পরিচ্ছেদঃ ৬৩. মুসলিম নারীর স্বামীর শোকপালনে সাজসজ্জা ত্যাগ করা
৩৫৩৭. মুহাম্মদ ইবন সালামা ও হারিছ ইবন মিসকীন (রহঃ) ... যয়নব বিনত আবু সালামা (রাঃ) এই তিনটি হাদীস বর্ণনা করেন। যয়নব (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রী উম্মে হাবীব (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তাঁর পিতা আবু সুফিয়ান ইবন হারব ইনতিকাল করেন। এ সময় উম্মে হাবীব (রাঃ) সুগন্ধি আনান। তিনি সর্বাগ্রে তা বাঁদীর গায়ে লাগান, পরে তিনি তা নিজের চেহারায় মাখলেন এবং বললেনঃ আল্লাহর শপথ! এখন আমার সুগন্ধি লাগাবার কোন প্রয়োজন ছিল না; কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
এরপর আমি যায়নব বিনতু জাহশ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হলাম, যখন তার ভাই ইনতিকাল করেছিল। তিনি সুগন্ধি লাগিয়ে বললেনঃ আল্লাহর শপথ ! এখন আমার সুগন্ধির প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিম্বরে দাঁড়িয়ে বলতে শুনেছিঃ যে নারী আল্লাহ্ এবং আখিরাতের উপর ঈমান রাখে, তার জন্য কোন মৃতের উদ্দেশে তিন দিনের অধিক শোক করা উচিত নয়। কিন্তু সে নিজ স্বামীর মৃত্যুতে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে।
যয়নব (রাঃ) বলেনঃ আমি উম্মে সালামা (রাঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ এক মহিলা রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলতে লাগলোঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আমার কন্যার স্বামী মারা গেছে এবং তার চোখে ব্যথা, যদি আপনি অনুমতি দেন তবে আমি তার চোখে সুরমা লাগাতে পারি। তিনি বললেনঃ সুরমা লাগাবে না। এখন তো শুধু চার মাস দশদিন শোক করতে হয়, অথচ জাহিলী যুগে এরূপ নারী এক বছর পর গোবর ছিটাতো।
হুমাইদ ইবন নাফে’ (রহঃ) বলেন, আমি যায়নবকে জিজ্ঞাসা করলামঃ গোবর ছিটাবার অর্থ কী? যয়নব (রাঃ) বর্ণনা করলেন, জাহিলী যুগে যে নারীর স্বামীর মৃত্যু হতো, সে নারী এক ক্ষুদ্র অন্ধকার প্রকোষ্টে প্রবেশ করতো। আর সে নিকৃষ্ট কাপড় পরিধান করতো, এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে সে কোন প্রকার সুগন্ধি লাগাতো না, এক বছর পর গাধা, বকরী অথবা অন্য কোন পাখী তার কাছে আনা হতো। পরে সে ঐ জানওয়ারকে নিজের শরীরে মর্দন করতো, ফলে ঐ জন্তু মারা যেত। তারপর সে বের হতো। এরপর তাকে উটের গোবর দেয়া হতো এবং সে তা ছিটাতো। পরে সুগন্ধি মাখতো, অথবা মনে যা চাইতো, তা করতো।
تَرْكُ الزِّينَةِ لِلْحَادَّةِ الْمُسْلِمَةِ دُونَ الْيَهُودِيَّةِ وَالنَّصْرَانِيَّةِ
أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ وَالْحَارِثُ بْنُ مِسْكِينٍ قِرَاءَةً عَلَيْهِ وَأَنَا أَسْمَعُ وَاللَّفْظُ لَهُ قَالَ أَنْبَأَنَا ابْنُ الْقَاسِمِ عَنْ مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ عَنْ حُمَيْدِ بْنِ نَافِعٍ عَنْ زَيْنَبَ بِنْتِ أَبِي سَلَمَةَ أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ بِهَذِهِ الْأَحَادِيثِ الثَّلَاثَةِ قَالَتْ زَيْنَبُ دَخَلْتُ عَلَى أُمِّ حَبِيبَةَ زَوْجِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ حِينَ تُوُفِّيَ أَبُوهَا أَبُو سُفْيَانَ بْنُ حَرْبٍ فَدَعَتْ أُمُّ حَبِيبَةَ بِطِيبٍ فَدَهَنَتْ مِنْهُ جَارِيَةً ثُمَّ مَسَّتْ بِعَارِضَيْهَا ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا قَالَتْ زَيْنَبُ ثُمَّ دَخَلْتُ عَلَى زَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ حِينَ تُوُفِّيَ أَخُوهَا وَقَدْ دَعَتْ بِطِيبٍ وَمَسَّتْ مِنْهُ ثُمَّ قَالَتْ وَاللَّهِ مَا لِي بِالطِّيبِ مِنْ حَاجَةٍ غَيْرَ أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ عَلَى الْمِنْبَرِ لَا يَحِلُّ لِامْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ تَحِدُّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلَاثِ لَيَالٍ إِلَّا عَلَى زَوْجٍ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَالَتْ زَيْنَبُ سَمِعْتُ أُمَّ سَلَمَةَ تَقُولُ جَاءَتْ امْرَأَةٌ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ ابْنَتِي تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا وَقَدْ اشْتَكَتْ عَيْنَهَا أَفَأَكْحُلُهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا ثُمَّ قَالَ إِنَّمَا هِيَ أَرْبَعَةُ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا وَقَدْ كَانَتْ إِحْدَاكُنَّ فِي الْجَاهِلِيَّةِ تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَ حُمَيْدٌ فَقُلْتُ لِزَيْنَبَ وَمَا تَرْمِي بِالْبَعْرَةِ عِنْدَ رَأْسِ الْحَوْلِ قَالَتْ زَيْنَبُ كَانَتْ الْمَرْأَةُ إِذَا تُوُفِّيَ عَنْهَا زَوْجُهَا دَخَلَتْ حِفْشًا وَلَبِسَتْ شَرَّ ثِيَابِهَا وَلَمْ تَمَسَّ طِيبًا وَلَا شَيْئًا حَتَّى تَمُرَّ بِهَا سَنَةٌ ثُمَّ تُؤْتَى بِدَابَّةٍ حِمَارٍ أَوْ شَاةٍ أَوْ طَيْرٍ فَتَفْتَضُّ بِهِ فَقَلَّمَا تَفْتَضُّ بِشَيْءٍ إِلَّا مَاتَ ثُمَّ تَخْرُجُ فَتُعْطَى بَعْرَةً فَتَرْمِي بِهَا وَتُرَاجِعُ بَعْدُ مَا شَاءَتْ مِنْ طِيبٍ أَوْ غَيْرِهِ قَالَ مَالِكٌ تَفْتَضُّ تَمْسَحُ بِهِ فِي حَدِيثِ مُحَمَّدٍ قَالَ مَالِكٌ الْحِفْشُ الْخُصُّ
It was narrated from Humaid bin Nafi' that Zainab bint Abi Salamah told him these three Hadiths. Zainab said:
"I entered upon Umm Habibah, the wife of the Prophet, when her father Abu Sufyan bin Harb died. Umm Habibah called for some perfume and put some on a young girl, then she put some on her cheeks. Then she said: 'By Allah, I do not have any need for perfume but I heard the Messenger of Allah say: It is not permissible for any woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for anyone who dies for more than three days, except for a husband, (for whom the mourning period is) four months and ten days.'"
Zainab said:
"Then I went into Zainab bint Jahsh when her brother died, and she called for some perfume and put some on. Then she said: 'By Allah, I do not have any need for perfume but I heard the Messenger of Allah say on the Minbar: It is not permissible for any woman who believes in Allah and the Last Day to mourn for anyone who dies for more than three days, except for a husband, (for whom the mourning period is) four months and ten days.'"
Zainab said:
"I heard Umm Salamah say: 'A woman came to the Messenger of Allah and said: O Messenger of Allah, my daughter's husband has died and she has a problem in her eye; can I put kohl on her? The Messenger of Allah said: No. Then he said: It is four months and ten days. During the Jahiliyyah one of you would throw a piece of dung at the end of the year.'" Humaid said: "I said to Zainab: 'What is this throwing a piece of dung at the end of the year?' She said: 'If a woman's husband died, she would enter a small room (Hifsh) and wear her worst clothes, and she would not put on perfume or anything until a year. Then an animal would be brought, a donkey or sheep or bird, and she would end her 'Iddah with it (clean herself with it), and usually any animal used for that purpose would die. Then she would come out and would be given a piece of dung which she would throw, then she would go back to whatever she wanted of perfume, etc.'" In the narration of Muhammad (bin Salamah) Malik said: Hifsh means hut.