পরিচ্ছেদঃ ৫/৪০. ফজরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব আর তা হচ্ছে গালাস এবং তাতে কিরাআতের পরিমাণের বর্ণনা।
৩৭৭. ’আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, মুসলিম মহিলাগণ সর্বাঙ্গ চাদরে ঢেকে আল্লাহর রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ফজরের জামা’আতে হাযির হতেন। অতঃপর সালাত আদায় করে তারা যার যার ঘরে ফিরে যেতেন। আবছা আঁধারে কেউ তাঁদের চিনতে পারতো না।
استحباب التبكير بالصبح في أول وقتها وهو التغليس وبيان قدر القراءة فيها
حَدِيْثُ عَائِشَةَ قَالَتْ كُنَّ نِسَاءُ الْمُؤْمِنَاتِ يَشْهَدْنَ مَعَ رَسُولِ اللهِ ﷺ صَلاَةَ الْفَجْرِ مُتَلَفِّعَاتٍ بِمُرُوطِهِنَّ ثُمَّ يَنْقَلِبْنَ إِلَى بُيُوتِهِنَّ حِينَ يَقْضِينَ الصَّلاَةَ لاَ يَعْرِفُهُنَّ أَحَدٌ مِنَ الْغَلَسِ
পরিচ্ছেদঃ ৫/৪০. ফজরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব আর তা হচ্ছে গালাস এবং তাতে কিরাআতের পরিমাণের বর্ণনা।
৩৭৮. জাবির ইবনু ’আবদুল্লাহ্ (রাযি.)-হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত প্রচন্ড গরমের সময় আদায় করতেন। আর ’আসরের সালাত সূর্য উজ্জ্বল থাকতে আদায় করতেন, মাগরিবের সালাত সূর্য অস্ত যেতেই আর ’ইশার সালাত বিভিন্ন সময়ে আদায় করতেন। যদি দেখতেন, সকলেই সমবেত হয়েছেন, তাহলে সকাল সকাল আদায় করতেন। আর যদি দেখতেন, লোকজন আসতে দেরী করছে, তাহলে বিলম্বে আদায় করতেন। আর ফজরের সালাত তাঁরা কিংবা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধকার থাকতে আদায় করতেন।
استحباب التبكير بالصبح في أول وقتها وهو التغليس وبيان قدر القراءة فيها
حَدِيْثُ جَابِرَ بْنَ عَبْدِ اللهِ فَقَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي الظُّهْرَ بِالْهَاجِرَةِ وَالْعَصْرَ وَالشَّمْسُ نَقِيَّةٌ وَالْمَغْرِبَ إِذَا وَجَبَتْ وَالْعِشَاءَ أَحْيَانًا وَأَحْيَانًا إِذَا رَآهُمْ اجْتَمَعُوا عَجَّلَ وَإِذَا رَآهُمْ أَبْطَوْا أَخَّرَ وَالصُّبْحَ كَانُوا أَوْ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّيهَا بِغَلَسٍ
পরিচ্ছেদঃ ৫/৪০. ফজরের সালাত প্রথম ওয়াক্তে পড়া মুস্তাহাব আর তা হচ্ছে গালাস এবং তাতে কিরাআতের পরিমাণের বর্ণনা।
৩৭৯. আবূ বারযাহ আসলামী (রাযি.) হতে বর্ণিত, তাকে সালাতসমূহের সময় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে। তিনি বললেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত সুর্য ঢলে গেলেই আদায় করতেন। আর ’আসর (এমন সময় যে, সালাতের শেষে) কোনো ব্যক্তি সূর্য সজীব থাকতে থাকতেই মদীনার প্রান্ত সীমায় ফিরে আসতে পারতো। (রাবী বলেন) মাগরিব সম্পর্কে তিনি কি বলেছিলেন, তা আমি ভুলে গেছি। আর তিনি ’ইশা রাতের এক তৃতীয়াংশ পর্যন্ত বিলম্ব করতে কোন দ্বিধা করতেন না এবং ’ইশার পূর্বে ঘুমানো ও পরে কথাবার্তা বলা তিনি পছন্দ করতেন না। আর তিনি ফাজর আদায় করতেন এমন সময় যে, সালাত শেষে ফিরে যেতে লোকেরা তার পার্শ্ববর্তী ব্যক্তিকে চিনতে পারতো। এর দু’ রাক’আতে অথবা রাবী বলেছেন, এক রাক’আতে তিনি ষাট হতে একশত আয়াত পাঠ করতেন।
استحباب التبكير بالصبح في أول وقتها وهو التغليس وبيان قدر القراءة فيها
حَدِيْثُ أَبِي بَرْزَةَ الْأَسْلَمِيِّ وقد سُئِلَ عَنْ وَقْتِ الصَّلَوَاتِ قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ﷺ يُصَلِّي الظُّهْرَ حِينَ تَزُولُ الشَّمْسُ وَالْعَصْرَ وَيَرْجِعُ الرَّجُلُ إِلَى أَقْصَى الْمَدِينَةِ وَالشَّمْسُ حَيَّةٌ (قَالَ الراوي) وَنَسِيتُ مَا قَالَ فِي الْمَغْرِبِ وَلاَ يُبَالِي بِتَأْخِيرِ الْعِشَاءِ إِلَى ثُلُثِ اللَّيْلِ وَلاَ يُحِبُّ النَّوْمَ قَبْلَهَا وَلاَ الْحَدِيْثُ بَعْدَهَا وَيُصَلِّي الصُّبْحَ فَيَنْصَرِفُ الرَّجُلُ فَيَعْرِفُ جَلِيسَهُ وَكَانَ يَقْرَأُ فِي الرَّكْعَتَيْنِ أَوْ إِحْدَاهُمَا مَا بَيْنَ السِّتِّينَ إِلَى الْمِائَةِ