পরিচ্ছেদঃ ১৩১: সালাম দেওয়ার গুরুত্ব ও তা ব্যাপকভাবে প্রচার করার নির্দেশ
৫/৮৫৩। আবূ ইউসুফ আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ’’হে লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার কর, (ক্ষুধার্তকে) অন্নদান কর, আত্মীয়তার বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে) ঘুমিয়ে থাকে, তখন তোমরা নামায পড়। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করবে।’’ (তিরমিযী হাসান সহীহ) [1]
(131) بَابُ فَضْلِ السَّلَامِ وَالْأَمْرِ بِإِفْشَائِهِ
وَعَنْ أَبي يُوسُفَ عَبدِ اللهِ بنِ سَلاَمٍ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه ، يَقُولُ: « يَا أيُّهَا النَّاسُ، أَفْشُوا السَّلاَمَ، وَأطْعِمُوا الطَّعَامَ، وَصِلُوا الأرْحَامَ، وَصَلُّوا والنَّاسُ نِيَامٌ، تَدْخُلُوا الجَنَّةَ بِسَلاَم ». رواه الترمذي، وقال: حديث حسن صحيح »
(131) Chapter: The Excellence of Promoting Greetings
'Abdullah bin Salam (May Allah be pleased with him) reported:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "O people, exchange greetings of peace (i.e., say: As-Salamu 'Alaikum to one another), feed people, strengthen the ties of kinship, and be in prayer when others are asleep, you will enter Jannah in peace."
[At- Tirmidhi].
Commentary: All these habits and practices are indispensable to a believer because each one of them leads to Jannah with the first people to enter it without being punished in Hell first.
পরিচ্ছেদঃ ২৭২. তরকারি না খাওয়ার জন্য কসম খাওয়া।
৩২৪৪. হারুন ইবন আবদিল্লাহ (রহঃ) .... ইউনুস ইবন আবদিল্লাহ ইবন সালাম (রহঃ) থেকে অনু্রূপ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
باب الرَّجُلِ يَحْلِفُ أَنْ لاَ يَتَأَدَّمَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، عَنْ يَزِيدَ الأَعْوَرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، مِثْلَهُ .
A similar tradition has also been transmitted by Yusuf b. 'Abd Allah b. Salam through a different chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ৪৯২. খেজুর সম্পর্কে।
৩৭৮৭. হারূন ইবন আবদিল্লাহ (রহঃ) .... ইউসুফ ইবন আবদিল্লাহ ইবন সালাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি যে, তিনি এক ইকরা যবের রুটি নিয়ে তার উপর খেজুর রেখে বলেন, এ হলো এর (রুটির) তরকারি।
باب فِي التَّمْرِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، عَنْ يَزِيدَ الأَعْوَرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلاَمٍ، قَالَ رَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَخَذَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ فَوَضَعَ عَلَيْهَا تَمْرَةً وَقَالَ " هَذِهِ إِدَامُ هَذِهِ " .
Narrated Yusuf ibn Abdullah ibn Salam:
I saw that the Prophet (ﷺ) took a piece of bread of barley and put a date on it and said: This is the condiment of this.
পরিচ্ছেদঃ দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ
৪২২৩-[৬৫] ইউসুফ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দেখেছি, তিনি এক টুকরা যবের রুটি নিয়ে তার উপরে খেজুর রেখে বললেনঃ এটা (খেজুর) এর (রুটির) তরকারী এবং তা খেলেন। (আবূ দাঊদ)[1]
হাদীসটি য‘ঈফ হওয়ার কারণ, এর সনদে আছে ‘‘ইয়াযীদ আল আ‘ওয়ার’’, ইনি হচ্ছেন আবূ ‘উমাইয়াহ্-এর ছেলে। ইনি মাজহূল বা অপরিচিত ব্যক্তি। বিস্তারিত দেখুন- সিলসিলাতুয্ য‘ঈফাহ্ ১০/২৮৪ পৃঃ, হাঃ ৪৭৩৭।
الْفَصْلُ الثَّانِي
وَعَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ الشَّعِيرِ فَوَضَعَ عَلَيْهَا تَمْرَةً فَقَالَ: «هَذِهِ إِدَامُ هَذِهِ» وَأَكَلَ. رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ ‘আল্লামা ত্বীবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ যখন নির্ধারিত খাদ্যটাই হবে খেজুর এবং তাতে যখন তরকারী না থাকে তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এটার জন্য ওটাই উপযুক্ত। অর্থাৎ রুটির জন্য তরকারী হিসেবে খেজুরই উপযুক্ত। (‘আওনুল মা‘বূদ ৬ষ্ঠ খন্ড, হাঃ ৩৮২৬)
পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি তরকারি না খাওয়ার কসম করে
৩২৫৯। ইউসুফ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি দেখি, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রুটির উপর খেজুর রেখে বললেনঃ এটা হচ্ছে এটার তরকারী।[1]
بَابُ الرَّجُلِ يَحْلِفُ أَنْ لَا يَتَأَدَّمَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ الْعَلَاءِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَضَعَ تَمْرَةً عَلَى كِسْرَةٍ، فَقَالَ: هَذِهِ إِدَامُ هَذِهِ
ضعيف، و يأتي بأتم (٣٨٣٠)، الضعيفة (٤٧٣٧)، برقم (٨٢٦)، المشكاة (٤٢٢٣)
Narrated Yusuf ibn Abdullah ibn Salam:
I saw that the Prophet (ﷺ) put a date on a loaf and said: This is a thing eaten with bread (condiments).
পরিচ্ছেদঃ ১০. যে ব্যক্তি তরকারি না খাওয়ার কসম করে
৩২৬০। ইউসুফ ইবনু ’আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) থেকে এ সনদে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণিত।[1]
بَابُ الرَّجُلِ يَحْلِفُ أَنْ لَا يَتَأَدَّمَ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، عَنْ يَزِيدَ الْأَعْوَرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، مِثْلَهُ
A similar tradition has also been transmitted by Yusuf b. 'Abd Allah b. Salam through a different chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ ৪২. খেজুর সম্পর্কে
৩৮৩০। ইউসুফ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখলাম নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক টুকরা যবের রুটি নিয়ে তাতে একটি খেজুর রেখে বললেনঃ এই খেজুর এই রুটির তরকারী।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (৪২২৩)।
بَابٌ فِي التَّمْرِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ أَبِي يَحْيَى، عَنْ يَزِيدَ الْأَعْوَرِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَخَذَ كِسْرَةً مِنْ خُبْزِ شَعِيرٍ فَوَضَعَ عَلَيْهَا تَمْرَةً، وَقَالَ: هَذِهِ إِدَامُ هَذِهِ
ضعيف، المشكاة (٤٢٢٣)
Narrated Yusuf ibn Abdullah ibn Salam:
I saw that the Prophet (ﷺ) took a piece of bread of barley and put a date on it and said: This is the condiment of this.
পরিচ্ছেদঃ ২১. কথা বলার আদব-কায়দা
৪৮৩৭। ইউসুফ ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু সালাম (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আলাপকালে প্রায়ই চোখ তুলে আকাশের দিকে তাকাতেন।[1]
দুর্বলঃ যঈফাহ হা/ ১৭৬৮।
بَابُ الْهَدْيِ فِي الْكَلَامِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ يَحْيَى الْحَرَّانِيُّ، قَالَ: حَدَّثَنِي مُحَمَّدٌ يَعْنِي ابْنَ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ عُتْبَةَ، عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِذَا جَلَسَ يَتَحَدَّثُ يُكْثِرُ، أَنْ يَرْفَعَ طَرْفَهُ إِلَى السَّمَاءِ
ضعيف، الضعيفة (١٧٦٨)
Narrated Abdullah ibn Salam:
When the Messenger of Allah (ﷺ) sat talking (to the people), he would often raise his eyes to the sky.
পরিচ্ছেদঃ কথাবার্তার আদব বাক সংযমের নির্দেশ ও গুরুত্ব
(২৯৩৩) সুফয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমাকে এমন কথা বাত্লে দিন, যা মজবুতভাবে ধরে রাখব।’ তিনি বললেন, ’’তুমি বল, আমার রব আল্লাহ, অতঃপর তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাক।’’ আমি পুনরায় নিবেদন করলাম, ’হে আল্লাহর রসূল! আমার জন্য আপনি কোন্ জিনিসকে সব চাইতে বেশি ভয় করেন?’ তিনি স্বীয় জিহ্বাকে (স্বহস্তে) ধারণপূর্বক বললেন, এটাকে।
وَعَنْ سُفيَانَ بنِ عَبدِ اللهِ قَالَ : قُلْتُ : يَا رَسُوْلَ اللهِ حَدِّثنِي بِأَمْرٍ أَعْتَصِمُ بِهِ قَالَ قلْ : رَبِّيَ اللهُ ثُمَّ اسْتَقِمْ قُلْتُ : يَا رَسُول اللهِ مَا أَخْوَفُ مَا تَخَافُ عَلَيَّ ؟ فَأَخَذَ بِلِسَانِ نَفْسِهِ ثُمَّ قَالَ هٰذَا رواه الترمذي وقَالَ حديث حسن صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১৪) সাধারণ ভাবে নামাযের প্রতি উদ্বুদ্ধকরণ, রুকু, সেজদা এবং বিনয় নম্রতার ফযীলত
৩৯৩. (হাসান) ইউসুফ বিন আবদুস্ সালাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আবু দারদা (রাঃ) যে অসুস্থতায় মৃত্যু বরণ করেন সে সময় আমি তা সুশ্রূষা করার জন্য তাঁর কাছে আগমণ করলে তিনি বলেনঃ ওহে ভ্রাতুষ্পুত্র! কি কাজে তুমি এ শহরে এসেছো? অথবা কোন্ কাজ তোমাকে এখানে নিয়ে এসেছে? তিনি বললেনঃ কোন কাজে নয়; বরং আপনার সাথে আমার পিতা আবদুস্ সালামের যে সম্পর্ক ছিল সে কারণেই আমি আপনার নিকট আগমণ করেছি।
তিনি বললেনঃ মিথ্যা কথা বলার জন্য এটা খুবই খারাপ সময়। আমি রাসুলুল্লাহ (সালাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে একথা বলতে শুনেছিঃ
’’যে ব্যক্তি ওযু করে এবং ওযুকে সুন্দরভাবে সম্পাদন করে। অতঃপর দন্ডায়মান হয়ে দু’রাকাআত অথবা চার রাকাআত (বর্ণনাকারী সাহলের সন্দেহ) নামায আদায় করে, তাতে সুন্দরভাবে যিকির ও দু’আ সমূহ পাঠ করে বিনয়ের সাথে নামায আদায় করে, তারপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তবে তাকে ক্ষমা করা হয়।’’
(ইমাম আহমাদ হাসান সনদে হাদীছটি বর্ণনা করেছেন ২৭৫৪৬)
الترغيب في الصلاة مطلقا وفضل الركوع والسجود والخشوع
(حسن ) وَعَنْ يوسف بن عبد الله بن سَلَامٍ، قَالَ: أَتَيْتُ أَبَا الدَّرْدَاءِ فِي مَرَضِهِ الَّذِي قُبِضَ فِيهِ فَقَالَ لِي: يَا ابْنَ أَخِي مَا أَعْمَلَكَ الى هَذِه الْبَلَدِ - أَوْ مَا جَاءَ بِكَ ؟ قَالَ: قُلْتُ: لَا إِلَّا صِلَةُ مَا كَانَ بَيْنَكَ وَبَيْنَ وَالِدِي عَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَامٍ فَقَالَ: بِئْسَ سَاعَةُ الْكَذِبِ هَذِهِ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ: " مَنْ تَوَضَّأَ فَأَحْسَنَ وُضُوءَهُ ثُمَّ قَامَ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ، أَوْ أَرْبَعًا - يشكَّ سَهْلٌ - يُحْسِنُ فِيهِمَا الذِّكْرَ ، وَالْخُشُوعَ ثُمَّ يسْتَغْفِرُ اللهَ غَفَرَ لَهُ ". رواه أحمد بإسناد حسن