ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) ৬ টি অধ্যায় ৫৩৯ টি অনুচ্ছেদ সম্পূর্ণ বইটি একসাথে পড়ুন
অধ্যায় ও অনুচ্ছেদ তালিকা
ঈমান অনুচ্ছেদ ১২০ টি প্রশ্ন: (১) তাওহীদ কাকে বলে? তা কত প্রকার ও কী কী? প্রশ্ন: (২) যাদের কাছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে প্রেরণ করা হয়েছিল, তাদের শির্ক কী ধরণের ছিল? প্রশ্ন: (৩) আকীদা ও অন্যান্য দীনি বিষয়ের ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মূলনীতিগুলো কী কী? প্রশ্ন: (৪) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আত কারা? প্রশ্ন: (৫) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভবিষ্যৎ বাণী করে গেছেন যে, তাঁর মৃত্যুর পর উম্মত বিভিন্ন দলে বিভক্ত হবে। সম্মানিত শাইখের কাছে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই। প্রশ্ন: (৬) নাজাত প্রাপ্ত দলের বৈশিষ্ট্য কী? কোনো ব্যক্তির মাঝে উক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহের কোনো একটি অবর্তমান থাকলে সে ব্যক্তি কি নাজাত প্রাপ্ত দল হতে বের হয়ে যাবে? প্রশ্ন: (৭) দীনের ভিতরে ‘মধ্যমপন্থা’ বলতে কী বুঝায়? প্রশ্ন: (৮) আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের নিকট ঈমান অর্থ কী? ঈমান কি বাড়ে এবং কমে? প্রশ্ন: (৯) হাদীসে জিবরীলে ঈমানের ব্যাখ্যায় রাসূল (ﷺ) বলেছেন, ঈমান হলো ‘আল্লাহর উপর ঈমান রাখা, তাঁর ফিরিশতা, আসমানী কিতাব এবং তাঁর রাসূলগণের উপর বিশ্বাস রাখা, পরকালের প্রতি বিশ্বাস এবং ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস রাখার নাম’। অথচ আবদুল কায়েস গোত্রের প্রতিনিধি দলের হাদীসে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈমানের ব্যাখ্যায় বলেছেন, ঈমান হলো ‘আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই তিনি এক ও অদ্বিতীয়, একথার সাক্ষ্য দেওয়া, সালাত কায়েম করা, যাকাত দেওয়া এবং গণীমতের মালের এক পঞ্চমাংশ প্রদান করা।’ উপরের উভয় হাদীসের মধ্যে আমরা কীভাবে সমন্বয় করব? প্রশ্ন: (১০) রাসূল (ﷺ) হাদীসে জিবরাঈলে বলেছেন, ঈমান হলো আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, ফিরিশতাদের প্রতি বিশ্বাস, আল্লাহর কিতাবের ওপর বিশ্বাস, রাসূলদের ওপর বিশ্বাস, পরকালের ওপর বিশ্বাস এবং ভাগ্যের ভালো-মন্দের ওপর বিশ্বাস স্থাপন। অন্য হাদীসে রয়েছে, ঈমানের সত্তরের অধিক শাখা-প্রশাখা রয়েছে। উভয় হাদীসের মধ্যে আমরা কীভাবে সমন্বয় করব? প্রশ্ন: (১১) মসজিদে আসার অভ্যাস আছে এমন ব্যক্তিকে কি আমরা মুমিন হিসেবে সাক্ষ্য দিতে পারি? প্রশ্ন: (১২) আল্লাহ তা‘আলা সম্পর্কে শয়তান একজন মানুষকে এমন ওয়াস ওয়াসা (কুমন্ত্রনা) প্রদান করে যে, সে ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা করে। এ সম্পর্কে আপনার উপদেশ কী? প্রশ্ন: (১৩) কাফিরের ওপর কি ইসলাম গ্রহণ করা ওয়াজিব? প্রশ্ন: (১৪) যে ব্যক্তি ইলমে গায়েব দাবী করবে, তার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১৫) বর্তমান কালের ডাক্তারগণ মাতৃগর্ভে পুত্র সন্তান আছে না কন্যা সন্তান বলে দিতে পারে। আর কুরআনে আছে, وَيَعْلَمُ مَا فِىْ الأَرْحَامِ অর্থ: “মাতৃগর্ভে কী আছে তা আল্লাহই জানেন।” ইবন জারীর মুজাহিদ থেকে বর্ণনা করেন যে, একজন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, আমার স্ত্রী কি সন্তান প্রসব করবে? তখন উক্ত আয়াত নাযিল হয়। কাতাদা থেকেও অনুরূপ তাফসীর বর্ণিত আছে। আল্লাহর বাণী, مَا فِىْ الأَرْحَامِ “গর্ভে যা আছে” এ কথাটি ব্যাপক। এ ব্যাপকতা ভঙ্গকারী বিশেষ কোনো দলীল আছে কী? অর্থাৎ কোনো অবস্থাতে আল্লাহ ছাড়া অন্যরাও কি মাতৃগর্ভের অবস্থা সম্পর্কে খবর রাখতে পারে? প্রশ্ন: (১৬) সূর্য কি পৃথিবীর চার দিকে ঘুরে? প্রশ্ন: (১৭) আল্লাহকে এক বলে সাক্ষ্য দেওয়া এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আল্লাহর রাসূল হিসাবে সাক্ষ্য দেওয়ার অর্থ কী? প্রশ্ন: (১৮) লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ কীভাবে তাওহীদের সকল প্রকারকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে? প্রশ্ন: (১৯) মানুষ এবং জিন্ন সৃষ্টির উদেশ্য কী? প্রশ্ন: (২০) কিছু কিছু মানুষ আল্লাহর কাছে দো‘আ করে থাকে; কিন্তু দো‘আ কবূল হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যায় না। অথচ আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, “তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব”। তাহলে মানুষ কীভাবে আল্লাহর কাছে দো‘আ করলে তা কবূল হবে? প্রশ্ন: (২১) ইখলাছ অর্থ কী? কোনো মানুষ যদি ইবাদাতের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি ছাড়া অন্য কিছুর নিয়ত করে, তবে তার বিধান কী? প্রশ্ন: (২২) আশা এবং ভয়ের ব্যাপারে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মতামত কী? প্রশ্ন: (২৩) উপায় গ্রহণ করা কি আল্লাহর ওপর ভরসা করার পরিপন্থী উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় কেউ কেউ উপায় অবলম্বন করেছে। আবার কতক লোক এ বলে উপায় অবলম্বন করা বাদ দিয়েছে যে, আমরা আল্লাহর ওপর ভরসা করলাম -এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী? প্রশ্ন: (২৪) ইসলামে উপায়-উপকরণ অবলম্বন করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (২৫) ঝাড়-ফুঁকের হুকুম কী? কুরআনের আয়াত লিখে গলায় ঝুলিয়ে রাখার হুকুম কী? প্রশ্ন: (২৬) ঝাড়-ফুঁক করা কি আল্লাহর ওপর (তাওয়াক্কুল) ভরসা করার পরিপন্থী? প্রশ্ন: (২৭) তাবীজ ব্যবহার করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (২৮) পানাহারের পাত্রে চিকিৎসা স্বরূপ আয়াতুল কুরসী বা কুরআনের অন্য কোনো আয়াত লিখে রাখা জায়েয আছে কি? প্রশ্ন: (২৯) কোনো কোনো ইসলামী দেশে মাদরাসার ছাত্ররা শিক্ষা গ্রহণ করে থাকে যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের মাযহাব হলো কোনো প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্দ্ধন, অস্বীকার কিংবা দৃষ্টান্ত পেশ করা ছাড়াই আল্লাহর নাম ও গুণাবলীতে বিশ্বাস স্থাপন করা। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের লোকেরা জ্ঞানার্জনের মাদরাসাকে ইবন তাইমিয়া ও তার ছাত্রদের মাদরাসা এবং আশ‘আরীদের মাদরাসা, এ দুই ভাগে বিভক্ত করে থাকে। এভাবে বিভক্ত করা কি সঠিক? যে সমস্ত আলিমরা আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর অপব্যাখ্যা করে থাকে, তাদের ব্যাপারে একজন মুসলিমের অবস্থান কি রকম হওয়া দরকার? প্রশ্ন: (৩০) আল্লাহর নাম ও গুণাবলীর ক্ষেত্রে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা‘আতের আকীদা কী? নাম ও গুণের মধ্যে পার্থক্য কী? আল্লাহর প্রতিটি নাম কি একটি করে গুণকে আবশ্যক করে? অনুরূপভাবে সিফাতও কি নামকে আবশ্যক করে? প্রশ্ন: (৩১) আল্লাহর নাম কি নির্দিষ্ট সংখ্যায় সীমিত? প্রশ্ন: (৩২) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যে উপরে আছেন, সে ব্যাপারে সালাফদের মাযহাব কী? যে ব্যক্তি বলে যে, আল্লাহ ছয়টি দিক থেকে মুক্ত এবং যে ব্যক্তি বলে যে, তিনি প্রত্যেক মুমিনের অন্তরে আছেন, তার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৩৩) আল্লাহ তা‘আলার শানে যেভাবে প্রযোজ্য, তিনি সেভাবেই ‘আরশের উপরে আছেন -এটাই কি সালাফে সালেহীনের ব্যাখ্যা? প্রশ্ন: (৩৪) সম্মানিত শাইখ! আল্লাহ আপনাকে হিফাযত করুন! আপনি বলেছেন, ‘আরশের উপরে আল্লাহর সমুন্নত হওয়া বিশেষ এক ধরণের সমুন্নত হওয়া, যা কেবল আল্লাহর বড়ত্ব ও মর্যাদার শানে প্রযোজ্য। আমরা কথাটির বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানতে চাই। প্রশ্ন: (৩৫) কোন ক্ষেত্রে ইনশাআল্লাহ বলতে হবে এবং কোন কোন ক্ষেত্রে বলতে হবে না? প্রশ্ন: (৩৬) ইরাদাহ বা আল্লাহর ইচ্ছা কত প্রকার? প্রশ্ন: (৩৭) আল্লাহর নামের ক্ষেত্রে ইলহাদ (إلحاد) কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কী কী? প্রশ্ন: (৩৮) আল্লাহর ‘চেহারা’, আল্লাহর ‘হাত’ এ জাতীয় যে সমস্ত বিষয় আল্লাহ নিজের দিকে সম্বন্ধ করেছেন তা কত প্রকার? প্রশ্ন: (৩৯) আল্লাহর কোনো নাম বা গুণ অস্বীকার করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৪০) আল্লাহর গুণাবলী কি মানুষের গুণাবলীর মতোই? প্রশ্ন: (৪১) আমরা জানি যে, রাত ভূপৃষ্ঠের উপরে ঘুর্ণায়মান। আর আল্লাহ রাতের তিন ভাগের এক ভাগ অবশিষ্ট থাকতে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন। এ হিসেবে আল্লাহ তা‘আলা রাতভর দুনিয়ার আকাশেই থাকেন -এর উত্তর কী? প্রশ্ন: (৪২) আল্লাহকে দেখার ব্যাপারে সালাফে সালেহীনের অভিমত কী? যারা বলে যে, চর্মচক্ষু দিয়ে আল্লাহকে দেখা সম্ভব নয় বরং আল্লাহকে দেখার অর্থ পরিপূর্ণ ঈমানের নামান্তর, তাদের হুকুম কী? প্রশ্ন: (৪৩) জিনের আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় কী? প্রশ্ন: (৪৪) জিন্নেরা কি গায়েব জানে? প্রশ্ন: (৪৫) যারা আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হাবীবুল্লাহ (আল্লাহর হাবীব) বলে তাদের হুকুম কী? প্রশ্ন: (৪৬) দুনিয়ার স্বার্থ হাসিলের জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রশংসা করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৪৭) যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষ নন; বরং তিনি আল্লাহর নূর। অতঃপর সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করে এই বিশ্বাসে যে, তিনি কল্যাণ-অকল্যাণের মালিক, তার হুকুম কী? এ ধরণের লোকের পিছনে সালাত আদায় করা জায়েয আছে কি? প্রশ্ন: (৪৮) ইমাম মাহদীর আগমণ সংক্রান্ত হাদীসগুলো কি সহীহ? প্রশ্ন: (৪৯) ইয়াজুজ-মাজুজ কারা? প্রশ্ন: (৫০) নবীগণ কেন তাদের উম্মতকে দাজ্জালের ফিতনা থেকে সাবধান করেছেন? অথচ দাজ্জাল তো শেষ যামানাতেই বের হবে। প্রশ্ন: (৫১) যারা পরকালের জীবনকে অবিশ্বাস করে এবং বলে এ বিশ্বাস মধ্যযুগের একটি কল্পকাহিনী ও কুসংস্কার মাত্র- এ ধরণের মানুষকে কীভাবে বুঝানো সম্ভব? প্রশ্ন: (৫২) কবরের আযাব কি সত্য? প্রশ্ন: (৫৩) মৃত লাশকে যদি হিংস্র পশুরা খেয়ে ফেলে কিংবা আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে বাতাসে উড়িয়ে দেওয়া হয় তবেও কি কবরের আযাব হবে? প্রশ্ন: (৫৪) এক শ্রেণির লোক কবরের আযাব অস্বীকার করার পক্ষে দলীল পেশ করে যে, কবর খনন করলে দেখা যায় লাশ রয়ে গেছে, কোনো পরিবর্তন হয় নি এবং কবর সংকীর্ণ অথবা প্রশস্তও হয় নি। কীভাবে তাদের উত্তর দিব? প্রশ্ন: (৫৫) পাপী মুমিনের কবরের আযাব কি হালকা করা হবে? প্রশ্ন: (৫৬) শাফা‘আত কাকে বলে? তা কত প্রকার ও কী কী? প্রশ্ন: (৫৭) মুমিনদের শিশু বাচ্চাদের পরিণাম কী? মুশরিকদের যে সমস্ত শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পূর্বে মারা যায়, তাদের অবস্থা কী হবে? প্রশ্ন: (৫৮) জান্নাতে পুরুষদের জন্য হুর থাকার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন হলো মহিলাদের জন্য কী আছে? প্রশ্ন: (৫৯) জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসী হবে মহিলা -কথাটি কি ঠিক? ঠিক হয়ে থাকলে কারণ কী? প্রশ্ন: (৬০) পথভ্রষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় যারা তাকদীরের মাসআলাসহ আকীদার বিভিন্ন বিষয় পাঠ করা পছন্দ করেন না, তাদের জন্য আপনার উপদেশ কী? প্রশ্ন: (৬১) সম্মানিত শাইখ! আশা করি তাকদীরের মাসআলা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবেন। মানুষের মূল কাজ কি পূর্ব নির্ধারিত এবং কাজটি পালন করার নিয়মের ক্ষেত্রে মানুষ কি স্বাধীন? উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় যে, কোনো মানুষের জন্য যদি লেখা থাকে যে, সে একটি মসজিদ বানাবে। সে অবশ্যই মসজিদ বানাবে। তবে কীভাবে বানাবে এ ব্যাপারে সে স্বাধীন। এমনিভাবে পাপ কাজ নির্ধারিত থাকলে তা অবশ্যই করবে। কীভাবে করবে তা নির্ধারিত হয় নি। মোটকথা মানুষের তাকদীরের যে সমস্ত কর্ম নির্ধারিত আছে, তা বাস্তবায়নের ব্যাপারে মানুষ সম্পূর্ণ স্বাধীন কথাটি কি ঠিক? প্রশ্ন: (৬২) সৃষ্টির পূর্বে মানুষের ভাগ্যে যা লেখা হয়েছে, তা কি দো‘আর মাধ্যমে পরিবর্তন করা সম্ভব? প্রশ্ন: (৬৩) রিযিক এবং বিবাহ কি লাওহে মাহফুজে লিখিত আছে? প্রশ্ন: (৬৪) মুসীবত নাযিল হলে যে ব্যক্তি অসন্তুষ্ট হয়, তার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৬৫) সম্মানিত শাইখ! নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, (لا عدوى ولاطيرة ولا هامة ولا صفر) “একজনের রোগ অন্যজনের শরীরে সংক্রমিত হয় না। পাখী উড়িয়ে বা পাখীর ডাক শুনে কল্যাণ-অকল্যাণ নির্ধারণের নিয়ম ইসলামে নেই। সফর মাসকেও অশুভ মনে করাও ঠিক নয়। এর সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চাই। হাদীসে বর্ণিত জিনিসগুলোর প্রভাবকে অস্বীকার করা হয়েছে। এগুলো কোনো ধরণের অস্বীকার? নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “কুষ্ঠ রোগী থেকে পলায়ন কর যেভাবে তুমি বাঘ থেকে ভয়ে পলায়ন কর”। এ হাদীস ও প্রথমোক্ত হাদীসের মধ্যে কীভাবে সমন্বয় করব? প্রশ্ন: (৬৬) মানুষের ওপর কি বদ নজর লাগে? লাগলে তার চিকিৎসা কী? এ থেকে বেঁচে থাকা কি আল্লাহর ওপর ভরসার পরিপন্থী? প্রশ্ন: (৬৭) আকীদার মাসআলায় কি অজ্ঞতার অজুহাত গ্রহণযোগ্য? প্রশ্ন: (৬৮) যারা আল্লাহর আইন বাদ দিয়ে মানব রচিত আইন দ্বারা রাষ্ট্র পরিচালনা করে তাদের হুকুম কী? প্রশ্ন: (৬৯) গাইরুল্লাহর নৈকট্য হাসিলের জন্য পশু কুরবানী করার হুকুম কী? গাইরুল্লাহর নামে যবাই করা পশুর গোশত ভক্ষণ করা জায়েয আছে কী? প্রশ্ন: (৭০) আল্লাহ বা তাঁর রাসূল অথবা দীন নিয়ে হাসি ঠাট্টা করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৭১) কবরবাসীর কাছে দো‘আ করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৭২) কাউকে আল্লাহর ওলী ভেবে তার কাছে বিপদে উদ্ধার কামনা করার জন্য ফরিয়াদ করা কী? আল্লাহর ওলী হওয়ার সঠিক আলামত কী? প্রশ্ন: (৭৩) জাদু কাকে বলে? জাদু শিক্ষার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৭৪) জাদুর মাধ্যমে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মিল-মিশের ব্যবস্থা করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৭৫) গণক কাকে বলে? গণকের কাছে যাওয়ার বিধান কী? প্রশ্ন: (৭৬) রিয়া বা মানুষকে দেখানো ও শুনানোর নিয়তে ইবাদাত করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৭৭) কুরআন নিয়ে শপথ করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৭৮) নবীর নামে, কাবার নামে এবং মান-মর্যাদা ও জিম্মাদারীর নামে শপথ করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৭৯) যে ব্যক্তি কবরের চতুর্দিকে তাওয়াফ করে, কবরবাসীর কাছে দো‘আ করে এবং তাদের জন্য নযর-মানত পেশসহ অন্যান্য ইবাদাত করে থাকে, তার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৮০) যে সমস্ত কবর পূজারী নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর মসজিদের ভিতরে হওয়াকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে, আমরা কীভাবে তাদের উত্তর দিব? প্রশ্ন: (৮১) কবরের উপর নির্মাণ কাজ করা কী? প্রশ্ন: (৮২) মসজিদে দাফন করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৮৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কবর যিয়ারতের নিয়তে সফর করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৮৪) কবরের মাধ্যমে বরকত হাসিল করা বা উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য কিংবা নৈকট্য হাসিলের জন্য কবরের চার পার্শ্বে তাওয়াফ করা এবং আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে শপথ করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৮৫) প্রাণী অথবা মানুষের ছবি বিশিষ্ট কাপড় পরিধান করে সালাত পড়ার বিধান কী? প্রশ্ন: (৮৬) ঘরের দেওয়ালে ছবি ঝুলানোর বিধান কী? প্রশ্ন: (৮৭) ক্যামেরার মাধ্যমে ছবি উঠানোর বিধান কী? প্রশ্ন: (৮৮) (مَنْ سَنَّ فِي الْإِسْلَامِ سُنَّةً حَسَنَةً فَلَهُ أَجْرُهَا) ‘যে ব্যক্তি ইসলামের ভিতরে উত্তম কোনো সুন্নাত চালু করল, তার জন্য ছাওয়াব রয়েছ’ -এ হাদীসকে যে সমস্ত বিদ‘আতী তাদের বিদ‘আতের পক্ষে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে, আমরা কীভাবে তাদের উত্তর দিব? প্রশ্ন: (৮৯) ঈদে মীলাদুন নবী পালনের হুকুম কী? প্রশ্ন: (৯০) মাতৃ দিবসের উৎসব পালন করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৯১) সন্তানদের জন্ম দিবস উপলক্ষে উৎসব পালন করা এবং বিবাহ উপলক্ষে উৎসব পালন করার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৯২) জনৈক লোক একটি ঘরে বসবাস শুরু করার পর থেকেই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্ত হয়েছে আরো বড় বড় কয়েকটি মুসীবতে, যার কারণে সে এ ঘরে বসবাস করাকে অমঙ্গলের কারণ হিসাবে মনে করছে। তার জন্য কি ঘর ছেড়ে দেওয়া জায়েয আছে? প্রশ্ন: (৯৩) উসীলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (৯৪) কাউকে বন্ধু বা শত্রু হিসেবে গ্রহণ করার মূলনীতি কী? প্রশ্ন: (৯৫) অমুসলিম দেশে ভ্রমণ করার হুকুম কী? পর্যটনের উদ্দেশ্যে দেশ ভ্রমণের বিধান কী? প্রশ্ন: (৯৬) যে ব্যক্তি কাফিরদের সাথে চাকুরী করে, তার জন্য আপনার উপদেশ কী? প্রশ্ন: (৯৭) কাফিরদের কাছে যে সমস্ত প্রযুক্তি রয়েছে, অবৈধতায় পতিত না হয়ে তা দ্বারা কীভাবে আমরা উপকৃত হব? প্রশ্ন: (৯৮) আরব উপ-দ্বীপে অমুসলিমদের প্রবেশ করানোর হুকুম কী? প্রশ্ন: (৯৯) কিছু সংখ্যক মানুষ দাবী করে যে, দীনের অনুসরণই মুসলিমদেরকে উন্নতি থেকে পিছিয়ে রেখেছে। তাদের দলীল হলো পাশ্চাত্য দেশসমূহ সকল প্রকার দীনকে প্রত্যাখ্যান করেই বর্তমানে উন্নতির চরম শিখরে আরোহন করতে সক্ষম হয়েছে। তারা এও বলে যে, পাশ্চাত্য বিশ্বেই বেশি করে বৃষ্টি ও ফসলাদি উৎপন্ন হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত জানতে চাই? প্রশ্ন: (১০০) কতক লোক বলে যে, অন্তর ঠিক থাকলে শব্দের উচ্চারণ ঠিক করার বেশি গুরুত্ব নেই -এ ব্যাপারে আপনি কী বলেন? প্রশ্ন: (১০১) ‘আল্লাহ আপনাকে চিরস্থায়ী করুন’- একথাটি বলা কি ঠিক? প্রশ্ন: (১০২) আল্লাহর চেহারার দোহাই দিয়ে কোনো কিছু চাওয়া জায়েয আছে কি? প্রশ্ন: (১০৩) আপনি দীর্ঘজীবি হোন –এ কথা বলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১০৪) আমরা অনেক সময় দেখি যে, গাড়ী বা দেওয়ালে এক দিকে (الله) এবং অন্য দিকে (محمد) লেখা থাকে, এমনিভাবে কাপড়ের টুকরায়, বইয়ের উপর এবং কুরআন মযীদের গেলাফের উপরও লেখা হয়ে থাকে। এরকমভাবে লেখা কি ঠিক? প্রশ্ন: (১০৫) আল্লাহ আপনার অবস্থা জিজ্ঞাসা করেন, এ বাক্যটি বলা যাবে কি না? প্রশ্ন: (১০৬) মৃত ব্যক্তির ক্ষেত্রে মরহুম বলা বা আল্লাহ তাকে রহমত দ্বারা ঢেকে নিয়েছেন অথবা অমুক ব্যক্তি আল্লাহর রহমতের দিকে চলে গেছেন –এ ধরণের কথা বলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১০৭) ভাষণের শুরুতে ‘দেশ ও জাতির পক্ষ থেকে বলছি’ –এ কথাটি বলা কি ঠিক? প্রশ্ন: (১০৮) অনেক মানুষ বলে থাকে “আপনি আমাদের জন্য বরকত স্বরূপ” এভাবে বলার হুকুম কী?” প্রশ্ন: (১০৯) মানুষ বলে থাকে ‘তাকদীরের অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং আল্লাহর অনুগ্রহের অনুপ্রবেশ ঘটেছে’ এ ধরণের কথা বলার বিধান কী? প্রশ্ন: (১১০) ‘চিন্তার স্বাধীনতা’ সম্পর্কে আমরা শুনে থাকি এবং পত্রিকায় পড়ে থাকি। মূলতঃ এটি আকীদা গ্রহণের স্বাধীনতার দিকে আহ্বান মাত্র। এ সম্পর্কে আপনার মতামত কী? প্রশ্ন: (১১১) মুফতীর নিকট ‘এ বিষয়ে ইসলামের হুকুম কী বা ইসলামের দৃষ্টি ভঙ্গি কী’ এ ধরণের বাক্য দিয়ে প্রশ্ন করার বিধান কী? প্রশ্ন: (১১২) ‘পরিস্থিতির ইচ্ছানুপাতে এ রকম হয়েছে’ ‘তাকদীদেরর ইচ্ছানুপাতে এ রকম হয়েছে’ এ ধরণের কথা বলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১১৩) কাউকে শহীদ বলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১১৪) ‘হঠাৎ সাক্ষাত হয়ে গেল’, ‘হঠাৎ এসে গেলাম’ এ ধরনের কথা বলা জায়েয কি না? প্রশ্ন: (১১৫) ইসলামী চিন্তাধারা, ইসলামী চিন্তাবিদ –এ ধরণের কথা বলা সম্পর্কে আপনার মতামত কী? প্রশ্ন: (১১৬) দীনকে খোসা এবং মূল এ ভাবে ভাগ করা কি ঠিক? প্রশ্ন: (১১৭) ‘তাকে সর্বশেষ বিছানায় দাফন করা হলো’ মৃত ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে এ কথাটি বলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১১৮) নাসারাদেরকে ‘মাসীহী’ বলা কি ঠিক? প্রশ্ন: (১১৯) ‘আল্লাহ না করেন’ এ কথাটি বলার হুকুম কী? প্রশ্ন: (১২০) মানুষ মারা গেলে يَاأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ ارْجِعِي إِلَى رَبِّكِ رَاضِيَةً مَرْضِيَّة “হে শান্তিপ্রাপ্ত আত্মা! তোমার রবের দিকে ফিরে যাও সন্তুষ্ট ও সন্তোষভাজন হয়ে” -এ কথাটি বলা কি ঠিক? পবিত্রতা অনুচ্ছেদ ৬৩ টি (১২১) পবিত্রতা ও বাহ্যিক নাপাক বস্তু থেকে পবিত্রতা অর্জন করার প্রকৃত মাধ্যম কি? (১২২) বাহ্যিক অপবিত্র বস্ত পানি ছাড়া অন্য কিছু দ্বারা পবিত্র করা যাবে কি? বাস্পের (Dry clean) মাধ্যমে কি কোট ইত্যাদি পবিত্র করা যায়? (১২৩) দীর্ঘকাল কোন স্থানে পানি জমে থাকার কারণে তা পরিবর্তন হয়ে গেছে। এ পানির বিধান কি? (১২৪) পুরুষদের জন্য স্বর্ণ ব্যবহার হারাম হওয়ার হেকমত কি? (১২৫) স্বর্ণের দাঁত লাগানোর বিধান কি? (১২৬) ওযু করার স্থানে প্রস্রাব করার বিধান কি? বিশেষ করে যদি এতে লজ্জাস্থান প্রকাশিত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে? (১২৭) দন্ডায়মান অবস্থায় প্রস্রাব করার বিধান কি? (১২৮) কুরআন মাজীদ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করার বিধান কি? (১২৯) আল্লাহর নাম সম্বলিত কাগজ সাথে নিয়ে টয়লেটে প্রবেশ করার বিধান কি? (১৩০) টয়লেটের মধ্যে ওযু করার দরকার হলে সে সময় কিভাবে ‘বিসমিল্লাহ্‌’ বলবে? (১৩১) প্রস্রাব-পায়খানার সময় কিবলা সামনে বা পিছনে রাখার বিধান কি? (১৩২) বায়ু নির্গত হলে কি ইস্তেনজা করা আবশ্যক? (১৩৩) কখন মেসওয়াক ব্যবহার করার গুরুত্ব বেশী? খুতবা চলাবস্থায় নামাযের অপেক্ষাকারীর মেসওয়াক করার বিধান কি? (১৩৪) ওযুর প্রারম্ভে ‘বিসমিল্লাহ’ বলা কি ওয়াজিব? (১৩৫) পুরুষ ও নারীর খাতনা করার বিধান কি? (১৩৬) কৃত্রিম দাঁত থাকলে কুলি করার সময় কি উহা খুলে রাখা ওয়াজিব? (১৩৭) কান মাসেহ করার জন্য কি নতুন করে পানি নিতে হবে? (১৩৮) ওযুতে ধারাবাহিকতার অর্থ কি? ওযুতে মুওয়ালাত বা অবিচ্ছিন্নতা রক্ষা করার অর্থ কি? এদু’টি কথার বিধান কি? (১৩৯) ওযুর সময় কেউ যদি কোন একটি অঙ্গ ধৌত করতে ভুলে যায়, তবে তার বিধান কি? (১৪০) ওযু চলছে এমন সময় পানি বন্ধ হয়ে গেল। পানি যখন ফিরে এল তখন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ শুকিয়ে গেছে। এখন ওযু কি নতুন করে করতে হবে নাকি বাকী অঙ্গ সমূহ ধৌত করলেই চলবে? (১৪১) নখ পালিশ ব্যবহার করে ওযু করার বিধান কি? (১৪২) শরীয়ত সম্মত ওযুর পদ্ধতি কি? (১৪৩) সতর্কতা বশতঃ প্রত্যেকবার ওযু করার সময় সুতার মোজা খোলার বিধান কি? (১৪৪) সুতার মোজার উপর মাসেহ করার সময়সীমা কখন থেকে গণনা শুরু করতে হবে? (১৪৫) পাতলা বা ছেঁড়া মোজাতে মাসেহ করার বিধান কি? (১৪৬) পট্টির উপর মাসেহ করার বিধান কি? (১৪৭) পট্টি বা ব্যান্ডেজের উপর কি একই সাথে মাসেহ ও তায়াম্মুম করতে হবে? (১৪৮) ওযু শেষে প্রথমে ডান পা ধৌত করে মোজা পরিধান করা তারপর বাম পা ধৌত করে মোজা পরিধান করার বিধান কি? এভাবে মোজা পরলে কি তার উপর মাসেহ করা যাবে? (১৪৯) মুক্বীম অবস্থায় মোজার উপর মাসেহ করে সফর আরম্ভ করলে কি সফরের সময়সীমা অনুযায়ী আমল করতে হবে? (১৫০) প্রথমবার কখন মাসেহ করেছে এ ব্যাপারে কোন মানুষ যদি সন্দেহে পড়ে, তবে সে কি করবে? (১৫১) কোন মানুষ যদি পায়ের লম্বা জুতায় (যা পায়ের টাখনু ঢেকে পরা হয়) মাসেহ করার পর তা খুলে ফেলে এবং মোজার উপর মাসেহ করে, তবে তার মাসেহ বিশুদ্ধ হবে কি? (১৫২) কোন মানুষ যদি মোজা খুলে ফেলে, তারপর ওযু বিনষ্ট হওয়ার আগেই তা আবার পরিধান করে নেয়, তবে তার উপর মাসেহ করা জায়েয হবে কি না? (১৫৩) মাসেহ বৈধ হওয়ার সময় সীমা অতিবাহিত হওয়ার পর কেউ যদি তাতে মাসেহ করে নামায আদায় করে, তবে তার নামাযের বিধান কি? (১৫৪) ওযু বিনষ্টের কারণগুলো কি কি? (১৫৫) স্ত্রীকে স্পর্শ করলে কি ওযু ভঙ্গ হবে? (১৫৬) জনৈক শিক্ষক ছাত্রদের কুরআনের দরস প্রদান করেন। মাদ্রাসায় বা তার আশেপাশে পানি নেই। এখন তিনি কি করবেন? কেননা পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া তো কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না? (১৫৭) কি কি কারণে গোসল ফরয হয়? (১৫৮) স্ত্রীকে স্পর্শ, আলিঙ্গন ও তাকে চুম্বন করলে কি গোসল করতে হবে? (১৫৯) নিদ্রা থেকে জাগ্রত হয়ে কাপড় ভিজা দেখলে কি করবে? (১৬০) নাপাক অবস্থায় কি কি বিধান প্রজোয্য? (১৬১) গোসল করার পদ্ধতি কি? (১৬২) গোসলের সময় কুলি না করলে বা নাক না ঝাড়লে গোসল বিশুদ্ধ হবে কি? (১৬৩) পানি ব্যবহার করতে অপারগ হলে, কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবে? (১৬৪) ঠান্ডার সময় কেউ যদি নাপাক হয়, তবে কি সে তায়াম্মুম করবে? (১৬৫) যে মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করা হয় তাতে কি ধুলা থাকা শর্ত? আল্লাহর বাণী “তোমাদের মুখমণ্ডল ও হস্তদ্বয় তা দ্বারা মুছে ফেল।” এখানে “তা দ্বারা” বলতে কি বুঝা যায় যে,তায়াম্মুম করার সময় অবশ্যই ধুলা থাকতে হবে? (১৬৬) মাটি না পেয়ে দেয়ালে বা বিছানায় তায়াম্মুম করলে বিশুদ্ধ হবে কি? (১৬৭) ছোট্ট শিশুর পেশাব যদি কাপড়ে লাগে, তবে তার বিধান কি? (১৬৮) জনৈক নারী পঞ্চাশ বছর বয়স অতিক্রম করেছে। কিন্তু পরিচিত নিয়মেই তার স্রাব প্রবাহিত হচ্ছে। আরেক পঞ্চাশোর্ধ নারীর স্রাব পরিচিত নিয়মে হয় না; বরং হলদে রং বা মেটে রঙ্গের পানি নির্গত হয়। এদের বিধান কি? (১৬৯) গর্ভবতীর রক্তস্রাব দেখা গেলে তা কি ঋতুস্রাব হিসেবে গণ্য হবে? (১৭০) ঋতুর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ নির্দিষ্ট দিন বলে কি কিছু আছে? (১৭১) কোন নারীর ঔষুধ ব্যবহারের মাধ্যমে ঋতুস্রাব চালু করে নামায পরিত্যাগ করার বিধান কি? (১৭২) ঋতুবতী নারীর কুরআন তেলাওয়াত করা জায়েয কি? (১৭৩) নির্গত স্রাবের ব্যাপারে নারী যদি সন্দিহান হয় যে, এটা কি হায়েযের রক্ত না কি ইসে-হাযার রক্ত না কি অন্য কিছুর রক্ত? এবং সে পার্থক্যও করতে পারে না। তবে সে উহা কি গণ্য করবে? (১৭৪) নামাযের সময় আরম্ভ হওয়ার পর ঋতু শুরু হলে তার বিধান কি? (১৭৫) জনৈক নারীর ঋতুর নির্দিষ্ট দিন ছিল ছয় দিন। অতঃপর এই দিনের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে গেছে। সে এখন কি করবে? (১৭৬) জনৈক নারী মাসিক থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসল করে নামায শুরু করেছে। এভাবে নয় দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আবার স্রাব দেখা গেছে। তিন দিন স্রাব প্রবাহমান ছিল। তখন নামায পড়েনি। তারপর পবিত্র হলে গোসল করে এগার দিন নামায আদায় করেছে। তারপর আবার তার স্বাভাবিক মাসিক শুরু হয়েছে। সে কি ঐ তিন দিনের নামায কাযা আদায় করবে? নাকি তা হায়েযের দিন হিসেবে গণ্য করবে? (১৭৭) ঋতু শুরু হওয়ার দু’দিন পূর্বে নারীর গর্ভ থেকে যে হলুদ রংয়ের তরল পদার্থ নির্গত হয় তার বিধান কি? (১৭৮) পবিত্র হওয়ার পর হলুদ রং ও মেটে রংয়ের তরল পদার্থ বের হওয়ার বিধান কি? (১৭৯) ঋতু বন্ধ করার জন্য ঔষধ (ট্যাবলেট) ব্যবহার করার বিধান কি? (১৮০) চল্লিশ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও নেফাসের স্রাব চলতে থাকলে কি করবে? (১৮১) নেফাসের চল্লিশ দিন শেষ হওয়ার আগেই পবিত্র হয়ে গেলে বা চল্লিশ দিনের পর পূণরায় স্রাব দেখা গেলে কি করবে? (১৮২) জনৈক নারীর তৃতীয় মাসেই গর্ভপাত হয়ে গেছে। সে কি নামায আদায় করবে, না নামায পরিত্যাগ করবে? (১৮৩) অসুস্থতার কারণে যদি কোন নারীর রক্তস্রাব নির্গত হতেই থাকে, তবে কিভাবে সে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করবে? বিগত দিনগুলোতে ব্যাপক আকারে দু’নামাযকে একত্রিত করা এবং এক্ষেত্রে মানুষের অতিরিক্ত শিথীলতা লক্ষ্য করা গেছে। অত্যধিক ঠান্ডাই কি এর কারণ? আপনি কি মনে করেন? আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম বিনিময় প্রদান করুন। সালাত অনুচ্ছেদ ১৭০ টি (১৮৪) ইসলামে ছালাতের বিধান কি? কার উপর ছালাত ফরয? (১৮৫) বেহুঁশ এবং স্মৃতি শক্তিহীন ব্যক্তির জন্য শরীয়তের বিধি-বিধান বাস্তবায়ন করা কি আবশ্যক? (১৮৭) ছালাতের কোন একটি শর্ত (যেমন পানি সংগ্রহ) পূর্ণ করতে গিয়ে যদি ছালাতের সময় পার হয়ে যায় তবে তার বিধান কি? (১৮৮) রাত জাগার কারণে সূর্য উঠার পর নামায আদায় করলে কবূল হবে কি? অন্যান্য নামায সে সময়মতই আদায় করে। সেগুলোর বিধান কি? (১৮৯) যে ব্যক্তি ফজরের ছালাত বিলম্ব করে আদায় করে, এমনকি তার সময় পার হয়ে যায়। তার বিধান কি? (১৯০) জনৈক যুবক এক ব্যক্তির মেয়েকে বিবাহ করার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। তার ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে, সে ছালাত আদায় করে না। কিন্তু বলা হচ্ছে, ‘ঠিক হয়ে যাবে। আল্লাহ্‌ তাকে হেদায়াত করবেন।’ এই যুবকের সাথে মেয়ে বিবাহ দেয়া কি বৈধ? (১৯১) জনৈক ব্যক্তি পরিবারের লোকদের ছালাতের আদেশ করছেন। কিন্তু কেউ তাঁর কথা শুনে না। এঅবস্থায় তিনি কি করবেন? তিনি কি তাদের সাথে মিলেমিশে বসবাস করবেন, নাকি বাড়ি থেকে বের হয়ে যাবেন? (১৯২) বেনামাযী স্বামীর সাথে মুসলিম নামাযী স্ত্রীর বসবাস করার বিধান কি? তাদের কয়েকজন সন্তানও আছে। বেনামাযীর সাথে মেয়ে বিবাহ দেয়ার বিধান কি? (১৯৩) তওবা করার পর কি ছেড়ে দেয়া ছালাতের কাযা আদায় করতে হবে? (১৯৪) বেনামাযী সন্তানদের ব্যাপারে পরিবারের কর্তার কর্তব্য কি? (১৯৫) সফর অবস্থায় আযান দেয়ার বিধান কি? (১৯৬) একক ব্যক্তির জন্য আযান ও ইক্বামতের বিধান কি? (১৯৭) কোন ব্যক্তি যদি যোহর ও আছর ছালাত একত্রিত আদায় করে, তবে কি প্রত্যেক ছালাতের জন্য আলাদাভাবে ইক্বামত দিবে? নফল ছালাতের জন্য ইক্বামত আছে কি? (১৯৮) (الصلاة خير من النوم) “আছ্‌ছালাতু খাইরুম্‌ মিনান্‌ নাওম” কথাটি কি ফজরের প্রথম আযানে বলতে হবে না দ্বিতীয় আযানে? (১৯৯) টেপ রেকর্ডারের মাধ্যমে আযান দিলে আযান হবে কি? (২০০) মসজিদে প্রবেশ করার সময় দেখলাম আযান হচ্ছে। এসময় কোন কাজটি উত্তম? (২০১) আযানের জবাবে ‘রাযিতু বিল্লা-হি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দী-না, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা ওয়া রাসূলা।’ দু’আটি কখন বলতে হবে? (২০২) আযানের দু’আর শেষে “ইন্নাকা লা তুখ্‌লিফুল মীআ’দ” বাক্যটি বৃদ্ধি করে পড়া কি ছহীহ্‌ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত? (২০৩) ইক্বামতের শব্দগুলো কি মুক্তাদীদেরকেও বলতে হবে? (২০৪) ইক্বামতে ‘ক্বাদক্বামাতিছ্‌ ছালাত’ বলার সময় ‘আক্বামাহাল্লাহু ওয়া আদামাহা’ বলা কি ঠিক? (২০৫) ছালাত আদায় করার জন্য উত্তম সময় কি? প্রথম সময়ই কি সর্বোত্তম? (২০৬) অজ্ঞতা বশতঃ সময় হওয়ার আগেই ছালাত আদায় করে নেয়ার বিধান কি? (২০৭) ভুল এবং অজ্ঞতার কারণে ক্বাযা নামায সমূহের তারতীব বা ধারাবাহিকতা কি রহিত হয়ে যাবে? (২০৮) এশা ছালাতের জন্য মসজিদে প্রবেশ করে মনে পড়ল, মাগরিব ছালাত বাকী আছে, এখন তার করণীয় কি? (২০৯) নিদ্রা বা ভুলে যাওয়ার কারণে যদি আমার এক বা ততোধিক ফরয ছালাত ছুটে যায়, তবে তা কাযা আদায় করার নিয়ম কি? প্রথমে কি বর্তমান সময়ের ছালাত আদায় করব তারপর কাযা নামায আদায় করব? নাকি আগে কাযা নামায সমূহ তারপর বর্তমান নামায আদায় করব? (২১০) কোন কোন লোক এমন পাতলা পোশাকে ছালাত আদায় করে যে, বাইরে থেকে তার শরীরের রং বুঝা যায়। নীচে রানের আধা-আধি পর্যন্ত ছোট পায়জামা বা জাঙ্গিয়া পরিধান করে। পাতলা কাপড়ের কারণে রানের বাকী অর্ধেক অংশ স্পষ্টই দেখা যায়। এদের নামাযের বিধান কি? (২১১) অনেক মহিলা পোশাক পরিধান করে। যার সামনে, পিছনে ও উভয় পার্শ্বে খোলা থাকে। ফলে পায়ের অনেকাংশ উন্মুক্ত হয়ে যায়। এদের কথা হচ্ছে, আমরা তো শুধু নারীদের সামনেই এরূপ পোশাক পরিধান করি? এদের এই পোশাকের বিধান কি? (২১২) নিক্বাব ও হাত মোজা পরিধান করে কি নারীর নামায আদায় করা বৈধ? (২১৩) অজানা অবস্থায় কাপড়ে নাপাকি নিয়ে নামায আদায় করলে তার বিধান কি? প্রশ্নঃ (২১৪) টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরিধান করা যদি অহংকার বশতঃ হয় তবে তার শাস্তি কি? কিন্তু যদি অহংকার বশতঃ না হয় তবে তার শাস্তি কি? আবু বকরের হাদীছ দ্বারা যারা দলীল পেশ করে তাদের দাবীর কি জবাব? (২১৫) এক ব্যক্তি নামায সম্পন্ন করার পর জানল যে, সে ‘জুনুব’ অপবিত্র অবস্থায় ছিল, অর্থাৎ তার উপর গোসল ফরয ছিল। এখন তার করণীয় কি? (২১৬) ছালাতরত অবস্থায় নাক থেকে রক্ত বের হলে কি করবে? (২১৭) কোন মসিজদে কবর থাকলে সেখানে নামায আদায় করার হুকুম কি? (২১৮) টয়লেটের ছাদের উপর ছালাত আদায় করার হুকুম কি? নাপাক উচ্ছিষ্ট একত্রিত করা হয় এমন ঘরের ছাদে ছালাত আদায় করার বিধান কি? (২১৯) মসজিদুল হারামের যমিনে (Floor) জুতা নিয়ে হাঁটার বিধান কি? (২২০) ক্বিবলা থেকে সামান্য সরে গিয়ে নামায আদায় করলে কি নামায ফিরিয়ে পড়তে হবে? (২২১) একদল লোক ক্বিবলামুখী না হয়েই ছালাত আদায় করে নিয়েছে। তাদের এই নামাযের কি হবে? (২২২) নিয়ত মুখে উচ্চারণ করার বিধান কি? (২২৩) নফল আদায়কারী ব্যক্তির পিছনে ফরয নামায আদায় করার বিধান কি? যেমন তারাবীহ্‌র নামাযের ইমামের পিছনে এশা ছালাত আদায় করা? (২২৪) মুসাফির যদি স্থানীয় ইমামের শেষ দু’রাকাত নামাযে শরীক হয়। তবে কছরের নিয়ত করে উক্ত দু’রাকাআত শেষে ইমামের সাথে সালাম ফেরানো জায়েয হবে কি? (২২৫) ছালাতে শামিল হওয়ার জন্য দ্রুত পায়ে হেঁটে আসার বিধান কি? (২২৬) জামাআত চলাবস্থায় ইমামের সাথে রাকাআত ধরার জন্য দ্রুত চলার বিধান কি? (২২৭) মুছল্লীদের মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে এমনভাবে উচ্চৈঃস্বরে কুরআন তেলাওয়াত করার বিধান কি? (২২৮) অনেক মানুষ ইক্বামতের পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে নামায শুরু হওয়ার অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে থাকে। তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায আদায় করে না। এরূপ করার বিধান কি? (২২৯) মসজিদুল হারামে দেখা যায় অনেক পুরুষ ফরয নামাযের জামাআতে নারীদের পিছনেই কাতার বন্দী হয়। তাদের নামায কি বিশুদ্ধ হবে? তাদের জন্য আপনি কিছু নসীহত করবেন কি? (২৩০) কাতার থেকে শিশু-কিশোরদেরকে সরিয়ে দেয়া জায়েয কি? (২৩১) দু’স্তম্ভের মধ্যবর্তী স্থানে নামায আদায় করার বিধান কি? (২৩২) নারীদের কাতারের বিধান কি? তাদের জন্য উত্তম কাতার শেষেরটি এবং অনুত্তোম কাতার প্রথমটি একথাটি কি সর্বাবস্থায় নাকি একথা নারী-পুরুষের মধ্যবর্তী স্থানে কোন আড়াল না থাকলে? (২৩৩) মসজিদের বাইরে সংশ্লিষ্ট রাস্তায় নামায আদায় করার বিধান কি? (২৩৪) কাতার সোজা করার ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য কথা কি? মুছল্লীদের পরস্পর কাঁধের সাথে কাঁধ এবং পায়ের সাথে পা মিলানো কি আবশ্যক? (২৩৫) নামাযে চারটি স্থান ব্যতীত অন্য কোন স্থানে হাত উত্তোলনের কথা কি প্রমাণিত আছে? অনুরূপভাবে জানাযা ও দু’ঈদের ছালাতের তাকবীরের সময় হাত উত্তোলন করার কি বিধান? (নামাযে রফউল ইয়াদাইন বা হাত উত্তোলনের বিধান কি?) (২৩৬) ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেলে কয়টি তাকবীর দিতে হবে? (২৩৭) ডান হাতকে বাম হাতের উপর রেখে তা কি বুকের উপর বা অন্তরের (Heart) উপর রাখবে নাকি নাভীর নীচে রাখবে? হাত বাঁধার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মাঝে কোন পার্থক্য আছে কি? (২৩৮) স্বশব্দে ‘বিসমিল্লাহ্‌...” পাঠ করার বিধান কি? (২৩৯) দু’আ ইসে-ফ্‌তাহ্‌ বা নামায শুরুর দু’আ (ছানা) পাঠ করার হুকুম কি? (২৪০) ‘আমীন’ বলা কি সুন্নাত? (২৪১) (ইয়্যাকানা’বুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাঈন) পাঠ করার সময় ‘আমরা আল্লাহ্‌র কাছে সাহায্য চাই’। এরূপ কথা বলার বিধান কি? (২৪২) নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার বিধান কি? (২৪৩) মুক্তাদী কখন সূরা ফাতিহা পাঠ করবে? ইমামের ফাতিহা পাঠ করার সময়? নাকি ইমাম সূরা ফাতিহা শেষ করে অন্য সূরা পাঠ শুরু করলে? (২৪৪) নামায বা কুরআন তেলাওয়াতের সময় কিভাবে অন্তর নরম করা যায়? (২৪৫) সূরা ফাতিহা পাঠ করার পর কিছুক্ষণ চুপ থাকার বিধান কি? (২৪৬) ফজরের এক রাকাআত নামায ছুটে গেলে বাকী রাকাআতটি কি স্বশব্দে না নীরবে পাঠ করবে? (২৪৭) রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নামাযের পদ্ধতির উপর লিখিত একটি পুস্তকে পড়লাম, রুকূ থেকে উঠার পর আবার হাত বাঁধা একটি বিভ্রান্তকর বিদআত। এক্ষেত্রে বিশুদ্ধ কথা কি? আল্লাহ্‌ আপনাকে উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন (২৪৮) ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদু’ বলার পর ‘ওয়াশ্‌ শুক্‌রু’ শব্দ বৃদ্ধি করে বলার বিধান কি? (২৪৯) সিজদায় যাওয়ার পদ্ধতি কি? (২৫০) সামনের দিকে অতিরিক্ত বেড়ে গিয়ে সিজদা করার বিধান কি? (২৫১) সিজদার কারণে কপালে দাগ পড়া কি নেক লোকের পরিচয়? (২৫২) দু’সিজদার মধ্যবর্তী সময়ে তর্জনী আঙ্গুল নাড়ানোর বিধান কি? (২৫৩) জালসা ইস্তেরাহা করার বিধান কি? (২৫৪) তাশাহুদের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত তর্জনী আঙ্গুল নড়ানোর বিধান কি? (২৫৫) প্রথম বৈঠকে শুধু তাশাহুদের শব্দগুলো পাঠ করবে? না কি দরূদও পাঠ করবে? (২৫৬) নামাযে তাওয়ার্‌রুক করার বিধান কি? এ বিধান কি নারী-পুরুষ সবার জন্যই? (২৫৭) ইমাম যদি শুধুমাত্র ডান দিকে একবার সালাম ফেরায় তাহলে কি যথেষ্ট হবে? (২৫৮) নামায শেষ হওয়ার সাথে সাথেই কি ইমাম উঠে চলে যেতে পারেন? নাকি কিছুটা অপেক্ষা করবেন? (২৫৯) নামায শেষ করেই পার্শ্ববর্তী মুছল্লীর সাথে মুছাফাহা করা ও ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু’ (আল্লাহ্‌ কবূল করুন) বলা সম্পর্কে আপনার মত কি? (২৬০) তাসবীহ্‌ দানা দ্বারা তাসবীহ্‌ পড়ার বিধান কি? (২৬১) নামাযের পর সুন্নাত সম্মত যিকির সমূহ কি কি? (২৬২) নামাযের পর হাত উত্তোলন করে দু’আ করার বিধান কি? (২৬৩) ফরয নামাযান্তে- সমস্বরে সূরা ফাতিহা, আয়াতুল কুরসী প্রভৃতি পাঠ করার বিধান কি? (২৬৪) টয়লেট সারতে গেলে জামাআত ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকলে কি করবে? (২৬৫) নামায পড়ার সময় চোখ বন্ধ রাখার বিধান কি? (২৬৬) নামাযরত অবস্থায় ভুলক্রমে আঙ্গুল ফুটালে কি নামায বাতিল হয়ে যাবে? (২৬৭) সুতরার বিধান কি? এবং এর সীমা কতটুকু? (২৬৮) মসজিদে হারামে মুছল্লীর সম্মুখ দিয়ে অতিক্রম করার বিধান কি? নামায ফরয হোক বা নফল। মুছল্লী মুক্তাদী হোক বা একাকী হোক। (২৬৯) নামাযের সময় মুছল্লীদের সম্মুখে বৈদ্যুতিক হিটার (শীতকালে ঠান্ডা কমানোর জন্য ব্যবহৃত হিটার) রাখার বিধান কি? এক্ষেত্রে কি কোন শরঈ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে? (২৭০) নামাযের ক্বিরাতে জান্নাত ও জাহান্নামের আলোচনা আসলে জান্নাতের প্রার্থনা এবং জাহান্নাম থেকে আশ্রয় কামনা করা জায়েয কি? (২৭১) সাহু সিজদা করার কারণ সমূহ কি কি? (২৭২) ইমাম ভুলক্রমে এক রাকাআত নামায বৃদ্ধি করেছেন। আমি মাসবূক হিসেবে ইমামের অতিরিক্ত নামায আমার নামাযের সাথে মিলিয়ে নিয়েছি। আমার নামায কি বিশুদ্ধ হয়েছে? আর যদি ঐ রাকাতের হিসাব না ধরি তবে তার বিধান কি? (২৭৩) তাহাজ্জুদ নামাযে ভুলক্রমে তৃতীয় রাকাআতের জন্য দাঁড়িয়ে পড়লে করণীয় কি? (২৭৪) প্রথম তাশাহুদ না পড়ে দাঁড়িয়ে পড়লে করণীয় কি? এক্ষেত্রে কখন সাহু সিজদা করতে হবে? (২৭৫) বিতর নামাযের বিধান কি? উহা কি শুধু রামাযান মাসের জন্যই? (২৭৬) দু’আ কুনূতের জন্য কি বিশেষ কোন দু’আ আছে? এ সময় দু’আ কি দীর্ঘ করা যায়? (২৭৭) দু’আ কুনূত পাঠ করার সময় হাত উত্তোলন করা কি সুন্নাত? দলীলসহ জবাব চাই। (২৭৮) ফরয নামাযে কুনূত পড়ার বিধান কি? যদি মুসলমানদের কোন বিপদ আসে তখন করণীয় কি? (২৭৯) তারাবীহ্‌ নামাযের বিধান কি? এর রাকাত সংখ্যা কত? (২৮০) তারাবীহ্‌ নামাযে কুরআন খতম করার দু’আ পাঠ করার বিধান কি? (২৮১) প্রতি বছর কি লাইলাতুল কদর নির্দিষ্ট এক রাতেরই হয়ে থাকে? না কি তা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাতে হয়ে থাকে? (২৮২) তারাবীহ্‌ নামাযে কুরআন হাতে নিয়ে ইমামের পড়ার অনুসরণ করার বিধান কি? (২৮৩) কোন কোন ইমাম তারাবীহ্‌ নামাযে কন্ঠস্বর পরিবর্তন করে মানুষের অন্তর নরম ও তাদের মধ্যে প্রভাব ফেলার চেষ্টা করে। কোন কোন মানুষ এটাকে অপছন্দ করে। আল্লাহ্‌ আপনাকে হেফাযত করুন্ত এক্ষেত্রে আপনার মত কি? (২৮৪) কোন কোন বিদ্বান বলেন, ফরয নামাযের সাথে সংশ্লিষ্ট সুন্নাত সমূহের সময় হচ্ছে ফরয নামাযের সময় হওয়ার পর। ফরযের সময় শেষ হলে সুন্নাতের সময়ও শেষ। আবার কেউ বলেন, পূর্বের সুন্নাতগুলো ফরয শেষ হলেই শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রে সঠিক কথা কি? (২৮৫) ফজরের পূর্বের সুন্নাত ফরযের পর আদায় করা যাবে কি? (২৮৬) আযানের পূর্বে যদি মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায আদায় করে। তবে আযানের পর কি পুনরায় কোন নফল নামায আদায় করতে পারবে? (২৮৭) সুন্নাত নামাযের সময় অতিবাহিত হয়ে গেলে তা কি কাযা আদায় করা যায়? (২৮৮) ফরজ নামায আদায় শেষে সুন্নাত আদায় করার জন্য স্থান পরিবর্তন করার কোন দলীল আছে কি? (২৮৯) চাশতের নামায ছুটে গেলে তার কি কাযা আদায় করা যায়? (২৯০) তিলাওয়াতের সিজদা দেয়ার জন্য তাহারাত বা পবিত্রতা কি আবশ্যক? এই সিজদায় কি দু‘আ পাঠ করতে হবে? (২৯১) কখন আল্লাহ্‌র জন্য সিজদা শুক্‌র দিতে হয়? এর পদ্ধতি কি? এর জন্য ওযু করা কি আবশ্যক? (২৯২) ছালাতে ইস্তেখারার বিধান কি? তাহিয়্যাতুল মসজিদ বা সুন্নাত নামায পড়ে কি ইস্তেখারার দু’আ পড়া যায়? (২৯৩) ছালাতু তাছবীহ্‌ নামায কি? (২৯৪) বিবাহের সময় দু’রাকাআত নামায পড়ার বিধান কি? বিশেষ করে বাসর রাতে এ দু’রাকাআতের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়? (২৯৫) নামাযের নিষিদ্ধ সময় সমূহ কি কি? মাগরিবের পূর্বে মসজিদে প্রবেশ করে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নামায আযানের পূর্বে না আযানের পর আদায় করবে? (২৯৬) জামাআতে নামায আদায় করার বিধান কি? (২৯৭) একদল লোক কোন স্থানে বসবাস করে। ঐ বাসস্থানে জামাআতের সাথে নামায আদায় করা কি তাদের জন্য জায়েয হবে? নাকি মসজিদে গমণ করা আবশ্যক? (২৯৮) কর্মক্ষেত্রে কর্মচারীর জন্য কোনটি উত্তম- আযান শোনার সাথে সাথে নামাযে যাওয়া? নাকি কিছুটা অপেক্ষা করে কিছু কাজ সম্পাদন করে নামায আদায় করা। আর সুন্নাতে মুআক্কাদা ছাড়া অন্যান্য নফল নামায পড়ার ক্ষেত্রে তার বিধান কি? (২৯৯) করো যদি প্রথম এক রাকাআত বা দু’রাকাআত ছুটে যায়, তবে ইমামের সালামের পর সে কি ছুটে যাওয়া রাকাআতের কাযা আদায় করার জন্য সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলাবে? নাকি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করেই ক্ষ্যান্ত হবে? (১৮৬) জনৈক ব্যক্তি দু‘মাস যাবত বেহুশ অবস্থায় ছিল। কোন কিছুই অনুধাবন করতে পারেনি। ফলে না ছালাত আদায় করেছে না রামাযানের ছিয়াম পালন করেছে। এখন তার করণীয় কি? (৩০০) মসজিদে প্রবেশ করে ইমামকে শেষ তাশাহুদে পেলে কি নামাযে শামিল হবে? নাকি দ্বিতীয় জামাআত কায়েম করার জন্য অপেক্ষা করবে? (৩০১) নফল বা সুন্নাত নামায শুরু করে দিয়েছি। এমন সময় ফরয নামাযের ইক্বামত হয়ে গেল। এখন কি করব? (৩০২) মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা শেষ হওয়ার পূর্বে ইমাম রুকূতে চলে গেলে মুক্তাদীর করণীয় কি? (৩০৩) মুক্তাদী যদি ইমামকে সিজদা অবস্থায় পায়, তবে কি ইমামের সিজদা থেকে উঠার অপেক্ষা করবে? নাকি সিজদা অবস্থাতেই নামাযে শামিল হবে? (৩০৪) যেসমস্ত নামাযে নীরবে কিরাআত পাঠ করা হয় সে সমস্ত নামাযে মুক্তাদীর ফাতিহার পর অন্য সূরা পাঠ করার বিধান কি? (৩০৫) ইমামের আগে আগে কোন কাজ করার বিধান কি? (৩০৬) গুনাহ্‌গার (ফাসেক) লোকের পিছনে নামায পড়া কি জায়েয? (৩০৭) নফল আদায়কারীর পিছনে কি ফরয আদায় করা জায়েয হবে? অথবা ফরয আদায় কারীর পিছনে কি নফল আদায় করা চলবে? (৩০৮) একটি বিষয় নিয়ে মুছল্লীদের মাঝে মতবিরোধ হয়েছে। বিষয়টি হচ্ছে, জনৈক লোক নামায কায়েম হওয়ার পর মসজিদে প্রবেশ করে দেখে কাতার পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। কাতারে কোন জায়গা নেই। সে কি আগের কাতার থেকে একজন লোক টেনে নিয়ে তাকে নিয়ে নতুন কাতার করবে? না একাকী কাতারে দাঁড়াবে? না অন্য কিছু করবে? (৩০৯) মসজিদের উপর তলার লোকেরা নীচের তলার লোকদের দেখতে না পেলে নামায বিশুদ্ধ হবে কি? (৩১০) রেডিও-টিভিতে প্রচারিত নামাযের অনুসরণ করা জায়েয আছে কি? (৩১১) উড়োজাহাজে নামায আদায় করার পদ্ধতি কি? (৩১২) কতটুকু দূরত্বে গেলে মুসাফির নামায কসর করতে পারে? কসর না করেই কি দু’নামাযকে একত্রিত করা যায়? (৩১৩) জনৈক ব্যক্তি লিখা-পড়ার জন্য জুমআর দিন সন্ধ্যায় রিয়াদ গমণ করে ও সোমবার দিন প্রত্যাবর্তন করে। সে কি মুসাফিরের মত নামায কসর করে আদায় করবে? (৩১৪) জুমআর সাথে আছরের নামায একত্রিত করার বিধান কি? যারা শহরের বাইরে থাকে তাদের জন্য কি একত্রিত করা জায়েয? (৩১৫) সফর অবস্থায় কি কি বিষয়ে রুখসত বা অবকাশ রয়েছে? (৩১৬) শুক্রবার দিবসের প্রথম ওয়াক্ত কখন থেকে শুরু হয়? (৩১৭) ইমামের কন্ঠস্বর শুনতে পেলে কি নিজ গৃহে থেকে জুমআর নামায আদায় করা জায়েয হবে? (৩১৮) জুমআর দিন মহিলারা কত রাকাআত নামায আদায় করবে? (৩১৯) যে ব্যক্তি জুমআর ছালাত আদায় করবে সে কি যোহরও আদায় করবে? (৩২০) আমরা সমুদ্রের মধ্যে (জাহাজে) কাজ করি। জুমআর নামাযের সময় হয়ে গেছে। কিন্তু যোহরের আযানের সময় হওয়ার আধা ঘন্টা পর স্তলে এসে আযান দিয়ে জুমআর নামায আদায় করা কি আমাদের জন্য জায়েয হবে? (৩২১) জুমআর নামাযের শেষ তাশাহুদে ইমামের সাথে নামাযে শামিল হলে কি করবে? (৩২২) জুমআর খুতবার শেষ প্রান্তে ইমাম যখন দু’আ করেন, তখন ‘আমীন’ বলা কি বিদআত? (৩২৩) জুমআর খুতবায় দু’আর সময় হাত উত্তোলন করার বিধান কি? (৩২৪) আরবী ভাষা ছাড়া অন্য ভাষায় খুতবা প্রদানের বিধান কি? (৩২৫) জুমআর দিবসে গোসল করার বিধান কি নারী ও পুরুষের সকলের জন্য? এ দিনের এক বা দু’দিন পূর্বে গোসল করার হুকুম কি? (৩২৬) খুতবার জন্য দ্বিতীয় আযানের সময় মসজিদে প্রবেশ করলে করণীয় কি? (৩২৭) জুমআর মসজিদে মানুষের ঘাড় ডিঙ্গিয়ে সামনের কাতারে যাওয়ার বিধান কি? (৩২৮) ইমামের খুতবার সময় মসজিদে প্রবেশ কালে সালাম প্রদান এবং সালামের জবাব দেয়ার বিধান কি? (৩২৯) ঈদের দিন কি বলে একে অপরকে অভিনন্দন জানাবে? (৩৩০) ঈদের নামাযের বিধান কি? (৩৩১) এক শহরে একাধিক ঈদের নামায অনুষ্ঠিত করার বিধান কি? (৩৩২) দু’ঈদের নামাযের পদ্ধতি কিরূপ? (৩৩৩) ঈদের নামাযের পূর্বে দলবদ্ধভাবে মাইক্রোফোনে তাকবীর প্রদান করার বিধান কি? (৩৩৪) ঈদের তাকবীর কখন থেকে পাঠ করতে হবে? তাকবীর পড়ার পদ্ধতি কি? (৩৩৫) সূর্য গ্রহণ ও চন্দ্র গ্রহণের নামায আদায় করার বিধান কি? (৩৩৬) সূর্য গ্রহণ বা চন্দ্র গ্রহণের নামায ছুটে গেলে কিভাবে তা কাযা আদায় করবে? (৩৩৭) ইস্তেস্কার নামাযে চাদর উল্টিয়ে নেয়ার কাজটি কখন করতে হবে? দু’আর সময় নাকি গৃহ থেকে বের হওয়ার সময়? আর এই চাদর উল্টানোর হিকমত কি? (৩৩৮) কেউ কেউ বলে থাকে, “তোমরা ইস্তেস্কা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার দু’আ না করলেও বৃষ্টি হবে।” একথা সম্পর্কে আপনার মত কি? (৩৩৯) কোন ব্যক্তি নিজের দাফনের ব্যাপারে স্থান নির্ধারণ করে ওসীয়ত করলে তার বিধান কি? (৩৪০) মুমূর্ষু ব্যক্তিকে কখন ‘লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলার তালক্বীন দিতে হবে? (৩৪১) দূর-দুরান্ত থেকে নিকটাত্মীয়দের উপস্থিত হওয়ার অপেক্ষায় মৃত ব্যক্তিকে দাফন করতে বিলম্ব করার বিধান কি? (৩৪২) জানাযার নামাযে উপস্থিত হওয়ার জন্য নিকটাত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবকে সংবাদ দেয়া কি নিষিদ্ধ ‘নাঈ’ তথা ঘটা করে মৃত্যু সংবাদ প্রচারের অন্তর্ভুক্ত হবে? নাকি তা বৈধ? (৩৪৩) মৃত ব্যক্তির গোসলের বিশুদ্ধ পদ্ধতি কি? (৩৪৪) দুর্ঘটনা কবলিত, আগুনে পুড়া প্রভৃতি কারণে শুধুমাত্র দু’একটি অঙ্গ পাওয়া গেলে তার জানাযা ও গোসলের নিয়ম কি? (৩৪৫) জনৈক মহিলার গর্ভস্ত সন্তানের বয়স ছয় মাস হলে তা পড়ে যায়। সে কিন্তু বিভিন্ন ধরণের কষ্টকর ও ক্লান্তিকর কাজ করতো এবং সেই সাথে রামাযান মাসে ছিয়ামও পালন করতো। তার আশংকা হচ্ছে এই গর্ভপাতের কারণ সে নিজেই। কারণ গর্ভ নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করতো। তাছাড়া জানাযা না পড়েই উক্ত মৃত সন্তানকে দাফন করে দেয়া হয়েছে। তার জানাযা না পড়া কি ঠিক হয়েছে? আর এই মহিলাই বা কি করবে, যে কঠিন পরিশ্রম করার কারণে বাচ্চা মারা গেছে এই অনুশোচনায় ভুগছে। (৩৪৬) জানাযা নামায আদায় করার পদ্ধতি কি? (৩৪৭) মৃত ব্যক্তি যদি বেনামাযী হয় বা বেনামাযী হওয়ার ব্যাপারে সন্দেহ থাকে বা সে মূলতঃ নামাযী বা বেনামাযী তার বিষয়টি অজানা থাকে, তবে তার জানাযা পড়ার বিধান কি? (৩৪৮) জানাযা নামাযের জন্য কোন সময় নির্ধারিত আছে কি? রাতে কি দাফন করা জায়েয। জানাযার উপস্থিতিতে লোক সংখ্যার কি কোন সীমারেখা আছে? (৩৪৯) গায়েবানা জানাযার বিধান কি? (৩৫০) কোন কোন দেশে মৃত ব্যক্তিকে পিঠের উপর শুইয়ে হাত দু‘টো পেটের উপর রেখে দাফন করা হয়। দাফনের ক্ষেত্রে বিশুদ্ধ পদ্ধতি কি? (৩৫১) গোরস্থানে কুরআন তেলাওয়াত করা এবং দু’আ করার বিধান কি? (৩৫২) কবর যিয়ারত করার নিয়ম কি? নারীদের কবর যিয়ারত করার বিধান কি? (৩৫৩) মৃতের বাড়ীতে কুরআন খানী অনুষ্ঠান করার বিধান কি? যাকাত অনুচ্ছেদ ৩৮ টি প্রশ্ন: (৩৫৪) যাকাত ফরয হওয়ার শর্তাবলী কী কী? প্রশ্ন: (৩৫৫) প্রতিমাসে প্রাপ্য বেতনের যাকাত কীভাবে প্রদান করতে হবে? প্রশ্ন: (৩৫৬) শিশু ও পাগলের সম্পদে কি যাকাত ওয়াজিব হবে? প্রশ্ন: (৩৫৭) প্রদত্ত ঋণের যাকাত আদায় করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৫৮) মৃত ব্যক্তির ঋণ কি যাকাত থেকে পরিশোধ করা যাবে? প্রশ্ন: (৩৫৯) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির সাদকা করা কি ঠিক হবে? ঋণগ্রস্ত ব্যক্তি কোন ধরণের শরী‘আতের দাবী থেকে মুক্তি পাবে? প্রশ্ন: (৩৬০) জনৈক ব্যক্তি চার বছর যাকাত আদায় করে নি। এখন তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৩৬১) বছরের অর্ধেক সময় পশু চারণ ভূমিতে চরে খেলে তাতে কি যাকাত দিতে হবে? প্রশ্ন: (৩৬২) তিন বছর আগে আমি বাড়ী ক্রয় করেছি। (আল-হামদু লিল্লাহ) বাড়ীর সীমানার মধ্যে তিনটি খেজুর গাছ আছে। প্রত্যেক গাছে প্রচুর পরিমাণে খেজুর পাওয়া যায়। এ খেজুরে কি যাকাত দিতে হবে? যাকাত দেওয়া ওয়াজিব হয়ে থাকলে তো এ সম্পর্কে অধিকাংশ মানুষই অজ্ঞ। এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে: ১) খেজুরগুলো নিসাব পরিমাণ হলো কি না তা জানার উপায় কী? আমি তো বিভিন্ন সময় খেজুর পেড়ে থাকি? ২) কীভাবে যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে? প্রত্যেক প্রকার খেজুরের যাকাত কি আলাদাভাবে বের করতে হবে? নাকি সবগুলো একত্রিত করে যে কোনো এক প্রকার থেকে যাকাত দিলেই চলবে? ৩) খেজুর থেকে যাকাত না দিয়ে এর বিনিময় মূল্য দিলে চলবে কী? ৪) বিগত বছরগুলোতে তো যাকাত বের করিনি। এখন আমি কি করব? প্রশ্ন: (৩৬৩) স্বর্ণ ও রৌপ্যের যাকাতের নিসাব কী? আর কিলোগ্রাম হিসেবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সা‘ এর পরিমাণ কত? প্রশ্ন: (৩৬৪) মেয়েদেরকে দেওয়া স্বর্ণ একত্রিত করলে নিসাব পরিমাণ হয়। একত্রিত না করলে নিসাব হয় না। এ অবস্থায় করণীয় কী? প্রশ্ন: (৩৬৫) নিজের প্রদত্ব যাকাত থেকে গ্রহীতা যদি উপহারস্বরূপ কিছু প্রদান করে, তবে তা কি গ্রহণ করা যাবে? প্রশ্ন: (৩৬৬) সম্পদের যাকাতের পরিবর্তে কাপড় ইত্যাদি প্রদান করা কি জায়েয হবে? প্রশ্ন: (৩৬৭) স্বর্ণের সাথে মূল্যবান ধাতু হীরা প্রভৃতি থাকলে কীভাবে স্বর্ণের যাকাত দিবে? প্রশ্ন: (৩৬৮) যাকাতের অর্থ দ্বারা মসজিদ নির্মাণ করার বিধান কী? ফক্বীর বা অভাবী কাকে বলে? প্রশ্ন: (৩৬৯) ভাড়া বা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত গাড়ীতে কি যাকাত আবশ্যক? প্রশ্ন: (৩৭০) ভাড়া দেওয়া হয়েছে এমন বাড়ীর যাকাত দেওয়ার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৭১) জনৈক ব্যক্তি বসবাসের উদ্দেশ্যে একটি যমীন খরিদ করেছে। তিন বছর পর সে তা দ্বারা ব্যবসা করার ইচ্ছা করল। এখন উক্ত তিন বছরের কি যাকাত দিতে হবে? প্রশ্ন: (৩৭২) রামাযানের প্রথম দশকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৭৩) সাদ্কার নিয়তে বেশি করে ফিতরা আদায় করা জায়েয হবে কী? প্রশ্ন: (৩৭৪) কতিপয় বিদ্বান মনে করেন, যে সমস্ত বস্তু দ্বারা ফিতরা দেওয়ার কথা হাদীসে বর্ণিত হয়েছে, তা যেহেতু বর্তমানে পাওয়া যায়, তাই চাউল দ্বারা ফিতরা দেওয়া বিধিসম্মত নয়। এ সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই? প্রশ্ন: (৩৭৫) কারো নিকট যদি মৃত ব্যক্তির অসীয়তকৃত সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থাকে এবং ইয়াতীমের কিছু সম্পদ থাকে, তাতে কি যাকাত দিতে হবে? প্রশ্ন: (৩৭৬) ব্যক্তিগত গাড়ীতে কি যাকাত দিতে হবে? প্রশ্ন: (৩৭৭) যাকাত দেওয়ার সময় কি বলে দিতে হবে যে, এটা যাকাত? প্রশ্ন: (৩৭৮) এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাকাত স্থানান্তর করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৭৯) জনৈক ব্যক্তি মক্কায় থাকে আর তার পরিবার রিয়াদে। সে কি নিজ পরিবারের লোকদের ফিতরা মক্কায় আদায় করতে পারবে? প্রশ্ন: (৩৮০) ঋণগ্রস্তের হাতে যাকাত দেওয়া উত্তম? না কি তার পাওনাদারের নিকট গিয়ে তার পক্ষ থেকে ঋণ পরিশোধ করা উত্তম? প্রশ্ন: (৩৮১) যারাই যাকাত গ্রহণের জন্য হাত বাড়ায় তারাই কি তার হকদার? প্রশ্ন: (৩৮২) জনৈক ধনী ব্যক্তি একজন লোককে বলল আপনি যাদেরকে হকদার মনে করেন তাদের কাছে আমার এ যাকাত বন্টন করে দিন। এখন এ ব্যক্তি কি যাকাতের কাজে নিযুক্ত হিসেবে গণ্য হবে এবং কুরআনের নির্দেশ অনুযায়ী যাকাতের হকদার হবে? প্রশ্ন: (৩৮৩) দুর্বল ঈমানের অধিকারী কোনো ব্যক্তিকে ঈমান শক্তিশালী করার জন্য যাকাত দেওয়া যাবে কী? সে কিন্তু কোনো এলাকার নেতা বা সরদার নয়। প্রশ্ন: (৩৮৪) ইসলামী জ্ঞান শিক্ষায় নিয়োজিত ছাত্রকে যাকাত দেওয়ার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৮৫) মুজাহিদদেরকে যাকাত প্রদান করা কি জায়েয? প্রশ্ন: (৩৮৬) মসজিদ নির্মাণের কাজে যাকাত প্রদান করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৮৭) নিকটাত্মীয়দের যাকাত প্রদান করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৮৮) যাকাত-সাদকা আদায় করা কি শুধু রামাযান মাসের জন্যই বিশিষ্ট? প্রশ্ন: (৩৮৯) মানুষ তার জীবদ্দশায় যা দান করে তাকেই কি সাদকায়ে জারিয়া বলে? নাকি মৃত্যুর পর আত্মীয়-স্বজনের দানকে সাদকায়ে জারিয়া বলে? প্রশ্ন: (৩৯০) স্ত্রী যদি স্বামীর সম্পদ থেকে নিজের জন্য দান করে বা তা মৃত নিকটাত্মীয়ের জন্য দান করে, তবে তা জায়েয হবে কী? প্রশ্ন: (৩৯১) জনৈক ফক্বীর এক ধনী লোকের যাকাত নিয়ে আসে এ কথা বলে যে, তার পক্ষ থকে সে তা বিতরণ করে দিবে। তারপর তা সে নিজের কাছেই রেখে দেয়। তার এ কাজের বিধান কী? ছিয়াম (রোযা) অনুচ্ছেদ ৫৭ টি প্রশ্ন: (৩৯২) সিয়াম ফরয হওয়ার হিকমত কী? প্রশ্ন: (৩৯৩) মুসলিম জাতির একতার লক্ষ্যে কেউ কেউ চাঁদ দেখার বিষয়টিকে মক্কার সাথে সংশ্লিষ্ট করতে চায়। তারা বলে মক্কায় যখন রামাযান মাস শুরু হবে তখন বিশ্বের সবাই সাওম রাখবে। এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী? প্রশ্ন: (৩৯৪) সাওম আদায়কারী যদি এক দেশ থেকে অন্য দেশে স্থানান্তর হয়, কিন্তু আগের দেশে ঈদের চাঁদ দেখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। সেকি এখন সাওম ভঙ্গ করবে? উল্লেখ্য যে, দ্বিতীয় দেশে ঈদের চাঁদ এখনও দেখা যায় নি। প্রশ্ন: (৩৯৫) যে ব্যক্তি কষ্টকর কঠিন কাজ করার কারণে সাওম রাখতে অসুবিধা অনুভব করে তার কি সাওম ভঙ্গ করা জায়েয? প্রশ্ন: (৩৯৬) জনৈক বালিকা ছোট বয়সে ঋতুবতী হয়ে গেছে। সে অজ্ঞতাবশতঃ ঋতুর দিনগুলোতে সাওম পালন করেছে। এখন তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৩৯৭) জীবিকা নির্বাহের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে সিয়াম ভঙ্গ করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৩৯৮) সাওম ভঙ্গের গ্রহণযোগ্য কারণ কী কী? প্রশ্ন: (৩৯৯) রামাযান মাস শুরু হয়েছে কিনা এসংবাদ না পেয়েই জনৈক ব্যক্তি রাতে ঘুমিয়ে পড়ে। রাতে সে সিয়ামের নিয়ত করে নি ফজর হয়ে গেছে। ফজরের সময় সে জানতে পারল আজ রামাযানের প্রথম দিন। এ অবস্থায় তার করণীয় কী? উক্ত দিনের সিয়াম কি কাযা আদায় করতে হবে? প্রশ্ন: (৪০০) কারণবশতঃ কোনো ব্যক্তি যদি সাওম ভঙ্গ করে আর দিন শেষ হওয়ার আগেই উক্ত ওযর দূর হয়ে যায়। সে কি দিনের বাকী অংশ সাওম অবস্থায় কাটাবে? প্রশ্ন: (৪০১) জনৈক মহিলা কঠিন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে ডাক্তারগণ তাকে সাওম রাখতে নিষেধ করেছে। এর বিধান কী? প্রশ্ন: (৪০২) কখন এবং কীভাবে মুসাফির সালাত ও সাওম আদায় করবে? প্রশ্ন: (৪০৩) সফর অবস্থায় কষ্ট হলে সাওম রাখার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪০৪) আধুনিক যুগের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত ও আরামদায়ক হওয়ার কারণে সফর অবস্থায় সাওম রাখা মুসাফিরের জন্য কষ্টকর নয়। এ অবস্থায় সাওম রাখার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪০৫) সাওম অবস্থায় মুসাফির যদি মক্কায় পৌঁছে তবে ওমরা আদায় করতে শক্তি পাওয়ার জন্য সাওম ভঙ্গ করা জায়েয হবে কী? প্রশ্ন: (৪০৬) সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী কি সাওম ভঙ্গ করতে পারবে? ভঙ্গ করলে কীভাবে কাযা আদায় করবে? নাকি সাওমের বিনিময়ে খাদ্য দান করবে? প্রশ্ন: (৪০৭) ক্ষুধা-পিপাসা ও অতিরিক্ত ক্লান্তির সাথে সাওম পালন করলে সাওমের বিশুদ্ধতায় কি কোনো প্রভাব পড়বে? প্রশ্ন: (৪০৮) রামাযানের প্রত্যেক দিনের জন্য আলাদা আলাদাভাবে কি নিয়ত করা আবশ্যক? নাকি পূর্ণ মাসের নিয়ত একবার করে নিলেই হবে? প্রশ্ন: (৪০৯) সাওম ভঙ্গের জন্য অন্তরে দৃঢ় নিয়ত করলেই কি সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে? প্রশ্ন: (৪১০) রোজাদার ভুলক্রমে পানাহার করলে তার সিয়ামের বিধান কী? কেউ এটা দেখলে তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৪১১) সাওম রেখে সুরমা ব্যবহার করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪১২) সাওম অবস্থায় মিসওয়াক ও সুগন্ধি ব্যবহার করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪১৩) সিয়াম ভঙ্গকারী বিষয় কী কী? প্রশ্ন: (৪১৪) সাওম অবস্থায় শ্বাসকষ্টের কারণে স্প্রে (nabulijer) ব্যবহার করার বিধান কী? এ দ্বারা কি সিয়াম ভঙ্গ হবে? প্রশ্ন: (৪১৫) বমি করলে কি সাওম ভঙ্গ হবে? প্রশ্ন: (৪১৬) সাওম আদায়কারীর দাঁতের মাড়ি থেকে রক্ত বের হলে কি সাওম নষ্ট হবে? প্রশ্ন: (৪১৭) ঋতুবতী যদি ফজরের পূর্বে পবিত্র হয় এবং ফজর হওয়ার পর গোসল করে, তবে তার সাওমের বিধান কী? প্রশ্ন: (৪১৮) সাওম অবস্থায় দাঁত উঠানোর বিধান কী? প্রশ্ন: (৪১৯) সাওম রেখে রক্ত পরীক্ষা (Blood test) করার জন্য রক্ত প্রদান করার বিধান কী? এতে কি সাওম নষ্ট হবে। প্রশ্ন: (৪২০) সাওম আদায়কারী হস্ত মৈথুন করলে কি সাওম ভঙ্গ হবে? তাকে কি কোনো কাফফারা দিতে হবে? প্রশ্ন: (৪২১) সাওম আদায়কারীর জন্য আতর-সুগন্ধির ঘ্রাণ নেওয়ার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪২২) নাকে ধোঁয়া টানা এবং চোখে বা নাকে ড্রপ দেওয়ার মধ্যে পার্থক্য কী? প্রশ্ন: (৪২৩) সাওম আদায়কারীর নাকে, কানে ও চোখে ড্রপ ব্যবহার করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪২৪) সাওম অবস্থায় স্বপ্নদোষ হলে কি সিয়াম বিশুদ্ধ হবে? প্রশ্ন: (৪২৫) সাওম আদায়কারীর ঠাণ্ডা ব্যবহার করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪২৬) সাওম আদায়কারী কুলি করা বা নাকে পানি নেওয়ার কারণে যদি পেটে পৌঁছে যায়, তবে কি তার সাওম ভঙ্গ হয়ে যাবে? প্রশ্ন: (৪২৭) সাওম আদায়কারীর আতরের সুঘ্রাণ ব্যবহার করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪২৮) নাক থেকে রক্ত বের হলে কি সাওম নষ্ট হবে? প্রশ্ন: (৪২৯) রামাযানের কোনো কোনো ক্যালেন্ডারে দেখা যায় সাহুরের জন্য শেষ টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে এবং তার প্রায় দশ/পনর মিনিট পর ফজরের টাইম নির্ধারণ করা হয়েছে। সুন্নাতে কি এর পক্ষে কোনো দলীল আছে নাকি এটা বিদ‘আত? প্রশ্ন: (৪৩০) এয়ারপোর্টে থাকাবস্থায় সূর্য অস্ত গেছে মুআয্যিন আযান দিয়েছে, ইফতারও করে নিয়েছে। কিন্তু বিমানে চড়ে উপরে গিয়ে সূর্য দেখতে পেল। এখন কি পানাহার বন্ধ করতে হবে? প্রশ্ন: (৪৩১) সাওম আদায়কারীর কফ অথবা থুথু গিলে ফেলার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৩২) খাদ্যের স্বাদ গ্রহণ করলে কি সিয়াম নষ্ট হবে? প্রশ্ন: (৪৩৩) সাওম রেখে হারাম বা অশ্লীল কথাবার্তা উচ্চারণ করলে কি সিয়াম নষ্ট হবে? প্রশ্ন: (৪৩৪) মিথ্যা সাক্ষী দেওয়ার বিধান কী? তা কি সিয়াম নষ্ট করে? প্রশ্ন: (৪৩৫) সিয়ামের আদব কী কী? প্রশ্ন: (৪৩৬) ইফতারের জন্য কোনো দো‘আ কি প্রমাণিত আছে? সাওম আদায়কারী কি মুআয্যিনের জবাব দিবে নাকি ইফতার চালিয়ে যাবে? প্রশ্ন: (৪৩৭) সিয়াম কাযা থাকলে শাওয়ালের ছয়টি সাওম রাখার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৩৮) জনৈক অসুস্থ ব্যক্তি রামাযানে সাওম কাযা করেছে। কিন্তু পরবর্তী মাস শুরু হওয়ার চারদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। তার পক্ষ থেকে কি কাযা সাওমগুলো আদায় করতে হবে? প্রশ্ন: (৪৩৯) রামাযানের সাওম বাকী থাকাবস্থায় পরবর্তী রামাযান এসে গেলে কি করবে? প্রশ্ন: (৪৪০) শাওয়ালের ছয়টি সাওম পালন করার ক্ষেত্রে উত্তম পদ্ধতি কী? প্রশ্ন: (৪৪১) শাওয়ালের ছয়টি সাওম রাখার জন্য কি ইচ্ছামত দিন নির্ধারণ করা জায়েয? নাকি তার জন্য কোনো সময় নির্দিষ্ট করা আছে? এ দিনগুলো সাওম রাখলে কি উহা ফরযের মত হয়ে যাবে এবং প্রতি বছর আবশ্যিকভাবে সাওম পালন করতে হবে? প্রশ্ন: (৪৪২) আশুরা সিয়ামের বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৪৩) শাবান মাসে সাওম রাখার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৪৪) যার অভ্যাস আছে একদিন সাওম রাখা ও একদিন ছাড়া। সে কি শুক্রবারেও সাওম রাখতে পারে? প্রশ্ন: (৪৪৫) সাওমে বিছাল কাকে বলে? এটা কি শরী‘আত সম্মত? প্রশ্ন: (৪৪৬) বিশেষভাবে জুমু‘আর দিবস সাওম নিষেধ। এর কারণ কী? কাযা সিয়ামও কি এদিন রাখা নিষেধ? প্রশ্ন: (৪৪৭) কোনো মানুষ যদি নফল সিয়াম ইচ্ছাকৃত ভঙ্গ করে ফেলে, তবে কি গুনাহগার হবে? যদি সহবাসের মাধ্যমে ভঙ্গ করে, তবে কি কাফফারা দিতে হবে? প্রশ্ন: (৪৪৮) ই‘তিকাফ এবং ই‘তিকাফকারীর বিধান কী? কিতাবুল হজ্জ অনুচ্ছেদ ৯১ টি প্রশ্ন: (৪৪৯) বে-নামাযীর হজের বিধান কী? যদি এ ব্যক্তি তাওবা করে, তবে সমস্ত ইবাদত কি কাযা আদায় করতে হবে? প্রশ্ন: (৪৫০) ব্যাপকভাবে দেখা যায় অনেক মুসলিম বিশেষ করে অনেক যুবক ফরয হজ আদায় করার ব্যাপারে শীথিলতা প্রদর্শন করে। এ বছর নয় ঐ বছর এভাবে বিলম্ব করে। কখনো কর্ম ব্যস্ততার ওযর পেশ করে। এদেরকে আপনার নসীহত কী? কখনো দেখা যায় কোনো কোনো পিতা যুবক ছেলেদেরকে ফরয হজ আদায় করতে বাধা দেয় এ যুক্তিতে যে, এখনো তাদের বয়স হয় নি, হজের ক্লান্তি সহ্য করতে পারবে না। অথচ হজের পূর্ণ শর্ত তাদের মধ্যে পাওয়া যায়। পিতার এ কাজের বিধান কী? এ ধরনের পিতার আনুগত্য করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৫১) ঋণগ্রস্ত ব্যক্তির কি হজ করা আবশ্যক? প্রশ্ন: (৪৫২) মায়ের পক্ষ থেকে হজ সম্পাদন করার জন্য জনৈক লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে; কিন্তু পরে জানা গেল এ লোক আরো কয়েকজনের হজ আদায় করার দায়িত্ব নিয়েছে। এ সময় করণীয় কী? এ লোকের বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৫৩) অতিবৃদ্ধ জনৈক ব্যক্তি উমরা করার জন্য ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছার পর উমরা আদায় করতে অপারগ হয়ে গেছে এখন সে কি করবে? প্রশ্ন: (৪৫৪) বদলী হজ করার পর যদি কিছু অর্থ থেকে গেলে কি করবে? প্রশ্ন: (৪৫৫) পুত্র যদি পিতার পক্ষ থেকে হজ বা উমরা সম্পাদন করে, তবে নিজের জন্য দো‘আ করতে পারবে কি? প্রশ্ন: (৪৫৬) হজ বা উমরা আদায় করার জন্য কাউকে দায়িত্ব প্রদান করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৫৭) মৃতের পক্ষ থেকে উমরা আদায় করা কি জায়েয? প্রশ্ন: (৪৫৮) মাহরাম ছাড়া কোনো নারী যদি হজ সম্পাদন করে, তবে কি তা বিশুদ্ধ হবে? বুদ্ধিমান বালক কি মাহরাম হতে পারে? মাহরাম হওয়ার জন্য কী কী শর্ত আবশ্যক? প্রশ্ন: (৪৫৯) জনৈক নারীর কথা হচ্ছে, আমি রামদান মাসে উমরা করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। কিন্তু আমার সাথে থাকছে আমার সহদোর বোন, তার স্বামী ও আমার মা। এ উমরায় যাওয়া কি আমার জন্য জায়েয হবে? প্রশ্ন: (৪৬০) হজের মাস কী কী? প্রশ্ন: (৪৬১) হজের মাসসমূহ আসার পূর্বে হজের ইহরাম বাঁধার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৬২) হজের জন্য মীকাতের স্থানসমূহ কী কী? প্রশ্ন: (৪৬৩) বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৬৪) ‘লাব্বাইক’ বলাটাই কি ইহরামে প্রবেশ করার নিয়ত? প্রশ্ন: (৪৬৫) আকাশপথে আগমনকারী কীভাবে ইহরাম বাঁধবে? প্রশ্ন: (৪৬৬) উমরার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৬৭) কোনো ব্যক্তি যদি নিজ দেশ থেকে জেদ্দা সফর করে অতঃপর উমরা আদায় করার ইচ্ছা করে। সে কি জেদ্দা থেকেই ইহরাম বাঁধবে? প্রশ্ন: (৪৬৮) ইহরামের কাপড় পরিধান করার পর গোসল করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৬৯) মৃত দাদার পক্ষ থেকে হজ করার বিধান কী? অবশ্য তার পক্ষ থেকে হজ আদায়কারী নিজের হজ সম্পাদন করেছে। প্রশ্ন: (৪৭০) ইহরামের জন্য বিশেষ কোনো সালাত আছে কি? প্রশ্ন: (৪৭১) কোনো ব্যক্তি যদি হজের মাসে উমরা আদায় করে মদীনা সফর করে, অতঃপর যুলহুলায়ফা থেকে হজের ইহরাম বাঁধে, তবে সে কি তামাত্তু‘কারীরূপে গণ্য হবে? প্রশ্ন: (৪৭২) কোনো ব্যক্তি যদি শাওয়াল মাসে উমরার ইহরাম বেঁধে উমরা পূর্ণ করে। কিন্তু সে সময় সে হজের নিয়ত করে নি। কিন্তু হজের সময় তার হজ করার সুযোগ হল। সে কি তামাত্তু‘কারী গণ্য হবে? প্রশ্ন: (৪৭৩) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে প্রমাণিত তালবিয়াটি কী? উমরা এবং হজের ক্ষেত্রে কখন তালবিয়া পাঠ করা বন্ধ করতে হবে? প্রশ্ন: (৪৭৪) ইহরাম বেঁধে কি মাথা আঁচড়ানো জায়েয আছে? প্রশ্ন: (৪৭৫) অজ্ঞতাবশতঃ মাথা থেকে সামান্য চুল কেটে হালাল হয়ে গেলে তার ওপর আবশ্যক কী? প্রশ্ন: (৪৭৬) প্রশাসনকে ফাঁকি দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিনা ইহরামে মীকাত অতিক্রম করে মক্কায় পৌঁছে ইহরাম বাঁধলে হজ বিশুদ্ধ হবে কী? প্রশ্ন: (৪৭৭) তামাত্তু‘কারী যদি নিজ দেশে ফেরত গিয়ে আবার হজের জন্য সফর করে, তবে কি ইফরাদকারী হিসেবে গণ্য হবে? প্রশ্ন: (৪৭৮) ইহরাম অবস্থায় ছাতা ব্যবহার করার বিধান কী? অনুরূপভাবে সিলাইকৃত বেল্ট ব্যবহার করা যাবে কি? প্রশ্ন: (৪৭৯) শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি কীভাবে ইহরাম করবে? প্রশ্ন: (৪৮০) ইহরাম অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম এ সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে কেউ যদি স্ত্রী সহবাস করে ফেলে, তবে তার হজের বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৮১) ইহরাম অবস্থায় নারী কীভাবে পর্দা করবে? পর্দা মুখ স্পর্শ করতে পারবে না এ রকম কোনো শর্ত আছে কী? প্রশ্ন: (৪৮২) নারী বিদায়ী তাওয়াফ করার পূর্বে ঋতুবতী হয়ে পড়লে করণীয় কী? প্রশ্ন: (৪৮৩) জনৈক নারী স্বামীর সাথে ঋতু অবস্থাতেই ইহরাম বাঁধে। কিন্তু পবিত্র হওয়ার পর কোনো মাহরাম ছাড়াই সে উমরার কাজ সমাধা করে। কাজ শেষ হলে আবার রক্তের চিহ্ন পাওয়া যায়। এর বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৮৪) জনৈক নারী তাওয়াফে ইফাদ্বা করে নি। ইতোমধ্যে সে ঋতুবতী হয়ে গেছে। তার ঠিকানা সঊদী আরবের বাইরে। হজ কাফেলাও চলে যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তাই দেরী করা সম্ভব হবে না এবং পরবর্তীতে মক্কা ফিরে আসাটাও তার জন্য দুরহ ব্যাপার। এখন সে কী করবে? প্রশ্ন: (৪৮৫) ঋতু এসে যাওয়ার কারণে জনৈক নারী উমরা না করেই মক্কা থেকে ফেরত চলে গেছে। তার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৮৬) ইহরাম অবস্থায় নারী কি স্বীয় কাপড় বদল করতে পারবে? নারীর জন্য কি ইহরামের বিশেষ কোনো পোশাক আছে? প্রশ্ন: (৪৮৭) ইহরামকারী নারীর হাতমোজা এবং পা মোজা পরার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৮৮) জনৈক নারী ঋতু অবস্থায় মীকাত থেকে ইহরাম বেঁধেছে। মক্কায় আগমন করে বিলম্ব করে পবিত্র হওয়ার পর উমরা আদায় করেছে। তার এ উমরার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৮৯) মীকাত থেকে ঋতুবতী অবস্থায় জনৈক নারী ইহরাম বাঁধে। মক্কায় এসে পবিত্র হওয়ার পর পরিধেয় ইহরাম বস্ত্র সে খুলে ফেলে। এর বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৯০) হজের সময় নিকাব দিয়ে নারীর মুখ ঢাকার বিধান কী? আমি একটি হাদীস পড়েছি যার অর্থ হচ্ছে “ইহরামকারী নারী নেকাব পরবে না এবং হাতমোজা পরিধান করবে না।” আয়েশা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহার অন্য একটি কথা পড়েছি। তিনি বলেন, “আমাদের সামনে কোনো পুরুষ এলে আমরা মুখের উপর কাপড় ঝুলিয়ে দিতাম। যখন আমরা ওদের সামনে চলে যেতাম, তখন মুখমণ্ডল খুলে রাখতাম” সে সময় তারা হজে ছিলেন। দু’টি হাদীসের মধ্যে সামঞ্জস্য কী? প্রশ্ন: (৪৯১) ভুলক্রমে অথবা অজ্ঞতাবশতঃ ইহরামের নিষিদ্ধ কোনো কাজ করে ফেললে, তার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৯২) জনৈক ব্যক্তি হজ আদায় করার ক্ষেত্রে ভুলে লিপ্ত হয়েছে। ভুলের কাফফারা দেওয়ার জন্য তার কাছে তেমন কিছু ছিল না। সে দেশে ফেরত চলে গেছে। উক্ত কাফফারা কি নিজ দেশে আদায় করা জায়েয হবে? নাকি মক্কাতেই পাঠাতে হবে? যদি মক্কাতেই পাঠাতে হয়, তবে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়া কি জায়েয হবে? প্রশ্ন: (৪৯৩) তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করা কি জায়েয? প্রশ্ন: (৪৯৪) রামাযানে বারবার উমরা করার বিধান কী? এরকম কোনো সময় কি নির্দিষ্ট আছে যে, এতদিন পরপর উমরা করতে হবে? প্রশ্ন: (৪৯৫) তাওয়াফ চলাবস্থায় যদি সালাতের ইকামত হয়ে যায়, তবে কি করবে? তাওয়াফ কি পুনরায় শুরু করবে? পুনরায় শুরু না করলে কোথা থেকে তাওয়াফ পূর্ণ করবে? প্রশ্ন: (৪৯৬) উমরায় তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৪৯৭) ইদ্বতেবা‘ কাকে বলে? এ কাজ কোন সময় সুন্নাত? প্রশ্ন: (৪৯৮) নফল সা‘ঈ করা কি জায়েয আছে? প্রশ্ন: (৪৯৯) অজ্ঞতাবশতঃ তাওয়াফে ইফাদ্বা ছেড়ে দিলে করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫০০) অনেক তাওয়াফকারীকে দেখা যায় ভীড়ের মধ্যে ঠেলে ঠেলে তাদের নারীদেরকে হাজরে আসওয়াদ চুম্বন করার জন্য পাঠায়। তাদের জন্য কোনটি উত্তম হাজরে আসওয়াদকে চুম্বন করা? নাকি পুরুষদের ভীড় থেকে দূরে অবস্থান করা। প্রশ্ন: (৫০১) জনৈক নারী স্বামীর সাথে তামাত্তু‘ হজ করতে এসেছে। তারা উমরার তাওয়াফ করার সময় ৬ষ্ঠ চক্করে স্বামী বললেন, এটাই সপ্তম চক্কর এবং তিনি নিজ মতের উপর অটল ছিলেন। এখন স্ত্রীর করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫০২) উমরা বা হজকারী যদি দো‘আ না জানে, তবে তাওয়াফ, সা‘ঈ প্রভৃতির সময় কি কোনো বই হাতে নিয়ে দেখে দেখে দো‘আ পাঠ করা জায়েয হবে? প্রশ্ন: (৫০৩) তাওয়াফ-সা‘ঈতে কি বিশেষ কোনো দো‘আ আছে? প্রশ্ন: (৫০৪) উমরা শেষ করার পর ইহরামের কাপড়ে নাপাকী দেখতে পেলে কী করবে? প্রশ্ন: (৫০৫) মাক্বামে ইবরাহীমে যে পদচিহ্ন দেখা যায়, তা কি প্রকৃতই ইবরাহীম আলাইহিস সালামের পায়ের চিহ্ন? প্রশ্ন: (৫০৬) কা‘বা শরীফের গিলাফ ধরে দো‘আ বা কান্নাকাটি করা জায়েয কি? প্রশ্ন: (৫০৭) উমরায় মাথা মুণ্ডন বা চুল ছোট করার বিধান কী? এ দু’টির মধ্যে কোনটি উত্তম? প্রশ্ন: (৫০৮) জনৈক হাজী তামাত্তু‘ হজ করতে এসে, উমরার তাওয়াফ ও সা‘ঈ শেষ করে ইহরাম খুলে সাধারণ পোশাক পরিধান করে নিয়েছে। মাথা মুণ্ডন করে নি বা চুল ছোট করে নি। হজের যাবতীয় কাজ শেষ করার পর এ সম্পর্কে সে জানতে চেয়েছে। এখন তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫০৯) যে ব্যক্তি তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বেঁধে উমরা শেষ করে চুল কাটে নি বা মুণ্ডনও করে নি। পরে হজের সকল কাজ শেষ করেছে তাকে কী করতে হবে? প্রশ্ন: (৫১০) তামাত্তু‘কারী কুরবানী দিতে পারে নি। হজে সে তিনটি সাওম রেখেছে। কিন্তু হজ থেকে ফিরে এসে সাতটি সাওম রাখে নি। এভাবে তিন বছর কেটে গেছে। তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫১১) উমরা করে জনৈক লোক নিজ দেশে গিয়ে মাথা মুণ্ডন করেছে। তার উমরার বিধান কী? প্রশ্ন: (৫১২) তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বেঁধে উমরা করে কোনো কারণবশতঃ হজের ইচ্ছা পরিত্যাগ করেছে। তাকে কি কোনো কাফফারা দিতে হবে? প্রশ্ন: (৫১৩) তামাত্তু‘ হজের ইহরাম বাঁধার পর উমরা শেষ করে অজ্ঞতাবশতঃ হালাল হয় নি। এভাবে হজের কাজ শেষ করে কুরবানী করেছে। তার করণীয় কী? তার হজ কি বিশুদ্ধ? প্রশ্ন: (৫১৪) ‘আরাফাত থেকে ফেরার পথে একদল লোক মুযদালিফার রাস্তা হারিয়ে ফেলে। রাত একটার দিকে তারা মাগরিব ও এশা সালাত আদায় করে। মুযদালিফা পৌঁছার সময় ফজরের আযান হয়ে যায়। সেখানে তারা ফজর সালাত আদায় করে। এখন তাদেরকে কি কোনো জরিমানা দিতে হবে? প্রশ্ন: (৫১৫) জনৈক নারী মুযদালিফা থেকে শেষ রাত্রে যাত্রা করেছে এবং সামর্থ্য থাকা সত্বেও নিজের ছেলেকে তার পক্ষ থেকে কঙ্কর নিক্ষেপের দায়িত্ব প্রদান করেছে। এর বিধান কী? প্রশ্ন: (৫১৬) জনৈক হাজী পূর্ব দিক থেকে জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মেরেছে। কিন্তু তা হাওয বা গর্তের মধ্যে পড়ে নি। ঘটনাটি ছিল ১৩ তারিখে। তাকে কি তিনটি জামরাতেই পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে? প্রশ্ন: (৫১৭) সাতটি কঙ্করের মধ্যে থেকে যদি একটি বা দু’টি কঙ্কর জামরায় না পড়ে এবং এভাবে এক বা দু’দিন অতিবাহিত হয়ে যায়, তবে কি তাকে সবগুলো জামরায় পুনরায় কঙ্কর মারতে হবে? প্রশ্ন: (৫১৮) কেউ কেউ বলেন, যে কঙ্কর একবার নিক্ষিপ্ত হয়েছে তা নাকি আবার নিক্ষেপ করা যাবে না। এ কথাটি কি ঠিক? এর কোনো দলীল আছে কি? প্রশ্ন: (৫১৯) তাওয়াফে ইফাদ্বার পূর্বে হজের সা‘ঈ করা কি জায়েয? প্রশ্ন: (৫২০) কখন জামরা আক্বাবায় কঙ্কর মারলে আদায় হবে এবং কখন মারলে কাযা মারা হবে? প্রশ্ন: (৫২১) বিশেষ করে ঈদের দিনের তাওয়াফের পূর্বে সা‘ঈ করা কি জায়েয? প্রশ্ন: (৫২২) সা‘ঈ আবশ্যক ছিল কিন্তু তাওয়াফ করার পর সরাসরি সা‘ঈ না করে বাইরে বেরিয়ে গেছে। পরে তাকে বিষয়টি জানানো হলো, সে কি এখন শুধু সা‘ঈ করবে নাকি পুনরায় তাওয়াফ করার পর সরাসরি সা‘ঈ করবে? প্রশ্ন: (৫২৩) উমরায় যে ব্যক্তি মাথার এদিক ওদিক থেকে অল্প করে চুল কাটে, তার সম্পর্কে আপনার মতামত কী? প্রশ্ন: (৫২৪) কঙ্কর মারার সময় কখন? প্রশ্ন: (৫২৫) জনৈক হাজী ‘আরাফাতে অসুস্থ হয়ে পড়ায় মীনায় রাত কাটায় নি, কঙ্কর নিক্ষেপ করে নি এবং তাওয়াফে ইফাদ্বাও করে নি। তাকে এখন কী করতে হবে? প্রশ্ন: (৫২৬) মুযদালিফার সীমা সম্পর্কে অজ্ঞতার কারণে বাইরে অবস্থান করলে করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫২৭) ইফরাদ হজকারী যদি তাওয়াফে কুদূমের সাথে সা‘ঈ করে নেয়, তবে তাওয়াফে ইফাদ্বার পর তাকে কি আবার সা‘ঈ করতে হবে? প্রশ্ন: (৫২৮) ক্বিরানকারীর জন্য একটি তাওয়াফ ও একটি সা‘ঈ যথেষ্ট হবে? প্রশ্ন: (৫২৯) জনৈক ব্যক্তি রাত বরোটা পর্যন্ত মিনায় অবস্থান করে মক্কা চলে গেছে, ফজরের পূর্বে আর মিনায় ফেরত আসে নি। তার বিধান কী? প্রশ্ন: (৫৩০) ১২ তারিখে সূর্যাস্তের পূর্বে মিনা ত্যাগ করার পর কাজ থাকার কারণে কেউ যদি সূর্যাস্তের পর আবার মিনায় ফিরে আসে। এখন কি মিনায় রাত থাকা তার ওপর আবশ্যক হয়ে যাবে? প্রশ্ন: (৫৩১) সঊদী আরবের বাইরে অবস্থান করে এমন জনৈক হাজী হজের কাজ সম্পাদন করেছে। যিলহজের ১৩ তারিখে আসর তথা বিকাল চারটার সময় তার সফরের সময় নির্দিষ্ট। কিন্তু ১২ তারিখ কঙ্কর মারার পর সে মিনা থেকে বের হয় নি। ১৩ তারিখের রাত সেখানেই অবস্থান করেছে। এখন ১৩ তারিখ সকালে কঙ্কর মেরে মিনা থেকে বের হওয়া তার জন্য জায়েয হবে কী? উল্লেখ্য যে, যোহরের পর কঙ্কর মেরে বের হলে নির্ঘাত তার সফর বাতিল হয়ে যাবে, ফলে সে বিরাট অসুবিধায় পড়বে। এর উত্তর যদি না জায়েয হয়, তবে যোহরের পূর্বে কঙ্কর মারার ব্যাপারে কি কোনো মত পাওয়া যায় না? প্রশ্ন: (৫৩২) জনৈক ব্যক্তি ১২ তারিখে কঙ্কর না মেরেই মিনা ছেড়েছে এ ধারণায় যে, এটাই অনুমোদিত তাড়াহুড়া এবং বিদায়ী তাওয়াফও করে নি। তার হজের কি হবে? প্রশ্ন: (৫৩৩) মিনায় স্থান না পাওয়ার কারণে কোনো লোক যদি সেখানে শুধুমাত্র রাতের বেলায় আগমন করে মধ্য রাত্রি পর্যন্ত অবস্থান করে। তারপর মক্কা চলে যায় এবং রাত ও দিনের অবশিষ্ট অংশ তথায় অবস্থান করে তবে কী হবে? প্রশ্ন: (৫৩৪) জনৈক ব্যক্তি সকালে বিদায়ী তাওয়াফ করে ঘুমিয়ে পড়ে এবং আছরের পর সফর করার ইচ্ছা করে। তাকে কী কিছু করতে হবে? প্রশ্ন: (৫৩৫) উমরাকারীর জন্য বিদায়ী তাওয়াফ করার বিধান কী? প্রশ্ন: (৫৩৬) জনৈক ব্যক্তি মীকাত থেকে হজের ইহরাম বেঁধেছে। কিন্তু মক্কা পৌঁছে সে প্রশাসন (ডিউটি পুলিশ) কর্তৃক বাধাপ্রাপ্ত হয়। কেননা সে হজের অনুমতি পত্র নেয় নি। এখন তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫৩৭) হজের ইচ্ছা করার পর যদি তাকে নিষেধ করে দেওয়া হয়, তবে তার করণীয় কী? প্রশ্ন: (৫৩৮) হজ করতে এসে পাপের কাজে লিপ্ত হলে কি হজের সাওয়াব কমে যাবে? প্রশ্ন: (৫৩৯) মিথ্যা পাসপোর্ট বানিয়ে হজ করলে হজ হবে কী?