পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০১৫। মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির (রাহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ)-কে বলতে শুনেছি, আমি অসুস্থ হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে আসেন। আমি অজ্ঞান অবস্থায় ছিলাম। আমার চেতনা ফিরে পাওয়ার পর আমি বললাম, আমি আমার ধন-সম্পদ প্রসঙ্গে কিভাবে সিদ্ধান্ত করব? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার বিষয়ে নীরব থাকলেন। তারপর আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “আল্লাহ তা’আলা তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে তোমাদেরকে নির্দেশ দিচ্ছেনঃ এক পুরুষের (পুত্রের) অংশ দুজন মহিলার (কন্যার) সমান”— (সূরা আন-নিসা ১১)।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (২৭২৮), বুখারী (৪৫৭৭), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। এ হাদীসটি মুহাম্মাদ ইবনুল মুনকাদির হতে একাধিক বর্ণনাকারী বর্ণনা করেছেন। আল-ফাযল ইবনুল মুনকাদির হতে, তিনি জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে উপরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। আল-ফাযল ইবনুস সাব্বাহর হাদীসে এ হাদীসের চেয়ে আরো বেশী বর্ণনা আছে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ، قَالَ سَمِعْتُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ، يَقُولُ مَرِضْتُ فَأَتَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَعُودُنِي وَقَدْ أُغْمِيَ عَلَىَّ فَلَمَّا أَفَقْتُ قُلْتُ كَيْفَ أَقْضِي فِي مَالِي فَسَكَتَ عَنِّي حَتَّى نَزَلَتْ : ( يُوصِيكُمُ اللَّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنْثَيَيْنِ ) قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَقَدْ رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ الْمُنْكَدِرِ .
حَدَّثَنَا الْفَضْلُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ الْمُنْكَدِرِ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَفِي حَدِيثِ الْفَضْلِ بْنِ الصَّبَّاحِ كَلاَمٌ أَكْثَرُ مِنْ هَذَا .
Narrated Jabir bin 'Abdullah:
"I was ill, so the Messenger of Allah (ﷺ) came to visit me, and I was unconscious. When I awoke, I said: 'How do you order me regarding my wealth?' He did not answer me until Allah revealed: Allah commands you regarding your children's (inheritance): to the male, a portion equal to that of two females (4:11)."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০১৬। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কয়েকজন মহিলা আওতাস যুদ্ধের দিন আমাদের হস্তগত হয়, যাদের স্বামীরা মুশরিকদের মধ্যে বর্তমান ছিল। তাই ঐ সব মহিলাকে আমাদের কিছু সংখ্যক লোক অপছন্দ করল। এ প্রসঙ্গেই আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেনঃ “এবং নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত সকল সধবা তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ"- (সূরা আন-নিসা ২৪)।
সহীহঃ সহীহ আবূ দাউদ (১৮৭১), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا حَبَّانُ بْنُ هِلاَلٍ، حَدَّثَنَا هَمَّامُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا قَتَادَةُ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ الْهَاشِمِيِّ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ لَمَّا كَانَ يَوْمُ أَوْطَاسٍ أَصَبْنَا نِسَاءً لَهُنَّ أَزْوَاجٌ فِي الْمُشْرِكِينَ فَكَرِهَهُنَّ رِجَالٌ مِنْهُمْ فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ .
Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
"On the Day of Awtas, we captured some women who had husbands among the idolaters. So some of the men disliked that, so Allah, Most High, revealed: And women already married, except those whom your right hands possess... (4:24)"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০১৭। আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আওতাস যুদ্ধের দিন কয়েকজন বন্দী মহিলা আমাদের হাতে আসে যাদের স্বামীরা তাদের সম্প্রদায়ে বর্তমান ছিল। সাহাবীগণ বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে অবহিত করেন। তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয়ঃ “এবং নারীদের মধ্যে তোমাদের অধিকারভুক্ত দাসীগণ ব্যতীত সকল সধবা নারী তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ"- (সূরা আন-নিসা ২৪)।
সহীহঃ দেখুন পূর্বের হাদীস।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। সুফইয়ান সাওরী (রহঃ) এভাবে উসমান আল-বাত্তী হতে, তিনি আবূল খালীল হতে, তিনি আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাযিঃ) হতে, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে এই সূত্রে পূর্বোক্ত হাদীসের মত বর্ণনা করেছেন। অবশ্য এ হাদীসে আবূ আলকামার উল্লেখ নেই। কাতাদাহ্ (রহঃ)-এর সূত্রে হাম্মাম ব্যতীত অপর কেউ এ হাদীসের সনদে আবূ আলকামার উল্লেখ করেছেন বলে আমার জানা নেই। আবূল খালীলের নাম সালিহ ইবনু আবূ মারইয়াম।
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ، أَخْبَرَنَا عُثْمَانُ الْبَتِّيُّ، عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ أَصَبْنَا سَبَايَا يَوْمَ أَوْطَاسٍ لَهُنَّ أَزْوَاجٌ فِي قَوْمِهِنَّ فَذَكَرُوا ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَزَلَتْ : (وَالْمُحْصَنَاتُ مِنَ النِّسَاءِ إِلاَّ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُكُمْ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَهَكَذَا رَوَى الثَّوْرِيُّ عَنْ عُثْمَانَ الْبَتِّيِّ عَنْ أَبِي الْخَلِيلِ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ وَلَيْسَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ عَنْ أَبِي عَلْقَمَةَ وَلاَ أَعْلَمُ أَنَّ أَحَدًا ذَكَرَ أَبَا عَلْقَمَةَ فِي هَذَا الْحَدِيثِ إِلاَّ مَا ذَكَرَ هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ وَأَبُو الْخَلِيلِ اسْمُهُ صَالِحُ بْنُ أَبِي مَرْيَمَ .
Narrated Abu Sa'eed Al-Khudri:
"We captured some women on the Day of Awtas and they had husbands among their people. That was mentioned to the Messenger of Allah (ﷺ) so Allah revealed: '...And women already married, except those whom your right hands possess... (4:24)'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০১৮। আনাস ইবনু মালিক (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবীরা গুনাহ প্রসঙ্গে বলেনঃ তা হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার সাথে শারীক করা, বাবা-মার অবাধ্য হওয়া, নরহত্যা করা ও মিথ্যা বলা।
সহীহঃ গাইয়াতুল মারাম (২৭৭), বুখারী ও মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ। রাওহ ইবনু উবাদাহ (রহঃ) শুবাহ (রাহঃ) হতে এটি বর্ণনা করেছেন। তিনি সনদে (বর্ণনাকারীর নাম উবাইদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর-এর পরিবর্তে) আবদুল্লাহ ইবনু আবূ বকর বলেছেন, তা সঠিক নয়।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الأَعْلَى الصَّنْعَانِيُّ، حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ الْحَارِثِ، عَنْ شُعْبَةَ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ أَنَسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْكَبَائِرِ قَالَ " الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَقَتْلُ النَّفْسِ وَقَوْلُ الزُّورِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ . وَرَوَاهُ رَوْحُ بْنُ عُبَادَةَ عَنْ شُعْبَةَ وَقَالَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرٍ وَلاَ يَصِحُّ .
Narrated 'Ubaidullah bin Abi Bakr [bin Anas]:
from Anas bin Malik, that the Prophet (ﷺ) [said] about the major sins: "Shirk with Allah, disobeying the parents, taking the life, and false statement."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০১৯। আবদুর রাহমান ইবনু আবূ বকরাহ (রাহঃ) হতে তার বাবার সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি কি সবচাইতে মারাত্মক কাবীরা গুনাহগুলো প্রসঙ্গে তোমাদেরকে অবহিত করবো না? সাহাবীগণ বললেন, হ্যাঁ, অবশ্যই হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেনঃ আল্লাহ তা’আলার সাথে অংশীদার স্থাপন, বাবা-মার অবাধ্য হওয়া। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি হেলান দেয়া অবস্থায় ছিলেন, এবার উঠে সোজা হয়ে বসে বললেন; মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা কথা বলা। আবূ বকর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ কথাটি বারবার বলে যাচ্ছিলেন। এমনকি আমরা বললাম, আহা! তিনি যদি চুপ হতেন।
সহীহঃ প্রাগুক্ত, বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ গারীব।
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، - بَصْرِيٌّ - حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، حَدَّثَنَا الْجُرَيْرِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي بَكْرَةَ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَلاَ أُحَدِّثُكُمْ بِأَكْبَرِ الْكَبَائِرِ " . قَالُوا بَلَى يَا رَسُولَ اللَّهِ . قَالَ " الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ " . قَالَ وَجَلَسَ وَكَانَ مُتَّكِئًا قَالَ " وَشَهَادَةُ الزُّورِ أَوْ قَوْلُ الزُّورِ " . قَالَ فَمَا زَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُهَا حَتَّى قُلْنَا لَيْتَهُ سَكَتَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdur-Rahman bin Abi Bakrah:
from his father that the Messenger of Allah (ﷺ) said: "Shall I not narrate to you about the worst of the major sins?" They said: "Of course O Messenger of Allah!" He said: "Associating others with Allah and disobeying the parents." He said: "And he sat reclining and said: 'The false testimony.' Or he said: 'The false statement.'" He said: "So the Messenger of Allah (ﷺ) would not stop saying it until we said (to ourselves): 'If he would only stop.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২০। আবদুল্লাহ ইবনু উনাইস আল-জুহানী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মারাত্মক মারাত্মক কাবীরা গুনাহ হল—আল্লাহ তা’আলার সাথে অংশীদার স্থাপন করা, বাবা-মার নাফারমানী করা এবং মিথ্যা শপথ করা। কেউ আল্লাহ তা’আলার নামে অপরিবর্তনীয় ও অবশ্যম্ভাবীরূপে প্রযুক্ত হওয়ার মত শপথ করলে এবং তাতে মশার পাখা বরাবর নগণ্য মিথ্যাও যোগ করলে তা তার অন্তরে কিয়ামত পর্যন্ত একটি কলংকময় দাগ হয়ে বিরাজিত থাকবে।
হাসানঃ মিশকাত তাহকীক সানী (৩৭৭৭)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব। আবূ উমামা আল-আনসারী (রাযিঃ) হলেন সালাবার ছেলে। তার নাম আমাদের জানা নেই। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বেশ কিছু হাদীস বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ زَيْدِ بْنِ مُهَاجِرِ بْنِ قُنْفُذَ التَّيْمِيِّ، عَنْ أَبِي أُمَامَةَ الأَنْصَارِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُنَيْسٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ مِنْ أَكْبَرِ الْكَبَائِرِ الشِّرْكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ وَالْيَمِينُ الْغَمُوسُ وَمَا حَلَفَ حَالِفٌ بِاللَّهِ يَمِينَ صَبْرٍ فَأَدْخَلَ فِيهَا مِثْلَ جَنَاحِ بَعُوضَةٍ إِلاَّ جُعِلَتْ نُكْتَةً فِي قَلْبِهِ إِلَى يَوْمِ الْقِيَامَةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَأَبُو أُمَامَةَ الأَنْصَارِيُّ هُوَ ابْنُ ثَعْلَبَةَ وَلاَ نَعْرِفُ اسْمَهُ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
Narrated Abu Umamah Al-Ansari:
from 'Abdullah bin Unais Al-Juhni who said: "The Messenger of Allah (ﷺ) said: 'Indeed among the worst of the major sins is Shirk with Allah, disobeying the parents, the false oath, and none insists on taking an oath in which he swears, including the like of a wing of a mosquito (of falsehood) in it - except that a spot is placed in his heart until the Day of Judgement.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২১। ’আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কবীরা গুনাহসমূহের মধ্যে রয়েছে আল্লাহ তা’আলার সাথে অংশীদার স্থাপন করা, বাবা-মায়ের অবাধ্যা হওয়া, অথবা বলেছেনঃ মিথ্যা শপথ করা। বর্ণনাকারী শুবাহর সন্দেহ যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষোক্ত দুটি কথার কোনটি বলেছেন।
সহীহঃ বুখারী।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " الْكَبَائِرُ الإِشْرَاكُ بِاللَّهِ وَعُقُوقُ الْوَالِدَيْنِ أَوْ قَالَ الْيَمِينُ الْغَمُوسُ " . شَكَّ شُعْبَةُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated 'Abdullah bin 'Amr:
that the Prophet (ﷺ) said: "The major sins are associating others with Allah, disobeying the parents" or he said, "the false oath". Shu'bah (a narrator in the chain) was in doubt.
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২২। মুজাহিদ (রহঃ) হতে বর্ণিত, উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) বলেন, পুরুষরা জিহাদ করে কিন্তু মহিলারা জিহাদ করে না। মীরাসের (উত্তরাধিকার) ক্ষেত্রেও মহিলারা (পুরুষের তুলনায়) অর্ধেক পায়। এ প্রসঙ্গেই কল্যাণময় আল্লাহ তা’আলা অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “আল্লাহ তা’আলা যদ্বারা তোমাদের কাউকে অপর কারো উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন, তোমরা তার লোভ করো না। যা পুরুষ অর্জন করেছে তা তার প্রাপ্য অংশ আর নারী যা অর্জন করেছে তা তার প্রাপ্য অংশ। তোমরা আল্লাহ তা’আলার নিকট তার অনুগ্রহ প্রার্থনা কর। আল্লাহ তা’আলা নিশ্চয়ই সর্ববিষয়ে সর্বজ্ঞ”— (সূরা আন্-নিসা ৩২)।
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, একই প্রসঙ্গে নিম্নোক্ত আয়াতও অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) আত্মসমর্পণকারী পুরুষ ও আত্মসমর্পণকারী নারী, মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারী, অনুগত পুরুষ ও অনুগত নারী, সত্যবাদী পুরুষ ও সতবাদী নারী, ধৈর্যশীল পুরুষ ও ধৈর্যশীল নারী, বিনীত পুরুষ ও বিনীত নারী, লজ্জাস্থান হিফাযাতকারী পুরুষ ও লজ্জাস্থান হিফাযাতকারী নারী, আল্লাহ তা’আলাকে বেশী স্মরণকারী পুরুষ ও আল্লাহ তা’আলাকে বেশী স্মরণকারী নারী এদের জন্য আল্লাহ তা’আলা রেখেছেন ক্ষমা ও মহাপ্রতিদান"- (সূরা আল-আহযাব ৩৫)। উম্মু সালামাহ (রাযিঃ)-ই ছিলেন মদীনায় হিজরতকারিনী প্রথম মহিলা।
সনদ সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি মুরসাল। কেউ কেউ ইবনু আবূ নাজীহ কর্তৃক মুজাহিদ (রহঃ) সূত্রে এটি মুরসাল হিসেবে বর্ণনা করেছেন যে, উম্মু সালামা (রাযিঃ) এই কথা বলেছেন।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ يَغْزُو الرِّجَالُ وَلاَ يَغْزُو النِّسَاءُ وَإِنَّمَا لَنَا نِصْفُ الْمِيرَاثِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ : (وَلاَ تَتَمَنَّوْا مَا فَضَّلَ اللَّهُ بِهِ بَعْضَكُمْ عَلَى بَعْضٍ ) . قَالَ مُجَاهِدٌ فَأُنْزِلَ فِيهَا : ( إِنَّ الْمُسْلِمِينَ وَالْمُسْلِمَاتِ ) وَكَانَتْ أُمُّ سَلَمَةَ أَوَّلَ ظَعِينَةٍ قَدِمَتِ الْمَدِينَةَ مُهَاجِرَةً . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ مُرْسَلٌ . وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنِ ابْنِ أَبِي نَجِيحٍ عَنْ مُجَاهِدٍ مُرْسَلٌ أَنَّ أُمَّ سَلَمَةَ قَالَتْ كَذَا وَكَذَا .
Narrated Mujahid:
from Umm Salamah that she said: "The men fight and the women do not fight, and we only get half the inheritance.' So Allah, Blessed and Most High, revealed: 'And wish not for things in which Allah has made some of you excell over others... (4:32)' Mujahid said: "And the following was revealed about that: 'Verily the Muslim men and the Muslim women... (33:35). And Umm Salamah was the first camel-borne woman to arrive in Al-Madinah as an emigrant.
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৩। উম্মু সালামাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আল্লাহ তা’আলা স্ত্রীলোকদের হিজরত প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন বলে আমি শুনিনি। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “আমি তোমাদের মধ্যে কর্মে নিষ্ঠ কোন নর বা নারীর কাজকে বিফল করি না। তোমরা একে অপরের অংশ। অতএব যারা হিজরত করেছে, নিজেদের আবাস হতে উৎখাৎ হয়েছে, আমার পথে নির্যাতিত হয়েছে.....”— (সূরা আ-লি ইমরান ১৯৫)।
পূর্বের হাদীসের সহায়তায় সহীহ।
حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي عُمَرَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنْ رَجُلٍ، مِنْ وَلَدِ أُمِّ سَلَمَةَ عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ يَا رَسُولَ اللَّهِ لاَ أَسْمَعُ اللَّهَ ذَكَرَ النِّسَاءَ فِي الْهِجْرَةِ . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : ( إِنِّي لاَ أُضِيعُ عَمَلَ عَامِلٍ مِنْكُمْ مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَى بَعْضُكُمْ مِنْ بَعْضٍ ) .
Narrated 'Amr bin Dinar:
from a man among the children of Umm Salamah, from Umm Salamah that she said: "O Messenger of Allah! I have not heard Allah mentioning anything about women and emigration." So Allah, Blessed and Most High, revealed: "Never will I allow to be lost the work of any of you, be he male or female. You are members one of another (3:195)."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৪। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে হুকুম দিলেন তাকে কুরআন তিলাওয়াত করে শুনানোর জন্য। তখন তিনি মিম্বরে বসা ছিলেন। আমি তাকে সূরা আন-নিসা হতে তিলাওয়াত করে শুনলাম। আমি যখন এ আয়াত পর্যন্ত পৌছলাম (অনুবাদ) “আমি যখন প্রত্যেক উম্মাত হতে একজন করে সাক্ষী হাযির করব এবং তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষী হিসেবে উপস্থিত করব, তখন কি অবস্থা হবে?" (সূরা আন-নিসা ৪১), তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তার হাত দিয়ে চাপ দেন। আমি তার প্রতি তাকিয়ে দেখলাম, তার দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে।
সনদ সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, আবূল আহওয়াস (রাহঃ) আমাশ হতে, তিনি ইবরাহীম হতে, তিনি আলকামাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে এরূপই বর্ণনা করেছেন। মূলত তা হবেঃ ইবরাহীম-উবাইদাহ হতে, তিনি আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে।
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو الأَحْوَصِ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ أَمَرَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنْ أَقْرَأَ عَلَيْهِ وَهُوَ عَلَى الْمِنْبَرِ . فَقَرَأْتُ عَلَيْهِ مِنْ سُورَةِ النِّسَاءِ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ: ( فَكَيْفَ إِذَا جِئْنَا مِنْ كُلِّ أُمَّةٍ بِشَهِيدٍ وَجِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا ) غَمَزَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِيَدِهِ فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَعَيْنَاهُ تَدْمَعَانِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى أَبُو الأَحْوَصِ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ وَإِنَّمَا هُوَ إِبْرَاهِيمُ عَنْ عَبِيدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ .
Narrated 'Alqamah:
"'Abdullah said: 'The Messenger of Allah (ﷺ) commanded me to recite for him while he was on the Minbar. So I recited from Surat An-Nisa for him, until I reached: How then (will it be) when We bring from each nation a witness, and We bring you (Muhammad) as a witness against these people? (4:41) The Messenger of Allah (ﷺ) was beckoning me (to stop) with his hand, and I looked at him and his eyes were flowing with tears."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৫। আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকে কুরআন হতে তিলাওয়াত করে শুনাও। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উপরই তো কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে, আর আমি আপনাকে তা তিলাওয়াত করে শুনাব। তিনি বললেনঃ অন্যের তিলাওয়াত শুনতে আমি পছন্দ করি। অতএব আমি সূরা আন-নিসা তিলাওয়াত করতে শুরু করলাম। আমি পাঠ করতে করতে যখন (অনুবাদ) “এবং আমি তোমাকে তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষীরূপে উপস্থিত করব", তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দিকে তাকিয়ে দেখলাম তার দুই চোখ দিয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৮২), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ রিওয়ায়াতটি আবূল আহওয়াসের হাদীসের তুলনায় অনেক বেশি সহীহ। সুওয়াইদ ইবনু নাসর-ইবনুল মুবারাক হতে, তিনি সুফইয়ান হতে, তিনি আমাশ (রাহঃ) হতে মু’আবিয়াহ ইবনু হিশামের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبِيدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " اقْرَأْ عَلَىَّ " . فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَقْرَأُ عَلَيْكَ وَعَلَيْكَ أُنْزِلَ قَالَ " إِنِّي أُحِبُّ أَنْ أَسْمَعَهُ مِنْ غَيْرِي " . فَقَرَأْتُ سُورَةَ النِّسَاءِ حَتَّى إِذَا بَلَغْتُ : (جِئْنَا بِكَ عَلَى هَؤُلاَءِ شَهِيدًا ) قَالَ فَرَأَيْتُ عَيْنَىِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم تَهْمِلاَنِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ أَبِي الأَحْوَصِ .
حَدَّثَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، أَخْبَرَنَا ابْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنِ الأَعْمَشِ، نَحْوَ حَدِيثِ مُعَاوِيَةَ بْنِ هِشَامٍ .
Narrated Ibrahim:
from 'Abidah that 'Abdullah said: "The Messenger of Allah (ﷺ) said to me: 'Recite for me.' I said: 'O Messenger of Allah! Shall I recite for you while it is to you whom it was revealed?' He said: 'I love to hear it from other than me.'" So I recited Surat An-Nisa until I reached: "...And We bring you (Muhammad) as a witness against these people? (4:41)" He said: "So I saw the eyes of the Prophet (ﷺ) overflowing with tears."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৬। আলী ইবনু আবী তালিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আবদুর রাহমান ইবনু আওফ (রাযিঃ) আমাদের জন্য খাবারের আয়োজন করলেন এবং আমাদেরকে দাওয়াত করে শরাব পান করান। আমাদেরকে এই শরাবের নেশায় ধরে। ইতোমধ্যে নামাযের ওয়াক্ত হয়ে যায়। লোকজন আমাকেই ইমামতি করতে এগিয়ে দেয়। আমি পাঠ করলামঃ “কুল ইয়া আয়্যুহাল কাফিরূন। লা আ’বূদু মা তা’বুদূন। ওয়া নাহনু নাবুদু মা তাবুদুন।" অর্থাৎ “ওয়ালা নাবুদু” (তোমরা যাদের ইবাদাত কর আমরা তাদের ইবাদাত করি না)-এর স্থলে আমি “ওয়া নাহনু নাবুদু মা তাবুদূন” (তোমরা যাদের ইবাদাত কর, আমরাও তাদের ইবাদাত করি) পড়ে ফেললাম। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নামাযের নিকটেও যেয়ো না, যতক্ষণ না তোমরা যা বল তা বুঝতে পার" (সূরা আন-নিসা ৪৩)।
সহীহ।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান গারীব সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ أَبِي جَعْفَرٍ الرَّازِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ صَنَعَ لَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَوْفٍ طَعَامًا فَدَعَانَا وَسَقَانَا مِنَ الْخَمْرِ فَأَخَذَتِ الْخَمْرُ مِنَّا وَحَضَرَتِ الصَّلاَةُ فَقَدَّمُونِي فَقَرَأْتُ : ( قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ ) لاَ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ وَنَحْنُ نَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ . قَالَ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى : ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ تَقْرَبُوا الصَّلاَةَ وَأَنْتُمْ سُكَارَى حَتَّى تَعْلَمُوا مَا تَقُولُونَ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ غَرِيبٌ .
Narrated Abu 'Abdur-Rahman As-Sulami:
that 'Ali bin Abi Talib said: "'Abdur-Rahman bin 'Awf prepared some food for which he invited us, and he gave us some wine to drink. The wine began to affect us when it was time for Salat. So they encouraged me (to lead) and I recited: 'Say: O you disbelievers! I do not worship what you worship, and we worship what you worship' - so Allah, Most High, revealed: O you who believe! Do not approach Salat when you are in a drunken state until you know what you are saying (4:43)."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৭। ’আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, কংকরময় হাররা এলাকার একটি (পানিসেচের) নালা নিয়ে এক আনসারীর সাথে তার ঝগড়া বাধে। উক্ত নালার মাধ্যমে তারা খেজুর বাগানে পানি দিতেন। আনসারী বললেন, পানি আসতে নালাটি আপনি ছেড়ে দিন। যুবাইর (রাযিঃ) তা মানলেন না। দু’জনেই বিষয়টি নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুবাইর (রাযিঃ)-কে বললেনঃ হে যুবাইর! তোমার বাগানে পানি দিয়ে তোমার প্রতিবেশীর জন্য পানি ছেড়ে দিও।
এতে আনসারী ব্যক্তি রাগান্বিত হয়ে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইনি আপনার ফুফাতো ভাই বলেই (এরূপ ফাইসালা করছেন)। এ কথায় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর চেহারা বিবর্ণ হয়ে গেল। তিনি বললেনঃ হে যুবাইর! তুমি তোমার বাগানের পানি প্রবাহিত করে আলগুলো পর্যন্ত পানি জমা না হওয়া পর্যন্ত নালা অন্যত্র প্রবাহিত হতে দিবে না। যুবাইর (রাযিঃ) বলেন, আল্লাহর শপথ! আমার মনে হয় এ ঘটনা প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “কিন্তু না, তোমার প্রভুর শপথ। তারা ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের পারস্পরিক মতভেদের ব্যাপারসমূহের বিচারভার তোমার উপর অর্পণ না করে..."— (সূরা আন-নিসা ৬৫)।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৮৫), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, আমি মুহাম্মাদ (বুখারী)-কে বলতে শুনেছি, ইবনু ওয়াহব (রাহঃ) এ হাদীসটি লাইস ইবনু সা’দ হতে এবং ইউনুস (রাহঃ) যুহরী হতে, তিনি উরওয়া হতে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ) হতে, এই সূত্রে উক্ত হাদীসের একই রকম বর্ণনা করেছেন। অপর দিকে শু’আইব ইবনু আবী হামযাহ্ (রহঃ) যুহরী হতে, তিনি উরওয়াহ হতে, তিনি যুবাইর (রাযিঃ) হতে, এই সূত্রে এ হাদীস রিওয়ায়াত করেছেন, কিন্তু তাতে ’আবদুল্লাহ ইবনুয যুবাইর (রাযিঃ)-এর উল্লেখ করেননি।
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ بْنُ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُرْوَةَ بْنِ الزُّبَيْرِ، أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ الزُّبَيْرِ حَدَّثَهُ أَنَّ رَجُلاً مِنَ الأَنْصَارِ خَاصَمَ الزُّبَيْرَ فِي شِرَاجِ الْحَرَّةِ الَّتِي يَسْقُونَ بِهَا النَّخْلَ . فَقَالَ الأَنْصَارِيُّ سَرِّحِ الْمَاءَ يَمُرُّ فَأَبَى عَلَيْهِ فَاخْتَصَمُوا إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِلزُّبَيْرِ " اسْقِ يَا زُبَيْرُ وَأَرْسِلِ الْمَاءَ إِلَى جَارِكَ " . فَغَضِبَ الأَنْصَارِيُّ وَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ أَنْ كَانَ ابْنَ عَمَّتِكَ . فَتَغَيَّرَ وَجْهُ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ قَالَ " يَا زُبَيْرُ اسْقِ وَاحْبِسِ الْمَاءَ حَتَّى يَرْجِعَ إِلَى الْجَدْرِ " . فَقَالَ الزُّبَيْرُ وَاللَّهِ إِنِّي لأَحْسِبُ هَذِهِ الآيَةَ نَزَلَتْ فِي ذَلِك : (فَلاَ وَرَبِّكَ لاَ يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ ) الآيَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى سَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ قَدْ رَوَى ابْنُ وَهْبٍ هَذَا الْحَدِيثِ عَنِ اللَّيْثِ بْنِ سَعْدٍ وَيُونُسَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ نَحْوَ هَذَا الْحَدِيثِ . وَرَوَى شُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ عُرْوَةَ عَنِ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يَذْكُرْ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الزُّبَيْرِ .
Narrated 'Urwah bin Az-Zubair:
that 'Abdullah bin Az-Zubair narrated to him: "A man from the Ansar was arguing with Az-Zubair about a stream at Al-Harrah with which they irrigated their date-palms. So the Ansari man said: 'Let the water pass through.' But he refused, so they brought their dispute to the Messenger of Allah (ﷺ). So the Messenger of Allah (ﷺ) said to Az-Zubair: 'O Zubair! Water and let the water flow to your neighbor.' The Ansari got angry and said: 'O Messenger of Allah! Is it because he is your nephew?' The face of the Messenger of Allah (ﷺ) changed. Then he said: 'O Zubair! Water and withhold the water until until it flows over your walls.' So Az-Zubair said: 'By Allah, I think this Ayah was revealed about that incident: But no, by your Lord! They can have no faith until they make you judge in all disputes between them... (4:65)"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৮। যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, “তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের প্রসঙ্গে তোমরা দুই দল হয়ে গেলে....."— (সূরা আন-নিসা ৮৮) আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উহুদ যুদ্ধের দিন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহাবীদের (মুসলিম বাহিনীর) মধ্য হতে কিছু সংখ্যক লোক (যুদ্ধক্ষেত্র হতে) ফিরে আসে। তাদের প্রসঙ্গে সাহাবীগণ দুই দলে বিভক্ত হয়ে যান। এক দলের বক্তব্য ছিল, তাদেরকে হত্যা কর। অন্য দলের মত ছিল, তাদেরকে হত্যার প্রয়োজন নেই। এ প্রসঙ্গেই এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) "তোমাদের কি হল যে, মুনাফিকদের ব্যাপারে তোমরা দুই দল হয়ে গেলে..."— (সূরা আন-নিসা ৮৮)। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ মদীনা হল তাইবাহ-পবিত্র নগরী। তা ময়লা আবর্জনা (অপবিত্রতা মুনাফিকী) এমনভাবে দূর করে দেয় যেভাবে আগুন লোহার ময়লা দূর করে দেয়।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৮৯), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। আবদুল্লাহ ইবনু ইয়াযীদ হলেন একজন আনসারী আল-খাতমী, তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাহচার্য পেয়েছেন।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَدِيِّ بْنِ ثَابِتٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ يَزِيدَ، يُحَدِّثُ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ، أَنَّهُ قَالَ فِي هَذِهِ الآيَةِ : ( فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ ) قَالَ رَجَعَ نَاسٌ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَوْمَ أُحُدٍ . فَكَانَ النَّاسُ فِيهِمْ فَرِيقَيْنِ فَرِيقٌ يَقُولُ اقْتُلْهُمْ . وَفَرِيقٌ يَقُولُ لاَ . فَنَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ : ( فَمَا لَكُمْ فِي الْمُنَافِقِينَ فِئَتَيْنِ ) وَقَالَ " إِنَّهَا طِيبَةُ وَقَالَ إِنَّهَا تَنْفِي الْخَبِيثَ كَمَا تَنْفِي النَّارُ خَبَثَ الْحَدِيدِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ هُوَ الأَنْصَارِيُّ الْخَطْمِيُّ وَلَهُ صُحْبَةٌ .
Narrated 'Abdullah bin Yazid:
from Zaid bin Thabit that he heard about this Ayah: Then what is the matter with you that you are divided into two parties about the hypocrites? (4:88) He said: "People among the Companions of the Prophet (ﷺ) returned on the Day of Uhud and there were two parties among them, a group who said: 'Kill them,' and a group that say not to. So Allah revealed this Ayah: Then what is the matter with you that you are divided into two parties about the hypocrites? (4:88) So he said: "Indeed it is Taibah (Al-Madinah). And he said: 'It expels filth from it just like the fire expels filth from iron.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০২৯। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কিয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি নিজ হাতে তার হত্যাকারীকে তার কপালের চুল ও মাথা ধরে নিয়ে আসবে। তার ঘাড়ের কর্তিত রগসমূহ হতে রক্ত বের হতে থাকবে। সে বলবে, হে আমার প্রতিপালক! এ লোক আমাকে হত্যা করেছে। এমনকি সে তার হত্যাকারীকে নিয়ে আরশের নিকট পৌছে যাবে।
আমর ইবনু দীনার বলেন, লোকেরা ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-এর নিকট (হত্যাকারীর) তাওবার বিষয়ে আলোচনা করলে তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) “কোন ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে কোন মুমিনকে হত্যা করলে তার শাস্তি জাহান্নাম। সেখানে সে স্থায়ী হবে এবং আল্লাহ তা’আলা তার প্রতি রুষ্ট হবেন, তাকে অভিসম্পাত করবেন এবং তার জন্য মহাশাস্তি প্রস্তুত রাখবেন"- (সূরা আন-নিসাঃ ৯৩)। তিনি বলেন, এ আয়াত মানসূখও হয়নি বা তার বিধান পরিবর্তিতও হয়নি। অতএব তার আর তাওবা কিসের।
সহীহঃ মিশকাত তাহকীক সানী (৩৪৬৫), তা’লীকুর রাগীব (৩/২০৩)
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান (গারীব)। কেউ কেউ এ হাদীসটি আমর ইবনু দীনার হতে, তিনি ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে এই সূত্রে একই রকম বর্ণনা করেছেন, কিন্তু তা মারফু হিসেবে নয়।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا شَبَابَةُ، حَدَّثَنَا وَرْقَاءُ بْنُ عُمَرَ، عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " يَجِيءُ الْمَقْتُولُ بِالْقَاتِلِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ نَاصِيَتُهُ وَرَأْسُهُ بِيَدِهِ وَأَوْدَاجُهُ تَشْخُبُ دَمًا يَقُولُ يَا رَبِّ هَذَا قَتَلَنِي حَتَّى يُدْنِيَهُ مِنَ الْعَرْشِ " . قَالَ فَذَكَرُوا لاِبْنِ عَبَّاسٍ التَّوْبَةَ فَتَلاَ هَذِهِ الآيَةََ: (وَمَنْ يَقْتُلْ مُؤْمِنًا مُتَعَمِّدًا ) قَالَ وَمَا نُسِخَتْ هَذِهِ الآيَةُ وَلاَ بُدِّلَتْ وَأَنَّى لَهُ التَّوْبَةُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَمْرِو بْنِ دِينَارٍ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ .
Narrated 'Amr bin Dinar:
from Ibn 'Abbas that the Prophet (ﷺ) said: "On the Day of Judgement, the murdered will come with the murderer's scalp and his head in his hand, and his jugular vein flowing blood saying: 'O Lord! This one killed me!' Until he comes close to the Throne." So they mentioned repentance to Ibn 'Abbas, and he recited this Ayah: And whoever kills a believer intentionally then his recompense is Hell (4:93). He said: "This Ayah was not abrogated nor (its ruling) replaced so from where is his repentance?"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০৩০। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সুলাইম বংশের এক লোক তার এক পাল ছাগল নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর এক দল সাহাবীর সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। সে তাদেরকে সালাম দিল। তারা (পরস্পর) বলল, এ লোক তোমাদের হাত হতে বাচার জন্যই তোমাদেরকে সালাম দিয়েছে। এই বলে তারা উঠে গিয়ে লোকটিকে হত্যা করল এবং তার ছাগলগুলো নিয়ে রাসূলুল্লাহ -এর নিকট এসে হাযির হল। তখন আল্লাহ তা’আলা এ আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) “হে ঈমানদারগণ! তোমরা যখন আল্লাহ তা’আলার পথে (জিহাদের জন্য) বের হবে, তখন অবশ্যই পরীক্ষা করে নিবে এবং কেউ তোমাদের সালাম দিলে (পার্থিব জীবনের সম্পদের আকাজক্ষায়) তাকে বলবে না যে, তুমি মুমিন নও"- (সূরা আন-নিসা ৯৪)।
হাসান সহীহঃ তা’লীক ’আলাল ইহসান (৭/১২২), বুখারী (২৫৯১) সংক্ষেপে, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান। উসামাহ ইবনু যাইদ (রাযিঃ) হতেও এ অনুচ্ছেদে হাদীস বর্ণিত আছে।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ أَبِي رِزْمَةَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ عِكْرِمَةَ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ مَرَّ رَجُلٌ مِنْ بَنِي سُلَيْمٍ عَلَى نَفَرٍ مِنْ أَصْحَابِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَعَهُ غَنَمٌ لَهُ فَسَلَّمَ عَلَيْهِمْ قَالُوا مَا سَلَّمَ عَلَيْكُمْ إِلاَّ لِيَتَعَوَّذَ مِنْكُمْ فَقَامُوا فَقَتَلُوهُ وَأَخَذُوا غَنَمَهُ فَأَتَوْا بِهَا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ( يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا ضَرَبْتُمْ فِي سَبِيلِ اللَّهِ فَتَبَيَّنُوا وَلاَ تَقُولُوا لِمَنْ أَلْقَى إِلَيْكُمُ السَّلاَمَ لَسْتَ مُؤْمِنًا ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ .
Narrated Ibn 'Abbas:
"A man from Banu Sulaim who had some sheep with him, passed by some of the Companions of the Messenger of Allah (ﷺ). He gave Salam to them and they said: 'He did not give Salam except to protect himself.' So they attacked him, killed him, and took his sheep. They went to the Messenger of Allah (ﷺ) with them, and Allah, Most High, revealed: O you who believe! When you go in the cause of Allah, verify and say not to anyone who greets you: "You are not a believer (4:94)."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০৩১। আল-বারাআ ইবনু আযিব (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, "মু’মিনদের মধ্যে যারা ঘরে বসে থাকে তারা সমান নয়”— (সূরা আন-নিসা ৯৫) আয়াত অবতীর্ণ হলে আমর ইবনু উম্মি মাকতুম (রাযিঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট আসলেন। তিনি ছিলেন দৃষ্টিশক্তিহীন (অন্ধ)। তিনি বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমি তো দৃষ্টিশক্তিহীন। আমাকে আপনি কি নির্দেশ দেন? তখন আল্লাহ তা’আলা নিম্নোক্ত আয়াত অবতীর্ণ করেন (অনুবাদ) "তবে যারা অক্ষম তাদের কথা স্বতন্ত্র”— (সূরা আন-নিসা ৯৫)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ (আয়াতটি লিপিবদ্ধ করতে) তোমরা আমার জন্য কাঁধের হাড় ও দোয়াত অথবা (বললেন) তখতি ও দোয়াত নিয়ে এসো।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৯৩-৪৫৯৪), মুসলিম, ১৬৭০ নং পূর্বে উল্লেখ হয়েছে।
আমর ইবনু উম্মি মাকতুম (রাযিঃ) আবদুল্লাহ ইবনু উম্মি মাকতুম বলেও কথিত। তিনি হলেন আবদুল্লাহ ইবনু যায়িদাহ এবং উম্মি মাকতুম তার মা।
حَدَّثَنَا مَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ، قَالَ لَمَّا نَزَلَتْ : (لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ ) جَاءَ عَمْرُو ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم - قَالَ وَكَانَ ضَرِيرَ الْبَصَرِ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ مَا تَأْمُرُنِي إِنِّي ضَرِيرُ الْبَصَرِ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى هَذِهِ الآيَةَ : ( غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) الآيَةَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " ائْتُونِي بِالْكَتِفِ وَالدَّوَاةِ أَوِ اللَّوْحِ وَالدَّوَاةِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُقَالُ عَمْرُو ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَيُقَالُ عَبْدُ اللَّهِ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَهُوَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَائِدَةَ وَأُمُّ مَكْتُومٍ أُمُّهُ .
Narrated Al-Bara bin 'Azib:
"When the following was revealed: 'Not equal are those of the believers who sit (4:95)' 'Amr bin Umm Maktum came to the Prophet (ﷺ)." He said: "He was blind, so he said: 'O Messenger of Allah! What do you order me with? Indeed my vision is disabled.' So Allah [Most High] revealed this Ayah: 'Except those who are disabled.' So the Prophet (ﷺ) said: 'Bring me a shoulder bone and inkwell' - or 'Bring me a tablet and an inkwell.'"
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০৩২। ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, “মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে”— (সূরা আন-নিসা ৯৫) আয়াত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যারা অক্ষম হয়েও ঘরে বসে ছিল তারা এবং যারা বদরের যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে তারা (মর্যাদায়) এক সমান নয়। এখানে তাদের কথাই বলা হয়েছে। বদর যুদ্ধের নির্দেশ সম্বলিত আয়াত অবতীর্ণ হলে আবদুল্লাহ ইবনু জাহশ ও ইবনু উম্মি মাকতুম (রাযিঃ) বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা তো উভয়েই অন্ধ! এক্ষেত্রে আমাদের দু’জনের জন্য কি কোনরূপ সুযোগ আছে? তখন এ আয়াত অবতীর্ণ হয় (অনুবাদ) “মুমিনদের মধ্যে যারা অক্ষম নয় অথচ ঘরে বসে থাকে তারা সমান নয় এবং যারা জিহাদ করে তাদেরকে আল্লাহ তা’আলা মহাপুরস্কারের ক্ষেত্রে যারা ঘরে বসে থাকে তাদের উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন”— (সূরা আন-নিসা ৯৫)। যারা অক্ষম না হওয়া সত্ত্বেও ঘরে বসে থাকে, এখানে তাদের কথা বলা হয়েছে।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৯৫)।
আবূ ঈসা বলেন, ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-এর হাদীস হিসেবে উক্ত সূত্রে এই হাদীসটি হাসান সহীহ। মিকসাম প্রসঙ্গে বলা হয় যে, ইনি ’আবদুল্লাহ ইবনুল হারিসের মুক্তদাস। তিনি আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাযিঃ)-এর মুক্তদাস বলেও কথিত। তার উপনাম আবূল কাসিম।
حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُحَمَّدٍ الزَّعْفَرَانِيُّ، حَدَّثَنَا الْحَجَّاجُ بْنُ مُحَمَّدٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَبْدُ الْكَرِيمِ، سَمِعَ مِقْسَمًا، مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ يُحَدِّثُ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّهُ قَالَ : ( لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) عَنْ بَدْرٍ وَالْخَارِجُونَ إِلَى بَدْرٍ لَمَّا نَزَلَتْ غَزْوَةُ بَدْرٍ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ جَحْشٍ وَابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ إِنَّا أَعْمَيَانِ يَا رَسُولَ اللَّهِ فَهَلْ لَنَا رُخْصَةٌ فَنَزَلَتْ : ( لَا يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) و : (فَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلََى الْقَاعِدِينَ دَرَجَةً ) فَهَؤُلاَءِ الْقَاعِدُونَ غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ : ( وَفَضَّلَ اللَّهُ الْمُجَاهِدِينَ عَلَى الْقَاعِدِينَ أَجْرًا عَظِيمًا * دَرَجَاتٍ مِنْهُ ) عَلَى الْقَاعِدِينَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ غَيْرِ أُولِي الضَّرَرِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ عَبَّاسٍ وَمِقْسَمٌ يُقَالُ هُوَ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ وَيُقَالُ هُوَ مَوْلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبَّاسٍ وَكُنْيَتُهُ أَبُو الْقَاسِمِ .
Narrated Miqsam, the freed slave of 'Abdullah bin Al-Harith:
from Ibn 'Abbas that he said the Ayah: Not equal are those of the believers who sit, except those who are disabled... (4:95) is about Badr and those went out for Badr. At the time of the battle of Badr, 'Abdullah bin Jahsh and Ibn Umm Maktum said: 'We are blind O Messenger of Allah! So is there an exemption for us?' So the following was revealed: Not equal are those of the believers who sit except those who are disabled. But Allah has preferred those who strive hard and fight above those who sit (at home) by a huge reward (4:95). So these were the people who sat behind, that were not disabled: But Allah has preferred those who strive hard and fight, above those who sit (at home) by a huge reward - they are of levels above those who sit among the believers who did not have an excuse."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০৩৩। সাহল ইবনু সা’দ আস-সাঈদী (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মারওয়ান ইবনুল হাকামকে মসজিদে বসা দেখে আমি তার নিকট এগিয়ে গিয়ে তার পাশে বসলাম। তিনি আমাদের বললেন, যাইদ ইবনু সাবিত (রাযিঃ) আমাকে জানিয়েছেন যে, নবী, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দ্বারা লেখাচ্ছিলেনঃ “লা ইয়াসতাবিল কাইদূনা মিনাল মু’মিনীনাওয়াল মুজাহিদুনা ফী সাবীলিল্লাহ"। তখন তার নিকট ইবনু উম্মি মাকতুম (রাযিঃ) এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল। আল্লাহর শপথ আমি যদি জিহাদ করতে পারতাম, তাহলে অবশ্যই জিহাদ করতাম। তিনি ছিলেন অন্ধ। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা তার রাসূলের উপর ওয়াহী অবতীর্ণ করলেন, তখন তার উরু আমার উরুর উপর ছিল। তা এত ভারী লাগছিল যে, এতে আমার উরু ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়। কিছুক্ষণ পর তার এ অবস্থা দূরীভূত হয়। আল্লাহ তা’আলা তার উপর অবতীর্ণ করেনঃ “গাইরু উলিয যারারি”।
সহীহঃ বুখারী (৪৫৯২)।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। একাধিক বর্ণনাকারী এ হাদীসটি যুহরী হতে সাহল ইবনু সা’দের বরাতে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মামার এটি বর্ণনা করেছেন যুহরী হতে, তিনি কাবীসাহ ইবনু যুয়াইব হতে, তিনি যাইদ ইবনু সাবিত হতে এই সূত্রে। তিনি আরো বলেন, এ হাদীসটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একজন সাহাবী কর্তৃক একজন তাবিঈ হতে বর্ণিত অর্থাৎ সাহল ইবনু সা’দ আস-সাইদী আল-আনসারী (রাযিঃ) রিওয়ায়াত করেছেন মারওয়ান ইবনুল হাকাম হতে। মারওয়ান রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে সরাসরি হাদীস শুনেননি। তিনি তাবিঈদের অন্তর্ভুক্ত।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ صَالِحِ بْنِ كَيْسَانَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، حَدَّثَنِي سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ، قَالَ رَأَيْتُ مَرْوَانَ بْنَ الْحَكَمِ جَالِسًا فِي الْمَسْجِدِ فَأَقْبَلْتُ حَتَّى جَلَسْتُ إِلَى جَنْبِهِ فَأَخْبَرَنَا أَنَّ زَيْدَ بْنَ ثَابِتٍ أَخْبَرَهُ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَمْلَى عَلَيْهِ لاَ يَسْتَوِي الْقَاعِدُونَ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُجَاهِدُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ قَالَ فَجَاءَهُ ابْنُ أُمِّ مَكْتُومٍ وَهُوَ يُمْلِيهَا عَلَىَّ فَقَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَاللَّهِ لَوْ أَسْتَطِيعُ الْجِهَادَ لَجَاهَدْتُ وَكَانَ رَجُلاً أَعْمَى . فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ صلى الله عليه وسلم وَفَخِذُهُ عَلَى فَخِذِي فَثَقُلَتْ حَتَّى هَمَّتْ تَرُضُّ فَخِذِي ثُمَّ سُرِّيَ عَنْهُ فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَلَيْهِ : ( غَيْرُ أُولِي الضَّرَرِ ) . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . هَكَذَا رَوَى غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الزُّهْرِيِّ عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ نَحْوَ هَذَا . وَرَوَى مَعْمَرٌ عَنِ الزُّهْرِيِّ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ ذُؤَيْبٍ عَنْ زَيْدِ بْنِ ثَابِتٍ . وَفِي هَذَا الْحَدِيثِ رِوَايَةُ رَجُلٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَجُلٍ مِنَ التَّابِعِينَ رَوَاهُ سَهْلُ بْنُ سَعْدٍ الأَنْصَارِيُّ عَنْ مَرْوَانَ بْنِ الْحَكَمِ وَمَرْوَانُ لَمْ يَسْمَعْ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ مِنَ التَّابِعِينَ .
Narrated Sahl bin Sa'd As-Sa'idi:
"I saw Marwan bin Al-Hakam sitting in the Masjid, so I went over to him until I sat next to him. He informed us that Zaid bin Thabit informed him, that the Prophet (ﷺ) dictated: 'Not equal among the believers are those who sit and the Mujahidin in the cause of Allah.' He said: 'So Ibn Umm Maktum came and he was dictating to me that he said: "O Messenger of Allah! By Allah! If I were capable of Jihad then I would participate in Jihad.' And he was a blind a man. So Allah revealed to His Messenger (ﷺ) - while his thigh was against my thigh - and it became so heavy that I was worried it was about to fracture my thigh. Then he was relieved of it, so Allah had revealed to him: Except those who are disabled."
পরিচ্ছেদঃ ৫. সূরা আন নিসা
৩০৩৪। ইয়া’লা ইবনু উমাইয়্যাহ্ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি উমার (রাযিঃ)-কে বললাম, আল্লাহ তা’আলা বলেছেনঃ “তোমরা যখন শত্রুর আশংকা করবে তখন নামায কসর করবে”— (সূরা আন-নিসা ১০১)। এখন তো মানুষ নিরাপদ ও ভীতিমুক্ত হয়ে গেছে (এখন নামায কসর করার কি প্রয়োজন)। উমার (রাযিঃ) বললেন, তুমি যে বিষয়ে বিস্ময়বোধ করছ আমিও একই বিষয়ে বিস্ময়বোধ করেছি এবং বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উত্থাপন করেছি। তিনি বলেছেনঃ এটা তো তোমাদের জন্য আল্লাহ তা’আলার পক্ষ হতে সাদাকাহ। অতএব তোমরা তার সাদাকাহ (অনুগ্রহ) গ্রহণ কর।
সহীহঃ ইবনু মা-জাহ (১০৬৫), মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا عَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، قَالَ سَمِعْتُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي عَمَّارٍ، يُحَدِّثُ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بَابَاهُ، عَنْ يَعْلَى بْنِ أُمَيَّةَ، قَالَ قُلْتُ لِعُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ إِنَّمَا قَالَ اللَّهُ : ( أَنْ تَقْصُرُوا مِنَ الصَّلاَةِ إِنْ خِفْتُمْ أَنْ يَفْتِنَكُمُ الَّذِينَ كَفَرُوا ) وَقَدْ أَمِنَ النَّاسُ . فَقَالَ عُمَرُ عَجِبْتُ مِمَّا عَجِبْتَ مِنْهُ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ " صَدَقَةٌ تَصَدَّقَ اللَّهُ بِهَا عَلَيْكُمْ فَاقْبَلُوا صَدَقَتَهُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Narrated Ya'la bin Umayyah:
"I said to 'Umar [bin Al-Khattab]: 'Allah said: That you shorten the Salat if you fear and the people are safe (4:101).' So 'Umar said: 'I wondered about that just as you have wondered. So I mentioned that to the Messenger of Allah (ﷺ), and he said: "It is charity which Allah has given to you, so accept His charity."