পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২১. ইবনু আবী যিনাদ তার পিতার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, তের বছরের কিশোরের ওয়াসীয়াতকে জায়িয (বৈধ) করেছেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/১৮৪ নং ১০৮৯৮; আব্দুর রাযযাক ১৬৪১৬, ১৬৪১৯ সনদ সহীহ।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَسَّانَ أَخْبَرَنَا ابْنُ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عُمَرَ بْنِ عَبْدِ الْعَزِيزِ أَنَّهُ أَجَازَ وَصِيَّةَ ابْنِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ سَنَةً
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২২. আবূ ইসহাক হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, গোত্রের সাত বছর বয়স্ক একজন বালক ওয়াসীয়াত করলে শুরাইহ (রহঃ) বললেন, যদি ছেলেটি সঠিক পন্থায় ওয়াসীয়াত করে, তবে তা জায়িয (বৈধ) হবে।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, তিনি (শুরাইহ) আমাকে আনন্দিত করেছেন, কিন্তু কাযীগণ (বিচারকগণ) তা জায়িয মনে করেন না।
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/১৫৮ নং ১০৯০৪; সাঈদ ইবনু মানসূর ৪৩৪ ; আব্দুর রাযযাক ১৬৪১৪; ওয়াকী’, আখবারুল কুযাত ২/২৬৪, ৩১৫।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ قَالَ أَوْصَى غُلَامٌ مِنْ الْحَيِّ ابْنُ سَبْعِ سِنِينَ فَقَالَ شُرَيْحٌ إِذَا أَصَابَ الْغُلَامُ فِي وَصِيَّتِهِ جَازَتْ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يُعْجِبُنِي وَالْقُضَاةُ لَا يُجِيزُونَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৩. আবূ ইসহাক হতে বর্ণিত, তিনি সাক্ষ্য দেন যে, শুরাইহ হিরার অধিবাসী আব্বাস ইবনু ইসমাঈল ইবনু মারছাদের পালক পিতা (অথবা মাতা)’র জন্য তার কৃত ওয়াসীয়াতকে জায়িয বলেছেন। আর তখন আব্বাস ছিলেন (অল্প বয়স্ক) বালক।[1]
তাখরীজ: এর পূর্ণ তাখরীজের জন্য পরবর্তী আছার দু’টি দেখুন।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا يُونُسُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ أَنَّهُ شَهِدَ شُرَيْحًا أَجَازَ وَصِيَّةَ عَبَّاسِ بْنِ إِسْمَعِيلَ بْنِ مَرْثَدٍ لِظِئْرِهِ مِنْ أَهْلِ الْحِيرَةِ وَعَبَّاسٌ صَبِيٌّ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৪. আবূ ইসহাক হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, শুরাইহ (রহঃ) বলেন, বালক যখন (এমন বয়সে উপনীত হয় যে, সে) পানির কুপকে ভয় করতে শেখে, তখন তার ওয়াসীয়াত জায়িয (বৈধ) হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/১৫৮ নং ১০৯০৬। এর পূর্ণ তাখরীজের জন্য পুর্ববর্তী ও পরবর্তী আছার দু’টি দেখুন।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا يُونُسُ حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَقَ قَالَ قَالَ شُرَيْحٌ إِذَا اتَّقَى الصَّبِيُّ الرَّكِيَّةَ جَازَتْ وَصِيَّتُهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৫. আবূ ইসহাক হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তাদের গোত্রের আব্বাস ইবনু ইসমাঈল ইবনু মারছাদ নামে একটি ছেলের দুধের দাত পড়ে (স্থায়ী দাত উঠলো), তখন হিরায় বসবাসকারী তার পালক পিতা (অথবা মাতা)’র জন্য সে ৪০ দিরহাম ওয়াসীয়াত করে। তখন শুরাইহ তার কৃত ওয়াসীয়াতকে জায়িয বলেন। তিনি বলেন, যে ন্যায়সঙ্গতভাবে ওয়াসীয়াত করবে, আমরা তা জায়িয (বৈধ) বলব।[1]
তাখরীজ: ওয়াকী’, আখবারুল কুযাত ২/২৭০-২৭১; ইবনু আবী শাইবা ১১/১৫৮ নং ১০৯০৫; আব্দুর রাযযাক ১৬৪১২, ১৬৪১৩।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ أَنَّ غُلَامًا مِنْهُمْ حِينَ ثُغِرَ يُقَالُ لَهُ مَرْثَدٌ أَوْصَى لِظِئْرٍ لَهُ مِنْ أَهْلِ الْحِيرَةِ بِأَرْبَعِينَ دِرْهَمًا فَأَجَازَهُ شُرَيْحٌ وَقَالَ مَنْ أَصَابَ الْحَقَّ أَجَزْنَاهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৬. আবূ বকর ইবনু মুহাম্মদ ইবনু আমর ইবনু হাযম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, মদীনায় একটি ছেলের মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে এলো, কিন্তু তার ওয়ারিসগণ (তথা আত্মীয় স্বজন) তখন শামে ছিল। তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর নিকট উল্লেখ করা হলো যে, সে ছেলেটি মারা যাচ্ছে। তারা তাকে জিজ্ঞেস করল যে, এখন তাকে কি ওয়াসীয়াত করতে বলা যাবে কিনা। তখন উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তাকে আদেশ দিলেন যে, সে যেন ওয়াসীয়াত করে। তখন ছেলেটি জুশাম কুপ’ নামক একটি কুপ ওয়াসীয়াত করলো। আর এটির মালিকগণ তা ত্রিশ হাজার (দিরহাম) দিয়ে বিক্রয় করলো। আবূ বকর বলেন, তখন ছেলেটির বয়স দশ বছর কিংবা বার বছর ছিল।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক ১৬৪১০, ১৬৪১১; ইবনু আবী শাইবা ১১/১৮৩ নং ১০৮৯৬; সাঈদ ইবনু মানসূর ৪৩০; মালিক, ওয়াসাইয়া মুনকাতি’ সনদে; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ৯/৩৩০; বাইহাকী, ওয়াসাইয়া ৬/২৮২।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا يَحْيَى أَنَّ أَبَا بَكْرِ بْنَ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ غُلَامًا بِالْمَدِينَةِ حَضَرَهُ الْمَوْتُ وَوَرَثَتُهُ بِالشَّامِ وَأَنَّهُمْ ذَكَرُوا لِعُمَرَ أَنَّهُ يَمُوتُ فَسَأَلُوهُ أَنْ يُوصِيَ فَأَمَرَهُ عُمَرُ أَنْ يُوصِيَ فَأَوْصَى بِبِئْرٍ يُقَالُ لَهَا بِئْرُ جُشَمَ وَإِنَّ أَهْلَهَا بَاعُوهَا بِثَلَاثِينَ أَلْفًا ذَكَرَ أَبُو بَكْرٍ أَنَّ الْغُلَامَ كَانَ ابْنَ عَشْرِ سِنِينَ أَوْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৭. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, বালক তার নিজ মাল হতে এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে কম পরিমাণে ওয়াসীয়াত করতে পারে, তবে তার ওয়ালী বা অভিভাবক তার সুস্থ অবস্থায় দারিদ্রের আশংকা করলে তাকে একাজ হতে বিরত রাখতে পারবে। কিন্তু তার মৃত্যু কালে তাকে (ওয়াসীয়াত করা থেকে) বাধা দিতে পারবে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/১৮৪ নং ১০৯০১; সাঈদ ইবনু মানসূর ৪৩৬ ; আব্দুর রাযযাক ১৬৪২৪।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ يَجُوزُ وَصِيَّةُ الصَّبِيِّ فِي مَالِهِ فِي الثُّلُثِ فَمَا دُونَهُ وَإِنَّمَا يَمْنَعُهُ وَلِيُّهُ ذَلِكَ فِي الصِّحَّةِ رَهْبَةَ الْفَاقَةِ عَلَيْهِ فَأَمَّا عِنْدَ الْمَوْتِ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَمْنَعَهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৮. ইবনু সীরীন হতে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ ইবনু উতবাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একটি ছোট মেয়ের নিকট এলো যে ওয়াসীয়াত করেছিল। তখন লোকেরা তাকে হেয় জ্ঞান করছিল। তখন তিনি বললেন, যে ন্যায়সঙ্গতভাবে ওয়াসীয়াত করে, আমরা তা জায়িয (বৈধ) মনে করি।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক ১৬৪১৫; সাঈদ ইবনু মানসূর ৪৩২, ৪৩৩ ইবনু আবী শাইবা ১১/১৮৪ নং ১০৮৯৯।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ خَالِدٍ الْحَذَّاءِ وَأَيُّوبَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ أَنَّهُ أُتِيَ فِي جَارِيَةٍ أَوْصَتْ فَجَعَلُوا يُصَغِّرُونَهَا فَقَالَ مَنْ أَصَابَ الْحَقَّ أَجَزْنَاهُ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৯. আবূ বকর হতে বর্ণিত, সুলাইমা আল গাস্সানী যখন মৃত্যুবরণ করলো, তখন তার বয়স ছিল দশ কিংবা বার বছর। সে একটি কুপ ওয়াসীয়াত করলো, যার মুল্য ছিল তিরিশ হাজার (দিরহাম)। তখন উমার ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু তা অনুমোদন করলেন।[1]
আবূ মুহাম্মদ বলেন, লোকেরা বলতো: আমর ইবনু সুলাইম।
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক ১৬৪০৯। তবে সুলাইম’ এর পরিবর্তে সেখানে রয়েছে আমর ইবনু সুলাইম। পূর্ণ তাখরীজের জন্য দেখুন গত ৩৩২২ নং হাদীসটি।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ أَبِي بَكْرٍ أَنَّ سُلَيْمًا الْغَسَّانِيَّ مَاتَ وَهُوَ ابْنُ عَشْرٍ أَوْ ثِنْتَيْ عَشْرَةَ سَنَةً فَأَوْصَى بِبِئْرٍ لَهُ قِيمَتُهَا ثَلَاثُونَ أَلْفًا فَأَجَازَهَا عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد النَّاسُ يَقُولُونَ عَمْرُو بْنُ سُلَيْمٍ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩৩০. আবী বাকর এর দু’পূত্র আব্দুল্লাহ ও মুহাম্মদ তাদের পিতার সূত্রে অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে তাদের একজন বলেন, তার বয়স ছিল তের বছর। অপর জন বলেন, বালিগ বা বয়:প্রাপ্ত হওয়ার পুর্বে।[1] আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’তার দু’পুত্র’ হতে মানে আবী বাকরের দু’পুত্র হতে।
তাখরীজ: এটি পূর্বের হাদীসটির পুনরাবৃত্তি।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ ابْنَيْهِ عَبْدِ اللَّهِ وَمُحَمَّدٍ ابْنَيْ أَبِي بَكْرٍ عَنْ أَبِيهِمَا مِثْلَ ذَلِكَ غَيْرَ أَنَّ أَحَدَهُمَا قَالَ ابْنُ ثَلَاثَ عَشْرَةَ وَقَالَ الْآخَرُ قَبْلَ أَنْ يَحْتَلِمَ قَالَ أَبُو مُحَمَّد عَنْ ابْنَيْهِ يَعْنِي ابْنَيْ أَبِي بَكْرٍ