সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ)
৯৬৮

পরিচ্ছেদঃ রোগ ভোগের ছাওয়াব।

৯৬৮. হান্নাদ (রহঃ) .... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কোন মু’মিন যদি একটি কাঁটা বা এর চেয়েও ক্ষুদ্র কিছুতে আক্রান্ত হয় তবে আল্লাহ্ তাকে এর বিনিময়ে তার একটি দরজা বাড়িয়ে দেন ও একটি গুনাহ মাফ করে দেন। - রাওযুন নাযীর ৮১৯, মুসলিম, বুখারি, সংক্ষিপ্ত, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস, আবূ উবায়দা ইবনু জারবানহ, আবূ হুরায়রা, আবূ উমামা, আবূ সাঈদ, আনাস, আবদুল্লাহ ইবনু আমর, আসা’দ ইবনু কুরয, জাবির, আব্দুর রহমান ইবনু আযহাব ও আবূ মূসা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْمَرِيضِ ‏

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنِ الأَسْوَدِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لاَ يُصِيبُ الْمُؤْمِنَ شَوْكَةٌ فَمَا فَوْقَهَا إِلاَّ رَفَعَهُ اللَّهُ بِهَا دَرَجَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ وَأَبِي عُبَيْدَةَ بْنِ الْجَرَّاحِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي سَعِيدٍ وَأَنَسٍ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو وَأَسَدِ بْنِ كُرْزٍ وَجَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَزْهَرَ وَأَبِي مُوسَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن ابراهيم، عن الاسود، عن عاىشة، قالت قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ لا يصيب المومن شوكة فما فوقها الا رفعه الله بها درجة وحط عنه بها خطيىة ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن سعد بن ابي وقاص وابي عبيدة بن الجراح وابي هريرة وابي امامة وابي سعيد وانس وعبد الله بن عمرو واسد بن كرز وجابر بن عبد الله وعبد الرحمن بن ازهر وابي موسى ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة حديث حسن صحيح ‏.‏


Aishah narrated that:
The Messenger of Allah said: "The believer is not afflicted by the prick of a thorn or what is worse (or greater) than that, except that by it Allah raises him in rank and removes sin from him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৬৯

পরিচ্ছেদঃ রোগ ভোগের ছাওয়াব।

৯৬৯. সুফিয়ান ইবনু ওয়াকী (রহঃ) ....... আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দুঃখ-কষ্ট, চিন্তা ও রোগ যা কিছুই একজন মু’মিনের হোক না কেন এমন কি কোন দুশ্চিন্তাও তাকে আক্রান্ত করে তবে আল্লাহ তা’আলা এর বিনিময়ে তার গুণাহসমূহ মাফ করে দেন। - সহিহাহ ২৫০৩, মুসলিম, বুখারি সংক্ষিপ্ত। বুখারি ও মুসলিমের বর্ণনায় আনহু সাইয়্যেয়াতিহির পরিবর্তে মিন সাইয়্যেয়াতিহি উল্লেখ আছে। আর উহাই সংরক্ষিত, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে এই হাদিস হাসান। তিনি বলেন, আমি জারূদ (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, তিনি ওয়াকী থেকে শুনেছেন তিনি বলেছে। দুঃশ্চিন্তাও যে গুণাহর জন্য কাফফারা হয় এই বিষয়ে এই হাদিসটি ছাড়া অন্য কোন রিওয়ায়াত তিনি শুনেন নি। কেউ কেই এই রিওয়ায়াতকে আতা ইবনু ইয়াসার আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي ثَوَابِ الْمَرِيضِ ‏

حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ وَكِيعٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ أُسَامَةَ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرِو بْنِ عَطَاءٍ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، رضى الله عنه قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ مَا مِنْ شَيْءٍ يُصِيبُ الْمُؤْمِنَ مِنْ نَصَبٍ وَلاَ حَزَنٍ وَلاَ وَصَبٍ حَتَّى الْهَمُّ يَهُمُّهُ إِلاَّ يُكَفِّرُ اللَّهُ بِهِ عَنْهُ سَيِّئَاتِهِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ فِي هَذَا الْبَابِ ‏.‏ قَالَ وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يَقُولُ لَمْ يُسْمَعْ فِي الْهَمِّ أَنَّهُ يَكُونُ كَفَّارَةً إِلاَّ فِي هَذَا الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضى الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏.‏

حدثنا سفيان بن وكيع، حدثنا ابي، عن اسامة بن زيد، عن محمد بن عمرو بن عطاء، عن عطاء بن يسار، عن ابي سعيد الخدري، رضى الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏ "‏ ما من شيء يصيب المومن من نصب ولا حزن ولا وصب حتى الهم يهمه الا يكفر الله به عنه سيىاته ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن في هذا الباب ‏.‏ قال وسمعت الجارود يقول سمعت وكيعا يقول لم يسمع في الهم انه يكون كفارة الا في هذا الحديث ‏.‏ قال وقد روى بعضهم هذا الحديث عن عطاء بن يسار عن ابي هريرة رضى الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri (may Allah be pleased with him) narrated that:
The Messenger of Allah said: "Nothing afflicts the believer, whether fatigue, grief, disease - even a worry that concerns him - except that by it, Allah removes something from his bad deeds."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭০

পরিচ্ছেদঃ রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া।

৯৭০. হুমায়দ ইবনু মাসআদা (রহঃ) ....... ছাওবান (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, কোন মুসলিম তার কোন রোগী মুসলিম ভাইকে দেখতে গেলে সে ততক্ষণ যেন জান্নাতের খুরমা বাগানে অবস্থান করে। - মুসলিম ৮/১৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আলী, আবূ মূসা, বারা, আবূ হুরায়রা, আনাস ও জাবির (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, ছাওবান (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান। আবূ গিফার ও আসিম আল- আহওয়াল (রাঃ) এর হাদিস আবূ কিলাবা-আবূল আশআছ-আবূ আসমা- ছাওবান সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন আমি মুহাম্মাদ আল-বুখারী (রহঃ) কে বলতে শুনেছি যে, এ হাদিস যারা আবূল আশআছ আবূ আসমা সুত্রে বর্ণনা করেছেন, তাদের সনদটি অধিকতর সহীহ। মুহাম্মদ বুখারী (রহঃ) আরো বলেন, এই হাদিস ছাড়া আবূ কিলাবা-এর রিওয়ায়তটি সাধারণত: আবূ আসমা (রহঃ) থেকেই বর্ণিত। কিন্তু এই হাদিসটি আমার কাছে আবূল আশআছ (রহঃ) এর মাধ্যমে আবূ আসমা থেকে এসেছে।

باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ

حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ الْحَذَّاءُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَأَبِي مُوسَى وَالْبَرَاءِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ثَوْبَانَ حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَرَوَى أَبُو غِفَارٍ وَعَاصِمٌ الأَحْوَلُ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَسَمِعْتُ مُحَمَّدًا يَقُولُ مَنْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ فَهُوَ أَصَحُّ ‏.‏ قَالَ مُحَمَّدٌ وَأَحَادِيثُ أَبِي قِلاَبَةَ إِنَّمَا هِيَ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ إِلاَّ هَذَا الْحَدِيثَ فَهُوَ عِنْدِي عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ ‏.‏

حدثنا حميد بن مسعدة، حدثنا يزيد بن زريع، حدثنا خالد الحذاء، عن ابي قلابة، عن ابي اسماء الرحبي، عن ثوبان، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ان المسلم اذا عاد اخاه المسلم لم يزل في خرفة الجنة ‏"‏ ‏.‏ وفي الباب عن علي وابي موسى والبراء وابي هريرة وانس وجابر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ثوبان حديث حسن ‏.‏ وروى ابو غفار وعاصم الاحول هذا الحديث عن ابي قلابة عن ابي الاشعث عن ابي اسماء عن ثوبان عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ وسمعت محمدا يقول من روى هذا الحديث عن ابي الاشعث عن ابي اسماء فهو اصح ‏.‏ قال محمد واحاديث ابي قلابة انما هي عن ابي اسماء الا هذا الحديث فهو عندي عن ابي الاشعث عن ابي اسماء ‏.‏


Thawban narrated that :
the Prophet said: "Indeed the Muslim remains in the Khurfah (harvest) of Paradise while he visits his brother Muslim."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭১

পরিচ্ছেদঃ রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া।

৯৭১. মুহাম্মদ ইবনুল ওয়াযীর ওয়াসিতী (রহঃ) ...... ছাওবান (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। তবে এতে আরো আছে, তাকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, খুরফাতুল জান্নাত কি? তিনি বললেন, এ হলো জান্নাতের কুড়ানো ফল। - মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আ‏হমাদ ইবনু আবদা আয যাববী (রহঃ) ছাওবান (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে খালিদ (রাঃ) এর রিওয়ায়াত (৯৬৯ নং) এর অনুরূপ বর্ণিত আছে। কিন্তু এই সনদে আবূল আশআছ এর উল্লেখ নাই। কেউ কেউ এই হাদিসকে হান্নাদ ইবনু যায়দ (রহঃ) থেকে বর্ণিত করেছেন। কিন্তু তারা মারফুরূপে উল্লেখ করেন নি।

باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ وَزِيرٍ الْوَاسِطِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، عَنْ عَاصِمٍ الأَحْوَلِ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ ‏.‏ وَزَادَ فِيهِ قِيلَ مَا خُرْفَةُ الْجَنَّةِ قَالَ ‏ "‏ جَنَاهَا ‏"‏ ‏.‏
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَ حَدِيثِ خَالِدٍ ‏.‏ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَرَوَاهُ بَعْضُهُمْ عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏

حدثنا محمد بن وزير الواسطي، حدثنا يزيد بن هارون، عن عاصم الاحول، عن ابي قلابة، عن ابي الاشعث، عن ابي اسماء، عن ثوبان، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحوه ‏.‏ وزاد فيه قيل ما خرفة الجنة قال ‏ "‏ جناها ‏"‏ ‏.‏ حدثنا احمد بن عبدة الضبي، حدثنا حماد بن زيد، عن ايوب، عن ابي قلابة، عن ابي اسماء، عن ثوبان، عن النبي صلى الله عليه وسلم نحو حديث خالد ‏.‏ ولم يذكر فيه عن ابي الاشعث ‏.‏ قال ابو عيسى ورواه بعضهم عن حماد بن زيد ولم يرفعه ‏.‏


(Another chain) from Thawban who narrated that:
The Prophet said similarly, but he added in it: "They said: 'What is the Khurfah of Paradise?' And he said: "Its harvest."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭২

পরিচ্ছেদঃ রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া।

৯৭২. আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) ....... ছুওয়ার তৎপিতা আবূ ফাখেতা (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আলী (রাঃ) আমার হাত ধরে বললেন, আমার সঙ্গে চল, হুসায়ন অসুস্থ, তাকে দেখে আসি। আমরা গিয়ে তাঁর কাছে আবূ মূসা (রাঃ)-কেও পেলাম, আলী (রাঃ) বললেন, আবূ মূসা, রোগী-দর্শনের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন না এমনি বেড়াতে এসেছ? তিনি বললেন, না, রোগী দেখার নিয়্যাতে এসেছি। আলী (রাঃ) বললেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কোন মুসলিম যদি কোন মুসলিম রোগীকে দেখতে যায় তবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য সত্তর হাজার ফিরিশতা দু’আ করেন। আর যদি সন্ধ্যার সময় কোন মুসলিম রোগীকে দেখতে যায় তবে তার জন্য ভোর পর্যন্ত সত্তর হাজার ফিরিশতা দু’আ করেন। আর তার জন্য জান্নাতে একটি ফলের বাগান হবে। - (হাদিসে বর্ণিত যাইরান শব্দের পরিবর্তে শাতিমান শব্দ আছে) - সহিহাহ ১৩৬৭, আর রাওয ১১৫৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৬৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, এই হাদিসটি গারীব ও হাসান। আলী (রাঃ) থেকে একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। এর মধ্যে কেউ কেউ তো এটিকে মারফু না করে মাওকুফরূপে বর্ণনা করেছেন। রাবী আবূ ফাখেতা-এর নাম হলো সাঈদ ইবনু ইলাকা।

باب مَا جَاءَ فِي عِيَادَةِ الْمَرِيضِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ، عَنْ ثُوَيْرٍ، هُوَ ابْنُ أَبِي فَاخِتَةَ عَنْ أَبِيهِ، قَالَ أَخَذَ عَلِيٌّ بِيَدِي قَالَ انْطَلِقْ بِنَا إِلَى الْحَسَنِ نَعُودُهُ ‏.‏ فَوَجَدْنَا عِنْدَهُ أَبَا مُوسَى فَقَالَ عَلِيٌّ عَلَيْهِ السَّلاَمُ أَعَائِدًا جِئْتَ يَا أَبَا مُوسَى أَمْ زَائِرًا فَقَالَ لاَ بَلْ عَائِدًا ‏.‏ فَقَالَ عَلِيٌّ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ ‏ "‏ مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَعُودُ مُسْلِمًا غُدْوَةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُمْسِيَ وَإِنْ عَادَهُ عَشِيَّةً إِلاَّ صَلَّى عَلَيْهِ سَبْعُونَ أَلْفَ مَلَكٍ حَتَّى يُصْبِحَ وَكَانَ لَهُ خَرِيفٌ فِي الْجَنَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَلِيٍّ هَذَا الْحَدِيثُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ مِنْهُمْ مَنْ وَقَفَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ ‏.‏ وَأَبُو فَاخِتَةَ اسْمُهُ سَعِيدُ بْنُ عِلاَقَةَ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا الحسين بن محمد، حدثنا اسراىيل، عن ثوير، هو ابن ابي فاختة عن ابيه، قال اخذ علي بيدي قال انطلق بنا الى الحسن نعوده ‏.‏ فوجدنا عنده ابا موسى فقال علي عليه السلام اعاىدا جىت يا ابا موسى ام زاىرا فقال لا بل عاىدا ‏.‏ فقال علي سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول ‏ "‏ ما من مسلم يعود مسلما غدوة الا صلى عليه سبعون الف ملك حتى يمسي وان عاده عشية الا صلى عليه سبعون الف ملك حتى يصبح وكان له خريف في الجنة ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن غريب وقد روي عن علي هذا الحديث من غير وجه منهم من وقفه ولم يرفعه ‏.‏ وابو فاختة اسمه سعيد بن علاقة ‏.‏


Thuwair [and he is Ibn Abi Fakhitah] narrated that :
His father said: "Ali took me by the hand and said: 'Come with us to pay a visit to Al-Hasan.' So we found that Abu Musa was with him.' Ali - peace be upon him - said: 'O Abu Musa! Did you come to visit (the sick) or merely (stop by to) visit?' He said: 'No, to visit (the sick).' So Ali said: 'I heard the Messenger of Allah saying: "No Muslim visits (the sick) Muslims in the morning, except that sevety-thousand angels, sent Salat upon him until the evening, and he does not visit at night except that seventy thousand angels sent Salat upon him until the morning, and there will be a garden for him in Paradise."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৩

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যু কামনার প্রতি নিষেধাজ্ঞা।

৯৭৩. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ....... হারিছা ইবনু মুয়ারবিন (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা আমি খাব্বাব (রাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলাম তাঁর পেটে তখন (আগুন দিয়ে) দাগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বললেন, জানিনা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবী এত বিপদের সম্মুখীন হয়েছেন কিনা যত বিপদ ও কষ্টের সম্মুখীন আমি হয়েছি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে একটি দিরহামও সংগ্রহ করতে পারতাম না আর এখন আমার ঘরের কোণে চল্লিশ হাজার দিরহাম পড়ে আছে। আমার মগযে এত কষ্ট হচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি মৃত্যু কামনা করতে আমাদেরকে নিষেধ না করতেন তবে অবশ্যই মৃত্যু কামনা করতাম। - আহকামুল জানাইয ৫৯, নাসাঈতে মৃত্যু কামনা নিষেধ বর্ণিত আছে, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭০ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা আনাস ও জাবির (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন খাব্বাব বর্ণিত হাদিসটি হাসান সহীহ।

আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্নিত আছে যে, তিনি বলেন, কোন দুঃখ-কষ্ট আপতিত হওয়ার কারণে কল্যাণকর হয় তবে আমাকে জীবিত রাখ আর মৃত্যু যদি আমার জন্য কল্যাণকর হয় তবে আমাকে মৃত্যু দান কর। - ইবনু মাজাহ ৪২৬৫, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭১ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এটি আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান-সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ التَّمَنِّي، لِلْمَوْتِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ حَارِثَةَ بْنِ مُضَرِّبٍ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى خَبَّابٍ وَقَدِ اكْتَوَى فِي بَطْنِهِ فَقَالَ مَا أَعْلَمُ أَحَدًا مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم لَقِيَ مِنَ الْبَلاَءِ مَا لَقِيتُ لَقَدْ كُنْتُ وَمَا أَجِدُ دِرْهَمًا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي نَاحِيَةٍ مِنْ بَيْتِي أَرْبَعُونَ أَلْفًا وَلَوْلاَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَانَا - أَوْ نَهَى - أَنْ نَتَمَنَّى الْمَوْتَ لَتَمَنَّيْتُ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَجَابِرٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ خَبَّابٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏
وَقَدْ رُوِيَ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ قَالَ ‏ "‏ لاَ يَتَمَنَّيَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لِضُرٍّ نَزَلَ بِهِ وَلْيَقُلِ اللَّهُمَّ أَحْيِنِي مَا كَانَتِ الْحَيَاةُ خَيْرًا لِي وَتَوَفَّنِي إِذَا كَانَتِ الْوَفَاةُ خَيْرًا لِي ‏."‏
حَدَّثَنَا بِذَلِكَ عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ أَخْبَرَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ أَخْبَرَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم بِذَلِكَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا محمد بن جعفر، حدثنا شعبة، عن ابي اسحاق، عن حارثة بن مضرب، قال دخلت على خباب وقد اكتوى في بطنه فقال ما اعلم احدا من اصحاب النبي صلى الله عليه وسلم لقي من البلاء ما لقيت لقد كنت وما اجد درهما على عهد النبي صلى الله عليه وسلم وفي ناحية من بيتي اربعون الفا ولولا ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهانا - او نهى - ان نتمنى الموت لتمنيت ‏.‏ قال وفي الباب عن انس وابي هريرة وجابر ‏.‏ قال ابو عيسى حديث خباب حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد روي عن انس بن مالك، عن النبي صلى الله عليه وسلم انه قال ‏ "‏ لا يتمنين احدكم الموت لضر نزل به وليقل اللهم احيني ما كانت الحياة خيرا لي وتوفني اذا كانت الوفاة خيرا لي ‏."‏ حدثنا بذلك علي بن حجر اخبرنا اسماعيل بن ابراهيم اخبرنا عبد العزيز بن صهيب عن انس بن مالك عن النبي صلى الله عليه وسلم بذلك ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن صحيح ‏.‏


Harithah bin Mudarrib said:
"I entered upon Khabab and he had been cauterized on his stomach. He said: 'I do not know any of the Companions of the Prophet who met with the trial I have met with. Indeed I could not find a Dirham during the time of the Prophet, and (now) outside my house there are forty thousand. If it were not that the Messenger of Allah forbade us' - or: 'forbade' - 'from wishing for death, then I would wish for it.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৪

পরিচ্ছেদঃ অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ঝাড়-ফুক করা।

৯৭৪. বিশর ইবনু হিলাল আস সাওওয়াফ আল- বাসরী (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, জিবরীল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মদ! আপনি কি অসুস্থ? তিনি বললেন, হ্যাঁ। জিবরীল তখন পাঠ করলেনঃ

بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ وَعَيْنِ حَاسِدٍ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ وَاللَّهُ يَشْفِيكَ

আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ফুক দিচ্ছি ঐ সব কিছু থেকে যা আপনাকে কষ্ট দেয়। সকল অনিষ্ঠকর প্রাণী থেকে এবং সকল কুদৃষ্টি থেকে। আল্লাহর নামে আমি আপনাকে ফুঁক দিচ্ছি। আর আল্লাহই আপনাকে শিফা দান করবেন। - ইবনু মাজাহ ৩৫২৩, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي التَّعَوُّذِ لِلْمَرِيضِ

حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ هِلاَلٍ الْبَصْرِيُّ الصَّوَّافُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَبِي نَضْرَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ، أَنَّ جِبْرِيلَ، أَتَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ يَا مُحَمَّدُ اشْتَكَيْتَ قَالَ ‏ "‏ نَعَمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ وَعَيْنِ حَاسِدٍ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ وَاللَّهُ يَشْفِيكَ ‏.‏

حدثنا بشر بن هلال البصري الصواف، حدثنا عبد الوارث بن سعيد، عن عبد العزيز بن صهيب، عن ابي نضرة، عن ابي سعيد، ان جبريل، اتى النبي صلى الله عليه وسلم فقال يا محمد اشتكيت قال ‏ "‏ نعم ‏"‏ ‏.‏ قال باسم الله ارقيك من كل شيء يوذيك من شر كل نفس وعين حاسد باسم الله ارقيك والله يشفيك ‏.‏


Abu Sa'eed narrated that:
Jibril came to the Prophet and said: "O Muhammad! Are you suffering?" He said: "Yes." He said: "In the Name of Allah, I recite a prayer (Ruqyah) over you, from the evil of every person and evil eye. In the Name of Allah I recite a prayer (Ruqyah) over you, may Allah cure you."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৫

পরিচ্ছেদঃ অসুস্থ ব্যক্তির জন্য ঝাড়-ফুক করা।

৯৭৫. কুতায়রা (রাঃ) ...... আব্দুল আযীয ইবনু সুহায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, ছাবিত আল-বুনানী এবং আমি একদিন আনাস (রাঃ) এর কাছে গেলাম। ছাবিত বললেন, হে আবূ হামযা, আমি অসুস্থবোধ করছি। আনাস (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু’আ পড়ে ঝাড়তেন আমি কি তোমাকে সেইভাবে ঝেড়ে দিব? তিনি বললেন, জি, হ্যাঁ। আনাস (রাঃ) বললেনঃ

اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا

হে আল্লাহ, সকল মানুষের রব, ক্লেশ বিতাড়ণকারী, শিফা দিন, আপনই তো শিফা দানকারী, আপনি ছাড়া তো কেউ শিফা দানকারী নাই। এমনভাবে শিফা দান করুন যে তা যেন কোন রোগকে না ছাড়ে। - বুখারি, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে আনাস ও আয়িশা (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, আবূ সাঈদ বর্ণিত হাদিসটি হাসান সাহীহ। তিনি বলেন, আর আমি আবূ যুরআ (রহঃ) কে এই হাদিস সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। আব্দুল আযীয আবূ নাযরা আবূ সাঈদ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটির অধিক সহীহ্ না আব্দুল আযীয - আনাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত রিওয়ায়াতটি অধিক সহীহ? তিনি বলেন, এই উভয় রিওয়ায়াই সহীহ। আমাকে আব্দুস সামাদ ইবনু আব্দুল ওয়ারিছ (রহঃ) তৎপিতা আব্দুল ওয়ারিছ থেকে আনাস (রাঃ) সূত্রে এই হাদিস বর্ণনা করেছেন।

باب مَا جَاءَ فِي التَّعَوُّذِ لِلْمَرِيضِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، قَالَ دَخَلْتُ أَنَا وَثَابِتٌ الْبُنَانِيُّ، عَلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ فَقَالَ ثَابِتٌ يَا أَبَا حَمْزَةَ اشْتَكَيْتُ ‏.‏ فَقَالَ أَنَسٌ أَفَلاَ أَرْقِيكَ بِرُقْيَةِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ بَلَى ‏.‏ قَالَ ‏ "‏ اللَّهُمَّ رَبَّ النَّاسِ مُذْهِبَ الْبَاسِ اشْفِ أَنْتَ الشَّافِي لاَ شَافِيَ إِلاَّ أَنْتَ شِفَاءً لاَ يُغَادِرُ سَقَمًا ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَنَسٍ وَعَائِشَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَسَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ فَقُلْتُ لَهُ رِوَايَةُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ أَصَحُّ أَوْ حَدِيثُ عَبْدِ الْعَزِيزِ عَنْ أَنَسٍ قَالَ كِلاَهُمَا صَحِيحٌ ‏.‏ وَرَوَى عَبْدُ الصَّمَدِ بْنُ عَبْدِ الْوَارِثِ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَبِي نَضْرَةَ عَنْ أَبِي سَعِيدٍ وَعَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ عَنْ أَنَسٍ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا عبد الوارث بن سعيد، عن عبد العزيز بن صهيب، قال دخلت انا وثابت البناني، على انس بن مالك فقال ثابت يا ابا حمزة اشتكيت ‏.‏ فقال انس افلا ارقيك برقية رسول الله صلى الله عليه وسلم قال بلى ‏.‏ قال ‏ "‏ اللهم رب الناس مذهب الباس اشف انت الشافي لا شافي الا انت شفاء لا يغادر سقما ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن انس وعاىشة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي سعيد حديث حسن صحيح ‏.‏ وسالت ابا زرعة عن هذا الحديث فقلت له رواية عبد العزيز عن ابي نضرة عن ابي سعيد اصح او حديث عبد العزيز عن انس قال كلاهما صحيح ‏.‏ وروى عبد الصمد بن عبد الوارث عن ابيه عن عبد العزيز بن صهيب عن ابي نضرة عن ابي سعيد وعن عبد العزيز بن صهيب عن انس ‏.‏


Abdul-Aziz bin Suhaib said:
"Thabit Al-Bunani and I entered upon Anas bin Malik, and Thabit said: 'O Abu Hamzah! I am suffering from an illness. So Anas said: 'Shall I not recite the Ruqyah of the Messenger of Allah over you?' He said: 'Why, yes.' He said: 'O Allah! Lord of mankind, removed the harm, and cure (him). Indeed You are the One Who cures, there is none who cures except you, a cure that leaves no disease.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৬

পরিচ্ছেদঃ ওয়াসিয়াত করতে উৎসাহিত করা।

৯৭৬. ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ...... ইবনু উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোন মুসলিমের যদি কিছু ওয়াসিয়্যাত করার থাকে তবে সে যেন ওয়াসিয়্যাত নামা লিপিবদ্ধ করে নিজের কাছে না রেখে দুই রাত্রিও অতিবাহিত না করে। - ইবনু মাজাহ ২৬৯৯, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু আবী আওয়া (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, ইবনু উমারের হাদিস হাসান সহীহ।

باب مَا جَاءَ فِي الْحَثِّ عَلَى الْوَصِيَّةِ

حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ نُمَيْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عُمَرَ، عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ مَا حَقُّ امْرِئٍ مُسْلِمٍ يَبِيتُ لَيْلَتَيْنِ وَلَهُ شَيْءٌ يُوصِي فِيهِ إِلاَّ وَوَصِيَّتُهُ مَكْتُوبَةٌ عِنْدَهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ أَبِي أَوْفَى ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ ابْنِ عُمَرَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا اسحاق بن منصور، اخبرنا عبد الله بن نمير، حدثنا عبيد الله بن عمر، عن نافع، عن ابن عمر، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ ما حق امرى مسلم يبيت ليلتين وله شيء يوصي فيه الا ووصيته مكتوبة عنده ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن ابي اوفى ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابن عمر حديث حسن صحيح ‏.‏


Ibn Umar narrated that:
The Messenger of Allah said: "A Muslim man has no right to spend two nights while he has something to will, except while his will is recorded with him."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৭

পরিচ্ছেদঃ এক- তৃতীয়াংশ বা এক- চতুর্থাংশ সম্পদের ওয়াসিয়্যাত করা।

৯৭৭. কুতায়বা (রহঃ) ...... সা’দ ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি অসুস্থ ছিলাম। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দেখতে এলেন। তিনি আমাকে বললেন, তুমি কি ওয়াসিয়্যাত করেছ? বললাম, জী হ্যাঁ। তিনি বললেন, কতটুকু? বললাম, আমার সব মাল আল্লাহর রাস্তায় দিয়ে দিলাম। তিনি বললেন, তোমার সন্তানদের জন্য কি পরিমাণ রেখেছ? বললাম, তারা বেশী ধনী। তিনি বললেন, এক দশমাংশ ওয়াসিয়্যাত করে যাও। সা’দ বললেন, আমি তা কম মনে করতে লাগলাম, শেষে তিনি বললেন, এক তৃতীয়াংশ ওয়াসিয়্যাত করে যাও। এক তৃতীয়াংশ তো বিরাট। - ইরওয়া ৮৯৯, সহিহ আবু দাউদ ২৫৫০, বুখারি, মুসলিম- "এক দশমাংশ ওয়াসিয়্যাত করে যাও" এ অংশটুকু বাদে, এ অংশটুকু যইফ, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

আবূ আব্দুর রহমান বললেন, এক-তৃতীয়াংশ তো অনেক। এই বিষয়ে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ)বলেন, সা’দ বর্ণিত হাদিসটি হাসান-সহীহ। একাধিক সূত্রে এটি বর্ণিত আছে। কোন কোন বর্ণনায় كبير শব্দ কোন কোন বর্ণনায় كثير শব্দের উল্লেখ রয়েছে। আলিমগণ এতদনুসারে আমল করার অভিমত প্রকাশ করেছেন। এক তৃতীয়াংশেরও অধিক ওয়াসিয়্যাত করা তারা জায়েজ মনে করেন না। বরং এক তৃতীয়াংশের কম পরিমাণ ওয়াসিয়্যাত করা তারা মুস্তাহাব বলে মনে করেন। সুফইয়ান ছাওরী বলেনঃ এক চতুর্থাংশের তুলনায় এক পঞ্চমাংশ, এক তৃতীয়াংশের তুলনায় এক চতুর্থাংশ ওয়াসিয়্যাত করা পূর্ববর্তী আলিমগণ মুস্তাহাব বলে মনে করতেন। যে ব্যক্তি এক তৃতীয়াংশ সম্পদ ওয়াসিয়্যাত করল সে তো আর কিছু ছাড়লই না। এক তৃতীয়াংশের অধিক ওয়াসিয়্যাত করা তার জন্য জায়েজ নেই।

باب مَا جَاءَ فِي الْوَصِيَّةِ بِالثُّلُثِ وَالرُّبُعِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ السَّائِبِ، عَنْ أَبِي عَبْدِ الرَّحْمَنِ السُّلَمِيِّ، عَنْ سَعْدِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ عَادَنِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا مَرِيضٌ فَقَالَ ‏"‏ أَوْصَيْتَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ بِكَمْ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ بِمَالِي كُلِّهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَمَا تَرَكْتَ لِوَلَدِكَ ‏"‏ ‏.‏ قُلْتُ هُمْ أَغْنِيَاءُ بِخَيْرٍ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ أَوْصِ بِالْعُشْرِ ‏"‏ ‏.‏ فَمَا زِلْتُ أُنَاقِصُهُ حَتَّى قَالَ ‏"‏ أَوْصِ بِالثُّلُثِ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ وَنَحْنُ نَسْتَحِبُّ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ لِقَوْلِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَالثُّلُثُ كَثِيرٌ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ سَعْدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ مِنْ غَيْرِ وَجْهٍ وَقَدْ رُوِيَ عَنْهُ ‏"‏ وَالثُّلُثُ كَبِيرٌ ‏"‏ ‏.‏ وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ يَرَوْنَ أَنْ يُوصِيَ الرَّجُلُ بِأَكْثَرَ مِنَ الثُّلُثِ وَيَسْتَحِبُّونَ أَنْ يَنْقُصَ مِنَ الثُّلُثِ ‏.‏ قَالَ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ كَانُوا يَسْتَحِبُّونَ فِي الْوَصِيَّةِ الْخُمُسَ دُونَ الرُّبُعِ وَالرُّبُعَ دُونَ الثُّلُثِ وَمَنْ أَوْصَى بِالثُّلُثِ فَلَمْ يَتْرُكْ شَيْئًا وَلاَ يَجُوزُ لَهُ إِلاَّ الثُّلُثُ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا جرير، عن عطاء بن الساىب، عن ابي عبد الرحمن السلمي، عن سعد بن مالك، قال عادني رسول الله صلى الله عليه وسلم وانا مريض فقال ‏"‏ اوصيت ‏"‏ ‏.‏ قلت نعم ‏.‏ قال ‏"‏ بكم ‏"‏ ‏.‏ قلت بمالي كله في سبيل الله ‏.‏ قال ‏"‏ فما تركت لولدك ‏"‏ ‏.‏ قلت هم اغنياء بخير ‏.‏ قال ‏"‏ اوص بالعشر ‏"‏ ‏.‏ فما زلت اناقصه حتى قال ‏"‏ اوص بالثلث والثلث كثير ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عبد الرحمن ونحن نستحب ان ينقص من الثلث لقول رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ والثلث كثير ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن عباس ‏.‏ قال ابو عيسى حديث سعد حديث حسن صحيح وقد روي عنه من غير وجه وقد روي عنه ‏"‏ والثلث كبير ‏"‏ ‏.‏ والعمل على هذا عند اهل العلم لا يرون ان يوصي الرجل باكثر من الثلث ويستحبون ان ينقص من الثلث ‏.‏ قال سفيان الثوري كانوا يستحبون في الوصية الخمس دون الربع والربع دون الثلث ومن اوصى بالثلث فلم يترك شيىا ولا يجوز له الا الثلث ‏.‏


Sa'd bin Malik said:
"The Messenger of Allah came to visit me while I was sick. He said: 'Do you have a will?' I said: 'Yes.' He said: 'For how much?' I said: 'All of my wealth, for the cause of Allah.' He said: 'What did you leave for your children?'" He (Sa'd) said: "They are rich in goodness.' He said: 'Will a tenth.'" He (Sa'd) said: "He (pbuh) continued decreasing it until he said: 'Will a third, and a third is too great.'" (One of the narrators:) Abdur-Rahman said: "We considered it recommended that it be less than a third, since the Messenger of Allah said: 'And a third is too great.'"


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৮

পরিচ্ছেদঃ রুগ্ন ব্যক্তিকে মৃত্যুর সময় কালিমা শোনানো এবং তার জন্য দু’আ করা।

৯৭৮. আবূ সালামা ইয়াইইয়া ইবনু খালাফ আল- বাসরী (রহঃ) ...... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তোমাদের মৃত্যুমুখীদের لااله الا الله পড়ে শোনাও। - ইবনু মাজাহ ১৪৪৪, ১৪৪৫, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এ বিষয়ে আবূ হুরায়রা, উম্মু সালামা, আয়িশা, জাবির ও সু’দালমুরীয়া-তালহা ইবনু উবাঈদুল্লাহ (রাঃ) এর স্ত্রী (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) বলেন, আবূ সাঈদ (রাঃ) বর্ণিত হাদিসটি হাসান-গারীব-সহীহ্।

باب مَا جَاءَ فِي تَلْقِينِ الْمَرِيضِ عِنْدَ الْمَوْتِ وَالدُّعَاءِ لَهُ عِنْدَهُ

حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، يَحْيَى بْنُ خَلَفٍ الْبَصْرِيُّ حَدَّثَنَا بِشْرُ بْنُ الْمُفَضَّلِ، عَنْ عُمَارَةَ بْنِ غَزِيَّةَ، عَنْ يَحْيَى بْنِ عُمَارَةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ لَقِّنُوا مَوْتَاكُمْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَأُمِّ سَلَمَةَ وَعَائِشَةَ وَجَابِرٍ وَسُعْدَى الْمُرِّيَّةِ وَهِيَ امْرَأَةُ طَلْحَةَ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي سَعِيدٍ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ صَحِيحٌ ‏.‏

حدثنا ابو سلمة، يحيى بن خلف البصري حدثنا بشر بن المفضل، عن عمارة بن غزية، عن يحيى بن عمارة، عن ابي سعيد الخدري، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ لقنوا موتاكم لا اله الا الله ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابي هريرة وام سلمة وعاىشة وجابر وسعدى المرية وهي امراة طلحة بن عبيد الله ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ابي سعيد حديث حسن غريب صحيح ‏.‏


Abu Sa'eed Al-Khudri narrated that:
The Prophet said: "Instruct your dying to say: (La illaha illallah) 'None has the right to be worshipped but Allah'


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৭৯

পরিচ্ছেদঃ রুগ্ন ব্যক্তিকে মৃত্যুর সময় কালিমা শোনানো এবং তার জন্য দু’আ করা।

৯৭৯. হান্নাদ (রহঃ) ...... উম্মু সালামা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদিগকে বলেছেন, তোমরা কোন অসুস্থ বা মৃত ব্যক্তির কাছে হাযির হলে তার বিষয়ে তোমরা ভাল বলবে। কেননা, তোমরা যা বল ফিরিশতাগণ তদ্বিষয়ে আমীন বলে থাকেন। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, আবূ সালামা (রাঃ) এর মৃত্যু হলে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে বললাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! (আমার স্বামী) আবূ সালামা তো ইন্তেকাল করেছেন। তিনি বললেন, তুমি বল, হে আল্লাহ আপনি আমাকে এবং তাকে মাফ করে দিন এবং তার পরে আমাকে এর চাইতে উত্তম প্রতিদান দিন। উম্মু সালামা (রাঃ) বলেন, পরে আমি বুঝতে পারলাম যে, তার পরবর্তীতে আমাকে আল্লাহ তা’আলা তার চাইতে উত্তম ব্যক্তি দান করেছেন। তিনি হলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। - ইবনু মাজাহ ১৪৪৭, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, শকীক হচ্ছেন ইবনু সালামা আবূ ওয়ায়েল আসা’দী। ইমাম আবূ ঈসা (রাঃ) আরো বলেন, উম্মু সালামা বর্ণিত হাদিসটি হাসান-সহীহ। রোগীকে ইন্তেকালের সময় লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু-এর তালকীন করা মুস্তাহাব। কতক আলিম বলেন, যদি একবার সে এই কালিমা বলে নেয় তবে পরে অন্য কথা না বললে তাকে পুনরায় তালকীন করা সমীচীন নয় এবং এই বিষয়ে তাকে বার বার চাপ দেওয়া ঠিক নয়। ইবনু মুবারক (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তাঁর মৃত্যুর সময় উপস্থিত হলে জনৈক ব্যক্তি তাকে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ-এর তালকীন করতে থাকে এবং তাকে বার বার এই বিষয়ে তাকিদ করতে থাকে। তখন তিনি বললেন, আমি যখন একবার তা বলেছি তখন পরে অন্য কথা না বলা পর্যন্ত তো আমি এই কথাতেই আছি। আবদুল্লাহ ইবনু মুবারক (রহঃ) এর এই কথার মর্ম হল তাই যা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত আছে যে, যার শেষ কথা হবে লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।

باب مَا جَاءَ فِي تَلْقِينِ الْمَرِيضِ عِنْدَ الْمَوْتِ وَالدُّعَاءِ لَهُ عِنْدَهُ

حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ شَقِيقٍ، عَنْ أُمِّ سَلَمَةَ، قَالَتْ قَالَ لَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ إِذَا حَضَرْتُمُ الْمَرِيضَ أَوِ الْمَيِّتَ فَقُولُوا خَيْرًا فَإِنَّ الْمَلاَئِكَةَ يُؤَمِّنُونَ عَلَى مَا تَقُولُونَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا مَاتَ أَبُو سَلَمَةَ أَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ أَبَا سَلَمَةَ مَاتَ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ فَقُولِي اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي وَلَهُ وَأَعْقِبْنِي مِنْهُ عُقْبَى حَسَنَةً ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَقُلْتُ فَأَعْقَبَنِي اللَّهُ مِنْهُ مَنْ هُوَ خَيْرٌ مِنْهُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى شَقِيقٌ هُوَ ابْنُ سَلَمَةَ أَبُو وَائِلٍ الأَسَدِيُّ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أُمِّ سَلَمَةَ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ ‏.‏ وَقَدْ كَانَ يُسْتَحَبُّ أَنْ يُلَقَّنَ الْمَرِيضُ عِنْدَ الْمَوْتِ قَوْلَ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ إِذَا قَالَ ذَلِكَ مَرَّةً فَمَا لَمْ يَتَكَلَّمْ بَعْدَ ذَلِكَ فَلاَ يَنْبَغِي أَنْ يُلَقَّنَ وَلاَ يُكْثَرَ عَلَيْهِ فِي هَذَا ‏.‏ وَرُوِيَ عَنِ ابْنِ الْمُبَارَكِ أَنَّهُ لَمَّا حَضَرَتْهُ الْوَفَاةُ جَعَلَ رَجُلٌ يُلَقِّنُهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ وَأَكْثَرَ عَلَيْهِ فَقَالَ لَهُ عَبْدُ اللَّهِ إِذَا قُلْتُ مَرَّةً فَأَنَا عَلَى ذَلِكَ مَا لَمْ أَتَكَلَّمْ بِكَلاَمٍ ‏.‏ وَإِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ عَبْدِ اللَّهِ إِنَّمَا أَرَادَ مَا رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ مَنْ كَانَ آخِرُ قَوْلِهِ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ دَخَلَ الْجَنَّةَ ‏"‏ ‏.‏

حدثنا هناد، حدثنا ابو معاوية، عن الاعمش، عن شقيق، عن ام سلمة، قالت قال لنا رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ اذا حضرتم المريض او الميت فقولوا خيرا فان الملاىكة يومنون على ما تقولون ‏"‏ ‏.‏ قالت فلما مات ابو سلمة اتيت النبي صلى الله عليه وسلم فقلت يا رسول الله ان ابا سلمة مات ‏.‏ قال ‏"‏ فقولي اللهم اغفر لي وله واعقبني منه عقبى حسنة ‏"‏ ‏.‏ قالت فقلت فاعقبني الله منه من هو خير منه رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال ابو عيسى شقيق هو ابن سلمة ابو واىل الاسدي ‏.‏ قال ابو عيسى حديث ام سلمة حديث حسن صحيح ‏.‏ وقد كان يستحب ان يلقن المريض عند الموت قول لا اله الا الله ‏.‏ وقال بعض اهل العلم اذا قال ذلك مرة فما لم يتكلم بعد ذلك فلا ينبغي ان يلقن ولا يكثر عليه في هذا ‏.‏ وروي عن ابن المبارك انه لما حضرته الوفاة جعل رجل يلقنه لا اله الا الله واكثر عليه فقال له عبد الله اذا قلت مرة فانا على ذلك ما لم اتكلم بكلام ‏.‏ وانما معنى قول عبد الله انما اراد ما روي عن النبي صلى الله عليه وسلم ‏"‏ من كان اخر قوله لا اله الا الله دخل الجنة ‏"‏ ‏.‏


Umm Salamah narrated:
"The Messenger of Allah said to us: 'When you attend to the sick or dying then say only good, for indeed the angels say "Amin" to what you say.'" She said: "When Abu Salamah died I went to the Prophet and said: 'O Messenger of Allah! Abu Salamah has died.' He said: 'Then say: "O Allah forgive me and him, and give me a good replacement for him." She said: "I said tat, and Allah gave a replace that was better than him: The Messenger of Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ উম্মু সালামাহ (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮০

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর সময় কষ্ট হওয়া।

৯৮০. কুতায়বা (রহঃ) ...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে মৃত্যুকাতর অবস্থায় দেখেছি। তাঁর কাছে একটি পানি ভর্তি পেয়ালা ছিল, তিনি সেই পেয়ালাতে তাঁর হাত ঢুকাচ্ছিলেন পরে পানি নিয়ে তাঁর চেহারায় তা মুছছিলেন। অনন্তর বলছিলেন, হে আল্লাহ, মৃত্যু কষ্টে ও মৃত্যু যন্ত্রণা লাঘবে আমাকে সাহায্য করুন। - ইবনু মাজাহ ১৬২৩, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিসটি গারীব।

باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ عِنْدَ الْمَوْتِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنِ ابْنِ الْهَادِ، عَنْ مُوسَى بْنِ سَرْجِسَ، عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّهَا قَالَتْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ بِالْمَوْتِ وَعِنْدَهُ قَدَحٌ فِيهِ مَاءٌ وَهُوَ يُدْخِلُ يَدَهُ فِي الْقَدَحِ ثُمَّ يَمْسَحُ وَجْهَهُ بِالْمَاءِ ثُمَّ يَقُولُ ‏"‏ اللَّهُمَّ أَعِنِّي عَلَى غَمَرَاتِ الْمَوْتِ ‏"‏ ‏.‏ أَوْ ‏"‏ سَكَرَاتِ الْمَوْتِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن ابن الهاد، عن موسى بن سرجس، عن القاسم بن محمد، عن عاىشة، انها قالت رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم وهو بالموت وعنده قدح فيه ماء وهو يدخل يده في القدح ثم يمسح وجهه بالماء ثم يقول ‏"‏ اللهم اعني على غمرات الموت ‏"‏ ‏.‏ او ‏"‏ سكرات الموت ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏


Aishah narrated:
"I saw the Messenger of Allah while he was dying. He had a cup with water in it, he put his hand in the cup then wiped his face with the water, then said: 'O Allah! Help me with the throes of death and the agony of death.'"


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮১

পরিচ্ছেদঃ মৃত্যুর সময় কষ্ট হওয়া।

৯৮১. হাসান ইবনুুস সাববাহ আল-বাগদাদী (রহঃ) ...... আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, মৃত্যুর সময় রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যে কষ্ট হতে দেখেছি এরপর কারো মৃত্যুর সময় আসান হতে দেখতে আমার আর কোন ঈর্ষা হয় না। - মুখতাসার শামাইল মুহাম্মাদিয়া ৩২৫, বুখারি, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৭৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]

রাবী বলেন, আমি এই হাদিস সম্পর্কে আবূ যুরআ (রহঃ) কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, বলেছিলাম, রাবী আব্দুর রাহমান ইবনুল আলা কে? তিনি বললেন, ইনি হলেন আলা ইবনুল লাজলাজ। তাঁকে এইরূপেই আমরা জানি।

باب مَا جَاءَ فِي التَّشْدِيدِ عِنْدَ الْمَوْتِ

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ الصَّبَّاحِ الْبَغْدَادِيُّ، حَدَّثَنَا مُبَشِّرُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الْحَلَبِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْعَلاَءِ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَا أَغْبِطُ أَحَدًا بِهَوْنِ مَوْتٍ بَعْدَ الَّذِي رَأَيْتُ مِنْ شِدَّةِ مَوْتِ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا زُرْعَةَ عَنْ هَذَا الْحَدِيثِ وَقُلْتُ لَهُ مَنْ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ الْعَلاَءِ فَقَالَ هُوَ ابْنُ الْعَلاَءِ بْنِ اللَّجْلاَجِ ‏.‏ وَإِنَّمَا عَرَّفَهُ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا الحسن بن الصباح البغدادي، حدثنا مبشر بن اسماعيل الحلبي، عن عبد الرحمن بن العلاء، عن ابيه، عن ابن عمر، عن عاىشة، قالت ما اغبط احدا بهون موت بعد الذي رايت من شدة موت رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏.‏ قال سالت ابا زرعة عن هذا الحديث وقلت له من عبد الرحمن بن العلاء فقال هو ابن العلاء بن اللجلاج ‏.‏ وانما عرفه من هذا الوجه ‏.‏


Aishah narrated:
"I was not envious of anyone whose death was easy after I saw the severity the death of the Messenger of Allah."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮২

পরিচ্ছেদঃ কপালের ঘাম সহ মুমিনের মৃত্যু হয়।

৯৮২. ইবনু বাশশার (রহঃ) ....... বুরায়দা (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, কপালের ঘামসহ মুমিনের মৃত্যু হয়। - ইবনু মাজাহ ১৪৫২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৮২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে ইবনু মাসউদ (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিসটি হাসান। কতক হাদিস বিশেষজ্ঞ বলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনু বুরায়দা থেকে কাতাদা (রহঃ) কিছু শুনেছেন বলেন বলে আমাদের জানা নেই।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الْمُؤْمِنَ يَمُوتُ بِعَرَقِ الْجَبِينِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنِ الْمُثَنَّى بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الْمُؤْمِنُ يَمُوتُ بِعَرَقِ الْجَبِينِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏ وَقَدْ قَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لا نَعْرِفُ لِقَتَادَةَ سَمَاعًا مِنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ بُرَيْدَةَ ‏.‏

حدثنا محمد بن بشار، حدثنا يحيى بن سعيد، عن المثنى بن سعيد، عن قتادة، عن عبد الله بن بريدة، عن ابيه، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ المومن يموت بعرق الجبين ‏"‏ ‏.‏ قال وفي الباب عن ابن مسعود ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث حسن ‏.‏ وقد قال بعض اهل العلم لا نعرف لقتادة سماعا من عبد الله بن بريدة ‏.‏


Abdullah bin Buraidah narrated from his father, that:
The Prophet said: "The believer dies with sweat on his brow."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮৩

পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই।

৯৮৩. আবদুল্লাহ ইবনু আবী যিয়াদ এবং হারূণ ইবনু আবদিল্লাহ আল বাযযায আল বাগদাদী (রহঃ) ....... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক যুবকের কাছে গেলেন। সে তখন মৃত্যু শয্যায় ছিল। তিনি তাকে বললেন, নিজেকে কেমন অনুভব করছ? যুবকটি বলল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আল্লাহর কসম, আল্লাহর রহমতের আশা করছি কিন্তু আমার গুনাহসমূহের ভয়ও পাচ্ছি। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এই ধরণের সময়ে যে বান্দার হৃদয়ে এই দুই জিনিস একত্রিত হয়, অবশ্যই আল্লাহ্ তা’আলা সে যা আশা করে তা তাকে দেন আর যা ভয় করে তা থেকে তাকে নিরাপত্তা প্রদান করনে। - ইবনু মাজাহ ৪২৬১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৮৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই হাদিসটি হাসান গারীব। কেউ কেউ হাদিসটিকে ছাবিত সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছেন।

باب

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أَبِي زِيَادٍ الْكُوفِيُّ، وَهَارُونُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْبَزَّازُ الْبَغْدَادِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا سَيَّارٌ، هُوَ ابْنُ حَاتِمٍ حَدَّثَنَا جَعْفَرُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ ثَابِتٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ عَلَى شَابٍّ وَهُوَ فِي الْمَوْتِ فَقَالَ ‏"‏ كَيْفَ تَجِدُكَ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ وَاللَّهِ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّي أَرْجُو اللَّهَ وَإِنِّي أَخَافُ ذُنُوبِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لاَ يَجْتَمِعَانِ فِي قَلْبِ عَبْدٍ فِي مِثْلِ هَذَا الْمَوْطِنِ إِلاَّ أَعْطَاهُ اللَّهُ مَا يَرْجُو وَآمَنَهُ مِمَّا يَخَافُ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ رَوَى بَعْضُهُمْ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ ثَابِتٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُرْسَلاً ‏.‏

حدثنا عبد الله بن ابي زياد الكوفي، وهارون بن عبد الله البزاز البغدادي، قالا حدثنا سيار، هو ابن حاتم حدثنا جعفر بن سليمان، عن ثابت، عن انس، ان النبي صلى الله عليه وسلم دخل على شاب وهو في الموت فقال ‏"‏ كيف تجدك ‏"‏ ‏.‏ قال والله يا رسول الله اني ارجو الله واني اخاف ذنوبي ‏.‏ فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لا يجتمعان في قلب عبد في مثل هذا الموطن الا اعطاه الله ما يرجو وامنه مما يخاف ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب ‏.‏ وقد روى بعضهم هذا الحديث عن ثابت عن النبي صلى الله عليه وسلم مرسلا ‏.‏


Thabit narrated from Anas, that:
The Prophet entered upon a young man while he was dying. So he said: "How do you feel?" He said: "By Allah! O Messenger of Allah! Indeed I hope in Allah and I fear from my sins." So the Messenger of Allah said: "These two will not be gathered in a worshipper's heart at a time such as this, except that Allah will grant him what he hopes and make him safe from what he fears."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮৪

পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রচারণা মাকরূহ্।

৯৮৪. আহমাদ ইবনু মানী (রহঃ) ...... হুয়ায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আমার মৃত্যু হলে কাউকে এই বিষয়ে ঘোষণা দিবে না। আমার আশংকা হয় তা হলে, এ না’ঈ (মৃত্যুর প্রচার) বলে গণ্য হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে আমি না’ঈ থেকে নিষেধ করতে শুনেছি। - ইবনু মাজাহ ১৪৭৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৮৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]

(আবু ঈসা বলেন) হাদিসটি হাসান।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّعْىِ

حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْقُدُّوسِ بْنُ بَكْرِ بْنِ خُنَيْسٍ، حَدَّثَنَا حَبِيبُ بْنُ سُلَيْمٍ الْعَبْسِيُّ، عَنْ بِلاَلِ بْنِ يَحْيَى الْعَبْسِيِّ، عَنْ حُذَيْفَةَ بْنِ الْيَمَانِ، قَالَ إِذَا مِتُّ فَلاَ تُؤْذِنُوا بِي أَحَدًا إِنِّي أَخَافُ أَنْ يَكُونَ نَعْيًا فَإِنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَنْهَى عَنِ النَّعْىِ ‏.‏ هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ ‏.‏

حدثنا احمد بن منيع، حدثنا عبد القدوس بن بكر بن خنيس، حدثنا حبيب بن سليم العبسي، عن بلال بن يحيى العبسي، عن حذيفة بن اليمان، قال اذا مت فلا توذنوا بي احدا اني اخاف ان يكون نعيا فاني سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهى عن النعى ‏.‏ هذا حديث حسن ‏.‏


Bilal bin Yahya Al-Absiy narrated that:
Hudaifah (bin Al-Yaman) said: "When I do not announce about me to anyone, indeed I fear that it would be An-Na'i, and I heard the Messenger of Allah prohibiting from An-Na'i."


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮৫

পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রচারণা মাকরূহ্।

৯৮৫. মুহাম্মাদ ইবনু হুমায়দ আর-রাযী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাঃ) সূত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, তোমরা না’ঈ থেকে বেঁচে থাকবে। কেননা, না’ঈ হলো জাহেলী কান্ড। আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, না’ঈ অর্থ হলো মৃত্যুর খবর ফলাও করে ঘোষণা করা। - তাখরীজুল ইসলাহিল মাসাজিদ ১০৮, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৮৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে হুযায়ফা (রাঃ) থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে।

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّعْىِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ حُمَيْدٍ الرَّازِيُّ، حَدَّثَنَا حَكَّامُ بْنُ سَلْمٍ، وَهَارُونُ بْنُ الْمُغِيرَةِ، عَنْ عَنْبَسَةَ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ إِيَّاكُمْ وَالنَّعْىَ فَإِنَّ النَّعْىَ مِنْ عَمَلِ الْجَاهِلِيَّةِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ وَالنَّعْىُ أَذَانٌ بِالْمَيِّتِ ‏.‏ وَفِي الْبَابِ عَنْ حُذَيْفَةَ ‏.‏

حدثنا محمد بن حميد الرازي، حدثنا حكام بن سلم، وهارون بن المغيرة، عن عنبسة، عن ابي حمزة، عن ابراهيم، عن علقمة، عن عبد الله، عن النبي صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ اياكم والنعى فان النعى من عمل الجاهلية ‏"‏ ‏.‏ قال عبد الله والنعى اذان بالميت ‏.‏ وفي الباب عن حذيفة ‏.‏


Abdullah narrated that:
The Prophet said: "Beware of An-Na'i, for indeed announcing one's death is from the deeds of Jahliyyah."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮৬

পরিচ্ছেদঃ কোন ব্যক্তির মৃত্যুর প্রচারণা মাকরূহ্।

৯৮৬. সাঈদ ইবনু আব্দুর রহমান আল-মাখযূমী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে অনুরূপ বর্ণিত আছে। এটিকে মারফূ রূপে বর্ণনা করা হয়নি এবং তাতে النعى اذان بالميت এই কথাটিরও উল্লেখ নাই। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আনাসা আবূ হামযা (রহঃ)-এর রিওয়ায়াত (৯৮৫ নং)-এর তুলনায় এই রিওয়ায়াত অধিকতর সহীহ। আবূ হামযা হলেন মায়মুন আল-আ’ওয়ার। হাদিস বিশেষজ্ঞগণের মতে তিনি শক্তিশালী ও আস্থাযোগ্য রাবী নন। ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, আবদুল্লাহ (রহঃ) বর্ণিত হাদিসটি গারীব। কোন কোন আলিম ’না’ঈ’ মাকরূহ বলে অভিমত প্রদান করেছেন। তাঁদের মতে না’ঈ হলো লোকেরা যাতে এর জানাযায় শরীক হতে পারে এতদুদ্দেশ্যে লোকদের মাঝে এই বলে ঘোষণা দেওয়া যে, অমুক ব্যক্তি মারা গিয়েছেন। কতক আলিম বলেন, নিকট আত্মীয় স্বজন এবং ভাই-বোনদের মৃত্যুর খবর প্রদানে কোন দোষ নেই। ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আত্মীয় স্বজনদের মৃত্যুর খবর প্রদানে কোন দোষ নেই। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৮৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]

باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ النَّعْىِ

حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْوَلِيدِ الْعَدَنِيُّ، عَنْ سُفْيَانَ الثَّوْرِيِّ، عَنْ أَبِي حَمْزَةَ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، نَحْوَهُ وَلَمْ يَرْفَعْهُ وَلَمْ يَذْكُرْ فِيهِ وَالنَّعْىُ أَذَانٌ بِالْمَيِّتِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَنْبَسَةَ عَنْ أَبِي حَمْزَةَ ‏.‏ وَأَبُو حَمْزَةَ هُوَ مَيْمُونٌ الأَعْوَرُ وَلَيْسَ هُوَ بِالْقَوِيِّ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَبْدِ اللَّهِ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ ‏.‏ وَقَدْ كَرِهَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ النَّعْىَ وَالنَّعْىُ عِنْدَهُمْ أَنْ يُنَادَى فِي النَّاسِ أَنَّ فُلاَنًا مَاتَ لِيَشْهَدُوا جَنَازَتَهُ ‏.‏ وَقَالَ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ لاَ بَأْسَ أَنْ يُعْلِمَ أَهْلَ قَرَابَتِهِ وَإِخْوَانَهُ ‏.‏ وَرُوِيَ عَنْ إِبْرَاهِيمَ أَنَّهُ قَالَ لاَ بَأْسَ بِأَنْ يُعْلِمَ الرَّجُلُ قَرَابَتَهُ ‏.‏

حدثنا سعيد بن عبد الرحمن المخزومي، حدثنا عبد الله بن الوليد العدني، عن سفيان الثوري، عن ابي حمزة، عن ابراهيم، عن علقمة، عن عبد الله، نحوه ولم يرفعه ولم يذكر فيه والنعى اذان بالميت ‏.‏ قال ابو عيسى وهذا اصح من حديث عنبسة عن ابي حمزة ‏.‏ وابو حمزة هو ميمون الاعور وليس هو بالقوي عند اهل الحديث ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عبد الله حديث حسن غريب ‏.‏ وقد كره بعض اهل العلم النعى والنعى عندهم ان ينادى في الناس ان فلانا مات ليشهدوا جنازته ‏.‏ وقال بعض اهل العلم لا باس ان يعلم اهل قرابته واخوانه ‏.‏ وروي عن ابراهيم انه قال لا باس بان يعلم الرجل قرابته ‏.‏


(Another chain) from Abdullah :
(from the Prophet) similar (to previous hadith), but he did not narrate it in Marfu form, and he did not mention in it: "An-Na'i is announcing of one's death."


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
৯৮৭

পরিচ্ছেদঃ কষ্টের প্রথম মুহূর্তেই ধৈর্যধারণ করা।

৯৮৭. কুতায়বা (রহঃ) ...... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কষ্টের প্রথম অবস্থায়ই ধৈর্যধারণ করতে হয়। - আহকামুল জানাইয পৃঃ ২২, বুখারি, মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯৮৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]

ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, হাদিসটি এই সূত্রে গারীব।

باب مَا جَاءَ أَنَّ الصَّبْرَ فِي الصَّدْمَةِ الأُولَى

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ أَبِي حَبِيبٍ، عَنْ سَعْدِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ أَنَسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ "‏ الصَّبْرُ فِي الصَّدْمَةِ الأُولَى ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ ‏.‏

حدثنا قتيبة، حدثنا الليث، عن يزيد بن ابي حبيب، عن سعد بن سنان، عن انس، ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ "‏ الصبر في الصدمة الاولى ‏"‏ ‏.‏ قال ابو عيسى هذا حديث غريب من هذا الوجه ‏.‏


Anas narrated that:
The Messenger of Allah said: "(Real) Patience is at the first stroke of the calamity."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১০/ কাফন-দাফন (كتاب الجنائز عن رسول الله ﷺ) 10/ The Book on Janaiz (Funerals)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ১১২ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 6 পরের পাতা »