَبَعْضُهُمْ يَزِيدُ عَلَى صَاحِبِهِ ‏.‏


Narrated AbuBakrah: AbdurRahman ibn AbuBakrah said that he told his father: O my father! I hear you supplicating every morning: "O Allah! Grant me health in my body. O Allah! Grant me good hearing. O Allah! Grant me good eyesight. There is no god but Thou." You repeat them three times in the morning and three times in the evening. He said: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) using these words as a supplication and I like to follow his practice. The transmitter, Abbas, said in this version: And you say: "O Allah! I seek refuge in Thee from infidelity and poverty. O Allah! I seek refuge in Thee from punishment in the grave. There is no god but Thee". You repeat them three times in the morning and three times in the evening, and use them as a supplication. I like to follow his practice. He said: The Messenger of Allah (ﷺ) said: The supplications to be used by one who is distressed are: "O Allah! Thy mercy is what I hope for. Do not abandon me to myself for an instant, but put all my affairs in good order for me. There is no god but Thou." Some transmitters added more than others.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮. মীমাংসাকারীর জন্য যা পরিত্যাজ্য

৫৪০৫. কুতায়বা (রহঃ) ... আব্দুর রহমান ইবন আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার পিতা আমার দ্বারা সিজিস্তানের বিচারপতি উবায়দুল্লাহ ইবন আবূ বকরাকে লিখে পাঠান যে, তুমি রাগান্বিত অবস্থায় দুই ব্যক্তির মধ্যে মীমাংসা করবে না। কেননা আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমাদের মধ্যে কেউ যেন রাগান্বিত অবস্থায় দুই ব্যাক্তির মধ্যে মীমাংসা না করে।

ذِكْرُ مَا يَنْبَغِي لِلْحَاكِمِ أَنْ يَجْتَنِبَهُ

أَخْبَرَنَا قُتَيْبَةُ قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ كَتَبَ أَبِي وَكَتَبْتُ لَهُ إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ قَاضِي سِجِسْتَانَ أَنْ لَا تَحْكُمَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ لَا يَحْكُمْ أَحَدٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ


It was narrated that 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah said: "My father wrote to 'Ubaidullah bin Abi Bakrah - who was the judge of Sijistan - saying: 'Do not pass judgment between two people when you are angry, for I heard the Messenger of Allah [SAW] say: No one should pass judgment between two people when he is angry.'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ক্রোধান্বিত অবস্থায় কাযী বিচার করবেন না।

১৩৩৮. কুতায়বা (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা বিচার পতি উবায়দুল্লাহ ইবনু আবূ বকরাকে লিখেছিলেন, দুই ব্যক্তির মাঝে ক্রোধান্বিত অবস্থায় ফায়সালা করবে না। কেননা, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, ক্রোধান্বিত অবস্থায় কোন বিচারক যেন দুই ব্যক্তির মাঝে বিচার না করে। - ইবনু মাজাহ ২৩১৬, নাসাঈ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩৩৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ বকরা (রাঃ) -এর নাম হল নুফায়।

باب مَا جَاءَ لاَ يَقْضِي الْقَاضِي وَهُوَ غَضْبَانُ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كَتَبَ أَبِي إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ قَاضٍ أَنْ لاَ، تَحْكُمْ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ ‏.‏ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَحْكُمُ الْحَاكِمُ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرَةَ اسْمُهُ نُفَيْعٌ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated: "My father wrote to 'Ubaidullah bin Abi Bakrah who was a judge: "Do not pass a judgement between two people while you are angry, for indeed I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'The judge should not judge between two people while he is angry.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

১৫২৬। হাসান ইবনু আলী আল-খাললাল (রহঃ) ... আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বকরা তাঁর পিতা আবূ বকরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের দিন খুতবা দিলেন এবং এরপর নিচে নেমে আসলেন এবং দুটো মেষ আনতে বললেন। এরপর সে দুটো যবাহ করলেন। সহীহ, মুসলিম ৫/১০৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান-সহিহ।

باب

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ السَّمَّانُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِكَبْشَيْنِ فَذَبَحَهُمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah: From his father, that the Prophet (ﷺ) gave a Khutbah, then he descended and called for two rams and slaughtered them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পিতা মাতার নাফরমানী।

১৯০৭। হুমায়দ ইবনু মাসআদা (রহঃ) ... আবদুর রহমান আবূ বকরা তার পিতা আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহগুলো সম্পর্কে তোমাদের কি বলব না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই বলুন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! তিনি বললেন, আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা। বর্ণনাকারী বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসা অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু তিনি সোজা হয়ে বসে গেলেন এবং বললেন, আর হল মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান কিংবা তিনি বলেছেন, মিথ্যা উক্তি। তিনি এটিকে বারবার এমনভাবে বলতে লাগলেন যে, আমরা ভাবছিলাম, আহা, তিনি যদি চুপ করতেন! সহীহ, গায়াতুল মারাম ২৭৭, বুখারী, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহ-এর নাম হল নুফায় ইবনুল-হারিছ।

باب مَا جَاءَ فِي عُقُوقِ الْوَالِدَيْنِ ‏

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَجَلَسَ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَقَالَ ‏"‏ وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ ‏"‏ ‏.‏ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرَةَ اسْمُهُ نُفَيْعُ بْنُ الْحَارِثِ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated from his father who said: " The messenger of Allah said: 'Shall I not tell you of the biggest of the major sins?' they said : 'Of course! O Messenger of Allah!' He said: 'To join partners with Allah, and disobeying one's parents.'"He said : " He sat up, and he had been reclining. He said: 'And false testimony, or false speech.' And the Messenger of Allah would not stop saying it until we said (to ourselves): 'I wish that he would stop.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ইবন সায়্যাদ প্রসঙ্গে বর্ণনা।

২২৫১. আবদুল্লাহ ইবন মুআবিয়া জুমাহী (রহঃ) ..... আবদুর রাহমান ইবন আবূ বকরা তার পিতা আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাজ্জালের পিতা-মাতা ত্রিশ বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করবে তাদের কোন সন্তান হবে না। পরে তাদের এক কানা শিশুর জন্ম হবে। যা হবে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত অনুপোকারী। তার চোখ তো হবে নিদ্রিত কিন্তু অন্তর হবে না।

এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। বললেনঃ তার পিতা হবে লম্বা, পাতলা গড়ানের। তার নাকটা যেন পাখির ঠোট। তার মা হবে স্থুলকায়, সুদীর্ঘ স্তন বিশিষ্টা মহিলা।

আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেনঃ মদীনায় ইয়াহুদীদের একটি সন্তানের কথা শুনে আমি এবং যুবায়র ইবন আওওয়াম সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার কাছে গিয়ে দেখলাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা বলেছিলেন এরা ঠিক তদ্রুপ। আমরা বললামঃ তোমাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বললঃ ত্রিশ বছর আমাদের কোন সন্তান হয় নাই। এরপর একটি কানা বাচ্চা হয়েছে। সে সবচেয়ে ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দুচোখ তো ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।

আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহ বললেনঃ আমরা তাদের ওখান থেকে বের হয়ে এলাম। হঠাত দেখি বালকটি একটি চাঁদর লেপটে রোদে শুয়ে আছে আর বিড় বিড় করছে। সে তার মাথা থেকে কাপড় সরাল, বলল, তোমরা কি বলছ?

আমরা বললামঃ আমরা কি বলেছি তুমি শুনেছ নাকি?

সে বললঃ হ্যাঁ, আমার দু’চোখ ঘুমায়, আমার অন্তর ঘুমায় না। যঈফ, মিশকাত, তাহকিক ছানী ৫৫০৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-গারীব। হাম্মাদ ইবন সালামা (রহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই।

بَابُ مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَيَّادٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَمْكُثُ أَبُو الدَّجَّالِ وَأُمُّهُ ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ أَبُوهُ طِوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فَرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُودِ بِالْمَدِينَةِ فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ فَقَالاَ مَكَثْنَا ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مُنْجَدِلٌ فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ فَقَالَ مَا قُلْتُمَا قُلْنَا وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا قَالَ نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَاىَ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ ‏.‏


It was narrated from 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah from his father who said: "The Messenger of Allah(s.a.w) said: 'The father of the Dajjal and hid mother, will abide for thirty years without bearing a son. Then a boy shall be born to them, having one eye in which there is some defect, providing little use. His eyes sleep but his heart does not sleep.' Then the Messenger of Allah(s.a.w) described his parents for us: 'His father is tall, with little fat, with a nose as if it were a beak. His mother is a bulky woman with long breasts.'" So Abu Bakrah said: "I heard about a child being born to some Jews in Al-Madinah. So Az-Zubair bin Al-'Awwam and I went until we entered upon his parents. They appeared as the Messenger of Allah(s.a.w) had described them. We said: 'Do you have any children?' They said: 'We remained for thirty years without any children being born to us, then we bore a boy, having one eye in which there is some defect, providing little use. His eyes sleep but his heart does not sleep.'" He said: "So we were leaving them, when he appeared, glittering in the sunlight in a velvet garment, murmuring something. He uncovered his head and said: 'What were you saying?' We said: 'Did you hear what we were saying?' He said: 'Yes, that my eyes sleep but my heart does not sleep.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান।

২৩০৪. হুমায়দ ইবন মাসআদা (রহঃ) ...... আবদুর রহমান ইবন আবূ বকরা তার পিতা আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের আমি সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব কি? সাহাবীরা বললেনঃ অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা বলেছেন মিথ্যা কথা বলা। আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতবার কথাটি বলতে থাকলেন যে, আমরা ভাবতে লাগলাম, তিনি যদি চুপ করতেন। সহীহ, গায়াতুল মারাম ২৭৭, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।

بَابُ مَا جَاءَ فِي شَهَادَةِ الزُّورِ

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated from his father that the Messenger of Allah (s.a.w) said: "Shall I not inform you of the greatest of the major sins?" They said: "Of course O Messenger of Allah(s.a.w)!" He said: "Shirk with Allah disobeying parents, and false testimony." Or: "False speech" He said: "So the Messenger of Allah(s.a.w) would not stop saying it until we said ( to ourselves): 'I wish he would be quiet. "


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ এতদসম্পর্কে আরো একটি অনুচ্ছেদ।

২৩৩৩. আবূ হাফস আমর ইবন আলী (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবন আবূ বকরা তার পিতা আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, জনৈক ব্যক্তি একবার বললঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, লোকদের মধ্যে সবচে ভাল কে? তিনি বললেনঃ যার জীবন হল দীর্ঘ এবং আমল হয় নেক। লোকটি বললঃ সবচে মন্দ লোক কে? তিনি বললেনঃ যার জীবন হল দীর্ঘ এবং আমল হয় খারাপ।

পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩৩০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান-সহীহ।

باب مِنْهُ

حَدَّثَنَا أَبُو حَفْصٍ، عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَىُّ النَّاسِ خَيْرٌ قَالَ ‏"‏ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَحَسُنَ عَمَلُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَأَىُّ النَّاسِ شَرٌّ قَالَ ‏"‏ مَنْ طَالَ عُمُرُهُ وَسَاءَ عَمَلُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Abi-Bakrah narrated from his father that a man said: "O Messenger of Allah! Which of the people is the best?" He said: "He whose life is long and his deeds are good." He said: "Then which of the people is the worst?" He said: "He whose life is long and his deeds are bad."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩০/১২. ঈদের দুই মাস কম হয় না।

قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ قَالَ إِسْحَاقُ وَإِنْ كَانَ نَاقِصًا فَهُوَ تَمَامٌ وَقَالَ مُحَمَّدٌ لاَ يَجْتَمِعَانِ كِلاَهُمَا نَاقِصٌ

আবূ আবদুল্লাহ বলেন, ইসহাক বলেছেন, যদি কম (ঊনত্রিশ) হয় সেটাই পূর্ণ হিসেবে গণ্য। আর মুহাম্মাদ বলেন, (একই বছরে) উভয় ঈদ অপূর্ণ (ঊনত্রিশদিনের) মাস হবে না।


১৯১২. ‘আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’টি মাস কম হয় না। তা হল ঈদের দু’মাস- রমাযানের মাস ও যুলহাজ্জের মাস। আবূ ‘আবদুল্লাহ (রহ.) বলেছেন, আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহ.) বলেন, রমাযান ঘাটতি হলে যুলহাজ্জ পূর্ণ হবে। আর যুলহাজ্জ ঘাটটি হলে রমাযান পূর্ণ হবে। আবুল হাসান (রহ.) বলেন, ইসহাক ইবনু রাহওয়াই (রহ.) বলেন, ফাযীলতের দিক হতে এ দু’ মাসে কোন ঘাটতি নেই, মাস ঊনত্রিশ দিনে হোক বা ত্রিশ দিনে হোক। (মুসলিম ১৩/৭, হাঃ ১০৮৯, আহমাদ ২০৫০১)  (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৭৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭৮৮)

 

بَاب شَهْرَا عِيدٍ لاَ يَنْقُصَانِ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ قَالَ سَمِعْتُ إِسْحَاقَ بْنَ سُوَيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمٰنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَحَدَّثَنِي مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ الرَّحْمٰنِ بْنُ أَبِي بَكْرَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ شَهْرَانِ لاَ يَنْقُصَانِ شَهْرَا عِيدٍ رَمَضَانُ وَذُو الْحَجَّةِ


Narrated Abu Bakra: The Prophet (ﷺ) said, "The two months of `Id i.e. Ramadan and Dhul-Hijja, do not decrease (in superiority).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১৩. রাগের হালতে বিচারক বিচার করতে এবং মুফ্তী ফাত্ওয়া দিতে পারবেন কি?

৭১৫৮. ’আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকরাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, আবূ বকরাহ (রাঃ) তাঁর ছেলেকে লিখে পাঠালেন- সে সময় তিনি সিজিস্তানে অবস্থান করছিলেন- যে তুমি রাগের হালতে বিবদমান দু’ লোকের মাঝে ফায়সালা করো না। কেননা, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, কোন বিচারক রাগের হালতে দু’জনের মধ্যে বিচার করবে না। [মুসলিম ৩০/৭, হাঃ ১৭১৭, আহমাদ ২০৪০১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৭২)

بَاب هَلْ يَقْضِي الْقَاضِي أَوْ يُفْتِي وَهُوَ غَضْبَانُ

آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ عُمَيْرٍ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ أَبِي بَكْرَةَ قَالَ كَتَبَ أَبُو بَكْرَةَ إِلَى ابْنِهِ وَكَانَ بِسِجِسْتَانَ بِأَنْ لاَ تَقْضِيَ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ فَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ يَقْضِيَنَّ حَكَمٌ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ.


Narrated `Abdur Rahman bin Abi Bakra: Abu Bakra wrote to his son who was in Sijistan: 'Do not judge between two persons when you are angry, for I heard the Prophet (ﷺ) saying, "A judge should not judge between two persons while he is in an angry mood."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. বিচারক কখনো উত্তেজিত হয়ে বিচারকার্য করবেন না

১৩৩৪। আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ বকরা একজন বিচারক ছিলেন। আমার আব্বা তাকে লিখে পাঠালেন, তুমি উত্তেজিত অবস্থায় কখনো দুই পক্ষের মধ্যে বিচারকার্য সমাধা করবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ বিচারক রাগের অবস্থায় যেন দুই পক্ষের মধ্যে বিচারকার্য পরিচালনা না করে।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৩১৬), নাসা-ঈ

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। আবূ বকরা (রাঃ)-এর নাম নুফাই।

باب مَا جَاءَ لاَ يَقْضِي الْقَاضِي وَهُوَ غَضْبَانُ ‏.‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، قَالَ كَتَبَ أَبِي إِلَى عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ وَهُوَ قَاضٍ أَنْ لاَ، تَحْكُمْ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَأَنْتَ غَضْبَانُ ‏.‏ فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ لاَ يَحْكُمُ الْحَاكِمُ بَيْنَ اثْنَيْنِ وَهُوَ غَضْبَانُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرَةَ اسْمُهُ نُفَيْعٌ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated: "My father wrote to 'Ubaidullah bin Abi Bakrah who was a judge: "Do not pass a judgement between two people while you are angry, for indeed I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'The judge should not judge between two people while he is angry.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১. (ঈদের নামায আদায়ের পর কুরবানী করা প্রসঙ্গে)

১৫২০। আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকরা (রহঃ) হতে তার বাবার সুত্রে বর্ণিত আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈদের নামাযের (পর) খুৎবা প্রদান করলেন। তারপর মিম্বার হতে নেমে দুটি মেষ আনতে বললেন। তারপর এ দু’টোকে তিনি যবেহ করলেন।

সহীহ, মুসলিম (৫/১০৮)

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

باب

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، حَدَّثَنَا أَزْهَرُ بْنُ سَعْدٍ السَّمَّانُ، عَنِ ابْنِ عَوْنٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم خَطَبَ ثُمَّ نَزَلَ فَدَعَا بِكَبْشَيْنِ فَذَبَحَهُمَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah: From his father, that the Prophet (ﷺ) gave a Khutbah, then he descended and called for two rams and slaughtered them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়া কাবীরা গুনাহ

১৯০১। আবদুর রাহমান ইবনু আবী বাকরা (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (আবূ বকরা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদেরকে সর্বাধিক কাবীরা গুনাহের ব্যাপারে জানিয়ে দিবো না? সাহাবীগণ বললেন, হে আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। অবশ্যই জানিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার সাথে অংশীদারিতু স্থাপন করা এবং বাবা-মায়ের অবাধ্য হওয়া।

বর্ণনাকারী বলেন, তিনি হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি সোজা হয়ে বসেন এবং বলেনঃ এবং মিথ্য সাক্ষ্য দেয়া ও মিথ্যা বলা। একথাটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অবিরতভাবে বলতে থাকেন। আমরা (মনে মনে) বলতে লাগলাম, আহা! তিনি যদি থামতেন, চুপ করতেন!

সহীহ, গাইয়াতুল মারাম (২৭৭), বুখারী মুসলিম

আবূ সাঈদ (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ বকরার নাম নুফাই, পিতা আল-হারিস।

باب مَا جَاءَ فِي عُقُوقِ الْوَالِدَيْنِ ‏

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَجَلَسَ وَكَانَ مُتَّكِئًا فَقَالَ ‏"‏ وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ ‏"‏ ‏.‏ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَأَبُو بَكْرَةَ اسْمُهُ نُفَيْعُ بْنُ الْحَارِثِ ‏.‏


'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated from his father who said: " The messenger of Allah said: 'Shall I not tell you of the biggest of the major sins?' they said : 'Of course! O Messenger of Allah!' He said: 'To join partners with Allah, and disobeying one's parents.'"He said : " He sat up, and he had been reclining. He said: 'And false testimony, or false speech.' And the Messenger of Allah would not stop saying it until we said (to ourselves): 'I wish that he would stop.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৩. ইবনু সাইয়্যাদ প্রসঙ্গে

২২৪৮। আবদুর রহমান ইবনু আবূ বকরা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দাজ্জালের পিতা-মাতার ত্রিশ বছর পর্যন্ত কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করবে না। তারপর একটি কানা ছেলে জন্ম নেবে। সে হবে খুবই ক্ষতিকর এবং অত্যন্ত অনুপকারী। তার দুই চোখ ঘুমালেও তার অন্তর ঘুমাবে না।

তারপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের নিকটে তার পিতা-মাতার বিবরণ দিলেন। তিনি বললেনঃ তার পিতার দৈহিক আকৃতি হবে লম্বাটে, হালকা-পাতলা গড়নের এবং তার নাকটা হবে পাখীর ঠোটের মত লম্বা। আর তার মা হবে স্থূলকায়, মোটা ও লম্বা হস্তবিশিষ্টা।

আবূ বকরা (রাঃ) বলেন, তারপর এক সময় আমরা শুনতে পেলাম যে, মদীনার ইয়াহুদী পরিবারে একটি সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে। তখন আমি ও যুবাইর ইবনুল আওয়াম (রাঃ) সেখানে গেলাম। আমরা তার পিতা-মাতার নিকট উপস্থিত হলাম এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বর্ণিত বিবরণ তাদের মাঝে দেখতে পেলাম। আমরা প্রশ্ন করলাম, আপনাদের কোন সন্তান আছে কি? তারা বলল, আমাদের ত্রিশ বছরের দাম্পত্য জীবনে কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করেনি। অবশেষে আমাদের একটি কানা পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে, কিন্তু সে অধিক ক্ষতিকর এবং কম উপকারী। তার দু’চোখ ঘুমায় কিন্তু তার অন্তর ঘুমায় না।

রাবী বলেন, আমরা তাদের নিকট হতে বের হয়ে এসে দেখলাম সে রোদে চাঁদর মুড়ি দিয়ে পড়ে আছে এবং বিড়বিড় করছে। সে তার চাঁদর হতে মাথা বের করে প্রশ্ন করল, তোমরা কি বলেছ? আমরা বললাম, তুমি কি আমাদের কথা শুনতে পেরেছ? সে বলল, হ্যাঁ। কেননা আমার দু’চোখ ঘুমিয়ে থাকলেও আমার অন্তর ঘুমায় না।

যঈফ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৫৫০৩)

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। শুধুমাত্র হাম্মাদ ইবনু সালমার সূত্রেই আমরা এ হাদীস জেনেছি।

باب مَا جَاءَ فِي ذِكْرِ ابْنِ صَائِدٍ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ يَمْكُثُ أَبُو الدَّجَّالِ وَأُمُّهُ ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَهُمَا وَلَدٌ ثُمَّ يُولَدُ لَهُمَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ نَعَتَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَبَوَيْهِ فَقَالَ ‏"‏ أَبُوهُ طِوَالٌ ضَرْبُ اللَّحْمِ كَأَنَّ أَنْفَهُ مِنْقَارٌ وَأُمُّهُ امْرَأَةٌ فَرْضَاخِيَّةٌ طَوِيلَةُ الْيَدَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ أَبُو بَكْرَةَ فَسَمِعْنَا بِمَوْلُودٍ فِي الْيَهُودِ بِالْمَدِينَةِ فَذَهَبْتُ أَنَا وَالزُّبَيْرُ بْنُ الْعَوَّامِ حَتَّى دَخَلْنَا عَلَى أَبَوَيْهِ فَإِذَا نَعْتُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِيهِمَا فَقُلْنَا هَلْ لَكُمَا وَلَدٌ فَقَالاَ مَكَثْنَا ثَلاَثِينَ عَامًا لاَ يُولَدُ لَنَا وَلَدٌ ثُمَّ وُلِدَ لَنَا غُلاَمٌ أَعْوَرُ أَضَرُّ شَيْءٍ وَأَقَلُّهُ مَنْفَعَةً تَنَامُ عَيْنَاهُ وَلاَ يَنَامُ قَلْبُهُ ‏.‏ قَالَ فَخَرَجْنَا مِنْ عِنْدِهِمَا فَإِذَا هُوَ مُنْجَدِلٌ فِي الشَّمْسِ فِي قَطِيفَةٍ لَهُ وَلَهُ هَمْهَمَةٌ فَكَشَفَ عَنْ رَأْسِهِ فَقَالَ مَا قُلْتُمَا قُلْنَا وَهَلْ سَمِعْتَ مَا قُلْنَا قَالَ نَعَمْ تَنَامُ عَيْنَاىَ وَلاَ يَنَامُ قَلْبِي ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ ‏.‏


It was narrated from 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah from his father who said: "The Messenger of Allah(s.a.w) said: 'The father of the Dajjal and hid mother, will abide for thirty years without bearing a son. Then a boy shall be born to them, having one eye in which there is some defect, providing little use. His eyes sleep but his heart does not sleep.' Then the Messenger of Allah(s.a.w) described his parents for us: 'His father is tall, with little fat, with a nose as if it were a beak. His mother is a bulky woman with long breasts.'" So Abu Bakrah said: "I heard about a child being born to some Jews in Al-Madinah. So Az-Zubair bin Al-'Awwam and I went until we entered upon his parents. They appeared as the Messenger of Allah(s.a.w) had described them. We said: 'Do you have any children?' They said: 'We remained for thirty years without any children being born to us, then we bore a boy, having one eye in which there is some defect, providing little use. His eyes sleep but his heart does not sleep.'" He said: "So we were leaving them, when he appeared, glittering in the sunlight in a velvet garment, murmuring something. He uncovered his head and said: 'What were you saying?' We said: 'Did you hear what we were saying?' He said: 'Yes, that my eyes sleep but my heart does not sleep.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা

৩০১৯। আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকরাহ (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি কি সবচাইতে মারাত্মক কাবীরা গুনাহগুলো প্রসঙ্গে তোমাদেরকে অবহিত করবো না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলার সাথে অংশীদার স্থাপন, বাবা-মার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, এবার উঠে সোজা হয়ে বসে বললেন; মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা কথা বলা। আবূ বকর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাটি বারবার বলে যাচ্ছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, আহা! তিনি যদি চুপ হতেন।

সহীহঃ প্রাগুক্ত, বুখারী, মুসলিম।

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَجَلَسَ وَكَانَ مُتَّكِئًا قَالَ ‏"‏ وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah: from his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Shall I not narrate to you about the worst of the major sins?" They said: "Of course O Messenger of Allah!" He said: "Associating others with Allah and disobeying the parents." He said: "And he sat reclining and said: 'The false testimony.' Or he said: 'The false statement.'" He said: "So the Messenger of Allah (ﷺ) would not stop saying it until we said (to ourselves): 'If he would only stop.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুর রহমান ইবনু আবূ বাকরা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »