পরিচ্ছেদঃ তাহারাত ব্যাতিরেকে সালাত কবুল হয় না।
১. কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও হান্নাদ (রহঃ) ... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ তাহারাত ছাড়া সালাত কবূল হয় না আর খিয়ানতের মাল থেকে [1] সা’দকা (কবুল) হয় না। (ইমাম তিরমিযী রাবী হান্নাদ -এর সূত্রেও হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। হান্নাদ بغير طهور এর স্থলে الا بطهور উল্লেখ করেছেন।)
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে উক্ত হাদীছটই হল সর্বপেক্ষা সহীহ এবং হাসান। এই বিষয়ে আবূল মালীহ তাঁর পিতার বরাতে এবং আবূ হুরাযরা রাদিয়াল্লাহু আনহু ও আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। এই আবূল মলীহ হলেন উসামার পুত্র। তাঁর নাম আমির। ভিন্ন মতে তিনি হলেন যায়দ ইবনু উসামা ইবনু উমায়র আল-হুযালী। - ইবনু মাজাহ -২৭২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي الْمَلِيحِ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَأَنَسٍ . وَأَبُو الْمَلِيحِ بْنُ أُسَامَةَ اسْمُهُ عَامِرٌ وَيُقَالُ زَيْدُ بْنُ أُسَامَةَ بْنِ عُمَيْرٍ الْهُذَلِيُّ .
(1) Chapter: What Has Been Related That Salat Is Not Accepted Without Purification
Ibn `Umar narrated that:
the Prophet said: "Salat will not be accepted without purification, nor Charity from Ghulul." Hannad said in his narration, "except with purification"
[Abu `Eisa said: This Hadith is the most correct thing on this topic, and the best. There are also narrations on this topic from Abu Al-Malih, from his father; and Abu Hurairah and Anas. And Abu Al-Malih bin Usamah's name is `Amir, and they also say it was Zaid bin Usamah bin `Umair Al-Hudhali.
পরিচ্ছেদঃ তাহারাতের ফযীলত।
২. ইসাহাক ইাবন মূসা আনসারী (রহঃ) ..... আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ যখন কোন মুসলিম অথবা মু’মিন বান্দা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে আর সে তার মুখ ধোয় তখন উযূর পানি অথবা উযূর পানির শেষ ফোটার সাথে সাথে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে তার দু’চোখ দিয়ে দেখে ছিল; যখন সে তার দু’হাত ধোয় তখন উযূর পানি বা উযূর পানির শেষ ফোটার সাথে সাথে তার উভয় হাত থেকে সকল গুনাহ বের হয়ে যায় যা সে হাত দিয়ে ধরে ছিল; এমনি কি শেষ পর্যন্ত সে তার গুনাহ থেকে পাক হয়ে যায়। - আত তা’লিকুর রাগীব ১/৯৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই হাদীছটি ’’হাসান’’।
এই রিওয়ায়াতটি হল মালিক-সুহাইল-সুহাইলের পিতা আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত। সুহাইলের পিতা আবূ সালিহ হচ্ছেন আবূ সালিহ আস্-সম্মান। তাঁর নাম হল যাকওয়ান। আবূ হুরায়রা (রা ) এর প্রকৃত নাম সম্পর্কে মত বিরোধ বিদ্যামান। কেউ কেউ বলেন, আবদ শামস; আবার কেউ কেউ বলেন, আবূল্লাহ ইবনু আমর। ইমাম মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারীও এইরূপ বলেছেন। আর এটই অধিকতর শুদ্ধ।
এই বিষয়ে ইছমান, ছারবান, সুনাবিহী, আমর ইবনু আবাসা, সালমান এবং আবদুলুাহ ইাবন আমর (রা ) থেকে ও হাদীছ বর্ণিত আছে। যে সুনাবিহী তাহারাতের ফযীলত সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন ইনি হলেন আবদুল্লাহ সুনাবিহী। আর আবূ বকর সিদ্দীক (রাঃ) হতে যে সুনাবিহী রিওয়ায়াত করেন তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কিছু শোনার সুযোগ পানটি। তাঁর নাম হল আবদুর রহমান ইবনু উসায়লা। উপনাম হল আবূ আবদিল্লাহ। ইনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। কিন্তু যখন মদ্বীনার পথে তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল হয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিনি কিছু সংখ্যক হাদীছ (অন্যের সূত্রে) রিওয়াত করেছেন। সুনাবিহ ইবনুল আ’সার আল-আহমাসী ছিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহাবী তাঁকেও সুনাবিহী বলা হয়। তাঁর বর্ণিত হাদীছটি হল, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি যে,তিনি ইরশাদ করেন, তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের সামনে গৌরব করব। সুতরাং তোমরা আমার পরে পরস্পরে খুন-খারাবী করো না।
باب مَا جَاءَ فِي فَضْلِ الطُّهُورِ
حَدَّثَنَا إِسْحَاقُ بْنُ مُوسَى الأَنْصَارِيُّ، حَدَّثَنَا مَعْنُ بْنُ عِيسَى الْقَزَّازُ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ أَنَسٍ، ح وَحَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا تَوَضَّأَ الْعَبْدُ الْمُسْلِمُ أَوِ الْمُؤْمِنُ فَغَسَلَ وَجْهَهُ خَرَجَتْ مِنْ وَجْهِهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ نَظَرَ إِلَيْهَا بِعَيْنَيْهِ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ أَوْ نَحْوِ هَذَا وَإِذَا غَسَلَ يَدَيْهِ خَرَجَتْ مِنْ يَدَيْهِ كُلُّ خَطِيئَةٍ بَطَشَتْهَا يَدَاهُ مَعَ الْمَاءِ أَوْ مَعَ آخِرِ قَطْرِ الْمَاءِ حَتَّى يَخْرُجَ نَقِيًّا مِنَ الذُّنُوبِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَهُوَ حَدِيثُ مَالِكٍ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ . وَأَبُو صَالِحٍ وَالِدُ سُهَيْلٍ هُوَ أَبُو صَالِحٍ السَّمَّانُ وَاسْمُهُ ذَكْوَانُ . وَأَبُو هُرَيْرَةَ اخْتُلِفَ فِي اسْمِهِ فَقَالُوا عَبْدُ شَمْسٍ وَقَالُوا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو وَهَكَذَا قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ وَهُوَ الأَصَحُّ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عُثْمَانَ بْنِ عَفَّانَ وَثَوْبَانَ وَالصُّنَابِحِيِّ وَعَمْرِو بْنِ عَبَسَةَ وَسَلْمَانَ وَعَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو . وَالصُّنَابِحِيُّ الَّذِي رَوَى عَنْ أَبِي بَكْرٍ الصِّدِّيقِ لَيْسَ لَهُ سَمَاعٌ مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَاسْمُهُ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عُسَيْلَةَ وَيُكْنَى أَبَا عَبْدِ اللَّهِ رَحَلَ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فَقُبِضَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَهُوَ فِي الطَّرِيقِ وَقَدْ رَوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَحَادِيثَ . وَالصُّنَابِحُ بْنُ الأَعْسَرِ الأَحْمَسِيُّ صَاحِبُ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم يُقَالُ لَهُ الصُّنَابِحِيُّ أَيْضًا وَإِنَّمَا حَدِيثُهُ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " إِنِّي مُكَاثِرٌ بِكُمُ الأُمَمَ فَلاَ تَقْتَتِلُنَّ بَعْدِي " .
(2) Chapter: What Has Been Related About The Virtue Of Purification
Abu Hurairah narrated that :
Allah's Messenger said: "When a Muslim, or believer, performs Wudu', washing his face, every evil that he looked at with his eyes leaves with the water - or with the last drop of water, or an expression similar to that - and when he washes his hands, every evil he did with his hands leaves with the water - or with the last drop of water - until he becomes free of sin." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ সালাতের চাবি হল তাহারাত।
৩. কুতায়বা, হান্নাদ ও মাহমূদ ইাবন গায়লান (রহঃ) .... আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ সালাতের চাবি হল তাহারাত, তাকবীরে তাহরীমা (সালাতের পরিপন্থী সকল কাজকে হারাম করে আর সালাম তা হালাল করে)। - ইবনু মাজাহ - ২৭৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে উল্লেখিত হাদীছটি হল সবচেয়ে সহীহ এবং সবচেয়ে উত্তম। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীল সত্যভাষী। তবে হাদীছ বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ তাঁর স্মরণশক্তির সমালোচনা করেন। আবূ ঈসা বলেন, আমি মুহাম্মদ ইবনু ইসমাঈল বুখারীকে বলতে শুনেছি যে, ইমাম আহমদ ইবনু হাম্বল, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, আল-হুমাইদী প্রমুখ হাদীছ বিশারদগণ আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আকীলের রিওয়ায়াত দলীল হিসাবে গ্রহণ করেছেন। মুহম্মাদ আল বুখারী (রহঃ) বলেন, ইনি মুকারিবুল হদীছ তাঁর হাদীছ গ্রহণগোয্যতার নিকটবর্তী। এই বিষয়ে জাবির ও আবূ সাঈদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ أَنَّ مِفْتَاحَ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، وَمَحْمُودُ بْنُ غَيْلاَنَ، قَالُوا حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، ح وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ، عَنْ مُحَمَّدِ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، عَنْ عَلِيٍّ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم قَالَ " مِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ وَتَحْرِيمُهَا التَّكْبِيرُ وَتَحْلِيلُهَا التَّسْلِيمُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ . وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ هُوَ صَدُوقٌ وَقَدْ تَكَلَّمَ فِيهِ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ مُحَمَّدَ بْنَ إِسْمَاعِيلَ يَقُولُ كَانَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ وَإِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَالْحُمَيْدِيُّ يَحْتَجُّونَ بِحَدِيثِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُحَمَّدِ بْنِ عَقِيلٍ . قَالَ مُحَمَّدٌ وَهُوَ مُقَارِبُ الْحَدِيثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَأَبِي سَعِيدٍ .
(3) Chapter: What Has been Related That The Key To Salat Is Purification
Ali narrated that :
the Prophet, said: "The key to Salat is the purification, its Tahrlm is the Takblr, and its Tahlil is the Taslim." (Hasan)
পরিচ্ছেদঃ সালাতের চাবি হল তাহারাত।
৪. আবূ বকর, মুহাম্মাদ ইাবন যানযাওয়ায়ই আল বাগদাদী (রহঃ) এবং আরো একধিক রাবী .... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেনঃ জান্নাতের চাবি হল সালাত আর সালাতের চাবি হল উযূ (ওজু/অজু/অযু)। - মিশকাত (২৯৪), তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
হাদিসটির প্রথম অংশ যঈফ (অর্থাৎ জান্নাতের চাবি হল সালাত)। দ্বিতীয় অংশ সহীহ (সালাতের চাবি হল উযূ (ওজু/অজু/অযু)।), পূর্বের হাদিসের অংশ হওয়ার কারনে।
باب مَا جَاءَ أَنَّ مِفْتَاحَ الصَّلاَةِ الطُّهُورُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، مُحَمَّدُ بْنُ زَنْجَوَيْهِ الْبَغْدَادِيُّ وَغَيْرُ وَاحِدٍ قَالَ حَدَّثَنَا الْحُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ قَرْمٍ، عَنْ أَبِي يَحْيَى الْقَتَّاتِ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، رضى الله عنهما قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مِفْتَاحُ الْجَنَّةِ الصَّلاَةُ وَمِفْتَاحُ الصَّلاَةِ الْوُضُوءُ " .
(3) Chapter: What Has been Related That The Key To Salat Is Purification
Jabir bin 'Abdullah, may Allah be pleased with them, narrated that :
Allah's Messenger said: "The key to Paradise is Salat, and the key to Salat is Wudu'."
- First part D'aif and second part Grade: Sahih
পরিচ্ছেদঃ পায়খানা প্রবেশের দু'আ।
৫. কুবায়বা ও হান্নাদ (রহঃ) ..... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় প্রবেশের কালে বলতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
হে আল্লাহ! শয়তান,জ্বিন ও সকল কষ্টদায়ক প্রাণী থেকে তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করি।
الخبث والبيث এর স্থলে الخبث والخبا ئث ও বর্ণিত আছে। এই হাদীছটির অন্যমত রাবী শু’বা বলেন, তাঁর উস্তাদ আবদুল আযীয ইবনু সুহাইাব اعوذبك এর স্থলে এক সময় اعوذ بالله ও রিওয়ায়াত করেছেন। - ইবনু মাজাহ ২৯৮, বুখারি ও মুসলিম,তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আলী, যায়দ ইবনু আরকাম, জাবির এবং ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ও হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিজী (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত এই হাদছিটি সর্বাপেক্ষা সহীহ ও হাসান। যায়াদ ইবনু আরকাম বর্ণিত হাদীছটির সনদে ইযতিরাব বিদ্যামন। হাদীছটি হিশাম আদ-দাসতায়াঈ ও সাঈদ ইবনু আবী আরূবা কাতাদা থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। সাঈদ তাঁর সনদে কাসিম ইবনু আওফ আশ শায়বানীর মাধ্যমে যায়দ ইবনুু আরকাম থেকে রিওয়ায়াত করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন আর হিশাম উল্লেখ করেন যে, তিনি কাতাদর মাধ্যমে যায়দ ইবনু আরকাম থেকে রিওয়ায়াত করেছেন। তিনি কাসিমের উল্লেখ করেন নি।
শু’বা ও মা’মারও কাতাদার সূত্রে এই হাদছিটি নাযর ইবনু আনাস থোকে রিওয়ায়াত করেছেন। শু’[বা তাঁর রিওয়ায়াতে যায়দ ইবনু আরকাম সূত্রের উল্লেখ করেছেন। আর মা’মার নাযর ইবনু আনাস তাঁর পিতা আনাস থেকে হাদীছটি বর্ণিত বলে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আবূ ঈসা তিরমযযী (রহঃ) বলেন মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল বুখারীকে আমি এই ইযিতিরাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি বললেনঃ যায়দ ইবনু আরকাম ও নাযর ইবনু আনাস উভয় থেকেই কাতাদার রিওয়ায়াতের সম্ভাবনা রয়েছে।
باب مَا يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ شُعْبَةَ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ قَالَ شُعْبَةُ وَقَدْ قَالَ مَرَّةً أُخْرَى أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبِيثِ أَوِ الْخُبُثِ وَالْخَبَائِثِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَلِيٍّ وَزَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ وَجَابِرٍ وَابْنِ مَسْعُودٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَنَسٍ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ . وَحَدِيثُ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ فِي إِسْنَادِهِ اضْطِرَابٌ رَوَى هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ وَسَعِيدُ بْنُ أَبِي عَرُوبَةَ عَنْ قَتَادَةَ فَقَالَ سَعِيدٌ عَنِ الْقَاسِمِ بْنِ عَوْفٍ الشَّيْبَانِيِّ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ . وَقَالَ هِشَامٌ الدَّسْتَوَائِيُّ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ . وَرَوَاهُ شُعْبَةُ وَمَعْمَرٌ عَنْ قَتَادَةَ عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ فَقَالَ شُعْبَةُ عَنْ زَيْدِ بْنِ أَرْقَمَ . وَقَالَ مَعْمَرٌ عَنِ النَّضْرِ بْنِ أَنَسٍ عَنْ أَبِيهِ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم . قَالَ أَبُو عِيسَى سَأَلْتُ مُحَمَّدًا عَنْ هَذَا فَقَالَ يُحْتَمَلُ أَنْ يَكُونَ قَتَادَةُ رَوَى عَنْهُمَا جَمِيعًا .
(4) Chapter: What Is Said When entering The Toilet
Anas bin Malik said:
"When the Prophet entered the toilet he would say: 'O Allah Indeed I seek refuge in You.'" Shu'bah (one of the narrators) said: "Another time he said: 'I seek refuge in You from AI-Khubthi and al-Khablth.' Or: 'Al-Khubthi and Al-Khaba'ith.'" (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ পায়খানা প্রবেশের দু'আ।
৬. আহমদ ইবনু আদা আযযাব্বী ...... আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানায় প্রবেশ কালে বলতেনঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই রিওয়ায়াতটি হাসান ও সহীহ। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا يَقُولُ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ
أَخْبَرَنَا أَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ الْبَصْرِيُّ، حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا دَخَلَ الْخَلاَءَ قَالَ " اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْخُبْثِ وَالْخَبَائِثِ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
(4) Chapter: What Is Said When entering The Toilet
Anas bin Malik said:
"When the Prophet would enter the toilet 'He said: "O Allah! Indeed I seek refuge in You from Al-Khubith and Al- Khaba'ith." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ পায়খানা থেকে বের হওয়ার দু'আ।
৭. মুহাম্মাদ ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ..... আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানা থেকে বের হওয়ার সময় বলতেনঃ غُفْرَانَكَ হে আল্লাহ, তোমার কাছে ক্ষমা চাই। - ইবনু মাজাহ ৩০০, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদছিটি ’হাসান গরীব’ অর্থাৎ উত্তম তবে অপ্রসিদ্ধ। ইসারাঈল ইউসুফ ইবনু আবূ বুরদা এর সনদ ব্যতীত অন্য কোন সনদে হাদীছটি বর্ণিত আছে বলে আমাদের জানা নেই। আবূ বুরদা ইবনু আবী মূসা, তাঁর আসল নাম হল আমির ইবনু আবদিল্লাহ ইবনু কায়স আল আশআরী। এই বিষয়ে আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা এর হাদছিটি ব্যতীত অন্য কোন রিওয়য়াত তেমন পরিচিত নয়।
باب مَا يَقُولُ إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلاَءِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ، عَنْ إِسْرَائِيلَ بْنِ يُونُسَ، عَنْ يُوسُفَ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، رضى الله عنها قَالَتْ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا خَرَجَ مِنَ الْخَلاَءِ قَالَ " غُفْرَانَكَ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ عَنْ يُوسُفَ بْنِ أَبِي بُرْدَةَ . وَأَبُو بُرْدَةَ بْنُ أَبِي مُوسَى اسْمُهُ عَامِرُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ قَيْسٍ الأَشْعَرِيُّ . وَلاَ نَعْرِفُ فِي هَذَا الْبَابِ إِلاَّ حَدِيثَ عَائِشَةَ رضى الله عنها عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم .
(5) Chapter: What Is Said When Exiting The Toilet
Aishah, [may Allah be pleased with her] said:
"When the Prophet would exit the toilet he would say: 'Ghufranak.'" (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ পেশাব-পায়খানাকালে কিবলামুখী হওয়া নিষিদ্ধ।
৮. সাঈদ ইবনু আবদির রাহমান আল মাখযামী ...... আবূ আইয়্যুব আনসারী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ তোমরা পেশাব বা পায়খানার সময় কিবলার দিকে মুখ করবে না এবং সে দিকে পিছনও দিবে না বরং পূর্ব বা পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে। আবূ আইয়্যুবা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ পরে আমরা যখন শামে এলাম তখন সেখানকার পায়খানাগুলো কিবলার দিকে মুখ করে নির্মিত দেখতে পেলাম। সুতরাং আমরা এ থেকে ফিরে বসতাম আর আল্লাহর কাছে ইস্থিগফার করতাম। - ইবনু মাজাহ ৩১৮, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুল্লাহ ইবনুল হারিছ, মা’কিল ইবনু আবীল হায়ছাম, ইনি মাকিল ইবনু আবী মাকিল নামেও পরিচিত, আবূ উমামা, ইবূ হুরায়রা ইবনু হুনাইফ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ও হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবূ আয়্যুব রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদছিটি এই বিষয়ে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও বিশুদ্ধ। আবূ আয়্যুব রাদিয়াল্লাহু আনহু এর নাম হল খালিদ ইনব যায়দ। রাবী আয-যুহরীর নাম হল মুহাম্মাদ ইবনু মুসলিম ইবনু উবায়দিল্লাহ ইবনু শিহাব আয-যুহরী। তাঁর উপনাম আবূ বকর। আবূল ওয়ালীদ মক্কী বলেন আবূ আবূদল্লাহ আশ শাফিঈ (রহঃ) বলেছেন, ’’হাদীছের হুকুম মাঠ বা খোলা জায়গার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নির্মিত পেশাব পায়খানায় কিবলার দিকে পেছন ফিরে বসার অনুমতি আছে।’’ ইমাম ইসহাককের বক্তব্যও অনুরূপ। আহমদ ইবনু হাম্মল (রহঃ) বলেনঃ পেশাব পায়খানার বেলায় কিবলার দিকে পেছন ফিরে বসার অনুমতি রয়েছে। কিন্তু কিবলামুখী হয়ে বসার কোন অনুমতি নাই। অর্থাৎ তিনি খোলাস্থান বা নির্মিত পেশাব পায়খানার কোথায়ও কিবলামুখী হয়ে বসা জায়েয বলে মনে করেন না।
باب فِي النَّهْىِ عَنِ اسْتِقْبَالِ الْقِبْلَةِ، بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ
حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمَخْزُومِيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ عَطَاءِ بْنِ يَزِيدَ اللَّيْثِيِّ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ الأَنْصَارِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " إِذَا أَتَيْتُمُ الْغَائِطَ فَلاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بَوْلٍ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا وَلَكِنْ شَرِّقُوا أَوْ غَرِّبُوا " . فَقَالَ أَبُو أَيُّوبَ فَقَدِمْنَا الشَّأْمَ فَوَجَدْنَا مَرَاحِيضَ قَدْ بُنِيَتْ مُسْتَقْبَلَ الْقِبْلَةِ فَنَنْحَرِفُ عَنْهَا وَنَسْتَغْفِرُ اللَّهَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ جَزْءٍ الزُّبَيْدِيِّ وَمَعْقِلِ بْنِ أَبِي الْهَيْثَمِ وَيُقَالُ مَعْقِلُ بْنُ أَبِي مَعْقِلٍ وَأَبِي أُمَامَةَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ أَبِي أَيُّوبَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ . وَأَبُو أَيُّوبَ اسْمُهُ خَالِدُ بْنُ زَيْدٍ . وَالزُّهْرِيُّ اسْمُهُ مُحَمَّدُ بْنُ مُسْلِمِ بْنِ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ شِهَابٍ الزُّهْرِيُّ وَكُنْيَتُهُ أَبُو بَكْرٍ . قَالَ أَبُو الْوَلِيدِ الْمَكِّيُّ قَالَ أَبُو عَبْدِ اللَّهِ مُحَمَّدُ بْنُ إِدْرِيسَ الشَّافِعِيُّ إِنَّمَا مَعْنَى قَوْلِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم " لاَ تَسْتَقْبِلُوا الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ وَلاَ بِبَوْلٍ وَلاَ تَسْتَدْبِرُوهَا " . إِنَّمَا هَذَا فِي الْفَيَافِي وَأَمَّا فِي الْكُنُفِ الْمَبْنِيَّةِ لَهُ رُخْصَةٌ فِي أَنْ يَسْتَقْبِلَهَا . وَهَكَذَا قَالَ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ . وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ رَحِمَهُ اللَّهُ إِنَّمَا الرُّخْصَةُ مِنَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي اسْتِدْبَارِ الْقِبْلَةِ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ وَأَمَّا اسْتِقْبَالُ الْقِبْلَةِ فَلاَ يَسْتَقْبِلُهَا . كَأَنَّهُ لَمْ يَرَ فِي الصَّحْرَاءِ وَلاَ فِي الْكُنُفِ أَنْ يَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ .
(6) Chapter: Regarding The Prohibition Of Facing The Qiblah When Defecating And Urinating.
Abu Ayyub Al-Ansari narrated that :
Allah's Messenger said: "When one of you arrives to defecate, then let none of you face the Qiblah while defecating, nor while urinating. And do not have your back towards it, but have it east of you or west of you." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ উক্ত বিষয়ে অনুমতি প্রসঙ্গে।
৯. মুহাম্মদ ইবনু বাশশার ও মুহাম্মাদ ইবনু মুছন্না (রহঃ) ..... জাবির ইবনু আবদিল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, পেশাবের সময় কিবলামুখী হয়ে বসতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছিলেন; কিন্তু তাঁর ইন্তেকালের এক বছর পূর্বে তাঁকে আমি ঐ অবস্থায় কিবলামুখি হতে দেখেছি। - ইবনু মাজাহ ৩২৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ কাতাদা, আইশা, আম্মার (রাঃ) থেকেও হাদীছ বর্ণিত রয়েছে। ইমাম তিরমযযী (রহঃ) বলেনঃ এই বিষয়ে জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু এর বর্ণিত হাদীছটি হাসান গরীব অর্থাৎ উত্তম তবে অপ্রসিদ্ধ।
باب مَا جَاءَ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، وَمُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ بْنُ جَرِيرٍ، حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ أَبَانَ بْنِ صَالِحٍ، عَنْ مُجَاهِدٍ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِبَوْلٍ فَرَأَيْتُهُ قَبْلَ أَنْ يُقْبَضَ بِعَامٍ يَسْتَقْبِلُهَا . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي قَتَادَةَ وَعَائِشَةَ وَعَمَّارِ بْنِ يَاسِرٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ جَابِرٍ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ غَرِيبٌ .
وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَبُولُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ . وَحَدِيثُ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ . وَابْنُ لَهِيعَةَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
(7) Chapter: What Has Been Related About The Permission for That
Jabir bin Abdullah said:
"The Prophet prohibited us from facing the Qiblah while urinating. Then i saw him facing it a year before he died." (Hasan)
Abu Qatadah narrated that :
he saw the Prophet urinating while facing the Qiblah. Qutaibah narrated that to us, he said: "Ibn Lahi'ah informed us." Jabir's Hadlth about the Prophet is more correct than the Hadith of Ibn Lahi'ah. Ibn Lahi'ah is weak according to the scholars of Hadith. He was graded weak by Yahya bin Sa'eed Al-Qattan, and others, [due to his memorization].
পরিচ্ছেদঃ উক্ত বিষয়ে অনুমতি প্রসঙ্গে।
১০. ইবনু লাহী’আ .... আবূ কাতাদা সূত্রে বর্ণনা করেন, আবূ কাতাদা বলেছেন যে, তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কিবলামুখী হয়ে পেশাব করতে দেখেছেন। ইবনু লাহীআর এই রিওয়ায়াতটির তুলনায় জাবির সরাসরি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যে রিওয়ায়াতটি (৯নং) করেছেন সেটি অধিকতর সহীহ। হাদীছবেত্তাগণের নিকট ইবনু লাহী’আ যঈফ বলে গণ্য। ইয়াহইয়া ইবনু সাঈদ আল কাত্তান প্রমুখ ইবনু লাহী’আকে তাঁর স্মৃতি শক্তির দিক থেকে যঈফ বলে বর্ণনা করেছেন। - তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
باب مَا جَاءَ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ ابْنُ لَهِيعَةَ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّهُ رَأَى النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَبُولُ مُسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةِ . حَدَّثَنَا بِذَلِكَ قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا ابْنُ لَهِيعَةَ . وَحَدِيثُ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ ابْنِ لَهِيعَةَ . وَابْنُ لَهِيعَةَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ الْقَطَّانُ وَغَيْرُهُ مِنْ قِبَلِ حِفْظِهِ .
(7) Chapter: What Has Been Related About The Permission for That
Abu Qatadah narrated that :
he saw the Prophet urinating while facing the Qiblah. Qutaibah narrated that to us, he said: "Ibn Lahi'ah informed us." Jabir's Hadlth about the Prophet is more correct than the Hadith of Ibn Lahi'ah. Ibn Lahi'ah is weak according to the scholars of Hadith. He was graded weak by Yahya bin Sa'eed Al-Qattan, and others, [due to his memorization].
পরিচ্ছেদঃ উক্ত বিষয়ে অনুমতি প্রসঙ্গে।
১১. হান্নাদ (রহঃ) ..... ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি একদিন হাফসা রাদিয়াল্লাহু আনহার ঘরের ছাদে উঠেছিলাম। হঠাৎ দেখলাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাবার দিকে পিছন দিয়ে এবং শামের দিকে মুখ করে তাঁর হাজত পূরণ (ইস্তিঞ্জাহ) করছেন। - ইবনু মাজাহ ৩২২, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১১ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীছটি হাসান সহীহ।
باب مَا جَاءَ مِنَ الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ بْنُ سُلَيْمَانَ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عُمَرَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يَحْيَى بْنِ حَبَّانَ، عَنْ عَمِّهِ، وَاسِعِ بْنِ حَبَّانَ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، قَالَ رَقِيتُ يَوْمًا عَلَى بَيْتِ حَفْصَةَ فَرَأَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم عَلَى حَاجَتِهِ مُسْتَقْبِلَ الشَّأْمِ مُسْتَدْبِرَ الْكَعْبَةِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
(7) Chapter: What Has Been Related About The Permission for That
Ibn 'Umar said:
"One day I climbed on Hafsah's house, and I saw the Prophet relieving himself while facing Ash-Sham, with his back toward the Ka'bah." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ দাঁড়িয়ে পেশাব করা নিষেধ।
১২. আলী ইবনু হুজর ..... আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেনঃ কেউ যদি তোমাদের বলে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পেশাব করতেন তবে তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস করো না। তিনি বসা ছাড়া পেশাব করতেন না। - ইবনু মাজাহ ৩০৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে উমর, বুরায়দা ও আবদুর রহমান ইবনু হাসানহ (রাঃ) থেকে হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই বিষযে আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদীছটই সর্বাপেক্ষা সহীহ এবং উত্তম। আবদুল করীম ...... উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দাঁড়িয়ে পেশাব করাতে দেখে বললেনঃ হে উমর! দাঁড়িয়ে পেশাব করো না। এরপর আমি আর কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি।
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এ হাদীছটি কেবলমাত্র রাবী আবদুল করীম-ই মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি হাদীছবেত্তাগণের নিকট যঈফ বলে গণ্য। আয়্যুব আর সাখতিয়ানী তাঁকে যইফ বলেছেন এবং তাঁর সমালোচনা করেছেন। উবায়দুল্লাহ (রহঃ) উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন ইসলাম গ্রহণের পর আমি কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করি নাই। আবদুল করীম বর্ণিত রিওয়ায়াত থেকে এই রিওয়ায়াতটি অধিক বিশুদ্ধ। এই বিষয়ে বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীছটি মাহফুজ (সংরক্ষেত) নয়। দঁড়িয়ে পেশাব করা হারাম বলে নয় বরং আদব ও শিষ্টাচারের দৃষ্টিকোন থেকে তা নিষেধ করা হয়েছে। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি বলেছেনঃ দাড়িয়ে পেশাব করা শিষ্টাচার বিরোধী।
باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ الْبَوْلِ، قَائِمًا
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبُولُ قَائِمًا فَلاَ تُصَدِّقُوهُ مَا كَانَ يَبُولُ إِلاَّ قَاعِدًا . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَبُرَيْدَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَسَنَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ . وَحَدِيثُ عُمَرَ إِنَّمَا رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ رَآنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبُولُ قَائِمًا فَقَالَ " يَا عُمَرُ لاَ تَبُلْ قَائِمًا " . فَمَا بُلْتُ قَائِمًا بَعْدُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رَفَعَ هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ أَبِي الْمُخَارِقِ وَهُوَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ وَتَكَلَّمَ فِيهِ . وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ عُمَرُ رضى الله عنه مَا بُلْتُ قَائِمًا مُنْذُ أَسْلَمْتُ . وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ وَحَدِيثُ بُرَيْدَةَ فِي هَذَا غَيْرُ مَحْفُوظٍ . وَمَعْنَى النَّهْىِ عَنِ الْبَوْلِ قَائِمًا عَلَى التَّأْدِيبِ لاَ عَلَى التَّحْرِيمِ . وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ إِنَّ مِنَ الْجَفَاءِ أَنْ تَبُولَ وَأَنْتَ قَائِمٌ .
(8) Chapter: (What Has Been Related About) The Prohibition Of Urinating While Standing
Aishah said:
"Whoever narrated to you that the Prophet would urinate while standing; then do not believe him. He would not urinate except while squatting." [He said:] There are narrations on this topic from Umar, Buraidah, [and Abdur-Rahman bin Hasanah]. (Hasan)
পরিচ্ছেদঃ উক্ত বিষয়ের অনুমতি প্রসঙ্গে।
১৩. হান্নাদ (রহঃ) ..... হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার একটি আস্তাকুঁড়ের কাছে গিয়ে দাঁড়িয়ে পেশাব করেছিলেন। আমি তাঁর উযূর পানি নিযে আসলাম। আমি সরে যেতে চাইলে তিনি আমাকে (ইশারায়) ডাকলেন। আমি তাঁর পিছনে এসে দাঁড়ালাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং চামড়ার মোজায় মাসেহ (মাসেহ) করলেন। - ইবনু মাজাহ ৩০৫, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ মানসূর এবং বায়দা আয-যাববী ও হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই ধরনের হাদীছ বর্ণনা করেছেন। আর হাম্মাদ ইবনু আবী সুলায়মান মূগীরা ইাবন শুবা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে এই বিষয়ে আরেকটি হাদীছ রিওয়ায়াত করেছেন। আবূ ওয়াইলেন বরাতে হুযায়ফা রাদিয়াল্লাহু আনহু’র রিওয়ায়াতটই অধিকতর শুদ্ধ।
باب الرُّخْصَةِ فِي ذَلِكَ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، عَنْ حُذَيْفَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَتَى سُبَاطَةَ قَوْمٍ فَبَالَ عَلَيْهَا قَائِمًا فَأَتَيْتُهُ بِوَضُوءٍ فَذَهَبْتُ لأَتَأَخَّرَ عَنْهُ فَدَعَانِي حَتَّى كُنْتُ عِنْدَ عَقِبَيْهِ فَتَوَضَّأَ وَمَسَحَ عَلَى خُفَّيْهِ .
قَالَ أَبُو عِيسَى وَسَمِعْتُ الْجَارُودَ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا يُحَدِّثُ بِهَذَا الْحَدِيثِ عَنِ الأَعْمَشِ . ثُمَّ قَالَ وَكِيعٌ هَذَا أَصَحُّ حَدِيثٍ رُوِيَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي الْمَسْحِ . وَسَمِعْتُ أَبَا عَمَّارٍ الْحُسَيْنَ بْنَ حُرَيْثٍ يَقُولُ سَمِعْتُ وَكِيعًا فَذَكَرَ نَحْوَهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى مَنْصُورٌ وَعُبَيْدَةُ الضَّبِّيُّ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ مِثْلَ رِوَايَةِ الأَعْمَشِ . وَرَوَى حَمَّادُ بْنُ أَبِي سُلَيْمَانَ وَعَاصِمُ بْنُ بَهْدَلَةَ عَنْ أَبِي وَائِلٍ عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَحَدِيثُ أَبِي وَائِلٍ عَنْ حُذَيْفَةَ أَصَحُّ . .
(9) Chapter: What Has Been Related About The Permission For That
Hudhaifah narrated:
"Allah's Messenger came to a waste area used by people, so he urinated on it while standing. I brought him the (water for) Wudu. Then I left to be away from him, but he called me until I was behind him. So he performed Wudu and wiped (Masaba) over his Khuff." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ পেশাব বা পায়খানার সময় আড়ালে যাওয়া।
১৪. কুবায়বা (রহঃ) ...... আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, পেশাব-পায়খানার সময় ভূমির নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কাপড় তুলতেন না। - আবু দাউদ ১১, সহিহাহ ১০৭১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৪ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ মুহাম্মাদ ইবনু রাবী’আও আমাশু এর সনদে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে অনুরূপ বর্ণা করেছেন। ওয়াকী ও আবূ ইয়াহইয়া আল-হিম্মানী (রহঃ) ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে , পেশাব-পায়খানার সময় ভূমির নিকটবর্তী না হওয়া পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাপড় তুলতেন না।
আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু ও ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত উপরের দুটো হাদীছই মুরসাল। কারণ উভয় হাদীছই আ’মাশ এর সনদে বর্ণিত হয়েছে। আনাস ইবনু মালিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বা অপর কোন সাহাবী থেকে আ’মাশ এর হাদীছ শোনার সুযোগ হয়নি। তবে আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু কে তিনি দেখেছেন। তিনি বলেনঃ আমি আনাসকে সালাতরত অবস্থায় দেখেছি। অতঃপর তিনি আনস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে সালাতের বিবরণ দেন। আ’মাশ এর পূর্ণ নাম সুলায়মান ইবনু মিহরান আবূ মুহাম্মাদ আল-কাহিলী। তিনি আল-কাহিল গোত্রের আযাদকৃত দাস ছিলেন। আ’মাশ বলেনঃ আমার পিতাকে শৈশবে দারূল হারব থেকে উঠিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল পরবর্তীকালে ইমাম মাসরূক তাকে বৈধ উত্তরাধিকরী বলে রায় দিয়েছেন।
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِتَارِ عِنْدَ الْحَاجَةِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ السَّلاَمِ بْنُ حَرْبٍ الْمُلاَئِيُّ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ أَنَسٍ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَكَذَا رَوَى مُحَمَّدُ بْنُ رَبِيعَةَ عَنِ الأَعْمَشِ عَنْ أَنَسٍ هَذَا الْحَدِيثَ . وَرَوَى وَكِيعٌ وَأَبُو يَحْيَى الْحِمَّانِيُّ عَنِ الأَعْمَشِ قَالَ قَالَ ابْنُ عُمَرَ كَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ لَمْ يَرْفَعْ ثَوْبَهُ حَتَّى يَدْنُوَ مِنَ الأَرْضِ . وَكِلاَ الْحَدِيثَيْنِ مُرْسَلٌ . وَيُقَالُ لَمْ يَسْمَعِ الأَعْمَشُ مِنْ أَنَسٍ وَلاَ مِنْ أَحَدٍ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَقَدْ نَظَرَ إِلَى أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ رَأَيْتُهُ يُصَلِّي . فَذَكَرَ عَنْهُ حِكَايَةً فِي الصَّلاَةِ . وَالأَعْمَشُ اسْمُهُ سُلَيْمَانُ بْنُ مِهْرَانَ أَبُو مُحَمَّدٍ الْكَاهِلِيُّ وَهُوَ مَوْلًى لَهُمْ . قَالَ الأَعْمَشُ كَانَ أَبِي حَمِيلاً فَوَرَّثَهُ مَسْرُوقٌ .
(10) Chapter: [What Has Been Related] About Being Screened While Relieving Oneself
Anas, may Allah Most High be pleased with him, said:
"When the Prophet wanted to relieve himself, he would not raise his garment until he was close to the ground."
পরিচ্ছেদঃ ডান হাতে শৌচকর্ম মাকরূহ।
১৫. মুহাম্মদ ইবনু আবী উমর মাক্কী (রহঃ) ..... আবূ কাতাদা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেনঃ ডান হাতে লজ্জাস্থান স্পর্শ করতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন। - ইবনু মাজাহ ৩১০, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৫ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আইশা, সালমান, আবূ হুরায়রা এবং সাহল ইবনু হুনাইফ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ উক্ত হাদীছটি হাসান এবং সহীহ। আবূ কাতাদার আসল নাম আল-হারিছ ইবনু রিবাঈ। ফকীহ ও আলিমগণ এই হাদীছ আনুসারে আমল করে থাকেন এবং তাঁরা ডান হাতে শৌচকর্ম করা মাকরুহ মনে করেন।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهَةِ الاِسْتِنْجَاءِ بِالْيَمِينِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ أَبِي عُمَرَ الْمَكِّيُّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ مَعْمَرٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَهَى أَنْ يَمَسَّ الرَّجُلُ ذَكَرَهُ بِيَمِينِهِ . وَفِي هَذَا الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَسَلْمَانَ وَأَبِي هُرَيْرَةَ وَسَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَأَبُو قَتَادَةَ الأَنْصَارِيُّ اسْمُهُ الْحَارِثُ بْنُ رِبْعِيٍّ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا عِنْدَ عَامَّةِ أَهْلِ الْعِلْمِ كَرِهُوا الاِسْتِنْجَاءَ بِالْيَمِينِ .
Abdullah bin Abu Qatadah narrated from his father:
"The Prophet prohibited that a man should touch his penis with his right hand." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ পাথর দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা।
১৬. হান্নাদ (রহঃ) ..... আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলা হল, আপনাদের নবী আপনাদের সবকিছুই শিখান এমনকি দেখা যায় ইস্তিঞ্জায় কেমন করে বসতে হবে তাও শিখিয়ে থাকেন। সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেনঃ হ্যাঁ, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে পেশাব-পায়খানার সময় কিবলার দিকে মুখ করতে, ডান হাতে ইস্তিঞ্জা করতে, তিনটির কম পাথর দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে এবং পশুর মল ও হাড্ডী দিয়ে ইস্তিঞ্জা করতে নিষেধ করেছেন। - ইবনু মাজাহ ৩১৬, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৬ [আল মাদানী প্রকাশনী]
আইশা, খুযাইমা ইবনু ছাবিত, জাবির (রাঃ) এবং খাল্লাদ ইবনুুস সাইব থেকে তাঁর পিতার বরাতেও এই বিষয়ে হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এই বিষয়ে সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদীছটি উত্তম এবং বিশুদ্ধ। এ হচ্ছে অধিকাংশ সাহাবী ও তৎপরবর্তী যুগের আলিম ও ফকীহগণের অভিমত। পেশাব ও পায়খানার পর যদি ভালভাবে পরিস্কার হয়ে যায় তা হলে পানি ব্যবহারে না করে কেবল মাত্র ঢিলা ব্যবহার করা যথেষ্ট হবে বলে তাঁরা অভিমত ব্যাক্ত করেছেন। ইমাম ছাওরী, ইবনু মুবারাক, ইমাম শাফিঈ, ইমাম আহমদ, ইমাম ইসহাক (রহঃ)-ও এ মত প্রকাশ করেছেন।
باب الاِسْتِنْجَاءِ بِالْحِجَارَةِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ إِبْرَاهِيمَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ، قَالَ قِيلَ لِسَلْمَانَ قَدْ عَلَّمَكُمْ نَبِيُّكُمْ صلى الله عليه وسلم كُلَّ شَيْءٍ حَتَّى الْخِرَاءَةَ فَقَالَ سَلْمَانُ أَجَلْ نَهَانَا أَنْ نَسْتَقْبِلَ الْقِبْلَةَ بِغَائِطٍ أَوْ بَوْلٍ وَأَنْ نَسْتَنْجِيَ بِالْيَمِينِ أَوْ أَنْ يَسْتَنْجِيَ أَحَدُنَا بِأَقَلَّ مِنْ ثَلاَثَةِ أَحْجَارٍ أَوْ أَنْ نَسْتَنْجِيَ بِرَجِيعٍ أَوْ بِعَظْمٍ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَفِي الْبَابِ عَنْ عَائِشَةَ وَخُزَيْمَةَ بْنِ ثَابِتٍ وَجَابِرٍ وَخَلاَّدِ بْنِ السَّائِبِ عَنْ أَبِيهِ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَحَدِيثُ سَلْمَانَ فِي هَذَا الْبَابِ حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَهُوَ قَوْلُ أَكْثَرِ أَهْلِ الْعِلْمِ مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم وَمَنْ بَعْدَهُمْ رَأَوْا أَنَّ الاِسْتِنْجَاءَ بِالْحِجَارَةِ يُجْزِئُ وَإِنْ لَمْ يَسْتَنْجِ بِالْمَاءِ إِذَا أَنْقَى أَثَرَ الْغَائِطِ وَالْبَوْلِ وَبِهِ يَقُولُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Abdur-Rahman bin Yazld said, :
"They said to Salman, 'Your Prophet taught you about everything, even defecating?' So Salman said, 'Yes. He prohibited us from facing the Qiblah when defecating and urinating, performing Istinja with the right hand, using less than three stones for Istinja, and using dung or bones for Istinja" (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ ইস্তিঞ্জায় দু'টি পাথর ব্যবহার করা
১৭. হান্নাদ ও কুতায়বা (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহ থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার ইস্তিঞ্জার উদ্দেশ্যে বের হলেন এবং বললেন, আমার জন্য তিনটি পাথর তালাশ করে নিয়ে আস। আবদুল্লাহ (রহঃ) বলেন, আমি দুটি পাথর ও এক টুকরা গোবর নিয়ে এলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পাথর দুটি গ্রহণ করলেন এবং গোবর ফেলে দিলেন, বললেনঃ এটি নোংরা। - বুখারি ১৫৬, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৭ [আল মাদানী প্রকাশনী]
ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ কায়স ইবনুুর রাবী ইসরাঈলের অনুরূপ বর্ণনা করেছেন। মা’মার এবং আম্মার ইবনু যুরাইক ও আবূ ইসহাক - আলকামা - আবদুল্লাহ - এর সূত্রে আর যুহাইর আবূ ইসহাক - আবদুর রাহমান ইবনুল আসওয়াদ - আসওয়াদ ইাবন ইয়াযীদ - আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্রে হাদীছাটি রিওয়ায়াত করেছেন। যাকরিয়া ইবনু আবী যাইদাও আবূ ইসহাক - আবদুর হরমান ইবনু উয়াযীদ - আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে এ হাদীছাটি বর্ণনা করেছেন। হাদীছটির সনদ ইযতিরাব বিশিষ্ট। ইমাম আবূ ঈসা তিরমযী (রহঃ) বলেন, আমি আবদুল্লাহ ইবনু আবদুর রাহমানকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, আবূ ইসহাকের বরাতে করা বর্ণনাটি অধিকতর সহীহ? তিনি এই বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত প্রদান করেননি।
মুহাম্মাদ আল বুখারীকেও এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, তিনিও কোনরূপ সিদ্ধান্ত ব্যক্ত করেননি। তবে তাঁর আচরণে মনে হয় যে, তিনি যুহাইর-আবূ ইসহাক - আবদুর রাহমান ইবনুল আসওয়াদ-তাঁর পিতা আল-আসওয়াদ - আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্রটি অধিক গ্রহণযোগ্য মনে করেন। তিনি এই সূত্রে বর্ণিত হাদীছটিকে তাঁর জামি’ সহীহ (বুখারী শরীফ)- তে স্থান দিয়েছেন। আমার মতে ইসরাঈল এবং কায়স-আবূ ইসহাক-আবূ উবাউদা আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর সূত্রটি অধিক সহীহ। কেননা, আবূ ইসাহক থেকে হাদীছ বর্ণনার বিষয়ে এদের সবার চেয়ে ইসরাঈল অধিক নির্ভরযোগ্য এবং স্মৃতিধর। তদুপরি কায়স ইবনুুর রাবীও এই হাদীছটির বর্ণনায় ইসরাঈলের সহযোগী।
আবূ মূসা মুহাম্মাদ ইবনুল মুছান্নাকে বলতে শুনেছে যে, আবদুর রহমান ইবনু মাহদী বলেনঃ ইসরাঈলের উপর ভরসা করেই সুফইয়ান ছাওরীর সূত্রে আবূ ইসাহাকের বর্ণিত হাদীছসমূহ আমি স্মরণ করিনি। কেননা, ইসরাঈল ঐ হাদীছসমূহ যথাযথ এবং পুরাপুরি ভাবে বর্ণনা করে থাকেন। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবূ ইসহাক থেকে হাদীছ বর্ণনার ক্ষেত্রে যুহাইার তেমন বির্ভরযোগ্য নন। কেননা তিনি আবূ ইসহাকের শেষ বয়সে তাঁর হাদীছ শুনেছেন। আহমদ ইবনুল হাসান আত-তিরমিযীকে বলতে শুনেছি যে, আহমদ ইবনু হাম্বাল বলেন, যাইদা এবং যুহাইর থেকে কোন হাদীছ শুনতে পেলে অন্য কারো কাছ থেকে তা শুনলে কখনও এর পরওয়া করবে না। তবে আবূ ইসহাক থেকে বর্ণিত তাদের হাদীছের ক্ষেত্রে ভিন্ন কথা। আবূ সিহাকের নাম হল আমর ইবনু আবূদল্লাহ আশ-শাবীঈ আল-হামদানী।
আবূ উবাইদা ইবনু আবদিল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে হাদীছ শুনেননি। তাঁর নাম তত প্রসিদ্ধ নয়। মুহাম্মাদ ইবান বাশশার এর সূত্রে আমর ইবনু মুররা থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি বলেন, আবূ উবাইদা ইাবন আবদুল্লাহকে আমি জিজ্ঞাসা করেছিলাম আপনি (আপনার পিতা) আবদুল্লাহ (ইবনু মাসউদ) থেকে কোন হাদীছ বর্ণনা স্মরণ রেখেছেন কি? তিনি উত্তরে বললেন না।
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِنْجَاءِ بِالْحَجَرَيْنِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، وَقُتَيْبَةُ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم لِحَاجَتِهِ فَقَالَ " الْتَمِسْ لِي ثَلاَثَةَ أَحْجَارٍ " . قَالَ فَأَتَيْتُهُ بِحَجَرَيْنِ وَرَوْثَةٍ فَأَخَذَ الْحَجَرَيْنِ وَأَلْقَى الرَّوْثَةَ وَقَالَ " إِنَّهَا رِكْسٌ " . قَالَ أَبُو عِيسَى وَهَكَذَا رَوَى قَيْسُ بْنُ الرَّبِيعِ هَذَا الْحَدِيثَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ أَبِي عُبَيْدَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ نَحْوَ حَدِيثِ إِسْرَائِيلَ . وَرَوَى مَعْمَرٌ وَعَمَّارُ بْنُ رُزَيْقٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى زُهَيْرٌ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الأَسْوَدِ عَنْ أَبِيهِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَرَوَى زَكَرِيَّا بْنُ أَبِي زَائِدَةَ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ عَنِ الأَسْوَدِ بْنِ يَزِيدَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ . وَهَذَا حَدِيثٌ فِيهِ اضْطِرَابٌ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ الْعَبْدِيُّ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ قَالَ سَأَلْتُ أَبَا عُبَيْدَةَ بْنَ عَبْدِ اللَّهِ هَلْ تَذْكُرُ مِنْ عَبْدِ اللَّهِ شَيْئًا قَالَ لاَ .
Abdullah said:
"Allah's Messenger went out to relieve himself. So he said: 'Bring me tree stones.'" He said, "So I came with two stones and a piece of dung. So he took the two stones, and left the dung. He said: 'It is Riks (a degenerative or filthy thing)." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ যে সব বস্তু দিয়ে ইস্তিঞ্জা মাকরূহ।
১৮. হান্নাদ ..... তাঁর উস্তাদ হাফস ইবনু গিয়াছের সূত্রে আবদুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন, তোমরা গোবর এবং হাড্ডি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করবে না। কারণ এগুলো তোমাদের ভাই জ্বীনদের খাবার। - আল ইরওয়া ৪৬, মিশকাত ৩৫০, যইফা ১০৩৮ এর অধীনে, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৮ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবূ হুরায়রা, সলামান, জাবির এবং ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ও হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ ইসমাঈল ইবনু ইবরাহীম এবং অপর কতিপয় রাবীও এই হাদীছটি দাঊদ ইবনু আবী হিনদ-শা’বী আলকামা-আবদুল্লাহ-এর সূত্রে বর্ণনা করেছেন। এতে উল্লেখ আছে যে, লাইলাতুল জ্বীন বা জ্বীন সম্পর্কিত ঘটনার রাতে আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু নিজে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সঙ্গে ছিলেন। শা’বী বলেন যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছিলেন, তোমরা গোবর এবং হাড্ডি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করো না। কেননা, এ হলো তোমাদের ভাই জ্বীনদের খাবার। হাফস ইবনু গিয়াসের বর্ণনার তুলনায় ইসমাঈলের বর্ণনা অধিকতর শুদ্ধ। ফকীহ আলিমগণ এই হাদীছের বক্তব্য অনুসারে আমল করেন। জাবির ও ইবনু উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও এ বিষয়ে হাদীছ বর্ণিত আছে।
باب مَا جَاءَ فِي كَرَاهِيَةِ مَا يُسْتَنْجَى بِهِ
حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ عَلْقَمَةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " لاَ تَسْتَنْجُوا بِالرَّوْثِ وَلاَ بِالْعِظَامِ فَإِنَّهُ زَادُ إِخْوَانِكُمْ مِنَ الْجِنِّ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَسَلْمَانَ وَجَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ . قَالَ أَبُو عِيسَى وَقَدْ رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ إِسْمَاعِيلُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ وَغَيْرُهُ عَنْ دَاوُدَ بْنِ أَبِي هِنْدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ أَنَّهُ كَانَ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم لَيْلَةَ الْجِنِّ - الْحَدِيثَ بِطُولِهِ - فَقَالَ الشَّعْبِيُّ إِنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تَسْتَنْجُوا بِالرَّوْثِ وَلاَ بِالْعِظَامِ فَإِنَّهُ زَادُ إِخْوَانِكُمْ مِنَ الْجِنِّ " . وَكَأَنَّ رِوَايَةَ إِسْمَاعِيلَ أَصَحُّ مِنْ رِوَايَةِ حَفْصِ بْنِ غِيَاثٍ . وَالْعَمَلُ عَلَى هَذَا الْحَدِيثِ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَابِرٍ وَابْنِ عُمَرَ رضى الله عنهما .
Abdullah bin Mas'ud narrated that :
Allah's Messenger said: "Do not perform Istinja, with dung, nor with bones. For indeed it is provisions for your brothers among the Jinn." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ পানির দ্বারা ইস্তিঞ্জা করা।
১৯. কুতায়বা এবং মুহাম্মাদ ইবনু আবদিল মালিক ইবনু আবিশ শাওয়ারিব (রহঃ) ..... আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা কারেন যে, তিনি বলেছে তোমরা তোমাদের স্বামীদের পানির সাহয্যে শৌচ ক্রিয়া সম্পাদন করতে নির্দেশ দিবে, আমি নিজে তাদের সে কথা বলতে লজ্জাবোধ করি। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজেও এইরূপ করতেন। - ইরওয়া ৪২, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১৯ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে জারীর ইবনু আবদিল্লাহ্ আল-বাজালী, আনাস এবং আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুম থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন এই হাদীছটি হাসান এবং সহীহ। ফকীহ আলিমগণ এই ধরনের আমল করেন। পাথর বা ঢিলার সাহায্য ইস্তিঞ্জা যথেষ্ট হলেও পানি দ্বারা ইস্তিঞ্জা করাকে তাঁরা পছন্দনীয় ও উত্তম বলে মত ব্যক্ত করেছেন। সুফইয়ান ছাওরী, ইবনুল মুবারাক, শাফিঈ, আহমদ এবং ইসাহাকও অনুরূপ মত পোষণ করেন।
باب مَا جَاءَ فِي الاِسْتِنْجَاءِ بِالْمَاءِ
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَمُحَمَّدُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ أَبِي الشَّوَارِبِ الْبَصْرِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ قَتَادَةَ، عَنْ مُعَاذَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مُرْنَ أَزْوَاجَكُنَّ أَنْ يَسْتَطِيبُوا، بِالْمَاءِ فَإِنِّي أَسْتَحْيِيهِمْ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَفْعَلُهُ " . وَفِي الْبَابِ عَنْ جَرِيرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْبَجَلِيِّ وَأَنَسٍ وَأَبِي هُرَيْرَةَ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَعَلَيْهِ الْعَمَلُ عِنْدَ أَهْلِ الْعِلْمِ يَخْتَارُونَ الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ وَإِنْ كَانَ الاِسْتِنْجَاءُ بِالْحِجَارَةِ يُجْزِئُ عِنْدَهُمْ فَإِنَّهُمُ اسْتَحَبُّوا الاِسْتِنْجَاءَ بِالْمَاءِ وَرَأَوْهُ أَفْضَلَ . وَبِهِ يَقُولُ سُفْيَانُ الثَّوْرِيُّ وَابْنُ الْمُبَارَكِ وَالشَّافِعِيُّ وَأَحْمَدُ وَإِسْحَاقُ .
Aishah said:
"Encourage your Husbands to clean themselves with water, for I am too shy of them, and Allah's Messenger would do that." (Grade: Sahih)
পরিচ্ছেদঃ ইস্তিঞ্জার প্রয়োজন হলে রাসুল (ﷺ) অনেক দূরে চলে যেতেন।
২০. মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) ..... মুগীরা ইবনু শু’বা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন, মুগীরা বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমি এক সফরে ছিলাম। তিনি তাঁর ইস্তিঞ্জার প্রয়োজনে অনেক দূর চলে গেলেন। - ইবনু মাজাহ ৩৩০১, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ২০ [আল মাদানী প্রকাশনী]
এই বিষয়ে আবদুর রহমান ইবন আবী কুরাদ, আবূ কাতাদা, জাবির, উবায়দ, আবূ মূসা, ইবনু আব্বাস ও বিলাল ইবনুল হারিছ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেন, এই হাদীছটি হাসান এবং সহীহ। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে বর্ণিত আছে যে, তিনি অবস্থানের জন্য যেমন পছন্দসই জায়গা তালাশ করে নিতেন তেমনি পেশাবের জন্যও নরম স্থান তালাশ করে নিতেন। আবূ সালমার পূর্ণ নাম হল, আবদুল্লাহ ইবনু আবদির রাহামান ইবনু আওফ আয-যুহরী।
باب مَا جَاءَ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ إِذَا أَرَادَ الْحَاجَةَ أَبْعَدَ فِي الْمَذْهَبِ
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَهَّابِ الثَّقَفِيُّ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنِ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ، قَالَ كُنْتُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم فِي سَفَرٍ فَأَتَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَاجَتَهُ فَأَبْعَدَ فِي الْمَذْهَبِ . قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي قُرَادٍ وَأَبِي قَتَادَةَ وَجَابِرٍ وَيَحْيَى بْنِ عُبَيْدٍ عَنْ أَبِيهِ وَأَبِي مُوسَى وَابْنِ عَبَّاسٍ وَبِلاَلِ بْنِ الْحَارِثِ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ . وَيُرْوَى عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ كَانَ يَرْتَادُ لِبَوْلِهِ مَكَانًا كَمَا يَرْتَادُ مَنْزِلاً . وَأَبُو سَلَمَةَ اسْمُهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ الزُّهْرِيُّ .
Al-Mughirah bin Shu'bah said:
I was with the Prophet on a journey. The Prophet had to relieve himself, so he went far away."