পরিচ্ছেদঃ ১. তৃতীয় প্রকার শর্তাবলী কৃষিতে বর্গা ও চুক্তি ইত্যাদি
৩৮৬১. মুহাম্মদ ইবন হাতিম (রহঃ) ... হাম্মাদ ইবন আবু সুলায়মান (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, একদা তাকে এমন ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল, যে খাদ্যের বিনিময়ে শ্রমিক নিয়োগ করে। তিনি বললেন, তার মজুরীর পরিমাণ তাকে না জানিয়ে এরূপ করবে না।
الثَّالِثُ مِنْ الشُّرُوطِ فِيهِ الْمُزَارَعَةُ وَالْوَثَائِقُ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حَاتِمٍ قَالَ أَنْبَأَنَا حِبَّانُ قَالَ أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ عَنْ جَرِيرِ بْنِ حَازِمٍ عَنْ حَمَّادٍ هُوَ ابْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ رَجُلٍ اسْتَأْجَرَ أَجِيرًا عَلَى طَعَامِهِ قَالَ لَا حَتَّى تُعْلِمَهُ
It was narrated from Hammad -Ibn Abi Sulaiman- that he was asked about a man who hired a worker in return for food and he said:
"No, not until he tells him (what his wages will be)."
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৭. হাম্মাদ আল কুফী থেকে বর্ণিত, এক মহিলা ইবরাহীমকে জিজ্ঞেস করল। সে বললো, আমি ইসতিহাযায় আক্রান্ত। তখন তিনি বললেন: তোমার উপর পানি ব্যবহার ওয়াজিব। তুমি পানি ছিটিয়ে দেবে। ফলে পানি তোমার (শরীর) থেকে রক্ত মুছে দেবে।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি। -অনুবাদক)
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ حَمَّادٍ الْكُوفِيِّ أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتْ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَتْ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَقَالَ عَلَيْكِ بِالْمَاءِ فَانْضَحِيهِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ الدَّمَ عَنْكِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৫৪.[1] এবং হাম্মাদ রাহি. বলেন, যদি ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা (ইসতিহাযার হুকুম) না জানার কারণে কয়েক মাস যাবত সালাত পরিত্যাগ করে, তবে সে এ সালাতসমূহের কাযা আদায় করবে। তাকে জিজ্ঞেস করা হলো, সে কিভাবে এগুলোর কাযা আদায় করবে? তিনি জবাবে বললেন, যদি সম্ভব হয় তবে, সে এগুলো একদিনের মধ্যেই আদায় করে নেবে।[2] আব্দুল্লাহকে বলা হলো: আপনিও কি তাই বলেন? তিনি বললেন, অবশ্যই, আল্লাহর কসম।
[2] তাহক্বীক্ব: এ হাদীসের সনদ সহীহ। আর পূর্বের হাদীসের সনদই এর সনদ।
তাখরীজ: আমি এটি অন্য কোথাও পাইনি।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
وَقَالَ حَمَّادٌ لَوْ أَنَّ مُسْتَحَاضَةً جَهِلَتْ فَتَرَكَتْ الصَّلَاةَ أَشْهُرًا فَإِنَّهَا تَقْضِي تِلْكَ الصَّلَوَاتِ قِيلَ لَهُ وَكَيْفَ تَقْضِيهَا قَالَ تَقْضِيهَا فِي يَوْمٍ وَاحِدٍ إِنْ اسْتَطَاعَتْ قِيلَ لِعَبْدِ اللَّهِ تَقُولُ بِهِ قَالَ إِي وَاللَّهِ
পরিচ্ছেদঃ ১০২. হায়িয (অতিক্রান্ত) হলে মহিলারা সিয়াম কাযা আদায় করবে কিন্তু সালাতের কাযা আদায় করবে না
১০১০. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, হায়িযগ্রস্ত মহিলা ও ’জুনুবী’ মহিলা যদি সিজদা শুনতে পায় (সাজদাতুত তিলাওয়াত), তবে জুনুবী মহিলা গোসল করবে এবং সাজদা আদায় করবে, কিন্তু হায়িযগ্রস্ত মহিলা এ সাজদার কাযা আদায় করবে না। কেননা, (এ অবস্থায়) সে সালাতই আদায় করে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/৩৪০; আব্দুর রাযযাক ১২৩২ সহীহ সনদে। দেখুন, পরবর্তী সনদটি।
بَابٌ فِي الْحَائِضِ تَقْضِي الصَّوْمَ وَلَا تَقْضِي الصَّلَاةَ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ إِذَا سَمِعَ الْحَائِضُ وَالْجُنُبُ السَّجْدَةَ يَغْتَسِلُ الْجُنُبُ وَيَسْجُدُ وَلَا تَقْضِي الْحَائِضُ لِأَنَّهَا لَا تُصَلِّي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৩. হায়িযগ্রস্ত মহিলা আল্লাহর যিকির করবে কিন্তু কুরআন পাঠ করবে না
১০২৭. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, চারটি অবস্থায় কুরআন পাঠ করবে না। ১. পায়খানায় ২. গোসলখানায় অবস্থানকালে ৩. ’জুনুবী’ অবস্থায় এবং ৪. হায়িযগ্রস্ত অবস্থায়। তবে জুনুবী ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্ত মহিলা এক আয়াত ও এর অনুরূপ পরিমাণ পাঠ করতে পারবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১১৪ তবে সেখানে ‘গোসলখানায়’ এর পরিবর্তে ‘স্ত্রী সহবাসরত অবস্থায়’ আছে।
بَابُ الْحَائِضِ تَذْكُرُ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ وَلَا تَقْرَأُ الْقُرْآنَ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ أَرْبَعَةٌ لَا يَقْرَءُونَ الْقُرْآنَ عِنْدَ الْخَلَاءِ وَفِي الْحَمَّامِ وَالْجُنُبُ وَالْحَائِضُ إِلَّا الْآيَةَ وَنَحْوَهَا لِلْجُنُبِ وَالْحَائِضِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৪. হাযিযগ্রস্ত মহিলা সাজদা শুনতে পেলেও সিজদা করবে না
১০৩৭. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম ও সাঈদ ইবনু জুবাইর রাহি. উভয়ে বলেন, তার (হায়িযগ্রস্ত মহিলার) ও উপর এটি (সাজদা) ওয়াজিব নয়। অথচ সালাত তো এর চেয়েও অধিক গুরুত্বপূর্ণ।[1] (সেই সালাতই জন্য জায়েয নয়।)
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ২/১৩।
بَابَ: الْحَائِضِ تَسْمَعُ السَّجْدةَ فَلَا تَسْجُدُ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ حُمَيْدٍ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ عَنْ حَجَّاجٍ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ وَسَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ قَالَا لَيْسَ عَلَيْهَا ذَاكَ الصَّلَاةُ أَكْبَرُ مِنْ ذَلِكَ
إسناده ضعيف فيه حجاج وهو: ابن أرطاة وهو ضعيف
পরিচ্ছেদঃ ১০৫. হাযিযগ্রস্ত মহিলা তার পরিধেয় কাপড় পবিত্র করে সেই কাপড়েই সালাত আদায় করতে পারবে
১০৪৮. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, কোনো মহিলা হায়েযগ্রস্ত অবস্থায় যে কাপড় পরিধান করে, যদি তাতে রক্ত লাগে, তবে সে তা ধুয়ে নেবে। আর তা না হলে তার জন্য তা ধোয়া বাধ্যতামূলক নয়। আর যদি সেই কাপড়ে সে ঘামে ভিজে যায়, তবে তাতে পানি ছিটিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট হবে।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/৯৫।
بَابُ الْمَرْأَةِ الْحَائِضِ تُصَلِّي فِي ثَوْبِهَا إِذَا طَهُرَتْ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِيمَا تَلْبَسُ الْمَرْأَةُ مِنْ الثِّيَابِ وَهِيَ حَائِضٌ إِنْ أَصَابَهُ دَمٌ غَسَلَتْهُ وَإِلَّا فَلَيْسَ عَلَيْهَا غَسْلُهُ وَإِنْ عَرِقَتْ فِيهِ فَإِنَّهُ يُجْزِئُهَا أَنْ تَنْضَحَهُ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ১০৬. ‘জুনুবী’ (অপবিত্র) ব্যক্তি ও হায়িযগ্রস্ত মহিলার ঘাম সম্পর্কে
১০৬৩. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, হায়িযগ্রস্ত মহিলা কাপড় পরিহিত অবস্থায় ঘামলে’ সেই সম্পর্কে ইবরাহীম রাহি. বলেন, তাতে পানি ছিটিয়ে (বা ঢেলে) দেয়াই তার জন্য যথেষ্ট।[1]
তাখরীজ: আগের হাদীসটি দেখুন।
بَاب فِي عَرَقِ الْجُنُبِ وَالْحَائِضِ
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي الْحَائِضِ إِذَا عَرِقَتْ فِي ثِيَابِهَا فَإِنَّهُ يُجْزِئُهَا أَنْ تَنْضَحَهُ بِالْمَاءِ
পরিচ্ছেদঃ ১০৭. হায়িযগ্রস্ত স্ত্রীর সাথে মেলামেশা করা
১০৬৮. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম রাহি. বলেন, হায়িযগ্রস্ত মহিলার স্বামী তার পেট ও গুপ্তাংগের মধ্যবর্তী (প্রবেশ করানোর মত কোমল[1]) স্থানে এবং তার উভয় উরুর মাঝে সংগম করতে পারে। যদি স্বামীর (বীর্য) নির্গত হয়ে স্ত্রীর শরীরে লাগে, তবে সে তা ধুয়ে ফেলবে আর স্বামী গোসল করবে।[2]
[2] তাহক্বীক্ব: এর সনদ সহীহ।
তাখরীজ: আমি এটি এখানে ব্যতীত অন্য কোথাও পাইনি।
এ অর্থে ইবরাহীম হতে বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাযযাক নং ৯৭১।
بَاب مُبَاشَرَةِ الْحَائِضِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ الْعَلَاءِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ الْحَائِضُ يَأْتِيهَا زَوْجُهَا فِي مَرَاقِّهَا وَبَيْنَ فَخِذَيْهَا فَإِذَا دَفَقَ غَسَلَتْ مَا أَصَابَهَا وَاغْتَسَلَ هُوَ
পরিচ্ছেদঃ ১০৮. হায়িযগ্রস্ত মহিলা তার স্বামীর চুল আঁচড়ে দিতে পারে
১০৯৮. হাম্মাদ রাহি. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ইবরাহীম রাহি. কে ইযাহুদী, নাসারা এবং অগ্নিপুজকদের সাথে মুসাফাহ’ করা ও হায়িযগ্রস্ত মহিলার ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলাম। তিনি এ জন্য ওযু করা প্রয়োজন বলে মনে করেননি।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ৪৫৫।
بَاب الْحَائِضِ تَمْشُطُ زَوْجَهَا
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ حَمَّادٍ قَالَ سَأَلْتُ إِبْرَاهِيمَ عَنْ مُصَافَحَةِ الْيَهُودِيِّ وَالنَّصْرَانِيِّ وَالْمَجُوسِيِّ وَالْحَائِضِ فَلَمْ يَرَ فِيهِ وُضُوءًا
পরিচ্ছেদঃ ৩০. মাকাতাব (নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করে মুক্তিলাভের চুক্তিকারী দাস) সম্পর্কে
৩০৪৩. হাম্মাদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, কোনো লোক তার অসুস্থতার সময় তার একটি ছেলেকে ক্রয় করলো, এ লোক সম্পর্কে ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, যদি (এ ক্রয় মুল্য) এক তৃতীয়াংশ থেকে অধিক হয়, তবে সে তার ওয়ারিস হবে, আর যদি তা তার উপর কষ্টকর হয়, তবে সে ওয়ারিস হবে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/১৭৭ নং ১১৮৭২; আব্দুর রাযযাক আল মুসান্নাফ নং ১৬৪৮৫।
باب الْمُكَاتَبِ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَعْفَرٍ الرَّقِّيُّ وَسَعِيدُ بْنُ الْمُغِيرَةِ عَنْ ابْنِ الْمُبَارَكِ عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي رَجُلٍ اشْتَرَى ابْنَهُ فِي مَرَضِهِ قَالَ إِنْ خَرَجَ مِنْ الثُّلُثِ وَرِثَهُ وَإِنْ وَقَعَتْ عَلَيْهِ السِّعَايَةُ لَمْ يَرِثْ
পরিচ্ছেদঃ ৩৮. বালকের ওয়াসীয়াত করা
৩৩২৭. হাম্মাদ হতে বর্ণিত, ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, বালক তার নিজ মাল হতে এক তৃতীয়াংশ কিংবা তার চেয়ে কম পরিমাণে ওয়াসীয়াত করতে পারে, তবে তার ওয়ালী বা অভিভাবক তার সুস্থ অবস্থায় দারিদ্রের আশংকা করলে তাকে একাজ হতে বিরত রাখতে পারবে। কিন্তু তার মৃত্যু কালে তাকে (ওয়াসীয়াত করা থেকে) বাধা দিতে পারবে না।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১১/১৮৪ নং ১০৯০১; সাঈদ ইবনু মানসূর ৪৩৬ ; আব্দুর রাযযাক ১৬৪২৪।
باب وَصِيَّةِ الْغُلَامِ
حَدَّثَنَا يَزِيدُ عَنْ هِشَامٍ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ حَمَّادٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ قَالَ يَجُوزُ وَصِيَّةُ الصَّبِيِّ فِي مَالِهِ فِي الثُّلُثِ فَمَا دُونَهُ وَإِنَّمَا يَمْنَعُهُ وَلِيُّهُ ذَلِكَ فِي الصِّحَّةِ رَهْبَةَ الْفَاقَةِ عَلَيْهِ فَأَمَّا عِنْدَ الْمَوْتِ فَلَيْسَ لَهُ أَنْ يَمْنَعَهُ