যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ১২৩ টি

পরিচ্ছেদঃ ৭৫৮. সালাতে কথা বলা নিষিদ্ধ হওয়া ।

১১২৭। ইবরাহিম ইবনু মূসা (রহঃ) ... যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময়ে সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কথা বলতাম। আমাদের যে কেউ তার সঙ্গীর সাথে নিজ দরকারী বিষয়ে কথা বলত। অবশেষে এ আয়াত নাযিল হল-‏حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ‏ "তোমরা তোমাদের সালাত সমূহকে সংরক্ষণ কর ও নিয়মানুবর্তিতা রক্ষা কর; বিশেষত মধ্যবর্তী (আসর) সালাতে, আর তোমরা (সালাতে) আল্লাহর উদ্দেশ্যে একাগ্রচিত্ত হও।" (সূরা বাকারাঃ ২৩৮)। এরপর থেকে আমরা সালাতে নিরব থাকতে আদিষ্ট হলাম।

باب مَا يُنْهَى عَنْهُ مِنَ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ

حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ مُوسَى، أَخْبَرَنَا عِيسَى ـ هُوَ ابْنُ يُونُسَ ـ عَنْ إِسْمَاعِيلَ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، قَالَ قَالَ لِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ إِنْ كُنَّا لَنَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، يُكَلِّمُ أَحَدُنَا صَاحِبَهُ بِحَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ ‏(‏حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ‏)‏ الآيَةَ، فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: In the lifetime of the Prophet (ﷺ) we used to speak while praying, and one of us would tell his needs to his companions, till the verse, 'Guard strictly your prayers (2.238) was revealed. After that we were ordered to remain silent while praying.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২১১৬. আনসারদের অনুসারিগণ

৩৫১৬। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, (একদিন কতিপয়) আনসার বললেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! প্রত্যেক নবীরই অনুসারী ছিলেন। আমরাও আপনার অনুসারী। আপনি আমাদের উত্তরসুরিদের জন্য দু’আ করুন যেন তারা (সর্বতোভাবে) আপনার অনুসারী হয়। তিনি (আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী) দু’আ করলেন। (আমর একজন রাবী বলেন) আমি এই হাদীসটি (আবদুর রামমান) ইবনু আবূ লায়লার নিকট বর্ণনা করলাম, তিনি বললেন, যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) এ ভাবেই হাদীসটি বর্ণনা করেছেন।

باب أَتْبَاعُ الأَنْصَارِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرٍو، سَمِعْتُ أَبَا حَمْزَةَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَتِ الأَنْصَارُ‏:‏ يَا رَسُولَ اللَّهِ لِكُلِّ نَبِيٍّ أَتْبَاعٌ، وَإِنَّا قَدِ اتَّبَعْنَاكَ، فَادْعُ اللَّهَ أَنْ يَجْعَلَ أَتْبَاعَنَا مِنَّا‏.‏ فَدَعَا بِهِ‏.‏ فَنَمَيْتُ ذَلِكَ إِلَى ابْنِ أَبِي لَيْلَى‏.‏ قَالَ قَدْ زَعَمَ ذَلِكَ زَيْدٌ‏.‏


Narrated Zaid bin Al-Arqam: The Annwar said, "O Allah's Messenger (ﷺ)! Every prophet has his own followers and we have followed you. So will you invoke Allah to let our followers be considered from us (as Ansar too)?" So he invoked Allah accordingly.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২৪১. বিদায় হজ্জ

৪০৬১। আমর ইবনু খালিদ (রহঃ) ... যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঊনিশটি যুদ্ধে স্বয়ং অংশগ্রহন করেন। আর হিজরতের পর তিনি কেবল একটি হাজ্জ (হজ্জ) আদায় করেন। এরপর তিনি আর কোন হাজ্জ (হজ্জ) আদায় করেননি এবং তা হল বিদায় হাজ্জ (হজ্জ)। আবূ ইসহাক (রহঃ) বলেন, মক্কায় অবস্থানকালে তিনি (নফল) হাজ্জ (হজ্জ) আদায় করেন।

باب حَجَّةُ الْوَدَاعِ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي زَيْدُ بْنُ أَرْقَمَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً، وَأَنَّهُ حَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةً وَاحِدَةً لَمْ يَحُجَّ بَعْدَهَا حَجَّةَ الْوَدَاعِ‏.‏ قَالَ أَبُو إِسْحَاقَ وَبِمَكَّةَ أُخْرَى‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: The Prophet (ﷺ) fought nineteen Ghazwas and performed only one Hajj after he migrated (to Medina), and did not perform another Hajj after it, and that was Hajj-ul-Wada`,' Abu 'Is-haq said, "He performed when he was in Mecca."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২২৯৬. আল্লাহর বাণীঃ এবং আল্লাহর উদ্দেশ্যে তোমরা বিনীতভাবে দাঁড়াবে। (সূরাহ আল-বাক্বারা ২ঃ ২৩৮) قانتين অর্থ مطيعين অনুগত, বিনীত

৪১৭৮। মুসাদ্দাদ (রহঃ) ... যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা সালাত (নামায/নামাজ) এর মধ্যে আলাপ-আলোচনা করতাম আর আমাদের কেউ তার ভাইয়ের প্রসঙ্গে কথা বলতেন। তখন এ আয়াত নাযিল হয়ঃحَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ তখন আমাদেরকে চুপ থাকার ও সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কথা না বলার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।

باب وقوموا لله قانتين أي مطيعين

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ يُكَلِّمُ أَحَدُنَا أَخَاهُ فِي حَاجَتِهِ حَتَّى نَزَلَتْ هَذِهِ الآيَةُ ‏(‏حَافِظُوا عَلَى الصَّلَوَاتِ وَالصَّلاَةِ الْوُسْطَى وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ‏)‏ فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: We used to speak while in prayer. One of us used to speak to his brother (while in prayer) about his need, till the Verse was revealed:-- "Guard strictly the (five obligatory) prayers, especially the middle (the Best) (`Asr) Prayer and stand before Allah with obedience (and not to speak to others during the prayers)." Then we were ordered not to speak in the prayers.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ إذا جاءك المنافقون قالوا نشهد إنك لرسول الله إلى لكاذبون "যখন মুনাফিকগণ তাদের কাছে আসে, তারা বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি আল্লাহ্‌র রাসুল। আল্লাহ্‌ জানেন যে, তুমি নিশ্চয়ই তাঁর রাসুল এবং আল্লাহ্‌ সাক্ষ্য দিচ্ছেন যে, মুনাফিকরা অবশ্যই মিথ্যাবাদী" (৬৩ঃ ১)

সূরা মুনাফিকূন


৪৫৪০। আবদুল্লাহ ইবনু রাজা (রহঃ) ... যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক যুদ্ধে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উবাইকে বলতে শুনলাম, আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য তোমরা ব্যয় করবে না, যতক্ষণ না তারা তাঁর থেকে সরে পড়ে এবং সে এও বলল, আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথা হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিষ্কৃত করবেই। এ কথা আমি আমার চাচা কিংবা উমার (রাঃ) এর কাছে বলে দিলাম। তিনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন। ফলে তিনি আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁকে বিস্তারিত সব বললাম। তখন আল্লাহর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনু উবাই এবং তাঁর সাথীদের কাছে খবর পাঠালেন, তারা সকলেই কসম করে বলল, এই কথা তারা বলেনি।

ফলে রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কথাকে মিথ্যা ও তার কথাকে সত্য বলে মেনে নিলেন। এতে আমি এমন মনকষ্ট পেলাম যা আগে কখনো পাইনি। আমি (মনের দুঃখে) ঘরে বসে ছিলাম এবং আমার চাচা আমাকে বললেন, আল্লাহর রাসূলসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তোমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেছেন এবং তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন বলে তুমি কীভাবে ভাবলে। এ প্রসঙ্গে আল্লাহ নাযিল করলেন- “যখন মুনাফিকগণ আপনার কাছে আসে” (৬৩ঃ ০১)। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে লোক পাঠালেন এবং এ সূরা পাঠ করলেন। এরপর বললেন, হে যাইদ! আল্লাহ তোমাকে সত্যবাদী বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

باب قوله إذا جاءك المنافقون قالوا نشهد إنك لرسول الله إلى لكاذبون

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ رَجَاءٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنْتُ فِي غَزَاةٍ فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ، يَقُولُ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا مِنْ حَوْلِهِ وَلَوْ رَجَعْنَا مِنْ عِنْدِهِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا‏.‏ الأَذَلَّ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمِّي أَوْ لِعُمَرَ فَذَكَرَهُ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَدَعَانِي فَحَدَّثْتُهُ فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ وَأَصْحَابِهِ فَحَلَفُوا مَا قَالُوا فَكَذَّبَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَصَدَّقَهُ فَأَصَابَنِي هَمٌّ لَمْ يُصِبْنِي مِثْلُهُ قَطُّ، فَجَلَسْتُ فِي الْبَيْتِ فَقَالَ لِي عَمِّي مَا أَرَدْتَ إِلَى أَنْ كَذَّبَكَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَمَقَتَكَ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ‏)‏ فَبَعَثَ إِلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ يَا زَيْدُ ‏"‏‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: While I was taking part in a Ghazwa. I heard `Abdullah bin Ubai (bin Abi Salul) saying. "Don't spend on those who are with Allah's Messenger (ﷺ), that they may disperse and go away from him. If we return (to Medina), surely, the more honorable will expel the meaner amongst them." I reported that (saying) to my uncle or to `Umar who, in his turn, informed the Prophet (ﷺ) of it. The Prophet (ﷺ) called me and I narrated to him the whole story. Then Allah's Messenger (ﷺ) sent for `Abdullah bin Ubai and his companions, and they took an oath that they did not say that. So Allah's Messenger (ﷺ) disbelieved my saying and believed his. I was distressed as I never was before. I stayed at home and my uncle said to me. "You just wanted Allah's Messenger (ﷺ) to disbelieve your statement and hate you." So Allah revealed (the Sura beginning with) 'When the hypocrites come to you.' (63.1) The Prophet (ﷺ) then sent for me and recited it and said, "O Zaid! Allah confirmed your statement."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ اتخذوا أيمانهم جنة يجتنون بها "তারা তাদের শপথগুলোকে ঢালরূপে ব্যবহার করে" (৬৩ঃ ২)

৪৫৪১। আদম ইবনু ইয়াস (রহঃ) ... যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার চাচার সাথে ছিলাম। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনু সালূলকে বলতে শুনলাম, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহচরদের জন্য তোমরা ব্যয় করবে না, যতক্ষণ না তারা তাঁর থেকে সরে পড়ে এবং সে এও বলল, আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথা হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিষ্কৃত করবেই। এ কথা আমি আমার চাচার কাছে বলে দিলাম। তিনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন। তখন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুল্লাহ ইবনু উবাই এবং তার সাথীদেরকে ডেকে পাঠালেন। তারা সকলেই কসম করে বলল, এই কথা তারা বলেনি।

ফলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কথাকে মিথ্যা ও তাদের কথাকে সত্য বলে মেনে নিলেন। এতে আমি এমন মনকষ্ট পেলাম যা আগে কখনো পাইনি। এমনকি আমি (মনের দুঃখে) ঘরে বসে ছিলাম। তখন আল্লাহ নাযিল করলেন- “যখন মুনাফিকগণ আপনার কাছে আসে” (৬৩ঃ ০১); “তারা বলে আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য তোমরা ব্যয় করবে না, যতক্ষণ না তারা সরে পড়ে” (৬৩ঃ ০৭); “তথা হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিষ্কৃত করবেই” (৬৩ঃ ০৭-০৮)। এরপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে পাঠালেন এবং আমার সামনে এ সূরা পাঠ করলেন। এরপর বললেন, আল্লাহ তোমাকে সত্যবাদী বলে ঘোষণা করেছেন।

باب اتخذوا أيمانهم جنة يجتنون بها

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنْتُ مَعَ عَمِّي فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ ابْنَ سَلُولَ يَقُولُ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمِّي فَذَكَرَ عَمِّي لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَرْسَلَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ وَأَصْحَابِهِ، فَحَلَفُوا مَا قَالُوا، فَصَدَّقَهُمْ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَكَذَّبَنِي، فَأَصَابَنِي هَمٌّ لَمْ يُصِبْنِي مِثْلُهُ، فَجَلَسْتُ فِي بَيْتِي، فَأَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏(‏إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏هُمُ الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ‏)‏ إِلَى قَوْلِهِ ‏(‏لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ‏)‏ فَأَرْسَلَ إِلَىَّ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهَا عَلَىَّ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ ‏"‏‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: I was with my uncle and I heard `Abdullah bin Ubai bin Salul, saying, "Don't spend on those who are with Allah's Messenger (ﷺ) that they may disperse and go away from him." He also said, "If we return to Medina, surely, the more honorable will expel the meaner." So I informed my uncle of that and then my uncle informed Allah's Messenger (ﷺ) thereof. Allah's Messenger (ﷺ) sent for `Abdullah bin Ubai and his companions. They swore that they did not say anything of that sort Allah's Messenger (ﷺ) deemed their statement true and rejected mine. Thereof I became as distressed as I have never been before, and stayed at home. Then Allah revealed (Surat Al-Munafiqin): 'When the hypocrites come to you.....(63.1) They are the ones who say: Spend nothing on those who are with Allah's Messenger (ﷺ) ..(63.7) Verily the more honorable will expel therefrom the meaner..' (63.7-8) Allah's Messenger (ﷺ) sent for me and recited that Sura for me and said, "Allah has confirmed your statement." 'That is because they believed, then disbelieved, so a seal was set on their hearts, therefore they understand not.' (63.3)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ "এটা এই জন্য যে, তারা ঈমান আনার পর কুফরী করেছে, ফলে তাদের হৃদয় মোহর করে দেয়া হয়েছে, পরিনামে তারা বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে" (৬৩ঃ ৩)

৪৫৪২। আদম (রহঃ) ... যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবনু উবাই যখন বলল, “আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য তোমরা ব্যয় করবে না” এবং এও বলল, “যদি আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করি ...। তখন এ খবর আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানালাম। এ কারণে আনসারগণ আমার নিন্দা করলেন এবং আবদুল্লাহ ইবনু উবাই কসম করে বলল, এই কথা সে বলেনি। এরপর আমি বাড়ি ফিরে এসে ঘুমিয়ে পড়লাম। এরপর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডেকে পাঠালেন। আমি তাঁর কাছে গেলাম। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তোমার সত্যতা ঘোষণা করেছেন এবং নাযিল করেছেন- “তারা বলে তোমরা ব্যয় করবে না ... শেষ পর্যন্ত। ইবন আবু যায়িদ (রহঃ) উক্ত হাদিস যায়াদ ইবন আরকামের মাধ্যমে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

باب قوله ذلك بأنهم آمنوا ثم كفروا فطبع على قلوبهم فهم لا يفقهون

حَدَّثَنَا آدَمُ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنِ الْحَكَمِ، قَالَ سَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ كَعْبٍ الْقُرَظِيَّ، قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ لَمَّا قَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ‏.‏ وَقَالَ أَيْضًا لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ‏.‏ أَخْبَرْتُ بِهِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَلاَمَنِي الأَنْصَارُ، وَحَلَفَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ مَا قَالَ ذَلِكَ، فَرَجَعْتُ إِلَى الْمَنْزِلِ فَنِمْتُ فَدَعَانِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَتَيْتُهُ فَقَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ ‏"‏‏.‏ وَنَزَلَ ‏(‏هُمُ الَّذِينَ يَقُولُونَ لاَ تُنْفِقُوا‏)‏ الآيَةَ‏.‏ وَقَالَ ابْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ عَمْرٍو عَنِ ابْنِ أَبِي لَيْلَى عَنْ زَيْدٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: When `Abdullah bin Ubai said, "Do not spend on those who are with Allah's Messenger (ﷺ)," and also said, "If we return to Medina," I informed the Prophet (ﷺ) of his saying. The Ansar blamed me for that, and `Abdullah bin Ubai swore that he did not say. I returned to my house and slept. Allah's Messenger (ﷺ) then called me and I went to him. He said, "Allah has confirmed your statement." The Verse: "They are the one who say: Spend nothing......(63.7) was revealed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ وإذا رأيتهم تعجبك أجسامهم الخ "এবং তুমি যখন তাদের দিকে তাকাও তখন তাদের দেহাকৃতি তোমাদের কাছে প্রীতিকর মনে হয় এবং তারা যখন কথা বলে, তুমি সাগ্রহে তাদের কথা শ্রবন কর, যেন তারা দেয়ালে ঠেকানো স্তম্ভ সদৃশ। তারা যে কোন শোরগোলকে মনে করে তাদেরই বিরুদ্ধে। তারাই শত্রু, অতএব তাদের সম্পর্কে সতর্ক হও। আল্লাহ্‌ তাদেরকে ধ্বংস করুন। বিভ্রান্ত হয়ে তারা কোথায় চলেছে" (৬৩ঃ ৪)

৪৫৪৩। আমর ইবনু খালিদ (রহঃ) ... যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা কোন এক সফরে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বের হলাম। সফরে এক কঠিন অবস্থা লোকদের গ্রাস করে নিল। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উবাই তার সাথীদের বললেন, “আল্লাহর রাসূলের সহচরদের জন্য তোমরা ব্যয় করবে না, যতক্ষণ না তারা তাঁর থেকে সরে পড়ে যারা তার পাশে আছে” এবং সে এও বলল, “আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথা হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিষ্কৃত করবেই”। (এ কথা শুনে) আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে তাঁকে এ সম্পর্কে খবর দিলাম। তখন তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উবাইকে ডেকে পাঠালেন। সে জোরালো কসম করে বলল, এই কথা সে বলেনি। তখন লোকেরা বলল, যাইদ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মিথ্যা বলেছে। তাদের এ কথায় আমি খুব মনকষ্ট পেলাম। শেষ পর্যন্ত আল্লাহ আমার সত্যতা সম্পর্কে এই আয়াত নাযিল করলেন- “যখন মুনাফিকগণ আপনার কাছে আসে”)। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ডাকলেন, যাতে তারা তাদের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, কিন্তু তারা তাদের মাথা ফিরিয়ে নিল।

باب وإذا رأيتهم تعجبك أجسامهم وإن يقولوا تسمع لقولهم كأنهم خشب مسندة يحسبون كل صيحة عليهم هم العدو فاحذرهم قاتلهم الله أنى يؤفكون

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ خَالِدٍ، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، قَالَ سَمِعْتُ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، قَالَ خَرَجْنَا مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَصَابَ النَّاسَ فِيهِ شِدَّةٌ، فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ لأَصْحَابِهِ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا مِنْ حَوْلِهِ‏.‏ وَقَالَ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ‏.‏ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ فَأَرْسَلَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ فَسَأَلَهُ، فَاجْتَهَدَ يَمِينَهُ مَا فَعَلَ، قَالُوا كَذَبَ زَيْدٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَوَقَعَ فِي نَفْسِي مِمَّا قَالُوا شِدَّةٌ، حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ تَصْدِيقِي فِي ‏(‏إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ‏)‏ فَدَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَسْتَغْفِرَ لَهُمْ فَلَوَّوْا رُءُوسَهُمْ‏.‏ وَقَوْلُهُ ‏(‏خُشُبٌ مُسَنَّدَةٌ‏)‏ قَالَ كَانُوا رِجَالاً أَجْمَلَ شَىْءٍ‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: We went out with the Prophet (ﷺ) : on a journey and the people suffered from lack of provisions. So `Abdullah bin Ubai said to his companions, "Don't spend on those who are with Allah's Messenger (ﷺ), that they may disperse and go away from him." He also said, "If we return to Medina, surely, the more honorable will expel therefrom the meaner. So I went to the Prophet (ﷺ) and informed him of that. He sent for `Abdullah bin Ubai and asked him, but `Abdullah bin Ubai swore that he did not say so. The people said, "Zaid told a lie to 'Allah's Messenger (ﷺ)." What they said distressed me very much. Later Allah revealed the confirmation of my statement in his saying:-- '(When the hypocrites come to you.' (63.1) So the Prophet (ﷺ) called them that they might ask Allah to forgive them, but they turned their heads aside. (Concerning Allah's saying: 'Pieces of wood propped up,' Zaid said; They were the most handsome men.)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ আল্লাহ্‌র বাণীঃ وإذا قيل لهم تعالوا يستغفر لكم رسول الله لووا رءوسهم ورأيتهم يصدون وهم مستكبرون "যখন তাদেরকে বলা হয়, তোমরা এস, আল্লাহ্‌র রাসুল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। তখন তারা মাথা ফিরিয়ে নেয় এবং তুমি তাদেরকে দেখতে পাচ্ছ, তারা দম্ভ ভরে ফিরে যায়" (৬৩ঃ ৫)

আল্লাহ্‌র বাণীঃ خُشُبٌ مُّسَنَّدَةٌ "দেয়ালে ঠেকানো কাষ্ঠ স্তম্ভ" রাবী বলেন, তারা অত্যান্ত সুন্দর দেহের অধিকারী পুরুষ ছিল।


لَوَّوْا তারা মাথা নেড়ে নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ঠাট্টা করত। কেউ কেউ لَوَّوْا শব্দটিকে لَوَيْتُ ( تَخْفِيْفِ ) সহকারে পড়ে থাকেন।


৪৫৪৪। উবায়দুল্লাহ ইবনু মূসা (রহঃ) ... যাইদ ইবনু আরকাম (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আমার চাচার সাথে ছিলাম। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উবাই ইবনু সালূলকে বলতে শুনলাম, “আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সহচরদের জন্য তোমরা ব্যয় করবে না, যতক্ষণ না তারা তাঁর থেকে সরে পড়ে” এবং “আমরা মদিনায় প্রত্যাবর্তন করলে তথা হতে প্রবল লোকেরা দুর্বল লোকদের বহিষ্কৃত করবেই”। এ কথা আমি আমার চাচার কাছে বলে দিলাম। তিনি তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বললেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ডাকলেন। আমি তাঁকে বিস্তারিত সব বললাম। তখন তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উবাই এবং তার সাথীদেরকে ডেকে পাঠালেন। তারা সকলেই কসম করে বলল, এই কথা তারা বলেনি। ফলে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কথাকে মিথ্যা ও তাদের কথাকে সত্য বলে মেনে নিলেন। এতে আমি এমন কষ্ট পেলাম যা আগে কখনো পাইনি। এরপর আমি ঘরে বসে ছিলাম। তখন আমার চাচা আমাকে বললেন, এমন কাজের চিন্তা কেন করলে, যাতে নবী তোমাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করেছেন এবং তোমার প্রতি অসন্তুষ্ট হয়েছেন? তখন আল্লাহ নাযিল করলেন- “যখন মুনাফিকগণ আপনার কাছে আসে তখন তারা বলে, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি নিশ্চয়ই আল্লাহর রাসূল”। এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার কাছে লোক পাঠালেন এবং আমার সামনে এ সূরা পাঠ করলেন ও বললেন, আল্লাহ তোমাকে সত্যবাদী বলে ঘোষণা দিয়েছেন।

باب قوله وإذا قيل لهم تعالوا يستغفر لكم رسول الله لووا رءوسهم ورأيتهم يصدون وهم مستكبرون حركوا استهزءوا بالنبي صلى الله عليه وسلم ويقرأ بالتخفيف من لويت

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ عَمِّي فَسَمِعْتُ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ أُبَىٍّ ابْنَ سَلُولَ، يَقُولُ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ حَتَّى يَنْفَضُّوا، وَلَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ‏.‏ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِعَمِّي، فَذَكَرَ عَمِّي لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏(‏فَدَعَانِي فَحَدَّثْتُهُ، فَأَرْسَلَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ وَأَصْحَابِهِ فَحَلَفُوا مَا قَالُوا، وَكَذَّبَنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم‏)‏ وَصَدَّقَهُمْ، فَأَصَابَنِي غَمٌّ لَمْ يُصِبْنِي مِثْلُهُ قَطُّ، فَجَلَسْتُ فِي بَيْتِي وَقَالَ عَمِّي مَا أَرَدْتَ إِلَى أَنْ كَذَّبَكَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَمَقَتَكَ‏.‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ تَعَالَى ‏(‏إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ قَالُوا نَشْهَدُ إِنَّكَ لَرَسُولُ اللَّهِ‏)‏ وَأَرْسَلَ إِلَىَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَقَرَأَهَا وَقَالَ ‏"‏ إِنَّ اللَّهَ قَدْ صَدَّقَكَ ‏"‏‏.‏


Narrated Zaid bin Arqam: While I was with my uncle, I heard `Abdullah bin Ubai bin Salul saying, "Do not spend on those who are with Allah's Messenger (ﷺ), that they may disperse and go away (from him). And if we return to Medina, surely, the more honorable will expel therefrom the meaner. "I mentioned that to my uncle who, in turn, mentioned it to the Prophet. The Prophet (ﷺ) called me and I told him about that. Then he sent for `Abdullah bin Ubai and his companions, and they swore that they did not say so. The Prophet (ﷺ) disbelieved my statement and believed theirs. I was distressed as I have never been before, and I remained in my house. My uncle said to me, "You just wanted the Prophet (ﷺ) to consider you a liar and hate you." Then Allah revealed:-- 'When the hypocrites come to you, they say: 'We bear witness that you are indeed the Apostle of Allah." (63.1) So the Prophet (ﷺ) sent for me and recited it and said, "Allah has confirmed your statement."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৭. সালাতে কথা বলা নিষেধ এবং এর পূর্ব অনুমতির বিধান রহিতকরন

১০৮৬। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমরা সালাত (নামায/নামাজ)-এ কথাবার্তা বলতাম। প্রত্যেকেই তার পাশের ব্যাক্তির সাথে আলাপ করত। অতঃপর যখন (আল্লাহর জন্য দাঁড়াবে বিনীতভাবে) (২ঃ ২৩৮) আয়াতটি নাযিল হলো, তখন চুপ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয় এবং পরস্পরে আলাপ করতে নিষেধ করা হয়।

باب تَحْرِيمِ الْكَلاَمِ فِي الصَّلاَةِ وَنَسْخِ مَا كَانَ مِنْ إِبَاحَتِهِ ‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ إِسْمَاعِيلَ بْنِ أَبِي خَالِدٍ، عَنِ الْحَارِثِ بْنِ شُبَيْلٍ، عَنْ أَبِي عَمْرٍو الشَّيْبَانِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ كُنَّا نَتَكَلَّمُ فِي الصَّلاَةِ يُكَلِّمُ الرَّجُلُ صَاحِبَهُ وَهُوَ إِلَى جَنْبِهِ فِي الصَّلاَةِ حَتَّى نَزَلَتْ ‏(‏ وَقُومُوا لِلَّهِ قَانِتِينَ‏)‏ فَأُمِرْنَا بِالسُّكُوتِ وَنُهِينَا عَنِ الْكَلاَمِ ‏.‏


Zaid b. Arqam reported: We used to talk while engaged in prayer and a person talked with a companion on his side in prayer till (this verse) was revealed:" And stand before Allah in devout obedience" (ii, 238) and we were commanded to observe silence (in prayer) and were forbidden to speak.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৭. রাতের সালাত, রাতের বেলা নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সালাতের রাক’আত সংখ্যা, বিতর সালাত এক রাক’আত এবং এক রাক’আত সালাতও বিশুদ্ধ হওয়া প্রসঙ্গ

১৬২০। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুবাবাসীদের ওখানে গেলেন, তখন তারা সালাত আদায় করছিলেন। তিনি তখন বলেছিলেন, আল্লাহর দিকে ধাবিতদের সালাতের সময় হল যখন উট শাবকের পায়ে উত্তাপ লাগে (অর্থাৎ মাটি গরম হয়ে যায়)।

باب صَلاَةِ اللَّيْلِ وَعَدَدِ رَكَعَاتِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي اللَّيْلِ وَأَنَّ الْوِتْرَ رَكْعَةٌ وَأَنَّ الرَّكْعَةَ صَلاَةٌ صَحِيحَةٌ

حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ أَبِي عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ حَدَّثَنَا الْقَاسِمُ الشَّيْبَانِيُّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَلَى أَهْلِ قُبَاءٍ وَهُمْ يُصَلُّونَ فَقَالَ ‏ "‏ صَلاَةُ الأَوَّابِينَ إِذَا رَمِضَتِ الْفِصَالُ ‏"‏ ‏.‏


Zaid b. Arqam reported that the Messenger of Allah (ﷺ) went out to the people of Quba' and saw them observing prayer; upon this he said: The prayer of the penitent should be observed when the young weaned camels feel heat of the sun.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৯. নবী (ﷺ) এর যুদ্ধসমূহের সংখ্যা

৪৫৪২। আবূ বকর ইবনু শায়বা (রহঃ) ... যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঊনিশটি যুদ্ধ করেছেন। হিজরতের পর একটি-মাত্র হজ্জ করেছিলেন, যেটি ছাড়া আর কোন হজ্জ করেননি তা হল বিদায় হজ্জ।

باب عَدَدِ غَزَوَاتِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم

وَحَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، سَمِعَهُ مِنْهُ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم غَزَا تِسْعَ عَشْرَةَ غَزْوَةً وَحَجَّ بَعْدَ مَا هَاجَرَ حَجَّةً لَمْ يَحُجَّ غَيْرَهَا حَجَّةَ الْوَدَاعِ ‏.‏


It has been narrated on the authority of Zaid b. Arqam that the Messenger of Allah (ﷺ) fought nineteen battles and after the Migration performed only one Pilgrimage called Hajjat-ul-Wada'.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪. আলী ইবন আবু তালিব (রাঃ) এর ফযীলত

৬০০৮। মুহাম্মদ ইবনু বাক্কার ইবনু রাইয়্যান (রহঃ) ... যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে যুহায়র (রহঃ) এর অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।

باب مِنْ فَضَائِلِ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ رضى الله عنه ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَكَّارِ بْنِ الرَّيَّانِ، حَدَّثَنَا حَسَّانُ، - يَعْنِي ابْنَ إِبْرَاهِيمَ - عَنْ سَعِيدِ بْنِ مَسْرُوقٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ حَيَّانَ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ بِنَحْوِهِ بِمَعْنَى حَدِيثِ زُهَيْرٍ ‏.‏


This hadith has been narrated on the authority of Zaid b. Arqam through another chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৪৩. আনসার (রাঃ)-গনের ফযীলত

৬১৮৮। মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না (রহঃ) ... যায়িদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ হে আল্লাহ! আনসারদের ক্ষমা করুন, (ক্ষমা করে দিন) পুত্রদের এবং তাদের পুত্রদের পুত্রদের। ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব (রহঃ) ... সূত্রে শুবা (রহঃ) থেকে এই সনদে অনুরূপ বর্ণিত।

باب مِنْ فَضَائِلِ الأَنْصَارِ رضى الله تعالى عنهم ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، وَعَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، قَالاَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِلأَنْصَارِ وَلأَبْنَاءِ الأَنْصَارِ وَأَبْنَاءِ أَبْنَاءِ الأَنْصَارِ ‏"‏ ‏.‏

وَحَدَّثَنِيهِ يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، - يَعْنِي ابْنَ الْحَارِثِ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، بِهَذَا الإِسْنَادِ ‏.‏


Zaid b. Arqam reported that Allah's Messenger (ﷺ) said: O Allah,, grant forgiveness to the Ansar, the offspring of the Ansar and the offspring of the offspring of the Ansar. This hadith has been narrated on the authority of Shulba with the same chain of transmitters.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৯. কৃত আমল ও না করা আমলের অনিষ্ট হতে আশ্রয় চাওয়া

৬৬৫৮। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম ও মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) ... যাযিদ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি তোমাদের কাছে তেমনই বলব যেমন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতেন। তিনি (রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলতেনঃ

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجَابُ لَهَا

"হে আল্লাহ! আমি আপনার কছে আশ্রয় চাই, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, বার্ধক্য এবং কবরের আযাব থেকে। হে আল্লাহ! আপনি আমার নফসে (অন্তর) তাকওয়া দান করুন এবং একে পরিশুদ্ধ করে দিন। আপনি একে সর্বোত্তম পরিশোধনকারী, আপনিই এর মালিক ও এর অভিবাবক। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অনুপকারী ইলম থেকে ও ভয় ভীতিহীন কলব থেকে; অতৃপ্ত নফস থেকে ও এমন দুআ থেকে যা কবুল হয় না।"

باب التَّعَوُّذِ مِنْ شَرِّ مَا عَمِلَ وَمِنْ شَرِّ مَا لَمْ يَعْمَلْ

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نُمَيْرٍ، - وَاللَّفْظُ لاِبْنِ نُمَيْرٍ - قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآَخَرَانِ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنْ عَاصِمٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ، وَعَنْ أَبِي عُثْمَانَ النَّهْدِيِّ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، قَالَ لاَ أَقُولُ لَكُمْ إِلاَّ كَمَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ كَانَ يَقُولُ ‏ "‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَالْهَرَمِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ اللَّهُمَّ آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا وَزَكِّهَا أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجَابُ لَهَا ‏"‏ ‏.‏


Zaid b. Alqam reported: I am not going to say anything but only that which Allah's Messenger (may peace be upgn him) used to say. He used to supplicate:" O Allah, I seek refuge in Thee from incapacity, from sloth, from cowardice, from miserliness, decrepitude and from torment of the grave. O Allah, grant to my soul the sense of righteousness and purify it, for Thou art the Best Purifier thereof. Thou art the Protecting Friend thereof, and Guardian thereof. O Allah, I seek refuge in Thee from the knowledge which does not benefit, from the heart that does not entertain the fear (of Allah), from the soul that does not feel contented and the supplication that is not responded."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই

৬৭৬৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... যায়দ ইবনু আরকাম (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে কোন এক সফরে আমরা বের হলাম। এ সফরে লোকজন ভীষণ কষ্টে পড়ে। তখন আবদুল্লাহ ইবনু উবাই তার সঙ্গীদেরকে বললো, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গীদের জন্য তোমরা কিছু ব্যয় করো না, যাতে তারা তাঁর চারপাশ থেকে সরে পড়ে। [যুহায়র (রহঃ) বলেন, এ হলো ঐ ব্যক্তির কিরাআত যে, حَوْلَهُ কে যের দিয়ে পড়ে।] আর সে এও বললো, আমরা মদীনায় ফিরে গেলে সেখান থেকে অবশ্যই প্রবল দুর্বলকে বহিস্কৃত করব। এ কথা শুনে আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট এসে তার এ কথাবার্তা সম্পর্কে তাঁকে অবিহিত করলাম। তখন তিনি আবদুল্লাহ ইবনু উবাইকে ডেকে পাঠালেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করলেন। সে জোরদার কসম খেয়ে বললো যে, সে এমন কাজ করেনি। আর বলল, যায়িদ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট মিথ্যা কথা বলেছে। যায়িদ (রাঃ) বলেন, তাদের এ কথায় আমি মনে ভীষণ কষ্ট পেলাম। তখন আল্লাহ তাআলা আমার সত্যবাদিতার পক্ষে নাযিল করেন, إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের ডাকলেন যাতে তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, তখন তারা তাদের মাথা ফিরিয়ে নিল। আল্লাহ তাআলা তাদের সম্পর্কে বলেছেনঃكَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُسَنَّدَةٌ তারা দেয়ালে ঠেকাল কাঠের স্তম্ভ সদৃশ। যায়িদ (রাঃ) বলেন, বাহ্যত তারা ছিল মানুষ খুবই সুন্দর চেহারার মানুষ।

حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا زُهَيْرُ بْنُ مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا أَبُو إِسْحَاقَ، أَنَّهُ سَمِعَ زَيْدَ بْنَ أَرْقَمَ، يَقُولُ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَصَابَ النَّاسَ فِيهِ شِدَّةٌ فَقَالَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُبَىٍّ لأَصْحَابِهِ لاَ تُنْفِقُوا عَلَى مَنْ عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَتَّى يَنْفَضُّوا مِنْ حَوْلِهِ ‏.‏ قَالَ زُهَيْرٌ وَهِيَ قِرَاءَةُ مَنْ خَفَضَ حَوْلَهُ ‏.‏ وَقَالَ لَئِنْ رَجَعْنَا إِلَى الْمَدِينَةِ لَيُخْرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنْهَا الأَذَلَّ - قَالَ - فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَأَخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ فَأَرْسَلَ إِلَى عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أُبَىٍّ فَسَأَلَهُ فَاجْتَهَدَ يَمِينَهُ مَا فَعَلَ فَقَالَ كَذَبَ زَيْدٌ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم - قَالَ - فَوَقَعَ فِي نَفْسِي مِمَّا قَالُوهُ شِدَّةٌ حَتَّى أَنْزَلَ اللَّهُ تَصْدِيقِي ‏(‏ إِذَا جَاءَكَ الْمُنَافِقُونَ‏)‏ قَالَ ثُمَّ دَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَسْتَغْفِرَ لَهُمْ - قَالَ - فَلَوَّوْا رُءُوسَهُمْ ‏.‏ وَقَوْلُهُ ‏(‏ كَأَنَّهُمْ خُشُبٌ مُسَنَّدَةٌ‏)‏ وَقَالَ كَانُوا رِجَالاً أَجْمَلَ شَىْءٍ ‏.‏


Zaid b. Arqam reported: We set out on a journey along with Allah's Messenger (ﷺ) in which we faced many hardships. 'Abdullah b. Ubayy said to his friends: Do not give what you have in your possession to those who are with Allah's Messenger (ﷺ) until they desert him. Zubair said: That is the reciting of that person who recited as min haulahu (from around him) and the other reciting is man haulahia (who are around him). And in this case when we would return to Medina the honourable would drive out the meaner therefrom (lxiv. 8). I came to Allah's Apostle (ﷺ) and informed him about that and he sent someone to 'Abdullah b. Ubayy and he asked him whether he had said that or not. He took an oath to the fact that he had not done that and told that it was Zaid who had stated a lie to Allah's Messenger (ﷺ). Zaid said: I was much perturbed because of this until this verse was revealed attesting my truth:" When the hypocrites come" (lxiii. 1). Allah's Apostle (ﷺ) then called them in order to seek forgiveness for them, but they turned away their heads as if they were hooks of wood fixed in the wall (lxiii. 4), and they were in fact apparently good-looking persons.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০৭: সূর্য উঁচুতে ওঠার পর থেকে ঢলা পর্যন্ত চাশতের নামায পড়া বিধেয়। উত্তম হল দিন উত্তপ্ত হলে এবং সূর্য আরও উঁচুতে উঠলে এ নামায পড়া

১/১১৫০। যায়দ ইবন আরকাম রাদিয়াল্লাহু আনহু কর্তৃক বর্ণিত, একদা তিনি দেখলেন, একদল লোক চাশতের নামায পড়ছে। তিনি বললেন, ’যদি ওরা জানত যে, নামায এ সময় ছাড়া অন্য সময়ে পড়া উত্তম। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “আওয়াবীন (আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী)দের নামায যখন উটের বাচ্চার পা বালিতে গরম অনুভব করে।” (মুসলিম)[1]

(207) بَابُ تَجْوِيْزِ صَلَاةِ الضُّحٰى مِنْ اِرْتِفَاعِ الشَّمْسِ إِلٰى زَوَالِهَاوَالْأَفْضَلُ أَنْ تُصَلّٰى عِنْدَ اِشْتِدَادِ الْحَرِّ وَاِرْتِفَاعِ الضُّحٰى

عَن زَيدِ بنِ أَرْقَم رضي الله عنه: أنَّهُ رَأَى قَوْماً يُصَلُّونَ مِنَ الضُّحَى، فَقَالَ: أَمَا لَقَدْ عَلِمُوا أَنَّ الصَّلاَةَ فِي غَيْرِ هَذِهِ السَّاعَةِ أَفْضَلُ، إِنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «صَلاَةُ الأَوَّابِينَ حِيْنَ تَرْمَضُ الفِصَالُ». رواه مسلم

(207) Chapter: Time for the Duha (Forenoon Optional) Prayer


Zaid bin Arqam (May Allah be pleased with him) reported: I saw some people performing Duha (prayers) in the early forenoon and warned them (saying): These people must know that performing Salat a little later is better. The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The Salat of the penitent is to be observed when the young ones of camels feel the heat of the sun (i.e., when it becomes very hot)." [Muslim]. Commentary: This Hadith confirms the opinion of those who hold that Duha prayer is different from Ishraq prayer. Ishraq prayer must be performed when the sun rises about a lance in the sky while the time for Duha prayer occurs when the hoofs of the animals begin to burn and they feel troubled with the heat of the sun. Usually the six Rak`ah performed after Maghrib prayer are called Salat-ul-Awwabin (prayer of the penitent) which is founded on a weak Hadith. In the present authentic Hadith, Duha prayer is interpreted as Salat-ul-Awwabin. Thus Salat-ul-Awwabin is in fact Duha prayer.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫০: দো‘আর গুরুত্ব ও মাহাত্ম্য এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় দো‘আর নমুনা

১৫/১৪৮৭। যায়েদ ইবনে আরক্বাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দো’আ পাঠ করতেন,

“আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিনাল আজ্যি অলকাসালি অলবুখ্লি অলহারামি অ আযা-বিল ক্বাব্র্। আল্লা-হুম্মা আ-তি নাফসী তাক্বওয়া-হা অযাক্কিহা আন্তা খাইরু মান যাক্কা-হা, আন্তা অলিয়্যুহা অমাউলা-হা। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযু বিকা মিন ইলমিল লা য়্যানফা’, অমিন ক্বালবিল লা য়্যাখশা’, অমিন নাফসিল লা তাশবা’, অমিন দা’ওয়াতিল লা য়্যুস্তাজা-বু লাহা।”

অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে অক্ষমতা, অলসতা, কৃপণতা, স্থবিরতা এবং কবরের আযাব থেকে পানাহ চাচ্ছি। হে আল্লাহ আমার আত্মায় তোমার ভীতি প্রদান কর এবং তাকে পবিত্র কর, তুমিই শ্রেষ্ঠ পবিত্রকারী। তুমিই তার অভিভাবক ও প্রভু। হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট সেই ইলম থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা কোন উপকারে আসে না। সেই হৃদয় থেকে পানাহ চাচ্ছি , যা বিনয়ী হয় না। সেই আত্মা থেকে পানাহ চাচ্ছি, যা তৃপ্ত হয় না এবং সেই দো’আ থেকে পানাহ চাচ্ছি , যা কবুল হয় না। (মুসলিম) [1]

(250) بَابُ فَضْلِ الدُّعَاءِ

وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: «اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ العَجْزِ وَالكَسَلِ، وَالبُخْلِ وَالهَرَمِ، وَعَذَابِ القَبْرِ، اَللهم آتِ نَفْسِي تَقْوَاهَا، وَزَكِّها أَنْتَ خَيْرُ مَنْ زَكَّاهَا، أَنْتَ وَلِيُّهَا وَمَوْلاَهَا، اَللهم إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ عِلْمٍ لاَ يَنْفَعُ؛ وَمِنْ قَلْبٍ لاَ يَخْشَعُ، وَمِنْ نَفْسٍ لاَ تَشْبَعُ ؛ وَمِنْ دَعْوَةٍ لاَ يُسْتَجابُ لَهَا» .رواه مسلم

(250) Chapter: Issues regarding Supplications, their Virtues and Supplications of the Prophet (pbuh)


Zaid bin Arqam (May Allah be pleased with him) reported: The Messenger of Allah (ﷺ) would supplicate: "Allahumma inni a'udhu bika minal-'ajzi wal-kasali, wal-bukhli wal-harami, wa 'adhabil-qabri. Allahumma ati nafsi taqwaha, wa zakkiha Anta khairu man zakkaha, Anta waliyyuha wa maulaha. Allahumma inni a'udhu bika min 'ilmin la yanfau', wa min qalbin la yakhsha'u, wa min nafsin la tashba'u, wa min da'watin la yustajabu laha' [O Allah! I seek refuge in You from the inability (to do good), indolence, cowardice, miserliness, decrepitude and torment of the grave. O Allah! Grant me the sense of piety and purify my soul as You are the Best to purify it. You are its Guardian and its Protecting Friend. O Allah! I seek refuge in You from the knowledge which is not beneficial, and from a heart which does not fear (You), and from desire which is not satisfied, and from prayer which is not answered]." [Muslim]. Commentary: This Hadith contains the prayer for fear of Allah, beneficial knowledge (that is, the knowledge of the Qur'an and Hadith), patience and contentment.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ

৪/১৫৪২। যায়েদ ইবনে আরক্বাম রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমরা আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে এক সফরে বের হলাম, যাতে লোকেরা সাংঘাতিক কষ্ট পেয়েছিল। আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই [মুনাফিকদের সর্দার, স্ব-মতাবলম্বী লোকদেরকে সম্বোধন করে] বলল, ’তোমরা আল্লাহর রাসূলের সঙ্গীদের জন্য ব্যয় করো না, যতক্ষণ না তারা সরে দাঁড়ায়।’ এবং সে আরও বলল, ’আমরা মদিনায় ফিরে গেলে সেখান হতে সম্মানী অবশ্যই হীনকে বহিষ্কার করবে।’ [যায়েদ বলেন,] আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তা জানিয়ে দিলাম। সুতরাং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডেকে পাঠালেন।

আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই [কিন্তু] বারবার শপথ করে বলল যে, সে তা বলেনি। লোকেরা বলল, ’যায়েদ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে মিথ্যা কথা বলেছে।’ [যায়েদ বলেন,] লোকদের কথা শুনে আমার মনে অত্যন্ত দুঃখ হল। অবশেষে আল্লাহ আমার কথার সত্যতায় সূরা ’ইযা জা-আকাল মুনাফিক্বূন’ অবতীর্ণ করলেন। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [আল্লাহর নিকট] তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনার উদ্দেশ্যে তাদেরকে ডাকলেন। কিন্তু তারা নিজেদের মাথা ফিরিয়ে নিল। (বুখারী ও মুসলিম)[1]

(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ

وَعَنْ زَيدِ بنِ أَرْقَمَ رضي الله عنه قَالَ: خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ أَصَابَ النَّاسَ فِيهِ شِدَّةٌ، فَقَالَ عَبدُ اللهِ بنُ أُبَيّ : ﴿ لا تنفقوا على من عند رسول الله حتى ينفضوا ﴾ [المنافقون: ٧]، وَقَالَ: ﴿ لئن رجعنا إلى المدينة ليخرجن الأعز منها الأذل﴾ [المنافقون: ٨]، فَأَتَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَأخْبَرْتُهُ بِذَلِكَ، فَأَرْسَلَ إِلَى عَبدِ اللهِ بنِ أُبَيِّ، فَاجْتَهَدَ يَمِينَهُ : مَا فَعلَ، فَقَالُوا : كَذَبَ زَيدٌ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، فَوَقَعَ في نَفْسِي مِمَّا قَالُوهُ شِدَّةٌ حَتَّى أَنْزَلَ اللهُ تَعَالَى تَصْدِيقِي : ﴿ ‏إذا جاءك المنافقون﴾ [المنافقون: ١] ثُمَّ دَعَاهُمُ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِيَسْتَغْفِرَ لَهُمْ فَلَوَّوْا رُؤُوسَهُمْ . متفق عَلَيْهِ

(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite


Zaid bin Al-Arqam (May Allah be pleased with him) said: We set out on a journey along with the Messenger of Allah (ﷺ) and we faced many hardships. 'Abdullah bin Ubaiy (the chief of the hypocrites at Al- Madinah) said to his friends: "Do not spend on those who are with the Messenger of Allah (ﷺ) until they desert him." He also said: "If we return to Al-Madinah, the more honourable (meaning himself, i.e., Abdullah bin Ubaiy) will drive out therefrom the meaner (meaning Messenger of Allah (ﷺ))." I went to the Messenger of Allah (ﷺ) and informed him about that and he sent someone to 'Abdullah bin Ubaiy. He asked him whether he had said that or not. Abdullah took an oath that he had not done anything of that sort and said that it was Zaid who carried a false tale to the Messenger of Allah (ﷺ). Zaid said: I was so much perturbed because of this until this Verse was revealed verifying my statement: "When the hypocrites come to you (O Muhammad (ﷺ)), they say: 'We bear witness that you are indeed the Messenger of Allah.' Allah knows that you are indeed His Messenger, and Allah bears witness that the hypocrites are liars indeed." (63:1) Then the Messenger of Allah (ﷺ) called the hypocrites in order to seek forgiveness for them from Allah, but they turned away their heads. [Al-Bukhari and Muslim]. Commentary: `Abdullah bin Ubaiy was the chief of the hypocrites at Al-Madinah. In the journey mentioned in this Hadith, which was undertaken in connection with the war with Banu Al-Mustaliq, he had used improper words against the Prophet (PBUH) and Muslims, which were overheard by Zaid bin Al-Arqam (May Allah be pleased with him). The latter informed the Prophet (PBUH) about this occurrence. This incident goes to prove that exposing the designs and conspiracies of hypocrites does not form backbiting. In fact, it is essential to keep people informed about them in the interest of Islam and Muslims.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ইস্তিহাযা আক্রান্ত মহিলার এক গোসলে দুই সালাত আদায় করা প্রসঙ্গে।

৬. আমর ইবনু মারযুক .... যায়েদ ইবনু আরকাম (রাঃ) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণনা করেছেনঃ। তিনি বলেছেনঃ এই সকল পায়খানার স্থানে সাধারণত শয়তান উপস্থিত হয়ে থাকে। অতএব তোমাদের কেউ যখন পায়খানায় যাওয়ার ইচ্ছা করে তখন সে যেন বলেঃ “আমি আল্লাহর নিকট স্ত্রী ও পুরুষ উভয় শয়তানের খারাবী হতে আশ্রয় প্রার্থনা করছি” – (ইবনু মাজাহ)।

باب مَا جَاءَ فِي الْمُسْتَحَاضَةِ أَنَّهَا تَجْمَعُ بَيْنَ الصَّلاَتَيْنِ بِغُسْلٍ وَاحِدٍ

حَدَّثَنَا عَمْرُو بْنُ مَرْزُوقٍ، أَخْبَرَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ، عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ هَذِهِ الْحُشُوشَ مُحْتَضَرَةٌ فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْخَلاَءَ فَلْيَقُلْ أَعُوذُ بِاللَّهِ مِنَ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ ‏"‏ ‏.‏

(صحيح (الألباني)


Narrated Zayd ibn Arqam: The Messenger of Allah (ﷺ) said: These privies are frequented by the jinns and devils. So when anyone amongst you goes there, he should say: "I seek refuge in Allah from male and female devils." Grade : Sahih (Al-Albani)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ যায়দ ইবনু আরক্বাম (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১২৩ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 7 পরের পাতা »