পরিচ্ছেদঃ ৩০২১. প্রশাসক ও প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিদের ভাতা। বিচারপতি শুরায়হ্ (রঃ) বিচার কার্যের জন্য পারিশ্রমিক গ্রহন করতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেন, (ইয়াতীমের) তত্ত্বাবধানকারী সম্পদ থেকে তার পারিশ্রমিকের সমপরিমান খেতে পারবেন। আবু বকর (রাঃ) ও উমর (রাঃ) (রাষ্ট্রীয় ভাতা) ভোগ করেছেন।
بَاب مَتَى يَسْتَوْجِبُ الرَّجُلُ الْقَضَاءَ وَقَالَ الْحَسَنُ أَخَذَ اللَّهُ عَلَى الْحُكَّامِ أَنْ لَا يَتَّبِعُوا الْهَوَى وَلَا يَخْشَوْا النَّاسَ وَلَا يَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا ثُمَّ قَرَأَ يَا دَاوُدُ إِنَّا جَعَلْنَاكَ خَلِيفَةً فِي الْأَرْضِ فَاحْكُمْ بَيْنَ النَّاسِ بِالْحَقِّ وَلَا تَتَّبِعْ الْهَوَى فَيُضِلَّكَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ إِنَّ الَّذِينَ يَضِلُّونَ عَنْ سَبِيلِ اللَّهِ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌ بِمَا نَسُوا يَوْمَ الْحِسَابِ وَقَرَأَ إِنَّا أَنْزَلْنَا التَّوْرَاةَ فِيهَا هُدًى وَنُورٌ يَحْكُمُ بِهَا النَّبِيُّونَ الَّذِينَ أَسْلَمُوا لِلَّذِينَ هَادُوا وَالرَّبَّانِيُّونَ وَالْأَحْبَارُ بِمَا اسْتُحْفِظُوا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَكَانُوا عَلَيْهِ شُهَدَاءَ فَلَا تَخْشَوْا النَّاسَ وَاخْشَوْنِ وَلَا تَشْتَرُوا بِآيَاتِي ثَمَنًا قَلِيلًا وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللَّهُ فَأُولَئِكَ هُمْ الْكَافِرُونَ بِمَا اسْتُحْفِظُوا اسْتُوْدِعُوا مِنْ كِتَابِ اللَّهِ وَقَرَأَ وَدَاوُدَ وَسُلَيْمَانَ إِذْ يَحْكُمَانِ فِي الْحَرْثِ إِذْ نَفَشَتْ فِيهِ غَنَمُ الْقَوْمِ وَكُنَّا لِحُكْمِهِمْ شَاهِدِينَ فَفَهَّمْنَاهَا سُلَيْمَانَ وَكُلًّا آتَيْنَا حُكْمًا وَعِلْمًا فَحَمِدَ سُلَيْمَانَ وَلَمْ يَلُمْ دَاوُدَ وَلَوْلَا مَا ذَكَرَ اللَّهُ مِنْ أَمْرِ هَذَيْنِ لَرَأَيْتُ أَنَّ الْقُضَاةَ هَلَكُوا فَإِنَّهُ أَثْنَى عَلَى هَذَا بِعِلْمِهِ وَعَذَرَ هَذَا بِاجْتِهَادِهِ وَقَالَ مُزَاحِمُ بْنُ زُفَرَ قَالَ لَنَا عُمَرُ بْنُ عَبْدِ الْعَزِيزِ خَمْسٌ إِذَا أَخْطَأَ الْقَاضِي مِنْهُنَّ خَصْلَةً كَانَتْ فِيهِ وَصْمَةٌ أَنْ يَكُونَ فَهِمًا حَلِيمًا عَفِيفًا صَلِيبًا عَالِمًا سَئُولًا عَنْ الْعِلْمِ
৩০২০. অনুচ্ছেদ: লোক কখন বিচারক হওয়ার যোগ্য হয়। হাসান (রঃ) বলেন, মহান আল্লাহ্ তা’আলা বিচারকদের থেকে অঙ্গীকার নিয়েছেন যে, তারা যেন কখনও প্রবৃত্তির অনুসরন না করেন, মানুষকে ভয় না করেন এবং স্বল্প মূল্যের বিনিময়ে মহান আল্লাহর আয়াতকে বিক্রয় না করেন। এরপর তিনি (এর প্রমান হিসাবে পড়লেন। ইরশাদ হলো: হে দাউদ! আমি তোমাকে পৃথিবীতে প্রতিনিধি করেছি। অতএব তুমি লোকদের মধ্যে সুবিচার কর এবং খেয়াল-খুশীর অনুসরন করবে না। কেননা তা তোমাকে আল্লাহর পথ থেকে বিচ্যুত করবে। যারা মহান আল্লাহর পথ পরিত্যাগ করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি। কারন তারা বিচার দিবসকে বিস্মৃত হয়ে আছে। (৩৮: ২৬) তিনি আরো পাঠ করলেন, (মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন এর বানী) আমি তাওরাত অবতীর্ণ করেছিলাম। এতে ছিল পথনির্দেশ ও আলো। নবীগন, যারা আল্লাহর অনুগত ছিল, তারা ইহুদীদের তদনুসারে বিধান দিত, আরো বিধান দিত রাব্বানীরা এবং বিজ্ঞানীরা, কারন তাদের করা হয়েছিল মহান আল্লাহর কিতাবের রক্ষক ..... মহান আল্লাহ্ তা’আলা যা অবতীর্ন করেছেন তদনুসারে যারা বিধান দেয়না তারাই সত্য প্রত্যাখ্যানকারী। (৫: ৪৪) এবং আরো পাঠ করলেন (মহান আল্লাহ্ তা’আলার বানী) স্মরন কর দাউদ ও সুলায়মানের কথা, যখন তারা বিচার করেছিল শস্যক্ষেত্র সম্পর্কে, এতে রাতে প্রবেশ করেছিল কোন সম্প্রদায়ের মেষ, আমি প্রত্যক্ষ করছিলাম তাদের বিচার এবং সুলায়মানকে এ মিমাংসা বুঝিয়ে দিয়েছিলাম। আমি তাদের প্রত্যেককে দিয়েছিলাম প্রজ্ঞা ও জ্ঞান.....(২১: ৭৮-৭৯)
(মহান আল্লাহ্ তা’আলা) সুলায়মান (আঃ) এর প্রশংসা করেছেন, তবে দাউদ (আঃ) এর তিরস্কার করেননি। যদি মহান আল্লাহ্ তা’আলা দু’জনের অবস্থাকেই উল্লেখ না করতেন, তাহলে মনে করা হতো যে, বিচারকরা ধ্বংস হয়ে গেছেন। তিনি তাঁর (সুলায়মানের) ইলমের প্রশংসা করেছেন এবং (দাউদকে) তাঁর (ভুল) ইজতিহাদের জন্য ক্ষমা করে দিয়েছেন।
মুযাহিম ইবন যুফার (রঃ) বলেন, উমর ইবন আবদুল আযীয (রঃ) আমাদের বলেছেন যে, পাঁচটি গুন এমন যে, কাযীর মধ্যে যদি একটিরও অভাব থাকে তা হলে সেটা তার জন্য দোষ বলে গন্য হবে। তাকে হতে হবে বুদ্ধিমান, ধৈর্যশীল, পূত-পবিত্র চরিত্রের অধিকারী, দৃঢ়প্রত্যয়ী ও জ্ঞানী, জ্ঞানের অনুসন্ধিৎসু।
৬৬৭৭। আবুল ইয়ামান (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু সা’দী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বর্ণনা করেন যে, উমর (রাঃ) এর খিলাফতকালে তিনি একবার তার কাছে আসলেন। তখন উমর (রাঃ) তাকে বললেন, আমাকে কি এ মর্মে অবগত করা হয়নি যে তুমি জনগণের অনেক দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়ে থাক। অথচ যখন তোমাকে এর পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়, তখন তুমি তা গ্রহণ কবাকে অপছন্দ কর? আমি বললাম, হ্যাঁ। উমর (রাঃ) বললেন, কি উদ্দেশ্যে তুমি এরূপ কর। আমি বললাম, আমার বহু ঘোড়া ও গোলাম রয়েছে এবং আমি ভাল অবস্থায় আছি। সুতরাং আমি চাই যে, আমার পারিশ্রমিক মুসলিম জনসাধারগের জন্য সাদাকা হিসাবে পরিগণিত হোক।
উমর (রাঃ) বললেনঃ এরূপ করো না। কেননা, আমিও তোমার মত এরূপ ইচ্ছা পোষণ করতাম। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমাকে কিছু দিতেন, তখন আমি বলতাম, আমার চেয়ে যার প্রয়োজন বেশি তাকে প্রদান করুন। এতে একবার তিনি আমাকে কিছু মাল দিলেন। আমি বললাম, আমার চেয়ে এ মালের প্রয়োজন যার বেশি তাকে দিন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ একে গ্রহণ করে মালদার হও এবং বৃদ্ধি করে তা থেকে সাদাকা কর। আর এই মাল সম্পদের যা কিছু তোমার নিকট এভাবে আসে, তুমি যার প্রত্যাশী নও বা প্রার্থী নও তা গ্রহণ করো। অন্যথায় তাহলে তার পিছনে নিজেকে নিরত করো না।
যুহরী আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) সুত্রে বলেন, তিনি উমর (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে যখন কিছু দান করতেন- তখন আমি বলতাম আমার চেয়ে যার প্রয়োজন বেশি তাকে দিন। এভাবে একবার তিনি আমাকে কিছু মাল দিলেন। আমি বললাম, আমার চেয়ে যার প্রয়োজন বেশি তাকে প্রদান করুন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ একে গ্রহন কর এবং বৃদ্ধি করে তা থেকে সাদাকা কর। আর এই প্রকার মালের যা কিছু তোমার কাছে এমতাবস্থায় আসে যে তুমি তার প্রত্যাশীও নও এবং প্রার্থীও নও তাহলে তা গ্রহণ করা তবে যা এভাবে আসবে না তার পিছনে নিজেকে ধাবিত করো না।
باب رِزْقِ الْحُكَّامِ وَالْعَامِلِينِ عَلَيْهَا وَكَانَ شُرَيْحٌ الْقَاضِي يَأْخُذُ عَلَى الْقَضَاءِ أَجْرًا. وَقَالَتْ عَائِشَةُ يَأْكُلُ الْوَصِيُّ بِقَدْرِ عُمَالَتِهِ، وَأَكَلَ أَبُو بَكْرٍ وَعُمَرُ
حَدَّثَنَا أَبُو الْيَمَانِ، أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ ابْنُ أُخْتِ، نَمِرٍ أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى، أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ، قَدِمَ عَلَى عُمَرَ فِي خِلاَفَتِهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَلَمْ أُحَدَّثْ أَنَّكَ تَلِي مِنْ أَعْمَالِ النَّاسِ أَعْمَالاً، فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعُمَالَةَ كَرِهْتَهَا. فَقُلْتُ بَلَى. فَقَالَ عُمَرُ مَا تُرِيدُ إِلَى ذَلِكَ قُلْتُ إِنَّ لِي أَفْرَاسًا وَأَعْبُدًا، وَأَنَا بِخَيْرٍ، وَأَرِيدُ أَنْ تَكُونَ عُمَالَتِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ. قَالَ عُمَرُ لاَ تَفْعَلْ فَإِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ الَّذِي أَرَدْتَ فَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُعْطِينِي الْعَطَاءَ فَأَقُولُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي. حَتَّى أَعْطَانِي مَرَّةً مَالاً فَقُلْتُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ وَتَصَدَّقْ بِهِ، فَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلاَ سَائِلٍ فَخُذْهُ، وَإِلاَّ فَلاَ تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ "
وَعَنِ الزُّهْرِيِّ، قَالَ حَدَّثَنِي سَالِمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنْ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ عُمَرَ، قَالَ سَمِعْتُ عُمَرَ، يَقُولُ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُعْطِينِي الْعَطَاءَ فَأَقُولُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي. حَتَّى أَعْطَانِي مَرَّةً مَالاً فَقُلْتُ أَعْطِهِ مَنْ هُوَ أَفْقَرُ إِلَيْهِ مِنِّي. فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ وَتَصَدَّقْ بِهِ، فَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلاَ سَائِلٍ فَخُذْهُ، وَمَا لاَ فَلاَ تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ ".
Narrated 'Abdullah bin As-Sa'di:
That when he went to 'Umar during his Caliphate. 'Umar said to him, "Haven't I been told that you do certain jobs for the people but when you are given payment you refuse to take it?" 'Abdullah added: I said, "Yes." 'Umar said, "Why do you do so?" I said, "I have horses and slaves and I am living in prosperity and I wish that my payment should be kept as a charitable gift for the Muslims." 'Umar said, "Do not do so, for I intended to do the same as you do. Allah's Messenger (ﷺ)s used to give me gifts and I used to say to him, 'Give it to a more needy one than me.' Once he gave me some money and I said, 'Give it to a more needy person than me,' whereupon the Prophet (ﷺ) said, 'Take it and keep it in your possession and then give it in charity. Take what ever comes to you of this money if you are not keen to have it and not asking for it; otherwise (i.e., if it does not come to you) do not seek to have it yourself.' "
Narrated 'Abdullah bin 'Umar:
I have heard 'Umar saying, "The Prophet (ﷺ) used to give me some money (grant) and I would say (to him), 'Give it to a more needy one than me.' Once he gave me some money and I said, 'Give it to a more needy one than me.' The Prophet (ﷺ) said (to me), 'Take it and keep it in your possession and then give it in charity. Take whatever comes to you of this money while you are not keen to have it and not asking for it; take it, but you should not seek to have what you are not given. ' "
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. চাওয়া ব্যতীত আল্লাহ তা’আলা যাকে কোন ধন-সম্পদ দান করেন তার প্রসঙ্গে
২৬০৭. সাঈদ ইবন আব্দুর রহমান আবূ উবায়দুল্লাহ মাখিযুমী (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবন সাদী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি একবার সিরিয়া থেকে উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর কাছে আসলে তিনি তাঁকে বললেন যে, আমি শুনেছি যে, তুমি মুসলিমদের কোন কাজ করলে তোমাকে তার পারিশ্রমিক দেওয়া হলে তা তুমি নাকি গ্ৰহণ করা না? তিনি বললেন, হ্যাঁ। আমার অগণিত ঘোড়া এবং দাস-দাসী রয়েছে এবং আমি স্বচ্ছল অবস্থায় আছি। তাই আমার ইচ্ছা আমার কাজ মুসলিমদের জন্য সাদাক স্বরূপ হােক। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি যা মনস্থ করেছ আমিও তাই মনস্থ করেছিলাম, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিনিময় দিতেন, আমি তাঁকে বলতামঃ যে ব্যক্তি আমার থেকেও বেশী মুখাপেক্ষী আপনি এই মাল তাকেই দিন। তিনি আমাকে একবার কিছু মাল দিলে আমি তাঁকে বললাম, এই মাল যে আমার থেকে বেশী অভাবী আপনি তাকেই দিন। তিনি বললেন, তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত যে মাল আল্লাহ্ তোমাকে দেন তা গ্ৰহণ করে নেবে এবং ইচ্ছা করলে তা তোমার কাছে রেখে দেবে নয়তো সাদাকা করে দেবে। আর যেগুলো তোমাকে দেওয়া হয় না তুমি সেগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হবে না।
مَنْ آتَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَالًا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ
أَخْبَرَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ أَبُو عُبَيْدِ اللَّهِ الْمَخْزُومِيُّ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ حُوَيْطِبِ بْنِ عَبْدِ الْعُزَّى قَالَ أَخْبَرَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ السَّعْدِيِّ أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ مِنْ الشَّامِ فَقَالَ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَعْمَلُ عَلَى عَمَلٍ مِنْ أَعْمَالِ الْمُسْلِمِينَ فَتُعْطَى عَلَيْهِ عُمَالَةً فَلَا تَقْبَلُهَا قَالَ أَجَلْ إِنَّ لِي أَفْرَاسًا وَأَعْبُدًا وَأَنَا بِخَيْرٍ وَأُرِيدُ أَنْ يَكُونَ عَمَلِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ إِنِّي أَرَدْتُ الَّذِي أَرَدْتَ وَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي الْمَالَ فَأَقُولُ أَعْطِهِ مَنْ هُوَ أَفْقَرُ إِلَيْهِ مِنِّي وَإِنَّهُ أَعْطَانِي مَرَّةً مَالًا فَقُلْتُ لَهُ أَعْطِهِ مَنْ هُوَ أَحْوَجُ إِلَيْهِ مِنِّي فَقَالَ مَا آتَاكَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مِنْ هَذَا الْمَالِ مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ وَلَا إِشْرَافٍ فَخُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ أَوْ تَصَدَّقْ بِهِ وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ
'Abdullah bin As-Sa'di narrated that he came to 'Umar bin Al-Khattab, may Allah be pleased with him, from Ash-Sham, and he said:
"I heard that you have been doing some work for the Muslims, and you are given payment for that, but you do not accept it. "I said: "Yes (that is so); I have horses and slaves and am well-off, and I wanted my work to be an act of charity toward the Muslims." 'Umar, may Allah be pleased with him, said: "I wanted the same thing as you. The Prophet used to give me money, and I would say: 'Give it to someone who is more in need of it than I am. Once he gave me money and I said: 'Give it to someone who us more in need of it that I am, and he said: 'Whatever Allah, the Mighty and Sublime, gives you of this wealth without you asking for it or hoping or it, take it and keep it, or give it in charity, and whatever. He does not give you then do not hope for it or wish for it."'
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. চাওয়া ব্যতীত আল্লাহ তা’আলা যাকে কোন ধন-সম্পদ দান করেন তার প্রসঙ্গে
২৬০৮. কাছীর ইবন উবায়দা (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবন সাদী (রহঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি একবার উমর (রাঃ)-এর খিলাফতকালে তাঁর কাছে গেলেন। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন যে, আমি শুনতে পেলাম তুমি নাকি মুসলিমদের কাজে নিয়োজিত রয়েছে এবং তোমাকে তোমার কাজের পারিশ্রমিক দেওয়া হলে তুমি তা গ্ৰহণ করা না ? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন উমর (রাঃ) বললেন, এতে তোমার উদ্দেশ্য কি? আমি বললাম যে, আমার অগণিত ঘোড়া এবং দাস-দাসী রয়েছে আর আমি স্বচ্ছল অবস্থায় আছি। তাই আমি চাচ্ছিলাম যে, আমার কাজগুলো মুসলিমদের জন্য সাদাক স্বরূপ হােক। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন যে, তুমি এরূপ করবে না। কেননা তুমি যে রকম চাচ্ছ আমিও সে রকম চাইতাম। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে পারিশ্রমিক দিলে আমি বলতাম যে, আপনি ইহা আমার থেকে বেশী অভাবীদেরকে দিয়ে দিন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন যে, তুমি এগুলো নিয়ে নাও। ইচ্ছা করলে নিজের কাজে লাগাও নতুবা সাদাকা করে দাও। তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত যে মাল তোমার হস্তগত হয় তা তুমি নিয়ে যাও। কোন মাল এভাবে তোমার হস্তগত না হলে তার প্রতি আকৃষ্ট হবে না।
مَنْ آتَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَالًا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ
أَخْبَرَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ قَالَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَرْبٍ عَنْ الزُّبَيْدِيِّ عَنْ الزُّهْرِيِّ عَنْ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي خِلَافَتِهِ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ أَلَمْ أُحَدَّثْ أَنَّكَ تَلِي مِنْ أَعْمَالِ النَّاسِ أَعْمَالًا فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعُمَالَةَ رَدَدْتَهَا فَقُلْتُ بَلَى فَقَالَ عُمَرُ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ فَمَا تُرِيدُ إِلَى ذَلِكَ فَقُلْتُ لِي أَفْرَاسٌ وَأَعْبُدٌ وَأَنَا بِخَيْرٍ وَأُرِيدُ أَنْ يَكُونَ عَمَلِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ لَهُ عُمَرُ فَلَا تَفْعَلْ فَإِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ مِثْلَ الَّذِي أَرَدْتَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي الْعَطَاءَ فَأَقُولُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ أَوْ تَصَدَّقْ بِهِ مَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلَا سَائِلٍ فَخُذْهُ وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ
Abdullah bin As-Sa'di narrated that he came to 'Umar bin Al-Khattab during his Caliphate and 'Umar said to him:
"I heard that you do some jobs for the people but when payment is given to you, you refuse it." I said: "(that is so)." 'Umar, may Allah be pleased with him, said: "Why do you do that? I said: "I have horses and slaves and am well off, and I wanted my work to be an act of charity toward the Muslims." 'Umar said to him: "Do not do that. I used to want the same thing as you. The Messenger of Allah used to give me payment and I would say, 'Give it to someone who is more in need of it that I am.' But the Messenger of Allah said: "Take it and keep it or give it in charity. Whatever comes to you of this wealth when you are not hoping for it and not asking for it, take it, and whatever does not, then do not wish for it. "'
পরিচ্ছেদঃ ৯৪. চাওয়া ব্যতীত আল্লাহ তা’আলা যাকে কোন ধন-সম্পদ দান করেন তার প্রসঙ্গে
২৬০৯. আমর ইবন মানসূর এবং ইসহাক ইবন মানসূর (রহঃ) ... আব্দুল্লাহ ইবন সাদী সংবাদ দিয়েছেন যে, তিনি একবার উমর ইবন খাত্তাব (রাঃ)-এর খিলাফতকালে তাঁর কাছে আসলেন। উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন, আমি শুনতে পেলাম যে, তুমি নাকি মানুষের কাজে নিয়োজিত থাক এবং তার বিনিময় দেওয়া হলে তুমি তা অপছন্দ কর? তিনি বলেন, আমি বললামঃ হ্যাঁ। উমর (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, এর দ্বারা তোমার উদ্দেশ্য কি? আমি বললাম, আমার অগণিত ঘোড়া এবং দাস-দাসী রয়েছে আর আমি স্বচ্ছল অবস্থায় রয়েছি। তাই আমি চাচ্ছিলাম যে, আমার কাজগুলো মুসলিমদের জন্য সাদাকা স্বরূপ হােক।
উমর (রাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি এরূপ করবে না। তুমি যে রকম ইচ্ছা করছি আমিও সে রকমই ইচ্ছা! করতাম। কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বিনিময় দিতেন। আর আমি বলতাম যে, আপনি এটা আমার চেয়েও বেশী অভাবীদের দিয়ে দিন। তিনি আমাকে একবার কিছু মাল দিলে আমি তাকে বললাম যে, আপনি ইহা আমার চেয়েও বেশী অভাবীদেরকে দিয়ে দিন। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি এটা নিয়ে নাও; ইচ্ছা! করলে নিজের কাজে লাগাও নতুবা সাদাকা করে দাও। আর যে মাল তোমার চাওয়া এবং লালসা ব্যতীত হস্তগত হয়, তুমি তা নিয়ে নেবে অন্যাথায় তার পেছনে পড়বে না।
مَنْ آتَاهُ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ مَالًا مِنْ غَيْرِ مَسْأَلَةٍ
أَخْبَرَنَا عَمْرُو بْنُ مَنْصُورٍ وَإِسْحَقُ بْنُ مَنْصُورٍ عَنْ الْحَكَمِ بْنِ نَافِعٍ قَالَ أَنْبَأَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ أَخْبَرَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ أَنَّهُ قَدِمَ عَلَى عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ فِي خِلَافَتِهِ فَقَالَ عُمَرُ أَلَمْ أُخْبَرْ أَنَّكَ تَلِي مِنْ أَعْمَالِ النَّاسِ أَعْمَالًا فَإِذَا أُعْطِيتَ الْعُمَالَةَ كَرِهْتَهَا قَالَ فَقُلْتُ بَلَى قَالَ فَمَا تُرِيدُ إِلَى ذَلِكَ فَقُلْتُ إِنَّ لِي أَفْرَاسًا وَأَعْبُدًا وَأَنَا بِخَيْرٍ وَأُرِيدُ أَنْ يَكُونَ عَمَلِي صَدَقَةً عَلَى الْمُسْلِمِينَ فَقَالَ عُمَرُ فَلَا تَفْعَلْ فَإِنِّي كُنْتُ أَرَدْتُ الَّذِي أَرَدْتَ فَكَانَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُعْطِينِي الْعَطَاءَ فَأَقُولُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي حَتَّى أَعْطَانِي مَرَّةً مَالًا فَقُلْتُ أَعْطِهِ أَفْقَرَ إِلَيْهِ مِنِّي فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خُذْهُ فَتَمَوَّلْهُ وَتَصَدَّقْ بِهِ فَمَا جَاءَكَ مِنْ هَذَا الْمَالِ وَأَنْتَ غَيْرُ مُشْرِفٍ وَلَا سَائِلٍ فَخُذْهُ وَمَا لَا فَلَا تُتْبِعْهُ نَفْسَكَ
Abdullah bin As-Sa'di narrated that he came to 'Umar bin Al-Khattab during his Caliphate and 'Umar said to him:
"I heard that you do some jobs for the people but when payment is given to you, you do not like it." I said: "Yes (that is so)." He said: "Why do you do that? I said: "I have horses and slaves and well off, and I wanted my work to be an act of charity toward the Muslims." 'Umar said to him: "Do not do that. I used to want the same thing as you. The Messenger of Allah used to give me payment and I would say, 'Give it to someone who is more in need of it than I am' until, on one occasion, the Prophet gave me payment and I said: 'Give it to someone who is more in said: "Take it and keep it or give it in charity. Wealth when you are not hoping for it and not asking for it, take it, and whatever does not, then do not wish for it."'
পরিচ্ছেদঃ ১৯. হাদিয়া বা দান ফিরিয়ে দেয়া নিষেধ
১৬৮৫. আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দী (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু) উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।[1]
তাখরীজ; এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। আবীল ইয়ামান হাকাম ইবনু নাফি’ হতে এটি বুখারী, আহকাম ৭১৬৩ তে বর্ণনা করেছেন। আগের এবং পরের হাদীসটি দেখুন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ رَدِّ الْهَدِيَّةِ
أَخْبَرَنَا الْحَكَمُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ أَبِي حَمْزَةَ عَنْ الزُّهْرِيِّ حَدَّثَنِي السَّائِبُ بْنُ يَزِيدَ أَنَّ حُوَيْطِبَ بْنَ عَبْدِ الْعُزَّى أَخْبَرَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ السَّعْدِيِّ أَخْبَرَهُ عَنْ عُمَرَ بِنَحْوِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৯. হাদিয়া বা দান ফিরিয়ে দেয়া নিষেধ
১৬৮৬. (অপর সনদে) আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু আমাকে (সাদাকা আদায়কারী রূপে) নিযুক্ত করেন…” অত:পর তিনি তাঁর (উমার রা:) থেকে এরূপ বর্ণনা করেন।[1]
তাখরীজ; এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি। কুতাইবা ইবনু সাঈদ হতে মুসলিম, যাকাত ১০৪৫ (১১২)। পূর্ণ তাখরীজের জন্য আগের টীকা দু’টি দেখুন।
بَاب النَّهْيِ عَنْ رَدِّ الْهَدِيَّةِ
أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ حَدَّثَنَا اللَّيْثُ عَنْ بُكَيْرٍ عَنْ بُسْرِ بْنِ سَعِيدٍ عَنْ ابْنِ السَّعْدِيِّ قَالَ اسْتَعْمَلَنِي عُمَرُ فَذَكَرَ نَحْوًا مِنْهُ
পরিচ্ছেদঃ যতদিন পর্যন্ত শক্ৰদের সাথে সংগ্ৰাম চলতে থাকবে, ততদিন পর্যন্ত হিজরতের অবশিষ্ট থাকা প্রসঙ্গে
১২৬৭। আব্দুল্লাহ ইবনু সা’দী (রাঃ) হতে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হিজরত বন্ধ হবে না যতক্ষণ শত্রুর সাথে সংগ্রাম চলতে থাকবে।[1]
আব্দুল্লাহ বিন সা’দী (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে একটি প্রতিনিধিদলের সাথে গেলাম। আমাদের প্রত্যেকেই কোন প্রয়োজন চাচ্ছিল। আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে সর্বশেষে প্রবেশ করলাম। তিনি বললেন, তোমার কি প্রয়োজন? আমি বললাম : হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমি আমার পরিবারকে ছেড়ে চলে এসেছি। আর তারা বলে যে হিজরাত নাকি শেষ হয়ে গেছে। অতঃপর তিনি হাদীসটি উল্লেখ করলেন। নাসায়ী ৪১৭২, ৪১৭৩, আহমাদ ২১৮১৯।
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ السَّعْدِيِّ - رضي الله عنه - قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ - صلى الله عليه وسلم: «لَا تَنْقَطِعُ الْهِجْرَةُ مَا قُوتِلَ الْعَدُوُّ». رَوَاهُ النَّسَائِيُّ, وَصَحَّحَهُ ابْنُ حِبَّانَ
-
صحيح. رواه النسائي (6/ 146 و 147)، وابن حبان (1579) عن عبد الله بن السعدي قال: وفدت إلى رسول الله صلى الله عليه وسلم في وفد كلنا يطلب حاجة، وكنت آخرهم دخولا على رسول الله صلى الله عليه وسلم. فقال: «حاجتك» فقلت: يا رسول الله إني تركت من خلفي وهم يزعمون أن الهجرة قد انقطعت، فذكر الحديث
’Abdullah bin As-Sa'di narrated that The Messenger of Allah (ﷺ) said:
“Emigration (to fight the enemy) will continue as long as an enemy is fought.” Related by An-Nasa’i, and Ibn Hibban graded it as Sahih.