পরিচ্ছেদঃ ২৩২। পরিচ্ছেদ নাই।
৩২৬। হাসান ইবনু মুদরিক (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আমার খালা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পত্নী মায়মূনা (রাঃ) থেকে শুনেছি যে, তিনি হায়য অবস্থায় সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করতেন না; তখন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সিজদার জায়গায় সোজাসুজি শুয়ে থাকতেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর চাটাইয়ে সালাত আদায় করতেন। সিজদা করার সময় তাঁর কাপড়ের অংশ আমার (মায়মূনার) গায়ে লাগতো।
باب
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ ـ اسْمُهُ الْوَضَّاحُ ـ مِنْ كِتَابِهِ قَالَ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ خَالَتِي، مَيْمُونَةَ ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا كَانَتْ تَكُونُ حَائِضًا لاَ تُصَلِّي، وَهْىَ مُفْتَرِشَةٌ بِحِذَاءِ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يُصَلِّي عَلَى خُمْرَتِهِ، إِذَا سَجَدَ أَصَابَنِي بَعْضُ ثَوْبِهِ.
Narrated Maimuna: (the wife of the Prophet) During my menses, I never prayed, but used to sit on the mat beside the mosque of Allah's Apostle. He used to offer the prayer on his sheet and in prostration some of his clothes used to touch me."
পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই
৩৭২৩। আদম (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনু হাদ লায়সী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রিফা’আ ইবনু রাফি’ আনসারী (রাঃ) কে দেখেছি, তিনি বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
باب
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ اللَّيْثِيَّ، قَالَ رَأَيْتُ رِفَاعَةَ بْنَ رَافِعٍ الأَنْصَارِيَّ، وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا.
Narrated `Abdullah bin Shaddad bin Al-Had Al-Laithi:
I saw Rifa`a bin Rafi` Al-Ansari who was a Badr warrior.
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৬১৯। আমরুন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকটে দুই লি’আনকারীর বিষয় উত্থাপন করা হল। তখন ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) বললেন, এরা কি ঐ দু’জন যাদের সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, আমি যদি কাউকে বিনা প্রমাণে “রজম করতাম তবে ঐ মহিলাকে রজম” করতাম। তখন ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, না, এ সে মহিলা নয়। সে ছিল অপর এক মহিলা যার ব্যাপার প্রকাশ্য ছিল। ইবনু আবূ উমর (রহঃ) তার বর্ণনায় কাসিম ইবনু মুহাম্মদের সুত্রে বলেন যে, আমি এ হাদীস ইবনু আব্বাসের কাছে শুনেছি।
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ وَذُكِرَ الْمُتَلاَعِنَانِ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ ابْنُ شَدَّادٍ أَهُمَا اللَّذَانِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ رَاجِمًا أَحَدًا بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ لَرَجَمْتُهَا " . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لاَ تِلْكَ امْرَأَةٌ أَعْلَنَتْ . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ .
'Abdullah b Shaddad reported that mention was made about the invokers of curses before Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them). Ibn Shaddad said:
Are these the two about whom Allah's Apostle (ﷺ) said." If I were to stone one without evidence, I would have definitely stoned her"? Ibn Abbas (Allah be pleased with them) said: She is not this woman; but she is the one who (committed adultery) openly.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৫. মহিলাদের দেহের সাথে সংযুক্ত কাপড়ে নামায আদায়ের অনুমতি প্রসঙ্গে।
৩৬৯. মুহাম্মাদ ইবনুস সাব্বাহ ..... আবদুল্লাহ্ ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) হতে বর্ণিত। মায়মূনা (রাঃ) বলেন, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মোটা পশমী চাঁদর গায় দিয়ে নামায আদায় করেছেন। তখন উক্ত চাঁদরের একাংশ তাঁর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হায়েযগ্রস্ত কোন এক স্ত্রীর গায়ে ছিল।
باب فِي الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ بْنِ سُفْيَانَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ الشَّيْبَانِيِّ، سَمِعَهُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، يُحَدِّثُهُ عَنْ مَيْمُونَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى وَعَلَيْهِ مِرْطٌ وَعَلَى بَعْضِ أَزْوَاجِهِ مِنْهُ وَهِيَ حَائِضٌ وَهُوَ يُصَلِّي وَهُوَ عَلَيْهِ .
Maimunah reported:
The Prophet (ﷺ) prayed on a sheet of cloth put on by one of his wives who was menstruating. He was praying while (a part of) it was upon him.
পরিচ্ছেদঃ ৩. গচ্ছিত ধনের এবং অলংকারের যাকাত।
১৫৬৫. মুহাম্মাদ ইব্ন ইদ্রীস (রহঃ) .... আব্দুল্লাহ্ ইব্ন শাদ্দাদ ইব্নুল হাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আয়েশা (রাঃ) এর খেদমতে উপস্থিত হই। তখন তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট উপস্থিত হয়ে আমার হাতে রূপার বড় বড় আংটি দেখতে পান। তিন বলেন, হে আয়েশা! এ কি? আমি বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনার উদ্দ্যেশ্যে রূপচর্চা কারার জন্য তা গড়িয়েছি। তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তুমি কি এর যাকাত পরিশোধ করে থাক? আমি বললাম, না অথবা আল্লাহ পাকের যা ইচ্ছা ছিল। তিনি বলেনঃ তোমাকে দোযখে নিয়ে যাওয়ার জন্য এটাই যথেষ্ট।
باب الْكَنْزِ مَا هُوَ وَزَكَاةِ الْحُلِيِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ طَارِقٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى فِي يَدِي فَتَخَاتٍ مِنْ وَرِقٍ فَقَالَ " مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ " . فَقُلْتُ صَنَعْتُهُنَّ أَتَزَيَّنُ لَكَ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " أَتُؤَدِّينَ زَكَاتَهُنَّ " . قُلْتُ لاَ أَوْ مَا شَاءَ اللَّهُ . قَالَ " هُوَ حَسْبُكِ مِنَ النَّارِ " .
Narrated ‘Abdallah bin Shaddad bin Al Had :
We entered upon A’ishah, wife of the Prophet (ﷺ). She said The Apostle of Allaah (ﷺ) entered upon me and saw two silver rings in my hand. He asked What is this, Aishah? I said I have made two ornaments myself for you, Messenger of Allah (ﷺ). He asked Do you pay zakat on them? I said No or I said Whatever Allah willed. He said this is sufficient for you (to take you) to the Hell fire.
পরিচ্ছেদঃ ১৪১. ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে সহবাস বা মিলন।
২১৬৪. মুহাম্মদ ইবন আল ’আলা ...... আবদুল্লাহ্ ইবন শাদ্দাদ (রহঃ) তাঁর খালা মায়মূনা বিনত আল্ হারিস (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তাঁর কোন ঋতুমতী স্ত্রীর সাথে শয়ন করতেন, তখন তিনি তাঁকে ইযার (পায়জামা) পরিধান করতে বলতেন। অতঃপর তিনি তাঁর সাথে রাতযাপন করতেন।
باب فِي إِتْيَانِ الْحَائِضِ وَمُبَاشَرَتِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ، وَمُسَدَّدٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَفْصٌ، عَنِ الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، عَنْ خَالَتِهِ، مَيْمُونَةَ بِنْتِ الْحَارِثِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ أَنْ يُبَاشِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ وَهِيَ حَائِضٌ أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ ثُمَّ يُبَاشِرُهَا .
Maimunah daughter of Al Harith said “When the Apostle of Allaah(ﷺ) intended to associate and lie with any of his wives who was menstruating, he ordered her to wrap up the lower garment(loin-cloth) and then he had association with her.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৩০. পরিচ্ছদ নেই
৩৩৩। আবদুল্লাহ ইব্নু শাদ্দাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি আমার খালা নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর স্ত্রী মাইমূনা (রাঃ) হতে শুনেছি যে, তিনি হায়েয অবস্থায় সালাত আদায় করতেন না; তখন তিনি আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সালাতের সিজদার জায়গায় সোজাসুজি শুয়ে থাকতেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার চাটাইয়ে সালাত আদায় করতেন। সিজদা করার সময় তাঁর কাপড়ের অংশ আমার (মাইমূনাহ্র) শরীর স্পর্শ করতো। (৩৭৯, ৩৮১, ৫১৭, ৫১৮ দ্রষ্টব্য) (আ.প্র. ৩২১, ই.ফা. ৩২৬)
بَاب
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُدْرِكٍ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو عَوَانَةَ ـ اسْمُهُ الْوَضَّاحُ ـ مِنْ كِتَابِهِ قَالَ أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ خَالَتِي، مَيْمُونَةَ ـ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا كَانَتْ تَكُونُ حَائِضًا لاَ تُصَلِّي، وَهْىَ مُفْتَرِشَةٌ بِحِذَاءِ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ يُصَلِّي عَلَى خُمْرَتِهِ، إِذَا سَجَدَ أَصَابَنِي بَعْضُ ثَوْبِهِ.
Narrated Maimuna:
(the wife of the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) ) During my menses, I never prayed, but used to sit on the mat beside the mosque of Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) . He used to offer the prayer on his sheet and in prostration some of his clothes used to touch me."
পরিচ্ছেদঃ ৬৪/১২. পরিচ্ছেদ নাই।
৪০১৪. ‘আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনু হাদ লায়সী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রিফা‘আ ইবনু রাফি‘ আনসারী (রাঃ)-কে দেখেছি, তিনি বদর যুদ্ধে শরীক হয়েছিলেন। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭২০)
بَاب
آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ حُصَيْنِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ اللَّيْثِيَّ قَالَ رَأَيْتُ رِفَاعَةَ بْنَ رَافِعٍ الْأَنْصَارِيَّ وَكَانَ شَهِدَ بَدْرًا.
Narrated `Abdullah bin Shaddad bin Al-Had Al-Laithi:
I saw Rifa`a bin Rafi` Al-Ansari who was a Badr warrior.
পরিচ্ছেদঃ ৮৪. মুস্তাহাযাহ (রক্ত প্রদরের রোগিণী)-এর গোসল সম্পর্কে
৮৩০. আব্দুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ বলেন, ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা গোসল করবে, তারপর যুহর এবং আসর সালাত একত্রে আদায় করবে। অতঃপর সে যদি কিছু (রক্ত) দেখতে পায়, তবে গোসল করবে এবং মাগরিব ও ঈশা’র সালাত একত্রে আদায় করবে।[1]
তাখরীজ: আবু দাউদ ২৯৬ নং হাদীসের পরে এটি সনদবিহীনভাবে উল্লেখ করেছেন।
بَابٌ فِي غُسْلِ الْمُسْتَحَاضَةِ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ حَدَّثَنَا أَبُو زُبَيْدٍ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ قَالَ الْمُسْتَحَاضَةُ تَغْتَسِلُ ثُمَّ تَجْمَعُ بَيْنَ الظُّهْرِ وَالْعَصْرِ فَإِنْ رَأَتْ شَيْئًا اغْتَسَلَتْ وَجَمَعَتْ بَيْنَ الْمَغْرِبِ وَالْعِشَاءِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
১০৮০. আব্দুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ রাহি. হতে বর্ণিত, মাইমুনাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের কারো কারো সাথে ইযার (পায়জামা)-এর উপর দিয়ে মেলামেশা করতেন, অথচ তখন সেই স্ত্রী হায়িয অবস্থায় থাকতেন।[1]
তাখরীজ: আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭০৮২ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ১৩৬৮; আরও দেখুন, সুনানে বাইহাকী ৭/১৯১।
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا خَالِدٌ عَنْ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ عَنْ مَيْمُونَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُبَاشِرُ الْمَرْأَةَ مِنْ نِسَائِهِ فَوْقَ الْإِزَارِ وَهِيَ حَائِضٌ
পরিচ্ছেদঃ ২৮. আসাবাহ সম্পর্কে
৩০২২. আব্দুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনুল হাদী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইয়ামামা’র যুদ্ধের দিন আবী হুযাইফা’ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর দাস সালিম রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু নিহত হন। তার মীরাছ দুইশত দিরহাম পর্যন্ত পৌঁছেছিল। উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, এটা তার মায়ের জন্য সংরক্ষণ করো, যাতে সে এর শেষ পর্যন্তও (তথা পুরোটা) সে পেতে পারে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক, আল মুসান্নাফ নং ১৬২৩৭।
باب الْعَصَبَةِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو شِهَابٍ حَدَّثَنِي أَبُو إِسْحَقَ الشَّيْبَانِيُّ عَنْ عُبَيْدِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ قَالَ أُصِيبَ سَالِمٌ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ يَوْمَ الْيَمَامَةِ فَبَلَغَ مِيرَاثُهُ مِائَتَيْ دِرْهَمٍ فَقَالَ عُمَرُ احْبِسُوهَا عَلَى أُمِّهِ حَتَّى تَأْتِيَ عَلَى آخِرِهَا
পরিচ্ছেদঃ ৩১. ওয়ালা (মালিকানা স্বত্ব) সম্পর্কে
৩০৫২. আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, হামযা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর কন্যা তার একটি দাসকে মুক্ত করেন। এরপর মুক্তদাসটি একটি কন্যা সন্তান ও তার মুক্তিদাত্রী হামযার কন্যাকে রেখে মারা যায়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার পরিত্যক্ত সম্পদ তার সেই কন্যা ও মুক্তিদাত্রী হামযার কন্যার মধ্যে অর্ধেক-অর্ধেক করে বণ্টন করেন।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক আল মুসান্নাফ নং ১৬২১০; তাবারাণী, কাবীর ২৪/৩৫৫, ৩৫৭ নং ৮৮০,৮৮৫,৮৮৬; ইবনু আবী শাইবা ১১/২৬৭ নং ১১১৮২, ১১১৮৪; সাঈদ ইবনু মানসূর নং ১৭৩, ১৭৪; বাইহাকী, ফারাইয ৬/২৪১ সনদ সহীহ। এছাড়া, ইবনু মাজাহ ২৭৩৪; হাকিম ৪/৬৬; সহীহ সনদে।…
باب الْوَلَاءِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا أَشْعَثُ عَنْ الْحَكَمِ وَسَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ شَدَّادٍ أَنَّ ابْنَةَ حَمْزَةَ أَعْتَقَتْ عَبْدًا لَهَا فَمَاتَ وَتَرَكَ ابْنَتَهُ وَمَوْلَاتَهُ بِنْتَ حَمْزَةَ فَقَسَمَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِيرَاثَهُ بَيْنَ ابْنَتِهِ وَمَوْلَاتِهِ بِنْتِ حَمْزَةَ نِصْفَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৬৫২-(১৩/...) আমর আন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকটে দু’ লি’আনকারীর বিষয় আলোচনা করা হলো। তখন ইবনু শাদ্দাদ (রহঃ) বললেনঃ এরা কি ঐ দুই ব্যক্তি যাদের সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেনঃ আমি যদি কাউকে বিনা দলীলে রজম করতাম তবে ঐ মহিলাকে রজম করতাম। তখন ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেনঃ না, এ মহিলা সে নয়। সে ছিল অপর এক মহিলা যার ব্যাপার প্রকাশ্য ছিল। ইবনু আবী উমার (রহঃ) তার বর্ণনায় কাসিম ইবনু মুহাম্মদের সূত্রে বলেন, আমি ইবনু আব্বাসের কাছে শুনেছি। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৬১৮, ইসলামিক সেন্টার ৩৬১৮)
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - قَالاَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ، عُيَيْنَةَ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ وَذُكِرَ الْمُتَلاَعِنَانِ عِنْدَ ابْنِ عَبَّاسٍ فَقَالَ ابْنُ شَدَّادٍ أَهُمَا اللَّذَانِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لَوْ كُنْتُ رَاجِمًا أَحَدًا بِغَيْرِ بَيِّنَةٍ لَرَجَمْتُهَا " . فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ لاَ تِلْكَ امْرَأَةٌ أَعْلَنَتْ . قَالَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ فِي رِوَايَتِهِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ قَالَ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ .
'Abdullah b Shaddad reported that mention was made about the invokers of curses before Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them). Ibn Shaddad said:
Are these the two about whom Allah's Apostle (ﷺ) said." If I were to stone one without evidence, I would have definitely stoned her"? Ibn Abbas (Allah be pleased with them) said: She is not this woman; but she is the one who (committed adultery) openly.
পরিচ্ছেদঃ তৃতীয় অনুচ্ছেদ - ইবাদতের জন্য হায়াত ও দৌলতের আকাঙ্ক্ষা করা
৫২৯৩-[১০] ’আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার ’আহ্ গোত্রীয় তিন ব্যক্তি নাবী (সা.) -এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করল। তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) (সাহাবায়ে কেরামদের উদ্দেশে) বললেন : তোমাদের মাঝে কে এদের দায়িত্ব নিতে পারে? ত্বলহাহ্ (রাঃ) বললেন : আমি। (শাদ্দাদ বলেন :) অতএব তারা ত্বলহাহ্-এর কাছে থাকতে লাগল, এরপর এক সময় নাবী (সা.) কোন এক অভিযানে একদল সৈন্য পাঠালেন, তখন তাদের একজন ঐ সেনাদলের সাথে বের হলো এবং যুদ্ধে শহীদ হয়ে গেল। অতঃপর নাবী (সা.) অন্য একটি সেনাদল পাঠালেন। এ দলের সাথেও দ্বিতীয় একজন বের হলো এবং সেও শহীদ হলো। এরপর (একদিন) তৃতীয়জন (স্বাভাবিক অবস্থায়) নিজ বিছানায় মৃত্যুবরণ করল। বর্ণনাকারী (ইবনু শাদ্দাদ) বলেন, ত্বলহাহ্ (রাঃ) বললেন : এরপর আমি এক সময় উক্ত তিন ব্যক্তিকে (স্বপ্নযোগে) জান্নাতের মধ্যে দেখতে পেলাম এবং এটাও দেখলাম যে, স্বীয় বিছানায় মৃত ব্যক্তিটি তাদের সামনে রয়েছে এবং দ্বিতীয় অভিযানে শহীদ ব্যক্তিটি রয়েছে তার পিছনে, আর এর পিছনে রয়েছে প্রথম ব্যক্তি। [ত্বলহাহ্ (রাঃ) বলেনঃ] তাদের এ ক্রমিক মানে আমার মনে একটি সন্দেহ জাগল। অতএব এ কথাটি আমি নাবী (সা.) -এর নিকট উল্লেখ করলাম। তখন তিনি বললেন: কিসে তুমি আশ্চর্যান্বিত হলে? (জেনে রাখো!) যে ঈমানদার ইসলামের মধ্যে থেকে তাসবীহ, তাকবীর ও তাহলীল আদায় করার জন্য অতিরিক্ত বয়সের অবকাশ পেয়েছে এমন মু’মিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অন্য কেউ উত্তম নয়। (আহমাদ)।
اَلْفصْلُ الثَّالِثُ (بَابُ اسْتِحْبَابِ الْمَالِ وَالْعُمُرِ لِلطَّاعَةِ)
وَعَن عبدِ الله بنِ شدَّادٍ قَالَ إِنَّ نَفرا من بني عذرةثلاثة أَتَوُا النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَسْلَمُوا قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ يَكْفِينِيهِمْ؟» قَالَ طَلْحَةُ: أَنَا. فَكَانُوا عِنْدَهُ فَبَعَثَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بَعْثًا فَخَرَجَ فِيهِ أَحَدُهُمْ فَاسْتُشْهِدَ ثُمَّ بَعَثَ بَعْثًا فَخَرَجَ فِيهِ الْآخَرُ فَاسْتُشْهِدَ ثُمَّ مَاتَ الثَّالِثُ عَلَى فِرَاشِهِ. قَالَ: قَالَ طَلْحَةُ: فَرَأَيْتُ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ فِي الْجَنَّةِ وَرَأَيْتُ الْمَيِّتَ عَلَى فِرَاشِهِ أَمَامَهُمْ وَالَّذِي اسْتُشْهِدَ آخِرًا يَلِيهِ وَأَوَّلَهُمْ يَلِيهِ فَدَخَلَنِي مِنْ ذَلِكَ فَذَكَرْتُ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم فَقَالَ: «وَمَا أَنْكَرْتَ مِنْ ذَلِكَ؟ لَيْسَ أَحَدٌ أَفْضَلَ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ مُؤْمِنٍ يُعَمَّرُ فِي الْإِسْلَام لتسبيحه وتكبيره وتهليله»
سندہ ضعیف ، رواہ احمد (1 / 163 ح 1401) * السند مرسل ولہ طریق آخر عند البزار (954 کشف الاستار) و ابی یعلی (634) و سندہ ضعیف ۔
ব্যাখ্যা : (فَرَأَيْتُ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ فِي الْجَنَّةِ وَرَأَيْتُ الْمَيِّتَ عَلَى فِرَاشِهِ أَمَامَهُمْ) আবূ ত্বলহাহ্ (রাঃ) বলেন, আমি স্বপ্নে ঐ তিন ব্যক্তিকে জান্নাতে দেখলাম। আর যে বিনা যুদ্ধে বিছানায় মারা গিয়েছে তাকে দেখলাম সবার সামনে। আল্লামাহ্ ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, মূলত এ কথা বলা উচিত ছিল : “তাদের দু'জনের সামনে দেখলাম, কিন্তু তা না বলে তাদের সকলের সামনে দেখলাম” দ্বারা এ কথার দিকে ইঙ্গিত করা হয়েছে যে, (أَقَلَّ الْجَلَمْع اشْنَانِ) তথা বহুবচনের সর্বনিম্ন সংখ্যা হচ্ছে দুই।
(فَدَخَلَنِي مِنْ ذَلِكَ) তাদের তিনজনের মধ্যে যিনি পরে মারা গেছেন, তিনি সবার আগে, তারপর ২য় ব্যক্তি, তার পর ১ম ব্যক্তি। এরূপ ধারাবাহিকতা দেখে আমার মনে প্রশ্ন দেখা দিল। তাই এ ব্যাপারটি রাসূল (সা.) -এর নিকট পেশ করি। তিনি আমার কথা শুনে বললেন, তুমি এখানে কোন্ বিষয়টিকে অপছন্দ করছ?
(لَيْسَ أَحَدٌ أَفْضَلَ عِنْدَ اللَّهِ مِنْ مُؤْمِنٍ يُعَمَّرُ فِي الْإِسْلَام) আল্লাহর নিকট ইসলামের উপর অধিক বয়সপ্রাপ্ত মু'মিনের চেয়ে উত্তম আর কিছু নেই। কেননা যে বেশি বয়স পেয়েছে সে তাসবীহ, তাকবীর ও তাহলীলসহ যাবতীয় মৌখিক ও শারীরিক ‘ইবাদাত বেশি পরিমাণে করতে সক্ষম হয়েছে। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ৪. গচ্ছিত মাল কি এবং অলংকারের যাকাত প্রসঙ্গে
১৫৬৫। ’আবদুল্লাহ ইবনু শাদ্দাদ ইবনুল হাদ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-এর নিকট গেলে তিনি বললেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এসে আমার হাতে রূপার বড় আংটি দেখতে পেয়ে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে ’আয়িশাহ! এটা কি? আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! আপনার উদ্দেশে সাজসজ্জার জন্য আমি এটা বানিয়েছি। তিনি বললেন, তুমি কি এগুলোর যাকাত দাও? আমি বললাম, না, অথবা আল্লাহ যা ইচ্ছা করেন। তিনি বললেন, তোমাকে (জাহান্নামের) আগুনে নিয়ে যেতে এটাই যথেষ্ট।[1]
সহীহ।
باب الْكَنْزِ مَا هُوَ وَزَكَاةِ الْحُلِيِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ الرَّبِيعِ بْنِ طَارِقٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ أَبِي جَعْفَرٍ، أَنَّ مُحَمَّدَ بْنَ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، أَخْبَرَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادِ بْنِ الْهَادِ، أَنَّهُ قَالَ دَخَلْنَا عَلَى عَائِشَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلي الله عليه وسلم فَقَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَرَأَى فِي يَدِي فَتَخَاتٍ مِنْ وَرِقٍ فَقَالَ " مَا هَذَا يَا عَائِشَةُ " . فَقُلْتُ صَنَعْتُهُنَّ أَتَزَيَّنُ لَكَ يَا رَسُولَ اللهِ . قَالَ " أَتُؤَدِّينَ زَكَاتَهُنَّ " . قُلْتُ لَا أَوْ مَا شَاءَ اللهُ . قَالَ " هُوَ حَسْبُكِ مِنَ النَّارِ "
- صحيح
Narrated ‘Abdallah bin Shaddad bin Al Had :
We entered upon A’ishah, wife of the Prophet (ﷺ). She said The Apostle of Allaah (ﷺ) entered upon me and saw two silver rings in my hand. He asked What is this, Aishah? I said I have made two ornaments myself for you, Messenger of Allah (ﷺ). He asked Do you pay zakat on them? I said No or I said Whatever Allah willed. He said this is sufficient for you (to take you) to the Hell fire.
পরিচ্ছেদঃ কোন কষ্টের কারণে মৃত্যু-কামনা করা বৈধ নয়, দ্বীনের ব্যাপারে ফিতনার আশঙ্কায় বৈধ
(১২৭৩) আব্দুল্লাহ বিন শাদ্দাদ (রাঃ) বলেন, বানী উযরার তিন ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে ইসলাম গ্রহণ করল। অতঃপর তারা ত্বালহার তত্ত্বাবধানে বাস করতে লাগল। এক সময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধে কিছু লোক প্রেরণ করলেন। তাদের মধ্যে একজন লোকে তাতে যোগদান করে শহীদ হয়ে গেল। তারপর আরো এক অভিযানে লোক পাঠালে তাদের মধ্যে দ্বিতীয়জন যোগ দিয়ে শহীদ হয়ে গেল। আর তৃতীয়জন বিছানায় মৃত্যুবরণ করল।
ত্বালহা বলেন, অতঃপর এক রাতে আমি ঐ তিনজনকে স্বপ্নে দেখি, ওদের মধ্যে যে বিছানায় মারা গেছে সে সবার আগে আছে, অতঃপর যে পরে শহীদ হয়েছে সে আছে এবং সর্বপ্রথম যে শহীদ হয়েছে সে সবার শেষে রয়েছে। এতে আমার সন্দেহ হলে আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট গিয়ে উল্লেখ করলে তিনি বললেন, এতে আপত্তিকর কি আছে? আল্লাহর নিকট সেই মু’মিন অপেক্ষা উত্তম কেউ নয়, যাকে ইসলামে তার তসবীহ, তকবীর ও তহলীলের জন্য বেশি বয়স দেওয়া হবে।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ شَدَّادٍ أَنَّ نَفَرًا مِنْ بَنِي عُذْرَةَ ثَلَاثَةً أَتَوْا النَّبِيَّ ﷺ فَأَسْلَمُوا قَالَ فَقَالَ النَّبِيُّ ﷺ مَنْ يَكْفِنِيهِمْ قَالَ طَلْحَةُ أَنَا قَالَ فَكَانُوا عِنْدَ طَلْحَةَ فَبَعَثَ النَّبِيُّ ﷺ بَعْثًا فَخَرَجَ أَحَدُهُمْ فَاسْتُشْهِدَ قَالَ ثُمَّ بَعَثَ بَعْثًا فَخَرَجَ فِيهِمْ آخَرُ فَاسْتُشْهِدَ قَالَ ثُمَّ مَاتَ الثَّالِثُ عَلَى فِرَاشِهِ قَالَ طَلْحَةُ فَرَأَيْتُ هَؤُلَاءِ الثَّلَاثَةَ الَّذِينَ كَانُوا عِنْدِي فِي الْجَنَّةِ فَرَأَيْتُ الْمَيِّتَ عَلَى فِرَاشِهِ أَمَامَهُمْ وَرَأَيْتُ الَّذِي اسْتُشْهِدَ أَخِيرًا يَلِيهِ وَرَأَيْتُ الَّذِي اسْتُشْهِدَ أَوَّلَهُمْ آخِرَهُمْ قَالَ فَدَخَلَنِي مِنْ ذَلِكَ قَالَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ ﷺ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ ﷺ وَمَا أَنْكَرْتَ مِنْ ذَلِكَ لَيْسَ أَحَدٌ أَفْضَلَ عِنْدَ اللهِ مِنْ مُؤْمِنٍ يُعَمَّرُ فِي الْإِسْلَامِ لِتَسْبِيحِهِ وَتَكْبِيرِهِ وَتَهْلِيلِهِ