৩৭০৮

পরিচ্ছেদঃ ২১৭৪. পরিচ্ছেদ নাই

৩৭০৮। ঊবায়দ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... উরওয়া (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যুবায়র (রাঃ) বলেছেন, বদর যুদ্ধের দিন আমি উবায়দা ইবনু সাঈদ ইবনু আস (রাঃ) কে এমন বস্ত্রাবৃত অবস্থায় দেখলাম যে, তার দু’চোখ ব্যতীত আর কিছুই দেখা যাচ্ছিল না। তাকে আবূ যাতুল কারিশ বলে ডাকা হত। সে বলল, আমি আবূ যাতুল কারিশ। (একথা শুনে) বর্শা দিয়ে আমি তার উপর হামলা করলাম এবং তার চোখ ফুঁড়ে দিলাম। সে তৎক্ষণাৎ মারা গেল। হিশাম বলেন, আমাকে জানানো হয়েছে যে, যুবায়র (রাঃ) বলেছেন, তার (উবায়দা ইবনু সাঈদ ইবনু আসের) লাশের উপর পা রেখে বেশ বল প্রয়োগ করে (তার চোখ থেকে) আমি বর্শাটি টেনে বের করলাম। এতে বর্শার উভয় প্রান্ত বাঁকা হয়ে যায়।

উরওয়া বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবায়রের নিকট বর্শাটি চাইলে তিনি তা তাঁকে দিয়ে দেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকালের পর তিনি তা নিয়ে যান। এবং পরে আবূ বকর (রাঃ) তা চাইলে তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দেন। আবূ বকরের ইন্তেকালের পর উমর (রাঃ) তা চাইলেন। তিনি তাঁকে বর্শাখানা দিয়ে দিলেন। কিন্তু উমরের ইন্তেকালের পর যুবায়র (রাঃ) পুনরায় বর্শাটি নিয়ে যান। এরপর উসমান (রাঃ) তাঁর নিকট বর্শাখানা চাইলে তিনি উসমানকে তা দিয়ে দেন। তবে উসমানের শাহাদতের পর তা আলীর লোকজনের হস্তগত হওয়ার পর আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়র (রাঃ) তা চেয়ে নিয়ে যান। এরপর থেকে শহীদ হওয়া পর্যন্ত বর্শাখানা তাঁর নিকটই থাকে।

باب

حَدَّثَنِي عُبَيْدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ الزُّبَيْرُ لَقِيتُ يَوْمَ بَدْرٍ عُبَيْدَةَ بْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ وَهْوَ مُدَجَّجٌ لاَ يُرَى مِنْهُ إِلاَّ عَيْنَاهُ، وَهْوَ يُكْنَى أَبُو ذَاتِ الْكَرِشِ، فَقَالَ أَنَا أَبُو ذَاتِ الْكَرِشِ‏.‏ فَحَمَلْتُ عَلَيْهِ بِالْعَنَزَةِ، فَطَعَنْتُهُ فِي عَيْنِهِ فَمَاتَ‏.‏ قَالَ هِشَامٌ فَأُخْبِرْتُ أَنَّ الزُّبَيْرَ قَالَ لَقَدْ وَضَعْتُ رِجْلِي عَلَيْهِ ثُمَّ تَمَطَّأْتُ، فَكَانَ الْجَهْدَ أَنْ نَزَعْتُهَا وَقَدِ انْثَنَى طَرَفَاهَا‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ فَسَأَلَهُ إِيَّاهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا، ثُمَّ طَلَبَهَا أَبُو بَكْرٍ فَأَعْطَاهُ، فَلَمَّا قُبِضَ أَبُو بَكْرٍ سَأَلَهَا إِيَّاهُ عُمَرُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُبِضَ عُمَرُ أَخَذَهَا، ثُمَّ طَلَبَهَا عُثْمَانُ مِنْهُ فَأَعْطَاهُ إِيَّاهَا، فَلَمَّا قُتِلَ عُثْمَانُ وَقَعَتْ عِنْدَ آلِ عَلِيٍّ، فَطَلَبَهَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الزُّبَيْرِ، فَكَانَتْ عِنْدَهُ حَتَّى قُتِلَ‏.‏

حدثني عبيد بن اسماعيل، حدثنا ابو اسامة، عن هشام بن عروة، عن ابيه، قال قال الزبير لقيت يوم بدر عبيدة بن سعيد بن العاص وهو مدجج لا يرى منه الا عيناه، وهو يكنى ابو ذات الكرش، فقال انا ابو ذات الكرش‏.‏ فحملت عليه بالعنزة، فطعنته في عينه فمات‏.‏ قال هشام فاخبرت ان الزبير قال لقد وضعت رجلي عليه ثم تمطات، فكان الجهد ان نزعتها وقد انثنى طرفاها‏.‏ قال عروة فساله اياها رسول الله صلى الله عليه وسلم فاعطاه، فلما قبض رسول الله صلى الله عليه وسلم اخذها، ثم طلبها ابو بكر فاعطاه، فلما قبض ابو بكر سالها اياه عمر فاعطاه اياها، فلما قبض عمر اخذها، ثم طلبها عثمان منه فاعطاه اياها، فلما قتل عثمان وقعت عند ال علي، فطلبها عبد الله بن الزبير، فكانت عنده حتى قتل‏.‏


Narrated `Urwa:

Az-Zubair said, "I met Ubaida bin Sa`id bin Al-As on the day (of the battle) of Badr and he was covered with armor; so much that only his eyes were visible. He was surnamed Abu Dhat-al-Karish. He said (proudly), 'I am Abu-al-Karish.' I attacked him with the spear and pierced his eye and he died. I put my foot over his body to pull (that spear) out, but even then I had to use a great force to take it out as its both ends were bent." `Urwa said, "Later on Allah's Messenger (ﷺ) asked Az-Zubair for the spear and he gave it to him. When Allah's Messenger (ﷺ) died, Az-Zubair took it back. After that Abu Bakr demanded it and he gave it to him, and when Abu Bakr died, Az-Zubair took it back. `Umar then demanded it from him and he gave it to him. When `Umar died, Az-Zubair took it back, and then `Uthman demanded it from him and he gave it to him. When `Uthman was martyred, the spear remained with `Ali's offspring. Then `Abdullah bin Az-Zubair demanded it back, and it remained with him till he was martyred.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উরওয়াহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সহীহ বুখারী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
৫১/ মাগাযী (যুদ্ধাভিযান) (كتاب المغازى)