ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদিস পাওয়া গেছে ৬১ টি

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৬৩। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আবূ আমর ইবনু হাফস (রাঃ) (তার স্বামী) অনুপস্থিত অবস্থায় তাকে বায়েন তালাক দেন। এরপর সামান্য পরিমাণ যবসহ উকীলকে তার কাছে পাঠিয়ে দেন। এতে তিনি [ফাতিমা (রাঃ)] তার উপর ভীষণভাবে অন্তুষ্ট হন। সে (উকীল) বলল, আল্লাহর কসম! তোমাকে (খোরপোষরূপে) কোন কিছু দেওয়া আমাদের দায়িত্ব নয়। তখন তিনি [ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)] রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে উপিস্থিত হয়ে তাঁর নিকট সব খুলে বললেন। (তার কথা শুনে) তিনি বললেন, তোমার জন্য তার (তোমার স্বামী আবূ আমর ইবনু হাফস (রাঃ) এর) দায়িত্বে কোন খোরপোষ নেই।

এরপর তিনি তাকে উম্মু শারীকের ঘরে গিয়ে ইদ্দত পালনের নির্দেশ দিলেন। তারপর তিনি এও বললেন সে মহিলা (উম্মু শারীক) এমন একজন স্ত্রীলোক যার কাছে আমার সাহাবীগণ ভীড় করে থাকেন। তুমি বরং ইবনু উম্মু মাকতুম (রাঃ) এর বাড়ীতে গিয়ে ইদ্দত পালন করতে থাক। কেননা সে একজন অন্ধ মানুষ। সেখানে তুমি তোমার কাপড় খুলতে পারবে। ইদ্দত পূর্ণ হলে তুমি আমাকে জানাবে।

তিনি বলেন, যখন আমার ইদ্দত পূর্ণ হল তখন আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জানানাম যে, মুআবিয়া ইবনু আবূ সুফিয়ান (রাঃ) ও আবূ জাহম (রাঃ) আমাকে বিবাহের পায়গাম পাঠিয়েছেন। তখন রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আবূ জাহাম এমন লোক যে তার কাঁধ থেকে লাঠি নামিয়ে রাখে না। আর মুআবিয়া তো কপর্দকহীন গরীব মানুষ। তুমি উসামা ইবনু যায়িদের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হও। কিন্তু আমি তাঁকে পছন্দ করলাম না। এরপর তিনি আবার বললেন, তুমি উসামাকে বিয়ে কর। তখন আমি তার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলাম। আল্লাহ এতে (তার ঘরে) আমাকে বিরাট কল্যাণ দান করলেন। আর আমি ঈর্ষার পাত্রে পরিণত হলাম।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ، طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيلُهُ بِشَعِيرٍ فَسَخِطَتْهُ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَىْءٍ ‏.‏ فَجَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ ‏"‏ لَيْسَ لَكِ عَلَيْهِ نَفَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ فَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ تِلْكَ امْرَأَةٌ يَغْشَاهَا أَصْحَابِي اعْتَدِّي عِنْدَ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى تَضَعِينَ ثِيَابَكِ فَإِذَا حَلَلْتِ فَآذِنِينِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا حَلَلْتُ ذَكَرْتُ لَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَانِي ‏.‏ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلاَ يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتَقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ ‏"‏ ‏.‏ فَكَرِهْتُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ انْكِحِي أُسَامَةَ ‏"‏ ‏.‏ فَنَكَحْتُهُ فَجَعَلَ اللَّهُ فِيهِ خَيْرًا وَاغْتَبَطْتُ بِهِ ‏.‏


Fatima bint Qais reported that Abu 'Amr b. Hafs divorced her absolutely when he was away from home, and he sent his agent to her with some barley. She was displeased with him and when he said: I swear by Allah that you have no claim on us. she went to Allah's Messenger (ﷺ) and mentioned that to him. He said: There is no maintenance due to you from him, and he commanded her to spend the 'Idda in the house of Umm Sharik, but then said: That is a woman whom my companions visit. So better spend this period in the house of Ibn Umm Maktum, for he is a blind man and yon can put off your garments. And when the 'Idda is over, inform me. She said: When my period of 'Idda was over, I mentioned to him that Mu'awiya b. Abu Sufyan and Jahm had sent proposal of marriage to me, whereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: As for Abu Jahm, he does not put down his staff from his shoulder, and as for Mu'awiya, he is a poor man having no property; marry Usama b. Zaid. I objected to him, but he again said: Marry Usama; so I married him. Allah blessed there in and I was envied (by others).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৬৪। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় তার স্বামী তাকে তালাক দেন। এরপর তার স্বামী তার জন্য (ইদ্দতকালীন সময়ের ব্যয় নির্বাহের জন্য) সামান্য পরিমাণ খোরপোষ দিয়েছিলেন। তিনি তা দেখে বললেন, আল্লাহর কসম! আমি অবশ্যই (এই বিষয়টি) রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দৃষ্টি গোচরে আনব। যদি খোরপোষ আমার প্রাপ্য হয় তবে তা আমি এই পরিমাণ উসূল করব। যাতে আমার প্রয়োজন পূরণ হয়। আর যদি খোরপোষ আমার প্রাপ্য না-ই হয় তাহলে আমি তার নিকট থেকে কিছুই গ্রহণ করব না। তিনি বলেন, এরপর আমি বিষয়টি রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকটে উত্থাপন করলাম। তিনি আমাকে বললেন, তোমার জন্য কোন খোরপোষ নেই, বাসস্থানও নেই।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ، - يَعْنِي ابْنَ أَبِي حَازِمٍ وَقَالَ قُتَيْبَةُ أَيْضًا حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ، - يَعْنِي ابْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْقَارِيَّ - كِلاَهُمَا عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ أَبِي، سَلَمَةَ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّهُ طَلَّقَهَا زَوْجُهَا فِي عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَكَانَ أَنْفَقَ عَلَيْهَا نَفَقَةَ دُونٍ فَلَمَّا رَأَتْ ذَلِكَ قَالَتْ وَاللَّهِ لأُعْلِمَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَإِذَا كَانَ لِي نَفَقَةٌ أَخَذْتُ الَّذِي يُصْلِحُنِي وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لِي نَفَقَةٌ لَمْ آخُذْ مِنْهُ شَيْئًا قَالَتْ فَذَكَرْتُ ذَلِكَ لِرَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ لاَ نَفَقَةَ لَكِ وَلاَ سُكْنَى ‏"‏ ‏.‏


Fatima bint Qais reported that her husband divorced her during the life time of Allah's Prophet (ﷺ) and gave her a meagre maintenance allowance. When she saw that, she said: By Allah, I will inform Allah's Messenger (ﷺ), and if maintenance allowance is due to me then I will accept that which will suffice me, and if it is not due to me, I will not accept anything from him. She said: I made a mention of that to Allah's Messenger (ﷺ) and he said: There is neither maintenance allowance for you nor lodging.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৬৬। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) ... দাহহাক ইবনু কায়সের ভগ্নী ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, তার স্বামী আবূ হাফস ইবনু মুগীরা (রাঃ) তাকে একত্রে তিন তালাক প্রদান করেন। এরপর তিনি ইয়ামন চলে যান। তখন তার (আবূ আমরের) পরিবারের লোকজন তাকে (ফাতিমাকে) বলল, তোমার জন্য আমাদের দায়িত্বে কোন খোরপোষ নেই। এরপর খালিদ ইবনু ওয়ালীদ (রাঃ) একদল লোকসহ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এলেন। তখন তিনি মায়মুনা (রাঃ) এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। তারা বললেন, (ইয়া রাসুলাল্লাহা) আবূ হাফস তার স্ত্রীকে তিন তালাক দিয়েছেন। এখন তার স্ত্রী কি খোরপোষ পাবে? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ না, তার জন্য কোন খোরপোষ নেই। তার উপর ইদ্দত পালন করা ওয়াজিব।

তিনি তাকে বলে পাঠালেন যে, তুমি আমাকে না জানিয়ে বিবাহের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না। তিনি তাকে ইদ্দত পালনের জন্য উম্মু শারীকের ঘরে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন। এরপর তিনি তাকে লোক মারফত জানিয়ে দিলেন যে, উম্মু শারীক এমন একজন মহিলা যার কাছে প্রাথমিক হিজরতকারী সাহাবীগণ আসা যাওয়া করে থাকেন। সুতরাং তুমি অন্ধ ইবনু উম্মু মাকতুমের ঘরে চলে যাও। কারণ সেখানে তুমি প্রয়োজনবোধে তোমার দোপাট্টা (ওড়না) নামিয়ে রাখলে সে তোমাকে দেখতে পাবে না। যখন তার ইদ্দত পূর্ণ হল, তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামা ইবনু যায়িদ ইবনু হারিসা (রাঃ) এর সঙ্গে তাঁকে বিয়ে দিয়ে দিলেন।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا حُسَيْنُ بْنُ مُحَمَّدٍ، حَدَّثَنَا شَيْبَانُ، عَنْ يَحْيَى، - وَهُوَ ابْنُ أَبِي كَثِيرٍ - أَخْبَرَنِي أَبُو سَلَمَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ، أُخْتَ الضَّحَّاكِ بْنِ قَيْسٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّ أَبَا حَفْصِ بْنَ الْمُغِيرَةِ الْمَخْزُومِيَّ طَلَّقَهَا ثَلاَثًا ثُمَّ انْطَلَقَ إِلَى الْيَمَنِ فَقَالَ لَهَا أَهْلُهُ لَيْسَ لَكِ عَلَيْنَا نَفَقَةٌ ‏.‏ فَانْطَلَقَ خَالِدُ بْنُ الْوَلِيدِ فِي نَفَرٍ فَأَتَوْا رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فِي بَيْتِ مَيْمُونَةَ فَقَالُوا إِنَّ أَبَا حَفْصٍ طَلَّقَ امْرَأَتَهُ ثَلاَثًا فَهَلْ لَهَا مِنْ نَفَقَةٍ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ لَيْسَتْ لَهَا نَفَقَةٌ وَعَلَيْهَا الْعِدَّةُ ‏"‏ ‏.‏ وَأَرْسَلَ إِلَيْهَا ‏"‏ أَنْ لاَ تَسْبِقِينِي بِنَفْسِكِ ‏"‏ ‏.‏ وَأَمَرَهَا أَنْ تَنْتَقِلَ إِلَى أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ أَرْسَلَ إِلَيْهَا ‏"‏ أَنَّ أُمَّ شَرِيكٍ يَأْتِيهَا الْمُهَاجِرُونَ الأَوَّلُونَ فَانْطَلِقِي إِلَى ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَإِنَّكِ إِذَا وَضَعْتِ خِمَارَكِ لَمْ يَرَكِ ‏"‏ ‏.‏ فَانْطَلَقَتْ إِلَيْهِ فَلَمَّا مَضَتْ عِدَّتُهَا أَنْكَحَهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أُسَامَةَ بْنَ زَيْدِ بْنِ حَارِثَةَ.


Abu Salama reported that Fatima bint Qais, the sister of al-Dahhak b. Qais informed him that Abu Hafs b. Mughira al-Makhzumi divorced her three times and then he proceeded on to the Yemen. The members of his family said to her: There is no maintenance allowance due to you from us. Khalid b. Walid along with a group of persons visited Allah's Messenger (ﷺ) in the house of Maimuna and they said: Abu Hafs has divorced his wife with three pronouncements; is there any maintenance allowance due to her? Thereupon Allah's Messenger (ﷺ) said: No maintenance allowance is due to her, but she is required to spend the 'Idda; and he sent her the message that she should not be hasty in making a decision about herself and commanded her to move to the house of Umm Sharik, and then sent her the message that as the first immigrants (frequently) visit the house of Umm Sharik, she should better go to the house of Ibn Umm Maktum, the blind, (and further said: In case you put off your head-dress, he (Ibn Umm Makhtum) will not see you. So she went to his house, and when the 'Idda was over, Allah's Messenger (ﷺ) married her to Usama b. Zaid b. Haritha.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৬৭। ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ, ইবনু হুজর ও আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) ... মুহাম্মাদ ইবনু আমর আবু সালামা হতে এবং তিনি ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বনু মাখযুমের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলাম। তিনি আমাকে বায়িন তালাক দিলেন। তখন আমি তার পরিবার পরিজনের কাছে লোক পাঠিয়ে খোরপোষের দাবী জানানাম। এরপর তারা (বর্ণনাকারীত্রয়) আবূ সালমার সুত্রে ইয়াহইয়া ইবনুু কাসীরের হাদীসের অনুরূপ বর্ণনা করেন। তবে মুহাম্মদ ইবনু আমর বর্ণিত হাদীসে আছে “আমাকে বাদ দিয়ে তুমি তোমার সম্পর্কে কোন সিদ্ধান্ত নিও না।”

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالُوا حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، - يَعْنُونَ ابْنَ جَعْفَرٍ - عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، ح وَحَدَّثَنَاهُ أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بِشْرٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، حَدَّثَنَا أَبُو سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَ كَتَبْتُ ذَلِكَ مِنْ فِيهَا كِتَابًا قَالَتْ كُنْتُ عِنْدَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَطَلَّقَنِي الْبَتَّةَ فَأَرْسَلْتُ إِلَى أَهْلِهِ أَبْتَغِي النَّفَقَةَ ‏.‏ وَاقْتَصُّوا الْحَدِيثَ بِمَعْنَى حَدِيثِ يَحْيَى بْنِ أَبِي كَثِيرٍ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ ‏.‏ غَيْرَ أَنَّ فِي حَدِيثِ مُحَمَّدِ بْنِ عَمْرٍو ‏ "‏ لاَ تَفُوتِينَا بِنَفْسِكِ ‏"‏ ‏.‏


Fatima bint Qais reported: I had been married to a person from Banu Makhzum and he divorced me with irrevocable divorce. I sent a message to his family asking for maintenance allowance, and the rest of the hadith has been transmitted with a slight change of words.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৬৮। হাসান ইবনু আলী হুলওয়ানী ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) বর্ণনা করেন যে, তিনি আবূ আমর ইবনু হাফস ইবনু মুগীরা (রাঃ) এর স্ত্রী ছিলেন। তিনি তাকে চুড়ান্ত তিন তালাক দিলেন। তখন তিনি [ফাতিমা বিনত কায়স (রা)] বলেন যে, তিনি রাসুলল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে যাবেন এবং তার স্বামীর ঘর থেকে অন্যত্র অবস্থানের ব্যাপারে তাঁর নিকট থেকে সিদ্ধান্ত জেনে নিবেন। তিনি (রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নির্দেশ দিলেন যে, তুমি অন্ধ ইবনু উম্মু মাকতুমের ঘরে চলে যাও। মারওয়ান (উমাইয়্যা গভর্নর) তালাকপ্রাপ্তা মহিলার (স্বামীর) ঘর থেকে বের হওয়ার ব্যাপারে তার (আবু সালামার) বর্ণনার সত্যতা অস্বীকার করেন। উরওয়া (রহঃ) বলেন, আয়িশা (রাঃ) ও ফাতিমা বিনত কায়সের বিষয়টি (স্বামীর ঘর ছেড়ে অন্যত্র অবস্থান করা) প্রত্যাখ্যান করেছেন।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَعَبْدُ بْنُ حُمَيْدٍ، جَمِيعًا عَنْ يَعْقُوبَ بْنِ إِبْرَاهِيمَ، بْنِ سَعْدٍ حَدَّثَنَا أَبِي، عَنْ صَالِحٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، أَنَّ أَبَا سَلَمَةَ بْنَ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ، أَخْبَرَهُ أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ قَيْسٍ أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، كَانَتْ تَحْتَ أَبِي عَمْرِو بْنِ حَفْصِ بْنِ الْمُغِيرَةِ فَطَلَّقَهَا آخِرَ ثَلاَثِ تَطْلِيقَاتٍ فَزَعَمَتْ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَسْتَفْتِيهِ فِي خُرُوجِهَا مِنْ بَيْتِهَا فَأَمَرَهَا أَنْ تَنْتَقِلَ إِلَى ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَأَبَى مَرْوَانُ أَنْ يُصَدِّقَهُ فِي خُرُوجِ الْمُطَلَّقَةِ مِنْ بَيْتِهَا وَقَالَ عُرْوَةُ إِنَّ عَائِشَةَ أَنْكَرَتْ ذَلِكَ عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ.‏


Fatima bint Qais (Allah be pleased with her) reported that she had been married to Abu 'Amr b. Hafs b. al-Mughira and he divorced her with three pronouncements. She stated that she went to Allah's Messenger (ﷺ) asking him about abandoning that house. He commanded her to move to the house of Ibn Umm Maktum, the blind. Marwan refused to testify the divorced woman abandoning her house (before the 'Idda was over). 'Urwa said that 'A'isha objected to (the words of) Fatima bint Qais.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৭৪। মুহাম্মাদ ইবনুল মুসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) এর সুত্রে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে তিন তালাকপ্রাপ্তা মহিলা সম্পর্কে বর্ণিত। তিনি (নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, তার জন্য বাসস্থান ও খোরপোষ কোনটাই নেই।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، وَابْنُ، بَشَّارٍ قَالاَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ سَلَمَةَ بْنِ كُهَيْلٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فِي الْمُطَلَّقَةِ ثَلاَثًا قَالَ ‏ "‏ لَيْسَ لَهَا سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏


Fatima bint Qais (Allah be pleased with her) reported from Allah's Messenger (ﷺ) that there is no lodging and maintenance allowance for a woman who has been given irrevocable divorce.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৭৫। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম হানযালী (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিলেন। এতে আমি তার ঘর থেকে অন্যত্র চলে যাওয়ার ইচ্ছা করলাম। এক পর্যায়ে আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে গেলাম। তিনি বললেন, তুমি তোমার চাচাত ভাই আমর ইবনু উম্মু মাকতুমের বাড়ীতে চলে যাও এবং তাঁর ঘরেই ইদ্দত পালন করতে থাক।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِي إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ الْحَنْظَلِيُّ، أَخْبَرَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا عَمَّارُ بْنُ، رُزَيْقٍ عَنْ أَبِي إِسْحَاقَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ طَلَّقَنِي زَوْجِي ثَلاَثًا فَأَرَدْتُ النُّقْلَةَ فَأَتَيْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَقَالَ ‏ "‏ انْتَقِلِي إِلَى بَيْتِ ابْنِ عَمِّكِ عَمْرِو بْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَاعْتَدِّي عِنْدَهُ ‏"‏ ‏.‏


Fatima bint Qais (Allah be pleased with her) reported: My husband divorced me with three pronouncements. I decided to move (from his house to another place). So I came to Allah's Messenger (ﷺ), and he said: Move to the house of your cousin 'Amr b. Umm Maktum and spend your period of 'Idda there.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৮২। হাসান ইবনু আলী হুলওয়ানি (রহঃ) ... ফাতিমা বিনতে কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিলেন। এরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার জন্য বাসস্থান এবং খোরপোষের ফয়সালা দেন নি।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

وَحَدَّثَنِي حَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ آدَمَ، حَدَّثَنَا حَسَنُ بْنُ صَالِحٍ، عَنِ السُّدِّيِّ، عَنِ الْبَهِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ طَلَّقَنِي زَوْجِي ثَلاَثًا فَلَمْ يَجْعَلْ لِي رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم سُكْنَى وَلاَ نَفَقَةً ‏.‏


Fatima bint Qais (Allah be pleased with her) reported: My husband divorced me with three pronouncements and Allah's Messenger (ﷺ) made no provision for lodging and maintenance allowance.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ৫. বায়িন তালাকপ্রাপ্তা স্ত্রীর জন্য খোরপোষ নেই

৩৫৮৪। মুহাম্মদ ইবনুল মূসান্না (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বললাম ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার স্বামী আমাকে তিন তালাক দিয়েছেন, আমার আশংকা হয় যে, তিনি আমার উপর চড়াও হবেন। তখন তিনি তাকে অন্যত্র চলে যাওয়ার নির্দেশ দিলেন এবং তিনি চলে গেলেন।

باب الْمُطَلَّقَةُ ثَلاَثًا لاَ نَفَقَةَ لَهَا ‏‏

وَحَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، حَدَّثَنَا هِشَامٌ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ فَاطِمَةَ، بِنْتِ قَيْسٍ قَالَتْ قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ زَوْجِي طَلَّقَنِي ثَلاَثًا وَأَخَافُ أَنْ يُقْتَحَمَ عَلَىَّ ‏.‏ قَالَ فَأَمَرَهَا فَتَحَوَّلَتْ ‏.‏


Fatima bint Qais (Allah be pleased with her) reported that she said: Allah's Messenger, my husband has divorcee me with three pronouncements and I am afraid that I may be put to hardship, and so he commanded her and so she moved (to another house).


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা করা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহন, এবং মন্দ লোকদের অবস্থান, তাদের মূর্তিপূজা, শিঙ্গায় ফুৎকার এবং কবর থেকে সকলের উত্থান

৭১২১। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী ও আহমাদ ইবনু উসমান নাওফিলী (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তামীমদারী আসল এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এ মর্মে অবগত করল যে, একদা সে সমুদ্রে নৌযান আরোহণ করল। তখন তার জাহাজ পথ হারিয়ে এক দ্বীপে গিয়ে ভিড়ল। অতঃপর সে পানির উদ্দেশ্যে দ্বীপ অভ্যন্তরে প্রবেশ করল। সেখানে পৌছে সে এমন এক ব্যক্তিকে দেখল, যে তার লোম টানছিল ...... অতঃপর তিনি হাদীসের পূর্ণ রূপে বর্ণনা করলেন।

তবে এতে এও রয়েছে যে, সে (দাজ্জাল) বলবে, আমাকে যদি বের হওয়ার অনুমতি প্রদান করা হয় তবে আমি তায়বা ব্যতীত সমগ্র পৃথিবী প্রদক্ষিণ করব। অতঃপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তামীমদারীকে লোকদের মাঝে নিয়ে এলেন এবং সে তাদেরকে পূর্ণ বৃত্তান্ত বর্ণনা করে শুনালেন। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এই তায়বা এবং ঐ ব্যক্তই দাজ্জাল।

بَاب فِي خُرُوجِ الدَّجَّالِ وَمُكْثِهِ فِي الْأَرْضِ وَنُزُولِ عِيسَى وَقَتْلِهِ إِيَّاهُ

وَحَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ الْحُلْوَانِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عُثْمَانَ النَّوْفَلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا وَهْبُ، بْنُ جَرِيرٍ حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ غَيْلاَنَ بْنَ جَرِيرٍ، يُحَدِّثُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ، قَيْسٍ قَالَتْ قَدِمَ عَلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم تَمِيمٌ الدَّارِيُّ فَأَخْبَرَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ رَكِبَ الْبَحْرَ فَتَاهَتْ بِهِ سَفِينَتُهُ فَسَقَطَ إِلَى جَزِيرَةٍ فَخَرَجَ إِلَيْهَا يَلْتَمِسُ الْمَاءَ فَلَقِيَ إِنْسَانًا يَجُرُّ شَعَرَهُ ‏.‏ وَاقْتَصَّ الْحَدِيثَ وَقَالَ فِيهِ ثُمَّ قَالَ أَمَا إِنَّهُ لَوْ قَدْ أُذِنَ لِي فِي الْخُرُوجِ قَدْ وَطِئْتُ الْبِلاَدَ كُلَّهَا غَيْرَ طَيْبَةَ ‏.‏ فَأَخْرَجَهُ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِلَى النَّاسِ فَحَدَّثَهُمْ قَالَ ‏ "‏ هَذِهِ طَيْبَةُ وَذَاكَ الدَّجَّالُ ‏"‏ ‏.‏


Tamim Dari came to Allah's Messenger (ﷺ) and informed Allah's Messenger (ﷺ) that he sailed in an ocean and his ship lost direction and thus landed at an island. They moved about in that land in search of water. There they saw a person who had been pulling his hair. The rest of the hadith is the same. And he (Dajjal) said: If I were to be permitted to set out I would have covered all the lands except Taiba. Then Allah's Messenger (ﷺ) brought (Tamim Dari) before the public and he narrated to them and said: That is Taiba and that is the Dajjal.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২০. দাজ্জালের আত্মপ্রকাশ এবং দুনিয়াতে তার অবস্থান, ঈসা (আঃ) এর অবতরণ এবং তার দ্বারা দাজ্জালকে হত্যা করা, দুনিয়া থেকে ভাল লোক এবং ঈমানের বিদায় গ্রহন, এবং মন্দ লোকদের অবস্থান, তাদের মূর্তিপূজা, শিঙ্গায় ফুৎকার এবং কবর থেকে সকলের উত্থান

৭১২২। আবূ বকর ইবনু ইসহাক (রহঃ) ... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মিম্বরে বসে বললেন, হে লোক সকল! তামীমদারী আমার নিকট বর্ণনা করেছে যে, এক সময় তার গোত্রের কতিপয় লোক জাহাজে করেসমুদ্রে ভ্রমণ করাছিল। অতঃপর তাদের জাহাজটি ভেঙ্গে যায়। তখন তাদের কেউ কেউ জাহাজের কাঠে চড়ে সাগরের কোন দ্বীপে গিয়ে পৌছে ...... অতঃপর আবূ যিনাদ হাদীসটি অনুরূপ বর্ণনা করেছেন।

بَاب فِي خُرُوجِ الدَّجَّالِ وَمُكْثِهِ فِي الْأَرْضِ وَنُزُولِ عِيسَى وَقَتْلِهِ إِيَّاهُ

حَدَّثَنِي أَبُو بَكْرِ بْنُ إِسْحَاقَ، حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ بُكَيْرٍ، حَدَّثَنَا الْمُغِيرَةُ، - يَعْنِي الْحِزَامِيَّ - عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَعَدَ عَلَى الْمِنْبَرِ فَقَالَ ‏ "‏ أَيُّهَا النَّاسُ حَدَّثَنِي تَمِيمٌ الدَّارِيُّ أَنَّ أُنَاسًا مِنْ قَوْمِهِ كَانُوا فِي الْبَحْرِ فِي سَفِينَةٍ لَهُمْ فَانْكَسَرَتْ بِهِمْ فَرَكِبَ بَعْضُهُمْ عَلَى لَوْحٍ مِنْ أَلْوَاحِ السَّفِينَةِ فَخَرَجُوا إِلَى جَزِيرَةٍ فِي الْبَحْرِ ‏"‏ ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ


Fatima b. Qais reported that Allah's Messenger (ﷺ) sat on the pulpit and said: O people, Tamim Dari has reported to me that some persons of his tribe sailed in the ocean in a boat and it capsised and then some of them travelled on one of the planks of the boat and they went to an island in the ocean. The rest of the hadith is the same.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ২৫৬ : যে সব কারণে গীবত বৈধ

৩/১৫৪১। ফাতেমাহ বিন্তে ক্বাইস রাদিয়াল্লাহু আনহা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে নিবেদন করলাম, ’আবুল জাহাম ও মুয়াবিয়াহ আমাকে বিবাহের প্রস্তাব দিয়েছেন। [এ ক্ষেত্রে আমি কি করব?]’ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ’’মুআবিয়াহ তো গরীব মানুষ, তার নিকট মালধনই নেই। আর আবুল জাহম, সে তো নিজ কাঁধ হতে লাঠিই নামাই না।’’ (বুখারী ও মুসলিম) [1]

মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, ’আবুল জাহাম তো স্ত্রীদেরকে অত্যন্ত মারধর করে।’ আর এই বর্ণনাটি ’সে তো নিজ কাঁধ হতে লাঠিই নামায় না’--এর ব্যাখ্যা স্বরূপ। কারো মতে তার অর্থ, সে অধিকাংশ সময় সফরে থাকে।

(256) بَابُ بَيَانِ مَا يُبَاحُ مِنَ الْغِيْبَةِ

وَعَنْ فَاطِمَةَ بِنتِ قَيسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا، قَالَتْ : أَتَيتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم، فَقُلْتُ : إِنَّ أَبَا الجَهْمِ وَمُعَاوِيَةَ خَطَبَانِي ؟ فَقَالَ رَسُول اللهِ صلى الله عليه وسلم : «أَمَّا مُعَاوِيَةُ، فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ، وَأَمَّا أَبُو الجَهْمِ، فَلاَ يَضَعُ العَصَا عَنْ عَاتِقِهِ». متفق عَلَيْهِ

(256) Chapter: Some cases where it is permissible to Backbite


Fatimah bint Qais (May Allah be pleased with her) said: I came to the Prophet (ﷺ) and said to him: "Muawiyah and Abul-Jahm sent me a proposal of marriage." The Messenger of Allah (ﷺ) said, "Muawiyah is destitute and he has no property, and Abul-Jahm is very hard on women." [Bukhari and Muslim]. Commentary: We learn from this Hadith that it is permissible to mention the true facts, virtues and vices without equivocation, about the parties who intend to enter into wedlock provided one does it for their welfare.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।

২২৭৮. আল্ কা’নবী ..... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নিশ্চই আবূ আমর ইবন হাফস তাকে তিন তালাক বায়েন প্রদান করেন এমতাবস্থায় যে, তিনি অনুপস্থিত ছিলেন। এরপর তিনি তার উকিল মারফত তার (ফাতিমার) নিকট কিছু আটা প্রেরণ করেন, যাতে তিনি অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আল্লার শপথ! এর অধিক তোমার কিছুই আমার নিকট পাওনা নেই। তিনি রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে এ সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করেন। তিনি বলেন, তার নিকট তোমার কিছুই পাওনা নেই। এরপর তিনি তাকে উম্মে শুরায়কের ঘরে অবস্থানপূর্বক তার ইদ্দত পূর্ণ করার নির্দেশ দেন।

এরপর তিনি বলেন, এ স্ত্রীলোকটি তার অধিক খরচের দ্বারা আমার সাহাবীকে ঢেকে ফেলেছে। তুমি উম্মে মাক্‌তুমের ঘরে অবস্থান কর, আর সে হল একজন অন্ধ লোক, কাজেই সে তোমাকে দেখবে না। এরপর তুমি যখন তোমার ইদ্দত পূর্ণ করবে, তখন আমাকে এ সম্পর্কে খবর দিবে। তিনি বলেন, এরপর আমি আমার ইদ্দত পূর্ণ করে তাঁকে এ সম্পর্কে অবহিত করি এবং বলি যে, মু’আবিয়া ইবন আবূ সুফিয়ান ও আবূ জাহাম উভয়ে আমার নিকট আমাকে বিবাহের উদ্দেশ্যে পয়গাম পাঠিয়েছে।

রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আবূ জাহাম তো তার কাঁধ হতে লাঠি সরায় না (অর্থাৎ অধিক মারধরকারী)। আর মু’আবিয়া সে তো ফকীর এবং তার কোন মাল নেই। তুমি বরং উসামা ইবন যায়িদকে বিবাহ করো। তিনি বলেন, তা আমার নিকট অপছন্দনীয় মনে হয়। তিনি পুনরায় বলেন, তুমি উসামা ইবন যায়িদকে বিবাহ করো। এরপর তিনি তাকে বিবাহ করেন। এরপর আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য এতে এত মঙ্গল প্রদান করেন, যা অন্যের জন্য ঈর্ষার বস্তুত পরিনত হয়।

باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ

حَدَّثَنَا الْقَعْنَبِيُّ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ يَزِيدَ، مَوْلَى الأَسْوَدِ بْنِ سُفْيَانَ عَنْ أَبِي سَلَمَةَ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ أَبَا عَمْرِو بْنَ حَفْصٍ، طَلَّقَهَا الْبَتَّةَ وَهُوَ غَائِبٌ فَأَرْسَلَ إِلَيْهَا وَكِيلَهُ بِشَعِيرٍ فَتَسَخَّطَتْهُ فَقَالَ وَاللَّهِ مَا لَكِ عَلَيْنَا مِنْ شَىْءٍ ‏.‏ فَجَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ ذَلِكَ لَهُ فَقَالَ لَهَا ‏"‏ لَيْسَ لَكِ عَلَيْهِ نَفَقَةٌ ‏"‏ ‏.‏ وَأَمَرَهَا أَنْ تَعْتَدَّ فِي بَيْتِ أُمِّ شَرِيكٍ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ إِنَّ تِلْكَ امْرَأَةٌ يَغْشَاهَا أَصْحَابِي اعْتَدِّي فِي بَيْتِ ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ فَإِنَّهُ رَجُلٌ أَعْمَى تَضَعِينَ ثِيَابَكِ وَإِذَا حَلَلْتِ فَآذِنِينِي ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَلَمَّا حَلَلْتُ ذَكَرْتُ لَهُ أَنَّ مُعَاوِيَةَ بْنَ أَبِي سُفْيَانَ وَأَبَا جَهْمٍ خَطَبَانِي فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ أَمَّا أَبُو جَهْمٍ فَلاَ يَضَعُ عَصَاهُ عَنْ عَاتِقِهِ وَأَمَّا مُعَاوِيَةُ فَصُعْلُوكٌ لاَ مَالَ لَهُ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ ‏"‏ ‏.‏ قَالَتْ فَكَرِهْتُهُ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ انْكِحِي أُسَامَةَ بْنَ زَيْدٍ ‏.‏ فَنَكَحْتُهُ فَجَعَلَ اللَّهُ تَعَالَى فِيهِ خَيْرًا كَثِيرًا وَاغْتَبَطْتُ بِهِ ‏.‏


Abu Salamah bin ‘Abd Al Rahman reported on the authority of Fatimah daughter of Qais Abu ‘Amr bin Hafs divorced her (Fatimah daughter of Qais) absolutely when he was away from home and his agent sent her home barley. She was displeased with it. He said “I swear by Allah, you have no claim on us. She then came to Apostle of Allah (ﷺ) and mentioned that to him. He said to her “No maintenance is due to you from him. He ordered her to spend the waiting period in the house of Umm Sharik but he said afterwards “that is a woman whom my Companions visit. Spend the waiting period in the house of Ibn Umm Maktum for he is blind and you can undress. Then when you are in a position of being remarried, tell me.” She said “When I was in a position to remarry, I mentioned to him that Mu’awiyah bin Abi Sufyan and Abu Jahm had asked me in marriage. The Apostle of Allah (ﷺ)said “As for Abu Jahm, he does not put down his stick from his shoulder, and as for Mu’awiyah he is a poor man who has no property; marry Usamah bin Zaid. I disliked him but he said “Marry Usamah bin Zaid. So, I married him. And Allah prospered him very much and I was envied.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।

২২৮১. কুতায়বা ইবন সাঈদ ..... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি বনী মাখযূম গোত্রের জনৈক ব্যক্তির স্ত্রী ছিলাম। তবে সেখানে এরূপ উল্লেখ আছে যে, সে যেন কারও নিকট বিবাহের পয়গাম প্রেরণ না করে।

ইমাম আবূ দাঊদ (রহঃ) বলেন, এভাবেই হাদীসটি শা’বী, বাহী ও আতা (রহঃ) আবদুর রহমান ইবন আসিম, আবূ বকর ইবন আবূ জাহাম হতে, যারা সকলেই ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) হতে বর্ণনা করেছেন যে, তার স্বামী তাকে তিন তালাক দেন।

باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ

حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنَّ إِسْمَاعِيلَ بْنَ جَعْفَرٍ، حَدَّثَهُمْ حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَمْرٍو، عَنْ يَحْيَى، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ كُنْتُ عِنْدَ رَجُلٍ مِنْ بَنِي مَخْزُومٍ فَطَلَّقَنِي الْبَتَّةَ ثُمَّ سَاقَ نَحْوَ حَدِيثِ مَالِكٍ قَالَ فِيهِ ‏ "‏ وَلاَ تَفُوتِينِي بِنَفْسِكِ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ الشَّعْبِيُّ وَالْبَهِيُّ وَعَطَاءٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَاصِمٍ وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي الْجَهْمِ كُلُّهُمْ عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ أَنَّ زَوْجَهَا طَلَّقَهَا ثَلاَثًا ‏.‏


Fatimah daughter of Qais said “I was married to a man of Banu Makhzum. He divorced me absolutely. The narrator then transmitted the rest of the tradition like that of Malik. This version has “Do not marry yourself without my permission.” Abu Dawud said Al Sha’bi, Al Bahiyy and ata from abd Al Rahman bin asim and Abu Bakr bin Abi Al Jahm all narrated on the authority of Fatimah daughter of Qais that her husband had divorced her three times.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।

২২৮২. মুহাম্মদ ইবন কাসীর ...... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তার স্বামী তাকে তিন তালাক প্রদান করেন। তখন নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থাকার ও খোরপোষের জন্য কিছুই নির্ধারিত করেননি।

باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ، حَدَّثَنَا سَلَمَةُ بْنُ كُهَيْلٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ زَوْجَهَا، طَلَّقَهَا ثَلاَثًا فَلَمْ يَجْعَلْ لَهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم نَفَقَةً وَلاَ سُكْنَى ‏.‏


The tradition mentioned above has also been transmitted by Al Sha’bi through a different chain of narrators. This version has “The husband of Fathima daughter of Qais pronounced her triple divorce. The Prophet (ﷺ) did not allow her to have maintenance and dwelling.”


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৮২. তালাকে বায়েনপ্রাপ্তা মহিলার খোরপোষ।

২২৮৩. ইয়াযীদ ইবন খালিদ ..... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, তিনি আবূ হাফস ইবন আল-মুগীরার স্ত্রী ছিলেন। এরপর আবূ হাফস ইবন আল-মুগীরা তাকে তিন তালাক (বায়েন) দেন। তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে তার ঘর হতে বহির্গত হওয়া সম্পর্কে ফাওয়া জিজ্ঞাসা করেন। তিনি তাকে ইবন উম্মে মাকতুমের ঘরে (যিনি অন্ধ ছিলেন) গিয়ে থাকার নির্দেশ দেন। রাবী মারওয়ান ইবন হাকাম, তালকপ্রাপ্তা মহিলার জন্য তার ঘর হতে বহিষ্কার সম্পর্কিত ফাতিমা বর্ণিত হাদীসটিকে সত্য বলে গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছেন। রাবী উরওয়া বলেন, আয়েশা (রাঃ) ও ফাতিমা বিন্ত কায়সের হাদীসকে অস্বীকার করেছেন।

باب فِي نَفَقَةِ الْمَبْتُوتَةِ

حَدَّثَنَا يَزِيدُ بْنُ خَالِدٍ الرَّمْلِيُّ، حَدَّثَنَا اللَّيْثُ، عَنْ عُقَيْلٍ، عَنِ ابْنِ شِهَابٍ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّهَا أَخْبَرَتْهُ أَنَّهَا، كَانَتْ عِنْدَ أَبِي حَفْصِ بْنِ الْمُغِيرَةِ وَأَنَّ أَبَا حَفْصِ بْنَ الْمُغِيرَةِ طَلَّقَهَا آخِرَ ثَلاَثِ تَطْلِيقَاتٍ فَزَعَمَتْ أَنَّهَا جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَاسْتَفْتَتْهُ فِي خُرُوجِهَا مِنْ بَيْتِهَا فَأَمَرَهَا أَنْ تَنْتَقِلَ إِلَى ابْنِ أُمِّ مَكْتُومٍ الأَعْمَى فَأَبَى مَرْوَانُ أَنْ يُصَدِّقَ حَدِيثَ فَاطِمَةَ فِي خُرُوجِ الْمُطَلَّقَةِ مِنْ بَيْتِهَا ‏.‏ قَالَ عُرْوَةُ وَأَنْكَرَتْ عَائِشَةُ - رضى الله عنها - عَلَى فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَكَذَلِكَ رَوَاهُ صَالِحُ بْنُ كَيْسَانَ وَابْنُ جُرَيْجٍ وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ كُلُّهُمْ عَنِ الزُّهْرِيِّ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَشُعَيْبُ بْنُ أَبِي حَمْزَةَ وَاسْمُ أَبِي حَمْزَةَ دِينَارٌ وَهُوَ مَوْلَى زِيَادٍ ‏.‏


Abu Salamah reported on the authority of Fatimah daughter of Qays who said to him that she was the wife of AbuHafs ibn al-Mughirah who divorced her by three pronouncements. She said that she came to the Messenger of Allah (ﷺ) and sought his opinion about her going out from her house. He commanded her to shift to (the house of )Ibn Umm Maktum who was blind. Marwan denied to confirm the tradition of Fatimah about the going out of a divorced woman from her house. Urwah said: Aisha objected to Fatimah daughter of Qays. Abu Dawud said: Salih b. Kaisan, Ibn Juraij, and Shu'aib b. Abi Hamzah -- all of them narrated on the authority of al-Zuhru in a similar way. Abu Dawud said: Shu'aibn b. Abi Hamzah the name of Abu Hamzah is Dinar. He is a client of Ziyad.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।

৪২৭৪. নুফায়লী (রহঃ) .... ফাতিমা বিন্‌ত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদিন রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঈশার সালাত আদায়ে বিলম্ব করেন। এরপর তিনি বের হয়ে বলেনঃ তামীম দারীর বর্ণিত ঘটনা শুনতে গিয়ে আমার দেরী হয়ে গেছে। তা হলোঃ জনৈক ব্যক্তি জাহাজ যোগে ভ্রমণকালে, তুফানের ফলে সেটি সমুদ্রের কোন এক উপকূলে গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে এক মহিলার দেখা পায়, যে তার নিজের মাথায় চুল ধরে টানছিল। এ অবস্থা দেখে সে ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করেঃ তুমি কে? সে বলেঃ আমি একজন গোয়েন্দা। তুমি এ প্রাসাদের দিকে চল। তখন আমি সেখানে গিয়ে দেখি যে, আসমান ও যমীনের মাঝখানে, শিকলে আবদ্ধ একটি লোক, যে তার নিজের চুল ধরে টেনে ছিঁড়ছে।

باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ

حَدَّثَنَا النُّفَيْلِيُّ، حَدَّثَنَا عُثْمَانُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ، عَنِ الزُّهْرِيِّ، عَنْ أَبِي سَلَمَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم أَخَّرَ الْعِشَاءَ الآخِرَةَ ذَاتَ لَيْلَةٍ ثُمَّ خَرَجَ فَقَالَ ‏ "‏ إِنَّهُ حَبَسَنِي حَدِيثٌ كَانَ يُحَدِّثُنِيهِ تَمِيمٌ الدَّارِيُّ عَنْ رَجُلٍ كَانَ فِي جَزِيرَةٍ مِنْ جَزَائِرِ الْبَحْرِ فَإِذَا أَنَا بِامْرَأَةٍ تَجُرُّ شَعْرَهَا قَالَ مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ اذْهَبْ إِلَى ذَلِكَ الْقَصْرِ فَأَتَيْتُهُ فَإِذَا رَجُلٌ يَجُرُّ شَعْرَهُ مُسَلْسَلٌ فِي الأَغْلاَلِ يَنْزُو فِيمَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالأَرْضِ فَقُلْتُ مَنْ أَنْتَ قَالَ أَنَا الدَّجَّالُ خَرَجَ نَبِيُّ الأُمِّيِّينَ بَعْدُ قُلْتُ نَعَمْ ‏.‏ قَالَ أَطَاعُوهُ أَمْ عَصَوْهُ قُلْتُ بَلْ أَطَاعُوهُ ‏.‏ قَالَ ذَاكَ خَيْرٌ لَهُمْ ‏"‏ ‏.‏


Narrated Fatimah, daughter of Qays: The Messenger of Allah (ﷺ) once delayed the congregational night prayer. He came out and said: The talk of Tamim ad-Dari detained me. He transmitted it to me from a man who was on of of the islands of the sea. All of a sudden he found a woman who was trailing her hair. He asked: Who are you? She said: I am the Jassasah. Go to that castle. So I came to it and found a man who was trailing his hair, chained in iron collars, and leaping between Heaven and Earth. I asked: Who are you? He replied: I am the Dajjal (Antichrist). Has the Prophet of the unlettered people come forth now? I replied: Yes. He said: Have they obeyed him or disobeyed him? I said: No, they have obeyed him. He said: That is better for them.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।

৪২৭৫. হাজ্জাজ ইব্‌ন ইয়াকুব (রহঃ) .... ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুআয্‌যিন-কে বলতে শুনি, ’সালাত একত্রকারী; (অর্থাৎ সালাতের জন্য একত্রিত হও।) এরপর আমি বের হয়ে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সঙ্গে সালাত আদায় করি। সালাত শেষে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাসি মুখে মিম্বরের উপর আরোহণ করে বলেনঃ সবাই নিজ-নিজ স্থানে বসে থাক। এরপর তিনি জিজ্ঞাসা করেনঃ তোমরা কি জান, কি জন্য আমি তোমাদের একত্রিত করেছি? তাঁরা বলেনঃ আল্লাহ্‌ এবং তাঁর রাসূল এ ব্যাপারে অধিক অবগত। তিনি বলেনঃ এখন আমি তোমাদের দীনের কাজে উৎসাহিত ও ভীতি প্রদর্শনের জন্য একত্রিত করিনি, বরং আমি তোমাদের (একটি ঘটনা শুনাবার জন্য) একত্রিত করেছি।

তাহলোঃ তামীমদারী খৃষ্টান ছিল, সে এসে বায়আত হয়ে ইসলাম কবূল করেছে। আমি দাজ্জাল সম্পর্কে তোমাদের কাছে যা বর্ণনা করেছি, সে বলেছেঃ একবার সে ’লাখাম’ ও ’জুযাম’ গোত্রের ত্রিশজন লোকের সাথে জাহাজ যোগে সমুদ্র ভ্রমণে বের হয়। এক মাস সমুদ্রে চলার পর তাদের জাহাজটি একটি দ্বীপে গিয়ে পৌছায়। সেখানে তাঁরা লম্বা চুল বিশিষ্ট একটি আশ্চর্য ধরনের প্রাণীর সাক্ষাৎ পায়। তারা তাকে বলেঃ তুমি ধ্বংস হও, তুমি কে? তখন সে বলেঃ আমি একজন গোয়েন্দা। তোমরা এই প্রসাদে অবস্থানকারী ব্যক্তির কাছে চলো; কেননা, সে তোমাদের খবরের জন্য খুবই উদগ্রীব।

রাবী বলেনঃ যখন সে আমাদের কাছে সে ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে, তখন আমরা সে প্রাণী সম্পর্কে শংকিত হয়ে পড়ি যে, হয়তো সে শয়তান। আমরা সেখান থেকে দ্রুত চলে যাই এবং উক্ত প্রসাদে প্রবেশ করি এবং সেখানে বিশাল আকৃতির এমন এক ব্যক্তিকে দেখি, যার মত আর কাউকে এর আগে দেখিনি। সে শিকলে বাধা ছিল এবং তার দু’হাত ঘাড়ের সাথে আবদ্ধ ছিল। এরপর পূর্ববতী হাদীছের অনুরূপ বর্ণিত হয়েছে।

এরপর সে তাদের কাছে ’বায়সান’ নামক স্থানের খেজুর, ’যাআর নামক কূপ এবং উম্মী-নবী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। সে বলেঃ আমি মাসীহ দাজ্জাল। অতি সত্বর আমাকে বের হওয়ার জন্য অনুমতি দেওয়া হবে।

তারপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ দাজ্জাল শাম অথবা ইয়ামনের সমুদ্রে অবস্থিত একটি দ্বীপে বন্দী অবস্থায় আছে। এরপর তিনি বলেনঃ না, বরং সে পূর্বের দিকে আছে, আর তিনি তার হাত দিয়ে সে দিকে দু’বার ইশারা করেন। ফাতিমা (রাঃ) বলেনঃ আমি এ হাদীছ রাসুলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে শুনেছি এবং মনে রেখেছি।

باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ

حَدَّثَنَا حَجَّاجُ بْنُ أَبِي يَعْقُوبَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الصَّمَدِ، حَدَّثَنَا أَبِي قَالَ، سَمِعْتُ حُسَيْنًا الْمُعَلِّمَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ بُرَيْدَةَ، حَدَّثَنَا عَامِرُ بْنُ شَرَاحِيلَ الشَّعْبِيُّ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، قَالَتْ سَمِعْتُ مُنَادِيَ، رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يُنَادِي أَنَّ الصَّلاَةَ جَامِعَةٌ ‏.‏ فَخَرَجْتُ فَصَلَّيْتُ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَلَمَّا قَضَى رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم الصَّلاَةَ جَلَسَ عَلَى الْمِنْبَرِ وَهُوَ يَضْحَكُ قَالَ ‏"‏ لِيَلْزَمْ كُلُّ إِنْسَانٍ مُصَلاَّهُ ‏"‏ ‏.‏ ثُمَّ قَالَ ‏"‏ هَلْ تَدْرُونَ لِمَ جَمَعْتُكُمْ ‏"‏ ‏.‏ قَالُوا اللَّهُ وَرَسُولُهُ أَعْلَمُ ‏.‏ قَالَ ‏"‏ إِنِّي مَا جَمَعْتُكُمْ لِرَهْبَةٍ وَلاَ رَغْبَةٍ وَلَكِنْ جَمَعْتُكُمْ أَنَّ تَمِيمًا الدَّارِيَّ كَانَ رَجُلاً نَصْرَانِيًّا فَجَاءَ فَبَايَعَ وَأَسْلَمَ وَحَدَّثَنِي حَدِيثًا وَافَقَ الَّذِي حَدَّثْتُكُمْ عَنِ الدَّجَّالِ حَدَّثَنِي أَنَّهُ رَكِبَ فِي سَفِينَةٍ بَحْرِيَّةٍ مَعَ ثَلاَثِينَ رَجُلاً مِنْ لَخْمٍ وَجُذَامٍ فَلَعِبَ بِهِمُ الْمَوْجُ شَهْرًا فِي الْبَحْرِ وَأَرْفَئُوا إِلَى جَزِيرَةٍ حِينَ مَغْرِبِ الشَّمْسِ فَجَلَسُوا فِي أَقْرَبِ السَّفِينَةِ فَدَخَلُوا الْجَزِيرَةَ فَلَقِيَتْهُمْ دَابَّةٌ أَهْلَبُ كَثِيرَةُ الشَّعْرِ قَالُوا وَيْلَكِ مَا أَنْتِ قَالَتْ أَنَا الْجَسَّاسَةُ انْطَلِقُوا إِلَى هَذَا الرَّجُلِ فِي هَذَا الدَّيْرِ فَإِنَّهُ إِلَى خَبَرِكُمْ بِالأَشْوَاقِ ‏.‏ قَالَ لَمَّا سَمَّتْ لَنَا رَجُلاً فَرِقْنَا مِنْهَا أَنْ تَكُونَ شَيْطَانَةً فَانْطَلَقْنَا سِرَاعًا حَتَّى دَخَلْنَا الدَّيْرَ فَإِذَا فِيهِ أَعْظَمُ إِنْسَانٍ رَأَيْنَاهُ قَطُّ خَلْقًا وَأَشَدُّهُ وَثَاقًا مَجْمُوعَةٌ يَدَاهُ إِلَى عُنُقِهِ ‏"‏ ‏.‏ فَذَكَرَ الْحَدِيثَ وَسَأَلَهُمْ عَنْ نَخْلِ بَيْسَانَ وَعَنْ عَيْنِ زُغَرَ وَعَنِ النَّبِيِّ الأُمِّيِّ قَالَ إِنِّي أَنَا الْمَسِيحُ وَإِنَّهُ يُوشِكُ أَنْ يُؤْذَنَ لِي فِي الْخُرُوجِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ‏"‏ وَإِنَّهُ فِي بَحْرِ الشَّامِ أَوْ بَحْرِ الْيَمَنِ لاَ بَلْ مِنْ قِبَلِ الْمَشْرِقِ مَا هُوَ ‏"‏ ‏.‏ مَرَّتَيْنِ وَأَوْمَأَ بِيَدِهِ قِبَلَ الْمَشْرِقِ قَالَتْ حَفِظْتُ هَذَا مِنْ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَسَاقَ الْحَدِيثَ ‏.‏


Fatimah, daughter of Qais, said: I heard the crier of the Messenger of Allah (ﷺ) calling : Assemble for the prayer. I Then came out and prayed along with the Messenger of Allah (ﷺ): When the Messenger of Allah (ﷺ) finished his prayer, he sat on the pulpit laughing, and he said : Everyone should remain where he had said his prayer. He then asked : Do you know why I have assembled you because Tamim al-Dari, a Christian, who came and accepted Islam, told me something which agrees with what I was telling you about Lakhm and judhism and that they were storm-tossed for a month. They drew near to an island when the sun was setting. They sat in a boat nearest to them and entered the island where they were met by a very hairy beast. They said: Woe to you! What can you be ? It repled : I am the Jassasah. Go to this man in the monastery, for he is anxious to get news of you. He said : When it named a man to us we were afraid of it least it should be a she-devil. So we went off quickly and entered the monastery, where we found a man with the hugest and strongest frame we had ever seen with his hand joined to his neck. He then narrated the rest of the tradition. He asked them about the palm-trees of Baisan and the spring of Zughar and about the unlettered prophet. He said: I am the messiah (the Antichrist) and will be soon Syrian sea or the Yemen sea: No, on the contrary, it is towards the east that he is. He said it twice and pointed his hand to the east. She said: I memorized this (tradition) from the Messenger of Allah (ﷺ), and she narrated the tradition.


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৫. দাজ্জালের গোয়েন্দা সম্পর্কে।

৪২৭৬. মুহাম্মদ ইব্‌ন সাদরান (রহঃ) .... ফাতিমা বিন্‌ত কায়স (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জোহরের সালাত আদায় শেষে মিম্বরের উপর আরোহণ করেন। আর তিনি এর আগে কোন দিন জুমু’আর দিন ছাড়া মিম্বরে আরোহণ করেননি। এরপর তিনি এ হাদীছ বর্ণনা করেন।

باب فِي خَبَرِ الْجَسَّاسَةِ

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ صُدْرَانَ، حَدَّثَنَا الْمُعْتَمِرُ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ أَبِي خَالِدٍ، عَنْ مُجَالِدِ بْنِ سَعِيدٍ، عَنْ عَامِرٍ، قَالَ حَدَّثَتْنِي فَاطِمَةُ بِنْتُ قَيْسٍ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم صَلَّى الظُّهْرَ ثُمَّ صَعِدَ الْمِنْبَرَ وَكَانَ لاَ يَصْعَدُ عَلَيْهِ إِلاَّ يَوْمَ جُمُعَةٍ قَبْلَ يَوْمَئِذٍ ثُمَّ ذَكَرَ هَذِهِ الْقِصَّةَ ‏.‏ قَالَ أَبُو دَاوُدَ وَابْنُ صُدْرَانَ بَصْرِيٌّ غَرِقَ فِي الْبَحْرِ مَعَ ابْنِ مِسْوَرٍ لَمْ يَسْلَمْ مِنْهُمْ غَيْرُهُ ‏.‏


Fatimah, daughter of Qais, said: The prophet (ﷺ) offered the noon prayer and ascended the pulpit. Before this day he did not ascend it except on Friday. He then narrated this story. Abu Dawud said: Ibn Sudran belongs to Basrah. He was drowned in the sea along with Ibn Miswar, and no one could escape except him.


হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai'f)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ

পরিচ্ছেদঃ ১৩৪/ হায়যের পর গোসল করা প্রসঙ্গে

২০১। ইমরান ইবনু ইয়াযীদ (রহঃ) ... কুরায়শ বংশের আসা’দ গোত্রের ফাতিমা বিনতে কায়েস (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি রাসুলুল্লাহ এর নিকট এসে উল্লেখ করলেন যে, তার অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয়। তার ধারণা যে, রাসুলুল্লাহ তাঁকে বলেছেন যে, তা একটি শিরার* রক্ত মাত্র। অতএব যখন হায়য আরম্ভ হয় তখন সালাত (নামায/নামাজ) ছেড়ে দিবে- আর যখন হায়যের মেয়াদ অতিবাহিত হয়, তখন রক্ত ধৌত করবে তারপর সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবে।

أَخْبَرَنَا عِمْرَانُ بْنُ يَزِيدَ، قَالَ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ الْعَدَوِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا الأَوْزَاعِيُّ، قَالَ حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنِي هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ فَاطِمَةَ بِنْتِ قَيْسٍ، مِنْ بَنِي أَسَدِ قُرَيْشٍ أَنَّهَا أَتَتِ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَتْ أَنَّهَا تُسْتَحَاضُ فَزَعَمَتْ أَنَّهُ قَالَ لَهَا ‏ "‏ إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي ‏"‏ ‏.‏


It was narrated from Fatimah bint Qais from Banu Asad Quraish that she came to the Prophet (ﷺ) and mentioned that she suffered from Istihadah (non-menstrual vaginal bleeding). She said that he said to her: "That is (bleeding from) a vein, so when the time of menstruation comes, stop praying, and when it goes, then wash the blood from yourself then pray."


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ ফাতিমা বিনত কায়স (রাঃ)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
দেখানো হচ্ছেঃ থেকে ২০ পর্যন্ত, সর্বমোট ৬১ টি রেকর্ডের মধ্য থেকে পাতা নাম্বারঃ 1 2 3 4 পরের পাতা »