পরিচ্ছেদঃ ঋতুকালীন ঋতুমতী মহিলাদের প্রতি নির্দেশ।
وَقَوْلُ اللهِ تَعَالَى )وَيَسْأَلُونَكَ عَنِ الْمَحِيضِ قُلْ هُوَ أَذًى فَاعْتَزِلُوا النِّسَاءَ فِي الْمَحِيضِ( إِلَى قَوْلِهِ )وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ. (
আর আল্লাহর বাণীঃ ‘‘তারা আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে রক্তস্রাব সম্বন্ধে। আপনি বলুনঃ তা অশুচি। কাজেই রক্তস্রাব অবস্থায় তোমরা স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাকবে এবং পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত তাদের নিকটবর্তী হবে না। সুতরাং যখন তারা উত্তমরূপে পরিশুদ্ধ হবে তখন তোমরা তাদের কাছে ঠিক সেভাবে গমন করবে যেভাবে আল্লাহ্ তোমাদের আদেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তওবাকারীদের ভালবাসেন এবং যারা পবিত্র থাকে তাদেরও ভালবাসেন।’’ (সূরাহ্ আল-বাক্বারাহ্ ২/২২২)
6/1. بَاب كَيْفَ كَانَ بَدْءُ الْحَيْضِ.
৬/১. হায়যের ইতিকথা।
وَقَوْلُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم هَذَا شَيْءٌ كَتَبَهُ اللهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ وَقَالَ بَعْضُهُمْ كَانَ أَوَّلُ مَا أُرْسِلَ الْحَيْضُ عَلَى بَنِي إِسْرَائِيلَ قَالَ أَبُو عَبْد اللهِ وَحَدِيثُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَكْثَرُ.
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটি এমন একটি বিষয় যা আল্লাহ্ তা‘আলা আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। কারো কারো মতে সর্বপ্রথম হায়য শুরু হয় বনী ইসরাঈলী মহিলাদের। আবূ ‘আবদুল্লাহ বুখারী (রহ.) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হাদীসই গ্রহণযোগ্য।
২৯৪. ‘আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমরা হাজ্জের উদ্দেশেই (মদিনা হতে) বের হলাম। ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছার পর আমার হায়য আসলো। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং বললেনঃ কী হলো তোমার? তোমার হায়য এসেছে? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেনঃ এ তো আল্লাহ্ তা‘আলাই আদম-কন্যাদের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সুতরাং তুমি বাইতুল্লাহর ত্বওয়াফ ছাড়া হাজ্জের বাকী সব কাজ করে যাও। ‘আয়িশাহ (রাযি.) বলেনঃ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর স্ত্রীদের পক্ষ হতে গাভী কুরবানী করলেন। (৩০৫, ৩১৬, ৩১৭, ৩১৯, ৩২৮, ১৫১৬, ১৫১৮, ১৫৫৬, ১৫৬০, ১৫৬১, ১৫৬২, ১২৩৮, ১৬৫০, ১৭০৯, ১৭২০, ১৭৩৩, ১৭৫৭, ১৭৬২, ১৭৭১, ১৭৭২, ১৭৮৩, ১৭৮৬, ১৭৮৭, ১৭৮৮, ২৯৫২, ২৯৮৪, ৪৩৯৫, ৪৪০১, ৪৪০৮, ৫৩২৯, ৫৫৪৮, ৫৫৫৯, ৬১৫৭,৭২২৯; মুসলিম ১৫/১৭, হাঃ ১২১১) (আধুনিক প্রকাশনী- ২৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ২৯০)
بَابُ الأمرِ بالنُّفَسَاءْ إذَا نُفِسْنَ
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ، قَالَ سَمِعْتُ الْقَاسِمَ، يَقُولُ سَمِعْتُ عَائِشَةَ، تَقُولُ خَرَجْنَا لاَ نَرَى إِلاَّ الْحَجَّ، فَلَمَّا كُنَّا بِسَرِفَ حِضْتُ، فَدَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي قَالَ " مَا لَكِ أَنُفِسْتِ ". قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " إِنَّ هَذَا أَمْرٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَاقْضِي مَا يَقْضِي الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ ". قَالَتْ وَضَحَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ نِسَائِهِ بِالْبَقَرِ.
Narrated `Aisha:
`Aisha said, "We set out with the sole intention of performing Hajj and when we reached Sarif, (a place six miles from Mecca) I got my menses. Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) came to me while I was weeping. He said 'What is the matter with you? Have you got your menses?' I replied, 'Yes.' He said, 'This is a thing which Allah has ordained for the daughters of Adam. So do what all the pilgrims do with the exception of the Tawaf (Circumambulation) round the Ka`ba." `Aisha added, "Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) sacrificed cows on behalf of his wives."
পরিচ্ছেদঃ ৬/২. হায়যের সময় স্বামীর মাথা ধুয়ে দেয়া ও চুল আঁচড়ে দেয়া।
২৯৫। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি হায়েয অবস্থায় আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মাথা আঁচড়ে দিতাম।
. بَاب غَسْلِ الْحَائِضِ رَأْسَ زَوْجِهَا وَتَرْجِيلِهِ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ حَدَّثَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أُرَجِّلُ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا حَائِضٌ.
Narrated `Aisha:
While in menses, I used to comb the hair of Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) .
পরিচ্ছেদঃ ৬/২. হায়যের সময় স্বামীর মাথা ধুয়ে দেয়া ও চুল আঁচড়ে দেয়া।
২৯৬। রওয়াহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ তাঁকে (‘উরওয়াহ্কে) প্রশ্ন করা হয়েছিল যে, ঋতুবতী স্ত্রী কি স্বামীর খিদমত করতে পারে? অথবা গোসল ফরয হওয়ার অবস্থায় কি স্ত্রী স্বামীর নিকটবর্তী হতে পারে? ‘উরওয়াহ (রহঃ) জবাব দিলেন, এ সবই আমার নিকট সহজ। এ ধরনের সকল মহিলাই স্বামীর খিদমত করতে পারে। এ ব্যাপারে কারো অসুবিধা থাকার কথা নয়। আমাকে ‘আয়িশা (রাঃ) বলেছেন যে, তিনি হায়েযের অবস্থায় আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চুল আঁচড়ে দিতেন। আর আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মু’তাফিক অবস্থায় মসজিদ হতে তাঁর (‘আয়িশার) হুজরার দিকে তাঁর নিকট মাথাটা বাড়িয়ে দিতেন। তখন তিনি মাথার চুল আঁচড়াতেন অথচ তিনি ছিলেন ঋতুবতী।
. بَاب غَسْلِ الْحَائِضِ رَأْسَ زَوْجِهَا وَتَرْجِيلِهِ.
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ يُوسُفَ، أَنَّ ابْنَ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَهُمْ قَالَ أَخْبَرَنِي هِشَامٌ، عَنْ عُرْوَةَ، أَنَّهُ سُئِلَ أَتَخْدُمُنِي الْحَائِضُ أَوْ تَدْنُو مِنِّي الْمَرْأَةُ وَهْىَ جُنُبٌ فَقَالَ عُرْوَةُ كُلُّ ذَلِكَ عَلَىَّ هَيِّنٌ، وَكُلُّ ذَلِكَ تَخْدُمُنِي، وَلَيْسَ عَلَى أَحَدٍ فِي ذَلِكَ بَأْسٌ، أَخْبَرَتْنِي عَائِشَةُ أَنَّهَا كَانَتْ تُرَجِّلُ ـ تَعْنِي ـ رَأْسَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهِيَ حَائِضٌ، وَرَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَئِذٍ مُجَاوِرٌ فِي الْمَسْجِدِ، يُدْنِي لَهَا رَأْسَهُ وَهْىَ فِي حُجْرَتِهَا، فَتُرَجِّلُهُ وَهْىَ حَائِضٌ
Narrated `Urwa:
A person asked me, "Can a woman in menses serve me? And can a Junub woman come close to me?" I replied, "All this is easy for me. All of them can serve me, and there is no harm for any other person to do the same. `Aisha told me that she used to comb the hair of Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) while she was in her menses, and he was in I`tikaf (in the mosque). He would bring his head near her in her room and she would comb his hair, while she used to be in her menses."
পরিচ্ছেদঃ ৬/৩. স্ত্রীর হায়য অবস্থায় তার কোলে মাথা রেখে কুরআন তিলাওয়াত করা।
وَكَانَ أَبُو وَائِلٍ يُرْسِلُ خَادِمَهُ وَهِيَ حَائِضٌ إِلَى أَبِي رَزِينٍ فَتَأْتِيهِ بِالْمُصْحَفِ فَتُمْسِكُهُ بِعِلاَقَتِهِ.
আবু ওয়াইল (রহঃ) তাঁর ঋতুবতী দাসীকে আবু রাযিন (রহঃ) এর নিকট পাঠাতেন, আর দাসী জুযদানে পেঁচিয়ে কুরআন মাজিদ নিয়ে আসত।
২৯৭। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমার কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করতেন। আর তখন আমি হায়েযের অবস্থায় ছিলাম।
. بَاب قِرَاءَةِ الرَّجُلِ فِي حَجْرِ امْرَأَتِهِ وَهِيَ حَائِضٌ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ الْفَضْلُ بْنُ دُكَيْنٍ، سَمِعَ زُهَيْرًا، عَنْ مَنْصُورٍ ابْنِ صَفِيَّةَ، أَنَّ أُمَّهُ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ عَائِشَةَ حَدَّثَتْهَا أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَّكِئُ فِي حَجْرِي وَأَنَا حَائِضٌ، ثُمَّ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ
Narrated `Aisha:
The Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) used to lean on my lap and recite Qur'an while I was in menses.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৪. যারা নিফাসকে হায়য এবং হায়যকে নিফাস বলেন।
২৯৮। উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে একই চাদরের নীচে শুয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার হায়েয দেখা দিলে আমি চুপি চুপি বেরিয়ে গিয়ে হায়েযের কাপড় পরে নিলাম। তিনি বললেনঃ তোমার কি নিফাস দেখা দিয়েছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁর সঙ্গে চাদরের ভেতর শুয়ে পড়লাম। (৩২২, ৩২৩, ১৯২৯; মুসলিম ৩/২, হাঃ ২৯৬, আহমাদ ২৬৫৮৭) (আ.প্র. ২৮৯, ই.ফা. ২৯৪)
بَاب مَنْ سَمَّى النِّفَاسَ حَيْضًا وَالْحَيْضَ نِفَاسًا.
حَدَّثَنَا الْمَكِّيُّ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّ زَيْنَبَ ابْنَةَ أُمِّ سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، بَيْنَا أَنَا مَعَ النَّبِيِّ، صلى الله عليه وسلم مُضْطَجِعَةً فِي خَمِيصَةٍ إِذْ حِضْتُ، فَانْسَلَلْتُ فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حِيضَتِي قَالَ " أَنُفِسْتِ ". قُلْتُ نَعَمْ. فَدَعَانِي فَاضْطَجَعْتُ مَعَهُ فِي الْخَمِيلَةِ.
Narrated Um Salama:
While I was laying with the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) under a single woolen sheet, I got the menses. I slipped away and put on the clothes for menses. He said, "Have you got "Nifas" (menses)?" I replied, "Yes." He then called me and made me lie with him under the same sheet.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংস্পর্শ করা।
২৯৯। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমি ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) জানাবাত অবস্থায় একই পাত্র হতে পানি নিয়ে গোসল করতাম। (২৫০) (আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫)
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ.
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كُنْتُ أَغْتَسِلُ أَنَا وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، صلى الله عليه وسلم مِنْ إِنَاءٍ وَاحِدٍ، كِلاَنَا جُنُبٌ.
Narrated `Aisha:
The Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) and I used to take a bath from a single pot while we were Junub.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংস্পর্শ করা।
৩০০। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ এবং তিনি আমাকে নির্দেশ দিলে আমি ইযার পরে নিতাম, আমার হায়েয অবস্থায় তিনি আমার সাথে মিশামিশি করতেন। (৩০২, ২০৩০ দ্রষ্টব্য) (আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫)
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ.
وَكَانَ يَأْمُرُنِي فَأَتَّزِرُ، فَيُبَاشِرُنِي وَأَنَا حَائِضٌ.
During the menses, he used to order me to put on an Izar (dress worn below the waist) and used to fondle me.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংস্পর্শ করা।
৩০১। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তাছাড়া তিনি ই’তিকাফ অবস্থায় মাথা বের করে দিতেন, আর আমি হায়েয অবস্থায় মাথা ধুয়ে দিতাম। (২৯৫) (আ.প্র. ২৯০, ই.ফা. ২৯৫)
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ.
وَكَانَ يُخْرِجُ رَأْسَهُ إِلَىَّ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ، فَأَغْسِلُهُ وَأَنَا حَائِضٌ.
While in I`tikaf, he used to bring his head near me and I would wash it while I used to be in my periods (menses).
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংস্পর্শ করা।
৩০২। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমাদের কেউ হায়েয অবস্থায় থাকলে আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তার সাথে মিশামিশি করতে চাইলে তাকে প্রবল হায়েযে ইযার পরার নির্দেশ দিতেন। তারপর তার সাথে মিশামিশি করতেন। তিনি [‘আয়িশা রাযিআল্লাহু আনহা] বলেনঃ তোমাদের মধ্যে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর মত কাম-প্রবৃত্তি দমন করার শক্তি রাখে কে? খালিদ ও জারীর (রহঃ) শায়বানী (রহঃ) হতে এ হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। (৩০০; মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৩) (আ.প্র. ২৯১, ই.ফা. ২৯৬)
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ.
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ خَلِيلٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ، قَالَ أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ ـ هُوَ الشَّيْبَانِيُّ ـ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ إِحْدَانَا إِذَا كَانَتْ حَائِضًا، فَأَرَادَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ يُبَاشِرَهَا، أَمَرَهَا أَنْ تَتَّزِرَ فِي فَوْرِ حَيْضَتِهَا ثُمَّ يُبَاشِرُهَا. قَالَتْ وَأَيُّكُمْ يَمْلِكُ إِرْبَهُ كَمَا كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَمْلِكُ إِرْبَهُ. تَابَعَهُ خَالِدٌ وَجَرِيرٌ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ.
Narrated `Abdur-Rahman bin Al-Aswad:
(on the authority of his father) `Aisha said: "Whenever Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) wanted to fondle anyone of us during her periods (menses), he used to order her to put on an Izar and start fondling her." `Aisha added, "None of you could control his sexual desires as the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) could."
পরিচ্ছেদঃ ৬/৫. হায়য অবস্থায় স্ত্রীর সাথে সংস্পর্শ করা।
৩০৩। মাইমূনা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর কোন স্ত্রীর সাথে হায়েয অবস্থায় মিশামিশি করতে চাইলে তাকে ইযার পরতে বলতেন। শায়বানী (রহঃ) হতে সুফিয়ান (রহঃ) এ বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম ৩/১, হাঃ ২৯৪, আহমাদ ২৬৯১৮) (আ.প্র. ২৯২, ই.ফা. ২৯৭)
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ.
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، قَالَ حَدَّثَنَا الشَّيْبَانِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ شَدَّادٍ، قَالَ سَمِعْتُ مَيْمُونَةَ، كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ أَنْ يُبَاشِرَ امْرَأَةً مِنْ نِسَائِهِ أَمَرَهَا فَاتَّزَرَتْ وَهْىَ حَائِضٌ. وَرَوَاهُ سُفْيَانُ عَنِ الشَّيْبَانِيِّ.
Narrated Maimuna:
When ever Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) wanted to fondle any of his wives during the periods (menses), he used to ask her to wear an Izar.
পরিচ্ছেদঃ ৬/৬. হায়য অবস্থায় সওম ছেড়ে দেয়া।
৩০৪। আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ একবার ঈদুল আযহা অথবা ঈদুল ফিতরের সালাত আদায়ের জন্য আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঈদগাহের দিকে যাচ্ছিলেন। তিনি মহিলাদের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বললেনঃ হে মহিলা সমাজ! তোমার সদাক্বাহ করতে থাক। কারণ আমি দেখেছি জাহান্নামের অধিবাসীদের মধ্যে তোমরাই অধিক। তাঁরা জিজ্ঞেস করলেনঃ কী কারণে, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেনঃ তোমরা অধিক পরিমানে অভিশাপ দিয়ে থাক আর স্বামীর অকৃতজ্ঞ হও। বুদ্ধি ও দ্বীনের ব্যাপারে ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও একজন সদাসতর্ক ব্যক্তির বুদ্ধি হরণে তোমাদের চেয়ে পারদর্শী আমি আর কাউকে দেখিনি। তারা বললেনঃ আমাদের দ্বীন ও বুদ্ধির ত্রুটি কোথায়, হে আল্লাহ্র রাসূল? তিনি বললেনঃ একজন মহিলার সাক্ষ্য কি একজন পুরুষের সাক্ষ্যের অর্ধেক নয়? তারা উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। তখন তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের বুদ্ধির ত্রুটি। আর হায়েয অবস্থায় তারা কি সালাত ও সিয়াম হতে বিরত থাকে না? তারা বললেন, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এ হচ্ছে তাদের দ্বীনের ত্রুটি। (১৪৬২, ১৯৫১, ২৬৫৮; মুসলিম ১/৩৪, হাঃ ৭৯, ৮০ আহমাদ ৫৪৪৩) (আ.প্র. ২৯৩, ই.ফা. ২৯৮)
. بَاب تَرْكِ الْحَائِضِ الصَّوْمَ.
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي زَيْدٌ ـ هُوَ ابْنُ أَسْلَمَ ـ عَنْ عِيَاضِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي أَضْحًى ـ أَوْ فِطْرٍ ـ إِلَى الْمُصَلَّى، فَمَرَّ عَلَى النِّسَاءِ فَقَالَ " يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ، فَإِنِّي أُرِيتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ ". فَقُلْنَ وَبِمَ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ الْعَشِيرَ، مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَذْهَبَ لِلُبِّ الرَّجُلِ الْحَازِمِ مِنْ إِحْدَاكُنَّ ". قُلْنَ وَمَا نُقْصَانُ دِينِنَا وَعَقْلِنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " أَلَيْسَ شَهَادَةُ الْمَرْأَةِ مِثْلَ نِصْفِ شَهَادَةِ الرَّجُلِ ". قُلْنَ بَلَى. قَالَ " فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ عَقْلِهَا، أَلَيْسَ إِذَا حَاضَتْ لَمْ تُصَلِّ وَلَمْ تَصُمْ ". قُلْنَ بَلَى. قَالَ " فَذَلِكَ مِنْ نُقْصَانِ دِينِهَا
Narrated Abu Sa`id Al-Khudri:
Once Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) went out to the Musalla (to offer the prayer) o `Id-al-Adha or Al-Fitr prayer. Then he passed by the women and said, "O women! Give alms, as I have seen that the majority of the dwellers of Hell-fire were you (women)." They asked, "Why is it so, O Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) ?" He replied, "You curse frequently and are ungrateful to your husbands. I have not seen anyone more deficient in intelligence and religion than you. A cautious sensible man could be led astray by some of you." The women asked, "O Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) ! What is deficient in our intelligence and religion?" He said, "Is not the evidence of two women equal to the witness of one man?" They replied in the affirmative. He said, "This is the deficiency in her intelligence. Isn't it true that a woman can neither pray nor fast during her menses?" The women replied in the affirmative. He said, "This is the deficiency in her religion."
পরিচ্ছেদঃ ৬/৭. ঋতুমতী নারী হজ্জের যাবতীয় বিধান পালন করবে তবে কাবা গৃহের ত্বওয়াফ ব্যতীত।
وَقَالَ إِبْرَاهِيمُ لاَ بَأْسَ أَنْ تَقْرَأَ الآيَةَ. وَلَمْ يَرَ ابْنُ عَبَّاسٍ بِالْقِرَاءَةِ لِلْجُنُبِ بَأْسًا. وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَذْكُرُ اللَّهَ عَلَى كُلِّ أَحْيَانِهِ
وَقَالَتْ أُمُّ عَطِيَّةَ كُنَّا نُؤْمَرُ أَنْ يَخْرُجَ الْحُيَّضُ، فَيُكَبِّرْنَ بِتَكْبِيرِهِمْ وَيَدْعُونَ
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ أَخْبَرَنِي أَبُو سُفْيَانَ أَنَّ هِرَقْلَ دَعَا بِكِتَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَرَأَ فَإِذَا فِيهِ: «بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ وَ(يَا أَهْلَ الْكِتَابِ تَعَالَوْا إِلَى كَلِمَةٍ)». الآيَةَ
وَقَالَ عَطَاءٌ عَنْ جَابِرٍ حَاضَتْ عَائِشَةُ فَنَسَكَتِ الْمَنَاسِكَ غَيْرَ الطَّوَافِ بِالْبَيْتِ، وَلاَ تُصَلِّي
وَقَالَ الْحَكَمُ إِنِّي لأَذْبَحُ وَأَنَا جُنُبٌ
وَقَالَ اللَّهُ: (وَلاَ تَأْكُلُوا مِمَّا لَمْ يُذْكَرِ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ)
ইব্রাহীম (রহ.) বলেছেনঃ (হায়য অবস্থায়) আয়াত পাঠে কোন দোষ নেই। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) জুনুবীর জন্য কুরআন পাঠে কোন দোষ মনে করতেন না। নবী ﷺ সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিক্র করতেন। উম্মু ‘আতিয়্যাহ (রাযি.) বলেনঃ (ঈদেন দিন) হায়য অবস্থায় মহিলাদের বাইরে নিয়ে আসার জন্য আমাদের বলা হতো, যাতে তারা পুরুষদের সাথে তাকবীর বলে ও দু‘আ করে। ইবনু ‘আব্বাস (রাযি.) আবূ সুফ্ইয়ান (রাযি.) হতে বর্ণনা করেন যে, হিরাক্লিয়াস (রোম সম্রাট) নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পত্র চেয়ে নিলেন এবং তা পাঠ করলেন। তাতে লেখা ছিলঃ ‘‘দয়াময় পরম দয়ালু আল্লাহর নামে। (আপনি বলুন!) হে কিতাবীগণ! এস সে কথায় যা আমাদের ও তোমাদের মধ্যে একই-যেন আমরা আল্লাহ্ ব্যতীত কারো ইবাদত না করি। কোন কিছুকেই তাঁর শারীক না করি এবং আমাদের কেউ কাওকে আল্লাহ্ ব্যতীত রবরূপে গ্রহণ না করি। যদি তারা মুখ ফিরিয়ে নেয় তবে বলুন, তোমরা সাক্ষী থাক আমরা মুসলিম- (সূরাহ্ আলে-‘ইমরান ৩/৬৪)। ‘আত্বা (রহ.) জাবির (রাযি.) হতে বর্ণনা করেন যে, ‘আয়িশাহ (রাযি.) হায়য অবস্থায় কা‘বা ত্বওয়াফ ছাড়া হাজ্জের অন্যান্য আহকাম পালন করেছেন কিন্তু সালাত আদায় করেননি। হাকাম (রহ.) বলেছেনঃ আমি জুনুবী অবস্থায়ও যবহ করে থাকি। অথচ আল্লাহর বাণী হলোঃ ‘‘তোমরা আহার করো না সে সব প্রাণী, যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়নি।’’ (সূরাহ্ আন‘আম ৬/১২১)
৩০৫। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে হজ্জের উদ্দেশ্যে বেরিয়েছিলাম। আমরা ‘সারিফ’ নামক স্থানে পৌঁছেলে আমি ঋতুবতী হই। এ সময় নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এসে আমাকে কাঁদতে দেখলেন এবং জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কাঁদছ কেন? আমি বললামঃ আল্লাহ্র শপথ! এ বছর হজ্জ না করাই আমার জন্য পছন্দনীয়। তিনি বললেনঃ সম্ভবত তুমি ঋতুবতী হয়েছ। আমি বললাম, হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ এটাতো আদম-কন্যাদের জন্যে আল্লাহ্ নির্ধারিত করেছেন। তুমি পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অন্যান্য হাজীদের মত সমস্ত কাজ করে যাও, কেবল কা’বার তাওয়াফ করবে না। (২৯৪) (আ.প্র. ২৯৪, ই.ফা. ২৯৯)
بَاب تَقْضِي الْحَائِضُ الْمَنَاسِكَ كُلَّهَا إِلاَّ الطَّوَافَ بِالْبَيْتِ.
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لاَ نَذْكُرُ إِلاَّ الْحَجَّ، فَلَمَّا جِئْنَا سَرِفَ طَمِثْتُ، فَدَخَلَ عَلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبْكِي فَقَالَ (مَا يُبْكِيكِ). قُلْتُ لَوَدِدْتُ وَاللَّهِ أَنِّي لَمْ أَحُجَّ الْعَامَ. قَالَ (لَعَلَّكِ نُفِسْتِ). قُلْتُ نَعَمْ. قَالَ " فَإِنَّ ذَلِكَ شَىْءٌ كَتَبَهُ اللَّهُ عَلَى بَنَاتِ آدَمَ، فَافْعَلِي مَا يَفْعَلُ الْحَاجُّ، غَيْرَ أَنْ لاَ تَطُوفِي بِالْبَيْتِ حَتَّى تَطْهُرِي ".
Narrated `Aisha:
We set out with the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) for Hajj and when we reached Sarif I got my menses. When the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) came to me, I was weeping. He asked, "Why are you weeping?" I said, "I wish if I had not performed Hajj this year." He asked, "May be that you got your menses?" I replied, "Yes." He then said, "This is the thing which Allah has ordained for all the daughters of Adam. So do what all the pilgrims do except that you do not perform the Tawaf round the Ka`ba till you are clean."
পরিচ্ছেদঃ ৬/৮. ইসতিহাযাহ
৩০৬। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ ফাতিমা বিনতু আবূ হুবায়শ (রাঃ) আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলেনঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমি কখনও পবিত্র হই না। এমতাবস্থায় আমি কি সালাত ছেড়ে দেব? আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ এ হলো এক ধরনের বিশেষ রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হয় তখন তুমি সালাত ছেড়ে দাও। আর হায়েয শেষ হলে রক্ত ধুয়ে সালাত আদায় কর। (২২৮) (আ.প্র. ২৯৫, ই.ফা. ৩০০)
بَاب الِاسْتِحَاضَةِ.
دَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي لاَ أَطْهُرُ، أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلاَةَ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي ".
Narrated `Aisha:
Fatima bint Abi Hubaish said to Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) , "O Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) ! I do not become clean (from bleeding). Shall I give up my prayers?" Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) replied: "No, because it is from a blood vessel and not the menses. So when the real menses begins give up your prayers and when it (the period) has finished wash the blood off your body (take a bath) and offer your prayers."
পরিচ্ছেদঃ ৬/৯. হায়যের রক্ত ধুয়ে ফেলা।
৩০৭। আসমা বিন্ত আবূ বক্র সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ এক মহিলা আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে জিজ্ঞেস করলঃ হে আল্লাহ্র রাসূল! আমাদের কারো কাপড়ে হায়েযের রক্ত লাগলে কী করবে? আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ তোমাদের কারো কাপড়ে হায়েযের রক্ত লাগলে সে তা রগড়িয়ে, তারপর পানিতে ধুয়ে নেবে এবং সে কাপড়ে সালাত আদায় করবে। (২২৭) (আ.প্র. ২৯৬, ই.ফা. ৩০১)
بَاب غَسْلِ دَمِ الْمَحِيضِ.
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، قَالَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ الْمُنْذِرِ، عَنْ أَسْمَاءَ بِنْتِ أَبِي بَكْرٍ، أَنَّهَا قَالَتْ سَأَلَتِ امْرَأَةٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَرَأَيْتَ إِحْدَانَا إِذَا أَصَابَ ثَوْبَهَا الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ، كَيْفَ تَصْنَعُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَصَابَ ثَوْبَ إِحْدَاكُنَّ الدَّمُ مِنَ الْحَيْضَةِ، فَلْتَقْرُصْهُ ثُمَّ لِتَنْضَحْهُ بِمَاءٍ، ثُمَّ لِتُصَلِّي فِيهِ ".
Narrated Asma' bint Abi Bakr:
A woman asked Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) , "O Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) ! What should we do, if the blood of menses falls on our clothes?" Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) replied, "If the blood of menses falls on the garment of anyone of you, she must take hold of the blood spot, rub it, and wash it with water and then pray in (with it).
পরিচ্ছেদঃ ৬/৯. হায়যের রক্ত ধুয়ে ফেলা।
৩০৮। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমাদের কারো হায়েয হলে, পবিত্র হওয়ার পর রক্ত রগড়িয়ে কাপড় পানি দিয়ে ধুয়ে সেই কাপড়ে তিনি সালাত আদায় করতেন। (আ.প্র. ২৯৭, ই.ফা. ৩০২)
بَاب غَسْلِ دَمِ الْمَحِيضِ.
حَدَّثَنَا أَصْبَغُ، قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ وَهْبٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَمْرُو بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ، حَدَّثَهُ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ كَانَتْ إِحْدَانَا تَحِيضُ، ثُمَّ تَقْتَرِصُ الدَّمَ مِنْ ثَوْبِهَا عِنْدَ طُهْرِهَا فَتَغْسِلُهُ، وَتَنْضَحُ عَلَى سَائِرِهِ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ.
Narrated `Aisha:
Whenever anyone of us got her menses, she, on becoming clean, used to take hold of the blood spot and rub the blood off her garment, and pour water over it and wash that portion thoroughly and sprinkle water over the rest of the garment. After that she would pray in (with) it.
পরিচ্ছেদঃ ৬/১০. ‘মুস্তাহাযা’র ই‘তিকাফ।
৩০৯। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর কোন এক স্ত্রী ইস্তিহাযার অবস্থায় ই’তিকাফ করেন। তিনি রক্ত দেখতেন এবং স্রাবের কারণে প্রায়ই তাঁর নীচে একটি পাত্র রাখতেন। রাবী বলেনঃ ‘আয়িশা (রাঃ) হলুদ রঙের পানি দেখে বলেছেন, এ যেন আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর অমুক স্ত্রীর ইস্তিহাযার রক্ত। (৩১০, ৩১১, ২০৩৭ দ্রষ্টব্য) (আ.প্র. ২৯৮, ই.ফা. ৩০৩)
بَاب اعْتِكَافِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم اعْتَكَفَ مَعَهُ بَعْضُ نِسَائِهِ وَهْىَ مُسْتَحَاضَةٌ تَرَى الدَّمَ، فَرُبَّمَا وَضَعَتِ الطَّسْتَ تَحْتَهَا مِنَ الدَّمِ. وَزَعَمَ أَنَّ عَائِشَةَ رَأَتْ مَاءَ الْعُصْفُرِ فَقَالَتْ كَأَنَّ هَذَا شَىْءٌ كَانَتْ فُلاَنَةُ تَجِدُهُ.
Narrated `Aisha:
Once one of the wives of the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) did I`tikaf along with him and she was getting bleeding in between her periods. She used to see the blood (from her private parts) and she would perhaps put a dish under her for the blood. (The sub-narrator `Ikrima added, `Aisha once saw the liquid of safflower and said, "It looks like what so and so used to have.")
পরিচ্ছেদঃ ৬/১০. ‘মুস্তাহাযা’র ই‘তিকাফ।
৩১০। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আল্লাহ্র রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সঙ্গে তাঁর কোন একজন স্ত্রী ই’তিকাফ করেছিলেন। তিনি রক্ত ও হলদে পানি বের হতে দেখতেন আর তাঁর নীচে একটা পাত্র বসিয়ে রাখতেন এবং সে অবস্থায় সালাত আদায় করতেন। (৩০৯) (আ.প্র. ২৯৯, ই.ফা. ৩০৪)
بَاب اعْتِكَافِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، قَالَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتِ اعْتَكَفَتْ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم امْرَأَةٌ مِنْ أَزْوَاجِهِ، فَكَانَتْ تَرَى الدَّمَ وَالصُّفْرَةَ، وَالطَّسْتُ تَحْتَهَا وَهْىَ تُصَلِّي.
Narrated `Aisha:
"One of the wives of Allah's Messenger (sallallahu ‘alaihi wa sallam) joined him in I`tikaf and she noticed blood and yellowish discharge (from her private parts) and put a dish under her when she prayed."
পরিচ্ছেদঃ ৬/১০. ‘মুস্তাহাযা’র ই‘তিকাফ।
৩১১। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ উম্মুল-মুমিনীনের একজন ইস্তিহাযা অবস্থায় ইতিকাফ করেছিলেন। (৩০৯) (আ.প্র. ৩০০, ই.ফা. ৩০৫)
بَاب اعْتِكَافِ الْمُسْتَحَاضَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ بَعْضَ، أُمَّهَاتِ الْمُؤْمِنِينَ اعْتَكَفَتْ وَهْىَ مُسْتَحَاضَةٌ.
Narrated `Aisha:
One of the mothers of the faithful believers (i.e. the wives of the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) ) did I`tikaf while she was having bleeding in between her periods.
পরিচ্ছেদঃ ৬/১১. হায়য অবস্থায় পরিহিত পোশাকে সালাত আদায় করা যায় কি?
৩১২। আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমাদের কারো একটির অধিক কাপড় ছিল না। তিনি হায়েয অবস্থায়ও এই কাপড়খানিই ব্যবহার করতেন, তাতে রক্ত লাগলে থুথু দিয়ে ভিজিয়ে নখ দ্বারা খুঁটিয়ে নিতেন। (আ.প্র. ৩০১, ই.ফা. ৩০৬)
بَاب هَلْ تُصَلِّي الْمَرْأَةُ فِي ثَوْبٍ حَاضَتْ فِيهِ.
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، قَالَ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَتْ عَائِشَةُ مَا كَانَ لإِحْدَانَا إِلاَّ ثَوْبٌ وَاحِدٌ تَحِيضُ فِيهِ، فَإِذَا أَصَابَهُ شَىْءٌ مِنْ دَمٍ، قَالَتْ بِرِيقِهَا فَقَصَعَتْهُ بِظُفْرِهَا.
Narrated `Aisha:
None of us had more than a single garment and we used to have our menses while wearing it. Whenever it got soiled with blood of menses we used to apply saliva to the blood spot and rub off the blood with our nails.
পরিচ্ছেদঃ ৬/১২. হায়য হতে পবিত্রতার গোসলে সুগন্ধি ব্যবহার।
৩১৩। উম্মু আতিয়্যা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ কোন মৃত ব্যক্তির জন্যে আমাদের তিন দিনের অধিক শোক পালন করা হতে নিষেধ করা হতো। কিন্তু স্বামীর ক্ষেত্রে চার মাস দশদিন (শোক পালনের অনুমতি ছিল)। আমরা তখন সুরমা লাগাতাম না, সুগন্ধি ব্যবহার করতাম না, ইয়েমেনের তৈরি রঙিন কাপড় ছাড়া অন্য কোন রঙিন কাপড় পরিধান করতাম না। তবে হায়েয হতে পবিত্রতার গোসলে আজফারের খোশবু মিশ্রিত বস্ত্রখন্ড ব্যবহারের অনুমতি ছিল। আর আমাদের জানাযার পেছনে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। এই বর্ণনা হিশাম ইব্নু হাস্সান (রহঃ) হাফসা (রাঃ) হতে, তিনি উম্মে আতিয়্যা (রাঃ) হতে এবং তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বিবৃত করেছেন। (১২৭৮, ১২৭৯, ৫৩৪০, ৫৩৪১, ৫৩৪২, ৫৩৪৩; মুসলিম ১১/১১, হাঃ ৯৩৮) (আ.প্র. ৩০২, ই.ফা. ৩০৭)
بَاب الطِّيبِ لِلْمَرْأَةِ عِنْدَ غُسْلِهَا مِنَ الْمَحِيضِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْوَهَّابِ، قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ حَفْصَةَ ـ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ أَوْ هِشَامِ بْنِ حَسَّانَ عَنْ حَفْصَةَ، عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ ـ قَالَتْ كُنَّا نُنْهَى أَنْ نُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا، وَلاَ نَكْتَحِلَ وَلاَ نَتَطَيَّبَ وَلاَ نَلْبَسَ ثَوْبًا مَصْبُوغًا إِلاَّ ثَوْبَ عَصْبٍ، وَقَدْ رُخِّصَ لَنَا عِنْدَ الطُّهْرِ إِذَا اغْتَسَلَتْ إِحْدَانَا مِنْ مَحِيضِهَا فِي نُبْذَةٍ مِنْ كُسْتِ أَظْفَارٍ، وَكُنَّا نُنْهَى عَنِ اتِّبَاعِ الْجَنَائِزِ. قَالَ رَوَاهُ هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ حَفْصَةَ عَنْ أُمِّ عَطِيَّةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated Um-`Atiya:
We were forbidden to mourn for a dead person for more than three days except in the case of a husband for whom mourning was allowed for four months and ten days. (During that time) we were not allowed to put kohl (Antimony eye power) in our eyes or to use perfumes or to put on colored clothes except a dress made of `Asr (a kind of Yemen cloth, very coarse and rough). We were allowed very light perfumes at the time of taking a bath after menses and also we were forbidden to go with the funeral procession .