পরিচ্ছেদঃ ১২৭: ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়
১/৮১৮। বারা’ ইবনে ’আযেব রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন এবং এই দো’আ পড়তেনঃ-
’আল্লা-হুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইকা অ অজ্জাহতু অজহিয়া ইলাইক, অফাউওয়াদ্বতু আমরী ইলাইক, অ আলজা’তু যাহরী ইলাইক, রাগ্বাতাঁঊ অরাহবাতান্ ইলাইক্, লা মাল্জাআ অলা মান্জা মিনকা ইল্লা ইলাইক, আ-মানতু বিকিতা-বিকাল্লাযী আনযালতা অ নাবিয়্যিকাল্লাযী আরসাল্ত্।’
অর্থ - হে আল্লাহ! আমি আমার প্রাণ তোমার প্রতি সমর্পণ করেছি, আমার মুখমণ্ডল তোমার প্রতি ফিরিয়েছি, আমার সকল কর্মের দায়িত্ব তোমাকে সোপর্দ করেছি, আমার পিঠকে তোমার দিকে লাগিয়েছি (তোমার উপরেই সকল ভরসা রেখেছি), এসব কিছু তোমার সওয়াবের আশায় ও তোমার আযাবের ভয়ে করেছি। তোমার নিকট ছাড়া তোমার আযাব থেকে বাঁচতে কোন আশ্রয়স্থল নেই। তুমি যে কিতাব অবতীর্ণ করেছ তার উপর এবং তুমি যে নবী প্রেরণ করেছ তার উপর ঈমান এনেছি। (বুখারী এই শব্দমালায়, আদব অধ্যায়)[1]
(127) بَابُ آدَابِ النَّوْمِ وَالْاِضْطِجَاعِ وَالْقُعُوْدِ وَالْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ وَالرُّؤْيَا
عَنِ البَراءِ بنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا أَوَى إِلَى فِرَاشِهِ نَامَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ، ثُمَّ قَالَ: اَللهم أسْلَمْتُ نَفسِي إلَيْكَ، وَوَجَّهْتُ وَجْهِي إلَيْكَ، وَفَوَّضْتُ أمْرِي إلَيْكَ، وَألْجَأتُ ظَهْرِي إلَيْك، رَغْبَةً وَرَهْبَةً إلَيْكَ، لاَ مَلْجَأ وَلاَ مَنْجا مِنْكَ إِلاَّ إلَيكَ، آمَنْتُ بِكِتَابِكَ الَّذِي أنْزَلْتَ، وَنَبِيِّكَ الَّذِي أرْسَلْتَ. رواه البخاري بهذا اللفظ في كتاب الأدب من صحيحه
(127) Chapter: What is to be said at the time of Sleeping
Al-Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) reported:
Whenever Messenger of Allah (ﷺ) went to bed, he would lie down on his right side and recite: "Allahumma aslamtu nafsi ilaika, wa wajjahtu wajhi ilaika, wa fawwadtu amri ilaika, wa 'alja'tu zahri ilaika, raghbatan wa rahbatan ilaika, la malja'a wa la manja illa ilaika. Amantu bikitabikal-ladhi anzalta, wa nabiyyikal-ladhi arsalta [O Allah! I have submitted myself to You, I have turned my face to You, committed my affairs to You, and depend on You for protection out of desire for You and out of fear of You (expecting Your reward and fearing Your punishment). There is no refuge and no place of safety from You but with You. I believed in the Book You have revealed, and in the Prophet You have sent (i.e., Muhammad (ﷺ)).]"
Commentary: Before going to bed, a believer revives his commitment to Faith, Islam and Allah by reciting this prayer of Messenger of Allah (PBUH). Through this practice, every night he is able to remember Allah and His Commandments amidst the activities of the day time.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭: ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়
২/৮১৯। উক্ত রাবী হতেই বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে বললেন, ’’তুমি যখন তোমার বিছানায় (ঘুমাবার জন্য) আসবে, তখন তুমি নামাযের ওযূর মত ওযূ কর। অতঃপর ডান পার্শ্বে শুয়ে (পূর্বোক্ত) দো’আ পাঠ কর....।’’ অতঃপর বর্ণনাকারী ঐ দো’আটি উল্লেখ করলেন। আর এ বর্ণনায় আছে যে, ’’ওই দো’আগুলো হোক তোমার সর্বশেষে কথা।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]
(127) بَابُ آدَابِ النَّوْمِ وَالْاِضْطِجَاعِ وَالْقُعُوْدِ وَالْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ وَالرُّؤْيَا
وَعَنْهُ، قَالَ: قَالَ لِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « إِذَا أتَيْتَ مَضْجَعَكَ فَتَوَضَّأ وُضُوءَكَ لِلْصَّلاَةِ، ثُمَّ اضْطَجِعْ عَلَى شِقِّكَ الأَيْمَنِ، وَقُلْ ...» وذَكَرَ نَحْوَهُ، وفيه: «وَاجْعَلْهُنَّ آخِرَ مَا تَقُولُ». متفقٌ عَلَيْهِ
(127) Chapter: What is to be said at the time of Sleeping
Al-Bara' bin 'Azib (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) directed me thus: "Whenever you go to bed, perform Wudu' as you do for Salat then (before sleeping) recite: 'O Allah! I have submitted myself to You, I have turned myself to You, committed my affairs to You and sought Your refuge for protection out of desire for You and fear of You (expecting Your reward and fearing Your punishment). There is no refuge and no place of safety from You but with You. I believe in the Book You have revealed and in the Prophet (ﷺ) You have sent."' Messenger of Allah (ﷺ) added: "If anyone recites these words and dies during the night, he will die on the true Deen, and if he remains alive till the morning, he will obtain good. And make this supplication your last words (before sleeping)."
[Al-Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ১২৭: ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়
৩/৮২০। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে এগারো রাকআত নামায পড়তেন। যখন ফজর উদয় হত, তখন তিনি দু’রাকআত সংক্ষিপ্ত নামায পড়তেন, তারপর তাঁর ডান পার্শ্বে শয়ন করতেন; শেষ পর্যন্ত মুআয্যিন এসে তাঁকে (জামাআতের সময় হওয়ার) খবর জানাত।’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(127) بَابُ آدَابِ النَّوْمِ وَالْاِضْطِجَاعِ وَالْقُعُوْدِ وَالْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ وَالرُّؤْيَا
وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يُصَلِّي مِنَ اللَّيْلِ إحْدَى عَشرَةَ رَكْعَةً، فَإِذَا طَلَعَ الفَجْرُ صَلَّى رَكْعَتَيْنِ خَفِيفَتَيْنِ، ثُمَّ اضْطَجَعَ عَلَى شِقِّهِ الأَيْمَنِ حَتَّى يَجِيءَ الْمُؤَذِّنُ فَيُؤْذِنَهُ . متفقٌ عَلَيْهِ
(127) Chapter: What is to be said at the time of Sleeping
'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
The Prophet (ﷺ) used to offer eleven Rak'ah of optional Salat (prayers) in the latter part of night. When it was about dawn, he would offer two short Rak'ah and then would lie down on his right side till the Mu'adhdhin (one who calls for prayer) would come to inform him that the congregation had gathered (for prayer).
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: This Hadith throws light on the Prophet's night prayers (Tahajjud), that is, it comprised thirteen Rak`ah including three Rak`ah of Witr. It is also reported in Al-Bukhari on the authority of `Aishah (May Allah be pleased with him) that Messenger of Allah (PBUH) would always perform thirteen Rak`ah in the Tahajjud prayer. This Hadith further tells us that after his midnight prayer, the Prophet (PBUH) would perform two Rak`ah of Sunnah (i.e., after the Adhan of Fajr prayer) and then lie down on his right side. This practice of Messenger of Allah (PBUH) is an established fact.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭: ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়
৪/৮২১। হুযাইফা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাত্রিতে যখন শয্যাগ্রহণ করতেন, তখন তিনি গালের নীচে হাত রেখে এই দো’আ পড়তেনঃ ’আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু অ আহয়্যা।’ অর্থাৎ হে আল্লাহ! আমি তোমার নামে মরি ও বাঁচি।
আর যখন জাগতেন তখন বলতেনঃ ’আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহয়্যা-না বা’দা মা আমা-তানা অ ইলাইহিন নুশূর।’ অর্থাৎ সেই আল্লাহর সমস্ত প্রশংসা যিনি আমাদেরকে মৃত্যু (নিদ্রা) দেওয়ার পর জীবিত করলেন এবং তাঁরই দিকে আমাদের পুনর্জীবন। (বুখারী)[1]
(127) بَابُ آدَابِ النَّوْمِ وَالْاِضْطِجَاعِ وَالْقُعُوْدِ وَالْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ وَالرُّؤْيَا
وَعَنْ حُذَيْفَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ النَّبيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أخَذَ مَضْجَعَهُ مِنَ اللَّيْلِ وَضَعَ يَدَهُ تَحْتَ خَدِّهِ، ثُمَّ يَقُولُ: « اَللهم بِاسْمِكَ أمُوتُ وَأحْيَا » وَإِذَا اسْتَيْقَظَ قَالَ: « الْحَمْدُ للهِ الَّذِي أحْيَانَا بَعْدَ مَا أمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُشُورُ ». رواه البخاري
(127) Chapter: What is to be said at the time of Sleeping
Hudhaifah (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Prophet (ﷺ) lay down for sleep at night, he would place his (right) hand under his (right) cheek and supplicate: "Allahumma bismika amutu wa ahya [O Allah, with Your Name will I die and live (wake up)]." And when he woke up, he would supplicate: "Al-hamdu lillahil-ladhi ahyana ba'da ma amatana, wa ilaihin-nushur (All praise is due to Allah, Who has brought us back to life after He has caused us to die, and to Him is the return)."
[Al-Bukhari].
Commentary: In this prayer of Messenger of Allah (PBUH) the state of sleep is associated with death, while the state of being awake is associated with life. Furthermore, it conjures up the vision of Doomsday. However, to recite these prayers prior to going to sleep and on getting up was the practice of Messenger of Allah (PBUH).
পরিচ্ছেদঃ ১২৭: ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়
৫/৮২২। য়্যা’ঈশ ইবনে ত্বিখফাহ্ গিফারী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমার পিতা বলেন, একদা আমি মসজিদে উপুড় হয়ে শুয়ে ছিলাম, এমতাবস্থায় একটি লোক আমাকে পা দিয়ে নড়িয়ে বলল, ’’এ ধরনের শোয়াকে আল্লাহ অপছন্দ করেন।’’ তিনি বলেন, ’আমি তাকিয়ে দেখলাম তো তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন।’ (আবূ দাউদ, সহীহ সনদ)[1]
(127) بَابُ آدَابِ النَّوْمِ وَالْاِضْطِجَاعِ وَالْقُعُوْدِ وَالْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ وَالرُّؤْيَا
وَعَنْ يَعِيشَ بنِ طِخْفَةَ الغِفَارِيِّ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ أَبي: بَينَمَا أَنَا مُضْطَجِعٌ فِي الْمَسْجِدِ عَلَى بَطْنِي إِذَا رَجُلٌ يُحَرِّكُنِي بِرِجلِهِ، فَقَالَ: « إنَّ هَذِهِ ضِجْعَةٌ يُبْغِضُهَا اللهُ »، قَالَ: فَنظَرْتُ، فَإِذَا رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح
(127) Chapter: What is to be said at the time of Sleeping
Ya'ish bin Tikhfah Al-Ghifari (May Allah be pleased with him) reported:
My father said: I was lying down on my belly in the mosque when someone shook me with his foot and said, "Lying down this way is disapproved by Allah." I looked up and saw that it was Messenger of Allah (ﷺ).
[Abu Dawud].
Commentary: To sleep in prone position is extremely repugnant and Messenger of Allah (PBUH) has forbidden it.
পরিচ্ছেদঃ ১২৭: ঘুমানো, শোয়া, বসা, বৈঠক, সাথী এবং স্বপ্ন সংক্রান্ত আদব কায়দা - শয়নকালে যা বলতে হয়
৬/৮২৩। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি এমন মজলিসে বসে, যেখানে সে আল্লাহর যিকর করে না, (এর জন্য) আল্লাহর তরফ থেকে তার উপর পরিতাপ ও কমি আসবে। আর যে ব্যক্তি এমন জায়গায় শয়ন করে, যেখানে সে আল্লাহর যিকির করে না, (এর জন্য) আল্লাহর তরফ থেকে তার উপর পরিতাপ ও কমি আসবে।’’ (আবু দাঊদ, হাসান) [1]
(127) بَابُ آدَابِ النَّوْمِ وَالْاِضْطِجَاعِ وَالْقُعُوْدِ وَالْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ وَالرُّؤْيَا
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «مَنْ قَعَدَ مَقْعَدَاً لَمْ يَذْكُرِ الله تَعَالَى فِيهِ، كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تَعَالَى تِرَةٌ، وَمَنِ اضْطَجَعَ مَضجَعاً لاَ يَذْكُرُ اللهَ تَعَالَى فِيهِ، كَانَتْ عَلَيْهِ مِنَ اللهِ تِرَةٌ ». رواه أَبُو داود بإسنادٍ حسن
(127) Chapter: What is to be said at the time of Sleeping
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever sits in a place where he does not remember Allah (SWT), he will suffer loss and incur displeasure of Allah; and whoever lies down (to sleep) in a place where he does not remember Allah, he will suffer sorrow and incur displeasure of Allah."
[Abu Dawud].
Commentary: In the light of this Hadith, remembrance of Allah is commendable everywhere. Indifference to it doubtless incurs Divine wrath.
পরিচ্ছেদঃ ১২৮: গুপ্তাঙ্গ খুলে যাওয়ার আশংকা না থাকলে একটি পায়ের উপর অন্য পা চাপিয়ে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ এবং দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসা ও হাঁটু দু’টিকে বুকে লাগিয়ে কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে বসা বৈধ
১/৮২৪। আব্দুল্লাহ ইবনে য়্যাযীদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে মসজিদে এমনভাবে চিৎ হয়ে শোয়া অবস্থায় প্রত্যক্ষ করেছেন যে, তিনি একটি পা অন্য পায়ের উপর চাপিয়ে রেখেছিলেন। (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(128) بَابُ جَوَازِ الْاِسْتِلْقَاءِ عَلَى الْقَفَا وَوَضْعِ إِحْدَى الرِّجْلَيْنِ عَلَى الْأُخْرٰى إِذَا لَمْ يُخَفْ اِنْكِشَافُ الْعَوْرَةِ وَ جَوَلِزِ الْقُعُوْدِ مُتَرَبِّعًا وَمُحْتَبِيًا
عَن عَبدِ اللهِ بنِ زَيدٍ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا: أنَّه رَأَى رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم مُسْتَلْقِياً في الْمَسْجِدِ، وَاضِعاً إحْدَى رِجْلَيْهِ عَلَى الأُخْرَى . متفقٌ عَلَيْهِ
(128) Chapter: Manners of Lying down on one's back and placing one leg upon the Other
'Abdullah bin Zaid (May Allah be pleased with them) reported:
I saw Messenger of Allah (ﷺ) lying down on his back in the mosque, placing one leg on the other.
[Al-Bukhari and Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ১২৮: গুপ্তাঙ্গ খুলে যাওয়ার আশংকা না থাকলে একটি পায়ের উপর অন্য পা চাপিয়ে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ এবং দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসা ও হাঁটু দু’টিকে বুকে লাগিয়ে কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে বসা বৈধ
২/৮২৫। জাবের ইবনে সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন ফজরের নামায সমাপ্ত করতেন তখন ভালোভাবে সূর্যোদয় না হওয়া অবধি নামায পড়ার জায়গাতেই দুই বা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসে থাকতেন।’ (সহীহ হাদীস, এটি আবূ দাউদ প্রমুখ বিশুদ্ধ সানাদে বর্ণনা করেছেন) [1]
(128) بَابُ جَوَازِ الْاِسْتِلْقَاءِ عَلَى الْقَفَا وَوَضْعِ إِحْدَى الرِّجْلَيْنِ عَلَى الْأُخْرٰى إِذَا لَمْ يُخَفْ اِنْكِشَافُ الْعَوْرَةِ وَ جَوَلِزِ الْقُعُوْدِ مُتَرَبِّعًا وَمُحْتَبِيًا
وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا صَلَّى الفَجْرَ تَرَبَّعَ فِي مَجْلِسِهِ حَتَّى تَطْلُعَ الشَّمْسُ حَسْنَاءَ . حديث صحيح، رواه أَبُو داود وغيره بأسانيد صحيحة
(128) Chapter: Manners of Lying down on one's back and placing one leg upon the Other
Jabir bin Samurah (May Allah be pleased with him) reported:
After the Fajr (dawn) prayer the Prophet (ﷺ) used to sit crossed legged in the same place in which he had prayed till the sun shone brightly.
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith tells us that it is commendable to stay in the mosque after offering Fajr prayer with the congregation until sunrise. It also commends sitting cross-legged.
পরিচ্ছেদঃ ১২৮: গুপ্তাঙ্গ খুলে যাওয়ার আশংকা না থাকলে একটি পায়ের উপর অন্য পা চাপিয়ে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ এবং দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসা ও হাঁটু দু’টিকে বুকে লাগিয়ে কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে বসা বৈধ
৩/৮২৬। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কা’বা প্রাঙ্গনে বুকে হাঁটু লাগিয়ে হাত দিয়ে ধরে এভাবে বসে থাকতে দেখেছি।’ আর তিনি নিজের হাত দুখানা ধরে উক্ত (ইহতিবা) বসার ধরন বর্ণনা করলেন। ওটাকেই আরবীতে ’কুরফুসা’ও বলা হয়। (বুখারী)[1]
(128) بَابُ جَوَازِ الْاِسْتِلْقَاءِ عَلَى الْقَفَا وَوَضْعِ إِحْدَى الرِّجْلَيْنِ عَلَى الْأُخْرٰى إِذَا لَمْ يُخَفْ اِنْكِشَافُ الْعَوْرَةِ وَ جَوَلِزِ الْقُعُوْدِ مُتَرَبِّعًا وَمُحْتَبِيًا
وَعَنْ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: رَأَيتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم بِفِنَاءِ الكَعْبَةِ مُحْتَبِياً بِيَدَيْهِ هَكَذَا، وَوَصَفَ بِيَدَيْهِ الاِحْتِبَاءَ، وَهُوَ القُرْفُصَاءُ . رواه البخاري
(128) Chapter: Manners of Lying down on one's back and placing one leg upon the Other
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
I saw Messenger of Allah (ﷺ) sitting in the compound of the Holy Ka'bah, with the thighs against the stomach and arms around his legs.
[Al- Bukhari].
পরিচ্ছেদঃ ১২৮: গুপ্তাঙ্গ খুলে যাওয়ার আশংকা না থাকলে একটি পায়ের উপর অন্য পা চাপিয়ে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ এবং দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসা ও হাঁটু দু’টিকে বুকে লাগিয়ে কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে বসা বৈধ
৪/৮২৭। ক্বাইলা বিনতে মাখরামাহ রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বুকে হাঁটু লাগিয়ে হাত দিয়ে দুটোকে জড়িয়ে উঁচু হয়ে বসে থাকতে দেখেছি। যখন তাকে বিনীতভাবে বসে থাকতে দেখলাম, তখন ভয়ে আমি কাঁপতে লাগলাম।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী) [1]
(128) بَابُ جَوَازِ الْاِسْتِلْقَاءِ عَلَى الْقَفَا وَوَضْعِ إِحْدَى الرِّجْلَيْنِ عَلَى الْأُخْرٰى إِذَا لَمْ يُخَفْ اِنْكِشَافُ الْعَوْرَةِ وَ جَوَلِزِ الْقُعُوْدِ مُتَرَبِّعًا وَمُحْتَبِيًا
وَعَنْ قَيْلَةَ بِنْتِ مَخْرَمَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهَا، قَالَتْ: رَأَيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ قَاعِدٌ القُرْفُصَاءَ، فَلَمَّا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم المُتَخَشِّعَ فِي الجِلْسَةِ أُرْعِدْتُ مِنَ الفَرَقِ. رواه أَبُو داود والترمذي
(128) Chapter: Manners of Lying down on one's back and placing one leg upon the Other
Qailah bint Makhramah (May Allah be pleased with her) reported:
I saw the Prophet (ﷺ) seated with his arms enfolding his legs; and when I saw him in such a state of humble guise I trembled with fear due to the awe (he showed in that posture).
[At-Tirmidhi].
পরিচ্ছেদঃ ১২৮: গুপ্তাঙ্গ খুলে যাওয়ার আশংকা না থাকলে একটি পায়ের উপর অন্য পা চাপিয়ে চিৎ হয়ে শোয়া বৈধ এবং দুই পা গুটিয়ে (বাবু হয়ে) বসা ও হাঁটু দু’টিকে বুকে লাগিয়ে কাপড় বা কোন কিছু দিয়ে পিঠের সাথে বেঁধে বসা বৈধ
৫/৮২৮। শারীদ ইবনে সুয়াইদ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (একবার) আমার নিকট দিয়ে অতিক্রম করছিলেন। আর আমি এভাবে অর্থাৎ বাঁম হাতটিকে পিঠের পিছনে রেখে হাতের চেটোতে ভর দিয়ে বসেছিলাম। তা দেখে তিনি বললেন, ’’তুমি কি অভিশপ্ত (ইয়াহুদী)দের বসার মত বসছ?’’ (আবূ দাঊদ সহীহ সানাদ) [1]
(128) بَابُ جَوَازِ الْاِسْتِلْقَاءِ عَلَى الْقَفَا وَوَضْعِ إِحْدَى الرِّجْلَيْنِ عَلَى الْأُخْرٰى إِذَا لَمْ يُخَفْ اِنْكِشَافُ الْعَوْرَةِ وَ جَوَلِزِ الْقُعُوْدِ مُتَرَبِّعًا وَمُحْتَبِيًا
وَعَنْ الشَّريدِ بنِ سُوَيْدٍ رضي الله عنه، قَالَ: مَرَّ بِي رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَأَنَا جَالِسٌ هَكَذَا، وَقَدْ وَضَعْتُ يَدِيَ اليُسْرَى خَلْفَ ظَهْرِي، وَاتَّكَأتُ عَلَى أَليَةِ يَدِي، فَقَالَ: « أَتَقْعُدُ قِعْدَةَ المَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ ؟! » رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح
(128) Chapter: Manners of Lying down on one's back and placing one leg upon the Other
Ash-Sharid bin Suwaid (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) passed by me when I was sitting with my left hand behind my back and leaning on my palm. On seeing me in this posture he said, "Do you sit like those upon whom the Wrath of Allah has descended?"
[Abu Dawud].
Commentary: The Jews and Christians are the people upon whom came the Wrath of Allah. Muslims have been stopped from copying their example. But unfortunately they now take a pride in imitating them in every matter and think it necessary for worldly progress.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
১/৮২৯। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কোন ব্যক্তি অন্য কাউকে তার জায়গা থেকে উঠিয়ে দিয়ে সেখানে যেন অবশ্যই না বসে। বরং তোমরা জায়গা প্রশস্ত করে ও নড়ে-সরে জায়গা করে বসো।’’ ইবনে উমারের জন্য মজলিস থেকে কেউ উঠে গেলে সেখানে তিনি বসতেন না। (বুখারী ও মুসলিম) [1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
عَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: « لاَ يُقِيمَنَّ أحَدُكُمْ رَجُلاً مِنْ مَجْلِسِهِ ثُمَّ يَجْلِسُ فِيهِ، وَلَكِنْ تَوَسَّعُوا وَتَفَسَّحُوا ». وكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا قَامَ لَهُ رَجُلٌ مِنْ مَجْلِسِهِ لَمْ يَجْلِسْ فِيهِ . متفقٌ عَلَيْهِ
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Do not ask someone to give up his seat in order to take it, but make accommodation wide and sit at ease." It was Ibn 'Umar's habit that if a person left his seat for him, he would not take it.
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Herein, we are told that the space of meeting should be wide enough to accommodate every participant. None should feel the space problem. Good manners disallow a newcomer to get a seat vacated for himself by force, no matter if the occupant is an inferior. Yet, there is nothing undesirable if the latter willingly vacates the seat for a superior. Ibn `Umar (May Allah be pleased with them) would never agree to availing even a willing offer in this respect. Obviously extreme Taqwa (fear of Allah) and moral scruples lay behind his reluctance to take the place of somebody else. Yet, there are a few exceptions in this regard. For example, if somebody sits in the chair of his teacher, he may be asked to leave it. Also if a man has fixed place in the market to sell his goods, another person will not be justified in occupying it forcibly.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
২/৮৩০। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মজলিস থেকে কেউ উঠে গিয়ে আবার সেখানে ফিরে এলে সেই ঐ জায়গার বেশি হকদার।’’ (মুসলিম) [1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « إِذَا قَامَ أَحَدُكُمْ مِنْ مَجْلِسٍ، ثُمَّ رَجَعَ إِلَيْهِ، فَهُوَ أَحَقُّ بِهِ ». رواه مسلم
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "If someone leaves his seat (for one reason or another) and returns to it, he is better entitled to it."
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৩/৮৩১। জাবের ইবনে সামুরাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ’আমরা যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে আসতাম, তখন যেখানে মজলিস শেষ হত সেখানে বসে যেতাম।’ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান)[1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ جَابِرِ بنِ سَمُرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنهُمَا، قَالَ: كُنَّا إِذَا أَتَيْنَا النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، جلَسَ أحَدُنَا حَيْثُ يَنْتَهِي. رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Jabir bin Samurah (May Allah be pleased with them) reported:
Whenever we came to the gathering of the Prophet, we would sit down at the end (of the assembly).
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith throws light on social etiquette. Suppose, if somebody comes to participate in a meeting, he should not behave in a rustic manner by crossing over the heads of the sitting people. Nor should he attempt to forcibly put himself in the place of another person.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৪/৮৩২। আবূ আব্দুল্লাহ সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি জুমআর দিনে গোসল করে, যথাসম্ভব পবিত্রতা অর্জন করে, তেল ব্যবহার করে অথবা ঘরের সুগন্ধি নিয়ে লাগায়। অতঃপর জুমআর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে প্রবেশ করে দু’জনের মধ্যে পৃথক করে না। তারপর তার ভাগ্যে যতটা লেখা হয়েছে, ততটা নামায আদায় করে, তারপর যখন ইমাম খুৎবা দেয় তখন সে চুপ থাকে, তাহলে তার জন্য এক জুমআহ থেকে অন্য জুমআহ পর্যন্ত কৃত পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়।’’ (বুখারী) [1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ أَبي عَبدِ اللهِ سَلْمَانَ الفَارِسِي رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « لاَ يَغْتَسِلُ رَجُلٌ يَوْمَ الْجُمُعَةِ، وَيَتَطهَّرُ مَا اسْتَطَاعَ مِنْ طُهْرٍ، وَيَدَّهِنُ مِنْ دُهْنِهِ، أَوْ يَمَسُّ مِنْ طِيبِ بَيْتِهِ، ثُمَّ يَخْرُجُ فَلاَ يُفَرِّقُ بَيْنَ اثْنَينِ، ثُمَّ يُصَلِّي مَا كُتِبَ لَهُ، ثُمَّ يُنْصِتُ إِذَا تَكَلَّمَ الإمَامُ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا بَيْنَهُ وَبَيْنَ الجُمُعَةِ الأُخْرَى ». رواه البخاري
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Salman Al-Farisi (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "If a man takes a bath on Friday, purifies himself thoroughly, uses oil and perfume which is available in the house, sets forth for the mosque, does not (forcibly) sit between two persons, offers the prayer that is prescribed for him and listens to the Imam silently, his sins between this Friday and the previous Friday will be forgiven."
[Al- Bukhari].
Commentary: This Hadith highlights eight points. First, to take a bath on Friday is a matter of commendation. Some say this bath is commendable, while others think it is necessary. Second, one should take it in the morning or before going to the mosque to offer prayer. Third, on this occasion the use of perfume or hair-cream is preferable.
Fourth, there is a mention of good manners. Instead of crossing over the heads of worshippers, one should try tolocate an open space and sit there. To thrust oneself between two sitting persons looks awkward. Fifth, entry into the mosque should be followed by the performance of two Rak`ah prayer, even if the Imam is delivering Khutbah (religious talk). Sixth, an attempt should be made to offer voluntary prayer before the Khutbah. Seventh, complete silence should be observed during the Khutbah to the point that one is not allowed to say to the other person: "Keep silent,'' if one does not want to loose reward. Eighth, if a man offers his Friday prayer by observing the said conditions and prerequisites, his week-long sins will be forgiven by Allah. But these are exclusively minor sins including failure in doing one's duty to Allah. As regards major sins, the sinner will not be forgiven by Allah unless
he sincerely repents from the sins. Similarly, a man's failure to do his duties towards his fellow-Muslim brothers or sisters, in case he has wronged them in anyway, will not be pardoned unless he is forgiven by them.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৫/৮৩৩। ’আমর ইবনে শুয়াইব (রহ.) স্বীয় পিতা থেকে তিনি স্বীয় দাদা থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কোন ব্যক্তির জন্য এটা বৈধ নয় যে, সে দু’জনের মধ্যে তাদের বিনা অনুমতিতে তফাৎ সৃষ্টি করবে। (আবূ দাউদ, তিরমিযী, হাসান ) [1]
আবূ দাউদের এক বর্ণনায় আছে, ’’দু’জনের মধ্যে তাদের বিনা অনুমতিতে বসা যাবে না।’’
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ عَمرِو بنِ شُعَيْبٍ، عَن أَبِيهِ، عَن جَدِّهِ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، قَالَ: لاَ يَحِلُّ لِرَجُلٍ أَنْ يُفَرِّقَ بَيْنَ اثْنَيْنِ إِلاَّ بِإِذْنِهِمَا . رواه أَبُو داود والترمذي، وقال: حديث حسن
وفي رواية لأبي داود: لاَ يُجْلسُ بَيْنَ رَجُلَيْنِ إِلاَّ بِإذْنِهِمَا
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
'Amr bin Shu'aib on the authority of his father and grandfather reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "It is not permissible for a person to sit between two people without their permission."
[At-Tirmidhi].
Commentary: This Hadith tells us that a man is forbidden to push himself between two sitting persons unless they themselves allow him to do that.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৬/৮৩৪। হুযাইফাহ ইবনুল ইয়ামান রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, এমন লোককে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অভিশাপ দিয়েছেন, যে লোক মাজলিশের মধ্যখানে গিয়ে বসে পড়ে। হাদীসটি আবূ দাউদ উত্তম সনদে বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী আবূ মিজলায (রাহঃ) হতে বর্ণনা করেছেন, এক মাজলিসের মাঝখানে বসে পড়লে হুযাইফাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বললেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (এ কাজটির উপর) অভিশাপ বর্ষণ করেছেন অথবা সেই ব্যক্তির উপর আল্লাহ তা’আলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুখ দিয়ে অভিশাপ বর্ষণ করেন যে মাজলিসের মাঝখানে বসে পড়ে। তিরমিযী বলেন, হাদীসটি হাসান সহীহ।[1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وعن حذيفة بن اليمان رضي الله عنه أنَّ رَسولَ اللهِ صلى الله عليه وسلملَعَنَ مَنْ جَلَسَ وَسَطَ الحَلْقَةَ . رواه أبو داود بإسناد حسن. وروى الترمذي عن أبي مِجْلزٍ أن رَجُلاً قَعَدَ وَسَطَ حَلقْة فقال حُذَيْفَةُ: مُلْعُونٌ عَلٰى لِسَانِ مُحَمَّدٍ صلى الله عليه وسلم أوْ لَعَنَ الله عَلٰى لِسَانِ محُمَدٍ صلى الله عليه وسلم مَنْ جَلَسَ وَسَطَ الْحَلْقةِ. قال الترمذي: حديث حسن صحيح .
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Hudhaifah bin Al-Yaman (May Allah be pleased with him) reported:
Whosoever takes seat in the midst of an assembly has been cursed by Messenger of Allah (ﷺ) The Messenger of Allah curses the one who sits in the middle of people's circle.
[Abu Dawud].
Commentary: Herein, we are also told that a man must not push himself into the circles of some sitting people as this shows no consideration for their feelings. A Muslim should not intrude on other people's personal affairs.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৭/৮৩৫। আবূ সা’ঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, ’’যে সভা সবচেয়ে বেশি প্রশস্ত সেটা সবচেয়ে উত্তম সভা।’’ (আবূ দাঊদ, বুখারীর শর্তে সহীহ)[1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ أَبي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه، قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ: « خَيْرُ المَجَالِسِ أوْسَعُهَا». رواه أَبُو داود بإسنادٍ صحيح عَلَى شرط البخاري
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) reported:
I heard Messenger of Allah (ﷺ) saying "The best assemblies are those in which people make room for one another."
[Abu Dawud].
Commentary: This Hadith tells us that the closely-sitting people have a feeling of narrowness and suffocation. On the other hand, in a well-spaced meeting, one has a feeling of relief and comfort. The Hadith urges us to spread out in assemblies and make room for one another to the comfort of everyone.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৮/৮৩৬। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি এমন সভায় বসে, যাতে খুব বেশি হৈ-হল্লা হয়, অতঃপর যদি উক্ত সভা ত্যাগ করে চলে যাওয়ার আগে এই দো’আ পড়ে, ’’সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা আস্তাগফিরুকা অ আতূবু ইলাইক্।’’ (অর্থাৎ তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষি দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।) তাহলে উক্ত মজলিসে কৃত অপরাধ তার জন্য ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (তিরমিযী, হাসান সহীহ)[1]
* (প্রকাশ থাকে যে, এই দো’আকে ’কাফফারাতুল মাজলিস’-এর দো’আ বলা হয়।
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: « مَنْ جَلَسَ فِي مَجْلِسٍ، فَكَثُرَ فِيهِ لَغَطُهُ فَقَالَ قَبْلَ أَنْ يَقُومَ مِنْ مَجْلِسِهِ ذَلِكَ: سُبْحَانَكَ اَللهم وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أنْتَ، أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إلَيْكَ، إِلاَّ غُفِرَ لَهُ مَا كَانَ فِي مَجْلِسِهِ ذَلِكَ». رواه الترمذي، وقال:حديث حسن صحيح
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "Whoever sits in a gathering and indulges in useless talk and before getting up supplicates: 'Subhanaka Allahumma wa bihamdika, ash-hadu an la ilaha illa Anta, astaghfiruka wa atubu ilaika (O Allah, You are free from every imperfection; praise be to You. I testify that there is no true god except You; I ask Your Pardon and turn to You in repentance),' he will be forgiven for (the sins he may have intentionally or unintentionally committed) in that assembly."
[At-Tirmidhi].
Commentary: A senseless, boisterous talk, not related to the life to come, is unprofitable and warrants deprecation. But since it is a small sin, it may be pardoned if one sincerely repents of it. Yet, it cannot be classified under thehead of major sins and human-right violations which are unpardonable. Scholars nanimously agree that those sins which can be forgiven upon sincerely reciting the above-mentioned supplication are minor sins which relate to the violation of Allah's Rights, as evidenced by other Ahadith.
পরিচ্ছেদঃ ১২৯: মজলিস ও বসার সাথীর নানা আদব-কায়দা
৯/৮৩৭। আবূ বারযাহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন সভা থেকে উঠে চলে যাবার ইচ্ছা করতেন, তখন শেষের বেলায় এই দো’আ পড়তেন ’’সুবহা-নাকাল্লা-হুম্মা অবিহামদিকা, আশহাদু আল্লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা, আস্তাগফিরুকা অআতূবু ইলাইক।’’ অর্থাৎ তোমার পবিত্রতা বর্ণনা করি হে আল্লাহ! তোমার প্রশংসার সাথে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তুমি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তোমার দিকে তওবা (প্রত্যাবর্তন) করছি।
একটি লোক নিবেদন করল, ’হে আল্লাহর রাসূল! আপনি যে দো’আ পড়লেন অতীতে তো তা পড়তেন না।’ তিনি বললেন, ’’এই দো’আটি মজলিসে (সংঘটিত ভুল-ত্রুটি)র কাফ্ফারাস্বরূপ।’’ (আবূ দাঊদ, আবূ আব্দুল্লাহ হাকেম আয়েশা রাযিয়াল্লাহ আনহা হতে তাঁর মুস্তাদরাক নামক গ্রন্থে এই হাদীসটি বিশুদ্ধ সূত্রে বর্ণনা করেছেন।) [1]
(129) بَابُ فِيْ آدَابِ الْمَجْلِسِ وَالْجَلِيْسِ
وَعَنْ أَبي بَرْزَةَ رضي الله عنه، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يَقُولُ بِأَخَرَةٍ إِذَا أرَادَ أنْ يَقُومَ مِنَ الْمَجْلِسِ: سُبْحَانَكَ اَللهم وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلٰهَ إِلاَّ أَنتَ أسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيكَ . فَقَالَ رَجُلٌ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، إنَّكَ لَتَقُولُ قَوْلاً مَا كُنْتَ تَقُولُهُ فِيمَا مَضَى ؟ قَالَ: « ذَلِكَ كَفَّارَةٌ لِمَا يَكُونُ في المَجْلِسِ ». رواه أَبُو داود، ورواه الحاكم أَبُو عبد الله في " المستدرك " من رواية عائشة رَضِيَ اللهُ عَنهَا وقال: «صحيح الإسناد
(129) Chapter: Etiquette of Attending company and sitting with Companions
Abu Barzah (May Allah be pleased with him) reported:
Towards the end of his life, Messenger of Allah (ﷺ) would supplicate before leaving an assembly thus: "Subhanaka Allahumma wa bihamdika, ash-hadu an la ilaha illa Anta, astaghfiruka wa atubu ilaika (O Allah, You are free from every imperfection; all praise is for You. I testify that there is no true god except You, I ask Your forgiveness and turn to You in repentance).'' A man once said to him: "O Messenger of Allah! You have spoken such words as you have never uttered before.'' He said, "It is an expiation of that which goes on in the assembly.''
[Abu Dawud].
Commentary: Messenger of Allah (PBUH) would recite this supplication at the end of every assembly to teach his Ummah how to gain more rewards and to beseech Allah to forgive the lapses which they might have inadvertently committed during the course of a general conversation. There is no indication in the Hadith that he himself used to engage in idle talk while he was with his Companions.