পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬২(১). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি কখনও পাক হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? আয়েশা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ নিশ্চয়ই এটা একটা শিরার রক্ত, হায়েয নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হবে তখন নামায ছেড়ে দিবে। যখন হায়েযের মেয়াদ পরিমাণ সময় শেষ হবে, তখন তোমার শরীর থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলবে (গোসল করবে) এবং নামায পড়বে (বুখারী, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ)।
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْمَدَنِيُّ ، ثَنَا مَالِكٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ النَّيْسَابُورِيُّ ، ثَنَا يُونُسُ بْنُ عَبْدِ الْأَعْلَى ، نَا ابْنُ وَهْبٍ ؛ أَنَّ مَالِكًا أَخْبَرَهُ ، ح : وَحَدَّثَنَا أَبُو رَوْقٍ أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ بَكْرٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ خَلَّادٍ ، ثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى ، ثَنَا مَالِكٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الصَّمَدِ بْنِ الْمُهْتَدِي ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَدْرٍ ، قَالَا : نَا بَكْرُ بْنُ سَهْلٍ ، نَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ ، أَنَا مَالِكٌ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ ، عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّهَا قَالَتْ : قَالَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ لِرَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي لَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ قَالَتْ : فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضَةِ ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَاتْرُكِي الصَّلَاةَ ، فَإِذَا ذَهَبَ قَدْرُهَا فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৩(২). ইয়াহইয়া ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে সায়েদ (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি একজন ইস্তিহাযার (রক্তপ্রদরের) রোগিনী, কখনও পাক হই না। আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেনঃ না, এটা একটা শিরারই রক্ত, হায়েয নয়। যখন তোমার হায়েয শুরু হবে তখন নামায ছেড়ে দিবে। যখন হায়েযের সময়সীমা শেষ হবে তখন তোমার শরীর থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলবে, তারপর গোসল করবে। এটা আবু মুআবিয়া কর্তৃক বর্ণিত হাদীস।
ইয়াহইয়া ও আবু উসামা (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে, আমি কি নামায ছেড়ে দিবো? তিনি বলেন, এটা হায়েয নয়, এটা একটা শিরারই রক্ত। যখন তোমার হায়েয শুরু হবে তখন তুমি নামায ছেড়ে দিবে। যখন হায়েযের সময়সীমা শেষ হবে তখন তুমি গোসল করবে এবং নামায পড়বে। ইয়াহ্ইয়া (রহঃ)-এর বর্ণনায় আছে, হায়েযের সময়সীমা শেষ হলে তোমার শরীর থেকে রক্ত ধুয়ে ফেলবে এবং নামায পড়বে। আবু মুআবিয়া আরো বর্ণনা করেন, হিশাম (রহঃ) বলেছেন, আমার পিতা বলেছেন, তুমি (হায়েযের মুদ্দত শেষ হওয়ার পর) প্রত্যেক নামাযের জন্য উযু করবে পরবর্তী (হায়েযের) মেয়াদ শুরু না হওয়া পর্যন্ত।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ صَاعِدٍ ، نَا عَمْرُو بْنُ عَلِيٍّ ، وَيَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، قَالَا : نَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ ، نَا أَبُو مُعَاوِيَةَ ، ح : وَحَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا ابْنُ كَرَامَةَ ، نَا أَبُو أُسَامَةَ ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ ، عَنْ أَبِيهِ - وَقَالَ يَحْيَى : أَخْبَرَنِي أَبِي - عَنْ عَائِشَةَ ، قَالَتْ : جَاءَتْ فَاطِمَةُ بِنْتُ أَبِي حُبَيْشٍ إِلَى النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَقَالَتْ : يَا رَسُولَ اللَّهِ ، إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ ، أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ قَالَ : " لَا إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَ بِالْحَيْضِ ، فَإِذَا أَقْبَلَتْ حَيْضَتُكِ فَدَعِي الصَّلَاةَ ، فَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ اغْتَسِلِي " . هَذَا حَدِيثُ أَبِي مُعَاوِيَةَ . وَقَالَ يَحْيَى ، وَأَبُو أُسَامَةَ : " أَفَأَدَعُ الصَّلَاةَ ؟ " قَالَ : " لَيْسَ ذَلِكَ بِالْحَيْضِ ، إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ ، فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلَاةَ ، فَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْتَسِلِي وَصَلِّي " . وَقَالَ يَحْيَى : " وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ وَصَلِّي " . زَادَ أَبُو مُعَاوِيَةَ : قَالَ هِشَامٌ : قَالَ أَبِي : " ثُمَّ تَوَضَّئِي لِكُلِّ صَلَاةٍ حَتَّى يَجِيءَ ذَلِكَ الْوَقْتُ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৪(৩). আলী ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) থেকেবর্ণিত। তিনি ইস্তিহাযার রোগিনী ছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, হায়েযের রক্ত কালো, যা চেনা যায়। তোমার হায়েয শুরু হলে তুমি নামায ছেড়ে দিবে। আর যখন দ্বিতীয়টা (রক্তস্রাব) শুরু হবে তখন উযু করে নামায পড়বে। এটা একটা শিরা থেকে নির্গত রক্ত।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُبَشِّرٍ ، نَا أَبُو مُوسَى مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى ، نَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ، قَالَ : حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ : أَنَّهَا كَانَتْ تُسْتَحَاضُ ، فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِذَا كَانَ دَمُ الْحَيْضِ ، فَإِنَّهُ دَمٌ أَسْوَدُ يُعْرَفُ ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلَاةِ ، وَإِذَا كَانَ الْآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي فَإِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৫(৪). ইবনে মুবাশশির (রহঃ) ... আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) রক্তপ্রদরে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মাসিক ঋতুর রক্ত কালো, যা দেখলে বুঝা যায়। যখন কালো রঙ্গের রক্তক্ষরণ হবে তখন তুমি নামায ছেড়ে দিবে। আর যখন অন্য রঙ্গের রক্তক্ষরণ হবে তখন তুমি উযু করে নামায পড়বে।
حَدَّثَنَا ابْنُ مُبَشِّرٍ ، ثَنَا أَبُو مُوسَى ، ثَنَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ بِهَذَا - إِمْلَاءً مِنْ كِتَابِهِ - ثُمَّ حَدَّثَنَا بِهِ بَعْدُ حِفْظًا ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ ، قَالَتْ : فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِنَّ دَمَ الْحَيْضِ أَسْوَدُ يُعْرَفُ ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلَاةِ ، وَإِذَا كَانَ الْآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৬(৫). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রক্তপ্রদরে আক্রান্ত ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, মাসিক ঋতুর রক্ত কালো যা দেখলে বুঝা যায়। যখন তোমার কালো রঙ্গের রক্তক্ষরণ হতে থাকবে তখন তুমি নামায ছেড়ে দিবে এবং যখন অন্য রঙ্গের রক্তক্ষরণ হবে তখন উযু করবে, নামায পড়বে। এটা একটা শিরাবাহিত রক্ত।
আবু মূসা (রহঃ) বলেন, এই হাদীস ইবনে আবু আদী (রহঃ) নিজের মূল কিতাব থেকে পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন এবং এটা তার স্মৃতি থেকেও বর্ণনা করেছেন- মুহাম্মাদ ইবনে আমর-ইবনে শিহাব আয-যুহরী-উরওয়া-আয়েশা (রাঃ) সূত্রে। ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) ... পূর্বোক্ত হাদীসের অনুরূপ। তাতে আছে- যখন অন্য রঙ্গের রক্তক্ষরণ হবে তখন তুমি উযু করবে এবং নামায পড়বে।
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، ثَنَا أَبُو مُوسَى - قِرَاءَةً عَلَيْهِ - نَا ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ، حَدَّثَنِي ابْنُ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ ؛ أَنَّهَا كَانَتْ تُسْتَحَاضُ ، فَقَالَ لَهَا رَسُولُ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِذَا كَانَ دَمُ الْحَيْضِ ، فَإِنَّهُ دَمٌ أَسْوَدُ يُعْرَفُ ، فَإِذَا كَانَ ذَلِكَ فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلَاةِ ، وَإِذَا كَانَ الْآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي ، فَإِنَّمَا هُوَ عِرْقٌ " . قَالَ أَبُو مُوسَى : هَكَذَا حَدَّثَنَاهُ ابْنُ أَبِي عَدِيٍّ مِنْ كِتَابِهِ ، وَحَدَّثَنَا بِهِ حِفْظًا : ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيِّ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ .... فَذَكَرَ مِثْلَهُ ، وَقَالَ : " فَإِذَا كَانَ الْآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৭(৬). আবু সাহল ইবনে যিয়াদ (রহঃ) ... ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি ইস্তেহাযার রোগিনী ছিলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, যখন মাসিক ঋতুর কালো রক্তক্ষরণ হবে, যা বুঝা যায়, তখন তুমি নামায ছেড়ে দিবে। আর যখন অন্য রঙ্গের রক্তক্ষরণ হবে তখন তুমি উযু করবে এবং নামায পড়বে। এটা একটা শিরাবাহিত রক্ত।
حَدَّثَنَا أَبُو سَهْلِ بْنُ زِيَادٍ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ يَحْيَى الْحُلْوَانِيُّ ، نَا خَلَفُ بْنُ سَالِمٍ ، ثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَدِيٍّ ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ ، عَنْ عُرْوَةَ ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ ؛ أَنَّهَا كَانَتْ تُسْتَحَاضُ ، فَقَالَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - : " إِذَا كَانَ دَمُ الْحَيْضِ دَمًا أَسْوَدَ يُعْرَفُ ، فَأَمْسِكِي عَنِ الصَّلَاةِ ، فَإِذَا كَانَ الْآخَرُ فَتَوَضَّئِي وَصَلِّي ؛ فَإِنَّمَا هُوَ الْعِرْقُ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৮(৭)। আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে ইস্তিহাযার রোগিনী ছিলেন। উম্মে সালামা (রাঃ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেনঃ সে যেন তার মাসিক ঋতুর দিন-রাতগুলোর অপেক্ষা করে (প্রতি মাসে ঋতুর স্বাভাবিক সময়কালের হিসাব রাখে) এবং নামায ছেড়ে দেয়। যখন এ (ঋতুস্রাবের) মেয়াদ অতিবাহিত হবে তখন সে যেন গোসল করে, উযু করে এবং কাপড়ের পট্টি বেঁধে নামায পড়ে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، ثَنَا أَبُو عُبَيْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيُّ ، نَا سُفْيَانُ ، عَنْ أَيُّوبَ السَّخْتِيَانِيِّ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ؛ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ كَانَتْ تُسْتَحَاضُ عَلَى عَهْدِ رَسُولِ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَسَأَلَتْ لَهَا أُمُّ سَلَمَةَ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ؟ فَقَالَ : " لِتَنْظُرْ عِدَّةَ اللَّيَالِي وَالْأَيَّامِ الَّتِي كَانَتْ تَحِيضُهُنَّ وَقَدْرَهُنَّ مِنَ الشُّهُورِ ، فَلْتَتْرُكِ الصَّلَاةَ لِذَلِكَ ، فَإِذَا خَلَّفَتْ ذَلِكَ ، فَلْتَغْتَسِلْ وَلْتَتَوَضَّأْ ، وَلْتَسْتَذْفِرْ ثُمَّ تُصَلِّي
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৬৯(৮). আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল আযীয (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মে সালামা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ)-এর জন্য ফতোয়া জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেন, সে তার মাসিক ঋতুর মেয়াদকালের নামায ছেড়ে দিবে, তারপর গোসল করে নামায পড়বে।
উহাইব (রহঃ) উপরের এই হাদীস আইয়ুব-সুলায়মান-উম্মে সালামা (রাঃ) সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে আছে, সে তার মাসিক ঋতুর দিনগুলোতে অপেক্ষা করবে এবং নামায ছেড়ে দিবে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، ثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْقَاضِي ، نَا أَبُو مَعْمَرٍ ، ثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ ، نَا أَيُّوبُ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ اسْتَفْتَتِ النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - لِفَاطِمَةَ بِنْتِ أَبِي حُبَيْشٍ ، فَقَالَ : " تَدَعُ الصَّلَاةَ قَدْرَ أَقْرَائِهَا ، ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتُصَلِّي " . وَرَوَاهُ وُهَيْبٌ ، عَنْ أَيُّوبَ ، عَنْ سُلَيْمَانَ ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ بِهَذَا ، وَقَالَ : " تَنْتَظِرُ أَيَّامَ حَيْضِهَا ، فَتَدَعُ الصَّلَاةَ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭০(৯). আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মাদ (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ)-এর অত্যধিক রক্তস্রাব হতো, এমনকি তার নিচ থেকে গামলা সরানো হলে তার উপর রক্তের রং ভেসে উঠতো। রাবী বলেন, তিনি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সে তার মাসিক ঋতুর দিনগুলোতে নামায ছেড়ে দিবে। তারপর গোসল করে (লজ্জাস্থানে) পট্টি বেঁধে নামায পড়বে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ ، نَا ابْنُ زَنْجَوَيْهِ ، نَا مُعَلَّى بْنُ أَسَدٍ ، نَا وُهَيْبٌ ، ح : وَحَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ ، ثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ ، ثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ ، نَا أَيُّوبُ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ ؛ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ ، حَتَّى كَانَ الْمِرْكَنُ يُنْقَلُ مِنْ تَحْتِهَا وَأَعْلَاهُ الدَّمُ ، قَالَ : فَأَمَرَتْ أُمَّ سَلَمَةَ تَسْأَلُ لَهَا النَّبِيَّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - ، فَقَالَ : " تَدَعُ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ، ثُمَّ تَغْتَسِلُ وَتَسْتَذْفِرُ بِثَوْبٍ وَتُصَلِّي
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭১(১০). আবদুল্লাহ (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনে ইয়াসার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। ফাতেমা বিনতে আবু হুবায়েশ (রাঃ)-এর অত্যধিক রক্তস্রাব হতে থাকলে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট বিধান জিজ্ঞেস করলেন অথবা তার সম্পর্কে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট জিজ্ঞেস করা হলো। তিনি তাকে নির্দেশ দিলেন, সে যেন তার মাসিক ঋতুর কয়দিন নামায ছেড়ে দেয়, তারপরের দিনগুলোতে গোসল করে পট্টি বেঁধে নামায পড়ে। সুলায়মান (রহঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, তার স্বামী কি তার সঙ্গে সহবাস করতে পারে? তিনি বলেন, আমরা যতটুকু শুনেছি ততটুকু বললাম।
نَا عَبْدُ اللَّهِ ، قَالَ ، نَا جَدِّي ، ثَنَا إِسْمَاعِيلُ ، عَنْ أَيُّوبَ ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ يَسَارٍ ؛ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ اسْتُحِيضَتْ ، فَسَأَلَتْ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - أَوْ قَالَ : فَسُئِلَ لَهَا النَّبِيُّ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - فَأَمَرَهَا أَنْ تَدَعَ الصَّلَاةَ أَيَّامَ أَقْرَائِهَا ، وَأَنْ تَغْتَسِلَ فِيمَا سِوَى ذَلِكَ ، وَتَسْتَذْفِرَ بِثَوْبٍ ، وَتُصَلِّيَ . فَقِيلَ لِسُلَيْمَانَ : أَيَغْشَاهَا زَوْجُهَا ؟ فَقَالَ : إِنَّمَا نَقُولُ فِيمَا سَمِعْنَا
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭২(১১). ইবরাহীম ইবনে হাম্মাদ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতুর মেয়াদ (সর্বোচ্চ) পনের দিন।
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمَّادٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمَخْرَمِيُّ ، ثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، نَا مُفَضَّلُ بْنُ مُهَلْهَلٍ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، قَالَ : " الْحَيْضُ خَمْسَ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৩(১২). আল-কাযী আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতুর (সর্বোচ্চ) মেয়াদ পনের দিন।
حَدَّثَنَا الْقَاضِي الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ سَعْدٍ الزُّهْرِيُّ ، نَا أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ ، نَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، عَنْ مُفَضَّلٍ ، وَابْنِ الْمُبَارَكِ ، عَنْ سُفْيَانَ ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، قَالَ : " أَكْثَرُ الْحَيْضِ خَمْسَ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৪(১৩). মুহাম্মাদ ইবনু মাখলাদ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতুর সময়সীমা পনের দিন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَخْلَدٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَسَّانِيُّ ، ثَنَا وَكِيعٌ ، نَا الرَّبِيعُ بْنُ صُبَيْحٍ ، عَنْ عَطَاءٍ ، قَالَ : " الْحَيْضُ خَمْسَ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৫(১৪). ইবরাহীম ইবনে হাম্মাদ (রহঃ) ... আতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতুর সর্বাধিক সময়সীমা পনের দিন।
حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمَّادٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيُّ ، نَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، ثَنَا حَفْصٌ ، عَنْ أَشْعَثَ ، عَنْ عَطَاءٍ ، قَالَ : " أَكْثَرُ الْحَيْضِ خَمْسَ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৬(১৫). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... আতা ইবনে আবু রাবাহ (রহঃ) বলেন, মাসিক ঋতুর সর্বনিম্ন সময়সীমা একদিন। আবু ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, আহমাদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) এই হাদীসদ্বয় গ্রহণ করেছেন এবং তা দলীল হিসেবে পেশ করতেন।
حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا أَبُو إِبْرَاهِيمَ الزُّهْرِيُّ ، ثَنَا النُّفَيْلِيُّ ، قَالَ : قَرَأْتُ عَلَى مَعْقِلِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ أَبِي رَبَاحٍ ، قَالَ : " أَدْنَى وَقْتِ الْحَيْضِ يَوْمٌ " . ، قَالَ أَبُو إِبْرَاهِيمَ : إِلَى هَذَيْنِ الْحَدِيثَيْنِ كَانَ يَذْهَبُ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ ، وَكَانَ يَحْتَجُّ بِهِمَا
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৭(১৬). আবু উসমান সাঈদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-হান্নাত (রহঃ) ... শারীক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমাদের এখানে একজন মহিলার প্রতি মাসে পনের দিন ঋতুস্রাব হতো সুস্থ ও সঠিক ঋতুস্রাব।
حَدَّثَنَا أَبُو عُثْمَانَ سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَنَّاطُ ، نَا أَبُو هِشَامٍ الرِّفَاعِيُّ ، نَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، ح : وَحَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ حَمَّادٍ ، نَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْمُخَرِّمِيُّ ، نَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، نَا شَرِيكٌ ، قَالَ : " عِنْدَنَا امْرَأَةٌ تَحِيضُ خَمْسَ عَشْرَةَ مِنَ الشَّهْرِ حَيْضًا مُسْتَقِيمًا صَحِيحًا
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৮(১৭). আল-হুসাইন ইবনে ইসমাঈল (রহঃ) ... মুহাম্মাদ ইবনে মুসআব (রহঃ) বলেন, আমি আল-আওযাঈ (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমাদের এখানে এক মহিলার সকালে ঋতুস্রাব হতো এবং সন্ধ্যায় পবিত্র হয়ে যেতো।
حَدَّثَنَا الْقَاضِي الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ ، نَا الْعَبَّاسُ بْنُ مُحَمَّدٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ مُصْعَبٍ ، قَالَ : سَمِعْتُ الْأَوْزَاعِيَّ ، يَقُولُ : " عِنْدَنَا هَاهُنَا امْرَأَةٌ تَحِيضُ غُدْوَةً وَتَطْهُرُ عَشِيَّةً
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৭৯(১৮). সাঈদ ইবনে মুহাম্মাদ আল-হান্নাত (রহঃ) ... শারীক ও হাসান ইবনে সালেহ (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতুর সর্বোচ্চ মেয়াদ পনের দিন।
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدٍ الْحَنَّاطُ ، نَا أَبُو هِشَامٍ ، نَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ ، عَنْ شَرِيكٍ ، وَحَسَنِ بْنِ صَالِحٍ ، قَالَ : " أَكْثَرُ الْحَيْضِ خَمْسَ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৮০(১৯). ইয়াযদাদ ইবনে আবদুর রহমান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতু তিন দিন, চার দিন, পাঁচ দিন, ছয় দিন, সাত দিন, আট দিন, নয় দিন এবং দশ দিন। তার বেশী (দশ দিনের) হলে সে রক্তপ্রদরের রোগিনী।
এই হাদীস এই সূত্রে আল-আ’মাশ (রহঃ) থেকে হারূন ইবনে যিয়াদ (রহঃ) ব্যতীত অন্য কেউ বর্ণনা করেননি এবং তিনি হাদীসশাস্ত্রে দুর্বল। কুফার ফকীহগণের নিকট এই হাদীসের জন্য আল-আমাশ (রহঃ) থেকে কোন ভিত্তি নেই। আল্লাহই সর্বাধিক জ্ঞাত।
حَدَّثَنَا يَزْدَادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ حَيَّانَ الرَّقِّيُّ ، عَنْ هَارُونَ بْنِ زِيَادٍ الْقُشَيْرِيِّ ، عَنِ الْأَعْمَشِ ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ ، عَنْ عَلْقَمَةَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ ، قَالَ : " الْحَيْضُ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعٌ وَخَمْسٌ وَسِتٌّ وَسَبْعٌ وَثَمَانٍ وَتِسْعٌ وَعَشْرٌ ، فَإِنْ زَادَ فَهِيَ مُسْتَحَاضَةٌ " . لَمْ يَرْوِهِ عَنِ الْأَعْمَشِ بِهَذَا الْإِسْنَادِ غَيْرُ هَارُونَ بْنِ زِيَادٍ ، وَهُوَ ضَعِيفُ الْحَدِيثِ ، وَلَيْسَ لِهَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ الْكُوفِيِّينَ أَصْلٌ عَنِ الْأَعْمَشِ . وَاللَّهُ أَعْلَمُ
পরিচ্ছেদঃ ১. ইসতিহাযা (রক্তপ্রদরের রোগিণী)
৭৮১(২০). ইয়াযদাদ ইবনে আবদুর রহমান (রহঃ) ... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মাসিক ঋতুর মেয়াদ তিন দিন, চার দিন, পাঁচ দিন, ছয় দিন, সাত দিন, আট দিন, নয় দিন এবং দশ দিন।
حَدَّثَنَا يَزْدَادُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ ، نَا أَبُو سَعِيدٍ الْأَشَجُّ ، نَا إِسْمَاعِيلُ ابْنُ عُلَيَّةَ ، عَنِ الْجَلْدِ بْنِ أَيُّوبَ ، عَنْ مُعَاوِيَةَ بْنِ قُرَّةَ ، عَنْ أَنَسٍ ، قَالَ : " الْقُرُوءُ ثَلَاثٌ وَأَرْبَعٌ وَخَمْسٌ وَسِتٌّ وَسَبْعٌ وَثَمَانٍ وَتِسْعٌ وَعَشْرٌ