পরিচ্ছেদঃ ৪২. সালমান ফারসী (রাঃ) সুহায়ব (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ) এর ফযীলত
৬১৮৬। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... আয়িয ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, আবূ সুফিয়ান (রাঃ) একদল লোকের সাথে সালমান ফারসী (রাঃ), সুহায়ব (রাঃ) ও বিলাল (রাঃ)-এর কাছে এলেন। তখন তাঁরা বললেন, আল্লাহর তরবারীসহ আল্লাহর দুশমনদের গর্দানে যথাসময়ে তার লক্ষ্যস্থলে আঘাত করেনি। বর্ণনাকারী বলেন, আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তোমরা কি একজন প্রবীণ কুরায়শ নেতাকে এমন কথা বলছ? এরপর তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাকে বিষয়টি অবহিত করলেন। তখন তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ হে আবূ বকর! তুমি বোধ হয় তাদের রাগিয়েছ। যদি তুমি তাদের রাগিয়ে থাক তাহলে তুমি তাদের রবকেই রাগিয়েছ। এরপর আবূ বকর (রাঃ) তাদের কাছে এলেন এবং বললেন, হে ভাই সকল! আমি তোমাদের রাগিয়েছি, তাই না? তারা বললেন, না, হে ভাই! আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করে দিন।
باب مِنْ فَضَائِلِ سَلْمَانَ وَصُهَيْبٍ وَبِلاَلٍ رضى الله تعالى عنهم
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ، حَدَّثَنَا بَهْزٌ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ مُعَاوِيَةَ، بْنِ قُرَّةَ عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو، أَنَّ أَبَا سُفْيَانَ، أَتَى عَلَى سَلْمَانَ وَصُهَيْبٍ وَبِلاَلٍ فِي نَفَرٍ فَقَالُوا وَاللَّهِ مَا أَخَذَتْ سُيُوفُ اللَّهِ مِنْ عُنُقِ عَدُوِّ اللَّهِ مَأْخَذَهَا . قَالَ فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ أَتَقُولُونَ هَذَا لِشَيْخِ قُرَيْشٍ وَسَيِّدِهِمْ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ " يَا أَبَا بَكْرٍ لَعَلَّكَ أَغْضَبْتَهُمْ لَئِنْ كُنْتَ أَغْضَبْتَهُمْ لَقَدْ أَغْضَبْتَ رَبَّكَ " . فَأَتَاهُمْ أَبُو بَكْرٍ فَقَالَ يَا إِخْوَتَاهْ أَغْضَبْتُكُمْ قَالُوا لاَ يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ يَا أُخَىَّ .
'A'idh b. Amr reported that Abu Sufyan came to Salman, Suhaib and Bilal in the presence of a group of persons. They said:
By Allah, the sword of Allah did not reach the neck of the enemy of Allah as it was required to reach. Thereupon Abu Bakr said: Do you say this to the old man of the Quraish and their chief? Then he came to Allah's Apostle (may peace be upon'him) and informed him of this. Thereupon he (the Holy Prophet) said: Abu Bakr, you have perhaps annoyed them and if you annoyed them you have in fact annoyed your Lord. So Abu Bakr came to them and said: O my brothers, I have annoyed you. They said: No, our brother, may Allah forgive you
পরিচ্ছেদঃ ৮৩. ভিক্ষা করা
২৫৮৮. মুহাম্মদ ইবন উছমান (রহঃ) ... আয়িয ইবন আমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে ভিক্ষা চাইলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে ভিক্ষা দিলেন। যখন সে দরজার চৌকাটে পা রেখে প্রস্থান করছিল রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যদি তোমরা ভিক্ষার অপকারিতা সম্পর্কে জানতে তাহলে তোমাদের কেউ কারো কাছে কখনো কোন কিছু ভিক্ষা চাওয়ার জন্য যেতে না।
الْمَسْأَلَةُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُثْمَانَ بْنِ أَبِي صَفْوَانَ الثَّقَفِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا أُمَيَّةُ بْنُ خَالِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ بِسْطَامَ بْنِ مُسْلِمٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ خَلِيفَةَ عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو أَنَّ رَجُلًا أَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَهُ فَأَعْطَاهُ فَلَمَّا وَضَعَ رِجْلَهُ عَلَى أُسْكُفَّةِ الْبَابِ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَوْ تَعْلَمُونَ مَا فِي الْمَسْأَلَةِ مَا مَشَى أَحَدٌ إِلَى أَحَدٍ يَسْأَلُهُ شَيْئًا
It was narrated from 'A'idh bin 'Amr that:
a man came to the prophet and asked him and he gave him, and when he placed his foot on the threshold the Messenger of Allah said: "If you knew how bad begging is, no one would go to anyone else and ask him for anything."
পরিচ্ছেদঃ প্রথম অনুচ্ছেদ - সমষ্টিগতভাবে মর্যাদা ও বৈশিষ্ট্য
৬২১৪-[১৯] ’আয়িয ইবনু ’আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত। একদিন আবূ সুফইয়ান (রাঃ), সালমান, সুহায়ব ও বিলাল (রাঃ) প্রমুখের সামনে দিয়ে অতিক্রম করলেন। এ সময় তাঁরা বললেন, আল্লাহর তলোয়ার কি এখনো আল্লাহর এ শত্রুর ঘাড়টি উড়িয়ে দেইনি? তখন আবূ (রাঃ) সিদ্দীক বললেন, তোমরা কি কুরায়শদের দলপতি এবং তাদের নেতা সম্পর্কে এরূপ উক্তি করছ? অতঃপর তিনি নবী (সা.) -এর কাছে এসে তাঁকেও অবগত করলেন। তাঁর কথা শুনে নবী (সা.) বললেন, হে আবূ বকর! তুমি সম্ভবত তাদের মনে দুঃখ দিয়েছ। তাদের মনে যদি তুমি দুঃখ দিয়ে থাক, তাহলে নিশ্চয় তুমি তোমার প্রভুকে অসন্তুষ্ট করেছ। এ কথা শুনে আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) সালমান ও তাঁর সঙ্গীদের কাছে এসে বললেন, হে আমার ভাইসব! আমি তোমাদের মনে ব্যথা দিয়েছি। জবাবে তারা বললেন, হে আমাদের ভাই! আমাদের মনে কোন দুঃখ-ব্যথা নেই। আল্লাহ তা’আলা আপনাকে ক্ষমা করুন। (মুসলিম)
الفصل الاول (بَاب جَامع المناقب)
وَعَن عَائِذ بن عَمْرو أَن أَبَا سُفْيَان أَتَى عَلَى سَلْمَانَ وَصُهَيْبٍ وَبِلَالٍ فِي نَفَرٍ فَقَالُوا: مَا أَخَذَتْ سُيُوفُ اللَّهِ مِنْ عُنُقِ عَدُوِّ اللَّهِ مَأْخَذَهَا. فَقَالَ أَبُو بَكْرٍ: أَتَقُولُونَ هَذَا لِشَيْخِ قُرَيْشٍ وَسَيِّدِهِمْ؟ فَأَتَى النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَخْبَرَهُ فَقَالَ: يَا أَبَا بَكْرٍ لَعَلَّكَ أَغْضَبْتَهُمْ لَئِنْ كُنْتَ أَغْضَبْتَهُمْ لَقَدْ أَغْضَبْتَ رَبَّكَ فَأَتَاهُمْ فَقَالَ: يَا إِخْوَتَاهْ أَغْضَبْتُكُمْ قَالُوا: لَا يَغْفِرُ اللَّهُ لَكَ يَا أَخِي. رَوَاهُ مُسلم
رواہ مسلم (170 / 2504)، (6412) ۔
(صَحِيح)
ব্যাখ্যা: ইমাম নবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবূ সুফইয়ান সে সময় কাফির অবস্থায় হুদনাহ নামক জায়গায় এসেছিল। আর তা ছিল হুদায়বিয়াহ্ সন্ধির পরে।
হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আবূ বাকর (রাঃ)-কে বললেন, তুমি যদি তাদেরকে রাগান্বিত করে থাকো তাহলে তুমি তোমার প্রতিপালককে রাগান্বিত করেছ।
এ কথা বলার কারণ হলো, যেহেতু তারা মু'মিন এবং আল্লাহকে ভালোবাসে আর আল্লাহও তাদেরকে ভালোবাসেন। তাই তাদেরকে রাগান্বিত করলে আল্লাহকে রাগান্বিত করা হবে।
তাছাড়াও এদিক থেকে তুমি কাফিরের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছ।
মিরকাতুল মাফাতীহ প্রণেতা সুহায়ব (রাঃ) সম্পর্কে বলেন, তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবনু জাদ'আন আত্ তা'মিমী (রাঃ)-এর আযাদকৃত দাস সুহায়ব ইবনু সিনান। তার কুনিয়াত হলো আবূ ইয়াহইয়া। আর বাড়ি ছিল টাইগ্রিস ও ইউফ্রেটিস নদীর মাঝে মুসল এলাকায়। রোমের লোকেরা আকষ্মিক তাদের এলাকায় আক্রমণ করে এবং ছোট অবস্থায় তাকে বন্দি করে নিয়ে যায়, তখন তিনি রোমেই লালিত-পালিত হন। তারপর কালব নামক এক ব্যক্তি তাকে ক্রয় করে মক্কায় নিয়ে আসেন। আবদুল্লাহ ইবনু জাদ'আন তাকে ক্রয় করে আযাদ করে দেন। তারপর মৃত্যু পর্যন্ত তিনি তার সাথেই থেকে যান।
কেউ কেউ বলে থাকেন যে, তিনি রোমে বড় হয়েছেন। যখন তিনি বুঝতে শিখলেন তখন সেখান থেকে পালিয়ে মক্কায় চলে আসেন। তারপর তিনি আবদুল্লাহ ইবনু জাদ’আন-এর সাথে মৈত্রি চুক্তিতে আবদ্ধ হন। তিনি মক্কায় নুবুওয়্যাতের প্রথম দিকেই ইসলাম গ্রহণ করেন।
কেউ কেউ বলেন, তিনি এবং ‘আম্মার ইবনু ইয়াসীর একই দিনে ইসলাম গ্রহণ করেন। যখন তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন তখন রাসূলুল্লাহ (সা.) দারুল আরক্বামে ছিলেন। তিনি ছিলেন ঐ সকল লোকেদের অন্যতম ইসলাম গ্রহণ করার কারণে যাদের সহ্য করতে হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। তিনি ৮০ হিজরীতে মদীনায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তার থেকে অনেক লোক হাদীস বর্ণনা। করেছেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
শারহুন্ নাবাবী গ্রন্থে কাযী ‘ইয়ায (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, আবূ বাকর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি এভাবে দু'আ করতে নিষেধ করেছেন। যেমন, তারা বলেছেন (لا يغفر الله لك) অর্থাৎ না, আল্লাহ আপনাকে ক্ষমা করুন।
বরং আবূ বাকর (রাঃ) শিখিয়েছেন যে, তোমরা এভাবে বল (عَافَاكَ اللهُ) অথবা (رَحِمَكَ اللهُ) ইত্যাদি। তিনি এখানে বুঝিয়েছেন যে, তোমরা দু'আ করার ক্ষেত্রে নেতিবাচক শব্দ ব্যবহার করো না। (শারহুন নাবাবী ১৬শ খণ্ড, ৫৬ পৃ., হা. ২৫০৪)
পরিচ্ছেদঃ সহনশীলতা, ধীর-স্থিরতা ও কোমলতার গুরুত্ব
(৩৪৫৮) আয়েয বিন আমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নিকৃষ্ট রাখাল হল সেই, যে রাখালিতে বড় কঠোর।
عَائِذَ بْنَ عَمْرٍو قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ إِنَّ شَرَّ الرِّعَاءِ الْحُطَمَةُ
পরিচ্ছেদঃ ১. সন্ধি ও জিযইয়া - ইসলাম উঁচু থাকবে, নিচু হবে না
১৩০৯। আয়িয ইবন আমরা মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ইসলাম উঁচু থাকবে-নীচু হবে না।[1]
وَعَنْ عَائِذٍ بْنُ عَمْرِوِ الْمُزَنِيِّ - رضي الله عنه - عَنِ النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «الْإِسْلَامِ يَعْلُو, وَلَا يُعْلَى». أَخْرَجَهُ الدَّارَقُطْنِيُّ
-
حسن. رواه الدارقطني (3/ 252 / 31) بسند ضعيف، فيه مجهولان. وقد حسن الحافظ في «الفتح» (3/ 220) - سنده بعد أن عزاه للروياني والدارقطني، فلعله عند الروياني من طريق آخر غير طريق الدارقطني، وإلا فيكون ضعيفًا أيضًا. قلت: ولكن له شواهد تقويه مرفوعًا. وأيضًا يصبح موقوفًا على ابن عباس كما علقه البخاري، ووصله غيره
’A’idh bin 'Amro al-Muzani (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Islam is always superior and should never be surpassed.” Related by Ad-Daraqutni.
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৮৩৫(৭৩). উসমান ইবনে আহমাদ আদ-দাক্কাক (রহঃ) ... আয়েয ইবনে আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তার স্ত্রী নিফাসগ্রস্ত হলো এবং সে বিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর পবিত্রতা (রক্তক্ষরণ বন্ধ) দেখলো এবং সে পবিত্র হয়ে গেল, অতঃপর তার (স্বামীর) বিছানায় এলো। তিনি বলেন, তোমার কি অবস্থা? সে বলল, আমি পবিত্র হয়েছি। রাবী বলেন, তিনি তাকে নিজের পা দ্বারা আঘাত করে বললেন, আমার থেকে দূরে সরে যাও। তুমি আমাকে আমার দীন থেকে থেকে দূরে সরাতে পারবে না, তোমার চল্লিশ দিন অতিবাহিত না হওয়া পর্যন্ত।
হিশাম (রহঃ) তার হাদীসে আয়েয ইবনে আমর (রাঃ) সূত্রে বলেন, যারা গাছের নিচে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর হাতে বাইআত গ্রহণ করেছিলেন তিনি তাদের একজন। এই হাদীস মু’আবিয়া ইবনে কুররা (রহঃ) থেকে আল-জালাদ ইবনে আইউব ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি এবং তিনি হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল।
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَحْمَدَ الدَّقَّاقُ ، نَا يَحْيَى بْنُ أَبِي طَالِبٍ ، ثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ ، ثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ ، عَنِ الْجَلْدِ بْنِ أَيُّوبَ ، ح : وَحَدَّثَنَا دَعْلَجُ بْنُ أَحْمَدَ ، نَا مُوسَى بْنُ هَارُونَ ، نَا ابْنُ أَخِي جُوَيْرِيَةَ ، حَدَّثَنَا مَهْدِيُّ بْنُ مَيْمُونٍ ، عَنِ الْجَلْدِ بْنِ أَيُّوبَ ، عَنْ أَبِي إِيَاسٍ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ ، عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو : " أَنَّ امْرَأَتَهُ نُفِسَتْ وَأَنَّهَا رَأَتِ الطُّهْرَ بَعْدَ عِشْرِينَ لَيْلَةً ، فَتَطَهَّرَتْ ، ثُمَّ أَتَتْ فِرَاشَهُ ، فَقَالَ : مَا شَأْنُكِ ؟ قَالَتْ : قَدْ طَهُرْتُ ، قَالَ : فَضَرَبَهَا بِرِجْلِهِ ، وَقَالَ : إِلَيْكِ عَنِّي ، فَلَسْتِ بِالَّتِي تُغْرِينِي عَنْ دِينِي ، حَتَّى تَمْضِيَ أَرْبَعِينَ لَيْلَةً " . وَقَالَ هِشَامٌ فِي حَدِيثِهِ : عَنْ عَائِذِ بْنِ عَمْرٍو ، وَكَانَ مِمَّنْ بَايَعَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - تَحْتَ الشَّجَرَةِ . وَلَمْ يَرْوِهِ عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ غَيْرُ الْجَلْدِ بْنِ أَيُّوبَ ، وَهُوَ ضَعِيفٌ