৪৪২৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪২৭-[৯] ’আবদুল্লাহ ইবনু ’উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে। একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এমন একটি ছেলেকে দেখতে পেলেন, যার মাথার চুলের কিছু অংশ মুড়ানো হয়েছে আর কিছু অংশ রেখে দেয়া হয়েছে। তখন তিনি তাদেরকে এরূপ করতে নিষেধ করলেন এবং বললেনঃ পুরা মাথা মুড়িয়ে ফেলো অথবা পুরা মাথায় চুল রেখে দাও। (মুসলিম)[1]

بَابُ التَّرَجُّلِ

وَعَنِ ابْنِ عُمَرَ: أَنَّ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ رَأَى صَبِيًّا قَدْ حُلِقَ بَعْضُ رَأْسِهِ وَتُرِكَ بَعْضُهُ فَنَهَاهُمْ عَنْ ذَلِكَ وَقَالَ: «احْلِقُوا كُلَّهُ أَوِ اتْرُكُوا كُلَّهُ» . رَوَاهُ مُسْلِمٌ

وعن ابن عمر: ان النبي صلى الله عليه وسلم راى صبيا قد حلق بعض راسه وترك بعضه فنهاهم عن ذلك وقال: «احلقوا كله او اتركوا كله» . رواه مسلم

ব্যাখ্যাঃ বর্ণিত হাদীসটি উপরের হাদীসের ব্যাখ্যারূপে গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ মাথার কিছু অংশের চুল রেখে দেয়া এবং কিছু কামিয়ে ফেলা কাযা‘ এবং তা নিষিদ্ধ।

احْلِقُوا كُلَّهٗ أَوِ اتْرُكُوا كُلَّهٗ তার পুরো কামাও বা পুরোই ছেড়ে দাও। অর্থাৎ মাথার পুরো চুল কামিয়ে নাও অথবা পুরো চুল ছেড়ে দাও। কিছু কামাবে আর কিছু রাখবে এমনটি করবে না। মুল্লা ‘আলী কারী বলেনঃ হাদীসের এ অংশে ইঙ্গিত হলো হজ্জ এবং ‘উমরাহ্ ছাড়াও মাথার চুল হলক তথা সম্পূর্ণ কামানো বৈধ। কামানো ও রেখে দেয়ার মাঝে ব্যক্তি ইচ্ছাধীন। তবে উত্তম হলো, হজ্জ ও ‘উমরাহ্ ছাড়া না কামানো বেলায়। কেননা না কামানোই ছিল রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ‘আমল ও তার সাহাবীদের ‘আমল। আর ‘আলী (রাঃ) কামানোর বেলায় একাই তাদের থেকে ব্যতিক্রম ছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

ইমাম শাওকানী ‘নায়লুল আওত্বার’-এ লিখেন, হাদীসে তাদের মতের প্রত্যাখ্যান রয়েছে যারা বলেনঃ মাথার চুল কামিয়ে নেয়া মাকরূহ। (‘আওনুল মা‘বূদ ৭ম খন্ড, হাঃ ৪১১৯)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )