পরিচ্ছেদঃ ১২৬৫. কোন প্রয়োজনে ই‘তিকাফরত ব্যক্তি কি মসজিদের দরজা পর্যন্ত বের হতে পারেন?
১৯০৭। আবূল ইয়ামান (রহঃ) ... নবী-সহধর্মিনী সাফিয়্যা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, একবার তিনি রমযানের শেষ দশকে মসজিদে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে হাযির হন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফরত ছিলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। তারপর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি (উম্মুল মুমিনীন) উম্মে সালমা (রাঃ) এর গৃহ সংলগ্ন মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌছলেন, তখন দুজন আনসারী সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা উভয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সালাম করলেন। তাঁদের দুজনকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা দুজন থাম। ইনি তো (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যা বিনত হুযায়্যী। এতে তাঁরা দু’জনে সুবহানাল্লাহ ইয়া রাসূলাল্লাহ বলে উঠলেন এবং তাঁরা বিব্রত বোধ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শয়তান মানুষের রক্ত শিরায় চলাচল করে। আমি আশংকা করলাম যে, সে তোমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে
باب هَلْ يَخْرُجُ الْمُعْتَكِفُ لِحَوَائِجِهِ إِلَى باب الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ صَفِيَّةَ، زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ، فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ، فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً، ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ، فَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهَا يَقْلِبُهَا، حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ باب الْمَسْجِدِ عِنْدَ باب أُمِّ سَلَمَةَ مَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لَهُمَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ". فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ. وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا ".
Narrated `Ali bin Al-Husain:
Safiya, the wife of the Prophet (ﷺ) told me that she went to Allah's Messenger (ﷺ) to visit him in the mosque while he was in I`tikaf in the last ten days of Ramadan. She had a talk with him for a while, then she got up in order to return home. The Prophet (ﷺ) accompanied her. When they reached the gate of the mosque, opposite the door of Um-Salama, two Ansari men were passing by and they greeted Allah's Apostle . He told them: Do not run away! And said, "She is (my wife) Safiya bint Huyai." Both of them said, "Subhan Allah, (How dare we think of any evil) O Allah's Messenger (ﷺ)!" And they felt it. The Prophet said (to them), "Satan reaches everywhere in the human body as blood reaches in it, (everywhere in one's body). I was afraid lest Satan might insert an evil thought in your minds."
পরিচ্ছেদঃ ১২৬৯. ই‘তিকাফকারীর নিজের উপর সৃষ্ট সন্দেহ অপনোদন করা
১৯১১। ইসমা’ঈল ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) এবং ’আলী ইবনু ’আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সাফিয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইতিকাফ অবস্থায় একবার তিনি তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসেন। তিনি যখন ফিরে যান তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে কিছু দূর হেঁটে আসেন। ঐ সময়ে এক আনসার ব্যাক্তি তাঁকে দেখতে পায়। তিনি যখন তাকে দেখতে পেলেন তখন তাকে ডাক দিলেন ও বললেনঃ এসো, এ তো সাফিয়্যা বিনত হুয়ায়্যী। শয়তান মানব দেহে রক্তের মত চলাচল করে থাকে। রাবী বলেন, আমি সুফিয়ান (রাঃ) কে বললাম, তিনি রাতে এসেছিলেন? তিনি বললেন, রাতে ছাড়া আর কি?
باب هَلْ يَدْرَأُ الْمُعْتَكِفُ عَنْ نَفْسِهِ
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَخِي، عَنْ سُلَيْمَانَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي عَتِيقٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ ـ رضى الله عنهما ـ أَنَّ صَفِيَّةَ، أَخْبَرَتْهُ. حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُخْبِرُ عَنْ عَلِيِّ بْنِ الْحُسَيْنِ، أَنَّ صَفِيَّةَ ـ رضى الله عنها ـ أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهْوَ مُعْتَكِفٌ، فَلَمَّا رَجَعَتْ مَشَى مَعَهَا، فَأَبْصَرَهُ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، فَلَمَّا أَبْصَرَهُ دَعَاهُ فَقَالَ " تَعَالَ هِيَ صَفِيَّةُ ـ وَرُبَّمَا قَالَ سُفْيَانُ هَذِهِ صَفِيَّةُ ـ فَإِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ ". قُلْتُ لِسُفْيَانَ أَتَتْهُ لَيْلاً قَالَ وَهَلْ هُوَ إِلاَّ لَيْلٌ
Narrated `Ali bin Al-Husain from Safiya:
Safiya went to the Prophet (ﷺ) while he was in I`tikaf. When she returned, the Prophet (ﷺ) accompanied her walking. An Ansari man saw him. When the Prophet (ﷺ) noticed him, he called him and said, "Come here. She is Safiya. (Sufyan a sub-narrator perhaps said that the Prophet (ﷺ) had said, "This is Safiya"). And Satan circulates in the body of Adam's offspring as his blood circulates in it." (A sub-narrator asked Sufyan, "Did Safiya visit him at night?" He said, "Of course, at night.")
পরিচ্ছেদঃ ১৯৯৩. ইবলীস ও তার বাহীনীর বর্ণনা। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, يُقْذَفُونَ তাদের নিক্ষেপ করা হবে। دُحُورًا তাদের হাকিয়ে বের করে দেয়া হবে। وَاصِبٌ স্থায়ী। আর ইবন আব্বাস (রাঃ) বলেন, مَدْحُورًا হাকিয়ে বের করা অবস্থায়। مَرِيدًا বিদ্রোহীরূপে। بَتَّكَهُ তাকে ছিন্ন করেছে। وَاسْتَفْزِزْ তুমি ভয় দেখাও। بِخَيْلِكَ অশ্বারোহী। وَالرَّجْلُ পাদাতিকগন। এর একবচন رَاجِلٌ যেমন صَاحِبٍ এর বহুবচন صَحْبٍ আর تَاجِرٍ এর বহুবচন تَجْرٍ، - لأَحْتَنِكَنَّ অবশ্যই আমি সমূলে উৎপাটন করব। قَرِينٌ শয়তান।
৩০৫১। মুহাম্মদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ... সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মসজিদে নববীতে) ইতিকাফ অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে আসলাম। এরপর তাঁর সাথে কিছু কথা বার্তা বললাম। তারপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালাম। আর তাঁর (সাফিয়্যার) বাসস্থান ছিল উসামা ইবনু যায়দের বাড়ীতে। এ সময় দু’জন আনসারী সে স্থান দিয়ে অতিক্রম করল। তারা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখল তখন তারা তাড়াতাড়ি চলে যেতে লাগল। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা একটু অপেক্ষা কর। এ মহিলাটি (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই। তারা বললেন, সুবাহানাল্লা! ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমরা কি আপনার ব্যাপারে অন্যরূপ ধারণা করতে পারি?) তিনি বললেন, মানুষের শরীরের রক্তধারায় শয়তান প্রবাহমান থাকে। আমি আশংকা করছিলাম, সে তোমাদের মনে কোন খারাপ ধারণা অথবা বললেন, অন্য কিছু সৃষ্টি করে না কি।
باب صِفَةِ إِبْلِيسَ وَجُنُودِهِ وَقَالَ مُجَاهِدٌ: {يُقْذَفُونَ} يُرْمَوْنَ. {دُحُورًا} مَطْرُودِينَ. {وَاصِبٌ} دَائِمٌ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ: {مَدْحُورًا} مَطْرُودًا يُقَالُ: {مَرِيدًا} مُتَمَرِّدًا. بَتَّكَهُ قَطَّعَهُ. {وَاسْتَفْزِزْ} اسْتَخِفَّ. {بِخَيْلِكَ} الْفُرْسَانُ. وَالرَّجْلُ الرَّجَّالَةُ وَاحِدُهَا رَاجِلٌ مِثْلُ صَاحِبٍ وَصَحْبٍ، وَتَاجِرٍ وَتَجْرٍ، {لأَحْتَنِكَنَّ} لأَسْتَأْصِلَنَّ. {قَرِينٌ} شَيْطَانٌ
حَدَّثَنِي مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ ابْنَةِ حُيَىٍّ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا، فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ، فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي. وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ، فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ ". فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ. قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا سُوءًا ـ أَوْ قَالَ ـ شَيْئًا ".
Narrated Safiya bint Huyay:
While Allah's Messenger (ﷺ) was in I`tikaf, I called on him at night and having had a talk with him, I got up to depart. He got up also to accompany me to my dwelling place, which was then in the house of Usama bin Zaid. Two Ansari men passed by, and when they saw the Prophet (ﷺ) they hastened away. The Prophet said (to them). "Don't hurry! It is Safiya, the daughter of Huyay (i.e. my wife)." They said, "Glorified be Allah! O Allah's Messenger (ﷺ)! (How dare we suspect you?)" He said, "Satan circulates in the human mind as blood circulates in it, and I was afraid that Satan might throw an evil thought (or something) into your hearts."
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা গেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারনাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
৫৪৯২। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) (শব্দ বর্ণনায় তারা উভয়ে কাছাকাছি) ... সাফইয়্যা বিনত হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফরত অবস্থায় ছিলেন। আমি রাতের বেলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাত করতে এলাম। (কিছু সময়) তাঁর সঙ্গে কথা বললাম, তারপর ফিরে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। তিনিও আমাকে বিদায় দেওয়ার জন্য আমার সাথে উঠে দাড়ালেন। (রাবী বলেনঃ) তখন তার [সাফিয়্যা (রাঃ)] এর বাসস্থান ছিল উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) এর বাড়িতে। তখন (সেখানে দিয়ে) আনসারী দুই ব্যক্তি যাচ্ছিল। তারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (এক মহিলার সাথে) দেখতে পেয়ে দ্রুত যেতে লাগল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা দুজন ধীরে চল। এ কিন্তু সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (আমার স্ত্রী)। তারা দুজন বলল, সুবহানাল্লাহ! ইয়া রাসুলাল্লাহ (আমরা তো কিছু মনে করিনি)! তিনি বললেনঃ শয়তান মানুষের শিরায় শিরায় চলাচল করে। আর আমি শংকিত হলাম যে, সে তোমাদের উভয়ের অন্তরে কোন কুধারণা কিংবা (বর্ণনা সন্দেহ) এ জাতীয় কোন কিছু সৃষ্টি করতে পারে।
باب بَيَانِ أَنَّهُ يُسْتَحَبُّ لِمَنْ رُئِيَ خَالِيًا بِامْرَأَةٍ وَكَانَتْ زَوْجَةً أَوْ مَحْرَمًا لَهُ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ لأَنْقَلِبَ فَقَامَ مَعِيَ لِيَقْلِبَنِي . وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ " . فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَرًّا " . أَوْ قَالَ " شَيْئًا " .
Safiyya daughter of Huyyay (the wife of Allah's Apostle) reported that while Allah's Messenger (may peace be. upon him) had been observing I'tikaf, I came to visit him one night and talked with him for some time. Then I stood up to go back and he (Allah's Apostle) also stood up with me in order to bid me good-bye. She was at that time residing in the house of Usama b. Zaid. The two persons from the Ansar happened to pass by him. When they saw Allah's Apostle (ﷺ). they began to walk swiftly, thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to them:
Walk calmy, she is Safiyya daughter of Huyyay... Both of them said: Messenger, hallowed be Allah, (we cannot conceive of ab., ug doubtful even in the remotest corners of our minds), whereupon he said: Satan circulates in the body of man like the circulation of blood and I was afraid lest it should instill any evil in your heart or anything.
পরিচ্ছেদঃ ৩৭০ : দাজ্জাল ও কিয়ামতের নিদর্শনাবলী সম্পর্কে
৪২/১৮৫৮। মুমিন জননী সাফিয়্যাহ বিন্তে হুয়াই রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [মসজিদে] ই’তিকাফ থাকা অবস্থায় তাঁর সাথে রাত্রি বেলায় দেখা করতে গেলাম। তাঁর সাথে কথাবার্তার পর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ালাম। সুতরাং তিনিও আমাকে [বাসায়] ফিরিয়ে দেবার জন্য আমার সাথে উঠে দাঁড়ালেন। [অতঃপর যখন আমরা মসজিদের দরজার কাছে এলাম] তখন আনসারদের দু’জন লোক [রাযিয়াল্লাহু আনহুমা] [সেদিক দিয়ে] চলে যাচ্ছিলেন।
যখন তাঁরা উভয়েই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেলেন, তখন দ্রুত বেগে চলতে লাগলেন। তখন আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁদেরকে বললেন, ’’ধীরে চল। এ হল সাফিয়্যাহ বিন্তে হুয়াই।’’ তাঁরা বললেন, ’সুবহানাল্লাহ! ইয়া রাসূলুল্লাহ! [আপনার ব্যাপারেও কি আমরা কোন সন্দেহ করতে পারি?]’ তিনি [তাঁদেরকে] বললেন, ’’নিশ্চয়ই শয়তান মানুষের দেহে রক্ত চলাচলের ন্যায় চলাফিরা করে। তাই আমার আশংকা হল যে, সম্ভবত: সে তোমাদের অন্তরে মন্দ---অথবা তিনি বললেন---কোন কিছু [সন্দেহ] প্রক্ষেপ করতে পারে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]
(370) بَابُ اَحَادِيْثِ الدَّجَّالِ وَاَشْرَاطِ السَّاعَةِ وَغَىْرِهَا
وَعَنْ أُمِّ المُؤْمِنِينَ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفاً، فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً، فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ لأَنْقَلِبَ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي، فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا . فَقَالَ صلى الله عليه وسلم : «عَلَى رِسْلِكُمَا، إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ» فَقَالاَ : سُبْحانَ اللهِ يَا رَسُولَ اللهِ، فَقَالَ: «إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيْتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَرّاً - أَوْ قَالَ: شَيْئاً -» . متفق عليه
(370) Chapter: Ahadith about Dajjal and Portents of the Hour
Safiyyah bint Huyai (May Allah be pleased with her), the Mother of the Believers, said:
I came to visit the Prophet (ﷺ) while he was in the state of I'tikaf [(seclusion) in the mosque during the last ten days of Ramadan]. After having talked to him, I got up to return. The Prophet (ﷺ) also got up with me and accompanied me a part of the way. At that moment two Ansari man passed by. When they saw him they quickened their pace. The Prophet (ﷺ) said to them, "Do not hurry. She is Safiyyah, daughter of Huyai, my wife." They said: "Subhan Allah (Allah is free from imperfection)! O Messenger of Allah! (You are far away from any suspicion)." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Satan circulates in a person like blood (in the blood streams). I apprehended lest Satan should drop some evil thoughts in your minds."
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Even just a passing thought of some thing undesirable about the Prophet (PBUH) is dangerous for belief. In order to put an end to this evil suspicion, he stopped the two Companions and explained to them the situation. This was done lest the devil may create some doubt in the mind of the two Companions. The conclusion is that, if at any place there is some far fetched chance of creation of bad opinion about somebody, then it is necessary to give an explanation lest some doubt may arise in some body's mind. This is particularly essential for `Ulama', who should remain aloof from such occasions and places, lest the people may start doubting their integrity and piety.
পরিচ্ছেদঃ ২৬৯. ই‘তিকাফের প্রয়োজনে মসজিদ হতে বের হয়ে ঘরে প্রবেশ করতে পারবে।
২৪৬২. আহমদ ইবন মুহাম্মাদ ইবন শাবওয়া আল মারওয়াযী ...... সাফ্যিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফ থাকাবস্থায় আমি তাঁর সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে রাতে সেখানে গমন করি এবং তাঁর সাথে কথাবার্তা বলি। এরপর আমি দণ্ডায়মান হয়ে আমার ঘরের দিকে রওনা করি। তিনিও আমার সাথে দন্ডায়মান হন, যাতে তিনি আমাকে ঘরে পৌছে দিতে পারেন। আর তখন তার (সাফ্যিয়ার) আবাসস্থল ছিল উসামা ইবন যায়িদের ঘর। ঐ সময় আনসারদের দু’ব্যক্তি কোথাও গমন করছিল।
তারা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে একজন মহিলাকে দেখে দ্রুত গমন করতে থাকে। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা স্বাভাবিকভাবে (হেঁটে) গমন কর। আর (আমার সাথে) এ হল সাফিয়্যা বিনত হুয়্যেই। তারা আশ্চর্য হয়ে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! সুবহানাল্লাহ্! তিনি বলেন, শয়তান রক্ত প্রবাহের ন্যায় মানুষের ধমনী দিয়ে চলাচল করে। আর আমার আশংকা যে, হয়ত সে তোমাদের অন্তরে কিছু সন্দেহ নিক্ষেপ করতে পারে। অথবা (রাবীর সন্দেহ) তিনি বলেন, খারাপ কিছুর উদ্রেক করতে পারে।
باب الْمُعْتَكِفِ يَدْخُلُ الْبَيْتَ لِحَاجَتِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّويَةَ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي - وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ - فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ " . قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا " . أَوْ قَالَ " شَرًّا " .
Safiyyah said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) was observing I'tikaf (in the mosque), I would come to him to visit him. I had a talk with him and then stood up. I then returned and he (the Prophet) also stood up to accompany me (to my house). Her dwelling place was in the house of Usamah b. Zaid. Two men from the Ansar (helpers) passed (by him at the moment). When they saw the Prophet (ﷺ), they walked quickly. The Prophet (ﷺ) said: Be at ease, she is Safiyyah daughter of Huyayy. They said: Be glory to Allah, Messenger of Allah! He said: Satan runs in man like blood. I feared he might inspire something in your mind, or he said: evil (the narrator doubted).
পরিচ্ছেদঃ ৮৬. ভাল ধারণা পোষণ করা- সম্পর্কে।
৪৯১০. খিলাফ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .... সাফিয়া (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফে থাকাবস্থায় রাতে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাই এবং কথাবার্তা বলি। এরপর আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও দাঁড়ান আমাকে পৌছে দেয়ার জন্য। এ সময় [সাফিয়া (রহঃ)] উসামা ইবন যায়দ (রাঃ)-এর গৃহে অবস্থান করতেন। পথিমধ্যে দু’জন আনসার সাহাবীর সাথে দেখা হয়, যারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখে দ্রুত চলতে থাকেন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বলেনঃ তোমার স্বাভাবিক গতিতে চল। এ হলো সাফিয়্যা বিনত হুয়াই (আমার স্ত্রী।) তখন তারা বলেঃ সুবহানাল্লাহ! ইয়া রাসূলাল্লাহ! (আমার কি আপনার ব্যাপারে কোন খারাপ ধারণা করতে পারি?) তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শয়তান মানুষের দেহে রক্ত প্রবাহের ন্যায় চলাফেরা করে। কাজেই আমার আশংকা, সে হয়তো তোমাদের মনে খারাপ কোন চিন্তার উদ্রেক করতে পারে!
باب فِي حُسْنِ الظَّنِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ وَقُمْتُ فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي - وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ - فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ " . قَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا " . أَوْ قَالَ " شَرًّا " .
Safiyyah said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) was in the I’TIKAF(seclusion in the mosque). I came to visit him at night . I talked to him, got up and turned my back. He got up with me to accompany me. He was living in the house of Usamah b. Zaid. Two men of the Ansar passed by him. When they saw the Messenger of Allah (May peace be upon him), they walked quickly. The prophet (May peace be upon him) said: Be at ease; she is Safiyyah daughter of Huyayy. They said: Glory be to Allah, Messenger of Allah! He said: The devil flows in man as the blood flows in him. I feared that he might inject something in your hearts, or he said “evil” (instead of something).
পরিচ্ছেদঃ ৭/৬৫. ই‘তিকাফকারির সাথে তার পরিবার-পরিজনের সাক্ষাত করা।
১/১৭৭৯। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রমযান মাসের শেষ দশকে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে ই’তিকাফ করেছিলেন। তখন সাফিয়্যা (রাঃ) তাঁর সাথে দেখা করতে আসেন এবং রাতের কিছুক্ষণ তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন। অতঃপর তিনি চলে যাওয়ার জন্য উঠে দাঁড়ালে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাকে বিদায় দেয়ার জন্য দাঁড়ান।
সাফিয়্যা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অপর স্ত্রী উম্মু সালামাহ (রাঃ)-এর ঘরের নিকটবর্তী মসজিদের দরজার কাছাকাছি পৌঁছলে দু’জন আনসারী তাদেরকে অতিক্রম করে গেলেন এবং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম দিয়ে তাড়াতাড়ি চলে যেতে লাগলেন।
রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে বলেনঃ থামো! এ হচ্ছে সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই। তারা বলেন, সুবহানাল্লাহ, হে আল্লাহর রসূল! বিষয়টি তাদের জন্য কঠিন মনে হলো। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ শয়তান আদম-সন্তানের শিরা-উপশিরায় রক্ত প্রবাহের মত ধাবিত হয়। আমি আশঙ্কা করছিলাম, শয়তান তোমাদের অন্তরে কোনরূপ কুধারণার সৃষ্টি করে কিনা?
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب فِي الْمُعْتَكِفِ يَزُورُهُ أَهْلُهُ فِي الْمَسْجِدِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْمُنْذِرِ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ عُمَرَ بْنِ مُوسَى بْنِ عُبَيْدِ اللهِ بْنِ مَعْمَرٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَيٍّ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهَا جَاءَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَزُورُهُ وَهُوَ مُعْتَكِفٌ فِي الْمَسْجِدِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ شَهْرِ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً مِنْ الْعِشَاءِ ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ مَعَهَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقْلِبُهَا حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ بَابَ الْمَسْجِدِ الَّذِي كَانَ عِنْدَ مَسْكَنِ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَمَرَّ بِهِمَا رَجُلَانِ مِنْ الْأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ نَفَذَا فَقَالَ لَهُمَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ قَالَا سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُولَ اللهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنْ ابْنِ آدَمَ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا
It was narrated from Safiyyah bint Huyai, the wife of the Prophet (ﷺ), that she came to visit the Messenger of Allah (ﷺ) when he was in I’tikaf during the last ten days of the month of Ramadan. She spoke with him for a while during the evening, then she stood up to go back. The Messenger of Allah (ﷺ) got up to take her home. When she reached the door of the mosque that was by the home of Umm Salamah, the wife of the Prophet (ﷺ), two men from among the Ansar passed by them. They greeted the Messenger of Allah (ﷺ) with peace, then went away. The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Take it easy, she is Safiyyah bint Huyai.” They said: “Glorious is Allah, O Messenger of Allah!” And they were very upset by that (i.e., that he thought they may have some doubts). The Messenger of Allah (ﷺ) said: “The Satan flows through the son of Adam like blood, and I was afraid that he might cast some doubt into your hearts.”
পরিচ্ছেদঃ ভূমি ধ্বস।
২১৮৭. মাহমূদ ইবন গায়লান (রহঃ) ...... সাফিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, লোকেরা এই আল্লাহর ঘর নিয়েও লড়াই থেকে বিরত হবে না। শেষ পর্যন্ত এক বাহিনী যখন লড়াইয়ে আসবে আর তারা যখন খোলা ময়দানে উপস্থিত হবে তখন তাদের প্রথম ও শেষ সকলকে নিয়ে যমীন ধ্বসে যাবে। যারা মাঝে ছিলেন তারাও এ থেকে বাঁচতে পারবে না। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ, যে ব্যক্তি তাদের মাঝে বাধ্য হয়ে শামিল হয়েছে তার কি হবে? তিনি বললেনঃ তাদের অন্তরের অবস্থা অনুসারে আল্লাহ তাআলা তাদেরকে উত্থিত করবেন। সহীহ, তা’লীক আলা ইবনু মাজাহ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২১৮৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এ হাদীসটি হাসান-সহীহ।
باب ما جاء في الخسف
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْمَرْهَبِيِّ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَنْتَهِي النَّاسُ عَنْ غَزْوِ هَذَا الْبَيْتِ حَتَّى يَغْزُوَ جَيْشٌ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالْبَيْدَاءِ أَوْ بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ خُسِفَ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ وَلَمْ يَنْجُ أَوْسَطُهُمْ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ كَرِهَ مِنْهُمْ قَالَ " يَبْعَثُهُمُ اللَّهُ عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Safiyyah narrated "The Messenger of Allah (s.a.w) said:
'The people will not finish attacking this House until it is attacked by an army which, when they are at Al-Baida', or a Baida' in the land, it will swallow from the first of them to the last of them, and the middle of them shall not be saved.' I said: 'O Messenger of Allah(s.a.w)! What about those among them who are averse to it?' He said: 'Allah will resurrect them upon what was in their souls(intentions)."'
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
৩৫৫৪. মুহাম্মাদ ইবন বাশশার (রহঃ) ... সাফিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে এলেন। আমার কাছে তখন চার হাজার খেজুর বীচি ছিল। এগুলো দ্বারা আমি তাসবীহ পাঠ করছিলাম। তিনি বললেনঃ তুমি তো এগুলোর মাধ্যমে তাসবীহ পাঠ করছ। যে পরিমান তাসবীহ তুমি পাঠ করেছ, তদপেক্ষা বেশী পরিমাণের উপায় কি আমি তোমাকে শিখিয়ে দিব? আমি বললামঃ অবশ্যই আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি বলবেঃ (سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ) - সৃষ্টির পরিমাণ সংখ্যকবার সুবহানাল্লাহ।
মুনকার, আর-রাদ্দু আলাত তা’কীবিল হাসীস ৩৫-৩৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৫৫৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদীসটি গারীব। হাশিম ইবন সাঈদ কূফী (রহঃ) এর রিওয়ায়াত হিসেবে এই সূত্র ছাড়া সাফিয়্যা রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসরূপে এটি সম্পর্কে আমরা কিছু জানি না। তাঁর এই সনদ মা’রুফ নয়। এই বিষয়ে ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে।
باب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ، مَوْلَى صَفِيَّةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ يَدَىَّ أَرْبَعَةُ آلاَفِ نَوَاةٍ أُسَبِّحُ بِهَا فَقُلْتُ لَقَدْ سَبَّحْتُ بِهَذِهِ . فَقَالَ " أَلاَ أُعَلِّمُكِ بِأَكْثَرَ مِمَّا سَبَّحْتِ بِهِ " . فَقُلْتُ بَلَى عَلِّمْنِي . فَقَالَ " قُولِي سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمِ بْنِ سَعِيدٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمَعْرُوفٍ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Saffiyah narrated:
“The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon me and before me were four thousand date pits, I was making Tasbih with them. He said: ‘You have made Tasbih with these? Should I not teach you that which is more than what you have made Tasbih with?’ So I said: ‘Indeed, teach me.’ So he said: ‘Say: glory is to Allah according to the number of His creation (Subḥān Allāhi `adada khalqihi).’”
পরিচ্ছেদঃ ৩৯/৯. কোন লোককে তার স্ত্রী বা কোন মাহরামার সঙ্গে একাকীত্বে দেখা গেলে তাদের সন্দেহ দূর করার জন্য ‘এ মহিলা আমার উমুক হয়’ বলে পরিচয় তুলে ধরা মুস্তাহাব।
১৪০৪. নবী-সহধর্মিণী সাফিয়্যাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদা তিনি রমযানের শেষ দশকে মসজিদে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর খিদমতে উপস্থিত হন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফরত ছিলেন। সাফিয়্যা তাঁর সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। অতঃপর ফিরে যাবার জন্য উঠে দাঁড়ান। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে পৌছে দেয়ার উদ্দেশে উঠে দাঁড়ালেন। যখন তিনি (উম্মুল মু’মিনীন) উম্মু সালামাহ (রাঃ) এর গৃহ সংলগ্ন মসজিদের দরজা পর্যন্ত পৌছলেন, তখন দু’জন আনসারী সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা উভয়ে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলেন। তাঁদের দু’জনকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা দু’জন থাম। ইনি তো (আমার স্ত্রী) সফীয়্যাহ বিনতু হুয়ায়ী। এতে তাঁরা দুজনে ’সুবহানাল্লাহ হে আল্লাহর রাসূল’ বলে উঠলেন এবং তাঁরা বিব্রত বোধ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শয়তান মানুষের রক্তের শিরায় চলাচল করে। আমি ভয় করলাম যে, সে তোমাদের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করতে পারে।
بيان أنه يستحب لمن رُؤيَ خاليًا بامرأة وكانت زوجة أو محرمًا له أن يقول هذه فلانة ليدفع ظن السوء به
حديث صَفِيَّةَ، زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ، فِي الْمَسْجِدِ، فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً، ثُمَّ قَامَتْ تَنْقَلِبُ فَقَامَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَعَهَا يَقْلِبُهَا، حَتَّى إِذَا بَلَغَتْ بَابَ المَسْجِدِ، عِنْدَ بَابِ أُمِّ سَلَمَةَ، مَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَسَلَّمَا عَلَى رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَقَالَ لَهُمَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَى رِسْلِكُمَا، إِنَّمَا هِيَ صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ فَقَالاَ: سُبْحَانَ اللهِ، يَا رَسُولَ اللهِ وَكَبُرَ عَلَيْهِمَا فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّ الشَّيْطَانَ يَبْلُغُ مِنَ الإِنْسَانِ مَبْلَغَ الدَّمِ، وَإِنِّي خَشِيْتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا
পরিচ্ছেদঃ ২১. ভূমিধস প্রসঙ্গে
২১৮৪। সাফিয়্যা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলার এই ঘরের (কাবা) বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করা হতে মানুষ বিরত থাকবে না। অবশেষে একটি বাহিনী লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়ে যখন বাইদা নামক উপত্যকা অথবা উন্মুক্ত প্রান্তরে হাযির হবে তখন তাদের সম্মুখ-পিছনের সবাইকে নিয়ে যমীন ধসে যাবে। তাদের মধ্যভাগের মানুষও মুক্তি পাবে না। আমি প্রশ্ন করলাম, হে আল্লাহর রাসূল! তাদের মধ্যে যেসব ব্যক্তি জোর-জবরদস্তির ফলে বাধ্য হয়ে অংশগ্রহণ করবে তাদের কি হবে? তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে তাদের অন্তরের নিয়্যাত অনুসারে পুনরুত্থান করবেন।
সহীহ, তা’লীক আলা ইবনু মা-জাহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْخَسْفِ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنْ أَبِي إِدْرِيسَ الْمَرْهَبِيِّ، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ صَفْوَانَ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ يَنْتَهِي النَّاسُ عَنْ غَزْوِ هَذَا الْبَيْتِ حَتَّى يَغْزُوَ جَيْشٌ حَتَّى إِذَا كَانُوا بِالْبَيْدَاءِ أَوْ بِبَيْدَاءَ مِنَ الأَرْضِ خُسِفَ بِأَوَّلِهِمْ وَآخِرِهِمْ وَلَمْ يَنْجُ أَوْسَطُهُمْ " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَمَنْ كَرِهَ مِنْهُمْ قَالَ " يَبْعَثُهُمُ اللَّهُ عَلَى مَا فِي أَنْفُسِهِمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Safiyyah narrated "The Messenger of Allah (s.a.w) said:
'The people will not finish attacking this House until it is attacked by an army which, when they are at Al-Baida', or a Baida' in the land, it will swallow from the first of them to the last of them, and the middle of them shall not be saved.' I said: 'O Messenger of Allah(s.a.w)! What about those among them who are averse to it?' He said: 'Allah will resurrect them upon what was in their souls(intentions)."'
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. (উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যা ও জুওইয়াইরিয়াকে শিখানো দু'আ)
৩৫৫৪। উম্মুল মুমিনীন সাফিয়্যা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকটে এলেন, তখন আমার নিকট চার হাজার খেজুরের বিচি ছিল, যা দিয়ে আমি তাসবীহ পাঠ করে থাকি। তিনি বললেনঃ তুমি কি এগুলো দিয়ে তাসবীহ গণনা করেছ? আমি কি তোমাকে এমন তাসবীহ শিখাব না যা সাওয়াবের দিক হতে এর চেয়ে বেশি হবে? আমি বললাম, হ্যাঁ আমাকে শিখিয়ে দিন। তিনি বললেনঃ তুমি বল, “আল্লাহ তা’আলা তার সৃষ্টিকুলের সমপরিমাণ পবিত্র”।
মুনকার, আর-রাদু আলাত তা’কীবিল হাসীস (৩৫-৩৮)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি গারীব। কেননা সাফিয়্যা (রাঃ)-এর এ হাদীস আমরা শুধু হাশিম ইবনু সাঈদ আল-কূফীর সূত্রে জেনেছি। এর সনদ তেমন সুপরিচিত নয়। এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، وَهُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنِي كِنَانَةُ، مَوْلَى صَفِيَّةَ قَالَ سَمِعْتُ صَفِيَّةَ، تَقُولُ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَبَيْنَ يَدَىَّ أَرْبَعَةُ آلاَفِ نَوَاةٍ أُسَبِّحُ بِهَا فَقُلْتُ لَقَدْ سَبَّحْتُ بِهَذِهِ . فَقَالَ " أَلاَ أُعَلِّمُكِ بِأَكْثَرَ مِمَّا سَبَّحْتِ بِهِ " . فَقُلْتُ بَلَى عَلِّمْنِي . فَقَالَ " قُولِي سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمِ بْنِ سَعِيدٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِمَعْرُوفٍ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Saffiyah narrated:
“The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon me and before me were four thousand date pits, I was making Tasbih with them. He said: ‘You have made Tasbih with these? Should I not teach you that which is more than what you have made Tasbih with?’ So I said: ‘Indeed, teach me.’ So he said: ‘Say: glory is to Allah according to the number of His creation (Subḥān Allāhi `adada khalqihi).’”
পরিচ্ছেদঃ ৬৪. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রীগণের মর্যাদা
৩৮৯২। সফিয়্যা বিনতু হুয়াই (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট এলেন, হাফসা ও আইশা (রাঃ) হতে আমার সম্পর্কে কিছু কথা আমার নিকট পৌছল। ঐ বিষয়টি আমি তার নিকট উল্লেখ করলাম, তিনি বললেনঃ
তুমি একথা কেন বললেনা যে, তোমরা আমার চেয়ে কিভাবে উত্তম হতে পার? বাস্তব অবস্থা হল, আমার স্বামী মুহাম্মাদ, পিতা হারুন আর চাচা হল মূসা আলাইহিস সালাম সফিয়্যার নিকট যে কথা পৌছেছিল তা এই যে, তারা বলেছিল আমরা তার চেয়ে সম্মানিত, কেননা আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্ত্রী আবার তার চাচাত বোন।
সনদ দুর্বল, দেখুন আর রাদ্দু আলাল হাবাশী, হাদীস নং ৩৩৮৫, পৃঃ (৩৫-৩৮)
এ অনুচ্ছেদে আনাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা শুধুমাত্র হাশিম আল কুফীর সূত্রেই সুফিয়া (রাঃ)-এর হাদীসটি জেনেছি। এর সনদ সূত্র মযবুত নয়।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ، حَدَّثَنَا هَاشِمٌ، هُوَ ابْنُ سَعِيدٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا كِنَانَةُ، قَالَ حَدَّثَتْنَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ، قَالَتْ دَخَلَ عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَقَدْ بَلَغَنِي عَنْ حَفْصَةَ وَعَائِشَةَ كَلاَمٌ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ " أَلاَ قُلْتِ فَكَيْفَ تَكُونَانِ خَيْرًا مِنِّي وَزَوْجِي مُحَمَّدٌ وَأَبِي هَارُونُ وَعَمِّي مُوسَى " . وَكَانَ الَّذِي بَلَغَهَا أَنَّهُمْ قَالُوا نَحْنُ أَكْرَمُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنْهَا . وَقَالُوا نَحْنُ أَزْوَاجُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَبَنَاتُ عَمِّهِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ . قَالَ وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ صَفِيَّةَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ هَاشِمٍ الْكُوفِيِّ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِذَلِكَ الْقَوِيِّ .
Narrated Safiyyah bint Huyai:
"The Messenger of Allah (ﷺ) entered upon me and some words had reached me from Hafsah and 'Aishah. So I mentioned it to him. So he said: 'Why did you not say: "And how are you better than me, while my husband is Muhammad and my father is Harun, and my uncle is Musa?" That which had reached her, was that they had said: "We are more honored to the Messenger of Allah (ﷺ) than her," and that they said: "We are the wives of the Prophet (ﷺ) and his cousins."
পরিচ্ছেদঃ ৫৫. নাবী (ﷺ) এর ই’তিকাফ
১৮১৭. সাফিয়্যা বিনতে হুয়াই রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত যে, তিনি একদা রমযান মাসের শেষ দশকে মাসজিদুল হারামে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে দেখা করতে আসেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেখানে ই’তিকাফরত ছিলেন। তিনি কিছুক্ষণ তাঁর সাথে কথাবার্তা বলেন। এরপর তিনি (ফিরে যাওয়ার জন্য) উঠে দাড়ান।”[1]
তাখরীজ: বুখারী, ই’তিকাফ ২০৩৫; মুসলিম, সালাম ২১৭৫;
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি মুসনাদুল মাউসিলী নং ৭১২১ ও সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৩৬৭১ তে।
بَاب اعْتِكَافِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ أَنَّ صَفِّيَةَ بِنْتَ حُيَيٍّ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا جَاءَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تَزُورُهُ فِي اعْتِكَافِهِ فِي الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ فِي الْعَشْرِ الْأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ فَتَحَدَّثَتْ عِنْدَهُ سَاعَةً ثُمَّ قَامَتْ
পরিচ্ছেদঃ ৯. কোন লোককে নারীদের সঙ্গে একাকী দেখা পেলে এবং সে মহিলা তার স্ত্রী বা তার মাহরাম হলে কুধারণাকে দমনের জন্য এ স্ত্রীলোক অমুক বলে দেয়া মুস্তাহাব
৫৫৭২-(২৪/২১৭৫) ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ..... সাফিয়্যাহ্ বিনতু হুয়াই (রাযিঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফরত ছিলেন। আমি রাত্রিতে তার সাথে দেখা করতে এলাম। (কিছু সময়) তার সাথে কথা বললাম, এরপর ফিরে যাওয়ার জন্যে উঠলাম। তিনিও আমাকে বিদায় দেয়ার জন্যে আমার সঙ্গে উঠলেন। (বর্ণনাকারী বলেন), সে সময় তার [সাফিয়্যাহ্ (রাযিঃ)] বাসস্থান ছিল উসামাহ্ ইবনু যায়দ (রাযিঃ) এর ঘরে। তখন (সেখান দিয়ে) আনসারীদের দু’ লোক গমন করছিলেন। তারা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে (এক মহিলার সঙ্গে) দেখতে পেয়ে জলদি যেতে লাগল। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তখন বললেনঃ তোমরা দু’জন আস্তে আস্তে যাও। এ কিন্তু সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই (আমার স্ত্রী)। তারা দু’জন বলল, সুবহানাল্লাহ! হে আল্লাহর রসূল (আমরা তো কিছু ভাবিনি) তিনি বললেনঃ শাইতান মানুষের শিরায় শিরায় চলাফেরা করে। আর আমি আশঙ্কা করলাম যে, শাইতান তোমাদের দু’জনের মনে কোন মন্দ ধারণা ঢেলে দিবে অথবা (বর্ণনা সন্দেহ) এ বিষয়ে কোন কিছু তৈরি করতে পারে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৫৪৯২, ইসলামিক সেন্টার ৫৫১৬)
باب بَيَانِ أَنَّهُ يُسْتَحَبُّ لِمَنْ رُئِيَ خَالِيًا بِامْرَأَةٍ وَكَانَتْ زَوْجَةً أَوْ مَحْرَمًا لَهُ
وَحَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، - وَتَقَارَبَا فِي اللَّفْظِ - قَالاَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ، قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلاً فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ لأَنْقَلِبَ فَقَامَ مَعِيَ لِيَقْلِبَنِي . وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ " . فَقَالاَ سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّي خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَرًّا " . أَوْ قَالَ " شَيْئًا " .
Safiyya daughter of Huyyay (the wife of Allah's Apostle) reported that while Allah's Messenger (may peace be. upon him) had been observing I'tikaf, I came to visit him one night and talked with him for some time. Then I stood up to go back and he (Allah's Apostle) also stood up with me in order to bid me good-bye. She was at that time residing in the house of Usama b. Zaid. The two persons from the Ansar happened to pass by him. When they saw Allah's Apostle (ﷺ). they began to walk swiftly, thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said to them:
Walk calmy, she is Safiyya daughter of Huyyay... Both of them said: Messenger, hallowed be Allah, (we cannot conceive of ab., ug doubtful even in the remotest corners of our minds), whereupon he said: Satan circulates in the body of man like the circulation of blood and I was afraid lest it should instill any evil in your heart or anything.
পরিচ্ছেদঃ ৮০. ই‘তিকাফকারী প্রয়োজনে (মাসজিদ থেকে বেরিয়ে) ঘরে প্রবেশ করতে পারে
২৪৭০। সাফিয়্যাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফরত ছিলেন। এক রাতে আমি তাঁর সাথে দেখা করতে যাই। তাঁর সাথে কিছুক্ষণ কথাবার্তার পর আমি ঘরে প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে দাঁড়ালে তিনিও আমাকে এগিয়ে দিতে উঠলেন। তার (সাফিয়্যাহর) বাসস্থান ছিলো উসামাহ ইবনু যায়িদের ঘরের সাথে। দু’জন আনসারী ব্যক্তি ঐ পথ অতিক্রমকালে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখতে পেয়ে দ্রুত চলে যেতে লাগলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা স্বাভাবিক গতিতে হাঁটো। এ মহিলাটি হচ্ছেন হুয়াইর কন্যা সাফিয়্যাহ। তারা উভয়ে বললেন, সুবহানাল্লাহ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ শয়তান রক্তপ্রবাহের ন্যায় মানুষের শিরায়-উপশিরায় প্রবেশ করে। আমার আশঙ্কা হলো, সে তোমাদের মনে কুধারণা বা খারাপ কিছুর উদ্রেক করতে পারে।[1]
সহীহ।
بَابُ الْمُعْتَكِفِ يَدْخُلُ الْبَيْتَ لِحَاجَتِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ شَبُّوَيْهِ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلًا فَحَدَّثْتُهُ، ثُمَّ قُمْتُ فَانْقَلَبْتُ فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي، وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَمَرَّ رَجُلَانِ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْرَعَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَى رِسْلِكُمَا، إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ، قَالَا: سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ، قَالَ: إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الْإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ، فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا، أَوْ قَالَ: شَرًّا
صحيح
Safiyyah said:
When the Messenger of Allah (ﷺ) was observing I'tikaf (in the mosque), I would come to him to visit him. I had a talk with him and then stood up. I then returned and he (the Prophet) also stood up to accompany me (to my house). Her dwelling place was in the house of Usamah b. Zaid. Two men from the Ansar (helpers) passed (by him at the moment). When they saw the Prophet (ﷺ), they walked quickly. The Prophet (ﷺ) said: Be at ease, she is Safiyyah daughter of Huyayy. They said: Be glory to Allah, Messenger of Allah! He said: Satan runs in man like blood. I feared he might inspire something in your mind, or he said: evil (the narrator doubted).
পরিচ্ছেদঃ ৮৯. সুধারণা পোষণ
৪৯৯৪। উম্মুল মু’মিনীন সাফিয়্যাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ই’তিকাফ অবস্থায় ছিলেন। এক রাতে আমি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে তাঁর নিকট গেলাম। কথাবার্তা শেষ করে আমি ফিরে আসার জন্য দাঁড়ালে তিনিও আমাকে এগিয়ে দিতে দাঁড়ালেন। তার [সাফিয়্যা (রাঃ)] বসবাসের স্থান ছিলো উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ)-এর ঘর (সংলগ্ন)। এ সময় আনসার গোত্রের দু’ ব্যক্তি যাচ্ছিলেন। তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখে দ্রুত চলে যাচ্ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা থামো! ইনি (আমার স্ত্রী) সাফিয়্যাহ বিনতু হুয়াই। তারা দু’ জনে বললেন, ’’সুবহানাল্লাহ’’ হে আল্লাহ রাসূল! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ শয়তান মানুষের মধ্যে রক্তের মতো চলাচল করে। তাই আমার ভয় হচ্ছিল যে, সে তোমাদের দু’ জনের মনে মন্দ কিছু নিক্ষেপ করবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي حُسْنِ الظَّنِّ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ حُسَيْنٍ، عَنْ صَفِيَّةَ، قَالَتْ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُعْتَكِفًا، فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلًا، فَحَدَّثْتُهُ وَقُمْتُ، فَانْقَلَبْتُ، فَقَامَ مَعِي لِيَقْلِبَنِي، وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِي دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، فَمَرَّ رَجُلَانِ مِنَ الْأَنْصَارِ، فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَسْرَعَا، فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَيٍّ قَالَا: سُبْحَانَ اللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ: إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِي مِنَ الْإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ، فَخَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِي قُلُوبِكُمَا شَيْئًا أَوْ قَالَ: شَرًّا
صحيح
Safiyyah said :
The Messenger of Allah (May peace be upon him) was in the I’TIKAF(seclusion in the mosque). I came to visit him at night . I talked to him, got up and turned my back. He got up with me to accompany me. He was living in the house of Usamah b. Zaid. Two men of the Ansar passed by him. When they saw the Messenger of Allah (May peace be upon him), they walked quickly. The prophet (May peace be upon him) said: Be at ease; she is Safiyyah daughter of Huyayy. They said: Glory be to Allah, Messenger of Allah! He said: The devil flows in man as the blood flows in him. I feared that he might inject something in your hearts, or he said “evil” (instead of something).
পরিচ্ছেদঃ অপ্রয়োজনে মুসলিমদের প্রতি কুধারণা করা নিষেধ
(২৩৬৭) একদা রাত্রিকালে সফিয়্যাহ (রাঃ) ই’তিকাফরত স্বামী মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মসজিদে দেখা করার জন্য এলেন। কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর তিনি বাসায় ফিরতে গেলে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে পৌঁছে দিতে তাঁর সাথে বের হলেন। পথে আনসারদের দুই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁদের দেখা হলে তারা শীঘ্র চলতে লাগগল। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ওহে! কে তোমরা? শোন। আমার সাথে এ মহিলা হল (আমারই স্ত্রী) সফিয়া বিন্তে হুয়াই। তারা বলল, ’আল্লাহর পানাহ! সুবহানাল্লাহ! আপনার ব্যাপারেও কি আমরা কোন সন্দেহ করতে পারি?’ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমি বলছি না যে, তোমরা কোন কুধারণা করে বসবে। কিন্তু আমি জানি যে, শয়তান আদম সন্তানের রক্তশিরায় প্রবাহিত হয়। আর আমার ভয় হয় যে, সে তোমাদের মনে কোন কুধারণা প্রক্ষিপ্ত করে দেবে।
عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ حُيَىٍّ قَالَتْ كَانَ النَّبِىُّ ﷺ مُعْتَكِفًا فَأَتَيْتُهُ أَزُورُهُ لَيْلًا فَحَدَّثْتُهُ ثُمَّ قُمْتُ لأَنْقَلِبَ فَقَامَ مَعِىَ لِيَقْلِبَنِىْ وَكَانَ مَسْكَنُهَا فِى دَارِ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ فَمَرَّ رَجُلاَنِ مِنَ الأَنْصَارِ فَلَمَّا رَأَيَا النَّبِىَّ ﷺ أَسْرَعَا فَقَالَ النَّبِىُّ ﷺ عَلَى رِسْلِكُمَا إِنَّهَا صَفِيَّةُ بِنْتُ حُيَىٍّ فَقَالاَ سُبْحَانَ اللهِ يَا رَسُولَ اللهِ قَالَ إِنَّ الشَّيْطَانَ يَجْرِى مِنَ الإِنْسَانِ مَجْرَى الدَّمِ وَإِنِّى خَشِيتُ أَنْ يَقْذِفَ فِى قُلُوبِكُمَا شَرًّا أَوْ قَالَ شَيْئًا