পরিচ্ছেদঃ ১. যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে (শত্রুদেরকে) ইসলামের দাওয়াত দেয়া
১৫৪৮। আবূল বাখতারী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, মুসলিমদের কোন এক সেনাবাহিনী পারস্যের একটি দুর্গ অবরোধ করে। সালমান ফারসী (রাঃ) এই বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। সেনাবাহিনীর মুজাহিদগণ বললেন, হে আবদুল্লাহর পিতা! আমরা কি তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ব না? তিনি বললেন, আমি যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের (ইসলাম গ্রহণের) দাওয়াত দিতে শুনেছি, তোমরা আমাকেও সেভাবে দাওয়াত দিতে দাও। সালমান (রাঃ) তাদের নিকটে এসে বললেন, আমি তোমাদের মাঝেরই একজন পারস্যবাসী। তোমরা দেখতে পাচ্ছ, আরবরা আমার আনুগত্য করছে। তোমরা যদি ইসলাম গ্রহণ কর তবে তোমরাও আমাদের মতই অধিকার পাবে এবং আমাদের উপর যে দায় আসে তোমাদের উপরও সেরকম দায় আসবে। তোমরা যদি এ দাওয়াত কুবুল করতে অসম্মত হও এবং তোমাদের ধর্মের উপর অবিচল থাকতে চাও, তবে আমরা তোমাদেরকে তোমাদের ধর্মের উপর ছেড়ে দিব। কিন্তু এক্ষেত্রে তোমরা আমাদের অনুগত্য স্বীকার করে আমাদেরকে জিযইয়া দিবে।
রাবী বলেন, তিনি তাদেরকে এ কথাগুলো ফারসী ভাষায় বলেন। (তিনি আরো বলেন) এই অবস্থায় তোমরা প্রশংসিত হবে না। তোমরা যদি এটাও (জিযইয়া প্রদান) অস্বীকার কর তবে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমানভাবে লড়বো। তারা বলল, আমরাজিযইয়া প্রদানে সম্মত নই, বরং আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। মুসলিম সেনানীগণ বললেন, হে আবদুল্লাহর পিতা! আমরা কি তাদেরকে আক্রমণ করব না? তিনি বললেন, না। রাবী বলেন, তিনি এভাবে তাদেরকে তিন দিন যাবত আহবান করতে থাকেন। তারপর তিনি মুসলিম বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন, প্রস্তুত হও এবং তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়। রাবী বলেন, আমরা তাদেরকে আক্রমণ করে সেই দুর্গ দখল করলাম।
যঈফ, ইরওয়া (৫৮৭)
এ অনুচ্ছেদে বুরাইদা, নুমান ইবনু মুকাররিন, ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সালমান (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান। আমরা শুধু আতা ইবনুস সায়িবের সূত্রেই এ হাদীসটি জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, আবূল বাখতার সালমান (রাঃ)-এর দেখা পাননি। কেননা তিনি আলী (রাঃ)-এর দেখা পাননি। আর সালমান (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর পূর্বে মারা যান।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তার পরবর্তীগণ এ হাদীসের মতই মত দিয়েছেন। তাদের মতে, যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। ইসহাক ইবনু ইবরাহীমেরও এই মত। তিনি বলেন, যদি আক্রমণ করার পূর্বে শত্রুবাহিনীকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয় তবে তা উত্তম এবং তা তাদের মনে প্রভাব ও ভীতির সঞ্চার করবে।
কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম বলেন, আজকাল আর এরূপ দাওয়াত দেয়ার প্রয়োজন নেই। ইমাম আহমাদ বলেন, বর্তমানে এ ধরনের আহবান করার কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।
ইমাম শাফিঈ বলেন, শত্রুকে ইসলামের দাওয়াত না দেয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শুরু করা যাবে না। কিন্তু তাদেরকে তাড়াতাড়ি দাওয়াত গ্রহণ করার জন্য বলতে হবে। অবশ্য দাওয়াত না দিলেও কোন সমস্যা নেই। কেননা তাদের কাছে ইতিপূর্বেই ইসলামের দাওয়াত পৌছেছে।
باب مَا جَاءَ فِي الدَّعْوَةِ قَبْلَ الْقِتَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ جَيْشًا، مِنْ جُيُوشِ الْمُسْلِمِينَ كَانَ أَمِيرَهُمْ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ حَاصَرُوا قَصْرًا مِنْ قُصُورِ فَارِسَ فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ دَعُونِي أَدْعُهُمْ كَمَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوهُمْ . فَأَتَاهُمْ سَلْمَانُ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ مِنْكُمْ فَارِسِيٌّ تَرَوْنَ الْعَرَبَ يُطِيعُونَنِي فَإِنْ أَسْلَمْتُمْ فَلَكُمْ مِثْلُ الَّذِي لَنَا وَعَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْنَا وَإِنْ أَبَيْتُمْ إِلاَّ دِينَكُمْ تَرَكْنَاكُمْ عَلَيْهِ وَأَعْطُونَا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَأَنْتُمْ صَاغِرُونَ . قَالَ وَرَطَنَ إِلَيْهِمْ بِالْفَارِسِيَّةِ وَأَنْتُمْ غَيْرُ مَحْمُودِينَ . وَإِنْ أَبَيْتُمْ نَابَذْنَاكُمْ عَلَى سَوَاءٍ . قَالُوا مَا نَحْنُ بِالَّذِي نُعْطِي الْجِزْيَةَ وَلَكِنَّا نُقَاتِلُكُمْ . فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ لاَ . فَدَعَاهُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِلَى مِثْلِ هَذَا ثُمَّ قَالَ انْهَدُوا إِلَيْهِمْ . قَالَ فَنَهَدْنَا إِلَيْهِمْ فَفَتَحْنَا ذَلِكَ الْقَصْرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَحَدِيثُ سَلْمَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ لَمْ يُدْرِكْ سَلْمَانَ لأَنَّهُ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيًّا وَسَلْمَانُ مَاتَ قَبْلَ عَلِيٍّ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُدْعَوْا قَبْلَ الْقِتَالِ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِنْ تُقُدِّمَ إِلَيْهِمْ فِي الدَّعْوَةِ فَحَسَنٌ يَكُونُ ذَلِكَ أَهْيَبَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ دِعْوَةَ الْيَوْمَ . وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ أَعْرِفُ الْيَوْمَ أَحَدًا يُدْعَى . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يُقَاتَلُ الْعَدُوُّ حَتَّى يُدْعَوْا إِلاَّ أَنْ يَعْجَلُوا عَنْ ذَلِكَ فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَقَدْ بَلَغَتْهُمُ الدَّعْوَةُ .
Narrated Abu Al-Bakhtari:
"An Army from the armies of the Muslims, whose commander was Salman Al-Farisi, besieged one of the Persian castles. They said: 'O Abu 'Abdullah! Should we charge them?' He said: 'Leave me to call them (to Islam) as I heard the Messenger of Allah (ﷺ) call them.' So Salman went to them and said: 'I am only a man from among you, a Persian, and you see that the Arabs obey me. If you become Muslims then you will have the likes of what we have, and from you will be required that which is required from us. If you refuse, and keep your religion, then we will leave you to it, and you will give us the Jizyah from your hands while you are submissive.' He said to them in Persian: 'And you are other than praiseworthy and if you refuse then we will equally resist you.' They said: 'We will not give you the Jizyah, we will fight you instead.' So they said: 'O Abu 'Abdullah! Should we charge them?' He said: 'No.'" He said: "So for three days he called them to the same (things), and then he said: 'Charge them.'" He said: "So we charged them, and we conquered the castle."
পরিচ্ছেদঃ ২. (আযান শুনলে বা মসজিদ দেখলে আক্রমন না করা)
১৫৪৯। ইবনু ইসাম আল-মুযানী (রাহঃ) হতে তার পিতার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (ইসাম) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছোট বা বড় কোন যুদ্ধাভিযানে প্রেরণকালে সামরিক বাহিনীর সদস্যদেরকে বলতেনঃ তোমরা কোন মাসজিদ দেখলে অথবা মুয়াযযিনের আযান শুনলে সেখানকার কাউকে হত্যা করবে না।
যঈফ, যঈফ আবূ দাউদ (৪৫৪)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। এটি ইবনু উআইনার রিওয়ায়াত।
باب
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الْعَدَنِيُّ الْمَكِّيُّ، - وَيُكْنَى بِأَبِي عَبْدِ اللَّهِ الرَّجُلُ الصَّالِحُ هُوَ ابْنُ أَبِي عُمَرَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ نَوْفَلِ بْنِ مُسَاحِقٍ عَنِ ابْنِ عِصَامٍ الْمُزَنِيِّ عَنْ أَبِيهِ وَكَانَتْ لَهُ صُحْبَةٌ قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا بَعَثَ جَيْشًا أَوْ سَرِيَّةً يَقُولُ لَهُمْ " إِذَا رَأَيْتُمْ مَسْجِدًا أَوْ سَمِعْتُمْ مُؤَذِّنًا فَلاَ تَقْتُلُوا أَحَدًا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَهُوَ حَدِيثُ ابْنِ عُيَيْنَةَ .
Narrated Ibn 'Asim Al-Muzani:
From his father and he was a Companion who said: "When the Messenger of Allah (ﷺ) dispatched any army or battalion, he would say to them: 'If you see a Masjid, or hear someone calling the Adhan, then do not kill anyone.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. রাতের বেলা অথবা অতর্কিতে হামলা
১৫৫০। আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাইবার অভিযানের যাত্রা করে সেখানে রাতের বেলা গিয়ে পৌছান। তিনি রাতের বেলা কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় পৌছালে ভোর না হলে হামলা করতেন না। ইয়াহুদীরা ভোর হলে তাদের চিরাচরিত অভ্যাস মোতাবিক কোদাল ও ঝুড়িসহ (কৃষিকাজে) বের হল। তাকে দেখে এরা বলল, মুহাম্মাদ এসে গেছেন। আল্লাহর শপথ! মুহাম্মাদ তার সমস্ত বাহিনীসহ এসে গেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহু আকবার! খাইবার ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। আমরা যখন কোন সম্প্রদায়ের এলাকায় যাই তখন সতর্ককৃত লোকদের ভোর বেলাটা খুবই শোচনীয় হয়ে থাকে।
- সহীহ, নাসা-ঈ
باب مَا جَاءَ فِي الْبَيَاتِ وَالْغَارَاتِ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنِي مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ خَرَجَ إِلَى خَيْبَرَ أَتَاهَا لَيْلاً وَكَانَ إِذَا جَاءَ قَوْمًا بِلَيْلٍ لَمْ يُغِرْ عَلَيْهِمْ حَتَّى يُصْبِحَ فَلَمَّا أَصْبَحَ خَرَجَتْ يَهُودُ بِمَسَاحِيهِمْ وَمَكَاتِلِهِمْ فَلَمَّا رَأَوْهُ قَالُوا مُحَمَّدٌ وَافَقَ وَاللَّهِ مُحَمَّدٌ الْخَمِيسَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اللَّهُ أَكْبَرُ خَرِبَتْ خَيْبَرُ إِنَّا إِذَا نَزَلْنَا بِسَاحَةِ قَوْمٍ فَسَاءَ صَبَاحُ الْمُنْذَرِينَ " .
Narrated Anas:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) set out for Khaibar, he approached it at night and when he came to a people during the night, he would not attack them until morning. So when the morning came, the Jews came out with their shovels and baskets, then when they saw him, they said: 'Muhammad! By Allah Muhammad has come with the Khamis (an army).' So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Allahu Akbar! Khaibar is destroyed, for whenever we approach the land of people - then what an evil morning for those who have been warned.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. রাতের বেলা অথবা অতর্কিতে হামলা
১৫৫১৷ আনাস (রাঃ) হতে আবূ তালহা (রাঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত আছে, কোন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিজয়ী হলে তাদের এলাকায় তিন দিন অবস্থান করতেন।
সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (২৪১৪), নাসা-ঈ
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আনাসের সূত্রে হুমাইদের হাদীসটিও হাসান সহীহ। রাতে শত্রুর এলাকায় গিয়ে অতর্কিত হামলার পক্ষে একদল অভিজ্ঞ আলিম সম্মতি প্রদান করেছেন। এটাকে অন্য একদল অভিজ্ঞ আলিম মাকরুহ বলেছেন।
ইমাম আহমাদ ও ইসহাক বলেন, রাতের বেলা শত্রুর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনায় কোন সমস্যা নেই। ওয়াফাকা মুহাম্মাদ আল-খামীস" -এর অর্থ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে রয়েছে তার পূর্ণাঙ্গ সেনাবাহিনী।
باب مَا جَاءَ فِي الْبَيَاتِ وَالْغَارَاتِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي عَرُوبَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا ظَهَرَ عَلَى قَوْمٍ أَقَامَ بِعَرْصَتِهِمْ ثَلاَثًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَحَدِيثُ حُمَيْدٍ عَنْ أَنَسٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَخَّصَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ فِي الْغَارَةِ بِاللَّيْلِ وَأَنْ يَبِيتُوا وَكَرِهَهُ بَعْضُهُمْ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ لاَ بَأْسَ أَنْ يُبَيَّتَ الْعَدُوُّ لَيْلاً . وَمَعْنَى قَوْلِهِ وَافَقَ مُحَمَّدٌ الْخَمِيسَ يَعْنِي بِهِ الْجَيْشَ .
Narrated Abu Talhah:
"When the Prophet (ﷺ) overtook a people he would stay at the outskirts of their city for three nights."
পরিচ্ছেদঃ ৪. অগ্নিসংযোগ ও (বাড়িঘর) ধ্বংস সাধন
১৫৫২। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, বানু নাযীরের বুওয়ায়রাস্থ খেজুর বাগানে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অগ্নিসংযোগ করেন এবং গাছগুলো কেটে ফেলেন। আল্লাহ তা’আলা এই বিষয়ে আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “তোমরা যেসব খেজুরের গাছ কেটেছ বা এদের কাণ্ডের উপর যেগুলোকে স্বঅবস্থায় দাড়িয়ে থাকতে দিয়েছ, তা সবই আল্লাহ্ তা’আলার অনুমতিক্রমেই করেছ, যাতে তিনি ফাসিকদের লাঞ্ছিত করতে পারেন"(সূরাঃ হাশর– ৫)।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৪৪), নাসা-ঈ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহঁ। এ হাদীস মোতাবিক একদল অভিজ্ঞ আলিম মত দিয়েছেন। যুদ্ধাবস্থায় গাছপালা কর্তন এবং দুর্গসমূহের ধ্বংস করায় কোন সমস্যা নেই বলে তারা মনে করেন। কিছু আলিম তা মাকরূহ বলেছেন। এই মত দিয়েছেন ইমাম আওযাঈও। তিনি বলেন, ফলবান বৃক্ষ কাটতে এবং জনপদ ধ্বংস করতে আবূ বকর (রাঃ) বারণ করেছেন। মুসলিমগণও তার পরবর্তী সময়ে এই নীতির অনুসরণ করেছেন।
ইমাম শাফিঈ বলেন, শত্রু বাহিনীর কৃষিক্ষেত্রে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং ফলবান বা যে কোন ধরনের গাছ কাটাতে কোন সমস্যা নেই।
ইমাম আহমাদ বলেন, প্রয়োজনবোধে তা করা যাবে, কিন্তু বিনা প্রয়োজনে আগুন লাগানো যাবে না।
ইমাম ইসহাক বলেন, শত্রুর প্রতি প্রবল আক্রমণের উদ্দেশ্যে এরূপ করাই সুন্নাত।
باب فِي التَّحْرِيقِ وَالتَّخْرِيبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَرَّقَ نَخْلَ بَنِي النَّضِيرِ وَقَطَعَ وَهِيَ الْبُوَيْرَةُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ ) . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ ذَهَبَ قَوْمٌ مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ إِلَى هَذَا وَلَمْ يَرَوْا بَأْسًا بِقَطْعِ الأَشْجَارِ وَتَخْرِيبِ الْحُصُونِ . وَكَرِهَ بَعْضُهُمْ ذَلِكَ وَهُوَ قَوْلُ الأَوْزَاعِيِّ . قَالَ الأَوْزَاعِيُّ وَنَهَى أَبُو بَكْرٍ الصِّدِّيقُ يَزِيدَ أَنْ يَقْطَعَ شَجَرًا مُثْمِرًا أَوْ يُخَرِّبَ عَامِرًا وَعَمِلَ بِذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَهُ . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ بَأْسَ بِالتَّحْرِيقِ فِي أَرْضِ الْعَدُوِّ وَقَطْعِ الأَشْجَارِ وَالثِّمَارِ . وَقَالَ أَحْمَدُ وَقَدْ تَكُونُ فِي مَوَاضِعَ لاَ يَجِدُونَ مِنْهُ بُدًّا فَأَمَّا بِالْعَبَثِ فَلاَ تُحَرَّقُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ التَّحْرِيقُ سُنَّةٌ إِذَا كَانَ أَنْكَى فِيهِمْ .
Narrated Ibn 'Umar:
"The Messenger of Allah (ﷺ) burnt the palm trees of Bani Nadir and cut them down at Al-Buwairah. So Allah revealed: Whatever you cut down of their palm trees, or you left them standing on their trunks, then it was by the permission of Allah, and in the order to disgrace the rebellious.(59:5)"
পরিচ্ছেদঃ ৫. গানীমাত (যুদ্ধলব্ধ মাল) বিষয়ে
১৫৫৩। আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে আল্লাহ তা’আলা সকল নবীদের উপর মার্যাদা দিয়েছেন; অথবা তিনি বলেছেনঃ সকল উম্মাতের উপর আমার উম্মাতকে মার্যাদা দিয়েছেন এবং গানীমাতের সম্পদকে আমার জন্য বৈধ করেছেন।
সহীহ, মিশকাত, তাহকীক ছানী (৪০০১), ইরওয়া (১৫২, ২৮৫)
আলী, আবূ যার, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আবূ মূসা ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ উমামা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন। সাইয়্যারের ব্যাপারে কথিত আছে যে, তিনি বানু মুআবিয়ার মুক্তদাস ছিলেন। তার নিকট হতে সুলাইমান আত-তাইনী, আবদুল্লাহ ইবনু বুহাইর এবং আরো কয়েকজন বর্ণনাকারী হাদীস বর্ণনা করেছেন।
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে সকল নবীর উপর ছয়টি বিষয়ে শ্ৰেষ্ঠত্ব দান করা হয়েছে। ব্যাপকার্থক ভাবকে সংক্ষিপ্তাকারে প্রকাশের যোগ্যতা আমাকে দেওয়া হয়েছে, প্রভাব-প্রতিপত্তি দান করে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে, গানীমাত (যুদ্ধলব্ধ সম্পদ) আমার জন্য বৈধ করা হয়েছে, আমার জন্য সকল যমীন মাসজিদ ও পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম করা হয়েছে, সকল সৃষ্টির জন্য আমাকে নবী করে পাঠানো হয়েছে এবং নবীদের আগমণধারা আমাকে দিয়ে শেষ করা হয়েছে।
সহীহ, ইরওয়া (২৮৫), মুসলিম
এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ فِي الْغَنِيمَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ الْمُحَارِبِيُّ الْكُوفِيُّ، حَدَّثَنَا أَسْبَاطُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنْ سُلَيْمَانَ التَّيْمِيِّ، عَنْ سَيَّارٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ فَضَّلَنِي عَلَى الأَنْبِيَاءِ أَوْ قَالَ أُمَّتِي عَلَى الأُمَمِ وَأَحَلَّ لَنَا الْغَنَائِمَ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي ذَرٍّ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أُمَامَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَسَيَّارٌ هَذَا يُقَالُ لَهُ سَيَّارٌ مَوْلَى بَنِي مُعَاوِيَةَ . وَرَوَى عَنْهُ سُلَيْمَانُ التَّيْمِيُّ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَحِيرٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنِ الْعَلاَءِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " فُضِّلْتُ عَلَى الأَنْبِيَاءِ بِسِتٍّ أُعْطِيتُ جَوَامِعَ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ وَأُحِلَّتْ لِيَ الْغَنَائِمُ وَجُعِلَتْ لِيَ الأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا وَأُرْسِلْتُ إِلَى الْخَلْقِ كَافَّةً وَخُتِمَ بِيَ النَّبِيُّونَ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Umamah:
That the Prophet (ﷺ) said: "Verily, Allah has honored me over the (other) Prophets" - or he said: "My nation over the nations, and He has made the spoils of war lawful for us."
Another chain from Abu Hurairah who narrated that the Prophet (ﷺ) said:
"I have been honored over the Prophets with six (things): I have been given Jawami' Al-Kalam, I have been aided by (the ability to cause in the enemy) fright, the spoils of war have been made lawful for me, the Earth has been made as a Masjid and purifier for me, and I have been sent to all creatures, and with me Prophethood is sealed."
পরিচ্ছেদঃ ৬. গানীমাতের মধ্যে ঘোড়ার প্রাপ্য পরিমাণ
১৫৫৪। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গানীমাতের মধ্যে দুই অংশ ঘোড়ার জন্য এবং এক অংশ সৈনিকের জন্য নির্ধারণ করেছেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৫৪), নাসা-ঈ
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার আব্দুর রাহমান ইবনু মাহদী হতে, তিনি সুলাইম ইবনু আখ্যার হতে এই সূত্রেও অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। মুজাম্মি ইবনু জারিয়া, ইবনু আব্বাস ও ইবনু আবূ আমরাহ হতে তার বাবার সূত্রে এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
এ হাদীস মোতাবিক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশির ভাগ অভিজ্ঞ সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন। একই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, আওযাঈ, মালিক ইবনু আনাস, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাকও। তারা বলেন, গানীমাতের মধ্যে অশ্বারোহী যোদ্ধা তিন অংশ পাবে। তার নিজের জন্য এক অংশ এবং তার ঘোড়ার জন্য দুই অংশ। আর পদাতিক যোদ্ধা এক অংশ পাবে।
باب مَا جَاءَ فِي سَهْمِ الْخَيْلِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، وَحُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا سُلَيْمُ بْنُ أَخْضَرَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَسَمَ فِي النَّفَلِ لِلْفَرَسِ بِسَهْمَيْنِ وَلِلرَّجُلِ بِسَهْمٍ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، عَنْ سُلَيْمِ بْنِ أَخْضَرَ، نَحْوَهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ مُجَمِّعِ بْنِ جَارِيَةَ، وَابْنِ، عَبَّاسٍ وَابْنِ أَبِي عَمْرَةَ عَنْ أَبِيهِ، . وَهَذَا حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالأَوْزَاعِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَابْنِ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ قَالُوا لِلْفَارِسِ ثَلاَثَةُ أَسْهُمٍ سَهْمٌ لَهُ وَسَهْمَانِ لِفَرَسِهِ وَلِلرَّاجِلِ سَهْمٌ .
Narrated Ibn 'Umar:
"The Messenger of Allah (ﷺ) divided the spoils as two shares for the horse and one share for the man."
Another chain with similar meaning.
There are narrations on this topic from Mujammi' bin Jariyah, Ibn 'Abbas, and Ibn Abi 'Amrah from his father. This Hadith of Ibn 'Umar is a Hasan Sahih Hadith. This is acted upon according to most of the people of knowledge among the Companions of the Prophet (ﷺ) and others.
This is the view of Sufyan At-Thawri, Al-Awzai', Malik bin Anas, Ibn Al-Mubarak, Ash-Shafi'i, Ahmad and Ishaq. They said that the horsemen gets three shares, one share is for him and two shares for his horse. The foot soldiers get one share.
পরিচ্ছেদঃ ৭. সারিয়্যা (ক্ষুদ্র অভিযান) প্রসঙ্গে
১৫৫৫। ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সফরসঙ্গী চারজন হওয়া উত্তম, চার শত সৈনিক নিয়ে গঠিত ক্ষুদ্র বাহিনী উত্তম, চার হাজার সৈনিক নিয়ে গঠিত পূর্ণ বাহিনী উত্তম এবং বার হাজার সৈন্য নিয়ে গঠিত বাহিনী সংখ্যাস্বল্পতার কারণে পরাজিত হবে না (পরাজিত হলে তা ঈমানের দুর্বলতার কারণেই)।
যঈফ, সহীহাহ নতুন সংস্করণ (৯৮৬)
এ হাদীসটি হাসান গারীব। জারীর ইবনু হাযিম ব্যতীত আর কোন প্রবীণ রাবী এটাকে মুসনাদ হিসেবে বর্ণনা করেননি। যুহরী হতে এ হাদীসটি মুরসাল হিসেবেই বর্ণিত হয়েছে। হাব্বান ইবনু আলী আবদুল্লাহ হতে তিনি ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে লাইস ইবনু সা’দ উকাইল সুত্রে, তিনি যুহুরীর সুত্রে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বরাতে এটাকে মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي السَّرَايَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى الأَزْدِيُّ الْبَصْرِيُّ، وَأَبُو عَمَّارٍ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالُوا حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يُونُسَ بْنِ يَزِيدَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " خَيْرُ الصَّحَابَةِ أَرْبَعَةٌ وَخَيْرُ السَّرَايَا أَرْبَعُمِائَةٍ وَخَيْرُ الْجُيُوشِ أَرْبَعَةُ آلاَفٍ وَلاَ يُغْلَبُ اثْنَا عَشَرَ أَلْفًا مِنْ قِلَّةٍ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ يُسْنِدُهُ كَبِيرُ أَحَدٍ غَيْرُ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ وَإِنَّمَا رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً . وَقَدْ رَوَاهُ حِبَّانُ بْنُ عَلِيٍّ الْعَنَزِيُّ عَنْ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم . وَرَوَاهُ اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ عَنْ عُقَيْلٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً .
Narrated Ibn 'Abbas:
That the Messenger of Allah (ﷺ) said: "The best companions are four, the best Saraya (military unit) is four hundred, the best army is four thousand, and twelve thousand will not be beaten due to being too few."
This Hadith is Hasan Gharib, it was not narrated with a chain by anyone important besides Jarir bin Hazim, and this Hadith was only reported from Az-Zuhri, from the Prophet (ﷺ) in Mursal form. Hibban bin 'Ali Al-'Anazi reported it from 'Uqail, from Az-Zuhri, from 'Ubaidullah, from 'Ibn Abbas, from the Prophet (ﷺ), and Al-Laith bin Sa'd reported it from Sa'd, from 'Uqail, from Az-Zuhri, from the Prophet (ﷺ) in the Mursal form.
পরিচ্ছেদঃ ৮. ফাই-এর প্রাপক কে?
১৫৫৬। ইয়াযীদ ইবনু হুরমুয (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে, ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে হারুরা এলাকার (খারিজী নেতা) নাজদা চিঠির মাধ্যমে প্রশ্ন করে যে, মহিলাদেরকে কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের মাঠে নিয়ে যেতেন এবং তাদের জন্য কি গানীমাতে অংশ নির্ধারণ করতেন? উত্তরে ইবনু আব্বাস (রাঃ) তাকে লিখলেন, তুমি আমাকে চিঠির মাধ্যমে প্রশ্ন করেছ যে, মহিলাদেরকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুদ্ধের মাঠে অংশগ্রহণ করাতেন কি-না এবং গানীমতের অংশ তাদের জন্য নির্ধারণ করতেন কি-না। তিনি তাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে নিয়ে যেতেন। তারা অসুস্থ যোদ্ধাদের সেবাযত্ন করত। গানীমাতের সম্পদ হতে তাদেরকে প্রদান করা হত, কিন্তু তিনি তাদের জন্য অংশ নির্ধারণ করেননি।
সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (২৪৩৮), মুসলিম
আনাস ও উম্মু আতিয়্যা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস মোতাবিক বেশিরভাগ অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী এবং শাফিঈও (গানীমাতের কোন অংশ মহিলারা পাবে না)।
কয়েকজন আলিম বলেছেন, গানীমাতের ভাগ মহিলা এবং শিশুদেরকেও প্রদান করতে হবে। আওযাঈর এই মত। তিনি বলেন, খাইবারের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিশুদেরকে গানীমাতের ভাগ প্রদান করেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে ভূমিষ্ঠ শিশুদেরকে মুসলিম নেতৃবৃন্দ গানীমাতের ভাগ প্রদান করেছেন।
আওযাঈ আরো বলেন, খাইবারের যুদ্ধে মহিলাদের জন্যও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গানীমাতে অংশ নির্ধারণ করেছেন। মুসলিমগণ পরবর্তীতে এ নীতিই অনুসরণ করেছেন।
ইমাম তিরমিয়ী বলেন, আমাদের নিকট একথাগুলো আলী ইবনু খাশরামের সূত্রে, তিনি ঈসা ইবনু ইউনুসের সূত্রে, তিনি আওযাঈর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। "ইউহযাইনা মিনাল গানীমাহ"-এর অর্থ “তাদেরকে (মহিলাদেরকে) গানীমাত হতে অল্প কিছু দেয়া হল, তাদেরকে কিছু দেয়া হল”।
باب مَا جَاءَ مَنْ يُعْطَى الْفَىْءُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ هُرْمُزَ، أَنَّ نَجْدَةَ الْحَرُورِيَّ، كَتَبَ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ يَسْأَلُهُ هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْزُو بِالنِّسَاءِ وَهَلْ كَانَ يَضْرِبُ لَهُنَّ بِسَهْمٍ فَكَتَبَ إِلَيْهِ ابْنُ عَبَّاسٍ كَتَبْتَ إِلَىَّ تَسْأَلُنِي هَلْ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَغْزُو بِالنِّسَاءِ وَكَانَ يَغْزُو بِهِنَّ فَيُدَاوِينَ الْمَرْضَى وَيُحْذَيْنَ مِنَ الْغَنِيمَةِ وَأَمَّا يُسْهِمُ فَلَمْ يَضْرِبْ لَهُنَّ بِسَهْمٍ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأُمِّ عَطِيَّةَ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ . وَقَالَ بَعْضُهُمْ يُسْهَمُ لِلْمَرْأَةِ وَالصَّبِيِّ . وَهُوَ قَوْلُ الأَوْزَاعِيِّ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ وَأَسْهَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلصِّبْيَانِ بِخَيْبَرَ وَأَسْهَمَتْ أَئِمَّةُ الْمُسْلِمِينَ لِكُلِّ مَوْلُودٍ وُلِدَ فِي أَرْضِ الْحَرْبِ .
قَالَ الأَوْزَاعِيُّ وَأَسْهَمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِلنِّسَاءِ بِخَيْبَرَ وَأَخَذَ بِذَلِكَ الْمُسْلِمُونَ بَعْدَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ بِهَذَا . وَمَعْنَى قَوْلِهِ وَيُحْذَيْنَ مِنَ الْغَنِيمَةِ يَقُولُ يُرْضَخُ لَهُنَّ بِشَيْءٍ مِنَ الْغَنِيمَةِ يُعْطَيْنَ شَيْئًا .
Narrated Yazid bin Hurmuz:
That Najdah Al-Haruri wrote to Ibn 'Abbas asking if the Messenger of Allah (ﷺ) would fight along with women, and if he would fix a share of the spoils of war for them. Ibn 'Abbas wrote to him: "You wrote to me asking me if the Messenger of Allah (ﷺ) would fight along with women. He did fight along with them, as they would treat the wounded. They received something from the spoils of war, but as for their share, then he did not fix a share for them."
There is something on this topic from Anas and Umm 'Atiyyah.
This Hadith is Hasan Sahih. This is acted upon according to most of the people of knowledge. It is the view of Sufyan Ath-Thawri and Ash-Shafi'i. Some of them said that a share is given to the woman and the boy, and this is the view of Al-Awza'i.
Al-Awza'i said: The Prophet (ﷺ) gave a portion to the boys at Khaibar, and the Aimmah of the Muslims gave a portion to every child born in the land of war." Al-Awza'i said: "The Prophet (ﷺ) gave a portion to the women at Khaibar, and that was followed by the Muslims after him." This was narrated to us by 'Ali bin Khashram (who said): "'Eisa bin Yunus narrated this to us from Al-Awza'i."
The meaning of his saying: "They received something from the spoils of war" it is said that he conferred something on them (the women) from the spoils of war.
পরিচ্ছেদঃ ৯. গোলামকে (গানীমাতের) অংশ দেওয়া হবে কি?
১৫৫৭। আবূল লাহমের মুক্তদাস উমাইর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি খাইবারের যুদ্ধে আমার মনিবদের সাথে অংশগ্রহণ করি। তারা আমার ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে কথা বললেন। তারা তাকে আরো জানান যে, আমি ক্রীতদাস। বর্ণনাকারী উমাইর (রাঃ) বলেন, আমার ব্যপারে তার হুকুম মোতাবিক হেঁচড়িয়ে হেঁচড়িয়ে হাটছিলাম। তিনি গানীমাতের মধ্য হতে কিছু তৈজসপত্র আমাকে দিতে বললেন। আমি তাকে কয়েকটি মন্ত্র শুনালাম, যেগুলো দিয়ে আমি পাগলদের ঝাড়ফুক করতাম। তিনি এর কিছু বাদ দেয়ার এবং কিছু রাখার জন্য আমাকে নির্দেশ দেন।
সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (২৪৪০)
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীস মোতাবিক একদল অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। তারা মনে করেন গোলামের জন্য গানীমাতের সম্পদে কোন নির্ধারিত অংশ নেই, তবে অল্প পরিমাণ দেওয়া যায়। এই মত দিয়েছেন সুফিয়ান সাওরী, শাফিঈ, আহমাদ এবং ইসহাকও।
باب هَلْ يُسْهَمُ لِلْعَبْدِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ عُمَيْرٍ، مَوْلَى آبِي اللَّحْمِ قَالَ شَهِدْتُ خَيْبَرَ مَعَ سَادَتِي فَكَلَّمُوا فِيَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَعْلَمُوهُ أَنِّي مَمْلُوكٌ . قَالَ فَأَمَرَ بِي فَقُلِّدْتُ السَّيْفَ فَإِذَا أَنَا أَجُرُّهُ فَأَمَرَ لِي بِشَيْءٍ مِنْ خُرْثِيِّ الْمَتَاعِ وَعَرَضْتُ عَلَيْهِ رُقْيَةً كُنْتُ أَرْقِي بِهَا الْمَجَانِينَ فَأَمَرَنِي بِطَرْحِ بَعْضِهَا وَحَبْسِ بَعْضِهَا . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ لاَ يُسْهَمَ لِلْمَمْلُوكِ وَلَكِنْ يُرْضَخُ لَهُ بِشَيْءٍ . وَهُوَ قَوْلُ الثَّوْرِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
Narrated 'Umair, the freed slave of Abil-Lahm:
"I participated at Khaibar with my masters. They spoke about me to the Messenger of Allah (ﷺ) and told him that I was a slave." He said: "So he ordered me to take up the sword, and I found myself dragging it, so he ordered that I be given something from the goods. I presented a Ruqyah that I used to treat the possessed with, so he ordered me leave some of it and keep some of it."
There is something on this topic from Ibn 'Abbas.
This Hadith is Hasan Sahih. This is acted upon according to the some of the people of knowledge. A complete portion is not given to slave, but something is conferred upon him. This is the view of Ath-Thawri, Ash-Shafi'i, Ahmad, and Ishaq.
পরিচ্ছেদঃ ১০. যুদ্ধে মুসলিমদের সাথে যিম্মি (অমুসলিম নাগরিক) অংশ নিলে তাকে গানীমাতের অংশ দেওয়া হবে কি না?
১৫৫৮। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদরের যুদ্ধে রাওনা হলেন। তিনি ওয়াবরার প্রস্তরময় এলাকায় পৌছলে মুশরিক সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি তার সাথে মিলিত হল। তার সাহসিকতা ও বীরত্বের খ্যাতি ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলের উপর বিশ্বাসী নও? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি ফিরে যাও, আমি কখনো কোন মুশরিকের সাহায্য নিব না।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (২৮৩২), মুসলিম
এ হাদীসে আরো বক্তব্য আছে। এ হাদীসটি হাসান গারীব। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম এ হাদীসের বক্তব্য অনুযায়ী আমল করেছেন। তারা বলেন, যিমীদেরকে গানীমাতের অংশ দেওয়া যাবে না যদিও তারা শত্রুর বিরুদ্ধে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে। অপর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, তারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে তাদেরকে গানীমাতের অংশ দেয়া হবে।
باب مَا جَاءَ فِي أَهْلِ الذِّمَّةِ يَغْزُونَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ هَلْ يُسْهَمُ لَهُمْ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ إِلَى بَدْرٍ حَتَّى إِذَا كَانَ بِحَرَّةِ الْوَبَرِ لَحِقَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَذْكُرُ مِنْهُ جُرْأَةً وَنَجْدَةً فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَلَسْتَ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ " . قَالَ لاَ . قَالَ " ارْجِعْ فَلَنْ أَسْتَعِينَ بِمُشْرِكٍ " . وَفِي الْحَدِيثِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا لاَ يُسْهَمُ لأَهْلِ الذِّمَّةِ وَإِنْ قَاتَلُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ الْعَدُوَّ . وَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُسْهَمَ لَهُمْ إِذَا شَهِدُوا الْقِتَالَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ .
Narrated 'Aishah:
That the Messenger of Allah (ﷺ) advanced towards Badr till he reached Harrah Al-Wabr where he was met by a man from the idolaters, about whom it was said he was brave and courageous. The Prophet (ﷺ) said to him: "Do you believe in Allah and his Messenger?" He said: "No." He said: "Then return, because we do not seek aid from an idolater."
The Hadith has more dialogue than this. And this is a Hasan Gharib Hadith. This is acted upon according to some of the people of knowledge. They say that the people of Adh-Dhimmah do not recieve a share, even it they were to fight along with the Muslims against the enemy.
Some of the people of knowledge said that they are given a share when they attend the battle with the Muslims.
পরিচ্ছেদঃ ১০. যুদ্ধে মুসলিমদের সাথে যিম্মি (অমুসলিম নাগরিক) অংশ নিলে তাকে গানীমাতের অংশ দেওয়া হবে কি না?
১৫৫৮। আইশা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদরের যুদ্ধে রাওনা হলেন। তিনি ওয়াবারার প্রস্তরময় এলাকায় পৌছলে মুশরিক সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি তার সাথে মিলিত হল। তার সাহসিকতা ও বীরত্বের খ্যাতি ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেনঃ তুমি কি আল্লাহ তা’আলা ও তার রাসূলের উপর ঈমান আনবে? সে বলল, না। তিনি বললেন, তুমি ফিরে যাও, আমি কখনো কোন মুশরিকের সাহায্য নিব না।
সহীহ, ইবনু মাজাহ (২৮৩২), মুসলিম
এ হাদীসে আরো বক্তব্য আছে।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম এ হাদীসের মতই আমল করেছেন। তারা বলেন, যিম্মীদেরকে গানীমাতের অংশ দেয়া যাবে না, তারা মুসলিমদের সাথে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও না।
অপর একদল বিশেষজ্ঞ আলিম বলেছেন, তারা মুসলিমদের সাথে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করলে তাদেরকে গানীমাত দেয়া হবে, যেমন যুহরীর সূত্রে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহুদী একগোষ্ঠী অমুসলিমকে গানিমাতের অংশ দিয়েছিলেন, যারা তার সাথে অমুসলিমদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলো। হাদীসটি বর্ণনা করেছেন কুতাইবা ইবনু সাঈদ আব্দুল ওয়ারিস ইবনু সাঈদ হতে, তিনি আযরা ইবনু সাবিত হতে, তিনি যুহরী হতে।
সনদ দুর্বল
باب مَا جَاءَ فِي أَهْلِ الذِّمَّةِ يَغْزُونَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ هَلْ يُسْهَمُ لَهُمْ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنِ الْفُضَيْلِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نِيَارٍ الأَسْلَمِيِّ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم خَرَجَ إِلَى بَدْرٍ حَتَّى إِذَا كَانَ بِحَرَّةِ الْوَبَرِ لَحِقَهُ رَجُلٌ مِنَ الْمُشْرِكِينَ يَذْكُرُ مِنْهُ جُرْأَةً وَنَجْدَةً فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَلَسْتَ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ " . قَالَ لاَ . قَالَ " ارْجِعْ فَلَنْ أَسْتَعِينَ بِمُشْرِكٍ " . وَفِي الْحَدِيثِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالُوا لاَ يُسْهَمُ لأَهْلِ الذِّمَّةِ وَإِنْ قَاتَلُوا مَعَ الْمُسْلِمِينَ الْعَدُوَّ . وَرَأَى بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ أَنْ يُسْهَمَ لَهُمْ إِذَا شَهِدُوا الْقِتَالَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ .
وَيُرْوَى عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَسْهَمَ لِقَوْمٍ مِنَ الْيَهُودِ قَاتَلُوا مَعَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عَزْرَةَ بْنِ ثَابِتٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ بِهَذَا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated 'Aishah:
That the Messenger of Allah (ﷺ) advanced towards Badr till he reached Harrah Al-Wabr where he was met by a man from the idolaters, about whom it was said he was brave and courageous. The Prophet (ﷺ) said to him: "Do you believe in Allah and his Messenger?" He said: "No." He said: "Then return, because we do not seek aid from an idolater."
The Hadith has more dialogue than this. And this is a Hasan Gharib Hadith. This is acted upon according to some of the people of knowledge. They say that the people of Adh-Dhimmah do not recieve a share, even it they were to fight along with the Muslims against the enemy.
Some of the people of knowledge said that they are given a share when they attend the battle with the Muslims.
It has been related by Az-Zuhri, that the Prophet (ﷺ) gave a portion to some people among the Jews who fought along with him. This was narrated to us by Qutaibah (who said):
"Abdul-Warith bin Sa'eed narrated to us from 'Urwah bin Thabit, from Az-Zuhri."
This Hadith is Hasan Gharib.
পরিচ্ছেদঃ ১০. যুদ্ধে মুসলিমদের সাথে যিম্মি (অমুসলিম নাগরিক) অংশ নিলে তাকে গানীমাতের অংশ দেওয়া হবে কি না?
১৫৫৯। আবূ মূসা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি খাইবার নামক অঞ্চলে আশআরী বংশের একদল লোকের সাথে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট হাযির হই। তিনি খাইবারের যুদ্ধের বিজয়দের সাথে আমাদেরকেও (গানীমাতের) ভাগ দিয়েছেন।
সহীহ, সহীহ আবূ দাউদ (২৪৩৬), নাসা-ঈ
এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব। এ হাদীস মোতাবিক কিছু অভিজ্ঞ আলিম আমল করেছেন। আওযাঈ বলেন, গানীমাতের অংশ যোদ্ধাদের মাঝে বণ্টিত হওয়ার পূর্বে যারা মুসলিমদের সাথে মিলিত হবে তাদেরকেও গাণীমাতের অংশ প্রদান করা হবে। বুরাইদের উপনাম আবূ বুরাইদাহ। তিনি একজন বিশ্বস্ত বর্ণনাকারী। সুফিয়ান সাওরী, ইবনু উয়াইনা এবং আরো অনেকে তার নিকট হতে হাদীস বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي أَهْلِ الذِّمَّةِ يَغْزُونَ مَعَ الْمُسْلِمِينَ هَلْ يُسْهَمُ لَهُمْ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ الأَشَجُّ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا بُرَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ جَدِّهِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِي مُوسَى، قَالَ قَدِمْتُ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي نَفَرٍ مِنَ الأَشْعَرِيِّينَ خَيْبَرَ فَأَسْهَمَ لَنَا مَعَ الَّذِينَ افْتَتَحُوهَا . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ قَالَ الأَوْزَاعِيُّ مَنْ لَحِقَ بِالْمُسْلِمِينَ قَبْلَ أَنْ يُسْهَمَ لِلْخَيْلِ أُسْهِمَ لَهُ . وَبُرَيْدٌ يُكْنَى أَبَا بُرَيْدَةَ وَهُوَ ثِقَةٌ وَرَوَى عَنْهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ عُيَيْنَةَ وَغَيْرُهُمَا .
Narrated Abu Musa:
"I arrived upon the Messenger of Allah (ﷺ) at Khaibar along with a group of the Ash'ari tribe. He gave us shared along with those that conquered it."
This Hadith is Hasan Sahih Gharib. This is acted upon according to some of the people of knowledge. Al-Awza'i said: "Whoever meets up with the Muslims before the horses, share is distributed, then he is given a share." And Buraid's (a narrator) Kunyah is Abu Buraidah and he is trustworthy. Sufyan Ath-Thawri, Ibn 'Uyainah and others report from him.
পরিচ্ছেদঃ ১১. মুশরিকদের হাড়ি-পাতিল ব্যবহার প্রসঙ্গে
১৫৬০। আবূ সালাবা আল-খুশানী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, মাজুসীদেব (অগ্নি উপাসক) হাড়ি-পাতিল ব্যবহার প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বললেনঃ এগুলো পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নাও, তারপর এতে রান্নাবান্না কর। তিনি নখর ও শিকারী দাতযুক্ত হিংস্র প্রাণীও (খেতে) নিষেধ করেছেন।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩২০৭, ৩২৩২), নাসা-ঈ
এ হাদীসটি আবূ সালাবা (রাঃ)-এর নিকট হতে অন্য সূত্রেও বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি আবূ সালাবা (রাঃ) হতে আবূ ইদরীস আল খাওলানীও বর্ণনা করেছেন। আবূ সালাবা (রাঃ)-এর নিকট হতে আবৃ কিলাবা (রাহঃ) কখনো হাদীস শুনেননি। বরং এ হাদীসটি তিনি আবৃ আসমার মাধ্যমে আবূ সালাবা (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন।
আবূ সালাবা আল-খুশানী (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট এসে বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা আহলে কিতাবের এলাকায় থাকি। আমরা কি তাদের পাত্রে আহার করব? তিনি বললেনঃ তোমরা তাদের পাত্র ব্যতীত অন্য পাত্র সেটাতে খাওয়া-দাওয়া করা থেকে বিরত থাক। আর অন্য পাত্র যোগাতে না পারলে এগুলো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নাও, তারপর এতে খাও।
সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩২০৭), নাসা-ঈ
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান সহীহ বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الاِنْتِفَاعِ بِآنِيَةِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا زَيْدُ بْنُ أَخْزَمَ الطَّائِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو قُتَيْبَةَ، سَلْمُ بْنُ قُتَيْبَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيِّ، قَالَ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قُدُورِ الْمَجُوسِ فَقَالَ " أَنْقُوهَا غَسْلاً وَاطْبُخُوا فِيهَا " . وَنَهَى عَنْ كُلِّ سَبُعٍ وَذِي نَابٍ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ هَذَا الْوَجْهِ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ رَوَاهُ أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ . وَأَبُو قِلاَبَةَ لَمْ يَسْمَعْ مِنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ إِنَّمَا رَوَاهُ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ أَبِي ثَعْلَبَةَ .
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَبِيعَةَ بْنَ يَزِيدَ الدِّمَشْقِيَّ، يَقُولُ أَخْبَرَنِي أَبُو إِدْرِيسَ الْخَوْلاَنِيُّ، عَائِذُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا ثَعْلَبَةَ الْخُشَنِيَّ، يَقُولُ أَتَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّا بِأَرْضِ قَوْمٍ أَهْلِ كِتَابٍ نَأْكُلُ فِي آنِيَتِهِمْ قَالَ " إِنْ وَجَدْتُمْ غَيْرَ آنِيَتِهِمْ فَلاَ تَأْكُلُوا فِيهَا فَإِنْ لَمْ تَجِدُوا فَاغْسِلُوهَا وَكُلُوا فِيهَا " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Tha'labah Al-Khushani:
"The Messenger of Allah (ﷺ) was asked about the pots of the Zorastrians. He said: 'Clean them by washing them, and then cook in them.' And he prohibited every predator and possessor of canines."
This Hadith has been reported through routes other than this from Abu Tha'labah. Abu Idris Al-Khawlani reported it from Abu Tha'labah. Abu Qilabah did not hear from Abu Tha'labah, he only reported it from Abu Asma', from Abu Tha'labah.
Another Chain fro Abu Idris Al-Khawlani 'Ai'dhullah bin 'Ubaidullah who said:
"I heard Abu Tha'labah Al-Khushani saying: 'I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: "O Messenger of Allah! We live in a land of the People of the Book and we eat from their containers." He said: "If you find other containers than do not eat from them. If you do not find them, then wash them and eat from them."
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan Sahih.
পরিচ্ছেদঃ ১২. কোন যোদ্ধাকে নফল (অতিরিক্ত) প্রদান
১৫৬১। উবাদা ইবনুস সামিত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আক্রমণের প্রথম ভাগে এক-চতুর্থাংশ এবং ফিরতি আক্রমণের ক্ষেত্রে এক-তৃতীয়াংশ নাফল (অতিরিক্ত) দান করতেন।
সহীহ, হাদীসটির সনদ দুর্বল, কিন্তু সহীহ আবূ দাউদে এর শাহিদ আছে। হাদীস নং (২৪৫৫)
এ অনুচ্ছেদে ইবনু আব্বাস, হাবীব ইবনু মাসলামা, মাআন ইবনু ইয়াযীদ, ইবনু উমার ও সালামা ইবনুল আকওয়া (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, উবাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীটি হাসান। উল্লেখিত হাদীসটি আবূ সাল্লাম হতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এক সাহাবীর বরাতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে।
ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, বদর যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাফল (নির্দিষ্ট অংশ হতে অতিরিক্ত) হিসাবে তার যুল-ফাকার’ নামক তলোয়ারখানা তাকে দিয়েছিলেন। তিনি উহুদের যুদ্ধের দিন এ বিষয়ে একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন।
সনদ হাসান
এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা হাসান গারীব বলেছেন। এ হাদীসটি আমরা শুধুমাত্র উপরোক্ত সূত্রেই ইবনু আবিয যিনাদের হাদীস হিসাবে জেনেছি। অভিজ্ঞ আলিমগণের মধ্যে গানীমাতের এক-পঞ্চমাংশ থেকে পুরস্কার হিসাবে অতিরিক্ত দেওয়ার ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে।
মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) বলেন, কোন বর্ণনা আমার নিকট পৌঁছেনি যে, সকল যুদ্ধেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুরস্কার দিয়েছেন। আমি এ ধরণের বর্ণনাই পেয়েছি যে, তিনি যোদ্ধাদের কোন কোন যুদ্ধে পুরস্কৃত করেছেন। ইমামের বিশেষ বিবেচনার উপর বিষয়টি নির্ভরশীল। তিনি চাইলে প্রাথমিকভাবে অথবা শেষ গানীমাত হিসাবে তা দিতে পারেন।
ইসহাক ইবনু মানসূর বলেন, আমি ইমাম আহমাদকে বললাম সন্দেহহীনভাবে বলা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক-পঞ্চমাংশের পর এক-চতুর্থাংশ যুদ্ধের প্রারম্ভভাগে এবং এক-পঞ্চমাংশের পর এক-তৃতীয়াংশ প্রত্যাবর্তনের সময় দান করেছেন। ইমাম আহমাদ বললেন, হ্যাঁ, প্রথমে গানীমাত হতে খুমুস (এক-পঞ্চমাংশ) আলাদা করতে হবে। তারপর বাকি সম্পদ হতে পুরস্কার (নাফল) দেওয়া যায় এবং তা যেন এই পরিমাণকে ছাড়িয়ে না যায়।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসে ইবনুল মুসাইয়্যিবের উক্তির উপর এই কথা বলা যায় যে, খুম্স হতে পুরস্কার প্রদান করা হবে। ইসহাকও একই কথা বলেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي النَّفَلِ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَفِي الْقُفُولِ الثُّلُثَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَحَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَمَعْنِ بْنِ يَزِيدَ وَابْنِ عُمَرَ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ . وَحَدِيثُ عُبَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ، عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ مُوسَى، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ، عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُنَفِّلُ فِي الْبَدْأَةِ الرُّبُعَ وَفِي الْقُفُولِ الثُّلُثَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدٍ وَابْنِ عَبَّاسٍ وَحَبِيبِ بْنِ مَسْلَمَةَ وَمَعْنِ بْنِ يَزِيدَ وَابْنِ عُمَرَ وَسَلَمَةَ بْنِ الأَكْوَعِ . وَحَدِيثُ عُبَادَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رُوِيَ هَذَا الْحَدِيثُ عَنْ أَبِي سَلاَّمٍ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم.
Narrated 'Ubadah bin As-Samit:
"The Prophet (ﷺ) used to confer a fourth of spoils of war in the early part of the expedition, and a third during the return."
There are narrations on this topic from Ibn 'Abbas, Habib bin Maslamh, Ma'n bin Yazid, Ibn 'Umar, and Salamah bin Al-Akwa'. This Hadith of 'Ubadah is a Hasan Hadith. This Hadith has also been reported from Abu Salam from a man among the Companions of the Prophet (ﷺ).
Another chain from Ibn 'Abbas that the Prophet (ﷺ) took his sword Dhul-Fiqar on the Day of Badr, and it is the one that he saw in the dream on the Day of Uhud.
This Hadith is Hasan Gharib. We only know it from this route through the report of Ibn Abi Az-Zinad.
The people of knowledge differ over giving the Nafl from the Khumus. Malik bin Anas said:
"It has not reached me that the Messenger of Allah (ﷺ) gave the Nafl during every expedition, but it has been conveyed to me that he gave the Nafl in some of them. That is according to the discretion of the Imam during the beginning of the division of the spoils or the end of it."
Ibn Mansur said: "I said to Ahmad: 'The Prophet (ﷺ) gave the Nafl when he divided the fourth, after the Khumus, and when he was returning (he gave) the third from the Khumus.' So he said: 'The Khumus is taken, and then the Nafl is given from what remains, nothing beyond this.''"
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is (understood) as Ibn Musayyab said: "The Nafl is from te Khumus." Ishaq said as he said.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. হত্যাকারী নিহতের মালপত্র পাবে
১৫৬২। আবূ কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ শুক্র পক্ষের কোন সৈনিককে কোন লোক হত্যা করলে এবং এর প্রমাণ তার নিকট থাকলে সে নিহতের অস্ত্রশস্ত্র ও জিনিসপত্র পাবে।
সহীহ, ইরওয়া (৫/৫২-৫৩), সহীহ আবূ দাউদ (২৪৩), নাসা-ঈ
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসের সাথে আরও ঘটনা আছে।
ইবনু আবী উমার হতে সুফিয়ানের বরাতে ইয়াহইয়া ইবনু সাইদের সূত্রেও অনুরূপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। আওফ ইবনু মালিক, খালিদ ইবনুল ওয়ালীদ, আনাস ও সামুরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ মুহাম্মাদের নাম নাফি, তিনি আবূ কাতাদা (রাঃ)-এর আযাদকৃত গোলাম। এ হাদীস মোতাবিক একদল সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণ আমল করেছেন। এই অভিমত (হত্যাকারী নিহতের মালপত্র পাবে) দিয়েছেন ইমাম আওযাঈ, শাফিঈ এবং আহমাদও।
আরেক দল অভিজ্ঞ আলিম বলেন, দলনেতার এই মালপত্র হতে খুমুস বের করে নেওয়ার অধিকার আছে।
সুফিয়ান সাওরী বলেন, যে লোক যা পেয়েছে তা তারই হবে এবং শত্রুপক্ষের কোন লোককে যে ব্যক্তি খুন করল সে তার মালপত্রের অধিকারী হবে। দলনেতার এরূপ ঘোষণাই হল নাফল (পুরস্কার) এবং তাতে কোন খুমুস নেই।
ইসহাক (রাহঃ) বলেছেন, হত্যাকারী নিহতের মালপত্রের অধিকারী হবে। তবে যদি মালপত্রের পরিমাণ অধিক হয় তবে দলনেতা চাইলে সেটা হতে খুমুস বের করতে পারেন, যেভাবে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বের করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِيمَنْ قَتَلَ قَتِيلاً فَلَهُ سَلَبُهُ
حَدَّثَنَا الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنٌ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ كَثِيرِ بْنِ أَفْلَحَ، عَنْ أَبِي مُحَمَّدٍ، مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ قَتَلَ قَتِيلاً لَهُ عَلَيْهِ بَيِّنَةٌ فَلَهُ سَلَبُهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْحَدِيثِ قِصَّةٌ .
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَهُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَوْفِ بْنِ مَالِكٍ، وَخَالِدِ بْنِ الْوَلِيدِ، وَأَنَسٍ، وَسَمُرَةَ بْنِ جُنْدَبٍ، . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو مُحَمَّدٍ هُوَ نَافِعٌ مَوْلَى أَبِي قَتَادَةَ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ بَعْضِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ وَهُوَ قَوْلُ الأَوْزَاعِيِّ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لِلإِمَامِ أَنْ يُخْرِجَ مِنَ السَّلَبِ الْخُمُسَ . وَقَالَ الثَّوْرِيُّ النَّفَلُ أَنْ يَقُولَ الإِمَامُ مَنْ أَصَابَ شَيْئًا فَهُوَ لَهُ وَمَنْ قَتَلَ قَتِيلاً فَلَهُ سَلَبُهُ فَهُوَ جَائِزٌ وَلَيْسَ فِيهِ الْخُمُسُ . وَقَالَ إِسْحَاقُ السَّلَبُ لِلْقَاتِلِ إِلاَّ أَنْ يَكُونَ شَيْئًا كَثِيرًا فَرَأَى الإِمَامُ أَنْ يُخْرِجَ مِنْهُ الْخُمُسَ كَمَا فَعَلَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ .
Narrated Abu Qatadah:
That the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever kills someone in battle, having a proof for that, then his goods are his."
[Abu 'Eisa said:] There is a story with this Hadith.
Another Chain with similar meaning
There are narrations on this topic from 'Awf bin Malik, Khalid bin Al-Walid, Anas, and Samurah.
This Hadith is Hasan Sahih. Abu Muhammad is Nafi' the freed slave of Abu Qatadah.
This is acted upon according to some of the people of knowledge among the Companions of the Prophet (ﷺ) and others. It is the view of Al-Awza'i, Ash-Shafi'i and Ahmad.
Some of the people of knowledge said that the Imam takes Khumus from those goods. Ath-Thawri said:
"The Nafl is when the Imam says: 'Whoever got something, then it is his. And whoever killed a fighter, then his goods are his.' So it is allowed, and there is no Khumus taken from it." Ishaq said: "The goods are for the one who did the killing, unless it is something that is a large amount." So he saw that the Imam could take the Khumus from that, just as 'Umar bin Al-Khattab did.
পরিচ্ছেদঃ ১৪. গানীমাতের সম্পদ বণ্টনের আগে বিক্রয় করা নিষেধ
১৫৬৩। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, গানীমাতের মাল ভাগ করার আগে তা বিক্রয় করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন।
সহীহ, মিশকাত তাহকীক ছানী (৪০১৫-৪০১৬)
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। এ হাদীসটিকে আবূ ঈসা গরীব বলেছেন।
باب فِي كَرَاهِيَةِ بَيْعِ الْمَغَانِمِ حَتَّى تُقْسَمَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ جَهْضَمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ شَهْرِ بْنِ حَوْشَبٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ شِرَاءِ الْمَغَانِمِ حَتَّى تُقْسَمَ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
Narrated Abu Sa’id Al Khudri :
"The Messenger of Allah (ﷺ) prohibited selling the spoils of war until it has been distributed."
There is something on this topic from Abu Hurairah.
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Gharib.
পরিচ্ছেদঃ ১৫. গর্ভবতী বন্দিনীদের সাথে সহবাস করা নিষেধ
১৫৬৪। উম্মু হাবীবা বিনতু ইরবায ইবনু সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তাকে তার বাবা (ইরযায) জানিয়েছেন যে, গর্ভবতী যুদ্ধবন্দিনীদের সাথে সন্তান প্রসব হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারণ করেছেন।
সহীহ, দেখুন হাদীস নং (১৪৭৪)
আবূ ঈসা বলেন, রুয়াইফি ইবনু সাবিত (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আর ইরবাযের হাদীসটি গারীব। এ হাদীস অনুসারে আলিমগণ আমল করেছেন।
ইমাম আওযাঈ বলেন, গর্ভবতী বন্দিনী দাসী কোন লোক কিনলে সেই ব্যাপারে উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেছেন, সন্তান প্রসব হওয়ার আগ পর্যন্ত তার সাথে সহবাস করা যাবে না। আওযাঈ আরো বলেন, মুক্ত যুদ্ধবন্দিনীর বিষয়ে বিধান হল, তাদের সাথে ইদাত শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সহবাস করা যাবে না। আলী ইবনু খাশরাম ঈসা ইবনু ইউনুসের সূত্রে আওযাঈ হতে এই উক্তিটি বর্ণনা করেছেন।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ وَطْءِ الْحَبَالَى مِنَ السَّبَايَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى النَّيْسَابُورِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، عَنْ وَهْبٍ أَبِي خَالِدٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي أُمُّ حَبِيبَةَ بِنْتُ عِرْبَاضِ بْنِ سَارِيَةَ، أَنَّ أَبَاهَا، أَخْبَرَهَا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ تُوطَأَ السَّبَايَا حَتَّى يَضَعْنَ مَا فِي بُطُونِهِنَّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ رُوَيْفِعِ بْنِ ثَابِتٍ . وَحَدِيثُ عِرْبَاضٍ حَدِيثٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ وَقَالَ الأَوْزَاعِيُّ إِذَا اشْتَرَى الرَّجُلُ الْجَارِيَةَ مِنَ السَّبْىِ وَهِيَ حَامِلٌ فَقَدْ رُوِيَ عَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ أَنَّهُ قَالَ لاَ تُوطَأُ حَامِلٌ حَتَّى تَضَعَ . قَالَ الأَوْزَاعِيُّ وَأَمَّا الْحَرَائِرُ فَقَدْ مَضَتِ السُّنَّةُ فِيهِنَّ بِأَنْ أُمِرْنَ بِالْعِدَّةِ . قَالَ حَدَّثَنِي بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ خَشْرَمٍ قَالَ حَدَّثَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ عَنِ الأَوْزَاعِيِّ .
Narrated Umm Habibah bint 'Irbad bin Sariyah:
From her father who told her that the Messenger of Allah (ﷺ) prohibited intercourse with female prisoners, until they deliver what is in their wombs."
[Abu 'Eisa said:] There is something on this topic from Ruwaifi' bin Thabit, and the Hadith of 'Irbad is a Gharib Hadith. This is acted upon according to the people of knowledge.
Al-Awza'i said: "When a man purchases a slave girl from the captives and she is pregnant, then it has been related from 'Umar bin Al-Khattab that he said: 'Do not have intercourse with the pregnant women until she gives birth.'" Al-Awza'i said: "As for the free women, then the Sunnah about them has passed, in that the 'Iddah is observed." All of this was narrated to me by 'Ali bin Khushram who said: " 'Eisa bin Yunus narrated to us from Al-Awza'i."
পরিচ্ছেদঃ ১৬. মুশরিকদের খাবার প্রসঙ্গে
১৫৬৫। কাবীসা ইবনু হুলব (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত আছে, তিনি (পিতা) বলেন, নাসারাদের বানানো খাবারের প্রসঙ্গে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাকে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ তোমার মনে কোন খাবারের ব্যাপারে (অযথা) সন্দেহ ও দ্বিধা-সংকোচ সৃষ্টি হওয়া ঠিক নয়। তুমি এরকম অমূলক সংশয়ে পড়ে গেলে নাসারাদের অনুরূপ হয়ে গেলে।
হাসান, ইবনু মা-জাহ (২৮৩০)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আমি মাহমূদকে বলতে শুনেছি উবাইদুল্লাহ ইবনু মূসা বলেছেন, ইসরাঈল সিমাক হতে, তিনি কাবীসা হতে, তিনি তার পিতা হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
ওয়াহাব ইবনু জারীর বলেন, শুবা সিমাক হতে, তিনি মুরাই ইবনু কাত্বারী হতে, তিনি আদী ইবনু হাতিম হতে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। এ হাদীস মোতাবিক আলিমগণ আমল করেছেন। ইয়াহুদী নাসারাদের খাদ্য খাওয়ার অনুমতি আছে বলে তারা মনে করেন।
باب مَا جَاءَ فِي طَعَامِ الْمُشْرِكِينَ
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، عَنْ شُعْبَةَ، أَخْبَرَنِي سِمَاكُ بْنُ حَرْبٍ، قَالَ سَمِعْتُ قَبِيصَةَ بْنَ هُلْبٍ، يُحَدِّثُ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ سَأَلْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَنْ طَعَامِ النَّصَارَى فَقَالَ " لاَ يَتَخَلَّجَنَّ فِي صَدْرِكَ طَعَامٌ ضَارَعْتَ فِيهِ النَّصْرَانِيَّةَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ مَحْمُودًا، وَقَالَ، عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ .
قَالَ مَحْمُودٌ وَقَالَ وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُرِّيِّ بْنِ قَطَرِيٍّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي طَعَامِ أَهْلِ الْكِتَابِ .
Narrated Qabisah bin Hulb:
From his father, who said: "I asked the Prophet (ﷺ) about the food of the Christians. He (ﷺ) said: 'Do not allow food to put uneasiness in your chest similar to the doubts of Christianity about it."
[Abu 'Eisa said:] This Hadith is Hasan
Another Chain with similar chain.
Another chain with similar narration.
This is acted upon according to the people of knowledge regarding the permission for the food of the People of the Book.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. কয়েদীদের একে অপর থেকে আলাদা করা নিষেধ
১৫৬৬। আবূ আইয়ূব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছিঃ (বন্দিনী) মা ও তার সন্তানকে একে অপর হতে যে লোক আলাদা করল, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামত দিবসে তার এবং তার প্রিয়জনদের পরস্পর হতে আলাদা করবেন।
হাসান, মিশকাত (৩৩৬১)
আবূ ঈসা বলেন আলী (রাঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে। আর এ হাদীসটি হাসান গারীব। এ হাদীস অনুযায়ী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তৎপরবর্তীগণ আমল করেছেন। বন্দিনী মা-সন্তান, পিতা-পুত্র এবং ভাইদেরকে পরস্পর হতে আলাদা করাকে তারা নিষিদ্ধ বলেছেন।
باب فِي كَرَاهِيَةِ التَّفْرِيقِ بَيْنَ السَّبْىِ
حَدَّثَنَا عُمَرُ بْنُ حَفْصٍ الشَّيْبَانِيُّ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي حُيَىٌّ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ فَرَّقَ بَيْنَ وَالِدَةٍ وَوَلَدِهَا فَرَّقَ اللَّهُ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَحِبَّتِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ . وَهَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ كَرِهُوا التَّفْرِيقَ بَيْنَ السَّبْىِ بَيْنَ الْوَالِدَةِ وَوَلَدِهَا وَبَيْنَ الْوَلَدِ وَالْوَالِدِ وَبَيْنَ الإِخْوَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ الْبُخَارِيَّ يَقُولُ سَمِعَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْحُبُلِيُّ مِنْ أَبِي أَيُّوبَ .
Narrated Abu Ayyub:
That he heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: "Whoever separates between a mother and her child, then Allah will separate between him and his beloved on the Day of Judgement."
[Abu 'Eisa said:] There is something on this topic from 'Ali. This Hadith is Hasan Gharib.
This is acted upon according to the people of knowledge among the Companions of the Prophet (ﷺ) and others. They dislike separating the captives, the mother and her child, the son and the father, and brothers.