১২

পরিচ্ছেদঃ দাঁড়িয়ে পেশাব করা নিষেধ।

১২. আলী ইবনু হুজর ..... আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণনা করেনঃ কেউ যদি তোমাদের বলে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দাঁড়িয়ে পেশাব করতেন তবে তোমরা তা সত্য বলে বিশ্বাস করো না। তিনি বসা ছাড়া পেশাব করতেন না। - ইবনু মাজাহ ৩০৭, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ১২ [আল মাদানী প্রকাশনী]

এই বিষয়ে উমর, বুরায়দা ও আবদুর রহমান ইবনু হাসানহ (রাঃ) থেকে হাদীছ বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী বলেনঃ এই বিষযে আইশা রাদিয়াল্লাহু আনহ বর্ণিত হাদীছটই সর্বাপেক্ষা সহীহ এবং উত্তম। আবদুল করীম ...... উমর রাদিয়াল্লাহু আনহ বলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে দাঁড়িয়ে পেশাব করাতে দেখে বললেনঃ হে উমর! দাঁড়িয়ে পেশাব করো না। এরপর আমি আর কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করিনি।

ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেন, এ হাদীছটি কেবলমাত্র রাবী আবদুল করীম-ই মারফূ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনি হাদীছবেত্তাগণের নিকট যঈফ বলে গণ্য। আয়্যুব আর সাখতিয়ানী তাঁকে যইফ বলেছেন এবং তাঁর সমালোচনা করেছেন। উবায়দুল্লাহ (রহঃ) উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন ইসলাম গ্রহণের পর আমি কখনও দাঁড়িয়ে পেশাব করি নাই। আবদুল করীম বর্ণিত রিওয়ায়াত থেকে এই রিওয়ায়াতটি অধিক বিশুদ্ধ। এই বিষয়ে বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদীছটি মাহফুজ (সংরক্ষেত) নয়। দঁড়িয়ে পেশাব করা হারাম বলে নয় বরং আদব ও শিষ্টাচারের দৃষ্টিকোন থেকে তা নিষেধ করা হয়েছে। ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রয়েছে যে, তিনি বলেছেনঃ দাড়িয়ে পেশাব করা শিষ্টাচার বিরোধী।

باب مَا جَاءَ فِي النَّهْىِ عَنِ الْبَوْلِ، قَائِمًا ‏

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ، أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ، عَنِ الْمِقْدَامِ بْنِ شُرَيْحٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ مَنْ حَدَّثَكُمْ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم كَانَ يَبُولُ قَائِمًا فَلاَ تُصَدِّقُوهُ مَا كَانَ يَبُولُ إِلاَّ قَاعِدًا ‏.‏ قَالَ وَفِي الْبَابِ عَنْ عُمَرَ وَبُرَيْدَةَ وَعَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ حَسَنَةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى حَدِيثُ عَائِشَةَ أَحْسَنُ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَصَحُّ ‏.‏ وَحَدِيثُ عُمَرَ إِنَّمَا رُوِيَ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ بْنِ أَبِي الْمُخَارِقِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ عَنْ عُمَرَ قَالَ رَآنِي النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا أَبُولُ قَائِمًا فَقَالَ ‏ "‏ يَا عُمَرُ لاَ تَبُلْ قَائِمًا ‏"‏ ‏.‏ فَمَا بُلْتُ قَائِمًا بَعْدُ ‏.‏ قَالَ أَبُو عِيسَى وَإِنَّمَا رَفَعَ هَذَا الْحَدِيثَ عَبْدُ الْكَرِيمِ بْنُ أَبِي الْمُخَارِقِ وَهُوَ ضَعِيفٌ عِنْدَ أَهْلِ الْحَدِيثِ ضَعَّفَهُ أَيُّوبُ السَّخْتِيَانِيُّ وَتَكَلَّمَ فِيهِ ‏.‏ وَرَوَى عُبَيْدُ اللَّهِ عَنْ نَافِعٍ عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ عُمَرُ رضى الله عنه مَا بُلْتُ قَائِمًا مُنْذُ أَسْلَمْتُ ‏.‏ وَهَذَا أَصَحُّ مِنْ حَدِيثِ عَبْدِ الْكَرِيمِ وَحَدِيثُ بُرَيْدَةَ فِي هَذَا غَيْرُ مَحْفُوظٍ ‏.‏ وَمَعْنَى النَّهْىِ عَنِ الْبَوْلِ قَائِمًا عَلَى التَّأْدِيبِ لاَ عَلَى التَّحْرِيمِ ‏.‏ وَقَدْ رُوِيَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَسْعُودٍ قَالَ إِنَّ مِنَ الْجَفَاءِ أَنْ تَبُولَ وَأَنْتَ قَائِمٌ ‏.‏

حدثنا علي بن حجر، اخبرنا شريك، عن المقدام بن شريح، عن ابيه، عن عاىشة، قالت من حدثكم ان النبي صلى الله عليه وسلم كان يبول قاىما فلا تصدقوه ما كان يبول الا قاعدا ‏.‏ قال وفي الباب عن عمر وبريدة وعبد الرحمن بن حسنة ‏.‏ قال ابو عيسى حديث عاىشة احسن شيء في هذا الباب واصح ‏.‏ وحديث عمر انما روي من حديث عبد الكريم بن ابي المخارق عن نافع عن ابن عمر عن عمر قال راني النبي صلى الله عليه وسلم وانا ابول قاىما فقال ‏ "‏ يا عمر لا تبل قاىما ‏"‏ ‏.‏ فما بلت قاىما بعد ‏.‏ قال ابو عيسى وانما رفع هذا الحديث عبد الكريم بن ابي المخارق وهو ضعيف عند اهل الحديث ضعفه ايوب السختياني وتكلم فيه ‏.‏ وروى عبيد الله عن نافع عن ابن عمر قال قال عمر رضى الله عنه ما بلت قاىما منذ اسلمت ‏.‏ وهذا اصح من حديث عبد الكريم وحديث بريدة في هذا غير محفوظ ‏.‏ ومعنى النهى عن البول قاىما على التاديب لا على التحريم ‏.‏ وقد روي عن عبد الله بن مسعود قال ان من الجفاء ان تبول وانت قاىم ‏.‏

(8) Chapter: (What Has Been Related About) The Prohibition Of Urinating While Standing


Aishah said:
"Whoever narrated to you that the Prophet would urinate while standing; then do not believe him. He would not urinate except while squatting." [He said:] There are narrations on this topic from Umar, Buraidah, [and Abdur-Rahman bin Hasanah]. (Hasan)


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
সুনান আত তিরমিজী (ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
১/ পবিত্রতা ( كتاب الطهارة عن رسول الله ﷺ)