পরিচ্ছেদঃ ৮. পুরুষ ও মহিলার বীর্যের বিবরণ এবং সন্তান যে উভয়ের বীর্য থেকে পয়দা হয় তার বিবরণ
৬০৯। আল হাসান ইবনু আলী আল-হুলওয়ানী (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে দাঁড়িয়েছিলাম। ইতিমধ্যেই ইয়াহুদীদের এক পণ্ডিত ব্যাক্তি এসে বলল, আসসালামু আলাইকা ইয়া মুহাম্মাদ! এরপর আমি তাকে এমন এক ধাক্কা মারলাম যে, সে প্রায় পড়েই গিয়েছিল আর কি! সে বলল, তুমি আমাকে ধাক্কা মারলে কেন? আমি বললাম, ’ইয়া রাসুলাল্লাহ’ বলতে পার না? ইয়াহুদী বলল, আমরা তাঁকে তাঁর পরিবার পরিজন যে নাম রেখেছে সে নামেই ডাকি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমার নাম মুহাম্মাদ। আমার পরিবারের লোকই আমার এ নাম রেখেছে।
এরপর ইয়াহুদী বলল, আমি আপনাকে (কয়েকটি কথা) জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, তোমার কি লাভ হবে, যদি আমি তোমাকে কিছু বলি? সে বলল, আমি আমার কান পেতে শুনব। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে যে লাঠিটি ছিল তা দিয়ে মাটিতে আকাঝোকা করলেন। তারপর বললেন, জিজ্ঞাসা কর।
ইয়াহুদী বলল, যেদিন এক যমীন ও আসমান পাল্টে গিয়ে কি অন্য যমীন ও আসমানে পরিণত হবে (অর্থাৎ কিয়ামত হবে) সেদিন লোকজন কোথায় থাকবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তারা পুলসিরাতের কাছে অন্ধকারে থাকবে।
সে বলল, কে সর্ব প্রথম (তা পার হবার) অনুমতি লাভ করবে? তিনি বললেন, দরিদ্র মুহাজিরগন। ইয়াহুদী বলল, জান্নাতে যখন তারা প্রবেশ করবে তখন তাদের তোহফা কি হবে? তিনি বললেন, মাছের কলিজার টুকরা। সে বলল, এরপর তাদের সকালের নাস্তা কি হবে? তিনি বললেন, তাদের জন্য জান্নাতের ষাড় যবেহ করা হবে যা জান্নাতের আশে পাশে চরে বেড়াত। সে বলল, এরপরে তাদের পানীয় কি হবে? তিনি বললেন, সেখানকার একটি ঝর্ণার পানি যার নাম ’সালসাবীল’-। সে বলল, আপনি ঠিক বলেছেন।
সে আরো বলল যে, আমি আপনার কাছে এমন একটি বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছি যা নবী ছাড়া পৃথিবীর কোন অধিবাসী জানেনা অথবা একজন কি দুইজন লোক ছাড়া। তিনি বললেন, আমি যদি তোমাকে তা বলে দেই তাতে তোমার কি কোন উপকার হবে? সে বলল, আমি আমার কান পেতে শুনব। সে বলল, আমি আপনাকে সন্তান সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করতে এসেছি। তিনি বললেন, পুরুষের বীর্য সাদা এবং মেয়েলোকের বীর্য হলুদ। যখন উভয়টি একত্রিত হয়ে যায় এবং পুরুষের বীর্য স্ত্রীলোকের বীর্যের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে তখন আল্লাহর হুকুমে পূত্র সন্তান হয়। আর যখন স্ত্রীলোকের বীর্য পুরুষ লোকের বীর্যের ওপর প্রাধান্য বিস্তার করে তখন আল্লাহর হুকুমে কন্যা সন্তান হয়।
ইয়াহুদী বলল, আপনি ঠিকই বলেছেন এবং নিশ্চয়ই আপনি নবী। এরপর সে চলে গেল। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এ লোক আমার কাছে যা জিজ্ঞাসা করেছে, ইতিপূর্বে আমার সে সম্পর্কে কোন জ্ঞানই ছিল না। আল্লাহ তায়ালা এক্ষণে আমাকে তা জানিয়ে দিলেন।
باب بَيَانِ صِفَةِ مَنِيِّ الرَّجُلِ وَالْمَرْأَةِ وَأَنَّ الْوَلَدَ مَخْلُوقٌ مِنْ مَائِهِمَا
حَدَّثَنِي الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا أَبُو تَوْبَةَ، - وَهُوَ الرَّبِيعُ بْنُ نَافِعٍ - حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ، - يَعْنِي ابْنَ سَلاَّمٍ - عَنْ زَيْدٍ، - يَعْنِي أَخَاهُ - أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا سَلاَّمٍ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبُو أَسْمَاءَ الرَّحَبِيُّ، أَنَّ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم حَدَّثَهُ قَالَ كُنْتُ قَائِمًا عِنْدَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَجَاءَ حَبْرٌ مِنْ أَحْبَارِ الْيَهُودِ فَقَالَ السَّلاَمُ عَلَيْكَ يَا مُحَمَّدُ . فَدَفَعْتُهُ دَفْعَةً كَادَ يُصْرَعُ مِنْهَا فَقَالَ لِمَ تَدْفَعُنِي فَقُلْتُ أَلاَ تَقُولُ يَا رَسُولَ اللَّهِ . فَقَالَ الْيَهُودِيُّ إِنَّمَا نَدْعُوهُ بِاسْمِهِ الَّذِي سَمَّاهُ بِهِ أَهْلُهُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اسْمِي مُحَمَّدٌ الَّذِي سَمَّانِي بِهِ أَهْلِي " . فَقَالَ الْيَهُودِيُّ جِئْتُ أَسْأَلُكَ . فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَيَنْفَعُكَ شَىْءٌ إِنْ حَدَّثْتُكَ " . قَالَ أَسْمَعُ بِأُذُنَىَّ فَنَكَتَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِعُودٍ مَعَهُ . فَقَالَ " سَلْ " . فَقَالَ الْيَهُودِيُّ أَيْنَ يَكُونُ النَّاسُ يَوْمَ تُبَدَّلُ الأَرْضُ غَيْرَ الأَرْضِ وَالسَّمَوَاتُ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " هُمْ فِي الظُّلْمَةِ دُونَ الْجِسْرِ " . قَالَ فَمَنْ أَوَّلُ النَّاسِ إِجَازَةً قَالَ " فُقَرَاءُ الْمُهَاجِرِينَ " . قَالَ الْيَهُودِيُّ فَمَا تُحْفَتُهُمْ حِينَ يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ قَالَ " زِيَادَةُ كَبِدِ النُّونِ " قَالَ فَمَا غِذَاؤُهُمْ عَلَى إِثْرِهَا قَالَ " يُنْحَرُ لَهُمْ ثَوْرُ الْجَنَّةِ الَّذِي كَانَ يَأْكُلُ مِنْ أَطْرَافِهَا " . قَالَ فَمَا شَرَابُهُمْ عَلَيْهِ قَالَ " مِنْ عَيْنٍ فِيهَا تُسَمَّى سَلْسَبِيلاً " . قَالَ صَدَقْتَ . قَالَ وَجِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنْ شَىْءٍ لاَ يَعْلَمُهُ أَحَدٌ مِنْ أَهْلِ الأَرْضِ إِلاَّ نَبِيٌّ أَوْ رَجُلٌ أَوْ رَجُلاَنِ . قَالَ " يَنْفَعُكَ إِنْ حَدَّثْتُكَ " . قَالَ أَسْمَعُ بِأُذُنَىَّ . قَالَ جِئْتُ أَسْأَلُكَ عَنِ الْوَلَدِ قَالَ " مَاءُ الرَّجُلِ أَبْيَضُ وَمَاءُ الْمَرْأَةِ أَصْفَرُ فَإِذَا اجْتَمَعَا فَعَلاَ مَنِيُّ الرَّجُلِ مَنِيَّ الْمَرْأَةِ أَذْكَرَا بِإِذْنِ اللَّهِ وَإِذَا عَلاَ مَنِيُّ الْمَرْأَةِ مَنِيَّ الرَّجُلِ آنَثَا بِإِذْنِ اللَّهِ " . قَالَ الْيَهُودِيُّ لَقَدْ صَدَقْتَ وَإِنَّكَ لَنَبِيٌّ ثُمَّ انْصَرَفَ فَذَهَبَ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لَقَدْ سَأَلَنِي هَذَا عَنِ الَّذِي سَأَلَنِي عَنْهُ وَمَا لِي عِلْمٌ بِشَىْءٍ مِنْهُ حَتَّى أَتَانِيَ اللَّهُ بِهِ " .
Thauban, the freed slave of the Messenger of Allah (ﷺ), said:
While I was standing beside the Messenger of Allah (ﷺ) one of the rabbis of the Jews came and said: Peace be upon you, O Muhammad. I pushed him backwith a push that he was going to fall. Upon this he said: Why do you push me? I said: Why don't you say: O Messenger of Allah? The Jew said: We call him by the name by which he was named by his family. The Messenger of Allah (ﷺ) said: My name is Muhammad with which I was named by my family. The Jew said: I have come to ask you (something). The Messenger of Allah (ﷺ) said: Should that thing be of any benefit to you, if I tell you that? He (the Jew) said: I will lend my ears to it. The Messenger of Allah (ﷺ) drew a line with the help of the stick that he had with him and then said: Ask (whatever you like). Thereupon the Jew said: Where would the human beings be on the Daywhen the earth would change into another earth and the heavens too (would change into other heavens)? The Messenger of Allah (ﷺ) said: They would be in darkness beside the Bridge. He (the Jew) again said: Who amongst people would be the first to cross (this bridge).? He said: They would be the poor amongst the refugees. The Jew said: What would constitute their breakfast when they would enter Paradise? He (the Holy Prophet) replied: A caul of the fish-liver. He (the Jew) said. What would be their food alter this? He (the Holy Prophet) said: A bullockwhich was fed in the different quarters of Paradise would be slaughtered for them. He (the Jew) said: What would be their drink? He (the Holy Prophet) said: They would be given drink from the fountain which is named" Salsabil". He (the Jew) said: I have come to ask you about a thing which no one amongst the people on the earth knows except an apostle or one or two men besides him. He (the Holy Prophet) said: Would it benefit you if I tell you that? He (the Jew) said: I would lend ears to that. He then said: I have come to ask you about the child. He (the Holy Prophet) said: The reproductive substance of man is white and that of woman (i. e. ovum central portion) yellow, and when they have sexual intercourse and the male's substance (chromosomes and genes) prevails upon the female's substance (chromosomes and genes), it is the male child that is created by Allah's Decree, and when the substance of the female prevails upon the substance contributed by the male, a female child is formed by the Decree of Allah. The Jew said: What you have said is true; verily you are an Apostle. He then returned and went away. The Messenger of Allah (ﷺ) said: He asked me about such and such things of which I have had no knowledge till Allah gave me that.
পরিচ্ছেদঃ ২৬. সালাতের পর যিকির মুস্তাহাব এবং এর বিবরণ
১২১২। দাঊদ ইবনু রাশীদ (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন তার সালাত শেষ করতেন, তখন তিনবার ইস্তিগফার- করতেন এবং বলতেনঃ
اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
“হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময় এবং আপনার থেকেই শান্তি। আপনি বরকতময় হে মহিমান্বিত ও সষ্মানিত’”।
ওয়ালীদ বলেন, আমি আওযাঈকে জিজ্ঞাসা করলাম, ইস্তিগফার কেমন করে? তিনি বললেন, আস্তাগফিরুল্লাহ,আস্তাগফিরুল্লাহ বলবে।
باب اسْتِحْبَابِ الذِّكْرِ بَعْدَ الصَّلاَةِ وَبَيَان صِفَتِهِ
حَدَّثَنَا دَاوُدُ بْنُ رُشَيْدٍ، حَدَّثَنَا الْوَلِيدُ، عَنِ الأَوْزَاعِيِّ، عَنْ أَبِي عَمَّارٍ، - اسْمُهُ شَدَّادُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ - عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاَثًا وَقَالَ " اللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ " . قَالَ الْوَلِيدُ فَقُلْتُ لِلأَوْزَاعِيِّ كَيْفَ الاِسْتِغْفَارُ قَالَ تَقُولُ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ .
Thauban reported:
When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer. He begged forgiveness three times and said: O Allah! Thou art Peace, and peace comes from Thee; Blessed art Thou, O Possessor of Glory and Honour. Walid reported: I said to Auza'i: How is the seeking of forgiveness? He replied: You should say: I beg forgiveness from Allah, I beg forgiveness from Allah."
পরিচ্ছেদঃ ১৫. জানাযার সালাত আদায় ও তার অনুগামী হওয়ার ফযীলত
২০৬৭। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যাক্তি জানাযার সালাত আদায় করল তার জন্য এ কীরাত সাওয়াব হবে আর যদি সে দাফন কার্যে উপস্থিত থাকে, তবে দু’কীরাত সাওয়াব পাবে। প্রত্যেক কীরাত উহুদ পাহাড়ের সমান।
باب فَضْلِ الصَّلاَةِ عَلَى الْجَنَازَةِ وَاتِّبَاعِهَا
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، - يَعْنِي ابْنَ سَعِيدٍ - حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، حَدَّثَنِي قَتَادَةُ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ صَلَّى عَلَى جَنَازَةٍ فَلَهُ قِيرَاطٌ فَإِنْ شَهِدَ دَفْنَهَا فَلَهُ قِيرَاطَانِ الْقِيرَاطُ مِثْلُ أُحُدٍ " .
Thauban, the freed slave of the Messenger of Allah (ﷺ) reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
He who offered prayer for the dead, for him is the reward of one qirat, and he who attended its burial, he would have two qirats as his reward. And qirat is equivalent to Uhud.
পরিচ্ছেদঃ ৭. পরিবার-পরিজন ও দাস-দাসীদের প্রতি ব্যায় করার ফযীলত এবং তাদের হক নষ্টকারী ব্যক্তির পাপ
২১৮২। আবূ রাবী যাহরানী ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সর্বোত্তম সে দীনার (মূদ্রা) সেটি, যা মানুষ তার পরিবারের জন্য ব্যয় করে এবং সেই দীনার, যা আল্লাহর পথে জিহাদ করার উদ্দেশ্যে বেঁধে রাখা জানোয়ারের জন্য ব্যয় করে এবং সেই দীনার, যা আল্লাহর পথে জিহাদকারী সঙ্গী-সাথীদের জন্য ব্যয় করে।
বর্ণনাকারী আবূ কিলাবা (রহঃ) বলেন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পরিবার-পরিজনের- কথা প্রথমে বলেন। এরপর আবূ কিলাবা (রহঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি তার ছোট ছোট সন্তান-সন্ততির প্রতি ব্যয় করে, যার ফলে আল্লাহ তাদেরকে পবিত্র রাখেন, অভাবমুক্ত করেন অথবা উপকৃত করেন এবং তাদের অভাবমুক্ত রাখেন তার চাইতে মহান পারিশ্রমিকের অধিকারী আর কে হতে পারে?
باب فَضْلِ النَّفَقَةِ عَلَى الْعِيَالِ وَالْمَمْلُوكِ وَإِثْمِ مَنْ ضَيَّعَهُمْ أَوْ حَبَسَ نَفَقَتَهُمْ عَنْهُمْ
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، - قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - حَدَّثَنَا أَيُّوبُ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أَفْضَلُ دِينَارٍ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ دِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى عِيَالِهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ الرَّجُلُ عَلَى دَابَّتِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ وَدِينَارٌ يُنْفِقُهُ عَلَى أَصْحَابِهِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ " . قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ وَبَدَأَ بِالْعِيَالِ ثُمَّ قَالَ أَبُو قِلاَبَةَ وَأَىُّ رَجُلٍ أَعْظَمُ أَجْرًا مِنْ رَجُلٍ يُنْفِقُ عَلَى عِيَالٍ صِغَارٍ يُعِفُّهُمْ أَوْ يَنْفَعُهُمُ اللَّهُ بِهِ وَيُغْنِيهِمْ .
Thauban reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
The most excellent dinar is one that a person spends on his family, and the dinar which he spends on his animal in Allah's path, and the dinar he spends on his companions in Allah's path. Abu Qilaba (one of the narrators) said: He (the narrator) started with family, and then Abu Qilaba said: Who is the person with greater reward than a person who spends on young members of his family (and thus) preserves (saves them from want) (and by virtue of which) Allah brings profit for them and makes them rich.
পরিচ্ছেদঃ ৫৩. নবী (ﷺ) এর বানীঃ আমার উম্মতের একদল লোক হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে তাদের বিরোধীরা তাদের ক্ষতিসাধন করতে পারবে না
৪৭৯৭। সাঈদ ইবনু মানসুর, আবূর রাবী আতাকী ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার উম্মাতের একটি দল সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তাঁদের সঙ্গ ত্যাগ করে কেউ তাদের কোন অনিষ্ট করতে পারবে না। এমন কি এভাবে আল্লাহর আদেশ অর্থাৎ কিয়ামত এসে পড়বে আর তারা যেমনটি ছিল তেমনটই থাকবে। কুতায়বা বর্ণিত হাদীসে "আর তারা তেমনি থাকবে" অংশটুকু নেই।
باب قَوْلِهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَالَفَهُمْ»
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالُوا حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - وَهُوَ ابْنُ زَيْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَزَالُ طَائِفَةٌ مِنْ أُمَّتِي ظَاهِرِينَ عَلَى الْحَقِّ لاَ يَضُرُّهُمْ مَنْ خَذَلَهُمْ حَتَّى يَأْتِيَ أَمْرُ اللَّهِ وَهُمْ كَذَلِكَ " . وَلَيْسَ فِي حَدِيثِ قُتَيْبَةَ " وَهُمْ كَذَلِكَ " .
It has been narrated on the authority of Thauban that the Messenger of Allah (ﷺ) said:
A group of people from my Umma will always remain triumphant on the right path and continue to be triumphant (against their opponents). He who deserts them shall not be able to do them any harm. They will remain in this position until Allah's Command is executed (i.e. Qiyamah is established). In Qutaiba's version of the tradition, we do not have the words:" They will remain in this position."
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইসলামের সূচনালগ্নে তিনদিনের পরে কুরবানীর গোশত খাওয়া সম্বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা অর্পিত হয়েছিল তার বর্ণনা এবং তা রহিত হওয়া ও যতদিন ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত খাওয়া বৈধ হওয়ার বর্ণনা
৪৯৪৯। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর কুরবানীর পশু যবেহ করলেন। এরপর বললেন, হে সাওবান! এর গোশত ভালভাবে সংরক্ষণ কর। এরপর থেকে তিনি মদিনায় আগমনের পূর্ব পর্যন্ত আমি তাঁকে উক্ত গোশত থেকে আহার করাতে থাকি।
باب بَيَانِ مَا كَانَ مِنَ النَّهْىِ عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ بَعْدَ ثَلاَثٍ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ وَبَيَانِ نَسْخِهِ وَإِبَاحَتِهِ إِلَى مَتَى شَاءَ
حَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا مُعَاوِيَةُ بْنُ صَالِحٍ، عَنْ أَبِي، الزَّاهِرِيَّةِ عَنْ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ ذَبَحَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ضَحِيَّتَهُ ثُمَّ قَالَ " يَا ثَوْبَانُ أَصْلِحْ لَحْمَ هَذِهِ " . فَلَمْ أَزَلْ أُطْعِمُهُ مِنْهَا حَتَّى قَدِمَ الْمَدِينَةَ .
Thauban reported that Allah's Messenger (way peace be upon him) slaughtered his sacrificial animal and then said:
Thauban, make his meat usable (for journey), and I continuously served him that until he arrived in Medina.
পরিচ্ছেদঃ ৫. ইসলামের সূচনালগ্নে তিনদিনের পরে কুরবানীর গোশত খাওয়া সম্বন্ধে যে নিষেধাজ্ঞা অর্পিত হয়েছিল তার বর্ণনা এবং তা রহিত হওয়া ও যতদিন ইচ্ছা ততদিন পর্যন্ত খাওয়া বৈধ হওয়ার বর্ণনা
৪৯৫১। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্বের সময় আমাকে বললেনঃ এ মাংস ভাল করে রেখে দাও। আমি ভাল করে রেখে দিলাম। তিনি মদিনায় পৌছা পর্যন্ত এ মাংস খেতে থাকেন।
আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রহমান আদ দারিমী (রহঃ) ... ইয়াহইয়া ইবনু হামযা (রহঃ) থেকে উল্লেখিত সনদে হাদীসটি রিওয়ায়াত করেন। তবে তিনি বিদায় হজ্জের সময় কথাটি উল্লেখ করেননি।
باب بَيَانِ مَا كَانَ مِنَ النَّهْىِ عَنْ أَكْلِ لُحُومِ الأَضَاحِيِّ بَعْدَ ثَلاَثٍ فِي أَوَّلِ الإِسْلاَمِ وَبَيَانِ نَسْخِهِ وَإِبَاحَتِهِ إِلَى مَتَى شَاءَ
وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ مَنْصُورٍ، أَخْبَرَنَا أَبُو مُسْهِرٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمْزَةَ، حَدَّثَنِي الزُّبَيْدِيُّ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ جُبَيْرِ بْنِ نُفَيْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ " أَصْلِحْ هَذَا اللَّحْمَ " . قَالَ فَأَصْلَحْتُهُ فَلَمْ يَزَلْ يَأْكُلُ مِنْهُ حَتَّى بَلَغَ الْمَدِينَةَ . وَحَدَّثَنِيهِ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الدَّارِمِيُّ، أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُبَارَكِ، حَدَّثَنَا يَحْيَى، بْنُ حَمْزَةَ بِهَذَا الإِسْنَادِ وَلَمْ يَقُلْ فِي حَجَّةِ الْوَدَاعِ .
Thauban, the freed slave of Allah's Messenger (ﷺ), reported:
Allah's Messenger (ﷺ) said to me on the occasion of Hajjat-al-Wada' (the Farewell Pilgrimage): Make the flesh usable. So I made it usable (for him) and he ate it constantly until he reached Medina. This hadith has been narrated on the authority of Yabya b. Hamza with the same chain of transmitters, but he did not say: On the occasion of Hajjat-al-Wada'.
পরিচ্ছেদঃ ৯. আমাদের নবী (ﷺ) এর জন্য হাওয (কাউসার) এর প্রমান এবং হাওযের বিবরণ
৫৭৮৮। আবূ গাসসান মিসমাঈ, মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি আমার হাউযের পাড়ে থাকবো। ইয়েমেনবাসীদের জন্য সাধারণ মানুষকে সরিয়ে দেবো। আমি আমার লাঠি দিয়ে হাউযের পানির উপর আঘাত করবো যাতে তাদের উপর প্রবাহিত হয়। তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে সে হাউযের প্রশস্ততা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেনঃ আমার এ স্থান থেকে আম্মানের দূরত্বের সমান। আবার সে হাউযের পানি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো। তিনি বললেনঃ দুধের চেয়ে বেশি সাদা ও মধুর চেয়ে বেশি মিষ্টি। জান্নাত থেকে প্রবাহিত দু’টো নালা দিয়ে সে হাউযের মধ্যে পানি আসতে থাকবে। তার একটি (নালা) সোনার এবং অপরটি রূপার।
যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... কাতাদা (রহঃ) হিশাম থেকে সাওবান (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। শুধু এতটুকু পার্থক্য যে, এ রিওয়ায়াতে (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ আমি কিয়ামতের দিন হাউযের পাড়ে থাকবো।
باب إِثْبَاتِ حَوْضِ نَبِيِّنَا صلى الله عليه وسلم وَصِفَاتِهِ
حَدَّثَنَا أَبُو غَسَّانَ الْمِسْمَعِيُّ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ - وَأَلْفَاظُهُمْ مُتَقَارِبَةٌ - قَالُوا حَدَّثَنَا مُعَاذٌ، - وَهُوَ ابْنُ هِشَامٍ - حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ بْنِ أَبِي الْجَعْدِ، عَنْ مَعْدَانَ بْنِ أَبِي طَلْحَةَ الْيَعْمَرِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنِّي لَبِعُقْرِ حَوْضِي أَذُودُ النَّاسَ لأَهْلِ الْيَمَنِ أَضْرِبُ بِعَصَاىَ حَتَّى يَرْفَضَّ عَلَيْهِمْ " . فَسُئِلَ عَنْ عَرْضِهِ فَقَالَ " مِنْ مَقَامِي إِلَى عَمَّانَ " . وَسُئِلَ عَنْ شَرَابِهِ فَقَالَ " أَشَدُّ بَيَاضًا مِنَ اللَّبَنِ وَأَحْلَى مِنَ الْعَسَلِ يَغُتُّ فِيهِ مِيزَابَانِ يَمُدَّانِهِ مِنَ الْجَنَّةِ أَحَدُهُمَا مِنْ ذَهَبٍ وَالآخَرُ مِنْ وَرِقٍ " .
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ مُوسَى، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ قَتَادَةَ، بِإِسْنَادِ هِشَامٍ . بِمِثْلِ حَدِيثِهِ غَيْرَ أَنَّهُ قَالَ " أَنَا يَوْمَ الْقِيَامَةِ عِنْدَ عُقْرِ الْحَوْضِ " .
Thauban reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying:
I would be pushing back from my Cistern the crowd of people. I would strike away from it (the Cistern) with my staff the people of Yemen until the water (of the Haud) would spout forth upon them. He was asked about its breadth. He said: From this place of mine to 'Amman, and he was asked about the drink and he said: It is whiter than milk and sweeter than honey. There would spout into it two streamlets having their sources in Paradise. the one is from gold and the other is from silver. This hadith has been narrated on the authority of Hisham with the same chain of transmitters and the words are:" I would be on the Day of Resurrection near the bank of the Cistern."
পরিচ্ছেদঃ ৯. আমাদের নবী (ﷺ) এর জন্য হাওয (কাউসার) এর প্রমান এবং হাওযের বিবরণ
৫৭৮৯। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে হাউযের হাদীস বর্ণনা করেছেন। অতঃপর তিনি ইয়াহইয়া ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) কে বললেন, আমি আবূ আওয়ানা (রাঃ) থেকেও এই হাদীস শুনেছি। ইয়াহইয়া ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) বললেন, আমি শু’বা (রাঃ) থেকে এই হাদীস শুনেছি। তারপর আমি বলেছি যে, আপনি এ হাদীস সম্পর্কে আমাকে একটু সময় দিন, তিনি আমাকে সময় দিলেন এবং আমাকে হাদীসটি শুনিয়ে দিলেন।
باب إِثْبَاتِ حَوْضِ نَبِيِّنَا صلى الله عليه وسلم وَصِفَاتِهِ
وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَمَّادٍ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ سَالِمِ، بْنِ أَبِي الْجَعْدِ عَنْ مَعْدَانَ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حَدِيثَ الْحَوْضِ فَقُلْتُ لِيَحْيَى بْنِ حَمَّادٍ هَذَا حَدِيثٌ سَمِعْتَهُ مِنْ أَبِي عَوَانَةَ فَقَالَ وَسَمِعْتُهُ أَيْضًا مِنْ شُعْبَةَ فَقُلْتُ انْظُرْ لِي فِيهِ فَنَظَرَ لِي فِيهِ فَحَدَّثَنِي بِهِ .
Thaubin reported this hadith pertaining to the Cistern. Muhammad b. Bashshar said:
I said to Yahya b. Hammad: This is the hadith that I heard from Abu 'Awana and he said: I also heard it from Shu'ba. I said: Narrate that to me and he narrated that to me.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. রোগীর দেখাশুনা ও সেবা-শুশ্রূষার ফযীলত
৬৩১৭। সাঈদ ইবনু মানসুর ও আবূ রাবী (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। আবূ রাবী (রহঃ) বলেছেন, তিনি হাদীসটি মারফূ রূপে (অর্থাৎ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে) বর্ননা করেছেন। আর সা’দ (রহঃ) এর হাদীসে রয়েছে যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ রোগীর সেবা শুশ্রুষাকারী বেহেশতের বাগানে অবস্থান করে, যতক্ষন পর্যন্ত সে না ফিরে আসে।
باب فَضْلِ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ مَنْصُورٍ، وَأَبُو الرَّبِيعِ الزَّهْرَانِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، - يَعْنِيَانِ ابْنَ زَيْدٍ - عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ أَبُو الرَّبِيعِ رَفَعَهُ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَفِي حَدِيثِ سَعِيدٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " عَائِدُ الْمَرِيضِ فِي مَخْرَفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ " .
Abu Rabi' reported directly from Allah's Apostle (may peace upon him) as saying:
The one who visits the sick is in fact like one who is in the fruit garden of Paradise so long as he does not return.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. রোগীর দেখাশুনা ও সেবা-শুশ্রূষার ফযীলত
৬৩১৮। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া তামিমী (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায় সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত জান্নাতের ফলমূলের (বাগানে) অবস্থান করে।
باب فَضْلِ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى التَّمِيمِيُّ، أَخْبَرَنَا هُشَيْمٌ، عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي، أَسْمَاءَ عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ عَادَ مَرِيضًا لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ " .
Thauban, the freed slave of Allah's Messenger (ﷺ), reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
He who visits the sick continues to remain in the fruit garden of Paradise until he returns.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. রোগীর দেখাশুনা ও সেবা-শুশ্রূষার ফযীলত
৬৩১৯। ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব হারিসী (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন কোন মুসলিম তার মুসলিম ভাইকে রোগাক্রান্ত অবস্থায় দেখতে যায় তখন সে প্রত্যাবর্তন না করা পর্যন্ত জান্নাতের ফলমূলে (বাগানে) অবস্থান করে।
باب فَضْلِ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ حَبِيبٍ الْحَارِثِيُّ، حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ زُرَيْعٍ، حَدَّثَنَا خَالِدٌ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ الْمُسْلِمَ إِذَا عَادَ أَخَاهُ الْمُسْلِمَ لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ " .
Thauban reported Allah's Apostle (ﷺ) as saying:
Verily, when a Muslim visits his brother in Islam he is supposed to remain in the fruit garden of Paradise until he returns.
পরিচ্ছেদঃ ১৩. রোগীর দেখাশুনা ও সেবা-শুশ্রূষার ফযীলত
৬৩২০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আযাদকৃত গোলাম সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ যে ব্যক্তি কোন রোগীকে দেখতে যায়, সে জান্নাতের ’খুরফায়’ (خُرْفَة) অবস্থান করতে থাকে। জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসুলাল্লাহخُرْفَةُ الْجَنَّةِ (জান্নাতের খুরফায় অবস্থান করা) কী? তিনি বললেন, তার ফলমূল (বাগান)।
باب فَضْلِ عِيَادَةِ الْمَرِيضِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَزُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، جَمِيعًا عَنْ يَزِيدَ، - وَاللَّفْظُ لِزُهَيْرٍ - حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ، أَخْبَرَنَا عَاصِمٌ الأَحْوَلُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَيْدٍ، - وَهُوَ أَبُو قِلاَبَةَ - عَنْ أَبِي الأَشْعَثِ الصَّنْعَانِيِّ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، مَوْلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " مَنْ عَادَ مَرِيضًا لَمْ يَزَلْ فِي خُرْفَةِ الْجَنَّةِ " . قِيلَ يَا رَسُولَ اللَّهِ وَمَا خُرْفَةُ الْجَنَّةِ قَالَ " جَنَاهَا " .
Thauban, the freed slave of Allah's Messenger (ﷺ), reported Allah's Messenger (ﷺ) as saying:
He who visits the sick is supposed to remain in the fruit garden of Paradise. It was said: Allah's Messenger, what is this Khurfat-ul-jannah? He said: It is a place abounding in fruits.
পরিচ্ছেদঃ ৫. এ উম্মতের পরস্পরে ধ্বংস করার বিবরণ
৬৯৯৪। আবূ রাবী আল আতাকী ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ সমস্ত পৃথিবীকে ভাজ করে আমার সামনে রেখে দিয়েছেন। অতঃপর আমি এর পূর্ব দিগন্ত হতে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত দেখে নিয়েছি। পৃথিবীর যে পরিমাণ অংশ গুটিয়ে আমার সম্মুখে রাখা হয়েছিল সে পর্যন্ত আমার উম্মাতের রাজত্ব পৌছবে। আমাকে লাল ও সাদা দুই ধনাগার দেয়া হয়েছে। আমি আমার উম্মাতের জন্য আমার প্রতিপালকের নিকট এ দুআ করেছি, যেন তিনি তাদেরকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস না করেন এবং যেন তিনি তাদের উপর নিজেদের ব্যতীত এমন কোন শত্রুকে চাপিয়ে না দেন যারা তাদের দলকে ভেঙ্গে টুক্বরা টুকরা করে দিবে।
এ কথা শুনে আমার প্রতিপালক বললেন, হে মুহাম্মদ! আমি যা সিদ্ধান্ত করি তা কখনো প্রতিহত হয় না। আমি তোমার দুআ কবুল করেছি। আমি তোমার উম্মাতকে সাধারণ দুর্ভিক্ষের দ্বারা ধ্বংস করবো না এবং তাদের উপর তাদের নিজেদের ব্যতীত অন্য এমন কোন শত্রুকে চাপিয়ে দেবো না যারা তাদের সমষ্টিকে বিক্ষিপ্ত ও ধ্বংস করতে সক্ষম হবে। যদিও বিভিন্ন প্রান্ত হতে লোক সমবেত হয়ে চেষ্টা করে না কেন। তবে মুসলিমগণ পরস্পর একে অপরকে ধ্বংস করবে এবং একে অপরকে বন্দী করবে।
باب هَلاَكُ هَذِهِ الأُمَّةِ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ
حَدَّثَنَا أَبُو الرَّبِيعِ الْعَتَكِيُّ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، كِلاَهُمَا عَنْ حَمَّادِ بْنِ زَيْدٍ، - وَاللَّفْظُ لِقُتَيْبَةَ - حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، عَنْ أَيُّوبَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِنَّ اللَّهَ زَوَى لِيَ الأَرْضَ فَرَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَإِنَّ أُمَّتِي سَيَبْلُغُ مُلْكُهَا مَا زُوِيَ لِي مِنْهَا وَأُعْطِيتُ الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَبْيَضَ وَإِنِّي سَأَلْتُ رَبِّي لأُمَّتِي أَنْ لاَ يُهْلِكَهَا بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَأَنْ لاَ يُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ فَيَسْتَبِيحَ بَيْضَتَهُمْ وَإِنَّ رَبِّي قَالَ يَا مُحَمَّدُ إِنِّي إِذَا قَضَيْتُ قَضَاءً فَإِنَّهُ لاَ يُرَدُّ وَإِنِّي أَعْطَيْتُكَ لأُمَّتِكَ أَنْ لاَ أُهْلِكَهُمْ بِسَنَةٍ بِعَامَّةٍ وَأَنْ لاَ أُسَلِّطَ عَلَيْهِمْ عَدُوًّا مِنْ سِوَى أَنْفُسِهِمْ يَسْتَبِيحُ بَيْضَتَهُمْ وَلَوِ اجْتَمَعَ عَلَيْهِمْ مَنْ بِأَقْطَارِهَا - أَوْ قَالَ مَنْ بَيْنَ أَقْطَارِهَا - حَتَّى يَكُونَ بَعْضُهُمْ يُهْلِكُ بَعْضًا وَيَسْبِي بَعْضُهُمْ بَعْضًا " .
Thauban reported that Allah's Messenger (ﷺ) said:
Allah drew the ends of the world near one another for my sake. And I have seen its eastern and western ends. And the dominion of my Ummah would reach those ends which have been drawn near me and I have been granted the red and the white treasure and I begged my Lord for my Ummah that it should not be destroyed because of famine, nor be dominated by an enemy who is not amongst them to take their lives and destroy them root and branch, and my Lord said: Muhammad, whenever I make a decision, there is none to change it. I grant you for your Ummah that it would not be destroyed by famine and it would not be dominated by an enemy who would not be amongst it and would take their lives and destroy them root and branch even if all the people from the different parts of the world join hands together (for this purpose), but it would be from amongst them, viz. your Ummah, that some people would kill the others or imprison the others.
পরিচ্ছেদঃ ৫. এ উম্মতের পরস্পরে ধ্বংস করার বিবরণ
৬৯৯৫। যুহায়র ইবনু হারব, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... সাওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পৃথিবীকে গুটিয়ে আল্লাহ তাআলা আমার সামনে পেশ করেছেন। আমি এর পূর্ব দিগন্ত হতে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত (দেখে নিয়েছি। আল্লাহ তায়ালা আমাকে লাল ও সাদা দুটি ধন-ভাণ্ডার দান করেছেন। অতঃপর কাতাদা (রহঃ) আইউবের সুত্রে আবূ কিলাবা (রহঃ) হতে বর্ণিত হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।
باب هَلاَكُ هَذِهِ الأُمَّةِ بَعْضِهِمْ بِبَعْضٍ
وَحَدَّثَنِي زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالَ إِسْحَاقُ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ، عَنْ أَبِي أَسْمَاءَ الرَّحَبِيِّ، عَنْ ثَوْبَانَ، أَنَّ نَبِيَّ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ " إِنَّ اللَّهَ تَعَالَى زَوَى لِيَ الأَرْضَ حَتَّى رَأَيْتُ مَشَارِقَهَا وَمَغَارِبَهَا وَأَعْطَانِي الْكَنْزَيْنِ الأَحْمَرَ وَالأَبْيَضَ " . ثُمَّ ذَكَرَ نَحْوَ حَدِيثِ أَيُّوبَ عَنْ أَبِي قِلاَبَةَ .
Thauban reported that Allah's Messenger (ﷺ) said. Verily, Allah drew the ends of the world near me until I saw its east and west, and He bestowed upon me two treasures, the red and the white. The rest of the hadith is the same.
পরিচ্ছেদঃ ৫৭: অল্পে তুষ্টি, চাওয়া হতে দূরে থাকা এবং মিতাচারিতা ও মিতব্যয়িতার মাহাত্ম্য এবং অপ্রয়োজনে চাওয়ার নিন্দাবাদ
১৪/৫৪০। সাওবান রাদিয়াল্লাহু ’আনহু বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যে ব্যক্তি আমার জন্য এ কথার জামিন হবে যে, সে লোকদের নিকট কোন কিছু চাইবে না, আমি তার জন্য জান্নাতের জামিন হব।’’ আমি বললাম, ’আমি (এর জামিন)।’ সুতরাং সাওবান কারো নিকট কোন কিছু চাইতেন না। (আবূ দাউদ, বিশুদ্ধ সূত্রে) [1]
بَابُ الْقَنَاعَةِ وَالْعَفَافِ وَالْاِقْتِصَادِفِي الْمَعِيْشَةِ إِنْفَاقِ وَذَمِّ السُّؤَالِ مِنْ غَيْرِ ضَرُوْرَةٍ - (57)
وَعَن ثَوبَانَ رضي الله عنه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم: «مَنْ تَكَفَّلَ لِي أنْ لاَ يَسْأَلَ النَّاسَ شَيْئاً، وَأتَكَفَّلُ لَهُ بِالْجَنَّةِ ؟ » فَقُلتُ: أنَا، فَكَانَ لاَ يَسْأَلُ أحَداً شَيْئاً . رواه أَبُو داود بإسناد صحيح
(57) Chapter: Contentment and Self-esteem and avoidance of unnecessary begging of People
Thauban (May Allah be pleased with him) reported:
Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who guarantees me that he will not beg anything from anyone, I will guarantee him (to enter) Jannah." I said, "I give you the guarantee." Then Thauban (May Allah be pleased with him) never begged anything from anyone.
[Abu Dawud].
Commentary: Not to seek any kind of aid from anybody means that a request should not be made as such without need. Because in the hour of need a man is permitted by the Shari`ah to request somebody to meet his requirement. Yet, if on such occasions he still avoids begging of anybody, it will reflect a very high point of his scrupulous uprightness. Later Thauban (May Allah be pleased with him) adopted this way. Ibn Majah says in his Sunan that if from the horseback his whip fell on the ground, instead of seeking the help of anybody he would himself get down and pick it up.
পরিচ্ছেদঃ ১৪৪: রোগীকে সাক্ষাৎ করে জিজ্ঞাসাবাদ করার মাহাত্ম্য
৫/৯০৩। সওবান রাদিয়াল্লাহু ’আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’কোন মুসলিম যখন তার অন্য কোন মুসলিম ভাইয়ের রোগ জিজ্ঞাসা করতে যায়, সে না ফিরা পর্যন্ত জান্নাতের ’খুরফার’ মধ্যে সর্বদা অবস্থান করে।’’ জিজ্ঞাসা করা হল, ’হে আল্লাহর রাসূল! খুরফাহ কী?’ তিনি বললেন, ’’জান্নাতের ফল-পাড়া।’’ (মুসলিম) [1]
(144) بَابُ عِيَادَةِ الْمَرِيْضِ
وَعَنْ ثَوبَانَ رضي الله عنه، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: « إنَّ المُسْلِمَ إِذَا عَادَ أخَاهُ المُسْلِمَ، لَمْ يَزَلْ في خُرْفَةِ الْجَنَّةِ حَتَّى يَرْجِعَ ». قِيلَ: يَا رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، وَمَا خُرْفَةُ الجَنَّةِ ؟ قَالَ: « جَنَاهَا ». رواه مسلم
(144) Chapter: Visiting the Sick
Thauban (May Allah be pleased with him) reported:
The Prophet (ﷺ) said, "He who visits his brother in Faith, will remain engaged in picking the fresh fruits from the garden of Jannah till he returns."
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ২৪৪: যিকির তথা আল্লাহকে স্মরণ করার ফযীলত ও তার প্রতি উৎসাহ দান
৮/১৪২৩। সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন নামায থেকে সালাম ফিরার পর ঘুরে বসতেন, তখন তিনবার ’ইস্তিগফার’ (ক্ষমা প্রার্থনা) করতেন আর পড়তেন, ’আল্লাহুম্মা আন্তাস সালামু অমিনকাস সালামু তাবারাকতা ইয়া যাল-জালালি অল-ইকরাম। অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি শান্তিময়, তোমার নিকট থেকেই শান্তি আসে। তুমি বরকতময় হে মহিমান্বিত ও মহানুভব।
এ হাদিসটির অন্যতম বর্ণনাকারী আওযায়ী (রহঃ)কে প্রশ্ন করা হল, ’ইস্তিগফার’ কিভাবে হবে? উত্তরে তিনি বললেন, বলবে, ’আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।’ (অর্থাৎ আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।) (মুসলিম) [1]
(244) بَابُ فَضْلِ الذِّكْرِ وَالْحَثِّ عَلَيْهِ
وَعَنْ ثَوبَانَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ اسْتَغْفَرَ ثَلاثَاً، وَقَالَ: «اَللهم أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَاذَا الجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ». قِيلَ لِلأَوْزَاعِيِّ - وَهُوَ أَحَدُ رُوَاةِ الحَدِيثِ -: كَيْفَ الاِسْتِغْفَارُ ؟ قَالَ: يَقُولُ: أَسْتَغْفِرُ الله، أَسْتَغْفِرُ الله . رواه مسلم
(244) Chapter: The Excellence of the Remembrance of Allah
Thauban (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) concluded his prayer, he would beg forgiveness from Allah thrice and then would recite: "Allahumma Antas- Salamu, wa minkas-salamu, tabarakta ya Dhal-Jalali wal-Ikram (O Allah, You are the Grantor of security, and security comes from You. You are Blessing, O You Who have majesty and nobility)!" (Imam) Al-Awza'i, one of the narrators of this Hadith, was asked: "How forgiveness is to be sought?" He answered: "The Messenger of Allah (ﷺ) used to say: 'Astaghfirullah! Astaghfirullah! (I beseech Allah for forgiveness, I beseech Allah for forgiveness)'."
[Muslim].
পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য
৮/১৮৮৫। সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযান্তে সালাম ফিরে তিনবার ইস্তিগফার করে এই দো’আ পড়তেন, ’আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্কাস সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।’
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি শান্তি [সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র] এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব!
এ হাদিসের অন্যতম বর্ণনাকারী ইমাম আওযায়ীকে প্রশ্ন করা হল, ইস্তিগফার কিভাবে হবে? তিনি বললেন, ’বলবে, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।’ [আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।] (মুসলিম)[1]
(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ
وَعَنْ ثَوبَانَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ، اسْتَغْفَرَ اللهَ ثَلاَثاً وَقَالَ: «اَللهم أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَاذَا الجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ» قِيلَ لِلأَوْزَاعِيِّ ـ وَهُوَ أَحَدُ رُوَاتِهِ - : كَيفَ الاِسْتِغْفَارُ ؟ قَالَ: يَقُولُ : أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ . رواه مسلم
(371) Chapter: Seeking Forgiveness
Thauban (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) finished his Salat (prayer), he would beg forgiveness three times [by saying, 'Astaghfirullah' (3 times)] and then he would say: "Allahumma Antas-Salamu, wa minkas-Salamu, tabarakta ya Dhal-Jalali wal-Ikram. (O Allah! You are the Bestower of security and security comes from You; Blessed are You. O Possessor of glory and honour)." Imam Al-Auza'i (one of the subnarrators) of this Hadith was asked: "How forgiveness should be sought?" He replied: "I say: Astaghfirullah, Astaghfirullah (I seek forgiveness from Allah. I seek forgiveness from Allah)."
[Muslim].
Commentary: This Du`a' was a Sunnah of the Prophet (PBUH), and it is highly recommended to recite it after Salat.
পরিচ্ছেদঃ ৪৩. মলমূত্রের বেগ থাকা অবস্থায় নামায আদায় করা যায় কি?
৯০. মুহাম্মাদ ইবনু ঈসা ..... ছাওবান (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তিনটি কাজ কারও জন্য বৈধ নয়; (১) যে ব্যক্তি কোন কাওমের ইমামতি করে এবং সে তাদেরকে বাদ দিয়ে কেবল নিজের জন্য দুআ করে। যদি কেউ এরূপ করে তবে সে নিশ্চয়ই তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। ২) কেউ যেন পূর্ব অনুমতি ব্যতিরেকে কোন ঘরের অভ্যন্তরে (দৃষ্টি) নিক্ষেপ না করে। যদি কেউ এরূপ করে, তবে যেন সে বিনা অনুমতিতে অন্যের ঘরে প্রবেশ করার মত অপরাধ করল। (৩) মলমুত্রের বেগ চেপে রেখে তা ত্যাগ না করার পূর্ব পর্যন্ত কেউ যেন নামায না পড়ে। (তিরমিযী, ইবনু মাজাহ)।
باب أَيُصَلِّي الرَّجُلُ وَهُوَ حَاقِنٌ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عِيسَى، حَدَّثَنَا ابْنُ عَيَّاشٍ، عَنْ حَبِيبِ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ شُرَيْحٍ الْحَضْرَمِيِّ، عَنْ أَبِي حَىٍّ الْمُؤَذِّنِ، عَنْ ثَوْبَانَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " ثَلاَثٌ لاَ يَحِلُّ لأَحَدٍ أَنْ يَفْعَلَهُنَّ لاَ يَؤُمُّ رَجُلٌ قَوْمًا فَيَخُصُّ نَفْسَهُ بِالدُّعَاءِ دُونَهُمْ فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ خَانَهُمْ وَلاَ يَنْظُرُ فِي قَعْرِ بَيْتٍ قَبْلَ أَنْ يَسْتَأْذِنَ فَإِنْ فَعَلَ فَقَدْ دَخَلَ وَلاَ يُصَلِّي وَهُوَ حَقِنٌ حَتَّى يَتَخَفَّفَ " .
حكم : ضعيف (الألباني
Narrated Thawban:
The Messenger of Allah (ﷺ) said: Three things one is not allowed to do: supplicating Allah specifically for himself and ignoring others while leading people in prayer; if he did so, he deceived them; looking inside a house before taking permission: if he did so, it is as if he entered the house, saying prayer while one is feeling the call of nature until one eases oneself.
Grade : Da'if (Al-Albani)