সুনান আদ-দারেমী (হাদিসবিডি) ১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৩

পরিচ্ছেদঃ ১. বিবাহে উৎসাহ দান

২২০৩. আবী নাজীহ রাহি: হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যে ব্যক্তি বিবাহ করার সামর্থ থাকা সত্ত্বেও বিবাহ করেনা, সে আমাদের দলভূক্ত নয়।”[1]

بَاب الْحَثِّ عَلَى التَّزْوِيجِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ ابْنِ جُرَيْجٍ عَنْ أَبِي الْمُغَلِّسِ عَنْ أَبِي نَجِيحٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مَنْ قَدَرَ عَلَى أَنْ يَنْكِحَ فَلَمْ يَنْكِحْ فَلَيْسَ مِنَّا

اخبرنا ابو عاصم عن ابن جريج عن ابي المغلس عن ابي نجيح قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم من قدر على ان ينكح فلم ينكح فليس منا

হাদিসের মানঃ মুরসাল
বর্ণনাকারীঃ ইবনু আবী নাজীহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৪

পরিচ্ছেদঃ ২. যে সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে

২২০৪. আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে আমরা কয়েক জন যুবক থাকতাম। আমাদের কোনো ধন-সম্পদ ছিল না। তখন তিনি বলেন: “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কেননা, তা দৃষ্টিকে অধিক অবনতকারী এবং যৌনাঙ্গকে সর্বাধিক সংরক্ষণকারী। আর যে তাতে সক্ষম নয়, সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা, সওম তার প্রবৃত্তিকে দমনকারী।”[1]

بَاب مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَوْلٌ فَلْيَتَزَوَّجْ

أَخْبَرَنَا يَعْلَى حَدَّثَنَا الْأَعْمَشُ عَنْ عُمَارَةَ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ يَزِيدَ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللَّهِ كُنَّا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ شَبَابٌ لَيْسَ لَنَا شَيْءٌ فَقَالَ يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ اسْتَطَاعَ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَعَلَيْهِ بِالصَّوْمِ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ

اخبرنا يعلى حدثنا الاعمش عن عمارة عن عبد الرحمن بن يزيد قال قال عبد الله كنا مع رسول الله صلى الله عليه وسلم شباب ليس لنا شيء فقال يا معشر الشباب من استطاع منكم الباءة فليتزوج فانه اغض للبصر واحصن للفرج ومن لم يستطع فعليه بالصوم فان الصوم له وجاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৫

পরিচ্ছেদঃ ২. যে সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে

২২০৫. আলকামাহ থেকে বর্ণিত, আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, উছমান তার সাথে সাক্ষাত করলেন এবং আমি তার সাথে ছিলাম। তিনি তাকে বললেন, হে আবু আব্দুর রহমান! আপনার স্মরণ করানোর মতো এমন কোনো কুমারী দাসী আছে কি? এরপর তিনি বললেন, নিশ্চয়ই আপনি সেটা বলবেন, আর আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে শুনেছি: “হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ রাখে, সে যেন বিয়ে করে। কেননা, তা দৃষ্টিকে অধিক অবনতকারী এবং যৌনাঙ্গকে সর্বাধিক সংরক্ষণকারী। আর যে তাতে সক্ষম নয়, সে যেন সিয়াম পালন করে। কেননা, সওম তার প্রবৃত্তিকে দমনকারী।”[1]

بَاب مَنْ كَانَ عِنْدَهُ طَوْلٌ فَلْيَتَزَوَّجْ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يُوسُفَ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ الْأَعْمَشِ عَنْ إِبْرَاهِيمَ عَنْ عَلْقَمَةَ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ قَالَ لَقِيَهُ عُثْمَانُ وَأَنَا مَعَهُ فَقَالَ لَهُ يَا أَبَا عَبْدِ الرَّحْمَنِ هَلْ لَكَ فِي جَارِيَةٍ بِكْرٍ تُذَكِّرُكَ فَقَالَ لَئِنْ قُلْتَ ذَاكَ فَقَدْ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَقُولُ يَا مَعْشَرَ الشَّبَابِ مَنْ كَانَ يَسْتَطِيعُ مِنْكُمْ الْبَاءَةَ فَلْيَتَزَوَّجْ فَإِنَّهُ أَغَضُّ لِلْبَصَرِ وَأَحْصَنُ لِلْفَرْجِ وَمَنْ لَمْ يَسْتَطِعْ فَلْيَصُمْ فَإِنَّ الصَّوْمَ لَهُ وِجَاءٌ

اخبرنا محمد بن يوسف حدثنا سفيان عن الاعمش عن ابراهيم عن علقمة عن عبد الله قال لقيه عثمان وانا معه فقال له يا ابا عبد الرحمن هل لك في جارية بكر تذكرك فقال لىن قلت ذاك فقد سمعت رسول الله صلى الله عليه وسلم يقول يا معشر الشباب من كان يستطيع منكم الباءة فليتزوج فانه اغض للبصر واحصن للفرج ومن لم يستطع فليصم فان الصوم له وجاء

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আলকামাহ (রহঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৬

পরিচ্ছেদঃ ৩. বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ

২২০৬. সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ’উসমান ইবনু মায’উন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু কে বিয়ে করা থেকে বিরত থাকতে নিষেধ করেছেন। তিনি যদি তাঁকে খাসি থাকার অনুমতি দিতেন, তাহলে আমরাও খাসি হয়ে যেতাম।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّبَتُّلِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْيَمَانِ أَخْبَرَنَا شُعَيْبٌ عَنْ الزُّهْرِيِّ أَخْبَرَنِي سَعِيدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ أَنَّهُ سَمِعَ سَعْدَ بْنَ أَبِي وَقَّاصٍ يَقُولُ لَقَدْ رَدَّ ذَلِكَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَلَى عُثْمَانَ وَلَوْ أَجَازَ لَهُ التَّبَتُّلَ لَاخْتَصَيْنَا

اخبرنا ابو اليمان اخبرنا شعيب عن الزهري اخبرني سعيد بن المسيب انه سمع سعد بن ابي وقاص يقول لقد رد ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم على عثمان ولو اجاز له التبتل لاختصينا

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৭

পরিচ্ছেদঃ ৩. বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ

২২০৭. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ পরিত্যাগ করা থেকে নিষেধ করেছেন।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّبَتُّلِ

أَخْبَرَنَا إِسْحَقُ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ مَسْعَدَةَ حَدَّثَنَا الْأَشْعَثُ بْنُ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ الْحَسَنِ عَنْ سَعْدِ بْنِ هِشَامٍ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ التَّبَتُّلِ

اخبرنا اسحق حدثنا حماد بن مسعدة حدثنا الاشعث بن عبد الملك عن الحسن عن سعد بن هشام عن عاىشة قالت نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن التبتل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৮

পরিচ্ছেদঃ ৩. বিয়ে না করা বা স্ত্রী সংসর্গ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ

২২০৮. সা’দ ইবনু আবী ওয়াক্কাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন উসমান ইবনু মাযউন রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর স্ত্রী সংসর্গ পরিত্যাগের বিষয়টি (জানতে পারার পর) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার নিকট লোক পাঠিয়ে ডেকে আনলেন। তখন তিনি বললেন: “হে উসমান! আমাকে ’রাহবানিয়্যাত’ বা বৈরাগ্যের নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তুমি কি আমার সুন্নাতকে অপছন্দ করছো?”

তিনি বললেন, না, ইয়া রাসূলুল্লাহ! তিনি বললেন: “আমি (রাতে) সালাত আদায় করি, আবার ঘুমায়। আমি সিয়াম পালন করি, আবার আহার করি (তথা সিয়াম পরিত্যাগ করি); আমি বিবাহ করি, আবার তালাক দিই।–(এ সবই) আমার সুন্নাত। অতএব, যে ব্যক্তি আমার সুন্নাতকে অপছন্দ করবে, সে আমার দলভূক্ত নয়। হে উসমান! তোমার উপর তোমার পরিবারের হক্ব (অধিকার) রয়েছে, অনুরূপ তোমার উপর তোমার নিজের নফসের ও হক্ব (অধিকার) রয়েছে।”সা’দ বলেন, আল্লাহর কসম! মুসলিমদের বেশকিছু লোক এ ব্যাপারে একজোট হয়েছিলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যদি উসমান রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু এর বিষয়টি সমর্থন দেন, তবে আমরা খাসী হয়ে যাবো এবং বিয়ে বা নারী সংসর্গ পরিত্যাগ করবো।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ التَّبَتُّلِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْحِزَامِيُّ حَدَّثَنَا يُونُسُ بْنُ بُكَيْرٍ حَدَّثَنِي ابْنُ إِسْحَقَ حَدَّثَنِي الزُّهْرِيُّ عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيَّبِ عَنْ سَعْدِ بْنِ أَبِي وَقَّاصٍ قَالَ لَمَّا كَانَ مِنْ أَمْرِ عُثْمَانَ بْنِ مَظْعُونٍ الَّذِي كَانَ مِنْ تَرْكِ النِّسَاءِ بَعَثَ إِلَيْهِ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ يَا عُثْمَانُ إِنِّي لَمْ أُومَرْ بِالرَّهْبَانِيَّةِ أَرَغِبْتَ عَنْ سُنَّتِي قَالَ لَا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ إِنَّ مِنْ سُنَّتِي أَنْ أُصَلِّيَ وَأَنَامَ وَأَصُومَ وَأَطْعَمَ وَأَنْكِحَ وَأُطَلِّقَ فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّي يَا عُثْمَانُ إِنَّ لِأَهْلِكَ عَلَيْكَ حَقًّا وَلِعَيْنِكَ عَلَيْكَ حَقًّا قَالَ سَعْدٌ فَوَاللَّهِ لَقَدْ كَانَ أَجْمَعَ رِجَالٌ مِنْ الْمُسْلِمِينَ عَلَى أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِنْ هُوَ أَقَرَّ عُثْمَانَ عَلَى مَا هُوَ عَلَيْهِ أَنْ نَخْتَصِيَ فَنَتَبَتَّلَ

حدثنا محمد بن يزيد الحزامي حدثنا يونس بن بكير حدثني ابن اسحق حدثني الزهري عن سعيد بن المسيب عن سعد بن ابي وقاص قال لما كان من امر عثمان بن مظعون الذي كان من ترك النساء بعث اليه رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال يا عثمان اني لم اومر بالرهبانية ارغبت عن سنتي قال لا يا رسول الله قال ان من سنتي ان اصلي وانام واصوم واطعم وانكح واطلق فمن رغب عن سنتي فليس مني يا عثمان ان لاهلك عليك حقا ولعينك عليك حقا قال سعد فوالله لقد كان اجمع رجال من المسلمين على ان رسول الله صلى الله عليه وسلم ان هو اقر عثمان على ما هو عليه ان نختصي فنتبتل

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২০৯

পরিচ্ছেদঃ ৪. স্ত্রী লোকের চারটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়

২২০৯. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “নারীদেরকে চারটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়: দীনদারী, সৌন্দর্য্য, ধন-সম্পদ ও বংশ মর্যাদা। তোমার হাত ধুলায় ধুসরিত হোক! তোমার কর্তব্য হলো, দীনদারকে অগ্রাধিকার দেয়া।”[1]

بَاب تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى أَرْبَعٍ

أَخْبَرَنَا صَدَقَةُ بْنُ الْفَضْلِ أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي سَعِيدٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ تُنْكَحُ النِّسَاءُ لِأَرْبَعٍ لِلدِّينِ وَالْجَمَالِ وَالْمَالِ وَالْحَسَبِ فَعَلَيْكَ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ

اخبرنا صدقة بن الفضل اخبرنا يحيى بن سعيد عن عبيد الله عن سعيد بن ابي سعيد عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال تنكح النساء لاربع للدين والجمال والمال والحسب فعليك بذات الدين تربت يداك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১০

পরিচ্ছেদঃ ৪. স্ত্রী লোকের চারটি বৈশিষ্ট্য দেখে বিয়ে করা হয়

২২১০. জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতেও এ হাদীস বর্ণিত হয়েছে।[1]

بَاب تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ عَلَى أَرْبَعٍ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عُيَيْنَةَ عَنْ عَلِيِّ بْنِ مُسْهِرٍ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ عَطَاءٍ عَنْ جَابِرٍ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ بِهَذَا الْحَدِيثِ

اخبرنا محمد بن عيينة عن علي بن مسهر عن عبد الملك عن عطاء عن جابر عن النبي صلى الله عليه وسلم بهذا الحديث

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১১

পরিচ্ছেদঃ ৫. বাগদানের সময় স্ত্রীলোককে দেখার অনুমতি

২২১১. মুগীরাহ ইবনু শু’বাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি এক আনসারী মহিলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেন, “তুমি গিয়ে তাকে দেখে নাও। কেননা তা তোমাদের মধ্যে ভালোবাসা ও সহমর্মিতা অব্যাহত রাখতে অধিক সহায়ক হবে।”[1]

بَاب الرُّخْصَةِ فِي النَّظَرِ إِلَى الْمَرْأَةِ عِنْدَ الْخِطْبَةِ

أَخْبَرَنَا قَبِيصَةُ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَاصِمٍ الْأَحْوَلِ عَنْ بَكْرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ الْمُزَنِيِّ عَنْ الْمُغِيرَةِ بْنِ شُعْبَةَ أَنَّهُ خَطَبَ امْرَأَةً مِنْ الْأَنْصَارِ فَقَالَ لَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اذْهَبْ فَانْظُرْ إِلَيْهَا فَإِنَّهُ أَجْدَرُ أَنْ يُؤْدَمَ بَيْنَكُمَا

اخبرنا قبيصة حدثنا سفيان عن عاصم الاحول عن بكر بن عبد الله المزني عن المغيرة بن شعبة انه خطب امراة من الانصار فقال له رسول الله صلى الله عليه وسلم اذهب فانظر اليها فانه اجدر ان يودم بينكما

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১২

পরিচ্ছেদঃ ৬. কোনো লোক যখন বিয়ে করে, তখন তাকে যা বলা (দু’আ করা) হবে

২২১২. আকীল ইবনু আবূ ত্বলিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি বসরায় এসে বনু জুশম গোত্রের এক মহিলাকে বিবাহ করলে লোকেরা (মুবারকবাদ দিয়ে) বললো, ’সুখী হও এবং অধিক সন্তান হোক।’ তিনি বলেন, তোমরা এরূপ বলো না। বরং রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরূপ বলতে নিষেধ করেছেন এবং আমাদেরকে আদেশ করেছেন যেন, আমরা বলি: ’বারাকাল্লাহ লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা।’ (অর্থ: তোমাকে বরকত দান করুন এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন।)[1]

بَاب إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ مَا يُقَالُ لَهُ

أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ الْعَبْدِيُّ الْبَصْرِيُّ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ يُونُسَ عَنْ الْحَسَنِ قَالَ سَمِعْتُهُ يَقُولُ قَدِمَ عَقِيلُ بْنُ أَبِي طَالِبٍ الْبَصْرَةَ فَتَزَوَّجَ امْرَأَةً مِنْ بَنِي جُشَمٍ فَقَالُوا لَهُ بِالرِّفَاءِ وَالْبَنِينَ فَقَالَ لَا تَقُولُوا ذَلِكَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَانَا عَنْ ذَلِكَ وَأَمَرَنَا أَنْ نَقُولَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ

اخبرنا محمد بن كثير العبدي البصري اخبرنا سفيان عن يونس عن الحسن قال سمعته يقول قدم عقيل بن ابي طالب البصرة فتزوج امراة من بني جشم فقالوا له بالرفاء والبنين فقال لا تقولوا ذلك ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهانا عن ذلك وامرنا ان نقول بارك الله لك وبارك عليك

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৩

পরিচ্ছেদঃ ৬. কোনো লোক যখন বিয়ে করে, তখন তাকে যা বলা (দু’আ করা) হবে

২২১৩. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদের বিয়ের পরে দু’আ করার সময় বলতেন: “বারাকাল্লাহ লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা। ওয়া জামা’আ বাইনাকুমা ফী খইর।”[1] (অর্থ: তোমাকে বরকত দান করুন এবং তোমার উপর বরকত নাযিল করুন। আর তোমাদেরকে কল্যাণের মধ্যে মিলিত করুন।)

بَاب إِذَا تَزَوَّجَ الرَّجُلُ مَا يُقَالُ لَهُ

حَدَّثَنَا نُعَيْمُ بْنُ حَمَّادٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ عَنْ سُهَيْلٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ كَانَ إِذَا رَفَّأَ لِإِنْسَانٍ قَالَ بَارَكَ اللَّهُ لَكَ وَبَارَكَ عَلَيْكَ وَجَمَعَ بَيْنَكُمَا فِي خَيْرٍ

حدثنا نعيم بن حماد حدثنا عبد العزيز عن سهيل عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم انه كان اذا رفا لانسان قال بارك الله لك وبارك عليك وجمع بينكما في خير

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৪

পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ

২২১৪. আবী হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের অপর ব্যক্তির প্রস্তাব দিতে নিষেধ করেছেন।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

أَخْبَرَنَا أَبُو الْوَلِيدِ الطَّيَالِسِيُّ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سُهَيْلِ بْنِ أَبِي صَالِحٍ عَنْ أَبِيهِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَنَّهُ نَهَى عَنْ أَنْ يَخْطُبَ الرَّجُلُ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

اخبرنا ابو الوليد الطيالسي حدثنا شعبة عن سهيل بن ابي صالح عن ابيه عن ابي هريرة عن النبي صلى الله عليه وسلم انه نهى عن ان يخطب الرجل على خطبة اخيه

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৫

পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ

২২১৫. ইবনু ’উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক মুসলিম ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের ওপরে অন্য ভাইকে প্রস্তাব দিতে এবং এক ভাই দরদাম করলে অন্যকে তার দরদাম করতে নিষেধ করেছেন নিষেধ করেছেন, যতক্ষণ না প্রথম প্রস্তাবকারী তাকে অনুমতি দেবে।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا عُقْبَةُ بْنُ خَالِدٍ عَنْ عُبَيْدِ اللَّهِ قَالَ حَدَّثَنِي نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا يَخْطُبُ أَحَدُكُمْ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ وَلَا يَبِيعُ عَلَى بَيْعِ أَخِيهِ حَتَّى يَأْذَنَ لَهُ

حدثنا عبد الله بن سعيد حدثنا عقبة بن خالد عن عبيد الله قال حدثني نافع عن ابن عمر ان رسول الله صلى الله عليه وسلم قال لا يخطب احدكم على خطبة اخيه ولا يبيع على بيع اخيه حتى ياذن له

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৬

পরিচ্ছেদঃ ৭. এক (মুসলিম) ভাইয়ের বিয়ের প্রস্তাবের উপর অপর জনের প্রস্তাব দেয়া নিষেধ

২২১৬. ফাতিমা বিনত কায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি কুরাইশ গোত্রের বনী মাখযুম উপগোত্রের এক ব্যক্তির (আবূ আমর ইবন হাফসের) সাথে বিবাহাধীন ছিলেন। আর তিনি তাকে তিন তালাক বায়েন প্রদান করেন। এরপর তিনি তার উকিল মারফত তার নিকট খোরপোশ দাবী করেন। তখন তিনি বলেন, আল্লার শপথ! তোমার জন্য কোনো খোরপোশ প্রাপ্য নেই। এ খবরটি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কে অবহিত করা হলে তিনি বলেন, “তার নিকট তোমার কিছুই পাওনা নেই। আর তোমার উপর ইদ্দত পালন ওয়াজিব। আর তুমি উম্মু শারীকের ঘরে চলে যাও (অবস্থান করো) এবং তোমার নিজের (নফসের) দ্বারা আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।”

এরপর তিনি বলেন, “উম্মু শারীক এমন এক মহিলা, যার ঘরে তার মুহাজির ভাইয়েরা যাতায়াত করে। তুমি বরং উম্মে মাখতুমের ঘরে যাও (অবস্থান কর)। কেননা, সে হল একজন অন্ধ লোক, কাজেই তুমি তোমার কাপড় খুলে রাখলে সে কিছুই দেখতে পাবে না। আর তোমার নিজের (নফসের) দ্বারা আমাদেরকে ফিতনায় ফেলো না।” এরপর তিনি উম্মু মাকতুমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নিলেন। এবং যখন তিনি হালাল হলেন (ইদ্দত পূর্ণ করলেন), তখন তিনি উল্লেখ করলেন যে, মু’আবিয়া ও আবূ জাহাম উভয়ে তার নিকট বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠান। তখন রাসূলূল্লাহ্ (সাঃ) বলেন, “মু’আবিয়া - সে তো ফকীর। আর আবূ জাহাম তো তার কাঁধ হতে লাঠিই সরায় না ( অর্থাৎ অধিক মারধরকারী)। এবং তার কোন মাল নেই। উসামার ব্যাপারে তোমার মত কি?” তার পরিবারের লোকদের নিকট তা অপছন্দনীয় মনে হলো। অত:পর সে বললো, আল্লাহর কসম! রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমারকে যার সাথে বিয়ে দিবেন, তাকে ছাড়া আমি বিয়েই করব না। এরপর তিনি উসামাকে বিবাহ করেন।

বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবনু আমির (রহঃ) বলে, মুহাম্মদ ইবনু ইবরাহীম বলেন, হে ফাতিমাহ! আল্লাহকে ভয় করো। তুমি জানো তো যে এটি কোন্ বিষয়ে ছিল।

তিনি বলেন, আর ইবনু আব্বাস বলেছেন: আল্লাহ তা’আলা বলেন, “হে নবী! তোমরা যখন তোমাদের স্ত্রীদেরকে তালাক দিতে ইচ্ছা কর তবে তাদেরকে তালাক দিয়ো ইদ্দতের প্রতি লক্ষ্য রেকে, ইদ্দতের হিসাব রেখো এবং তোমাদের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করো; তোমরা তাদেরকে তাদের বাসগৃহ হতে বের করে দিও না এবং তারাও যেন বের না হয়, যদি না তারা স্পষ্ট অশ্লীলতায় লিপ্ত হয়।” (সুরা তালাক: ১) আর ফাহিশাহ (অশ্লীল কাজ)এর মধ্যে এও শামিল রয়েছে যে, সে তার পরিবারকে কষ্ট দেবে; সে একাজ করলে তাদের জন্য তাকে বের করে দেওয়া হালাল হয়ে যাবে।[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ خِطْبَةِ الرَّجُلِ عَلَى خِطْبَةِ أَخِيهِ

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو عَنْ أَبِي سَلَمَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّهَا حَدَّثَتْهُ وَكَتَبَهُ مِنْهَا كِتَابًا أَنَّهَا كَانَتْ تَحْتَ رَجُلٍ مِنْ قُرَيْشٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَطَلَّقَهَا الْبَتَّةَ فَأَرْسَلَتْ إِلَى أَهْلِهِ تَبْتَغِي مِنْهُمْ النَّفَقَةَ فَقَالُوا لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ فَبَلَغَ ذَلِكَ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَقَالَ لَيْسَ لَكِ نَفَقَةٌ وَعَلَيْكِ الْعِدَّةُ وَانْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ وَلَا تُفَوِّتِينَا بِنَفْسِكِ ثُمَّ قَالَ إِنَّ أُمَّ شَرِيكٍ امْرَأَةٌ يَدْخُلُ عَلَيْهَا إِخْوَانُهَا مِنْ الْمُهَاجِرِينَ وَلَكِنْ انْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى إِنْ وَضَعْتِ ثِيَابَكِ لَمْ يَرَ شَيْئًا وَلَا تُفَوِّتِينَا بِنَفْسِكِ فَانْطَلَقَتْ إِلَى بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَلَمَّا حَلَّتْ ذَكَرَتْ أَنَّ مُعَاوِيَةَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَاهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَمَّا مُعَاوِيَةُ فَرَجُلٌ لَا مَالَ لَهُ وَأَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلَا يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ فَأَيْنَ أَنْتُمْ مِنْ أُسَامَةَ فَكَأَنَّ أَهْلَهَا كَرِهُوا ذَلِكَ فَقَالَتْ وَاللَّهِ لَا أَنْكِحُ إِلَّا الَّذِي قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَنَكَحَتْ أُسَامَةَ قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو قَالَ مُحَمَّدُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ يَا فَاطِمَةُ اتَّقِي اللَّهَ فَقَدْ عَلِمْتِ فِي أَيِّ شَيْءٍ كَانَ هَذَا قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ قَالَ اللَّهُ تَعَالَى لَا تُخْرِجُوهُنَّ مِنْ بُيُوتِهِنَّ وَلَا يَخْرُجْنَ إِلَّا أَنْ يَأْتِينَ بِفَاحِشَةٍ مُبَيِّنَةٍ وَالْفَاحِشَةُ أَنْ تَبْذُوَ عَلَى أَهْلِهَا فَإِذَا فَعَلَتْ ذَلِكَ فَقَدْ حَلَّ لَهُمْ أَنْ يُخْرِجُوهَا

اخبرنا يزيد بن هارون اخبرنا محمد بن عمرو عن ابي سلمة عن فاطمة بنت قيس انها حدثته وكتبه منها كتابا انها كانت تحت رجل من قريش من بني مخزوم فطلقها البتة فارسلت الى اهله تبتغي منهم النفقة فقالوا ليس لك نفقة فبلغ ذلك رسول الله صلى الله عليه وسلم فقال ليس لك نفقة وعليك العدة وانتقلي الى بيت ام شريك ولا تفوتينا بنفسك ثم قال ان ام شريك امراة يدخل عليها اخوانها من المهاجرين ولكن انتقلي الى بيت ابن ام مكتوم فانه رجل اعمى ان وضعت ثيابك لم ير شيىا ولا تفوتينا بنفسك فانطلقت الى بيت ابن ام مكتوم فلما حلت ذكرت ان معاوية وابا جهم خطباها فقال رسول الله صلى الله عليه وسلم اما معاوية فرجل لا مال له واما ابو جهم فلا يضع عصاه عن عاتقه فاين انتم من اسامة فكان اهلها كرهوا ذلك فقالت والله لا انكح الا الذي قال رسول الله صلى الله عليه وسلم فنكحت اسامة قال محمد بن عمرو قال محمد بن ابراهيم يا فاطمة اتقي الله فقد علمت في اي شيء كان هذا قال وقال ابن عباس قال الله تعالى لا تخرجوهن من بيوتهن ولا يخرجن الا ان ياتين بفاحشة مبينة والفاحشة ان تبذو على اهلها فاذا فعلت ذلك فقد حل لهم ان يخرجوها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৭

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে অবস্থায় কোনো লোকের জন্য বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হয়

২২১৭. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো নারী ও তার ফুফুকে (একত্রে) বা ফুফু ও তার ভাতিজীকে (একত্রে) এবং কোনো নারী ও তার খালাকে (একত্রে) কিংবা খালা ও তার বোনঝিকে একত্রে, এবং ছোট বোন ও বড় বোনকে একত্রে কিংবা বড় ও ছোট বোনকে একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।[1]

بَاب الْحَالِ الَّتِي يَجُوزُ لِلرَّجُلِ أَنْ يَخْطُبَ فِيهَا

أَخْبَرَنَا يَزِيدُ بْنُ هَارُونَ حَدَّثَنَا دَاوُدُ يَعْنِي ابْنَ أَبِي هِنْدٍ حَدَّثَنَا عَامِرٌ حَدَّثَنَا أَبُو هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ تُنْكَحَ الْمَرْأَةُ عَلَى عَمَّتِهَا وَالْعَمَّةُ عَلَى ابْنَةِ أَخِيهَا أَوْ الْمَرْأَةُ عَلَى خَالَتِهَا أَوْ الْخَالَةُ عَلَى بِنْتِ أُخْتِهَا وَلَا تُنْكَحُ الصُّغْرَى عَلَى الْكُبْرَى وَلَا الْكُبْرَى عَلَى الصُّغْرَى

اخبرنا يزيد بن هارون حدثنا داود يعني ابن ابي هند حدثنا عامر حدثنا ابو هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى ان تنكح المراة على عمتها والعمة على ابنة اخيها او المراة على خالتها او الخالة على بنت اختها ولا تنكح الصغرى على الكبرى ولا الكبرى على الصغرى

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৮

পরিচ্ছেদঃ ৮. যে অবস্থায় কোনো লোকের জন্য বিবাহের প্রস্তাব দেওয়া জায়েয হয়

২২১৮. আবূ হুরাইরাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাউকে একসঙ্গে কোনো নারী ও তার ফুফুকে একত্রে এবং কোনো নারী ও তার খালাকে একত্রে বিয়ে করতে নিষেধ করেছেন।[1]

بَاب الْحَالِ الَّتِي يَجُوزُ لِلرَّجُلِ أَنْ يَخْطُبَ فِيهَا

حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ عَبْدِ الْمَجِيدِ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ أَبِي الزِّنَادِ عَنْ الْأَعْرَجِ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ نَهَى أَنْ يُجْمَعَ بَيْنَ الْمَرْأَةِ وَعَمَّتِهَا وَالْمَرْأَةِ وَخَالَتِهَا

حدثنا عبيد الله بن عبد المجيد حدثنا مالك عن ابي الزناد عن الاعرج عن ابي هريرة ان رسول الله صلى الله عليه وسلم نهى ان يجمع بين المراة وعمتها والمراة وخالتها

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২১৯

পরিচ্ছেদঃ ৯. শিগার’ বা আপন বোন বা নিকটস্থ কোনো মেয়েকে মাহর ছাড়া একে অপরের নিকট বিবাহ দেয়ার নিষেধাজ্ঞা

২২১৯. ইবনু উমার রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিগার’ (বা আপন বোন বা নিকটস্থ কোনো মেয়েকে মাহর ছাড়া একে অপরের নিকট বিবাহ দেয়া) থেকে নিষেধ করেছেন।

মালিক (রহঃ) বলেন: শিগার হলো কোনো লোক তার মেয়েকে অপর ব্যক্তির সাথে বিবাহ দেয়া এ শর্তে যে, সে তার মেয়েকে বিবাহ দেবে কোনো মোহরানা ব্যতীত।[1] আবূ মুহাম্মদ কে জিজ্ঞেস করা হলো, আপনি কি মনে করেন তাদের মধ্যে বিবাহ সম্পন্ন হয়? তিনি বলেন, না, তা আমাকে বিস্মিত করে।

بَاب فِي النَّهْيِ عَنْ الشِّغَارِ

حَدَّثَنَا خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا مَالِكٌ عَنْ نَافِعٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ قَالَ نَهَى رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ عَنْ الشِّغَارِ قَالَ مَالِكٌ وَالشِّغَارُ أَنْ يُزَوِّجَ الرَّجُلُ الْآخَرَ ابْنَتَهُ عَلَى أَنْ يُزَوِّجَهُ الْآخَرُ ابْنَتَهُ بِغَيْرِ صَدَاقٍ قِيلَ لِأَبِي مُحَمَّدٍ تَرَى بَيْنَهُمَا نِكَاحًا قَالَ لَا يُعْجِبُنِي

حدثنا خالد بن مخلد حدثنا مالك عن نافع عن ابن عمر قال نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن الشغار قال مالك والشغار ان يزوج الرجل الاخر ابنته على ان يزوجه الاخر ابنته بغير صداق قيل لابي محمد ترى بينهما نكاحا قال لا يعجبني

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২০

পরিচ্ছেদঃ ১০. নেককার পুরুষের সাথে নেককার স্ত্রীলোকের বিবাহ সম্পর্কে

২২২০. আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “তোমরা নেককার পুরুষের সাথে নেককার স্ত্রীলোকের বিবাহ দাও।”আবূ মুহাম্মদ বলেন, এ হাদীসের কিছু অংশ আমার থেকে বাদ পড়ে গেছে, তা হলো: “ফলে পরবর্তী প্রজন্মও নেককার বা উত্তম হবে।”[1]

بَاب فِي نِكَاحِ الصَّالِحِينَ وَالصَّالِحَاتِ

أَخْبَرَنَا أَبُو عَاصِمٍ عَنْ إِبْرَاهِيمَ بْنِ عُمَرَ بْنِ كَيْسَانَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ وَهْبِ بْنِ أَبِي مُغِيثٍ حَدَّثَتْنِي أَسْمَاءُ بِنْتُ أَبِي بَكْرٍ عَنْ عَائِشَةَ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ أَنْكِحُوا الصَّالِحِينَ وَالصَّالِحَاتِ قَالَ أَبُو مُحَمَّد وَسَقَطَ عَلَيَّ مِنْ الْحَدِيثِ فَمَا تَبِعَهُمْ بَعْدُ فَحَسَنٌ

اخبرنا ابو عاصم عن ابراهيم بن عمر بن كيسان عن ابيه عن وهب بن ابي مغيث حدثتني اسماء بنت ابي بكر عن عاىشة عن النبي صلى الله عليه وسلم قال انكحوا الصالحين والصالحات قال ابو محمد وسقط علي من الحديث فما تبعهم بعد فحسن

হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২১

পরিচ্ছেদঃ ১১. ওলী (অভিভাক) ব্যতীত বিয়ে নিষিদ্ধ

২২২১. আবী বুরদাহ তার পিতা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ওলী (শরী’আ সম্মত অভিভাবক) ব্যতীত বিয়ে নেই।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ

أَخْبَرَنَا مَالِكُ بْنُ إِسْمَعِيلَ حَدَّثَنَا إِسْرَائِيلُ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ

اخبرنا مالك بن اسمعيل حدثنا اسراىيل عن ابي اسحق عن ابي بردة عن ابيه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لا نكاح الا بولي

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
২২২২

পরিচ্ছেদঃ ১১. ওলী (অভিভাক) ব্যতীত বিয়ে নিষিদ্ধ

২২২২. আবী মুসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “ওলী (শরী’আ সম্মত অভিভাবক) ব্যতীত বিয়ে নেই।”[1]

بَاب النَّهْيِ عَنْ النِّكَاحِ بِغَيْرِ وَلِيٍّ

حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ حُجْرٍ أَخْبَرَنَا شَرِيكٌ عَنْ أَبِي إِسْحَقَ عَنْ أَبِي بُرْدَةَ عَنْ أَبِي مُوسَى عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ لَا نِكَاحَ إِلَّا بِوَلِيٍّ

حدثنا علي بن حجر اخبرنا شريك عن ابي اسحق عن ابي بردة عن ابي موسى عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لا نكاح الا بولي

হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
১১. বিবাহ অধ্যায় (كتاب النكاح)
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৯৮ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 5 পরের পাতা »