রিয়াযুস স্বা-লিহীন (রিয়াদুস সালেহীন) ১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) - The Book of Forgiveness
১৮৭৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿وَاسْتَغْفِرْ لِذَنْبِكَ وَلِلْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ﴾ [محمد : ١٩]

অর্থাৎ তুমি ক্ষমা-প্রার্থনা কর তোমার এবং মুমিন নর-নারীদের ত্রুটির জন্য। (সূরা মুহাম্মাদ ১৯ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿وَاسْتَغْفِرِ اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ كَانَ غَفُورًا رَحِيمًا﴾ [النساء : ١٠٦]

অর্থাৎ আল্লাহর কাছে তুমি ক্ষমা প্রার্থনা কর, নিশ্চয় আল্লাহ চরম ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা নিসা ১০৬ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেছেন,

﴿فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا﴾ [النصر: ٣]

অর্থাৎ সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ঘোষণা কর এবং তাঁর সমীপে ক্ষমা প্রার্থনা কর। নিশ্চয় তিনি অধিক তাওবা গ্রহণকারী। (সূরা নাসর ৩ আয়াত)

তিনি অন্যত্র বলেছেন,

﴿لِلَّذِينَ اتَّقَوْا عِنْدَ رَبِّهِمْ جَنَّاتٌ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَأَزْوَاجٌ مُطَهَّرَةٌ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ ۗ وَاللَّهُ بَصِيرٌ بِالْعِبَادِ ١٥ الَّذِينَ يَقُولُونَ رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ ١٦ الصَّابِرِينَ وَالصَّادِقِينَ وَالْقَانِتِينَ وَالْمُنْفِقِينَ وَالْمُسْتَغْفِرِينَ بِالْأَسْحَارِ ١٧ ﴾ [ال عمران: ١٥، ١٧]

অর্থাৎ যারা সাবধান [পরহেজগার] হয়ে চলে তাদের জন্য রয়েছে উদ্যানসমূহ যার পাদদেশে নদী প্রবাহিত, সেখানে তারা চিরস্থায়ী হবে, তাদের জন্য পবিত্র সঙ্গিনী এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি রয়েছে। বস্তুতঃ আল্লাহ তার দাসদের সম্বন্ধে সম্যক অবহিত। যারা বলে, ’হে আমাদের প্রতিপালক! নিশ্চয় আমরা বিশ্বাস করেছি; অতএব আমাদের অপরাধসমূহ ক্ষমা কর এবং দোযখের শাস্তি থেকে আমাদেরকে রক্ষা কর।’ যারা ধৈর্যশীল, সত্যবাদী, অনুগত, দানশীল এবং রাত্রির শেষাংশে ক্ষমা-প্রার্থী। (সূরা আলে ইমরান ১৫-১৭ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿وَمَنْ يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللَّهَ يَجِدِ اللَّهَ غَفُورًا رَحِيمًا﴾ [النساء : ١١٠]

অর্থাৎ আর যে কেউ মন্দ কার্য করে অথবা নিজের প্রতি জুলুম করে, কিন্তু পরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়, সে আল্লাহকে অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু-রূপে পাবে। (সূরা নিসা ১১০ আয়াত)

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿وَمَا كَانَ اللَّهُ لِيُعَذِّبَهُمْ وَأَنْتَ فِيهِمْ ۚ وَمَا كَانَ اللَّهُ مُعَذِّبَهُمْ وَهُمْ يَسْتَغْفِرُونَ﴾ [الانفال: ٣٣]

অর্থাৎ আল্লাহ এরূপ নন যে, তুমি তাদের মধ্যে থাকা অবস্থায় তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন এবং তিনি এরূপ নন যে, তাদের ক্ষমা প্রার্থনা করা অবস্থায় তিনি তাদেরকে শাস্তি দেবেন। (সূরা আনফাল ৩৩ আয়াত)

তিনি আরও বলেছেন,

﴿وَالَّذِينَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ وَمَنْ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا اللَّهُ وَلَمْ يُصِرُّوا عَلَىٰ مَا فَعَلُوا وَهُمْ يَعْلَمُونَ﴾ [ال عمران: ١٣٥]

অর্থাৎ যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেললে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করলে আল্লাহকে স্মরণ করে এবং নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। আর আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করতে পারে? এবং তারা যা [অপরাধ] করে ফেলে তাতে জেনে-শুনে অটল থাকে না। (সূরা আলে ইমরান ১৩৫ আয়াত)

এ প্রসঙ্গে আরও বিদিত বহু আয়াতসমূহ রয়েছে।


১/১৮৭৮। আগার্র মুযানী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’আমার অন্তর আল্লাহর স্মরণ থেকে নিমেষভর বাধাপ্রাপ্ত হয়। সেহেতু আমি দিনে একশত বার আল্লাহর নিকট ক্ষমা ভিক্ষা চাই।’’ (মুসলিম) [1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ الأَغَرِّ المُزَنِيِّ رضي الله عنه : أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي، وَإِنِّي لأَسْتَغفِرُ اللهَ فِي اليَوْمِ مِئَةَ مَرَّةٍ» . رواه مسلم

وعن الاغر المزني رضي الله عنه : ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «انه ليغان على قلبي، واني لاستغفر الله في اليوم مىة مرة» . رواه مسلم

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Allah, the Exalted, says:
"And ask forgiveness for your sin...'' (47:19)

"And seek the forgiveness of Allah. Certainly, Allah is Ever Oft-Forgiving, Most Merciful.'' (4:106)

"And declare the freedom of your Rubb from imperfection beginning with His praise, and ask His forgiveness. Verily, He is the One Who accepts the repentance and Who forgives.'' (110:3)

"For Al-Muttaqun (the pious) there are Gardens (Jannah) with their Rubb, underneath which rivers flow. Therein (is their) eternal (home) and Azwajun Mutahharatun (purified mates or wives). And Allah will be pleased with them. And Allah is All-Seer of the (His) slaves. Those who say: `Our Rubb! We have indeed believed, so forgive us our sins and save us from the punishment of the Fire. (They are) those who are patient, those who are true (in Faith, words, and deeds), and obedient with sincere devotion in worship to Allah. Those who spend (give the Zakat and alms in the way of Allah) and those who pray and beg Allah's Pardon in the last hours of the night.'' (3:15-17)

"And whoever does evil or wrongs himself but afterwards seeks Allah's forgiveness, he will find Allah OftForgiving, Most Merciful.'' (4:110)

"And Allah would not punish them while you (Muhammad (PBUH)) are amongst them, nor will He punish them while they seek (Allah's) forgiveness.'' (8:33)

"And those who, when they have committed Fahishah (illegal sexual intercourse) or wronged themselves with evil, remember Allah and ask forgiveness for their sins; - and none can forgive sins but Allah - and do not persist in what (wrong) they have done, while they know.'' (3:135)

The Qur'anic Ayat on the subject are many and well-known.


Al-Agharr Al-Muzani (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Sometimes I perceive a veil over my heart, and I supplicate Allah for forgiveness a hundred times in a day."

[Muslim].

Commentary: Ghain and Ghaim are two synonyms. They signify the spreading of the clouds. It refers in this Hadith to the fact that the Prophet (PBUH) was reciting the Names of Allah and remembering Him all the time. But sometimes due to being too busy in the affairs of the public or due to human needs, there was a pause in this eternal remembrance. Although such a pause was only momentary, this momentary pause was very much disliked by him; and considering it a slackness on his part, he prayed for forgiveness from Allah. In this there is an important lesson for us.

In spite of our many sins and negligence on our part, we do not turn to Allah and seek forgiveness; while, although our Prophet (PBUH) had all his past and future sins forgiven by Allah, he sought forgiveness very often.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আগার আল-মুযানী (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৭৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

২/১৮৭৯। আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, ’’আল্লাহর শপথ! আমি প্রত্যহ আল্লাহর কাছে সত্তর বারেরও বেশি ইস্তিগফার [ক্ষমাপ্রার্থনা] ও তওবা করে থাকি।’’ (বুখারী) [1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم، يَقُولُ : «وَاللهِ إِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأتُوبُ إِلَيْهِ فِي اليَومِ أَكْثَرَ مِنْ سَبْعِينَ مَرَّةً». رواه البخاري

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم، يقول : «والله اني لاستغفر الله واتوب اليه في اليوم اكثر من سبعين مرة». رواه البخاري

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "I swear by Allah that I seek Allah's Pardon and turn to Him in repentance more than seventy times a day."

[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮০

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৩/১৮৮০। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন আছে! যদি তোমরা পাপ না কর, তাহলে আল্লাহ তা’আলা তোমাদেরকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়ে [তোমাদের পরিবর্তে] এমন এক জাতি আনয়ন করবেন, যারা পাপ করবে এবং আল্লাহ তা’আলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনাও করবে। আর আল্লাহ তাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন।’’ (মুসলিম) [1]


* [এ হাদিস দ্বারা পাপ করার পর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করার গুরুত্ব ব্যক্ত করা হয়েছে। পাপ করার জন্য উৎসাহ দেওয়া হয়নি। কেননা, মানুষ মাত্রই ভুলে জড়িত। তাই ভুলে জড়িত হয়ে পড়লে আবশ্যিক-রূপে ক্ষমা চাওয়া কর্তব্য।]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْه رضي الله عنه قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْ لَمْ تُذْنِبُوا، لَذَهَبَ اللهُ تَعَالَى بِكُمْ، وَلَجَاءَ بِقَومٍ يُذْنِبُونَ، فَيَسْتَغْفِرُونَ اللهَ تَعَالَى، فَيَغْفِرُ لَهُمْ». رواه مسلم

وعنه رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «والذي نفسي بيده لو لم تذنبوا، لذهب الله تعالى بكم، ولجاء بقوم يذنبون، فيستغفرون الله تعالى، فيغفر لهم». رواه مسلم

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "By the One in Whose Hand my soul is! If you do not commit sins, Allah would replace you with a people who would commit sins and seek forgiveness from Allah; and Allah will certainly forgive them."

[Muslim].

Commentary: This Hadith does not mean that Allah likes disobedience. But by this way of description, the aim is to emphasize the importance of seeking forgiveness from Allah. We know that every man commits sins. But Allah likes those people who, after committing a sin, do not stick to it, but right away seek forgiveness for their sins from Allah. They weep and express sorrow before Allah. By seeking forgiveness, a relationship with Allah is established between man and his Creator. So seeking forgiveness is a very good act.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮১

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৪/১৮৮১। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একই মজলিসে বসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর [এই ইস্তিগফারটি] পাঠ করা অবস্থায় একশো বার পর্যন্ত গুনতাম,

’রাব্বিগফির লী অতুব আলাইয়্যা, ইন্নাকা আন্তাত তাউওয়াবুর রাহীম।’

অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! আমাকে ক্ষমা কর, আমার তওবা কবুল কর, নিশ্চয় তুমি অতিশয় তওবাহ কবূলকারী দয়াবান। [আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাসান সহীহ গারীব][1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا، قَالَ: كُنَّا نَعُدُّ لِرَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي المَجْلِسِ الوَاحِدِ مِئَةَ مَرَّةٍ : «رَبِّ اغْفِرْ لِي وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ أَنْتَ التَّوَّابُ الرَّحِيمُ» . رواه أبو داود والترمذي، وقال :[حديث حسن صحيح غريب ]

وعن ابن عمر رضي الله عنهما، قال: كنا نعد لرسول الله صلى الله عليه وسلم في المجلس الواحد مىة مرة : «رب اغفر لي وتب علي انك انت التواب الرحيم» . رواه ابو داود والترمذي، وقال :[حديث حسن صحيح غريب ]

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) said:
We counted Messenger's saying a hundred times during one single sitting: Rabb- ighfir li, wa tubb 'alayya, innaka Antat-Tawwabur-Rahim. (My Rubb! Forgive me and pardon me. Indeed, You are the Oft-Returning with compassion and Ever Merciful."

[Abu Dawud and At- Tirmidhi].


Commentary: This Hadith tells us about the etiquette of praying to Allah. We should use the Names of Allah befitting our prayers, i.e., the Names of Allah signifying those Attributes of Allah which have a special concern with the subject of our particular prayer, i.e., while seeking forgiveness, His Names concerning His Attributes of forgiveness and kindness should be used. On the other hand, while praying for worldly matters, we should mention His Qualities of charity and bestowing gifts etc.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮২

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৫/১৮৮২। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত আছে। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে লোক সবসময় গুনাহ মাফ চাইতে থাকে [আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে থাকে] আল্লাহ তাকে প্রতিটি সংকীর্ণতা অথবা কষ্টকর অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দেন, প্রতিটি দুশ্চিন্তা থেকে তাকে মুক্ত করেন এবং তিনি তাকে এমন সব উৎস থেকে রিযক দেন যা সে কল্পনাও করতে পারে না। [আবূ দাঊদ][1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وعنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رضِي اللهُ عنْهُما قَال : قالَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم: «منْ لَزِم الاسْتِغْفَار، جعل اللَّه لَهُ مِنْ كُلِّ ضِيقٍ مخْرجاً، ومنْ كُلِّ هَمٍّ فَرجاً، وَرَزَقَهُ مِنْ حيْثُ لا يَحْتَسِبُ» رواه أبو داود

وعن ابن عباس رضي الله عنهما قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من لزم الاستغفار، جعل الله له من كل ضيق مخرجا، ومن كل هم فرجا، ورزقه من حيث لا يحتسب» رواه ابو داود

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Ibn 'Abbas (May Allah be pleased with them) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "If anyone constantly seeks pardon (from Allah), Allah will appoint for him a way out of every distress and a relief from every anxiety, and will provide sustenance for him from where he expects not."

[Abu Dawud].

Commentary: The chain of this narration is weak. Refer to `The Book of Weak Narrations' by Al-Albani, Vol. I, page 142, No.705.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৬/১৮৮৩। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’যে ব্যক্তি এ দো’আ পড়বে,

’আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যূমু অ আতূবু ইলাইহ্।’

অর্থাৎ আমি সেই আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি যিনি ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব, অবিনশ্বর। এবং আমি তাঁর কাছে তওবা করছি।

সে ব্যক্তির পাপরাশি মার্জনা করা হবে; যদিও সে রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়ে [যাওয়ার পাপ করে] থাকে।’’ [আবূ দাঊদ, তিরমিযী, হাকেম; ইনি বলেন, হাদিসটি বুখারী-মুসলিমের শর্তাধীনে বিশুদ্ধ] [1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «مَنْ قَالَ: أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِي لاَ إِلٰهَ إِلاَّ هُوَ الحَيُّ القَيُومُ وَأتُوبُ إِلَيهِ، غُفِرَتْ ذُنُوبُهُ، وَإِنْ كانَ قَدْ فَرَّ مِنَ الزَّحْفِ» . رواه أبو داود والترمذي والحاكم، وقال :[ حديث صحيح على شرط البخاري ومسلم ]

وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «من قال: استغفر الله الذي لا اله الا هو الحي القيوم واتوب اليه، غفرت ذنوبه، وان كان قد فر من الزحف» . رواه ابو داود والترمذي والحاكم، وقال :[ حديث صحيح على شرط البخاري ومسلم ]

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Ibn Mas'ud (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "He who says: 'Astaghfir ullah-alladhi la ilaha illa Huwal-Haiyul-Qayyumu, wa atubu ilaihi (I seek the forgiveness of Allah, there is no true god except Allah, the Ever-Living, the Self- Subsisting, and I turn to Him in repentance),' his sins will be forgiven even if he should have run away from the battlefield (while he was engaged in fighting for the Cause of Allah)."

[Abu Dawud, At-Tirmidhi and Al-Hakim (on conditions of Al-Bukhari and Muslim for accepting Hadith)].


Commentary: When we say that this narration fulfills the conditions of Al-Bukhari and Muslim; it means that its narrators are the narrators of Al-Bukhari and Muslim. Secondly, in this selection those conditions have also been kept in view, which are the landmark of Al-Bukhari and Muslim.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৭/১৮৮৪। শাদ্দাদ ইবনে আউস রাদিয়াল্লাহু আনহুকর্তৃক বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’সায়্যিদুল ইস্তিগফার [শ্রেষ্ঠতম ক্ষমা প্রার্থনার দো’আ] হল বান্দার এই বলা যে,

’আল্লা-হুম্মা আন্তা রাববী লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা খালাক্বতানী, অ আনা আব্দুকা অ আনা আলা আহদিকা অ অ’দিকা মাসতাত্বা’তু, আঊযুবিকা মিন শার্রি মা স্বানা’তু, আবূউ লাকা বিনি’মাতিকা আলাইয়্যা অ আবূউ বিযামবী ফাগফিরলী ফাইন্নাহু লা ইয়্যাগফিরুয যুনূবা ইল্লা আন্ত্।’

অর্থ- হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো সত্য উপাস্য নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ, আমি তোমার দাস। আমি তোমার প্রতিশ্রুতি ও অঙ্গীকারের উপর যথাসাধ্য প্রতিষ্ঠিত আছি। আমি যা করেছি তার মন্দ থেকে তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি। আমার উপর তোমার যে সম্পদ রয়েছে তা আমি স্বীকার করছি এবং আমার অপরাধও আমি স্বীকার করছি। সুতরাং তুমি আমাকে মার্জনা করে দাও, যেহেতু তুমি ছাড়া আর কেউ পাপ মার্জনা করতে পারে না।

যে ব্যক্তি দিনে [সকাল] বেলায় দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এ দুআটি পড়বে অতঃপর সে সেই দিনে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি রাতে [সন্ধ্যায়] এ দুআটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে অতঃপর সে সেই রাতে ভোর হওয়ার পূর্বেই মারা যাবে, তাহলে সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ (বুখারী) [1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ شَدَّادِ بْنِ أَوسٍ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «سَيِّدُ الاِسْتِغْفَارِ أَنْ يَقُولَ العَبْدُ : اَللهم أَنْتَ رَبِّي لاَ إِلٰهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأبُوءُ بِذَنْبِي، فَاغْفِرْ لِي، فَإِنَّهُ لاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ . مَنْ قَالَهَا مِنَ النَّهَارِ مُوقِناً بِهَا، فَمَاتَ مِنْ يَوْمِهِ قَبْلَ أَنْ يُمْسِي، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ، وَمَنْ قَالَهَا مِنَ اللَّيْلِ، وَهُوَ مُوقِنٌ بِهَا، فَمَاتَ قَبْلَ أَنْ يُصْبِحَ، فَهُوَ مِنْ أَهْلِ الجَنَّةِ» . رواه البخاري

وعن شداد بن اوس رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «سيد الاستغفار ان يقول العبد : اللهم انت ربي لا اله الا انت خلقتني وانا عبدك، وانا على عهدك ووعدك ما استطعت، اعوذ بك من شر ما صنعت، ابوء لك بنعمتك علي، وابوء بذنبي، فاغفر لي، فانه لا يغفر الذنوب الا انت . من قالها من النهار موقنا بها، فمات من يومه قبل ان يمسي، فهو من اهل الجنة، ومن قالها من الليل، وهو موقن بها، فمات قبل ان يصبح، فهو من اهل الجنة» . رواه البخاري

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Shaddad bin Aus (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "The best supplication for seeking forgiveness (Syed-ul- Istighfar) is to say: 'Allahumma Anta Rabbi, la ilaha illa Anta, khalaqtani wa ana 'abduka, wa ana 'ala 'ahdika wa wa'dika mastata'tu, a'udhu bika min sharri ma sana'tu, abu'u laka bini'matika 'alayya, wa abu'u bidhanbi faghfir li, fa innahu la yaghfirudh-dhunuba illa Anta. (O Allah! You are my Rubb. There is no true god except You. You have created me, and I am Your slave, and I hold to Your Covenant as far as I can. I seek refuge in You from the evil of what I have done. I acknowledge the favours that You have bestowed upon me, and I confess my sins. Pardon me, for none but You has the power to pardon).' He who supplicates in these terms during the day with firm belief in it and dies on the same day (before the evening), he will be one of the dwellers of Jannah; and if anyone supplicates in these terms during the night with firm belief in it and dies before the morning, he will be one of the dwellers of Jannah."

[Al-Bukhari].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৮/১৮৮৫। সাওবান রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নামাযান্তে সালাম ফিরে তিনবার ইস্তিগফার করে এই দো’আ পড়তেন, ’আল্লা-হুম্মা আন্তাস সালা-মু অমিন্কাস সালা-ম, তাবা-রাকতা ইয়া যাল জালা-লি অল ইকরা-ম।’

অর্থাৎ হে আল্লাহ! তুমি শান্তি [সকল ত্রুটি থেকে পবিত্র] এবং তোমার নিকট থেকেই শান্তি। তুমি বরকতময় হে মহিমময়, মহানুভব!

এ হাদিসের অন্যতম বর্ণনাকারী ইমাম আওযায়ীকে প্রশ্ন করা হল, ইস্তিগফার কিভাবে হবে? তিনি বললেন, ’বলবে, আস্তাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ।’ [আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।] (মুসলিম)[1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ ثَوبَانَ رضي الله عنه قَالَ: كَانَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا انْصَرَفَ مِنْ صَلاَتِهِ، اسْتَغْفَرَ اللهَ ثَلاَثاً وَقَالَ: «اَللهم أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَاذَا الجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ» قِيلَ لِلأَوْزَاعِيِّ ـ وَهُوَ أَحَدُ رُوَاتِهِ - : كَيفَ الاِسْتِغْفَارُ ؟ قَالَ: يَقُولُ : أَسْتَغْفِرُ اللهَ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ . رواه مسلم

وعن ثوبان رضي الله عنه قال: كان رسول الله صلى الله عليه وسلم اذا انصرف من صلاته، استغفر الله ثلاثا وقال: «اللهم انت السلام، ومنك السلام، تباركت ياذا الجلال والاكرام» قيل للاوزاعي ـ وهو احد رواته - : كيف الاستغفار ؟ قال: يقول : استغفر الله، استغفر الله . رواه مسلم

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Thauban (May Allah be pleased with him) reported:
Whenever the Messenger of Allah (ﷺ) finished his Salat (prayer), he would beg forgiveness three times [by saying, 'Astaghfirullah' (3 times)] and then he would say: "Allahumma Antas-Salamu, wa minkas-Salamu, tabarakta ya Dhal-Jalali wal-Ikram. (O Allah! You are the Bestower of security and security comes from You; Blessed are You. O Possessor of glory and honour)." Imam Al-Auza'i (one of the subnarrators) of this Hadith was asked: "How forgiveness should be sought?" He replied: "I say: Astaghfirullah, Astaghfirullah (I seek forgiveness from Allah. I seek forgiveness from Allah)."

[Muslim].


Commentary: This Du`a' was a Sunnah of the Prophet (PBUH), and it is highly recommended to recite it after Salat.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ সাওবান (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

৯/১৮৮৬। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর আগে এই দুআটি অধিকমাত্রায় পড়তেন,

’সুবহানাল্লাহি অবিহামদিহী, আস্তাগফিরুল্লাহা অআতূবু ইলাইহ্।’

অর্থাৎ আল্লাহর প্রশংসাসহ তাঁর পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর নিকট তওবাহ করছি। (মুসলিম)

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : كَانَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم يُكْثِرُ أَنْ يَقُولَ قَبْلَ مَوْتِهِ : «سُبْحَانَ اللهِ وَبِحَمْدِهِ، أَسْتَغفِرُ اللهَ، وَأَتُوبُ إِلَيْهِ». متفق عليه

وعن عاىشة رضي الله عنها، قالت : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يكثر ان يقول قبل موته : «سبحان الله وبحمده، استغفر الله، واتوب اليه». متفق عليه

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


'Aishah (May Allah be pleased with her) reported:
Prior to his demise, the Messenger of Allah (ﷺ) used to supplicate frequently: Subhan Allahi wa bihamdihi; Astaghfirullaha wa atubu ilaihi (Allah is free from imperfection, and I begin with praising Him. I beg forgiveness from Allah and I turn to Him in repentance."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: In general, asking of forgiveness all the time is necessary and commendable. But during the old age and the last days of one's life it is particularly very essential. In this way, the Sunnah of the Prophet (PBUH) would also be followed.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

১০/১৮৮৭। আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, আল্লাহ তা’আলা বলেন, ’’হে আদম সন্তান! যখন তুমি আমাকে ডাকবে ও আমার ক্ষমার আশা রাখবে, আমি তোমাকে ক্ষমা করব, তোমার অবস্থা যাই হোক না কেন; আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তোমার গোনাহ যদি আকাশ পর্যন্ত পৌঁছে যায়, অতঃপর তুমি আমার নিকট ক্ষমা চাও, তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করব; আমি কোন পরোয়া করি না। হে আদম সন্তান! তুমি যদি পৃথিবী পরিমাণ পাপ নিয়ে আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ কর; কিন্তু আমার সঙ্গে কাউকে শরীক না করে থাক, তাহলে পৃথিবী পরিমাণ ক্ষমা নিয়ে আমি তোমার নিকট উপস্থিত হব।’’ (তিরমিযী হাসান সূত্রে][1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ : «قَالَ اللهُ تَعَالَى: يَا ابْنَ آدَمَ، إِنَّكَ مَا دَعَوْتَنِي وَرَجَوْتَنِي غَفَرْتُ لَكَ عَلَى مَا كَانَ مِنْكَ وَلاَ أُبَالِي، يَا ابْنَ آدَمَ، لَوْ بَلَغَتْ ذُنُوبُكَ عَنَانَ السَّمَاءِ، ثُمَّ اسْتَغْفَرْتَنِي، غَفَرْتُ لَكَ وَلاَ أُبَالِي، يَا ابْنَ آدَمَ، إِنَّكَ لَوْ أَتَيْتَنِي بِقُرَابِ الأَرْضِ خَطَايَا، ثُمَّ لَقِيتَنِي لاَ تُشْرِكُ بِي شَيْئاً، لأَتَيْتُكَ بِقُرابِهَا مَغْفِرَةً» . رواه الترمذي، وقال :[حديث حسن]

وعن انس رضي الله عنه قال: سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول : «قال الله تعالى: يا ابن ادم، انك ما دعوتني ورجوتني غفرت لك على ما كان منك ولا ابالي، يا ابن ادم، لو بلغت ذنوبك عنان السماء، ثم استغفرتني، غفرت لك ولا ابالي، يا ابن ادم، انك لو اتيتني بقراب الارض خطايا، ثم لقيتني لا تشرك بي شيىا، لاتيتك بقرابها مغفرة» . رواه الترمذي، وقال :[حديث حسن]

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Anas (May Allah be pleased with him) said:
I heard the Messenger of Allah (ﷺ) saying, "Allah, the Exalted, has said: 'O son of Adam! I shall go on forgiving you so long as you pray to Me and aspire for My forgiveness whatever may be your sins. O son of Adam! I do not care even if your sins should pile up to the sky and should you beg pardon of Me, I would forgive you. O son of Adam! If you come to Me with an earthful of sins and meet Me, not associating anything with Me in worship, I will certainly grant you as much pardon as will fill the earth."'

[At-Tirmidhi].

Commentary: In this narration, there is good news for the sinners who do not stick to sins but rather repent and ask forgiveness from Allah. However numerous their sins may be, Allah will forgive all their sins. But there is a condition which they should fulfill, namely that they do not persist in what wrong they have done (3:135), as with persistence and repeatedly committing the sin, the act of seeking forgiveness becomes a futile act.


হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৮

পরিচ্ছেদঃ ৩৭১ : ক্ষমা প্রার্থনা করার আদেশ ও তার মাহাত্ম্য

১১/১৮৮৮। ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম [মহিলাদেরকে সম্বোধন করে] বললেন, ’’হে মহিলা সকল! তোমরা সাদকাহ-খয়রাত করতে থাক ও অধিকমাত্রায় ইস্তিগফার কর। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম।’’ একজন মহিলা নিবেদন করল, ’আমাদের অধিকাংশ জাহান্নামী হওয়ার কারণ কি? হে আল্লাহর রসূল!’ তিনি বললেন, ’’তোমরা অভিশাপ বেশি কর এবং নিজ স্বামীর অকৃতজ্ঞতা কর। বুদ্ধি ও ধর্মে অপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বিচক্ষণ ব্যক্তির উপর তোমাদের চাইতে আর কাউকে বেশি প্রভাব খাটাতে দেখিনি।’’ মহিলাটি আবার নিবেদন করল, ’বুদ্ধি ও ধর্মের ক্ষেত্রে অপূর্ণতা কি?’ তিনি বললেন, ’’দু’জন নারীর সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্য সমতুল্য। আর [প্রসবোত্তর খুন ও মাসিক আসার] দিনগুলিতে মহিলা নামায পড়া বন্ধ রাখে।’’ (মুসলিম) [1]

(371) بَابُ الْاَمْرِ بِالْاِسْتِغْفَارِ وَفَضْلِهِ

وَعَنِ ابنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «يَا مَعْشَرَ النِّسَاءِ تَصَدَّقْنَ، وَأَكْثِرْنَ مِنَ الاِسْتِغْفَارِ ؛ فَإِنِّي رَأَيْتُكُنَّ أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ». قَالَتِ امْرَأَةٌ مِنْهُنَّ : مَا لَنَا أَكْثَرَ أَهْلِ النَّارِ ؟ قَالَ: «تُكْثِرْنَ اللَّعْنَ، وَتَكْفُرْنَ العَشِيرَ، مَا رَأَيْتُ مِنْ نَاقِصَاتِ عَقْلٍ وَدِينٍ أَغْلَبَ لِذِيْ لُبٍّ مِنْكُنَّ». قَالَتْ: مَا نُقْصَانُ العَقْلِ وَالدِّينِ ؟ قَالَ: «شَهَادَةُ امْرَأتَيْنِ بِشَهَادَةِ رَجُلٍ، وَتَمْكُثُ الأَيَّامَ لاَ تُصَلِّي». رواه مسلم

وعن ابن عمر رضي الله عنهما : ان النبي صلى الله عليه وسلم، قال: «يا معشر النساء تصدقن، واكثرن من الاستغفار ؛ فاني رايتكن اكثر اهل النار». قالت امراة منهن : ما لنا اكثر اهل النار ؟ قال: «تكثرن اللعن، وتكفرن العشير، ما رايت من ناقصات عقل ودين اغلب لذي لب منكن». قالت: ما نقصان العقل والدين ؟ قال: «شهادة امراتين بشهادة رجل، وتمكث الايام لا تصلي». رواه مسلم

(371) Chapter: Seeking Forgiveness


Ibn 'Umar (May Allah be pleased with them) said:
The Prophet (ﷺ) said, "O women folk! You should give charity and be diligent in seeking Allah's forgiveness because I have seen (i.e., on the Night of the Ascension to the highest heavens) that dwellers of the Hell are women." A woman amongst them said: "Why is it that the majority of the dwellers of Hell are women?" The Prophet (ﷺ) replied, "You curse frequently and are ungrateful to your husbands. In spite of your lacking in wisdom and failing in religion, you are depriving the wisest of men of their intelligence." Upon this the woman asked: "What is the deficiency in our wisdom and in our religion?" He (ﷺ) replied, "Your lack of wisdom can be well judged from the fact that the evidence of two women is equal to that one man. You do not offer Salat (prayer) for some days and you do not fast (the whole of) Ramadan sometimes, it is a deficiency in religion."

[Muslim].

Commentary:
1. In this narration, certain weaknesses of the female sex have been pointed out, which are natural and pertain to the woman's biology, psychology and embryology.
According to biologists, during and before menstruation, a female's thought process is affected. Similarly, her pulse and blood pressure are also altered. Females are also more prone to hysteria. For these reasons, the Qur'an has declared that when you have to appoint or choose witnesses among women, you should choose two in place of one man. Modern researches have proved this rule to be correct on the basis of biology, psychology and embryology.
Again we know that physically speaking, the female has been named as the weaker sex. For these reasons, females have been excused from earning their livelihood. For earning livelihood, one may have to go out and work hard. Women have been exempted from this duty because of their biological differences and other considerations of Shari`ah. Present-day women who are ignorant of Islam and modern researches are not prepared to accept these scientifically and religiously proved facts. The West claims equality between the sexes. But this equality has not been established so far. Today all the important posts are occupied by males and all the international policies are framed by them alone. Even matters pertaining to women are decided by them. They have mostly relegated them to the posts of workers, secretaries and stenographers for their sexual satisfaction and enjoyment. After a struggle for hundred years, their condition today proves that they are the weaker sex.
So, it is both beneficial and more respectful for her to limit herself to the sphere of action suggested for her by Islam. If she oversteps her sphere, she will certainly lose her female dignity and prestige, as has happened in the West. Her state and condition there is an eyeopener for all.

2. Women should request forgiveness from Allah very often and be generous in charity. They should not show ungratefulness to their husbands and should avoid backbiting and cursing others so that they may save themselves from Hell.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৮৯

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

আল্লাহ তা’আলা বলেন,

﴿ إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ ٤٥ادْخُلُوهَا بِسَلَامٍ آمِنِينَ ٤٦ وَنَزَعْنَا مَا فِي صُدُورِهِمْ مِنْ غِلٍّ إِخْوَانًا عَلَىٰ سُرُرٍ مُتَقَابِلِينَ ٤٧ لَا يَمَسُّهُمْ فِيهَا نَصَبٌ وَمَا هُمْ مِنْهَا بِمُخْرَجِينَ ٤٨ ﴾ [الحجر: ٤٥، ٤٨]

অর্থাৎ নিশ্চয় পরহেযগাররা বাস করবে উদ্যান ও প্রস্রবণসমূহে। [তাদেরকে বলা হবে,] তোমরা শান্তি ও নিরাপত্তার সাথে তাতে প্রবেশ কর। আমি তাদের অন্তরে যে ঈর্ষা থাকবে তা দূর করে দেব; তারা ভ্রাতৃভাবে পরস্পর মুখোমুখি হয়ে আসনে অবস্থান করবে। সেথায় তাদেরকে অবসাদ স্পর্শ করবে না এবং তারা সেথা হতে বহিষ্কৃতও হবে না। (সূরা হিজর ৪৫-৪৮ আয়াত)

তিনি আরও বলেন,

﴿يَا عِبَادِ لَا خَوْفٌ عَلَيْكُمُ الْيَوْمَ وَلَا أَنْتُمْ تَحْزَنُونَ ٦٨ الَّذِينَ آمَنُوا بِآيَاتِنَا وَكَانُوا مُسْلِمِينَ ٦٩ ادْخُلُوا الْجَنَّةَ أَنْتُمْ وَأَزْوَاجُكُمْ تُحْبَرُونَ ٧٠ يُطَافُ عَلَيْهِمْ بِصِحَافٍ مِنْ ذَهَبٍ وَأَكْوَابٍ ۖ وَفِيهَا مَا تَشْتَهِيهِ الْأَنْفُسُ وَتَلَذُّ الْأَعْيُنُ ۖ وَأَنْتُمْ فِيهَا خَالِدُونَ ٧١ وَتِلْكَ الْجَنَّةُ الَّتِي أُورِثْتُمُوهَا بِمَا كُنْتُمْ تَعْمَلُونَ ٧٢ لَكُمْ فِيهَا فَاكِهَةٌ كَثِيرَةٌ مِنْهَا تَأْكُلُونَ ٧٣ ﴾ [الزخرف: ٦٨، ٧٣]

অর্থাৎ হে আমার বান্দাগণ! আজ তোমাদের কোন ভয় নেই এবং তোমরা দুঃখিতও হবে না। যারা আমার আয়াতে বিশ্বাস করেছিলে এবং আত্মসমর্পণকারী (মুসলিম) ছিলে। তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর। স্বর্ণের থালা ও পান পাত্র নিয়ে ওদের মাঝে ফিরানো হবে, সেখানে রয়েছে এমন সমস্ত কিছু, যা মন চায় এবং যাতে নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা চিরকাল থাকবে। এটিই জান্নাত, তোমরা তোমাদের কর্মের ফলস্বরূপ যার অধিকারী হয়েছ। সেখানে তোমাদের জন্য রয়েছে প্রচুর ফলমূল, তা থেকে তোমরা আহার করবে। (সূরা যুখরুফ ৬৮-৭৩ আয়াত)

তিনি অন্য জায়গায় বলেন,

﴿ إِنَّ الْمُتَّقِينَ فِي مَقَامٍ أَمِينٍ ٥١ فِي جَنَّاتٍ وَعُيُونٍ ٥٢يَلْبَسُونَ مِنْ سُنْدُسٍ وَإِسْتَبْرَقٍ مُتَقَابِلِينَ ٥٣ كَذَٰلِكَ وَزَوَّجْنَاهُمْ بِحُورٍ عِينٍ ٥٤ يَدْعُونَ فِيهَا بِكُلِّ فَاكِهَةٍ آمِنِينَ ٥٥ لَا يَذُوقُونَ فِيهَا الْمَوْتَ إِلَّا الْمَوْتَةَ الْأُولَىٰ ۖ وَوَقَاهُمْ عَذَابَ الْجَحِيمِ ٥٦ فَضْلًا مِنْ رَبِّكَ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ ٥٧ ﴾ [الدخان: ٥١، ٥٧]

অর্থাৎ নিশ্চয় সাবধানীরা থাকবে নিরাপদ স্থানে- বাগানসমূহে ও ঝরনারাজিতে, ওরা পরিধান করবে মিহি ও পুরু রেশমী বস্ত্র এবং মুখোমুখি হয়ে বসবে। এরূপই ঘটবে ওদের; আর আয়তলোচনা হুরদের সাথে তাদের বিবাহ দেব। সেখানে তারা নিশ্চিন্তে বিবিধ ফলমূল আনতে বলবে। [ইহকালে] প্রথম মৃত্যুর পর তারা সেখানে আর মৃত্যু আস্বাদন করবে না। আর তিনি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে রক্ষা করবেন। [এ প্রতিদান] তোমার প্রতিপালকের অনুগ্রহসবরূপ। এটিই তো মহা সাফল্য। (সূরা দুখান ৫১-৫৭ আয়াত)

আল্লাহ অন্যত্র বলেছেন,

﴿ إِنَّ الْأَبْرَارَ لَفِي نَعِيمٍ ٢٢ عَلَى الْأَرَائِكِ يَنْظُرُونَ ٢٣ تَعْرِفُ فِي وُجُوهِهِمْ نَضْرَةَ النَّعِيمِ ٢٤ يُسْقَوْنَ مِنْ رَحِيقٍ مَخْتُومٍ ٢٥ خِتَامُهُ مِسْكٌ ۚ وَفِي ذَٰلِكَ فَلْيَتَنَافَسِ الْمُتَنَافِسُونَ ٢٦ وَمِزَاجُهُ مِنْ تَسْنِيمٍ ٢٧ عَيْنًا يَشْرَبُ بِهَا الْمُقَرَّبُونَ ٢٨ ﴾ [المطففين: ٢٢، ٢٨]

অর্থাৎ পুণ্যবানগণ তো থাকবে পরম স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা সুসজ্জিত আসনে বসে দেখতে থাকবে। তুমি তাদের মুখমণ্ডলে স্বাচ্ছন্দ্যের সজীবতা দেখতে পাবে। তাদেরকে মোহর আঁটা বিশুদ্ধ মদিরা হতে পান করানো হবে। এর মোহর হচ্ছে কস্তুরীর। আর তা লাভের জন্যই প্রতিযোগীরা প্রতিযোগিতা করুক। এর মিশ্রণ হবে তাসনীমের [পানির]। এটা একটি প্রস্রবণ, যা হতে নৈকট্য-প্রাপ্ত ব্যক্তিরা পান করবে। (সূরা মুত্বাফিফীন ২২-২৮]

এ মর্মে আরও বহু আয়াত বিদ্যমান।


১/১৮৮৯। জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জান্নাতবাসীরা জান্নাতের মধ্যে পানাহার করবে; কিন্তু পেশাব-পায়খানা করবে না, তারা নাক ঝাড়বে না, পেশাবও করবে না। বরং তাদের ঐ খাবার ঢেকুর ও কস্তুরীবৎ সুগন্ধময় ঘাম [হয়ে দেহ থেকে বের হয়ে যাবে]। তাদের মধ্যে তাসবীহ ও তাকবীর পড়ার স্বয়ংক্রিয় শক্তি প্রক্ষিপ্ত হবে, যেমন শ্বাসক্রিয়ার শক্তি স্বয়ংক্রিয় করা হয়েছে।’’ (মুসলিম) [1]

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْ جَابِرٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «يَأْكُلُ أَهْلُ الجَنَّةِ فِيهَا، وَيَشْرَبُونَ، وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ، وَلاَ يَمْتَخِطُونَ، وَلاَ يَبُولُونَ، وَلكِنْ طَعَامُهُمْ ذَلِكَ جُشَاءٌ كَرَشْحِ المِسْكِ، يُلْهَمُونَ التَّسْبِيحَ وَالتَّكْبِيرَ، كَمَا يُلْهَمُونَ النَّفَسَ» . رواه مسلم

وعن جابر رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «ياكل اهل الجنة فيها، ويشربون، ولا يتغوطون، ولا يمتخطون، ولا يبولون، ولكن طعامهم ذلك جشاء كرشح المسك، يلهمون التسبيح والتكبير، كما يلهمون النفس» . رواه مسلم

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Allah, the Exalted, says:
"Truly, the Muttaqun (the pious and righteous persons) will be amidst Gardens and water-springs (Jannah). (It will be said to them): `Enter therein (Jannah), in peace and security.' And We shall remove from their breasts any deep feeling of bitterness (that they may have). (So they will be like) brothers facing each other on thrones. No sense of fatigue shall touch them, nor shall they (ever) be asked to leave it.'' (15:45-48)

"(It will be said to the believers of Islamic Monotheism): `My slaves! No fear shall be on you this Day, nor shall you grieve. (You) who believed in Our Ayat (proofs, verses, lessons, signs, revelations, etc.) and were Muslims (i.e., who submit totally to Allah's Will, and believe in the Oneness of Allah). Enter Jannah, you and your wives, in happiness.' Trays of gold and cups will be passed round them; (there will be) therein all that inner-selves could desire, and all that eyes could delight in and you will abide therein forever. This is the Jannah which you have been made to inherit because of your deeds which you used to do (in the life of the world). Therein for you will be fruits in plenty, of which you will eat (as you desire).'' (43:68-73)

"Verily, the Muttaqun (the pious), will be in place of security (Jannah). Among Gardens and springs. Dressed in fine silk and (also) in thick silk, facing each other. So (it will be). And We shall marry them to Hur (fair females) with wide, lovely eyes. They will call therein for every kind of fruit in peace and security. They will never taste death therein except the first death (of this world), and He will save them from the torment of the blazing Fire. As a bounty from your Rubb! That will be the supreme success!'' (44:51-57)

"Verily, Al-Abrar (the pious and righteous) will be in Delight (Jannah). On thrones, looking (at all things). You will recognise in their faces the brightness of delight. They will be given to drink of pure sealed wine. The last thereof (that wine) will be the smell of musk, and for this let (all) those strive who want to strive (i.e., hasten earnestly to the obedience of Allah). It (that wine) will be mixed with Tasnim. A spring whereof drink those nearest to Allah.'' (83:22-28)

The Qur'anic Ayat on the subject are many and well-known.


Jabir (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The inhabitants of Jannah will eat and drink therein, but they will not have to pass excrement, to blow their noses or to urinate. Their food will be digested producing belch which will give out a smell like that of musk. They will be inspired to declare the freedom of Allah from imperfection and proclaim His Greatness as easily as you breathe."

[Muslim].

Commentary: Belching the vapours of musk means that after meals one would not feel heaviness and acidity. On the other hand, the belch will give out scented air, and the food will be digested by it. There will be no excrement or urine there.
Secondly, recitation of Allah's Name will ever remain on their tongues without the least effort like the way we breathe, without any effort whatsoever. In other words the food in Jannah would be so light and fine that there would be no disagreeable urine excrement. On the other hand, there will only be fine smell like that of musk.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯০

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

২/১৮৯০। আবূ হুরাইরা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ’’মহান আল্লাহ বলেছেন, ’আমি আমার পুণ্যবান বান্দাদের জন্য এমন জিনিস প্রস্তুত রেখেছি, যা কোন চক্ষু দর্শন করেনি, কোন কর্ণ শ্রবণ করেনি এবং যার সম্পর্কে কোন মানুষের মনে ধারণাও জন্মেনি।’ তোমরা চাইলে এ আয়াতটি পাঠ করতে পার; যার অর্থ, ’’কেউই জানে না তার জন্য তার কৃতকর্মের বিনিময় স্বরূপ নয়ন-প্রীতিকর কি পুরস্কার লুকিয়ে রাখা হয়েছে।’’ (সূরা সিজদা ১৭ আয়াত, বুখারী-মুসলিম][1]

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْ أَبي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «قَالَ اللهُ تَعَالَى : أَعْدَدْتُ لِعِبَادِي الصَّالِحِينَ مَا لاَ عَيْنٌ رَأَتْ، وَلاَ أُذُنٌ سَمِعَتْ، وَلاَ خَطَرَ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ، وَاقْرَؤُوا إِنْ شِئْتُمْ : ﴿ فلا تعلم نفس ما أخفي لهم من قرة أعين جزاء بما كانوا يعملون١٧ ﴾ [السجدة: ١٧] . متفق عَلَيْهِ

وعن ابي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «قال الله تعالى : اعددت لعبادي الصالحين ما لا عين رات، ولا اذن سمعت، ولا خطر على قلب بشر، واقرووا ان شىتم : ﴿ فلا تعلم نفس ما اخفي لهم من قرة اعين جزاء بما كانوا يعملون١٧ ﴾ [السجدة: ١٧] . متفق عليه

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Allah, the Exalted, has said: 'I have prepared for my righteous slaves what no eye has seen, no ear has heard, and the mind of no man has conceived.' If you wish, recite:

'No person knows what is kept hidden for them of joy as a reward for what they used to do."' (32:17)

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: About the gifts and pleasures of Jannah, here a Hadith has been stated in the Words of Allah. The subject matter is confirmed from the Verse of the Qur'an given in the text of the Hadith.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯১

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৩/১৮৯১। উক্ত রাবী (আবূ হুরাইরা) রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জান্নাতে প্রথম প্রবেশকারী দলটির আকৃতি পূর্ণিমা রাতের চাঁদের মত হবে। অতঃপর তাদের পরবর্তী দলটি আকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্রের ন্যায় জ্যোতির্ময় হবে। তারা [জান্নাতে] পেশাব করবে না, পায়খানা করবে না, থুথু ফেলবে না, নাক ঝাড়বে না। তাদের চিরুনি হবে স্বর্ণের। তাদের ঘাম হবে কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধময়। তাদের ধুনুচিতে থাকবে সুগন্ধ কাঠ। তাদের স্ত্রী হবে আয়তলোচনা হুরগণ। তারা সকলেই একটি মানব কাঠামো, আদি পিতা আদমের আকৃতিতে হবে [যাদের উচ্চতা হবে] ষাট হাত পর্যন্ত।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]

বুখারী-মুসলিমের আর এক বর্ণনায় আছে যে, ’’[জান্নাতে] তাদের পাত্র হবে স্বর্ণের, তাদের গায়ের ঘাম হবে কস্তুরীর ন্যায় সুগন্ধময়। তাদের প্রত্যেকের জন্য এমন দু’জন স্ত্রী থাকবে, যাদের সৌন্দর্যের দরুন মাংস ভেদ করে পায়ের নলার হাড়ের মজ্জা দেখা যাবে। তাদের মধ্যে কোন মতভেদ থাকবে না। পারস্পরিক বিদ্বেষ থাকবে না। তাদের সকলের অন্তর একটি অন্তরের মত হবে। তারা সকাল-সন্ধ্যায় তাসবীহ পাঠে রত থাকবে।’’

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْه، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «أَوَّلُ زُمْرَةٍ يَدْخُلُونَ الجَنَّةَ عَلَى صُورَةِ القَمَرِ لَيْلَةَ البَدْرِ، ثُمَّ الَّذِينَ يَلُونَهُمْ عَلَى أَشَدِّ كَوْكَبٍ دُرِّيٍّ فِي السَّمَاءِ إِضَاءَةً، لاَ يَبُولُونَ، وَلاَ يَتَغَوَّطُونَ، وَلاَ يَتْفُلُونَ، وَلاَ يَمْتَخِطُونَ . أَمْشَاطُهُمُ الذَّهَبُ، وَرَشْحُهُمُ المِسْكُ، وَمَجَامِرُهُمُ الأُلُوَّةُ - عُودُ الطِّيبِ - أَزْوَاجُهُمُ الحُورُ العِيْنُ، عَلَى خَلْقِ رَجُلٍ وَاحِدٍ، عَلَى صُورَةِ أَبِيهِمْ آدَمَ سِتُّونَ ذِرَاعاً فِي السَّمَاءِ». متفق عَلَيْهِ .
وَفِي رِوَايَةِ البُخَارِي وَمُسلِمٍ : «آنِيَتُهُمْ فِيهَا الذَّهَبُ، وَرَشْحُهُمُ المِسْكُ . وَلِكُلِّ وَاحِدٍ مِنْهُمْ زَوْجَتَانِ يُرَى مُخُّ سَاقِهِمَا مِنْ وَرَاءِ اللَّحْمِ مِنَ الحُسْنِ، لاَ اخْتِلاَفَ بَيْنَهُمْ، وَلاَ تَبَاغُضَ، قُلُوبُهُمْ قَلْبُ وَاحِدٍ، يُسَبِّحُونَ اللهَ بُكْرَةً وَعَشِياً» .

وعنه، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اول زمرة يدخلون الجنة على صورة القمر ليلة البدر، ثم الذين يلونهم على اشد كوكب دري في السماء اضاءة، لا يبولون، ولا يتغوطون، ولا يتفلون، ولا يمتخطون . امشاطهم الذهب، ورشحهم المسك، ومجامرهم الالوة - عود الطيب - ازواجهم الحور العين، على خلق رجل واحد، على صورة ابيهم ادم ستون ذراعا في السماء». متفق عليه . وفي رواية البخاري ومسلم : «انيتهم فيها الذهب، ورشحهم المسك . ولكل واحد منهم زوجتان يرى مخ ساقهما من وراء اللحم من الحسن، لا اختلاف بينهم، ولا تباغض، قلوبهم قلب واحد، يسبحون الله بكرة وعشيا» .

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "The first group (of people) to enter Jannah will be shining like the moon on a full-moon night. Then will come those who follow them who will be like the most shining planet in the sky. They will not stand in need of urinating or relieving of nature or of spitting or blowing their noses. Their combs will be of gold and their sweat will smell like musk; in their censers the aloes-wood will be used. Their wives will be large eyed maidens. All men will be alike in the form of their father 'Adam, sixty cubits tall."

Another narration is: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Their utensils will be of gold, their perspiration will smell like musk; everyone of them will have two wives; the marrow of the bones of the wives' legs will be seen through the flesh out of excessive beauty. They (i.e., the people of Jannah) will neither have difference, nor enmity (hatred) amongst themselves; their hearts will be as if one heart, and they will be glorifying Allah in the morning and in the afternoon."

[Al-Bukhari and Muslim].


Commentary:
1. The people in the Jannah would be similar in shape and height, etc. There would be no differences between them. It won't be that one person is beautiful and the other ugly or one is fair in colour and the other is black. This is one view. The other view is that they would be similar in being good mannered and the desirable and loving disposition. They will be on the highest pedestal of ethics, etiquette, politeness and morality. None of them would be immoral, discourteous or ill-tempered.

2. Everyone there would have two wives. They would either be from the houris or from the humans. The narration, which claims that every one would have seventy-two wives has a weak chain of narrators. However, in one narration of At-Tirmidhi which has been claimed to be Sahih, it is stated that a martyr would get seventy-two wives. (AtTirmidhi, Chapter about the Superiority of Jihad). Then the saying, "One would get in the Jannah what he wants'' may also be considered and so the possibility of more than two wives cannot be denied.

3. Hur is the plural of Howra It means white and pink. So it is said that one would be bewildered to see their beauty. `Ein is the plural of `Aina' It means one having large eyes like a deer. In another narration it is said that if any one of them just peeps towards our earth, the whole space would be filled with scent and all the space would be lighted. Her sheet of cloth used to cover the head and the bosom would be so precious that its cost would exceed this whole material earth. (Sahih Al-Bukhari, Book of Jihad, Chapter about Houri).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯২

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৪/১৮৯২। মুগীরা ইবনে শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’মুসা স্বীয় প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ’জান্নাতিদের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতি কে হবে?’ আল্লাহ তা’আলা উত্তর দিলেন, সে হবে এমন একটি লোক, যে সমস্ত জান্নাতিগণ জান্নাতে প্রবেশ করার পর [সর্বশেষে] আসবে। তখন তাকে বলা হবে, ’তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সে বলবে, ’হে প্রভু! আমি কিভাবে [কোথায়] প্রবেশ করব? অথচ সমস্ত লোক নিজ নিজ জায়গা দখল করেছে এবং নিজ নিজ অংশ নিয়ে ফেলেছে।’ তখন তাকে বলা হবে, ’তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে, পৃথিবীর রাজাদের মধ্যে কোন রাজার মত তোমার রাজত্ব হবে?’

সে বলবে, ’প্রভু! আমি এতেই সন্তুষ্ট।’ তারপর আল্লাহ বলবেন, ’তোমার জন্য তাই দেওয়া হল। আর ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য [অর্থাৎ ওর চার গুণ রাজত্ব দেওয়া হল]।’ সে পঞ্চমবারে বলবে, ’হে আমার প্রভু! আমি [ওতেই] সন্তুষ্ট।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ’তোমার জন্য এটা এবং এর দশগুণ [রাজত্ব তোমাকে দেওয়া হল]। এ ছাড়াও তোমার জন্য রইল সে সব বস্তু, যা তোমার অন্তর কামনা করবে এবং তোমার চক্ষু তৃপ্তি উপভোগ করবে।’ তখন সে বলবে, ’আমি ওতেই সন্তুষ্ট, হে প্রভু!’

[মুসা] বললেন, ’হে আমার প্রতিপালক! আর সর্বোচ্চ স্তরের জান্নাতি কারা হবে?’ আল্লাহ তা’আলা বললেন, ’তারা হবে সেই সব বান্দা, যাদেরকে আমি চাই। আমি স্বহস্তে যাদের জন্য সম্মান-বৃক্ষ রোপণ করেছি এবং তার উপর সীল-মোহর অংকিত করে দিয়েছি [যাতে তারা ব্যতিরেকে অন্য কেউ তা দেখতে না পায়]। সুতরাং কোন চক্ষু তা দর্শন করেনি, কোন কর্ণ তা শ্রবণ করেনি এবং কোন মানুষের মনে তা কল্পিতও হয়নি।’’ (মুসলিম) [1]

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنِ المُغِيرَةِ بنِ شُعبَةَ رضي الله عنه عَن رَسُولِ اللهِ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: «سَأَلَ مُوسَى عليه السلام رَبَّهُ : مَا أَدْنَى أَهْلِ الجَنَّةِ مَنْزِلَةً ؟ قَالَ: هُوَ رَجُلٌ يَجِيءُ بَعْدَ مَا أُدْخِلَ أَهْلُ الجَنَّةِ الجَنَّةَ، فَيُقَالُ لَهُ : اُدْخُلِ الجَنَّةَ . فَيَقُولُ: أَيْ رَبِّ، كَيْفَ وَقَدْ نَزَلَ النَّاسُ مَنَازِلَهُمْ، وَأَخَذُوا أَخَذَاتِهِمْ ؟ فَيُقَالُ لَهُ : أَتَرْضَى أَنْ يَكُونَ لَكَ مِثْلُ مُلْكِ مَلِكٍ مِنْ مُلُوكِ الدُّنْيَا ؟ فَيقُولُ : رَضِيْتُ رَبِّ، فَيقُولُ : لَكَ ذَلِكَ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ وَمِثْلُهُ، فَيقُولُ فِي الخَامِسَةِ . رَضِيْتُ رَبِّ، فَيقُولُ : هَذَا لَكَ وَعَشَرَةُ أَمْثَالِهِ، وَلَكَ مَا اشْتَهَتْ نَفْسُكَ، وَلَذَّتْ عَيْنُكَ . فَيقُولُ : رَضِيتُ رَبِّ . قَالَ: رَبِّ فَأَعْلاَهُمْ مَنْزِلَةً ؟ قالَ : أُولَئِكَ الَّذِينَ أَرَدْتُ ؛ غَرَسْتُ كَرَامَتَهُمْ بِيَدِي، وَخَتَمْتُ عَلَيْهَا، فَلَمْ تَرَ عَيْنٌ، وَلَمْ تَسْمَعْ أُذُنٌ، وَلَمْ يَخْطُرْ عَلَى قَلْبِ بَشَرٍ» . رواه مسلم

وعن المغيرة بن شعبة رضي الله عنه عن رسول الله صلى الله عليه وسلم، قال: «سال موسى عليه السلام ربه : ما ادنى اهل الجنة منزلة ؟ قال: هو رجل يجيء بعد ما ادخل اهل الجنة الجنة، فيقال له : ادخل الجنة . فيقول: اي رب، كيف وقد نزل الناس منازلهم، واخذوا اخذاتهم ؟ فيقال له : اترضى ان يكون لك مثل ملك ملك من ملوك الدنيا ؟ فيقول : رضيت رب، فيقول : لك ذلك ومثله ومثله ومثله ومثله، فيقول في الخامسة . رضيت رب، فيقول : هذا لك وعشرة امثاله، ولك ما اشتهت نفسك، ولذت عينك . فيقول : رضيت رب . قال: رب فاعلاهم منزلة ؟ قال : اولىك الذين اردت ؛ غرست كرامتهم بيدي، وختمت عليها، فلم تر عين، ولم تسمع اذن، ولم يخطر على قلب بشر» . رواه مسلم

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Al-Mughirah bin Shu'bah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Musa (Moses) (ﷺ) asked his Rubb: 'Who amongst the inhabitants of Jannah will be the lowest in rank?' He said: 'It will be a person who will be admitted into Jannah last of all when all the dwellers of Jannah have entered Jannah. It will be said to him: Enter Jannah. But he will say: O my Rubb! How should I enter while the people have settled in their apartments and taken their shares? It will be said to him: Will you be satisfied and pleased if you have a kingdom like that of a monarch of the world? He will say: I will be content, my Rubb. Allah will say: For you is that, and like that and like that and like that and like that. He will say at the fifth time: I am well-pleased, my Rubb. Allah will say: It is for you and ten times more like it. You will have whatever your soul desires and whatever your eyes could delight in. He will say: I am well-pleased, my Rubb.' Musa (ﷺ) said: 'Who will be of the highest rank in Jannah.' Allah said: 'They are those whom I chose and I established their honour with My Own Hand. I attest with My Seal that they will be blessed with such bounties as no eye has seen, no ear has heard and no human mind has perceived."'

[Muslim].

Commentary: This Hadith highlights Allah's unbounded Mercy and Bounty upon His slaves in Jannah although they do not deserve all that.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯৩

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৫/১৮৯৩। ইবনে মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’সর্বশেষে যে ব্যক্তি জাহান্নাম থেকে বের হয়ে জান্নাতে প্রবেশ করবে, তার সম্পর্কে অবশ্যই আমার জানা আছে। এক ব্যক্তি হামাগুড়ি দিয়ে [বা বুকে ভর দিয়ে] চলে জাহান্নাম থেকে বের হবে। তখন আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলবেন, ’যাও জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সুতরাং সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে সে ফিরে এসে বলবে, ’হে প্রভু! জান্নাত তো পরিপূর্ণ দেখলাম।’ আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলবেন, ’যাও, জান্নাতে প্রবেশ কর।’ তখন সে জান্নাতের কাছে এলে তার ধারণা হবে যে, জান্নাত তো ভরে গেছে।

তাই সে আবার ফিরে এসে বলবে, ’হে প্রভু! জান্নাত তো ভরতি দেখলাম।’ তখন আল্লাহ আয্যা অজাল্ল্ বলবেন, ’যাও জান্নাতে প্রবেশ কর। তোমার জন্য থাকল পৃথিবীর সমতুল্য এবং তার দশগুণ [পরিমাণ বিশাল জান্নাত]! অথবা তোমার জন্য পৃথিবীর দশগুণ [পরিমাণ বিশাল জান্নাত রইল]!’ তখন সে বলবে, ’হে প্রভু! তুমি কি আমার সাথে ঠাট্টা করছ? অথবা আমার সাথে হাসি-মজাক করছ অথচ তুমি বাদশাহ [হাসি-ঠাট্টা তোমাকে শোভা দেয় না]।’’ বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে এমনভাবে হাসতে দেখলাম যে, তাঁর চোয়ালের দাঁতগুলি প্রকাশিত হয়ে গেল। তিনি বললেন, ’’এ হল সর্বনিম্ন মানের জান্নাতি।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنِ ابنِ مَسعُود رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم: «إِنِّي لأَعْلَمُ آخِرَ أَهْلِ النَّارِ خُرُوجاً مِنْهَا، وَآخِرَ أَهْلِ الجَنَّةِ دُخُولاً الجَنَّةَ . رَجُلٌ يَخْرُجُ مِنَ النَّارِ حَبْواً، فَيقُولُ اللهُ - عَزَّ وَجَلَّ - لَهُ : اذْهَبْ فادْخُلِ الجَنَّةَ، فَيَأتِيهَا، فَيُخَيَّلُ إِلَيْهِ أَنَّهَا مَلأَى، فَيَرْجِعُ، فَيقُولُ : يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى ‍! فَيَقُولُ اللهُ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ لَهُ: اذْهَبْ فَادْخُلِ الجَنَّةَ، فَيَأتِيهَا، فَيُخيَّلُ إِلَيهِ أنَّها مَلأَى، فيَرْجِعُ . فَيَقُوْلُ : يَا رَبِّ وَجَدْتُهَا مَلأَى، فَيَقُولُ اللهُ ـ عَزَّ وَجَلَّ ـ لَهُ : اذْهَبْ فَادْخُلِ الجَنَّةَ . فَإِنَّ لَكَ مِثْلَ الدُّنْيَا وَعَشرَةَ أَمْثَالِهَا ؛ أَوْ إِنَّ لَكَ مِثْلَ عَشرَةِ أَمْثَالِ الدُّنْيَا، فَيقُولُ : أَتَسْخَرُ بِي، أَوْ تَضْحَكُ بِي وَأنْتَ المَلِكُ ؟» قَالَ: فَلَقَدْ رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم ضَحِكَ حَتَّى بَدَتْ نَوَاجِذُهُ فَكَانَ يَقُوْلُ : «ذَلِكَ أَدْنَى أَهْلِ الجَنَّةِ مَنْزِلَةً». متفق عليه

وعن ابن مسعود رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: «اني لاعلم اخر اهل النار خروجا منها، واخر اهل الجنة دخولا الجنة . رجل يخرج من النار حبوا، فيقول الله - عز وجل - له : اذهب فادخل الجنة، فياتيها، فيخيل اليه انها ملاى، فيرجع، فيقول : يا رب وجدتها ملاى ‍! فيقول الله ـ عز وجل ـ له: اذهب فادخل الجنة، فياتيها، فيخيل اليه انها ملاى، فيرجع . فيقول : يا رب وجدتها ملاى، فيقول الله ـ عز وجل ـ له : اذهب فادخل الجنة . فان لك مثل الدنيا وعشرة امثالها ؛ او ان لك مثل عشرة امثال الدنيا، فيقول : اتسخر بي، او تضحك بي وانت الملك ؟» قال: فلقد رايت رسول الله صلى الله عليه وسلم ضحك حتى بدت نواجذه فكان يقول : «ذلك ادنى اهل الجنة منزلة». متفق عليه

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


'Abdullah bin Mas'ud (May Allah be pleased with him) reported:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "I know of the last of the inhabitants of the Hell to be taken out from there and the last one to enter Jannah. He is a man who will come out of the Fire, crawling on all fours. Allah, the Rubb of glory and honour will say to him: 'Go and enter Jannah.' He will go to it and think that it is full up. He will then come back and say: 'O my Rubb, it is full up.' Allah will say to him: 'Go and enter Jannah.' He will again go to it and think that it is full up. So he will turn back. Allah will again say: 'Go and enter Jannah. For you have what is equal to ten times the world.' He will say: 'Are You making fun of me while You are the King?" At this I (i.e., the narrator) saw the Messenger of Allah (ﷺ) laugh till his premolars were visible and he said, "Such man will be the last dweller of Jannah in its lowest rank."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: The general habit of the Prophet (PBUH) was just to smile. But while telling about the gifts and honours about an ordinary person in Jannah, he could not help laughing in a manner that his molars became visible. The person on the lowest pedestal in Jannah will be given ten times better things and gifts that could he had on this earth. May Allah admit us into Jannah in His Mercy. Amin.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯৪

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৬/১৮৯৪। আবূ মুসা আশআরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’নিশ্চয় জান্নাতে মুমীনদের জন্য একটি শূন্যগর্ভ মোতির তাঁবু থাকবে, যার দৈর্ঘ্য হবে ষাট মাইল। এর মধ্যে মুমীনদের জন্য একাধিক স্ত্রী থাকবে। যাদের সকলের সাথে মুমিন সহবাস করবে। কিন্তু তাদের কেউ কাউকে দেখতে পাবে না।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

এক মাইলঃ ছয় হাজার হাত সমান দীর্ঘ।

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْ أَبِي مُوسَى رضي الله عنه : أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ لِلمُؤْمِنِ فِي الجَنَّةِ لَخَيْمَةً مِنْ لُؤْلُؤَةٍ وَاحِدَةٍ مُجَوَّفَةٍ طُولُهَا فِي السَّمَاءِ سِتُّونَ مِيلاً . لِلمُؤْمِنِ فِيهَا أَهْلُونَ يَطُوفُ عَلَيْهِمُ المُؤْمِنُ فَلاَ يَرَى بَعْضُهُمْ بَعْضاً». متفق عليه

وعن ابي موسى رضي الله عنه : ان النبي صلى الله عليه وسلم قال: «ان للمومن في الجنة لخيمة من لولوة واحدة مجوفة طولها في السماء ستون ميلا . للمومن فيها اهلون يطوف عليهم المومن فلا يرى بعضهم بعضا». متفق عليه

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Abu Musa (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "In Jannah the believer will have a tent made of a single hollowed pearl of which the length will be sixty miles in the sky. The believer will have his wives with him and he will visit them and they will not be able to see one another."

[Al-Bukhari and Muslim].


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯৫

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৭/১৮৯৫। আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জান্নাতের মধ্যে এমন একটি বৃক্ষ আছে, যার ছায়ায় কোন আরওহী উৎকৃষ্ট, বিশেষভাবে প্রতিপালিত হালকা দেহের দ্রুতগামী ঘোড়ায় চড়ে একশো বছর চললেও তা অতিক্রম করতে সক্ষম হবে না।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

এটিকেই আবূ হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বুখারী-মুসলিম সহীহায়নে বর্ণনা করেছেন যে, ’’একটি সওয়ার [অশ্বারোহী] তার ছায়ায় একশো বছর ব্যাপী চললেও তা অতিক্রম করতে পারবে না।’’

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْ أَبِي سَعِيدٍ الخُدرِيِّ رضي الله عنه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم، قَالَ: إِنَّ فِي الجَنَّةِ شَجَرَةً يَسِيرُ الرَّاكِبُ الجَوَادَ المُضَمَّرَ السَّريعَ مِئَةَ سَنَةٍ مَا يَقْطَعُها. متفق عليه
وَرَوَيَاهُ فِي الصَّحِيحَينِ أَيضاً مِن رِوَايَةِ أَبِي هُرَيرَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: يَسيرُ الرَّاكِبُ فِي ظِلِّها مِئَةَ سَنَةٍ مَا يَقْطَعُها

وعن ابي سعيد الخدري رضي الله عنه عن النبي صلى الله عليه وسلم، قال: ان في الجنة شجرة يسير الراكب الجواد المضمر السريع مىة سنة ما يقطعها. متفق عليه وروياه في الصحيحين ايضا من رواية ابي هريرة رضي الله عنه قال: يسير الراكب في ظلها مىة سنة ما يقطعها

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "There is a tree in Jannah that is so huge that if a rider of a swift horse has to cover its distance from one end to another in one hundred years, he will not be able to do so."

Another narration from Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) is: The Messenger of Allah (ﷺ) said, "A rider will not be able to cross its (the tree's) shade even after travelling for one hundred years."

[Al-Bukhari and Muslim]

Commentary: The horse referred to in the Hadith in described in the Arabic text as `Mudhammar' i.e., a specially trained and well-looked after horse. Such a horse is first fattened by supplying it with large quantities of food. Then slowly the quantity of food given to it is decreased and it is made to sweat in a hot room until it loses weight and thus, becomes fit for running.The Arabic word "dhil" translated here as `shade,' in fact, refers to the expansiveness and vastness of the tree. It does not necessarily mean shade in the ordinary sense, as there will be no sun or heat there. Here the expansiveness and vastness of the trees of Jannah has been mentioned. Allah can do what He likes and create whatever He likes.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯৬

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৮/১৮৯৬। উক্ত রাবী [আবূ সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু] হতে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’অবশ্যই জান্নাতিগণ তাদের উপরের বালাখানার অধিবাসীদের এমনভাবে দেখতে পাবে, যেমন তোমরা আকাশের পূর্ব অথবা পশ্চিম দিগন্তে উজ্জ্বল অস্তগামী তারকা গভীর দৃষ্টিতে দেখতে পাও। এটি হবে তাদের মর্যাদার ব্যবধানের জন্য।’’ [সাহাবীগণ] বললেন, ’হে আল্লাহর রসূল! এ তো নবীগণের স্থান; তাঁরা ছাড়া অন্যরা সেখানে পৌঁছতে পারবে না।’ তিনি বললেন, ’’অবশ্যই, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ আছে! সেই লোকরাও [পৌঁছতে পারবে] যারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রেখে রসূলগণকে সত্য বলে বিশ্বাস করেছে।’’ (বুখারী-মুসলিম) [1]

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْه عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «إِنَّ أَهْلَ الجَنَّةِ لَيَتَرَاءَوْنَ أَهْلَ الغُرَفِ مِن فَوْقِهِمْ كَمَا تَرَاءَوْنَ الكَوْكَبَ الدُّرِّيَّ الغَابِرَ فِي الأُفُق مِنَ المَشْرِقِ أَوِ المَغْرِبِ لِتَفَاضُلِ مَا بَيْنَهُمْ» قَالُوا : يَا رَسُولَ اللهِ ؛ تِلْكَ مَنَازِلُ الأَنبِيَاءِ لاَ يَبْلُغُها غَيْرُهُمْ قَالَ: «بَلَى وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ، رِجَالٌ آمَنُوا بِاللهِ وَصَدَّقُوا المُرْسَلِينَ» . متفق عليه

وعنه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال: «ان اهل الجنة ليتراءون اهل الغرف من فوقهم كما تراءون الكوكب الدري الغابر في الافق من المشرق او المغرب لتفاضل ما بينهم» قالوا : يا رسول الله ؛ تلك منازل الانبياء لا يبلغها غيرهم قال: «بلى والذي نفسي بيده، رجال امنوا بالله وصدقوا المرسلين» . متفق عليه

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Abu Sa'id Al-Khudri (May Allah be pleased with him) said:
The Prophet (ﷺ) said, "The dwellers of Jannah will look at those in the upper abodes above them as you look at a shining star which remains in the eastern or western horizon; such will be the difference in superiority which some of them have over others." The Messenger of Allah (ﷺ) was asked: "Will those be the dwellings of the Prophets which no one else will be able to reach?" He (ﷺ) replied, "Yes, but by Him in Whose Hand my soul is! men who believed in Allah and acknowledged the truthfulness of the Messengers will reach them."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: In Jannah, people will have different grades according to the strength of their Belief and love of Allah. Some people will be on a position near that of the Prophets. May Allah grant us such lofty places. Amin.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
১৮৯৭

পরিচ্ছেদঃ ৩৭২ : আল্লাহ তা‘আলা মুমিনদের জন্য জান্নাতের মধ্যে যা প্রস্তুত রেখেছেন

৯/১৮৯৭। আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ’’জান্নাতে ধনুক পরিমাণ স্থান [দুনিয়ার] যেসব বস্তুর উপর সূর্য উদিত কিংবা অস্তমিত হচ্ছে সেসব বস্তু চেয়েও উত্তম।’’ (বুখারী-মুসলিম)[1]

(372) بَابُ بَيَانِ مَا أَعَدَّ اللهُ تَعَالٰى لِلْمُؤْمِنِيْنَ فِي الْجَنَّةِ

وَعَنْ أَبِي هُرَيرَةَ رضي الله عنه: أَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: «لَقَابُ قَوْسٍ فِي الجَنَّةِ خَيْرٌ مِمَّا تَطْلُعُ عَلَيْهِ الشَّمْسُ أَو تَغْرُبُ». متفق عليه

وعن ابي هريرة رضي الله عنه: ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «لقاب قوس في الجنة خير مما تطلع عليه الشمس او تغرب». متفق عليه

(372) Chapter: Some of the Bounties which Allah has prepared for the Believers in Paradise


Abu Hurairah (May Allah be pleased with him) said:
The Messenger of Allah (ﷺ) said, "A space in Jannah equal to the distance between the middle and the end of a bow will be better than all that upon which the sun rises and sets."

[Al-Bukhari and Muslim].

Commentary: Just a very small -- a wee bit of a place in the Jannah is better than the whole world, as this world would soon come to an end while Jannah will be eternal.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১৯/ ক্ষমাপ্রার্থনামূলক নির্দেশাবলী (كتاب الاستغفار) The Book of Forgiveness
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ২৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 পরের পাতা »