পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
মহান আল্লাহ বলেছেন,
مَا يَلْفِظُ مِنْ قَوْلٍ إِلاَّ لَدَيْهِ رَقِيْبٌ عَتِيْدٌ
অর্থাৎ, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে (তা লিপিবদ্ধ করার জন্য) তৎপর প্রহরী তার নিকটেই রয়েছে। (সূরা ক্বাফ ১৮)
জেনে রাখুন যে, যে কথায় উপকার আছে বলে স্পষ্ট হয়, সে কথা ছাড়া অন্য সব (অসঙ্গত) কথা হতে নিজ জিহ্বাকে সংযত রাখা প্রত্যেক ভারপ্রাপ্ত মুসলিম ব্যক্তির উচিত। যেখানে কথা বলা ও চুপ থাকা দুটোই সমান, সেখানে চুপ থাকাটাই সুন্নাত। কেননা, বৈধ কথাবার্তাও অনেক সময় হারাম অথবা মাকরূহ পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। অধিকাংশ এরূপই ঘটে থাকে। আর (বিপদ ও পাপ থেকে) নিরাপত্তার সমতুল্য কোন বস্তু নেই।
(২৯২৩) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভাল কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে। (বুখারী ৬০১৮, মুসলিম ১৮২)
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْراً أَوْ لِيَصْمُتْ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯২৪) আব্দুল্লাহ বিন আমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে চুপ থাকে, সে পরিত্রাণ পায়।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَن صَمَتَ نَـجَا
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯২৫) আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! সর্বোত্তম মুসলিম কে?’ তিনি বললেন, যার জিহ্বা ও হাত থেকে মুসলিমরা নিরাপদ থাকে।
وَعَنْ أَبِـيْ مُوسَى قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّ المُسْلمِينَ أَفْضَلُ ؟ قَالَ مَنْ سَلِمَ المُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯২৬) আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ (রাঃ) মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করলেন, ’হে আল্লাহর রসূল! শ্রেষ্ঠ আমল কী?’ তিনি উত্তরে বললেন, যথা সময়ে নামায পড়া। অতঃপর জিজ্ঞাসা করেন যে, ’তারপর কী? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, তোমার জিহবা হতে লোককে নিরাপদে রাখা।
وعَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ سَأَلْتُ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَ سَلَّمَ فَقُلْتُ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّ الْأَعْمَالِ أَفْضَلُ؟ قَالَ اَلصَّلَاةُ عَلَى مِيْقَاتِهَا قُلْتُ ثُمَّ مَاذَا يَا رَسُوْلَ اللهِ؟ قَالَ أَنْ يُّسْلَمَ النَّاسَ مِنْ لِّسَانِكَ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯২৭) সাহল ইবনে সা’দ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী (অঙ্গ জিভ) এবং দুই পায়ের মধ্যবর্তী (অঙ্গ গুপ্তাঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দেবে, আমি তার জন্য জান্নাতের নিশ্চয়তা দেব।
وَعَنْ سَهْلِ بنِ سَعْدٍ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الجَنَّةَ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯২৮) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তিকে আল্লাহ তার দুই চোয়ালের মধ্যস্থিত অঙ্গ (জিহ্বা) ও দু’পায়ের মাঝখানের অঙ্গ (লজ্জাস্থান)এর ক্ষতি থেকে মুক্ত রাখবেন, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ وَقَاهُ اللهُ شَرَّ مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَشَرَّ مَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ دَخَلَ الجَنَّةَ رواه الترمذي وقَالَ حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯২৯) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছেন যে, মানুষ চিন্তা-ভাবনা না ক’রে এমন কথাবার্তা বলে ফেলে, যার দ্বারা তার পদস্খলন ঘটে পূর্ব-পশ্চিমের মধ্যবর্তী দূরত্ব থেকে বেশি দূরত্ব দোযখে গিয়ে পতিত হয়।
وَعَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أنَّه سَمِعَ النَّبيَّ ﷺ يَقُوْلُ إنَّ العَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالْكَلِمَةِ مَا يَتَبَيَّنُ فِيهَا يَزِلُّ بِهَا إِلَى النَّارِ أَبْعَدَ مِمَّا بَيْنَ المَشْرِقِ وَالمَغْرِبِ متفق عَلَيْهِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩০) আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, বান্দা আল্লাহ তাআলার সন্তোষজনক এমন কথা অন্যমনস্ক হয়ে বলে ফেলে, যার ফলে আল্লাহ তার মর্যাদা উন্নীত করে দেন। আবার কখনো বান্দা অন্যমনস্ক হয়ে আল্লাহর অসন্তোষজনক এমন কথা বলে ফেলে, যার ফলে সে জাহান্নামে গিয়ে পতিত হয়।
وَعَنهُ عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِنَّ العَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ الله تَعَالَى مَا يُلْقِي لَهَا بَالاً يَرْفَعُهُ اللهُ بِهَا دَرَجَاتٍ وَإِنَّ العَبْدَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلَمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ تَعَالَى لاَ يُلْقِي لَهَا بَالاً يَهْوِيْ بِهَا فِي جَهَنَّمَ رواه البخاري
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩১) আবূ হুরাইরা (রাঃ) প্রমুখাৎ বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, মানুষ এমনও কথা বলে, যাতে সে কোন ক্ষতি আছে বলে মনেই করে না; অথচ তার দরুন সে ৭০ বছরের পথ জাহান্নামে অধঃপতিত হয়।
عَنْ أَبِـيْ هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ إِنّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بالْكَلِمَةِ لَا يَرَى بِهَا بَاسَا يَهْوِي بِهَا سَبْعِيْنَ خَرِيْفاً فِي النَّارِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩২) আবূ আব্দুর রহমান বিলাল ইবনে হারেস মুযানী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মানুষ আল্লাহ তাআলার সন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য সন্তুষ্টি লিখে দেন। পক্ষান্তরে মানুষ আল্লাহ তাআলার অসন্তোষমূলক এমন কথা বলে, আর সে কল্পনাও করে না যে, তা কোথায় গিয়ে পৌঁছবে, আল্লাহ তার দরুন তাঁর সাক্ষাতের দিন পর্যন্ত তার জন্য অসন্তুষ্টি লিখে দেন।
وَعَنْ أَبِـيْ عَبدِ الرَّحْمَانِ بِلاَلِ بنِ الحَارِثِ المُزَنِيِّ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ قَالَ إِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ رِضْوَانِ اللهِ تَعَالَى مَا كَانَ يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ يَكْتُبُ اللهُ لَهُ بِهَا رِضْوَانَهُ إِلَى يَومِ يَلْقَاهُ وَإِنَّ الرَّجُلَ لَيَتَكَلَّمُ بِالكَلِمَةِ مِنْ سَخَطِ اللهِ مَا كَانَ يَظُنُّ أَنْ تَبْلُغَ مَا بَلَغَتْ يَكْتُبُ الله لَهُ بِهَا سَخَطَهُ إِلَى يَوْمِ يَلْقَاهُ رواه مالك في المُوَطَّأ، والترمذي، وقَالَ حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৩) সুফয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন কথা বাত্লে দিন, যা মজবুতভাবে ধরে রাখব।’ তিনি বললেন, ’’তুমি বল, আমার রব আল্লাহ, অতঃপর তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাক।’’ আমি পুনরায় নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্য আপনি কোন্ জিনিসকে সব চাইতে বেশি ভয় করেন?’ তিনি স্বীয় জিহ্বাকে (স্বহস্তে) ধারণপূর্বক বললেন, এটাকে।
وَعَنْ سُفيَانَ بنِ عَبدِ اللهِ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ حَدِّثنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ قلْ : رَبِّيَ اللهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قُلْتُ : يَا رَسُول اللهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ ؟ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ هٰذَا رواه الترمذي وقَالَ حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৪) উক্ববাহ ইবনে আমের (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! কিসে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব?’ তিনি বললেন, তুমি নিজ রসনাকে নিয়ন্ত্রণে রাখ। তোমার ঘর তোমার জন্য প্রশস্ত হোক। (অর্থাৎ, অবসর সময়ে নিজ গৃহে অবস্থান কর।) আর নিজ পাপের জন্য ক্রন্দন কর। (তিরমিযী ২৪০৬, হাসান সহীহ)
সুসংবাদ সেই ব্যক্তির জন্য যে তার জিহবাকে বশীভূত রাখে, স্বগৃহে অবস্থান করে এবং স্বকৃত পাপের উপর কান্না করে। (সহীহুল জামে’ ৩৯২৯)
وَعَنْ عُقبَةَ بنِ عَامرٍ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ مَا النَّجَاةُ ؟ قَالَ أَمْسِكْ عَلَيْكَ لِسَانَكَ وَلْيَسَعْكَ بَيْتُكَ وابْكِ عَلَى خَطِيئَتِكَ رواه الترمذي وقَالَ حديث حسن
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৫) আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আদম সন্তান যখন সকালে উপনীত হয়, তখন তার সমস্ত অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ জিভকে অত্যন্ত বিনীতভাবে নিবেদন করে যে, ’তুমি আমাদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর। কারণ, আমাদের ব্যাপারসমূহ তোমার সাথেই সম্পৃক্ত। যদি তুমি সোজা সরল থাক, তাহলে আমরাও সোজা-সরল থাকব। আর যদি তুমি বক্রতা অবলম্বন কর, তাহলে আমরাও বেঁকে বসব।
وَعَنْ أَبِـيْ سَعِيدٍ الخُدرِي عَنِ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِذَا أَصْبَحَ ابْنُ آدَمَ فَإِنَّ الأَعْضَاءَ كُلَّهَا تَكْفُرُ اللِّسانَ تَقُولُ : اتَّقِ اللهَ فِينَا فَإِنَّما نَحنُ بِكَ ؛ فَإِنِ اسْتَقَمْتَ اسْتَقَمْنَا وَإِنِ اعْوَجَجْتَ اعْوَجَجْنَا رواه الترمذي
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৬)মুআয (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন আমল বাত্লে দেন, যা আমাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে এবং জাহান্নাম থেকে দূরে রাখবে।’ তিনি বললেন, ’’তুমি বিরাট (কঠিন) কাজ সম্পর্কে প্রশ্ন করলে। তবে এটা তার পক্ষে সহজ হবে, যার পক্ষে মহান আল্লাহ সহজ ক’রে দেবেন। (আর তা হচ্ছে এই যে,) তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তার কোন অংশী স্থাপন করবে না। নামায প্রতিষ্ঠা করবে, যাকাত দেবে, মাহে রমযানের রোযা পালন করবে এবং কাবা গৃহের হজ্জ পালন করবে।’’ পুনরায় তিনি বললেন, ’’তোমাকে কল্যাণের দ্বারসমূহ বাত্লে দেব না কি? রোযা ঢালস্বরূপ, সাদকাহ গুনাহ নিশ্চিহ্ন করে; যেমন পানি আগুনকে নিশ্চিহ্ন ক’রে দেয়। আর মধ্য রাত্রিতে মানুষের নামায।’’ অতঃপর তিনি এই আয়াত দু’টি পড়লেন- যার অর্থ, ’’তারা শয্যা ত্যাগ করে, আশায় বুক বেঁধে এবং আশংকায় ভীতি-বিহ্বল হয়ে তাদের প্রতিপালককে আহ্বান করে এবং আমি তাদেরকে যে সব জীবিকা দান করেছি, তা থেকে তারা ব্যয় ক’রে থাকে। তাদের সৎকর্মের পুরস্কারস্বরূপ তাদের জন্য নয়ন-প্রীতিকর যা কিছু লুক্কায়িত রাখা হয়েছে, কেউ তা অবগত নয়।’’ (সূরা সিজদা ১৬-১৭)
তারপর বললেন, ’’আমি তোমাকে সব বিষয়ের (দ্বীনের) মস্তক, তার খুঁটি, তার উচ্চতম চূড়া বাতলে দেব না কি?’’ আমি বললাম, ’অবশ্যই বাতলে দিন, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’’বিষয়ের মস্তক হচ্ছে ইসলাম, তার স্তম্ভ হচ্ছে নামায এবং তার উচ্চতম চূড়া হচ্ছে জিহাদ।’’ পুনরায় তিনি প্রশ্ন করলেন, ’’আমি তোমাকে সে সবের মূল সম্বন্ধে বলে দেব না কি?’’ আমি বললাম, ’অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রসূল!’ তখন তিনি নিজ জিভটিকে ধরে বললেন, ’’তোমার মধ্যে এটিকে সংযত রাখ।’’ মুআয বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমরা যে কথা বলি তাতেও কি আমাদেরকে হিসাব দিতে হবে?’ তিনি বললেন, ’’তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক হে মুআয! মানুষকে তাদের নিজেদের জিভ-ঘটিত পাপ ছাড়া অন্য কিছু কি তাদের মুখ থুবড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে?’’ (তিরমিযী ২৬১৬, হাসান সহীহ)
وَعَنْ مُعَاذٍ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ أَخْبِرْني بِعَمَلٍ يُدْخِلُني الجَنَّةَ وَيُبَاعِدُنِي مِنَ النَّارِ ؟ قَالَ لَقَدْ سَأَلتَ عَنْ عَظِيمٍ وَإِنَّهُ لَيَسِيرٌ عَلَى مَنْ يَسَّرَهُ اللهُ تَعَالَى عَلَيْهِ: تَعْبُدُ اللهَ لاَ تُشْرِكُ بِهِ شَيْئاً وَتُقِيمُ الصَّلاَةَ وَتُؤتِي الزَّكَاةَ وَتَصُومُ رَمَضَانَ وَتَحُجُّ البَيْتَ ثُمَّ قَالَ أَلاَ أَدُلُّكَ عَلَى أَبْوَابِ الخَيْرِ ؟ الصَّوْمُ جُنَّةٌ وَالصَّدَقَةُ تُطْفِئُ الخَطِيئَةَ كَمَا يُطْفِئُ المَاءُ النَّارَ وَصَلاَةُ الرَّجُلِ مِنْ جَوْفِ اللَّيْلِ ثُمَّ تَلاَ تَتَجَافَى جُنُوبُهُمْ عَنِ المَضَاجِعِ حَتّٰـى بَلَغَ يَعْمَلُونَ السجدة : ثُمَّ قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِرَأْسِ الأَمْرِ وَعَمُودِهِ وَذِرْوَةِ سِنَامِهِ قُلْتُ : بَلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ قَالَ رَأسُ الأمْرِ الإسْلامُ وَعَمُودُهُ الصَّلاَةُ وَذِرْوَةِ سِنَامِهِ الجِهادُ ثُمَّ قَالَ أَلاَ أُخْبِرُكَ بِمِلاَكِ ذٰلِكَ كُلِّهِ قُلْتُ : بلَى يَا رَسُوْلَ اللهِ فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ وَقَالَ كُفَّ عَلَيْكَ هٰذَا قُلْتُ: يَا رَسُوْلَ اللهِ وَإِنَّا لَمُؤَاخَذُوْنَ بِمَا نَتَكَلَّمُ بِهِ ؟ فَقَالَ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ! وَهَلْ يَكُبُّ النَّاسَ فِي النَّارِ عَلَى وُجُوهِهِمْ إِلاَّ حَصَائِدُ أَلْسِنَتِهِمْ؟ رواه الترمذي وقَالَ حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৭) উবাদাহ বিন স্বামেত বলেন, একদা আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সওয়ারীতে সওয়ার হয়ে কোথাও বের হলেন। সঙ্গে ও সম্মুখে ছিলেন তার সাহাবীবৃন্দ। মুআয বিন জাবাল (রাঃ) তাঁর উদ্দেশ্যে বল্লেন, ’হে আল্লাহর নবী! খুশী মনে আমাকে অগ্রণী হয়ে বলতে অনুমতি দেবেন কি?’ তিনি বললেন, ’’হ্যাঁ।’’ অতঃপর মুআয তাঁর নিকটবর্তী হলেন। সকলে চলতে শুরু করলে মুআয বললেন, ’আমার পিতা আপনার জন্য কুরবান হোক - আমি আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করি যে, আপনার থেকে আমাদের (মৃত্যুর) দিন আগে করুন। যদি কিছু হয়ে যায়, আর ইনশাআল্লাহ কিছু হবে না। আপনার পরে আমরা কোন্ কর্মগুলি করব?’ রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নীরব থাকলেন। মুআয বললেন, ’আল্লাহর পথে জিহাদ?’ অতঃপর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’জিহাদ খুব উত্তম জিনিস। কিন্তু এর চেয়ে সহজ জিনিস আছে।’’
মুআয বললেন, ’তাহলে রোযা ও সদকাহ?’ বললেন, রোযা ও সদকাহ উত্তম জিনিস। অতঃপর মুআয মানুষের প্রায় সকল সৎকর্মের কথা উল্লেখ করলেন। কিন্তু রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বার বারই বললেন, এর চেয়েও উত্তম কর্ম আছে। অবশেষে মুআয বললেন, ’আমার পিতা মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক, এর চেয়ে উত্তম আর আছে কি?’ তদুত্তরে তিনি নিজ মুখের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, মঙ্গল ব্যতীত অন্য বিষয়ে চুপ থাকা। মুআয বললেন, ’আমরা জিবে যে কথা বলি, তাতেও কি আমাদেরকে কৈফিয়ত করা হবে?’ তা শুনে তিনি মুআযের জানুতে চপেটাঘাত করে বললেন, হে মুআয! তোমার মা তোমাকে হারিয়ে ফেলুক! মানুষের জিভে বলা কথা ছাড়া অন্য কিছু কি তাদেরকে নাক ছেঁচড়ে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবে? সুতরাং আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী ব্যক্তির উচিত। উত্তম কথা বলা নতুবা মন্দ বলা হতে চুপ থাকা। তোমরা উত্তম বল, লাভবান হবে এবং মন্দ বলা হতে চুপ থাকো, নিরাপত্তা লাভ করবে।
عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَرَجَ ذَاتَ يَوْمٍ عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَصْحَابُهُ مَعَهُ بَيْنَ يَدَيْهِ، فَقَالَ مُعَاذُ بْنُ جَبَلٍ: يَا نَبِيَّ اللَّهِ أَتَأْذَنُ لِي فِي أَنْ أَتَقَدَّمَ إِلَيْكَ عَلَى طِيبَةِ نَفْسٍ؟ قَالَ: نَعَمْ فَاقْتَرَبَ مُعَاذٌ إِلَيْهِ فَسَارَا جَمِيعًا، فَقَالَ مُعَاذٌ: بِأَبِي أَنْتَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، أَنْ يَجْعَلَ يَوْمَنَا قَبْلَ يَوْمِكَ أَرَأَيْتَ إِنْ كَانَ شَيْءٌ وَلَا نَرَى شَيْئًا إِنْ شَاءَ اللَّهُ تَعَالَى فَأَيُّ الْأَعْمَالِ نَعْمَلَهَا بَعْدَكَ؟ فَصَمَتَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ: «الْجِهَادُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ» ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «نِعْمَ الشَّيْءُ الْجِهَادُ، وَالَّذِي بِالنَّاسِ أَمْلَكُ مِنْ ذٰلِكَ فَالصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ قَالَ: نِعْمَ الشَّيْءُ الصِّيَامُ وَالصَّدَقَةُ» فَذَكَرَ مُعَاذٌ كُلَّ خَيْرٍ يَعْمَلُهُ ابْنُ آدَمَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «وَعَادِ بِالنَّاسِ خَيْرٌ مِنْ ذٰلِكَ» قَالَ: فَمَاذَا بِأَبِي أَنْتَ وَأُمِّي عَادِ بِالنَّاسِ خَيْرٌ مِنْ ذٰلِكَ؟ قَالَ: فَأَشَارَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى فِيهِ قَالَ: الصَّمْتُ إِلَّا مِنْ خَيْرٍ قَالَ: وَهَلْ نُؤَاخَذُ بِمَا تَكَلَّمَتْ بِهِ أَلْسِنَتُنَا؟ قَالَ: فَضَرَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَخِذَ مُعَاذٍ، ثُمَّ قَالَ: يَا مُعَاذُ ثَكِلَتْكَ أُمُّكَ - أَوْ مَا شَاءَ اللَّهُ أَنْ يَقُولَ لَهُ مِنْ ذٰلِكَ - وَهَلْ يُكَبَّ النَّاسِ عَلَى مَنَاخِرِهِمْ فِي جَهَنَّمَ إِلَّا مَا نَطَقَتْ بِهِ أَلْسِنَتُهُمْ فَمَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيَقُلْ خَيْرًا أَوْ لِيَسْكُتْ عَنْ شَرٍّ، قُولُوا خَيْرًا تَغْنَمُوا وَاسْكُتُوا عَنْ شَرٍّ تَسْلَمُوا هٰذَا حَدِيثٌ صَحِيحٌ عَلَى شَرْطِ الشَّيْخَيْنِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৮) মুআয (রাঃ) বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে উপদেশ দিন।’ তিনি বললেন, ’’এমনভাবে আল্লাহর ইবাদত কর, যেন তুমি তাঁকে দেখছ এবং তুমি নিজেকে মৃতদের মধ্যে গণ্য কর। আর যদি চাও তবে তোমাকে এমন কাজের কথা বলব, যা তোমার পক্ষে এ সবের চেয়ে অধিক সহজ সাধ্য।’’ অতঃপর তিনি নিজ হাত দ্বারা নিজের জিভের প্রতি ইঙ্গিত করে বললেন, এটা (সংযত রাখ)।
وعَنْ مُعَاذٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ يَا رَسُوْلَ اللهِ أَوْصِنِيْ، قَالَ اُعْبُدُ اللهَ كَأَنَّكَ تَرَاهُ وَاعْدُدْ نَفْسَكَ فِيْ الْـمَوْتٰـى وَإِنْ شِئْتَ أَنْبَأتُكَ بِمَا هُوَ أَمْلَكُ بِكَ مِنْ هٰذَا كُلِّهِ قَالَ هٰذَا وَأَشَارَ بِيَدِهِ إِلٰى لِسَانِهِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৯) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু যারের সাথে সাক্ষাৎ করে বললেন, ’’হে আবু যার্র! তোমাকে আমি এমন দুটি আচরণের কথা বলে দেব না কি? যা কার্যক্ষেত্রে অতি সহজ এবং (নেকীর) মীযানে অন্যান্য আমলের তুলনায় অধিক ভারী?’’ আবু যার (রাঃ) বললেন, ’অবশ্যই, হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’’তুমি সচ্চরিত্রতা ও দীর্ঘ নীরবতা অবলম্বন কর। (অর্থাৎ তোমার চরিত্র সুন্দর হোক ও তুমি কথা খুবই কম বলো।) কারণ, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! সারা সৃষ্টি ঐ দুয়ের ন্যায় কোন আমলই করেনি।’’ (আবু য়্যা’লা ৩২৯৮, ত্বাবারানী, বাইহাক্বীর শুআবুল ঈমান, সিঃ সহীহাহ ১৯৩৮)
অন্য এক বর্ণনায় আছে, ’’তুমি সুন্দর চরিত্র ও দীর্ঘ নীরবতা অবলম্বন কর। সেই সত্তার কসম যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে, সারা সৃষ্টি উক্ত দুই (অলংকারের) মত অন্য কিছু দিয়ে সৌন্দর্যমন্ডিত হতে পারে না।’’ (সহীহুল জামে ৪০৪৮)
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنْ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: " يَا أَبَا ذَرٍّ، أَلَا أَدُلُّكَ عَلَى خَصْلَتَيْنِ هُمَا أَخَفُّ عَلَى الظَّهْرِ، وَأَثْقَلُ فِي الْمِيزَانِ مِنْ غَيْرِهِمَا؟ " قُلْتُ: بَلَى، قَالَ: " طُولُ الصَّمْتِ، وَحُسْنُ الْخُلُقِ، وَطُوْلُ الصَّمْتِ فَوَالَّذِيْ نَفْسُ مُـحَمَّدٍ بِيَدِهِ مَا عَمِلَ الْخَلَائِقُ بِمِثْلِهِمَا "
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৪০) আসওয়াদ বিন আসরাম বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেছেন, তোমার জিহবা দ্বারা ভালো কথা ছাড়া অন্য কিছু বলো না এবং ভালো ছাড়া অন্য কিছুর প্রতি তোমার হাত বাড়ায়ো না।
عَنْ أَسْوَدَ بْنِ أَصْرَمَ قَالَ قَالَ لَهُ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ فَلَا تَقُلْ بِلِسَانِكَ إِلَّا مَعْرُوْفًا وَلَا تَبْسُطْ يَدَكَ إِلَّا إِلَى خَيْرٍ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৪১) একদা আব্দুল্লাহ বিন মাসঊদ (রাঃ) সাফার উপর চড়ে বললেন, ’রে জিভ! ভালো কথা বল্; সফলতা পাবি। চুপ থাক্; লাঞ্ছিত হওয়ার পূর্বে নিরাপত্তা পাবি।’ লোকেরা বলল, ’হে আবু আব্দুর রহমান! একথা আপনি নিজে বলছেন, নাকি কারো নিকট শুনেছেন?’ তিনি বললেন, ’না, বরং আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেছেন, আদম সন্তানের অধিকতর পাপ তার জিহবা থেকেই সংঘটিত হয়।
عَنْ عَبْدِ اللهِ، أَنَّهُ ارْتَقَى الصَّفَا فَأَخَذَ بِلِسَانِهِ، فَقَالَ: يَا لِسَانُ، قُلْ خَيْرًا تَغْنَمْ، وَاسْكُتْ عَنْ شَرٍّ تَسْلَمْ، مِنْ قَبْلِ أَنْ تَنْدَمَ قَالَوا : يَا اَبَا عَبْدِ الرَّحْمٰنِ هٰذَا شَيْءٌ تَقُوْلُهُ أَوْ سَمِعْتَهُ ؟ قَالَ لَا بَلْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ ﷺ يَقُوْلُ أَكْثَرُ خَطَايَا ابنِ آدَمَ فِي لِسَانِهِ
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৪২) আনাস (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন বান্দার ঈমান দুরস্ত হয় না; যতক্ষণ পর্যন্ত না তার হৃদয় দুরস্ত হয় এবং তার হৃদয়ও দুরস্ত হয় না যতক্ষণ পর্যন্ত না তার জিহবা দুরস্ত হয়। আর সে ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না, যার প্রতিবেশী তার অনিষ্ট থেকে নিরাপত্তা না পায়।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ لَا يَسْتَقِيمُ إِيمَانُ عَبْدٍ حَتّٰـى يَسْتَقِيمَ قَلْبُهُ وَلَا يَسْتَقِيمُ قَلْبُهُ حَتّٰـى يَسْتَقِيمَ لِسَانُهُ وَلَا يَدْخُلُ رَجُلٌ الْجَنَّةَ لَا يَأْمَنُ جَارُهُ بَوَائِقَهُ