পরিচ্ছেদঃ ৭/১. রোযার ফযীলাত।
১/১৬৩৮। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহর মর্জি হলে আদম সন্তানের প্রতিটি সৎকাজের প্রতিদান দশ গুণ থেকে সাত শত গুণ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। আল্লাহ্ বলেনঃ তবে রোযা ব্যতীত, তা আমার জন্যই (রাখা হয়) এবং আমিই তার প্রতিদান দিবো। সে তার প্রবৃত্তি ও পানাহার আমার জন্যই ত্যাগ করে। রোযাদারের জন্য দু’টি আনন্দঃ একটি আনন্দ তার ইফতারের সময় এবং আরেকটি আনন্দ রয়েছে তার প্রভু আল্লাহর সাথে তার সাক্ষাতের সময়। রোযাদার ব্যক্তির মুখের গন্ধ আল্লাহর নিকট কস্তুরীর ঘ্রাণের চেয়েও অধিক সুগন্ধময়।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ وَوَكِيعٌ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ يُضَاعَفُ الْحَسَنَةُ بِعَشْرِ أَمْثَالِهَا إِلَى سَبْعِ مِائَةِ ضِعْفٍ مَا شَاءَ اللهُ يَقُولُ اللهُ إِلَّا الصَّوْمَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ يَدَعُ شَهْوَتَهُ وَطَعَامَهُ مِنْ أَجْلِي لِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ فَرْحَةٌ عِنْدَ فِطْرِهِ وَفَرْحَةٌ عِنْدَ لِقَاءِ رَبِّهِ وَلَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللهِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ.
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Every good deed of the son of Adam will be multiplied manifold. A good deed will be multiplied ten times up to as many as seven hundred times, or as much as Allah wills. Allah says: ‘Except for fasting, which is for Me and I shall reward for it. He gives up his desire and his food for My sake.’ The fasting person has two joys, one when he breaks his fast and another when he meets his Lord. The smell that comes from the mouth of a fasting person is better before Allah than the fragrance of musk.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/১. রোযার ফযীলাত।
২/১৬৩৯। ’উসমান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যুদ্ধের মাঠে ঢাল যেমন তোমাদের রক্ষাকারী, রোযাও তদ্রূপ জাহান্নাম থেকে রক্ষা পাওয়ার ঢাল।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ أَنْبَأَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِنْدٍ أَنَّ مُطَرِّفًا مِنْ بَنِي عَامِرِ بْنِ صَعْصَعَةَ حَدَّثَهُ أَنَّ عُثْمَانَ بْنَ أَبِي الْعَاصِ الثَّقَفِيَّ دَعَا لَهُ بِلَبَنٍ يَسْقِيهِ قَالَ مُطَرِّفٌ إِنِّي صَائِمٌ فَقَالَ عُثْمَانُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ «الصِّيَامُ جُنَّةٌ مِنْ النَّارِ كَجُنَّةِ أَحَدِكُمْ مِنْ الْقِتَالِ».
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
Mutarrif, from the tribe of Banu ‘Amir bin Sa’sa’ah narrated that ‘Uthman bin Abul-‘As Ath-Thaqafi invited him to drink some milk that he poured for him. Mutarrif said:
“I am fasting.” ‘Uthman said: “I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: ‘Fasting is a shield against the Fire just like the shield of anyone of you against fighting.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/১. রোযার ফযীলাত।
৩/১৬৪০। সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ জান্নাতের একটি দরজার নাম ’রাইয়্যান’। কিয়ামতের দিন সেখান থেকে আহবান করা হবেঃ রোযাদারগণ কোথায়? যে ব্যক্তি রোযাদার হবে, সে উক্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে এবং যে উক্ত দরজা দিয়ে প্রবেশ করবে, সে কখনও পিপাসার্ত হবে না।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الصِّيَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ أَبِي حَازِمٍ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ «إِنَّ فِي الْجَنَّةِ بَابًا يُقَالُ لَهُ الرَّيَّانُ يُدْعَى يَوْمَ الْقِيَامَةِ يُقَالُ أَيْنَ الصَّائِمُونَ فَمَنْ كَانَ مِنْ الصَّائِمِينَ دَخَلَهُ وَمَنْ دَخَلَهُ لَمْ يَظْمَأْ أَبَدًا».
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী হিশাম বিন সা'দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার মুখস্তশক্তি দুর্বল। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তার হাদিস গ্রহন করা যায় কিন্তু দলীলযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। তার শিয়া মতাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারে অভিযোগ আছে। (তাহযীবুল কামাল রাবী নং ৬৫৭৭, ৩০/২০৪ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Sahl bin Sa’d that the Prophet (ﷺ) said:
“In Paradise there is a gate called Rayyan. On the Day of Resurrection the call will go out saying: ‘Where are those who used to fast?’ Whoever is among those who used to fast will enter it, and whoever enters it will never thirst again.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
১/১৬৪১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রমযান মাসের রোযা রাখলো, তার পূর্বের গুণাহরাশি মাফ করা হলো।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন ফুদায়ল সম্পর্কে ইবনু মাঈন তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু যুরআহ আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি শীয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৫৪৮, ২৬/২৯৩ পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘Whoever fasts Ramadan out of faith and the hope of reward will be forgiven his previous sins.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
২/১৬৪২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যখন রমযান মাসের প্রথম রাত আসে, তখন শয়তান ও অভিশপ্ত জিনদের শৃংখলিত করা হয়,জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, তার একটি দরজাও খোলা হয় না, জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এর একটি দরজাও বন্ধ হয় না এবং একজন ঘোষক ডেকে বলেন, হে সৎকর্মপরায়ণ ব্যক্তি! অগ্রসর হও, হে অসৎকর্মপরায়ণ! থেমে যাও। আল্লাহ্ (রমযানের) প্রতিটি রাতে অসংখ্য লোককে জাহান্নাম থেকে নাজাত দেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلَاءِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِذَا كَانَتْ أَوَّلُ لَيْلَةٍ مِنْ رَمَضَانَ صُفِّدَتْ الشَّيَاطِينُ وَمَرَدَةُ الْجِنِّ وَغُلِّقَتْ أَبْوَابُ النَّارِ فَلَمْ يُفْتَحْ مِنْهَا بَابٌ وَفُتِحَتْ أَبْوَابُ الْجَنَّةِ فَلَمْ يُغْلَقْ مِنْهَا بَابٌ وَنَادَى مُنَادٍ يَا بَاغِيَ الْخَيْرِ أَقْبِلْ وَيَا بَاغِيَ الشَّرِّ أَقْصِرْ وَلِلهِ عُتَقَاءُ مِنْ النَّارِ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When the first night of Ramadan comes, the satans and mischievous jinns are chained up, and the gates of the Fire are closed, and none of its gates are opened. The gates of Paradise are opened and none of its gates are closed. And a caller cried out: ‘O seeker of good, proceed, O seeker of evil, stop.’ And Allah has necks (people) whom He frees (from the Fire), and that happens every day.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
৩/১৬৪৩। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা প্রতি ইফতারের অর্থাৎ প্রতি রাতে বেশ সংখ্যক লোককে (জাহান্নাম থেকে) মুক্তি দেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي سُفْيَانَ عَنْ جَابِرٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ لِلهِ عِنْدَ كُلِّ فِطْرٍ عُتَقَاءَ وَذَلِكَ فِي كُلِّ لَيْلَةٍ
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
It was narrated from Jabir that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“At every breaking of the fast Allah has people whom He frees (from the Fire), and that happens every night.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/২. রমযান মাসের ফযীলত
৪/১৬৪৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রমযান মাস শুরু হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের নিকট এ মাস সমুপস্থিত। এতে রয়েছে এমন এক রাত, যা হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। এ থেকে যে ব্যক্তি বঞ্চিত হলো সে সমস্ত কল্যাণ থেকেই বঞ্চিত হলো। কেবল বঞ্চিত ব্যক্তিরাই তা থেকে বঞ্চিত হয়।
بَاب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ شَهْرِ رَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَدْرٍ عَبَّادُ بْنُ الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِلَالٍ حَدَّثَنَا عِمْرَانُ الْقَطَّانُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ دَخَلَ رَمَضَانُ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِنَّ هَذَا الشَّهْرَ قَدْ حَضَرَكُمْ وَفِيهِ لَيْلَةٌ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ مَنْ حُرِمَهَا فَقَدْ حُرِمَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَلَا يُحْرَمُ خَيْرَهَا إِلَّا مَحْرُومٌ
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী মুহাম্মাদ বিন বিলাল সম্পর্কে আবু জা'ফার আল-উকায়লী বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় সন্দেহ করেন। আবু দাউদ আস-সাজিসতানী বলেন, আমি তার ব্যাপারে ভাল ছাড়া খারাফ কিছু শুনিনি। ইমাম যাহাবী বলেন, মানুষ যেভাবে ভুল করে তিনিও সেরকম ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫০৯৯, ২৪/৫৪৫ নং পৃষ্ঠা)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। রমাজান মাস হলো ধৈর্যধারণ, রোজা পালন, নামাজ, উপাসনা, জিকির, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করার মাস। এই মাসে একটি পবিত্র ও মর্যাদাপূর্ণ রজনী আছে। সেই একটি রজনীতে সৎ কর্ম সম্পাদন করলে, সেই সৎ কর্মের মান হবে এক হাজার মাসে সৎকর্ম সম্পাদন করার চেয়ে বেশি উত্তম। তাই যে ব্যক্তি এই মর্যাদা থেকে দূরে থাকবে, সেই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে সমস্ত কল্যাণ থেকে বঞ্চিত থাকবে।
২। এই হাদীসটির দ্বারা এই বিষয়টি সাব্যস্ত হয় যে, মুসলিম ব্যক্তির উচিত যে, সে যেন এই কল্যাণময় রমাজান মাসে বেশি বেশি সৎ কর্ম সম্পাদন করার মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য ও সন্তুষ্টি লাভ করে। যাতে মহান আল্লাহ তাকে পুণ্য দান করেন এবং তার পাপ ক্ষমা করে দেন।
It was narrated that Anas bin Malik said:
“Ramadan began, and the Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘This month has come to you, and in it there is a night that is better than a thousand months. Whoever is deprived of it is deprived of all goodness, and no one is deprived of its goodness except one who is truly deprived.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৩. সন্দেহের দিনের (ইয়াওমুল-শাক্ক) রোযা।
১/১৬৪৫। সিলা ইবনু যুফার (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সন্দেহের দিনে আমরা আম্মার (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত ছিলাম। তখন একটি (ভুনা) বকরী পেশ করা হলো। কতক লোক পিছনে সরে গেলো। আম্মার (রাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি আজ রোযা রাখলো সে তো অবশ্যই আবূল কাসিম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অবাধ্যাচরণ করলো।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الْأَحْمَرُ عَنْ عَمْرِو بْنِ قَيْسٍ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ صِلَةَ بْنِ زُفَرَ قَالَ كُنَّا عِنْدَ عَمَّارٍ فِي الْيَوْمِ الَّذِي يُشَكُّ فِيهِ فَأُتِيَ بِشَاةٍ فَتَنَحَّى بَعْضُ الْقَوْمِ فَقَالَ عَمَّارٌ مَنْ صَامَ هَذَا الْيَوْمَ فَقَدْ عَصَى أَبَا الْقَاسِمِ صلى الله عليه وسلم
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু খালিদ আল আহমার সম্পর্কে আবু আহমাদ বিন আলী জুরজানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হুজ্জাহ নয়। আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সত্যবাদী। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। তাহরীরু তাকরীবুত তাহযীব এর লেখক বলেন, তিনি সত্যবাদী ও সিকাহ রাবীর সদৃস্য। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫০৪, ১১/৩৯৪ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that Silah bin Zufar said:
“We were with ‘Ammar on the day concerning which there was some doubt. A (roasted) sheep was brought and some of the people moved away. ‘Ammar said: ‘Whoever is fasting on this day has disobeyed Abu Qasim (ﷺ).’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৩. সন্দেহের দিনের (ইয়াওমুল-শাক্ক) রোযা।
২/১৬৪৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, চাঁদ দেখার একদিন আগে থেকে রোযা রাখতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ جَدِّهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم عَنْ تَعْجِيلِ صَوْمِ يَوْمٍ قَبْلَ الرُّؤْيَةِ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল্লাহ বিন সাঈদ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আল কাত্তান বলেন, আমি তার মজলিসে বসে জানতে পেরেছি যে, তার মাঝে মিথ্যা রয়েছে। আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তার হাদিস প্রত্যাখ্যানযোগ্য। ইবনু মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ নন। ইমাম বুখারী ও আমর বিন আলী আল-ফাল্লাস তাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবু যুরআহ তাকে দুর্বল সাব্যস্ত করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৩০৫, ৩৫/৩১ নং পৃষ্ঠা)। উক্ত হাদিসটি সহিহ কিন্তু আবদুল্লাহ বিন সাঈদ এর কারণে দুর্বল। হাদিসটির ৭৫১ টি শাহিদ হাদিস রয়েছে, তন্মধ্যে ৩৭ টি অধিক দুর্বল। ১৯৫ টি দুর্বল, ১৯৩ টি হাসান, ৩২৬ টি সহিহ হাদিস পাওয়া যায়। তন্মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলঃ বুখারী ১৯০০, ১৯০৬, ১৯০৭, ১৯০৯, মুসলিম ১০৮০, তিরমিযি ৬৮৪, ৬৮৫, ৬৮৮, আবু দাউদ ২৩২৬, ২৩২৭, ২৩৩৫, ২৩৪২, দারিমী ১৬৮৪, ১৬৮৫, ১৬৮৯, ১৬৯০, ১৬৯১ ইত্যাদি।
It was narrated that Abu Hurairah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) forbade anticipating the fast by fasting one day before sighting (of the crescent).”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৩. সন্দেহের দিনের (ইয়াওমুল-শাক্ক) রোযা।
৩/১৬৪৭। কাসিম আবূ ’আবদুর রহমান (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফ্ইয়ান (রাঃ)-কে মিম্বারের উপর বলতে শুনেছেন, রমাযান মাস শুরু হওয়ার পূর্বে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেনঃ রোযা অমুক অমুক দিন। আমরা আগেই সেই রোযা রাখবো। অতএব যার ইচ্ছা সে আগে রোযা রাখুক, আর যার ইচ্ছা পরে রাখুক।
بَاب مَا جَاءَ فِي صِيَامِ يَوْمِ الشَّكِّ
حَدَّثَنَا الْعَبَّاسُ بْنُ الْوَلِيدِ الدِّمَشْقِيُّ حَدَّثَنَا مَرْوَانُ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ الْحَارِثِ عَنْ الْقَاسِمِ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَنَّهُ سَمِعَ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ قَبْلَ شَهْرِ رَمَضَانَ الصِّيَامُ يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَنَحْنُ مُتَقَدِّمُونَ فَمَنْ شَاءَ فَلْيَتَقَدَّمْ وَمَنْ شَاءَ فَلْيَتَأَخَّرْ
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী হায়সাম বিন হুমায়দ সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, আমি তার ভাল ছাড়া খারাফ কিছু জানি না। ইমাম নাসাঈ বলেন, কোন সমস্যা নেই। ইবনু হিব্বান তাকে সিকাহ বলেছেন। আবু মুসহির বলেন, তিনি দুর্বল ও কাদিরিয়া মতাবলম্বী ছিলেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৬৬৪৩, ৩০/৩৭০ নং পৃষ্ঠা) ২. আলা ইবনুল হারিস সম্পর্কে আলী ইবনুল মাদীনী বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ তবে কাদিরিয়া মতাবলম্বী। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৫৬০, ২২/৪৭৮ নং পৃষ্ঠা) ৩. কাসিম আবু আব্দুর রহমান সম্পর্কে আল আজালী বলেন, তার থেকে হাদিস গ্রহন করা যায় তবে তিনি সিকাহ নন। ইমাম তিরমিযি তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনার ক্ষেত্রে অপরিচিত। মুফাদদাল বিন গাসসান বলেন, তিনি কুফুরী নয় এমন কওলী বা আমলীগত ফিসক এর সাথে জড়িত। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৪৮০০, ২৩/৩৮৩ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Qasim Abu ‘Abdur-Rahman that he heard Mu’awiyah bin Abu Sufyan on the pulpit saying:
“The Messenger of Allah (ﷺ) used to say from the pulpit, before the month of Ramadan: ‘Fasting will begin on such and such a day, but we are going to start fasting earlier, so whoever wants to start fasting earlier (i.e., in Sha’ban), let him do so, and whoever wants to wait until Ramadan begins, let him do so.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪. শাবান মাসে রোযা রাখতে রাখতে রমযান মাসে পৌঁছা।
১/১৬৪৮। উম্মু সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুললাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শাবান মাসে রোযা রাখতে রাখতে রমযানে পৌঁছতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي وِصَالِ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ الْحُبَابِ عَنْ شُعْبَةَ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَصِلُ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী যায়দ ইবনুল হুবাব সম্পর্কে আহমাদ বিন হাম্বল বলেন, তিনি সত্যবাদী কিন্তু হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আলী ইবনুল মাদীনী ও উসমান বিন আবু শায়বাহ তাকে সিকাহ বলেছেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে সাওরীর হাদিস বর্ণনায় ভুল করেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২০৯৫, ১০/৪০ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that Umm Salamah said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) used to join Sha’ban to Ramadan.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৪. শাবান মাসে রোযা রাখতে রাখতে রমযান মাসে পৌঁছা।
২/১৬৪৯। রবীআহ ইবনুল গায (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি ’আয়িশাহ্ (রাঃ) এর নিকট রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রোযা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেন। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রায় গোটা শাবান মাস রোযা রাখতেন, এমনকি এভাবে রমযান মাসে উপনীত হতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي وِصَالِ شَعْبَانَ بِرَمَضَانَ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْغَازِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ «كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ حَتَّحَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ حَدَّثَنِي ثَوْرُ بْنُ يَزِيدَ عَنْ خَالِدِ بْنِ مَعْدَانَ عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ الْغَازِ أَنَّهُ سَأَلَ عَائِشَةَ عَنْ صِيَامِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ كَانَ يَصُومُ شَعْبَانَ كُلَّهُ حَتَّى يَصِلَهُ بِرَمَضَانَ».ى يَصِلَهُ بِرَمَضَانَ
তাহকীক আলবানীঃ হাসান সহীহ।
It was narrated that Rabi’ah bin Ghaz asked ‘Aishah about the fasting of the Messenger of Allah (ﷺ). She said:
“He used to fast all of Sha’ban, until he joined it to Ramadan.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৫. রমযান মাস শুরু হওয়ার আগের দিন রোযা রাখা নিষেধ, কিন্তু কারো নিয়মিত রোযা রাখতে রাখতে সেদিন পৌঁছলে তার জন্য নয়।
১/১৬৫০। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন রমাযান মাসের এক দিন বা দু’ দিন আগে রোযা রাখা শুরু না করে। তবে যে ব্যক্তি অনবরত রোযা রাখতে অভ্যস্ত, সে ঐ দিন রোযা রাখতে পারে।
بَاب مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنْ أَنْ يُتَقَدَّمَ رَمَضَانُ بِصَوْمٍ إِلَّا مَنْ صَامَ صَوْمًا فَوَافَقَهُ
حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْحَمِيدِ بْنُ حَبِيبٍ وَالْوَلِيدُ بْنُ مُسْلِمٍ عَنْ الْأَوْزَاعِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَا تَقَدَّمُوا صِيَامَ رَمَضَانَ بِيَوْمٍ وَلَا بِيَوْمَيْنِ إِلَّا رَجُلٌ كَانَ يَصُومُ صَوْمًا فَيَصُومُهُ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল হামিদ বিন হাবীব বিন আবুল ঈশরীন সম্পর্কে ইমাম দারাকুতনী ও আবু হাতিম আর-রাযী সিকাহ বললেও ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় কখনো কখনো ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৭১০, ১৬/৪২০ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘Do not anticipate Ramadan by fasting one or two days before, except for a man who has a habitual pattern of fasting, in which case let him fast.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৫. রমযান মাস শুরু হওয়ার আগের দিন রোযা রাখা নিষেধ, কিন্তু কারো নিয়মিত রোযা রাখতে রাখতে সেদিন পৌঁছলে তার জন্য নয়।
২/১৬৫১। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শাবান মাসের অর্ধেক অতিবাহিত হওয়ার পর থেকে রমযান মাস না আসা পর্যন্ত কোন রোযা নাই।
بَاب مَا جَاءَ فِي النَّهْيِ عَنْ أَنْ يُتَقَدَّمَ رَمَضَانُ بِصَوْمٍ إِلَّا مَنْ صَامَ صَوْمًا فَوَافَقَهُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ مُحَمَّدٍ ح و حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ خَالِدٍ قَالَا حَدَّثَنَا الْعَلَاءُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ النِّصْفُ مِنْ شَعْبَانَ فَلَا صَوْمَ حَتَّى يَجِيءَ رَمَضَانُ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবদুল আযীয বিন মুহাম্মাদ সম্পর্কে মুহাম্মাদ বিন সা'দ বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। মালিক বিন আনাস তাকে সিকাহ বলেছেন। আহমাদ বিন শুআয়ব আন নাসাঈ বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য নয়। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার নিজ কিতাব ছাড়া অন্যত্র থেকে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৪৭০, ১৮/১৮৭ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘When it is the middle of Sha’ban, do not fast until Ramadan comes.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৬. নতুন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদান।
১/১৬৫২। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক বেদুইন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, আমি আজ রাতে (সন্ধ্যায়) নতুন চাঁদ দেখেছি। তিনি বলেনঃ তুমি কি সাক্ষ্য দাও যে, ’’আল্লাহ্ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসূল’’? সে বললো, হ্যাঁ। তিনি বলেনঃ হে বিলাল! ওঠো এবং লোকেদের মধ্যে ঘোষণা দাও যে, তারা যেন আগামীকাল থেকে রোযা রাখে।
بَاب مَا جَاءَ فِي الشَّهَادَةِ عَلَى رُؤْيَةِ الْهِلَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ عَبْدِ اللهِ الْأَوْدِيُّ وَمُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَعِيلَ قَالَا حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ حَدَّثَنَا زَائِدَةُ بْنُ قُدَامَةَ حَدَّثَنَا سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ جَاءَ أَعْرَابِيُّ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ أَبْصَرْتُ الْهِلَالَ اللَّيْلَةَ فَقَالَ أَتَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ نَعَمْ قَالَ قُمْ يَا بِلَالُ فَأَذِّنْ فِي النَّاسِ أَنْ يَصُومُوا غَدًا قَالَ أَبُو عَلِيٍّ هَكَذَا رِوَايَةُ الْوَلِيدِ بْنِ أَبِي ثَوْرٍ وَالْحَسَنِ بْنِ عَلِيٍّ وَرَوَاهُ حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ فَلَمْ يَذْكُرْ ابْنَ عَبَّاسٍ وَقَالَ فَنَادَى أَنْ يَقُومُوا وَأَنْ يَصُومُوا.
তাহকীক আলবানীঃ যঈফ। উক্ত হাদিসের রাবী সিমাক বিন হারব সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তিনি সিকাহ। ইয়াকুব বিন শায়বাহ বলেন, তার পূর্বে বর্ণিত হাদিস যারা শ্রবন করেছেন তা সহিহ। ইবনু হিব্বান বলেন, তিনি সিকাহ তবে হাদিস বর্ণনায় অধিক ভুল করেন। আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারাক বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় দুর্বল। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ২৫৭৯, ১২/১১৫ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated that Ibn ‘Abbas said:
“A Bedouin came to the Prophet (ﷺ) and said: ‘I have seen the new crescent tonight.’ He said: ‘Do you bear witness that none has the right to be worshipped but Allah and that Muhammad is the Messenger of Allah (ﷺ)?’ He said: ‘Yes.’ He said: ‘Get up, O Bilal, and announce to the people that they should fast tomorrow.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৬. নতুন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য প্রদান।
২/১৬৫৩। আবূ উয়াইমির ইবনু আনাস ইবনু মালিক (রহ.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাহাবী এবং আনসার সম্প্রদায়ভুক্ত আমার এক চাচা আমার নিকট বর্ণনা করেন, মেঘের কারণে আমরা শাওয়ালের নতুন চাঁদ দেখতে পাইনি। আমরা (পরের দিন) রোযা রাখলাম। দিনের শেষভাগে একটি কাফেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে গতকাল চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দিলো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকেদেরকে ইফতার (রোযা ভঙ্গ) করার এবং পরের দিন ঈদগাহে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الشَّهَادَةِ عَلَى رُؤْيَةِ الْهِلَالِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ أَبِي عُمَيْرِ بْنِ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ حَدَّثَنِي عُمُومَتِي مِنْ الْأَنْصَارِ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالُوا أُغْمِيَ عَلَيْنَا هِلَالُ شَوَّالٍ فَأَصْبَحْنَا صِيَامًا فَجَاءَ رَكْبٌ مِنْ آخِرِ النَّهَارِ فَشَهِدُوا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُمْ رَأَوْا الْهِلَالَ بِالْأَمْسِ فَأَمَرَهُمْ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنْ يُفْطِرُوا وَأَنْ يَخْرُجُوا إِلَى عِيدِهِمْ مِنْ الْغَدِ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated that ‘Umair bin Anas bin Malik said:
“My paternal uncles among the Ansar who were among the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ) told me: ‘The new crescent of Shawwal was covered with clouods, so we fasted the next day. Then some riders came at the end of the day and testified to the Prophet (ﷺ) that they had seen the new crescent the night before. The Messenger of Allah (ﷺ) commanded them to break their fast and to go out to offer the ‘Eid prayer the following morning.’”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৭. চাঁদ দেখে রোযা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করো।
১/১৬৫৪। ইবনু ’উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখা শুরু করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার (রোযার সমাপ্তি) করবে। তোমাদের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে (তিরিশ দিন) পূর্ণ করবে। ইবনু ’উমার (রাঃ) নতুন চাঁদ দেখার একদিন আগেও রোযা রাখতেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللهِ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَيْتُمْ الْهِلَالَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَاقْدُرُوا لَهُ قَالَ وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ يَصُومُ قَبْلَ الْهِلَالِ بِيَوْمٍ.
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Ibn ‘Umar that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘When you see the new crescent, fast, and when you see it, stop fasting. If it is cloudy then calculate it (as thirty days).” Ibn ‘Umar used to fast one day before the new crescent was seen.
পরিচ্ছেদঃ ৭/৭. চাঁদ দেখে রোযা রাখো এবং চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করো।
২/১৬৫৫। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা নতুন চাঁদ দেখে রোযা রাখা শুরু করবে এবং (শাওয়ালের) নতুন চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করবে। তোমাদের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে তোমরা তিরিশ দিন রোযা রাখবে।
بَاب مَا جَاءَ فِي صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو مَرْوَانَ الْعُثْمَانِيُّ حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا رَأَيْتُمْ الْهِلَالَ فَصُومُوا وَإِذَا رَأَيْتُمُوهُ فَأَفْطِرُوا فَإِنْ غُمَّ عَلَيْكُمْ فَصُومُوا ثَلَاثِينَ يَوْمًا
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। উক্ত হাদিসের রাবী আবু মারওয়ান মুহাম্মাদ বিন উসমান আল উসমানী সম্পর্কে আবু হাতিম আর-রাযী বলেন, তিনি সিকাহ। আবু হাতিম বিন হিব্বান বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন ও সিকাহ রাবীর বিপরীত হাদিস বর্ণনা করেন। ইবনু হাজার আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে হাদিস বর্ণনায় ভুল করেন। ইমাম বুখারী তাকে সত্যবাদী বলেছেন। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৫৪৫৪, ২৬/৮১ নং পৃষ্ঠা)
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
“When you see the new crescent then fast, and when you see it then stop fasting. If it is cloudy then fast thirty days.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৮. ঊনতিরিশ দিনেও মাস হয়।
১/১৬৫৬। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞেস করেনঃ মাসের কত দিন গত হয়েছে? রাবী বলেন, আমরা বললাম, বাইশ দিন এবং আট দিন বাকী আছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ মাস এত দিনে হয়, মাস এত দিনে হয় এবং মাস এত দিনেও হয়। তৃতীয়বার তিনি এক আঙ্গুল বন্ধ রাখেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم كَمْ مَضَى مِنْ الشَّهْرِ قَالَ قُلْنَا اثْنَانِ وَعِشْرُونَ وَبَقِيَتْ ثَمَانٍ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الشَّهْرُ هَكَذَا وَالشَّهْرُ هَكَذَا وَالشَّهْرُ هَكَذَا ثَلَاثَ مَرَّاتٍ وَأَمْسَكَ وَاحِدَةً
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Abu Hurairah that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
‘How much of the month has passed?” We said: “Twenty-two (days), and there are eight left.” The Messenger of Allah (ﷺ) said: “The month is like that, and the month is like that, (and the month is like that), three times, and he withheld one finger the last time.”
পরিচ্ছেদঃ ৭/৮. ঊনতিরিশ দিনেও মাস হয়।
২/১৬৫৭। সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাস এত দিনে হয়, মাস এত দিনে হয়, মাস এত দিনেও হয় এবং তৃতীয়বারে তিনি একটি আঙ্গুল বন্ধ করে রাখেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي الشَّهْرُ تِسْعٌ وَعِشْرُونَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ عَنْ إِسْمَعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم الشَّهْرُ هَكَذَا وَهَكَذَا وَهَكَذَا وَعَقَدَ تِسْعًا وَعِشْرِينَ فِي الثَّالِثَةِ
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
It was narrated from Muhammad bin Sa’d bin Abu Waqqas that his father said:
“The Messenger of Allah (ﷺ) said: ‘The month is like that and like that and like that,’ and he showed nine fingers on the third time to indicate twenty-nine.”