পরিচ্ছেদঃ ১৩৯১. যার কাছে মূল বস্তু নেই, তার সঙ্গে সলম করা।
২১০৬. আদম (রহঃ) ... আবূল বাখতারী তাঈ (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে খেজুরে সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর খাবারযোগ্য এবং ওযন করার যোগ্য হওয়ার আগে বিক্রি করা নিষেধ করেছেন। ঐ সময়ে এক ব্যাক্তি বলল, কী ওযন করবে? তার পাশের ব্যাক্তি বলল, সংরক্ষিত হওয়া পর্যন্ত। মুআয (রহঃ) সূত্রে শুবা (রহঃ) থেকে আমর (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আবূল বাখতারী (রহঃ) বলেছেন, ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ (করতে) নিষেধ করেছেন।
باب السَّلَمِ إِلَى مَنْ لَيْسَ عِنْدَهُ أَصْلٌ
حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، أَخْبَرَنَا عَمْرٌو، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْبَخْتَرِيِّ الطَّائِيَّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ السَّلَمِ، فِي النَّخْلِ. قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ، حَتَّى يُؤْكَلَ مِنْهُ وَحَتَّى يُوزَنَ. فَقَالَ الرَّجُلُ وَأَىُّ شَىْءٍ يُوزَنُ قَالَ رَجُلٌ إِلَى جَانِبِهِ حَتَّى يُحْرَزَ. وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، قَالَ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ ـ رضى الله عنهما ـ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ.
Narrated Abu Bakhtari at-Tai:
I asked Ibn `Abbas about Salam for (the fruits of) date-palms. He replied "The Prophet (ﷺ) forbade the sale a dates on the trees till they became fit for eating and could be weighed." A man asked what to be weighed (as the dates were still on the trees). Another man sitting beside Ibn `Abbas replied, "Till they are cut and stored." Narrated Abu Al-Bakhtari: I heard Ibn `Abbas (saying) that the Prophet (ﷺ) forbade ... etc. as above.
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯২. খেজুরে সলম করা
২১০৭. আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... আবূল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ)-কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম, তিনি বললেন, খেজুর আহারযোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রয় করা নিষেধ করা হয়েছে, আর নগদ রূপার বিনিময়ে বাকী রূপা বিক্রয় করতেও (নিষেধ করা হয়েছে)। আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ)-কে খেজুরে সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার যোগ্য এবং ওযনের যোগ্য হওয়ার আগে খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন।
باب السَّلَمِ فِي النَّخْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ السَّلَمِ، فِي النَّخْلِ فَقَالَ نُهِيَ عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ، حَتَّى يَصْلُحَ، وَعَنْ بَيْعِ الْوَرِقِ، نَسَاءً بِنَاجِزٍ. وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنِ السَّلَمِ، فِي النَّخْلِ، فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يُؤْكَلَ مِنْهُ، أَوْ يَأْكُلَ مِنْهُ، وَحَتَّى يُوزَنَ.
Narrated Abu Al-Bakhtari:
I asked Ibn `Umar about Salam (the fruits of) date-palms. He replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till their benefit becomes evident and fit for eating and also the sale of silver (for gold) on credit." I asked Ibn `Abbas about Salam for dates and he replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till they were fit for eating and could be estimated."
পরিচ্ছেদঃ ১৩৯২. খেজুরে সলম করা
২১০৮. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবনু উমর (রাঃ) কে খেজুর সলম করা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, আহারযোগ্য হওয়ার আগে ফল বিক্রি করতে উমর (রাঃ) নিষেধ করেছেন এবং তিনি নগদ সোনা বা রূপার বিনিময়ে বাকীতে সোনা বা রূপা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমি এ সম্পর্কে ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার এবং ওযন করার যোগ্য হওয়ার আগে খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমি বললাম, এর ওযন করা কি? তখন তার নিকটে বসা একজন বলে উঠল (অর্থাৎ) সংরক্ষন পর্যন্ত।
باب السَّلَمِ فِي النَّخْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ ـ رضى الله عنهما ـ عَنِ السَّلَمِ، فِي النَّخْلِ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَصْلُحَ، وَنَهَى عَنِ الْوَرِقِ بِالذَّهَبِ نَسَاءً بِنَاجِزٍ. وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ أَوْ يُؤْكَلَ، وَحَتَّى يُوزَنَ. قُلْتُ وَمَا يُوزَنُ قَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يُحْرَزَ.
Narrated Abu Al-Bakhtari:
I asked Ibn `Umar about Salam for dates. Ibn `Umar replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale (the fruits) of date-palms until they were fit for eating and also forbade the sale of silver for gold on credit." I also asked Ibn `Abbas about it. Ibn `Abbas replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till they were fit for eating, and could be weighed." I asked him, "What is to be weighed (as the dates are on the trees)?" A man sitting by Ibn `Abbas said, "It means till they are cut and stored."
পরিচ্ছেদঃ ৬. চাঁদ বড়-ছোট হওয়ার বিষয়টি ধার্তব্য নয়; দেখার সুবিধার্থে আল্লাহ্ তাকে বর্ধিত আকারে উদিত করেন, যদি চাঁদ মেঘে ঢেকে যায় তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা হবে
২৪০০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... আবুল বুখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উমরা করার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম এবং ’বাতনে নাখলা’ নামক স্থানে উপস্থিত হলাম তখন আমরা (রমযানের) চাঁদ দেখতে পেলাম। এ সময় কেউ কেউ বলতে লাগলেন, এ তো তিন তারিখের চাঁদ। আবার কেউ কেউ বললেন, এ তো দুই তারিখের চাঁদ। তারপর আমরা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করলাম এবং বললাম, আমরা তো চাঁদ দেখেছি। কিন্তু আমাদের কেউ কেউ বলছেন, এ তৃতীয় রাত্রির চাঁদ। আবার কেউ কেউ বললেন, এ দ্বিতীয় রাত্রির চাঁদ। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন রাত্রে চাঁদ দেখেছ? আমরা বললাম, অমুক অমুক রাত্রে। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দেখার সুবিধার্থে আল্লাহ একে বর্ধিত করে দিয়েছেন। মূলত এ ঐ রাত্রিরই চাঁদ যে রাত্রে তোমরা দেখেছো।
باب بَيَانِ أَنَّهُ لَا اعْتِبَارَ بِكُبْرِ الْهِلَالِ وَصِغَرِهِ وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَمَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَإِنْ غُمَّ فَلْيُكْمَلْ ثَلَاثُونَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ، مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ خَرَجْنَا لِلْعُمْرَةِ فَلَمَّا نَزَلْنَا بِبَطْنِ نَخْلَةَ - قَالَ - تَرَاءَيْنَا الْهِلاَلَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ . وَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ لَيْلَتَيْنِ قَالَ فَلَقِينَا ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْنَا إِنَّا رَأَيْنَا الْهِلاَلَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ لَيْلَتَيْنِ . فَقَالَ أَىَّ لَيْلَةٍ رَأَيْتُمُوهُ قَالَ فَقُلْنَا لَيْلَةَ كَذَا وَكَذَا . فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ مَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَهُوَ لِلَيْلَةِ رَأَيْتُمُوهُ " .
Abu'l-Bakhtari reported:
We went out to perform Umra and when we encamped in the valley of Nakhla, we tried to see the new moon. Some of the people said: It was three nights old, and others (said) that it was two nights old. We then met Ibn 'Abbas and told him we had seen the new moon, but that some of the people said it was three nights old and others that it was two nights old. He asked on which night we had seen it; and when we told him we had seen it on such and such night, he said the Prophet of Allah (ﷺ) had said: Verily Allah deferred it till the time it is seen, so it is to be reckoned from the night you saw it.
পরিচ্ছেদঃ ৬. চাঁদ বড়-ছোট হওয়ার বিষয়টি ধার্তব্য নয়; দেখার সুবিধার্থে আল্লাহ্ তাকে বর্ধিত আকারে উদিত করেন, যদি চাঁদ মেঘে ঢেকে যায় তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা হবে
২৪০১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, ইবনুল মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ’যাতু ইরক’ নামক স্থানে অবস্থানকালে আমরা রমযানের চাঁদ দেখতে পেলাম। তখন আমরা এক ব্যাক্তিকে ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট গাঠালাম, তাঁকে এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার জন্য। ইবনু আব্বাস (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চাঁদ দেখার সুবিধার্থে আল্লাহ তা’আলা তাকে বর্ধিত করে দিয়েছেন। চাঁদ যদি মেঘে ঢাকা থাকে, তবে তোমরা ত্রিশ দিন পূর্ন করবে।
باب بَيَانِ أَنَّهُ لَا اعْتِبَارَ بِكُبْرِ الْهِلَالِ وَصِغَرِهِ وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَمَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَإِنْ غُمَّ فَلْيُكْمَلْ ثَلَاثُونَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ أَهْلَلْنَا رَمَضَانَ وَنَحْنُ بِذَاتِ عِرْقٍ فَأَرْسَلْنَا رَجُلاً إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - يَسْأَلُهُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَدَّهُ لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ " .
Abu'l-Bakhtari reported:
We saw the new moon of Ramadan as we were at Dhit-i-'Irq. We sent a man to Ibn Abbas (Allah be pleased with both of them) to ask him (whether the sighting of a small moon had something of the nature of defect in it). Upon this Ibn 'Abbas (Allah be pleased with both of them) said that the Messenger of Allah (ﷺ) had said: Verily Allah deferred its sight, but if (the new moon) is hidden from you, then, complete its number (thirty).
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ফল ব্যবহারোপযোগী হওয়ার পূর্বে কর্তন না করার শর্তে বিক্রি করা নিষেধ
৩৭৩০। মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর নিকট গাছের খেজুর সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তখন তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (গাছের) খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন যতক্ষন না তা থেকে খেতে পারে বা খাওয়ার উপযোগী হয় এবং ওযন করা যায়। রাবী বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম ওজন করা যায় অর্থ কি? তখন তার পাশেই অবস্থানকারী জনৈক ব্যক্তি বলল, পরিমাপ অনুমান করবে।
باب النَّهْىِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ، قَبْلَ بُدُوِّ صَلاَحِهَا بِغَيْرِ شَرْطِ الْقَطْعِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ، فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ مِنْهُ أَوْ يُؤْكَلَ وَحَتَّى يُوزَنَ . قَالَ فَقُلْتُ مَا يُوزَنُ فَقَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يَحْزَرَ .
Abu Bakhtari reported:
I asked Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) about the sale of dates. He said: Allah's Messenger (ﷺ) forbade the sale of dates of the trees until one eats them or they are eaten (i. e. they are fit to be eaten) or until they are weighed (or measured). I said: What does it imply:" Until it is weighed"? Thereupon a person who was with him (Ibn Abbas) said: Until he is able to keep it with him (after plucking them).
পরিচ্ছেদঃ ১৫৭. গনীমতের মাল হতে কিছু মাল রাসূলুল্লাহ (সা) নিজের জন্য বেছে নিতেন, সে সম্পর্কে।
২৯৬৫. আমর ইবন মারযূক (রহঃ) ....... আবূ বুখতারী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি জনৈক ব্যক্তি হতে এমন একটি হাদীছ শুনেছিলাম, যা আমার খুবই পসন্দ হয়। তখন আমি তাকে বলিঃ হাদীসটি আমাকে লিখে দিন। তিনি তা স্পষ্টভাবে লিখে আনেন এবং আব্বাস (রাঃ), আলী (রাঃ) এবং উমার (রাঃ)-এর কাছে আনেন। এ সময় তালহা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ), আবদুর রাহমান (রাঃ) এবং সা’দ (রাঃ) তাঁর কাছে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আব্বাস (রাঃ) এবং আলী (রাঃ) পরস্পর ঝগড়ায় লিপ্ত হলে উমার (রাঃ) তালহা, যুবায়র, আবদুর রাহমান এবং সা’দ (রাঃ)-কে বলেনঃ আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নবীদের যাবতীয় সম্পদ তাঁর পরিবার-পরিজনদের ভরণ-পোষণের খরচ বাদে বাকী সবই সাদকা। আমরা কোন মীরাছ রেখে যাই না। তখন তাঁরা বলেনঃ হ্যাঁ, ঠিক। তখন উমার (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বীয় মাল হতে নিজের পরিবারদের জন্য খরচ করার পর বাকী অংশ সাদকা করে দিতেন। পরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ইন্তিকালের পর আবূ বকর (রাঃ) দু’বছরের জন্য এর মুতাওয়াল্লী হন। আর তিনি ঐ নীতিই অনুসরণ করেন, যা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছিলেন।
এরপর রাবী মালিক ইবন আওস (রাঃ)-এর হাদীছের কিছু অংশ বর্ণনা করেন।
باب فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِنَ الأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ حَدِيثًا، مِنْ رَجُلٍ فَأَعْجَبَنِي فَقُلْتُ اكْتُبْهُ لِي فَأَتَى بِهِ مَكْتُوبًا مُذَبَّرًا دَخَلَ الْعَبَّاسُ وَعَلِيٌّ عَلَى عُمَرَ وَعِنْدَهُ طَلْحَةُ وَالزُّبَيْرُ وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٌ وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ فَقَالَ عُمَرُ لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ وَسَعْدٍ أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " كُلُّ مَالِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صَدَقَةٌ إِلاَّ مَا أَطْعَمَهُ أَهْلَهُ وَكَسَاهُمْ إِنَّا لاَ نُورَثُ " . قَالُوا بَلَى . قَالَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنْفِقُ مِنْ مَالِهِ عَلَى أَهْلِهِ وَيَتَصَدَّقُ بِفَضْلِهِ ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ سَنَتَيْنِ فَكَانَ يَصْنَعُ الَّذِي كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ .
Narrated Umar ibn al-Khattab:
AbulBakhtari said: I heard from a man a tradition which I liked. I said to him: Write it down for me. So he brought it clearly written to me.
(It says): Al-Abbas and Ali entered upon Umar when Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd were with him. They (Abbas and Ali) were disputing.
Umar said to Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd: Do you not know that the Messenger of Allah (ﷺ) said: All the property of the Prophet (ﷺ) is sadaqah (alms), except what he provided for his family for their sustenance and their clothing. We are not to be inherited.
They said: Yes, indeed. He said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to spend from his property on his family, and give the residue as sadaqah (alms). The Messenger of Allah (ﷺ) then died, and AbuBakr ruled for two years. He would deal with it in the same manner as the Messenger of Allah (ﷺ) did. He then mentioned a little from the tradition of Malik ibn Aws.
পরিচ্ছেদঃ ১৭. আদেশ ও নিষেধ সম্পর্কে।
৪২৯৬. সুলায়মান ইব্ন হার্ব (রহঃ) .... আবুল বাখ্তারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমার কাছে ঐ ব্যক্তি বর্ণনা করেছেন, যিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছেন।
রাবী সুলায়মান (রহঃ) বলেনঃ আমার নিকট নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জনৈক সাহাবী বর্ণনা করেছেন যে, মানুষেরা ততক্ষণ পর্যন্ত ধ্বংস হবে না, যতক্ষণ না তাদের গুনাহ্ এত অধিক হবে যে, যার জন্য ওযর পেশের কোন সুযোগ থাকবে না।
باب الأَمْرِ وَالنَّهْىِ
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، وَحَفْصُ بْنُ عُمَرَ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، - وَهَذَا لَفْظُهُ - عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ أَخْبَرَنِي مَنْ، سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَقَالَ سُلَيْمَانُ حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لَنْ يَهْلِكَ النَّاسُ حَتَّى يَعْذِرُوا أَوْ يُعْذِرُوا مِنْ أَنْفُسِهِمْ " .
A man from among the companions of the prophet (ﷺ) reported him as saying:
The people will not perish until their sins and faults become abundant, and there remains no excuse for them.
পরিচ্ছেদঃ যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের দাওয়াত দেওয়া।
১৫৫৪। কুতায়বা (রহঃ) ... আবদুল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সালমান ফারসী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর নেতৃত্বে একটি মুসলিম বাহিনী পারস্যের একটি কিল্লা অবরোধ করেছিল। মুসলিম বাহিনীর সদস্যরা বলল, হে আবূ আবদুল্লাহ, আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে হামলা চালাব না? তিনি বললেন, আমাকে ছেড়ে দাও, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে যেমন দাওয়াত দিতে শুনেছি তেমনিভাবে আমি এদেরকে (ইসলামের) দাওয়াত দিব। এরপর সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু এদর (শত্রুদের) কাছে এলেন এবং বললেন, আমি তোমাদের মতই এক ফারসী বংশ উদ্ভুত লোক। তোমরা দেখছ আরবরা আমার আনুগত্য করছে।
তোমরা যদি ইসলাম গ্রহণ কর তবে আমাদের যা (হক) আছে তোমাদেরও তা-ই হবে। আর আমাদের উপর যা প্রযোজ্য হয় তোমাদের উপরও তা প্রযোজ্য হবে। তোমরা যদি তোমাদের দ্বীন ছাড়া অন্য কিছু গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানাও তবে আমরা তোমাদের ধর্মের উপরই তোমাদের থাকতে দেব। তোমরা আমাদের আনুগত্য স্বীকার করে আমাদেরকে সহস্তে জিযইয়া দিবে। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এদের সাথে ফারসীতেও আলাপ করলেন। তিনি বললেন, এমতাবস্থায় তোমরা প্রশংসিত হবে না। তা-ও যদি তোমরা অস্বীকার কর তবে সমানভাবে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিচ্ছি। তারা বলল, আমরা তোমাদের জিযইয়া প্রদান করব না বরং তোমাদের বিরুদ্ধে আমরা যুদ্ধ করব।
মুসলিম বাহিনীর লোকেরা বলল, হে আবূ আবদুল্লাহ, আমরা কি এদের বিরুদ্ধে হামলা করব না? তিনি বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, এই ভাবে তিনি তাদেরকে তিন দিন পর্যন্ত দাওয়াত দিলেন। এরপর বললেন, এবার তোমরা এদের বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা কর। সেমতে আমরা তাদের বিরুদ্ধে হামলা করলাম এবং ঐ কিল্লাটি জয় করে নিলাম।
যঈফ, ইরওয়া ৫/৮৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫৪৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে বুরায়দা, নু’মান ইবনু মুকাররিন, ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীসটি হাসান। আতা ইবনু সাইব (রহঃ) এর সূত্র ছাড়া এটি সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। মুহাম্মদ বুখারী (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আবূল বাখতারী (রহঃ) সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু তো আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর পূর্বে ইন্তিকাল করেছেন। কতক সাহাবী ও অপরাপর আলিম এই হাদীসানুসারে ব্যবস্থা গ্রহণের মত প্রকাশ করেছেন। তারা যুদ্ধের পূর্বে ইসলামের প্রতি দাওয়াত প্রদান করতে হবে বলে মনে করেন। এ হল ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) এর অভিমত। তিনি বলেন, দাওয়াতের ক্ষেত্রে যদি অগ্রবর্তী হওয়া যায় তবে তা ভাল এবং তা তাদের মধ্যে অধিকতর ভীতি সঞ্চারক হবে। কতক আলিম বলেন, বর্তমান যুগে আর দাওয়াতের প্রয়োজন নেই। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) বলেন, ইসলামের দাওয়াত প্রদান না করা পর্যন্ত শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করা যাবে না। কিন্তু যদি তা না করে তাতেও কোন দোষ নেই। কেননা দাওয়াত তো ইতোমধ্যে তাদের কাছে পৌছে গেছেই।
باب مَا جَاءَ فِي الدَّعْوَةِ قَبْلَ الْقِتَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ جَيْشًا، مِنْ جُيُوشِ الْمُسْلِمِينَ كَانَ أَمِيرَهُمْ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ حَاصَرُوا قَصْرًا مِنْ قُصُورِ فَارِسَ فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ دَعُونِي أَدْعُهُمْ كَمَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوهُمْ . فَأَتَاهُمْ سَلْمَانُ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ مِنْكُمْ فَارِسِيٌّ تَرَوْنَ الْعَرَبَ يُطِيعُونَنِي فَإِنْ أَسْلَمْتُمْ فَلَكُمْ مِثْلُ الَّذِي لَنَا وَعَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْنَا وَإِنْ أَبَيْتُمْ إِلاَّ دِينَكُمْ تَرَكْنَاكُمْ عَلَيْهِ وَأَعْطُونَا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَأَنْتُمْ صَاغِرُونَ . قَالَ وَرَطَنَ إِلَيْهِمْ بِالْفَارِسِيَّةِ وَأَنْتُمْ غَيْرُ مَحْمُودِينَ . وَإِنْ أَبَيْتُمْ نَابَذْنَاكُمْ عَلَى سَوَاءٍ . قَالُوا مَا نَحْنُ بِالَّذِي نُعْطِي الْجِزْيَةَ وَلَكِنَّا نُقَاتِلُكُمْ . فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ لاَ . فَدَعَاهُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِلَى مِثْلِ هَذَا ثُمَّ قَالَ انْهَدُوا إِلَيْهِمْ . قَالَ فَنَهَدْنَا إِلَيْهِمْ فَفَتَحْنَا ذَلِكَ الْقَصْرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَحَدِيثُ سَلْمَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ لَمْ يُدْرِكْ سَلْمَانَ لأَنَّهُ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيًّا وَسَلْمَانُ مَاتَ قَبْلَ عَلِيٍّ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُدْعَوْا قَبْلَ الْقِتَالِ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِنْ تُقُدِّمَ إِلَيْهِمْ فِي الدَّعْوَةِ فَحَسَنٌ يَكُونُ ذَلِكَ أَهْيَبَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ دِعْوَةَ الْيَوْمَ . وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ أَعْرِفُ الْيَوْمَ أَحَدًا يُدْعَى . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يُقَاتَلُ الْعَدُوُّ حَتَّى يُدْعَوْا إِلاَّ أَنْ يَعْجَلُوا عَنْ ذَلِكَ فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَقَدْ بَلَغَتْهُمُ الدَّعْوَةُ .
Narrated Abu Al-Bakhtari:
"An Army from the armies of the Muslims, whose commander was Salman Al-Farisi, besieged one of the Persian castles. They said: 'O Abu 'Abdullah! Should we charge them?' He said: 'Leave me to call them (to Islam) as I heard the Messenger of Allah (ﷺ) call them.' So Salman went to them and said: 'I am only a man from among you, a Persian, and you see that the Arabs obey me. If you become Muslims then you will have the likes of what we have, and from you will be required that which is required from us. If you refuse, and keep your religion, then we will leave you to it, and you will give us the Jizyah from your hands while you are submissive.' He said to them in Persian: 'And you are other than praiseworthy and if you refuse then we will equally resist you.' They said: 'We will not give you the Jizyah, we will fight you instead.' So they said: 'O Abu 'Abdullah! Should we charge them?' He said: 'No.'" He said: "So for three days he called them to the same (things), and then he said: 'Charge them.'" He said: "So we charged them, and we conquered the castle."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৩. এমন ব্যক্তির নিকটে আগাম মূল্য প্রদান করা যার কাছে মূল বস্তু নেই।
২২৪৬. আবুল বাখতারী তাঈ (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে খেজুরে ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খেজুর খাবার যোগ্য এবং ওজন করার যোগ্য হওয়ার আগে বিক্রি করা নিষেধ করেছেন। ঐ সময় এক ব্যক্তি বলল, কী ওজন করবে? তার পাশের এক ব্যক্তি বলল, সংরক্ষিত হওয়া পর্যন্ত। মুআয (রহ.) সূত্রে শু’বা (রহ.) হতে আমর (রহ.) হতে বর্ণিত, আবুল বাখ্তারী (রহ.) বলেছেন, ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ (করতে) নিষেধ করেছেন। (২২৪৭, ২২৫০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৮৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১০৬)
بَاب السَّلَم إِلَى مَنْ لَيْسَ عِنْدَهُ أَصْلٌ
حَدَّثَنَا آدَمُ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ أَخْبَرَنَا عَمْرٌو قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْبَخْتَرِيِّ الطَّائِيَّ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يُوكَلَ مِنْهُ وَحَتَّى يُوزَنَ فَقَالَ الرَّجُلُ وَأَيُّ شَيْءٍ يُوزَنُ قَالَ رَجُلٌ إِلَى جَانِبِهِ حَتَّى يُحْرَزَ وَقَالَ مُعَاذٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو قَالَ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ سَمِعْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ
Narrated Abu Bakhtari at-Tai:
I asked Ibn `Abbas about Salam for (the fruits of) date-palms. He replied "The Prophet (ﷺ) forbade the sale a dates on the trees till they became fit for eating and could be weighed." A man asked what to be weighed (as the dates were still on the trees). Another man sitting beside Ibn `Abbas replied, "Till they are cut and stored." Narrated Abu Al-Bakhtari: I heard Ibn `Abbas (saying) that the Prophet (ﷺ) forbade ... etc. as above.
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৪. খেজুরে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৪৭-২২৪৮. আবুল বাখতারী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে খেজুর ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, খেজুর আহারযোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রয় করা নিষেধ করা হয়েছে, আর নগদ রূপার বিনিময়ে বাকী রূপা বিক্রয় করতেও (নিষেধ করা হয়েছে)। আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে খেজুরে ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার যোগ্য এবং ওজনের যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। (১৪৮৬, ২২৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১০৭)
بَاب السَّلَمِ فِي النَّخْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ فَقَالَ نُهِيَ عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَصْلُحَ وَعَنْ بَيْعِ الْوَرِقِ نَسَاءً بِنَاجِزٍ وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يُؤْكَلَ مِنْهُ أَوْ يَأْكُلَ مِنْهُ وَحَتَّى يُوزَنَ
Narrated Abu Al-Bakhtari:
I asked Ibn `Umar about Salam (the fruits of) date-palms. He replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till their benefit becomes evident and fit for eating and also the sale of silver (for gold) on credit." I asked Ibn `Abbas about Salam for dates and he replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till they were fit for eating and could be estimated."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৪. খেজুরে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৪৭-২২৪৮. আবুল বাখতারী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে খেজুর ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, খেজুর আহারযোগ্য হওয়ার আগে তা বিক্রয় করা নিষেধ করা হয়েছে, আর নগদ রূপার বিনিময়ে বাকী রূপা বিক্রয় করতেও (নিষেধ করা হয়েছে)। আমি ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে খেজুরে ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম, তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার যোগ্য এবং ওজনের যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। (১৪৮৬, ২২৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৯০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১০৭)
بَاب السَّلَمِ فِي النَّخْلِ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ فَقَالَ نُهِيَ عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَصْلُحَ وَعَنْ بَيْعِ الْوَرِقِ نَسَاءً بِنَاجِزٍ وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يُؤْكَلَ مِنْهُ أَوْ يَأْكُلَ مِنْهُ وَحَتَّى يُوزَنَ
Narrated Abu Al-Bakhtari:
I asked Ibn `Umar about Salam (the fruits of) date-palms. He replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till their benefit becomes evident and fit for eating and also the sale of silver (for gold) on credit." I asked Ibn `Abbas about Salam for dates and he replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till they were fit for eating and could be estimated."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৪. খেজুরে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৪৯-২২৫০. আবুল বাখতারী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে খেজুর ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আহারযোগ্য হবার পূর্বে ফল বিক্রি করতে ‘উমার (রাঃ) নিষেধ করেছেন এবং তিনি নগদ সোনা বা রূপার বিনিময়ে বাকীতে সোনা বা রূপা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমি এ সম্পর্কে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার এবং ওজন করার যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমি বললাম, এর ওজন করা কী? তখন তার নিকটে বসা একজন বলে উঠল, (অর্থাৎ) সংরক্ষণের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত। (১৪৮৬, ২২৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১০৮)
بَاب السَّلَمِ فِي النَّخْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَصْلُحَ وَنَهَى عَنْ الْوَرِقِ بِالذَّهَبِ نَسَاءً بِنَاجِزٍ وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ أَوْ يُؤْكَلَ وَحَتَّى يُوزَنَ قُلْتُ وَمَا يُوزَنُ قَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يُحْرَزَ
Narrated Abu Al-Bakhtari:
I asked Ibn `Umar about Salam for dates. Ibn `Umar replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale (the fruits) of date-palms until they were fit for eating and also forbade the sale of silver for gold on credit." I also asked Ibn `Abbas about it. Ibn `Abbas replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till they were fit for eating, and could be weighed." I asked him, "What is to be weighed (as the dates are on the trees)?" A man sitting by Ibn `Abbas said, "It means till they are cut and stored."
পরিচ্ছেদঃ ৩৫/৪. খেজুরে অগ্রিম বেচা-কেনা।
২২৪৯-২২৫০. আবুল বাখতারী (রহ.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু ‘উমার (রাঃ)-কে খেজুর ‘সলম’ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আহারযোগ্য হবার পূর্বে ফল বিক্রি করতে ‘উমার (রাঃ) নিষেধ করেছেন এবং তিনি নগদ সোনা বা রূপার বিনিময়ে বাকীতে সোনা বা রূপা বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমি এ সম্পর্কে ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাওয়ার এবং ওজন করার যোগ্য হবার পূর্বে খেজুর বিক্রয় করতে নিষেধ করেছেন। আমি বললাম, এর ওজন করা কী? তখন তার নিকটে বসা একজন বলে উঠল, (অর্থাৎ) সংরক্ষণের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত। (১৪৮৬, ২২৪৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২০৯১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১০৮)
بَاب السَّلَمِ فِي النَّخْلِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرٍو عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ سَأَلْتُ ابْنَ عُمَرَ عَنْ السَّلَمِ فِي النَّخْلِ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ الثَّمَرِ حَتَّى يَصْلُحَ وَنَهَى عَنْ الْوَرِقِ بِالذَّهَبِ نَسَاءً بِنَاجِزٍ وَسَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ فَقَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ أَوْ يُؤْكَلَ وَحَتَّى يُوزَنَ قُلْتُ وَمَا يُوزَنُ قَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يُحْرَزَ
Narrated Abu Al-Bakhtari:
I asked Ibn `Umar about Salam for dates. Ibn `Umar replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale (the fruits) of date-palms until they were fit for eating and also forbade the sale of silver for gold on credit." I also asked Ibn `Abbas about it. Ibn `Abbas replied, "The Prophet (ﷺ) forbade the sale of dates till they were fit for eating, and could be weighed." I asked him, "What is to be weighed (as the dates are on the trees)?" A man sitting by Ibn `Abbas said, "It means till they are cut and stored."
পরিচ্ছেদঃ ১. যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে (শত্রুদেরকে) ইসলামের দাওয়াত দেয়া
১৫৪৮। আবূল বাখতারী (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে, মুসলিমদের কোন এক সেনাবাহিনী পারস্যের একটি দুর্গ অবরোধ করে। সালমান ফারসী (রাঃ) এই বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন। সেনাবাহিনীর মুজাহিদগণ বললেন, হে আবদুল্লাহর পিতা! আমরা কি তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ব না? তিনি বললেন, আমি যেভাবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে তাদের (ইসলাম গ্রহণের) দাওয়াত দিতে শুনেছি, তোমরা আমাকেও সেভাবে দাওয়াত দিতে দাও। সালমান (রাঃ) তাদের নিকটে এসে বললেন, আমি তোমাদের মাঝেরই একজন পারস্যবাসী। তোমরা দেখতে পাচ্ছ, আরবরা আমার আনুগত্য করছে। তোমরা যদি ইসলাম গ্রহণ কর তবে তোমরাও আমাদের মতই অধিকার পাবে এবং আমাদের উপর যে দায় আসে তোমাদের উপরও সেরকম দায় আসবে। তোমরা যদি এ দাওয়াত কুবুল করতে অসম্মত হও এবং তোমাদের ধর্মের উপর অবিচল থাকতে চাও, তবে আমরা তোমাদেরকে তোমাদের ধর্মের উপর ছেড়ে দিব। কিন্তু এক্ষেত্রে তোমরা আমাদের অনুগত্য স্বীকার করে আমাদেরকে জিযইয়া দিবে।
রাবী বলেন, তিনি তাদেরকে এ কথাগুলো ফারসী ভাষায় বলেন। (তিনি আরো বলেন) এই অবস্থায় তোমরা প্রশংসিত হবে না। তোমরা যদি এটাও (জিযইয়া প্রদান) অস্বীকার কর তবে আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে সমানভাবে লড়বো। তারা বলল, আমরাজিযইয়া প্রদানে সম্মত নই, বরং আমরা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব। মুসলিম সেনানীগণ বললেন, হে আবদুল্লাহর পিতা! আমরা কি তাদেরকে আক্রমণ করব না? তিনি বললেন, না। রাবী বলেন, তিনি এভাবে তাদেরকে তিন দিন যাবত আহবান করতে থাকেন। তারপর তিনি মুসলিম বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন, প্রস্তুত হও এবং তাদের উপর ঝাপিয়ে পড়। রাবী বলেন, আমরা তাদেরকে আক্রমণ করে সেই দুর্গ দখল করলাম।
যঈফ, ইরওয়া (৫৮৭)
এ অনুচ্ছেদে বুরাইদা, নুমান ইবনু মুকাররিন, ইবনু উমার ও ইবনু আব্বাস (রাঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। সালমান (রাঃ)-এর হাদীসটি হাসান। আমরা শুধু আতা ইবনুস সায়িবের সূত্রেই এ হাদীসটি জেনেছি। আমি মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, আবূল বাখতার সালমান (রাঃ)-এর দেখা পাননি। কেননা তিনি আলী (রাঃ)-এর দেখা পাননি। আর সালমান (রাঃ) আলী (রাঃ)-এর পূর্বে মারা যান।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একদল বিশেষজ্ঞ সাহাবী ও তার পরবর্তীগণ এ হাদীসের মতই মত দিয়েছেন। তাদের মতে, যুদ্ধ শুরু করার পূর্বে ইসলামের দাওয়াত দিতে হবে। ইসহাক ইবনু ইবরাহীমেরও এই মত। তিনি বলেন, যদি আক্রমণ করার পূর্বে শত্রুবাহিনীকে ইসলামের দাওয়াত দেয়া হয় তবে তা উত্তম এবং তা তাদের মনে প্রভাব ও ভীতির সঞ্চার করবে।
কিছু বিশেষজ্ঞ আলিম বলেন, আজকাল আর এরূপ দাওয়াত দেয়ার প্রয়োজন নেই। ইমাম আহমাদ বলেন, বর্তমানে এ ধরনের আহবান করার কোন প্রয়োজনীয়তা দেখছি না।
ইমাম শাফিঈ বলেন, শত্রুকে ইসলামের দাওয়াত না দেয়া পর্যন্ত যুদ্ধ শুরু করা যাবে না। কিন্তু তাদেরকে তাড়াতাড়ি দাওয়াত গ্রহণ করার জন্য বলতে হবে। অবশ্য দাওয়াত না দিলেও কোন সমস্যা নেই। কেননা তাদের কাছে ইতিপূর্বেই ইসলামের দাওয়াত পৌছেছে।
باب مَا جَاءَ فِي الدَّعْوَةِ قَبْلَ الْقِتَالِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، أَنَّ جَيْشًا، مِنْ جُيُوشِ الْمُسْلِمِينَ كَانَ أَمِيرَهُمْ سَلْمَانُ الْفَارِسِيُّ حَاصَرُوا قَصْرًا مِنْ قُصُورِ فَارِسَ فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ دَعُونِي أَدْعُهُمْ كَمَا سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَدْعُوهُمْ . فَأَتَاهُمْ سَلْمَانُ فَقَالَ لَهُمْ إِنَّمَا أَنَا رَجُلٌ مِنْكُمْ فَارِسِيٌّ تَرَوْنَ الْعَرَبَ يُطِيعُونَنِي فَإِنْ أَسْلَمْتُمْ فَلَكُمْ مِثْلُ الَّذِي لَنَا وَعَلَيْكُمْ مِثْلُ الَّذِي عَلَيْنَا وَإِنْ أَبَيْتُمْ إِلاَّ دِينَكُمْ تَرَكْنَاكُمْ عَلَيْهِ وَأَعْطُونَا الْجِزْيَةَ عَنْ يَدٍ وَأَنْتُمْ صَاغِرُونَ . قَالَ وَرَطَنَ إِلَيْهِمْ بِالْفَارِسِيَّةِ وَأَنْتُمْ غَيْرُ مَحْمُودِينَ . وَإِنْ أَبَيْتُمْ نَابَذْنَاكُمْ عَلَى سَوَاءٍ . قَالُوا مَا نَحْنُ بِالَّذِي نُعْطِي الْجِزْيَةَ وَلَكِنَّا نُقَاتِلُكُمْ . فَقَالُوا يَا أَبَا عَبْدِ اللَّهِ أَلاَ نَنْهَدُ إِلَيْهِمْ قَالَ لاَ . فَدَعَاهُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ إِلَى مِثْلِ هَذَا ثُمَّ قَالَ انْهَدُوا إِلَيْهِمْ . قَالَ فَنَهَدْنَا إِلَيْهِمْ فَفَتَحْنَا ذَلِكَ الْقَصْرَ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ بُرَيْدَةَ وَالنُّعْمَانِ بْنِ مُقَرِّنٍ وَابْنِ عُمَرَ وَابْنِ عَبَّاسٍ . وَحَدِيثُ سَلْمَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ . وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ أَبُو الْبَخْتَرِيِّ لَمْ يُدْرِكْ سَلْمَانَ لأَنَّهُ لَمْ يُدْرِكْ عَلِيًّا وَسَلْمَانُ مَاتَ قَبْلَ عَلِيٍّ . وَقَدْ ذَهَبَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِلَى هَذَا وَرَأَوْا أَنْ يُدْعَوْا قَبْلَ الْقِتَالِ وَهُوَ قَوْلُ إِسْحَاقَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِنْ تُقُدِّمَ إِلَيْهِمْ فِي الدَّعْوَةِ فَحَسَنٌ يَكُونُ ذَلِكَ أَهْيَبَ . وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ دِعْوَةَ الْيَوْمَ . وَقَالَ أَحْمَدُ لاَ أَعْرِفُ الْيَوْمَ أَحَدًا يُدْعَى . وَقَالَ الشَّافِعِيُّ لاَ يُقَاتَلُ الْعَدُوُّ حَتَّى يُدْعَوْا إِلاَّ أَنْ يَعْجَلُوا عَنْ ذَلِكَ فَإِنْ لَمْ يَفْعَلْ فَقَدْ بَلَغَتْهُمُ الدَّعْوَةُ .
Narrated Abu Al-Bakhtari:
"An Army from the armies of the Muslims, whose commander was Salman Al-Farisi, besieged one of the Persian castles. They said: 'O Abu 'Abdullah! Should we charge them?' He said: 'Leave me to call them (to Islam) as I heard the Messenger of Allah (ﷺ) call them.' So Salman went to them and said: 'I am only a man from among you, a Persian, and you see that the Arabs obey me. If you become Muslims then you will have the likes of what we have, and from you will be required that which is required from us. If you refuse, and keep your religion, then we will leave you to it, and you will give us the Jizyah from your hands while you are submissive.' He said to them in Persian: 'And you are other than praiseworthy and if you refuse then we will equally resist you.' They said: 'We will not give you the Jizyah, we will fight you instead.' So they said: 'O Abu 'Abdullah! Should we charge them?' He said: 'No.'" He said: "So for three days he called them to the same (things), and then he said: 'Charge them.'" He said: "So we charged them, and we conquered the castle."
পরিচ্ছেদঃ ৬. চাঁদের আকারে (ত্রিশতম রাতে) ছোট বা বড় দেখা গেলে তাতে হুকুমের কোন পার্থক্য হবে না, আল্লাহ তা'আলা চাঁদকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার উপযোগী করে দেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ করতে হবে
২৪১৯-(২৯/১০৮৮) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ (রহঃ) ..... আবূল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমরা উমরাহ করার জন্য বের হলাম। যখন আমরা (মক্কাহ (মক্কা) ও ত্বায়িফের মাঝামাঝি অবস্থিত) “বাত্বনে নাখলাহ" নামক স্থানে অবতরণ করলাম সকলে মিলে চাঁদ দেখতে লাগলাম। লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলল, এ তো তিনদিনের চাঁদ, আবার কেউ বলল দু’দিনের। বর্ণনাকারী বলেন, পরে আমরা ইবনু “আব্বাস (রাযিঃ) এর সাথে সাক্ষাৎ করে বললাম, আমরা চাঁদ দেখেছি। কিন্তু লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বলেছে, এতো দু’দিনের চাঁদ আবার কেউ কেউ বলেছে এতো তিন দিনের চাঁদ। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন রাতে চাঁদ দেখেছে? আমরা বললাম, অমুক দিন, অমুক রাতে। তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেদিন রাতে চাঁদ দেখতেন ঐ দিনেরই তারিখ ধরতেন। সুতরাং চাঁদ সে রাতেই উঠেছে যে রাতে তোমরা দেখেছো। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৩৯৬, ইসলামীক সেন্টার ২৩৯৭)
باب بَيَانِ أَنَّهُ لَا اعْتِبَارَ بِكُبْرِ الْهِلَالِ وَصِغَرِهِ وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَمَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَإِنْ غُمَّ فَلْيُكْمَلْ ثَلَاثُونَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ فُضَيْلٍ، عَنْ حُصَيْنٍ، عَنْ عَمْرِو بْنِ، مُرَّةَ عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ خَرَجْنَا لِلْعُمْرَةِ فَلَمَّا نَزَلْنَا بِبَطْنِ نَخْلَةَ - قَالَ - تَرَاءَيْنَا الْهِلاَلَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ . وَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ لَيْلَتَيْنِ قَالَ فَلَقِينَا ابْنَ عَبَّاسٍ فَقُلْنَا إِنَّا رَأَيْنَا الْهِلاَلَ فَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ ثَلاَثٍ وَقَالَ بَعْضُ الْقَوْمِ هُوَ ابْنُ لَيْلَتَيْنِ . فَقَالَ أَىَّ لَيْلَةٍ رَأَيْتُمُوهُ قَالَ فَقُلْنَا لَيْلَةَ كَذَا وَكَذَا . فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ مَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَهُوَ لِلَيْلَةِ رَأَيْتُمُوهُ " .
Abu'l-Bakhtari reported:
We went out to perform Umra and when we encamped in the valley of Nakhla, we tried to see the new moon. Some of the people said: It was three nights old, and others (said) that it was two nights old. We then met Ibn 'Abbas and told him we had seen the new moon, but that some of the people said it was three nights old and others that it was two nights old. He asked on which night we had seen it; and when we told him we had seen it on such and such night, he said the Prophet of Allah (ﷺ) had said: Verily Allah deferred it till the time it is seen, so it is to be reckoned from the night you saw it.
পরিচ্ছেদঃ ৬. চাঁদের আকারে (ত্রিশতম রাতে) ছোট বা বড় দেখা গেলে তাতে হুকুমের কোন পার্থক্য হবে না, আল্লাহ তা'আলা চাঁদকে দৃষ্টিগোচর হওয়ার উপযোগী করে দেন, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে মাসের ত্রিশদিন পূর্ণ করতে হবে
২৪২০-(৩০/...) আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বাহ, ইবনুল মুসান্না ও ইবনুল বাশশার (রহঃ) ...... আবূল বাখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, “আমরা যখন যাতু ইরক নামক স্থানে অবস্থান করছিলাম তখন রমযানের চাঁদ দেখতে পেলাম। অতঃপর আমরা এক ব্যক্তিকে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর কাছে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্য পাঠালাম। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা চাঁদ দেখার সাথে মাস নির্ধারণ করেছেন, যদি তোমাদের নিকট অপ্রকাশিত থাকে (মেঘের কারণে) তাহলে তোমরা (ত্রিশ দিনে) মাস পূর্ণ কর। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ২৩৯৭, ইসলামীক সেন্টার ২৩৯৮)
باب بَيَانِ أَنَّهُ لَا اعْتِبَارَ بِكُبْرِ الْهِلَالِ وَصِغَرِهِ وَأَنَّ اللَّهَ تَعَالَى أَمَدَّهُ لِلرُّؤْيَةِ فَإِنْ غُمَّ فَلْيُكْمَلْ ثَلَاثُونَ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، عَنْ شُعْبَةَ، ح وَحَدَّثَنَا ابْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، قَالَ سَمِعْتُ أَبَا الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ أَهْلَلْنَا رَمَضَانَ وَنَحْنُ بِذَاتِ عِرْقٍ فَأَرْسَلْنَا رَجُلاً إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - يَسْأَلُهُ فَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ - رضى الله عنهما - قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَمَدَّهُ لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعِدَّةَ " .
Abu'l-Bakhtari reported:
We saw the new moon of Ramadan as we were at Dhit-i-'Irq. We sent a man to Ibn Abbas (Allah be pleased with both of them) to ask him (whether the sighting of a small moon had something of the nature of defect in it). Upon this Ibn 'Abbas (Allah be pleased with both of them) said that the Messenger of Allah (ﷺ) had said: Verily Allah deferred its sight, but if (the new moon) is hidden from you, then, complete its number (thirty).
পরিচ্ছেদঃ ১৩. ফল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে বিক্রি করা নিষেধ
৩৭৬৫-(৫৫/১৫৩৭) মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... আবূল বাখতারী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর নিকট গাছে থাকা খেজুর বিক্রি বিষয়ে জানতে চাইলাম। তখন তিনি বললেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গাছের খেজুর বিক্রি করতে নিষেধ করেছেন যতক্ষণ না তা খাওয়া যায় বা খাওয়ার যোগ্য হয় এবং ওজন করা যায়। রাবী বলেন, আমি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) কে জিজ্ঞেস করলাম কিভাবে ওজন করবে? তখন তার পাশেই অবস্থানকারী জনৈক ব্যক্তি উত্তর দিল— পরিমাণ করবে। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩৭৩০, ইসলামিক সেন্টার ৩৭৩০)
باب النَّهْىِ عَنْ بَيْعِ الثِّمَارِ، قَبْلَ بُدُوِّ صَلاَحِهَا
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ سَأَلْتُ ابْنَ عَبَّاسٍ عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ، فَقَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَيْعِ النَّخْلِ حَتَّى يَأْكُلَ مِنْهُ أَوْ يُؤْكَلَ وَحَتَّى يُوزَنَ . قَالَ فَقُلْتُ مَا يُوزَنُ فَقَالَ رَجُلٌ عِنْدَهُ حَتَّى يَحْزَرَ .
Abu Bakhtari reported:
I asked Ibn 'Abbas (Allah be pleased with them) about the sale of dates. He said: Allah's Messenger (ﷺ) forbade the sale of dates of the trees until one eats them or they are eaten (i. e. they are fit to be eaten) or until they are weighed (or measured). I said: What does it imply:" Until it is weighed"? Thereupon a person who was with him (Ibn Abbas) said: Until he is able to keep it with him (after plucking them).
পরিচ্ছেদঃ ২২. দ্বিতীয় অনুচ্ছেদ - ভালো কাজের আদেশ
৫১৪৬-[১০] আবুল বাখতারী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের মধ্যে একজনের থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মানুষ ধ্বংস হবে না তার মধ্যে পাপের পরিমাণ বেশি না হওয়া পর্যন্ত। (আবূ দাঊদ)[1]
وَعَنْ أَبِي
الْبَخْتَرِيِّ عَنْ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسلم: «لن يهْلك النَّاس حَتَّى يعذروا فِي أنفسهم» . رَوَاهُ أَبُو دَاوُد
ব্যাখ্যাঃ (لَنْ يَّهْلِكَ النَّاسُ حَتّٰى يَعْذِرُوْا فِىْ أَنْفُسِهِمْ) উল্লেখিত হাদীসের তাফসীরে ইমাম খত্ত্বাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ আবূ ‘উবায়দ তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন,يعذروا শব্দ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো যতক্ষণ না তাদের দোষ-ত্রুটি ও পাপাচার বৃদ্ধি পাবে। আবার বলা হয়েছে, হাদীসের অর্থ হলো ‘‘যতক্ষণ না তাদের কাছে সত্য প্রকাশ না করা এবং তার ওপর ‘আমল করতে না পারার কোন ওযর থাকবে।’’ তাই বিনা ওযরে সত্য প্রত্যাখ্যাত হলে আল্লাহর শাস্তি অবধারিত হবে। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪৩৩৯; মিরক্বাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১৯. গানীমাতের মালে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বিশেষ অংশ (সাফী)
২৯৭৫। আবুল বাখতারী (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এক লোকের নিকট একটি হাদীস শুনি, তা আমার পছন্দ হয়। আমি বললাম, আমাকে তা লিখে দিন। তিনি তা পরিস্কারভাবে লিখে নিয়ে আসলেনঃ ’আব্বাস (রাঃ) ও আলী (রাঃ) ’উমার (রাঃ)-এর নিকট গেলেন। তখন তার কাছে তালহা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ), সা’দ (রাঃ) ও ’আব্দুর রাহমান (রাঃ) উপস্থিত ছিলেন। আব্বাস ও আলী বিবাদে লিপ্ত ছিলেন। তালহা (রাঃ), যুবায়র (রাঃ), ’আব্দুর রাহমান (রাঃ) ও সা’দ (রাঃ)-কে ’উমার (রাঃ) বললেন, আপনারা কি জানেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ’’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সম্পদ সাদাকাহ হিসাবে গণ্য, কেবলমাত্র তাঁর পরিবারের ভরণপোষণের জন্য যতটুকু ব্যয় হয় তা ব্যতীত।
আমাদের কোনো উত্তরাধিকারী নেই’’ তারা বললেন, হ্যাঁ জানি। ’উমার (রাঃ) বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সম্পদ থেকে নিজ পরিবারের জন্য খরচ করতেন এবং বাকী অংশ দান করতেন। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইন্তেকাল করলেন। আবূ বকর (রাঃ) দু’ বছর তাঁর সম্পত্তির মোতাওয়াল্লী থাকলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঐ সম্পত্তির আয় যেসব খাতে ব্যয় করতেন, আবূ বকরও তাই করলেন। আবুল বাখতারী হাদীসের অংশ বিশেষ মালিক ইবনু আওস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন।[1]
بَابٌ فِي صَفَايَا رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مِنَ الْأَمْوَالِ
حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ أَبِي الْبَخْتَرِيِّ، قَالَ: سَمِعْتُ حَدِيثًا مِنْ رَجُلٍ فَأَعْجَبَنِي، فَقُلْتُ اكْتُبْهُ لِي فَأَتَى بِهِ مَكْتُوبًا مُذَبَّرًا، دَخَلَ الْعَبَّاسُ، وَعَلِيٌّ، عَلَى عُمَرَ، وَعِنْدَهُ طَلْحَةُ، وَالزُّبَيْرُ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ، وَسَعْدٌ، وَهُمَا يَخْتَصِمَانِ، فَقَالَ عُمَرُ لِطَلْحَةَ وَالزُّبَيْرِ، وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ، وَسَعْدٍ: أَلَمْ تَعْلَمُوا أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: كُلُّ مَالِ النَّبِيِّ صَدَقَةٌ، إِلَّا مَا أَطْعَمَهُ أَهْلَهُ، وَكَسَاهُمْ إِنَّا لَا نُورَثُ؟ قَالُوا: بَلَى، قَالَ: فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُنْفِقُ مِنْ مَالِهِ عَلَى أَهْلِهِ، وَيَتَصَدَّقُ بِفَضْلِهِ، ثُمَّ تُوُفِّيَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، فَوَلِيَهَا أَبُو بَكْرٍ سَنَتَيْنِ، فَكَانَ يَصْنَعُ الَّذِي كَانَ يَصْنَعُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، ثُمَّ ذَكَرَ شَيْئًا مِنْ حَدِيثِ مَالِكِ بْنِ أَوْسٍ
صحيح
Narrated Umar ibn al-Khattab:
AbulBakhtari said: I heard from a man a tradition which I liked. I said to him: Write it down for me. So he brought it clearly written to me.
(It says): Al-Abbas and Ali entered upon Umar when Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd were with him. They (Abbas and Ali) were disputing.
Umar said to Talhah, az-Zubayr, AbdurRahman and Sa'd: Do you not know that the Messenger of Allah (ﷺ) said: All the property of the Prophet (ﷺ) is sadaqah (alms), except what he provided for his family for their sustenance and their clothing. We are not to be inherited.
They said: Yes, indeed. He said: The Messenger of Allah (ﷺ) used to spend from his property on his family, and give the residue as sadaqah (alms). The Messenger of Allah (ﷺ) then died, and AbuBakr ruled for two years. He would deal with it in the same manner as the Messenger of Allah (ﷺ) did. He then mentioned a little from the tradition of Malik ibn Aws.