পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯২৭. সাঈদ্ ইবনু জুবাইর হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলেন: একদা তাঁর নিকট এক মহিলা লিখে পাঠাল: ’এত এত সময় পর্যন্ত আমার ইসতিহাযা হয়েছে। তারপর আমার নিকট এ খবর পৌঁছল যে, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন: সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে।’ (একথা শুনে) ইবনু আব্বাস বললেন: আলী যা বলেছেন, তা ব্যতীত তার ব্যাপারে আমরা অন্য কিছু জানতে পারিনি।’[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১১৭৩, ১১৭৮; ইবনু আবী শাইবা ১/১২৭ সহীহ সনদে; তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/৯৯-১০০, ১০১ সহীহ সনদে; ইবনু হাযম, আল মুহাল্লা ২/২১৩।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَشْعَثَ بْنِ أَبِي الشَّعْثَاءِ الْمُحَارِبِيِّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ قَالَ كَتَبَتْ إِلَيْهِ امْرَأَةٌ إِنِّي قَدْ اسْتُحِضْتُ مُنْذُ كَذَا وَكَذَا فَبَلَغَنِي أَنَّ عَلِيًّا قَالَ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ مَا نَجِدُ لَهَا غَيْرَ مَا قَالَ عَلِيٌّ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯২৮. ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীর থেকে বর্ণিত, আবু সালামাহ কিংবা ইকরিমাহ বলেন, যায়নাব নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে ই’তিকাফ করছিলেন, এমতাবস্থায় তার রক্ত প্রবাহিত হচ্ছিল। তখন তিনি তাকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।’[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৩৫১। এখানে আবু সালামাহ ‘ও’ ইকরিমাহ রয়েছে; আব্দুর রাযযাক নং ১১৭ (এ নম্বরটি ভুল, আসলে এটি ১১৭৫, যা প্রিন্টিংয়ে ১১৭ হয়ে গেছে হয়তো। আর এখানে যায়নাব’ এর পরিবর্তে ‘উম্মু সালামাহ’র কথা রয়েছে। আর মুহাক্কিক্বের টীকার বর্ণনানুযায়ী হাদীসটি ১১৭৭ নং যাতে আবী সালামাহ’র মতামত উল্লেখ করা হয়েছে, এখানে যায়নাবের ই’তিকাফ বা ইসতিহাযাগ্রস্ত হওয়ার কোনো উল্লেখ নেই ।- অনুবাদক।)
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ أَوْ عِكْرِمَةُ قَالَ كَانَتْ زَيْنَبُ تَعْتَكِفُ مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهِيَ تُرِيقُ الدَّمَ فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ
إسناده منقطع
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯২৯. ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীর থেকে বর্ণিত, আলি ও ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা উভয়ে বলেন: ’ইসতিহাযাগ্রস্ত নারী প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে।’[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১২৭ আলী ও ইবনু আব্বাস রা: হতে... মুনকাতি’ সনদে; অপর সনদে ১/১২৭ আলী ও ইবনু আব্বাস রা: থেকে... এটিও ‘ইনকিতা’র কারণে যয়ীফ। আর আলী রা: এর হাদীসটি ৯০২ (অনুবাদে ৮৯৮) নং এ গত হয়েছে। আর ইবনু মাসউদ রা: এর হাদীসটি আমি কোথাও পাইনি।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ أَنَّ عَلِيًّا وَابْنَ مَسْعُودٍ كَانَا يَقُولَانِ الْمُسْتَحَاضَةُ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ
إسناده منقطع
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩০. আওযাঈ বলেন, আমি আতা’ ইবনু আবী রাবাহ রাহি. কে বলতে শুনেছি, ’সে (ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা) প্রতি দু’ সালাতের জন্য একবার করে গোসল করবে। আর ফজরের সালাতের জন্য একবার গোসল করবে।[1] আওযাঈ আরও বলেন, যুহরী ও মাকহুল উভয়ে বলতেন: প্রত্যেক সালাতের সময় সে গোসল করবে।’
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ৮৩১, ৮৩৩, ৯২০ (অনুবাদে ৮২৭, ৮২৯, ৯১৬) নং এ। আরও দেখুন, আব্দুর রাযযাক নং ১১৭১ দীর্ঘাকারে (যয়ীফ সনদে)।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ سَمِعْتُ عَطَاءَ بْنَ أَبِي رَبَاحٍ يَقُولُ تَغْتَسِلُ بَيْنَ كُلِّ صَلَاتَيْنِ غُسْلًا وَاحِدًا وَتَغْتَسِلُ لِلْفَجْرِ غُسْلًا وَاحِدًا قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ وَكَانَ الزُّهْرِيُّ وَمَكْحُولٌ يَقُولَانِ تَغْتَسِلُ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩১. আবু সালামাহ থেকে বর্ণিত, উম্মু হাবীবাহ বিনতে জাহশ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা’র রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করলে তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিকট এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। তখন তিনি তাকে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করতে এবং সালাত আদায় করতে আদেশ করলেন।[1]
তাখরীজ: বাইহাকী ১/৩৫১।
আবু দাউদ ২৯৩, অপর সনদে মহিলার নামোল্লেখ ছাড়াই উম্মু সালামাহ হতে বর্ণনা করেছেন যার সনদ সহীহ ।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ وَوَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ عَنْ هِشَامٍ صَاحِبِ الدَّسْتَوَائِيِّ عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ قَالَ وَهْبٌ أُمَّ حَبِيبَةَ بِنْتَ جَحْشٍ كَانَتْ تُهَرَاقُ الدَّمَ وَأَنَّهَا سَأَلَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ ذَاكَ فَأَمَرَهَا أَنْ تَغْتَسِلَ عِنْدَ كُلِّ صَلَاةٍ وَتُصَلِّيَ
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩২. আবু বাশার বলেন, আমি সাঈদ ইবনু জুবাইর রাহি. কে বলতে শুনেছি, এক মহিলা ইবনু আব্বাস ও ইবনু যুবাইর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা’র নিকট লিখে পাঠালেন: আমি ইসতিহাযায় আক্রান্ত হয়েছি, ফলে আমি কখনো পবিত্র হই না। আমি আপনাদের উভয়কে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি (আল্লাহর কসম দিয়ে বলছি) যে, আপনারা উভয়ে আমাকে ফতোয়া দিবেন। আর আমি আপনাদেরকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করছি।’ তখন তারা (লোকেরা) বলল, আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন: সে প্রত্যেক সালাতের সময় গোসল করবে।’ আমি (বর্ণনাকারী সাঈদ ইবনু জুবাইর) একথা (ইবনু আব্বাসের নিকট) উল্লেখ করলাম। আর আমি নিজের হাতে উত্তর লিখে দিলাম আলী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যা বলেছেন, তা ব্যতীত তার জন্য আর কিছুই আমি পেলাম না। তখন তাকে বলা হলো, কুফা’ হলো শীতল ঠাণ্ডা এলাকা। তখন তিনি বললেন: আল্লাহ যদি ইচ্ছা করেন, তবে একে এর চেয়েও কঠিন পরীক্ষায় ফেলবেন।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১১৭৩,১১৭৯; অপর সনদে তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১০০ সনদ সহীহ।
দ্রষ্টব্য: ইবনু জুবাইরের মুরসালটি বর্ণনা করেছেন আব্দুর রাযযাক, আর তাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনু উমার, আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস এবং আব্দুল্লাহ ইবনু জুবাইরের মুরসালসমূহ বর্ণনা করেছেন।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ حَدَّثَنَا أَبُو بِشْرٍ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ يَقُولُ كَتَبَتْ امْرَأَةٌ إِلَى ابْنِ عَبَّاسٍ وَابْنِ الزُّبَيْرِ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَلَا أَطْهُرُ وَإِنِّي أُذَكِّرُكُمَا اللَّهَ إِلَّا أَفْتَيْتُمَانِي وَإِنِّي سَأَلْتُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالُوا كَانَ عَلِيٌّ يَقُولُ تَغْتَسِلُ لِكُلِّ صَلَاةٍ فَقَرَأْتُ وَكَتَبْتُ الْجَوَابَ بِيَدِي مَا أَجِدُ لَهَا إِلَّا مَا قَالَ عَلِيٌّ فَقِيلَ إِنَّ الْكُوفَةَ أَرْضٌ بَارِدَةٌ فَقَالَ لَوْ شَاءَ اللَّهُ لَابْتَلَاهَا بِأَشَدَّ مِنْ ذَلِكَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৩. মুজাহিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমাকে বলা হলো: সে মহিলার দেশ (কুফা) খুব ঠাণ্ডার দেশ। তখন তিনি বললেন: সে যুহর সালাতকে পিছিয়ে দেবে এবং আসর সালাতকে আগে আগে আদায় করবে, আর (এ দু’টি সালাতের জন্য) একবার গোসল করবে; অনুরূপভাবে মাগরিবকে পিছিয়ে দেবে এবং ঈশাকে আগে আগে আদায় করবে, আর (এ দু’টি সালাতের জন্য) আরেকবার গোসল করবে। আর ফজর সালাতের জন্য একবার গোসল করবে।[1]
তাখরীজ: তাহাবী, শারহু মা’আনিল আছার ১/১০১-১০২।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا حَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ قَيْسٍ عَنْ مُجَاهِدٍ قَالَ قِيلَ لِابْنِ عَبَّاسٍ إِنَّ أَرْضَهَا أَرْضٌ بَارِدَةٌ فَقَالَ تُؤَخِّرُ الظُّهْرَ وَتُعَجِّلُ الْعَصْرَ وَتَغْتَسِلُ غُسْلًا وَتُؤَخِّرُ الْمَغْرِبَ وَتُعَجِّلُ الْعِشَاءَ وَتَغْتَسِلُ غُسْلًا وَتَغْتَسِلُ لِلْفَجْرِ غُسْلًا
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৪. যায়নাব বিনতে উম্ম সালামাহ হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, জাহশের কন্যা যিনি আব্দুর রহমান ইবনু আউফের স্ত্রী ছিলেন, তিনি ইসতিহাযাগ্রস্ত ছিলেন। ফলে তিনি (যে পানিভরা পাত্রে বসে থাকতেন, সেই) পাত্র হতে যখন উঠে আসতেন, তখন পাত্রের উপরিভাগ পর্যন্ত রক্তে লাল হয়ে যেতো। এমতাবস্থায়ই তিনি সালাত আদায় করতেন।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ১/১২৮ ...। আরও দেখুন, উসদুল গাবাহ ৭/৬৯-৭১, ৩১৪-৩১৫; আল ইসাবাহ ১২/১৯১-১৯২, ২৮২-২৮৩, ১৩/১৯২; ইসতিযকার ৩/২২৮।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ أَنَّ ابْنَةَ جَحْشٍ كَانَتْ تَحْتَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ وَكَانَتْ تُسْتَحَاضُ فَكَانَتْ تَخْرُجُ مِنْ مِرْكَنِهَا وَإِنَّهُ لَعَالِيهِ الدَّمُ فَتُصَلِّي
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৫. আওযাঈ বলেন, আমি যুহরী ও ইয়াহইয়া ইবনু আবী কাছীরকে বলতে শুনেছি, তারা উভয়ে বলেন: “সে প্রত্যেক সালাতের জন্য এককভাবে গোসল করবে।” আওযাঈ বলেন: মাকহুল থেকে এটার অনুরূপ বক্তব্য আমার নিকট পৌছেছে।[1]
তাখরীজ: আমি এটি আর কোথাও পাইনি। মাকহুল হতে আওযাঈ’র বর্ণনাটি যয়ীফ। আর পূর্বে বর্ণিত, আয়িশা রা: এর হাদীস দেখুন নং ৭৯৫ (অনুবাদে ৭৯১)।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ سَعِيدٍ الدِّمَشْقِيُّ عَنْ شُعَيْبِ بْنِ إِسْحَقَ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ وَيَحْيَى بْنَ أَبِي كَثِيرٍ يَقُولَانِ تُفْرِدُ لِكُلِّ صَلَاةٍ اغْتِسَالَةً قَالَ الْأَوْزَاعِيُّ وَبَلَغَنِي عَنْ مَكْحُولٍ مِثْلُ ذَلِكَ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৬. আতা রাহি. হতে বর্ণিত, ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুমা বলতেন: প্রতি দু’সালাতের জন্য একবার গোসল করবে এবং ফজর সালাতের জন্য এককভাবে গোসল করবে।[1]
তাখরীজ: এটি ৮৩১, ৯২২ (অনুবাদে ৮২৭, ৯১৮) নং এ গত হয়েছে। আরও দেখুন, সুনানে বাইহাকী ১/৮৯।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ سَعِيدٍ عَنْ شُعَيْبٍ حَدَّثَنَا الْأَوْزَاعِيُّ أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ أَنَّ ابْنَ عَبَّاسٍ كَانَ يَقُولُ لِكُلِّ صَلَاتَيْنِ اغْتِسَالَةٌ وَتُفْرِدُ لِصَلَاةِ الصُّبْحِ اغْتِسَالَةً
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৭. হাম্মাদ আল কুফী থেকে বর্ণিত, এক মহিলা ইবরাহীমকে জিজ্ঞেস করল। সে বললো, আমি ইসতিহাযায় আক্রান্ত। তখন তিনি বললেন: তোমার উপর পানি ব্যবহার ওয়াজিব। তুমি পানি ছিটিয়ে দেবে। ফলে পানি তোমার (শরীর) থেকে রক্ত মুছে দেবে।[1]
তাখরীজ: (মুহাক্বিক্ব এর কোনো তাখরীজ দেননি। -অনুবাদক)
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا حَجَّاجٌ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ حَمَّادٍ الْكُوفِيِّ أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتْ إِبْرَاهِيمَ فَقَالَتْ إِنِّي أُسْتَحَاضُ فَقَالَ عَلَيْكِ بِالْمَاءِ فَانْضَحِيهِ فَإِنَّهُ يَقْطَعُ الدَّمَ عَنْكِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৮. ইউনুস থেকে বর্ণিত, তালাকপ্রাপ্তা মহিলা, যে তার ব্যাপারে সন্দিহান, তার সম্পর্কে হাসান রাহি. বলেন, সে এক বছর সময় প্রতীক্ষা করবে। এরপর যদি তার হায়েয হয়, (তবে তার ইদ্দত শেষ হবে), তা না হলে একবছর অতিক্রান্ত হওয়ার পর আরও তিনমাস অপেক্ষা করবে। এরপর যদি তার হায়েয হয়, তবে তার ইদ্দত শেষ হবে।[1]
তাখরীজ: দেখুন, আব্দুর রাযযাক ১১০৯৮।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا عَفَّانُ بْنُ مُسْلِمٍ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ دِينَارٍ حَدَّثَنَا يُونُسُ عَنْ الْحَسَنِ فِي الْمُطَلَّقَةِ الَّتِي ارْتِيبَ بِهَا تَرَبَّصُ سَنَةً فَإِنْ حَاضَتْ وَإِلَّا تَرَبَّصَتْ بَعْدَ انْقِضَاءِ السَّنَةِ ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ فَإِنْ حَاضَتْ وَإِلَّا فَقَدْ انْقَضَتْ عِدَّتُهَا
إسناده حسن
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৩৯. আব্দুল্লাহ ইবনু মাসলামাহ বলেন, মালিককে ’ইসতিহাযাগ্রস্ত তালাকপ্রাপ্তা মহিলা’ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি ইবনু শিহাব হতে, তিনি সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেছেন: ’সেই মহিলার ইদ্দতকাল একবছর।’[1] আবু মুহাম্মদ বলেন: এটি মালিকের মত।
তাখরীজ: মালিক, তালাক অধ্যায় ৭১; ইবনু আবী শাইবা ৫/১৫৮; এটি সামনে ৯৪৮ (অনুবাদে ৯৪৪) নং এ আসছে। আব্দুর রাযযাক নং ১১১২৪।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ قَالَ سُئِلَ مَالِكٌ عَنْ عِدَّةِ الْمُسْتَحَاضَةِ إِذَا طُلِّقَتْ فَحَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ قَالَ عِدَّتُهَا سَنَةٌ قَالَ أَبُو مُحَمَّد هُوَ قَوْلُ مَالِكٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪০. আমর ইবনু দীনার বলেন, জাবির ইবনু যাইদ রাহি. কে ’তালাকপ্রাপ্তা যুবতী নারী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো বার্ধক্য ছাড়াই যার হায়েয বন্ধ হয়ে হয়ে আছে। তিনি বলেন: হায়িয বন্ধ থাকা অবস্থা থেকে তার হায়েয হওয়া (-ই তার ইদ্দতকাল)। আর তাউস বলেন: (তার ইদ্দতকাল) তিনমাস।[1]
তাখরীজ: আমি জাবিরের হাদীসটি আর কোথাও পাইনি। আর তাওসের বক্তব্যটি বর্ণনা করেছেন, আব্দুর রাযযাক নং ১১১২২।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ دِينَارٍ قَالَ سُئِلَ جَابِرُ بْنُ زَيْدٍ عَنْ الْمَرْأَةِ تُطَلَّقُ وَهِيَ شَابَّةٌ فَتَرْتَفِعُ حِيضَتُهَا مِنْ غَيْرِ كِبَرٍ قَالَ مِنْ غَيْرِ حَيْضٍ تَحَيَّضُ وَقَالَ طَاوُسٌ ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪১. মা’মার হতে বর্ণিত, যুহরী রাহি. বলেন: যদি কোনো লোক তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, তারপর তার একবার বা দু’বার হায়েয অতিক্রান্ত হয়, এরপর তার হায়েয বন্ধ হয়ে যায়, আর যদি তা বার্ধক্যজনিত কারণে হয়, তবে সে তিনমাস ইদ্দত গণনা করবে। আর যদি সে যুবতী হয় এবং হায়েযশুন্য অবস্থা হয়ে থাকে (তার ধারণা হয় যে তার হায়েয বন্ধ হয়ে গেছে), সে হায়েয শুন্য হওয়ার পর থেকে একবছর ইদ্দত গণনা করবে।[1]
তাখরীজ: আব্দুর রাযযাক নং ১১০৯৭; তাবারী ২৮/১৪০-১৪১।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا نَصْرُ بْنُ عَلِيٍّ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ إِذَا طَلَّقَ الرَّجُلُ امْرَأَتَهُ فَحَاضَتْ حَيْضَةً أَوْ حَيْضَتَيْنِ ثُمَّ ارْتَفَعَتْ حَيْضَتُهَا إِنْ كَانَ ذَلِكَ مِنْ كِبَرٍ اعْتَدَّتْ ثَلَاثَةَ أَشْهُرٍ وَإِنْ كَانَتْ شَابَّةً وَارْتَابَتْ اعْتَدَّتْ سَنَةً بَعْدَ الرِّيبَةِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪২. কাতাদা থেকে বর্ণিত, ইকরিমাহ বলেন: যে মহিলার হায়েয সুনির্ধারিত (নিয়মিত) নয়, কোনো মাসে একবার হয়, আবার কোনো মাসে দু’বারও হয়, তার ইদ্দতকাল তিনমাস।[1]
আব্দুর রাযযাক নং ১১১২৩ সহীহ সনদে; তাবারী ২৮/১৪১; ইবনু আবী শাইবা ৫/১৫৮-১৫৯ সহীহ সনদে।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ عِكْرِمَةَ قَالَ الْمُسْتَحَاضَةُ وَالَّتِي لَا يَسْتَقِيمُ لَهَا حَيْضٌ فَتَحِيضُ فِي شَهْرٍ مَرَّةً وَفِي الشَّهْرِ مَرَّتَيْنِ عِدَّتُهَا ثَلَاثَةُ أَشْهُرٍ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪৩. হিশাম থেকে বর্ণিত, হাম্মাদ রাহি. বলেন, ’কুরূ’সমূহের (হায়েয) দ্বারা সে ইদ্দত গণনা করবে।[1]
তাখরীজ: দেখুন, ইবনু আবী শাইবা ৫/১৫৮, এখানে এর শাহিদ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا خَلِيفَةُ بْنُ خَيَّاطٍ حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ عَنْ هِشَامٍ عَنْ حَمَّادٍ قَالَ تَعْتَدُّ بِالْأَقْرَاءِ
إسناده صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪৪. ইবনু শিহাব (যুহুরী) হতে বর্ণিত, সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যিব রাহি. বলেন: ইসতিহাযাগ্রস্ত নারীর ইদ্দতকাল এক বছর।[1]
তাখরীজ: এটি গত হয়েছে ৯৪৩ (অনুবাদে ৯৩৯) নং এ।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ قَالَ عِدَّةُ الْمُسْتَحَاضَةِ سَنَةٌ
أثر صحيح
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪৫. (ইসহাক ইবনু ঈসার সূত্রে) ইউনুস হতে বর্ণিত, হাসান রাহি. বলেন: ইসতিহাযাগ্রস্ত মহিলা ’কুরূ’সমূহের (হায়েযের) দ্বারা তার ইদ্দত গণনা করবে।[1]
তাখরীজ: একাধিক সনদে ইবনু আবী শাইবা ৫/১৫৮ সহীহ এবং অপর একটি হাসান সনদে। এটি সম্মুখে আসছে ৯৫১ (৯৪৭) নং এ।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ بْنُ عِيسَى أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ الْمُسْتَحَاضَةُ تَعْتَدُّ بِالْأَقْرَاءِ
إسناده ضعيف فيه هشيم وقد عنعن
পরিচ্ছেদঃ ৯৬. যখন কোনো মহিলার হায়েযের দিনগুলি ইসতিহাযার দিনগুলি সাথে মিশ্রিত হয়ে যায়
৯৪৬. মা’মার হতে বর্ণিত, যুহরী রাহি. বলেন: ’কুরূ’সমূহের (হায়েয) দ্বারা (সে ইদ্দত গণনা করবে)।[1]
তাখরীজ: ইবনু আবী শাইবা ৫/১২৮।
بَابُ إِذَا اخْتَلَطَتْ عَلَى الْمَرْأَةِ أَيَّامُ حَيْضِهَا فِي أيَّامِ اسْتِحَاضَتِهَا
أَخْبَرَنَا خَلِيفَةُ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْأَعْلَى عَنْ مَعْمَرٍ عَنْ الزُّهْرِيِّ قَالَ بِالْأَقْرَاءِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد أَهْلُ الْحِجَازِ يَقُولُونَ الْأَقْرَاءُ الْأَطْهَارُ وَقَالَ أَهْلُ الْعِرَاقِ هُوَ الْحَيْضُ قَالَ عَبْد اللَّهِ وَأَنَا أَقُولُ هُوَ الْحَيْضُ
إسناده صحيح