পরিচ্ছেদঃ ১১১৪. নবী (ﷺ) কতবার উমরা করেছেন
১৬৬৬। আহমদ ইবনু ’উসমান (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুল-কা’দা মাসে হাজ্জের আগে ’উমরা করেছেন। রাবী বলেন, আমি বারা’ ইবনু ’আযিব (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাজ্জ (হজ্জ) করার আগে দু’বার যুল-কা’দা মাসে ’উমরা করেছেন।
باب كَمِ اعْتَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلْتُ مَسْرُوقًا وَعَطَاءً وَمُجَاهِدًا. فَقَالُوا اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذِي الْقَعْدَةِ قَبْلَ أَنْ يَحُجَّ. وَقَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ ـ رضى الله عنهما ـ يَقُولُ اعْتَمَرَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي ذِي الْقَعْدَةِ، قَبْلَ أَنْ يَحُجَّ مَرَّتَيْنِ.
Narrated Abu 'Is-haq:
I asked Masruq, `Ata' and Mujahid (about the `Umra of Allah's Messenger (ﷺ)). They said, "Allah's Messenger (ﷺ) had performed `Umra in Dhi-l-Qa'da before he performed Hajj." I heard Al-Bara' bin `Azib saying, "Allah's Messenger (ﷺ) had performed `Umra in Dhi-l-Qa'da twice before he performed Hajj."
পরিচ্ছেদঃ ১১২৯. মহান আল্লাহর বাণীঃ তোমারা দরজা দিয়ে ঘরে প্রবেশ কর
১৬৮৭। আবূল ওয়ালিদ (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি বারা’ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, এ আয়াতটি আমাদের সম্পর্কে নাযিল হয়েছিল। হাজ্জ (হজ্জ) করে এসে আনসারগণ তাদের বাড়িতে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ না করে পেছনের দরজা দিয়ে প্রবেশ করতেন। এক আনসার ফিরে এসে তার বাড়ির সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলে তাকে এ জন্য লজ্জা দেওয়া হয়। তখনই নাযিল হয়ঃ পশ্চাৎ দিক দিয়ে তোমাদের গৃহ-প্রবেশ করাতে কোন কল্যাণ নেই। বরং কল্যাণ আছে যে তাকওয়া অবলম্বন করে। সুতরাং তোমরা (সামনের) দরজা দিয়ে গৃহে প্রবেশ কর। (২ঃ ১৮৯)
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَا}
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ يَقُولُ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا، كَانَتِ الأَنْصَارُ إِذَا حَجُّوا فَجَاءُوا لَمْ يَدْخُلُوا مِنْ قِبَلِ أَبْوَابِ بُيُوتِهِمْ، وَلَكِنْ مِنْ ظُهُورِهَا، فَجَاءَ رَجُلٌ مِنَ الأَنْصَارِ، فَدَخَلَ مِنْ قِبَلِ بَابِهِ، فَكَأَنَّهُ عُيِّرَ بِذَلِكَ، فَنَزَلَتْ (وَلَيْسَ الْبِرُّ بِأَنْ تَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ ظُهُورِهَا وَلَكِنَّ الْبِرَّ مَنِ اتَّقَى وَأْتُوا الْبُيُوتَ مِنْ أَبْوَابِهَا).
Narrated Abu 'Is-haq:
I heard Al-Bara' saying, "The above Verse was revealed regarding us, for the Ansar on returning from Hajj never entered their houses through the proper doors but from behind. One of the Ansar came and entered through the door and he was taunted for it. Therefore, the following was revealed: -- "It is not righteousness That you enter the houses from the back, But the righteous man is He who fears Allah, Obeys His order and keeps away from What He has forbidden So, enter houses through the proper doors." (2.189)
পরিচ্ছেদঃ ১৭৯৩. জিহাদে যে ব্যক্তি অন্যের বাহন পরিচালনা করে
২৬৬৭। কুতাইবা (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি বারা’ ইবনু আযিব (রাঃ) বলল, আপ্নারা কি হুনায়নের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে ময়দানে রেখে পলায়ন করেছিলেন?বারা’ ইবনু আযিব (রাঃ) বলেন, কিন্তু রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পলায়ন করেননি। হাওয়াযিনরা ছিল সুদক্ষ তীরন্দাজ। আমরা সামনা-সামনি যুদ্ধে তাদের পরাস্ত করলে তারা পালিয়ে যায়। এমতাবস্থায় মুসলিমরা তাদের পিছু ধাওয়া না করে গনীমতের মাল সংগ্রহে মনোনিবেশ করল। এই সুযোগে শত্রুরা তীর বর্ষণের মাধ্যমে আমাদের আক্রমন করে বসল। তবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্থান ত্যাগ করেননি। আমি তাঁকে তাঁর সাদা খচ্চরটির উপর অটল অবস্থায় দেখেছি। আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তাঁর বাহনের লাগাম ধরে টানছেন; আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলছেন, ’আমি নবী তা মিথ্যা নয়, আমি আবদুল মুত্তালিবের বংশধর।’
باب مَنْ قَادَ دَابَّةَ غَيْرِهِ فِي الْحَرْبِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا سَهْلُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ،. قَالَ رَجُلٌ لِلْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ ـ رضى الله عنهما ـ أَفَرَرْتُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ لَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَفِرَّ، إِنَّ هَوَازِنَ كَانُوا قَوْمًا رُمَاةً، وَإِنَّا لَمَّا لَقِينَاهُمْ حَمَلْنَا عَلَيْهِمْ فَانْهَزَمُوا، فَأَقْبَلَ الْمُسْلِمُونَ عَلَى الْغَنَائِمِ وَاسْتَقْبَلُونَا بِالسِّهَامِ، فَأَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمْ يَفِرَّ، فَلَقَدْ رَأَيْتُهُ وَإِنَّهُ لَعَلَى بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ وَإِنَّ أَبَا سُفْيَانَ آخِذٌ بِلِجَامِهَا، وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ ".
Narrated Abu 'Is-haq:
Somebody asked Al-Bar-a bin `Azib, "Did you flee deserting Allah's Messenger (ﷺ) during the battle of Hunain?" Al-Bara replied, "But Allah's Messenger (ﷺ) did not flee. The people of the Tribe of Hawazin were good archers. When we met them, we attacked them, and they fled. When the Muslims started collecting the war booty, the pagans faced us with arrows, but Allah's Messenger (ﷺ) did not flee. No doubt, I saw him on his white mule and Abu Sufyan was holding its reins and the Prophet (ﷺ) was saying, 'I am the Prophet (ﷺ) in truth: I am the son of `Abdul Muttalib.' "
পরিচ্ছেদঃ ১৯০৮. তীর নিক্ষেপ কালে যে বলেছে, এটা লও (পালিও না) আমি অমুকের পুত্র। আর সালামা (ইবন আকওয়া (রাঃ) তীর নিক্ষেপকালে) বলেছেন, এটা লও (পালিও না) আমি আকওয়ার পুত্র
২৮২৮। উবাইদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি বারা ইবনু আযিব (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করল এবং বলল, হে আবূ উমারাহ! আপনারা কি হুনায়নের যুদ্ধে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিলেন? বারা (রাঃ) বললেন, (আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেন), আর আমি তা শুনেছিলাম, সেদিন তো রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেননি। আবূ সফিয়ান ইবনু হারিস (রাঃ) তাঁর খচ্চরের লাগাম ধরেছিলেন। যখন মুশরিকগণ তাঁকে ঘিরে ফেলল, তখন তিনি অবতরণ করলেন এবং বলতে লাগলেন, আমি আল্লাহর নবী, মিথ্যা নয়। আমি আবদুল মুত্তালিবের সন্তান। তিনি (বারা) (রাঃ) বলেন, সেদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অপেক্ষা সুদৃঢ় আর কাউকে দেখা যায়নি।
باب مَنْ قَالَ خُذْهَا وَأَنَا ابْنُ فُلاَنٍ وَقَالَ سَلَمَةُ خُذْهَا وَأَنَا ابْنُ الأَكْوَعِ
حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ فَقَالَ يَا أَبَا عُمَارَةَ، أَوَلَّيْتُمْ يَوْمَ حُنَيْنٍ قَالَ الْبَرَاءُ وَأَنَا أَسْمَعُ أَمَّا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يُوَلِّ يَوْمَئِذٍ، كَانَ أَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ آخِذًا بِعِنَانِ بَغْلَتِهِ، فَلَمَّا غَشِيَهُ الْمُشْرِكُونَ نَزَلَ، فَجَعَلَ يَقُولُ أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ، أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ قَالَ فَمَا رُئِيَ مِنَ النَّاسِ يَوْمَئِذٍ أَشَدُّ مِنْهُ.
Narrated Abu 'Is-haq:
A man asked Al-Bara "O Abu '`Umara! Did you flee on the day (of the battle) of Hunain?" Al-Bara replied while I was listening, "As for Allah's Messenger (ﷺ) he did not flee on that day. Abu Sufyan bin Al- Harith was holding the reins of his mule and when the pagans attacked him, he dismounted and started saying, 'I am the Prophet, and there is no lie about it; I am the son of `Abdul Muttalib.' On that day nobody was seen braver than the Prophet.
পরিচ্ছেদঃ ২০৭৩. নবী করীম (ﷺ) সম্পর্কে বর্ণনা
৩৩০০। আবূ নু’আয়ম (রহঃ) ... আবূ ইসহাক তাবে-ই (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বারা (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর চেহারা মুবারক কি তরবারীর ন্যায় (চকচকে) ছিল? তিনি বলেন, না, বরং চাঁদের মত (স্নিগ্ধ ও মনোরম) ছিল।
باب صِفَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سُئِلَ الْبَرَاءُ أَكَانَ وَجْهُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ السَّيْفِ قَالَ لاَ بَلْ مِثْلَ الْقَمَرِ.
Narrated Abu 'Is-haq:
Al-Bara' was asked, "Was the face of the Prophet (as bright) as a sword?" He said, "No, but (as bright) as a moon."
পরিচ্ছেদঃ ২১৫৪. নাবী (ﷺ) এবং তাঁর সাহাবীদের মদিনায় হিজরাত। নবী (ﷺ) এবং সাহাবীদের মদীনা হিজরত। আবদুল্লাহ ইবনু যায়েদ ও আবূ হুরায়রা (রাঃ) নবী (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, যদি হিজরতের ফযীলত না হত তবে আমি আনসারদেরই একজন হতাম। আবূ মূসা (আঃ) নবী করীম (ﷺ) থেকে বর্ণনা করেন, আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, আমি মক্কা থেকে মদীনা হিজরত করছি এমনস্থানে যেখানে খেজুর বাগান রয়েছে। আমার ধারণা হল যে, তা হবে ইয়ামামা কিংবা হাজর। পরে প্রকাশ পেল যে, তা মদীনা-ইয়াসরিব।
৩৬৩৫। আহমদ ইবনু উসমান (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেন, আমি বারা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) আমার পিতা আযিব (রাঃ) এর নিকট হাওদা খরিদ করলেন। আমি আবূ বকরের সাথে খরীদা হওদাটি বহন করে নিয়ে চললাম। তখন আমার পিতা আযিব (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহিত তাঁর হিজরতের ঘটনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তখন আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমাদের অনুসন্ধান করার জন্য মুশরিকরা লোক নিয়োগ করেছিল। অবশেষে আমরা রাত্রিকালে বেরিয়ে পড়লাম এবং একরাত ও একদিন অবিরাম চলতে থাকলাম। যখন দুপুর হয়ে গেল, তখন একটি বিরাটকায় পাথর নযরে পড়ল। আমরা সেটির কাছে এলাম, পাথরটির কিছু ছায়া পড়ছিল।
আমি সেখানে গিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য আমার সঙ্গের চামড়াখানি বিছিয়ে দিলাম। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর উপর শুয়ে পড়লেন। আমি এদিক-ওদিক পর্যবেক্ষণ করার জন্য বেরিয়ে পড়লাম। হঠাৎ্ এক বকরী রাখালকে দেখতে পেলাম। সে তার বকরীগুলো নিয়ে আসছে। সেও আমাদের মত পাথরের (ছায়ায়) আশ্রয় নিতে চায়। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তুমি কার গোলাম? সে বলল, আমি ওমুকের। আমি তাকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার বকরীর পালে দুধ আছে কি? সে বলল, হাঁ।
আমি বললাম, তুমি কি (আমাদের জন্য) কিছু দোহন করে দিবে? সে বলল, হাঁ। সে তার পাল থেকে একটি বকরী ধরে নিয়ে এল। আমি বললাম, বকরীর স্তন দু’টি ঝেড়ে মুছে সাফ করে নাও। সে একপাত্র ভর্তি দুধ দোহন করল। আমার সাথে একটি পানির পাত্র ছিল। আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্য কাপড় দিয়ে তার মুখ বেধে রেখেছিলাম। আমি তা থেকে দুধের মধ্যে কিছু পানি ঢেলে দিলাম। ফলে পাত্রের তলা পর্যন্ত শীতল হয়ে গেল। আমি তা নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললাম, পান করুন ইয়া রাসূলাল্লাহ! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এতখানি পান করলেন যে, আমি সন্তুষ্ট হলাম। এরপর আমরা রওয়ানা হলাম এবং অনুসন্ধানকারী আমাদের পিছনে ছিল। বারা (রাঃ) বলেন, আমি আবূ বকরের সঙ্গে তাঁর ঘরে প্রবেশ করলাম। তখন দেখলাম তাঁর মেয়ে আয়িশা (রাঃ) বিছানায় শুয়ে আছেন। তাঁর জ্বর হয়েছে। তাঁর পিতা আবূ বকর (রাঃ) কে দেখলাম তিনি মেয়ের গালে চুমু খেলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন, মা তুমি কেমন আছো?
باب هِجْرَةُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابِهِ إِلَى الْمَدِينَةِ وَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَيْدٍ وَأَبُو هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَوْلاَ الْهِجْرَةُ لَكُنْتُ امْرَأً مِنَ الأَنْصَارِ». وَقَالَ أَبُو مُوسَى عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «رَأَيْتُ فِي الْمَنَامِ أَنِّي أُهَاجِرُ مِنْ مَكَّةَ إِلَى أَرْضٍ بِهَا نَخْلٌ، فَذَهَبَ وَهَلِي إِلَى أَنَّهَا الْيَمَامَةُ أَوْ هَجَرُ، فَإِذَا هِيَ الْمَدِينَةُ يَثْرِبُ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ، حَدَّثَنَا شُرَيْحُ بْنُ مَسْلَمَةَ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، يُحَدِّثُ قَالَ ابْتَاعَ أَبُو بَكْرٍ مِنْ عَازِبٍ رَحْلاً فَحَمَلْتُهُ مَعَهُ قَالَ فَسَأَلَهُ عَازِبٌ عَنْ مَسِيرِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ أُخِذَ عَلَيْنَا بِالرَّصَدِ، فَخَرَجْنَا لَيْلاً، فَأَحْثَثْنَا لَيْلَتَنَا وَيَوْمَنَا حَتَّى قَامَ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ، ثُمَّ رُفِعَتْ لَنَا صَخْرَةٌ، فَأَتَيْنَاهَا وَلَهَا شَىْءٌ مِنْ ظِلٍّ قَالَ فَفَرَشْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَرْوَةً مَعِي، ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَيْهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَانْطَلَقْتُ أَنْفُضُ مَا حَوْلَهُ، فَإِذَا أَنَا بِرَاعٍ قَدْ أَقْبَلَ فِي غُنَيْمَةٍ يُرِيدُ مِنَ الصَّخْرَةِ مِثْلَ الَّذِي أَرَدْنَا فَسَأَلْتُهُ لِمَنْ أَنْتَ يَا غُلاَمُ فَقَالَ أَنَا لِفُلاَنٍ. فَقُلْتُ لَهُ هَلْ فِي غَنَمِكَ مِنْ لَبَنٍ قَالَ نَعَمْ. قُلْتُ لَهُ هَلْ أَنْتَ حَالِبٌ قَالَ نَعَمْ. فَأَخَذَ شَاةً مِنْ غَنَمِهِ فَقُلْتُ لَهُ انْفُضِ الضَّرْعَ. قَالَ فَحَلَبَ كُثْبَةً مِنْ لَبَنٍ، وَمَعِي إِدَاوَةٌ مِنْ مَاءٍ عَلَيْهَا خِرْقَةٌ قَدْ رَوَّأْتُهَا لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَصَبَبْتُ عَلَى اللَّبَنِ حَتَّى بَرَدَ أَسْفَلُهُ، ثُمَّ أَتَيْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ اشْرَبْ يَا رَسُولَ اللَّهِ. فَشَرِبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى رَضِيتُ، ثُمَّ ارْتَحَلْنَا وَالطَّلَبُ فِي إِثْرِنَا.
قَالَ الْبَرَاءُ فَدَخَلْتُ مَعَ أَبِي بَكْرٍ عَلَى أَهْلِهِ، فَإِذَا عَائِشَةُ ابْنَتُهُ مُضْطَجِعَةٌ، قَدْ أَصَابَتْهَا حُمَّى، فَرَأَيْتُ أَبَاهَا فَقَبَّلَ خَدَّهَا، وَقَالَ كَيْفَ أَنْتِ يَا بُنَيَّةُ
Narrated Al-Bara:
Abu Bakr bought a (camel's) saddle from `Azib, and I carried it for him. `Azib (i.e. my father) asked Abu Bakr regarding the journey of the migration of Allah's Messenger (ﷺ). Abu Bakr said, "Close observers were appointed by our enemies to watch us. So we went out at night and travelled throughout the night and the following day till it was noon, then we perceived a rock and went towards it, and there was some shade under it. I spread a cloak I had with me for Allah's Messenger (ﷺ) and then the Prophet (ﷺ) layed on it. I went out to guard him and all of a sudden I saw a shepherd coming with his sheep looking for the same, the shade of the rock as we did, I asked him, 'O boy, to whom do you belong?' He replied, 'I belong to so-and-so.' I asked him, 'Is there some milk in your sheep?' He replied in the affirmative. I asked him, 'Will you milk?' He replied in the affirmative. Then he got hold of one of his sheep. I said to him, 'Remove the dust from its udder.' Then he milked a little milk. I had a water-skin with me which was tied with a piece of cloth. I had prepared the water-skin for Allah's Messenger (ﷺ) . So I poured some water over the milk (container) till its bottom became cold. Then I brought the milk to the Prophet and said, 'Drink, O Allah's Messenger (ﷺ).' Allah's Messenger (ﷺ) drank till I became pleased. Then we departed and the pursuers were following us."
Al-Bara added:
I then went with Abu Bakr into his home (carrying that saddle) and there I saw his daughter `Aisha Lying in a bed because of heavy fever and I saw her father Abu Bakr kissing her cheek and saying, "How are you, little daughter?"
পরিচ্ছেদঃ ২১৬৩. উশায়রা বা উসায়রার যুদ্ধ। ইবন ইসহাক (রহঃ) বলেন, নবী (ﷺ) প্রথমতঃ আবওয়ার যুদ্ধ করেন, তারপর তিনি বুওয়াত তারপর উশায়রার যুদ্ধ করেন
৩৬৬৪। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যায়েদ ইবনু আরকামের পাশে ছিলাম। তখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কয়টি যুদ্ধ করেছেন? তিনি বললেন, উনিশটি। পুনরায় জিজ্ঞাসা করা হল আপনি তাঁর সাথে কতটি যুদ্ধে শরীক ছিলেন? তিনি বললেন, সতেরটি। (আবূ ইসহাক বলেন) আমি বললাম, এসব যুদ্ধের মধ্যে সর্বপ্রথম সংঘটিত হয়েছিল কোনটি? তিনি বললেন, ’উশায়রা বা ’উশায়রা। (বর্ণনাকারী বলেন) বিষয়টি আমি কাতাদা (রহঃ)-এর কাছে আলোচনা করলে তিনিও বললেন, ’উশায়রা (এর যুদ্ধই সর্বপ্রথম সংঘটিত হয়েছিল)।
باب غَزْوَةِ الْعُشَيْرَةِ أَوِ الْعُسَيْرَةِ قَالَ ابْنُ إِسْحَاقَ أَوَّلُ مَا غَزَا النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَبْوَاءَ، ثُمَّ بُوَاطَ، ثُمَّ الْعُشَيْرَةَ
حَدَّثَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا وَهْبٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، كُنْتُ إِلَى جَنْبِ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، فَقِيلَ لَهُ كَمْ غَزَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِنْ غَزْوَةٍ قَالَ تِسْعَ عَشْرَةَ. قِيلَ كَمْ غَزَوْتَ أَنْتَ مَعَهُ قَالَ سَبْعَ عَشْرَةَ. قُلْتُ فَأَيُّهُمْ كَانَتْ أَوَّلَ قَالَ الْعُسَيْرَةُ أَوِ الْعُشَيْرُ. فَذَكَرْتُ لِقَتَادَةَ فَقَالَ الْعُشَيْرُ.
Narrated Abu 'Is-haq:
Once, while I was sitting beside Zaid bin Al-Arqam, he was asked, "How many Ghazwat did the Prophet undertake?" Zaid replied, "Nineteen." They said, "In how many Ghazwat did you join him?" He replied, "Seventeen." I asked, "Which of these was the first?" He replied, "Al-`Ashira or Al- `Ashiru."
পরিচ্ছেদঃ ২১৭০. আবূ জাহলের নিহত হওয়ার ঘটনা
৩৬৮৪। আহ্মদ ইবনু সা’ঈদ আবূ ’আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, আমি শুনলাম, এক ব্যাক্তি বারা’ (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করল, ’আলী (রাঃ) কি বদর যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেছিল? তিনি বললেন, আলী তো নিঃসন্দেহে মুকাবিলায় অংশ গ্রহণ করেছিলেন এবং দুইটি লৌহ পোশাক পরিধান করেছিলেন।
باب قَتْلِ أَبِي جَهْلٍ
حَدَّثَنِي أَحْمَدُ بْنُ سَعِيدٍ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يُوسُفَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَأَلَ رَجُلٌ الْبَرَاءَ وَأَنَا أَسْمَعُ، قَالَ أَشَهِدَ عَلِيٌّ بَدْرًا قَالَ بَارَزَ وَظَاهَرَ.
Narrated Abu 'Is-haq:
A man asked Al-Bara' and I was listening, "Did `Ali take part in (the battle of) Badr?" Al-Bara' said, "(Yes). he even met (his enemies) in a duel and was clad in two armors (one over the other).
পরিচ্ছেদঃ ২১৯৯. হুদায়বিয়ার যুদ্ধ। মহান আল্লাহ্র বাণীঃ মু’মিনগণ যখন গাছের নিচে আপনার নিকট বায়াত গ্রহণ করল তখন আল্লাহ তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন...... (৪৮:১৮)
৩৮৪৫। ফাজল ইবনু ইয়াকূব (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে বারা ইবনু আযিব (রাঃ) সংবাদ দিয়েছেন যে, হুদায়বিয়ার যুদ্ধের দিন তাঁরা চৌদ্দশ কিংবা তার চেয়ে অধিক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। তখন তারা একটি কূপের পার্শ্বে অবতরণ করেন এবং তা থেকে পানি উত্তোলন করতে থাকেন। (এতে সব পানি নিঃশেষ হয়ে যায়) তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে এ সংবাদ জানালেন। তখন তিনি কূপটির কাছে এসে এর পাড়ে বসলেন। এরপর বললেন, আমার কাছে এই কূপের এক বালতি পানি নিয়ে আস। তখন তা নিয়ে দেয়া হল। তিনি এতে থুথু ফেললেন এবং দোয়া করলেন। এরপর তিনি বললেন, এ থেকে কিছুক্ষণের জন্য তোমরা পানি উঠানো বন্ধ রাখো। এরপর সকলেই নিজেদের ও আরোহী জীবসমূহের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি সংগ্রহ করলেন এবং পরে চলে গেলেন।
باب غَزْوَةِ الْحُدَيْبِيَةِ وَقَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ
حَدَّثَنِي فَضْلُ بْنُ يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ أَعْيَنَ أَبُو عَلِيٍّ الْحَرَّانِيُّ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ أَنْبَأَنَا الْبَرَاءُ بْنُ عَازِبٍ ـ رضى الله عنهما أَنَّهُمْ كَانُوا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ الْحُدَيْبِيَةِ أَلْفًا وَأَرْبَعَمِائَةٍ أَوْ أَكْثَرَ، فَنَزَلُوا عَلَى بِئْرٍ فَنَزَحُوهَا، فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَى الْبِئْرَ، وَقَعَدَ عَلَى شَفِيرِهَا ثُمَّ قَالَ " ائْتُونِي بِدَلْوٍ مِنْ مَائِهَا ". فَأُتِيَ بِهِ فَبَصَقَ فَدَعَا ثُمَّ قَالَ " دَعُوهَا سَاعَةً ". فَأَرْوَوْا أَنْفُسَهُمْ وَرِكَابَهُمْ حَتَّى ارْتَحَلُوا.
Narrated Al-Bara bin Azib:
That they were in the company of Allah's Messenger (ﷺ) on the day of Al-Hudaibiya and their number was 1400 or more. They camped at a well and drew its water till it was dried. When they informed Allah's Apostle of that, he came and sat over its edge and said, "Bring me a bucket of its water." When it was brought, he spat and invoked (Allah) and said, "Leave it for a while." Then they quenched their thirst and watered their riding animals (from that well) till they departed.
পরিচ্ছেদঃ ২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলিমদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিল। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবাহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)
৩৯৮১। মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন, আমি বারা ইবনু আযিব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, এক ব্যাক্তি এসে তাকে জিজ্ঞাসা করলো, হে আবূ উমর! হুনাইনের যুদ্ধের দিন আপনি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেছিলেন কি? তখন তিনি বলেন যে, আমি তো নিজেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেননি। তবে মুজাহিদদের অগ্রবর্তী যোদ্ধাগণ (গনীমত কুড়ানোর কাজে) তাড়াহুড়া করলে হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা তাঁদের প্রতি তীর নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় আবূ সুফিয়ান ইবনুল হারিস (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাদা খচ্চরটির মাথা ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। আর রাসুলু্ল্লাহ্ তখন বলছিলেন, আমি যে আল্লাহর নবী তাতে কোন মিথ্যা নেই, আমি তো (কুরাইশ নেতা) মুত্তালিবের সন্তান।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ} إِلَى قَوْلِهِ: {غَفُورٌ رَحِيمٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ، رضى الله عنه وَجَاءَهُ رَجُلٌ فَقَالَ يَا أَبَا عُمَارَةَ أَتَوَلَّيْتَ يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ أَمَّا أَنَا فَأَشْهَدُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ لَمْ يُوَلِّ، وَلَكِنْ عَجِلَ سَرَعَانُ الْقَوْمِ، فَرَشَقَتْهُمْ هَوَازِنُ، وَأَبُو سُفْيَانَ بْنُ الْحَارِثِ آخِذٌ بِرَأْسِ بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ يَقُولُ (أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ، أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ).
Narrated Abu 'Is-haq:
I heard Al-Bara' narrating when a man came and said to him, "O Abu '`Umara! Did you flee on the day (of the battle) of Hunain?" Al-Bara' replied, "I testify that the Prophet (ﷺ) did not flee, but the hasty people hurried away and the people of Hawazin threw arrows at them. At that time, Abu Sufyan bin Al-Harith was holding the white mule of the Prophet (ﷺ) by the head, and the Prophet (ﷺ) was saying, "I am the Prophet (ﷺ) undoubtedly: I am the son of `Abdul-Muttalib."
পরিচ্ছেদঃ ২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলিমদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিল। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবাহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)
৩৯৮২। আবূল ওয়ালীদ (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, আমি শুনলাম যে, বারা ইবনু আযিব (রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল, হুনাইন যুদ্ধের দিন আপনারা কি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছিলেন? তিনি বললেন, কিন্তু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃষ্ঠপ্রদর্শন করেন নি। তবে তারা (হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা) ছিল দক্ষ তীরন্দাজ, [এ কারণে তারা তীর বর্ষণ আরম্ভ করলে সবাইকে পেছনে হটে যেতে হয়েছে তবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পেছনে হটেননি]। তিনি (অটলভাবে দাঁড়িয়ে) বলছিলেন, আমি যে আল্লাহর নবী এতে কোন মিথ্যা নেই। আমি (তো কুরাইশ নেতা) আবদুল মুত্তালিবের সন্তান।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ} إِلَى قَوْلِهِ: {غَفُورٌ رَحِيمٌ
حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قِيلَ لِلْبَرَاءِ وَأَنَا أَسْمَعُ، أَوَلَّيْتُمْ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ أَمَّا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَلاَ، كَانُوا رُمَاةً فَقَالَ " أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ أَنَا ابْنُ عَبْدِ الْمُطَّلِبْ ".
Narrated Abu 'Is-haq:
Al-Bara' was asked while I was listening, "Did you flee (before the enemy) along with the Prophet (ﷺ) on the day of (the battle of) Hunain?" He replied, "As for the Prophet, he did not (flee). The enemy were good archers and the Prophet (ﷺ) was saying, "I am the Prophet (ﷺ) undoubtedly; I am the son of `Abdul Muttalib."
পরিচ্ছেদঃ ২২১৮. মহান আল্লাহর বাণীঃ এবং হুনায়নের যুদ্ধের দিন যখন তোমাদেরকে (মুসলিমদিগকে) উৎফুল্ল করেছিল তোমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, কিন্তু তা তোমাদের কোন কাজে আসেনি এবং বিস্তৃত হওয়া সত্ত্বেও পৃথিবী তোমাদের জন্য সংকুচিত হয়ে গিয়েছিল শেষে তোমরা পৃষ্ঠ-প্রদর্শন করে পলায়ন করেছিল। এরপর আল্লাহ তার কাছ থেকে তার রাসুল ও মু’মিনের উপর প্রশান্তি বর্ষণ করেন এবং (তাদের সাহায্যার্থে) এমন এক সৈন্যবাহিনী নাযিল করেন যাদেরকে তোমরা দেখতে পাওনি এবং তিনি তাদের দ্বারা কাফেরদিগকে শাস্তি প্রদান করেছেন। এটাই কাফিরদের কর্মফল। এরপরও (মু’মিনদের মধ্যে) যার প্রতি তিনি ইচ্ছা করবেন তার ক্ষেত্রে তিনি ক্ষমাপরায়ণও হতে পারেন। আল্লাহ অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু (৯ঃ ২৫-২৭)
৩৯৮৩। মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বারআ (রাঃ) কে বলতে শুনেছেন যে, তাঁকে কায়স গোত্রের জনৈক ব্যাক্তি জিজ্ঞেস করেছিল যে, হুনায়ন যুদ্ধের দিন আপনারা কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছ থেকে পালিয়েছিলেন? তখন তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিন্তু যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালান নি। তবে হাওয়াযিন গোত্রের লোকেরা ছিল সুদক্ষ তীরন্দাজ। আমরা যখন তাদের উপর আক্রমণ চালালাম তখন তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালাতে আরম্ভ করে। আমরা গনীমত তুলতে শুরু করলাম ঠিক সেই মুহূর্তে আমরা (অতর্কিতভাবে) তাদের তীরন্দাজ বাহিনীর হাতে আক্রান্ত হলাম। তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে তাঁর সাদা রংয়ের খচ্চরটির পিঠে আরোহণ অবস্থায় দেখেছি। আর আবূ সুফিয়ান (রাঃ) তাঁর খচ্চরের লাগাম ধরেছিলেন, তিনি বলছিলেন, আমি আল্লাহর নবী এতে কোন মিথ্যা নেই। বর্ণনাকারী ইসরাঈল এবং যুহাইর (রহঃ) বলেছেন যে, তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর খচ্চরটির (পিঠ থেকে) নীচে আবতরণ করেছিলেন।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَيَوْمَ حُنَيْنٍ إِذْ أَعْجَبَتْكُمْ كَثْرَتُكُمْ فَلَمْ تُغْنِ عَنْكُمْ شَيْئًا وَضَاقَتْ عَلَيْكُمُ الأَرْضُ بِمَا رَحُبَتْ ثُمَّ وَلَّيْتُمْ مُدْبِرِينَ ثُمَّ أَنْزَلَ اللَّهُ سَكِينَتَهُ} إِلَى قَوْلِهِ: {غَفُورٌ رَحِيمٌ
حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعَ الْبَرَاءَ ـ وَسَأَلَهُ رَجُلٌ مِنْ قَيْسٍ ـ أَفَرَرْتُمْ عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ حُنَيْنٍ فَقَالَ لَكِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَفِرَّ، كَانَتْ هَوَازِنُ رُمَاةً، وَإِنَّا لَمَّا حَمَلْنَا عَلَيْهِمِ انْكَشَفُوا، فَأَكْبَبْنَا عَلَى الْغَنَائِمِ، فَاسْتُقْبِلْنَا بِالسِّهَامِ، وَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى بَغْلَتِهِ الْبَيْضَاءِ، وَإِنَّ أَبَا سُفْيَانَ آخِذٌ بِزِمَامِهَا وَهْوَ يَقُولُ (أَنَا النَّبِيُّ لاَ كَذِبْ). قَالَ إِسْرَائِيلُ وَزُهَيْرٌ نَزَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ بَغْلَتِهِ.
Narrated Abu 'Is-haq:
That he heard Al-Bara narrating when a man from Qais (tribe) asked him "Did you flee leaving Allah's Messenger (ﷺ) on the day (of the battle) of Hunain?" Al-Bara' replied, "But Allah's Messenger (ﷺ) did not flee. The people of Hawazin were good archers, and when we attacked them, they fled. But rushing towards the booty, we were confronted by the arrows (of the enemy). I saw the Prophet (ﷺ) riding his white mule while Abu Sufyan was holding its reins, and the Prophet (ﷺ) was saying "I am the Prophet (ﷺ) undoubtedly." (Israil and Zuhair said, "The Prophet (ﷺ) dismounted from his Mule.")
পরিচ্ছেদঃ ২২৫৩. নবী (সাঃ) কতটি যুদ্ধ করেছেন
৪১১৯। আবদুল্লাহ ইবনু রাজা (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কতটি যুদ্ধ করেছেন? তিনি বলেন, সতেরটি। আমি বললাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কতটি যুদ্ধ করেছেন? তিনি বললেন, উনিশটি।
باب كَمْ غَزَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ ـ رضى الله عنه ـ كَمْ غَزَوْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَبْعَ عَشْرَةَ. قُلْتُ كَمْ غَزَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تِسْعَ عَشْرَةَ.
Narrated Abu 'Is-haq:
I asked Zaid bin Al-Arqam, "In how many Ghazawat did you take part in the company of Allah's Apostle?" He replied, "Seventeen." I further asked, "How many Ghazawat did the Prophet (ﷺ) fight?" He replied, "Nineteen."
পরিচ্ছেদঃ ২৩৫৩. আল্লাহর বাণীঃ লোকে তোমার নিকট ব্যবস্থা জানতে চায়। বল, পিতা-মাতাহীন নিঃসন্তান ব্যক্তি সম্বন্ধে তোমাদেরকে আল্লাহ ব্যবস্থা জানাচ্ছেন – কোন পুরুষ মারা গেলে সে যদি সন্তানহীন হয় এবং তার এক ভগ্নি থাকে তবে তার জন্য পরিত্যাক্ত সম্পত্তির অর্ধাংশ, এবং সে যদি সন্তানহীনা হয় তবে তার ভাই তার উত্তরাধিকারী হবে (৪ঃ ১৭৬) كَلَالَةِ যার পিতা কিংবা পুত্র উত্তরাধিকারী না থাকে مُكَلَّةُ النَّسَبِ বাক্য থেকে এটা ক্রিয়াপদ।
৪২৫০। সুলায়মান ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। আমি ’বারা (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সর্বশেষ অবতীর্ন সূরা হচ্ছে ’’বারাআ’ত’’ এবং সর্বশেষ অবতীর্ন আয়াত হচ্ছে- يَسْتَفْتُونَكَ قل الله يفتيكم فى الكلالة
باب يستفتونك قل الله يفتيكم في الكلالة إن امرؤ هلك ليس له ولد وله أخت فلها نصف ما ترك وهو يرثها إن لم يكن لها ولد والكلالة من لم يرثه أب أو ابن وهو مصدر من تكلله النسب
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، سَمِعْتُ الْبَرَاءَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ آخِرُ سُورَةٍ نَزَلَتْ بَرَاءَةَ، وَآخِرُ آيَةٍ نَزَلَتْ (يَسْتَفْتُونَكَ )
Narrated Al-Bara:
The last Sura that was revealed was Bara'a, and the last Verse that was revealed was: "They ask you for a legal verdict, Say: Allah's directs (thus) about those who leave no descendants or ascendants as heirs." (4.176)
পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্র বাণীঃ "উন্মুলিত খেজুর কান্ডের ন্যায়, কী কঠোর ছিল আমার শাস্তি ও সতর্কবাণী" (৫৪ঃ ২০-২১)
৪৫১১। আবূ নু’আঈম (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি এক ব্যাক্তি আল-আসওয়াদ (রহঃ) এর নিকট জিজ্ঞেস করেছেন যে, আয়াতের মধ্যে فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ নাকি مُذَّكِرٍ? তিনি বললেন, “আমি আবদুল্লাহকে আয়াতখানা فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ পড়তে শুনেছি। তিনি বলেছেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে আয়াতখানা ’দাল’ দিয়ে পড়তে শুনেছি”।
باب أعجاز نخل منقعر فكيف كان عذابي ونذر
حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ رَجُلاً، سَأَلَ الأَسْوَدَ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ أَوْ مُذَّكِرٍ فَقَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ يَقْرَؤُهَا (فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ) قَالَ وَسَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَؤُهَا (فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ) دَالاً.
Narrated Abu 'Is-haq:
A man asked Al-Aswad, 'is it 'Fahal min-Muddakir' or'..Mudhdhakir?" Al Aswad replied, 'I have heard `Abdullah bin Masud reciting it, 'Fahal-min Muddakir'; I too, heard the Prophet (ﷺ) reciting it 'Fahal-min-Muddakir' with 'd'.
পরিচ্ছেদঃ ১৬. কিরা’আত সম্পর্কিত বিষয়াবলী
১৭৮৭। আহমাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইউনুস (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি দেখলাম এক ব্যাক্তি আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) এর কাছে প্রশ্ন করছে। তিনি তখন মসজিদে কুরআনের শিক্ষা দিচ্ছিলেন। লোকটি বলল, فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ আয়াতটি কি ভাবে পাঠ করেনمُدَّكِرٍ শব্দে দাল দিয়ে না যাল দিয়ে? আসওয়াদ (রহঃ) বললেন,مُدَّكِرٍ দাল দিয়ে। আমি আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কেمُدَّكِرٍ "দাল" সহকারে বলতে শুনেছি
باب مَا يَتَعَلَّقُ بِالْقِرَاءَاتِ
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يُونُسَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ رَأَيْتُ رَجُلاً سَأَلَ الأَسْوَدَ بْنَ يَزِيدَ وَهُوَ يُعَلِّمُ الْقُرْآنَ فِي الْمَسْجِدِ فَقَالَ كَيْفَ تَقْرَأُ هَذِهِ الآيَةَ فَهَلْ مِنْ مُدَّكِرٍ أَدَالاً أَمْ ذَالاً قَالَ بَلْ دَالاً سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مُدَّكِرٍ " . دَالاً .
Abu Ishaq reported:
I saw a man asking Aswad b. Yazid who taught the Qur'an in the mosque: How do you recite the verse (fahal min muddakir) whether (the word muddakir) Is with (d) or (dh)? He (Aswad) said: It was with (d). I heard Abdullah b. Mas'ud saying that he had heard the Messenger of Allah (ﷺ) reciting (muddakir) with (d).
পরিচ্ছেদঃ ৩১. নবী (ﷺ) এর উমরার সংখ্যা ও সময়
২৯০৫। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে থেকে কয়বার যুদ্ধ করেছেন? তিনি বললেন, সতেরবার। রাবী বলেন, সায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) আমাকে আরও বলেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঊনিশবার যুদ্ধ করেছেন এবং তিনি হিজরত করার পর একবার হাজ্জ (হজ্জ) করেছেন, তা হল বিদায় হাজ্জ (হজ্জ)। আবূ ইসহাক আরও বলেন, তিনি মক্কা থেকেও একবার হাজ্জ (হজ্জ) করেছেন।
باب بَيَانِ عَدَدِ عُمَرِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَزَمَانِهِنَّ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَأَلْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ كَمْ غَزَوْتَ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ سَبْعَ عَشْرَةَ . قَالَ وَحَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً حَجَّةَ الْوَدَاعِ . قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ وَبِمَكَّةَ أُخْرَى .
Abu lshaq said:
I asked Zaid b. Arqam: In how many military expeditions have you participated with Allah's Messenger (ﷺ)? He said: In seventeen (expeditions). He (Abu Ishaq) said: Zaid b. Arqam reported to me that Allah's Messenger (ﷺ) had led nineteen expeditions. And he performed Hajj only once after Migration, and that was the Farewell Pilgrimage. Abu Ishaq also said: The second (Hajj) he performed at Mecca (before his Migration to Medina)
পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই
৩৫৭৬। মুহাম্মদ ইবনু আমর ইবনু জাবালা (রহঃ) আবু আহমাদ থেকে তিনি আম্মার ইবন রুয়ায়ক থেকে এবং তিনি ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি আসওয়াদ ইবনু ইয়াযীদের সঙ্গে সেখানকার বড় মসজিদে বসা ছিলম। শা’বী ও আমাদের সঙ্গে ছিলেন। তিনি ফাতিমা বিনত কায়স বর্ণিত হাদীস প্রসঙ্গে বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষের সিদ্ধান্ত দেননি। তখন আসওয়াদ তার হাতে এক মুঠো কংকর নিয়ে শাবীর দিকে নিক্ষেপ করলেন। এরপর বললেন, সর্বনাশ! তুমি এমন ধরনের হাদীস বর্ণনা করছ? (অথচ) উমর (রাঃ) বলেছেন, আমরা আল্লাহর কিতাব এবং আমাদের নবীর সুন্নাত এমন একজন মহিলার উক্তির কারণে ছেড়ে দিতে পারি না। আমরা জানি না, সে স্মরণ রাখতে পেরেছে না ভুলে গেছে। আল্লাহ তাআলা বলেছেনঃ “তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ থেকে বহিস্কার করে দিয়ো না এবং তারাও যেন ঘর থেকে বের না হয়। তবে তারা স্পষ্ট কোন অশ্লীলতায় লিপ্ত হলে ভিন্ন কথা।” (সূরা তালাকঃ ১)।
باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا
وَحَدَّثَنَاهُ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ جَبَلَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ الأَعْظَمِ وَمَعَنَا الشَّعْبِيُّ فَحَدَّثَ الشَّعْبِيُّ بِحَدِيثِ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَمْ يَجْعَلْ لَهَا سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةً ثُمَّ أَخَذَ الأَسْوَدُ كَفًّا مِنْ حَصًى فَحَصَبَهُ بِهِ . فَقَالَ وَيْلَكَ تُحَدِّثُ بِمِثْلِ هَذَا قَالَ عُمَرُ لاَ نَتْرُكُ كِتَابَ اللَّهِ وَسُنَّةَ نَبِيِّنَا صلى الله عليه وسلم لِقَوْلِ امْرَأَةٍ لاَ نَدْرِي لَعَلَّهَا حَفِظَتْ أَوْ نَسِيَتْ لَهَا السُّكْنَى وَالنَّفَقَةُ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ( لاَ تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلاَ يَخْرُجْنَ إِلاَّ أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ) .
Abu Ishaq reported:
I was with al-Aswad b. Yazid sitting in the great mosque, and there was with us al-Sha'bi, and he narrated the narration of Fatima bint Qais (Allah be pleased with her) that Allah's Messenger (ﷺ) did not make any provision for lodging and maintenance allowance for her. Al-Aswad caught hold of some pebbles in his fist and he threw them towards him saying: Woe be to thee, you narrate like it, whereas Umar said: We cannot abandon the Book of Allah and the Sunnah of our Apostle (ﷺ) for the words of a woman. We do not know whether she remembers that or she forgets. For her, there is a provision of lodging and maintenance allowance. Allah, the Exalted and Majestic, said:" Turn them not from their houses nor should they themselves go forth unless they commit an open indecency" (lxv. 1).
পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই
৩৫৭৭। আহমাদ ইবনু আবদা যাব্বি (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে উক্ত সনদে আবূ আহমাদ আম্মার ইবনু রুযায়ক সূত্রে বর্ণিত হাদীসের সে ঘটনা বর্ণনা করেছেন।
باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا
وَحَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ مُعَاذٍ، عَنْ أَبِي، إِسْحَاقَ بِهَذَا الإِسْنَادِ نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي أَحْمَدَ عَنْ عَمَّارِ بْنِ رُزَيْقٍ، بِقِصَّتِهِ .
A hadith like this has been narrated on the authority of Ishaq with the same chain of transmitters.
পরিচ্ছেদঃ ৩. কালালা সম্পর্কিত আয়াতই সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াত
৪০০৮। মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... আবূ ইসহাক (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ, আমি বারা’ ইবনু আযিব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, সর্বশেষ নাযিলকৃত আয়াত কালালার আয়াত এবং সর্বশেষ নাযিলকৃত সূরা বারাআত (তাওবা)।
باب آخِرِ آيَةٍ أُنْزِلَتْ آيَةُ الْكَلاَلَةِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ بْنَ عَازِبٍ، يَقُولُ آخِرُ آيَةٍ أُنْزِلَتْ آيَةُ الْكَلاَلَةِ وَآخِرُ سُورَةٍ أُنْزِلَتْ بَرَاءَةُ .
Abu Ishaq said that he heard al-Bara' b. 'Azib (Allah be pleased with him say:
The last verse revealed (in the Holy Quran) is that pertaining to Kalala, and the last sura revealed is Sura al-Bara'at.