পরিচ্ছেদঃ ১. সওম ফরয হওয়ার সূচনা
২৩১৩। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। (আল্লাহর বাণী) ’’হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর সিয়াম পালন ফরয করা হয়েছে যেমন ফরয করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের উপর’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৩)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময় (ইসলামের প্রথম যুগে) লোকেরা যখন এশার সালাত আদায় করতো তখন থেকে তাদের উপর খানাপিনা ও স্ত্রী-সহবাস হারাম হয়ে যেতো এবং তারা পরবর্তী রাত পর্যন্ত সওম পালন করতো।
কিন্তু এক ব্যক্তি নফসের উপর খিয়ানাত করে তার স্ত্রীর সাথে সহবাস করে ফেলে, অথচ সে এশার সালাত আদায় করেছে কিন্তু তখনও সে পূর্বের সওমের ইফতার করেনি। এমতাবস্থায় মহান আল্লাহ যেসব সাহাবী এ অন্যায়ে লিপ্ত হয়নি তাদের প্রতি সহনশীল ও কল্যাণ প্রদর্শনের ইচ্ছা করলেন এবং বললেনঃ ’’আল্লাহ জানেন, তোমরা নিজেদের নফসের সাথে খিয়ানাত করছিলে’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৭)। এর দ্বারা আল্লাহ মানুষের উপকার করেছেন এবং এটা তাদের জন্য সহজ ও ঐচ্ছিক করে দিয়েছেন।[1]
হাসান সহীহ।
بَابُ مَبْدَإِ فَرْضِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ شَبُّوَيْهِ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، (يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ) [البقرة: ١٨٣]، " فَكَانَ النَّاسُ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا صَلَّوُا الْعَتَمَةَ حَرُمَ عَلَيْهِمُ الطَّعَامُ وَالشَّرَابُ وَالنِّسَاءُ، وَصَامُوا إِلَى الْقَابِلَةِ، فَاخْتَانَ رَجُلٌ نَفْسَهُ، فَجَامَعَ امْرَأَتَهُ، وَقَدْ صَلَّى الْعِشَاءَ، وَلَمْ يُفْطِرْ، فَأَرَادَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَنْ يَجْعَلَ ذَلِكَ يُسْرًا لِمَنْ بَقِيَ وَرُخْصَةً وَمَنْفَعَةً، فَقَالَ سُبْحَانَهُ: (عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنْتُمْ تَخْتَانُونَ أَنْفُسَكُمْ) [البقرة: ١٨٧] الْآيَةَ، وَكَانَ هَذَا مِمَّا نَفَعَ اللَّهُ بِهِ النَّاسَ وَرَخَّصَ لَهُمْ وَيَسَّرَ
حسن صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Ibn Abbas explained the following Qur'anic verse: "O ye who believe! fasting is prescribed for you as it was prescribed for those before you" During the lifetime of the Prophet (ﷺ), when the people offered night prayer, they were asked to abstain from food and drink and (intercourse with) women, they kept fast till the next night. A man betrayed himself and had intercourse with his wife after he had offered the night prayer, and he did not break his fast. So Allah, the Exalted, intended to make it (fasting) easy for those who survived, thus providing a concession and utility. Allah, the Glorified, said: "Allah knoweth what ye used to do secretly among yourselves." By this Allah benefited the people and provided concession and ease to them.
পরিচ্ছেদঃ ১. সওম ফরয হওয়ার সূচনা
২৩১৪। আল-বারাআ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, লোকেরা যখন সওম পালন করতো তখন তাদের কেউ যদি কিছু না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়তো তাহলে পরের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে কিছুই খেতে পারতো না। সিরমা ইবনু কায়িস আল-আনসারী (রাযি.) সওম পালন অবস্থায় স্ত্রীকে এসে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কাছে কিছু আছে কি? স্ত্রী বললেন, না, তবে আমি খুঁজে দেখি আপনার জন্য কিছু যোগাড় করতে পারি কিনা। স্ত্রী খাবারের সন্ধানে গেলে স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পড়লো। স্ত্রী ফিরে এসে এ অবস্থা দেখে বললেন, তোমার জন্য বঞ্চনা। (ক্ষুদার কারণে) পরদিন দুপুর না হতেই তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললেন। এ দিন তিনি নিজ ভূমিতে কাজকর্ম করছিলেন। বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে উল্লেখ করা হলে আয়াত অবতীর্ণ হলোঃ ’’রামাযানের রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে মেলামেশা তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো’’ তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আয়াতটির ’ভোর পর্যন্ত’ তিলাওয়াত করেন।[1]
সহীহ।
بَابُ مَبْدَإِ فَرْضِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيِّ بْنِ نَصْرٍ الْجَهْضَمِيُّ، أَخْبَرَنَا أَبُو أَحْمَدَ، أَخْبَرَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ قَالَ: " كَانَ الرَّجُلُ إِذَا صَامَ، فَنَامَ لَمْ يَأْكُلْ إِلَى مِثْلِهَا، وَإِنَّ صِرْمَةَ بْنَ قَيْسٍ الْأَنْصَارِيَّ أَتَى امْرَأَتَهُ، وَكَانَ صَائِمًا، فَقَالَ: عِنْدَكِ شَيْءٌ، قَالَتْ: لَا، لَعَلِّي أَذْهَبُ فَأَطْلُبُ لَكَ شَيْئًا، فَذَهَبَتْ وَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ فَجَاءَتْ، فَقَالَتْ: خَيْبَةً لَكَ فَلَمْ يَنْتَصِفِ النَّهَارُ حَتَّى غُشِيَ عَلَيْهِ، وَكَانَ يَعْمَلُ يَوْمَهُ فِي أَرْضِهِ، فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَنَزَلَتْ ": (أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ) [البقرة: ١٨٧] قَرَأَ إِلَى قَوْلِهِ: (مِنَ الْفَجْرِ) [البقرة: ١٨٧]
صحيح
Al Bara’ (bin Azib) said “When a man fasted and slept, he could not eat till (another nigh) like it.” Sarmah bin Qais Al Ansari came to his wife while he was fasting and asked her Do you have something (to eat)? She replied “No”. Let me go and seek something for you. So, she went out and sleep overcame him. She came (back) and said (to him) .You are deprived (of food). He fainted before noon. He used to work all day long at his land. This was mentioned to the Prophet (ﷺ). So the following verse was revealed. “Permitted to you on the nights of the fasts, is the approach to your wives. They are your garments and ye are their garments. Allah knoweth what yes used to do secretly amongst yourselves. But he turned to you and forgave you. So now associate with them and seek what Allaah hath ordained for you. And eat and drink until the white thread of dawn appears to you. He recited up to the words “of dawn”.
পরিচ্ছেদঃ ২. 'যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে' এই বিধান রহিত
২৩১৫। সালামাহ ইবনু আকওয়া’ (রাযি.)-এর আযাদকৃত গোলাম ইয়াযীদ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, (আল্লাহর বাণী) ’’যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর আমাদের কারোর ইচ্ছে হলে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতে চাইলে তাই করতো। অতঃপর পরবর্তী আয়াত (২ঃ ১৮৫) দ্বারা উপরের প্রথম বিধানটি মানসূখ হয়ে যায়।[1]
সহীহ।
بَابُ نَسْخِ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ}
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا بَكْرٌ يَعْنِي ابْنَ مُضَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ بُكَيْرٍ، عَنْ يَزِيدَ، مَوْلَى سَلَمَةَ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ الْأَكْوَعِ قَالَ: لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ: (وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ) [البقرة: ١٨٤]، كَانَ مَنْ أَرَادَ مِنَّا أَنْ يُفْطِرَ وَيَفْتَدِيَ فَعَلَ، حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ الَّتِي بَعْدَهَا فَنَسَخَتْهَا
صحيح
Salamah bin Al Akwa said “After the revelation of the verse “For those who can do it(with hardship) is a ransom, the feeding of one, that is indigent, is one of us intended to leave fast and pay ransom, he could do so.” until the verse following it was revealed and abrogated the (previous) verse.”
পরিচ্ছেদঃ ২. 'যারা সওম পালনে সক্ষম তারা ফিদ্ইয়া দিবে' এই বিধান রহিত
২৩১৬। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। ’’যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৪) এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর যে লোক প্রতিদিন খাওয়াতে সক্ষম ছিলো সে সওম না রেখে ফিদ্ইয়া দিতো, এভাবে তার সিয়াম পূর্ণ হতো। অতঃপর মহান আল্লাহ বলেনঃ ’’আর যে ব্যক্তি অধিক সাদাকাহ করবে তা তার জন্য উত্তম। আর যদি তোমরা সওম পালন করো তবে তা অধিক উত্তম’’ আল্লাহ আরো বলেনঃ ’’তোমাদের মধ্যে যারা এ মাসে উপনীত হবে তারা সওম পালন করবে। কেউ অসুস্থ হলে বা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে।’’[1]
হাসান।
بَابُ نَسْخِ قَوْلِهِ تَعَالَى: {وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ}
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ حُسَيْنٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرَمَةَ، عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ: (وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ) [البقرة: ١٨٤]، فَكَانَ مَنْ شَاءَ مِنْهُمْ أَنْ يَفْتَدِيَ بِطَعَامِ مِسْكِينٍ افْتَدَى وَتَمَّ لَهُ صَوْمُهُ، فَقَالَ: (فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَهُوَ خَيْرٌ لَهُ وَأَنْ تَصُومُوا خَيْرٌ لَكُمْ) [البقرة: ١٨٤]، وَقَالَ: (فَمَنْ شَهِدَ مِنْكُمُ الشَّهْرَ فَلْيَصُمْهُ وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ) [البقرة: ١٨٥]
حسن
Ibn ‘Abbas explain the Qur’anic verse “For those who can do it(with hardship) is a ransom, the feeding of one, that is indigent” said “If one of them wished to pay ransom by providing food to an indigent person he could pay ransom.. Thus, his fast was complete. Allaah, the Exalted pronounced “But he that will give more of his own free will, it is better for him”. Again he pronounced “So every one of you who is present (at his home) during that month should spend it in fasting.” But, if anyone is ill or on a journey the prescribed period (should be made up) by days later.
পরিচ্ছেদঃ ৩. যিনি বলেন, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীর জন্য উক্ত বিধান বহাল আছে
২৩১৭। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেন, গর্ভবতী ও দুগ্ধ প্রদানকারিণী মহিলার জন্যে ফিদ্ইয়া প্রদানের বিধান বহাল রয়েছে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَنْ قَالَ: هِيَ مُثْبَتَةٌ لِلشَّيْخِ وَالْحُبْلَى
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا أَبَانُ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، أَنَّ عِكْرِمَةَ، حَدَّثَهُ، أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ قَالَ: أُثْبِتَتْ لِلْحُبْلَى وَالْمُرْضِعِ
صحيح
Ibn ‘Abbas said “The verse concerning the payment of ransom stands valid for pregnant and sucking woman.”
পরিচ্ছেদঃ ৩. যিনি বলেন, বৃদ্ধ ও গর্ভবতীর জন্য উক্ত বিধান বহাল আছে
২৩১৮। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। আল্লাহর বাণীঃ ’’যারা সামর্থবান (কিন্তু সওম পালনে অক্ষম) তারা এর পরিবর্তে ফিদ্ইয়া হিসেবে একজন মিসকীনকে খাদ্য দিবে’’ (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৮৪)। তিনি বলেন, এ আয়াতে অতিবৃদ্ধ ও বৃদ্ধার জন্য সওম ভঙ্গের বিধান রয়েছে। এরা উভয়ে যখন সওম পালনের শক্তি হারিয়ে ফেলেছে, এমতাবস্থায় সওম না রেখে প্রত্যেক দিন একজন মিসকীনকে খাবার দিবে। গর্ভবতী এবং দুগ্ধদানকারিণী সন্তানের ক্ষতির আশঙ্কা করলে তাদের জন্যেও সওম ভঙ্গের অনুমতি আছে।[1]
শাযঃ ইরওয়া (৯১২)।
بَابُ مَنْ قَالَ: هِيَ مُثْبَتَةٌ لِلشَّيْخِ وَالْحُبْلَى
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَزْرَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ: (وَعَلَى الَّذِينَ يُطِيقُونَهُ فِدْيَةٌ طَعَامُ مِسْكِينٍ) [البقرة: ١٨٤]، قَالَ: كَانَتْ رُخْصَةً لِلشَّيْخِ الْكَبِيرِ، وَالْمَرْأَةِ الْكَبِيرَةِ، وَهُمَا يُطِيقَانِ الصِّيَامَ أَنْ يُفْطِرَا، وَيُطْعِمَا مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ سْكِينًا، وَالْحُبْلَى وَالْمُرْضِعُ إِذَا خَافَتَا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: يَعْنِي عَلَى أَوْلَادِهِمَا أَفْطَرَتَا وَأَطْعَمَتَا
شاذ // الإرواء (٩١٢)
Narrated Abdullah ibn Abbas:
Explaining the verse; "For those who can do it (with hard-ship) is a ransom, the feeding of one, that is indigent," he said: This was a concession granted to the aged man and woman who were able to keep fast; they were allowed to leave the fast and instead feed an indigent person for each fast; (and a concession) to pregnant and suckling woman when they apprehended harm (to themselves).
পরিচ্ছেদঃ ৪. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
২৩১৯। ইবনু উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমরা ’উম্মী জাতি, লিখতে জানি না, হিসাব করতেও জানি না। তবে মাস এতো দিনে, এতো দিনে এবং এতো দিনে হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, সুলায়মান তৃতীয়বারে একটি আঙ্গুল গুটিয়ে নেন। অর্থাৎ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে এবং কখনো ত্রিশ দিনে হয়।[1]
সহীহ।
بَابُ الشَّهْرِ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْأَسْوَدِ بْنِ قَيْسٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ عَمْرٍو يَعْنِي ابْنَ سَعِيدِ بْنِ الْعَاصِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِنَّا أُمَّةٌ أُمِّيَّةٌ لَا نَكْتُبُ، وَلَا نَحْسُبُ، الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا، وَخَنَسَ سُلَيْمَانُ أُصْبُعَهُ فِي الثَّالِثَةِ، يَعْنِي تِسْعًا وَعِشْرِينَ وَثَلَاثِينَ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Umar:
The Prophet (ﷺ) said: The month consists of twenty-nine days, but do not fast till you sight it (the moon) and do not break your fast till you sight it. If the weather is cloudy, calculate it thirty days. When the twenty-ninth of Sha'ban came, Ibn Umar would send someone (who tried) to sight the moon for him. If it was sighted, then well and good; in case it was not sighted, and there was no cloud and dust before him (on the horizon), he would not keep fast the next day. If there appeared (on the horizon) before him cloud or dust, he would fast the following day. Ibn Umar would end his fasting alone with the people, and did not follow this calculation.
পরিচ্ছেদঃ ৪. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
২৩২০। ইবনু উমার (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাস কখনো ঊনত্রিশ দিনে হয়। সুতরাং চাঁদ না দেখে তোমরা সওম পালন করবে না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন বন্ধও করবে না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকার কারণেও চাঁদ দেখা না গেলে তোমরা মাস ত্রিশদিন পুরা করবে। নাফি’ (রহ.) বলেন, ইবনু উমার (রাযি.) শা’বানের ঊনত্রিশ দিনে পৌঁছলে আকাশের দিকে তাকাতেন, যদি চাঁদ দেখতে পেলে সওম রাখতেন। কিন্তু যদি না দেখতে পেতেন অথচ আকাশ মেঘ বা কুয়াশামুক্ত রয়েছে, তাহলে সওম রাখতেন না। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অথবা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকতো তাহলে তিনি পরদিন সওম রাখতেন। বর্ণনাকারী বলেন, ইবনু উমার (রাযি.) সেদিন সওম সমাপ্ত করতেন যেদিন লোকেরা ইফতার করতো (মাস শেষ করতো)। কিন্তু তিনি ঐ সওমটি গণনায় ধরতেন না।[1]
সহীহ।
بَابُ الشَّهْرِ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ الْعَتَكِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ، فَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ، وَلَا تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ ثَلَاثِينَ، قَالَ: فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، إِذَا كَانَ شَعْبَانُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ نَظَرَ لَهُ، فَإِنْ رُئِيَ فَذَاكَ، وَإِنْ لَمْ يُرَ، وَلَمْ يَحُلْ دُونَ مَنْظَرِهِ سَحَابٌ، وَلَا قَتَرَةٌ أَصْبَحَ مُفْطِرًا، فَإِنْ حَالَ دُونَ مَنْظَرِهِ سَحَابٌ، أَوْ قَتَرَةٌ أَصْبَحَ صَائِمًا، قَالَ فَكَانَ ابْنُ عُمَرَ، يُفْطِرُ مَعَ النَّاسِ، وَلَا يَأْخُذُ بِهَذَا الْحِسَابِ
صحيح
Ibn ‘Umar reported the Apostle of Allaah(ﷺ) as saying “The month consists of twenty nine days, but do not fast till you sight it (the moon) and do not break your fast till you sight it. If the weather is cloudy, calculate it thirty days. When the twenty-ninth of Sha’ban came, Ibn ‘Umar would send someone (who tried) to sight the moon for him. If it was sighted then well and good, in case it was not sighted and there was no cloud and dust before him (on the horizon) he would not keep fast the next day. If there appeared (on the horizon) before him cloud or dust, he would fast the following day. Ibn ‘Umar would end his fasting alone with the people and did not follow this calculation.”
পরিচ্ছেদঃ ৪. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
২৩২১। আইয়ূব (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। উমার ইবনু আব্দুল ’আযীয (রহ.) বাসরাহ্ অধিবাসীদের কাছে লিখে পাঠালেন, ইবনু উমার (রাযি.) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সূত্রে যেভাবে হাদীস বর্ণনা করেছেন তা হুবহু অমুক অমুক তারিখে আমাদের নিকট পৌঁছেছে। তবে গণনার উত্তম পন্থা হলো, যখন আমরা শা’বানের চাঁদ দেখবো তখন ইনশাআল্লাহ সওম রাখবো। তবে যদি এক দিন পূর্বেই (ঊনত্রিশে শা’বানের) চাঁদ দেখা যায় তাহলে সেই হিসেবে সওম রাখবো।[1]
সহীহ মাকতূ’।
بَابُ الشَّهْرِ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ، حَدَّثَنِي أَيُّوبُ، قَالَ: كَتَبَ عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ إِلَى أَهْلِ الْبَصْرَةِ بَلَغَنَا، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَحْوَ حَدِيثِ، ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ زَادَ، وَإِنَّ أَحْسَنَ مَا يُقْدَرُ لَهُ أَنَّا إِذَا رَأَيْنَا هِلَالَ شَعْبَانَ لِكَذَا وَكَذَا، فَالصَّوْمُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ لِكَذَا وَكَذَا، إِلَّا أَنْ تَرَوُا الْهِلَالَ قَبْلَ ذَلِكَ
صحيح مقطوع
Narrated Ayyub :
'Umar b. 'Abd al-'Aziz wrote (a letter) to the people of Basrah: It has reached us from the Messenger of Allah (ﷺ), like the tradition narrated by Ibn 'Umar from the Prophet (ﷺ). This version adds: The best calculation is that when we sight the moon of Sha'ban on such-and-such date, fasting will being on such-and-such dates, Allah willing, except they they sight the moon before that (date).
পরিচ্ছেদঃ ৪. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
২৩২২। ইবনু মাসঊদ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে ত্রিশ দিন সওম পালনের তুলনায় বেশিরভাগই ঊনত্রিশ দিন সওম পালন করেছি।[1]
সহীহ।
بَابُ الشَّهْرِ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنْ عِيسَى بْنِ دِينَارٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَمْرِو بْنِ الْحَارِثِ بْنِ أَبِي ضِرَارٍ، عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ: لَمَا صُمْنَا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ أَكْثَرَ مِمَّا صُمْنَا مَعَهُ ثَلَاثِينَ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Mas'ud:
We kept fast for twenty-nine days along with the Prophet (ﷺ) more often than we kept fast for thirty days.
পরিচ্ছেদঃ ৪. মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়
২৩২৩। আব্দুর রহমান ইবনু আবূ বকরাহ (রহ.) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুই ঈদের মাস সাধারণত ঊনত্রিশ দিনে হয় না। তা হলো রমাযান এবং যিলহজ মাস।[1]
সহীহ।
بَابُ الشَّهْرِ يَكُونُ تِسْعًا وَعِشْرِينَ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَنَّ يَزِيدَ بْنَ زُرَيْعٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: شَهْرَا عِيدٍ لَا يَنْقُصَانِ رَمَضَانُ، وَذُو الْحِجَّةِ
صحيح
Narrated Abu Bakrah:
The Prophet (ﷺ) as saying: The two months of 'Id (festival), Ramadan and Dhu al-Hijjah, are not defective.
পরিচ্ছেদঃ ৫. লোকেরা চাঁদ দেখতে ভুল করলে
২৩২৪। আবূ হুরাইরাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যেদিন তোমরা সওম সমাপ্ত করবে সেদিন তোমাদের ঈদের দিন। আর যেদিন তোমরা কুরবানী করবে সেদিন তোমাদের ঈদুল আযহার দিন। ’আরাফাহর পুরোটাই অবস্থানের জায়গা। ’মিনার পুরাটাই কুরবানীর স্থান, মক্কাহর প্রতিটি অলিগলিই কুরবানীর স্থান এবং গোটা ’মুযদালিফার’ এলাকাই অবস্থানস্থল।[1]
সহীহ।
بَابٌ إِذَا أَخْطَأَ الْقَوْمُ الْهِلَالَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، فِي حَدِيثِ أَيُّوبَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، ذَكَرَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِيهِ قَالَ: وَفِطْرُكُمْ يَوْمَ تُفْطِرُونَ، وَأَضْحَاكُمْ يَوْمَ تُضَحُّونَ، وَكُلُّ عَرَفَةَ مَوْقِفٌ، وَكُلُّ مِنًى مَنْحَرٌ، وَكُلُّ فِجَاجِ مَكَّةَ مَنْحَرٌ، وَكُلُّ جَمْعٍ مَوْقِفٌ
صحيح
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। এই হাদীসটির দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, যে কোনো ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তি যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণের সাথেই রোজা পালন করতে শুরু করবে, এবং তাদের সাথেই ঈদুল ফেতর পালন করার জন্য রোজা রাখা ভঙ্গ করবে। তদ্রূপ তাদের সাথেই ঈদুল আদহার কুরবানি জবাই করবে। এবং তাদের সাথেই ঈদ পালন করবে। আর কোনো ঈমানদার মুসলিম ব্যক্তির জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণকে বাদ দিয়ে নিজে একাই একতরফাভাবে রোজা পালন করবে অথবা ঈদ পালন করবে কিংবা ঈদুল আদহার কুরবানি জবাই করবে। কেননা যে কোনো মুসলিম সমাজে মুসলিমগণের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য এবং তাদের মধ্যে থেকে অনৈক্য, পার্থক্য এবং দ্বন্দ্ব দূরে রাখাও একটি অনিবার্য বিষয়।
২। এই হাদীসটির দাবি অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রমাণিত হয় যে, প্রকৃত ইসলামের বিধিবিধানের একটি লক্ষ্য হলো মুসলিম সমাজের মধ্যে ঐক্যের বন্ধন রক্ষা করা, মুসলিমগণকে একত্রিত করে রাখা, তাদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখা। বিশেষ করে মুসলিম সমাজে মুসলিমগণকে ইবাদত উপাসনা, রোজা, কুরবানি এবং ঈদের নামাজের বিষয়ে একত্রিত করা ও তাদের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখা অপরিহার্য। তাই এই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মতামতের কোনো মূল্য নেই। যদিও প্রকৃতপক্ষে সেই ব্যক্তিগত মতামতগুলি বিশেষভাবে কোনো দিক দিয়ে সত্য ও সঠিক বলে মনে হয়।
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: The end of Ramadan is on the day when you end it, and the 'Id (festival) of sacrifice is on the day when you sacrifice. The whole of Arafah is the place of staying, and the whole of Mina is the place of sacrifice, and all the roads of Mecca are the place of sacrifice, and the whole of Muzdalifah is the place of staying.
পরিচ্ছেদঃ ৬. শা‘বান মাস মেঘাচ্ছন্ন থাকলে
২৩২৫। আব্দুল্লাহ ইবনু আবূ কায়িস (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ’আয়িশাহ্ (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শা’বান মাসের হিসাব এতো গুরুত্ব সহকারে রাখতেন যে, অন্য কোনো মাসের হিসাব ততোটা গুরুত্ব দিয়ে রাখতেন না। অতঃপর তিনি রমাযানের চাঁগদ দেখেই সওম পালন করতেন। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তিনি শা’বান মাস ত্রিশ দিন পূর্ণ করতেন। এরপর সওম রাখতেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ إِذَا أُغْمِيَ الشَّهْرُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنِي مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَيْسٍ، قَالَ: سَمِعْتُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا تَقُولُ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَتَحَفَّظُ مِنْ شَعْبَانَ مَا لَا يَتَحَفَّظُ مِنْ غَيْرِهِ، ثُمَّ يَصُومُ لِرُؤْيَةِ رَمَضَانَ، فَإِنْ غُمَّ عَلَيْهِ عَدَّ ثَلَاثِينَ يَوْمًا ثُمَّ صَامَ
صحيح
Narrated Aisha, Ummul Mu'minin:
The Messenger of Allah (ﷺ) used to count the days in Sha'ban in a manner he did not count any other month; then he fasted when he sighted the new moon of Ramadan; but if the weather was cloudy he counted thirty days and then fasted.
পরিচ্ছেদঃ ৬. শা‘বান মাস মেঘাচ্ছন্ন থাকলে
২৩২৬। হুযাইফাহ (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখে কিংবা শা’বানের ত্রিশ দিন পূর্ণ না করে (রমাযানকে) এগিয়ে আনবে না। আর (শাওয়াল মাসের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত অথবা রমাযানের ত্রিশ দিন পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তোমরা সওম পালন করতে থাকবে। কতিপয় এ হাদীস বর্ণনায় হুযাইফাহ (রাযি.)-এর নাম উল্লেখ করেননি।[1]
সহীহ।
بَابٌ إِذَا أُغْمِيَ الشَّهْرُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّازُ، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ عَبْدِ الْحَمِيدِ الضَّبِّيُّ، عَنْ مَنْصُورِ بْنِ الْمُعْتَمِرِ، عَنْ رِبْعِيِّ بْنِ حِرَاشٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُقَدِّمُوا الشَّهْرَ حَتَّى تَرَوُا الْهِلَالَ، أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ، ثُمَّ صُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلَالَ، أَوْ تُكْمِلُوا الْعِدَّةَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَرَوَاهُ سُفْيَانُ، وَغَيْرُهُ عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ رِبْعِيٍّ، عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَمْ يُسَمِّ حُذَيْفَةَ
صحيح
Narrated Hudhayfah:
The Prophet (ﷺ) said: Do not fast (for Ramadan) before the coming of the month until you sight the moon or complete the number (of thirty days); then fast until you sight the moon or complete the number (of thirty days).
পরিচ্ছেদঃ ৭. যিনি বলেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে রমাযানের ত্রিশটি সওম পূর্ণ করো
২৩২৭। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা রমাযান মাস আগমনের একদিন অথবা দু’দিন পূর্বে সওম পালন করবে না। তবে কেউ যদি (প্রতি মাসে) ঐ তারিখে সওম পালনে অভ্যস্ত হয়, সে রাখতে পারে। তিনি আরো বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ না দেখে সওম পালন করবে না এবং শাওয়ালের চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম অব্যাহত রাখবে। যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হয় তবে সওম ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে, অতঃপর সওম ভঙ্গ করবে। আর মাস ঊনত্রিশ দিনেও হয়। ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, হাতিম ইবনু আবূ সাগীর, শু’বাহ ও হাসান ইবনু সালিহ ’সিমাক’ থেকে হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তারা ’’সওম ভঙ্গ করবে’’ এ কথাটি বর্ণনা করেননি।[1]
সহীহ।
بَابُ مَنْ قَالَ: فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَصُومُوا ثَلَاثِينَ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا حُسَيْنٌ، عَنْ زَائِدَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَا تُقَدِّمُوا الشَّهْرَ بِصِيَامِ يَوْمٍ، وَلَا يَوْمَيْنِ إِلَّا أَنْ يَكُونَ شَيْءٌ يَصُومُهُ أَحَدُكُمْ، وَلَا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ، ثُمَّ صُومُوا حَتَّى تَرَوْهُ، فَإِنْ حَالَ دُونَهُ غَمَامَةٌ، فَأَتِمُّوا الْعِدَّةَ ثَلَاثِينَ، ثُمَّ أَفْطِرُوا وَالشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: رَوَاهُ حَاتِمُ بْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، وَشُعْبَةُ، وَالْحَسَنُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ سِمَاكٍ بِمَعْنَاهُ لَمْ يَقُولُوا: ثُمَّ أَفْطِرُوا، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهُوَ حَاتِمُ بْنُ مُسْلِمٍ ابْنُ أَبِي صَغِيرَةَ، وَأَبُو صَغِيرَةَ زَوْجُ أُمِّهِ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) said: Do not fast one day or two days just before Ramadan except in the case of a man who has been in the habit or observing a fast (on that day); and do not fast until you sight it (the moon). Then fast until you sight it. If a cloud appears on that day (i.e. 29th of Ramadan) then complete the number thirty (days) and then end the fasting: a month consists of twenty-nine days.
পরিচ্ছেদঃ ৮. রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন
২৩২৮। ইমরান ইবনু হুসাইন (রাযি.) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলেনঃ তুমি কি শা’বানের শেষ দিকে সওম রেখেছো? সে বললো, না। তিনি বললেনঃ যখন তুমি সওম রাখোনি, তখন (রমাযানের শেষে) একদিন বা দুই দিন সওম রাখবে।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي التَّقَدُّمِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، وَسَعِيدٍ الْجُرَيْرِيِّ، عَنْ أَبِي الْعَلَاءِ، عَنْ مُطَرِّفٍ، عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لِرَجُلٍ: هَلْ صُمْتَ مِنْ شَهْرِ شَعْبَانَ شَيْئًا؟ قَالَ: لَا، قَالَ: فَإِذَا أَفْطَرْتَ فَصُمْ يَوْمًا، وَقَالَ: أَحَدُهُمَا يَوْمَيْنِ
صحيح
Narrated 'Imran bin Husain:
The Messenger of Allah (ﷺ) asked a man: Did you fast the last day of Sha'ban ? He replied: No. He said: If you did not observe a fast, you must fast for a day. One of the two narrators said: For two days.
পরিচ্ছেদঃ ৮. রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন
২৩২৯। আবুল আযহার আল-মুগীরাহ ইবনু ফারওয়াহ (রহ.) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা মু’আবিয়াহ (রাযি.) হিমস শহরের প্রবেশ দ্বারে অবস্থিত মুসতাহিল বাজারে লোকদের উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে বললেন, হে জনগণ! আমরা অমুক দিন, অমুক দিন চাঁদ দেখেছি। সুতরাং আমরা সওম আরম্ভ করতে যাচ্ছি। আর যে ব্যক্তি ভালো মনে করে সে যেন এরূপ করে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন মালিক ইবনু হুবাইরাহ আস-সাবঈ দাঁড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন, হে মু’আবিয়াহ! আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ বিষয়ে কিছু শুনেছেন, নাকি আপনার ব্যক্তিগত অভিমত? মু’আবিয়াহ (রাযি.) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ তোমরা শা’বান মাসে সওম পালন করো এবং বিশেষভাবে এর শেষদিকে।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي التَّقَدُّمِ
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ الْعَلَاءِ الزُّبَيْدِيُّ، مِنْ كِتَابِهِ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ أَبِي الْأَزْهَرِ الْمُغِيرَةِ بْنِ فَرْوَةَ، قَالَ: قَامَ مُعَاوِيَةُ فِي النَّاسِ بِدَيْرِ مِسْحَلٍ الَّذِي عَلَى بَابِ حِمْصَ، فَقَالَ: أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّا قَدْ رَأَيْنَا الْهِلَالَ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا، وَأَنَا مُتَقَدِّمٌ، فَمَنْ أَحَبَّ أَنْ يَفْعَلَهُ فَلْيَفْعَلْهُ، قَالَ: فَقَامَ إِلَيْهِ مَالِكُ بْنُ هُبَيْرَةَ السَّبَئِيُّ، فَقَالَ: يَا مُعَاوِيَةُ، أَشَيْءٌ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمْ شَيْءٌ مِنْ رَأْيِكَ، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: صُومُوا الشَّهْرَ وَسِرَّه
ضعيف
Narrated Mu'awiyah:
AbulAzhar al-Mughirah ibn Farwah said: Mu'awiyah stood among the people at Dayr Mustahill lying at the gate of Hims. He said: O people, we sighted the moon on such-and-such day. We shall fast in advance. Anyone who likes to do so may do it. Malik ibn Hubayrah as-Saba'i stood up and asked: Mu'awiyah, did you hear the Messenger of Allah (ﷺ) say something (about this matter), or is this something on the basis of your opinion? He replied: I heard the Messenger of Allah (ﷺ) as saying: Fast the month (in the beginning) and in the last.
পরিচ্ছেদঃ ৮. রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন
২৩৩০। আবুল ওয়ালীদ (রহ.) বলেন, আমি আবূ ’আমর আল-আওযাঈকে বলতে শুনেছি, ’সাররাহ অর্থ মাসের প্রথমভাগ।[1]
শায মাকতূ’।
بَابٌ فِي التَّقَدُّمِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدِّمَشْقِيُّ، فِي هَذَا الْحَدِيثِ قَالَ: قَالَ الْوَلِيدُ سَمِعْتُ أَبَا عَمْرٍو يَعْنِي الْأَوْزَاعِيَّ، يَقُولُ: سِرُّهُ أَوَّلُهُ
شاذ مقطوع
Sulaiman b. 'Abd al-Rahman al-Dimashqi said about this tradition that al-Walid said:
I heard Abu 'Amr al-Auza'i say: The word sirrahu means beginning of the month.
পরিচ্ছেদঃ ৮. রমাযান মাস আসার পূর্বে সওম পালন
২৩৩১। আবূ মুসহির (রহ.) বলেন, সাঈদ ইবনু ’আব্দুল ’আযীয (রহ.) বলতেন, ’সাররাহ’ অর্থ শা’বানের প্রথমভাগ।[1]
শায।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহ.) বলেন, কারো মতে, মাসের মধ্যভাগ, কারো মতে, শেষভাগ।
সহীহঃ মাসের শেষভাগ।
بَابٌ فِي التَّقَدُّمِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ الْوَاحِدِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، قَالَ: كَانَ سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الْعَزِيزِ، يَقُولُ: سِرُّهُ أَوَّلُهُ
شاذ
قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَقَالَ بَعْضُهُمْ: سِرُّهُ وَسَطُهُ، وَقَالُوا: آخِرُهُ
صحيح- آخره
Narrated Ahmad b. 'Abd al-Wahid:
On the authority of Abu Mushir. He said: Sa'id, that is, Ibn 'Abd al-'Aziz said: The meaning of the word sirraha is "in the beginning of it (the month)"
পরিচ্ছেদঃ ৯. যখন কোনো শহরে অন্যান্য শহরের এক রাত আগে চাঁদ দেখা যায়
২৩৩২। ইবনু ’আব্বাস (রাযি.)-এর আযাদকৃত গোলাম কুরাইব (রহ.) বলেন, উম্মুল ফাদল বিনতুল হারিস তাকে মু’আবিয়াহ (রাযি.)-এর নিকট সিরিয়াতে কোনো দরকারে পাঠালেন। কুরাইব বলেন, আমি সিরিয়া এসে তার কাজটি পুরা করি। এমতাবস্থায় রমাযানের চাঁদও উদিত হলো। আমরা সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখি। রমাযানের শেষদিকে আমি মদীনায় ফিরে এলে ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বিভিন্ন আলোচনার পর চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কখন চাঁদ দেখেছো? আমি বললাম, আমি বৃহস্পতিবার চাঁদ দেখেছি।
তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তুমি স্বচক্ষে চাঁদ দেখেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ, লোকেরাও দেখেছে এবং তারা সওম রেখেছে আর মু’আবিয়াহ (রাযি.)-ও সওম রেখেছেন। তিনি বললেন, আমরা চাঁদ দেখেছি শুক্রবার সন্ধ্যায়। সুতরাং আমরা ত্রিশ দিন পূর্ণ হওয়া অথবা (শাওয়ালের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত সওম পালন অব্যাহত রাখবো। তখন আমি বললাম, মু’আবিয়াহর চাঁদ দেখা ও তাঁর সওম পালন কি আপনার সওম পালন ও ভঙ্গের জন্য যথেষ্ট নয়? তিনি উত্তর দিলেন, না, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরূপই নির্দেশ দিয়েছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ إِذَا رُئِيَ الْهِلَالُ فِي بَلَدٍ قَبْلَ الْآخَرِينَ بِلَيْلَةٍ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ يَعْنِي ابْنَ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنِي مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ، أَخْبَرَنِي كُرَيْبٌ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ ابْنَةَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ، بِالشَّامِ، قَالَ: فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا فَاسْتَهَلَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ، فَرَأَيْنَا الْهِلَالَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرَ، فَسَأَلَنِي ابْنُ عَبَّاسٍ، ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلَالَ فَقَالَ: مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلَالَ؟ قُلْتُ: رَأَيْتُهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ، قَالَ: أَنْتَ رَأَيْتَهُ؟ قُلْتُ: نَعَمْ، وَرَآهُ النَّاسُ، وَصَامُوا، وَصَامَ مُعَاوِيَةُ، قَالَ: لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ، فَلَا نَزَالُ نَصُومُهُ حَتَّى نُكْمِلَ الثَّلَاثِينَ، أَوْ نَرَاهُ، فَقُلْتُ: أَفَلَا تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ، قَالَ: لَا، هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
صحيح
Narrated Kuraib:
That Umm al-Fadl, daughter of al-Harith, sent him to Mu'aqiyah in Syria. He said: I came to syria and performed her work. The moon of Ramadan appeared while I was in Syria. We sighted the moon on the night of Friday. When I came to Median towards the end of the month (of Ramadan), Ibn 'Abbas asked me about the moon. He said: When did you sight the moon ? I said: I sighted it on the night of Friday. He asked: Did you sight it yourself ? I said: Yes, and the people sighted it. They fasted and Mu'awiyah also fasted. He said: But we sighted it on the night of saturday. Since then we have been fasting until we complete thirty days or we sight it. Then I said: Are the sighting of the moon by Mu'awiyah and his fasts not sufficient for us? He replied: No. The Messenger of Allah (ﷺ) commanded us to do so.