পরিচ্ছেদঃ ৮১৩. স্বামী ব্যতীত অন্যের জন্য স্ত্রী লোকের শোক প্রকাশ।
১২০৬। হুমাইদী (রহঃ) ... যায়নাব বিন্ত আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন শাম (সিরিয়া) থেকে আবূ সুফিয়ান (রাঃ) এর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছাল, তার তৃতীয় দিন উম্মে হাবীবা (রাঃ) হলুদ বর্ণের সুগন্ধি আনলেন এবং তাঁর উভয় গাল ও বাহুতে মাখলেন। তারপর বললেন, অবশ্য আমার এর কোন প্রয়োজন ছিলনা, যদি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে একথা বলতে না শোনতাম, যে স্ত্রীলোক আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে স্বামী ব্যতীত অন্য কোন মৃত ব্যাক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা হালাল নয়। অবশ্য স্বামীর জন্য সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
باب إِحْدَادِ الْمَرْأَةِ عَلَى غَيْرِ زَوْجِهَا
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُوسَى، قَالَ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ ابْنَةِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَتْ لَمَّا جَاءَ نَعْىُ أَبِي سُفْيَانَ مِنَ الشَّأْمِ دَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ ـ رضى الله عنها ـ بِصُفْرَةٍ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ، فَمَسَحَتْ عَارِضَيْهَا وَذِرَاعَيْهَا وَقَالَتْ إِنِّي كُنْتُ عَنْ هَذَا لَغَنِيَّةً، لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ".
Narrated Zainab bint Abi Salama:
When the news of the death of Abu Sufyan reached from Sham, Um Habiba on the third day, asked for a yellow perfume and scented her cheeks and forearms and said, "No doubt, I would not have been in need of this, had I not heard the Prophet (ﷺ) saying: "It is not legal for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for more than three days for any dead person except her husband, for whom she should mourn for four months and ten days."
পরিচ্ছেদঃ ৮১৩. স্বামী ব্যতীত অন্যের জন্য স্ত্রী লোকের শোক প্রকাশ।
১২০৭। ইসমায়ীল (রহঃ) ... যায়নাব বিন্ত আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিণী উম্মে হাবীবা (রাঃ) এর ভাইয়ের মৃত্যু হলে আমি তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি কিছু সুগন্ধি আনিয়ে তা ব্যবহার করলেন। এরপর বললেন, সুগন্ধি ব্যবহারে আমার কোন প্রয়োজন নেই, তবু যেহেতু আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিনের প্রতি ঈমান রাখে এমন কোন স্ত্রী লোকের পক্ষে কোন মৃত ব্যাক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়িয নয়। তবে স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন (পালন করবে)।
باب إِحْدَادِ الْمَرْأَةِ عَلَى غَيْرِ زَوْجِهَا
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، حَدَّثَنِي مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ قَالَتْ، دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ". ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا، فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ ثُمَّ قَالَتْ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى الْمِنْبَرِ يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ تُحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ".
Narrated Zainab bint Abi Salama:
I went to Um Habiba, the wife of Prophet, who said, "I heard the Prophets saying, 'It is not legal for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for any dead person for more than three days except for her husband, (for whom she should mourn) for four months and ten days'." Later I went to Zainab bint Jahsh when her brother died; she asked for some scent, and after using it she said, "I am not in need of scent but I heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'It is not legal for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for more than three days for any dead person except her husband, (for whom she should mourn) for four months and ten days.' "
পরিচ্ছেদঃ ২০৮৫. বিধবা নারী চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। যুহরী (র) বলেন, বিধবা কিশোরীর জন্য খোশবু ব্যবহার করা উচিত হবে না। কেননা, তাকেও ইদ্দত পালন করতে হবে।
৪৯৪৮। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... যায়নাব বিনত আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মীনী উম্মে হাবীবার পিতা আবূ সুফিয়ান ইবনু হারব (রাঃ) মূত্যুবরণ করলে আমি তাঁর কাছে উপস্থিত হই। উম্মে হাবীবা (রাঃ) জাফরান ইত্যাদি মিশ্রিত হলদে রং এর খোশবু নিয়ে আসতে বললেন। তিনি এক বালিকাকে এ থেকে কিছু মাখলেন! এরপর তার নিজের চেহারার উভয় পাশে কিছু মাখলেন। এরপর বললেনঃ আল্লাহর কসম! খোশবু ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন আমার নেই। তবে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী কোন মহিলার জন্য কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশী শোক পালন করা বৈধ হবে না। কিন্তু স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করতে পারবে।
তিনি আরও বললেনঃ এতো মাত্র চার মাস দশ দিনের ব্যাপার। অথচ বর্বরতার যুগে এক এক মহিলা এক বছরের মাথায় বিষ্ঠা নিক্ষেপ করত। হুমায়দ বলেন, আমি যায়নাবকে জিজ্ঞাসা করলাম। এক বছরের মাথায় বিষ্ঠা নিক্ষেপ করার অর্থ কি? তিনি বলেন, সে যুগে কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে সে অতিক্ষুদ্র একটি কোঠায় প্রবেশ করতো এবং নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করত, কোন খোশবু ব্যবহার করতে পারত না। এভাবে এক বছর অতিক্রান্ত হলে তার কাছে চতুষ্পদ জন্তু যথা গাধা, বকরী অথবা গাভী আনা হতো। আর সে তার গায়ে হাত বুলাতো। হাত বুলাতে বুলাতে অনেক সময় সেটা মারাও যেত। এরপর সে (মহিলা বেরিয়ে আসতো। তাকে বিষ্ঠা দেয়া হতো এবং তা তাকে নিক্ষেপ করতে হতো। এরপর ইচ্ছা করলে সে খোশবু ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারতো। মালিক (রহঃ) কে تَفْتَض শব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেনঃ মহিলারা ঐ প্রানীর চামড়ায় হাত বুলাতো।
হাদিস নং - ৫৩৩৪, ৫৩৩৫, ৫৩৩৬ ও ৫৩৩৭
باب تُحِدُّ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَالَ الزُّهْرِيُّ لاَ أَرَى أَنْ تَقْرَبَ الصَّبِيَّةُ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا الطِّيبَ، لأَنَّ عَلَيْهَا الْعِدَّةَ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ حَزْمٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ ابْنَةِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ هَذِهِ الأَحَادِيثَ الثَّلاَثَةَ، قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ، فَدَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةٌ خَلُوقٌ أَوْ غَيْرُهُ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً، ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا، ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ".
قَالَتْ زَيْنَبُ فَدَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ ابْنَةِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا، فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ، ثُمَّ قَالَتْ أَمَا وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ".
قَالَتْ زَيْنَبُ وَسَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ، تَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَتَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ ". مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا كُلَّ ذَلِكَ يَقُولُ لاَ، ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ، وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعَرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ ".
قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعَرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ فَقَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا، وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا، وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ، ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَائِرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ، فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَىْءٍ إِلاَّ مَاتَ، ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعَرَةً فَتَرْمِي، ثُمَّ تُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ. سُئِلَ مَالِكٌ مَا تَفْتَضُّ بِهِ قَالَ تَمْسَحُ بِهِ جِلْدَهَا.
Narrated Humaid bin Nafi`:
Zainab bint Abu Salama told me these three narrations: Zainab said: I went to Um Habiba, the wife of the Prophet (ﷺ) when her father, Abu- Sufyan bin Herb had died. Um ,Habiba asked for a perfume which contained yellow scent (Khaluq) or some other scent, and she first perfumed one of the girls with it and then rubbed her cheeks with it and said, "By Allah, I am not in need of perfume, but I have heard Allah's Messenger (ﷺ) saying, 'It is not lawful for a lady who believes in Allah and the Last Day to mourn for a dead person for more than three days unless he is her husband for whom she should mourn for four months and ten days.'"
Zainab further said:
I want to Zainab bint Jahsh when her brother died. She asked for perfume and used some of it and said, "By Allah, I am not in need of perfume, but I have heard Allah's Messenger (ﷺ) saying on the pulpit, 'It is not lawful for a lady who believes in Allah and the last day to mourn for more than three days except for her husband for whom she should mourn for four months and ten days.'"
Zainab further said:
"I heard my mother, Um Salama saying that a woman came to Allah's Messenger (ﷺ) and said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! The husband of my daughter has died and she is suffering from an eye disease, can she apply kohl to her eye?" Allah's Messenger (ﷺ) replied, "No," twice or thrice. (Every time she repeated her question) he said, "No." Then Allah's Messenger (ﷺ) added, "It is just a matter of four months and ten days. In the Pre-Islamic Period of ignorance a widow among you should throw a globe of dung when one year has elapsed."
I (Humaid) said to Zainab, "What does 'throwing a globe of dung when one year had elapsed' mean?" Zainab said, "When a lady was bereaved of her husband, she would live in a wretched small room and put on the worst clothes she had and would not touch any scent till one year had elapsed. Then she would bring an animal, e.g. a donkey, a sheep or a bird and rub her body against it. The animal against which she would rub her body would scarcely survive. Only then she would come out of her room, whereupon she would be given a globe of dung which she would throw away and then she would use the scent she liked or the like."
পরিচ্ছেদঃ ২৫০০. মুচকি হাসি ও হাসি প্রসঙ্গে। ফাতিমা (রাঃ) বলেন, একবার নাবী (সাঃ) আমাকে গোপনে একটি কথা বললেন, আমি হাসলাম। ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেনঃ নিশ্চয়ই আল্লাহ হাসানো ও কাঁদানোর একমাত্র মালিক
৫৬৬১। মুহাম্মদ ইবনু মুসান্না (রহঃ) ... যায়নাব বিনত উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, একবার উম্মে সুলায়ম (রাঃ) বলেনঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ তো সত্য কথা বলতে লজ্জা করেন না। মেয়েলোকের স্বপ্নদোষ হলে তাদেরও কি গোসল করতে হবে? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। যদি সে পানি (বীর্য) দেখতে পায়। তখন উম্মে সুলায়মা (রাঃ) হেসে দিলেন এবং জিজ্ঞাসা করলেন মেয়ে লোকেরও কি স্বপ্নদোষ হতে পারে? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তা না হলে, সন্তানের মধ্যে সাদৃশ্য হয় কেমন করে?
باب التَّبَسُّمِ وَالضَّحِكِ وَقَالَتْ فَاطِمَةُ- عَلَيْهَا السَّلاَمُ- أَسَرَّ إِلَيَّ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَضَحِكْتُ. وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِنَّ اللَّهَ هُوَ أَضْحَكَ وَأَبْكَى
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ هِشَامٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي أَبِي، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أُمِّ سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّ أُمَّ سُلَيْمٍ، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ اللَّهَ لاَ يَسْتَحِي مِنَ الْحَقِّ، هَلْ عَلَى الْمَرْأَةِ غُسْلٌ إِذَا احْتَلَمَتْ قَالَ " نَعَمْ إِذَا رَأَتِ الْمَاءَ ". فَضَحِكَتْ أُمُّ سَلَمَةَ فَقَالَتْ أَتَحْتَلِمُ الْمَرْأَةُ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " فَبِمَ شَبَهُ الْوَلَدِ ".
Narrated Zainab bint Um Salama:
Um Sulaim said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Verily Allah is not shy of (telling you) the truth. Is it essential for a woman to take a bath after she had a wet dream (nocturnal sexual discharge)?" He said, "Yes, if she notices discharge. On that Um Salama laughed and said, "Does a woman get a (nocturnal sexual) discharge?" He said, "How then does (her) son resemble her (his mother)?"
পরিচ্ছেদঃ ৩০৩৩. যার জন্য বিচারক, তার ভাই এর হক (প্রাপ্য) প্রদান করে, সে যেন তা গ্রহন না করে। কেননা, বিচারকের ফায়সালা হারামকে হালাল এবং হালালকে হারাম করতে পারেনা
৬৬৯২। আবদুল আযীয ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... যায়নাব বিনত আবূ সালামা (রহঃ) বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সহধর্মিণী উম্মে সালামা (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, একদা তিনি তার হুজরার দরজায় বাদানুবাদের শব্দ শুনতে পেলেন। এরপর তিনি তাদের কাছে এসে বললেনঃ আমি তো একজন মানুষ। আমার নিকট বাদী-বিবাদীরা আসে। হয়ত তোমাদের মধ্যে কেউ কেউ অন্যের তুলনায় বাকপটু থাকে। আমি তার কথায় হয়ত তাকে সত্যবাদী মনে করি। অতএব আমি তার পক্ষে ফায়সালা করি। কিন্তু আমি যদি অপর কোন মুসলিমের হক কারো জন্য ফায়সালা করি, তাহলে সেটা এক গুচ্ছ আগুন ছাড়া আর কিছু নয়। অতএব সে চাহে তা গ্রহন করুক অথবা তা বর্জন করুক।
بَابُ مَنْ قُضِيَ لَهُ بِحَقِّ أَخِيهِ فَلاَ يَأْخُذْهُ، فَإِنَّ قَضَاءَ الْحَاكِمِ لاَ يُحِلُّ حَرَامًا وَلاَ يُحَرِّمُ حَلاَلاً
حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، قَالَ أَخْبَرَنِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ، أَنَّ زَيْنَبَ ابْنَةَ أَبِي سَلَمَةَ، أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَخْبَرَتْهَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ سَمِعَ خُصُومَةً بِبَابِ حُجْرَتِهِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ فَقَالَ " إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ، وَإِنَّهُ يَأْتِينِي الْخَصْمُ، فَلَعَلَّ بَعْضَكُمْ أَنْ يَكُونَ أَبْلَغَ مِنْ بَعْضٍ، فَأَحْسِبُ أَنَّهُ صَادِقٌ فَأَقْضِي لَهُ بِذَلِكَ، فَمَنْ قَضَيْتُ لَهُ بِحَقِّ مُسْلِمٍ، فَإِنَّمَا هِيَ قِطْعَةٌ مِنَ النَّارِ، فَلْيَأْخُذْهَا أَوْ لِيَتْرُكْهَا ".
Narrated Um Salama:
(the wife of the Prophet) Allah's Messenger (ﷺ) heard some people quarreling at the door of his dwelling, so he went out to them and said, "I am only a human being, and litigants with cases of dispute come to me, and someone of you may happen to be more eloquent (in presenting his case) than the other, whereby I may consider that he is truthful and pass a judgment in his favor. If ever I pass a judgment in favor of somebody whereby he takes a Muslim's right unjustly, then whatever he takes is nothing but a piece of Fire, and it is up to him to take or leave."
পরিচ্ছেদঃ ৮. স্বামীর মৃত্যুকালীন ইদ্দতে বিধবা স্ত্রীর শোক পালন করা ওয়াজিব এবং অন্যান্যদের মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হারাম
৩৫৯৬। আমরুন নাকিদ ও ইবনু আবূ উমর (রহঃ) ... যায়নাব বিনত আবূ সালমা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহধর্মিনী হাবীবা (রাঃ) এর কাছে তার পিতা আবূ সুফিয়ানের ইন্তেকালের খবর পৌঁছল। তৃতীয় দিনে তিনি হলুদ বর্ণের সুগদ্ধি চেয়ে পাঠালেন এবং তার দুই হাত গায়ে ভাল করে তা মেখে নিলেন। আর বললেন, আমার এর কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস রাখে তার পক্ষে কারো মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা হালাল নয়। তবে স্বামীর মৃত্যুর ব্যাপারটি স্বতন্ত্র। কেননা সে তার স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
باب وُجُوبِ الإِحْدَادِ فِي عِدَّةِ الْوَفَاةِ وَتَحْرِيمِهِ فِي غَيْرِ ذَلِكَ إِلاَّ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ
وَحَدَّثَنَا عَمْرٌو النَّاقِدُ، وَابْنُ أَبِي عُمَرَ، - وَاللَّفْظُ لِعَمْرٍو - حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَيُّوبَ بْنِ مُوسَى، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، قَالَتْ لَمَّا أَتَى أُمَّ حَبِيبَةَ نَعِيُّ أَبِي سُفْيَانَ دَعَتْ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ بِصُفْرَةٍ فَمَسَحَتْ بِهِ ذِرَاعَيْهَا وَعَارِضَيْهَا وَقَالَتْ كُنْتُ عَنْ هَذَا غَنِيَّةً سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ فَوْقَ ثَلاَثٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا ".
Zainab bint Abu Salama reported that when the news of the death of Abu Safyan came to Umm Habiba she sent for yellow (perfume) on the third day and rubbed it on her forearms and on her cheeks and said:
I had in fact no need of it, but I heard Allah's Messenger (ﷺ) as saying: It is not permissible for the women believing in Allah and the Hereafter to abstain from adornment beyond three days except (at the death of) husband (in which case she must abstain from adornment) for four months and ten days.
পরিচ্ছেদঃ ৩. উত্তম নাম দ্বারা মন্দ নাম পরিবর্তন করা এবং 'বাররাহ' নামটি যায়নাব, জুয়ায়রিয়া ও অনুরূপ নামে পরিবর্তিত করা মুস্তাহাব
৫৪২৩। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... যায়নাব বিনত উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার নাম ছিল ’বাররাহ’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নাম রাখলেন ’যায়নাব’। তিনি বলেন, যায়নাব বিনত জাহাশ (রাঃ) তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) কাছে এল। তার (-ও) নাম ছিল ’বাররাহ’ তার নামও তিনি ’যায়নাব’ রাখলেন।
بَاب اسْتِحْبَابِ تَغْيِيرِ الِاسْمِ الْقَبِيحِ إِلَى حَسَنٍ وَتَغْيِيرِ اسْمِ بَرَّةَ إِلَى زَيْنَبَ وَجُوَيْرِيَةَ وَنَحْوِهِمَا
حَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، أَخْبَرَنَا عِيسَى بْنُ يُونُسَ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا أَبُو أُسَامَةَ، قَالاَ حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، حَدَّثَتْنِي زَيْنَبُ، بِنْتُ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ كَانَ اسْمِي بَرَّةَ فَسَمَّانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم زَيْنَبَ . قَالَتْ وَدَخَلَتْ عَلَيْهِ زَيْنَبُ بِنْتُ جَحْشٍ وَاسْمُهَا بَرَّةُ فَسَمَّاهَا زَيْنَبَ .
Zainab, daughter of Umm Salama, reported:
My name first was Barra. Allah's Messenger (ﷺ) gave me the name of Zainab. Then there entered (into the house of Allah's Prophet as a wife) Zainab, daughter of Jahsh, and her name was also Barra, and he gave her the name of Zainab.
পরিচ্ছেদঃ ৩৫৪ : মৃতের জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা হারাম। তবে স্ত্রী তার স্বামীর মৃত্যুতে চারমাস দশদিন শোক পালন করবে
১/১৭৮৩। যয়নাব বিন্তে আবূ সালামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা কর্তৃক বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন শাম [সিরিয়া] থেকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর স্ত্রী উম্মে হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহার পিতা আবূ সুফয়ান রাদিয়াল্লাহু আনহু-এর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছল, তখন আমি তাঁর বাসায় প্রবেশ করলাম। [মৃত্যুর তিনদিন পর] তিনি হলুদ বর্ণ দ্রব্য বা অন্য দ্রব্য মিশ্রিত সুগন্ধি আনালেন। তা থেকে কিছু নিয়ে স্বীয় দাসীকে এবং নিজের দুই গালে মাখলেন। অতঃপর তিনি বললেন, আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধির কোন প্রয়োজন ছিল না।
কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর [খুতবা দান কালে] এ কথা বলতে শুনেছি যে, ’’যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে স্বামী ছাড়া অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়েয নয়। অবশ্য তার স্বামীর জন্য সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।’’
যয়নাব বলেন, তারপর যখন যয়নাব বিন্তে জাহ্শ রাদিয়াল্লাহু আনহার ভাই মারা গেলেন, তখন আমি তাঁর নিকট প্রবেশ করলাম। তিনি সুগন্ধি আনালেন এবং তা থেকে কিছু নিয়ে মাখার পর বললেন; আল্লাহর কসম! আমার সুগন্ধির কোন প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরের উপর [খুতবা দান কালে] এ কথা বলতে শুনেছি যে, ’’যে স্ত্রীলোক আল্লাহ ও কিয়ামতের প্রতি ঈমান রাখে, তার পক্ষে স্বামী ছাড়া অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশী শোক পালন করা জায়েয নয়। অবশ্য তার স্বামীর জন্য সে চার মাস দশদিন শোক পালন করবে।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
[[শোকপালনে মহিলা সৌন্দর্যময় কাপড় পরবে না, কোন প্রকার সুগন্ধি ব্যবহার করবে না, কোন অলঙ্কার ব্যবহার করবে না, কোন প্রসাধন [পাউডার, সুরমা, কাজল, লিপষ্টিক ইত্যাদি] ব্যবহার করবে না এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হবে না।]]
(354) بَابُ تَحْرِيْمِ إِحْدَادِ الْمَرْأَةِ عَلٰى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثَةِ أَيَّامٍ إِلَّا عَلٰى زَوْجِهَا أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَّعَشَرَةَ أَيَّامٍ
عَنْ زَينَبَ بِنتِ أَبِي سَلَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَتْ : دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، زَوجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أبُو سُفْيَانَ بنُ حَربٍ رضي الله عنه فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةُ خَلُوقٍ أَوْ غَيرِهِ، فَدَهَنَتْ مِنهُ جَارِيَةً، ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا، ثُمَّ قَالَتْ : واللهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، غَيْرَ أنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ عَلَى المِنْبَرِ : «لاَ يَحِلُّ ِلامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ، إِلاَّ علَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْراً». قالَتْ زَيْنَبُ : ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بنْتِ جَحْشٍ رَضِيَ اللهُ عَنهَا حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا، فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ : أَمَا وَاللهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ، غَيرَ أنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يقُولُ عَلَى المِنْبَرِ : «لاَ يَحِلُّ لامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَاليَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوقَ ثَلاَثٍ، إِلاَّ علَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْراً». متفق عليه
(354) Chapter: Prohibition of Mourning beyond Three Days (For Women)
Zainab bint Abu Salamah (May Allah be pleased with them) said:
I went to Umm Habibah (May Allah be pleased with her) the wife of the Prophet (ﷺ), when her father Abu Sufyan bin Harb (May Allah be pleased with him) died. Umm Habibah (May Allah be pleased with her) sent for a yellow coloured perfume or something else like it, and she applied it to a slave-girl and then rubbed it on her own cheeks and said: "By Allah, I have no need for perfume, I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying from the pulpit, 'It is not permissible for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for the dead beyond three days, except for the death of her husband; in which case the period of mourning is of four months and ten days."' Zainab said: I then visited Zainab, daughter of Jahsh (May Allah be pleased with her) when her brother died; she sent for perfume and applied it and then said: "Beware! By Allah, I don't feel any need of perfume but I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying from the pulpit, 'It is not permissible for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn the dead beyond three days except in case of her husband (for whom the period is) four months and ten days."'
[Al-Bukhari and Muslim]
Commentary: The period of mourning the husband's death is four months and ten days while ordinarily it is three days only (for others). The reasons behind mourning the dead husband is: Firstly, the purification of womb. Secondly, it is a mark of respect for the relation and love between husband and wife. The scent which was used in the two incidents reported in this Hadith occurred after the stipulated period of mourning in ordinary cases - that is three days. After the expiry of the mourning period, the woman is allowed to resume her routine. The Hadith mentions the man's right over his wife after his death; it also shows the importance of conjugal ties in Islam.
পরিচ্ছেদঃ ১৮৬. মৃত স্বামীর জন্য স্ত্রীর শোক প্রকাশ।
২২৯৩. আল্ কা’নবী .... যায়নাব বিনত আবূ সালামা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি তাকে (হামিদ ইবন রাফি’) এ তিনটি হাদীস সম্পর্কে খবর দিয়েছেন। যায়নাব (রাঃ) বলেন, একদা আমি উম্মে হাবীবার নিকট গমন করি। আর এ সময় তার পিতা আবূ সুফইয়ান (রাঃ) মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এ সময় তিনি হলুদ রং বিশিষ্ট সুগন্ধি তেল অথবা অন্য কিছুর জন্য আহবান করেন। তদ্দরা একজন দাসী তাঁর কেশে তেল মেখে দেয়। এরপর তিনি চেহারায় তেল মর্দন করেন। অবশেষে তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারের আমার কোন প্রয়োজন নেই; তবে আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ইরশাদ করতে শুনেছিঃ যে সমস্ত মহিলা আল্লাহর প্রতি এবং শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তাদের জন্য মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তিনরাতের অধিক শোক প্রকাশ করা হালাল নয়। তবে স্বামীদের জন্য চারমাস দশদিন শোক প্রকাশ করবে।
যায়নাব বিনতে আবূ সালামা (রাঃ) আরো বলেন, একদা আমি যায়নাব বিনতে জাহশের নিকট উপস্থিত হই এবং এ সময় তার ভাই মৃত্যুবরণ করে। তিনি সুগন্ধি দ্রব্য চান এবং তা ব্যবহার করেন। এরপর বলেন, আমার সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহারের কোন প্রয়োজন নেই, তবে আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মিম্বরের উপর ইরশাদ করতে শুনেছি, যে সমস্ত মহিলা আল্লাহ্ ও শেষ দিবসের প্রতি ঈমান রাখে, তাদের জন্য কোন মৃত ব্যক্তির উদ্দেশ্যে তিন রাতের অধিক শোক প্রকাশ করা বৈধ নয়। অবশ্য তারা স্বামীদের জন্য চার মাস দশ দিন শোক প্রকাশ করবে।
যায়নাব বিনত আবূ সালামা (রাঃ) আরো বর্ণনা করেন, আমি আমার মাতা উম্মে সালামাকে বলতে শুনেছি, একদা জনৈকা রমনী রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে বলে, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মৃত্যুবরণ করেছে এবং তার চক্ষু অভিযোগ করছে। কাজেই আমি কি তাকে পুনরায় বিবাহ দিব? রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দু’বার বা তিনবার বলেন, না। আর তিনি এ ’না’ শব্দটি নিষেধাজ্ঞার জন্য ব্যবহার করেন। এরপর রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, বরং তার জন্য ইদ্দতের সময়সীমা হল চার মাস দশ দিন। আর জাহিলিয়াতের যুগে তোমাদের স্ত্রীকে (যাদের স্বামী মারা যেত) বু’রাতে এক বছরের জন্য নিক্ষেপ করা হতো।
রাবী হামিদ বলেন, তখন আমি যায়নাবকে জিজ্ঞসা করি, বু’রাতে এক বছরের জন্য নিক্ষেপের অর্থ কী? যায়নাব (রাঃ) বলেন, যখন কোন স্ত্রীলোকের স্বামী মারা যেত, তখন সে একটি কুঁড়ে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করতো, খারাপ কাপড় পরিধান করতো এবং সুগন্ধি দ্রব্য ব্যবহার করতো না। আর এরূপে এক বছর কাটিয়ে দিত। এরপর তার নিকট কোন প্রাণী যেমন গাধা, বকরী অথবা পক্ষী আনা হতো এবং উহা তার শরীর স্পর্শ করতো, তবে খুব কমই এমন হতো যে, জন্তুটি জীবিত থাকত, বরং অধিকাংশই মরে যেত। তারপর তাকে বের করে এনে জন্তুুর একটি বিষ্ঠা দেয়া হতো, সে উহা নিক্ষেপ করতো। তারপর ইদ্দতান্তে সে সে স্থান হতে বের হয়ে আসতো। এরপর সে হালাল হতো এবং তার খুশিমতো সুগন্ধি দ্রব্য ইত্যাদি ব্যবহার করতে পারত।
ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন,حفش (হাফস) হল ছোট ঘর বা কুঁড়ে ঘর।
باب إِحْدَادِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ، عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الأَحَادِيثِ الثَّلاَثَةِ، قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةٌ خَلُوقٌ أَوْ غَيْرُهُ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " . قَالَتْ زَيْنَبُ وَدَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " . قَالَتْ زَيْنَبُ وَسَمِعْتُ أُمِّي أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَنَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " . مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ " لاَ " . ثُمَّ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرٌ وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ " . قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ فَقَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتِ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلاَ شَيْئًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَائِرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَىْءٍ إِلاَّ مَاتَ ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا ثُمَّ تُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ . قَالَ أَبُو دَاوُدَ الْحِفْشُ بَيْتٌ صَغِيرٌ .
Humaid ibn Nafi' reported the following three traditions on the authority of Zaynab, daughter of Abu Salamah:
Zainab said: I visited Umm Habibah when her father AbuSufyan, died. She asked for some yellow perfume containing saffron (khaluq) or something else. Then she applied it to a girl and touched her cheeks.
She said: I have no need of perfume, but I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say: It is not lawful for a woman who believes in Allah and the Last Day to observe mourning for one who has died, more than three nights, except for four months and ten days in the case of a husband.
Zaynab said: I also visited Zaynab, daughter of Jahsh, when her brother died. She asked for some perfume and used it upon herself.
She then said: I have no need of perfume, but I heard the Messenger of Allah (ﷺ) say when he was on the pulpit: It is not lawful for a woman who believes in Allah and the Last Day to observe mourning for one who has died, more than three nights, except for four months and ten days in the case of a husband.
Zaynab said: I heard my mother, Umm Salamah, say: A woman came to the Messenger of Allah (ﷺ) and said: Messenger of Allah, the husband of my daughter has died, and she is suffering from sore eyes; may we put antimony in her eyes?
The Messenger of Allah (ﷺ) said: No. He said this twice or thrice. Each time he said: No. The Messenger of Allah (ﷺ) said: The waiting period is now four months and ten days. In pre-Islamic days one of you used to throw away a piece of dung at the end of a year.
Humayd said: I asked Zaynab: What do you mean by throwing away a piece of dung at the end of a year.
Zaynab replied: When the husband of a woman died, she entered a small cell and put on shabby clothes, not touching perfume or any other thing until a year passed. Then an animal such as donkey or sheep or bird was provided for her. She rubbed herself with it. The animal with which she rubbed herself rarely survived. She then came out and was given a piece of dung which she threw away. She then used perfume or something else which she desired.
Abu Dawud said: The Arabic word "hafsh" means a small cell.
পরিচ্ছেদঃ ১০/ হায়যগ্রস্থ স্ত্রীর সাথে তার হায়য বস্ত্রে একত্রে শয্যা গ্রহণ
৩৭১। উবায়দুল্লাহ ইবনু সাঈদ, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও ইসমাঈল ইবনু মাসউদ (রহঃ) ... যায়নাব বিনত আবূ সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। উম্মে সালামা (রাঃ) তার নিকট বর্ণনা করেছেন যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে শায়িত ছিলাম। এমতাবস্থায় আমার হায়য দেখা দিলে আমি সরে পড়লাম এবং আমার হায়য বস্ত্র পরিধান করলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তুমি হায়যগ্রস্ত হয়েছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ। তখন তিনি আমাকে ডাকলেন এবং আমি তার সঙ্গে একই চাঁদরে শয়ন করলাম। হাদিসে বর্ণিত শব্দাবলী উবাইদুল্লাহ ইবনু সাঈদের।
أَخْبَرَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، ح وَأَنْبَأَنَا إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، قَالَ أَنْبَأَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي ح، وَأَنْبَأَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ مَسْعُودٍ، قَالَ حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - وَهُوَ ابْنُ الْحَارِثِ - قَالَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ زَيْنَبَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ، حَدَّثَتْهُ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ حَدَّثَتْهَا قَالَتْ، بَيْنَمَا أَنَا مُضْطَجِعَةٌ، مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذْ حِضْتُ فَانْسَلَلْتُ فَأَخَذْتُ ثِيَابَ حَيْضَتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَنَفِسْتِ " . قُلْتُ نَعَمْ فَدَعَانِي فَاضْطَجَعْتُ مَعَهُ فِي الْخَمِيلَةِ . وَاللَّفْظُ لِعُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ سَعِيدٍ .
Umm Salamah narrated:
"While I was lying down with the Messenger of Allah (ﷺ) under a blanket, my period came so I slipped away and put on the clothes I used to wear when I was menstruating. The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Are you menstruating?' I said: 'Yes.' Then he called me to lie down with him under the blanket." This is the wording of 'Ubaidullah bin Sa'eed.[1]
[1] That is, one of the narrators in one of the chains, as the author reported it through different chains, as he did when it preceded.
পরিচ্ছেদঃ ৪৫. মা ও কন্যাকে একত্রে বিবাহ করা হারাম
৩২৮৮. ওয়াহাব ইবন বয়ান (রহঃ) ... যয়নব বিনুত আবু সালামা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবিবা (রাঃ) বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার পিতার কন্যা অর্থাৎ আমার বােনকে আপনি বিবাহ করুন। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি পছন্দ কর? তিনি বললেনঃ হ্যাঁ। আমি তো আপনার একমাত্র স্ত্রী নই, বরং আরো যারা আপনার সহধর্মিণী হওয়ার সৌভাগ্যে শরীক হবে, আমার বোনও তাদের অন্তর্ভুক্ত হোক, আমি তা পছন্দ করি।
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এটা হালাল হবে না। উম্মে হাবীবা (রাঃ) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আল্লাহর শপথ! আমরা বলাবলি করেছি যে, আপনি দুররাহ বিনতে আবু সালামাকে বিবাহ করবেন। তিনি বললেনঃ উম্মে সালামার কন্যা? উম্মে হাবীব (রাঃ) বললেনঃ হ্যাঁ। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আল্লাহর শপথ! যদি সে আমার ক্ৰোড়ে, আমার স্ত্রীর কন্যারূপে পালিত না হতো, তাহলেও সে হালাল হতো না। কেননা সে আমার দুধ ভাই-এর কন্যা। আমাকে এবং আবু সালামাকে সুওয়াইবা দুধপান করিয়েছেন। অতএব তোমাদের কন্যাদেরকে এবং বোনদেরকে আমার সংগে বিবাহের প্রস্তাব দেবে না।
تَحْرِيمُ الْجَمْعِ بَيْنَ الْأُمِّ وَالْبِنْتِ
أَخْبَرَنَا وَهْبُ بْنُ بَيَانٍ قَالَ حَدَّثَنَا ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِي يُونُسُ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَنَّ عُرْوَةَ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ زَوْجَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْكِحْ بِنْتَ أَبِي تَعْنِي أُخْتَهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَتُحِبِّينَ ذَلِكِ قَالَتْ نَعَمْ لَسْتُ لَكَ بِمُخْلِيَةٍ وَأَحَبُّ مَنْ شَرِكَتْنِي فِي خَيْرٍ أُخْتِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنَّ ذَلِكَ لَا يَحِلُّ قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَقَدْ تَحَدَّثْنَا أَنَّكَ تَنْكِحُ دُرَّةَ بِنْتَ أَبِي سَلَمَةَ فَقَالَ بِنْتُ أُمِّ سَلَمَةَ قَالَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ نَعَمْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَوَاللَّهِ لَوْ أَنَّهَا لَمْ تَكُنْ رَبِيبَتِي فِي حَجْرِي مَا حَلَّتْ إِنَّهَا لَابْنَةُ أَخِي مِنْ الرَّضَاعَةِ أَرْضَعَتْنِي وَأَبَا سَلَمَةَ ثُوَيْبَةُ فَلَا تَعْرِضْنَ عَلَيَّ بَنَاتِكُنَّ وَلَا أَخَوَاتِكُنَّ
It was narrated from Zainab bint Abi Salamah that Umm Habibah, the wife of the Prophet said:
"O Messenger of Allah, marry the daughter of my father" - meaning her sister. The Messenger of Allah said: "Would you like that?" She said: "Yes; I do not have you all to myself, and I would like to share this goodness with my sister." The Prophet said: "That is not permissible for me." Umm Habibah said: "O Messenger of Allah, by Allah, we have been saying that you want to marry Durrah bint Abi Salamah." He said: "The daughter of Umm Salamah?" I said: "Yes." He said: "By Allah, even if she were not my stepdaughter who is in my care, she would not be permissible for me (to marry), because she is the daughter of my brother through breast-feeding. Thuwaibah breastfed Abu Salamah and I. So do not offer your daughters or sisters to me in marriage."
পরিচ্ছেদঃ ৬৩. মুসলিম নারীর স্বামীর শোকপালনে সাজসজ্জা ত্যাগ করা
৩৫৩৭. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... যয়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) এই তিনটি হাদীস বর্ণনা করেন। যয়নব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর পিতা আবু সুফিয়ান ইবন হারব ইনতিকাল করেন। এ সময় উম্মে হাবীব (রাঃ) সুগন্ধি আনান। তিনি সর্বাগ্রে তা বাঁদীর গায়ে লাগান, পরে তিনি তা নিজের চেহারায় মাখলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এখন আমার সুগন্ধি লাগাবার কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
এরপর আমি যায়নব বিনতু জাহশ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তার ভাই ইনতিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
যয়নব (রাঃ) বলেনঃ আমি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ সুরমা লাগাবে না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন শোক করতে হয়, অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছিটাতো।
হুমাইদ ইবন নাফে’ (রহঃ) বলেন, আমি যায়নবকে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছিটাবার অর্থ কী? যয়নব (রাঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী এক ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্টে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না, এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা অন্য কোন পাখী তার কাছে আনা হতো। পরে সে ঐ জানওয়ারকে নিজের শরীরে মর্দন করতো, ফলে ঐ জন্তু মারা যেত। তারপর সে বের হতো। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছিটাতো। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো।
تَرْكُ الزِّينَةِ لِلْحَادَّةِ الْمُسْلِمَةِ دُونَ الْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ الثَّلَاثَةِ قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَدَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِطِيبٍ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
قَالَتْ زَيْنَبُ ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا وَقَدْ دَعَتْ بِطِيبٍ وَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
وَقَالَتْ زَيْنَبُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدْ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَأَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتْ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلَا شَيْئًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَيْرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَيْءٍ إِلَّا مَاتَ ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا وَتُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِكٌ تَفْتَضُّ تَمْسَحُ بِهِ فِي حَدِيثِ مُحَمَّدٍ قَالَ مَالِكٌ الْحِفْشُ الْخُصُّ
It was narrated from Humaid bin Nafi' that Zainab bint Abi Salamah told him these three Hadiths. Zainab said:
"I entered upon Umm Habibah, the wife of the Prophet, when her father Abu Sufyan bin Harb died. Umm Habibah called for some perfume and put some on a young girl, then she put some on her cheeks. Then she said: 'By Allah, I do not have any need for perfume but I heard the Messenger of Allah say: It is not permissible for any woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for anyone who dies for more than three days, except for a husband, (for whom the mourning period is) four months and ten days.'"
Zainab said:
"Then I went into Zainab bint Jahsh when her brother died, and she called for some perfume and put some on. Then she said: 'By Allah, I do not have any need for perfume but I heard the Messenger of Allah say on the Minbar: It is not permissible for any woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for anyone who dies for more than three days, except for a husband, (for whom the mourning period is) four months and ten days.'"
Zainab said:
"I heard Umm Salamah say: 'A woman came to the Messenger of Allah and said: O Messenger of Allah, my daughter's husband has died and she has a problem in her eye; can I put kohl on her? The Messenger of Allah said: No. Then he said: It is four months and ten days. During the Jahiliyyah one of you would throw a piece of dung at the end of the year.'" Humaid said: "I said to Zainab: 'What is this throwing a piece of dung at the end of the year?' She said: 'If a woman's husband died, she would enter a small room (Hifsh) and wear her worst clothes, and she would not put on perfume or anything until a year. Then an animal would be brought, a donkey or sheep or bird, and she would end her 'Iddah with it (clean herself with it), and usually any animal used for that purpose would die. Then she would come out and would be given a piece of dung which she would throw, then she would go back to whatever she wanted of perfume, etc.'" In the narration of Muhammad (bin Salamah) Malik said: Hifsh means hut.
পরিচ্ছেদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা
৩৫৪৩. মুহাম্মদ ইবন আব্দুল্লাহ (রহঃ) ... যায়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর মাতা উম্মে সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিজের কন্যার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো, যার স্বামী মারা গিয়েছিল, এবং সে চোখের অসুখে আক্রান্ত ছিল। তিনি বললেনঃ তোমরা প্রত্যেক নারী জাহিলী যুগে এক বছর শোক পালন করতে, এবং সাল পূর্ণ হলে গোবর ছিটাতো। এখন তো মাত্র চার মাস দশ দিন।
النَّهْيُ عَنْ الْكُحْلِ لِلْحَادَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ أُمِّهَا أَنَّ امْرَأَةً أَتَتْ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَتْهُ عَنْ ابْنَتِهَا مَاتَ زَوْجُهَا وَهِيَ تَشْتَكِي قَالَ قَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ تَحِدُّ السَّنَةَ ثُمَّ تَرْمِي الْبَعْرَةَ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ وَإِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
It was narrated from Zainab bint Abi Salamah, from her mother, that a woman came to the Prophet and asked him about her daughter whose husband had died and she was ill. He said:
"One of you used to mourn for a year, then throw a piece of dung when a year had passed. Rather it (the mourning period) is four months and ten days."
পরিচ্ছেদঃ ৬৭. সুরমা ব্যবহারের নিষেধাজ্ঞা
৩৫৪৫. ইয়াহইয়া ইবন হাবীব ইবন আরাবী (রহঃ) ... যয়নব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জনৈক মহিলা উম্মে সালামা এবং উম্মে হাবীবা (রাঃ)-এর নিকট স্বামীর মৃত্যু হলে নারীর ইদ্দতের কথা জিজ্ঞাসা করলো, তার সুরমা লাগান বৈধ হবে কি না। তারা বললেনঃ এক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেনঃ তোমাদের পূর্বেই মহিলারা জাহিলী যুগে যখন তার স্বামী মারা যেত, তখন সে এক বছর ইদ্দত পালন করতো, এরপর তার পিঠের পেছনে গোবর ছিটিয়ে বের হতো। আর এখন তো চার মাস দশ দিন পরই তার ইদ্দত শেষ হয়ে যায়।
النَّهْيُ عَنْ الْكُحْلِ لِلْحَادَّةِ
أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ قَالَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ زَيْنَبَ أَنَّ امْرَأَةً سَأَلَتْ أُمَّ سَلَمَةَ وَأُمَّ حَبِيبَةَ أَتَكْتَحِلُ فِي عِدَّتِهَا مِنْ وَفَاةِ زَوْجِهَا فَقَالَتْ أَتَتْ امْرَأَةٌ إِلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَأَلَتْهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ قَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا أَقَامَتْ سَنَةً ثُمَّ قَذَفَتْ خَلْفَهَا بِبَعْرَةٍ ثُمَّ خَرَجَتْ وَإِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا حَتَّى يَنْقَضِيَ الْأَجَلُ
It was narrated from Zainab that a woman asked Umm Salamah and Umm Habibah whether she could put on kohl during her 'Iddah following her husband's death. She said:
"A woman came to the Prophet and asked him about that, and he said: 'During the Jahiliyyah, if her husband died, one of you would stay (in mourning) for a year, then she would throw a piece of dung then come out. Rather it (the mourning period) is four months and ten days, until the term prescribed is fulfilled.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫/৪০. কোন ব্যক্তি তার ও কিবলার মাঝখানে কিছু থাকা অবস্থায় সালাত পড়লে।
২/৯৫৭। যয়নব বিনতে আবূ সালামাহ (রহঃ) থেকে তার মাতার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, তার বিছানা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সিজদার স্থানের দিকে ছিল।
তাহক্বীক্ব আলবানী: সহীহ।
بَاب مَنْ صَلَّى وَبَيْنَهُ وَبَيْنَ الْقِبْلَةِ شَيْءٌ
حَدَّثَنَا بَكْرُ بْنُ خَلَفٍ، وَسُوَيْدُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ أُمِّهَا، قَالَتْ كَانَ فِرَاشُهَا بِحِيَالِ مَسْجِدِ رَسُولِ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ .
It was narrated from Zainab bint Umm Salamah that her mother said that her bed was in front of the place where the Messenger of Allah (ﷺ) prostrated.
পরিচ্ছেদঃ ৯/৩৭. দুধপানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরের দুধপান সম্পর্কে।
৩/১৯৪৭। যায়নাব বিনতে আবূ সালামাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সকল স্ত্রী ’আয়িশাহ্ (রাঃ) -এর সাথে এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন এবং তার মত প্রত্যাখ্যান করেন যে, সালেমের মত বয়স্ক পুরুষ দুধপান করলে তাতে দুধপান জনিত নিষিদ্ধতা প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সে তাদের নিকট প্রবেশ করতে পারবে (তাদের মতে তা কার্যকর হবে না)। তারা আরও বলেন, এটা হয়তো কেবল সালেমের একার জন্য প্রযোজ্য (খাস) ছিলো।
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ। ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে ইয়াহইয়া বিন মাঈন বলেন, তার হাদিসের ব্যাপারে কোন সমস্যা নেই। আমর বিন ফাল্লাস বলেন, তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ায় যে হাদিস বর্ণনা করেছেন তা দুর্বল। আবু কাসিম বলেন, তিনি হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। আবু বকর আল-বায়হাকী বলেন, তার হাদিস দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। আবু হাতিম আর-রাযী তাকে দুর্বল বলেছেন। ইবনু হাজার আল-আসকালানী বলেন, তিনি সত্যবাদী তবে তার কিতাব সমূহ পুড়ে যাওয়ার পর হাদিস বর্ণনায় সংমিশ্রণ করেন। বিশর ইবনুস সারী বলেন, যদি তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হত তবে আমি তার থেকে কোন হাদিস গ্রহন করতাম না। (তাহযীবুল কামালঃ রাবী নং ৩৫১৩, ১৫/৪৮৭ নং পৃষ্ঠা)
بَاب لَا رَضَاعَ بَعْدَ فِصَالٍ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ رُمْحٍ الْمِصْرِيُّ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ لَهِيعَةَ عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ وَعُقَيْلٍ عَنْ ابْنِ شِهَابٍ أَخْبَرَنِي أَبُو عُبَيْدَةَ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ عَنْ أُمِّهِ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَزْوَاجَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم كُلَّهُنَّ خَالَفْنَ عَائِشَةَ وَأَبَيْنَ أَنْ يَدْخُلَ عَلَيْهِنَّ أَحَدٌ بِمِثْلِ رَضَاعَةِ سَالِمٍ مَوْلَى أَبِي حُذَيْفَةَ وَقُلْنَ وَمَا يُدْرِينَا لَعَلَّ ذَلِكَ كَانَتْ رُخْصَةً لِسَالِمٍ وَحْدَهُ.
It was narrated from Zainab bint Abi Salamah:
that the wives of the Prophet all differed with 'Aishah and refused to allow anyone with ties of breastfeeding like Salim, the freed salve of Abu Hudhaifah, to enter upon them. They said: “How do we know? That may be a concession granted only to Salim.”
পরিচ্ছেদঃ মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১১৯৮. যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেছেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহ ধর্মিনী উম্মু হাবীবা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর পিতা আবূ সুফইয়ান ইবনু হারব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ইন্তেকালের পর আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি ডেকে সুগন্ধি আনলেন। এতে হলদে রং এর জাফরানী বা এ জাতীয় আতর ছিল। তিনি একটি বালিকার গায়ে তা লাগালেন। এরপরে স্বীয় গন্ডদ্বায়ে তা লাগালেন। তারপর বললেন, আমার এই সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। কিন্তু আমি রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ্ ও শেষদিনে ঈমান রাখে তার পক্ষে হালাল নয় কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিনদিনের অধিক শোক পালন করা। তবে স্বামীর জন্য চারমাস দশ দিন। - ইরওয়া ২১১৪, সহিহ আবু দাউদ ১৯৯০, ১৯৯১, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
قَالَ قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَدَعَتْ بِطِيبٍ فِيهِ صُفْرَةُ خَلُوقٍ أَوْ غَيْرُهُ فَدَهَنَتْ بِهِ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثَةِ أَيَّامٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " .
Humaid bin Nafi narrated that :
Zainab bint Abi Salamah said: "I entered upon Umm Habibah, the wife of the Prophet when her father Sufyan bin Harb died. So she asked for some perfume that had something yellow saffron or something else, so a girl applied it to her and put some on her cheeks. Then she said: 'By Allah! I have no need for perfume except that I heard the Messenger of Allah saying: "It is not lawful for a woman who believers in Allah and the Last Day to mourn for the dead more than three days, except for her husband (in which case it is) four months and ten days."
পরিচ্ছেদঃ মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১১৯৯. যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, যায়নাব বিনত জাহাশ রাদিয়াল্লাহু আনহা-এর ভ্রাতা মারা যাওয়ার পর আমি তাঁর কাছে গেলাম। তিনি সুগন্ধি আনলেন এবং তা লাগালেন। পরে বললেন, আল্লাহর কসম, আমার সুগন্ধি ব্যবহারের কোন প্রয়োজন ছিল না। তবে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, যে মহিলা আল্লাহ্ ও শেষ দিনে ঈমান রাখে তার পক্ষে হালাল নয় কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন রাত্রির অধক শোক পালন করা। তবে স্বামীর জন্য চার মাস দশ দিন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১৯৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
قَالَتْ زَيْنَبُ فَدَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا فَدَعَتْ بِطِيبٍ فَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي فِي الطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثِ لَيَالٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا " .
Humaid bin Nafi narrated that :
Zainab said: "So I entered upon Zainab bint Jahsh when her brother died. She called for some perfume and put it on, then said: 'By Allah! I have no need for perfume except that I heard the Messenger of Allah said: "It is not lawful for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for the dead more than three nights, except for her husband (in which case it is) four months and ten days."
পরিচ্ছেদঃ মৃত স্বামীর স্ত্রীর ইদ্দত।
১২০০. যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, আমার মা উম্মু সালামা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে বলতে শুনেছি যে, জনৈকা মহিলা রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে। বর্তমানে তার চোখ রোগক্রান্ত। আমরা কি তাকে সুরমা ব্যবহার করাতে পারি? রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, না। বর্ণনাকারী বলেন, দুবার বা তিনবার যতবারই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অনুমতির কথা বলা হল, ততবারই তিনি বললেন, না। এরপর তিনি বললেন, এ তো হলো মাত্র চার মাস দশ দিন। অথচ জাহিলী আমলে এজন্য তোমরা বৎসরান্তে উটের বিষ্ঠা নিক্ষেপ করতে।* - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯৯৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু এর ভগ্নী ফুরায়’আ বিনত মালিক সিনান ও হাফসা বিনত উমার রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকেও হাদীস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, যায়নাব রাদিয়াল্লাহু আনহা বর্ণিত হাদীসটি হাসান-সাহীহ। সাহাবী ও অপরাপর আলিমগণের আমল এই হাদীস অনুসারে রয়েছে যে, যে মহিলার স্বামী মারা গেছে সে ইদ্দত পালনের সময় সুগন্ধি ও সাজ-সজ্জা থেকে বিরত থাকবে। এ হলো ইমাম সুফইয়ান ছাওরী, মালিক, শাফিঈ, আহমাদ ও ইসহাক (রহঃ)-এর অভিমত।
باب مَا جَاءَ فِي عِدَّةِ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا
قَالَتْ زَيْنَبُ وَسَمِعْتُ أُمِّي أُمَّ سَلَمَةَ، تَقُولُ جَاءَتِ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدِ اشْتَكَتْ عَيْنَيْهَا أَفَنَكْحَلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ " مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ كُلُّ ذَلِكَ يَقُولُ " لاَ " . ثُمَّ قَالَ " إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عَلَى رَأْسِ الْحَوْلِ " . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ فُرَيْعَةَ بِنْتِ مَالِكٍ أُخْتِ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ وَحَفْصَةَ بِنْتِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ زَيْنَبَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . - وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَغَيْرِهِمْ أَنَّ الْمُتَوَفَّى عَنْهَا زَوْجُهَا تَتَّقِي فِي عِدَّتِهَا الطِّيبَ وَالزِّينَةَ . وَهُوَ قَوْلُ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ وَمَالِكِ بْنِ أَنَسٍ وَالشَّافِعِيِّ وَأَحْمَدَ وَإِسْحَاقَ .
Humaid bin Nafi narrated that :
Zainab said: "And I heard my mother, Umm Salamah said: 'A woman came to the Messenger of Allah and she said: "O Messenger of Allah! My daughter's husband died, and she is suffering from an eye ailment, so can she use Kohl?" the Messenger of Allah said: "No" two or three time. Each time (she asked) he said "no." Then he said: "It is just a mater of four months and ten (days). During Jahliyyah one of you would throw a clump of camel dung when one year passed."
পরিচ্ছেদঃ ২৩/৩০. স্বামী ছাড়া অন্যের জন্য স্ত্রীলোকের শোক প্রকাশ।
১২৮০. যায়নাব বিনত আবূ সালামাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন সিরিয়া হতে আবূ সুফ্ইয়্যান (রাঃ)-এর মৃত্যুর খবর পৌঁছল, তার তৃতীয় দিবসে উম্মু হাবীবাহ (রাযি.) হলুদ বর্ণের সুগন্ধি আনয়ন করলেন এবং তাঁর উভয় গন্ড ও বাহুতে মথিত করলেন। অতঃপর বললেন, অবশ্য আমার এর কোন প্রয়োজন ছিল না, যদি আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে এ কথা বলতে না শুনতাম যে, স্ত্রীলোক আল্লাহ্ এবং কিয়ামতের দিবসের প্রতি ঈমান রাখে তার পক্ষে স্বামী ব্যতীত অন্য কোন মৃত ব্যক্তির জন্য তিন দিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ নয়। অবশ্য স্বামীর জন্য সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। (১২৮১, ৫৩৩৪, ৫৩৩৯, ৫৩৪৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১১৯৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২০৬)
بَاب إِحْدَادِ الْمَرْأَةِ عَلَى غَيْرِ زَوْجِهَا
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا أَيُّوبُ بْنُ مُوسَى قَالَ أَخْبَرَنِي حُمَيْدُ بْنُ نَافِعٍ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ قَالَتْ لَمَّا جَاءَ نَعْيُ أَبِي سُفْيَانَ مِنْ الشَّأْمِ دَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِصُفْرَةٍ فِي الْيَوْمِ الثَّالِثِ فَمَسَحَتْ عَارِضَيْهَا وَذِرَاعَيْهَا وَقَالَتْ إِنِّي كُنْتُ عَنْ هَذَا لَغَنِيَّةً لَوْلاَ أَنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لاَ يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا
Narrated Zainab bint Abi Salama:
When the news of the death of Abu Sufyan reached from Sham, Um Habiba on the third day, asked for a yellow perfume and scented her cheeks and forearms and said, "No doubt, I would not have been in need of this, had I not heard the Prophet (ﷺ) saying: "It is not legal for a woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for more than three days for any dead person except her husband, for whom she should mourn for four months and ten days."