পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৫৫। আবূ মূসা আল-আশ’আরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা’আলা পৃথিবীর সর্বত্র হতে এক মুঠো মাটি নিয়ে আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করেছেন। তাই আদম-সন্তানরা মাটির বৈশিষ্ট্য প্রাপ্ত হয়েছে। যেমন তাদের কেউ লাল, কেউ সাদা, কেউ কালো বর্ণের আবার কেউ বা এসবের মাঝামাঝি, কেউ বা নরম ও কোমল প্রকৃতির। আবার কেউ কঠোর প্রকৃতির, কেউ মন্দ স্বভাবের, আবার কেউ বা ভালো চরিত্রের।
সহীহঃ মিশকাত (১০০), সহীহাহ (১৬৩০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ أَبِي عَدِيٍّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الْوَهَّابِ، قَالُوا حَدَّثَنَا عَوْفُ بْنُ أَبِي جَمِيلَةَ الأَعْرَابِيِّ، عَنْ قَسَامَةَ بْنِ زُهَيْرٍ، عَنْ أَبِي مُوسَى الأَشْعَرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى خَلَقَ آدَمَ مِنْ قَبْضَةٍ قَبَضَهَا مِنْ جَمِيعِ الأَرْضِ فَجَاءَ بَنُو آدَمَ عَلَى قَدْرِ الأَرْضِ فَجَاءَ مِنْهُمُ الأَحْمَرُ وَالأَبْيَضُ وَالأَسْوَدُ وَبَيْنَ ذَلِكَ وَالسَّهْلُ وَالْحَزْنُ وَالْخَبِيثُ وَالطَّيِّبُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Musa Al-Ash'ari:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Indeed Allah Most High created Adam from a handful that He took from all of the earth. So the children of Adam come in according with the earth, some of them come red, and white and black, and between that, and the thin, the thick, the filthy, and the clean."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৫৬। আবূ হুরাইরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহ তা’আলার বাণী “তোমরা সিজদাবনত শিরে প্রবেশ করো"- (সূরা বাকারাহ ৫৮)-এর ব্যাখ্যায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তারা (বনী ইসরাঈল) তাদের নিতম্বে ভর করে দরজা দিয়ে প্রবেশ করেছিল।
একই সনদে “কিন্তু যারা অন্যায় করেছিল, তারা তাদের যা বলা হয়েছিল তার পরিবর্তে অন্য কথা বলল”— (সূরা আল-বাকারাহঃ ৫৯) এ আয়াত প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তারা (হিত্তাতুন-এর পরিবর্তে) বলেছিল, “হাব্বাতুন ফী শারাতিন” যবের মধ্যকার শস্যদানা’।
সহীহঃ বুখারী (৪৪৭৯), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ هَمَّامِ بْنِ مُنَبِّهٍ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : (ادْخُلُوا الْبَابَ سُجَّدًا ) قَالَ " دَخَلُوا مُتَزَحِّفِينَ عَلَى أَوْرَاكِهِمْ " .
وَبِهَذَا الإِسْنَادِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلمَ : (فَبَدَّلَ الَّذِينَ ظَلَمُوا قَوْلاً غَيْرَ الَّذِي قِيلَ لَهُمْ ) قَالَ " قَالُوا حَبَّةٌ فِي شَعْرَةٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Abu Hurairah:
that the Messenger of Allah (ﷺ) said, regarding Allah's saying: Enter the gate in prostration (2:58): "They entered dragging their behinds" meaning they distorted it, and with this chain, from the Prophet (ﷺ): But those who did wrong changed the word from that which had been told to them for another (2:59) - "They said: Habbah (a seed) in Sha'irah (in barely)."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৫৭। আবদুল্লাহ ইবনু আমির ইবনু রাবী’আহ (রহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক অন্ধকার রাতে আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে সফরে ছিলাম। আমরা ধারণা করতে পারছিলাম না কিবলাহ কোন দিকে হবে। কাজেই আমাদের সকলেই নিজ নিজ ধারণা মোতাবিক কিবলার দিক নির্ধারণ করে নামায আদায় করে। আমরা বিষয়টি সকাল বেলা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উত্থাপন করলাম। তখন নাযিল হয়ঃ “তোমরা যে দিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ তা’আলার চেহারা”— (সূরা বাকারাহঃ ১১৫)।
হাসানঃ ইবনু মা-জাহ (১০২০)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি গারীব। আমরা আশ’আস আস-সাম্মান আবুর রাবী বর্ণনাকারী কর্তৃক আসিম ইবনু উবাইদুল্লাহর হাদিস ব্যতীত আর কারো নিকট হতে এটিকে অবহিত নই। আর আশ’আসকে হাদীস শাস্ত্রে দুর্বল বলে অভিহিত করা হয়েছে।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا أَشْعَثُ السَّمَّانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَامِرِ بْنِ رَبِيعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرِهِ فِي لَيْلَةٍ مُظْلِمَةٍ فَلَمْ نَدْرِ أَيْنَ الْقِبْلَةُ فَصَلَّى كُلُّ رَجُلٍ مِنَّا عَلَى حِيَالِهِ فَلَمَّا أَصْبَحْنَا ذَكَرْنَا ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ : (أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ أَشْعَثَ السَّمَّانِ أَبِي الرَّبِيعِ عَنْ عَاصِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ . وَأَشْعَثُ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ .
Narrated 'Abdullah bin 'Amir bin Rabi'ah:
from his father who said: "We were with the Messenger of Allah (ﷺ) on a journey on a very dark night and we did not know where the Qiblah was. So each man among us prayed in his own direction. In the morning when we mentioned that to the Messenger of Allah (ﷺ), then the following was revealed: "So wherever you turn, there is the Face of Allah. (2:115)"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৫৮। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কা হতে মদীনায় ফেরার পথে তার সাওয়ারী তাকে নিয়ে যে অভিমুখে অগ্রসর হত তিনি সেদিকে ফিরেই নফল নামায আদায় করতেন। তারপর ইবনু উমর (রাযিঃ) এই আয়াত পাঠ করেনঃ পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহ তা’আলারই। অতএব তোমরা যেদিকেই মুখ ফিরাও সেদিকই আল্লাহ তা’আলার চেহারা”— (সূরা আল-বাকারাহ ১১৫)। ইবনু উমর (রাযিঃ) বলেন, এ প্রসঙ্গেই উক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। কাতাদাহ্ (রহঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি এ আয়াত প্রসঙ্গে বলেন যে, এর নির্দেশ রহিত (মানসূখ) হয়ে গেছে। রহিতকারী (নাসিখ) আয়াতটি হলঃ “অতএব তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও”— (সূরা আল-বাকারাহ ১৪৪)। শাতরাল মসজিদিল হারাম" অর্থাৎ “কাবার দিকে”।
তার এই মত নিম্নোক্ত সূত্রে বর্ণিত হয়েছেঃ মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল মালিক ইবনু আবূশ শাওয়ারিব-ইয়াযীদ ইবনু যুরাইহ হতে, তিনি সাঈদ হতে, তিনি কাতাদাহ (রাহঃ) হতে। মুজাহিদ (রাহঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, তিনি ফাছাম্মা ওয়াজহুল্লাহ" অর্থ করেছেন, “ফাসাম্মা কিবলাতুল্লাহ" (সেদিকেই আল্লাহ তা’আলার কিবলাহু রয়েছে)। তার এই মত নিম্নোক্ত সূত্রে বর্ণিতঃ আবূ কুরাইব মুহাম্মাদ ইবনুল আল-ওয়াকী হতে, তিনি নাযর ইবনু আরাবী হতে, তিনি মুজাহিদ (রাহঃ) হতে।
সানাদ সহীহ, মাকতু।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ، قَالَ سَمِعْتُ سَعِيدَ بْنَ جُبَيْرٍ، يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي عَلَى رَاحِلَتِهِ تَطَوُّعًا حَيْثُمَا تَوَجَّهَتْ بِهِ وَهُوَ جَاءٍ مِنْ مَكَّةَ إِلَى الْمَدِينَةِ ثُمَّ قَرَأَ ابْنُ عُمَرَ هَذِهِ الآيَةَ : (وَلِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ ) الآيَةَ . قَالَ ابْنُ عُمَرَ فَفِي هَذَا أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
وَيُرْوَى عَنْ قَتَادَةَ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِِ : ()ولله الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ فَأَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ) قَالَ قَتَادَةُ هِيَ مَنْسُوخَةٌ نَسَخَهَا قَوْلُهُ : (فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ) أَىْ تِلْقَاءَهُ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ عَنْ سَعِيدٍ عَنْ قَتَادَةَ .
وَيُرْوَى عَنْ مُجَاهِدٍ، فِي هَذِهِ الآيَةِ : (أَيْنَمَا تُوَلُّوا فَثَمَّ وَجْهُ اللَّهِ ) قَالَ فَثَمَّ قِبْلَةُ اللَّهِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ أَبُو كُرَيْبٍ مُحَمَّدُ بْنُ الْعَلاَءِ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ عَنِ النَّضْرِ بْنِ عَرَبِيٍّ عَنْ مُجَاهِدٍ بِهَذَا .
Narrated Ibn 'Umar:
"The Messenger of Allah (ﷺ) would perform voluntary Salat upon his mount facing whichever direction he was headed, while he was coming from Makkah to Al-Madinah." Then Ibn 'Umar recited: To Allah belong both the east and the west. (2:115)" And Ibn 'Umar said: "It was about this that the Ayah was revealed."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৫৯। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা যদি মাকামে ইবরাহীমের পেছনে নামায আদায় করতাম (তাহলে ভালো হত)। এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয়ঃ “তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে (ইবরাহীমের দাড়াবার স্থানকে) নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ কর”— (সূরা আল-বাকারাহ ১২৫)।
সহীহঃ বুখারী (৪৪৮৩), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مِنْهَالٍ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ حُمَيْدٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ عُمَرَ، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ لَوْ صَلَّيْنَا خَلْفَ الْمَقَامِ فَنَزَلَتْ : (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Anas:
that 'Umar bin Al-Khattab said: "O Messenger of Allah (ﷺ)! I wish that we could perform Salat behind the Maqam: So the following was revealed: And take you the Maqam of Ibrahim as a place of Salat. (2:125)."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬০। আনাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "উমার ইবনুল খাত্তাব (রাযিঃ) বলেছেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি মাকামে ইবরাহীমকে যদি নামাযের জায়গা হিসেবে গ্রহণ করতেন! এ প্রসঙ্গেই অবতীর্ণ হয়ঃ “ওয়াত্তাখিযু মিম মাকামি ইবরাহীমা মুসাল্লা”। তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের জায়গা বানিয়ে নাও।
সহীহঃ বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ইবনু উমার (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُمَيْدٌ الطَّوِيلُ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ قَالَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قُلْتُ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَوِ اتَّخَذْتَ مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى فَنَزَلَتْ : (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عُمَرَ .
Narrated Anas:
that 'Umar bin Al-Khattab [may Allah be pleased with him] said: "I said: 'O Messenger of Allah (ﷺ)! I wish that you could perform Salat behind the Maqam of Ibrahim.' So the following was revealed: And take you the Maqam of Ibrahim as a place of Salat."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬১। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বাণী “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি" (সূরা বাকারাহ ১৪৩) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ ওয়াসাতান অর্থ আদলান (ন্যায়নিষ্ঠ)।
সহীহঃ বুখারী (৪৪৮৭), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবূ সাঈদ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (কিয়ামত দিবসে) নূহ (আঃ)-কে ডেকে বলা হবে, তুমি কি (তোমার সম্প্রদায়কে আল্লাহ তা’আলার বাণী) পৌছে দিয়েছিলে? তিনি বলবেনঃ হ্যাঁ।
তারপর তার সম্প্রদায়কে ডেকে প্রশ্ন করা হবেঃ তিনি কি তোমাদের নিকট (আল্লাহ তা’আলার বাণী) পৌছিয়েছিলেন? তারা বলবে, আমাদের নিকট কোন সতর্ককারী আসেনি। আমাদের নিকট কেউই আসেনি। তখন তাকে বলা হবে, আপনার সাক্ষী কারা? তিনি বলবেনঃ মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তার উন্মাতগণ।
তারপর তোমাদেরকে ডেকে আনা হবে। তোমরা সাক্ষ্য দিবে যে, নিশ্চয়ই তিনি (দাওয়াত) পৌঁছে দিয়েছিলেন। তার প্রামাণ হচ্ছে বারাকাতময় আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ “এভাবে আমি তোমাদেরকে এক ন্যায়নিষ্ঠ জাতিরূপে প্রতিষ্ঠিত করেছি। যাতে তোমরা মানব জাতির জন্য সাক্ষীস্বরূপ এবং রাসূল তোমাদের সাক্ষীস্বরূপ হবে”— (সূরা আল-বাকুরাহ ১৪৩)।
সহীহঃ বুখারী (৪৪৮৭)।
মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার-জাফার ইবনু ’আওন হতে, তিনি আমাশ (রাহঃ) হতে এই সূত্রেও একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : (كََذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا ) قَالَ " عَدْلاً " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، أَخْبَرَنَا الأَعْمَشُ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " يُدْعَى نُوحٌ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغْتَ فَيَقُولُ نَعَمْ . فَيُدْعَى قَوْمُهُ فَيُقَالُ هَلْ بَلَّغَكُمْ فَيَقُولُونَ مَا أَتَانَا مِنْ نَذِيرٍ وَمَا أَتَانَا مِنْ أَحَدٍ . فَيَقُولُ مَنْ شُهُودُكَ فَيَقُولُ مُحَمَّدٌ وَأُمَّتُهُ . قَالَ فَيُؤْتَى بِكُمْ تَشْهَدُونَ أَنَّهُ قَدْ بَلَّغَ فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ : ( وَكَذَلِكَ جَعَلْنَاكُمْ أُمَّةً وَسَطًا لِتَكُونُوا شُهَدَاءَ عَلَى النَّاسِ وَيَكُونَ الرَّسُولُ عَلَيْكُمْ شَهِيدًا ) وَالْوَسَطُ الْعَدْلُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ، عَنِ الأَعْمَشِ، نَحْوَهُ .
Narrated Abu Sa'eed:
that about Allah's saying: Thus we have made you a Wasata nation (2:143) - the Prophet (ﷺ) said: "The meaning of Wasata is just."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬২। আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় পদার্পণ করে ষোল বা সতের মাস পর্যন্ত বাইতুল মাকদিসের দিকে (ফিরে) নামায আদায় করেন। কিন্তু রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বার দিকে (মুখ করে) নামায আদায় করার আগ্রহ পোষণ করতেন। এ প্রেক্ষিতেই আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “আকাশের দিকে তোমার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্যই লক্ষ্য করেছি। কাজেই আমি তোমাকে অবশ্যই এমন কিবলার দিকে ফিরিয়ে দিচ্ছি যা তুমি পছন্দ কর। অতএব তুমি মাসজিদুল হারামের দিকে তোমার মুখ ফিরাও”— (সূরা আল-বাক্কারাহঃ ১৪৫)। ফলে কাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়া হলো। আর তিনি এটাই পছন্দ করতেন।
এক লোক তার সাথে আসরের নামায আদায় করে একদল আনসারীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। তারা তখন বাইতুল মাকদিসের দিকে (মুখ করে) আসরের নামাযের রুকূতে ছিল। তিনি বললেন, এই লোকটি সাক্ষ্য দিচ্ছে যে, সে রাসূলুল্লাহ -এর সাথে নামায আদায় করে এসেছে। আর প্রকৃত অবস্থা এই যে, (নামাযে) কাবার দিকে মুখ ফিরানো হয়েছে। তারাও তৎক্ষণাৎ রুকূ’ অবস্থায়ই (কাবার দিকে) ঘুরে যান।
সহীহঃ সিফাতুস সালাত, বুখারী (৪৪৯২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। সুফইয়ান সাওরীও এটি আবূ ইসহাক হতে বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ لَمَّا قَدِمَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: ( قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ فَلَنُوَلِّيَنَّكَ قِبْلَةً تَرْضَاهَا فَوَلِّ وَجْهَكَ شَطْرَ الْمَسْجِدِ الْحَرَامِ ) فَوَجَّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ وَكَانَ يُحِبُّ ذَلِكَ فَصَلَّى رَجُلٌ مَعَهُ الْعَصْرَ قَالَ ثُمَّ مَرَّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الأَنْصَارِ وَهُمْ رُكُوعٌ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَقَالَ هُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّهُ قَدْ وُجِّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ قَالَ فَانْحَرَفُوا وَهُمْ رُكُوعٌ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ .
Narrated Al-Bara bin 'Azib:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) arrived in Al-Madinah, he performed Salat facing the direction of Bait Al-Maqdis (Jerusalem) for sixteen or seventeen months. The Messenger of Allah (ﷺ) longed to face toward the Ka'bah, so Allah, Might and Sublime is He revealed: Verily, WE have seen the turning of your face towards the heave. Surely, We Shall turn your face in the direction of Al-Masjid Al-Haram (2:144). So he faced the direction of the Ka'bah and he longed for that. (One day) a man performed Salat Al-'Asr along with him." He said: "Then he passed by some people of the Ansar performing Salat Al-'Asr, while they were bowing toward Bait Al-Maqdis. He told them that he testifies that he performed Salat with the Messenger of Allah (ﷺ), and he had faced the direction of the Ka'bah." He said: "So they turned while they were bowing."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৩। ইবনু উমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, তারা (কুবা মসজিদে) ফজরের নামাযে রুকু অবস্থায় ছিলেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, ইরওয়াহ (২৯০), বুখারী (৪৪৮৮), মুসলিম।
এ অনুচ্ছেদে আমর ইবনু আওফ আল-মুযানী, ইবনু উমার, উমারাহ ইবনু আওস ও আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতেও হাদীস বর্ণিত আছে। আবূ ঈসা বলেন, ইবনু উমর (রাযিঃ)-এর বর্ণিত হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ كَانُوا رُكُوعًا فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ الْمُزَنِيِّ وَابْنِ عُمَرَ وَعُمَارَةَ بْنِ أَوْسٍ وَأَنَسِ بْنِ مَالِكٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ibn 'Umar:
"They were bowing during Salat Al-Fajr."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৪। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কাবার দিকে ফিরিয়ে দেয়া হলে সাহাবীগণ তাকে প্রশ্ন করেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের যেসব ভাই বাইতুল মাকদিসের দিকে (ফিরে) নামায আদায় করা অবস্থায় মারা গেছেন তাদের কি হবে? আল্লাহ তা’আলা তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের ঈমানকে বিনষ্ট করেন না”— (সূরা আল-বাকারাহঃ ১৪৩)।
সহীহ লিগাইরিহীঃ তা’লীকাতু হাসান (১৭১৪), বুখারী।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَأَبُو عَمَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَمَّا وُجِّهَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِلَى الْكَعْبَةِ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ كَيْفَ بِإِخْوَانِنَا الَّذِينَ مَاتُوا وَهُمْ يُصَلُّونَ إِلَى بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ: (وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُضِيعَ إِيمَانَكُمْ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"When the Prophet (ﷺ) began facing the Ka'bah they said: 'O Messenger of Allah! How about our brothers who died while they were praying toward Bait Al-Maqdis?' So Allah Most High revealed: Allah would not allow your faith to be wasted. (2:143)"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৫। উরওয়া (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাযিঃ)-কে বললাম, যে ব্যক্তি সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ (সাঈ) করেনি আমি তাতে সমস্যা মনে করি না। আমি নিজেও এ দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ না করতে কোন পরোয়া করি না। আয়িশাহ্ (রাযিঃ) বললেন, হে আমার বোন পুত্র! তুমি যা বললে তা খুবই অন্যায় কথা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে এই দুই পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ করেছেন, মুসলিমরাও এর তাওয়াফ করেছেন। তবে মুশাল্লাল’ নামক স্থানে স্থাপিত মানাত নামক প্রতিমার নামে যেসব কাফির ইহরাম বাধতো তারা সাফা ও মারওয়ার তাওয়াফ করত না।
অতঃপর বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “যে লোক বাইতুল্লাহর হজ্জ করে বা উমরা করে এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে তাওয়াফ করায় তার কোন সমস্যা নেই”- (সূরা আল-বাকারাহ ১৫৮)। তোমাদের কথাই যদি সঠিক হত, তাহলে এভাবে বলা হতঃ “ফালা জুনাহা আলাইহি আল-লা ইয়াত্তাওয়াফা বিহিমা” (এই পাহাড়দ্বয়ের মাঝে তাওয়াফ না করাতে কোন সমস্যা নেই)।
যুহরী (রাহঃ) বলেন, আমি আবূ বকর ইবনু আবদুর রাহমান ইবনুল হারিস ইবনু হিশামের নিকট এটি বর্ণনা করলে তিনি খুবই আনন্দিত হন এবং বলেন, এটা তো হল ইলমের (জ্ঞানের) কথা! আমি বহু আলিমকে বলতে শুনেছি, যেসব আরববাসী সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ করে না তারা বলে, এ দুটি পাহাড়ের মাঝে তাওয়াফ করা জাহিলী যুগের প্রথা। অপর দিকে কিছু সংখ্যক আনসারী বলত, আমাদেরকে বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করার আদেশ করা হয়েছে এবং সাফা-মারওয়ার মাঝে তাওয়াফের আদেশ দেয়া হয়নি। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করলেনঃ “নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নির্দেশনসমূহের অন্তর্ভুক্ত”– (সূরা আল-বাকারাহ ১৫৮)।
আবূ বকর ইবনু আবদুর রাহমান বলেন, আমার মতে উপরোক্ত উভয় দলের প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৯৮৬), বুখারী (৪৪৯৫), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، قَالَ سَمِعْتُ الزُّهْرِيَّ، يُحَدِّثُ عَنْ عُرْوَةَ، قَالَ قُلْتُ لِعَائِشَةَ مَا أَرَى عَلَى أَحَدٍ لَمْ يَطُفْ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ شَيْئًا وَمَا أُبَالِي أَنْ لاَ أَطَّوَّفَ بَيْنَهُمَا . فَقَالَتْ بِئْسَمَا قُلْتَ يَا ابْنَ أُخْتِي طَافَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَطَافَ الْمُسْلِمُونَ وَإِنَّمَا كَانَ مَنْ أَهَلَّ لِمَنَاةَ الطَّاغِيَةِ الَّتِي بِالْمُشَلَّلِ لاَ يَطُوفُونَ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ) وَلَوْ كَانَتْ كَمَا تَقُولُ لَكَانَتْ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ لاَ يَطَّوَّفَ بِهِمَا قَالَ الزُّهْرِيُّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لأَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ فَأَعْجَبَهُ ذَلِكَ وَقَالَ إِنَّ هَذَا لَعِلْمٌ وَلَقَدْ سَمِعْتُ رِجَالاً مِنْ أَهْلِ الْعِلْمِ يَقُولُونَ إِنَّمَا كَانَ مَنْ لاَ يَطَّوَّفُ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ مِنَ الْعَرَبِ يَقُولُونَ إِنَّ طَوَافَنَا بَيْنَ هَذَيْنِ الْحَجَرَيْنِ مِنْ أَمْرِ الْجَاهِلِيَّةِ وَقَالَ آخَرُونَ مِنَ الأَنْصَارِ إِنَّمَا أُمِرْنَا بِالطَّوَافِ بِالْبَيْتِ وَلَمْ نُؤْمَرْ بِهِ بَيْنَ الصَّفَا وَالْمَرْوَةِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ) قَالَ أَبُو بَكْرِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ فَأُرَاهَا قَدْ نَزَلَتْ فِي هَؤُلاَءِ وَهَؤُلاَءِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Az-Zuhri:
that 'Urqah said: "I said to 'Aishah: 'I do not see anything wrong if someone does not go between As-Safa and Al-Marwah, nor any harm if I do not go between them.' She said: 'How horrible is what you have said O my nephew! The Messenger of Allah (ﷺ) would go between them, and the Muslims go between them. It was only that the people who assumed Ihram in the name of the false deity Mannah, which was in Al-Mushallal, would not go between As-Safa and Al-Marwah. So, Allah Blessed and Most High revealed: So it is not a sin for those who perform Hajj or go 'Umrah to the House to go between them (2:158). And if it were as you say, then it would be: "Then there is no harm on him if he does not go between them." Az-Zuhri said: "I mentioned that to Abu Bakr bin 'Abdur-Rahman bin Al-Harith bin Hisham. He was surprised at that and he said: 'Indeed this is knowledge. I had heard some men among the people of knowledge saying that those Arabs who would not go between As-Safa and Al-Marwah said, that going between these two rocks is a matter from Jahiliyyah. And others among the Ansar said: "We have only been ordered with going around the House, we were not ordered to do so with As-Safa and Al-Marwah." So Allah Most High revealed: Indeed As-Safa and Al-Marwah are of the symbols of Allah...' (2.158) Abu Bakr bin 'Abdur-Rahman said: 'So I thought that it was revealed about these people, and those people.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৬। আসিম আল-আওয়াল (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ)-কে সাফা ও মারওয়া প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেন, এ দু’টি (পাহাড়) ছিল জাহিলিয়াতের নিদর্শন। ইসলামের আবির্ভাব হলে আমরা এতদুভয়ের মাঝে সাঈ করা হতে বিরত থাকলাম। তখন বারকাতময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “সাফা ও মারওয়া হল আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। অতএব বাইতুল্লাহর হজ্জকারী বা উমরাকারী ব্যক্তির জন্য এতদুভয়ের মাঝে তাওয়াফ করাতে কোন সমস্যা নেই”- (সূরা আল-বাকারাহ ১৫৮)। আনাস (রাযিঃ) বলেন, এটা হল নফল ইবাদাত। আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ “কেউ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ তা’আলা তো গুণগ্রাহী ও সর্বজ্ঞ” (সূরা আল-বাকুরাহ ১৫৮)।
সহীহঃ বুখারী (৪৪৯৬), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এই হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ أَبِي حَكِيمٍ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، قَالَ سَأَلْتُ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ عَنِ الصَّفَا، وَالْمَرْوَةِ، فَقَالَ كَانَا مِنْ شَعَائِرِ الْجَاهِلِيَّةِ فَلَمَّا كَانَ الإِسْلاَمُ أَمْسَكْنَا عَنْهُمَا فَأَنْزَلَ اللَّهُ : ( إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ فَمَنْ حَجَّ الْبَيْتَ أَوِ اعْتَمَرَ فَلاَ جُنَاحَ عَلَيْهِ أَنْ يَطَّوَّفَ بِهِمَا ) قَالَ هُمَا تَطَوُّعٌ (فَمَنْ تَطَوَّعَ خَيْرًا فَإِنَّ اللَّهَ شَاكِرٌ عَلِيمٌ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Asim Al-Ahwal:
"I asked Anas bin Malik about As-Safa and Al-Marwah, and he said: 'They were among the rites of Jahiliyyah.' He said: 'So during Islam, we refrained from them, then Allah, Blessed and Most High, revealed: Indeed As-Safa and Al-Marwah are of the symbols of Allah. So it is not a sin for those who perform Hajj or 'Umrah to the house to go between them. (2:158)' He said: 'So it is voluntarily then verily, Allah is the All-Recogniser, the All-Knowing. (2:158)'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৭। জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন মক্কায় এলেন, তখন সাতবার বাইতুল্লাহর তাওয়াফ করলেন। তখন আমি তাকে এ আয়াত পাঠ করতে শুনলাম (অনুবাদ) “তোমরা ইবরাহীমের দাঁড়াবার স্থানকে নামাযের স্থানরূপে গ্রহণ কর”— (সূরা আল-বাকারাহ ১২৫)। তারপর তিনি মাকামে ইবরাহীমের পিছনে নামায আদায় করলেন, তারপর হাজরে আসওয়াদের নিকট এসে তাতে চুমু দিলেন, তারপর বললেনঃ আল্লাহ তা’আলা প্রথমে যা উল্লেখ করেছেন আমরা তা হতে শুরু করব। অতঃপর তিনি তিলাওয়াত করলেনঃ “সাফা ও মারওয়া আল্লাহ তা’আলার নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত"- (সূরা আল-বাকারাহ ১৫৮)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (২৯৬০), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ جَعْفَرِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حِينَ قَدِمَ مَكَّةَ طَافَ بِالْبَيْتِ سَبْعًا فَقَرَأَ : (وَاتَّخِذُوا مِنْ مَقَامِ إِبْرَاهِيمَ مُصَلًّى ) فَصَلَّى خَلْفَ الْمَقَامِ ثُمَّ أَتَى الْحَجَرَ فَاسْتَلَمَهُ ثُمَّ قَالَ " نَبْدَأُ بِمَا بَدَأَ اللَّهُ بِهِ " . وَقَرَأَ : (إِنَّ الصَّفَا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعَائِرِ اللَّهِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Jabir bin 'Abdullah:
"When the Messenger of Allah (ﷺ) arrived in Makkah, performing Tawaf around the House seven times, I heard him reciting: And take the Maqam of Ibrahim as a place of prayer (2:125). So he performed Salat behind the Maqam, then he came to the (Black) Stone, then he said: 'We begin with what Allah began with.' So he began at As-Safa and recited: Indeed As-Safa and Al-Marwah are among the Symbols of Allah (2:158)."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৮। আল-বারাআ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীগণের এ নিয়ম ছিল যে, কোন রোযাদার ইফতারের পূর্বে ঘুমিয়ে পড়লে তিনি সেই রাত ও পরবর্তী দিনে কিছু খেতেন না, এভাবে পরবর্তী সন্ধ্যা পর্যন্ত অভুক্ত থাকতেন।
একবার কাইস ইবনু সিরমাহ আল-আনসারী (রাযিঃ) রোযা অবস্থায় ছিলেন। ইফতারের সময় উপস্থিত হলে তিনি তার স্ত্রীর নিকট এসে বললেন, কোন খাবার আছে কি? তার স্ত্রী বললেন, না। তবে আমি আপনার জন্য কিছু খুঁজে আনতে যাচ্ছি। কাইস (রাযিঃ) ঐ দিন কায়িক পরিশ্রম করেছিলেন। তাই তিনি ঘুমিয়ে পড়লেন। তার স্ত্রী এসে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বললেন, আপনার জন্য আফসোস! পরবর্তী দিন দুপুর হলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এ ঘটনা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট বর্ণনা করা হলে তখন নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়
(অনুবাদ) ’রোযার রাতে তোমাদের জন্য স্ত্রী সম্ভোগ হালাল করা হল” (সূরাঃ আল-বাকারাহ ১৮৭)। এতে তারা অত্যন্ত আনন্দিত হলেন। আয়াতের শেষাংশ নিম্নরূপ (অনুবাদ) “রাতের কালো রেখা হতে ভোরের সাদা রেখা স্পষ্টরূপে তোমাদের নিকট প্রতিভাত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা পানাহার কর”— (সূরা আল-বাকারাহ ১৮৭)।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (২০৩৪), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ، قَالَ كَانَ أَصْحَابُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِذَا كَانَ الرَّجُلُ صَائِمًا فَحَضَرَ الإِفْطَارُ فَنَامَ قَبْلَ أَنْ يُفْطِرَ لَمْ يَأْكُلْ لَيْلَتَهُ وَلاَ يَوْمَهُ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنَّ قَيْسَ بْنَ صِرْمَةَ الأَنْصَارِيَّ كَانَ صَائِمًا فَلَمَّا حَضَرَهُ الإِفْطَارُ أَتَى امْرَأَتَهُ فَقَالَ هَلْ عِنْدَكِ طَعَامٌ قَالَتْ لاَ وَلَكِنْ أَنْطَلِقُ فَأَطْلُبُ لَكَ . وَكَانَ يَوْمَهُ يَعْمَلُ فَغَلَبَتْهُ عَيْنُهُ وَجَاءَتْهُ امْرَأَتُهُ فَلَمَّا رَأَتْهُ قَالَتْ خَيْبَةً لَكَ . فَلَمَّا انْتَصَفَ النَّهَارُ غُشِيَ عَلَيْهِ فَذَكَرَ ذَلِكَ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( أُحِلَّ لَكُمْ لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَى نِسَائِكُمْ ) فَفَرِحُوا بِهَا فَرَحًا شَدِيدًا : (فَكُلُوا وَاشْرَبُوا حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Al-Bara bin 'Azib:
"It was the custom among the Companions of Muhammad (ﷺ), that if any of them was fasting and the food was presented but he had slept before eating, he would not eat that night, nor the following day until the evening. Qais bin Sirmah Al-Ansari fasted and came to his wife at the time of Iftar, and said to her: 'No, but I will go and bring something for you.' He worked during the day, so his eyes (sleep) overcame him. Then his wife came, and when she saw him she said: 'You shall be disappointed.' About the middle of the next day he fainted. That was mentioned to the Prophet (ﷺ), so this Ayah was revealed: 'It is made lawful for you to have sexual relations with your women on the night of the fasts. So they were very happy about that. 'And eat and drink until the white thread (light) of dawn appears distinct to you from the black thread (of night). (2:187)'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৬৯। নুমান ইবনু বাশীর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তা’আলার বাণী “তোমাদের প্রভু বলেন, তোমরা আমাকে ডাকো আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব”— (সূরা মু’মিন ৬০) প্রসঙ্গে বলেছেনঃ দু’আও একটি ইবাদাত। তারপর তিনি পাঠ করলেনঃ "তোমাদের প্রভু বলেন, তোমারা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব। যারা অহংকারবশে আমার ইবাদাতে বিমুখ, তারা লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে” (সূরা মু’মিন ৬০)।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (৩৮২৮)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ ذَرٍّ، عَنْ يُسَيْعٍ الْكِنْدِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي قَوْلِهِ : (وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ) قَالَ " الدُّعَاءُ هُوَ الْعِبَادَةُ " . وَقَرَأَ :( وَقَالَ رَبُّكُمُ ادْعُونِي أَسْتَجِبْ لَكُمْ ) إِلَى قَوْلِهِ ( دَاخِرِينَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated An-Nu'man bin Bashir:
from the Prophet (ﷺ) regarding Allah's saying: Your Lord said: Invoke Me, I shall respond to you (40:60, it appears that the author intended to apply it to Al-Baqarah 2:186). - he said: "The supplication is the worship." And he recited: 'Your Lord said: Invoke Me, I shall respond to you.' up to His saying: 'in humiliation.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৭০। আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’হাত্তা ইয়াতাবাইয়্যানা লাকুমুল খাইতুল-আবইয়াযু মিনাল-খাইতিল আসওয়াদি মিনাল-ফাজরি”— (সূরা বাকারাহ ১৮৭) আয়াত অবতীর্ণ হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেনঃ এখানে খাইতুল আবইয়াযি মিনাল খাইতিল আসওয়াদি বলতে “রাতের অন্ধকার ও দিনের আলো” বুঝানো হয়েছে।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (২০৩৪), বুখারী (৪৫১০), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আহমাদ ইবনু মানী’-হুশাইম হতে, তিনি মুজালিদ হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا حُصَيْنٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، أَخْبَرَنَا عَدِيُّ بْنُ حَاتِمٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : ( حَتَّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ مِنَ الْفَجْرِ ) قَالَ لِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " إِنَّمَا ذَاكَ بَيَاضُ النَّهَارِ مِنْ سَوَادِ اللَّيْلِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، حَدَّثَنَا مُجَالِدٌ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مِثْلَ ذَلِكَ .
Narrated 'Adi bin Hatim:
"When 'Until the white (light) thread of dawn appears distinct to you from the black thread (of night)' was revealed, the Prophet (ﷺ) said to me: 'That only refers to the whiteness of the day from the blackness of the night.'"
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৭১। ’আদী ইবনু হাতিম (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রোযা বিষয়ে (সাহরীর সময়সীমা প্রসঙ্গে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে প্রশ্ন করলাম। তিনি বললেনঃ কালো সুতা হতে সাদা সুতা যে পর্যন্ত না স্পষ্ট প্রতিভাত হয়"- (সূরা আল-বাকারাহ ১৮৭)। আদী (রাযিঃ) বলেন, আমি সাদা ও কালো দুটি রশি নিলাম, (শেষ রাতে) আমি উভয়টি দেখতে লাগলাম (এবং সাদা-কালোর পার্থক্য নিরূপণের চেষ্টা করলাম)। (এ ঘটনা শুনে) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে কিছু বলেন। কি বলেছিলেন তা বর্ণনাকারী সুফইয়ান মনে রাখতে পারেননি। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এর অর্থ হল রাত ও দিন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ حَاتِمٍ، قَالَ سَأَلْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنِ الصَّوْمِ فَقَالَ : ( حَتََّى يَتَبَيَّنَ لَكُمُ الْخَيْطُ الأَبْيَضُ مِنَ الْخَيْطِ الأَسْوَدِ ) قَالَ فَأَخَذْتُ عِقَالَيْنِ أَحَدُهُمَا أَبْيَضُ وَالآخَرُ أَسْوَدُ فَجَعَلْتُ أَنْظُرُ إِلَيْهِمَا فَقَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم شَيْئًا لَمْ يَحْفَظْهُ سُفْيَانُ قَالَ " إِنَّمَا هُوَ اللَّيْلُ وَالنَّهَارُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Adi bin Hatim:
"I asked the Messenger of Allah (ﷺ) about the fast, he said: 'Until the white (light) thread of dawn appears distinct to you from the black thread (of night)'" - he said: "So I took two ropes, one white and the other black to look at them. So the Messenger of Allah (ﷺ) said to me" - it was something that Sufyan (a sub narrator) did not remember - so he said: "It is only the night and the day."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৭২। আসলাম আবূ ইমরান আত-তুজীবী (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা রোম সাম্রাজ্যের কোন এক শহরে অবস্থানরত ছিলাম। তখন আমাদেরকে মুকাবিলা করার উদ্দেশ্যে রোমের এক বিশাল বাহিনী যাত্রা শুরু করল। মুসলিমদের পক্ষ হতেও একই রকম বা আরো বিশাল একটি বাহিনী যাত্রা শুরু করল। তখন মিসরবাসীর শাসক ছিলেন উকবাহ ইবনু আমির (রাযিঃ) এবং বাহিনীর সেনাপতি ছিলেন ফাযালাহ ইবনু উবাইদ (রাযিঃ)।
একজন মুসলিম সেনা রোমীয়দের উপর প্রচণ্ড আক্রমণ করেন। এমনকি বুহ্য ভেদ করে তিনি তাদের ভেতরে ঢুকে পড়েন। তখন মুসলিমগণ সশব্দে চিৎকার করেন এবং বলেন, সুবহানাল্লাহ! লোকটি নিজেকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করেছে। তখন আবূ আইয়ুব আল-আনসারী (রাযিঃ) দাঁড়িয়ে বললেন, হে জনমণ্ডলী! তোমরা এ আয়াতের এরূপ ব্যাখ্যা করছ? অথচ এ আয়াতটি আমাদের তথা আনসারদের ব্যাপারে অবতীর্ণ হয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা যখন ইসলামকে বিজয় দান করলেন এবং ইসলামের বিপুল সংখ্যক সাহায্যকারী হয়ে গেল, তখন আমাদের মধ্যে কেউ কেউ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে না শুনিয়ে চুপে চুপে বলল, আমাদের মাল-সম্পদ তো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আল্লাহ তা’আলা ইসলামকে এখন শক্তিশালী করেছেন। তার সাহায্যকারীর সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন যদি আমরা আমাদের মাল-সম্পদ রক্ষাণাবেক্ষণের জন্য অবস্থান করতে এবং বিনষ্ট হয়ে যাওয়া সম্পদের পুনর্গঠনের কাজে আত্মনিয়োগ করতাম (তাহলে ভাল হতো)।
এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা আমাদের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর প্রতি নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেনঃ “তোমরা আল্লাহ তা’আলার পথে ব্যয় কর এবং নিজেদের হাতে নিজেদেরকে ধ্বংসের মধ্যে নিক্ষেপ করো না” (সূরা আল-বাক্কারাহ ১৯৫)। কাজেই মাল-সম্পদের তত্ত্বাবধান ও তার পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করা এবং জিহাদ ত্যাগ করাই হচ্ছে ধ্বংস। অতএব আবূ আইয়ুব আল-আনসারী (রাযিঃ) বাড়িঘর ছেড়ে সব সময় আল্লাহ তা’আলার রাস্তায় জিহাদে ব্যাপৃত থাকতেন। অবশেষে তিনি রোমে (তৎকালীন এশিয়া মাইনর, বর্তমানে তুরস্ক) ইন্তিকাল করেন এবং সেখানেই তাকে দাফন করা হয়।
সহীহঃ সহীহাহ (১৩)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا الضَّحَّاكُ بْنُ مَخْلَدٍ أَبُو عَاصِمٍ النَّبِيلُ، عَنْ حَيْوَةَ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ أَسْلَمَ أَبِي عِمْرَانَ التُّجِيبِيِّ، قَالَ كُنَّا بِمَدِينَةِ الرُّومِ فَأَخْرَجُوا إِلَيْنَا صَفًّا عَظِيمًا مِنَ الرُّومِ فَخَرَجَ إِلَيْهِمْ مِنَ الْمُسْلِمِينَ مِثْلُهُمْ أَوْ أَكْثَرُ وَعَلَى أَهْلِ مِصْرَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ وَعَلَى الْجَمَاعَةِ فَضَالَةُ بْنُ عُبَيْدٍ فَحَمَلَ رَجُلٌ مِنَ الْمُسْلِمِينَ عَلَى صَفِّ الرُّومِ حَتَّى دَخَلَ فِيهِمْ فَصَاحَ النَّاسُ وَقَالُوا سُبْحَانَ اللَّهِ يُلْقِي بِيَدَيْهِ إِلَى التَّهْلُكَةِ فَقَامَ أَبُو أَيُّوبَ الأَنْصَارِيُّ فَقَالَ يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّكُمْ تَتَأَوَّلُونَ هَذِهِ الآيَةَ هَذَا التَّأْوِيلَ وَإِنَّمَا نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ فِينَا مَعْشَرَ الأَنْصَارِ لَمَّا أَعَزَّ اللَّهُ الإِسْلاَمَ وَكَثُرَ نَاصِرُوهُ فَقَالَ بَعْضُنَا لِبَعْضٍ سِرًّا دُونَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِنَّ أَمْوَالَنَا قَدْ ضَاعَتْ وَإِنَّ اللَّهَ قَدْ أَعَزَّ الإِسْلاَمَ وَكَثُرَ نَاصِرُوهُ فَلَوْ أَقَمْنَا فِي أَمْوَالِنَا فَأَصْلَحْنَا مَا ضَاعَ مِنْهَا . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى نَبِيِّهِ صلى الله عليه وسلم يَرُدُّ عَلَيْنَا مَا قُلْنَا: (وَأَنْفِقُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَلاَ تُلْقُوا بِأَيْدِيكُمْ إِلَى التَّهْلُكَةِ ) فَكَانَتِ التَّهْلُكَةُ الإِقَامَةَ عَلَى الأَمْوَالِ وَإِصْلاَحَهَا وَتَرَكْنَا الْغَزْوَ فَمَا زَالَ أَبُو أَيُّوبَ شَاخِصًا فِي سَبِيلِ اللَّهِ حَتَّى دُفِنَ بِأَرْضِ الرُّومِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
Narrated Aslam bin 'Imran At-Tujibi:
"We were in a Roman city, when a large column of Romans came out to us. So about the same number or more of the Muslims went towards them. The commander of the people of Egypt was 'Uqbah bin 'Amir, and the commenter of the (our) group was Fadalah bin 'Ubaid. One man among the Muslims reached the Roman line until he entered amidst them, so the people started screaming: 'Subhan Allah! He has thrown himself into destruction!' Abu Ayyub Al-Ansari said: 'O you people! You give this interpretation for this Ayah, while this Ayah was only revealed about us, the people among the Ansar, when Allah made Islam might, and increased its supporters. Some of us secretly said to each other, outside of the presence of the Messenger of Allah (ﷺ): "Our wealth has been ruined, and Allah has strengthened Islam, and increased its supporters, so if we tend to our wealth then what we lost of it shall be revitalized for us." So Allah, Blessed and Most High, revealed to His Prophet (ﷺ), rebuking what we said: 'And spend in the cause of Allah, and do not throw yourselves into destruction. (2:195)' So the destruction was tending to the wealth and maintaining it.' Abu Ayyub did not cease traveling in Allah's cause, until he was buried in the land of the Romans."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৭৩। কাব ইবনু উজরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ নিবদ্ধ তার শপথ আমার সম্পর্কেই নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ হয়েছে এবং তাতে আমার প্রতিই ইঙ্গিত করা হয়েছেঃ “তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয়, বা মাথায় ক্লেশ থাকে, তবে রোযা অথবা দান-খাইরাত অথবা কুরবানীর দ্বারা তার ফিদিয়া দিবে” (সূরাঃ আল-বাকারাহ ১৯৬)।
কাব ইবনু উজরাহ (রাযিঃ) বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সাথে হুদাইবিয়াতে ইহরাম অবস্থায় ছিলাম। মুশরিকরা আমাদেরকে (হাজ্জ বা উমরার উদ্দেশে মক্কায় যেতে) বাধা দিল। আমার মাথায় বাবরী চুল ছিল। উকুন আমার মুখমণ্ডলে পতিত হচ্ছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি বললেনঃ তোমার মাথার কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললাম, হ্যাঁ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি তোমার মাথার চুল মুণ্ডন করে ফেল। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয়।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, এক্ষেত্রে তিনটি রোযা রাখতে হবে অথবা খাদ্য দান করতে হবে ছয়জন মিসকীনকে অথবা এক বা একাধিক ছাগল যবেহ করতে হবে।
সহীহঃ বুখারী (৪৫১৭), মুসলিম, অনুরূপ হাদীস পূর্বে (৯৫৩) নং উল্লেখ হয়েছে।
’আলী ইবনু হুজর-হুশাইম হতে, তিনি আশ’আস ইবনু সাওওয়ার হতে, তিনি শা’বী হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাকিল হতে, তিনি কাব ইবনু উজরাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে উপরোক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। আবূ ঈসা বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। ’আবদুর রাহমান ইবনুল আসবাহানী (রাহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মুগাফফালের সূত্রে একই রকম হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا مُغِيرَةُ، عَنْ مُجَاهِدٍ، قَالَ قَالَ كَعْبُ بْنُ عُجْرَةَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَفِيَّ أُنْزِلَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَإِيَّاىَ عَنَى بِهَا : (فَمَنْ كَانَ مِنْكُمْ مَرِيضًا أَوْ بِهِ أَذًى مِنْ رَأْسِهِ فَفِدْيَةٌ مِنْ صِيَامٍ أَوْ صَدَقَةٍ أَوْ نُسُكٍ ) قَالَ كُنَّا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِالْحُدَيْبِيَةِ وَنَحْنُ مُحْرِمُونَ وَقَدْ حَصَرَنَا الْمُشْرِكُونَ وَكَانَتْ لِي وَفْرَةٌ فَجَعَلَتِ الْهَوَامُّ تَسَاقَطُ عَلَى وَجْهِي فَمَرَّ بِيَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " كَأَنَّ هَوَامَّ رَأْسِكَ تُؤْذِيكَ " . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَاحْلِقْ " . وَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ . قَالَ مُجَاهِدٌ الصِّيَامُ ثَلاَثَةُ أَيَّامٍ وَالطَّعَامُ سِتَّةُ مَسَاكِينَ وَالنُّسُكُ شَاةٌ فَصَاعِدًا .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَبِي بِشْرٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ أَشْعَثَ بْنِ سَوَّارٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلٍ، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِنَحْوِ ذَلِكَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الأَصْبَهَانِيِّ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْقِلٍ أَيْضًا .
Narrated Mujahid:
that Ka'b bin 'Ujrah said: "By the one in Whose Hand is my soul! This Ayah was revealed referring to my case: 'And whosoever of you is ill or has an ailment on his scalp (necessitating shaving) he must pay Fidyah of either fasting or giving charity, or a sacrifice. (2:196)'" He said: "We were with the Messenger of Allah (ﷺ) at Al-Hudaibiyyah and we were in a state of Ihram. The idolaters had held us back, and I had a good deal of hair, and the lice were falling on my face. The Prophet (ﷺ) passed by me and said: 'The lice on your head are bothering you?'" He said: "I said: 'Yes.' He said: 'Then shave.' And this Ayah was revealed." Mujahid said: "The fasting is for three days, the feeding is six needy people, and the sacrifice is a sheep or more."
পরিচ্ছেদঃ ৩. সূরা আল-বাকারাহ
২৯৭৪। কাব ইবনু উজরাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার নিকট আসলেন। আমি তখন ডেকচির নিচে আগুন জ্বালাচ্ছিলাম। তখন আমার কপালের উপর অথবা বলেছেন আমার চোখের ভ্রুর উপর দিয়ে উকুন ঝরে পড়ছিল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমার কীটগুলো কি তোমাকে কষ্ট দিচ্ছে? আমি বললামঃ হ্যাঁ। তিনি বললেনঃ তুমি তোমার মাথা কামিয়ে ফেল এবং তার পরিবর্তে একটি পশু যবেহ কর অথবা তিন দিন রোযা রাখ অথবা ছয়জন মিস্কীনকে আহার করাও। বর্ণনাকারী আইয়ুব বলেন, তিনি কোন বিষয়টি প্রথমে বলেছেন তা আমি অবগত নই।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي لَيْلَى، عَنْ كَعْبِ بْنِ عُجْرَةَ، قَالَ أَتَى عَلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أُوقِدُ تَحْتَ قِدْرٍ وَالْقَمْلُ تَتَنَاثَرُ عَلَى جَبْهَتِي أَوْ قَالَ حَاجِبِي فَقَالَ " أَتُؤْذِيكَ هَوَامُّ رَأْسِكَ " . قَالَ قُلْتُ نَعَمْ . قَالَ " فَاحْلِقْ رَأْسَكَ وَانْسُكْ نَسِيكَةً أَوْ صُمْ ثَلاَثَةَ أَيَّامٍ أَوْ أَطَعِمْ سِتَّةَ مَسَاكِينَ " . قَالَ أَيُّوبُ لاَ أَدْرِي بِأَيَّتِهِنَّ بَدَأَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Laila:
from Ka'b bin 'Ujrah who said: "The Messenger of Allah (ﷺ) came to me while I was lighting a fire under a pot, and lice were falling on my face, or on my eye-brows. He said: 'Are your lice bothering you?'" [He said:] "I said: 'Yes.' He said: 'Then shave your head and offer a sacrifice, or fast three days, or feed six needy people.'" Ayyub said: "I do not know which of them he started with."