পরিচ্ছেদঃ উত্তম সাক্ষ্যদানকারী কে।
২২৯৮. আনসারী (রহঃ) ....... যায়দ ইবন খালিদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি কি তোমাদের উত্তম সাক্ষ্যদানকারীর কথা বলব? সে হল ঐ ব্যক্তি যে সাক্ষ্য তলব করার আগেই সাক্ষ্য প্রদান করে। সহীহ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الشُّهَدَاءِ أَيُّهُمْ خَيْرٌ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِخَيْرِ الشُّهَدَاءِ الَّذِي يَأْتِي بِالشَّهَادَةِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا " .
Zaid bin Khalid Al-Juhani narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Shall l not inform you of the best of witnesses? The one who comes with his testimony before being asked for it."
পরিচ্ছেদঃ উত্তম সাক্ষ্যদানকারী কে।
২২৯৯. আহমাদ ইবনুল হাসান (রহঃ) ....... মালিক (রহঃ) থেকে এটি বর্ণিত আছে।
ইবন আবূ আমরা (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান। অধিকাংশ মুহাদ্দিস আবদুর রহমান ইবন আবূ আমরা বলে উল্লেখ করেছেন। এ হাদীসটির রিওয়ায়াতে রাবীগণ মালিক (রহঃ) থেকে রিওয়ায়াতের ক্ষেত্রে মত পার্থক্য করেছেন। কেউ কেউ রিয়ায়াত করেছেন আবূ আমরা বলে। আর কেউ কেউ রিওয়ায়াত করেছেন ইবন আবূ আমরা বলে। ইনি হলেন আবদুর রহমান ইবন আবূ আমরা আনসারী। আমাদের মতে এটিই অধিক সহীহ। কেননা মালিক (রহঃ) ব্যতীত অন্য কোন সনদে আবদুর রহমান ইবন আবূ আমরা-যায়দ ইবন খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রের উল্লেখ রয়েছে। আবূ আমরা-যায়দ ইবন খালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে এটি ছাড়া অন্য হাদীসে বর্ণিত আছে। সেটি অবশ্যই সহীহ। আবূ আমরা হলেন যায়দ ইবন খালিদ জুহানি রাদিয়াল্লাহু আনহু এর আযাদকৃত গোলাম। আবূ আমরা (রহঃ) এর বরাতে তার গনীমতে খিয়ানত করা সম্পর্কিত একটি হাদীসও বর্ণিত আছে।
তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
بَابُ مَا جَاءَ فِي الشُّهَدَاءِ أَيُّهُمْ خَيْرٌ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ الْحَسَنِ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، نَحْوَهُ وَقَالَ ابْنُ أَبِي عَمْرَةَ . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَأَكْثَرُ النَّاسِ يَقُولُونَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ وَاخْتَلَفُوا عَلَى مَالِكٍ فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ فَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنْ أَبِي عَمْرَةَ وَرَوَى بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي عَمْرَةَ وَهُوَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ الأَنْصَارِيُّ وَهَذَا أَصَحُّ لأَنَّهُ قَدْ رُوِيَ مِنْ غَيْرِ حَدِيثِ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنِ ابْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ غَيْرُ هَذَا الْحَدِيثِ وَهُوَ حَدِيثٌ صَحِيحٌ أَيْضًا وَأَبُو عَمْرَةَ مَوْلَى زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ وَلَهُ حَدِيثُ الْغُلُولِ وَأَكْثَرُ النَّاسِ يَقُولُونَ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ .
(Another chain) from Malik in which he said:
Ibn Abi 'Amrah."
পরিচ্ছেদঃ উত্তম সাক্ষ্যদানকারী কে।
২৩০০. বিশর ইবন আদম ইবন বিনত আযহার সাম্মান (রহঃ) ..... যায়দ ইবন খালিদ জুহানী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেনঃ সর্বোত্তম সাক্ষী হল ঐ ব্যক্তি যে সাক্ষ্য তলবের আগেই সাক্ষ্য প্রদান করে। পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) এ হাদীসটি হাসান, এ সূত্রে গারীব।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الشُّهَدَاءِ أَيُّهُمْ خَيْرٌ
حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ آدَمَ ابْنُ بِنْتِ أَزْهَرَ السَّمَّانِ، حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ، حَدَّثَنَا أُبَىُّ بْنُ عَبَّاسِ بْنِ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرِو بْنِ عُثْمَانَ، حَدَّثَنِي خَارِجَةُ بْنُ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ، حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ خَالِدٍ الْجُهَنِيُّ، أَنَّهُ سَمِعَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " خَيْرُ الشُّهَدَاءِ مَنْ أَدَّى شَهَادَتَهُ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا " . قَالَ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ .
Zaid bin Khalid Al-Juhani narrated that the Messenger of Allah(s.a.w) said:
"The best of witnesses is the one who gives his testimony before being asked for it."
পরিচ্ছেদঃ যার সাক্ষ্য গ্রহনযোগ্য নয়।
২৩০১. কুতায়বা (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয় খিয়ানতকারী পুরুষের, খিয়ানতকারী নারীর, তুহমত আরোপের কারণে যে পুরুষ এবং নারীকে হদস্বরূপ বেত লাগান হয়েছে তাদের, বিদ্বেষ পোষণকারীর যার সম্পর্কে সে বিদ্বেষ রাখে, পরীক্ষিত মিথ্যা সাক্ষ্যদানকারীর, কোন পরিবারের পক্ষে তাদের পোষ্য ব্যক্তির এবং আযাদকৃত হওয়ার বা আত্মীয় হওয়ার সন্দেহযুক্ত ব্যক্তিল। বর্ণনাকারী ফাযারী বলেনঃ الْقَانِعُ অর্থلتَّابِعُ (আশ্রিত)।
যঈফ, ইরওয়া ২৬৭৫, মিশকাত তাহকিক ছানী ৩৭৮১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি গারীব। ইয়াযীদ ইবন যিয়াদ দিমাশকী-এর রিওয়ায়াত ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের কিছু জানা নেই। আর ইয়াযীদ হাদীসের ক্ষেত্রে যঈফ বলে গণ্য, তার সূত্র ব্যতীত যুহরী (রহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবে এটি সম্পর্কে আমরা জানতে পারি না। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
হাদীসটির বিস্তারিত মর্ম সম্পর্কেও আমাদের কিছু জানা নেই এবং আমাদের কাছে এটি সনদের দিক থেকেও সহীহ নয়।
আলিমগণের আমল রয়েছে যে, নিকট আত্মীয়ের পক্ষে আরেক আত্মীয়ের সাক্ষ্য প্রদান জায়েয। তবে সন্তানের পক্ষে পিতার সাক্ষ্য এবং পিতার পক্ষে সন্তানের সাক্ষ্য গ্রহণ করার বিষয়ে আলিমগণের মতভেদ রয়েছে। অধিকাংশ আলিম পিতার পক্ষে সন্তানের সাক্ষ্য এবং সন্তানের পক্ষে পিতার সাক্ষ্য জায়েয বলে মত দেন না। কোন কোন আলিম বলেছেন যদি আদিল বা ন্যায়নিষ্ঠ হয় তবে সন্তানের পক্ষে পিতার সাক্ষ্য প্রদান জায়েয। এমনিভাবে পিতার পক্ষে সন্তানের সাক্ষ্যও জায়েয।
ভাইয়ের পক্ষে অপর এক ভাইয়ের সাক্ষ্য প্রদান জায়েয হওয়ার বিষয়ে কোন ইখতিলাফ নেই। এমনিভাবে প্রত্যেক নিকট আত্মীয়ের সাক্ষ্য প্রদানের ক্ষেত্রে ইখতিলাফ নেই।
ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেনঃ যাদের পরস্পরে দুশমনী আছে তাদের একজনের বিরুদ্ধে আরেক জনের সাক্ষ্য গ্রহণ যোগ্য নয়। তিনি আবদুর ররহমান ইবন আ’রাজ (রহঃ) এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণিত এ হাদীসটিকে দলীল হিসাবে পেশ করেছেনঃ বিদ্বেষ পোষণকারীর সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নয়। (لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ صَاحِبِ غِمْرٍ لأَخِيهِ) হাদীসটির মর্মও তাই।
حنة এবংغمر এর অর্থ হল শত্রুতা, বিদ্বেষ।
بَابُ مَا جَاءَ فِيمَنْ لاَ تَجُوزُ شَهَادَتُهُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيِّ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ خَائِنٍ وَلاَ خَائِنَةٍ وَلاَ مَجْلُودٍ حَدًّا وَلاَ مَجْلُودَةٍ وَلاَ ذِي غِمْرٍ لأَخِيهِ وَلاَ مُجَرَّبِ شَهَادَةٍ وَلاَ الْقَانِعِ أَهْلَ الْبَيْتِ لَهُمْ وَلاَ ظَنِينٍ فِي وَلاَءٍ وَلاَ قَرَابَةٍ " . قَالَ الْفَزَارِيُّ الْقَانِعُ التَّابِعُ . هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ يَزِيدَ بْنِ زِيَادٍ الدِّمَشْقِيِّ . وَيَزِيدُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ وَلاَ يُعْرَفُ هَذَا الْحَدِيِثُ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِهِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . قَالَ وَلاَ نَعْرِفُ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ وَلاَ يَصِحُّ عِنْدِي مِنْ قِبَلِ إِسْنَادِهِ . وَالْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي هَذَا أَنَّ شَهَادَةَ الْقَرِيبِ جَائِزَةٌ لِقَرَابَتِهِ . وَاخْتَلَفَ أَهْلُ الْعِلْمِ فِي شَهَادَةِ الْوَالِدِ لِلْوَلَدِ وَالْوَلَدِ لِوَالِدِهِ وَلَمْ يُجِزْ أَكْثَرُ أَهْلِ الْعِلْمِ شَهَادَةَ الْوَالِدِ لِلْوَلَدِ وَلاَ الْوَلَدِ لِلْوَالِدِ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا كَانَ عَدْلاً فَشَهَادَةُ الْوَالِدِ لِلْوَلَدِ جَائِزَةٌ وَكَذَلِكَ شَهَادَةُ الْوَلَدِ لِلْوَالِدِ . وَلَمْ يَخْتَلِفُوا فِي شَهَادَةِ الأَخِ لأَخِيهِ أَنَّهَا جَائِزَةٌ وَكَذَلِكَ شَهَادَةُ كُلِّ قَرِيبٍ لِقَرِيبِهِ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ تَجُوزُ شَهَادَةٌ لِرَجُلٍ عَلَى الآخَرِ وَإِنْ كَانَ عَدْلاً إِذَا كَانَتْ بَيْنَهُمَا عَدَاوَةٌ . وَذَهَبَ إِلَى حَدِيثِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الأَعْرَجِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً " لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ صَاحِبِ إِحْنَةٍ " . يَعْنِي صَاحِبَ عَدَاوَةٍ وَكَذَلِكَ مَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ حَيْثُ قَالَ " لاَ تَجُوزُ شَهَادَةُ صَاحِبِ غِمْرٍ لأَخِيهِ " يَعْنِي صَاحِبَ عَدَاوَةٍ .
Aishah narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
The testimony of a treacherous man is not acceptable nor a treacherous woman nor a man lashed for the Hadd nor a woman lashed nor one possessing malice of enmity nor a rehearsed witness nor the Qani of (one contracted by)the family on their behalf nor the one associating himself to other than his Wala or to other than his relatives."
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান।
২৩০২ আহমকাদ ইবন মানী’ (রহঃ) ..... আয়মান ইবন খুরায়ম (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ভাষণ দিতে দাঁড়িয়ে বললেনঃ হে লোকেরা! মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করার সমপর্যায়ের বলে গণ্য করা হয়েছে। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিলাওয়াত করলেনঃ
فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ
তোমরা বর্জন কর মূর্তি পূজার অপবিত্রতা এবং দূরে থাক মিথ্যা বলা থেকে। (সূরা হাজ্জঃ ৩০)।
যঈফ, ইবনু মাজাহ ২৩৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২২৯৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
সুফাইয়ান ইবন যিয়াদ (রহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসাবেই এ হাদীসটিকে আমরা জানি। সুফাইয়ান ইবন যিয়াদ থেকে এটির রিওয়ায়াতে বর্ণনাকারীদের মত পার্থক্য রয়েছে। আয়মান ইবন খুরায়ম (রহঃ) কোন কিছু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন বলে আমরা জানি না।
بَابُ مَا جَاءَ فِي شَهَادَةِ الزُّورِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، عَنْ سُفْيَانَ بْنِ زِيَادٍ الأَسَدِيِّ، عَنْ فَاتِكِ بْنِ فَضَالَةَ، عَنْ أَيْمَنَ بْنِ خُرَيْمٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَامَ خَطِيبًا فَقَالَ " يَا أَيُّهَا النَّاسُ عُدِلَتْ شَهَادَةُ الزُّورِ إِشْرَاكًا بِاللَّهِ " . ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : (فَاجْتَنِبُوا الرِّجْسَ مِنَ الْأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ) . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ إِنَّمَا نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ سُفْيَانَ بْنِ زِيَادٍ وَاخْتَلَفُوا فِي رِوَايَةِ هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ سُفْيَانَ بْنِ زِيَادٍ
Ayman bin Khuraim narrated that the Prophet (s.a.w) stood to give a Khutbah and said:
"O you people False witness is tantamount to Shirk with Allah" Then the Messenger of Allah (s.a.w)recited: So shun the Rijs of the idols, and shun false speech.
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান।
২৩০৩. আবদ ইবন হুমায়দ (রহঃ) ...... খুরায়ম ইবন ফাতিক আসাদী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ফজরের সালাত (নামায) আদায় করলেন। সালাত (নামায) শেষ করার পর তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেনঃ মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদানকে আল্লাহর সঙ্গে শিরক করার সমপর্যায়ের বলে গণ্য করা হয়েছে। তিনবার তিনি এ কথা বললেন। এরপর তিলওয়াত করলেনوَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ আয়াতের শেষ পর্যন্ত। যঈফ, যঈফাহ ১১১০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেনঃ এটিই আমার কাছে অধিকতর সহীহ। আর খুরায়ম ইবন ফাতিক সাহাবী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিনি বেশ কিছু হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি প্রসিদ্ধ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي شَهَادَةِ الزُّورِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ الْعُصْفُرِيُّ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ النُّعْمَانِ الأَسَدِيِّ، عَنْ خُرَيْمِ بْنِ فَاتِكٍ الأَسَدِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى صَلاَةَ الصُّبْحِ فَلَمَّا انْصَرَفَ قَامَ قَائِمًا فَقَالَ " عُدِلَتْ شَهَادَةُ الزُّورِ بِالشِّرْكِ بِاللَّهِ " . ثَلاَثَ مَرَّاتٍ ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَاجْتَنِبُوا قَوْلَ الزُّورِ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا عِنْدِي أَصَحُّ . وَخُرَيْمُ بْنُ فَاتِكٍ لَهُ صُحْبَةٌ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ وَهُوَ مَشْهُورٌ .
Khuraim bin Fatik Al-Asadi narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) performed the Subh (Fajr)prayer. Then when he turned he got up to stand and said:
"O you people! False witness is tantamount to Shirk with Allah."Saying it three times, then he recited this Ayah And shun false speech Until the end of the Ayah.
পরিচ্ছেদঃ মিথ্যা সাক্ষ্য প্রদান।
২৩০৪. হুমায়দ ইবন মাসআদা (রহঃ) ...... আবদুর রহমান ইবন আবূ বকরা তার পিতা আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের আমি সবচেয়ে বড় কবীরা গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব কি? সাহাবীরা বললেনঃ অবশ্যই ইয়া রাসূলাল্লাহ। তিনি বললেনঃ আল্লাহর সঙ্গে শরীক করা, পিতা-মাতার নাফরমানী করা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা বলেছেন মিথ্যা কথা বলা। আবূ বকরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতবার কথাটি বলতে থাকলেন যে, আমরা ভাবতে লাগলাম, তিনি যদি চুপ করতেন। সহীহ, গায়াতুল মারাম ২৭৭, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ। এ বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবন আমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
بَابُ مَا جَاءَ فِي شَهَادَةِ الزُّورِ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنِ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَلاَ أُخْبِرُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ " . قَالَ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو .
'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah narrated from his father that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
"Shall I not inform you of the greatest of the major sins?" They said: "Of course O Messenger of Allah(s.a.w)!" He said: "Shirk with Allah disobeying parents, and false testimony." Or: "False speech" He said: "So the Messenger of Allah(s.a.w) would not stop saying it until we said ( to ourselves): 'I wish he would be quiet. "
পরিচ্ছেদঃ এতদসম্পর্কে আরো একটি অনুচ্ছেদ।
২৩০৫. ওয়াসিল ইবন আবদুল আ’লা (রহঃ) ..... ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, সর্বোত্তম যুগ হল আমার যুগ, এরপর যারা হবে অব্যহতির পরে। এরপর যারা হবে অব্যবহিত পরে, এরপর যারা হবে অব্যবহিত পরে। এই তিনটি যুগের কথা তিনি বললেন। পরবর্তীতে এমন এক সম্প্রদায় আসবে যারা হবে স্থূলকায় এবং যারা স্থূলকায় হওয়া ভালবাসবে। তারা সাক্ষ্য চাওয়ার আগেই সাক্ষ্য দিতে যাবে।
সহীহ, বুখারী ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আ’মাশ-আলী ইবন মুদরীক (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত রিয়ায়াত হিসাবে এ হাদীসটি গারীব। আ’মাশের অন্যান্য শারগিদগণ এটিকে আ’মাশ-হিলাল ইবন ইয়াসাফ-ইমরান ইবন হুসায়ন রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর সনদে রিওয়ায়াত করেছেন।
আবূ আম্মার হুসায়ন ইবন হুরাইস (রহঃ) ইমরান ইবন হুসায়ন (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এটি মুহাম্মদ ইবন ফুযায়লের রিওয়ায়াত (২৩০৫ নং) থেকে অধিক সহীহ।
কোন কোন আলিম বলেনঃ ’’তারা সাক্ষী তলবের আগেই স্বাক্ষ্য প্রদান করবে’’ হাদীসে এ কথাটির মর্ম হল এরা মিথ্যা সাক্ষী দিবে। তিনি বলেন, সাক্ষী না হয়ে কারোর সাক্ষ্য প্রদান।
بَابٌ مِنْهُ
حَدَّثَنَا وَاصِلُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ، عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثَلاَثًا ثُمَّ يَجِيءُ قَوْمٌ مِنْ بَعْدِهِمْ يَتَسَمَّنُونَ وَيُحِبُّونَ السِّمَنَ يُعْطُونَ الشَّهَادَةَ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلُوهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ حَدِيثِ الأَعْمَشِ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُدْرِكٍ وَأَصْحَابُ الأَعْمَشِ إِنَّمَا رَوَوْا عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ هِلاَلِ بْنِ يِسَافٍ عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ .
حَدَّثَنَا أَبُو عَمَّارٍ الْحُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، حَدَّثَنَا هِلاَلُ بْنُ يِسَافٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ فُضَيْلٍ . قَالَ وَمَعْنَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ " يُعْطُونَ الشَّهَادَةَ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلُوهَا " . إِنَّمَا يَعْنِي شَهَادَةَ الزُّورِ يَقُولُ يَشْهَدُ أَحَدُهُمْ مِنْ غَيْرِ أَنْ يُسْتَشْهَدَ
'Imran bin Husain narrated that the Messenger of Allah(s.a.w)said:
"The best of people are my generation, then those who follow them,then those who follow them, then those who follow them."(He(s.a.w)said that) three times. "Then, after them a people will come who increase in fatness, loving fatness, giving testimony before they are asked for it."
পরিচ্ছেদঃ এতদসম্পর্কে আরো একটি অনুচ্ছেদ।
২৩০৬. উমার ইবন খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হাদীসটিতে এর ব্যাখ্যা বিদ্যমান। তিনি বলেনঃ সর্বোত্তম যুগ হল আমার যুগ, এরপর হল যারা অব্যবহিত পরে আসবে, এরপর হল যারা এদের অব্যবহিত পরে আসবে, এর পরবর্তীতে মিথ্যা প্রসার ঘটবে, এমন কি সাক্ষ্য না চাইলেও তারা সাক্ষ্য দিবে, কসম না দিলেও কসম করবে। সহীহ, মাজমাউয যাওয়াইদ ১০/১৯, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৩০৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
’’সর্বোত্তম সাক্ষী দাতা হল যে ব্যক্তি তলবের পূর্বেই সাক্ষী দেয়’’ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর এই বাণীটির মর্ম হল কেউ যদি কোন ঘটনার সাক্ষী হয়ে থাকে, এবং তার নিকট ঐ বিষয়ের সাক্ষ্য চাওয়া হয় তবে সে সাক্ষ্য প্রদান থেকে বিরত থাকে না। কোন কোন আলিমের কাছে এটাই হল হাদীসটির ব্যাখ্যা।
بَابٌ مِنْهُ
حَدَّثَنَا عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " خَيْرُ النَّاسِ قَرْنِي ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ ثُمَّ يَفْشُو الْكَذِبُ حَتَّى يَشْهَدَ الرَّجُلُ وَلاَ يُسْتَشْهَدُ وَيَحْلِفُ الرَّجُلُ وَلاَ يُسْتَحْلَفُ " . وَمَعْنَى حَدِيثِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ الشُّهَدَاءِ الَّذِي يَأْتِي بِشَهَادَتِهِ قَبْلَ أَنْ يُسْأَلَهَا " . هُوَ عِنْدَنَا إِذَا أُشْهِدَ الرَّجُلُ عَلَى الشَّىْءِ أَنْ يُؤَدِّيَ شَهَادَتَهُ وَلاَ يَمْتَنِعَ مِنَ الشَّهَادَةِ هَكَذَا وَجْهُ الْحَدِيثِ عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ .