পরিচ্ছেদঃ ২০১৬. আল্লাহ তা’আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম-(১১:৬১) আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রাসুলগনের প্রতি মিথ্যা আরোপ করেছে। (১৫ঃ ৮০) الْحِجْرُ সামুদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এই অর্থেই حِجْرٌ مَحْجُورٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারনেই হাতীমে কা’বাকে حِجْرٌ নামে অবহিত করা হয় তা যেন حَطِيمُ শব্দটি مَحْطُومٍ অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيلٍ শব্দটি مَقْتُولٍ অর্থে ব্যবহৃত। ঘোড়ীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩১৩৮। হুমায়দী (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি এবং তিনি যে লোক [সালিহ (আঃ) এর] উটনী যখম করেছিল তাঁর উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, উট্নীকে হত্যা করার জন্য এমন এক লোক (কিদার) তৈরি হয়েছিল যে তাঁর গোত্রের মধ্যে প্রবল ও শক্তিশালী ছিল, যেমন ছিল আবূ যাম’আ।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {وَإِلَى ثَمُودَ أَخَاهُمْ صَالِحًا} {كَذَّبَ أَصْحَابُ الْحِجْرِ} مَوْضِعُ ثَمُودَ، وَأَمَّا {حَرْثٌ حِجْرٌ} حَرَامٌ، وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهْوَ حِجْرٌ مَحْجُورٌ، وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ، وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنَ الأَرْضِ فَهْوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيمُ الْبَيْتِ حِجْرًا، كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ، مِثْلُ قَتِيلٍ مِنْ مَقْتُولٍ، وَيُقَالُ لِلأُنْثَى مِنَ الْخَيْلِ الْحِجْرُ. وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى. وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهْوَ مَنْزِلٌ
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَذَكَرَ الَّذِي عَقَرَ النَّاقَةَ قَالَ انْتَدَبَ لَهَا رَجُلٌ ذُو عِزٍّ وَمَنَعَةٍ فِي قَوْمِهِ كَأَبِي زَمْعَةَ
পরিচ্ছেদঃ পরিচ্ছেদ নাই
সুরা গাশিয়া
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ عَامِلَةٌ نَاصِبَةٌ النَّصَارَى وَقَالَ مُجَاهِدٌ عَيْنٍ آنِيَةٍ بَلَغَ إِنَاهَا وَحَانَ شُرْبُهَا حَمِيمٍ آنٍ بَلَغَ إِنَاهُ لَا تَسْمَعُ فِيهَا لَاغِيَةً شَتْمًا وَيُقَالُ الضَّرِيعُ نَبْتٌ يُقَالُ لَهُ الشِّبْرِقُ يُسَمِّيهِ أَهْلُ الْحِجَازِ الضَّرِيعَ إِذَا يَبِسَ وَهُوَ سُمٌّ بِمُسَيْطِرٍ بِمُسَلَّطٍ وَيُقْرَأُ بِالصَّادِ وَالسِّينِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ إِيَابَهُمْ مَرْجِعَهُمْ
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ (ক্লিষ্ট-ক্লান্ত) বলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বোঝানো হয়েছে। মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, عَيْنٍاٰنِيَةٍ টগবগে গরম পানিতে কানায় কানায় ভর্তি ঝরণাধারা। حَمِيْمٍاٰنٍ চরম ফুটন্ত পানি। لَا تَسْمَعُ فِيْهَا لَاغِيَةً সেখানে তারা গালি-গালাজ শুনবে না। الشِّبْرِقُএক প্রকার কাঁটাওয়ালা গুল্ম। (তা যখন সবুজ থাকে তখন) তাকে الضَّرِيْعَ বলা হয়, আর যখন শুকিয়ে যায়, তখন হিজাযবাসীরা একেই الضَّرِيْعُ বলে। এ এক প্রকার বিষাক্ত আগাছা। بِمُسَيْطِرٍ কর্মবিধায়ক। শব্দটি س ও ص উভয় বর্ণ দিয়েই পড়া হয়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, إِيَابَهُمْ তাদের প্রত্যাবর্তনের স্থান।
সুরা ফাজ্র
وَقَالَ مُجَاهِدٌ الْوَتْرُ اللَّهُ إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ يَعْنِي الْقَدِيمَةَ وَالْعِمَادُ أَهْلُ عَمُودٍ لَا يُقِيمُونَ سَوْطَ عَذَابٍ الَّذِي عُذِّبُوا بِهِ أَكْلًا لَمًّا السَّفُّ وَ جَمًّا الْكَثِيرُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ كُلُّ شَيْءٍ خَلَقَهُ فَهُوَ شَفْعٌ السَّمَاءُ شَفْعٌ وَالْوَتْرُ اللَّهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَقَالَ غَيْرُهُ سَوْطَ عَذَابٍ كَلِمَةٌ تَقُولُهَا الْعَرَبُ لِكُلِّ نَوْعٍ مِنْ الْعَذَابِ يَدْخُلُ فِيهِ السَّوْطُ لَبِالْمِرْصَادِ إِلَيْهِ الْمَصِيرُ تَحَاضُّونَ تُحَافِظُونَ وَتَحُضُّونَ تَأْمُرُونَ بِإِطْعَامِهِ الْمُطْمَئِنَّةُ الْمُصَدِّقَةُ بِالثَّوَابِ وَقَالَ الْحَسَنُ يَا أَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ إِذَا أَرَادَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ قَبْضَهَا اطْمَأَنَّتْ إِلَى اللَّهِ وَاطْمَأَنَّ اللَّهُ إِلَيْهَا وَرَضِيَتْ عَنْ اللَّهِ وَرَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا فَأَمَرَ بِقَبْضِ رُوحِهَا وَأَدْخَلَهَا اللَّهُ الْجَنَّةَ وَجَعَلَهُ مِنْ عِبَادِهِ الصَّالِحِينَ وَقَالَ غَيْرُهُ جَابُوا نَقَبُوا مِنْ جِيبَ الْقَمِيصُ قُطِعَ لَهُ جَيْبٌ يَجُوبُ الْفَلَاةَ يَقْطَعُهَا لَمًّا لَمَمْتُهُ أَجْمَعَ أَتَيْتُ عَلَى آخِرِهِ
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, الْوَتْرُ মানে বেজোড়। এর দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলাকে বোঝানো হয়েছে। إِرَمَذَاتِ الْعِمَادِ দ্বারা প্রাচীন এক জাতিকে বোঝানো হয়েছে। وَالْعِمَادُ খুঁটি ও স্তম্ভের মালিক, যারা স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না; তারা তাঁবু পেতে জীবন যাপন করে (যাযাবর)। سَوْطَ عَذَابٍ যাদেরকে তা দিয়ে শাস্তি প্রদান করা হবে। أَكْلًا لَّمًّا সম্পূর্ণরূপে ভক্ষণ করা। جَمًّا অতিশয়। মুহাজিদ (রহ.) বলেন, আল্লাহর সকল সৃষ্টিই হল জোড়ায় জোড়ায়। সুতরাং আসমানও জোড়া বাঁধা; وَالْوَتْرُ তবে একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই হলেন বেজোড়। মুজাহিদ (রহ.) ব্যতীত অন্য সকলেই বলেছেন, আরবরা যাবতীয় শাস্তির ব্যাপারে سَوْطَعَذَابٍ শব্দটি ব্যবাহর করে থাকে। যে কোন শাস্তি سَوْطَ عَذَابٍ এর অন্তর্ভুক্ত। لَبِالْمِرْصَادِ তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। تَحَاضُّوْنَ তোমরা হেফাজত করে থাক। تَحَآضُّوْنَ তোমরা খাদ্য দান করতে আদেশ করে থাক। الْمُطْمَئِنَّةُ সওয়াবকে সত্য বলে বিশ্বাসকারী। হাসান (রাঃ) বলেন, يٓٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ দ্বারা এমন আত্মাকে বোঝানো হয়েছে, যে আত্মাকে আল্লাহ্ মৃত্যুদানের ইচ্ছে করলে সে আল্লাহর প্রতি এবং আল্লাহ্ও তার প্রতি পুরোপুরি প্রশান্ত থাকেন। এরপর আল্লাহ্ তার রূহ কবয করার নির্দেশ দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে তাকে তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। হাসান (রহ.) ব্যতীত অন্যরা বলেছেন جَابُوْا তারা ছিদ্র করেছে; যে শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে جِيْبَ الْقَمِيْص থেকে। যার অর্থ হচ্ছে, জামার পকেট কাটা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়ে থাকে يَجُوْبُ الْفَلَاةَ সে মাঠ অতিক্রম করছে। لَمَّا لَمَمْتُهُ أَجْمَعَ বলা হলে এর অর্থ হবে- আমি এর শেষ প্রান্তে উপনীত হয়েছি।
সুরা বালাদ
وَقَالَ مُجَاهِدٌ وَأَنْتَ حِلٌّ بِهَذَا الْبَلَدِ بِمَكَّةَ لَيْسَ عَلَيْكَ مَا عَلَى النَّاسِ فِيهِ مِنْ الْإِثْمِ وَوَالِدٍ آدَمَ وَمَا وَلَدَ لُبَدًا كَثِيرًا وَ النَّجْدَيْنِ الْخَيْرُ وَالشَّرُّ مَسْغَبَةٍ مَجَاعَةٍ مَتْرَبَةٍ السَّاقِطُ فِي التُّرَابِ يُقَالُ فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ فَلَمْ يَقْتَحِمْ الْعَقَبَةَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ فَسَّرَ الْعَقَبَةَ فَقَالَ وَمَا أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ فَكُّ رَقَبَةٍ أَوْ إِطْعَامٌ فِي يَوْمٍ ذِي مَسْغَبَةٍ
মুজাহিদ (রহঃ) বলেন, بِهٰذَا الْبَلَدِ দ্বারা মক্কা্কে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ একানে যুদ্ধ কররে অন্য মানুষের উপর যে গুনাহ হবে, তোমার তা হবে না। وَوَالِدٍ আদম (আঃ)। وَمَا وَلَدَ যা সে জন্ম দেয়, لِبَدًا প্রচুর। وَ النَّجْدَيْنِ ভাল-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ। مَسْغَبَةٍ ক্ষুধা। مَتْرَبَةٍ ধূলি লুন্ঠিত। বলা হয় فَلَااقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ সে দুনিয়ায় দুর্গম গিরিপথে চলাচল করেনি। এরপর আল্লাহর তা’আলা এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইরশাদ করেছেন, তুমি কি জান দুর্গম গিরিপথ কী? তা হচ্ছে দাস মুক্ত করা, অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে আহার্য দান।
সুরা শামস
وَقَالَ مُجَاهِدٌ بِطَغْوَاهَا بِمَعَاصِيهَا وَلَا يَخَافُ عُقْبَاهَا عُقْبَى أَحَدٍ
মুহাজিদ (রহঃ) বলেন, بِطَغْوَاهَا অবাধ্যতা বা নাফরমানীর কারণে। وَلَايَخَافُ عُقْبَاهَا কারো পরিণামের জন্য আল্লাহ্ আশংকা করবার কিছু নেই।
৪৫৮২। মূসা ইবনু ইসমাঈল (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে খুতবা দিতে শুনেছেন, যেখানে তিনি সামূদ গোত্রের কাছে প্রেরিত উটনী ও তার পা কাটার কথা বললেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا এর ব্যাখ্যায় বললেন, ঐ উটনীটিকে হত্যা করার জন্য এক হতভাগা শক্তিশালী ব্যাক্তি তৎপর হয়ে উঠলো যে সে সমাজের মধ্যে আবূ যাম’আতের মত প্রভাবশালী ও অত্যন্ত শক্তিধর ছিল। এই খুতবায় তিনি মেয়েদের সম্পর্কেও আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের মত মারে, কিন্তু ঐ দিন শেষেই সে আবার তার সাথে একই বিছানায় মিলিত হয়। এরপর তিনি বায়ু নিঃসরণের পর হাসি দেয়া সম্পর্কে বললেন, তোমাদের কেউ কেউ হাসে সে কাজটির উপর যে কাজটি সেও করে।
(অন্য সনদে) আবু মুয়াবিয়া (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবন আবু যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুবায়র ইবন আওআমের চাচা আবূ যাম’আর মত।
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَمْعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " (إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزِيزٌ عَارِمٌ، مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ، مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ ". وَذَكَرَ النِّسَاءَ فَقَالَ " يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ يَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ، فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ ". ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ وَقَالَ " لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ ". وَقَالَ أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ عَمِّ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ ".
Narrated `Abdullah bin Zama:
That he heard the Prophet (ﷺ) delivering a sermon, and he mentioned the shecamel and the one who hamstrung it. Allah's Messenger (ﷺ) recited:-- 'When, the most wicked man among them went forth (to hamstrung the she-camel).' (91.12.) Then he said, "A tough man whose equal was rare and who enjoyed the protection of his people, like Abi Zama went forth to (hamstrung) it." The Prophet (ﷺ) then mentioned about the women (in his sermon). "It is not wise for anyone of you to lash his wife like a slave, for he might sleep with her the same evening." Then he advised them not to laugh when somebody breaks wind and said, "Why should anybody laugh at what he himself does?"
পরিচ্ছেদঃ ২৫১৭. স্ত্রীদের প্রহার করা নিন্দনীয় কাজ এবং আল্লাহ্ তা’আলা বলেনঃ (প্রয়োজনে) তাদেরকে মৃদু প্রহার কর
৪৮২৯। মুহাম্মাদ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কেউ নিজ স্ত্রীদেরকে গোলামের মতো প্রহার করো না। কেননা, দিনের শেষে তার সাথে তো মিলিত হবে।
باب مَا يُكْرَهُ مِنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ وَقَوْلِهِ {وَاضْرِبُوهُنَّ} ضَرْبًا غَيْرَ مُبَرِّحٍ.
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ، ثُمَّ يُجَامِعُهَا فِي آخِرِ الْيَوْمِ ".
Narrated `Abdullah bin Zam`a:
The Prophet (ﷺ) said, "None of you should flog his wife as he flogs a slave and then have sexual intercourse with her in the last part of the day."
পরিচ্ছেদঃ ২৪৭৫. আল্লাহ তা'আলার বানীঃ হে ঈমানদারগণ! তোমরা একদল অপর দলের প্রতি উপহাস করবে না। সম্ভবতঃ উপহাস্য দল, উপহাসকারীদের চেয়ে উত্তম হতে পারে ...... আর তারাই যালিম।
৫৬১৬। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যামআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের বায়ু নির্গমনে কাউকে হাসতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কেন তার স্ত্রীকে ষাড়কে পিটানোর মত প্রহার করবে? পরে হয়ত, সে আবার তার সাথে গলাগালিও করবে। সাওরী ওহায়ব আবূ মুআবিয়া (রহঃ) হিশাম (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ’ষাড় পিটানোর স্থলে’ ’দাসকে বেত্রাঘাত করার মত’।
بَابُ قَوْلِ اللَّهِ تَعَالَى: {يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا لاَ يَسْخَرْ قَوْمٌ مِنْ قَوْمٍ عَسَى أَنْ يَكُونُوا خَيْرًا مِنْهُمْ} إِلَى قَوْلِهِ: {فَأُولَئِكَ هُمُ الظَّالِمُونَ}
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَضْحَكَ الرَّجُلُ مِمَّا يَخْرُجُ مِنَ الأَنْفُسِ وَقَالَ " بِمَ يَضْرِبُ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ ضَرْبَ الْفَحْلِ، ثُمَّ لَعَلَّهُ يُعَانِقُهَا ". وَقَالَ الثَّوْرِيُّ وَوُهَيْبٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامٍ " جَلْدَ الْعَبْدِ ".
Narrated `Abdullah bin Zam`a:
The Prophet (ﷺ) forbade laughing at a person who passes wind, and said, "How does anyone of you beat his wife as he beats the stallion camel and then he may embrace (sleep with) her?" And Hisham said, "As he beats his slave"
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দুর্দান্ত প্রতাপশালীরা জাহান্নামে এবং দুর্বলেরা জান্নাতে যাবে
৬৯২৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) ... আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুৎবা দানকালে সালেহ (আলাইহিস সালাম) এর উষ্ট্রী সম্পর্কে এবং যে ব্যক্তি তার পা কেটেছিল তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন। তিনি বললেনঃ যখন ঐ উষ্ট্রীকে হত্যা করার জন্য তাদের কাওমের সবচেয়ে দুর্ভাগা লোকটি উদ্যত হয়েছিল, তখন এ কাজের জন্য উঠেছিল ঐ কাওমের সবচে শক্তিশালী, নিষ্ঠুর, বিদ্রোহী ও দূর্ভাগা লোকটি। সে ছিল এ যুগের আবূ যামআর মত ব্যক্তি। এ খুতবায় তিনি মহিলাদের সম্পর্কেও আলোচনা করলেন এবং তাদেরকে উপদেশ প্রদান করলেন। তিনি বললেনঃ তোমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে তার স্ত্রীকে মারপিট করে। আবূ বকরের বর্ণনায় আছে, ক্রীতদাসীর মত মারপিট করে। কিন্তু আবার ঐ দিন শেষে রাতের বেলা তার সাথে মিলিত হয়। তারপর তিনি বায়ু নিঃসরণের কারণে হাসি দেয়া সম্পর্কে ওয়ায করলেন এবং বললেনঃ এমন কাজের ব্যাপারে তোমরা কেন হাসবে যা নিজেও করবে।
باب النَّارُ يَدْخُلُهَا الْجَبَّارُونَ وَالْجَنَّةُ يَدْخُلُهَا الضُّعَفَاءُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ، عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ النَّاقَةَ وَذَكَرَ الَّذِي عَقَرَهَا فَقَالَ " إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا انْبَعَثَ بِهَا رَجُلٌ عَزِيزٌ عَارِمٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ " . ثُمَّ ذَكَرَ النِّسَاءَ فَوَعَظَ فِيهِنَّ ثُمَّ قَالَ " إِلاَمَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ " . فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ " جَلْدَ الأَمَةِ " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ " جَلْدَ الْعَبْدِ وَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ " . ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ فَقَالَ " إِلاَمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ " .
'Abdullah b. Zam'a reported that Allah's Messenger (ﷺ) delivered an address and he made a mention of the dromedary and also made a mention of one (base person) who cut off Its hind legs, and he recited:
" When the basest of them broke forth with mischief" (xei. 12). When A mischievous person, strong even because of the strength of a family like Abu Zam'a, broke forth. He then delivered instruction in regard to the women saying: There is amongst you who beats his woman, and in the narration on the authority of Abu Bakr, the words are: He flogs her like a slave-girl. And in the narration of Abu Kuraib (the words are): He flogs like a slave and then comforts his bed with the help of that at the end of the day, and he then advised in regard to laughing of people at the breaking of wind and said: One of you laughs at that which you yourself do.
পরিচ্ছেদঃ ৩৪: স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার করার অসিয়ত
২/২৭৯। আব্দুল্লাহ ইবনু যামআহ রাদিয়াল্লাহু ’আনহু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুৎবাহ দিতে শুনলেন। তিনি (খুৎবার মাধ্যমে) (সালেহ নবীর) উটনী এবং ঐ ব্যক্তির কথা আলোচনা করলেন, যে ঐ উঁটনীটিকে কেটে ফেলেছিল। অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’যখন তাদের মধ্যকার সর্বাধিক হতভাগ্য ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল। (সূরা শাম্স ১২ আয়াত) (অর্থাৎ) উঁটনীটিকে মেরে ফেলার জন্য নিজ বংশের মধ্যে এক দুরন্ত চরিত্রহীন প্রভাবশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠেছিল।’’
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মহিলাদের কথা আলোচনা করলেন এবং তাদের ব্যাপারে উপদেশ প্রদান করলেন। তিনি বললেন, ’’তোমাদের কেউ কেউ তার স্ত্রীকে দাসদের মত প্রহার করে। অতঃপর সম্ভবত দিনের শেষে তার সাথে সঙ্গমে লিপ্ত হয়। (এরূপ উচিত নয়।)’’ পুনরায় তিনি তাদেরকে বাতকর্মের (বায়ু নির্গত) ব্যাপারে হাসতে নিষেধ করলেন এবং বললেন, ’’তোমাদের কেউ এমন কাজে কেন হাসে, যে কাজ সে নিজেও করে?’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]
بَابُ الوَصِيَّةِ بِالنِّسَاءِ - (34)
وعن عبد اللَّه بن زَمْعَةَ رضي اللَّهُ عنه ، أَنه سمعَ النبيَّ صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم يخْطُبُ ، وذآَر النَّاقَةَوالَّذِى عقَرهَا ، فقال رسول اللَّه صَلّى االلهُ عَلَيْهِ وسَلَّم : » إِذِ انْبعث أَشْقَاهَا « انْبعثَ لَها رَجُلٌ عزِيز،ٌ عارِمٌمنِيعٌ في رهْطِهِ « ثُمَّ ذآَرَ النِّساءَ ، فَوعظَ فِيهنَّ ، فَقالَ : » يعْمِدُ أَحَدآُمْ فيجْلِدُ امْرأَتَهُ جلْد الْعَبْدِ فلَعلَّهُيُضاجعُهَا مِنْ آخِر يومِهِ « ثُمَّ وَعَظهُمْ في ضحكهِمْ مِن الضَّرْطَةِ وقال : »لِمَ يضحكُ أَحَدَآُمْ مِمَّا يفعلُ ؟ «متفق عليه .«وَالْعارِمُ « بالعين المهملة والراءِ : هُو الشِّرِّيرُ المُفْسِد ، وقولُه : » انبعثَ «، أَيْ : قَامَ بسرعة .
(34) Chapter: Recommendations with regard to Women
'Abdullah bin Zam'ah (May Allah be pleased with him) reported that he heard the Prophet (ﷺ) giving a speech when he mentioned the she- camel (of Prophet Salih) and the man who had killed her. Messenger of Allah (ﷺ) said:
"When the most wicked man among them went forth (to kill the she-camel).' (91:12) signifies that a distinguished, wicked and most powerful chief of the people jumped up to kill the she- camel." Then he (ﷺ) made mention of women and said, "Some of you beat your wives as if they were slaves, and then lie with them at the end of the day".
Then he (ﷺ) admonished them against laughing at another's passing of wind, saying, "Why does any of you laugh at another doing what he does himself"
[Al-Bukhari and Muslim].
Commentary: Although Islam has permitted man, in inevitable circumstances, to rebuke his wife, it has also
suggested a very wise course for it. It has suggested that first of all he should advise and preach her, and if she does not mend her ways by these means, then he should stop sleeping with her, which is a great warning for the sensible wife. If she does not improve even by this method, then he may take recourse to slight beating, but in that he must avoid her head and face. He should take recourse to beating if he thinks that it would work, otherwise it is better to avoid it. But surprisingly enough some start the process of reformation with beating and that too with great ruthlessness which has not been permitted by Islam in any case. It is this aspect which the Prophet (PBUH) has highlighted in this Hadith. He has contended that when the wife is indispensable for man and it is very difficult for him to pass night without her then why should he beat her like a slave or bondmaid? He should try to understand that she, too, has feelings and her position is like one of the two wheels of the cart of life. If at all it comes to beating her then he must keep her true status in view before taking recourse to it. He should never loose sight of her importance in conjugal life.
পরিচ্ছেদঃ ১২. আবূ বকর (রা)-এর খিলাফতের দলীল।
৪৫৮৮. আবদুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (রহঃ) .... আবদুল্লাহ ইবন যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ-যন্ত্রণা যখন তীব্র আকার ধারণ করে, তখন অন্যান্য মুসলিমদের সাথে আমিও তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। সে সময় বিলাল (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সালাতের জন্য ডাকতে আসলে, তিনি বলেনঃ কোন এক ব্যক্তিকে বল, সে যেন লোকদের (ইমাম হয়ে) নামায পড়িয়ে দেয়। আবদুল্লাহ্ ইবন যাম’আ (রাঃ) বেরিয়ে উমার (রাঃ)-কে লোকদের মাঝে দেখতে পান; আর আবূ বকর (রাঃ) অনুপস্থিত ছিলেন। তখন আমি বলিঃ হে উমার! আপনি উঠুন এবং লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করুন। তখন উমার (রাঃ) সামনে গিয়ে উচ্চ স্বরে তাকবীর পাঠ করে নামায শুরু করলে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা শুনে বলেনঃ আবূ বকর কোথায়? আল্লাহ্ তা’আলা এটা (উমরের ইমামতি) অপছন্দ করেন এবং মুসলিমরাও তা অপছন্দ করে। তিনি আবূ বকর (রাঃ)-কে ডেকে পাঠান এবং তিনি সেখানে তখন উপস্থিত হন, যখন উমার (রাঃ) লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করে ফেলেন। এরপর (আবূ বকর) লোকদের নিয়ে সে সালাত পুনরায় আদায় করেন।
باب فِي اسْتِخْلاَفِ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ لَمَّا اسْتُعِزَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم وَأَنَا عِنْدَهُ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ دَعَاهُ بِلاَلٌ إِلَى الصَّلاَةِ فَقَالَ مُرُوا مَنْ يُصَلِّي لِلنَّاسِ . فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَمَعَةَ فَإِذَا عُمَرُ فِي النَّاسِ وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ غَائِبًا فَقُلْتُ يَا عُمَرُ قُمْ فَصَلِّ بِالنَّاسِ فَتَقَدَّمَ فَكَبَّرَ فَلَمَّا سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم صَوْتَهُ وَكَانَ عُمَرُ رَجُلاً مُجْهِرًا قَالَ " فَأَيْنَ أَبُو بَكْرٍ يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ " . فَبَعَثَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَجَاءَ بَعْدَ أَنْ صَلَّى عُمَرُ تِلْكَ الصَّلاَةَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ .
Narrated Abdullah ibn Zam'ah:
When the illness of the Messenger of Allah (ﷺ) became serious while I was with him among a group of people, Bilal called him for prayer. He said: Ask someone to lead the people in prayer. So Abdullah ibn Zam'ah went out and found that Umar was present among the people and AbuBakr was not there. I said: Umar, get up and lead the people in prayer. So he came forward and uttered "Allah is Most Great". When the Messenger of Allah (ﷺ) heard his voice, as Umar had a loud voice, he said: Where is AbuBakr? Allah does not allow that, and the Muslims too; Allah does not allow that, and the Muslims too. So he sent for AbuBakr. He came after Umar had led the people in that prayer. He then led the people in prayer.
পরিচ্ছেদঃ ১২. আবূ বকর (রা)-এর খিলাফতের দলীল।
৪৫৮৯. আহমদ ইবন সালিহ (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ্ ইবন যাম’আ (রাঃ) এ হাদীছ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেনঃ যখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উমার (রাঃ) এর কণ্ঠস্বর শ্রবণ করেন, তখন তিনি বাইরে চলে আসেন, এমন কি তিনি তাঁর মাথা হুজরার বাইরে এনে বলেনঃ না, না, না! আবূ কুহাফার ছেলের উচিত লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করা। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাগাম্বিত হয়ে এরূপ উক্তি করেন।
باب فِي اسْتِخْلاَفِ أَبِي بَكْرٍ رضى الله عنه
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ صَالِحٍ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي فُدَيْكٍ، قَالَ حَدَّثَنِي مُوسَى بْنُ يَعْقُوبَ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عُتْبَةَ، أَنَّ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ زَمْعَةَ، أَخْبَرَهُ بِهَذَا الْخَبَرِ، قَالَ لَمَّا سَمِعَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم صَوْتَ عُمَرَ قَالَ ابْنُ زَمَعَةَ خَرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم حَتَّى أَطْلَعَ رَأْسَهُ مِنْ حُجْرَتِهِ ثُمَّ قَالَ " لاَ لاَ لاَ لِيُصَلِّ لِلنَّاسِ ابْنُ أَبِي قُحَافَةَ " . يَقُولُ ذَلِكَ مُغْضَبًا .
The tradition mentioned above has also been transmitted by ‘Abd Allah b. Zam’ah through a different chain. He said:
When the Prophet (May peace be upon him) heard ‘Umar’s voice, Ibn Zam’ah said: The Prophet (May peace be upon him) came out until he took out his head of his apartment. He then said : No, no, no; the son of Abu Quhafah should lead the people in prayer. He said it angrily.
পরিচ্ছেদঃ ৯/৫১. স্ত্রীদের প্রহার করা নিকৃষ্ট কাজ।
১/১৯৮৩। ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যাম’আ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ভাষণ দিলেন, অতঃপর মহিলাদের উল্লেখ করে তাদের ব্যাপারে লোকজনকে উপদেশ দিলেন। তিনি বলেনঃ তোমাদের কেউ কেন তার স্ত্রীকে দাসীর মত বেত্রাঘাত করে? অথচ দিনের শেষেই সে আবার তার শয্যাসঙ্গী হয়!
তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।
بَاب ضَرْبِ النِّسَاءِ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ نُمَيْرٍ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ خَطَبَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ ذَكَرَ النِّسَاءَ فَوَعَظَهُمْ فِيهِنَّ ثُمَّ قَالَ إِلَامَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمْ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْأَمَةِ وَلَعَلَّهُ أَنْ يُضَاجِعَهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ
It was narrated that 'Abduleh bin Zam'ah said:
'The Prophet delivered a sermon then he made mention of women, and exhorted (the men) concerning them. Then he said: 'How long will one of you whip his wife like a slave, then lie with her at the end of the day?'
পরিচ্ছেদঃ সূরা ওয়াশ-শামসি ওয়া যুহাহা
৩৩৪৩. হারুন ইবন ইসহাক হামদানী (রহঃ) ..... আবদুল্লাহ ইবন যাম’আ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেনঃ আমি একদিন [সালিহ (আঃ) এর] উষ্ট্রী এবং এর হত্যাকারী সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আলোচনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ (إذ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا) যখন (উষ্ট্রীকে বধ করার জন্য) সবচেয়ে হতভাগ্য লোকটি উঠল (সূরা আশ-শামস ৯১ঃ ১২) কঠিন হৃদয় কঠোর এবং আবু যামআর মত স্বীয় গোষ্ঠীর মাঝে প্রতিপত্তিশালী এক ব্যক্তি এর জন্য তৎপর হয়ে উঠে দাঁড়ায়। এরপর তাকে আমি মহিলাদের প্রতি সদ্ব্যবহার প্রসঙ্গে আলোচনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কেউ এ কি ধরণের আচরণে উদ্যত হয়? গোলামের মত স্ত্রীদের মারতে শুরু করে দেয় অথচ এই দিনের শেষ ভাগেই হয়ত সে তার সাথে সঙ্গত হবে। আবদুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেনঃ এরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কারো বাৎকর্মের দরুন হাসার বিষয়ে তাদের নসীহত করলেন। বললেনঃ কি বিষয়ে তোমাদের লোকেরা হাসে! অথচ নেজেই তো এটা করে।
সহীহ, ইবনু মাজাহ ১৯৮৩, বুখারি ও মুসলিম, তিরমিজী হাদিস নম্বরঃ ৩৩৪৩ [আল মাদানী প্রকাশনী]
(আবু ঈসা বলেন) হাদীসটি হাসান- সহীহ।
بَاب وَمِنْ سُورَةِ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا يَذْكُرُ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَهَا فَقَالَ "ِ : (إذ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا ) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَارِمٌ عَزِيزٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ " . ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَذْكُرُ النِّسَاءَ فَقَالَ " إِلاَمَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ وَلَعَلَّهُ أَنْ يُضَاجِعَهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ " . قَالَ ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ فَقَالَ " إِلاَمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abdullah bin Zam’ah said:
“One day, I heard the Prophet while he was mentioning the she-camel and the one who killed her. He said: ‘When their most wicked went forth.’ A strong and mighty man who was invincible among his tribe, like Zam’ah, went forth for her.’ Then I heard him mentioning the women, so he said: ‘One of you should not lash his wife as a slave is lashed, for perhaps he will lay with her at the end of the day.’” He said: “Then he advised against laughing when passing gas, he said: ‘One of you should not laugh at what he himself does.’”
পরিচ্ছেদঃ ৬০/১৭. আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ আর সামূদ জাতির প্রতি তাদেরই ভাই সালিহকে পাঠিয়েছিলাম- (হূদঃ ৬১)। আল্লাহ আরো বলেন, হিজরবাসীরা রসূলগণের প্রতি মিথ্যারোপ করেছিলো- (হিজরঃ ৮০)।
الْحِجْرُ مَوْضِعُ ثَمُوْدَ وَأَمَّا حَرْثٌ حِجْرٌ حَرَامٌ وَكُلُّ مَمْنُوعٍ فَهُوَ حِجْرٌ مَحْجُوْرٌ وَالْحِجْرُ كُلُّ بِنَاءٍ بَنَيْتَهُ وَمَا حَجَرْتَ عَلَيْهِ مِنْ الأَرْضِ فَهُوَ حِجْرٌ وَمِنْهُ سُمِّيَ حَطِيْمُ الْبَيْتِ حِجْرًا كَأَنَّهُ مُشْتَقٌّ مِنْ مَحْطُومٍ مِثْلُ قَتِيْلٍ مِنْ مَقْتُوْلٍ وَيُقَالُ لِلْأُنْثَى مِنْ الْخَيْلِ الْحِجْرُ وَيُقَالُ لِلْعَقْلِ حِجْرٌ وَحِجًى وَأَمَّا حَجْرُ الْيَمَامَةِ فَهُوَ مَنْزِلٌ
الْحِجْرُ হিজর সামূদ সম্প্রদায়ের বসবাসের স্থান। حَرْثٌ حِجْرٌ অর্থ নিষিদ্ধ ক্ষেত। প্রত্যেক নিষিদ্ধ বস্তুকে حِجْرٌ বলা হয়। আর এ অর্থেই مَحْجُوْرٌ বলা হয়ে থাকে। الْحِجْرُ তুমি যে সব ভবন নির্মাণ কর। তুমি যমীনের যে অংশ ঘেরাও করে রাখ তাও حِجْرٌ। এ কারণেই হাতীমে কা‘বাকে حِجْرٌ নামে অভিহিত করা হয়। তা যেন حَطِيْمُ শব্দটি مَحْطُوم অর্থে ব্যবহৃত যেমন قَتِيْلٍ শব্দটি مَقْتُوْل অর্থে ব্যবহৃত। ঘোটকীকেও حِجْرٌ বলা হয়। আর বুদ্ধি-বিবেকের অর্থে حِجْرٌ وَحِجًى বলা হয়। তবে حَجْرُ الْيَمَامَةِ একটি স্থানের নাম।
৩৩৭৭. ‘আবদুল্লাহ ইবনু যাম‘আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে শুনেছি এবং তিনি যে লোক [সালিহ (আঃ)-এর] উটনী কেটেছিলেন তার উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, উটনীকে হত্যা করার জন্য এমন এক লোক (কিদার) তৈরী হয়েছিল যে তার গোত্রের ভিতর প্রভাবশালী ও শক্তিশালী ছিল, যেমন ছিল আবূ যাম‘আহ। (৪৯৪২, ৫২০৪, ৬০৪২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩১২৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩১৩৫)
بَابُ قَوْلِ اللهِ تَعَالَى وَإِلٰى ثَمُوْدَ أَخٰهُمْ صٰلِحًا (الأعراف : 73) كَذَّبَ أَصْحٰبُ الْحِجْرِ (الحجر :80)
حَدَّثَنَا الْحُمَيْدِيُّ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم وَذَكَرَ الَّذِيْ عَقَرَ النَّاقَةَ قَالَ انْتَدَبَ لَهَا رَجُلٌ ذُوْ عِزٍّ وَمَنَعَةٍ فِيْ قَوْمِهِ كَأَبِيْ زَمْعَةَ
Narrated `Abdullah bin Zam`a:
I heard the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) while referring to the person who had cut the legs of the she-camel (of the Prophet (sallallahu ‘alaihi wa sallam) Salih), saying, "The man who was appointed for doing this job, was a man of honor and power in his nation like Abu Zam`a."
পরিচ্ছেদঃ ৬৫/৯১/১. পরিচ্ছেদ নাই।
(88) سُوْرَةُ هَلْ أَتَاكَ حَدِيْثُ الْغَاشِيَةِ
সূরাহ (৮৮) : হাল ’আত্বা-কা হাদীসুল গাশিয়াহ (আল-গাশিয়াহ)
وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ) النَّصَارَى وَقَالَ مُجَاهِدٌ (عَيْنٍ اٰنِيَةٍ)بَلَغَ إِنَاهَا وَحَانَ شُرْبُهَا (حَمِيْمٍ اٰنٍ) بَلَغَ إِنَاهُ (لَا تَسْمَعُ فِيْهَا لَاغِيَةً) شَتْمًا وَيُقَالُ (الضَّرِيْعُ) نَبْتٌ يُقَالُ لَهُ الشِّبْرِقُ يُسَمِّيْهِ أَهْلُ الْحِجَازِ الضَّرِيْعَ إِذَا يَبِسَ وَهُوَ سُمٌّ (بِمُسَيْطِرٍ) بِمُسَلَّطٍ وَيُقْرَأُ بِالصَّادِ وَالسِّيْنِ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ (إِيَابَهُمْ) مَرْجِعَهُمْ.
ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, عَامِلَةٌ نَّاصِبَةٌ (ক্লিষ্ট-ক্লান্ত) বলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে বোঝানো হয়েছে। মুজাহিদ (রহ.) বলেন, عَيْنٍاٰنِيَةٍ টগবগে গরম পানিতে কানায় কানায় ভর্তি ঝরণাধারা। حَمِيْمٍاٰنٍ চরম ফুটন্ত পানি। لَا تَسْمَعُ فِيْهَا لَاغِيَةً সেখানে তারা গালি-গালাজ শুনবে না। الشِّبْرِقُএক প্রকার কাঁটাওয়ালা গুল্ম। (তা যখন সবুজ থাকে তখন) তাকে الضَّرِيْعَবলা হয়, আর যখন শুকিয়ে যায়, তখন হিজাযবাসীরা একেই الضَّرِيْعُ বলে। এ এক প্রকার বিষাক্ত আগাছা। بِمُسَيْطِرٍ কর্মবিধায়ক। শব্দটি س ও ص উভয় বর্ণ দিয়েই পড়া হয়। ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) বলেন, إِيَابَهُمْ তাদের ফিরে আসার জায়গা।
(89) سُوْرَةُ وَالْفَجْرِ
সূরাহ (৮৯) আল-ফাজর
وَقَالَ مُجَاهِدٌ (الْوَتْرُ) اللهُ (إِرَمَ ذَاتِ الْعِمَادِ) يَعْنِي الْقَدِيْمَةَ وَالْعِمَادُ أَهْلُ عَمُوْدٍ لَا يُقِيْمُوْنَ (سَوْطَعَذَابٍ) الَّذِيْ عُذِّبُوْا بِهِ (أَكْلًا لَّمًّا) السَّفُّ وَ(جَمًّا) الْكَثِيْرُ وَقَالَ مُجَاهِدٌ كُلُّ شَيْءٍ خَلَقَهُ فَهُوَ شَفْعٌ السَّمَاءُ شَفْعٌ (وَالْوَتْرُ) اللهُ تَبَارَكَ وَتَعَالَى وَقَالَ غَيْرُهُ (سَوْطَ عَذَابٍ) كَلِمَةٌ تَقُوْلُهَا الْعَرَبُ لِكُلِّ نَوْعٍ مِنَ الْعَذَابِ يَدْخُلُ فِيْهِ السَّوْطُ (لَبِالْمِرْصَادِ) إِلَيْهِ الْمَصِيْرُ (تَحَآضُّوْنَ) تُحَافِظُوْنَ وَتَحُضُّوْنَ تَأْمُرُوْنَ بِإِطْعَامِهِ (الْمُطْمَئِنَّةُ) الْمُصَدِّقَةُ بِالثَّوَابِ وَقَالَ الْحَسَنُ (يٰٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ) إِذَا أَرَادَ اللهُ عَزَّ وَجَلَّ قَبْضَهَا اطْمَأَنَّتْ إِلَى اللهِ وَاطْمَأَنَّ اللهُ إِلَيْهَا وَرَضِيَتْ عَنْ اللهِ وَرَضِيَ اللهُ عَنْهَا فَأَمَرَ بِقَبْضِ رُوْحِهَا وَأَدْخَلَهَا اللهُ الْجَنَّةَ وَجَعَلَهُ مِنْ عِبَادِهِ الصَّالِحِيْنَ وَقَالَ غَيْرُهُ (جَابُوْا) نَقَبُوْا مِنْ جِيْبَ الْقَمِيْصُ قُطِعَ لَهُ جَيْبٌ يَجُوْبُ الْفَلَاةَ يَقْطَعُهَا (لَمًّا) لَمَمْتُهُ أَجْمَعَ أَتَيْتُ عَلَى آخِرِهِ.
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, الْوَتْرُ মানে বেজোড়। এর দ্বারা আল্লাহ্ তা’আলাকে বোঝানো হয়েছে। إِرَمَذَاتِ الْعِمَادِ দ্বারা প্রাচীন এক জাতিকে বোঝানো হয়েছে। وَالْعِمَادُ খুঁটি ও স্তম্ভের মালিক, যারা স্থায়ীভাবে কোথাও বসবাস করে না; তারা তাঁবু পেতে জীবন যাপন করে (যাযাবর)। سَوْطَ عَذَابٍ যাদেরকে তা দিয়ে শাস্তি প্রদান করা হবে। أَكْلًا لَّمًّا সম্পূর্ণরূপে ভক্ষণ করা। جَمًّا অতিশয়। মুহাজিদ (রহ.) বলেন, আল্লাহর সকল সৃষ্টিই হল জোড়ায় জোড়ায়। সুতরাং আসমানও জোড়া বাঁধা; وَالْوَتْرُ তবে একমাত্র আল্লাহ্ তা’আলাই হলেন বেজোড়। মুজাহিদ (রহ.) ব্যতীত অন্য সকলেই বলেছেন, আরবরা যাবতীয় শাস্তির ব্যাপারে سَوْطَعَذَابٍ শব্দটি ব্যবাহর করে থাকে। যে কোন শাস্তি سَوْطَ عَذَابٍ এর অন্তর্ভুক্ত। لَبِالْمِرْصَادِ তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে। تَحَاضُّوْنَ তোমরা হেফাজত করে থাক। تَحَآضُّوْنَ তোমরা খাদ্য দান করতে আদেশ করে থাক। الْمُطْمَئِنَّةُ সওয়াবকে সত্য বলে বিশ্বাসকারী। হাসান (রাঃ) বলেন, يٓٓأَيَّتُهَا النَّفْسُ الْمُطْمَئِنَّةُ দ্বারা এমন আত্মাকে বোঝানো হয়েছে, যে আত্মাকে আল্লাহ্ মৃত্যুদানের ইচ্ছে করলে সে আল্লাহর প্রতি এবং আল্লাহ্ও তার প্রতি পুরোপুরি প্রশান্ত থাকেন। এরপর আল্লাহ্ তার রূহ কবয করার নির্দেশ দেন এবং জান্নাতে প্রবেশ করিয়ে তাকে তাঁর সৎকর্মশীল বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত করেন। হাসান (রহ.) ব্যতীত অন্যরা বলেছেন جَابُوْا তারা ছিদ্র করেছে; যে শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে جِيْبَ الْقَمِيْص থেকে। যার অর্থ হচ্ছে, জামার পকেট কাটা হয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ বলা হয়ে থাকে يَجُوْبُ الْفَلَاةَ সে মাঠ অতিক্রম করছে। لَمَّا لَمَمْتُهُ أَجْمَعَ বলা হলে এর অর্থ হবে- আমি এর শেষ প্রান্তে চলে এসেছি।
(90) سُوْرَةُ لَا أُقْسِمُ
সূরাহ (৯০) : লা- উক্বসিমু (আল-বালাদ)
وَقَالَ مُجَاهِدٌ وَأَنْتَ حِلٌّ (بِهٰذَا الْبَلَدِ) بِمَكَّةَ لَيْسَ عَلَيْكَ مَا عَلَى النَّاسِ فِيْهِ مِنْ الإِثْمِ (وَوَالِدٍ) آدَمَ (وَمَا وَلَدَ)(لِبَدًا) كَثِيْرًا (وَالنَّجْدَيْنِ) الْخَيْرُ وَالشَّرُّ (مَسْغَبَةٍ) مَجَاعَةٍ (مَتْرَبَةٍ) السَّاقِطُ فِي التُّرَابِ يُقَالُ (فَلَا اقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ) فَلَمْ يَقْتَحِمْ الْعَقَبَةَ فِي الدُّنْيَا ثُمَّ فَسَّرَ الْعَقَبَةَ فَقَالَ (وَمَآ أَدْرَاكَ مَا الْعَقَبَةُ فَكُّ رَقَبَةٍ أَوْ إِطْعَامٌ فِيْ يَوْمٍ ذِيْ مَسْغَبَةٍ)(فيكَبَدٍ) شِدَّة.
মুজাহিদ (রহ.) বলেন, بِهٰذَا الْبَلَدِ দ্বারা মক্কা্কে বোঝানো হয়েছে। অর্থাৎ একানে যুদ্ধ কররে অন্য মানুষের উপর যে গুনাহ হবে, তোমার তা হবে না। وَوَالِدٍ আদম (আঃ)। وَمَا وَلَدَ যাসে জন্ম দেয়, لِبَدًا প্রচুর। وَ النَّجْدَيْنِ ভাল-মন্দ, কল্যাণ-অকল্যাণ। مَسْغَبَةٍ ক্ষুধা। مَتْرَبَةٍ ধূলি লুন্ঠিত। বলা হয় فَلَااقْتَحَمَ الْعَقَبَةَ সে দুনিয়ায় দুর্গম গিরিপথে চলাচল করেনি। এরপর আল্লাহর তা’আলা এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে ইরশাদ করেছেন, তুমি কি জান দুর্গম গিরিপথ কী? তা হচ্ছে দাস মুক্ত করা, অথবা দুর্ভিক্ষের দিনে আহার্য দান।
(91) سُوْرَةُ وَالشَّمْسِ وَضُحَاهَا
সূরাহ (৯১) : ওয়াশশামসি ওয়াযুহা-হা (আশ্-শাম্স)
وَقَالَ مُجَاهِدٌ : (ضُحَاهَا) ضَوْءَها (إذَاتَلَاهَا) تَبِعَها. وَ(طَحَاهَا) دَحَاها (دَسَّاهَا) أغْوَاها. (فَألْهَمَهَا) : عَرَّفَها الشقَّاءَ وَالسَّعادَةَ. وَقَالَ مُجَاهِدٌ : (بِطَغْوَاهَا)بِمعاصيها(وَلَايَخَافُعُقْبَاهَا) عُقْبَى أحَدٍ
মুহাজিদ (রহ.) বলেন, ضُحَاهَا তার (সূর্যের) রশ্নি। إذَا تَلاَهَا যখন (চন্দ্র) তার অনুসরণ করে। طَحَاهَا যিনি তাকে (যমীনকে) বিস্তৃত করেছেন। دَسَّاهَا যে তাকে (আত্মাকে) ভ্রষ্টতায় নিক্ষেপ করেছে। فَألْهَمَهَا অতঃপর তার (আত্মার) সৌভাগ্য ও দুর্ভাগ্যের পরিচয় দান করেছেন। بِطَغْوَاهَا অবাধ্যতা বা নাফরমানীর কারণে। وَلَايَخَافُعُقْبَاهَا কারো পরিণামের জন্য আল্লাহ্ আশংকা করেন না।
৪৯৪২. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যাম’আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুতবাহ দিতে শুনেছেন, খুতবায় তিনি কওমে সামূদের প্রতি প্রেরিত উষ্ট্রী ও তার পা কাটার কথা উল্লেখ করলেন। তারপর রাসূল إِذْ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا-এর ব্যাখ্যায় বললেন, ঐ উষ্ট্রীটিকে হত্যা করার জন্য এক হতভাগ্য শক্তিশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠ যে সে সমাজের মধ্যে আবূ যাম’আর মত প্রভাবশালী ও অত্যন্ত শক্তিধর ছিল। এ খুতবায় তিনি মেয়েদের সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, তোমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে তার স্ত্রককে ক্রীতদাসের মত মারপিট করে; কিন্তু ঐ দিনের শেষেই সে আবার তার সঙ্গে এক বিছানায় মিলিত হয়। তারপর তিনি বায়ু নিঃসরণের পর হাসি দেয়া সম্পর্কে বললেন, তোমাদের কেউ কেউ হাসে সে কাজটির জন্য যে কাজটি সে নিজেও করে। (অন্য সনদে) আবূ মু’আবীয়াহ (রহ.)....’আবদুল্লাহ্ ইবনু আবূ যাম’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যুবায়র ইবনু আওআমের চাচা আবূ যাম’আর মত। [৩৩৭৭; মুসলিম ৫১/১৩, হাঃ ২৮৫৫, আহমাদ ১৬২২২] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৫৭৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৫৭৮)
باب
مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ أَنَّهُ أَخْبَرَهُ عَبْدُ اللهِ بْنُ زَمْعَةَ أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَخْطُبُ وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِيْ عَقَرَ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم(إِذْمانْبَعَثَ أَشْقَاهَا) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزِيْزٌ عَارِمٌ مَنِيْعٌ فِيْ رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِيْ زَمْعَةَ وَذَكَرَ النِّسَاءَ فَقَالَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِيْ ضَحِكِهِمْ مِنْ الضَّرْطَةِ وَقَالَ لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ وَقَالَ أَبُوْ مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم مِثْلُ أَبِيْ زَمْعَةَ عَمِّ الزُّبَيْرِ بْنِ الْعَوَّامِ.
Narrated `Abdullah bin Zama:
That he heard the Prophet (ﷺ) delivering a sermon, and he mentioned the shecamel and the one who hamstrung it. Allah's Messenger (ﷺ) recited:-- 'When, the most wicked man among them went forth (to hamstrung the she-camel).' (91.12.) Then he said, "A tough man whose equal was rare and who enjoyed the protection of his people, like Abi Zama went forth to (hamstrung) it." The Prophet (ﷺ) then mentioned about the women (in his sermon). "It is not wise for anyone of you to lash his wife like a slave, for he might sleep with her the same evening." Then he advised them not to laugh when somebody breaks wind and said, "Why should anybody laugh at what he himself does?"
পরিচ্ছেদঃ ৬৭/৯৪. স্ত্রীদের প্রহার করা নিন্দনীয় কাজ এবং আল্লাহ্ তা‘আলা বলেনঃ প্রয়োজনে) ‘‘তাদেরকে মৃদু প্রহার কর।’’ সূরাহ আন-নিসাঃ ৪/৩৪)
৫২০৪. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যাম’আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমরা কেউ নিজ স্ত্রীদেরকে গোলামের মত প্রহার করো না। কেননা, দিনের শেষে তার সঙ্গে তো মিলিত হবে। [৩৩৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৪৮২২, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮২৫)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম নারীদেরকে সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করার প্রতি আহ্বান জানায়। এবং তাদের সাথে সুন্দর পন্থায় নম্রতা এবং ভদ্রতা বজায় রেখে ধৈর্যের সহিত জীবনযাপন করার প্রতিও আহ্বান জানায়। যেহেতু তাদের প্রতি ধৈর্যধারণ করা এবং তাদেরকে দৈহিক কষ্ট না দেওয়াই হলো সর্বোত্তম আচরণ।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে ভালোবাসার সহিত এবং উদারতার সহিত সদাচরণ বজায় রেখে জীবনযাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। তাই এই হাদীসটির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, নিজের স্ত্রীকে প্রহার করা এবং তাকে দৈহিক কষ্ট দেওয়া হারাম ও অবৈধ।
৩। স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ও যৌনমিলন ও সংসর্গ ওই সময় সুখদায়ক হয়, যখন তাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা বিরাজ করে। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে প্রহার করা বা তাকে দৈহিক কষ্ট দেওয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর মিলন এবং যৌন সংসর্গকে নষ্ট করে দেয়। তাই এই হাদীসটির মধ্যে নিজের স্ত্রীকে প্রহার করার বিষয়টিকে কঠোরভাবে ঘৃণা করা হয়েছে।
بَاب مَا يُكْرَه“ مِنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ
مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ لاَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمْ امْرَأَتَه“ جَلْدَ الْعَبْدِ ثُمَّ يُجَامِعُهَا فِي آخِرِ الْيَوْمِ
Narrated `Abdullah bin Zam`a:
The Prophet (ﷺ) said, "None of you should flog his wife as he flogs a slave and then have sexual intercourse with her in the last part of the day."
পরিচ্ছেদঃ ৭৮/৪৩. আল্লাহ তা‘আলার বাণীঃ হে মু’মিনগণ! কোন সম্প্রদায় যেন অন্য সম্প্রদায়কে ঠাট্টা-বিদ্রূপ না করে, হতে পারে তারা বিদ্রূপকারীদের চেয়ে উত্তম ..... এ সব হতে)যারা তাওবাহ না করে তারাই যালিম। সূরাহ আল-হুজুরাত ৪৯/১১)
৬০৪২. ’আবদুল্লাহ ইবনু যাম্’আহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মানুষের বায়ু নির্গমনে কাউকে হাসতে নিষেধ করেছেন। তিনি আরও বলেছেনঃ তোমাদের কেউ কেন তার স্ত্রীকে ষাঁড় পিটানোর মত পিটাবে? পরে হয়ত, সে আবার তার সাথে গলাগলিও করবে।
সাওরী, ওহায়ব ও আবূ মু’আবিয়াহ (রহ.) হিশাম (রহ.) থেকে বর্ণনা করেন, ’ষাঁড় পিটানোর’ স্থলে ’দাসকে বেত্রাঘাত করার ন্যায়’। [৩৩৭৭] (আধুনিক প্রকাশনী- ৫৬০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৫৫০৩)
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ نَهَى النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَضْحَكَ الرَّجُلُ مِمَّا يَخْرُجُ مِنَ الأَنْفُسِ وَقَالَ " بِمَ يَضْرِبُ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ ضَرْبَ الْفَحْلِ، ثُمَّ لَعَلَّهُ يُعَانِقُهَا ". وَقَالَ الثَّوْرِيُّ وَوُهَيْبٌ وَأَبُو مُعَاوِيَةَ عَنْ هِشَامٍ " جَلْدَ الْعَبْدِ ".
Narrated `Abdullah bin Zam`a:
The Prophet (ﷺ) forbade laughing at a person who passes wind, and said, "How does anyone of you beat his wife as he beats the stallion camel and then he may embrace (sleep with) her?" And Hisham said, "As he beats his slave"
পরিচ্ছেদঃ ৫১/১৩. অত্যাচারী ও উদ্ধৃতরা জাহান্নামের আগুনে এবং দুর্বল ও বিনীতা জান্নাতে প্রবেশ করবে।
১৮১৫. আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে খুতবাহ দিতে শুনেছেন, খুতবায় তিনি কওমে সামূদের প্রতি প্রেরিত উষ্ট্রী ও তার পা কাটার কথা উল্লেখ করলেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا) এর ব্যাখ্যায় বললেন, ঐ উষ্ট্রীকে হত্যা করার জন্য এক হতভাগ্য শক্তিশালী ব্যক্তি তৎপর হয়ে উঠল যে সে সমাজের মধ্যে আবু যামআর মত প্রভাবশালী ও অত্যন্ত শক্তিধর ছিল। এ খুতবায় তিনি মেয়েদের সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। তিনি বলেছেন, আমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে যে তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের মত মারপিট করে; কিন্তু ঐ দিনের শেষেই সে আবার তার সঙ্গে এক বিছানায় মিলিত হয়। তারপর তিনি বায়ু নিঃসরণের পর হাসি দেয়া সম্পর্কে বললেন, তোমাদের কেউ কেউ হাসে সে কাজটির জন্য যে কাজটি সে নিজেও করে।
النار يدخلها الجبارون والجنة يدخلها الضعفاء
حديث عَبْدِ اللهِ بْنِ زَمْعَةَ، أَنَّهُ سَمِعَ النَّبِيَّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَخْطُبُ، وَذَكَرَ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَ فَقَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: (إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَزِيزٌ عَارِمٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ، مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ وَذَكَرَ النِّسَاءَ فَقَالَ: يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ، يَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ، فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ، وَقَالَ لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ
পরিচ্ছেদঃ ৮০. সূরা শামস
৩৩৪৩। আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আহ (রাযিঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে (সামূদ জাতির প্রতি প্রেরিত) উষ্ট্রী ও তার হত্যাকারী প্রসঙ্গে কথোকথন করতে শুনেছি। তিনি পাঠ করেনঃ “এদের মাঝে যে সবচেয়ে হতভাগ্য সে যখন তৎপর হল”— (সূরা আশ-শামস্ ১২)। তারপর তিনি বলেনঃ উষ্ট্রীকে খুন করতে সেই জাতির সর্বাধিক শক্তিশালী, নিষ্ঠুর, বিদ্রোহী ও দুর্ভাগা লোক উঠেছিল, সে আবূ যাম’আহর মত প্রভাবশালী ও শক্তিধর ছিল। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর আমি মহিলাদের প্রসঙ্গেও তাকে আলোচনা করতে শুনলাম। তিনি বলেনঃ এমন লোকও তোমাদের মাঝে আছে যে তার সহধর্মিনীকে দাসীর ন্যায় চাবুক মারে কিন্তু আবার ঐ দিন শেষে রাতের বেলা তার সঙ্গে মিলিত হয়। এটা কতই না মন্দ ও জঘন্য বিষয়। অতঃপর বায়ু নিঃসরণ করে হাসি দেয়া প্রসঙ্গে উপদেশ প্রদান পূর্বক তিনি বলেনঃ নিজেই যে কাজ করে সে কাজে তোমাদের কারো কি হাসা উচিত?
সহীহঃ ইবনু মাজাহ (হাঃ ১৯৮৩), বুখারী, মুসলিম।
আবূ ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ।
حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ إِسْحَاقَ الْهَمْدَانِيُّ، حَدَّثَنَا عَبْدَةُ، عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَوْمًا يَذْكُرُ النَّاقَةَ وَالَّذِي عَقَرَهَا فَقَالَ "ِ : (إذ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا ) انْبَعَثَ لَهَا رَجُلٌ عَارِمٌ عَزِيزٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ " . ثُمَّ سَمِعْتُهُ يَذْكُرُ النِّسَاءَ فَقَالَ " إِلاَمَ يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ وَلَعَلَّهُ أَنْ يُضَاجِعَهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ " . قَالَ ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ فَقَالَ " إِلاَمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ .
Abdullah bin Zam’ah said:
“One day, I heard the Prophet while he was mentioning the she-camel and the one who killed her. He said: ‘When their most wicked went forth.’ A strong and mighty man who was invincible among his tribe, like Zam’ah, went forth for her.’ Then I heard him mentioning the women, so he said: ‘One of you should not lash his wife as a slave is lashed, for perhaps he will lay with her at the end of the day.’” He said: “Then he advised against laughing when passing gas, he said: ‘One of you should not laugh at what he himself does.’”
পরিচ্ছেদঃ ৩৪. স্ত্রীদেরকে প্রহার করার নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে
২২৫৯. ’আবদুল্লাহ্ ইবনু যামআহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু ’আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদিন লোকদের মাঝে খুতবাহ দিলেন। এ খুতবায় তিনি নারীদের ব্যাপারে লোকদেরকে উপদেশ দিলেন। তিনি বলেন, “সেই লোকের অবস্থা কী, যে তার স্ত্রীকে ক্রীতদাসের মত মারপিট করে; কিন্তু ঐ দিনের শেষেই সে আবার তার সঙ্গে (এক বিছানায়) মিলিত হয়?!”[1]
তাখরীজ: বুখারী, তাফসীর, ৪৯৪২; মুসলিম, জান্নাত ওয়া সিফাতু নাঈমুহা ২৮৫৫। এছাড়াও, ইবনুল কানি’, মু’জামুস সাহাবাহ, তরজমাহ নং ৬০২।
আমরা এর পূর্ণ তাখরীজ দিয়েছি সহীহ ইবনু হিব্বান নং ৪১৯০ তে।
بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ ضَرْبِ النِّسَاءِ
أَخْبَرَنَا جَعْفَرُ بْنُ عَوْنٍ أَخْبَرَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمَعَةَ قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ النَّاسَ يَوْمًا فَوَعَظَهُمْ فِي النِّسَاءِ فَقَالَ مَا بَالُ الرَّجُلِ يَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ وَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا فِي آخِرِ يَوْمِهِ
পরিচ্ছেদঃ ১৩. দুর্দান্ত প্রতাপশালীরা জাহান্নামে এবং দুর্বলেরা যাবে জান্নাতে
৭০৮৩-(৪৯/২৮৫৫) আবু বাকর ইবনু আবু শাইবাহ ও আবু কুরায়ব (রহঃ) ...... আবদুল্লাহ ইবনু যাম’আহ্ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খুতবাহ প্রদানকালে সালিহ (আঃ) এর উষ্ট্রি সম্পর্কে এবং যে লোক সেটার পা কেটেছিল তার সম্পর্কে আলোচনা করলেন। তিনি বললেন, যখন ঐ উষ্ট্রিকে হত্যা করার জন্য তাদের কাওমের সবচেয়ে হতভাগ্য লোকটি উদ্যত হল, তখন এ কাজের জন্য ঐ কাওমের মধ্যে আবু যাম’আর ন্যায় সবচেয়ে শক্তিশালী, নিষ্ঠুর, অসভ্য ও হতভাগ্য লোক ছিল। এ খুতবায় তিনি মহিলাদের বিষয়ে আলোচনা করলেন এবং তাদের নাসীহাত করলেন। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, তোমাদের মধ্যে এমন লোকও আছে, যে তার স্ত্রীকে অযথা প্রহার করে। আবূ বকর এর বর্ণনায় আছে, ক্রীতদাসীর ন্যায় প্রহার করে। আবূ কুরায়ব এর বর্ণনায় আছে, ক্রীতদাসের ন্যায় প্রহার করে। কিন্তু আবার দিন শেষে রাতের বেলা তার সঙ্গে মিলিত হয়। এরপর তিনি বায়ু নিঃসরণ করে হাসি দেয়া সম্বন্ধে উপদেশ করলেন এবং বললেন, যে কাজ তোমরা স্বয়ং করবে সে ব্যাপারে তোমরা কি করে হাসতে পার? (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৯২৭, ইসলামিক সেন্টার ৬৯৮৫)
* এই হাদীস হতে শিক্ষণীয় বিষয়:
১। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম নারীদেরকে সম্মান ও মর্যাদা প্রদান করার প্রতি আহ্বান জানায়। এবং তাদের সাথে সুন্দর পন্থায় নম্রতা এবং ভদ্রতা বজায় রেখে ধৈর্যের সহিত জীবনযাপন করার প্রতিও আহ্বান জানায়। যেহেতু তাদের প্রতি ধৈর্যধারণ করা এবং তাদেরকে দৈহিক কষ্ট না দেওয়াই হলো সর্বোত্তম আচরণ।
২। প্রকৃত ইসলাম ধর্ম মানুষকে সুন্দরভাবে ভালোবাসার সহিত এবং উদারতার সহিত সদাচরণ বজায় রেখে জীবনযাপন করার প্রতি উৎসাহ প্রদান করে। তাই এই হাদীসটির দ্বারা এটা প্রমাণিত হয় যে, নিজের স্ত্রীকে প্রহার করা এবং তাকে দৈহিক কষ্ট দেওয়া হারাম ও অবৈধ।
৩। স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ও যৌনমিলন ও সংসর্গ ওই সময় সুখদায়ক হয়, যখন তাদের মধ্যে গভীর ভালোবাসা বিরাজ করে। কিন্তু নিজের স্ত্রীকে প্রহার করা বা তাকে দৈহিক কষ্ট দেওয়া স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মধুর মিলন এবং যৌন সংসর্গকে নষ্ট করে দেয়। তাই এই হাদীসটির মধ্যে নিজের স্ত্রীকে প্রহার করার বিষয়টিকে কঠোরভাবে ঘৃণা করা হয়েছে।
باب النَّارُ يَدْخُلُهَا الْجَبَّارُونَ وَالْجَنَّةُ يَدْخُلُهَا الضُّعَفَاءُ
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، وَأَبُو كُرَيْبٍ قَالاَ حَدَّثَنَا ابْنُ نُمَيْرٍ، عَنْ هِشَامِ بْنِ، عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ خَطَبَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ النَّاقَةَ وَذَكَرَ الَّذِي عَقَرَهَا فَقَالَ " إِذِ انْبَعَثَ أَشْقَاهَا انْبَعَثَ بِهَا رَجُلٌ عَزِيزٌ عَارِمٌ مَنِيعٌ فِي رَهْطِهِ مِثْلُ أَبِي زَمْعَةَ " . ثُمَّ ذَكَرَ النِّسَاءَ فَوَعَظَ فِيهِنَّ ثُمَّ قَالَ " إِلاَمَ يَجْلِدُ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ " . فِي رِوَايَةِ أَبِي بَكْرٍ " جَلْدَ الأَمَةِ " . وَفِي رِوَايَةِ أَبِي كُرَيْبٍ " جَلْدَ الْعَبْدِ وَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا مِنْ آخِرِ يَوْمِهِ " . ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ فَقَالَ " إِلاَمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يَفْعَلُ " .
'Abdullah b. Zam'a reported that Allah's Messenger (ﷺ) delivered an address and he made a mention of the dromedary and also made a mention of one (base person) who cut off Its hind legs, and he recited:
" When the basest of them broke forth with mischief" (xei. 12). When A mischievous person, strong even because of the strength of a family like Abu Zam'a, broke forth. He then delivered instruction in regard to the women saying: There is amongst you who beats his woman, and in the narration on the authority of Abu Bakr, the words are: He flogs her like a slave-girl. And in the narration of Abu Kuraib (the words are): He flogs like a slave and then comforts his bed with the help of that at the end of the day, and he then advised in regard to laughing of people at the breaking of wind and said: One of you laughs at that which you yourself do.
পরিচ্ছেদঃ ১০. প্রথম অনুচ্ছেদ - স্ত্রীদের সাথে সদ্ব্যবহার এবং তাদের প্রত্যেকের (স্বামী-স্ত্রীর) পারস্পরিক হক ও অধিকার সংক্রান্ত
৩২৪২-[৫] ’আব্দুল্লাহ ইবনু যাম্’আহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যেন ক্রীতদাসীর ন্যায় স্ত্রীকে না মারে (অত্যাচার না করা হয়), অথচ দিনের শেষেই তার সাথে সহবাস করে।
অপর বর্ণনায় আছে- তোমাদের কেউ যেন ইচ্ছা করে স্ত্রীকে ক্রীতদাসীর ন্যায় মারমুখো না হয়, হয়তো দিন শেষে তার সাথে সহবাস করতে চাইবে; আর এতে সে অনাগ্রহ প্রকাশ করবে। অতঃপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বায়ু নির্গত হওয়ায় হাসি-ঠাট্টাচ্ছলের কারণে উপদেশ করলেন, যে কাজ নিজে কর অন্যের সে কাজে তোমরা কেন হাসবে! (বুখারী ও মুসলিম)[1]
بَابُ عِشْرَةِ النِّسَاءِ وَمَا لِكُلِّ وَاحِدَةِ مِّنَ الْحُقُوْقِ
وَعَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمَعَةَ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «لَا يَجْلِدْ أَحَدُكُمُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ ثُمَّ يُجَامِعْهَا فِي آخِرِ الْيَوْمِ» وَفِي رِوَايَةٍ: «يَعْمِدُ أَحَدُكُمْ فَيَجْلِدُ امْرَأَتَهُ جَلْدَ الْعَبْدِ فَلَعَلَّهُ يُضَاجِعُهَا فِي آخِرِ يَوْمِهِ» . ثُمَّ وَعَظَهُمْ فِي ضَحِكِهِمْ مِنَ الضَّرْطَةِ فَقَالَ: «لِمَ يَضْحَكُ أَحَدُكُمْ مِمَّا يفعل؟»
ব্যাখ্যা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর বাণীঃ ‘‘তোমাদের কেউ স্ত্রীকে গোলামের ন্যায় প্রহার করবে না।’’ এর অর্থ প্রচণ্ড মার মারবে না, মানুষ যেভাবে দাস-দাসীকে প্রহার করে থাকে সেভাবে স্ত্রীকে প্রহার করা সম্পূর্ণরূপে নিষেধ। যে স্ত্রী মধুর রাত্রি যাপনের একান্ত সাথী বা অঙ্কশায়িনী দিনে তাকে প্রহার করা এটা কতই না জ্ঞানের স্বল্পতা আর হীনমন্যতার পরিচায়ক। বলা হয়ে থাকে, স্ত্রীকে প্রহারের এ নিষেধাজ্ঞা প্রহারের অনুমতির আগের বিধান যা পরবর্তী বর্ণনায় আসছে। প্রকাশ থাকে যে, নিষেধের বিষয়টি হলো বিশেষ অবস্থার সাথে সম্পৃক্ত অর্থাৎ বেদম প্রহার নিষেধ যাকে হাদীসে দাস-দাসীদের প্রহারের সাথে সাদৃশ্য দেয়া হয়েছে। জাহিলী যুগে দাস-দাসীদের অমানসিকভাবে প্রহার করা হতো, এ জাতীয় প্রহার নিষেধ।
‘আল্লামা ত্বীবী (রহঃ) বলেনঃ এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত যে, দাস-দাসীকে শিষ্টাচার শিক্ষা দানের জন্য প্রহার করা বৈধ, তবে ক্ষমাটাই উত্তম। তিনি আরো বলেন, যে স্ত্রীকে দিবসে প্রহার করা হলো, সে স্ত্রীর সাথে রাত্রি যাপন করা, মধুর আলিঙ্গনে মিলিত হওয়া লজ্জাজনক নয় কি? তুমি রাতে তার সাথে যেহেতু মিলিত হবে দিনে তাকে প্রহার করো না। (ফাতহুল বারী ৮ম খন্ড, হাঃ ৪৯৪২; শারহে মুসলিম ১৭/১৮ খন্ড, হাঃ ২৮৫৫; মিরকাতুল মাফাতীহ)
পরিচ্ছেদঃ ১২. আবূ বাকর (রাঃ)-এর খিলাফাত সম্পর্কে
৪৬৬০। আব্দুল্লাহ ইবনু যাম’আহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রোগ যখন মারাত্মক রূপ ধারণ করলো তখন আমি মুসলিমদের একটি দলের সঙ্গে তাঁর নিকট উপস্থিত ছিলাম। বিলাল (রাঃ) তাঁকে সালাতের জন্য ডাকলে তিনি বললেন, ’’লোকদের সালাত পড়াতে তোমরা কাউকে নির্দেশ দাও। অতঃপর আব্দুল্লাহ ইবনু যাম’আহ (রাঃ) বেরিয়ে এসে দেখলেন লোকদের মধ্যে উমার (রাঃ) উপস্থিত আছেন। কিন্তু আবূ বকর (রাঃ) অনুপস্থিত। আমি বললাম, হে উমার! আপনি দাঁড়িয়ে সালাত পড়ান।
অতএব তিনি সামনে এসে তাকবীর তাহরীমা বললেন। উমার (রাঃ) উচ্চস্বর সম্পন্ন হওয়ায় যখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার শব্দ শুনতে পেলেন তখন বললেন, আবূ বকর কোথায়? আল্লাহ এবং মুসলিমগণ এটা (আবূ বকর ছাড়া অন্য কারো ইমামতি) অপছন্দ করেন। তিনি পুনরায় বললেন, আল্লাহ ও মুসলিমগণ এটা অপছন্দ করেন। অতঃপর আবূ বকর (রাঃ)-এর নিকট লোক পাঠানো হলো, কিন্তু তিনি উমার (রাঃ)-এর ঐ ওয়াক্তের সালাত পড়ানোর পরে উপস্থিত হলেন এবং এরপর থেকে তিনি লোকদের সালাতে ইমামতি করেন।[1]
হাসান সহীহ।
بَابٌ فِي اسْتِخْلَافِ أَبِي بَكْرٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ
حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ سَلَمَةَ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ إِسْحَاقَ، قَالَ: حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ، حَدَّثَنِي عَبْدُ الْمَلِكِ بْنُ أَبِي بَكْرِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْحَارِثِ بْنِ هِشَامٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ زَمْعَةَ، قَالَ: لَمَّا اسْتُعِزَّ بِرَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَأَنَا عِنْدَهُ فِي نَفَرٍ مِنَ الْمُسْلِمِينَ دَعَاهُ بِلَالٌ إِلَى الصَّلَاةِ فَقَالَ: مُرُوا مَنْ يُصَلِّي لِلنَّاسِ فَخَرَجَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ زَمْعَةَ فَإِذَا عُمَرُ فِي النَّاسِ، وَكَانَ أَبُو بَكْرٍ غَائِبًا، فَقُلْتُ: يَا عُمَرُ قُمْ فَصَلِّ بِالنَّاسِ، فَتَقَدَّمَ فَكَبَّرَ، فَلَمَّا سَمِعَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ صَوْتَهُ وَكَانَ عُمَرُ رَجُلًا مُجْهِرًا، قَالَ: فَأَيْنَ أَبُو بَكْرٍ؟ يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ، يَأْبَى اللَّهُ ذَلِكَ وَالْمُسْلِمُونَ فَبَعَثَ إِلَى أَبِي بَكْرٍ فَجَاءَ بَعْدَ أَنْ صَلَّى عُمَرُ تِلْكَ الصَّلَاةَ فَصَلَّى بِالنَّاسِ
حسن صحيح
Narrated Abdullah ibn Zam'ah:
When the illness of the Messenger of Allah (ﷺ) became serious while I was with him among a group of people, Bilal called him for prayer. He said: Ask someone to lead the people in prayer. So Abdullah ibn Zam'ah went out and found that Umar was present among the people and AbuBakr was not there. I said: Umar, get up and lead the people in prayer. So he came forward and uttered "Allah is Most Great". When the Messenger of Allah (ﷺ) heard his voice, as Umar had a loud voice, he said: Where is AbuBakr? Allah does not allow that, and the Muslims too; Allah does not allow that, and the Muslims too. So he sent for AbuBakr. He came after Umar had led the people in that prayer. He then led the people in prayer.