আল-লুলু ওয়াল মারজান ৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
২৯৮

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

২৯৮. আবূ যার (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রসূল! পৃথিবীতে সর্বপ্রথম কোন মাসজিদ তৈরী করা হয়েছে? তিনি বললেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, অতঃপর কোনটি? তিনি বললেন, মসজিদে আকসা। আমি বললাম, উভয় মসজিদের (তৈরীর) মাঝে কত ব্যবধান ছিল? তিনি বললেন, চল্লিশ বছর। অতঃপর তোমার যেখানেই সালাতের সময় হবে, সেখানেই সালাত আদায় করে নিবে। কেননা এর মধ্যে ফাযীলাত নিহিত রয়েছে।

حَدِيْثُ أَبِىْ ذَرٍّ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللهِ أَيُّ مَسْجِدٍ وُضِعَ فِي الْأَرْضِ أَوَّلَ قَالَ الْمَسْجِدُ الْحَرَامُ قَالَ قُلْتُ ثُمَّ أَيٌّ قَالَ الْمَسْجِدُ الْأَقْصَى قُلْتُ كَمْ كَانَ بَيْنَهُمَا قَالَ أَرْبَعُونَ سَنَةً ثُمَّ أَيْنَمَا أَدْرَكَتْكَ الصَّلاَةُ بَعْدُ فَصَلِّهْ فَإِنَّ الْفَضْلَ فِيهِ

حديث ابى ذر رضي الله عنه قال قلت يا رسول الله اي مسجد وضع في الارض اول قال المسجد الحرام قال قلت ثم اي قال المسجد الاقصى قلت كم كان بينهما قال اربعون سنة ثم اينما ادركتك الصلاة بعد فصله فان الفضل فيه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
২৯৯

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

২৯৯. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আমাকে এমন পাঁচটি বিষয় প্রদান করা হয়েছে, যা আমার পূর্বে কোন নবীকে দেয়া হয়নি। (১) আমাকে এমন প্রভাব দিয়ে সাহায্য করা হয়েছে যা একমাসের দূরত্ব পর্যন্ত অনুভূত হয়। (২) সমস্ত যমীন আমার জন্যে সালাত আদায়ের স্থান ও পবিত্রতা অর্জনের উপায় করা হয়েছে। কাজেই আমার উম্মতের যে কেউ যেখানে সালাতের ওয়াক্ত হয় (সেখানেই) যেন সালাত আদায় করে নেয়। (৩) আমার জন্যে গনীমত হালাল করা হয়েছে। (৪) অন্যান্য নবী নিজেদের বিশেষ গোত্রের প্রতি প্রেরিত হতেন আর আমাকে সকল মানবের প্রতি প্রেরণ করা হয়েছে। (৫) আমাকে সার্বজনীন সুপারিশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে।

حَدِيْثُ جَابِرُ بْنُ عَبْدِ اللهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أُعْطِيتُ خَمْسًا لَمْ يُعْطَهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الْأَنْبِيَاءِ قَبْلِي نُصِرْتُ بِالرُّعْبِ مَسِيرَةَ شَهْرٍ وَجُعِلَتْ لِي الْأَرْضُ مَسْجِدًا وَطَهُورًا وَأَيُّمَا رَجُلٍ مِنْ أُمَّتِي أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ فَلْيُصَلِّ وَأُحِلَّتْ لِي

حديث جابر بن عبد الله قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم اعطيت خمسا لم يعطهن احد من الانبياء قبلي نصرت بالرعب مسيرة شهر وجعلت لي الارض مسجدا وطهورا وايما رجل من امتي ادركته الصلاة فليصل واحلت لي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০০

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৩০০. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, অল্প শব্দে ব্যাপক অর্থবোধক বাক্য বলার শক্তিসহ আমাকে পাঠানো হয়েছে এবং শত্রুর মনে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে আমাকে সাহায্য করা হয়েছে। একবার আমি নিদ্রায় ছিলাম, তখন পৃথিবীর ধনভান্ডার সমূহের চাবি আমার হাতে দেয়া হয়েছে। আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তো চলে গেছেন আর তোমরা ওগুলো বাহির করছ।

حَدِيْثُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بُعِثْتُ بِجَوَامِعِ الْكَلِمِ وَنُصِرْتُ بِالرُّعْبِ فَبَيْنَا أَنَا نَائِمٌ أُتِيتُ بِمَفَاتِيحِ خَزَائِنِ الْأَرْضِ فَوُضِعَتْ فِي يَدِي قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ وَقَدْ ذَهَبَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنْتُمْ تَنْتَثِلُونَهَا

حديث عن ابي هريرة رضي الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بعثت بجوامع الكلم ونصرت بالرعب فبينا انا ناىم اتيت بمفاتيح خزاىن الارض فوضعت في يدي قال ابو هريرة وقد ذهب رسول الله صلى الله عليه وسلم وانتم تنتثلونها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০১

পরিচ্ছেদঃ ৫/১. মসজিদে নববী (ﷺ) নির্মাণ।

৩০১. আনাস ইবনু মালিক (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদীনায় পৌঁছে প্রথমে মদীনার উচ্চ এলাকার অবস্থিত বানূ ’আমর ইবনু ’আওফ নামক গোত্রে উপনীত হন। তাদের সঙ্গে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চৌদ্দ দিন (অপর বর্ণনায় চব্বিশ দিন) অবস্থান করেন। অতঃপর তিনি বানূ নাজ্জারকে ডেকে পাঠালেন। তারা কাঁধে তলোয়ার ঝুলিয়ে উপস্থিত হলো। আমি যেন এখনো সে দৃশ্য দেখতে পাচ্ছি যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন তাঁর বাহনের উপর, আবূ বকর (রাযি.) সে বাহনেই তাঁর পেছনে আর বানূ নাজ্জারের দল তাঁর আশেপাশে। অবশেষে তিনি আবূ আয়্যূব আনসারী (রাযি.) এর ঘরের সাহানে অবতরণ করলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেখানেই সালাতের ওয়াক্ত হয় সেখানেই সালাত আদায় করতে পছন্দ করতেন এবং তিনি ছাগল-ভেড়ার খোঁয়াড়েও সালাত আদায় করতেন। এখন তিনি মাসজিদ তৈরি করার নির্দেশ দেন।

তিনি বানূ নাজ্জারকে ডেকে বললেনঃ হে বানূ নাজ্জার! তোমরা আমার কাছ হতে তোমাদের এই বাগিচার মূল্য নির্ধারণ কর। তারা বললোঃ না, আল্লাহর কসম, আমরা এর দাম নেব না। এর দাম আমরা একমাত্র আল্লাহর নিকটই আশা করি। আনাস (রাযি.) বলেনঃ আমি তোমাদের বলছি, এখানে মুশরিকদের কবর এবং ভগ্নাবশেষ ছিল। আর ছিল খেজুর গাছ। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে মুশরিকদের কবর খুঁড়ে ফেলা হলো, অতঃপর ভগ্নাবশেষ সমতল করে দেয়া হলো, খেজুর গাছগুলো কেটে ফেলা হলো, অতঃপর মসজিদের কিবলায় সারিবদ্ধ করে রাখা হলো এবং তার দু’ পাশে পাথর বসানো হলো। সাহাবীগণ পাথর তুলতে তুলতে ছন্দোবদ্ধ কবিতা আবৃত্তি করছিলেন। আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ও তাঁদের সাথে ছিলেন। তিনি তখন বলছিলেনঃ ’ইয়া আল্লাহ! আখিরাতের কল্যাণ ব্যতীত (প্রকৃত) আর কোন কল্যাণ নেই। তুমি আনসার ও মুহাজিরগণকে ক্ষমা কর।’

ابتناء مسجد النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ

حَدِيْثُ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَدِمَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمَدِينَةَ فَنَزَلَ أَعْلَى الْمَدِينَةِ فِي حَيٍّ يُقَالُ لَهُمْ بَنُو عَمْرِو بْنِ عَوْفٍ فَأَقَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فِيهِمْ أَرْبَعَ عَشْرَةَ لَيْلَةً ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَى بَنِي النَّجَّارِ فَجَاءُوا مُتَقَلِّدِي السُّيُوفِ كَأَنِّي أَنْظُرُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم عَلَى رَاحِلَتِهِ وَأَبُو بَكْرٍ رِدْفُهُ وَمَلاَ بَنِي النَّجَّارِ حَوْلَهُ حَتَّى أَلْقَى بِفِنَاءِ أَبِي أَيُّوبَ وَكَانَ يُحِبُّ أَنْ يُصَلِّيَ حَيْثُ أَدْرَكَتْهُ الصَّلاَةُ وَيُصَلِّي فِي مَرَابِضِ الْغَنَمِ وَأَنَّهُ أَمَرَ بِبِنَاءِ الْمَسْجِدِ فَأَرْسَلَ إِلَى مَلاَ مِنْ بَنِي النَّجَّارِ فَقَالَ يَا بَنِي النَّجَّارِ ثَامِنُونِي بِحَائِطِكُمْ هَذَا قَالُوا لاَ وَاللهِ لاَ نَطْلُبُ ثَمَنَهُ إِلاَّ إِلَى اللهِ
فَقَالَ أَنَسٌ فَكَانَ فِيهِ مَا أَقُولُ لَكُمْ قُبُورُ الْمُشْرِكِينَ وَفِيهِ خَرِبٌ وَفِيهِ نَخْلٌ فَأَمَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم بِقُبُورِ الْمُشْرِكِينَ فَنُبِشَتْ ثُمَّ بِالْخَرِبِ فَسُوِّيَتْ وَبِالنَّخْلِ فَقُطِعَ فَصَفُّوا النَّخْلَ قِبْلَةَ الْمَسْجِدِ وَجَعَلُوا عِضَادَتَيْهِ الْحِجَارَةَ وَجَعَلُوا يَنْقُلُونَ الصَّخْرَ وَهُمْ يَرْتَجِزُونَ وَالنَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مَعَهُمْ وَهُوَ يَقُولُ
اللَّهُمَّ لاَ خَيْرَ إِلاَّ خَيْرُ الْآخِرَهْ فَاغْفِرْ لِلْأَنْصَارِ وَالْمُهَاجِرَهْ

حديث انس بن مالك قال قدم النبي صلى الله عليه وسلم المدينة فنزل اعلى المدينة في حي يقال لهم بنو عمرو بن عوف فاقام النبي صلى الله عليه وسلم فيهم اربع عشرة ليلة ثم ارسل الى بني النجار فجاءوا متقلدي السيوف كاني انظر الى النبي صلى الله عليه وسلم على راحلته وابو بكر ردفه وملا بني النجار حوله حتى القى بفناء ابي ايوب وكان يحب ان يصلي حيث ادركته الصلاة ويصلي في مرابض الغنم وانه امر ببناء المسجد فارسل الى ملا من بني النجار فقال يا بني النجار ثامنوني بحاىطكم هذا قالوا لا والله لا نطلب ثمنه الا الى الله فقال انس فكان فيه ما اقول لكم قبور المشركين وفيه خرب وفيه نخل فامر النبي صلى الله عليه وسلم بقبور المشركين فنبشت ثم بالخرب فسويت وبالنخل فقطع فصفوا النخل قبلة المسجد وجعلوا عضادتيه الحجارة وجعلوا ينقلون الصخر وهم يرتجزون والنبي صلى الله عليه وسلم معهم وهو يقول اللهم لا خير الا خير الاخره فاغفر للانصار والمهاجره

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০২

পরিচ্ছেদঃ ৫/২. বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে কা'বার দিকে কিবলা পরিবর্তন।

৩০২. বারাআ ’ইবনু ’আযিব (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বায়তুল মুকাদ্দাসমুখী হয়ে ষোল বা সতের মাস সালাত আদায় করেছেন। আর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কা’বার দিকে কিবলাহ করা পছন্দ করতেন। মহান আল্লাহ নাযিল করেনঃ ’আকাশের দিকে আপনার বারবার তাকানোকে আমি অবশ্য লক্ষ্য করছি’- (আল-বাক্বারাহঃ ১৪৪)। অতঃপর তিনি কা’বার দিকে মুখ করেন। আর নির্বোধ লোকেরা- তারা ইয়াহুদী, বলতো, ’তারা এ যাবত যে কিবলাহ অনুসরণ করে আসছিলো, তা হতে কিসে তাদেরকে ফিরিয়ে দিল? বলুনঃ (হে নবী) পূর্ব ও পশ্চিম আল্লাহরই। তিনি যাকে ইচ্ছে সঠিক পথে পরিচালিত করেন’- (আল-বাক্বারাহঃ ১৪২)।

তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক ব্যক্তি সালাত আদায় করলেন এবং বেরিয়ে গেলেন। তিনি আসরের সালাতের সময় আনসারগণের এক গোত্রের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাঁরা বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করছিলেন। তখন তিনি বললেনঃ (তিনি নিজেই) সাক্ষী যে, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে তিনি সালাত আদায় করেছেন, আর তিনি [রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] কা’বার দিকে মুখ করেছেন। তখন সে গোত্রের লোকজন ঘুরে কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।

تحويل القبلة من القدس إلى الكعبة

حَدِيْثُ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا وَكَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم يُحِبُّ أَنْ يُوَجَّهَ إِلَى الْكَعْبَةِ فَأَنْزَلَ اللهُ (قَدْ نَرَى تَقَلُّبَ وَجْهِكَ فِي السَّمَاءِ) فَتَوَجَّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ وَقَالَ السُّفَهَاءُ مِنْ النَّاسِ وَهُمْ الْيَهُودُ مَا وَلَّاهُمْ عَنْ قِبْلَتِهِمْ الَّتِي كَانُوا عَلَيْهَا قُلْ لِلَّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَنْ يَشَاءُ إِلَى صِرَاطٍ مُسْتَقِيمٍ فَصَلَّى مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم رَجُلٌ ثُمَّ خَرَجَ بَعْدَ مَا صَلَّى فَمَرَّ عَلَى قَوْمٍ مِنَ الْأَنْصَارِ فِي صَلاَةِ الْعَصْرِ نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ فَقَالَ هُوَ يَشْهَدُ أَنَّهُ صَلَّى مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَّهُ تَوَجَّهَ نَحْوَ الْكَعْبَةِ فَتَحَرَّفَ الْقَوْمُ حَتَّى تَوَجَّهُوا نَحْوَ الْكَعْبَةِ

حديث البراء بن عازب رضي الله عنهما قال كان رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى نحو بيت المقدس ستة عشر او سبعة عشر شهرا وكان رسول الله صلى الله عليه وسلم يحب ان يوجه الى الكعبة فانزل الله (قد نرى تقلب وجهك في السماء) فتوجه نحو الكعبة وقال السفهاء من الناس وهم اليهود ما ولاهم عن قبلتهم التي كانوا عليها قل لله المشرق والمغرب يهدي من يشاء الى صراط مستقيم فصلى مع النبي صلى الله عليه وسلم رجل ثم خرج بعد ما صلى فمر على قوم من الانصار في صلاة العصر نحو بيت المقدس فقال هو يشهد انه صلى مع رسول الله صلى الله عليه وسلم وانه توجه نحو الكعبة فتحرف القوم حتى توجهوا نحو الكعبة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৩

পরিচ্ছেদঃ ৫/২. বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে কা'বার দিকে কিবলা পরিবর্তন।

৩০৩. বারাআ (ইবনু ’আযিব) (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে ষোল অথবা সতের মাস ব্যাপী (মদীনাতে) বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে সালাত আদায় করেছি। অতঃপর আল্লাহ তাঁকে কা’বার দিকে ফিরিয়ে দেন।

تحويل القبلة من القدس إلى الكعبة

حَدِيْثُ الْبَرَاءَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ صَلَّيْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ بَيْتِ الْمَقْدِسِ سِتَّةَ عَشَرَ أَوْ سَبْعَةَ عَشَرَ شَهْرًا ثُمَّ صَرَفَهُ نَحْوَ الْقِبْلَةِ

حديث البراء رضي الله عنه قال صلينا مع النبي صلى الله عليه وسلم نحو بيت المقدس ستة عشر او سبعة عشر شهرا ثم صرفه نحو القبلة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৪

পরিচ্ছেদঃ ৫/২. বাইতুল মুকাদ্দাস থেকে কা'বার দিকে কিবলা পরিবর্তন।

৩০৪. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ একদা লোকেরা কুবা নামক স্থানে ফজরের সালাত আদায় করছিলেন। এমন সময় তাদের নিকট এক ব্যক্তি এসে বললেন যে, এ রাতে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি ওয়াহী অবতীর্ণ হয়েছে। আর তাঁকে কা’বামুখী হবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কাজেই তোমারা কা’বার দিকে মুখ কর। তখন তাঁদের চেহারা ছিল শামের (বায়তুল মুকাদ্দাসের) দিকে। একথা শুনে তাঁরা কা’বার দিকে মুখ ফিরিয়ে নিলেন।

تحويل القبلة من القدس إلى الكعبة

حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ بَيْنَا النَّاسُ بِقُبَاءٍ فِي صَلاَةِ الصُّبْحِ إِذْ جَاءَهُمْ آتٍ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَدْ أُنْزِلَ عَلَيْهِ اللَّيْلَةَ قُرْآنٌ وَقَدْ أُمِرَ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْكَعْبَةَ فَاسْتَقْبِلُوهَا وَكَانَتْ وُجُوهُهُمْ إِلَى الشَّأْمِ فَاسْتَدَارُوا إِلَى الْكَعْبَةِ

حديث عبد الله بن عمر قال بينا الناس بقباء في صلاة الصبح اذ جاءهم ات فقال ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قد انزل عليه الليلة قران وقد امر ان يستقبل الكعبة فاستقبلوها وكانت وجوههم الى الشام فاستداروا الى الكعبة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৫

পরিচ্ছেদঃ ৫/৩. কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ।

৩০৫. ’আয়িশাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত যে, উম্মু হাবীবাহ ও উম্মু সালামাহ (রাযি.) হাবশায় তাঁদের দেখা একটা গির্জার কথা বলেছিলেন, যাতে বেশ কিছু মূর্তি ছিল। তাঁরা উভয়ে বিষয়টি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট বর্ণনা করলেন। তিনি ইরশাদ করলেনঃ তাদের অবস্থা ছিল এমন যে, কোন সৎ লোক মারা গেলে তারা তার কবরের উপর মাসজিদ বানাতো। আর তার ভিতরে ঐ লোকের মূর্তি তৈরি করে রাখতো। কিয়ামত দিবসে তারাই আল্লাহর নিকট সবচাইতে নিকৃষ্ট সৃষ্টজীব বলে পরিগণিত হবে।

النهي عن بناء المساجد على القبور

حَدِيْثُ عَائِشَةَ أَنَّ أُمَّ حَبِيبَةَ وَأُمَّ سَلَمَةَ ذَكَرَتَا كَنِيسَةً رَأَيْنَهَا بِالْحَبَشَةِ فِيهَا تَصَاوِيرُ فَذَكَرَتَا لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ إِنَّ أُولَئِكَ إِذَا كَانَ فِيهِمْ الرَّجُلُ الصَّالِحُ فَمَاتَ بَنَوْا عَلَى قَبْرِهِ مَسْجِدًا وَصَوَّرُوا فِيهِ تِلْكَ الصُّوَرَ فَأُولَئِكَ شِرَارُ الْخَلْقِ عِنْدَ اللهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ

حديث عاىشة ان ام حبيبة وام سلمة ذكرتا كنيسة راينها بالحبشة فيها تصاوير فذكرتا للنبي صلى الله عليه وسلم فقال ان اولىك اذا كان فيهم الرجل الصالح فمات بنوا على قبره مسجدا وصوروا فيه تلك الصور فاولىك شرار الخلق عند الله يوم القيامة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৬

পরিচ্ছেদঃ ৫/৩. কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ।

৩০৬. ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে রোগে মৃত্যু হয়েছিল, সে রোগাবস্থায় তিনি বলেছিলেনঃ ইয়াহূদী ও নাসারা সম্প্রদায়ের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। ’আয়িশাহ্ (রাযি.) বলেন, সে আশঙ্কা না থাকলে তাঁর (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর) কবরকে উন্মুক্ত রাখা হত, কিন্তু আমি আশঙ্কা করি যে, (উন্মুক্ত রাখা হলে) একে মসজিদে পরিণত করা হবে।

النهي عن بناء المساجد على القبور

حَدِيْثُ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ فِي مَرَضِهِ الَّذِي مَاتَ فِيهِ لَعَنَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسْجِدًا
قَالَتْ وَلَوْلاَ ذَلِكَ لَأَبْرَزُوا قَبْرَهُ غَيْرَ أَنِّي أَخْشَى أَنْ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا

حديث عاىشة رضي الله عنها عن النبي صلى الله عليه وسلم قال في مرضه الذي مات فيه لعن الله اليهود والنصارى اتخذوا قبور انبياىهم مسجدا قالت ولولا ذلك لابرزوا قبره غير اني اخشى ان يتخذ مسجدا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৭

পরিচ্ছেদঃ ৫/৩. কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ।

৩০৭. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা ইয়াহূদীদের ধ্বংস করুন। কেননা তারা তাদের নবীদের কবরকে মাসজিদ বানিয়ে নিয়েছে।

النهي عن بناء المساجد على القبور

حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَاتَلَ اللهُ الْيَهُودَ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ

حديث ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال قاتل الله اليهود اتخذوا قبور انبياىهم مساجد

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৮

পরিচ্ছেদঃ ৫/৩. কবরের উপর মাসজিদ নির্মাণ নিষিদ্ধ।

৩০৮. ’উবায়দুল্লাহ ইবনু ’আবদুল্লাহ ইবন ’উতবাহ (রহ.) হতে বর্ণিত,’আয়িশাহ ও ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাযি.) বলেছেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মৃত্যু পীড়া শুরু হলে তিনি তাঁর একটা চাদরে নিজ মুখমণ্ডল আবৃত করতে লাগলেন। যখন শ্বাস বন্ধ হবার উপক্রম হলো, তখন মুখ হতে চাদর সরিয়ে দিলেন। এমতাবস্থায় তিনি বললেনঃ ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহর অভিশাপ, তারা তাদের নবীদের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছে। (এ বলে) তারা যে (বিদ’আতী) কার্যকলাপ করত তা হতে তিনি সতর্ক করেছিলেন।

النهي عن بناء المساجد على القبور

حَدِيْثُ عَائِشَةَ وَعَبْدَ اللهِ بْنَ عَبَّاسٍ قَالاَ لَمَّا نَزَلَ بِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم طَفِقَ يَطْرَحُ خَمِيصَةً لَهُ عَلَى وَجْهِهِ فَإِذَا اغْتَمَّ بِهَا كَشَفَهَا عَنْ وَجْهِهِ فَقَالَ وَهُوَ كَذَلِكَ لَعْنَةُ اللهِ عَلَى الْيَهُودِ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ يُحَذِّرُ مَا صَنَعُوا

حديث عاىشة وعبد الله بن عباس قالا لما نزل برسول الله صلى الله عليه وسلم طفق يطرح خميصة له على وجهه فاذا اغتم بها كشفها عن وجهه فقال وهو كذلك لعنة الله على اليهود والنصارى اتخذوا قبور انبياىهم مساجد يحذر ما صنعوا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩০৯

পরিচ্ছেদঃ ৫/৪. মসজিদ নির্মাণের ফযীলত এবং এর প্রতি উৎসাহ প্রদান।

৩০৯. ’উবায়দুল্লাহ খাওলানী (রহ.) হতে বর্ণিত, তিনি ’উসমান ইব্নু ’আফ্ফান (রাযি.)-কে বলতে শুনেছেন, তিনি যখন মসজিদে নববী নির্মাণ করেছিলেন তখন লোকজনের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেছিলেনঃ তোমরা আমার উপর অনেক বাড়াবাড়ি করছ অথচ আমি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি মাসজিদ নির্মাণ করে, বুকায়র (রহ.) বলেনঃ আমার মনে হয় রাবী ’আসিম (রহ.) তাঁর বর্ণনায় উল্লেখ করেছেন, আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশে, আল্লাহ তা’আলা তার জন্যে জান্নাতে অনুরূপ ঘর তৈরি করে দেবেন।

فضل بناء المساجد والحث عليها

حَدِيْثُ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ عَن عُبَيْدِ اللهِ الْخَوْلَانِيَّ أَنَّهُ سَمِعَ عُثْمَانَ بْنَ عَفَّانَ يَقُولُ عِنْدَ قَوْلِ النَّاسِ فِيهِ حِينَ بَنَى مَسْجِدَ الرَّسُولِ صلى الله عليه وسلم إِنَّكُمْ أَكْثَرْتُمْ وَإِنِّي سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ مَنْ بَنَى مَسْجِدًا قَالَ بُكَيْرٌ حَسِبْتُ أَنَّهُ قَالَ يَبْتَغِي بِهِ وَجْهَ اللهِ بَنَى اللهُ لَهُ مِثْلَهُ فِي الْجَنَّةِ

حديث عثمان بن عفان عن عبيد الله الخولاني انه سمع عثمان بن عفان يقول عند قول الناس فيه حين بنى مسجد الرسول صلى الله عليه وسلم انكم اكثرتم واني سمعت النبي صلى الله عليه وسلم يقول من بنى مسجدا قال بكير حسبت انه قال يبتغي به وجه الله بنى الله له مثله في الجنة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১০

পরিচ্ছেদঃ ৫/৫. রুকূ’তে গিয়ে দু হাত হাঁটুতে রাখার নির্দেশ এবং তাতবীক (দু’হাত মিলিয়ে দু হাঁটুর মধ্যে রাখা) মানসুখ হওয়া।

৩১০. মুস’আব ইবনু সা’দ (রহঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একবার আমি আমার পিতার পাশে দাঁড়িয়ে সালাত আদায় করলাম। এবং (রুকু’র সময়) দু’ হাত জোড় করে উভয় উরুর মাঝে রাখলাম। আমার পিতা আমাকে এরূপ করতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, পূর্বে আমরা এরূপ করতাম; পরে আমাদেরকে এ হতে নিষেধ করা হয়েছে এবং হাত হাঁটুর উপর রাখার আদেশ করা হয়েছে।

الندب إِلى وضع الأيدي على الركب في الركوع ونسخ التطبيق

حَدِيْثُ سعد بن أبي وقاس قَالَ مُصْعَبَ بْنُ سَعْدٍ صَلَّيْتُ إِلَى جَنْبِ أَبِي فَطَبَّقْتُ بَيْنَ كَفَّيَّ ثُمَّ وَضَعْتُهُمَا بَيْنَ فَخِذَيَّ فَنَهَانِي أَبِي وَقَالَ كُنَّا نَفْعَلُهُ فَنُهِينَا عَنْهُ وَأُمِرْنَا أَنْ نَضَعَ أَيْدِينَا عَلَى الرُّكَبِ

حديث سعد بن ابي وقاس قال مصعب بن سعد صليت الى جنب ابي فطبقت بين كفي ثم وضعتهما بين فخذي فنهاني ابي وقال كنا نفعله فنهينا عنه وامرنا ان نضع ايدينا على الركب

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১১

পরিচ্ছেদঃ ৫/৭. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ এবং (কথা বলার বৈধতা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে।

৩১১. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু মাস’ঊদ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে তাঁর সালাতরত অবস্থায় সালাম করতাম; তিনি আমাদের সালামের জওয়াব দিতেন। পরে যখন আমরা নাজাশীর নিকট হতে ফিরে এলাম, তখন তাঁকে (সালাত আদায়রত অবস্থায়) সালাম করলে তিনি আমাদের সালামের জবাব দিলেন না এবং পরে ইরশাদ করলেনঃ সালাতে অনেক ব্যস্ততা ও নিমগ্নতা রয়েছে।

تحريم الكلام في الصلاة ونسخ ما كان من إِباحته

حَدِيْثُ عَبْدِ اللهِ بن مسعود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ كُنَّا نُسَلِّمُ عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الصَّلاَةِ فَيَرُدُّ عَلَيْنَا فَلَمَّا رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِ النَّجَاشِيِّ سَلَّمْنَا عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيْنَا وَقَالَ إِنَّ فِي الصَّلاَةِ شُغْلًا

حديث عبد الله بن مسعود رضي الله عنه قال كنا نسلم على النبي صلى الله عليه وسلم وهو في الصلاة فيرد علينا فلما رجعنا من عند النجاشي سلمنا عليه فلم يرد علينا وقال ان في الصلاة شغلا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১২

পরিচ্ছেদঃ ৫/৭. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ এবং (কথা বলার বৈধতা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে।

৩১২. যায়দ ইবনু আরকাম (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সময়ে সালাতের মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল- ’তোমরা তোমাদের সালাতসমূহের সংরক্ষণ কর ও নিয়ানুমবর্তিতা রক্ষা কর; বিশেষ মধ্যবর্তী (আসর) সালাতে, আর তোমরা (সালাতে) আল্লাহ্র উদ্দেশে একাগ্রচিত্ত হও’- (আল-বাক্বারাহ্ঃ ২৩৮)। তারপর থেকে আমরা সালাতে নীরব থাকতে আদিষ্ট হলাম।

تحريم الكلام في الصلاة ونسخ ما كان من إِباحته

حَدِيْثُ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يُكَلِّمُ أَحَدُنَا صَاحِبَهُ بِحَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ (حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ) فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ

حديث زيد بن ارقم قال كنا نتكلم في الصلاة على عهد النبي صلى الله عليه وسلم يكلم احدنا صاحبه بحاجته حتى نزلت (حافظوا على الصلوات والصلاة الوسطى وقوموا لله قانتين) فامرنا بالسكوت

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১৩

পরিচ্ছেদঃ ৫/৭. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ এবং (কথা বলার বৈধতা রহিত হওয়া প্রসঙ্গে।

৩১৩. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে তাঁর একটি কাজে পাঠালেন, আমি গেলাম এবং কাজটি সেরে ফিরে এলাম। অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাম করলাম। তিনি জবাব দিলেন না। এতে আমার মনে এমন খটকা লাগল যা আল্লাহ্ই ভাল জানেন। আমি মনে মনে বললাম, সম্ভবত আমি বিলম্বে আসার কারণে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার উপর অসন্তুষ্ট হয়েছেন। আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম; তিনি জওয়াব দিলেন না। ফলে আমার মনে প্রথম বারের চেয়েও অধিক খটকা লাগল। (সালাত শেষে) আবার আমি তাঁকে সালাম করলাম। এবার তিনি সালামের জওয়াব দিলেন এবং বললেনঃ সালাতে ছিলাম ব’লে তোমার সালামের জওয়াব দিতে পারিনি। তিনি তখন তাঁর বাহনের পিঠে কিব্লা হতে ভিন্নমুখী ছিলেন।

تحريم الكلام في الصلاة ونسخ ما كان من إِباحته

حَدِيْثُ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللهِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ بَعَثَنِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَاجَةٍ لَهُ فَانْطَلَقْتُ ثُمَّ رَجَعْتُ وَقَدْ قَضَيْتُهَا فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَسَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ فَوَقَعَ فِي قَلْبِي مَا اللهُ أَعْلَمُ بِهِ فَقُلْتُ فِي نَفْسِي لَعَلَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَجَدَ عَلَيَّ أَنِّي أَبْطَأْتُ عَلَيْهِ ثُمَّ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَلَمْ يَرُدَّ عَلَيَّ فَوَقَعَ فِي قَلْبِي أَشَدُّ مِنَ الْمَرَّةِ الْأُولَى ثُمَّ سَلَّمْتُ عَلَيْهِ فَرَدَّ عَلَيَّ فَقَالَ إِنَّمَا مَنَعَنِي أَنْ أَرُدَّ عَلَيْكَ أَنِّي كُنْتُ أُصَلِّي وَكَانَ عَلَى رَاحِلَتِهِ مُتَوَجِّهًا إِلَى غَيْرِ الْقِبْلَةِ

حديث جابر بن عبد الله رضي الله عنهما قال بعثني رسول الله صلى الله عليه وسلم في حاجة له فانطلقت ثم رجعت وقد قضيتها فاتيت النبي صلى الله عليه وسلم فسلمت عليه فلم يرد علي فوقع في قلبي ما الله اعلم به فقلت في نفسي لعل رسول الله صلى الله عليه وسلم وجد علي اني ابطات عليه ثم سلمت عليه فلم يرد علي فوقع في قلبي اشد من المرة الاولى ثم سلمت عليه فرد علي فقال انما منعني ان ارد عليك اني كنت اصلي وكان على راحلته متوجها الى غير القبلة

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১৪

পরিচ্ছেদঃ ৫/৮. সালাতের মধ্যে শয়তানকে অভিসম্পাত করা বৈধ।

৩১৪. আবূ হুরায়রাহ (রাযি.) হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ গত রাতে একটা অবাধ্য জিন হঠাৎ আমার সামনে প্রকাশ পেল। রাবী বলেন, অথবা তিনি অনুরূপ কোন কথা বলেছেন, যাতে সে আমার সালাতে বাধা সৃষ্টি করে। কিন্তু আল্লাহ আমাকে তার উপর ক্ষমতা দিলেন। আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, তাকে মসজিদের খুঁটির সাথে বেঁধে রাখি, যাতে ভোর বেলা তোমরা সবাই তাকে দেখতে পাও। কিন্তু তখন আমার ভাই সুলায়মান (আ)-এর এ উক্তি আমার স্মরণ হলো, ’’হে প্রভু! আমাকে এমন রাজত্ব দান কর, যার অধিকারী আমার পরে আর কেউ না হয়’’- (সূরা সোয়াদঃ ৩৫)। (বর্ণনাকারী) রাওহ্ (রহ.) বলেনঃ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে শয়তানটিকে অপমানিত করে ছেড়ে দিলেন।

جواز لعن الشيطان في أثناء الصلاة

حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ إِنَّ عِفْرِيتًا مِنَ الْجِنِّ تَفَلَّتَ عَلَيَّ الْبَارِحَةَ أَوْ كَلِمَةً نَحْوَهَا لِيَقْطَعَ عَلَيَّ الصَّلاَةَ فَأَمْكَنَنِي اللهُ مِنْهُ فَأَرَدْتُ أَنْ أَرْبِطَهُ إِلَى سَارِيَةٍ مِنْ سَوَارِي الْمَسْجِدِ حَتَّى تُصْبِحُوا وَتَنْظُرُوا إِلَيْهِ كُلُّكُمْ فَذَكَرْتُ قَوْلَ أَخِي سُلَيْمَانَ (رَبِّ هَبْ لِي مُلْكًا لاَ يَنْبَغِي لِأَحَدٍ مِنْ بَعْدِي) قَالَ رَوْحٌ فَرَدَّهُ خَاسِئًا

حديث ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ان عفريتا من الجن تفلت علي البارحة او كلمة نحوها ليقطع علي الصلاة فامكنني الله منه فاردت ان اربطه الى سارية من سواري المسجد حتى تصبحوا وتنظروا اليه كلكم فذكرت قول اخي سليمان (رب هب لي ملكا لا ينبغي لاحد من بعدي) قال روح فرده خاسىا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১৫

পরিচ্ছেদঃ ৫/৯. সালাত আদায়কালে শিশুদেরকে বহন করা বৈধ।

৩১৫. আবূ কাতাদাহ্ আনসারী (রাযি.) হতে বর্ণিত, আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর মেয়ে যয়নবের গর্ভজাত ও আবুল আস ইবনু রাবী’আহ ইবনু ’আবদ শামস (রহ.)-এর ঔরসজাত কন্যা উমামাহ (রাযি.)-কে কাঁধে নিয়ে সালাত আদায় করতেন। তিনি যখন সাজদায় যেতেন তখন তাকে রেখে দিতেন আর যখন দাঁড়াতেন তখন তাকে তুলে নিতেন।

جواز حمل الصبيان في الصلاة

حَدِيْثُ أَبِي قَتَادَةَ الْأَنْصَارِيِّ أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يُصَلِّي وَهُوَ حَامِلٌ أُمَامَةَ بِنْتَ زَيْنَبَ بِنْتِ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَلِأَبِي الْعَاصِ بْنِ رَبِيعَةَ بْنِ عَبْدِ شَمْسٍ فَإِذَا سَجَدَ وَضَعَهَا وَإِذَا قَامَ حَمَلَهَا

حديث ابي قتادة الانصاري ان رسول الله صلى الله عليه وسلم كان يصلي وهو حامل امامة بنت زينب بنت رسول الله صلى الله عليه وسلم ولابي العاص بن ربيعة بن عبد شمس فاذا سجد وضعها واذا قام حملها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১৬

পরিচ্ছেদঃ ৫/১০. সালাতরত অবস্থায় দু’এক পা আগ পিছ হওয়া বৈধ।

৩১৬. সাহল ইবনু সা’দ আস সা’ঈদী (রাযি.) হতে বর্ণিত তিনি বলেন, আবূ হাযিম ইবনু দীনার (রহ.) বলেছেন যে, (একদিন) কিছু লোক সাহল ইবনু সা’দ সাঈদীর নিকট আগমন করে এবং মিম্বরটি কোন্ কাঠের তৈরি ছিল, এ নিয়ে তাদের মনে প্রশ্ন জেগে ছিল। তারা এ সম্পর্কে তাঁর নিকট জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন, আল্লাহর শপথ! আমি সম্যকরূপে অবগত আছি যে, তা কিসের ছিল। প্রথম যেদিন তা স্থাপন করা হয় এবং প্রথম যে দিন এর উপর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বসেন তা আমি দেখেছি। আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের অমুক মহিলার [বর্ণনাকারী বলেন, সাহল (রাযি.) তার নামও উল্লেখ করেছিলেন] নিকট লোক পাঠিয়ে বলেছিলেন, তোমার কাঠমিস্ত্রি গোলামকে আমার জন্য কিছু কাঠ দিয়ে এমন জিনিস তৈরি করার নির্দেশ দাও, যার উপর বসে আমি লোকদের সাথে কথা বলতে পারি।

অতঃপর সে মহিলা তাকে আদেশ করেন এবং সে (মদীনা হতে নয় মাইল দূরবর্তী) গাবা’র ঝাউ কাঠ দ্বারা তা তৈরি করে নিয়ে আসে। মহিলাটি আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট তা পাঠিয়েছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আদেশে এখানেই তা স্থাপন করা হয়। অতঃপর আমি দেখেছি, এর উপর আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সালাত আদায় করেছেন। এর উপর উঠে তাকবীর দিয়েছেন এবং এখানে (দাঁড়িয়ে) রুকূ’ করেছেন। অতঃপর পিছনের দিকে নেমে এসে মিম্বরের গোড়ায় সিজদা্ করেছেন এবং (এ সিজদা্) পুনরায় করেছেন, অতঃপর সালাত শেষ করে সমবেত লোকদের দিকে ফিরে বলেছেনঃ হে লোক সকল! আমি এটা এ জন্য করেছি যে, তোমরা যেন আমার অনুসরণ করতে এবং আমার সালাত শিখে নিতে পার।

جواز الخطوة والخطوتين في الصلاة

حَدِيْثُ سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ قَالَ أَبُو حَازِمِ بْنُ دِينَارٍ إِنَّ رِجَالًا أَتَوْا سَهْلَ بْنَ سَعْدٍ السَّاعِدِيَّ وَقَدْ امْتَرَوْا فِي الْمِنْبَرِ مِمَّ عُودُهُ فَسَأَلُوهُ عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ وَاللهِ إِنِّي لَأَعْرِفُ مِمَّا هُوَ وَلَقَدْ رَأَيْتُهُ أَوَّلَ يَوْمٍ وُضِعَ وَأَوَّلَ يَوْمٍ جَلَسَ عَلَيْهِ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم أَرْسَلَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى فُلَانَةَ امْرَأَةٍ مِنَ الْأَنْصَارِ قَدْ سَمَّاهَا سَهْلٌ مُرِي غُلَامَكِ النَّجَّارَ أَنْ يَعْمَلَ لِي أَعْوَادًا أَجْلِسُ عَلَيْهِنَّ إِذَا كَلَّمْتُ النَّاسَ فَأَمَرَتْهُ فَعَمِلَهَا مِنْ طَرْفَاءِ الْغَابَةِ ثُمَّ جَاءَ بِهَا فَأَرْسَلَتْ إِلَى رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرَ بِهَا فَوُضِعَتْ هَا هُنَا ثُمَّ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صَلَّى عَلَيْهَا وَكَبَّرَ وَهُوَ عَلَيْهَا ثُمَّ رَكَعَ وَهُوَ عَلَيْهَا ثُمَّ نَزَلَ الْقَهْقَرَى فَسَجَدَ فِي أَصْلِ الْمِنْبَرِ ثُمَّ عَادَ فَلَمَّا فَرَغَ أَقْبَلَ عَلَى النَّاسِ فَقَالَ أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّمَا صَنَعْتُ هَذَا لِتَأْتَمُّوا وَلِتَعَلَّمُوا صَلَاتِي

حديث سهل بن سعد الساعدي قال ابو حازم بن دينار ان رجالا اتوا سهل بن سعد الساعدي وقد امتروا في المنبر مم عوده فسالوه عن ذلك فقال والله اني لاعرف مما هو ولقد رايته اول يوم وضع واول يوم جلس عليه رسول الله صلى الله عليه وسلم ارسل رسول الله صلى الله عليه وسلم الى فلانة امراة من الانصار قد سماها سهل مري غلامك النجار ان يعمل لي اعوادا اجلس عليهن اذا كلمت الناس فامرته فعملها من طرفاء الغابة ثم جاء بها فارسلت الى رسول الله صلى الله عليه وسلم فامر بها فوضعت ها هنا ثم رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم صلى عليها وكبر وهو عليها ثم ركع وهو عليها ثم نزل القهقرى فسجد في اصل المنبر ثم عاد فلما فرغ اقبل على الناس فقال ايها الناس انما صنعت هذا لتاتموا ولتعلموا صلاتي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাহল বিন সা'দ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
৩১৭

পরিচ্ছেদঃ ৫/১১. সালাতাবস্থায় কোমরে হাত রাখা মাকরূহ (অপছন্দনীয়)

৩১৭. আবূ হুরায়রাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোমরে হাত রেখে সালাত আদায় করতে লোকদের নিষেধ করা হয়েছে।

كراهة الاختصار في الصلاة

حَدِيْثُ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ نُهِيَ أَنْ يُصَلِّيَ الرَّجُلُ مُخْتَصِرًا

حديث ابي هريرة رضي الله عنه قال نهي ان يصلي الرجل مختصرا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
৫/ মাসজিদ ও সালাতের স্থানসমূহের বর্ণনা (كتاب المساجد ومواضع الصلاة)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১০০ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »