পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৩৬। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমাদের কাউকে যদি ওয়ালীমার দা’ওয়াত দেয়া হয়, তবে সে যেন তাতে অংশগ্রহণ করে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: إِذَا دُعِيَ أَحَدُكُمْ إِلَى الْوَلِيمَةِ فَلْيَأْتِهَا
صحيح
‘Abd Allah b. ‘Umar reported the Prophet(ﷺ) as sayings:
when one of you is invited for a wedding feast, he must attend it.
পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৩৭। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ .. পূর্বের হাদীসের অনুরূপ। এতে রয়েছেঃ সে যদি সওম পালনরত না হলে যেন খায়, আর সওম পালনকারী হলে যেন (দা’ওয়াত দাতার জন্য) দু’আ করে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا مَخْلَدُ بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: بِمَعْنَاهُ زَادَ فَإِنْ كَانَ مُفْطِرًا فَلْيَطْعَمْ، وَإِنْ كَانَ صَائِمًا فَلْيَدْعُ
صحيح
The tradition mentioned above has also been transmitted by Ibn ‘Umar to the same effect through a different chain of narrators. This version has the additional words:
If he is not fasting, he should eat, and if he is fasting, he should leave it.
পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৩৮। ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেউ তার ভাইয়ের দা’ওয়াত দিলে সে যেন তা কবূল করে। তা বিবাহ অনুষ্ঠান বা প্রীতিভোজ যাই হউক না কেন।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا مَعْمَرٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: إِذَا دَعَا أَحَدُكُمْ أَخَاهُ فَلْيُجِبْ عُرْسًا كَانَ أَوْ نَحْوَهُ
صحيح
Ibn ‘Umar reported the Messenger of Allah(ﷺ) as saying:
if one of you invites his brother, he should accept(the invitation), whether it is a wedding feast or something of that nature.
পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৩৯। নাফি’ (রহঃ) সূত্রে আইয়ূবের সনদে অনুরূপ অর্থের হাদীস বর্ণিত।
আমি এটি সহীহ এবং যঈফেও পাইনি।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُصَفَّى، حَدَّثَنَا بَقِيَّةُ، حَدَّثَنَا الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ نَافِعٍ، بِإِسْنَادِ أَيُّوبَ وَمَعْنَاهُ
لم أجد في الصحيح و لا في الضعيف
The tradition mentioned above has also been transmitted by Nafi’ to the same effect through the chain of narrators as mentioned in Ayyub.
পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৪০। জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাকে দা’ওয়াত দেয়া হয়, সে যেন তাতে সাড়া দেয়, অতঃপর ইচ্ছা হলে খাবে, নতুবা বিরত থাকবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ دُعِيَ فَلْيُجِبْ، فَإِنْ شَاءَ طَعِمَ، وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ
صحيح
Jabir reported the Messenger of Allah(ﷺ) as sayings:
when one of you is invited to a meal, he must accept. If he wishes he may eat, but if he wishes(to leave), he may leave.
পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৪১। আব্দুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাকে দা’ওয়াত দেয়ার পরও সে তা কবূল করলো না, সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করলো। আর যে ব্যক্তি দা’ওয়াত ছাড়াই উপস্থিত হলো, সে চোর হয়ে ঢুকলো এবং লুটেরা হয়ে বের হলো।[1]
দুর্বলঃ ইরওয়াহ (১৯৫৪), মিশকাত (৩২২২)।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا دُرُسْتُ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ أَبَانَ بْنِ طَارِقٍ، عَنْ نَافِعٍ، قَالَ: قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ دُعِيَ فَلَمْ يُجِبْ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ، وَمَنْ دَخَلَ عَلَى غَيْرِ دَعْوَةٍ دَخَلَ سَارِقًا وَخَرَجَ مُغِيرًا قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَبَانُ بْنُ طَارِقٍ مَجْهُولٌ
ضعيف، الإرواء (١٩٥٤)، المشكاة (٣٢٢٢)
Narrated Abdullah ibn Umar:
The Prophet (ﷺ) said: He who does not accept an invitation which he receives has disobeyed Allah and His Apostle, and he who enters without invitation enters as a thief and goes out as a raider.
Abu Dawud said: Aban bin Tariq is unknown.
পরিচ্ছেদঃ ১. দা‘ওয়াত কবুল করা
৩৭৪২। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলতেন, নিকৃষ্টতম খাদ্য হলো ঐ বিবাহ অনুষ্ঠানের খাদ্য, যেখানে শুধু ধনীদের দা’ওয়াত দেয়া হয় এবং গরীবদের উপেক্ষা করা হয়। যে ব্যক্তি দা’ওয়াত প্রত্যাখ্যান করে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নাফরমানী করে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنِ الْأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّهُ كَانَ يَقُولُ: شَرُّ الطَّعَامِ طَعَامُ الْوَلِيمَةِ، يُدْعَى لَهَا الْأَغْنِيَاءُ وَيُتْرَكُ الْمَسَاكِينُ، وَمَنْ لَمْ يَأْتِ الدَّعْوَةَ فَقَدْ عَصَى اللَّهَ وَرَسُولَهُ
صحيح
Abu Hurairah said:
The worst kind of food is that at a wedding feast to which the rich are invited and from which the poor are left out. If anyone does not attend the feast to which he was invited, he has disobeyed Allah and His Apostle (may peace upon him).
পরিচ্ছেদঃ ২. বিয়ের ওয়ালীমা অনুষ্ঠান করা উত্তম
৩৭৪৩। সাবিত (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, যাইনাব বিনতু জাহশের বিবাহের ঘটনা আনাস ইবনু মালিক (রাঃ)-এর নিকট আলাপ করা হলে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যাইনাবের বিয়েতে যেভাবে ওয়ালীমা অনুষ্ঠান করেছেন অন্য কোনো স্ত্রীর বেলায় তাঁকে তদ্রূপ করতে দেখেনি। তিনি একটি বকরী দিয়ে বিবাহ ভোজনের ব্যবস্থা করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اسْتِحْبَابِ الْوَلِيمَةِ عِنْدَ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ ثَابِتٍ، قَالَ: ذُكِرَ تَزْوِيجُ زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ عِنْدَ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ: مَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْلَمَ عَلَى أَحَدٍ مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَيْهَا أَوْلَمَ بِشَاةٍ
صحيح
Thabit said:
The marriage of Zainab daughter of Jahsh was mentioned before Anas b. Malik. He said: I did not see that the Messenger of Allah (ﷺ) held such a wedding feast for any of his wives as he did for her. He held a wedding feast with a sheep.
পরিচ্ছেদঃ ২. বিয়ের ওয়ালীমা অনুষ্ঠান করা উত্তম
৩৭৪৪। আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সাফিয়্যাহ (রাঃ)-এর বিবাহে খেজুর ও ছাতু দিয়ে ওয়ালিমা করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي اسْتِحْبَابِ الْوَلِيمَةِ عِنْدَ النِّكَاحِ
حَدَّثَنَا حَامِدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا وَائِلُ بْنُ دَاوُدَ، عَنْ ابْنِهِ، بَكْرِ بْنِ وَائِلٍ، عَنِ الزَّهْرِيِّ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَوْلَمَ عَلَى صَفِيَّةَ بِسَوِيقٍ، وَتَمْرٍ
صحيح
Narrated Anas ibn Malik:
The Prophet (ﷺ) held a wedding feast for Safiyyah with meal and dates.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওয়ালীমা কয়দিন আয়োজন করা যাবে
৩৭৪৫। আব্দুল্লাহ ইবনু উসমান আস সাকাফী (রহঃ) থেকে তার গোত্রের এক অন্ধ ব্যক্তির সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ ওয়ালীমা অনুষ্ঠান বিবাহের প্রথম দিনে করা জরূরী, দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান উত্তম এবং তৃতীয় দিনের অনুষ্ঠান লোক শুনানো ও লোক দেখানোর জন্য। কাতাদাহ (রহঃ) বলেন, আমাকে এক ব্যক্তি বলেছেন, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ)-কে ওয়ালীমাতে প্রথম দিন দা’ওয়াত দেয়া হলে তিনি সাড়া দিলেন, দ্বিতীয় দিন দা’ওয়াত দেয়া হলেও কবূল করলেন এবং তৃতীয় দিন দা’ওয়াত দেয়া হলে তিনি দা’ওয়াত কবূল করলেন না। তিনি বললেন, এ সব লোক মানুষকে দেখানোর জন্য এবং শুনানোর জন্য এসব করে থাকে।[1]
দুর্বলঃ ইরওয়া (১৯৫০)
بَابٌ فِي كَمْ تُسْتَحَبُّ الْوَلِيمَةُ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامٌ، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنِ الْحَسَنِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُثْمَانَ الثَّقَفِيِّ، عَنْ - رَجُلٍ أَعْوَرَ مِنْ ثَقِيفٍ كَانَ يُقَالُ لَهُ مَعْرُوفًا أَيْ يُثْنَى عَلَيْهِ خَيْرًا إِنْ لَمْ يَكُنِ اسْمُهُ - زُهَيْرُ بْنُ عُثْمَانَ فَلَا أَدْرِي مَا اسْمُهُ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الْوَلِيمَةُ أَوَّلَ يَوْمٍ حَقٌّ، وَالثَّانِيَ مَعْرُوفٌ، وَالْيَوْمَ الثَّالِثَ سُمْعَةٌ وَرِيَاءٌ قَالَ قَتَادَةُ: وَحَدَّثَنِي رَجُلٌ أَنَّ سَعِيدَ بْنَ الْمُسَيِّبِ دُعِيَ أَوَّلَ يَوْمٍ فَأَجَابَ، وَدُعِيَ الْيَوْمَ الثَّانِيَ فَأَجَابَ، وَدُعِيَ الْيَوْمَ الثَّالِثَ فَلَمْ يُجِبْ، وَقَالَ: أَهْلُ سُمْعَةٍ وَرِيَاءٍ
ضعيف، الإرواء (١٩٥٠)
Narrated Zubayr ibn Uthman:
The Prophet (ﷺ) said: The wedding feast on the first day is a duty, that on the second is a good practice, but that on the third day is to make men hear of it and show it to them. Qatadah said: A man told me that Sa'id ibn al-Musayyab was invited (to a wedding feast on the first day and he accepted it. He was again invited on the second day, and he accepted. When he was invited on the third day, he did not accept; he said: They are the people who make men hear of it and show it to them.
পরিচ্ছেদঃ ৩. ওয়ালীমা কয়দিন আয়োজন করা যাবে
৩৭৪৬। সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যাব (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। কাতাদাহ উল্লেখিত ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, তৃতীয় দিনে দা’ওয়াত করা হলো, কিন্তু তিনি তা কবূল করেননি এবং যে লোক তাকে দা’ওয়াত দিতে এসেছিল তিনি তার দিকে ঢিল ছুড়ে মারেন।[1]
দুর্বল।
بَابٌ فِي كَمْ تُسْتَحَبُّ الْوَلِيمَةُ
حَدَّثَنَا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ بِهَذِهِ الْقِصَّةِ قَالَ فَدُعِيَ الْيَوْمَ الثَّالِثَ فَلَمْ يُجِبْ، وَحَصَبَ الرَّسُولَ
ضعيف
Qatadah reported this story from Sa’id b. al-Musayyab. This version adds:
When he was invited on the third day, he did not accept but threw pebbles on the messenger.
পরিচ্ছেদঃ ৪. সফর থেকে ফিরে এসে আহারের আয়োজন
৩৭৪৭। জাবির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (তাবূকের সফর থেকে) মদীনায় ফিরে এসে একটি উট অথবা গরু যাবাহ করলেন।[1]
সনদ সহীহ।
بَابُ الْإِطْعَامِ عِنْدَ الْقُدُومِ مِنَ السَّفَرِ
حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ: لَمَّا قَدِمَ النَّبِيُّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الْمَدِينَةَ، نَحَرَ جَزُورًا أَوْ بَقَرَةً
صحيح الإسناد
Narrated Jabir ibn Abdullah:
When the Prophet (ﷺ) returned to Medina, he would slaughter a camel or a cow.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৪৮। আবূ শুরাইহ আল কা’বি (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে সে যেন তার মেহমানকে সম্মান করে। উত্তমরূপে মেহমানদারীর সীমা একদিন এক রাত। মেহমানদারী তিনদিন। এরপর অতিরিক্ত দিনগুলোর মেহমানদারী সাদাকাহ হিসেবে গণ্য। তিনদিন পর আপ্যায়নকারীর বাড়ীতে তার বিনা অনুমতিতে মেহমানদের অবস্থান করা উচিত নয়। এতে সে বিরক্ত হতে পারে।
মালিক (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হলো, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ’জাইযাহ’ একদিন ও এক রাত- এর অর্থ কি? তিনি বলেন, কথাটির অর্থ হলো, মেহমানকে সম্মান প্রদর্শন, উপহার প্রদান ও তার নিরাপত্তা বিধান করা একদিন ও এক রাত। আর আতিথ্য প্রদান হচ্ছে তিনদিন।[1]
আবূ সুরাইহ বর্ণিত হাদীসটি সহীহ। মালিক ইবনু আনাসের বর্ণিত সনদ সহীহ মাকতূ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سَعِيدٍ الْمَقْبُرِيِّ، عَنْ أَبِي شُرَيْحٍ الْكَعْبِيِّ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: مَنْ كَانَ يُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ فَلْيُكْرِمْ ضَيْفَهُ، جَائِزَتُهُ يَوْمُهُ وَلَيْلَتُهُ، الضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ وَمَا بَعْدَ ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ، وَلَا يَحِلُّ لَهُ أَنْ يَثْوِيَ عِنْدَهُ حَتَّى يُحْرِجَهُ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: قُرِئَ عَلَى الْحَارِثِ بْنِ مِسْكِينٍ وَأَنَا شَاهِدٌ أَخْبَرَكُمْ أَشْهَبُ قَالَ: وَسُئِلَ مَالِكٌ عَنْ قَوْلِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ جَائِزَتُهُ يَوْمٌ وَلَيْلَةٌ قَالَ: يُكْرِمُهُ وَيُتْحِفُهُ، وَيَحْفَظُهُ، يَوْمًا وَلَيْلَةً، وَثَلَاثَةَ أَيَّامٍ ضِيَافَةً
(حديث أبي شريح) صحيح، (ما روي عن مالك بن أنس) صحيح الإسناد مقطوع
Abu Shuraih al-Ka’bi reported the Messenger of Allah(ﷺ) as sayings:
He who believes in Allah and the Last Day should honour his guest provisions for the road are what will serve for a day and night: hospitality extends for three days; what goes after that is sadaqah(charity): and it is not allowable that a guest should stay till he makes himself an encumbrance.
Abu Dawud said: Malik was asked about the saying of the Prophet: "Provisions for the road what will serve for a day a night." He said: He should honor him, present him some gift, and protect him for a day and night, and hospitality for three days.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৪৯। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মেহমানদারীর সীমা তিনদিন। এর অতিরিক্ত দিনের আতিথ্য প্রদান সাদাকাহ হিসেবে গণ্য।[1]
সনদ হাসান সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: الضِّيَافَةُ ثَلَاثَةُ أَيَّامٍ، فَمَا سِوَى ذَلِكَ فَهُوَ صَدَقَةٌ
حسن صحيح الإسناد
Narrated AbuHurayrah:
The Prophet (ﷺ) said: Hospitality extend for three days, and what goes beyond that is sadaqah (charity).
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৫০। আবূ কারীম (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ এক রাত মেহমানদারী করা মুসলিমের কর্তব্য। যার আঙ্গিনায় মেহমান নামে, একদিন মেহমানদারী করা তার উপর ঋণ পরিশোধের সমান। সে ইচ্ছা করলে তার এ ঋণ ত্যাগ পরিশোধ করবে বা ত্যাগ করবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، وَخَلَفُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَا: حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ مَنْصُورٍ، عَنْ عَامِرٍ، عَنْ أَبِي كَرِيمَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: لَيْلَةُ الضَّيْفِ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ، فَمَنْ أَصْبَحَ بِفِنَائِهِ فَهُوَ عَلَيْهِ دَيْنٌ، إِنْ شَاءَ اقْتَضَى وَإِنْ شَاءَ تَرَكَ
صحيح
Narrated AbuKarimah:
The Prophet (ﷺ) said: It is a duty of every Muslim (to provide hospitality) to a guest for a night. If anyone comes in the morning to his house, it is a debt due to him. If he wishes, he may fulfil it, and if he wishes he may leave it.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৫১। আল মিকদাম আবূ কারিমাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কোনো ব্যক্তি কোনো সম্প্রদায়ের নিকট মেহমান হয়ে এলো, (অথচ) বঞ্চিত অবস্থায় তার সকাল হলো, তাকে সাহায্য করা প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য। তাদের খাদ্য ও মাল থেকে সে তার রাতের মেহমানদারীর পরিমাণ আদায় করে নিতে পারে।[1]
দুর্বলঃ মিশকাত (৪২৪৭)।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنِي أَبُو الْجُودِيِّ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي الْمُهَاجِرِ، عَنِ الْمِقْدَامِ أَبِي كَرِيمَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: أَيُّمَا رَجُلٍ أَضَافَ قَوْمًا، فَأَصْبَحَ الضَّيْفُ مَحْرُومًا، فَإِنَّ نَصْرَهُ حَقٌّ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ، حَتَّى يَأْخُذَ بِقِرَى لَيْلَةٍ مِنْ زَرْعِهِ وَمَالِهِ
ضعيف، المشكاة (٤٢٤٧)
Narrated Al-Miqdam AbuKarimah:
The Prophet (ﷺ) said: If any Muslim is a guest of people and is given nothing, it is the duty of every Muslim to help him to the extent of taking for him from their crop and property for the entertainment of one night.
পরিচ্ছেদঃ ৫. মেহমানদারী সম্পর্কে
৩৭৫২। উকবাহ ইবনু আমির (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি আমাদেরকে বাইরে প্রেরণ করে থাকেন। আমরা কোনো জনপদে গিয়ে যাত্রা বিরতি করি। তারা আমাদের মেহমানদারী করে না। এ বিষয়ে আপনি কি বলেন? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বললেনঃ তোমরা যদি কোনো সম্প্রদায়ের নিকট অবতরণ করার পর তারা নিজেদের সামর্থ্য মোতাবেক তোমাদের আপ্যায়ন করে তবে তোমরা তা গ্রহণ করো। যদি তারা তা না করে, তবে তাদের কাছ থেকে তাদের সামর্থ্যের দিকে লক্ষ্য রেখে মেহমানের অধিকার আদায় করবে।[1]
সহীহ।
بَابُ مَا جَاءَ فِي الضِّيَافَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَبِي الْخَيْرِ، عَنْ عُقْبَةَ بْنِ عَامِرٍ، أَنَّهُ قَالَ: قُلْنَا يَا رَسُولَ اللَّهِ، إِنَّكَ تَبْعَثُنَا فَنَنْزِلُ بِقَوْمٍ فَمَا يَقْرُونَنَا، فَمَا تَرَى؟ فَقَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ نَزَلْتُمْ بِقَوْمٍ فَأَمَرُوا لَكُمْ بِمَا يَنْبَغِي لِلضَّيْفِ فَاقْبَلُوا، فَإِنْ لَمْ يَفْعَلُوا فَخُذُوا مِنْهُمْ حَقَّ الضَّيْفِ الَّذِي يَنْبَغِي لَهُمْ قَالَ أَبُو دَاوُدَ: وَهَذِهِ حُجَّةٌ لِلرَّجُلِ يَأْخُذُ الشَّيْءَ إِذَا كَانَ لَهُ حَقًّا
صحيح
‘Uqbah b. ‘Amir said:
we said: Messenger of Allah! You send us out and we come to people who do not give hospitality, so what is your opinion? The Messenger of Allah(ﷺ) said: If you come to people who order for you what is fitting for a guest, accept it; but if they do not, take from them what is fitting for them to give to a guest.
Abu Dawud said: And this is an authority for a man to take a thing if it is due to him.
পরিচ্ছেদঃ ৬. অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ রহিত হওয়া সম্পর্কে
৩৭৫৩। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। মহান আল্লাহর বাণীঃ ’’হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অন্যের সম্পদ অন্যায়ভাবে ভোগ করো না। তবে ব্যবসায়ে লেনদেন পরস্পরের সন্তোষের ভিত্তিতে হওয়া আবশ্যক...।’’ (সূরা আন-নিসাঃ ২৯) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর লোকেরা অন্য কারো বাড়ীতে আতিথ্য গ্রহণ করা অন্যায় ভাবলো। অতঃপর সূরা আন-নূরের মাধ্যমে উপরের আয়াতের হুকুম রহিত করা হলো। মহান আল্লাহ বলেনঃ ’’এতে কোনো দোষ নেই যে, কোনো ব্যক্তি নিজেদের ঘর থেকে খাবে... আলাদা আলাদাভাবে খাও।’’ (সূরা আন-নূরঃ ৬১) পর্যন্ত।
এ আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পূর্বে অবস্থা এরূপ ছিলো যে, কোনো ধনী লোক কাউকে খাওয়া দা’ওয়াত দিলে সে বলতো, আমি এর থেকে খাওয়া অন্যায় মনে করি। التَّجَنُّحُ অর্থ আপত্তি। সে আরো বলতো, এ খাদ্যে আমার চেয়ে দরিদ্ররাই অধিক হকদার। এর প্রেক্ষিতে অন্য মুসলিমের বাড়ীতে খাবার গ্রহণ বৈধ করা হয়, যার উপর আল্লাহর নাম নেয়া হয়েছে। আহলে কিতাবদের খাদ্য দ্রব্য হালাল করা হয়েছে।[1]
সনদ হাসান।
بَابُ نَسْخِ الضَّيْفِ يَأْكُلُ مَنْ مَالِ غَيْرِهِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْمَرْوَزِيُّ، حَدَّثَنِي عَلِيُّ بْنُ الْحُسَيْنِ بْنِ وَاقِدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ النَّحْوِيِّ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: (لَا تَأْكُلُوا أَمْوَالَكُمْ بَيْنَكُمْ بِالْبَاطِلِ إِلَّا أَنْ تَكُونَ تِجَارَةً عَنْ تَرَاضٍ مِنْكُمْ) [النساء: ٢٩] " فَكَانَ الرَّجُلُ يَحْرَجُ أَنْ يَأْكُلَ عِنْدَ أَحَدٍ مِنَ النَّاسِ بَعْدَ مَا نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ، فَنَسَخَ ذَلِكَ الْآيَةُ الَّتِي فِي النُّورِ، قَالَ: لَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ (أَنْ تَأْكُلُوا مِنْ بُيُوتِكُمْ) [النور: ٦١] إِلَى قَوْلِهِ (أَشْتَاتًا) [النور: ٦١] كَانَ الرَّجُلُ الْغَنِيُّ يَدْعُو الرَّجُلَ مِنْ أَهْلِهِ إِلَى الطَّعَامِ، قَالَ: إِنِّي لَأَجَّنَّحُ أَنْ آكُلَ مِنْهُ، وَالتَّجَنُّحُ: الْحَرَجُ، وَيَقُولُ: الْمِسْكِينُ أَحَقُّ بِهِ مِنِّي، فَأُحِلَّ فِي ذَلِكَ أَنْ يَأْكُلُوا مِمَّا ذُكِرَ اسْمُ اللَّهِ عَلَيْهِ، وَأُحِلَّ طَعَامُ أَهْلِ الْكِتَابِ
حسن الإسناد
Narrated Abdullah Ibn Abbas:
When the verse: "O ye who believe! eat not up your property among yourselves in vanities, but let there be amongst you traffic and trade by mutual good will" was revealed, a man thought it a sin to eat in the house of another man after the revelation of this verse.
Then this (injunction) was revealed by the verse in Surat an-Nur: "No blame on you whether you eat in company or separately."
When a rich man (after revelation) invited a man from his people to eat food in his house, he would say: I consider it a sin to eat from it, and he said: a poor man is more entitled to it than I. The Arabic word tajannah means sin or fault. It was then declared lawful to eat something on which the name of Allah was mentioned, and it was made lawful to eat the flesh of an animal slaughtered by the people of the Book.
পরিচ্ছেদঃ ৭. দু’ প্রতিযোগীর দাওয়াতে অংশগ্রহণ না করা সম্পর্কে
৩৭৫৪। ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’ প্রতিদ্বন্দ্বি অহংকারীর খাদ্য গ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।[1]
সহীহ।
بَابٌ فِي طَعَامِ الْمُتَبَارِيَيْنِ
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ زَيْدِ بْنِ أَبِي الزَّرْقَاءِ، حَدَّثَنَا أَبِي، حَدَّثَنَا جَرِيرُ بْنُ حَازِمٍ، عَنِ الزُّبَيْرِ بْنِ الْخِرِّيتِ، قَالَ: سَمِعْتُ عِكْرِمَةَ، يَقُولُ كَانَ ابْنُ عَبَّاسٍ يَقُولُ: إِنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى عَنْ طَعَامِ الْمُتَبَارِيَيْنِ أَنْ يُؤْكَلَ، قَالَ أَبُو دَاوُدَ: أَكْثَرُ مَنْ رَوَاهُ عَنْ جَرِيرٍ لَا يَذْكُرُ فِيهِ ابْنَ عَبَّاسٍ، وَهَارُونُ النَّحْوِيُّ، ذَكَرَ فِيهِ ابْنَ عَبَّاسٍ، أَيْضًا وَحَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، لَمْ يَذْكُرْ ابْنَ عَبَّاسٍ
صحيح
Narrated Abdullah ibn Abbas:
The Prophet (ﷺ) forbade that the food of two people who were rivalling on another should be eaten
Abu Dawud said: Most of those who narrated it from Jarir did not mention the name of Ibn Abbas. Harun al-Nahwi mentioned Ibn 'Abbas in it, and Hammad bin Zaid did not mention Ibn 'Abbas.
পরিচ্ছেদঃ ৮. মেহমান অবাঞ্ছিত কিছু দেখলে
৩৭৫৫। সাফীনাহ আবূ আব্দুর রাহমান (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। একদা একটি লোক আলী ইবনু আবূ তালিব (রাঃ)-কে দা’ওয়াত করে তার জন্য খাদ্য তৈরী করে (বাড়িয়ে) দিয়ে গেলো। ফাতিমাহ (রাঃ) বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে ডাকলে তিনি আমাদের সঙ্গে আহার করতেন। আলী (রাঃ) তাঁকে দা’ওয়াত দিলেন এবং তিনি এসে দরজায় চৌকাঠের উপর নিজের হাত রাখলেন।
তিনি একটি রঙ্গিন পর্দা ঘরের একদিকে টানিয়ে রাখা দেখতে পেয়ে ঘরে প্রবেশ না করে ফিরে গেলেন। ফাতিমাহ (রাঃ) আলী (রাঃ)-কে বললেন, গিয়ে দেখুন, তিনি কেন ফিরে যাচ্ছেন? সুতরাং আমি তাঁর অনুসরণ করলাম, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! কিসে আপনাকে ফিরে আসতে বাধ্য করল? তিনি বললেনঃ আমার জন্য বা কোনো নবীর জন্য কারুকার্য খচিত সজ্জিত ঘরে প্রবেশ করা সমীচীন নয়।[1]
হাসান।
بَابُ إِجَابَةِ الدَّعْوَةِ إِذَا حَضَرَهَا مَكْرُوهٌ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، أَخْبَرَنَا حَمَّادٌ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُمْهَانَ، عَنْ سَفِينَةَ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ: أَنَّ رَجُلًا، أَضَافَ عَلِيَّ بْنَ أَبِي طَالِبٍ فَصَنَعَ لَهُ طَعَامًا فَقَالَتْ: فَاطِمَةُ لَوْ دَعَوْنَا رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَأَكَلَ مَعَنَا فَدَعُوهُ فَجَاءَ فَوَضَعَ يَدَهُ عَلَى عِضَادَتَيِ الْبَابِ فَرَأَى الْقِرَامَ قَدْ ضُرِبَ بِهِ فِي نَاحِيَةِ الْبَيْتِ فَرَجَعَ فَقَالَتْ فَاطِمَةُ: لِعَلِيٍّ الْحَقْهُ فَانْظُرْ مَا رَجَعَهُ فَتَبِعْتُهُ فَقُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا رَدَّكَ فَقَالَ: إِنَّهُ لَيْسَ لِي أَوْ لِنَبِيٍّ أَنْ يَدْخُلَ بَيْتًا مُزَوَّقًا
حسن
Narrated Ali ibn AbuTalib:
Safinah AbuAbdurRahman said that a man prepared food for Ali ibn AbuTalib who was his guest, and Fatimah said: I wish we had invited the Messenger of Allah (ﷺ) and he had eaten with us. They invited him, and when he came he put his hands on the side-ports of the door, but when he saw the figured curtain which had been put at the end of the house, he went away. So Fatimah said to Ali: Follow him and see what turned him back. I (Ali) followed him and asked: What turned you back, Messenger of Allah? He replied: It is not fitting for me or for any Prophet to enter a house which is decorated.