পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১. আল্লাহর বাণীঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও এবং রসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের মধ্যকার কর্তৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/৫৯)
৭১৩৭. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে আমার আনুগত্য করল, সে আল্লাহরই আনুগত্য করল। আর যে আমার নাফরমানী করল, সে আল্লাহরই নাফরমানী করল। এবং যে আমার (নির্বাচিত) আমীরের আনুগত্য করল, সে আমারই আনুগত্য করল। আর যে আমার (নির্বাচিত) আমীরের নাফরমানী করল সে আমারই নাফরমানী করল।[1] [২৯৫৭; মুসলিম ৩৩/৮, হাঃ ১৮৩৫, আহমাদ ৯৩৯৬] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫২)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَ أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأَمْرِ مِنْكُمْ}
عَبْدَانُ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ عَنْ يُونُسَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَنْ أَطَاعَنِي فَقَدْ أَطَاعَ اللهَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ عَصَى اللهَ وَمَنْ أَطَاعَ أَمِيرِي فَقَدْ أَطَاعَنِي وَمَنْ عَصَى أَمِيرِي فَقَدْ عَصَانِي.
Narrated Abu Huraira:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Whoever obeys me, obeys Allah, and whoever disobeys me, disobeys Allah, and whoever obeys the ruler I appoint, obeys me, and whoever disobeys him, disobeys me."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১. আল্লাহর বাণীঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর অনুগত হও এবং রসূলের অনুগত হও এবং তোমাদের মধ্যকার কর্তৃস্থানীয় ব্যক্তিগণের। (সূরাহ আন্-নিসা ৪/৫৯)
৭১৩৮. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, জেনে রেখো! তোমাদের প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল; আর তোমরা প্রত্যেকেই নিজ অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব ইমাম, যিনি জনগণের দায়িত্বশীল, তিনি তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবেন। পুরুষ গৃহকর্তা তার পরিবারের দায়িত্বশীল; সে তার অধীনস্থদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। নারী তার স্বামীর পরিবার, সন্তান-সন্ততির উপর দায়িত্বশীল, সে এসব সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। কোন ব্যক্তির দাস স্বীয় মালিকের সম্পদের দায়িত্বশীল; সে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। অতএব জেনে রাখ, প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমাদের প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্বাধীন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসিত হবে। [৮৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৩৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৩)
بَاب قَوْلِ اللهِ تَعَالَى: {وَ أَطِيعُوا اللهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الأَمْرِ مِنْكُمْ}
إِسْمَاعِيلُ حَدَّثَنِي مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِينَارٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلاَ كُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ فَالإِمَامُ الَّذِي عَلَى النَّاسِ رَاعٍ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالرَّجُلُ رَاعٍ عَلَى أَهْلِ بَيْتِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ وَالْمَرْأَةُ رَاعِيَةٌ عَلَى أَهْلِ بَيْتِ زَوْجِهَا وَوَلَدِهِ وَهِيَ مَسْئُولَةٌ عَنْهُمْ وَعَبْدُ الرَّجُلِ رَاعٍ عَلَى مَالِ سَيِّدِهِ وَهُوَ مَسْئُولٌ عَنْهُ أَلاَ فَكُلُّكُمْ رَاعٍ وَكُلُّكُمْ مَسْئُولٌ عَنْ رَعِيَّتِهِ.
Narrated `Abdullah bin `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Surely! Everyone of you is a guardian and is responsible for his charges: The Imam (ruler) of the people is a guardian and is responsible for his subjects; a man is the guardian of his family (household) and is responsible for his subjects; a woman is the guardian of her husband's home and of his children and is responsible for them; and the slave of a man is a guardian of his master's property and is responsible for it. Surely, everyone of you is a guardian and responsible for his charges."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/২. আমীর কুরাইশদের মধ্যে থেকে হবে।
৭১৩৯. মুহাম্মাদ ইবনু যুবায়র ইবনু মুতঈম (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, তারা কুরাইশের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে মু’আবিয়াহ (রাঃ)-এর নিকট ছিলেন। তখন মু’আবিয়াহ (রাঃ)-এর নিকট সংবাদ পৌঁছল যে, ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’আমর (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, অচিরেই কাহতান গোত্র থেকে একজন বাদশাহ্ হবেন। এ শুনে তিনি ক্রুদ্ধ হলেন এবং দাঁড়ালেন। এরপর তিনি আল্লাহ্ তা’আলার যথাযোগ্য প্রশংসা করলেন, তারপর তিনি বললেন, যা হোক! আমার নিকট এ মর্মে সংবাদ পৌঁছেছে যে, তোমাদের কিছু লোক এমন কথা বলে থাকে যা আল্লাহর কিতাবে নেই এবং যা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকেও বর্ণিত নেই। এরাই তোমাদের মাঝে সবচেয়ে জাহিল। সুতরাং তোমরা এ সকল মনগড়া কথা থেকে যা স্বয়ং বক্তাকেই পথভ্রষ্ট করে- সতর্ক থাক। আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, (খিলাফাতের) এ বিষয়টি কুরাইশদের মধ্যেই থাকবে, যদ্দিন তারা দ্বীনের উপর দৃঢ় থাকবে। যে কেউ তাদের বিরোধিতা করে তবে আল্লাহ্ তাকেই অধোমুখে নিপতিত করবেন।[1] [৩৫০০]
নু’আয়ম (রহ.) .... মুহাম্মাদ ইবনু যুবায়র (রহ.) সূত্রে শুআয়ব-এর অনুসরণ করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪০, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৪)
بَاب الْأُمَرَاءُ مِنْ قُرَيْشٍ
أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ كَانَ مُحَمَّدُ بْنُ جُبَيْرِ بْنِ مُطْعِمٍ يُحَدِّثُ أَنَّهُ بَلَغَ مُعَاوِيَةَ وَهُوَ عِنْدَهُ فِي وَفْدٍ مِنْ قُرَيْشٍ أَنَّ عَبْدَ اللهِ بْنَ عَمْرٍو يُحَدِّثُ أَنَّهُ سَيَكُونُ مَلِكٌ مِنْ قَحْطَانَ فَغَضِبَ فَقَامَ فَأَثْنَى عَلَى اللهِ بِمَا هُوَ أَهْلُهُ ثُمَّ قَالَ أَمَّا بَعْدُ فَإِنَّهُ بَلَغَنِي أَنَّ رِجَالاً مِنْكُمْ يُحَدِّثُونَ أَحَادِيثَ لَيْسَتْ فِي كِتَابِ اللهِ وَلاَ تُوثَرُ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأُولَئِكَ جُهَّالُكُمْ فَإِيَّاكُمْ وَالأَمَانِيَّ الَّتِي تُضِلُّ أَهْلَهَا فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ إِنَّ هَذَا الأَمْرَ فِي قُرَيْشٍ لاَ يُعَادِيهِمْ أَحَدٌ إِلاَّ كَبَّهُ اللهُ فِي النَّارِ عَلَى وَجْهِهِ مَا أَقَامُوا الدِّينَ تَابَعَهُ نُعَيْمٌ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ جُبَيْرٍ.
Narrated Muhammad bin Jubair bin Mut`im:
That while he was included in a delegation of Quraish staying with Muawiya, Muawiya heard that `Abdullah bin `Amr had said that there would be a king from Qahtan tribe, whereupon he became very angry. He stood up, and after glorifying and praising Allah as He deserved, said, "To proceed, I have come to know that some of you men are narrating things which are neither in Allah's Book, nor has been mentioned by Allah's Messenger (ﷺ) . Such people are the ignorant among you. Beware of such vain desires that mislead those who have them. I have heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'This matter (of the caliphate) will remain with the Quraish, and none will rebel against them, but Allah will throw him down on his face as long as they stick to the rules and regulations of the religion (Islam).'"
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/২. আমীর কুরাইশদের মধ্যে থেকে হবে।
৭১৪০. ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (খিলাফাতের) এই বিষয়টি সব সময় কুরাইশদের মধ্যেই থাকবে, যতদিন তাদের থেকে দু’জন লোকও অবশিষ্ট থাকবে। [৩৫০১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৫)
بَاب الْأُمَرَاءُ مِنْ قُرَيْشٍ
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ مُحَمَّدٍ سَمِعْتُ أَبِي يَقُولُ قَالَ ابْنُ عُمَرَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ يَزَالُ هَذَا الأَمْرُ فِي قُرَيْشٍ مَا بَقِيَ مِنْهُمْ اثْنَانِ.
Narrated Ibn `Umar:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "This matter (caliphate) will remain with the Quraish even if only two of them were still existing."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৩. হিকমাত (সঠিক জ্ঞান)-এর সঙ্গে বিচার ফয়সালাকারীর প্রতিদান। আল্লাহ্ তা‘আলার বাণীঃ আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তদনুযায়ী যারা বিচার ফায়সালা করে না তারাই ফাসিক। (সূরাহ আল-মায়িদাহ ৫/৪৭)
৭১৪১. ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দু’রকমের লোক ব্যতীত অন্য কারো প্রতি ঈর্ষা করা যায় না। একজন হলো এমন লোক, যাকে আল্লাহ্ ধন-সম্পদ দান করেছেন এবং তাকে তা সৎপথে ব্যয় করার ক্ষমতা দিয়েছেন। অন্যজন হল, যাকে আল্লাহ্ হিকমাত (সঠিক জ্ঞান) দান করেছেন, সে তার দ্বারা বিচার ফয়সালা করে এবং তা অন্যকে শিক্ষা দেয়। [৭৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৬)
بَاب أَجْرِ مَنْ قَضَى بِالْحِكْمَةِ لِقَوْلِهِ تَعَالَى: {وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمْ الْفَاسِقُونَ}
شِهَابُ بْنُ عَبَّادٍ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حُمَيْدٍ عَنْ إِسْمَاعِيلَ عَنْ قَيْسٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم لاَ حَسَدَ إِلاَّ فِي اثْنَتَيْنِ رَجُلٌ آتَاهُ اللهُ مَالاً فَسَلَّطَهُ عَلَى هَلَكَتِهِ فِي الْحَقِّ وَآخَرُ آتَاهُ اللهُ حِكْمَةً فَهُوَ يَقْضِي بِهَا وَيُعَلِّمُهَا.
Narrated `Abdullah:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "Do not wish to be like anyone, except in two cases: (1) A man whom Allah has given wealth and he spends it righteously. (2) A man whom Allah has given wisdom (knowledge of the Qur'an and the Hadith) and he acts according to it and teaches it to others."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪. ইমামের কথা শুনা ও মানা, যতক্ষণ তা নাফরমানীর কাজ না হয়।
৭১৪২. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি তোমাদের উপর এমন কোন হাবশী দাসকেও শাসক নিযুক্ত করা হয়, যার মাথাটি কিশমিশের মত তবুও তার কথা শোন ও তার আনুগত্য কর। [৬৯৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৭)
بَاب السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِلْإِمَامِ مَا لَمْ تَكُنْ مَعْصِيَةً
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ أَبِي التَّيَّاحِ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم اسْمَعُوا وَأَطِيعُوا وَإِنْ اسْتُعْمِلَ عَلَيْكُمْ عَبْدٌ حَبَشِيٌّ كَأَنَّ رَأْسَهُ زَبِيبَةٌ.
Narrated Anas bin Malik:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "You should listen to and obey, your ruler even if he was an Ethiopian (black) slave whose head looks like a raisin."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪. ইমামের কথা শুনা ও মানা, যতক্ষণ তা নাফরমানীর কাজ না হয়।
৭১৪৩. ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ যদি তার আমীর (ক্ষমতাসীন) থেকে এমন কিছু দেখে, যা সে অপছন্দ করে, তাহলে সে যেন ধৈর্য ধরে। কারণ, যে কেউ জামা’আত থেকে এক বিঘত পরিমাণ দূরে সরে মারা যাবে, তার মৃত্যু হবে জাহিলীয়্যাতের মৃত্যু। [৭০৫৩] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৮)
بَاب السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِلْإِمَامِ مَا لَمْ تَكُنْ مَعْصِيَةً
سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ الْجَعْدِ عَنْ أَبِي رَجَاءٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ يَرْوِيهِ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَنْ رَأَى مِنْ أَمِيرِهِ شَيْئًا فَكَرِهَهُ فَلْيَصْبِرْ فَإِنَّهُ لَيْسَ أَحَدٌ يُفَارِقُ الْجَمَاعَةَ شِبْرًا فَيَمُوتُ إِلاَّ مَاتَ مِيتَةً جَاهِلِيَّةً.
Narrated Ibn `Abbas:
The Prophet (ﷺ) said, "If somebody sees his Muslim ruler doing something he disapproves of, he should be patient, for whoever becomes separate from the Muslim group even for a span and then dies, he will die as those who died in the Pre-lslamic period of ignorance (as rebellious sinners).
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪. ইমামের কথা শুনা ও মানা, যতক্ষণ তা নাফরমানীর কাজ না হয়।
৭১৪৪. ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ যতক্ষণ আল্লাহর নাফরমানীর নির্দেশ দেয়া না হয়, ততক্ষণ পছন্দনীয় ও অপছন্দনীয় সকল বিষয়ে প্রত্যেক মুসলিমের জন্য তার মান্যতা ও আনুগত্য করা কর্তব্য। যখন নাফরমানীর নির্দেশ দেয়া হয়, তখন আর কোন মান্যতা ও আনুগত্য নেই। [২৯৫৫; মুসলিম ৩৩/৮, হাঃ ১৮৩৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৫৯)
بَاب السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِلْإِمَامِ مَا لَمْ تَكُنْ مَعْصِيَةً
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللهِ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ عَبْدِ اللهِ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ السَّمْعُ وَالطَّاعَةُ عَلَى الْمَرْءِ الْمُسْلِمِ فِيمَا أَحَبَّ وَكَرِهَ مَا لَمْ يُؤْمَرْ بِمَعْصِيَةٍ فَإِذَا أُمِرَ بِمَعْصِيَةٍ فَلاَ سَمْعَ وَلاَ طَاعَةَ.
Narrated `Abdullah:
The Prophet (ﷺ) said, "A Muslim has to listen to and obey (the order of his ruler) whether he likes it or not, as long as his orders involve not one in disobedience (to Allah), but if an act of disobedience (to Allah) is imposed one should not listen to it or obey it.
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৪. ইমামের কথা শুনা ও মানা, যতক্ষণ তা নাফরমানীর কাজ না হয়।
৭১৪৫. ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ক্ষুদ্র সৈন্যদল পাঠালেন এবং একজন আনসারীকে তাঁদের আমীর নিযুক্ত করে সেনাবাহিনীকে তার আনুগত্য করার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি (’আমীর) তাদের উপর রাগান্বিত হলেন এবং বললেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি তোমাদেরকে আমার আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ। তখন তিনি বললেন, আমি তোমাদের দৃঢ়ভাবে বলছি যে, তোমরা কাঠ জড় কর এবং তাতে আগুন জ্বালাও। এরপর তোমরা তাতে প্রবেশকরবে। তারা কাঠ জড় করল এবং তাতে আগুন জ্বালাল। এরপর যখন তারা প্রবেশ করতে ইচ্ছা করল, তখন একে অন্যের দিকে তাকাতে লাগল।
তাঁদের কেউ কেউ বলল, আগুন থেকে পরিত্রাণের জন্যই তো আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর অনুসরণ করেছি। তাহলে কি আমরা (সবশেষে) আগুনেই প্রবেশ করব? তাঁদের এসব কথোপকথনের মাঝে হঠাৎ আগুন নিভে যায়। আর তাঁর (’আমীরের) ক্রোধও দমিত হয়ে যায়। এ ঘটনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করা হলে তিনি বললেনঃ যদি তারা তাতে প্রবেশ করত, তাহলে কোন দিন আর এ থেকে বের হত না। জেনে রেখো! আনুগত্য কেবল বৈধ কাজেই হয়ে থাকে। [৪৩৪০; মুসলিম ৩৩/৮, হাঃ ১৮৪০, আহমাদ ৭২৪] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬০)
بَاب السَّمْعِ وَالطَّاعَةِ لِلْإِمَامِ مَا لَمْ تَكُنْ مَعْصِيَةً
عُمَرُ بْنُ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ حَدَّثَنَا أَبِي حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ حَدَّثَنَا سَعْدُ بْنُ عُبَيْدَةَ عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ عَلِيٍّ قَالَ بَعَثَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم سَرِيَّةً وَأَمَّرَ عَلَيْهِمْ رَجُلاً مِنْ الأَنْصَارِ وَأَمَرَهُمْ أَنْ يُطِيعُوهُ فَغَضِبَ عَلَيْهِمْ وَقَالَ أَلَيْسَ قَدْ أَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ تُطِيعُونِي قَالُوا بَلَى قَالَ قَدْ عَزَمْتُ عَلَيْكُمْ لَمَا جَمَعْتُمْ حَطَبًا وَأَوْقَدْتُمْ نَارًا ثُمَّ دَخَلْتُمْ فِيهَا فَجَمَعُوا حَطَبًا فَأَوْقَدُوا نَارًا فَلَمَّا هَمُّوا بِالدُّخُولِ فَقَامَ يَنْظُرُ بَعْضُهُمْ إِلَى بَعْضٍ قَالَ بَعْضُهُمْ إِنَّمَا تَبِعْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فِرَارًا مِنْ النَّارِ أَفَنَدْخُلُهَا فَبَيْنَمَا هُمْ كَذَلِكَ إِذْ خَمَدَتْ النَّارُ وَسَكَنَ غَضَبُهُ فَذُكِرَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَوْ دَخَلُوهَا مَا خَرَجُوا مِنْهَا أَبَدًا إِنَّمَا الطَّاعَةُ فِي الْمَعْرُوفِ.
Narrated `Ali:
The Prophet (ﷺ) sent an army unit (for some campaign) and appointed a man from the Ansar as its commander and ordered them (the soldiers) to obey him. (During the campaign) he became angry with them and said, "Didn't the Prophet (ﷺ) order you to obey me?" They said, "Yes." He said, "I order you to collect wood and make a fire and then throw yourselves into it." So they collected wood and made a fire, but when they were about to throw themselves into, it they started looking at each other, and some of them said, "We followed the Prophet (ﷺ) to escape from the fire. How should we enter it now?" So while they were in that state, the fire extinguished and their commander's anger abated. The event was mentioned to the Prophet (ﷺ) and he said, "If they had entered it (the fire) they would never have come out of it, for obedience is required only in what is good."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৫. যে লোক আল্লাহর কাছে নেতৃত্ব চায় না, তাকে আল্লাহ্ সাহায্য করেন।
৭১৪৬. ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ! তুমি নেতৃত্ব চেও না। কারণ চাওয়ার পর যদি তোমাকে তা দেয়া হয়, তবে তার দায়িত্ব তোমার উপরই বর্তাবে। আর যদি চাওয়া ছাড়াই তা তোমাকে দেয়া হয় তবে এ ক্ষেত্রে তোমাকে সাহায্য করা হবে। আর কোন বিষয়ে কসম করার পর, তার বিপরীত দিকটিকে যদি তার চেয়ে কল্যাণকর মনে কর, তাহলে কসমের কাফ্ফারা আদায় কর এবং কল্যাণকর কাজটি বাস্তবায়িত করো।[1] [৬৬২২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬১)
بَاب مَنْ لَمْ يَسْأَلْ الإِمَارَةَ أَعَانَهُ اللهُ عَلَيْهَا
حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلْ الإِمَارَةَ فَإِنَّكَ إِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ وَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ.
যার পরিপ্রেক্ষিতে রসূল (সাঃ) শাসনকার্য চেয়ে নেয়ার ভয়াবহতা বর্ণনা করেন যে, যে ব্যক্তিকে তার প্রার্থনার ফলে শাসনকার্য দেয়া হয় তাকে তার উপর সোপর্দ করে দেয়া হয় (অর্থাৎ আল্লাহর তরফ থেকে সে কোন প্রকার সাহায্য পাবে না)।
আর যে ব্যক্তিকে বিনা প্রার্থনায় শাসনকার্য দেয়া হয় তাকে আল্লাহর তরফ হতে সাহায্য দেয়া হয়। ইমাম মুহাল্লাব বলেন : এ ব্যাপারে সাহায্যের ব্যাখ্যা বর্ণনা করা হয়েছে।
আনাস (রাঃ) হতে মারফু সূত্রে বর্ণিত হাদীসের মধ্যে :
من طلب القضاء واستعان عليه باشفعاء وكل إلى نفس، ومن أكره عليه أنزل الله عليك ملكا يسدده
(ফাতহুল বারী)
Narrated `Abdur-Rahman bin Samura:
The Prophet (ﷺ) said, "O `Abdur-Rahman! Do not seek to be a ruler, for if you are given authority on your demand then you will be held responsible for it, but if you are given it without asking (for it), then you will be helped (by Allah) in it. If you ever take an oath to do something and later on you find that something else is better, then you should expiate your oath and do what is better."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৬. যে ব্যক্তি নেতৃত্ব চায়, তা তার উপরই ন্যস্ত করা হয়।
৭১৪৭. ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বলেছেনঃ হে ’আবদুর রহমান ইবনু সামুরাহ! নেতৃত্ব চেয়ে নিও না। কেননা, যদি চাওয়ার পর তোমাকে তা দেয়া হয়, তাহলে তার সকল দায়িত্বভার তোমার উপরই অর্পিত হবে। আর যদি না চাওয়া সত্ত্বেও তোমাকে তা দেয়া হয়, তাহলে এ ক্ষেত্রে (আল্লাহর পক্ষ থেকে) সহযোগিতা করা হবে। আর কোন বিষয়ে কসম করার পর তার বিপরীত দিকটিকে যদি উত্তম বলে মনে কর, তাহলে উত্তম কাজটিই করবে আর তোমার কসমের কাফ্ফারা আদায় করে দিবে। [৬৬২২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬২)
بَاب مَنْ سَأَلَ الإِمَارَةَ وُكِلَ إِلَيْهَا
أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَمُرَةَ قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَا عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ سَمُرَةَ لاَ تَسْأَلْ الإِمَارَةَ فَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ مَسْأَلَةٍ وُكِلْتَ إِلَيْهَا وَإِنْ أُعْطِيتَهَا عَنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ أُعِنْتَ عَلَيْهَا وَإِذَا حَلَفْتَ عَلَى يَمِينٍ فَرَأَيْتَ غَيْرَهَا خَيْرًا مِنْهَا فَأْتِ الَّذِي هُوَ خَيْرٌ وَكَفِّرْ عَنْ يَمِينِكَ.
Narrated `Abdur-Rahman bin Samura:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "O `Abdur-Rahman bin Samura! Do not seek to be a ruler, for if you are given authority on your demand, you will be held responsible for it, but if you are given it without asking for it, then you will be helped (by Allah) in it. If you ever take an oath to do something and later on you find that something else is better, then do what is better and make expiation for your oath."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৭. নেতৃত্বের লোভ পছন্দনীয় নয়।
৭১৪৮. আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেনঃ তোমরা নিশ্চয়ই নেতৃত্বের লোভ কর, অথচ কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কত উত্তম দুগ্ধদায়িনী এবং কত মন্দ দুগ্ধ পানে বাধা দানকারিণী (এটা) (অর্থাৎ এর প্রথম দিক দুগ্ধদানের মত তৃপ্তিকর, আর পরিণাম দুধ ছাড়ানোর মত যন্ত্রণাদায়ক)। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৪৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৩)
মুহাম্মাদ ইবনু বাশ্শার .... আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে এ হাদীসটি আবূ হুরাইরাহ (রাঃ)-এর ভাষ্য হিসাবে বর্ণনা করেছেন। (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৩)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ الْحِرْصِ عَلَى الإِمَارَةِ
أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّكُمْ سَتَحْرِصُونَ عَلَى الإِمَارَةِ وَسَتَكُونُ نَدَامَةً يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَنِعْمَ الْمُرْضِعَةُ وَبِئْسَتْ الْفَاطِمَةُ وَقَالَ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ حُمْرَانَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْحَكَمِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَوْلَهُ.
Narrated Abu Huraira:
The Prophet (ﷺ) said, "You people will be keen to have the authority of ruling which will be a thing of regret for you on the Day of Resurrection. What an excellent wet nurse it is, yet what a bad weaning one it is!"
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৭. নেতৃত্বের লোভ পছন্দনীয় নয়।
৭১৪৯. আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, আমি ও আমার কওমের দু’ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলাম। সে দু’জনের একজন বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে (কোন বিষয়ে) ’আমীর নিযুক্ত করুন। অন্যজনও ঐরূপ কথা বলল। তখন তিনি বললেনঃ যারা নেতৃত্ব চায় এবং এর লোভ করে, আমরা তাদেরকে এ পদে নিয়োগ করি না। [২২৬১] (আধুনিক প্রকাশনী- নাই, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৪)
بَاب مَا يُكْرَهُ مِنْ الْحِرْصِ عَلَى الإِمَارَةِ
مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ عَنْ بُرَيْدٍ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى قَالَ دَخَلْتُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَا وَرَجُلاَنِ مِنْ قَوْمِي فَقَالَ أَحَدُ الرَّجُلَيْنِ أَمِّرْنَا يَا رَسُولَ اللهِ وَقَالَ الْآخَرُ مِثْلَهُ فَقَالَ إِنَّا لاَ نُوَلِّي هَذَا مَنْ سَأَلَهُ وَلاَ مَنْ حَرَصَ عَلَيْهِ.
Narrated Abu Musa:
Two men from my tribe and I entered upon the Prophet. One of the two men said to the Prophet, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Appoint me as a governor," and so did the second. The Prophet (ﷺ) said, "We do not assign the authority of ruling to those who ask for it, nor to those who are keen to have it."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৮. জনগণের নেতৃত্ব পাওয়ার পর তাদের কল্যাণ কামনা করা।
৭১৫০. হাসান বাসরী (রহ.) হতে বর্ণিত যে, ’উবাইদুল্লাহ্ ইবনু যিয়াদ (রহ.) মাকিল ইবনু ইয়াসারের মৃত্যুশয্যায় তাকে দেখতে গেলেন। তখন মাকিল (রাঃ) তাকে বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করছি যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি যে, কোন বান্দাকে যদি আল্লাহ্ জনগণের নেতৃত্ব প্রদান করেন, আর সে কল্যাণ কামনার সঙ্গে তাদের তত্ত্বাবধান না করে, তাহলে সে জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।[1] [মুসলিম ১/৬৩, হাঃ ১৪২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৫)
بَاب مَنْ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً فَلَمْ يَنْصَحْ
أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا أَبُو الأَشْهَبِ عَنْ الْحَسَنِ أَنَّ عُبَيْدَ اللهِ بْنَ زِيَادٍ عَادَ مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ إِنِّي مُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَا مِنْ عَبْدٍ اسْتَرْعَاهُ اللهُ رَعِيَّةً فَلَمْ يَحُطْهَا بِنَصِيحَةٍ إِلاَّ لَمْ يَجِدْ رَائِحَةَ الْجَنَّةِ.
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটি ভয়ানক সতর্কবার্তা বহন করে ওই সমস্ত কর্মকর্তার জন্য যারা লোকজনের কাজে তাদেরকে প্রতারিত করে এবং তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে। সেই সমস্ত কর্মকর্তা রাষ্ট্রীয় কার্যক্রমের হোক কিংবা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ের হোক অথবা কোনো প্রতিষ্ঠান, সংগঠন, পারিবারিক বা ব্যক্তিগত বিষয়ের হোক। সকলের জন্য এই হাদীসে রয়েছে সতর্ক বাণী। সুতরাং যে সমস্ত কর্মকর্তা বিশ্বাসঘাতকতা করবে, সে সমস্ত কর্মকর্তার জন্য পরম সুখময় স্থান জান্নাত হারাম হয়ে যাবে। এবং তাদের জন্য অতি কষ্টদায়ক স্থান আগুনের জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে যাবে।
২। এই হাদীসটি ভয়ানক সতর্ক বাণী বহন করে প্রতারণাকারী ও বিশ্বাসভঙ্গকারী কর্মকর্তা ও দায়িত্বশীলদের জন্য। কেননা এতে তারা জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ রয়েছে। আর প্রকৃত ইসলামের একটি বিধান হলো এই যে, জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহ জান্নাত লাভের সুসংবাদসমূহের সাথে যুক্ত করা অপরিহার্য। যেহেতু জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহ কার্যকর হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। কেননা মহান আল্লাহ জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদগুলিকে কার্যকর না করার কতকগুলি উপাদান নির্ধারণ করে রেখেছেন। উক্ত উপাদানগুলির মধ্যে রয়েছে: মহান আল্লাহর কাছে সুপারিশ, ইসলামের শিক্ষা অনুযায়ী পাপ মোচনকারী সৎকর্ম এবং যারা সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে নি, তাদের জন্য সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহর ইচ্ছানুসারে ক্ষমা প্রদান। এই কারণে জান্নাত লাভের সুসংবাদ ও জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদসমূহকে আরবী ভাষায় বলা হয়:
اَلْوَعْدُ وَالْوَعِيْدُ
অর্থ: জান্নাত লাভের সুসংবাদ ও জাহান্নামে প্রবেশ করার দুঃসংবাদ।
৩। ইসলাম হলো সকল আমানতকারীদের আমানত সঠিকভাবে ফেরত দেওয়ার ধর্ম। অনুরূপভাবে ইসলাম হলো ব্যক্তি, দল ও সম্প্রদায়ের সমস্ত অধিকার সংরক্ষণের ধর্ম।
Narrated Ma'qil:
I heard the Prophet (ﷺ) saying, "Any man whom Allah has given the authority of ruling some people and he does not look after them in an honest manner, will never feel even the smell of Paradise."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৮. জনগণের নেতৃত্ব পাওয়ার পর তাদের কল্যাণ কামনা করা।
৭১৫১. হাসান বাসরী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা মা’কিল ইবনু ইয়াসারের কাছে তার সেবা-শুশ্রূষার জন্য আসলাম। এ সময় ’উবাইদুল্লাহ্ প্রবেশ করল। তখন মালিক (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে এমন একটি হাদীস বর্ণনা করে শোনাব, যা আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি। তিনি বলেন, কোন দায়িত্বশীল ব্যক্তি মুসলিম জনসাধারণের দায়িত্ব লাভ করল এবং তার মৃত্যু হল এ হালতে যে, সে ছিল খিয়ানাতকারী, তাহলে আল্লাহ্ তার জন্য জান্নাত হারাম করে দেবেন। [মুসলিম ১/৬৩, হাঃ ১৪২, আহমাদ ২০১৩১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৬)
بَاب مَنْ اسْتُرْعِيَ رَعِيَّةً فَلَمْ يَنْصَحْ
إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَخْبَرَنَا حُسَيْنٌ الْجُعْفِيُّ قَالَ زَائِدَةُ ذَكَرَهُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ أَتَيْنَا مَعْقِلَ بْنَ يَسَارٍ نَعُودُهُ فَدَخَلَ عَلَيْنَا عُبَيْدُ اللهِ فَقَالَ لَهُ مَعْقِلٌ أُحَدِّثُكَ حَدِيثًا سَمِعْتُهُ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَا مِنْ وَالٍ يَلِي رَعِيَّةً مِنْ الْمُسْلِمِينَ فَيَمُوتُ وَهُوَ غَاشٌّ لَهُمْ إِلاَّ حَرَّمَ اللهُ عَلَيْهِ الْجَنَّةَ.
Narrated Ma'qil:
Allah's Messenger (ﷺ) said, "If any ruler having the authority to rule Muslim subjects dies while he is deceiving them, Allah will forbid Paradise for him."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/৯. যে কঠোর ব্যবহার করবে আল্লাহ্ও তার প্রতি কঠোর ব্যবহার করবেন
৭১৫২. তারীফ আবূ তামীমা (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি সাফওয়ান (রহ.), জুনদাব (রাঃ) ও তাঁর সাথীদের কাছে ছিলাম। তখন তিনি তাদের নাসীহাত করছিলেন। তারা জিজ্ঞেস করল, আপনি কি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম- থেকে কোন কথা শুনেছেন? উত্তরে তিনি বললেন, আমি তাঁকে বলতে শুনেছি যে, যারা মানুষকে শোনাবার জন্য কোন কাজ করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তার এ কথা শুনিয়ে দেবেন। আর যারা অন্যের প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা তার প্রতি কঠোরতা অবলম্বন করবেন। তাঁরা পুনরায় বলল, আমাদেরকে কিছু নাসীহাত করুন। তিনি বললেন, মানুষের দেহের যে অংশ প্রথম দুর্গন্ধময় হবে, তা হল তার পেট। কাজেই যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে যে একমাত্র পবিত্র (হালাল) খাদ্য ব্যতীত আর কিছু সে আহার করবে না, সে যেন তাই করতে চেষ্টা করে। আর যে ব্যক্তি সামর্থ্য রাখে যে এক আঁজলা পরিমাণ রক্তপাত ঘটিয়ে তার ও জান্নাতের মাঝে বাধা সৃষ্টি করবে না, সে যেন অবশ্যই তা করে। [ইমাম বুখারী (রহ.)-এর ছাত্র ফেরাবরী] বলেন, আমি আবূ ’আবদুল্লাহ্ (রাঃ) (ইমাম বুখারী)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আমি শুনেছি- এ কথা কি জুন্দাব বলেছিলেন? তিনি বললেন, হ্যাঁ, জুনদাবই। [৬৪৯৯] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৭)
بَاب مَنْ شَاقَّ شَقَّ اللهُ عَلَيْهِ
إِسْحَاقُ الْوَاسِطِيُّ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ الْجُرَيْرِيِّ عَنْ طَرِيفٍ أَبِي تَمِيمَةَ قَالَ شَهِدْتُ صَفْوَانَ وَجُنْدَبًا وَأَصْحَابَهُ وَهُوَ يُوصِيهِمْ فَقَالُوا هَلْ سَمِعْتَ مِنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ مَنْ سَمَّعَ سَمَّعَ اللهُ بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ قَالَ وَمَنْ يُشَاقِقْ يَشْقُقْ اللهُ عَلَيْهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَقَالُوا أَوْصِنَا فَقَالَ إِنَّ أَوَّلَ مَا يُنْتِنُ مِنْ الإِنْسَانِ بَطْنُهُ فَمَنْ اسْتَطَاعَ أَنْ لاَ يَأْكُلَ إِلاَّ طَيِّبًا فَلْيَفْعَلْ وَمَنْ اسْتَطَاعَ أَنْ لاَ يُحَالَ بَيْنَهُ وَبَيْنَ الْجَنَّةِ بِمِلْءِ كَفِّهِ مِنْ دَمٍ أَهْرَاقَهُ فَلْيَفْعَلْ قُلْتُ لِأَبِي عَبْدِ اللهِ مَنْ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم جُنْدَبٌ قَالَ نَعَمْ جُنْدَبٌ.
Narrated Tarif Abi Tamima:
I saw Safwan and Jundab and Safwan's companions when Jundab was advising. They said, "Did you hear something from Allah's Messenger (ﷺ)?" Jundab said, "I heard him saying, 'Whoever does a good deed in order to show off, Allah will expose his intentions on the Day of Resurrection (before the people), and whoever puts the people into difficulties, Allah will put him into difficulties on the Day of Resurrection.'" The people said (to Jundab), "Advise us." He said, "The first thing of the human body to purify is the `Abdomen, so he who can eat nothing but good food (Halal and earned lawfully) should do so, and he who does as much as he can that nothing intervene between him and Paradise by not shedding even a handful of blood, (i.e. murdering) should do so."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১০. রাস্তায় বিচার করা, কিংবা ফাত্ওয়া দেয়া।
وَقَضَى يَحْيَى بْنُ يَعْمَرَ فِي الطَّرِيقِ وَقَضَى الشَّعْبِيُّ عَلَى بَابِ دَارِهِ
ইয়াহ্ইয়া ইবনু ইয়ামার (রহ.) রাস্তায় বিচার কার্য করেছেন। শা’বী (রহ.) তাঁর ঘরের দরজায় বিচার কার্য করেছেন।
৭১৫৩. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’জনে মাসজিদ থেকে বের হচ্ছিলাম। এমন সময় এক লোক মসজিদের আঙ্গিণায় আমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলল,হে আল্লাহর রাসূল! ক্বিয়ামাত (কিয়ামত) কখন হবে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তার জন্য কী প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ? এতে লোকটি যেন কিছুটা লজ্জিত হল। তারপর বলল, হে আল্লাহর রাসূল! সওম, সালাত, সাদাকা খুব একটা তার জন্য করতে পারিনি। তবে আমি আল্লাহ্ ও তাঁর রাসূলকে ভালবাসি। তিনি বললেনঃ তুমি যাকে ভালবাসো কিয়ামতে তার সঙ্গেই থাকবে।[1] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৮)
بَاب الْقَضَاءِ وَالْفُتْيَا فِي الطَّرِيقِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، حَدَّثَنَا أَنَسُ بْنُ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ بَيْنَمَا أَنَا وَالنَّبِيُّ، صلى الله عليه وسلم خَارِجَانِ مِنَ الْمَسْجِدِ فَلَقِيَنَا رَجُلٌ عِنْدَ سُدَّةِ الْمَسْجِدِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَتَى السَّاعَةُ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مَا أَعْدَدْتَ لَهَا " فَكَأَنَّ الرَّجُلَ اسْتَكَانَ ثُمَّ قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا أَعْدَدْتُ لَهَا كَبِيرَ صِيَامٍ وَلاَ صَلاَةٍ وَلاَ صَدَقَةٍ، وَلَكِنِّي أُحِبُّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ. قَالَ " أَنْتَ مَعَ مَنْ أَحْبَبْتَ ".
১. কোন মাসআলাহ যদি জানা না থাকে তাহলে সে ব্যাপারে প্রশ্নকারীর জবাব দান হতে আলেমের চুপ থাকার বৈধতা।
২. মানুষের অপ্রয়োজনীয় বিষয় সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দেয়া হতে আলেমের চুপ থাকার বৈধতা।
৩. ফিৎনা-ফাসাদের আশঙ্কা রয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর দান হতে আলেমের চুপ থাকার বৈধতা।
চলমান অবস্থায় বিচার করা সম্পর্কে ইমামদের মাঝে মতানৈক্য রয়েছে :
ইমাম আশহাব বলেন : যদি উপলব্ধি করা হতে (অন্য কোন বিষয় তাকে) ব্যস্ত না রাখে তাহলে কোন অসুবিধা নাই। ইমাম সাহনুন বলেন : চলন্ত অবস্থায় বিচার করা উচিত নয়। ইমাম ইবনে হাবীব বলেন : সাধারণ কোন বিষয়ে কোন অসুবিধা নেই। ইমাম ইবনু বাত্তাল বলেন : এটাই উত্তম, আর ইমাম আশহাবের মতটি দলীলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ইবনু ত্বীন বলেন : ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য বিষয়ে বিচার করা জায়েয নাই। ইমাম ইবনুল মুনীর বলেন : ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় ইলম সম্পর্কিত কথাবার্তা বলা যারা নিষিদ্ধ বলেন তাদের দলীল সঠিক নয়।
উপসংহারে ইবনু হাজার ’আসকালানী (রহ.) বলেন : পায়ে হাঁটা ও আরোহী হয়ে চলমান অবস্থায় রসূল (সাঃ)-কে সাহাবীদের প্রশ্ন করা সম্পর্কিত অনেক হাদীস রয়েছে। (ফাতহুল বারী)
Narrated Anas bin Malik:
While the Prophet (ﷺ) and I were coming out of the mosque, a man met us outside the gate. The man said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! When will be the Hour?" The Prophet (ﷺ) asked him, "What have you prepared for it?" The man became afraid and ashamed and then said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! I haven't prepared for it much of fasts, prayers or charitable gifts but I love Allah and His Apostle." The Prophet (ﷺ) said, "You will be with the one whom you love."
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১১. উল্লেখ আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কোন দ্বাররক্ষী ছিল না।
৭১৫৪. সাবিত বুনানী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-কে তাঁর পরিবারের একজন মহিলাকে এ মর্মে বলতে শুনেছি যে, তুমি কি অমুক মহিলাকে চেন? সে বলল, হ্যাঁ। আনাস (রাঃ) বললেন, একবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। সে তখন একটি কবরের পাশে কাঁদছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বললেনঃ আল্লাহকে ভয় কর এবং ধৈর্য ধারণ কর। তখন সে বলল, আমার নিকট হতে সরে যাও, কেননা, তুমি আমার বিপদ থেকে মুক্ত। আনাস (রাঃ) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে অতিক্রম করে চলে গেলেন।
এ সময় অপর লোক তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাকে জিজ্ঞেস করল, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে কী বললেন। মহিলাটি বলল, আমি তো তাঁকে চিনতে পারিনি। লোকটি বলল, ইনিই তো রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তিনি বললেন, পরে সে (মহিলাটি) রাসূলুল্লাহ্-এর দরজায় এল। তবে দরজায় কোন দ্বাররক্ষী দেখতে পেল না। তখন সে বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহর শপথ! আমি আপনাকে চিনতে পারিনি। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আঘাতের প্রথম চোটেই ধৈর্য ধারণ করতে হয়। [১২৫২] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৬৮)
بَاب مَا ذُكِرَ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يَكُنْ لَهُ بَوَّابٌ
إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا ثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ قَالَ سَمِعْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ يَقُولُ لِامْرَأَةٍ مِنْ أَهْلِهِ تَعْرِفِينَ فُلاَنَةَ قَالَتْ نَعَمْ قَالَ فَإِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم مَرَّ بِهَا وَهِيَ تَبْكِي عِنْدَ قَبْرٍ فَقَالَ اتَّقِي اللهَ وَاصْبِرِي فَقَالَتْ إِلَيْكَ عَنِّي فَإِنَّكَ خِلْوٌ مِنْ مُصِيبَتِي قَالَ فَجَاوَزَهَا وَمَضَى فَمَرَّ بِهَا رَجُلٌ فَقَالَ مَا قَالَ لَكِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَتْ مَا عَرَفْتُهُ قَالَ إِنَّهُ لَرَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ فَجَاءَتْ إِلَى بَابِهِ فَلَمْ تَجِدْ عَلَيْهِ بَوَّابًا فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللهِ وَاللهِ مَا عَرَفْتُكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الصَّبْرَ عِنْدَ أَوَّلِ صَدْمَةٍ.
Narrated Thabit Al-Bunani:
Anas bin Malik said to a woman of his family, "Do you know such-and-such a woman?" She replied, "Yes." He said, "The Prophet (ﷺ) passed by her while she was weeping over a grave, and he said to her, 'Be afraid of Allah and be patient.' The woman said (to the Prophet). 'Go away from me, for you do not know my calamity.'" Anas added, "The Prophet (ﷺ) left her and proceeded. A man passed by her and asked her, 'What has Allah's Messenger (ﷺ) said to you?' She replied, 'I did not recognize him.' The man said, 'He was Allah's Messenger (ﷺ)."' Anas added, "So that woman came to the gate of the Prophet (ﷺ) and she did not find a gate-keeper there, and she said, 'O Allah's Messenger (ﷺ)! By Allah. I did not recognize you!' The Prophet said, 'No doubt, patience is at the first stroke of a calamity.'"
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১২. বিচারক উপরস্থ শাসনকর্তার বিনা অনুমতিতেই হত্যাযোগ্য আসামীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে পারেন।
৭১৫৫. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, কায়স ইবনু সা’দ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে এরূপ থাকতেন যেরূপ আমীরের (রাষ্ট্রপ্রধানের) সামনে পুলিশ প্রধান থাকেন। (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৭০)
بَاب الْحَاكِمِ يَحْكُمُ بِالْقَتْلِ عَلَى مَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ دُونَ الإِمَامِ الَّذِي فَوْقَهُ.
مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ الذُّهْلِيُّ حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ ثُمَامَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ إِنَّ قَيْسَ بْنَ سَعْدٍ كَانَ يَكُونُ بَيْنَ يَدَيْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِمَنْزِلَةِ صَاحِبِ الشُّرَطِ مِنْ الأَمِيرِ.
Narrated Anas:
Qais bin Sa`d was to the Prophet (ﷺ) like a chief police officer to an Amir (chief).
পরিচ্ছেদঃ ৯৩/১২. বিচারক উপরস্থ শাসনকর্তার বিনা অনুমতিতেই হত্যাযোগ্য আসামীকে মৃত্যুদন্ড প্রদান করতে পারেন।
৭১৫৬. আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে (শাসনকর্তা) পাঠালেন এবং তার পশ্চাতে মু’আয (রাঃ) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কেও পাঠালেন। [২২৬১] (আধুনিক প্রকাশনী- ৬৬৫৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৬৬৭১)
بَاب الْحَاكِمِ يَحْكُمُ بِالْقَتْلِ عَلَى مَنْ وَجَبَ عَلَيْهِ دُونَ الإِمَامِ الَّذِي فَوْقَهُ.
مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى هُوَ الْقَطَّانُ عَنْ قُرَّةَ بْنِ خَالِدٍ حَدَّثَنِي حُمَيْدُ بْنُ هِلاَلٍ حَدَّثَنَا أَبُو بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم بَعَثَهُ وَأَتْبَعَهُ بِمُعَاذٍ.
Narrated Abu Musa:
that the Prophet (ﷺ) sent him and sent Mu`adh after him (as rulers to Yemen).