পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৩। আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে [বলতে শুনেছি] “যাদের অন্তরে সত্য-লঙ্ঘনের প্রবণতা রয়েছে শুধু তারাই ফিতনা সৃষ্টি ও ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে মুতাশাবিহাত-এর অনুসরণ করে"- (সূরা আ-লি ইমরান ৭) আয়াত প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ তুমি তাদের দেখলে চিনে রাখবে। অধঃস্তন বর্ণনাকারী ইয়াযীদের বর্ণনায় আছেঃ তোমরা তাদের দেখলে চিনে রাখবে। তিনি দুই অথবা তিনবার এ কথা বলেছেন।
সহীহঃ বুখারী, মুসলিম।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَامِرٍ، وَهُوَ الْخَزَّازُ وَيَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ كِلاَهُمَا عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، قَالَ يَزِيدُ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، وَلَمْ يَذْكُرْ أَبُو عَامِرٍ الْقَاسِمَ قَالَتْ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ قَوْلِهِ : ( فَأَمَّا الَّذِينَ فِي قُلُوبِهِمْ زَيْعٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ ابْتِغَاءَ الْفِتْنَةِ وَابْتِغَاءَ تَأْوِيلِهِ ) قَالَ " فَإِذَا رَأَيْتِيهِمْ فَاعْرِفِيهِمْ " . وَقَالَ يَزِيدُ فَإِذَا رَأَيْتُمُوهُمْ فَاعْرِفُوهُمْ . قَالَهَا مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Aishah:
"I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about Allah's saying: So, as for those in whose hearts there is a deviation, they follow that which is not entirely clear thereof, seeking Al-Fitnah and seeking its Ta'wil (3:7). He said: 'When you see them, be aware of them.'" Yazid (one of the narrators in the chain) said: "When you see them, be aware of them' - she said it two or three times."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৪। আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, এ আয়াত বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করা হলঃ “তিনিই তোমাদের উপর এ কিতাব অবতীর্ণ করেছেন যার কিছু আয়াত মুহকাম, এগুলো কিতাবের মূল এবং অন্যগুলো মুতাশাবিহাত। যাদের মনে কুটিলতা আছে, তারাই ফিতনা সৃষ্টি এবং ভুল ব্যাখ্যার উদ্দেশে মুতাশাবিহাতের অনুসরণ করে..... শুধু বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরাই শিক্ষা গ্রহণ করে"- (সূরা আ-লি ইমরান ৭)।রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা কুরআনের মুতাশাবিহ আয়াতসমূহের অনুসারীদের দেখলে অনুধাবন করে নিবে যে, আল্লাহ তা’আলা এদেরই নামোল্লেখ করেছেন। কাজেই তোমরা তাদের পরিহার করবে।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৭৪), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি আইয়ুব (রাহঃ)-এর বরাতে ইবনু আবূ মুলাইকাহ সূত্রেও আয়িশাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসটি ইবনু আবী মুলাইকাহ হতে আয়িশাহ্ (রাযিঃ) সূত্রে একাধিক বর্ণনাকারী একই রকম বর্ণনা করেছেন। তারা তাতে আল-কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ হতে” এ কথাটি উল্লেখ করেননি। ইয়াযীদ ইবনু ইবরাহীমই এ হাদীসে “আল-কাসিম ইবনু মুহাম্মাদ"-এর নাম উল্লেখ করেছেন। ইবনু আবী মুলাইকাহ হলেন আবদুল্লাহ ইবনু উবাইদুল্লাহ ইবনু আবী মুলাইকাহ। তিনি আয়িশাহ (রাযিঃ)-এর নিকট হতেও হাদীস শুনেছেন
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو دَاوُدَ الطَّيَالِسِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ سُئِلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ هَذِهِ الآيَةِ : ( هُوَ الَّذِي أَنْزَلَ عَلَيْكَ الْكِتَابَ مِنْهُ آيَاتٌ مُحْكَمَاتٌ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا رَأَيْتُمُ الَّذِينَ يَتَّبِعُونَ مَا تَشَابَهَ مِنْهُ فَأُولَئِكَ الَّذِينَ سَمَّاهُمُ اللَّهُ فَاحْذَرُوهُمْ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَرُوِيَ عَنْ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ عَنْ عَائِشَةَ وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ وَإِنَّمَا ذَكَرَ يَزِيدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ التُّسْتَرِيُّ عَنِ الْقَاسِمِ فِي هَذَا الْحَدِيثِ . وَابْنُ أَبِي مُلَيْكَةَ هُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ سَمِعَ مِنْ عَائِشَةَ أَيْضًا .
Narrated 'Aishah:
"The Messenger of Allah (ﷺ) was asked about this Ayah: 'It is He who sent down to you the Book. In it are Ayat that are entirely clear... (3:7)' until the end of the Ayah. So the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'When you see those who seek what is not entirely clear thereof, then it is they whom Allah has described, so beware of them.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৫। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নবীগণের মধ্য হতে প্রত্যেক নবীরই কিছু সংখ্যক বন্ধু থাকেন। আমার বন্ধু হচ্ছেন আমার বাবা ও আমার প্রতিপালকের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ইবরাহীম (আঃ)। তারপর তিনি পাঠ করলেনঃ মানুষের মধ্যে তারাই ইবরাহীমের ঘনিষ্ঠতর যারা তার অনুসরণ করেছে এবং এই নবী ও যারা ঈমান এনেছে তারা। আর আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের অভিভাবক”— (সূরা আল-ইমরানঃ ৬৮)
সহীহঃ মিশকাত তাহকীক সানী (৫৭৬৯)।
মাহমুদ-আবূ নু’আইম হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবৃ্য যুহা হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। তবে তাতে মাসরুকের উল্লেখ নেই। আবূ ঈসা বলেন, এটি আবু্য যুহা-মাসরুক সূত্রে বর্ণিত হাদীসের চাইতে অনেক বেশি সহীহ। আবূয যুহার নাম মুসলিম ইবনু সুবাইহ।
আবূ কুরাইব ওয়াকী হতে, তিনি সুফিয়ান হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূয যুহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে আবূ নু’আইমের হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ সূত্রেও মাসরুকের উল্লেখ নেই।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا أَبُو أَحْمَدَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ لِكُلِّ نَبِيٍّ وُلاَةً مِنَ النَّبِيِّينَ وَإِنَّ وَلِيِّيَ أَبِي وَخَلِيلُ رَبِّي " . ثُمَّ قَرَأَ : (إِنَّ أَوْلَى النَّاسِ بِإِبْرَاهِيمَ لَلَّذِينَ اتَّبَعُوهُ وَهَذَا النَّبِيُّ وَالَّذِينَ آمَنُوا وَاللَّهُ وَلِيُّ الْمُؤْمِنِينَ ).
حَدَّثَنَا مَحْمُودٌ، حَدَّثَنَا أَبُو نُعَيْمٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَهُ وَلَمْ يَقُلْ فِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الضُّحَى عَنْ مَسْرُوقٍ وَأَبُو الضُّحَى اسْمُهُ مُسْلِمُ بْنُ صُبَيْحٍ .
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي الضُّحَى، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ أَبِي نُعَيْمٍ وَلَيْسَ فِيهِ عَنْ مَسْرُوقٍ .
Narrated 'Abdullah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Every Prophet had a Wali among the Prophets. My Wali is my father Ibrahim the Khalil of my Lord." Then he recited: Verily among mankind who have the best claim to Ibrahim, are those who followed him, and this Prophet and those who have believed. And Allah is the Wali (protector) of the believers (3:68).
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৬। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন মুসলিমের মাল-সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য মিথ্যা শপথ করবে, সে আল্লাহ তা’আলার সাথে এরূপ অবস্থায় মিলিত হবে যে, তিনি তার প্রতি অসন্তুষ্ট। আশ’আস ইবনু কাইস (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! এ হাদীস আমার সাথে সংশ্লিষ্ট।
আমার ও এক ইয়াহুদীর এক খণ্ড শরীকানা জমি ছিল। সে আমার মালিকানা অস্বীকার করে বসে। আমি তাকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট হাযির করলাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ তোমার কি কোন সাক্ষী প্রমাণ আছে? আমি বললাম, না। তিনি ইয়াহুদীকে বললেনঃ তুমি শপথ কর। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! সে এভাবে (মিথ্যা) শপথ করে তো আমার মাল নিয়ে যাবে। তখন বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ
(অনুবাদ) “যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথসমূহ তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে আখিরাতে তাদের জন্য কোন অংশ নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা না তাদের সাথে কথা বলবেন, না তাদের প্রতি তাকাবেন এবং না তাদেরকে পরিশুদ্ধ করবেন। তাদের জন্য রয়েছে মর্মম্ভুদ শাস্তি”– (সূরা আ-লি ইমরান ৭৭)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৩২৩), বুখারী (৪৫৫০), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু আবী আওফা (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ حَلَفَ عَلَى يَمِينٍ هُوَ فِيهَا فَاجِرٌ لِيَقْتَطِعَ بِهَا مَالَ امْرِئٍ مُسْلِمٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . فَقَالَ الأَشْعَثُ بْنُ قَيْسٍ فِيَّ وَاللَّهِ كَانَ ذَلِكَ كَانَ بَيْنِي وَبَيْنَ رَجُلٍ مِنَ الْيَهُودِ أَرْضٌ فَجَحَدَنِي فَقَدَّمْتُهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلَكَ بَيِّنَةٌ " . فَقُلْتُ لاَ . فَقَالَ لِلْيَهُودِيِّ " احْلِفْ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِذًا يَحْلِفَ فَيَذْهَبَ بِمَالِي فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى: ( إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ وَأَيْمَانِهِمْ ثَمَنًا قَلِيلاً ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى .
Narrated 'Abdullah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Whoever takes a false oath to deprive a Muslim of his property, he will meet Allah while He is angry with him." So Al-Ash'ath bin Qais said: "By Allah! This was about me. There was a dispute between myself and a Jewish man who denied my right, and I complained against him to the Prophet (ﷺ). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'Do you have any proof?' I said: 'No.' So he said to the Jew: 'Take an oath.' I said: 'O Messenger of Allah! If he takes an oath then I will lose my property.' So Allah, Blessed and Most High, revealed: Verily those who purchase a small gain at the cost of Allah's covenant and their oaths... until the end of the Ayah. (3:77)"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৭। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “তোমরা যা ভালোবাস তা হতে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্যলাভ করবে না”— (সূরা আ-লি ইমরান ৯২) অথবা “কে সে ব্যক্তি যে আল্লাহ তা’আলাকে উত্তম ঋণপ্রদান করবে? তিনি তার জন্য তা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন"- (সূরা আল-বাকারাহ ২৪৫) আয়াত অবতীর্ণ হলে আবূ তালহা (রাযিঃ), যার একটি ফলের বাগান ছিল, বললেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! আমার বাগানটি আল্লাহ তা’আলার পথে দান করে দিলাম। আমি গোপনে এটি দান করতে পারলে এর প্রকাশ্য ঘোষণা দিতাম না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তা বণ্টন করে দাও।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৪৮২), বুখারী (৪৫৫৪), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাদীসটি মালিক ইবনু আনাস (রাহঃ) ইসহাক ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু আবী তালহা হতে, তিনি আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بَكْرٍ السَّهْمِيُّ، حَدَّثَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( لَنْ تَنَالُوا الْبِرَّ حَتَّى تُنْفِقُوا مِمَّا تُحِبُّونَ ) أَوْ : (مَنْ ذَا الَّذِي يُقْرِضُ اللَّهَ قَرْضًا حَسَنًا ) قَالَ أَبُو طَلْحَةَ وَكَانَ لَهُ حِائِطٌ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ حَائِطِي لِلَّهِ وَلَوِ اسْتَطَعْتُ أَنْ أُسِرَّهُ لَمْ أُعْلِنْهُ . فَقَالَ " اجْعَلْهُ فِي قَرَابَتِكَ أَوْ أَقْرَبِيكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَاهُ مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ عَنْ إِسْحَاقَ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ .
Narrated Anas:
"When this Ayah was revealed: By no means shall you attain Al-Birr unless you spend of that which you love (3:92). Or, '...Who is he that will lend to Allah a goodly loan... (2:245)' Abu Talhah - who had a garden - said: 'O Messenger of Allah! My garden is for Allah, and if I was able to keep it secret I would not make it public.' So he said: 'Keep it for your relatives' or 'your close relatives.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৮। ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেনঃ এক লোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সামনে দাড়িয়ে প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসূল! (উত্তম) হাজী কে? তিনি বলেনঃ যার মাথার চুল অগোছাল ও জামা কাপড় ধুলি-মলিন হয়েছে। অপর ব্যক্তি দাড়িয়ে বললেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! উত্তম হাজ্জ কি? তিনি বললেনঃ উচ্চস্বরে (তালবিয়া) পাঠ ও রক্ত প্রবাহিত (কুরবানী) করা। অপর ব্যক্তি দাড়িয়ে বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! সাবীল (রাস্তা) বলতে কি বুঝায়? তিনি বললেনঃ পাথেয় ও যানবাহন।
অত্যন্ত দুর্বল, “আল-আজু ওয়াসসাজ্জু” “উচ্চ স্বরে তালবিয়া পাঠ ও রক্ত প্রবাহিত করা" এই অংশটুকু সহীহ। ইবনু মাজাহ (২৮৯৬)
আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি আমরা শুধু ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদ আল-খুযী আল-মন্ধীর সূত্রে ইবনু উমার হতে জেনেছি। বিশেষজ্ঞ আলিমগণের কেউ কেউ ইবরাহীম ইবনু ইয়াযীদের স্মৃতিশক্তির সমালোচনা করেছেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ عَبَّادِ بْنِ جَعْفَرٍ الْمَخْزُومِيَّ، يُحَدِّثُ عَنِ ابَنِ عُمَرَ، قَالَ قَامَ رَجُلٌ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ مَنِ الْحَاجُّ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الشَّعِثُ التَّفِلُ " . فَقَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ أَىُّ الْحَجِّ أَفْضَلُ قَالَ " الْعَجُّ وَالثَّجُّ " . فَقَامَ رَجُلٌ آخَرُ فَقَالَ مَا السَّبِيلُ يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ " الزَّادُ وَالرَّاحِلَةُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ لاَ نَعْرِفُهُ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عُمَرَ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ الْخُوزِيِّ الْمَكِّيِّ . وَقَدْ تَكَلَّمَ بَعْضُ أَهْلِ الْحَدِيثِ فِي إِبْرَاهِيمَ بْنِ يَزِيدَ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
Narrated Ibn 'Umar:
"A man stood before the Prophet (ﷺ) and said: 'Who is the (real) Hajj pilgrim, O Messenger of Allah!' He said: 'The one with dishevelled hair who smells bad.' So another man stood and said: 'Which Hajj is most virtuous, O Messenger of Allah?' He said: 'The one with loud voices and blood (of the sacrifice).' Another man stood and said: 'What is 'the means', O Messenger of Allah?' He said: 'Provisions and a mount.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
২৯৯৯। সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আসো, আমরা ডাকি আমাদের পুত্রগণকে ও তোমাদের পুত্রগণকে, আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে, আমাদের নিজেদেরকে ও তোমাদের নিজেদেরকে....." (সূরা আ-লি ইমরান ৬১) আয়াত অবতীর্ণ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’আলী, ফাতিমা ও হাসান-হুসাইন (রাযিঃ)-কে ডাকলেন এবং বললেনঃ হে আল্লাহ! এরাই আমার পরিজন।
সনদ সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا حَاتِمُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ بُكَيْرِ بْنِ مِسْمَارٍ، هُوَ مَدَنِيٌّ ثِقَةٌ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ لَمَّا أَنْزَلَ اللَّهُ هَذِهِ الآيَةَ : ( نَدْعُ أَبْنَاءَنَا وَأَبْنَاءَكُمْ ) دَعَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلِيًّا وَفَاطِمَةَ وَحَسَنًا وَحُسَيْنًا فَقَالَ " اللَّهُمَّ هَؤُلاَءِ أَهْلِي " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Amir bin Sa'd bin Abi Waqqas:
from his father who said: "When this Ayah was revealed: 'Come, let us call our sons and your sons, our women and your women... (3:61)' the Messenger of Allah (ﷺ) called 'Ali, Fatimah, Hasan and Husain and said: 'O Allah! This is my family.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০০। আবূ গালিব (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আবূ উমামা (রাযিঃ) দামিশকের সিড়ির উপর (খারিজীদের) কতগুলো মুণ্ড পড়ে থাকতে দেখলেন। আবূ উমামা (রাযিঃ) বললেন, এগুলো জাহান্নামের কুকুর এবং আসমানের চামড়ার (ছাদের) নিচে নিকৃষ্টতম নিহত এরা। আর এরা যাদেরকে হত্যা করেছে তারা উত্তম লোক। তারপর তিনি এ আয়াত পাঠ করলেন
(অনুবাদ) “সেদিন কিছু মুখ উজ্জল হবে এবং কিছু মুখ কালো হবে। যাদের মুখ কালো হবে তাদের বলা হবে, তোমরা ঈমান আনার পরও কি কুফর করেছিলে? সুতরাং তোমরা শাস্তির স্বাদ গ্রহণ কর”— (সূরা আ-লি ’ইমরান ১০৬)। আবূ গালিব (রাহঃ) বলেন, আমি আবূ উমামাহ (রাযিঃ)-কে বললাম, আপনি কি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এটা শুনেছেন? তিনি বললেন, আমি যদি এটা এক, দুই, তিন, চার, এমনকি সাতবার পর্যন্ত না শুনতাম, তাহলে তোমাদের নিকট তা বর্ণনা করতাম না।
হাসান সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১৭৬)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। আবূ গালিবের নাম হাযাওওয়ার এবং আবূ উমামা আল-বাহিলী (রাযিঃ)-এর নাম সুদাই ইবনু আজলান, তিনি বাহিলা গোত্রের নেতা।
حَدَّثَنَا أَبُو كُرَيْبٍ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الرَّبِيعِ بْنِ صَبِيحٍ، وَحَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ أَبِي غَالِبٍ، قَالَ رَأَى أَبُو أُمَامَةَ رُءُوسًا مَنْصُوبَةً عَلَى دَرَجِ مَسْجِدِ دِمَشْقَ فَقَالَ أَبُو أُمَامَةَ " كِلاَبُ النَّارِ شَرُّ قَتْلَى تَحْتَ أَدِيمِ السَّمَاءِ خَيْرُ قَتْلَى مَنْ قَتَلُوهُ " . ثُمَّ قَرَأَ : ( يَوْمَ تَبْيَضُّ وُجُوهٌ وَتَسْوَدُّ وُجُوهٌ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ قُلْتُ لأَبِي أُمَامَةَ أَنْتَ سَمِعْتَهُ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ لَوْ لَمْ أَسْمَعْهُ إِلاَّ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا أَوْ أَرْبَعًا حَتَّى عَدَّ سَبْعًا مَا حَدَّثْتُكُمُوهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ وَأَبُو غَالِبٍ يُقَالُ اسْمُهُ حَزَوَّرُ وَأَبُو أُمَامَةَ الْبَاهِلِيُّ اسْمُهُ صُدَىُّ بْنُ عَجْلاَنَ وَهُوَ سَيِّدُ بَاهِلَةَ .
Narrated Abu Ghalib:
"Abu Umamah saw heads (of the Khawarij) hanging on the streets of Damascus. He said: 'The dogs of the Fire and the worst dead people under the canopy of the heavens. The best dead men are those whom these have killed.' He then recited: On the Day when some faces will become white and some faces will become black... (3:106) until the end of the Ayah. I said to Abu Umamah: 'Did you hear it from the Messenger of Allah (ﷺ)?' He said: 'If I had not heard it but one time, or two times, or three times, or four times - until he reached seven - I would not have narrated it to you.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০১। বাহয ইবনু হাকীম (রহঃ) পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদার সূত্রে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উন্মাত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে"- (সূরা আল-ইমরান ১১০) আয়াত প্রসঙ্গে বলতে শুনেছেনঃ অবশ্যই তোমরাই দুনিয়াতে সত্তর (৭০) সংখ্যা পূর্ণকারী দল। তোমরাই আল্লাহ তা’আলার নিকট সর্বোত্তম ও মর্যাদা সম্পন্ন।
হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (৪২৮৭)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। এ হাদীসটি একাধিক বর্ণনাকারী বাহয ইবনু হাকীম (রাহঃ) হতে একই রকম বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তারা “তোমরাই শ্রেষ্ঠ উম্মাত, মানবজাতির জন্য তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে” আয়াতের উল্লেখ করেননি।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ فِي قَوْلِهِ : ( كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ) قَالَ " إِنَّكُمْ تُتِمُّونَ سَبْعِينَ أُمَّةً أَنْتُمْ خَيْرُهَا وَأَكْرَمُهَا عَلَى اللَّهِ " . هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ بَهْزِ بْنِ حَكِيمٍ نَحْوَ هَذَا وَلَمْ يَذْكُرُوا فِيهِ ( كُنْتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ ) .
Narrated Bahz bin Hakim:
from his father, from his grandfather that he heard the Prophet (ﷺ) saying about Allah, Most High saying: 'You are the best of peoples ever raised up for mankind... (3:110) He said: 'You are the completion of seventy nations, you are the best of them, and the most honorable of them to Allah."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০২। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, উহুদের যুদ্ধের দিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সামনের মাড়ির দাঁত ভেঙ্গে যায়। তার চেহারা যখম হয়, এমনকি কপালে যখম হওয়ার কারণে মুখমণ্ডলে রক্ত ঝড়ে পড়ে। তখন তিনি বললেনঃ কিভাবে ঐ জাতি সফলকাম হবে, যারা তাদের নবীর সাথে এহেন আচরণ করেছে, অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার পথে আহবান করেছেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই। কারণ তারা যালিম”— (সূরা আ-লি ইমরান ১২৮)।
সহীহঃ মুসলিম (৫/১৭৯), বুখারী মু’আল্লাকরূপে (৭/৩৬৫)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ يَوْمَ أُحُدٍ وَشُجَّ وَجْهُهُ شَجَّةً فِي جَبْهَتِهِ حَتَّى سَالَ الدَّمُ عَلَى وَجْهِهِ فَقَالَ " كَيْفَ يُفْلِحُ قَوْمٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ " . فَنَزَلَتْ : ( لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ ) إِلَى آخِرِهَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Anas:
"On the Day of Uhud, the incisors of the Prophet (ﷺ) were broken, and he had a facial wound in the area of the forehead, such that the blood flowed over his face. He said: 'How can a people that do this to their Prophet succeed, while he is calling them to Allah?' So the following was revealed: Not for you is the decision; whether He turns in mercy towards them or punished them... (3:128) until its end."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৩। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, (উহুদের দিন) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মুখমণ্ডল আঘাতপ্রাপ্ত হয় এবং তার সামনের মাড়ির দাঁত ভেঙ্গে যায়। তার কাধের উপর একটি তীর নিক্ষিপ্ত হয়। ফলে তার মুখমণ্ডল বেয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকলে তিনি তা মুছে ফেলছিলেন এবং বলছিলেনঃ সেই জাতি কিভাবে নাজাত পেতে পারে, যারা তাদের নবীর সাথে এহেন নির্মম আচরণ করে, অথচ তিনি তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার দিকে আহবান করছেন। তখনি বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ (অনুবাদ) “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই। কারণ তারা যালিম”— (সূরা আ-লি ইমরান:১২৮)।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আমি আবদ ইবনু হুমাইদকে বলতে শুনেছি, এই হাদীস বর্ণনায় ইয়াযীদ ইবনু হারূন ভুলের শিকার হয়েছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، قَالاَ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شُجَّ فِي وَجْهِهِ وَكُسِرَتْ رَبَاعِيَتُهُ وَرُمِيَ رَمْيَةً عَلَى كَتِفِهِ فَجَعَلَ الدَّمُ يَسِيلُ عَلَى وَجْهِهِ وَهُوَ يَمْسَحُهُ وَيَقُولُ " كَيْفَ تُفْلِحُ أُمَّةٌ فَعَلُوا هَذَا بِنَبِيِّهِمْ وَهُوَ يَدْعُوهُمْ إِلَى اللَّهِ " . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ ) . سَمِعْتُ عَبْدَ بْنَ حُمَيْدٍ يَقُولُ غَلِطَ يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ فِي هَذَا . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Anas:
"The face of the Messenger of Allah (ﷺ) was wounded, his incisors were broken, and he was struck by an arrow on his shoulder. While blood was flowing over his face and he was wiping it, he said: 'How can a nation succeed while they are doing this to their Prophet and he is calling them to Allah?' So Allah, Most High revealed: Not for you is the decision; whether He turns in mercy towards them or punishes them; verily they are the wrongdoers (3:128)."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৪। সালিম ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ “হে আল্লাহ! আবূ সুফইয়ানের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ আল-হারিস ইবনু হিশামের প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন। হে আল্লাহ! সাফওয়ান ইবনু উমাইয়্যার প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করুন।” বর্ণনাকারী বলেন, তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি দিবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই.....”— (সূরা আ-লি ইমরান ১২৮)। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদের তওবাু কুবুল করেন এবং তারা ইসলাম গ্রহণ করে উত্তম মুসলিম হন।
সহীহঃ বুখারী (৪০৬৯)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। উমার ইবনু হামযা কর্তৃক সালিম (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে এটিকে গারীব গণ্য করা হয়। যুহরী ও সালিম হতে, তার পিতার সূত্রে এটি বর্ণনা করেছেন। মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (আল-বুখারী) এটি উমার ইবনু হামযাহ্ কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হিসেবে অবহিত নন। তিনি এটি যুহরী কর্তৃক বর্ণিত হাদীস হিসেবে অবহিত আছেন।
حَدَّثَنَا أَبُو السَّائِبِ، سَلْمُ بْنُ جُنَادَةَ بْنِ سَلْمٍ الْكُوفِيُّ حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ بَشِيرٍ، عَنْ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ " اللَّهُمَّ الْعَنْ أَبَا سُفْيَانَ اللَّهُمَّ الْعَنِ الْحَارِثَ بْنَ هِشَامٍ اللَّهُمَّ الْعَنْ صَفْوَانَ بْنَ أُمَيَّةَ " . قَالَ فَنَزَلَتْ : (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ ) فَتَابَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ فَأَسْلَمُوا فَحَسُنَ إِسْلاَمُهُمْ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ يُسْتَغْرَبُ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ . وَقَدْ رَوَاهُ الزُّهْرِيُّ عَنْ سَالِمٍ عَنْ أَبِيهِ لَمْ يَعْرِفْهُ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ مِنْ حَدِيثِ عُمَرَ بْنِ حَمْزَةَ وَعَرَفَهُ مِنْ حَدِيثِ الزُّهْرِيِّ .
Narrated Salim bin 'Abdullah bin 'Umar:
from his father: "On the Day of Uhud, the Messenger of Allah (ﷺ) said: 'O Allah! Curse Abu Sufyan! O Allah! Curse Al-Harith bin Hisham! O Allah! Curse Safwan bin Umayyah!' He said: 'So the following was revealed: Not for you is the decision; whether He turns in mercy towards them [or punishes them] (3:128).' So Allah turned in mercy towards them, they accepted Islam and their (adherence to) Islam was good."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৫। ’আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, চারজন ব্যক্তিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বদদু’আ করছিলেন। এ সম্পর্কেই বারকতাময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “তিনি তাদের প্রতি ক্ষমাশীল হবেন অথবা তাদেরকে শাস্তি প্রদান করবেন এ বিষয়ে তোমার করণীয় কিছু নেই। কারণ তারা যালিম”— (সূরা আ-লি ইমরান:১২৮)। অতঃপর আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে ইসলাম গ্রহণের তাওফীক দান করেছিলেন।
হাসান সহীহঃ বুখারী (৪০৬৯, ৪০৭০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। এটিকে নাফি (রহঃ) কর্তৃক ইবনু উমর (রাযিঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীস হিসেবে গারীব গণ্য করা হয়। এ হাদীসটি ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুবও ইবনু আজলানের সূত্রে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَجْلاَنَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَدْعُو عَلَى أَرْبَعَةِ نَفَرٍ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (لَيْسَ لَكَ مِنَ الأَمْرِ شَيْءٌ أَوْ يَتُوبَ عَلَيْهِمْ أَوْ يُعَذِّبَهُمْ فَإِنَّهُمْ ظَالِمُونَ ) فَهَدَاهُمُ اللَّهُ لِلإِسْلاَمِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ يُسْتَغْرَبُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ وَرَوَاهُ يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ عَنِ ابْنِ عَجْلاَنَ .
Narrated 'Abdullah bin 'Umar:
"The Messenger of Allah (ﷺ) was supplicating against four people, so Allah, Blessed and Most High, revealed: Not for you is the decision; whether He turns in mercy towards them or punishes them; verily they are the wrongdoers (3:128). So Allah guided them to Islam."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৬। আসমা ইবনুল হাকাম আল-ফাযারী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আলী (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছিঃ আমি এমন লোক ছিলাম যে, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট কোন হাদীস শুনলে আল্লাহ তা’আলার ইচ্ছায় আমি তার দ্বারা প্রভূত উপকৃত হতাম। আর আমার নিকট তার কোন সাহাবী হাদীস বর্ণনা করলে আমি তাকে শপথ করতে বলতাম। আমার কথায় তিনি শপথ করলে, আমি তার সত্যতা স্বীকার করতাম। অতএব আবূ বকর (রাযিঃ) আমার নিকট হাদীস বর্ণনা করেন। বলা বাহুল্য, আবূ বকর (রাযিঃ) সত্য কথাই বলেছেন।
তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ কোন লোক যদি গুনাহ করার পর পবিত্রতা অর্জন করে নামায আদায় করে, তারপর আল্লাহ তা’আলার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে তবে তাকে আল্লাহ তা’আল। অবশ্যই ক্ষমা করে দেন। তারপর তিনি এ আয়াত পড়েন (অনুবাদ) “যাদের অবস্থা এমন যে, তারা কখনো অশ্লীল কর্ম করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি যুলুম করলে পরে আল্লাহ তা’আলাকে স্মরণ করে এবং নিজেদের গুনাহের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে (তাদেরকে ক্ষমা করা হয়)। আল্লাহ তা’আলা ব্যতীত কে গুনাহ মাফ করতে পারে? আর তারা যা করে ফেলেছে জ্ঞাতসারে তার পুনরাবৃত্তি করে না”— (সূরা আলি ইমরান-১৩৫)।
হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (১৩৯৫)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উসমান ইবনুল মুগীরাহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে শুবাহ প্রমুখ বর্ণনাকারীগণ মারফুরূপে বর্ণনা করেছেন। মিস’আর ও সুফইয়ানও উসমান ইবনুল মুগীরার সূত্রে এটি রিওয়ায়াত করেছেন, তবে মারফু হিসেবে নয়। কিছু বর্ণনাকারী এই হাদীসটি মিস’আর হতে মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন, আর কিছু বর্ণনাকারী মারফু’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। সুফইয়ান সাওরী তা উসমান ইবনুল মুগীরাহ হতে মাওকুফ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। উক্ত হাদীস ব্যতীত আসমা ইবনুল হাকাম কর্তৃক বর্ণিত আর কোন হাদীস আমাদের জানা নেই।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ الْفَزَارِيِّ، قَالَ سَمِعْتُ عَلِيًّا، يَقُولُ إِنِّي كُنْتُ رَجُلاً إِذَا سَمِعْتُ مِنْ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدِيثًا نَفَعَنِي اللَّهُ مِنْهُ بِمَا شَاءَ أَنْ يَنْفَعَنِي وَإِذَا حَدَّثَنِي رَجُلٌ مِنْ أَصْحَابِهِ اسْتَحْلَفْتُهُ فَإِذَا حَلَفَ لِي صَدَّقْتُهُ وَإِنَّهُ حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرٍ وَصَدَقَ أَبُو بَكْرٍ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَا مِنْ رَجُلٍ يُذْنِبُ ذَنْبًا ثُمَّ يَقُومُ فَيَتَطَهَّرُ ثُمَّ يُصَلِّي ثُمَّ يَسْتَغْفِرُ اللَّهَ إِلاَّ غَفَرَ لَهُ " . ثُمَّ قَرَأَ هَذِهِ الآيَةَ : (وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ قَدْ رَوَاهُ شُعْبَةُ وَغَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَرَفَعُوهُ وَرَوَاهُ مِسْعَرٌ وَسُفْيَانُ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَلَمْ يَرْفَعَاهُ وَقَدْ رَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ مِسْعَرٍ فَأَوْقَفَهُ وَرَفَعَهُ بَعْضُهُمْ وَرَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَأَوْقَفَهُ وَلاَ نَعْرِفُ لأَسْمَاءَ بْنِ الْحَكَمِ حَدِيثًا إِلاَّ هَذَا .
Narrated Asma bin Al-Hakam Al-Farazi:
"I heard 'Ali saying: 'Indeed I am a man who, when I hear a Hadith from the Messenger of Allah (ﷺ), then Allah causes me to benefit from it as much as He wills for me to benefit from it. When a man among his Companions narrates to me I ask him to swear an oath to me, about it, and when he swears an oath to me I trust him. And Abu Bakr narrated to me - and Abu Bakr told the truth - he said: "I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying: 'There is no man who commits a sin, then stands for purification, then performs Salat, then seeks forgiveness from Allah, except that Allah forgives him.' Then he recites this Ayah: Those who, when they have committed Fahishah or wronged themselves with evil, remember Allah... (3:135) until the end of the Ayah."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৭। আনাস (রাযিঃ) হতে আবূ তালহা (রাযিঃ)-এর সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, উহুদের দিন আমি মাথা তুলে তাকিয়ে দেখলাম, সকলে তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে নিজ নিজ ঢালের নিচে ঢলে পড়েছেন। আল্লাহ তা’আলার নিম্নোক্ত বাণীর তাৎপর্য তাইঃ “দুঃখ-কষ্টের পর আবার আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে তন্দ্রারূপে প্রশান্তি দান করলেন”-(সূরা আ-লি ইমরান ১৫৪)
সনদ সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদ ইবনু হুমাইদ-রাওহ ইবনু উবাদাহ্ হতে, তিনি হাম্মাদ ইবনু সালামাহ্ হতে, তিনি হিশাম ইবনু উরওয়াহ হতে, তিনি তার বাবা হতে, তিনি আবূয যুবাইর (রহঃ) হতেও উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنْ أَبِي طَلْحَةَ، قَالَ رَفَعْتُ رَأْسِي يَوْمَ أُحُدٍ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ وَمَا مِنْهُمْ يَوْمَئِذٍ أَحَدٌ إِلاَّ يَمِيدُ تَحْتَ حَجَفَتِهِ مِنَ النُّعَاسِ فَذَلِكَ قَوْلُهُ عَزَّ وَجَلََّّ : (فَأَنْزَلَ عَلَيْكُمْ مِنْ بَعْدِ الْغَمِّ أَمَنَةً نُعَاسًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ، عَنْ حَمَّادِ بْنِ سَلَمَةَ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ الزُّبَيْرِ، مِثْلَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Anas:
that Abu Talhah said: "I raised my head to look around on the Day of Uhud, and there was not one of them that day except that he was swaying under his shield due to drowsiness. Allah said about that: Then He sent down upon you - after the distress - a slumber of security (3:154).
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৮। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, আবূ তালহা (রাযিঃ) বলেন, উহুদের যুদ্ধের দিন যুদ্ধের কাতারে আমরা তন্দ্রাগ্রস্ত হয়ে পড়ি। তিনি বলেন, আমিও সেদিন তন্দ্রাচ্ছন্ন লোকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলাম। ফলে বারবার আমার তরবারি আমার হাত হতে পড়ে যাচ্ছিল আর আমি তা তুলে নিচ্ছিলাম। আবার পড়ে যাচ্ছিল আবার তুলে নিচ্ছিলাম। অপর দলটি ছিল মুনাফিকদের। তাদের নিজ জানের চিন্তা ব্যতীত আর কোন চিন্তাই ছিল না। এরা ছিল সবচেয়ে কাপুরুষ ও ভীরু এবং সত্যের সাহায্য ত্যাগকারী।
সহীহঃ বুখারী (৪০৮৬, ৪৫৬২)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
ইবনু আবী উমার-সুফইয়ান হতে তিনি আতা ইবনু আস সাইব হতে তিনি আবূ উবাইদা হতে এই সূত্রে ইবনু মাসউদ হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন, তাতে আরও অতিরিক্ত আছে "আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নিকট সালাম পৌছাবে আর তাকে জানাবে আমরা সন্তুষ্ট এবং আমাদের প্রতিও সন্তুষ্ট।
সনদ দুর্বল
حَدَّثَنَا يُوسُفُ بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الأَعْلَى بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى، عَنْ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ أَبَا طَلْحَةَ، قَالَ غُشِينَا وَنَحْنُ فِي مَصَافِّنَا يَوْمَ أُحُدٍ حَدَّثَ أَنَّهُ كَانَ فِيمَنْ غَشِيَهُ النُّعَاسُ يَوْمَئِذٍ قَالَ فَجَعَلَ سَيْفِي يَسْقُطُ مِنْ يَدِي وَآخُذُهُ وَيَسْقُطُ مِنْ يَدِي وَآخُذُهُ وَالطَّائِفَةُ الأُخْرَى الْمُنَافِقُونَ لَيْسَ لَهُمْ هَمٌّ إِلاَّ أَنْفُسُهُمْ أَجْبَنُ قَوْمٍ وَأَرْعَبُهُ وَأَخْذَلُهُ لِلْحَقِّ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Anas:
that Abu Talhah said: "We were overcome, and we were in our positions on the Day of Uhud," and he narrated that he was among those who were overcome with slumber on that day. He said: "My sword kept falling from my hand and I would pick it up and it would fall from my hand and I would pick it up (again). The other party was that of the hypocrites, they had no concern but themselves, the most cowardly of people, the most frightened, fleeing from the truth."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০০৯। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) বলেন, “অন্যায়ভাবে কোন বস্তু আত্মসাৎ করা কোন নবীর কাজ হতে পারে না”— (সূরা আ-লি ইমরান ১৬১) আয়াত বাদর যুদ্ধকালে হারিয়ে যাওয়া একটি লাল চাদর প্রসঙ্গে অবতীর্ণ হয়েছে। কেউ কেউ বলল যে, হয়ত তা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিয়েছেন। এ প্রসঙ্গেই বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “খিয়ানাত (আত্মসাৎ) করা কোন নবীর কাজ হতে পারে না। আর যে ব্যক্তি খিয়ানাত করবে, কিয়ামতের দিন সে তার খিয়ানাতসহ হাযির হবে। তারপর প্রত্যেক ব্যক্তিই তার কৃতকর্মের পুরাপুরি প্রতিফল লাভ করবে। কারো প্রতি যুলুম করা হবে না”— (সূরা আ-লি ইমরান ১৬১)।
সহীহঃ সহীহাহ (২৭৮৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবদুস সালাম ইবনু হারব (রহঃ) খুসাইফির সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন। কেউ কেউ খুসাইফ হতে, তিনি মিকসাম হতে এই সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তাতে ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ خُصَيْفٍ، حَدَّثَنَا مِقْسَمٌ، قَالَ قَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( وَمَا كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ) فِي قَطِيفَةٍ حَمْرَاءَ افْتُقِدَتْ يَوْمَ بَدْرٍ . فَقَالَ بَعْضُ النَّاسِ لَعَلَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَذَهَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ كَانَ لِنَبِيٍّ أَنْ يَغُلَّ ) إِلَى آخِرِ الآيَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رَوَى عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ عَنْ خُصَيْفٍ نَحْوَ هَذَا وَرَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ خُصَيْفٍ عَنْ مِقْسَمٍ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ .
Narrated Khusaif:
from Miqsam that Ibn 'Abbas said: "This Ayah: It is not for a Prophet to illegally take a part of the booty... (3:161) was revealed about a red robe that was missing from the Day of Badr. Some of the people said: 'Perhaps the Messenger of Allah (ﷺ) took it.' So Allah, Blessed and Most High, revealed: It is not for a Prophet to illegally take a part of the booty... until the end of the Ayah."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০১০। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার সাথে সাক্ষাৎ করে আমাকে বললেনঃ হে জাবির! কি ব্যাপার, আমি তোমাকে ভগ্নহৃদয় দেখছি কেন? আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার আব্বা (উহুদের যুদ্ধে) শহীদ হয়েছেন এবং অসহায় পরিবার-পরিজন ও কর্জ রেখে গেছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা কিভাবে তোমার আব্বার সাথে মিলিত হয়েছেন আমি কি তোমাকে সেই সুসংবাদ দিব না? আমি বললাম, হ্যাঁ, হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা কখনো কারো সাথে তার পর্দার অন্তরাল ব্যতীত (সরাসরি) কথা বলেননি কিন্তু তিনি তোমার বাবাকে জীবন দান করে তার সাথে সরাসরি কথা বলেছেন।
তাকে তিনি বললেনঃ তুমি আমার নিকট (যা ইচ্ছা) চাও, আমি তোমাকে তা দান করব। সে বলল, হে প্ৰভু! আপনি আমাকে জীবনদান করুন, যাতে আমি আবার আপনার রাহে নিহত হতে পারি। বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলা বললেনঃ আমার পক্ষ থেকে আগে হতেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়ে আছে যে, তারা আবার (দুনিয়ায়) ফিরে যাবে না। এ প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “যারা আল্লাহ তা’আলার পথে নিহত হয়েছে, তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করো না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে তারা রিযিকপ্রাপ্ত”– (সূরা আ-লি ইমরান ১৬৯)।
হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (১৯০, ২৮০০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি উপরোক্ত সনদসূত্রে হাসান গারীব। ’আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীল (রাহঃ) জাবির (রাযিঃ)-এর সূত্রে এ হাদীসের অংশবিশেষ বর্ণনা করেছেন। এটিকে আমরা মূসা ইবনু ইবরাহীমের সূত্রে জেনেছি। আলী ইবনু আবদুল্লাহ আল-মাদীনীসহ অপরাপর হাদীসবিদগণ মূসা ইবনু ইবরাহীমের সূত্রে একই রকম রিওয়ায়াত করেছেন।
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبِ بْنِ عَرَبِيٍّ، حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ كَثِيرٍ الأَنْصَارِيُّ، قَالَ سَمِعْتُ طَلْحَةَ بْنَ خِرَاشٍ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ لَقِيَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ لِي " يَا جَابِرُ مَا لِي أَرَاكَ مُنْكَسِرًا " . قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ اسْتُشْهِدَ أَبِي قُتِلَ يَوْمَ أُحُدٍ وَتَرَكَ عِيَالاً وَدَيْنًا . قَالَ " أَفَلاَ أُبَشِّرُكَ بِمَا لَقِيَ اللَّهُ بِهِ أَبَاكَ " . قَالَ قُلْتُ بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " مَا كَلَّمَ اللَّهُ أَحَدًا قَطُّ إِلاَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ وَأَحْيَا أَبَاكَ فَكَلَّمَهُ كِفَاحًا فَقَالَ يَا عَبْدِي تَمَنَّ عَلَىَّ أُعْطِكَ . قَالَ يَا رَبِّ تُحْيِينِي فَأُقْتَلَ فِيكَ ثَانِيةً . قَالَ الرَّبُّ عَزَّ وَجَلَّ إِنَّهُ قَدْ سَبَقَ مِنِّي أَنَّهُمْ إِلَيْهَا لاَ يُرْجَعُونَ " . قَالَ وَأُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : (وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ وَرَوَاهُ عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْمَدِينِيِّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ مِنْ كِبَارِ أَهْلِ الْحَدِيثِ هَكَذَا عَنْ مُوسَى بْنِ إِبْرَاهِيمَ . وَقَدْ رَوَى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ عَنْ جَابِرٍ شَيْئًا مِنْ هَذَا .
Narrated Musa bin Ibrahim bin Kathir Al-Ansari:
"I heard Talhah bin Khirash say: 'I heard Jabir bin 'Abdullah saying: "The Messenger of Allah (ﷺ) met me and said to me: 'O Jabir! Why do I see you upset?' I said: 'O Messenger of Allah! My father was martyred (on the Day of Uhud) leaving my family and debt behind.'" "He (ﷺ) said: 'Shall I give you news of what your father met Allah with?'" He said: "But of course O Messenger of Allah!" He said: 'Allah does not speak to anyone except from behind a veil, but He brought your father to speak to Him directly. He said: "[O My slave!] Do you wish that I give you anything?" He said: 'O Lord! Give me life so that I may fight for You a second time.' So the Lord [Blessed and Most High] said: 'It has been decreed by Me that they shall not return (21:95).' He said: "So this Ayah was revealed: Think not of those as dead who are killed in the way of Allah (3:169)."
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০১১। ’আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, নিম্নোক্ত আয়াত বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলঃ (অনুবাদ) “যারা আল্লাহ তা’আলার পথে নিহত হয়েছে তোমরা তাদেরকে মৃত মনে করে না, বরং তারা জীবিত এবং তাদের প্রতিপালকের নিকট হতে রিযিকপ্রাপ্ত”– (সূরা আ-লি ইমরান ১৬৯)।
তিনি বললেন, আমরাও অবশ্য এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলাম। আমাদেরকে অবহিত করা হয় যে, জান্নাতের মধ্যে তাদের রূহগুলো সবুজ পাখির আকারে যথা ইচ্ছা ঘুরে বেড়ায়, আরশের সাথে ঝুলানো ঝাড়বাতিসমূহে (বসে) আরাম করে। একবার তোমার প্রভু তাদের প্রতি উকি দিয়ে প্রশ্ন করেনঃ তোমরা আরো কিছু চাও কি? তাহলে আমি তোমাদের আরো বাড়িয়ে দিব। তারা বলল, হে আমাদের প্রভু! আমরা এর চাইতে বেশি আর কি চাইব। আমরা জান্নাতের মধ্যে যেখানে ইচ্ছা ঘুরে বেড়াচ্ছি।
আল্লাহ তা’আলা আবার উকি দিয়ে বলেনঃ তোমাদের আরো কিছু চাওয়ার আছে কি, তাহলে আমি আরো বাড়িয়ে দিব। যখন তারা দেখলো যে, কিছু চাওয়া ব্যতীত তাদের রেহাই নেই তখন তারা বলল, আপনি আমাদের দেহে প্রাণ সঞ্চার করে দিন যাতে আমরা আবার দুনিয়ায় ফিরে যেতে পারি এবং আবার আপনার পথে পুনরায় শহীদ হতে পারি।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৮০১), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُرَّةَ، عَنْ مَسْرُوقٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، أَنَّهُ سُئِلَ عَنْ قَوْلِهِ : (وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا بَلْ أَحْيَاءٌ عِنْدَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ ) فَقَالَ أَمَا إِنَّا قَدْ سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَأُخْبِرْنَا أَنَّ أَرْوَاحَهُمْ فِي طَيْرٍ خُضْرٍ تَسْرَحُ فِي الْجَنَّةِ حَيْثُ شَاءَتْ وَتَأْوِي إِلَى قَنَادِيلَ مُعَلَّقَةٍ بِالْعَرْشِ فَاطَّلَعَ إِلَيْهِمْ رَبُّكَ اطِّلاَعَةً فَقَالَ هَلْ تَسْتَزِيدُونَ شَيْئًا فَأَزِيدُكُمْ قَالُوا رَبَّنَا وَمَا نَسْتَزِيدُ وَنَحْنُ فِي الْجَنَّةِ نَسْرَحُ حَيْثُ شِئْنَا ثُمَّ اطَّلَعَ إِلَيْهِمُ الثَّانِيَةَ فَقَالَ هَلْ تَسْتَزِيدُونَ شَيْئًا فَأَزِيدُكُمْ فَلَمَّا رَأَوْا أَنَّهُمْ لَمْ يُتْرَكُوا قَالُوا تُعِيدُ أَرْوَاحَنَا فِي أَجْسَادِنَا حَتَّى نَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا فَنُقْتَلَ فِي سَبِيلِكَ مَرَّةً أُخْرَى . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Masruq:
from 'Abdullah that he was asked about Allah's saying: Think not of those as dead who are killed in the way of Allah. Nay they are alive, with their Lord (3:169). So he said: "As for us, we asked about that, and we were informed that their souls are in green birds wandering in Paradise wherever they wish, returning to lamps hanging from the Throne. Your Lord looks at them and says: 'Do you want anything more that We may grant you more?' They say: 'Our Lord! What more could we have when we are in Paradise wandering wherever we want' Then He looks at them a second time and says: "Do you want anything more that We may grant you more?' When they realize that they will not be left alone with that, they say: 'Return our souls to our bodies, so that we may return to the world to be killed in Your cause another time.'"
পরিচ্ছেদঃ ৪. সূরা আ’লি ইমরান
৩০১২। আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে লোক তার সম্পদের যাকাত প্রদান করে না, আল্লাহ তা’আলা কিয়ামতের দিন তার (মালকে তার) ঘাড়ে বিষধর অজগর সাপরূপে স্থাপন করবেন। তারপর তিনি এই কথার সত্যতা প্রমাণে আল্লাহ তা’আলার কিতাবের এ আয়াত আমাদেরকে শুনান (অনুবাদ) “তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা নিজ অনুগ্রহে যা দান করেছেন তাতে যারা কৃপণতা করে তারা যেন মনে না করে যে, এটা তাদের পক্ষে কল্যাণকর। না, এটা তাদের পক্ষে অকল্যাণকর। যাতে তারা কৃপণতা করে কিয়ামতের দিন তাই তাদের গলার বেড়ি হবে। আসমান ও যমীনের স্বত্বাধিকার একমাত্র আল্লাহ তা’আলার জন্য। তোমরা যা কর আল্লাহ তা’আলা তা বিশেষভাবে অবহিত”– (সূরা আ-লি ইমরান ১৮০)।
বর্ণনাকার কখনো বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সমর্থনে এ আয়াতাংশ পাঠ করেন (অনুবাদ) “যাতে তারা কৃপণতা করে কিয়ামতের দিন তা তাদের গলায় বেড়ী হবে।” তিনি আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথের মধ্যেমে তার মুসলিম ভাইয়ের মাল আত্মসাৎ করে, সে আল্লাহ তা’আলার সাথে এরূপ অবস্থায় মিলিত হবে যে, আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট। এর সত্যতার সমর্থনে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার কিতাবের এ আয়াত পাঠ করেন (অনুবাদ) “যারা আল্লাহ তা’আলার সাথে কৃত প্রতিশ্রুতি এবং নিজেদের শপথসমূহকে তুচ্ছ মূল্যে বিক্রয় করে, পরকালে তাদের জন্য কোন অংশ নেই। কিয়ামতের দিন আল্লাহ তা’আলা না তাদের সাথে কথা বলবেন, না তাদের প্রতি তাকাবেন, আর না তাদেরকে পবিত্র করবেন। তাদের জন্য রয়েছে উৎপীড়ক শাস্তি”— (সূরা আ-লি ইমরান ৭৭)।
সহীহঃ মুশকিলাতুল ফাকর (৬০), তা’লীকুর রাগীব (১/৬৮) হাদীসের ২য় অংশ বুখারী (৭৪৪৫), মুসলিম (১/৮৬)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। “শুজা’আন আকরাআ” অর্থ সাপ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ جَامِعٍ، وَهُوَ ابْنُ أَبِي رَاشِدٍ وَعَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَعْيَنَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، يَبْلُغُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَا مِنْ رَجُلٍ لاَ يُؤَدِّي زَكَاةَ مَالِهِ إِلاَّ جَعَلَ اللَّهُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ فِي عُنُقِهِ شُجَاعًا " . ثُمَّ قَرَأَ عَلَيْنَا مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ : (وَلَاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ يَبْخَلُونَ بِمَا آتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ فَضْلِهِ ) الآيَةَ . وَقَالَ مَرَّةً قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ : (سَيُطَوَّقُونَ مَا بَخِلُوا بِهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ ) " وَمَنِ اقْتَطَعَ مَالَ أَخِيهِ الْمُسْلِمِ بِيَمِينٍ لَقِيَ اللَّهَ وَهُوَ عَلَيْهِ غَضْبَانُ " . ثُمَّ قَرَأَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مِصْدَاقَهُ مِنْ كِتَابِ اللَّهِ : (إِنَّ الَّذِينَ يَشْتَرُونَ بِعَهْدِ اللَّهِ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَمَعْنَى قَوْلِهِ شُجَاعًا أَقْرَعَ يَعْنِي حَيَّةً .
Narrated Abu Wa'il:
"'Abdullah [bin Mas'ud] narrating from the Prophet (ﷺ) that he said: 'There is no person who does not pay the Zakat due on his wealth but on the Day of Resurrection Allah will make a Shuja'a around his neck.' Then he recited the Ayah for us from the Book of Allah, the Mighty and Sublime, testifying to that: And let not those who are stringy with that which Allah has bestowed on them of His bounty... (3:180) And another time he said: 'Testifying to that, the Messenger of Allah (ﷺ) recited: On the Day of Resurrection, the things that they were stingy with... (3:180)' and whoever deprives his Muslim brother of his wealth by swearing, then he shall meet Allah while He is angry with him.' Then testifying to that, the Messenger of Allah (ﷺ) recited the Ayah from Allah's Book: Verily, those who purchase a small gain at the cost of Allah's covenant (3:77)."