৪৪২৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. প্রথম অনুচ্ছেদ - চুল আঁচড়ানো

৪৪২৮-[১০] ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর সাদৃশ্য গ্রহণকারী পুরুষ এবং পুরুষের সাদৃশ্য গ্রহণকারিণী নারীদের ওপর অভিসম্পাত করেছেন এবং বলেছেনঃ তাদেরকে তোমাদের ঘর হতে বের করে দাও। (বুখারী)[1]

بَابُ التَّرَجُّلِ

وَعَن ابْن عَبَّاس قَالَ: لعن الله الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ وَالْمُتَرَجِّلَاتِ مِنَ النِّسَاءِ وَقَالَ: «أخرجوهم من بُيُوتكُمْ» . رَوَاهُ البُخَارِيّ

وعن ابن عباس قال: لعن الله المخنثين من الرجال والمترجلات من النساء وقال: «اخرجوهم من بيوتكم» . رواه البخاري

ব্যাখ্যাঃ (الْمُخَنَّثِينَ) শব্দটির ‘নূন’ হরফে তাশদীদ সহকারে যবর বা যের দিয়ে দু’ভাবেই উচ্চারণ করা যায়। তবে যবর দিয়ে পড়া অধিক প্রসিদ্ধ। এর অর্থ হলো নারীদের সাথে সাদৃশ্য অবলম্বনকারী। এই সাদৃশ্য অবলম্বন অবয়ব, পোশাক, খিযাব, আওয়াজ, আকৃতি, কথা বলা এবং যে কোন চাল-চলনে হতে পারে। এ কর্মটি নিষেধ। কেননা এতে আল্লাহর সৃষ্টিতে বিকৃতি ঘটানো হয়।

ইমাম নাবাবী (রহিমাহুল্লাহ) বলেনঃ মুখান্নাস অর্থাৎ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বনকারী ব্যক্তি দুই প্রকারের। এক : যে সৃষ্টিগতভাবে কিছুটা নারী প্রকৃতির। সে কৃত্রিমভাবে নারীর সাদৃশ্যতা অবলম্বন করেনি। এতে কোন দোষ, গোনাহ নেই। কেননা সে অপারগ। দুই : যে কৃত্রিমভাবে চাল-চলন, কথা-বার্তা এবং অবয়ব ইত্যাদিতে নারীর আকৃতি অবলম্বন করে, সে ব্যক্তির এ কাজ দোষণীয় যার অভিশাপ হাদীসে এসেছে। (তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭৮৫)

(الْمُتَرَجِّلَاتِ) ‘জিম’ অক্ষরে তাশদীদ ও যের দিয়ে উচ্চারিত। অর্থাৎ পুরুষের সাথে চাল চলন, আকার আকৃতি, হাঁটা চলা এবং উচ্চ আওয়াজ ইত্যাদিতে সাদৃশ্য অবলম্বনকারিণী নারী। এ বৈশিষ্ট্যের নারী পুরুষের সাদৃশ্য অবলম্বন করা পুরুষ নারীর সাদৃশ্য অবলম্বনের মতই দোষণীয়। তবে জ্ঞান ও বিচক্ষণতায় নারী পুরুষের সাদৃশ্য হওয়া দোষণীয় নয়। বরং তা প্রশংসিত। যেমন বর্ণনায় রয়েছে- ‘আয়িশাহ্ (রাঃ) পুরুষের মতো রায় তথা অভিমতের অধিকারিণী ছিলেন। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ; তুহফাতুল আহ্ওয়াযী ৭ম খন্ড, হাঃ ২৭৮৫)

(أخرجوهم من بيوتكم) তাদেরকে তোমাদের ঘর থেকে বের করে দাও। অর্থাৎ তোমাদের এলাকা ও শহর থেকে বের করে দাও। (মিরক্বাতুল মাফাতীহ)

সহীহুল বুখারীর বর্ণনায় আরো রয়েছে-

قال فأخرج النبي صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فلانا وأخرج عمر فلانا অর্থ- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুককে বের করে দেন এবং ‘উমার  অমুককে বের করে দেন। ‘আনজাশা’ নামক এক কালো দাস নারীদের বেশভূষা অবলম্বনের কারণে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে এলাকা থেকে বের করে দেন বলে বর্ণনায় রয়েছে। ‘উমার (রাঃ) যাকে বের করেন তার নাম কোন বর্ণনায় আসেনি। তবে কোন কোন বর্ণনায় فلانا এর স্থলে فلانة শব্দ এসেছে। অর্থাৎ তিনি কোন এক নারীকে পুরুষের বেশ অবলম্বনের কারণে বের করেছিলেন। (ফাতহুল বারী ১০ম খন্ড, হাঃ ৫৮৮৬)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
পর্ব-২২: পোশাক-পরিচ্ছদ (كتاب اللباس )