সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৩৫ টি

পরিচ্ছেদঃ ২৯. কবরস্থানে প্রবেশের দু'আ

২১৩৩। ইয়াহয়া ইবনু ইয়াহয়া আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা (রহঃ) তার পিতার সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। অন্য সুত্রে ইবনু আবূ উমর, মুহাম্মাদ ইবনু রাফি, আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন বুরায়দা (রহঃ) তাঁর পিতার সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তবে তারা সবাই আবূ সিনান (রহঃ) এর মর্মের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

باب مَا يُقَالُ عِنْدَ دُخُولِ الْقُبُورِ وَالدُّعَاءِ لأَهْلِهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا أَبُو خَيْثَمَةَ، عَنْ زُبَيْدٍ الْيَامِيِّ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ بُرَيْدَةَ، أُرَاهُ عَنْ أَبِيهِ، - الشَّكُّ مِنْ أَبِي خَيْثَمَةَ - عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح . وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ بْنُ عُقْبَةَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ح . وَحَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ عَبْدِ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ عَطَاءٍ الْخُرَاسَانِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلُّهُمْ بِمَعْنَى حَدِيثِ أَبِي سِنَانٍ ‏.‏


This hadith has been narrated through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. যে ব্যক্তি নিজে ব্যভিচার স্বীকার করে

৪২৮২। মুহাম্মাদ ইবনু আলা হামদানী (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়েদ (রহঃ) তাঁর পিতা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, মা’ইয ইবনু মালিক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, দুর্ভাগা! ফিরে চলে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, লোকটি অল্পদূর চলে গিয়ে আবার ফিরে এলো। এরপর বললো, হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পূর্বের মতই কথা বললেন। চতুর্থবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ কোন বিষয়ে আমি তোমাকে পবিত্র করবো? তখন সে বললো, ব্যাভিচার হতে।

সুতরাং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার (সঙ্গী সাথীদের নিকট) জিজ্ঞাসা করলেন, তার মধ্যে কি কোন পাগলামী আছে। তখন তাঁকে জানানো হল যে, সে পাগল নয়। এরপর তিনি জিজ্ঞেস করলেন, সে মদ্যপান করেছে। তখন এক ব্যক্তি দণ্ডায়মান হল এবং তার মুখ শুকে দেখল, সে তার মুখ থেকে মদের গন্ধ পেল না। বর্ণনাকারী বলেন, এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি ব্যভিচার করেছ? প্রতি উত্তরে সে বললো, জী হ্যাঁ। অতএব রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার প্রতি (ব্যভিচারের শস্তি প্রদানের) নির্দেশ দিলেন। এরপর ত্যকে পাথর নিক্ষেপ করা হল।

পরে এ ব্যাপারে জনগণ দু’দলে বিভক্ত হয়ে গেল। একদল বলতে লাগল, নিশ্চয়ই সে (মা’ইয) ধ্বংস হয়ে গেছে। নিশ্চয়ই তার পাপ তাকে ঘিরে ফেলেছে। দ্বিতীয় দল বলতে লাগল, মা’ইয এর তাওবার চেয়ে উত্তম (তাওবার অনুশোচনা) আর হয় না। সে প্রথমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে আগমন করলো এবং নিজের হাত তার হাতের উপর রাখলো। এরপর বললো আমাকে পাথর দ্বারা হত্যা করুন। বর্ণনা কারী বলেন যে, দু’তিন দিন পর্যন্ত মানুষ এ অবস্থায় অতিবাহিত করল।

এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আগমন করলেন তখন তারা (সাহাবীগণ) বসে ছিলেন। তিনি সালাম দিলেন, এরপর বসলেন এবং বললেনঃ, তোমরা মা’ইয ইবনু মালিক এর জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর। তখন তারা বললেন, আল্লাহ মা’ইয ইবনু মালিককে ক্ষমা করুন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে এমন তাওবা করেছে, যদি তার এক উম্মাতের লোকদের মাঝে বন্টিত হয় তবে সকলের জন্যহ তা যথেষ্ট হবে।

বর্ণনাকারী বলেন, এরপর তার নিকট আযদ গোত্রের শাখা গামিদ পরিবারের এক মহিলা আগমন করলো এবং বললো, হে আল্লাহর রাসূল! আমাকে পবিত্র করুন। তখন বললেন, দুর্ভাগা! তুমি ফিরে যাও এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা কর ও তাওবা কর। তখন মহিলা বললো, আপনি কি ইচ্ছা করছেন যে, আমাকেও ফিরিয়ে দিবেন যেমনিভাবে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মা’ইয ইবনু মালিককে? তখন তিনি বললেন, তোমার কি হয়েছে। মহিলা বলল, আমি ব্যভিচারের কারণে গর্ভবতী। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জিজ্ঞাসা করলেন তুমিই? সে প্রতি উত্তরে বলল, জী হ্যাঁ।

তখন তিনি তাকে বললেন, তোমার গর্ভের সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা কর। বর্ণনাকারী বলেন যে, এক আনসারী ব্যক্তি তার গর্ভের সন্তান প্রসবকাল পর্যন্ত তার দায়িত্ব গ্রহণ করল। বর্ণনাকারী বলেন, কিছুদিন পর ঐ ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলছেন, গামেদী মাহিলা তার সন্তান প্রসব করেছে। তখন তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তার ছোট শিশু সন্তানকে রেখে আমি তাকে রজম করতে পারিনা। কেননা তার শিশু সন্তানাকে দুধ পান করানোর মত কেউ নেই। তখন এক আনসারী লোক দাড়িয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি তার দুধ পান করানোর দায়িত্ব নিলাম। তখন তিনি আদেশ প্রদান করলেন এবং তাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করলেন।

باب مَنِ اعْتَرَفَ عَلَى نَفْسِهِ بِالزِّنَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَعْلَى، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ الْمُحَارِبِيُّ - عَنْ غَيْلاَنَ، - وَهُوَ ابْنُ جَامِعٍ الْمُحَارِبِيُّ - عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ، بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ جَاءَ مَاعِزُ بْنُ مَالِكٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ وَيْحَكَ ارْجِعْ فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَيْحَكَ ارْجِعْ فَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ وَتُبْ إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَرَجَعَ غَيْرَ بَعِيدٍ ثُمَّ جَاءَ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي ‏.‏ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ حَتَّى إِذَا كَانَتِ الرَّابِعَةُ قَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ فِيمَ أُطَهِّرُكَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ مِنَ الزِّنَى ‏.‏ فَسَأَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَبِهِ جُنُونٌ ‏"‏ ‏.‏ فَأُخْبِرَ أَنَّهُ لَيْسَ بِمَجْنُونٍ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ أَشَرِبَ خَمْرًا ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ فَاسْتَنْكَهَهُ فَلَمْ يَجِدْ مِنْهُ رِيحَ خَمْرٍ ‏.‏ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَزَنَيْتَ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ نَعَمْ ‏.‏ فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ فَكَانَ النَّاسُ فِيهِ فِرْقَتَيْنِ قَائِلٌ يَقُولُ لَقَدْ هَلَكَ لَقَدْ أَحَاطَتْ بِهِ خَطِيئَتُهُ وَقَائِلٌ يَقُولُ مَا تَوْبَةٌ أَفْضَلَ مِنْ تَوْبَةِ مَاعِزٍ أَنَّهُ جَاءَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَوَضَعَ يَدَهُ فِي يَدِهِ ثُمَّ قَالَ اقْتُلْنِي بِالْحِجَارَةِ - قَالَ - فَلَبِثُوا بِذَلِكَ يَوْمَيْنِ أَوْ ثَلاَثَةً ثُمَّ جَاءَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُمْ جُلُوسٌ فَسَلَّمَ ثُمَّ جَلَسَ فَقَالَ ‏"‏ اسْتَغْفِرُوا لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَقَالُوا غَفَرَ اللَّهُ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ ‏.‏ - قَالَ - فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَقَدْ تَابَ تَوْبَةً لَوْ قُسِمَتْ بَيْنَ أُمَّةٍ لَوَسِعَتْهُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ ثُمَّ جَاءَتْهُ امْرَأَةٌ مِنْ غَامِدٍ مِنَ الأَزْدِ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ طَهِّرْنِي ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ وَيْحَكِ ارْجِعِي فَاسْتَغْفِرِي اللَّهَ وَتُوبِي إِلَيْهِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَتْ أَرَاكَ تُرِيدُ أَنْ تُرَدِّدَنِي كَمَا رَدَّدْتَ مَاعِزَ بْنَ مَالِكٍ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ وَمَا ذَاكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ إِنَّهَا حُبْلَى مِنَ الزِّنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ آنْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ نَعَمْ ‏.‏ فَقَالَ لَهَا ‏"‏ حَتَّى تَضَعِي مَا فِي بَطْنِكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ فَكَفَلَهَا رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ حَتَّى وَضَعَتْ قَالَ فَأَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ قَدْ وَضَعَتِ الْغَامِدِيَّةُ ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ إِذًا لاَ نَرْجُمَهَا وَنَدَعَ وَلَدَهَا صَغِيرًا لَيْسَ لَهُ مَنْ يُرْضِعُهُ ‏"‏ ‏.‏ فَقَامَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ فَقَالَ إِلَىَّ رَضَاعُهُ يَا نَبِيَّ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ فَرَجَمَهَا ‏.‏


Sulaiman b. Buraida reported on the authority of his father that Ma, iz b. Malik came to Allah's Apostle (ﷺ) and said to him: Messenger of Allah, purify me, whereupon he said: Woe be upon you, go back, ask forgiveness of Allah and turn to Him in repentance. He (the narrator) said that he went back not far, then came and said: Allah's Messenger, purify me. whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Woe be upon you, go back and ask forgiveness of Allah and turn to Him in repentance. He (the narrator) said that he went back not far, when he came and said: Allah's Messenger, purify me. Allah's Apostle (ﷺ) said as he had said before. When it was the fourth time, Allah's Messenger (may, peace be upon him) said: From what am I to purify you? He said: From adultery, Allah's Messenger (ﷺ) asked if he had been mad. He was informed that he was not mad. He said: Has he drunk wine? A person stood up and smelt his breath but noticed no smell of wine. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: Have you committed adultery? He said: Yes. He made pronouncement about him and he was stoned to death. The people had been (divided) into two groups about him (Ma'iz). One of them said: He has been undone for his sins had encompassed him, whereas another said: There is no repentance more excellent than the repentance of Ma'iz, for he came to Allah's Apostle (ﷺ) and placing his hand in his (in the Holy Prophet's) hand said: Kill me with stones. (This controversy about Ma'iz) remained for two or three days. Then came Allah's Messenger (ﷺ) to them (his Companions) as they were sitting. He greeted them with salutation and then sat down and said: Ask forgiveness for Ma'iz b. Malik. They said: May Allah forgive Ma'iz b. Malik. Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: He (Ma'iz) has made such a repentance that if that were to be divided among a people, it would have been enough for all of them. He (the narrator) said: Then a woman of Ghamid, a branch of Azd, came to him and said: Messenger of of Allah, purify me, whereupon he said: Woe be upon you; go back and beg forgiveness from Allah and turn to Him in repentance. She said: I find that you intend to send me back as you sent back Ma'iz. b. Malik. He (the Holy, Prophet) said: What has happened to you? She said that she had become pregnant as a result of fornication. He (the Holy Prophet) said: Is it you (who has done that)? She said: Yes. He (the Holy Prophet) said to her: (You will not be punished) until you deliver what is there in your womb. One of the Ansar became responsible for her until she was delivered (of the child). He (that Ansari) came to Allah's Apostle (ﷺ) and said the woman of Ghamid has given birth to a child. He (the Holy Prophet) said: In that case we shall not stone her and so leave her infant with none to suckle him. One of the Ansar got up and said: Allah's Apostle, let the responsibility of his suckling be upon me. She was then stoned to death.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬৬. একই উযুতে কয়েক ওয়াক্তের নামায আদায় সম্পর্কে।

১৭২. মুসাদ্দাদ .... সুলায়মান ইবনু বুরাইদা থেকে তাঁর পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মক্কা বিজয়ের দিন একই উযূ (ওজু/অজু/অযু)-তে পাঁচ ওয়াক্তের নামায আদায় করেন এবং মোজার উপর মাসেহ্ করেন। এতদ্দর্শনে উমার (রাঃ) তাকে বলেন, আমি আপনাকে আজ এমন একটি কাজ করতে দেখেছি- যা কখনও দেখিনি। জবাবে তিনি (আল্লাহর রাসূল) বলেন, আমি ইচ্ছা করেই এরূপ করেছি।

باب الرَّجُلِ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي عَلْقَمَةُ بْنُ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْفَتْحِ خَمْسَ صَلَوَاتٍ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ إِنِّي رَأَيْتُكَ صَنَعْتَ الْيَوْمَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ تَصْنَعُهُ ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ عَمْدًا صَنَعْتُهُ ‏"‏ ‏.‏

حكم : صحيح (الألباني


Buraidah on the authority of his father reported: The Messenger of Allah (ﷺ) performed five prayers with the same ablution of the occasion of the capture of Mecca, and he wiped over his socks. ‘Umar said to him(the Prophet): I saw you doing a thing today that you never did. He said: I did it deliberately. Grade : Sahih (Al-Albani)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩৫৯. মুশরিকদেরকে ইসলামের দাওয়াত প্রদান।

২৬০৫. আবূ সালিহ্ আল্ আনতাকী, মাহবূব ইবন মূসা .... সুলায়মান ইবন বুরায়দা তাঁর পিতা বুরায়দা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা আল্লাহর নাম নিয়ে তাঁর সাহায্য প্রার্থনা করে আল্লাহর রাহে যুদ্ধে অবতীর্ণ হও এবং ঐ সকল কাফিরদের সঙ্গে যুদ্ধ করবে যারা ইসলাম গ্রহণ করেনি এবং জিযইয়া দানেও অসম্মতি জ্ঞাপন করেছে। তোমরা যুদ্ধ করে যাও, কিন্তু চুক্তি ভঙ্গ করো না, যুদ্ধলব্ধ সম্পদ আত্মসাৎ করো না, নিহত শত্রুর নাক, কান ইত্যাদি কেটে বিকৃত করো না এবং কোন শিশুকে হত্যা করো না।

باب فِي دُعَاءِ الْمُشْرِكِينَ

حَدَّثَنَا أَبُو صَالِحٍ الأَنْطَاكِيُّ، مَحْبُوبُ بْنُ مُوسَى أَخْبَرَنَا أَبُو إِسْحَاقَ الْفَزَارِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ اغْزُوا بِاسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ وَقَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا ‏"‏ ‏.‏


Sulaiman bin Buraidah reported on his father’s authority The Prophet(ﷺ) said “Fight in the name of Allaah and in the path of Allaah and with him who disbelieves in Allaah fight and do not be treacherous and do not be dishonest about boot yand do not deface (in killing) and do not kill a child.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৭. মুজাহিদের স্ত্রীদের মর্যাদা

৩১৯২. হুসায়ন ইবন হুরায়ছ এবং মাহমুদ ইবন গায়লান (রহঃ) ... সুলায়মান ইবন বুরায়দা তাঁর পিতার সূত্রে বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা যুদ্ধে যায়নি, তাদের জন্য মুজাহিদদের স্ত্রীগণ এমন হারাম, যেমন তাদের জন্য তাদের মাতাগণ হারাম। আর কোন মুজাহিদের স্ত্রীর ব্যাপারে কোন ব্যক্তি যদি তার স্থলাভিষিক্ত থেকে খিয়ানত করে, তাহলে কিয়ামতের দিন সে ব্যক্তি তার বিচার প্রার্থী হয়ে দাঁড়াবে এবং তার আমল হতে যথেচ্ছা কেড়ে নেবে। অতএব তোমরা কি ধারণা কর?

حُرْمَةُ نِسَاءِ الْمُجَاهِدِينَ

أَخْبَرَنَا حُسَيْنُ بْنُ حُرَيْثٍ وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلَانَ وَاللَّفْظُ لِحُسَيْنٍ قَالَا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حُرْمَةُ نِسَاءِ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ كَحُرْمَةِ أُمَّهَاتِهِمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ يَخْلُفُ فِي امْرَأَةِ رَجُلٍ مِنْ الْمُجَاهِدِينَ فَيَخُونُهُ فِيهَا إِلَّا وُقِفَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَأَخَذَ مِنْ عَمَلِهِ مَا شَاءَ فَمَا ظَنُّكُمْ


It was narrated from Sulaiman bin Buraidah that his father said: "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'The sanctity of the wives of the Mujahidin to those who stay behind is like the sanctity of their mothers. There is no man who takes on the responsibility of looking after the wife of one of the Mujahidin and betrays him with her but he (the betrayer) will be made to stand before him on the Day of Resurrection and he will take whatever he wants of his (good) deeds. So what do you think?'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যে ব্যক্তি গাযীর পরিবারে খিয়ানত করে

৩১৯৩. হারূন ইবন আব্দুল্লাহ (রহঃ) ... সুলায়মান ইন বুরায়দা (রহঃ) তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যারা যুদ্ধে গমন করে না তাদের জন্য মুজাহিদদের স্ত্রীরা এমন হারাম, যেমন তাদের মাতাগণ তাদের জন্য হারাম। আর সে যদি তার পরিবারের স্থলাভিষিক্ত হয়ে খিয়ানত করে, কিয়ামতের দিন তাকে বলা হবে, এ ব্যক্তি তোমার পরিবারে তোমার খিয়ানত করেছে। কাজেই তুমি তার নেকী হতে যত ইচ্ছা গ্রহণ কর। সুতরাং এ ব্যাপারে তোমাদের ধারণা কি?

مَنْ خَانَ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ

أَخْبَرَنِي هَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنَا حَرَمِيُّ بْنُ عُمَارَةَ قَالَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حُرْمَةُ نِسَاءِ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ كَحُرْمَةِ أُمَّهَاتِهِمْ وَإِذَا خَلَفَهُ فِي أَهْلِهِ فَخَانَهُ قِيلَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ هَذَا خَانَكَ فِي أَهْلِكَ فَخُذْ مِنْ حَسَنَاتِهِ مَا شِئْتَ فَمَا ظَنُّكُمْ


It was narrated from Sulaiman bin Buraidah, from his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The sanctity of the wive of the Mujahidin to those who stay behind is like the sanctity of their mothers. If he takes on the responsibility of looking after his wife then betrays him, it will be said to him on the Day of Resurrection: 'This one betrayed you with your wife, so take whatever you want of his good deeds.' So what do you think?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যে ব্যক্তি গাযীর পরিবারে খিয়ানত করে

৩১৯৪. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ ইবন আব্দুর রহমান (রহঃ) ... ইবন বুরায়দা (রহঃ) তার পিতার সুত্রে বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন। যারা যুদ্ধে যোগদান করে নি, তাদের জন্য মুজাহিদদের স্ত্রীরা এমন হারাম, যেমন তাদের মাতা তাদের জন্য হারাম। যদি মুজাহিদের পরিবারে কোন ব্যক্তি স্থলাভিষিক্ত হয়, যে যুদ্ধে গমন না করে রয়ে গেছে, তাকে কিয়ামতের দিন তার জন্য দাঁড় করান হবে, বলা হবেঃ হে অমুক! এ অমুক ব্যক্তি তুমি তার নেকী হতে যা ইচ্ছা গ্রহণ কর। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবীবৃন্দের প্রতি লক্ষ্য করে বললেনঃ তোমাদের কি ধারণা, তোমরা কি মনে কর এ ব্যক্তি তার নেকী হতে কিছু ছেড়ে দেবে?

مَنْ خَانَ غَازِيًا فِي أَهْلِهِ

أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ حَدَّثَنَا قَعْنَبٌ كُوفِيٌّ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ عَنْ ابْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ حُرْمَةُ نِسَاءِ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ فِي الْحُرْمَةِ كَأُمَّهَاتِهِمْ وَمَا مِنْ رَجُلٍ مِنْ الْقَاعِدِينَ يَخْلُفُ رَجُلًا مِنْ الْمُجَاهِدِينَ فِي أَهْلِهِ إِلَّا نُصِبَ لَهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فَيُقَالُ يَا فُلَانُ هَذَا فُلَانٌ فَخُذْ مِنْ حَسَنَاتِهِ مَا شِئْتَ ثُمَّ الْتَفَتَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى أَصْحَابِهِ فَقَالَ مَا ظَنُّكُمْ تُرَوْنَ يَدَعُ لَهُ مِنْ حَسَنَاتِهِ شَيْئًا


It was narrated from Ibn Buraidah, from his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The sanctity of the wives of the Mujahidin to those who stay behind is like the sanctity of their mothers. There is no man among those who stay behind who takes on the responsibility of looking after the wife of one of the Mujahidin (and betrays him) but he (the betrayer) will be made to stand before him on the Day Resurrection and it will be said: 'O So-and-so, this is so-and-so, take whatever you want from his good deeds.'" Then the Prophet (ﷺ) turned to his Companions and said: "What do you think: Will he leave him any of his good deeds?"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪/১১. মসজিদে হারানো জিনিস খুঁজে বেড়ানো নিষেধ।

১/৭৬৫। সুলাইমান ইবনু বুরাইদাহ (রহঃ) থেকে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত পড়লেন। এক ব্যাক্তি দাঁড়িয়ে বললো, কে লাল উটের খোঁজ দিতে পারে (আমার লাল উটটি হারিয়ে গেছে)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি যেন তা না পাও। মাসজিদ যে উদ্দেশে নির্মাণ করা হয়েছে তা সেই উদ্দেশেই ব্যবহৃত হবে।

بَاب النَّهْيِ عَنْ إِنْشَادِ الضَّوَالِّ فِي الْمَسَاجِدِ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ أَبِي سِنَانٍ، سَعِيدِ بْنِ سِنَانٍ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ صَلَّى رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَقَالَ رَجُلٌ مَنْ دَعَا إِلَى الْجَمَلِ الأَحْمَرِ فَقَالَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ‏ "‏ لاَ وَجَدْتَهُ إِنَّمَا بُنِيَتِ الْمَسَاجِدُ لِمَا بُنِيَتْ لَهُ ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Sulaiman bin Burdah that his father said: "The Messenger of Allah performed prayer, then a man said: 'Who was looking for the red camel?' The Prophet said: 'May you not find it! The mosques were built for that for which they were built.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ মুছলা নিষিদ্ধ হওয়া।

১৪১২. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা তার পিতা বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কাউকে কোন বাহনীর সেনাপতি বানিয়ে পাঠাতেন তখন তিনি তাকে বিশেষ করে তার নিজের ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বন করতে এবং তার সঙ্গী মুসলিমদের সম্পর্কে সদাচরণের উপদেশ দিতেন। বলতেন, আল্লাহর নামে আল্লাহরই পথে জিহাদ করবে; যারা আল্লাহর সঙ্গে কুফরী করে তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। জিহাদ করবে কিন্তু গনীমতের খিয়ানত করবে না, বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। মুছলা করবে না অর্থাৎ নিহত ব্যক্তির নাক কান ইত্যাদি কেটে তাকে বিকৃত করবে না, শিশুদের হত্যা করবে না। - ইবনু মাজাহ ২৮৫৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪০৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটিতে আরো ঘটনা বর্ণিত রয়েছে। এই বিষয়ে ইবনু মাসঊদ, শাদ্দাদ ইবনু আওস, সামুরা, মুগীরা, ইয়া’লা ইবনু মুররা ও আবূ আয়্যূব রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। আলিমগণ মুছলা করাকে নাযায়েয বলে অভিমত দিয়েছেন।

باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ الْمُثْلَةِ،

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا فَقَالَ ‏ "‏ اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ وَسَمُرَةَ وَالْمُغِيرَةِ وَيَعْلَى بْنِ مُرَّةَ وَأَبِي أَيُّوبَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَكَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ الْمُثْلَةَ ‏.‏


Narrated Buraidah: from his father who said: "Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) dispatched a commander of an army he would exhort him personally; that he should have Taqwa of Allah, and regarding those of the Muslims who are with him; that he should be good to them. He would say: 'Fight in the Name of Allah and in Allah's curse. Fight those who disbelieve in Allah and fight, do not be treacherous, nor mutilate, nor kill a child."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ তিন দিনের পরও কুরবানীর গোশত আহার করার অনুমতি

১৫১৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার, মাহমূদ ইবনু গায়লান, হাসান ইবনু আলী আল-খাললাল (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা তার পিতা বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে তিন দিনের পরও কুরবানীর মাংস খেতে নিষেধ করেছিলাম যেন স্বচ্ছল ব্যক্তিরা অসামর্থ ব্যক্তিদের উদারভাবে তা দিতে পারে। এখন তোমরা যা ইচ্ছা খাও। অন্যকেও খাওয়াও এবং সঞ্চয়ও করে রাখতে পার। সহীহ, ইরওয়া ৪/৩৬৮-৩৬৯, মুসলিম,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে ইবনু মাসঊদ, আয়িশা নুবায়শা, আবূ সাঈদ, কাতাদা ইবনুন নু’মান, আনাস, উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ। ফকীহ সাহাবী ও অপরাপর আলিমদের এতদনুসারে আমল রয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي أَكْلِهَا بَعْدَ ثَلاَثٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِي فَوْقَ ثَلاَثٍ لِيَتَّسِعَ ذُو الطَّوْلِ عَلَى مَنْ لاَ طَوْلَ لَهُ فَكُلُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ وَنُبَيْشَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَقَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَأَنَسٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah: From his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I used to prohibit you from (eating) the meat of Sacrifice beyond three days so that those who have the ability would give to those who do not have it. So (now) eat as you like, feed others, and save from it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধ প্রসঙ্গে নবী (ﷺ) এর বিশেষ উপদেশ।

১৬২৩। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা তৎ পিতা বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে কোন বাহিনীর আমির বানিয়ে পাঠানোর সময় তাকে বিশেষ করে নিজের ব্যাপারে তাকওয়া অবলম্বনের এবং সঙ্গী মুসলিমদের কল্যাণ কামনার উপদেশ দিতেন। বলতেন, বিসমিল্লাহ বলে আল্লাহর পথে লড়াই করবে। যারা আল্লাহকে অস্বীকার করেছে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও। গনীমতের মাল আত্মসাত করবে না। বিশ্বাস ঘাতকতা করবে না। নিহত শত্রুর অঙ্গ-প্রতঙ্গ কেটে বিকৃত করবে না। শিশু হত্যা করবে না। মুশরকি শত্রুদের সম্মুখীন যখন হবে তাদেরকে তিনটি বিষয়ে একটি গ্রহণের আহবান জানাবে। যে কোনটির প্রতি তারা সাড়া দিবে তোমরা তা গ্রহণ করবে এবং তাদের বিষয়ে বিরত থাকবে।

প্রথমে তাদেরকে ইসলামের প্রতি আহবান জানাবে এবং তাদের দেশ থেকে মুহাজিরীনের অঞ্চল (দারুল ইসলাম) হিজরত করতে বলবে। তাদের অবহিত করবে যদি তারা তা করে তবে মুহাজিরগণ যে অধিকার ভোগ করে তারাও তা ভোগ করবে; মুহাজিরগণের উপর যে দায়িত্ব বর্তায় তাদের উপরও সে দায়িত্ব বর্তাবে। যদি তারা স্থান পরিবর্তনে অস্বীকৃতি জানায় তবে তাদের অবহিত করবে যে, তারা মরু অঞ্চলে (গ্রামাঞ্চলে) বসবাসরত সাধারণ মুসলিমদের মত গণ্য হবে। মরুবাসীদের উপর যা প্রযোজ্য হয় তাদের উপরও তা প্রযোজ্য হবে। জিহাদে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ব্যতীরেখে গনীমত ও ফাই সম্পদে তাদের কোন অধিকার থাকবে না।

এই বিষয় গ্রহণ করতেও যদি তারা অস্বীকার করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে এবং এদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। কোন কেল্লা অবরোধ করলে যদি তারা (কেল্লাবাসী) চায় যে তুমি তাদের আল্লাহর যিম্মা ও তাঁর নবীর যিম্মা দিলে তারা আত্মসমর্পণ করবে তবে তাদেরকে আল্লাহর যিম্মায় ও তাদের রাসূলের যিম্মায় প্রদান করবে না। বরং তাদেরকে তোমার ও তোমার সঙ্গীদের যিম্মায় আত্মসমর্পণ করতে বলবে। কেননা আল্লাহর যিম্মা ও রাসূলের যিম্মায় ত্রুটি অপেক্ষা তোমাদের নিজেদের যিম্মায় ও তোমাদের সঙ্গীদের যিম্মায় অঙ্গীকারে ত্রুটি ঘটা অধিকতর ভাল। যদি কোন কেল্লা অবরোধ কালে কেল্লাবাসীরা আল্লাহর হুকুমের উপর আত্মসমর্পণ করতে চায় তবে তোমরা তা স্বীকার করবে না বরং তোমরা হুকুমে আত্মসমর্পণ করতে বলবে। কেননা তুমি জাননা তাদের বিষয়ে আল্লাহর হুকুম-এ ঠিক পৌছাতে পারবে কিনা। সহীহ, ইবনু মাজাহ ২৮৫৮, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে নু’মান ইবনু মুকাররিন রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সহীহ।

মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) আলকামা ইবনু মারছাদ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এতে আরো আছে যে, তারা যদি (ইসলাম) তা গ্রহণ করতে অস্বীকার করে তবে তাদের থেকে জিযইয়া নিবে। তা যদি অস্বীকার করে তবে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করবে। সহীহ।

ওয়াকী’ প্রমুখ (রহঃ) সুফইয়ান (রহঃ) থেকে তদ্রুপ রিওয়ায়াত করেছেন। মুহাম্মদ বাশশার ছাড়া অন্যরাও আবদুর রহমান ইবনু মাহদী (রহঃ) থেকে এটি বর্ণনা করেছেন এবং তাতে জিযইয়া-এর কথা উল্লেখ রয়েছে।

باب مَا جَاءَ فِي وَصِيَّتِهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقِتَالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَقَالَ ‏ "‏ اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا فَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ أَوْ خِلاَلٍ أَيَّتَهَا أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمُ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ وَالتَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَإِنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ وَإِنْ أَبَوْا أَنْ يَتَحَوَّلُوا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُوا كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ مَا يَجْرِي عَلَى الأَعْرَابِ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْغَنِيمَةِ وَالْفَىْءِ شَيْءٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ وَقَاتِلْهُمْ وَإِذَا حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ فَلاَ تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلاَ ذِمَّةَ نَبِيِّهِ وَاجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَمَ أَصْحَابِكَ لأَنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا ذِمَّتَكُمْ وَذِمَمَ أَصْحَابِكُمْ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلاَ تُنْزِلُوهُمْ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَتُصِيبُ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ أَمْ لاَ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَزَادَ فِيهِ ‏ "‏ فَإِنْ أَبَوْا فَخُذْ مِنْهُمُ الْجِزْيَةَ فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَاهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ، ‏.‏ وَرَوَى غَيْرُ، مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، وَذَكَرَ، فِيهِ أَمْرَ الْجِزْيَةِ ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah: From his father who said: "When the Messenger of Allah (sawS) sent a commander of an army, he would exhort him concerning himself to have Taqwa of Allah, and he would exhort him to be good to those who are with him among the Muslims. He would say: 'Fight in the Name of Allah, in the cause of Allah. Fight those who disbelieve in Allah, and do not steal from the spoils of war or be treacherous, nor mutilate, and do not kill a child. When you meet your enemy among the idolaters, then call them to one of the three options or choices, whichever of them they respond to then accept it from them, and refrain from them. Call them to Islam, and to relocate from their land to the land of Emigrants. Inform them that if they do that, then they will have similar to what those who emigrated have, and from them will be required similar to what is required from those who have emigrated. And if they refuse to relocate, then inform them that they will be like the Bedouins among the Muslim, and they will be treated the same as Bedouins are treated. There is no war spoils or Fay' for them, unless they fight along with the Muslims. If they refuse then seek aid from Allah against them and fight them. And if you lay siege to a fortress and they want you to grant them covenant from Allah and a covenant of His Prophet, then do not grant them the covenant of Allah nor the covenant of His Prophet. Rather grant them your own covenant and the covenant of your companions, it will be better than breaking Allah's covenant and the covenant of His Messenger. And if you lay siege to the people of a fortress and they want you to lift the siege for negotiating upon the judgement of Allah, then do not stop, but rather make them surrender to your judgement, for you do not know if you will come upon the judgement of Allah regarding them or not.' Or similar to that." [Abu 'Eisa said:] There is something on this topic from An-Nu'man bin Muqarrin, and the Hadith of Buraidah is a Hasan Sahih Hadith . Muhammad bin Bash-shar narrated to us (he said): "Abu Ahmad narrated to us from Sufyan (who said): "Alqamah bin Marthad narrated to us' - and it is similar in its meaning, but he added in it: "if they refuse, then take the Jizyah from them, and it they refuse then seek aid from Allah against them." [Abu 'Eisa said:] This is how it was reported from Waki' and others from Sufyan. And other than Muhammad bin Bash-shar reported it from 'Abdur-Rahman bin Mahdi, and he mentioned the matter of the Jizyah in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ সব ধরণের পাত্রে নাবীয তৈরীর অনুমতি প্রসঙ্গে।

১৮৭৫। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার, হাসান ইবনু আলী ও মাহমূদ ইবনু গায়লান (রহঃ) ... সুলায়মান ইবনু বুরায়দা তৎপিতা বুরায়দা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদেরকে বিভিন্ন পাত্র ব্যবহার করতে নিষেধ করেছিলাম। পাত্র কোন জিনিসকে হারামও করেনা হালালও বানায় না। নেশাকর সব কিছুই হারাম। সহীহ, তা’লীক আলা ইবন মাজাহ, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৮৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

হাদীসটি হাসান-সহিহ।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ أَنْ يُنْبَذَ فِي الظُّرُوفِ ‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنِ الظُّرُوفِ وَإِنَّ ظَرْفًا لاَ يُحِلُّ شَيْئًا وَلاَ يُحَرِّمُهُ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah: From his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I had indeed forbidden you from using containers, but the container does not make anything lawful nor unlawful, rather every intoxicant is unlawful." [Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ জান্নাতের ঘোড়ার বিবরণ।

২৫৪৫. আবদুল্লাহ্ ইবন আবদুর রহমান (রহঃ) ..... সুলায়মান ইবন বুরায়দা তৎপিতা বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! জান্নাতে কি ঘোড়া থাকবে? তিনি বললেনঃ তোমাকে যদি আল্লাহ তা’আলা জান্নাতে দাখিল করেন তখন তুমি যদি চাও যে, তোমাকে একটি লাল রঙের ইয়াকুত দ্বারা নির্মিত ঘোড়ায় সওয়ার করিয়ে জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা সেখানে তা উড়ে বেড়াবে তবে অবশ্যই তা করতে পারবে।

রাবী বলেন, অপর ব্যাক্তি জিজ্ঞাসা করলঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! জান্নাতে কি উট থাকবে? বুরায়দা (রাঃ) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সঙ্গী ব্যক্তিকে যে উত্তর দিয়েছিলেন এই ব্যক্তিকে সেইভাবে বলেননি। একে বললেনঃ আল্লাহ্ তা’আলা যদি তোমাকে জান্নাতে দাখিল করেন তবে সেখানে তোমার মন যা চায়, তোমার চোখে যা উপভোগ্য হবে সেই সবকিছুই তুমি পাবে।

সুওয়ায়দ ইবন নাসর (রহঃ) ... আবদুর রহমান ইবন সাবিত (রহঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উক্ত মর্মে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এটি মাসঊদী (রহঃ) এর রিওয়ায়ত (উপরিউক্ত) অপেক্ষা অধিক সহীহ।

যঈফ, মিশকাত ৫৬৪২, যঈফা ১৯৮০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২৫৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

بَابُ مَا جَاءَ فِي صِفَةِ خَيْلِ الجَنَّةِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، قَالَ أَخْبَرَنَا عَاصِمُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ فِي الْجَنَّةِ مِنْ خَيْلٍ قَالَ ‏"‏ إِنِ اللَّهُ أَدْخَلَكَ الْجَنَّةَ فَلاَ تَشَاءُ أَنْ تُحْمَلَ فِيهَا عَلَى فَرَسٍ مِنْ يَاقُوتَةٍ حَمْرَاءَ يَطِيرُ بِكَ فِي الْجَنَّةِ حَيْثُ شِئْتَ إِلاَّ فَعَلْتَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ هَلْ فِي الْجَنَّةِ مِنْ إِبِلٍ قَالَ فَلَمْ يَقُلْ لَهُ مِثْلَ مَا قَالَ لِصَاحِبِهِ قَالَ ‏"‏ إِنْ يُدْخِلْكَ اللَّهُ الْجَنَّةَ يَكُنْ لَكَ فِيهَا مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ وَلَذَّتْ عَيْنُكَ ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ سَابِطٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ الْمَسْعُودِيِّ ‏.‏


Sulaiman bin Buraidah narrated from his father that a man asked the Prophet (ﷺ): "O Messenger of Allah, are there horses in Paradise?" He said, "If Allah admits you into Paradise, you will not wish to be carried, on a horse of rubies that will fly with you wherever you want in Paradise except that you will do so." He said: "And a man asked him: 'O Messenger of Allah, are there camels in Paradise?'" He said: "So he (ﷺ) did not say what he said to his companion, rather, he (ﷺ) said: 'If Allah admits you into Paradise, you will have in it whatever is desired by your soul and pleasing to your eye.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৫. রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু 'আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই ওযুতে সকল নামায আদায় করেছেন

৬১। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রতি ওয়াক্তের নামাযের জন্য নতুনভাবে ওযু করতেন। তিনি মক্কা বিজয়ের দিন একই ওযু দিয়ে সব ওয়াক্তের নামায আদায় করলেন এবং মোজার উপর মসিহ করলেন। উমার (রাঃ) বললেনঃ আপনি এমন একটি কাজ করলেন যা ইতোপূর্বে কখনও করেননি। তিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, আমি ইচ্ছা করেই এটা করলাম। -সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৫১০), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেনঃ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আলী ইবনু কাদিম— সুফিয়ান সাওরীর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। তাতে এ কথাটুকুও আছে, “তিনি একবার একবার ওযু করেছেন।” সুফিয়ান সাওরী তার সনদ পরম্পরায় বুরাইদার সূত্রে বর্ণনা করেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রত্যেক ওয়াক্তের নামাযের জন্যই নতুনভাবে ওযু করতেন। ওরাকীও তার সনদ পরম্পরায় বুরাইদার এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। আবদুর রহমান ইবনুল মাহদী ও অন্যরা অপর এক সনদ পরম্পরায় এ হাদীসটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন। এ বর্ণনাটি ওয়াকীর বর্ণনার তুলনায় বেশি সহীহ।

বিদ্বানদের মতামত হল ওযু যে পর্যন্ত নষ্ট না হবে, সে পর্যন্ত একই ওযুতে একাধিক ওয়াক্তের নামায আদায় করা যাবে। তাদের কেউ কেউ ফযিলত লাভের আশায় প্রত্যেক নামাযের জন্য নতুনভাবে ওযু করাটা মুস্তাহাব মনে করেছেন। আফরীকী হতে বর্ণিত আছে, তিনি গুতাইফ হতে তিনি ইবনু উমার হতে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণনা করেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ "যে ব্যক্তি ওযু থাকা অবস্থায় ওযু করে আল্লাহ তার জন্য দশটি সাওয়াব লিখেন।" -এর সনদ যঈফ। এ অনুচ্ছেদে জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত একটি হাদীস রয়েছেঃ “নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম একই ওযুতে যুহর এবং আসরের নামায আদায় করেছেন।”

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ فَلَمَّا كَانَ عَامُ الْفَتْحِ صَلَّى الصَّلَوَاتِ كُلَّهَا بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ ‏.‏ فَقَالَ عُمَرُ إِنَّكَ فَعَلْتَ شَيْئًا لَمْ تَكُنْ فَعَلْتَهُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ عَمْدًا فَعَلْتُهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَلِيُّ بْنُ قَادِمٍ عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَزَادَ فِيهِ ‏"‏ تَوَضَّأَ مَرَّةً مَرَّةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَرَوَى سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ هَذَا الْحَدِيثَ أَيْضًا عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ ‏.‏ وَرَوَاهُ وَكِيعٌ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنْ أَبِيهِ ‏.‏ قَالَ وَرَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ وَغَيْرُهُ عَنْ سُفْيَانَ عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ وَكِيعٍ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنَّهُ يُصَلِّي الصَّلَوَاتِ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ مَا لَمْ يُحْدِثْ وَكَانَ بَعْضُهُمْ يَتَوَضَّأُ لِكُلِّ صَلاَةٍ اسْتِحْبَابًا وَإِرَادَةَ الْفَضْلِ ‏.‏ وَيُرْوَى عَنِ الإِفْرِيقِيِّ عَنْ أَبِي غُطَيْفٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ مَنْ تَوَضَّأَ عَلَى طُهْرٍ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهِ عَشْرَ حَسَنَاتٍ ‏"‏ ‏.‏ وَهَذَا إِسْنَادٌ ضَعِيفٌ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ بِوُضُوءٍ وَاحِدٍ ‏.‏


Sulaiman bin Buraidah narrated that his father said: "The Prophet would perform Wudu for every Salat. So during the year of the Conquest, he performed all of the prayers with one Wudu, and he wiped over his Khuff. So Umar said, 'You did something that you have not done before?' He replied: "I did it on purpose."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৩. একই বিষয় সম্পর্কিত

১৫২। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি (বুরাইদা) বলেন, এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ নবী আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে তাকে নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্ন করল। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা চান তো তুমি আমাদের সংগে থাক। তিনি বিলাল (রাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন এবং সে অনুযায়ী তিনি ভোর (সুবহি সাদিক) উদয় হলে ফযরের নামাযের ইকামাত দিলেন। তিনি আবার নির্দেশ দিলেন এবং সূর্য ঢলে গেলে তিনি (বিলাল) ইকামাত দিলেন। অতঃপর তিনি যুহরের নামায আদায় করালেন। তিনি আবার নির্দেশ দিলে বিলাল ইকামাত দিলেন। তখন সূর্য অনেক উপরে ছিল এবং আলোক উদ্ভাসিত ছিল। অতঃপর তিনি ’আসরের নামায আদায় করালেন। অতঃপর সূর্য ডুবে যাওয়ার সাথে সাথে তিনি তাকে মাগরিবের নামাযের ইকামাত দেয়ার নির্দেশ দিলেন। অতঃপর তিনি তাকে ইশার নামাযের (ইকামাতের) নির্দেশ দিলেন। শাফাক অদৃশ্য হলে তিনি ইকামাত দিলেন। পরবর্তী সকালে তিনি তাকে (ইকামাতের) নির্দেশ দিলেন। ভোর খুব পরিষ্কার হওয়ার পর তিনি ফযরের নামায আদায় করালেন।

অতঃপর তিনি তাকে যুহরের নামাযের (ইক্বামাত(ইকামত/একামত)ের) নির্দেশ দিলেন এবং (সূর্যের তাপ) যথেষ্ট ঠাণ্ডা হওয়া পর্যন্ত দেরি করে নামায আদায় করলেন। অতঃপর তিনি তাকে আসরের নামাযের নির্দেশ দিলেন, সে অনুযায়ী তিনি (বিলাল) সূর্য শেষ সীমায় এবং পূর্ব দিনের চেয়ে অনেক নীচে নেমে আসলে ইকামাত দিলেন [অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের নামায আদায় করালেন]। অতঃপর তিনি তাকে (ইকামাতের) নির্দেশ দিলেন এবং শাফাক অদৃশ্য হওয়ার সামান্য পূর্বে মাগরিবের নামায আদায় করালেন। অতঃপর তিনি তাকে ইশার নামাযের ইকামাত দেয়ার নির্দেশ দিলেন এবং সে অনুযায়ী এক-তৃতীয়াংশ রাত চলে যাবার পর ইকামাত দিলেন। অতঃপর তিনি বললেনঃ নামাযের ওয়াক্ত সম্পর্কে প্রশ্নকারী কোথায়? লোকটি বলল, আমি। তিনি বললেনঃ নামাযের সময় এই দুই সীমার মাঝখানে।

সহীহ। ইবনু মাজাহ– (৬৬৭), মুসলিম।

আবু ঈসা বলেন, হাদীসটি হাসান, গারীব সহীহ। শুবাও এ হাদীসটি আলকামাহ ইবনু মারসাদ হতে বর্ণনা করেছেন।

باب مِنْهُ ‏ ‏

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَزَّارُ، وَأَحْمَدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ مُوسَى الْمَعْنَى، وَاحِدٌ، قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ يُوسُفَ الأَزْرَقُ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ فَسَأَلَهُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ فَقَالَ ‏"‏ أَقِمْ مَعَنَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ فَأَمَرَ بِلاَلاً فَأَقَامَ حِينَ طَلَعَ الْفَجْرُ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ حِينَ زَالَتِ الشَّمْسُ فَصَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَقَامَ فَصَلَّى الْعَصْرَ وَالشَّمْسُ بَيْضَاءُ مُرْتَفِعَةٌ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْمَغْرِبِ حِينَ وَقَعَ حَاجِبُ الشَّمْسِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ غَابَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ مِنَ الْغَدِ فَنَوَّرَ بِالْفَجْرِ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالظُّهْرِ فَأَبْرَدَ وَأَنْعَمَ أَنْ يُبْرِدَ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعَصْرِ فَأَقَامَ وَالشَّمْسُ آخِرَ وَقْتِهَا فَوْقَ مَا كَانَتْ ثُمَّ أَمَرَهُ فَأَخَّرَ الْمَغْرِبَ إِلَى قُبَيْلِ أَنْ يَغِيبَ الشَّفَقُ ثُمَّ أَمَرَهُ بِالْعِشَاءِ فَأَقَامَ حِينَ ذَهَبَ ثُلُثُ اللَّيْلِ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ أَيْنَ السَّائِلُ عَنْ مَوَاقِيتِ الصَّلاَةِ ‏"‏ ‏.‏ فَقَالَ الرَّجُلُ أَنَا ‏.‏ فَقَالَ ‏"‏ مَوَاقِيتُ الصَّلاَةِ كَمَا بَيْنَ هَذَيْنِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ أَيْضًا ‏.‏


Sulaiman bin Buraidah narrated that his father said: "A man came to the Prophet to ask him about the times for Salat. So he said: 'Stay with us, In sha Allah.' So he ordered Bilal to call the Iqamah when Fajr began, then he ordered him to call the Iqamah when the Sun passed the zenith, then he prayed Zuhr. Then he ordered him to call the Iqamah to pray Asr while the sun was elevated and white. Then he ordered him (to call the Iqamah for) Maghrib when the (top) edge of the sun had set. Then he ordered him to call the Iqamah for Isha when the horizon (twilight) had vanished. Then he ordered him in the morning (to give the call for Fajr prayer), when the light of Fajr glowed. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Zuhr, so he waited well until it had cooled. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Asr, so he calIed the Iqamah while the sun was later in its position than what it was (the day before). Then he ordered him to delay Maghrib until right before the twilight had disappeared. Then he ordered (him to call the Iqamah for) Isha, so he called the Iqamah when a third of the night had passed. Then he said: 'Where is the one who asked about he times for the Salat?' So the man said, 'It is I.' So he said: 'The times [or the Salat are what are between these two.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬০. কবর যিয়ারাত করার অনুমতি

১০৫৪। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারাত করতে নিষেধ করেছিলাম। মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে তার মায়ের কবর যিয়ারাত করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। সুতরাং তোমরা কবর যিয়ারাত কর। কেননা, তা আখিরাতের কথাকে মনে করিয়ে দেয়।

— সহীহ, আল আহকাম (১৭৮, ১৮৮), মুসলিম

আবু সাঈদ, ইবনু মাসউদ, আনাস, আবু হুরাইরা ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বুরাইদার হাদীসটিকে আবু ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস অনুযায়ী আলিমগণ আমল করেন। কবর যিয়ারাত করতে তাদের মতে কোন দোষ নেই। এই মত দিয়েছেন ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রাহঃ)।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي زِيَارَةِ الْقُبُورِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ قَدْ كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَقَدْ أُذِنَ لِمُحَمَّدٍ فِي زِيَارَةِ قَبْرِ أُمِّهِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُذَكِّرُ الآخِرَةَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ بِزِيَارَةِ الْقُبُورِ بَأْسًا ‏.‏ وَهُوَ قَوْلُ ابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ ‏.‏


Sulaiman bin Buraidah narrated from his father that: The Messenger of Allah said: "I had prohibited you from visiting the graves. But Muhammad was permitted to visit the grave of his mother: so visit them, for they will remind you of the Hereafter."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. অঙ্গচ্ছেদন (মুসলা) করা নিষেধ

১৪০৮। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, যখন কোন লোককে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বাহিনীর আমীর করে পাঠাতেন তখন তাকে বিশেষকরে আল্লাহভীতির উপদেশ দিতেন এবং তার সাথের মুসলিমদের সাথে সৎ ও কল্যাণময় আচরণের নির্দেশ দিতেন। তিনি বলতেনঃ তোমরা আল্লাহর নামে আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ কর, আল্লাহ তা’আলার সাথে কুফরকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, খিয়ানাত ও প্রতারণা কর না, বিশ্বাসঘাতকতা কর না। মুসলা (নাক, কান ইত্যাদি কর্তন) কর না এবং শিশুদের হত্যা কর না।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৫৮), মুসলিম

এ হাদীসের সাথে একটি ঘটনা আছে। ইবনু মাসউদ, শাদ্দাদ ইবনু আওস, ইমরান ইবনু হুসাইন, আনাম, সামুরা, মুগীরা, ইয়ালা ইবনু মুররা ও আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বুরাইদাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। বন্দীদের বা নিহতের নাক, কান, অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ইত্যাদি কাটতে বিশেষজ্ঞ আলিমগণ নিষেধ করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ الْمُثْلَةِ،

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا فَقَالَ ‏ "‏ اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ اغْزُوا وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ وَشَدَّادِ بْنِ أَوْسٍ وَعِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ وَأَنَسٍ وَسَمُرَةَ وَالْمُغِيرَةِ وَيَعْلَى بْنِ مُرَّةَ وَأَبِي أَيُّوبَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَكَرِهَ أَهْلُ الْعِلْمِ الْمُثْلَةَ ‏.‏


Narrated Buraidah: from his father who said: "Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) dispatched a commander of an army he would exhort him personally; that he should have Taqwa of Allah, and regarding those of the Muslims who are with him; that he should be good to them. He would say: 'Fight in the Name of Allah and in Allah's curse. Fight those who disbelieve in Allah and fight, do not be treacherous, nor mutilate, nor kill a child."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৪. কুরবানীর গোশত তিন দিনের পরেও খাওয়ার সম্মতি প্রসঙ্গে

১৫১০। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কুরবানীর মাংস তিন দিনের পরেও রাখতে (খেতে) আমি তোমাদেরকে বারণ করেছিলাম, যেন সম্পদশালীরা উদারহস্তে তাদের মাংস দরিদ্রদের মধ্যে দান করে। এখন তোমরা ইচ্ছামত তৃপ্তিসহকারে তা খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং জমা করেও রাখতে পার।

সহীহ, ইরওয়া (৪/৩৬৮-৩৬৯), মুসলিম

ইবনু মাসউদ, আইশা, নুবাইশা, আবূ সাঈদ, কাদাতা ইবনু নুমান, আনাস ও উম্মু সালামা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। এ হাদীস মোতাবিক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অভিজ্ঞ সাহাবী এবং অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ فِي أَكْلِهَا بَعْدَ ثَلاَثٍ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْخَلاَّلُ، وَغَيْرُ، وَاحِدٍ، قَالُوا أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ لُحُومِ الأَضَاحِي فَوْقَ ثَلاَثٍ لِيَتَّسِعَ ذُو الطَّوْلِ عَلَى مَنْ لاَ طَوْلَ لَهُ فَكُلُوا مَا بَدَا لَكُمْ وَأَطْعِمُوا وَادَّخِرُوا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ وَعَائِشَةَ وَنُبَيْشَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَقَتَادَةَ بْنِ النُّعْمَانِ وَأَنَسٍ وَأُمِّ سَلَمَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah: From his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I used to prohibit you from (eating) the meat of Sacrifice beyond three days so that those who have the ability would give to those who do not have it. So (now) eat as you like, feed others, and save from it."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৮. যুদ্ধের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওয়াসিয়াত (উপদেশ)

১৬১৭। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রাঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন বাহিনীর অধিনায়ক মনোনীত করে কাউকে পাঠানোর এবং অধীনস্থ মুসলিম যোদ্ধাদের কল্যাণ কামনা করার পরামর্শ দিতেন। তিনি বলতেনঃ আল্লাহ্ তা’আলার নামে যুদ্ধ শুরু কর, আল্লাহ্ তা’আলার রাস্তায় জিহাদ কর, আল্লাহ্ তা’আলার সাথে অবাধ্যাচরণকারীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর, গানীমাতের সম্পদ আত্মসাৎ কর না, বিশ্বাসঘাতকতা করা হতে বিরত থাক, (শত্রুসৈন্যের) মৃতব্যক্তির নাক-কান ইত্যাদি কেটে মৃতদেহ বিকৃত কর না এবং শিশুদের হত্যা কর না।

তুমি মুশরিক শক্ৰদের সাথে মুখোমুখি হওয়াকালে তাদেরকে তিনটি বিকল্প প্রস্তাবের যে কোন একটি মেনে নেওয়ার আহবান জানাবে। তারা এ তিনটি প্রস্তাবের যে কোন একটি মেনে নিলে তা গ্রহণ কর এবং তাদেরকে হামলা করা হতে বিরত থাক।

তুমি তাদেরকে ইসলাম ধর্ম কবুল করার জন্য আহবান জানাবে এবং হিজরত করে মুহাজিরদের এলাকায় চলে আসতে বলবে। তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, তারা এ প্রস্তাব গ্রহণ করলে তারা মুহাজিরদের সমপরিমাণ অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা লাভ করবে এবং যেসব দায়িত্ব ও কর্তব্য মুহাজিরদের উপর অর্পিত হবে অনুরূপ তাদের উপরও অর্পিত হবে।

তারা নিজস্ব অবস্থান পরিবর্তন করতে সম্মত না হলে তুমি তাদেরকে জানিয়ে দিবে যে, তারা বেদুঈনদের অনুরূপ বলে বিবেচিত হবে। যা বেদুঈনদের বেলায় কার্যকর হবে তাদের বেলায়ও তাই প্রযোজ্য হবে। তারা জিহাদে যোগ না দিলে গানীমাত ও ফাই হতে কিছুই পাবে না।

তারা ইসলাম ধর্ম কুবুল করতে রাজি না হলে তুমি তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহ তা’আলার সাহায্য প্রার্থনা কর এবং তাদের বিপক্ষে যুদ্ধ কর। তুমি কোন দুর্গ ঘেরাও করার পর তারা তোমার নিকট আল্লাহ ও তার নবীর যিম্মাদারি (নিরাপত্তা) চাইলে তুমি তাদেরকে আল্লাহ্ তা’আলার যিম্মাদারিও অনুমোদন করবে না আর তার নবীর যিম্মাদারিও নয়, বরং তাদের জন্য তোমার এবং তোমার সার্থীদের যিম্মাদারি মঞ্জুর করবে। কেননা আল্লাহ ও তার রাসূলের যিম্মাদারির খেলাপ করার চেয়ে তোমার ও তোমার সার্থীদের যিম্মাদারির খেলাপ করাই তোমাদের জন্য উত্তম।

তুমি কোন দুর্গবাসীদের অবরোধ করার পর তারা তোমার নিকট আল্লাহ তা’আলার ফায়সালা মোতাবিক দুর্গ হতে বের হয়ে আত্মসমর্পণ করতে চাইলে তুমি তা অনুমোদন করবে না, বরং তুমি তাদেরকে তোমার নিজের ফায়সালা মতো দুর্গ হতে বের করে আত্মসমর্পণ করাবে। কারণ তুমি তাদের ব্যাপারে আল্লাহ্ তা’আলার সঠিক ফায়সালায় পৌছাতে পেরেছ কি-না তা তোমার জানা নেই। অথবা তিনি একইরকম কোন কথা বলেছেন।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৫৮), মুসলিম

আবূ ঈসা বলেন, নুমান ইবনু মুকাররিন (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদিস বর্ণিত আছে। আবূ বুরাইদা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদিসটি হাসান ও সহীহ।

উপরোক্ত হাদীসের অনুরূপ আলকামা ইবনু মারসাদ (রাহঃ) হতেও বর্ণিত হয়েছে। এই বর্ণনায় আরো আছেঃ তারা (ইসলাম ধর্ম কুবুল করতে) অস্বীকার করলে তাদের কাছ থেকে খাজনা আদায় কর। তারা তাও ফিরিয়ে দিলে তাদের বিরুদ্ধে (যুদ্ধ করার জন্য) আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা কর।

সহীহ দেখুন পূর্বের হাদীস

আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি ওয়াকী ও একাধিক বর্ণনাকারী সুফিয়ানের নিকট হতে বর্ণনা করেছেন। আবদুর রাহমান ইবনু মাহদীর সূত্রে মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ব্যতীত অন্য বর্ণনাকারীগণ এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন এবং তাতেও জিযরার উল্লেখ আছে।

باب مَا جَاءَ فِي وَصِيَّتِهِ صلى الله عليه وسلم فِي الْقِتَالِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ أَمِيرًا عَلَى جَيْشٍ أَوْصَاهُ فِي خَاصَّةِ نَفْسِهِ بِتَقْوَى اللَّهِ وَمَنْ مَعَهُ مِنَ الْمُسْلِمِينَ خَيْرًا وَقَالَ ‏ "‏ اغْزُوا بِسْمِ اللَّهِ وَفِي سَبِيلِ اللَّهِ قَاتِلُوا مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ وَلاَ تَغُلُّوا وَلاَ تَغْدِرُوا وَلاَ تُمَثِّلُوا وَلاَ تَقْتُلُوا وَلِيدًا فَإِذَا لَقِيتَ عَدُوَّكَ مِنَ الْمُشْرِكِينَ فَادْعُهُمْ إِلَى إِحْدَى ثَلاَثِ خِصَالٍ أَوْ خِلاَلٍ أَيَّتَهَا أَجَابُوكَ فَاقْبَلْ مِنْهُمْ وَكُفَّ عَنْهُمُ ادْعُهُمْ إِلَى الإِسْلاَمِ وَالتَّحَوُّلِ مِنْ دَارِهِمْ إِلَى دَارِ الْمُهَاجِرِينَ وَأَخْبِرْهُمْ إِنْ فَعَلُوا ذَلِكَ فَإِنَّ لَهُمْ مَا لِلْمُهَاجِرِينَ وَعَلَيْهِمْ مَا عَلَى الْمُهَاجِرِينَ وَإِنْ أَبَوْا أَنْ يَتَحَوَّلُوا فَأَخْبِرْهُمْ أَنَّهُمْ يَكُونُوا كَأَعْرَابِ الْمُسْلِمِينَ يَجْرِي عَلَيْهِمْ مَا يَجْرِي عَلَى الأَعْرَابِ لَيْسَ لَهُمْ فِي الْغَنِيمَةِ وَالْفَىْءِ شَيْءٌ إِلاَّ أَنْ يُجَاهِدُوا فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ وَقَاتِلْهُمْ وَإِذَا حَاصَرْتَ حِصْنًا فَأَرَادُوكَ أَنْ تَجْعَلَ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ نَبِيِّهِ فَلاَ تَجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّةَ اللَّهِ وَلاَ ذِمَّةَ نَبِيِّهِ وَاجْعَلْ لَهُمْ ذِمَّتَكَ وَذِمَمَ أَصْحَابِكَ لأَنَّكُمْ إِنْ تُخْفِرُوا ذِمَّتَكُمْ وَذِمَمَ أَصْحَابِكُمْ خَيْرٌ مِنْ أَنْ تُخْفِرُوا ذِمَّةَ اللَّهِ وَذِمَّةَ رَسُولِهِ وَإِذَا حَاصَرْتَ أَهْلَ حِصْنٍ فَأَرَادُوكَ أَنْ تُنْزِلَهُمْ عَلَى حُكْمِ اللَّهِ فَلاَ تُنْزِلُوهُمْ وَلَكِنْ أَنْزِلْهُمْ عَلَى حُكْمِكَ فَإِنَّكَ لاَ تَدْرِي أَتُصِيبُ حُكْمَ اللَّهِ فِيهِمْ أَمْ لاَ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ نَحْوَ هَذَا ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ ‏.‏ وَحَدِيثُ بُرَيْدَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ وَزَادَ فِيهِ ‏ "‏ فَإِنْ أَبَوْا فَخُذْ مِنْهُمُ الْجِزْيَةَ فَإِنْ أَبَوْا فَاسْتَعِنْ بِاللَّهِ عَلَيْهِمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَاهُ وَكِيعٌ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ سُفْيَانَ، ‏.‏ وَرَوَى غَيْرُ، مُحَمَّدِ بْنِ بَشَّارٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ مَهْدِيٍّ، وَذَكَرَ، فِيهِ أَمْرَ الْجِزْيَةِ ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah: From his father who said: "When the Messenger of Allah (sawS) sent a commander of an army, he would exhort him concerning himself to have Taqwa of Allah, and he would exhort him to be good to those who are with him among the Muslims. He would say: 'Fight in the Name of Allah, in the cause of Allah. Fight those who disbelieve in Allah, and do not steal from the spoils of war or be treacherous, nor mutilate, and do not kill a child. When you meet your enemy among the idolaters, then call them to one of the three options or choices, whichever of them they respond to then accept it from them, and refrain from them. Call them to Islam, and to relocate from their land to the land of Emigrants. Inform them that if they do that, then they will have similar to what those who emigrated have, and from them will be required similar to what is required from those who have emigrated. And if they refuse to relocate, then inform them that they will be like the Bedouins among the Muslim, and they will be treated the same as Bedouins are treated. There is no war spoils or Fay' for them, unless they fight along with the Muslims. If they refuse then seek aid from Allah against them and fight them. And if you lay siege to a fortress and they want you to grant them covenant from Allah and a covenant of His Prophet, then do not grant them the covenant of Allah nor the covenant of His Prophet. Rather grant them your own covenant and the covenant of your companions, it will be better than breaking Allah's covenant and the covenant of His Messenger. And if you lay siege to the people of a fortress and they want you to lift the siege for negotiating upon the judgement of Allah, then do not stop, but rather make them surrender to your judgement, for you do not know if you will come upon the judgement of Allah regarding them or not.' Or similar to that." [Abu 'Eisa said:] There is something on this topic from An-Nu'man bin Muqarrin, and the Hadith of Buraidah is a Hasan Sahih Hadith Muhammad bin Bash-shar narrated to us (he said): "Abu Ahmad narrated to us from Sufyan (who said): "Alqamah bin Marthad narrated to us' - and it is similar in its meaning, but he added in it: "if they refuse, then take the Jizyah from them, and it they refuse then seek aid from Allah against them." [Abu 'Eisa said:] This is how it was reported from Waki' and others from Sufyan. And other than Muhammad bin Bash-shar reported it from 'Abdur-Rahman bin Mahdi, and he mentioned the matter of the Jizyah in it.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৬. উল্লেখিত পাত্রসমূহে নাবীয বানানোর সম্মতি প্রসঙ্গে

১৮৬৯। সুলাইমান ইবনু বুরাইদা (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (বুরাইদা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি এসব পাত্র কাজে লাগাতে তোমাদেরকে নিষেধ করেছিলাম। প্রকৃতপক্ষে পাত্র কোন জিনিসকে হালালও করতে পারে না এবং হারামও করতে পারে না। তবে সকল প্রকারের নেশা সৃষ্টিকারী জিনিসই হারাম।

সহীহ, তা’লীক আলা ইবনি মা-জাহ, মুসলিম

এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي الرُّخْصَةِ أَنْ يُنْبَذَ فِي الظُّرُوفِ ‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَالْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ مَرْثَدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ إِنِّي كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنِ الظُّرُوفِ وَإِنَّ ظَرْفًا لاَ يُحِلُّ شَيْئًا وَلاَ يُحَرِّمُهُ وَكُلُّ مُسْكِرٍ حَرَامٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏


Narrated Sulaiman bin Buraidah: From his father, that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "I had indeed forbidden you from using containers, but the container does not make anything lawful nor unlawful, rather every intoxicant is unlawful." [Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সুলায়মান ইবন বুরায়দা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৩৫ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »