সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২১৫

পরিচ্ছেদঃ ১. যিনি ওয়াসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) মনে করেন

৩২১৫. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “কোন মুসলিম ব্যক্তির উচিত নয় যে, তার অসীয়াতযোগ্য কিছু (সম্পদ) রয়েছে, এমতাবস্থায় সে দু’টি রাতও কাটাবে অথচ তার নিকট তার অসীয়াত লিখিত থাকবে না।”[1]

بَاب مَنْ اسْتَحَبَّ الْوَصِيَّةَ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُبَيْدٍ أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ وَلَهُ شَيْءٌ يُوصِي فِيهِ إِلَّا وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ

حدثنا محمد بن عبيد اخبرنا عبيد الله عن نافع عن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ما حق امرى مسلم يبيت ليلتين وله شيء يوصي فيه الا ووصيته مكتوبة عنده

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২১৬

পরিচ্ছেদঃ ১. যিনি ওয়াসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়) মনে করেন

৩২১৬. আবূ আশহাব হতে বর্ণিত, হাসান (রহঃ) বলেন, মু’মিন ব্যক্তি তার নিকট ওয়াসীয়াত (লিখিত) না রেখে কিছুই খায় না।[1]

بَاب مَنْ اسْتَحَبَّ الْوَصِيَّةَ

حَدَّثَنَا عَفَّانُ حَدَّثَنَا أَبُو الْأَشْهَبِ حَدَّثَنَا الْحَسَنُ قَالَ الْمُؤْمِنُ لَا يَأْكُلُ فِي كُلِّ بَطْنِهِ وَلَا تَزَالُ وَصِيَّتُهُ تَحْتَ جَنْبِهِ

حدثنا عفان حدثنا ابو الاشهب حدثنا الحسن قال المومن لا ياكل في كل بطنه ولا تزال وصيته تحت جنبه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২১৭

পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত

৩২১৭. কাসিম ইবনু উমার (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাকে ছুমামাহ ইবনু হাযন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, তোমার পিতার কী অবস্থা? আমি বললাম, তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। তিনি বললেন, তবে তিনি কি কোন ওয়াসীয়াত করে গেছেন? কেননা, বর্ণিত হয়েছে যে, যখন কোনো লোক ওয়াসীয়াত করে তখন তার যাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে কোনো কমতি বা ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়ে থাকলে ওয়াসীয়াত তার ক্ষতিপুরণ হয়ে যায়।[1]

باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ

أَخْبَرَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ لِي ثُمَامَةُ بْنُ حَزْنٍ مَا فَعَلَ أَبُوكَ قُلْتُ مَاتَ قَالَ فَهَلْ أَوْصَى فَإِنَّهُ كَانَ يُقَالُ إِذَا أَوْصَى الرَّجُلُ كَانَ وَصِيَّتُهُ تَمَامًا لِمَا ضَيَّعَ مِنْ زَكَاتِهِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد وَقَالَ غَيْرُهُ الْقَاسِمُ بْنُ عَمْرٍو

اخبرنا سليمان بن حرب حدثنا حماد بن سلمة عن داود بن ابي هند عن القاسم بن عمر قال قال لي ثمامة بن حزن ما فعل ابوك قلت مات قال فهل اوصى فانه كان يقال اذا اوصى الرجل كان وصيته تماما لما ضيع من زكاته قال ابو محمد وقال غيره القاسم بن عمرو

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২১৮

পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত

৩২১৮. শা’বী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি কোনো ওয়াসীয়াত করলো, যেখানে সে কোনো জুলুম-বাড়াবাড়ি ও অন্যায় করেনি, তার জীবদ্দশায় তা সাদাকা করলে যে সাওয়াব পেতো, এ জন্য সে অনুরূপ সাওয়াব পাবে।[1]

باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ أَبِي هِنْدٍ عَنْ الشَّعْبِيِّ قَالَ كَانَ يُقَالُ مَنْ أَوْصَى بِوَصِيَّةٍ فَلَمْ يَجُرْ وَلَمْ يَحِفْ كَانَ لَهُ مِنْ الْأَجْرِ مِثْلُ مَا أَنْ لَوْ تَصَدَّقَ بِهِ فِي حَيَاتِهِ

حدثنا ابو النعمان حدثنا حماد بن زيد حدثنا داود بن ابي هند عن الشعبي قال كان يقال من اوصى بوصية فلم يجر ولم يحف كان له من الاجر مثل ما ان لو تصدق به في حياته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২১৯

পরিচ্ছেদঃ ২. ওয়াসীয়াতের ফযীলত

৩২১৯. কায’আহ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হারিম ইবনু হাইয়ানকে বলা হলো, আপনি আমাদেরকে ওয়াসীয়াত করুন (উপদেশ দিন)। তিনি বললেন, আমি তোমাদেরকে সুরা নাহলের শেষের কয়েকটি আয়াত ওয়াসীয়াত করছি’- এ কথা বলে তিনি তিলাওয়াত করলেন, “তুমি মানুষকে তোমার প্রতিপালকের পথে আহ্বান কর হিকমাত ও সদুপদেশ দ্বারা এবং তাদের সাথে যুক্তিতর্ক কর সদ্ভাবে; তোমার প্রতিপালক, তাঁর পথ ছেড়ে কে বিপদগামী হয় সে সম্বন্ধে সবিশেষ অবহিত এবং কে সত্পথে আছে তাও সবিশেষ অবহিত। যদি তোমরা প্রতিশোধ গ্রহণ কর, তবে ঠিক ততখানি প্রতিশোধ গ্রহণ করবে যতখানি অন্যায় তোমাদের প্রতি করা হয়েছে; তবে তোমরা ধৈর্য্যধারণ করলে ধৈর্য্যশীলদের জন্য ওটাও তো উত্তম। তুমি ধৈর্য্যধারণ করো, তোমার ধৈর্য্য তো হবে আল্লাহর সাহায্যে; তাদের জন্য দু:খ করো না এবং তাদের ষড়যন্ত্রে তুমি মনক্ষুণ্ন হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরই সঙ্গে আছেন, যারা তাকওয়া অবলম্বন করে এবং যারা সত্কর্ম পরায়ণ।”[1] (সুরা নাহল: আয়াত ১২৫-১২৮)

باب فَضْلِ الْوَصِيَّةِ

أَخْبَرَنَا سَهْلُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِي يُونُسَ عَنْ قَزَعَةَ قَالَ قِيلَ لِهَرِمِ بْنِ حَيَّانَ أَوْصِهْ قَالَ أُوصِيكُمْ بِالْآيَاتِ الْأَوَاخِرِ مِنْ سُورَةِ النَّحْلِ وَقَرَأَ ابْنُ حَيَّانَ ادْعُ إِلَى سَبِيلِ رَبِّكَ بِالْحِكْمَةِ إِلَى قَوْلِهِ وَالَّذِينَ هُمْ مُحْسِنُونَ

اخبرنا سهل بن حماد حدثنا شعبة عن ابي يونس عن قزعة قال قيل لهرم بن حيان اوصه قال اوصيكم بالايات الاواخر من سورة النحل وقرا ابن حيان ادع الى سبيل ربك بالحكمة الى قوله والذين هم محسنون

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ কায‘আ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২০

পরিচ্ছেদঃ ৩. যিনি ওয়াসীয়াত করেন নি

৩২২০. তালহা ইবনু মুসাররিফ (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি ’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবী আওফা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর নিকট জিজ্ঞেস করলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি অসীয়াত করেছিলেন? তিনি বলেন, না। আমি বললাম, তাহলে কিভাবে লোকদের উপর অসীয়াত ফরজ করা হলো, কিংবা ওয়াসিয়াতের নির্দেশ দেয়া হলো? তিনি বললেন, আল্লাহর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর কিতাব (অনুসারে ’আমল করার) জন্য অসীয়াত করেছেন।[1]হুযাইল ইবনু শুরাহবিল (রহঃ) বলেন, আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ওসীয়াত অনুযায়ী নির্দেশ দিতে পছন্দ করতেন। আবূ বকর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে ভালবাসতেন যে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যে নির্দেশই পান, তার লাগাম তিনি তার নাকে পরেন।[2]

باب مَنْ لَمْ يُوصِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ عَنْ مَالِكِ بْنِ مِغْوَلٍ عَنْ طَلْحَةَ بْنِ مُصَرِّفٍ الْيَامِيِّ قَالَ سَأَلْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أَبِي أَوْفَى أَوْصَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا قُلْتُ فَكَيْفَ كُتِبَ عَلَى النَّاسِ الْوَصِيَّةُ أَوْ أُمِرُوا بِالْوَصِيَّةِ فَقَالَ أَوْصَى بِكِتَابِ اللَّهِ وَقَالَ هُزَيْلُ بْنُ شُرَحْبِيلَ أَبُو بَكْرٍ كَانَ يَتَأَمَّرُ عَلَى وَصِيِّ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَدَّ أَبُو بَكْرٍ أَنَّهُ وَجَدَ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَهْدًا فَخَزَمَ أَنْفَهُ بِخِزَامَةٍ

حدثنا محمد بن يوسف عن مالك بن مغول عن طلحة بن مصرف اليامي قال سالت عبد الله بن ابي اوفى اوصى رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا قلت فكيف كتب على الناس الوصية او امروا بالوصية فقال اوصى بكتاب الله وقال هزيل بن شرحبيل ابو بكر كان يتامر على وصي رسول الله صلى الله عليه وسلم ود ابو بكر انه وجد من رسول الله صلى الله عليه وسلم عهدا فخزم انفه بخزامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২১

পরিচ্ছেদঃ ৩. যিনি ওয়াসীয়াত করেন নি

৩২২১. হাম্মাম হতে বর্ণিত, (إِنْ تَرَكَ خَيْراً الْوَصِيَّة) “যখন তোমাদের কারও মৃত্যু নিকটবর্তী বলে মনে হয়, সে যদি তখন ধন-সম্পত্তি ছেড়ে যায় তবে পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনের জন্যে বৈধভাবে ওয়াসীয়াত করা তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করা হলো, আল্লাহভীরুদের জন্য এটি অবশ্যকরণীয়।” (সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৮০)

এ আয়াত সম্পর্কে কাতাদা (রহঃ) বলেন, (এখানে) ’আল খাইর’ অর্থ ’মাল’-সম্পদ। আর বলা হতো: এক হাজার ও তার অধিক সম্পদে (ওসীয়াত কার্যকর)।[1]

باب مَنْ لَمْ يُوصِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ أَخْبَرَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ إِنْ تَرَكَ خَيْرًا الْوَصِيَّةُ قَالَ الْخَيْرُ الْمَالُ كَانَ يُقَالُ أَلْفًا فَمَا فَوْقَ ذَلِكَ

اخبرنا يزيد اخبرنا همام عن قتادة ان ترك خيرا الوصية قال الخير المال كان يقال الفا فما فوق ذلك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ হাম্মাম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২২

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে তাশাহুদ (সাক্ষ্য) ও কথা দ্বারা ওসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

৩২২২. মুহাম্মদ ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি সে কথার দ্বারাই ওয়াসীয়াত করেন, অথবা এ হলো সেই কথামালা যার দ্বারা মুহাম্মদ ইবনু আবী আমরাহ তার ছেলেদেরকে এবং তার পরিবারবর্গ কে ওয়াসীয়াত করেন। তা হলো, “অতএব, তোমরা আল্লাহকে ভয় করো এবং তোমাদের নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক সঠিকরূপে গড়ে নাও, আর যদি তোমরা মু’মিন হয়ে থাক তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর।” (সুরা আনফাল: ১)

আর তিনি সে কথার দ্বারাই তাদেরকে ওয়াসীয়াত করেন, যার দ্বারা ইবরাহীম ও ইয়া’কুব আলাইহিমাস সালাম তাঁদের নিজ নিজ ছেলেদেরকে কে ওয়াসীয়াত করেন: “হে আমার বংশধর: নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) মনোনীত করেছেন, অতএব, তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।” (সূরা বাকারাঃ ১৩২) এছাড়া, তিনি তাদেরকে আরও ওয়াসীয়াত করেন যে, তারা আনসারদের মাওলা ও দ্বীনী ভাই হওয়ার কামনা করবে না; চারিত্রিক পবিত্রতা ও সততা-সত্যবাদিতা যিনা ও মিথ্যাচারিতা হতে উত্তম ও স্থায়ী। আমার এ ওয়াসীয়াত পরিবর্তন করার পূর্বেই আমার এ অসুস্থতায় কিছু ঘটে যায় (তার মুত্যু হয়), এ বলে তিনি তার (ওয়াসীয়াতকৃত) বস্তুর কথা উল্লেখ করলেন।[1]

باب مَا يُسْتَحَبُّ بِالْوَصِيَّةِ مِنْ التَّشَهُّدِ وَالْكَلَامِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سِيرِينَ أَنَّهُ أَوْصَى ذِكْرُ مَا أَوْصَى بِهِ أَوْ هَذَا ذِكْرُ مَا أَوْصَى بِهِ مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عَمْرَةَ بَنِيهِ وَأَهْلَ بَيْتِهِ أَنْ اتَّقُوا اللَّهَ وَأَصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِكُمْ وَأَطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِينَ وَأَوْصَاهُمْ بِمَا أَوْصَى بِهِ إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمْ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ وَأَوْصَاهُمْ أَنْ لَا يَرْغَبُوا أَنْ يَكُونُوا مَوَالِيَ الْأَنْصَارِ وَإِخْوَانَهُمْ فِي الدِّينِ وَأَنَّ الْعِفَّةَ وَالصِّدْقَ خَيْرٌ وَأَتْقَى مِنْ الزِّنَا وَالْكَذِبِ إِنْ حَدَثَ بِهِ حَدَثٌ فِي مَرَضِي هَذَا قَبْلَ أَنْ أُغَيِّرَ وَصِيَّتِي هَذِهِ ثُمَّ ذَكَرَ حَاجَتَهُ

اخبرنا يزيد بن هارون اخبرنا ابن عون عن محمد بن سيرين انه اوصى ذكر ما اوصى به او هذا ذكر ما اوصى به محمد بن ابي عمرة بنيه واهل بيته ان اتقوا الله واصلحوا ذات بينكم واطيعوا الله ورسوله ان كنتم مومنين واوصاهم بما اوصى به ابراهيم بنيه ويعقوب يا بني ان الله اصطفى لكم الدين فلا تموتن الا وانتم مسلمون واوصاهم ان لا يرغبوا ان يكونوا موالي الانصار واخوانهم في الدين وان العفة والصدق خير واتقى من الزنا والكذب ان حدث به حدث في مرضي هذا قبل ان اغير وصيتي هذه ثم ذكر حاجته

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৩

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে তাশাহুদ (সাক্ষ্য) ও কথা দ্বারা ওসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

৩২২৩. ইবনু সীরীন (রহঃ) হতে বর্ণিত, আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, অমুকের পুত্র অমুক যেভাবে ওয়াসীয়াত করে, তারাও তদ্রূপ ওয়াসীয়াত করতেন যে, সে সাক্ষ্য দেয় যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আর যে, নিশ্চয়ই কিয়ামত আগমন করবে, যাতে কোনো সন্দেহ নেই, আর নিশ্চয়ই আল্লাহ কবরে যারা আছে তাদেরকে পুনুরুত্থিত করবেন।

তার পরে তার পরিবারের যারা বেঁচে থাকবে, তাদের জন্য তিনি ওয়াসীয়াত করেন যে, তারা যেন আল্লাহকে ভয় করে এবং তাদের নিজেদের পারস্পরিক সম্পর্ক সঠিকরূপে গড়ে নেয়, আর যদি তারা মু’মিন হয়ে থাকে তবে তারা যেন আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে।

আর তিনি সে কথার দ্বারা তাদেরকে ওয়াসীয়াত করেন, যা দ্বারা ইবরাহীম ও ইয়া’কুব আলাইহিমাস সালাম তাঁদের নিজ নিজ ছেলেদেরকে কে ওয়াসীয়াত করেন: “হে আমার বংশধর: নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের জন্য এই দ্বীন (জীবন ব্যবস্থা) মনোনীত করেছেন, অতএব, তোমরা মুসলিম না হয়ে মৃত্যুবরণ করো না।” সূরা বাকারাঃ ১৩২) তিনি আরও ওয়াসীয়াত করেন, তার অসুস্থতার কারণে তার কোনো কিছু (তথা মৃত্যু) ঘটে যায়, তবে তার (ওয়াসীয়াতকৃত) বস্তু হলো এই এই।[1]

باب مَا يُسْتَحَبُّ بِالْوَصِيَّةِ مِنْ التَّشَهُّدِ وَالْكَلَامِ

أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ حَسَّانَ عَنْ ابْنِ سِيرِينَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ هَكَذَا كَانُوا يُوصُونَ هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ فُلَانُ بْنُ فُلَانٍ أَنَّهُ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَأَنَّ السَّاعَةَ آتِيَةٌ لَا رَيْبَ فِيهَا وَأَنَّ اللَّهَ يَبْعَثُ مَنْ فِي الْقُبُورِ وَأَوْصَى مَنْ تَرَكَ بَعْدَهُ مِنْ أَهْلِهِ أَنْ يَتَّقُوا اللَّهَ وَيُصْلِحُوا ذَاتَ بَيْنِهِمْ وَأَنْ يُطِيعُوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ إِنْ كَانُوا مُؤْمِنِينَ وَأَوْصَاهُمْ بِمَا أَوْصَى بِهِ إِبْرَاهِيمُ بَنِيهِ وَيَعْقُوبُ يَا بَنِيَّ إِنَّ اللَّهَ اصْطَفَى لَكُمْ الدِّينَ فَلَا تَمُوتُنَّ إِلَّا وَأَنْتُمْ مُسْلِمُونَ وَأَوْصَى إِنْ حَدَثَ بِهِ حَدَثٌ مِنْ وَجَعِهِ هَذَا أَنَّ حَاجَتَهُ كَذَا وَكَذَا

اخبرنا احمد بن عبد الله حدثنا ابو بكر حدثنا هشام بن حسان عن ابن سيرين عن انس قال هكذا كانوا يوصون هذا ما اوصى به فلان بن فلان انه يشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله وان الساعة اتية لا ريب فيها وان الله يبعث من في القبور واوصى من ترك بعده من اهله ان يتقوا الله ويصلحوا ذات بينهم وان يطيعوا الله ورسوله ان كانوا مومنين واوصاهم بما اوصى به ابراهيم بنيه ويعقوب يا بني ان الله اصطفى لكم الدين فلا تموتن الا وانتم مسلمون واوصى ان حدث به حدث من وجعه هذا ان حاجته كذا وكذا

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ ইবনু সীরীন (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৪

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে তাশাহুদ (সাক্ষ্য) ও কথা দ্বারা ওসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

৩২২৪. হাফস ইবনু গায়লান (রহঃ) হতে বর্ণিত, মাকহুল (রহঃ) ওয়াসীয়াত করার সময় বলেন, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, ফলে তুমিও সাক্ষ্য দাও: আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নাই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই, আর মুহাম্মদ আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসূল। আর তিনি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনেন এবং তাগুতের প্রতি কুফরী করেন-এর উপরই তিনি জীবিত ছিলেন, মৃত্যু বরন করবেন ইনশা আল্লাহ, পুনুরুত্থিত হবেন আর তিনি ওয়াসীয়াত করলেন সেই সম্পদ থেকে, আল্লাহ যা তাঁকে দান করেছেন, এবং যা তিনি ছেড়ে গেলেন, যদি এ ওয়াসীয়াতে যা রয়েছে তার কোনো কিছুই পরিবর্তন সে না করে, তবে তার কিছু (তথা মৃত্যু) ঘটে গেলে, তা (ওয়াসীয়াতকৃত বস্তু) হবে এই এই।[1]

باب مَا يُسْتَحَبُّ بِالْوَصِيَّةِ مِنْ التَّشَهُّدِ وَالْكَلَامِ

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ بْنُ الْمُبَارَكِ أَخْبَرَنَا الْوَلِيدُ عَنْ حَفْصِ بْنِ غَيْلَانَ عَنْ مَكْحُولٍ حِينَ أَوْصَى قَالَ تَشَهُّدُ هَذَا مَا شَهِدَ بِهِ يَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ وَيُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَيَكْفُرُ بِالطَّاغُوتِ عَلَى ذَلِكَ يَحْيَا إِنْ شَاءَ اللَّهُ وَيَمُوتُ وَيُبْعَثُ وَأَوْصَى فِيمَا رَزَقَهُ اللَّهُ فِيمَا تَرَكَ إِنْ حَدَثَ بِهِ حَدَثٌ وَهُوَ كَذَا وَكَذَا إِنْ لَمْ يُغَيِّرْ شَيْئًا مِمَّا فِي هَذِهِ الْوَصِيَّةِ

حدثنا الحكم بن المبارك اخبرنا الوليد عن حفص بن غيلان عن مكحول حين اوصى قال تشهد هذا ما شهد به يشهد ان لا اله الا الله وحده لا شريك له وان محمدا عبده ورسوله ويومن بالله ويكفر بالطاغوت على ذلك يحيا ان شاء الله ويموت ويبعث واوصى فيما رزقه الله فيما ترك ان حدث به حدث وهو كذا وكذا ان لم يغير شيىا مما في هذه الوصية

হাদিসের মানঃ তাহকীক অপেক্ষমাণ
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৫

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে তাশাহুদ (সাক্ষ্য) ও কথা দ্বারা ওসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

৩২২৫. মাকহুল (রহঃ) হতে বর্ণিত, এটি আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর ওয়াসীয়াত ছিল।[1]

باب مَا يُسْتَحَبُّ بِالْوَصِيَّةِ مِنْ التَّشَهُّدِ وَالْكَلَامِ

حَدَّثَنَا الْحَكَمُ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ قَالَ أَخْبَرَنِي ابْنُ ثَوْبَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ مَكْحُولٍ قَالَ هَذِهِ وَصِيَّةُ أَبِي الدَّرْدَاءِ

حدثنا الحكم حدثنا الوليد قال اخبرني ابن ثوبان عن ابيه عن مكحول قال هذه وصية ابي الدرداء

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
বর্ণনাকারীঃ মাকহূল (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৬

পরিচ্ছেদঃ ৪. যে তাশাহুদ (সাক্ষ্য) ও কথা দ্বারা ওসীয়াত করা মুস্তাহাব (পছন্দনীয়)

৩২২৬. আবী হাইয়ান তাইমীর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রবী’ঈ ইবনু খাইছাম তার ওয়াসীয়াত পত্র লিখেন এভাবে যে:

পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি:এটি রবীঈ ইবনু খায়ছাম এর পক্ষ হতে ওয়াসীয়াত আর সে এ ব্যাপারে আল্লাহকে সাক্ষী রাখছে। আর তার নেককার বান্দাগণের জন্য সাক্ষী হিসেবে, প্রতিদানকারী ও ছাওয়াবদানকারী হিসেবে আল্লাহই যথেষ্ট। তাই আমি আল্লাহকে রব হিসেবে, ইসলামকে দ্বীন হিসেবে ও মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হিসেবে পেয়ে সন্তুষ্ট। আমি নিজেকে ও যারা আমার অনুসরণ করে তাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছি যে, আমরা যেন বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত থেকে আল্লাহর ইবাদত করি, প্রশংসাকারীগণের অন্তর্ভুক্ত থেকে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং মুসলিমদের ঐক্যের প্রতি নসীহত করি।[1]

باب مَا يُسْتَحَبُّ بِالْوَصِيَّةِ مِنْ التَّشَهُّدِ وَالْكَلَامِ

حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ حَدَّثَنَا أَبُو حَيَّانَ التَّيْمِيُّ عَنْ أَبِيهِ قَالَ كَتَبَ الرَّبِيعُ بْنُ خُثَيْمٍ وَصِيَّتَهُ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ هَذَا مَا أَوْصَى بِهِ الرَّبِيعُ بْنُ خُثَيْمٍ وَأَشْهَدَ اللَّهَ عَلَيْهِ وَكَفَى بِاللَّهِ شَهِيدًا وَجَازِيًا لِعِبَادِهِ الصَّالِحِينَ وَمُثِيبًا بِأَنِّي رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا وَبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا وَإِنِّي آمُرُ نَفْسِي وَمَنْ أَطَاعَنِي أَنْ نَعْبُدَ اللَّهَ فِي الْعَابِدِينَ وَنَحْمَدَهُ فِي الْحَامِدِينَ وَأَنْ نَنْصَحَ لِجَمَاعَةِ الْمُسْلِمِينَ

حدثنا جعفر بن عون حدثنا ابو حيان التيمي عن ابيه قال كتب الربيع بن خثيم وصيته بسم الله الرحمن الرحيم هذا ما اوصى به الربيع بن خثيم واشهد الله عليه وكفى بالله شهيدا وجازيا لعباده الصالحين ومثيبا باني رضيت بالله ربا وبالاسلام دينا وبمحمد نبيا واني امر نفسي ومن اطاعني ان نعبد الله في العابدين ونحمده في الحامدين وان ننصح لجماعة المسلمين

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৭

পরিচ্ছেদঃ ৫. যিনি মনে করেন, অল্প সম্পদে ওয়াসীয়াত নেই

৩২২৭. হিশাম (রহঃ) তাঁর পিতা (উরওয়া (রহঃ)) হতে বর্ণনা করেন যে, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদা কোনো এক রোগীর নিকট গেলেন। তখন লোকেরা লোকটিকে ওয়াসীয়াতের কথা বললে আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: আল্লাহ তা’আলা বলেছেন: (إِنْ تَرَكَ خَيْراً الْوَصِيَّة) (“যখন তোমাদের কারও মৃত্যু নিকটবর্তী বলে মনে হয়, সে যদি তখন ধন-সম্পত্তি ছেড়ে যায় তবে পিতা-মাতা ও আত্মীয় স্বজনের জন্যে বৈধভাবে ওয়াসীয়াত করা তোমাদের জন্য বিধিবদ্ধ করা হলো, আল্লাহভীরুদের জন্য এটি অবশ্যকরণীয়।” সূরা বাকারাঃ আয়াত ১৮০)

আর আমার ধারণা, সে (অধিক) সম্পদ ছেড়ে যাচ্ছে না। হাম্মাদ বলেন, আমার মনে আছে যে, সে লোকটি সাতশ’ (দিরহাম) থেকে কিছু বেশি রেখে গিয়েছিল।[1]

باب مَنْ لَمْ يَرَ الْوَصِيَّةَ فِي الْمَالِ الْقَلِيلِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ عَلِيًّا دَخَلَ عَلَى مَرِيضٍ فَذَكَرُوا لَهُ الْوَصِيَّةَ فَقَالَ عَلِيٌّ قَالَ اللَّهُ إِنْ تَرَكَ خَيْرًا وَلَا أُرَاهُ تَرَكَ خَيْرًا قَالَ حَمَّادٌ فَحَفِظْتُ أَنَّهُ تَرَكَ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِ مِائَةٍ

حدثنا ابو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن هشام عن ابيه ان عليا دخل على مريض فذكروا له الوصية فقال علي قال الله ان ترك خيرا ولا اراه ترك خيرا قال حماد فحفظت انه ترك اكثر من سبع ماىة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৮

পরিচ্ছেদঃ ৫. যিনি মনে করেন, অল্প সম্পদে ওয়াসীয়াত নেই

৩২২৮. হিশাম (রহঃ) তাঁর পিতা (উরওয়া (রহঃ) হতে বর্ণনা করেন যে, আলী ইবনু আবী তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একদা কোনো এক রোগীকে দেখতে গেলেন। তখন লোকটি বললো, আমি কি ওয়াসীয়াত করব? আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন: না, সে (অধিক) সম্পদ ছেড়ে যাও নি। ফলে তুমি তোমার সম্পদ তোমার ছেলে-মেয়ের জন্য রেখে যাও।[1] (তোমার ছেড়ে যাওয়া সামান্য সম্পদ তোমার ছেলে-মেয়ে পাবে)

باب مَنْ لَمْ يَرَ الْوَصِيَّةَ فِي الْمَالِ الْقَلِيلِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كُنَاسَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ قَالَ دَخَلَ عَلِيُّ بْنُ أَبِي طَالِبٍ عَلَى رَجُلٍ مِنْ قَوْمِهِ يَعُودُهُ فَقَالَ أُوصِي قَالَ لَا لَمْ تَدَعْ مَالًا فَدَعْ مَالَكَ لِوَلَدِكَ

حدثنا محمد بن كناسة حدثنا هشام عن ابيه قال دخل علي بن ابي طالب على رجل من قومه يعوده فقال اوصي قال لا لم تدع مالا فدع مالك لولدك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২২৯

পরিচ্ছেদঃ ৬. যিনি সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও অধিক ওয়াসীয়াত করেন - এমন ব্যক্তি সম্পর্কে

৩২২৯. মানসূর হতে বর্ণিত, যে লোক ওয়াসীয়াত করলো, আর তথায় ওয়ারিসগন উপস্থিত আছে এবং এতে তারা সম্মতও, এ সম্পর্কে ইবরাহীম (রহঃ) বলেন: তা জায়েয হবে না। আবী মুহাম্মদ বলেন, এর অর্থাত্: পরে যদি তারা (ওয়ারিসগণ) অস্বীকার করে (তবে তা জায়িয হবে না)।[1]

باب فِي الَّذِي يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ

حَدَّثَنَا أَبُو زَيْدٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ مَنْصُورٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ فِي رَجُلٍ أَوْصَى وَالْوَرَثَةُ شُهُودٌ مُقِرُّونَ فَقَالَ لَا يَجُوزُ قَالَ أَبُو مُحَمَّد يَعْنِي إِذَا أَنْكَرُوا بَعْدُ

حدثنا ابو زيد حدثنا شعبة عن منصور عن ابراهيم في رجل اوصى والورثة شهود مقرون فقال لا يجوز قال ابو محمد يعني اذا انكروا بعد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২৩০

পরিচ্ছেদঃ ৬. যিনি সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও অধিক ওয়াসীয়াত করেন - এমন ব্যক্তি সম্পর্কে

৩২৩০. শু’বাহ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, আমি হাকাম ও হাম্মাদ কে জিজ্ঞাসা করলাম যে, কোনো (জীবিত অবস্থায় কোনো লোকের) ওলীগণ (তার অভিভাবকগণ) ওয়াসীয়াতকে অনুমোদন করলো, এরপর লোকটি মৃত্যু বরণ করলে তারা যদি তা অনুমোদন না করে (তথা অস্বীকার করে)? উত্তরে তারা উভয়ে বলেন, তা (ওয়াসীয়াত) বৈধ হবে না।[1]

باب فِي الَّذِي يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ

حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ قَالَ سَأَلْتُ الْحَكَمَ وَحَمَّادًا عَنْ الْأَوْلِيَاءِ يُجِيزُونَ الْوَصِيَّةَ فَإِذَا مَاتَ لَمْ يُجِيزُوا قَالَا لَا يَجُوزُ

حدثنا سليمان بن حرب حدثنا شعبة قال سالت الحكم وحمادا عن الاولياء يجيزون الوصية فاذا مات لم يجيزوا قالا لا يجوز

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শু'বা (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২৩১

পরিচ্ছেদঃ ৬. যিনি সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও অধিক ওয়াসীয়াত করেন - এমন ব্যক্তি সম্পর্কে

৩২৩১. আমির (রহঃ) যে লোক তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশের অধিক সম্পদ ওয়াসীয়াত করলো, তার সম্পর্কে শুরাইহ (রহঃ) বলেন: ওয়ারিসগণ যদি তাকে এর অনুমতি দেয়, তবে আমরাও তাকে অনুমতি দেব; আর যদি ওয়ারিসগণ বলে, ’আমরা তাকে অনুমতি দিলাম’, তবে তারা (ওয়ারিসগণ) যখন মৃতের কবর দেওয়া শেষ করবে, তখন তারা (তা রাখা বা প্রত্যাহার করার) স্বাধীনতা লাভ করবে।[1]

আবূ মুহাম্মদ বলেন, ’আমরা তাকে অনুমতি দিলাম’- অর্থ: তার জীবদ্দশায় (অনুমতি দিলাম)।

باب فِي الَّذِي يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنْ عَامِرٍ عَنْ شُرَيْحٍ فِي الرَّجُلِ يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ ثُلُثِهِ قَالَ إِنْ أَجَازَتْهُ الْوَرَثَةُ أَجَزْنَاهُ وَإِنْ قَالَتْ الْوَرَثَةُ أَجَزْنَاهُ فَهُمْ بِالْخِيَارِ إِذَا نَفَضُوا أَيْدِيَهُمْ مِنْ الْقَبْرِ
قَالَ هُوَ جَائِزٌ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَجَزْنَاهُ يَعْنِي فِي الْحَيَاةِ

اخبرنا يزيد بن هارون عن داود بن ابي هند عن عامر عن شريح في الرجل يوصي باكثر من ثلثه قال ان اجازته الورثة اجزناه وان قالت الورثة اجزناه فهم بالخيار اذا نفضوا ايديهم من القبر قال هو جاىز قال ابو محمد اجزناه يعني في الحياة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ শা‘বী (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২৩২

পরিচ্ছেদঃ ৬. যিনি সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও অধিক ওয়াসীয়াত করেন - এমন ব্যক্তি সম্পর্কে

৩২৩২. কাসিম (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, কোনো এক ব্যক্তি তার ওয়ারিসগণের নিকট তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশের অধিক ওয়াসীয়াত করার অনুমতি চাইল এবং তারা তাকে এর অনুমতিও দিল। কিন্তু তার মরার পর তারা তা হতে ফিরে গেল (অনুমতি প্রত্যাহার করে নিল)। আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, এ ঘৃণিত বিষয়টি (তথা অনুমতি প্রদানের পর তা হতে ফিরে যাওয়া) জায়েয (বৈধ) নয়।[1]

باب فِي الَّذِي يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ

حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا الْمَسْعُودِيُّ عَنْ أَبِي عَوْنٍ عَنْ الْقَاسِمِ أَنَّ رَجُلًا اسْتَأْذَنَ وَرَثَتَهُ أَنْ يُوصِيَ بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ فَأَذِنُوا لَهُ ثُمَّ رَجَعُوا فِيهِ بَعْدَ مَا مَاتَ فَسُئِلَ عَبْدُ اللَّهِ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ هَذَا التَّكَرُّهُ لَا يَجُوزُ

حدثنا ابو نعيم حدثنا المسعودي عن ابي عون عن القاسم ان رجلا استاذن ورثته ان يوصي باكثر من الثلث فاذنوا له ثم رجعوا فيه بعد ما مات فسىل عبد الله عن ذلك فقال هذا التكره لا يجوز

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ কাসিম (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২৩৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. যিনি সম্পদের এক তৃতীয়াংশেরও অধিক ওয়াসীয়াত করেন - এমন ব্যক্তি সম্পর্কে

৩২৩৩. হিশাম (রহঃ) হতে বর্ণিত যে, কোনো এক ব্যক্তি তার সম্পদের এক তৃতীয়াংশের অধিক ওয়াসীয়াত করল, আর ওয়ারিসগণ তাতে সম্মত হলো- এ সম্পর্কে হাসান (রহঃ) বলেন, তা জায়েয (বৈধ)।[1]

باب فِي الَّذِي يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ

حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ الْحَسَنِ فِي الرَّجُلِ يُوصِي بِأَكْثَرَ مِنْ الثُّلُثِ فَرَضِيَ الْوَرَثَةُ قَالَ هُوَ جَائِزٌ

حدثنا ابو النعمان حدثنا حماد بن زيد عن هشام عن الحسن في الرجل يوصي باكثر من الثلث فرضي الورثة قال هو جاىز

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
৩২৩৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসীয়াত করা

৩২৩৪. মুহাম্মদ ইবনু সা’দ তার পিতা সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন যে, মক্কায় অবস্থানকালে (বিদায় হজ্জে তিনি রোগে তিনি আক্রান্ত হলে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার খোঁজ খবর নেয়ার জন্য আসলেন। আর তার এক কন্যা ব্যতীত আর কেউই ছিল না। (তিনি বর্ণনা করেন,) আমি তাঁর কাছে নিবেদন করলাম, একমাত্র কন্যা ছাড়া কেউ আমার উত্তরাধিকারী নেই। তবে আমি কি আমার পুরো সম্পদ ওয়াসীয়াত (সাদাকার জন্য) করতে পারি কি? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, “না।” আমি আবার নিবেদন করলাম, তাহলে অর্ধেক ওয়াসীয়াত করি? তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, “না।” তিনি বললেন, তাহলে এক তৃতীয়াংশ ওয়াসীয়াত করি? তিনি বলেন, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, “এক তৃতীয়াংশ করতে পারো, তবে এক তৃতীয়াংশও অনেক।”[1]

باب الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ

حَدَّثَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ حَدَّثَنَا قَتَادَةُ عَنْ يُونُسَ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ دَخَلَ عَلَيْهِ وَهُوَ بِمَكَّةَ وَلَيْسَ لَهُ إِلَّا ابْنَةٌ فَقُلْتُ لَهُ إِنَّهُ لَيْسَ لِي إِلَّا ابْنَةٌ وَاحِدَةٌ فَأُوصِي بِمَالِي كُلِّهِ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا قُلْتُ فَأُوصِي بِالنِّصْفِ فَقَالَ لَهُ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا قَالَ فَأُوصِي بِالثُّلُثِ قَالَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الثُّلُثُ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ

حدثنا ابو الوليد الطيالسي حدثنا همام حدثنا قتادة عن يونس بن جبير عن محمد بن سعد عن ابيه ان النبي صلى الله عليه وسلم دخل عليه وهو بمكة وليس له الا ابنة فقلت له انه ليس لي الا ابنة واحدة فاوصي بمالي كله فقال النبي صلى الله عليه وسلم لا قلت فاوصي بالنصف فقال له النبي صلى الله عليه وسلم لا قال فاوصي بالثلث قال فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم الثلث والثلث كثير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
২২. ওয়াসিয়াত অধ্যায় (كتاب الوصايا)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১৩০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 পরের পাতা »