পরিচ্ছেদঃ ৫/৪২. জামাআতে সালাতের ফযীলত এবং তা থেকে পিছিয়ে থাকার ভয়াবহতার বর্ণনা।
৩৮০. আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছেন যে, জামাআতের সালাত আমাদের কারো একাকী সালাত হতে পঁচিশ গুণ অধিক সওয়াব রাখে। আর ফজরের সালাতে রাতের ও দিনের মালাকগণ একত্রিত হয়। অতঃপর আবু হুরাইরাহ্ (রাযি.) বলতেন, তোমরা চাইলে (এর প্রমাণ স্বরূপ) (إِنْ شِئْتُمْ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا) অর্থাৎ ’ফজরের সালাতে (মালাকগণ) উপস্থিত হয়’ পাঠ কর।
فضل صلاة الجماعة وبيان التشديد في التخلف عنها
. حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ ﷺ يَقُولُ تَفْضُلُ صَلاَةُ الْجَمِيعِ صَلاَةَ أَحَدِكُمْ وَحْدَهُ بِخَمْسٍ وَعِشْرِينَ جُزْءًا وَتَجْتَمِعُ مَلَائِكَةُ اللَّيْلِ وَمَلَائِكَةُ النَّهَارِ فِي صَلاَةِ الْفَجْرِ
ثُمَّ يَقُولُ أَبُو هُرَيْرَةَ فَاقْرَءُوا (إِنْ شِئْتُمْ إِنَّ قُرْآنَ الْفَجْرِ كَانَ مَشْهُودًا)
পরিচ্ছেদঃ ৫/৪২. জামাআতে সালাতের ফযীলত এবং তা থেকে পিছিয়ে থাকার ভয়াবহতার বর্ণনা।
৩৮১. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জামা’আতে সালাতের ফাযীলত একাকী আদায়কৃত সালাত অপেক্ষা সাতাশ’ গুণ বেশী।
فضل صلاة الجماعة وبيان التشديد في التخلف عنها
حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ صَلاَةُ الْجَمَاعَةِ تَفْضُلُ صَلاَةَ الْفَذِّ بِسَبْعٍ وَعِشْرِينَ دَرَجَةً
পরিচ্ছেদঃ ৫/৪২. জামাআতে সালাতের ফযীলত এবং তা থেকে পিছিয়ে থাকার ভয়াবহতার বর্ণনা।
৩৮২. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যাঁর হাতে আমার প্রাণ, তাঁর শপথ! আমার ইচ্ছে হয়, জ্বালানী কাঠ সংগ্রহ করতে আদেশ দেই, অতঃপর সালাত কায়েমের নির্দেশ দেই, অতঃপর সালাতের আযান দেয়া হোক, অতঃপর এক ব্যক্তিকে লোকদের ইমামত করার নির্দেশ দেই। অতঃপর আমি লোকদের নিকট যাই এবং (যারা সালাতে শামিল হয় নাই) তাদের ঘর জ্বালিয়ে দেই। যে মহান সত্তার হাতে আমার প্রাণ, তাঁর কসম! যদি তাদের কেউ জানত যে, একটি মাংসহীন মোটা হাড় বা ছাগলের ভালো দু’টি পা পাবে তাহলে অবশ্যই সে ’ইশা সালাতের জামা’আতেও উপস্থিত হতো।
فضل صلاة الجماعة وبيان التشديد في التخلف عنها
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ ﷺ قَالَ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ بِحَطَبٍ فَيُحْطَبَ ثُمَّ آمُرَ بِالصَّلاَةِ فَيُؤَذَّنَ لَهَا ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا فَيَؤُمَّ النَّاسَ ثُمَّ أُخَالِفَ إِلَى رِجَالٍ فَأُحَرِّقَ عَلَيْهِمْ بُيُوتَهُمْ وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ يَعْلَمُ أَحَدُهُمْ أَنَّهُ يَجِدُ عَرْقًا سَمِينًا أَوْ مِرْمَاتَيْنِ حَسَنَتَيْنِ لَشَهِدَ الْعِشَاءَ
পরিচ্ছেদঃ ৫/৪২. জামাআতে সালাতের ফযীলত এবং তা থেকে পিছিয়ে থাকার ভয়াবহতার বর্ণনা।
৩৮৩. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকদের জন্য ফাজর ও ’ইশার সালাত অপেক্ষা অধিক ভারী সালাত আর নেই। এ দু’ সালাতের কী ফাযীলত, তা যদি তারা জানতো, তবে হামাগুঁড়ি দিয়ে হলেও তারা হাযির হতো। (রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন) আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়াযযিনকে ইকামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামত করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে অতঃপর যারা সালাতে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই।
فضل صلاة الجماعة وبيان التشديد في التخلف عنها
حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ ﷺ لَيْسَ صَلَاةٌ أَثْقَلَ عَلَى الْمُنَافِقِينَ مِنَ الْفَجْرِ وَالْعِشَاءِ وَلَوْ يَعْلَمُونَ مَا فِيهِمَا لَأَتَوْهُمَا وَلَوْ حَبْوًا لَقَدْ هَمَمْتُ أَنْ آمُرَ الْمُؤَذِّنَ فَيُقِيمَ ثُمَّ آمُرَ رَجُلًا يَؤُمُّ النَّاسَ ثُمَّ آخُذَ شُعَلًا مِنْ نَارٍ فَأُحَرِّقَ عَلَى مَنْ لاَ يَخْرُجُ إِلَى الصَّلاَةِ بَعْدُ