পরিচ্ছেদঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করার আবশ্যকীয়তা এবং এ ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প করা
১২৫৯। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি জিহাদ না করে বা জিহাদের কামনা পোষণ না করে মারা যায় সে মুনাফিক্বী বা কপটতার অংশ বিশেষের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মারা যাবে।[1]
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَ ضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ مَاتَ وَلَمْ يَغْزُ, وَلَمْ يُحَدِّثْ نَفْسَهُ بِهِ, مَاتَ عَلَى شُعْبَةٍ مِنْ نِفَاقٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1910)
Abu Hurairah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“He who dies without having gone or thought of going out for Jihad in the Cause of Allah, will die while being guilty of having one of the qualities of hypocrisy.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ নিজের জান, মাল, জিহ্বা দ্বারা জিহাদ করা আবশ্যক
১২৬০। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের মাল, জান ও কথার দ্বারা মুশরিকদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাতে থাকবে।[1]
وَعَنْ أَنَسٍ - رضي الله عنه - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ: «جَاهِدُوا الْمُشْرِكِينَ بِأَمْوَالِكُمْ, وَأَنْفُسِكُمْ, وَأَلْسِنَتِكُمْ». رَوَاهُ أَحْمَدُ, وَالنَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أحمد (3/ 124 و 153 و 251)، والنسائي (6/ 7)، والحاكم (2/ 81)، وهو عند أبي داود أيضًا (2504)
Anas (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Fight the disbelievers (polytheists) with your property, yourselves and your tongues.” Related by Ahmad, An-Nasa‘i and Al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ মহিলাদের উপর জিহাদ করা ওয়াজিব নয়
১২৬১। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি বললাম হে আল্লাহর রাসূল! মেয়েদের উপর কি জিহাদের দায়িত্ব রয়েছে? তিনি উত্তরে বললেন, হ্যাঁ আছে, তবে তাতে যুদ্ধ নেই। তাদের জিহাদ হচ্ছে- হজ্জ ও উমরাহ পর্ব সম্পাদন করা। এর মূল রয়েছে বুখারীতে।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا قَالَتْ: قُلْتُ: يَا رَسُولَ اللَّهِ! عَلَى النِّسَاءِ جِهَادٌ قَالَ: «نَعَمْ. جِهَادٌ لَا قِتَالَ فِيهِ, الْحَجُّ وَالْعُمْرَةُ». رَوَاهُ ابْنُ مَاجَه. وَأَصْلُهُ فِي الْبُخَارِيِّ
-
صحيح. رواه ابن ماجه (2901)
'A’ishah (RAA) narrated, ‘I said:
‘O Messenger of Allah (ﷺ)! Is Jihad prescribed (also) for women?’ Allah’s Messenger said, “Yes, a Jihad which is without fighting, it is Hajj and 'Umrah.” Related by Ibn Majah.
পরিচ্ছেদঃ মাতা-পিতা জীবিতাবস্থায় জিহাদের বিধান
১২৬২। ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে জিহাদে যাবার অনুমতি প্রার্থনা করল। তখন তিনি বললেন, তোমার পিতামাতা জীবিত আছে কি? সে বলল, হ্যাঁ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তবে তাদের খিদমতের চেষ্টা কর’। (মুত্তাফাকুন আলাইহি)[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرِوٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: جَاءَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ - صلى الله عليه وسلم - يَسْتَأْذِنُهُ فِي الْجِهَادِ. فَقَالَ: «[أَ] حَيٌّ وَالِدَاكَ?»، قَالَ: نَعَمْ: قَالَ: «فَفِيهِمَا فَجَاهِدْ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح رواه البخاري (3004)، ومسلم (2549)
'Abdullah bin 'Umar (RAA) narrated ‘A man came to the Messenger of Allah (ﷺ) asking his permission to go out for Jihad. The Messenger of Allah (ﷺ) asked him, “Are your parents alive?” He replied, ‘Yes.' The Messenger of Allah (ﷺ) then said to him, “Then your Jihad would be with them (i.e. in looking after them and being at their service.).” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ মাতা-পিতা জীবিতাবস্থায় জিহাদের বিধান
১২৬৩। আবূ সাঈদের বর্ণিত হাদীসে আহমাদ ও আবূ দাউদেও অনুরূপ বর্ণনা আছে-তাতে আরো আছে, তুমি বাড়ি ফিরে যাও ও পিতা-মাতার কাছে জিহাদে যাওয়ার অনুমতি চাও, তারা যদি অনুমতি দেন ভাল, অন্যথায় তাদের কল্যাণে নিয়োজিত থাক।[1]
وَلِأَحْمَدَ, وَأَبِي دَاوُدَ: مِنْ حَدِيثِ أَبِي سَعِيدٍ نَحْوُهُ, وَزَادَ: «ارْجِعْ فَاسْتَأْذِنْهُمَا, فَإِنْ أَذِنَا لَكَ; وَإِلَّا فَبِرَّهُمَا
-
صحيح كسابقه. رواه أحمد (3/ 75 - 76)، وأبو داود (2530)، وأوله: عن أبي سعيد؛ أن رجلا هاجر إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اليمن. فقال: «هل لك أحد باليمن؟» قال: أبواي. قال: «أذنا لك» قال: لا. قال: فذكره
عن أبي سعيد؛ أن رجلا هاجر إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم من اليمن. فقال: «هل لك أحد باليمن؟» قال: أبواي. قال: «أذنا لك» قال: لا. قال: فذكره
আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত : এক ব্যক্তি ইয়ামান থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে হিজরত করলেন। তখন তিনি বললেন, তোমার কি ইয়ামানে কেউ আছে? লোকটি বললেন, আমার মাতাপিতা আছেন। রাসূল বললেন, তারা কি তোমাকে অনুমতি দিয়েছেন? তিনি (লোকটি) বললেনঃ না। তখন রাসূলুল্লাহ সমগ্ৰ উপরোক্ত হাদীসটি উল্লেখ করলেন। আবূ দাউদ ২৫৩০, আহমাদ ২৭৩২০।
Ahmad and Abu Dawud transmitted a similar hadith on the authority of Abu Sa’id, and they added the extra statement, “Go back and ask for their permission. If they permit you to go, then go for Jihad otherwise, be good to them (look after them).
পরিচ্ছেদঃ মুশরিকদের এলাকায় অবস্থান করা নিষেধ
১২৬৪। জারীর (আল-বাজালী) (রাঃ) হতে বৰ্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি ঐসব মুসলিমের উপর অসন্তুষ্ট ও রুষ্ট যারা মুশরিকদের মধ্যে (তাদের হয়ে) অবস্থান করে।[1]
وَعَنْ جَرِيرٍ الْبَجَلِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «أَنَا بَرِئٌ مِنْ كُلِّ مُسْلِمٍ يُقِيمُ بَيْنَ الْمُشْرِكِينَ». رَوَاهُ الثَّلَاثَةُ وَإِسْنَادُهُ [صَحِيحٌ] , وَرَجَّحَ الْبُخَارِيُّ إِرْسَالَهُ
-
صحيح. رواه أبو داود (2645)، والترمذي (1604) من طريق أبي معاوية، عن إسماعيل بن أبي خالد، عن قيس بن أبي حازم، عن جرير قال: بعث رسول الله صلى الله عليه وسلم سرية إلى خثعم، فاعتصم ناس منهم بالسجود، فأسرع فيهم القتل. قال: فبلغ ذلك النبي صلى الله عليه وسلم فأمر لهم بنصف العقل وقال: فذكره. وزاد: «قالوا: يا رسول الله! لم؟ قال: «لا تراءى ناراهما». وهذا سند صحيح كما قال الحافظ، لكنه معلول بالإرسال -ومن هذا الوجه رواه النسائي (8/ 36) - كما نقل ذلك عن البخاري، وأيضًا قاله أبو داود. وأبو حاتم. والترمذي والدارقطني. قلت: لكن له شواهد يصح بها، وتفصيل ذلك بالأصل
Jarir (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Any Muslim who stays among the polytheists, does not belong to me.” Related by the three Imams with a sound chain of narrators. Imam Al-Bukhari considered it as Mursal (i.e. the companion is absent from the chain of narrators.
পরিচ্ছেদঃ হিজরতের অবসান হওয়া এবং জিহাদ ও নিয়্যাতের অবশিষ্ট থাকা প্রসঙ্গে
১২৬৫। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) থেকে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, মক্কা বিজয়ের পর আর হিজরতের প্রয়োজন নেই। এখন কেবল জিহাদ ও নিয়্যাত (জিহাদের জন্য মানসিক প্রস্তুতি) রয়েছে।[1]
وَعَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا هِجْرَةَ بَعْدَ الْفَتْحِ, وَلَكِنْ جِهَادٌ وَنِيَّةٌ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2825)، ومسلم (1353)، وزادا: وإذا استنفرتم فانفروا
Ibn 'Abbas (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“There is no emigration (from Makkah to al·Madinah) after the conquest of Makkah, but only Jihad (in the Cause of Allah) and a good intention.
পরিচ্ছেদঃ জিহাদে একনিষ্ঠতা আবশ্যক
১২৬৬। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’যে ব্যক্তি আল্লাহর কলিমা সুউচ্চ রাখার উদ্দেশে যুদ্ধ করল, সে-ই আল্লাহর পথে জিহাদ করল।[1]
وَعَنْ أَبِي مُوسَى الْأَشْعَرِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «مَنْ قَاتَلَ لِتَكُونَ كَلِمَةُ اللَّهِ هِيَ الْعُلْيَا, فَهُوَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2810)، ومسلم (1904) عن أبي موسى؛ أن رجلا أعرابيًا أتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال: يا رسول الله! الرجل يقاتل للمغنم. والرجل يقاتل ليذكر. والرجل يقاتل ليرى مكانه، فمن في سبيل الله؟ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم: فذكره
আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলল, এক ব্যক্তি গনীমতের জন্য, এক ব্যক্তি প্রসিদ্ধ হওয়ার জন্য এবং এক ব্যক্তি বীরত্ব দেখানোর জন্য জিহাদে শরীক হলো। তাদের মধ্যে কে আল্লাহর পথে জিহাদ করল? তিনি বললেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কলিমা বুলন্দ রাখার উদ্দেশ্যে যুদ্ধ করল, সে-ই আল্লাহর পথে জিহাদ করল’। বুখারী ১২৩, ৩১২৬, ৭৪৫৮, মুসলিম ১৯০৪, তিরমিযী ১৬৪৬, নাসায়ী ৩১৩৬, আর দাউদ ২৫১৭, ইবন মাজাহ ২৭৮৩, আহমাদ ১৮৯৯৯, ১৯৩৪৯, ১৯০৯৯।
Abu Musa Al-Ash'ari (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“The one who fights for Allah’s word to become Superior, is striving in Allah’s Cause.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ যতদিন পর্যন্ত শক্ৰদের সাথে সংগ্ৰাম চলতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত হিজরতের অবশিষ্ট থাকা প্রসঙ্গে
১২৬৭। আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হিজরত বন্ধ হবে না যতক্ষণ শত্রুর সাথে সংগ্রাম চলতে থাকবে।[1]
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّعْدِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَنْقَطِعُ الْهِجْرَةُ مَا قُوتِلَ الْعَدُوُّ». رَوَاهُ النَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه النسائي (6/ 146 و 147)، وابن حبان (1579) عن عبد الله بن السعدي قال: وفدت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في وفد كلنا يطلب حاجة، وكنت آخرهم دخولا على رسول الله صلى الله عليه وسلم. فقال: «حاجتك» فقلت: يا رسول الله إني تركت من خلفي وهم يزعمون أن الهجرة قد انقطعت، فذكر الحديث
আব্দুল্লাহ বিন সা’দী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে গেলাম। আমাদের প্রত্যেকেই কোন প্রয়োজন চাচ্ছিল। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সর্বশেষে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, তোমার কি প্রয়োজন? আমি বললাম : হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আমার পরিবারকে ছেড়ে চলে এসেছি। আর তারা বলে যে হিজরাত নাকি শেষ হয়ে গেছে। অতঃপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করলেন। নাসায়ী ৪১৭২, ৪১৭৩, আহমাদ ২১৮১৯।
’Abdullah bin As-Sa'di narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Emigration (to fight the enemy) will continue as long as an enemy is fought.” Related by An-Nasa’i, and Ibn Hibban graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ কোন প্রকার ঘোষণা দেওয়া ছাড়াই দুশমনদের উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করা
১২৬৮। নাফি’ (রহঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনী মুস্তালিক গোত্রের উপর হঠাৎ করে আক্রমণ করেছিলেন তখন ঐ গোত্রের লোকেরা উদাসীন ছিল। তাদের যুদ্ধরতদের হত্যা করলেন ও তাদের সন্তানদেরকে বন্দী করলেন। নাফি’ (রহঃ) বলেছেন এ সংবাদ আমাকে বিশিষ্ট সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেছেন।[1]
وَعَنْ نَافِعٍ قَالَ: - أَغَارُ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَلَى بَنِيَّ الْمُصْطَلِقِ, وَهُمْ غَارُّونَ, فَقَتَلَ مُقَاتِلَتَهُمْ, وَسَبَى ذَرَارِيَّهُمْ. حَدَّثَنِي بِذَلِكَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2541)، ومسلم (12/ 35 - 36 نووي) وانظر «ناسخ الحديث ومنسوخه» لابن شاهين رقم (467 بتحقيقي) «غارون»: بالغين المعجمة وتشديد الراء، أي: غافلون
Nafi' (RAA) narrated, ‘The Messenger of Allah (ﷺ) made an attack on Bani al-Mustaliq when they were unaware. He killed the men who were lighting and took the women and children as captives.’ 'Abdullah bin Umar told me about it. Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ সৈন্যদেরকে সঠিকভাবে দিক নির্দেশনা এবং উপদেশ দেওয়া
১২৬৯। সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) হতে বর্ণিত; তিনি তার পিতা বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন ছোট বা বড় সৈন্যদলের জন্য কাউকে নেতা নির্বাচন করে দিতেন তখন বিশেষভাবে তাকে আল্লাহকে ভয় করার, মুজাহিদ মুসলিমদের সাথে কল্যাণ করার জন্য উপদেশ দিতেন। তারপর বলতেন, আল্লাহর নামে আল্লাহর পথে যুদ্ধ কর, যে আল্লাহর সাথে কুফরী করছে তার তাথে যুদ্ধ কর, যুদ্ধ করবে, গনিমাতের মালে খিয়ানাত করবে না, প্রতারণা করবে না, অঙ্গহানি করবে না, বালকদের হত্যা করবে না, যখন তুমি মুশরিক শক্ৰদের সাথে মুকাবিলা করবে তখন তাদেরকে তিনটি বিষয়ের দা’ওয়াত দিবে, তার যে-কোন একটি কুবুল করে নিলে তুমি তা মেনে নেবে- তাদের উপর হাত উঠবে না।
ক) তাদেরকে ইসলাম কুবুল করার দাওয়াত দেবে। যদি তারা তা কুবুল করে তুমি তাদের এ স্বীকৃতি মেনে নেবে। তারপর তাদেরকে মুহাজিরদের কাছে হিজরত করে আসার জন্য দাওয়াত দেবে। যে, তারা সাধারণ গ্ৰাম্য মুসলিমদের সমশ্রেণীভুক্ত হয়ে থাকবে আর গনিমাত ও ফাই-এর মালে তাদের জন্য কোন অংশ হবে না, তবে যদি তারা মুসলিমদের সাথে জিহাদে অংশগ্রহণ করে (মাত্র তখন পাবে)।
খ) যদি তারা ইসলাম ক্ববুল করতে রাজি না হয় তবে তাদের কাছে জিযইয়া (এক প্রকার ট্যাক্স) দাবি করবে। যদি তারা স্বীকার করে তবে তাদের এ স্বীকৃতি মেনে নেবে (আর তাদের দিকে আক্রমণের হাত বাড়াবে না)। আর যদি তারা জিযইয়া কর দিতে অস্বীকার করে তবে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে: ও তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। (বিনা যুদ্ধে শত্রুপক্ষের যে মাল হস্তগত হয় তাকে ফাই বলে)।
গ) আর যখন কোন দুৰ্গবাসীদের অবরোধ করবে তখন যদি তারা আল্লাহ ও তার রাসূলের জিম্মায় আসার কোন প্রস্তাব তোমার কাছে পেশ করে, তবে তুমি তা স্বীকার করবে না। বরং তুমি তোমার নিজের জিম্মায় তাদের নিতে পারবে।[1] কেননা তোমাদের জিম্মা নষ্ট করা অনেক সহজ ব্যাপার, আল্লাহর জিম্মাকে নষ্ট করার চেয়ে।
আর যদি তারা আল্লাহর ফায়সালায় উপনীত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। তবে তুমি তা করবে না। বরং তুমি নিজের ফায়সালার অধীনে তাদেরকে আশ্রয় দেবে। কেননা তুমি অবগত নও যে, তুমি আল্লাহর ফায়সালা তাদের উপর সঠিকভাবে করতে পারবে কি, পারবে না।[2]
وَعَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ, عَنْ أَبِيهِ قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا أَمَّرَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْصَاهُ بِتَقْوَى اللَّهِ, وَبِمَنْ مَعَهُ مِنْ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا, ثُمَّ قَالَ: «اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ, فِي سَبِيلِ اللَّهِ, قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ, اغْزُوا, وَلَا تَغُلُّوا, وَلَا تَغْدُرُوا, وَلَا تُمَثِّلُوا, وَلَا تَقْتُلُوا وَلِيدًا, وَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى ثَلَاثِ خِصَالٍ, فَأَيَّتُهُنَّ أَجَابُوكَ إِلَيْهَا, فَاقْبَلْ مِنْهُمْ, وَكُفَّ عَنْهُمْ:
ادْعُهُمْ إِلَى الْإِسْلَامِ فَإِنْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ.
ثُمَّ ادْعُهُمْ إِلَى التَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ, فَإِنْ أَبَوْا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُونَ كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ, وَلَا يَكُونُ لَهُمْ فِي الْغَنِيمَةِ وَالْفَيْءِ شَيْءٌ إِلَّا أَنْ يُجَاهِدُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ.
فَإِنْ هُمْ أَبَوْا فَاسْأَلْهُمْ الْجِزْيَةَ, فَإِنْ هُمْ أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ, فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ وَقَاتِلْهُمْ.
وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ, فَلَا تَفْعَلْ, وَلَكِنِ اجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ; فَإِنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا ذِمَمَكُمْ أَهْوَنُ مِنْ أَنَّ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ, وَإِذَا أَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ, فَلَا تَفْعَلْ, بَلْ عَلَى حُكْمِكَ; فَإِنَّكَ لَا تَدْرِي أَتُصِيبُ فِيهِمْ حُكْمَ اللَّهِ أَمْ لَا». أَخْرَجَهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1731) (3) وقد اختصر الحافظ بعض عباراته
[2] হাফেয ইবনু হাজার আসকালানী উক্ত হাদীসের কিছু ইবারত সংক্ষিপ্ত করেছেন। মুসলিম ১৭৩১, তিরমিযী ১৪০৮, ১৬১৭, আবূ দাউদ ২৬১২, ২৬১৩, ইবনু মাজাহ ২৮৬৮, আহমাদ ২২৪৬৯, ২২৪২১, দারেমী ২৪৩৯।
Sulaiman bin Buraidah narrated on the authority of his father on the authority of 'A’ishah (RAA), “Whenever Allah’s Messenger appointed a commander over an army or a Sariyah, he would instruct him to fear Allah in his own behavior and consider the welfare of the Muslims who were with him. He then used to say “Go out for Jihad in Allah’s name, in the Cause of Allah, and fight those who disbelieve in Allah. Go out for Jihad and do not indulge in Ghulul, or be treacherous or mutilate (dead bodies) or kill a child. When you meet your enemy, or the polytheists, invite them to three courses of action, and accept whichever of them they are willing to agree to, and withhold from doing anything else:
Call them to Islam, and if they agree accept it from them. Then invite them to migrate from their land to the land of the Emigrants (i.e. al-Madinah), if they refuse, then tell them they will be like the Muslim desert Arabs, thus they will have no right in the Ghanimah or Fai’ unless they participate in Jihad with the Muslims. If they refuse (to accept Islam) order them to pay the Jizyah and if they agree, accept it from them. If they refuse, seek Allah, the Most High’s help against them and fight them. When you besiege a fortress, and its people wish you to grant them the protection of Allah and His Prophet, grant them neither but grant them your protection, for it is less serious (a lesser guilt) to break your guarantee of protection than to break that of Allah’s. And if they offer to capitulate under the condition that they are subjected to the judgment of Allah, do not grant them this, but judge according to your own command, for you do not know whether or not you will be able to carry out Allah, the Most High’s Judgment regarding them.” Related by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধে তাওরিয়া (কৌশল দ্বারা গোপনীয়তা অবলম্বন করা) করা প্রসঙ্গে
১২৭০। ’আবদুল্লাহ ইবনু কাব ইবনু মালিক হতে বৰ্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখনই কোথাও যুদ্ধে যাবার ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি অন্য দিকে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিয়ে তা গোপন রাখতেন। (কৌশলে গোপনীয়তা অবলম্বন করতেন।)[1]
وَعَنْ كَعْبِ بْنِ مَالِكٍ - رضي الله عنه: أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - كَانَ إِذَا أَرَادَ غَزْوَةً وَرَّى بِغَيْرِهَا. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (2947)، ومسلم (2769) (54) ورى: أي سترها وأوهم غيرها
বুখারী ২৭৫৮, ২৯৪৮, ২৯৪৯, ২৯৫০, ৩০৮৮, মুসলিম ২৭৬৯, তিরমিযী ৩১০২, নাসায়ী ৩৮২৪, ৩৮২৫, ৩৮২৬, আবূ দাউদ ২২০২, আহমাদ ১৫৩৪৩, ১৫৩৪৫, ১৫৩৪৪।
Ka’b bin Malik (RAA) narrated that Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) intended to go out on a battle, he would pretend to head in a different destination. Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ যে সময়ে যুদ্ধ করা মুস্তাহাব
১২৭১। মা’কিল (রাঃ) হতে বর্ণিত; নু’মান ইবনু মুক্কারিন (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখেছি তিনি যখন দিনের প্রথমাংশে যুদ্ধ না করতেন তখন সূর্য পশ্চিমাকাশে যাওয়ার পরে (স্নিগ্ধ) হাওয়া চললে এবং আল্লাহর সাহায্য অবতরণ হলে যুদ্ধ করতেন। -হাদীসটির মূল বুখারীতে রয়েছে।[1]
وَعَنْ مَعْقِلٍ; أَنَّ النُّعْمَانَ بْنَ مُقَرِّنٍ قَالَ: شَهِدْتُ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - إِذَا لَمْ يُقَاتِلْ أَوَّلَ النَّهَارِ أَخَّرَ الْقِتَالِ حَتَّى تَزُولَ الشَّمْسُ, وَتَهُبَّ الرِّيَاحُ, وَيَنْزِلَ النَّصْرُ. رَوَاهُ أَحْمَدُ وَالثَّلَاثَةُ, وَصَحَّحَهُ الْحَاكِمُ. (1) وَأَصْلُهُ فِي الْبُخَارِيِّ
-
صحيح. رواه أحمد (5/ 444 - 445)، وأبو داود (2655)، والنسائي في «الكبرى» (5/ 191)، والحاكم (2/ 116)
رواه البخاري (3160) عنه قال: ولكني شهدت القتال مع رسول الله صلى الله عليه وسلم، كان إذا لم يقاتل في أول النهار انتظر حتى تهب الأرواح، وتحضر الصلوات
Ma'qil bin An-Nu‘man bin Muqarrin (RAA) narrated, ‘I witnessed (battles with) Allah’s Messenger and if he did not start fighting at the beginning of the day, he delayed the fighting till the sun had passed the meridian, and the wind blew and victory descended from Allah.” Related by Ahmad and the three Imams. Al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ (মুসলিমদের) রাত্রিকালে কাফিরদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর বৈধতা যদিও এর মাধ্যমে তাদের ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রীলোক নিহত হয়
১২৭২। সা’ব ইবনু জাসসামাহ (রাঃ) হতে বৰ্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, মুসলিমদের রাত্রিকালীন আক্রমণে মুশরিকদের মহিলা ও শিশুরা নিহত হয়, তবে কী হবে? আল্লাহর রসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জবাবে বলেন, তারাও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।[1]
وَعَنِ الصَّعْبِ بْنِ جَثَّامَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - عَنِ الدَّارِ مِنَ الْمُشْرِكِينَ (1) يُبَيِّتُونَ, فَيُصِيبُونَ مِنْ نِسَائِهِمْ وَذَرَارِيهِمْ, فَقَالَ: «هُمْ مِنْهُمْ». مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح رواه البخاري (6/ 146 / فتح)، مسلم (1745) يبيتون: أي يغار عليهم بالليل
As-Sa'b bin Jath-thamah (RAA) narrated, ‘The Messenger of Allah (ﷺ) was asked about the polytheists whose land was attacked at night with the probability that some of their women and offspring were killed or hurt.’ He said “They are from among them.” Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধে মুশরিকদের মাধ্যমে সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে
১২৭৩। আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত; এক (মুশরিক) লোক বদরের যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে যাচ্ছিল তিনি ঐ লোকটিকে বলেনঃ তুমি ফিরে যাও, আমি কখনোও মুশরিকের সাহায্য (এ কাজে) নেব না।[1]
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا; - أَنَّ النَّبِيَّ - صلى الله عليه وسلم - قَالَ لِرَجُلٍ تَبِعَهُ يَوْمَ بَدْرٍ: «ارْجِعْ، فَلَنْ أَسْتَعِينَ بِمُشْرِكٍ». رَوَاهُ مُسْلِمٌ
-
صحيح. رواه مسلم (1817) وهو بتمامه: عن عائشة زوج النبي صلى الله عليه وسلم؛ أنها قالت: خرج رسول الله صلى الله عليه وسلم قبل بدر، فلما كان بحرة الوبرة أدركه رجل قد كان يذكر منه جرأة ونجدة، ففرح أصحاب رسول الله صلى الله عليه وسلم حين رأوه، فلما أدركه قال لرسول الله صلى الله عليه وسلم: جئت لأتبعك، وأصيب معك. قال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: «تؤمن بالله ورسوله؟» قال: لا. قال: ..... فذكر الحديث. وزاد: قالت: ثم مضى، حتى إذا كنا بالشجرة أدركه الرجل. فقال له كما قال أول مرة. فقال له النبي صلى الله عليه وسلم كما قال أول مرة. قال: «فارجع. فلن أستعين بمشرك» ثم رجع فأدركه بالبيداء. فقال له كما قال أول مرة: «تؤمن بالله ورسوله؟» قال: نعم. فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم: فانطلق
'A’ishah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said to a man who followed him on the day of the Battle of Badr, “Go back I will not seek help from a Mushrik (polytheist).” Reported by Muslim.
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধে নারী এবং বাচ্চাদেরকে হত্যা করা নিষেধ
১২৭৪। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত; নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন একটি স্ত্রীলোককে তার কোন যুদ্ধে নিহত দেখে মেয়েদের ও বালকদের নিহত হওয়াতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন (অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন)।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا; - أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - رَأَى امْرَأَةً مَقْتُولَةً فِي بَعْضِ مَغَازِيهِ, فَأَنْكَرَ قَتْلَ النِّسَاءِ وَالصِّبْيَانِ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (3014)، ومسلم (1774)، وفي رواية لهما أيضًا: «فنهى عن قتل النساء والصبيان
Ibn 'Umar (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) saw a woman who was killed in one of his expeditions, so he disapproved the killing of women and children. Agreed upon.
পরিচ্ছেদঃ মুশরিকদের বয়োবৃদ্ধদেরকে হত্যা করা নিষেধ
১২৭৫। সামুরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুশরিকদের মধ্যে (যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী) বৃদ্ধিদেরকে হত্যা কর এবং তাদের কিশোরদেরকে অব্যাহতি দাও।[1]
وَعَنْ سَمُرَةَ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «اقْتُلُوا شُيُوخَ الْمُشْرِكِينَ, وَاسْتَبْقُوا شَرْخَهُمْ». رَوَاهُ أَبُو دَاوُدَ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ
-
ضعيف. رواه أبو داود (2670) واللفظ له، والترمذي (1583) من طريق قتادة، عن الحسن، عن سمرة، به قلت: وهذا سند ضعيف؛ إذ الحسن مدلس، وقد عنعنه
ইমাম শাওকানী নাইলুল আওত্র ৫/৩৭০ গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন। আলবানী তাখরীজ মিশকাতুল মাসাবীহ ৩৮৭৯ গ্রন্থে সাঈদ বিন বাশরীকে দুর্বল বলেছেন। এছাড়া যঈফ তিরমিযী ১৫৮৩, যঈফ আবূ দাউদ ২৬৭০ গ্রন্থে একে দুর্বল বলেছেন।
Samurah (RAA) narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Kill the mature men of the polytheists but spare their children.” Related by Abu Dawud and At-Tirmidhi graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ মল্লযুদ্ধ
১২৭৬। ’আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত; বদরের যুদ্ধে তারা শত্রুর মুকাবিলায় (এককভাবে) সৈন্য দলের মধ্য হতে বের হয়ে লড়েছিলেন।[1]
وَعَنْ عَلِيٍّ - رضي الله عنه: أَنَّهُمْ تَبَارَزُوا يَوْمَ بَدْرٍ. رَوَاهُ الْبُخَارِيُّ
وَأَخْرَجَهُ أَبُو دَاوُدَ مُطَوَّلًا
-
صحيح. رواه البخاري (3965)
رواه أبو داود (2665)
’Ali (RAA) narrated that They (the Muslims and the polytheists) engaged in duel combat on the Day of Badr. Related by Al-Bukhari and Abu Dawud reported it as part of a long hadith.
পরিচ্ছেদঃ শক্ৰদের উপর সাহসী মুমিনের ঝাঁপিয়ে পড়া প্রসঙ্গে
১২৭৭। আবূ আইয়ুব আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, ওয়ালা তুলকু .... আয়াতটি আনসার সম্প্রদায় প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। (আয়াতটির অর্থঃ তোমরা নিজেদেরকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিও না।) আয়াতটি ঐসব আনসারী মুসলিমদের মনোভাবের প্রতিবাদে অবতীর্ণ হয়েছিল যারা-রোমক সৈন্যের উপর আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে শত্রুসৈন্যের মধ্যে প্রবেশকারী মুজাহিদদের কাজকে অনুচিত কাজ বলে মন্তব্য করেছিলেন। (অর্থাৎ কুরআনের উপরোক্ত আয়াতে মুসলিমদের যুদ্ধে উৎসাহী ও নিৰ্ভিক হওয়ার জন্য জোর তাগিদ করা হয়েছে এবং ধর্মীয় সংগ্রামকে ধ্বংসের কারণ মনে করার ঘোর প্রতিবাদ করা হয়েছে) এবং যুদ্ধে অংশগ্ৰহণ না করে ঘরে বসে থাকাকে ধ্বংসের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।[1]
وَعَنْ أَبِي أَيُّوبَ - رضي الله عنه - قَالَ: إِنَّمَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ فِينَا مَعْشَرَ الْأَنْصَارِ, يَعْنِي: (وَلَا تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ) (1) قَالَهُ رَدًّا عَلَى مَنْ أَنْكَرَ عَلَى مَنْ حَمَلَ عَلَى صَفِ الرُّومِ حَتَّى دَخَلَ فِيهِمْ. رَوَاهُ الثَّلَاثَةُ, وَصَحَّحَهُ التِّرْمِذِيُّ, وَابْنُ حِبَّانَ, وَالْحَاكِمُ
-
صحيح. رواه أبو داود (2665)
صحيح. رواه أبو داود (2512)، والنسائي في «التفسير» (49) والترمذي (2972)، وابن حبان (1667)، والحاكم (2/ 275) وقال الترمذي: حديث حسن صحيح غريب
Abu Aiyub (RAA) narrated that:
'This verse was revealed concerning us (al-Ansar).' He was referring to the verse, “And do not throw yourselves into destruction (2:195). Abu Aiyub said that to answer those who disapproved of the action of those who attacked the Romans till they were amidst their army.’ Related by the three Imams, and At-Tirmidhi, Ibn Hibban and Al-Hakim graded it as Sahih.
পরিচ্ছেদঃ দুশমনের দেশে আগুন জ্বলিয়ে দেয়ার বিধান
১২৭৮। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানু নাযীর গোত্রের খেজুরের গাছ জ্বালিয়ে দেন ও কেটে ফেলেন।[1]
وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا قَالَ: حَرَّقَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم - نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ, وَقَطَعَ. مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ
-
صحيح. رواه البخاري (4031)، ومسلم (1746) وزادا: «وهي البويرة. فأنزل الله عز وجل: مَا قَطَعْتُم مِّن لِّينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَىٰ أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ
Ibn 'Umar narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) burnt the palm trees of Banu an-Nadir and cut them down. Agreed upon,